নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার প্রতিরোধ করা জরুরি

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সমূহের সাম্প্রারতিক কালে রাজনীতিকে ধর্মের ব্যবহারের মাত্রা আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ, নির্বাচনে ভোটের ক্ষেত্রে বিভাজন সৃষ্টি করে আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতা দখল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে শিক্ষিতের হার তুলনামূলক ভাবে কম। রাজনৈতিকভাবে জনসমষ্টি তেমন সচেতন নয়, সে কারণে সাম্প্রাদায়িকতার

প্রসার ঘটেছে। কয়েকটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।

বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে সরকারি দলের [বিএনপি জামায়াত জোট]

পৃষ্ঠপোষকতায় শুধু সাম্প্রাদায়িকতা নয়, জঙ্গিবাদ ও ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান ঘটে।

সাম্প্রাদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে আধিপত্য বিস্তারের জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বা সেক্যুলার গণতান্ত্রিক সমাজের প্রবক্তা শেখ হাসিনাকে হত্যার কয়েকটি ষড়যন্ত্র হয় যার মধ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা উলে−খযোগ্য। তারা এখন এতই শক্তিশালী হয়ে উঠছে যে যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিপক্ষেও তারা অবস্থান নিয়েছে। আসনড়ব নির্বাচনকে সামনে রেখে এই তৎপরতা আরো প্রবল হয়ে উঠছে। ভারতে কিছু রাজনৈতিক দলের প্রশ্রয়ে হিন্দুত্ববাদকে জোরদার করা হচ্ছে। সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটানো হচ্ছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ মুজাফফর নগরের সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা। ভারতে আসনড়ব নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও সাম্প্রাদায়িকতা শক্তির উত্থান ঘটছে। পাকিস্তানে দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের তৎপরতায়

জঙ্গিবাদের শুধু উত্থান নয়, শরিয়া আইন প্রবর্তন করা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে তালেবানদের প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। পাকিস্তানের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশড়ব উঠছে। শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের পর, এখন বৌদ্ধ মুসলমান সা¤প্রদায়িক বিভেদের সৃষ্টি করা হয়েছে। নেপালেও রাজনৈতিক

অস্থিতিশীলতা বিদ্যমান। এমনকি মিয়ানমারেও জাতিগত দাঙ্গা ও ধর্মীয় দাঙ্গা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দক্ষিণ এশীয় দেশগুলিতে সাম্প্রতিক কালে উনড়বয়নের যে ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছিল এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে প্রচেষ্টা চলছিল এ কারণে তা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। কারণ, এর ফলে সমাজে, রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ম ব্যবহার করে রাজনীতিতে যে আধিপত্য বিস্তারের

চেষ্টা, তা যদি না থাকতো তা’হলে এদেশগুলির গড় প্রবৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পেত, অধিক সংখ্যক মানুষ দারিদ্র মুক্ত হতো। অর্থনৈতিক উনড়বয়নেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার।

এর বিপরীতে, এ প্রবণতারোধে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিনড়ব রাষ্ট্রে সিভিল সমাজের একাংশ যে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিরোধ করছে না তা’নয়। কিন্তু ধর্মের আগ্রাসী ভূমিকার অনেক ক্ষেত্রে তাদের পিছু হটতে হচ্ছে। সমঝোতা করতে হচ্ছে। এসব দেশে দীর্ঘ সংগ্রামের কারণে সেক্যুলার গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছিল তা এখন হুমকির পথে। দক্ষিণ এশিয়ার সিভিল সমাজের এখন দায়িত্ব রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার রোধে

রাজনৈতিক প্রতিরোধের সৃষ্টি করা। এবং তা করা যেতে পারে সেক্যুলার গণতন্ত্রের সুফল সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি এবং সেক্যুলার গণতন্ত্রের পক্ষে জনমত প্রবল করা।

এ পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা এ গণবক্তৃতার আয়োজন করেছি যার শিরোনাম ‘ধর্ম ও রাজনীতি: দক্ষিণ এশিয়া’। দক্ষিণ এশীয় বিশেষজ্ঞগণ এতে অংশগ্রহণ করছেন। এবং এ বিষয়ে তারা তাদের বক্তব্য প্রদান করবেন যা রাজনৈতিক সচেতনতার একটি প্রয়াস হিসেবে আমরা মনে করি। আমাদের আশা দক্ষিণ এশিয়ার ধর্মনিরেপেক্ষ, গণতন্ত্রমনা সিভিল সমাজ

শুধু নিজ রাষ্ট্রে নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে দক্ষিণ এশিয়াকে একটি একক হিসেবে বিবেচনা করে কাজ করবেন। কারণ, দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র সমূহ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।

আসুন, আমাদের শ্লোগান হোক ‘রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার প্রতিরোধ কর, রাজনীতিতে ধর্ম নিষিদ্ধ কর, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।’ সেক্যুলার গণতান্ত্রিক সমাজই অর্থনৈতিক সামাজিক উনড়বয়নের চাবিকাঠি ও মুক্তি। আসুন আমরা সবাই মিলে সা¤প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, ধর্মান্ধতা, ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই এবং এ লক্ষে অসাম্প্রদায়িক ও গণমুখি ইতিহাস চর্চা হতে পারে একটি হাতিয়ার।

আমাদের উচিত হবে এ লক্ষ্যে যেসব রাজনৈতিক দল কাজ করছে তাদের রাজনীতিকে শক্তিশালী করা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

যাযাবোর বলেছেন: এটা হতে পারে না। আপনার কথা ঠিক ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।
ধর্মের নামে কোন রাজনৈতিক দল হতে পারে না কারন এতে অন্য ধর্মের মানুষের স্বাধীনতা খর্ব হয়।
তাই ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হতে হবে। যেখানে সকল ধর্মের মানুষের প্রতিনিধিরা থাকতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.