![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্বাচনের পরপরই দিনাজপুর, যশোর, সাতক্ষীরা ও ঠাকুরগাঁওয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা শুরু করে জামাত-শিবির ক্যাডাররা। গত রবিবার রাত থেকে এসব জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। অনেকে প্রাণভয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মন্দিরে। কেউ কেউ পালিয়ে রয়েছেন অন্য গ্রামে। প্রশাসনের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে হিন্দু লোকজনদের নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরে যেতে বললেও তারা বাড়ি ফিরতে চাচ্ছেন না। এদিকে, নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও দোকান পাটেও হামলা করছে দুর্বৃত্তরা।
শুধু এবারই নয়, অতীতেও নির্বাচন এলেই আক্রমণের মূল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। তবে এবার তাদের ওপর হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন ইত্যাদির ব্যাপকতা অত্যন্ত বেশি। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা জঙ্গিদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো ভরসা পাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে সার্বক্ষণিকভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থান করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে জঙ্গিরা নিজস্ব গোয়েন্দা বাহিনী সৃষ্টি করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনের চলাফেরা ও কর্মকা-ের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রেখে যাচ্ছে। তাতে শান্তিকামী সাধঅরণ মানুষের ভীতসন্ত্রস্ততা মোটেও কাটছে না। তাই তারা গ্রাম ছেড়ে কিছুটা নিরাপদ শহরে গিয়ে বসবাস শুরু করছে। অত্যাচারিত হয়ে হয়ে সবারই মন ভেঙে গেছে। ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়ে সবাই চরম উদ্বিগ্ন এবং তারা যে কোনো সময় যেখানেই নিরাপদ বলে মনে করবেন ও সুযোগ পাবেন সেখানেই চলে যাবেন বলে মনস্থির করেছেন। তাদের সবার বিনিদ্র রজনী কাটে, ঘরে-বাইরে হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে কোনো রকমে বেঁচে থাকতে হচ্ছে।
এই ভূ-অঞ্চলে সভ্যতা বিকাশের গোড়াপত্তনকারী এবং হাজার হাজার বছর ধরে বসবাসকারী উন্নত বিশাল এক জনগোষ্ঠী দিনদিন বিপন্ন থেকে বিপন্নতর হচ্ছে। মূলত বিগত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ বিভাজনকে কেন্দ্র করে তাদের এই বিপন্নতার সূত্রপাত ঘটে। ভারতীয় উপমহাদেশের তৎকালীন রাজনীতিবিদদের ধর্মীয়, আঞ্চলিক, সমপ্রদায় ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব, কূটচাল ও ক্ষমতালিপ্সার মদমত্ততায় ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্তের বলি বর্তমান বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু এই জনগোষ্ঠী- যাদের মধ্যে প্রায় ৯৯% হিন্দু ধর্মাবলম্বী, বাকিরা বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দুঃখজনক হলেও সত্য, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দলের নেৃতত্বে সরকার পরিচালিত হলেও সংখ্যালঘুরা হামলা থেকে রেহাই পাননি। দেশের সকল প্রান্তে রয়ে-রয়ে হামলা পরিচালিত হতে থাকে। তবে গেলো বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি অন্যতম যুদ্ধাপরাধী কুখ্যাত দেইল্যা রাজাকারের ফাঁসির রায় ঘোষিত হওয়ার পর সংখ্যালঘুদের ওপর দেশব্যাপী একযোগে সবচেয়ে বড় হামলা পরিচালিত হয়। সেই থেকে অদ্যাবধি প্রতিনিয়ত দেশের কোনো না কোনো স্থানে তাদের ওপর হামলা চলে আসছে।
বিগত ২৫ নভেম্বর দশম নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার পর ১৮ দলীয় জোটের আন্দোলনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের জঙ্গি বাহিনী কর্তৃক সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিশেষ করে জামাত-শিবির দেশের সর্বত্র সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা পরিচালনা করতে থাকে। বিগত ১২ ডিসেম্বর অন্যতম যুদ্ধাপরাধী মিরপুরের কসাই নামে পরিচিত কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হলে জঙ্গিদের হামলার মাত্রা তীব্রতর হয়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশের বিভিন্নস্থানে যৌথবাহিনীর অভিযান সত্ত্বেও এসব হামলা অব্যাহত থাকে।
প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা পড়ে-পড়ে মার খাচ্ছেন, তাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, নারীদের ধর্ষণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই জনগোষ্ঠীকে দেশের সৃষ্ট প্রতিটি সংঘাতময় ঘটনায় মূল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে। তাদের সংখ্যা কম করে হলেও দেড় কোটি। অথচ বিশাল এই জনগোষ্ঠীর বিপন্নতা নিয়ে দেশ-বিদেশের সংশ্লিষ্ট কোনো মহল থেকে কোনো প্রকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে, বা তেমন কোনো আলাপ-আলোচনা করছে বা ভূমিকা রাখছে বলে দৃশ্যমান নয়। এসব মহল যা নিয়ে ব্যস্ত তা হচ্ছে- নির্বাচন আর নির্বাচন। নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপার নিয়ে সবাইকে উচ্চকিত হতে দেখা গেলেও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ব্যাপারে তাদের মুখ থেকে টুঁ শব্দটি পর্যন্তে শোনা যায় না।
বর্তমান সরকারকে দেশের দেড় কোটিরও অধিক ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের দেড় কোটি সংখ্যালঘু মানুষ আর যেন কোনো প্রকার হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে হবে।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৪
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: টাইপো:
ব্লগে এতকিছু না লিখে একটা বন্দুক কিনে হিন্দু গামে অবস্হান নিলে ভালো হতো; ঠিক '৭১ এর লোকদের মতো।
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩
সবুজ সংকেত বলেছেন: হিটলারের একটা নীতি ছিল "একটা মিথ্যাকে দশবার
প্রচার কর, তাহলে সেটা সত্যে পরিণত হবে ৷
তেমনি ভ্রষ্ট রাজনীতিকদের একটা নষ্ট
নীতি আছে there is no unfair in the politics and
love অর্থাৎ রাজনীতি এবং ভালোবাসায় মন্দ /
অন্যায্য বলে কিছু নেই ৷ আমাদের দেশের
রাজনীতিকদের দেখলে এর শতভাগ
সত্যতা আমরা দেখতে পাই ৷ রাজনৈতিক
ঘোরপ্যাঁচে স্বার্থের বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ ৷
একদিকে চলছে জনমতকে উপেক্ষা করে সংবিধান
কে ইচ্ছামতো কাটছাঁট করে দেশের মানুষকে বৃদ্ধাঙ্গুল
দেখিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করে "ক্রুর "
হাসি প্রদর্শনের হিড়িক ৷ অপরদিকে চলছে রাজনৈতিক
কৌশলের অংশ হিসেবে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ
করে বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছ থেকে সমর্থন আদায়ের
ব্যার্থ চেষ্টা ৷
একটা নির্দিষ্ট দলের
আমলে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়
তারপর ও বুদ্ধিজীবি ও সুশীল নামক কিছু
বুদ্ধিবিক্রি করে জীবিকা নির্বাহকারী সাম্প্রদায়িকতা সাম্প্রদায়িকতা বলে হাম্বা
তোলে ৷ জাতীয় মুনাফিক বোর্ডের চেয়ারম্যান মিজানুর
রহমান কোথাও হিন্দু সম্প্রদায় আক্রান্ত
হলে রশি ছেঁড়া গরুর মত সেখানে ছুটে যায় ৷ দিনাজপুরের
কর্ণাই গ্রামে হিন্দুপরিবারের উপর হামলার পরদিন
মহাদেবপুর শাহপাডা,বকরীপাডা,এবং লিবরা গ্রামে প্রায়
দুই নত মুসলিম পরিবারের উপর যে হামলা হলে ও এসব
এলাকায় প্রশাসনের পক্ষে কোন খোঁজ খবর
নেয়া হয়নি ৷ মিজানুর রহমান ও দড়ি ছেঁড়া উটের মত
ছুটে যায়নি ৷ কেন? যৌথবাহিনীর সাথে সাথে লীগ
গুন্ডারা নির্বিচারে মুসলিম প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘর
ভাঙচুর করছে, নিরাপত্তার নামে নির্বিচারে যে মানুষ
হত্যা করছে এতে কী মিজানুর রহমানের মানবাধিকারের
কোন লংঘন হচ্ছে না? এ জাতীয় মুনাফিকের মানবপ্রেম
কি শুধু হিন্দুদের বেলায় তাহিয়্যাতুল উঠে কেন?
জামাতের কম বয়সী যে সব
নেতাকর্মী মারা যাচ্ছে এরা তো রাজাকার ছিল না! কেন
এদের মারা হচ্ছে?
তার সাথে যায় দালাল ও২১ শতকের বড় লোকের বাডির
পোষা কুকুর মিথ্যার বেসাতী খুলে বসা মিডিয়াগুলো ৷
সাংবাদিক সম্মেলন থেকে শুরু করে মানববন্ধন - কিছুই
বাদ যায় না ৷ এরই সাথে স্বাধীনতার
চেতনা দিয়ে ব্যবসাকারী তথাকথিত মানবাধিকারের
ফেরিওয়ালা কিছু লোক - অনেকদিন পর ব্যঙ যেমন
পানি পেয়ে ঘ্যাঙর গ্যাং করে এলাকা মাথায় তোলে ঠিক
তেমনি - মৌলবাদ মৌলবাদ বলে চিৎকার
করতে থাকে ৷ যদি ও আজ পর্যন্ত ঐ
ছাগলগুলো বঝতে চেষ্টা করেনি যে ,স্বাধীনতার পর
থেকে ওদের আশ্রয়দাতা দলের হাতে যত মানুষ খুন
হয়েছে যত মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যত
মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছে তার সিকিভাগ ও মৌলবাদ
বলে যাদেরকে তারা ইঙ্গিত করে তাদের দ্বারা ঘটেনি ৷
জামাত বিরোধিতা করতে গিয়ে মাথাবিকৃত
হয়ে যাওয়া কিছু ছাগল ও ভারতের দালাল
কমেন্টে আমাকে গালি দিবে, সাম্প্রতিক
আন্দোলনে জামাতকর্তৃক তাণ্ডব তুলে ধরবে ৷
আমি বলব, ব্যক্তিগতভাবে আমি জামাতের
ঘোরবিরোধী ৷ কিন্তু অবাক লাগে জামাত
বিরোধিতাকারী কিছু ছাগল কেন দীর্ঘদিন
ধরে চলা সোনার ছেলেদের কুকীর্তি কে ঘৃণা করে না ৷
সোনার ছেলেদের, সোনার দলের লোকদের
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবী ওরা কেন
করে না?
আমাদের পার্শ্ববর্তী তথাকথিত ভারতে প্রতিনিয়ত
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আডালে চলে একতরফা মুসলিম
নিধন ৷ কিছুদিন আগেও আসামে অসংখ্য মুসলমান
কে হত্যা করা হয়েছে ৷ লাখ লাখ হয়েছে গৃহহীন ৷ ২০০২
সালে কসাই নরেন্দ্র মোদির প্রত্যক্ষ আদেশে টি২০
হাজার মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে ৷
আড়াই লাখ মুসলমানের বসতভিটা কেডে নেয়া হয়েছে!
মায়ানমারে ২০১২ থেকে তথাকথিত শান্তিপ্রিয় চরম
ভন্ড বৌদ্ধদের হাতে নিহত হয়েছে হাজার হাজার
মুসলিম ৷ তখন কী করেছিল মুনাফিক মিজান? ৭১
সালে বাংলাদেশের মানুষ যদি পাশের দেশে আশ্রয়
নিতে পারে তাহলে চরম নির্যাতিত রোহিঙ্গারা কেন
একটু আশ্রয় পেল না? নিরীহ নির্যাতিত মুসলমানদের
জন্য এ দেশের সাংবাদিক সমাজ কতদিন মানববন্ধন
কিংবা সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল?
একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, অনেক লীগের এমন
পাওয়া যাবে যারা আওয়ামী লীগ করে এই কারণে যে লীগ
ত্যাগ করলে তার দখলে থাকা জনৈক সংখ্যালঘুর
সম্পত্তিটি হাতছাড়া হয়ে যাবে ৷ এ ছাড়া ও যদি হিসাব
করা হয়, আজ পর্যন্ত কতজন হিন্দু মুসলমানদের
হাতে নিহত হয়েছে? সে সংখ্যা কি ৩ বা ৪ হাজার
অতিক্রম করবে? কিন্তু মুসলমান সরকার ক্ষমতায়
থাকাবস্থায় কত হাজার মুসলমান নিহত হয়েছে?
কমপক্ষে হলে ও ৬ থেকে ৭ হাজার হবে ৷ ৪ হাজার
নারী ধর্ষনের শিকার হয়েছে ৷ এগুলো কি মানবাধিকার
লংঘনের পর্যায়ে পড়ে না?
ভোটারবিহীন নির্বাচনে রাতের আঁধারে সীল
মেরে নির্বাচিত হয়ে যখন জনগণ কে লক্ষ্য করে ক্রর
হাসি দেন আমাদের নেত্রী তখনও কি মিজান
সাহেবরা তাদের পা চাটেন? নাকি সংখ্যালঘুর নাটক
কোথায় করা যায় সে চিন্তায় থাকেন?
Yesterday at 10:51am
Like · Comment · Share · Add Photos
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৩
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ব্লগে এতকিছু না লিখে একটা বন্দুক কিনে হিন্দু গামে অবস্হান নিলে ভালো হতো; ঠি '৭১ এর লোকদের মতো।