নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দক্ষিণ এশিয়ার ধর্ম ও রাজনীতি

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০১

দক্ষিণ এশিয়া সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নৃ-ভাষাগত ও ধর্মীয় সমন্বয়ের সংস্থান

করে/প্রতিপালন করে। ইতিহাস ভিনড়ব হলেও, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মের মাঝে মিল ও সাদৃশ্য রয়েছে। এই সাদৃশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বসবাসকারী জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ আবেগীয়, মানসিক, সাংস্কৃতিক এমনকি বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বন্ধনকে দৃঢ় করতে সহায়তা করেছে। এই বন্ধনগুলো দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলকে একটি অসাধারণ বহুমাত্রিক ও বহুসংস্কৃতির পরিচয় প্রদান করেছে।

গত দুই দশক ধরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনীতিতে ধর্মীয় গোঁড়ামী নতুন উপাদান হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। ধর্মের এই উচ্চনাদী উত্থান এবং এর স্থিতি শান্তিপূর্ণ সমাজগুলোকে মেরুকরণ করছে যার মাঝে এই রাষ্ট্রগুলোকে অস্থিতিশীল করার ভয়ঙ্কর সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে। উলে−খযোগ্য সংখ্যক তথ্য-উপাত্ত প্রমাণ করে যে, এই মেরুকরণের ফলাফল হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিনড়ব অঞ্চলে হত্যা, গণহত্যা ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, এই ধরনের শক্তির প্রাধান্য প্রমাণ করে যে, এই শক্তিগুলোর বিভিনড়ব অংশের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা ও সমাজে অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য ভয়াবহ প্রতিযোগিতা বিদ্যমান। এগুলো সমাজে বিশৃঙ্খলা-অরাজকতা সৃষ্টিতে সহায়তা করছে, যার ফলশ্র“তিতে, সুশীল সমাজ, শিক্ষিত ও সাংস্কৃতিকে জনগোষ্ঠী এই অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে নিঃশ্বাস নিতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। এটা নিশ্চিতভাবে স্বীকার করা যায় যে, দক্ষিণ এশিয়ায় ধর্মের মহিমা, প্রশান্তি ও আধ্যাত্মিকতা বিদ্যমান। ধর্মের প্রতি এই মনোভাব সুফিবাদী ও ভক্তিবাদীদের মহান আধ্যাত্মিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। যা বিভিনড়ব ধর্মে বিশ্বাসীদের কাছাকাছি এনেছে এবং একত্রিত করেছে।

এখনই উপযুক্ত সময় এ সকল আধ্যাত্মিকতা, বহুমাত্রিকতা, সহাবস্থানকে একত্রিত করে তাদের সম্মিলিত শক্তির মাধ্যমে যারা ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য ব্যবহার করবে তাদের ক্ষমতা খর্ব করার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

মুশে হক বলেছেন: সুবিধাবাদি রাজনীতিতে ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়৤ মাদ্রাসা, মসজিদ, এতিমখানা, কওমি মাদ্রাসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে ধর্ম সম্পর্কে যে সব অশিক্ষা, কুশিক্ষা দেয়া হয় এসব বন্ধ না করতে পারলে বাংলাদেশ থেকে রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার দূর হবে না৤

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: সহমত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.