![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী পরিচালিত কওমি মাদ্রাসা জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়ার (লালখান বাজার মাদ্রাসা) একটি কক্ষে গত সোমবার সকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ কমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ওই কক্ষে অতি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একাধিক হাতে তৈরি গ্রেনেড একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়েছে। বিস্ফোরণের পর ভবনটির আশপাশের এলাকা থেকে পুলিশের বিস্ফোরকদলের সদস্যরা বোমায় ব্যবহৃত মার্বেল, সিসা ও ব্যবহার হওয়া কয়েকটি গ্রেনেডের খোসা উদ্ধার করেন। যে কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে তার পাশের কক্ষেই গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিয়োজিত অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার টিম বলটিন কফ মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বিস্ফোরণে কক্ষের পলেস্তরা খসে পড়ে। দুটি সিলিং ফ্যানের মধ্যে একটি উড়ে যায় এবং অন্যটি বাঁকা হয়ে যায়। কক্ষের দু'পাশের জানালার কাচ পাশের কয়েকটি ভবনের ছাদে গিয়ে পড়ে। জানালায় ব্যবহৃত লোহার গ্রিলগুলো বাঁকা হয়ে যায়। বিস্ফোরণের পর কক্ষটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ওই কক্ষে থাকা একটি কম্পিউটার, আসবাবপত্র ও কাপড়চোপড় পুড়ে যায়। বিস্ফোরণে ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এদের মধ্যে গোপনে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় পুলিশ পাঁচলাইশ ও হালিশহর থেকে ৪ জনকে আটক করেছে। ঘটনার পর থেকে মুফতি ইজহারকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের বিস্ফোরকদলের সদস্যরা ওই কক্ষ থেকে অবিস্ফোরিত ৩টি গ্রেনেড এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে একটি গ্রেনেডের সঙ্গে মোবাইল ফোন লাগানো আছে। গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সন্তোষ চাকমা বলেন, মোবাইলে নির্দিষ্ট সময়সূচি ঠিক করে এটি যেকোনও জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের নেতা হিসেবে বিএনপির সঙ্গে ছিলেন মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী। ২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গি তৎপরতার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে লালখান বাজার মাদ্রাসা থেকে মুফতি ইজহারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় দুটি মামলা করা হয়। বর্তমানে মামলা দুটি হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।
মাদ্রাসায় গ্রেনেড ও বিস্ফোরক থাকা খুবই উদ্বেগের বিষয়। দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার ধারাটি গড়ে উঠেছে কওমী মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে। কওমী মাদ্রাসায় রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রন নেই। ফলে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভিতরেই বেড়ে উঠছে অগণতান্ত্রিক ও আধুনিকতা, ধর্ম নিরপেক্ষতা, নারী স্বাধীনতা পরিপন্থী হেফাজতি শক্তি। রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত ধর্ম ভিত্তিক শিক্ষা টিঁকে থাকলে এমনটি হবেই, রাষ্ট্র আরো বিপন্ন হবে, বিপন্ন হবে ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদ ও মানবাধিকার। ধর্মীয় শিক্ষার কওমী ধারা দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুতই রাজনৈতিক ইসলাম ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষমতার দিকে হাত বাড়াবে। সাম্প্রতিক সময়ে জামাত ও হেফাজতের ঐক্যবদ্ধ তান্ডবলীলা আমাদেরকে সে ইঙ্গিতই দেয়।
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিষ্ফোরন না হলে হাতের কবজি উড়ে গিয়েছিল কার?
তাহলে সেখানে পরে থাকা আংগুলের টুকরোগুলো কার?
পুলিশের দেরিতে তল্লাসি চালানোর কারন -
ফায়ার ব্রিগেড আগুন নেভানোর পর পুলিশ অপেক্ষা করে, সংগত কারনেই। কয়েকঘন্টা পর বিষ্ফোরক বিশেষজ্ঞ ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আসে। এরপর তাদেরকে নিয়ে তল্লাসি চালানো হয়।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: বোমা নাটক, তেতুল নাটক, কত নাটক যে আমরা দেখব?....
আসলেই যদি সেখানে কথিত গ্রেনেড থাকত তাহলে সকাল ১০টায় বিষ্ফোরন হওয়ার পর র্যাব আসল, পুলিশ আসল, ফায়ার সার্ভিস আসল, তারা কিছু পেল না, সন্ধ্যার দিকে উপরের নির্দেশে কথিত বোমা আবিষ্কার হল।
আর এই বিষ্ফোরনে দু জন ছাত্র ও মারা গেল। ডাক্তারও বললনা বোমার আঘাতে মারা গেল, বা নিহত ও আহত কারও শরীরে বোমার স্প্রিন্টার রয়েছে। বরং সরকারী ডাক্তার জানাল, অগ্নিকান্ডেই এদের শরীর পুরে গেছে। আর এটা নিয়ে অতি লাফালাফি করছে কিছু চিহ্নিত পেইড ব্লগার ছাগুরা