নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়বে কে?

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

গত ২৬ মার্চ বুধবার থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত পালিত হলো দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ। এবার দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ছিল - 'সবাই মিলে গড়বো দেশ, দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ।' পুরো সপ্তাহজুড়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রায় সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় স্ব স্ব ধর্মগ্রন্থ থেকে দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আলোচনা ও দোয়া-দরূদ পাঠ করে শোনানো হয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে দেশের ২১ হাজার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং 'সততা সংঘ'। গত ২৭ মার্চ দুদক কার্যালয়ে 'দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০১৪' প্রদান করা হয়েছে। ২৮ মার্চ বাদ জুমা মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ আলোচনা এবং দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ মার্চ বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা এবং দুর্নীতিবিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়েছে। ৩১ মার্চ দুদক কার্যালয়ে 'রাজনৈতিক ঐক্য ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের প্রধান নিয়ামক' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।



আগে চুরি-ডাকাতি করতো গরিব ও অশিক্ষিতরা। চুরির ধরন ছিল সিঁদকাটা বা বাঁশের বেড়া কেটে বা ঘরের ঝাপ সরিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ধান, চাল, পাট, ডাল, আটা ইত্যাদি নিয়ে পালিয়ে যাওয়া। অনেক সময় মালিকের হাতে ধৃত চোরকে দেখলে মনে হতো সে অত্যন্ত গরিব। মারতে গেলেও মায়া হতো অনেকের। সে যুগে চোরের কোন চাকরি ছিল না। তারা ছিল অত্যন্ত অনাহারি এবং গরিব। আজকাল চোর আছে, তবে ঐ ধরনের চোর খুব কম। বর্তমানের চোরগুলো উঁচুদরের। বুদ্ধিবৃত্তিক কলমের মারপ্যাঁচে চুরি করে কোটি কোটি টাকা। আর এই চুরিবৃত্তির আধুনিক নাম হয়েছে দুর্নীতি। আইনের ভাষায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি সরকারি কর্মচারী হিসেবে যদি নিজ অথবা অপর কোন ব্যক্তির জন্য তার বৈধ বেতন বহির্ভূত কোন ধরনের বকশিশ গ্রহণ করে বা গ্রহণে সম্মত হয় তবে তা অপরাধমূলক আচরণ হিসেবে গণ্য হবে। দণ্ড-বিধিতে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক বকশিশ বা ঘুষ গ্রহণের সর্বোচ্চ সাজা তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।



ধর্মীয় আঙ্গিকে চিন্তা করলে দুর্নীতির চেয়ে নিকৃষ্টতম কাজ আর নেই। রসুলুল্লাহ (সা.) ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা উভয়কেই অভিসম্পাত করেছেন এমনকি রসুলুল্লাহ (সা.) ঘুষদাতা, ঘুষগ্রহীতা এবং উভয়ের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী সকলের উপরই অভিসম্পাদ করেছেন। রসুল (সা.) বলেছেন, 'ঘুষ দাতা ও ঘুষগ্রহীতা জাহান্নামী হবে।' আমাদের সমাজে কতিপয় লোক আছে যারা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে, আবার ঘুষও খায়। 'তারা আখেরাতের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করে নিয়েছে, সুতরাং তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না এবং কোন সাহায্য প্রাপ্ত হবে না।' (সুরা বাকারা : ৮৬)। “তাদের প্রত্যেকের জন্য পরিণামে জাহান্নাম রয়েছে এবং পান করানো হবে গলিত পুঁজ। যা সে অতি কষ্টে এক এক ঢোক করে গলধঃকরণ করা প্রায় সহজ হবে না। সর্বদিক হতে তার নিকট আসবে মৃত্যু যন্ত্রণা কিন্তু তার মৃত্যু ঘটবে না এবং এরপর কঠোর শাস্তি ভোগ করতেই থাকবে।” (সুরা ইবরাহীম: ১৬-১৭)।



'যে অপরাধের জন্য আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসুল (সা.) ফয়সালা দিয়েছেন - 'জাহান্নামী' তা কত বড় অপরাধ হতে পারে তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। তাই সিদ্ধান্ত এসেছে - ঘুষখোরের অবৈধ সম্পদ হতে প্রস্তুতকৃত খাদ্যগ্রহণ করার সময় হালাল মনে করে বিসমিল্লাহ বলে খেলে সে আর মুসলিম থাকে না। অথচ বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষই মুসলমান !



এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে - দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়বে কে? সরকার? টিআইবি'র তথ্যানুসারে দুর্নীতির শীর্ষে রয়েছে - পুলিশ বিভাগ, ভূমি অফিস, পাসপোর্ট অফিস, ইনকাম ট্যাক্স, সিটি কর্পোরেশন, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিভাগ। উল্লিখিত সবগুলো বিভাগ ও অফিসই সরকারি। অর্থাৎ সরকার নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। রক্ষকই যেখানে ভক্ষক সেখানে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে কে?



যারা নিজেদের রসুল (সা.) এঁর অনুসারী দাবী করে কিন্তু তাঁর (সা.) আদেশ নিষেধ মানে না তারা কি রসুল (সা.)-কে অবমাননা করছে না? এ অবমাননার প্রতিকার কি? পক্ষান্তরে, যে দেশে ইসলাম বিদ্বেষী কবিতার একটি লাইনের জন্য ফুলে ফোঁসে উঠতে পারে লাখো মুসলমান, যে দেশের মুসলমান পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে রসুল (সা.) এঁর অবমাননায় বিদ্রোহ ও বিক্ষোভে ফেটে পরতে পারে তারা কি পারে না দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে?



কুরআনের দৃষ্টিতে যে অন্যায় করে এবং যে অন্যায়ে অংশগ্রহণ করে এমনকি নীরবে সহ্য করে সেও সমান অপরাধী। কুরআন শুধু সৎকর্মের আদেশ দেয়নি অসৎকর্ম প্রতিরোধেরও আদেশ দিয়েছেন। দেশের ধর্মভীরু সাধারণ মানুষ যারা নিজেদেরকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেন তারা দুর্নীতি প্রতিরোধে অগ্রগামী না হলে দেশ কি আদৌ দুর্নীতি মুক্ত হবে?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২২

যুগের নকিব বলেছেন: দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়বে কে?
কেন
উত্তর তো সহজ
দুর্নীতিবাজরাই তো দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়বে ।

এ দেশে কি আবুল মফিজ কালো বিড়ালের অভাব আছে?

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশ দুর্ণীতিমুক্ত হওয়া আর সম্ভব না। যেখানে টপ টু বটম সবাই দুর্ণীতি করছে, প্রতিদিন দুর্ণীতি করার পরিমান আর সংখ্যা বাড়ছে সেখানে কে কাকে মুক্ত করবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.