![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দৈনিক ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ, ভোরের কাগজ ও সংবাদে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সময়ে ২৮৫ জন মানুষ প্রাণ হারান। এর মধ্যে
১৯৯১ সালে ১৮ জন,
১৯৯২ সালে ৪৫,
১৯৯৩ সালে ২০,
১৯৯৪ সালে ২৪,
১৯৯৫ সালে ২৯,
১৯৯৬ সালে ৪৯,
১৯৯৭ সালে ৬৯ এবং
১৯৯৮ সালে ৩১ জন প্রাণ হারান।
শাসনামল ধরলে ১৯৯১ সালের জুন থেকে ১৯৯৬ সালের মে পর্যন্ত ১৭৪ জন,
১৯৯৬ সালের জুন থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৯৮ জন,
২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৮৭২ জন এবং বর্তমান সরকারের আমলে ৫৬৪ জন মারা গেছেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা গেছেন দুই হাজার ২৩৪ জন। এর মধ্যে
১৯৯৯ সালে ২৩৩,
২০০০ সালে ২০৮,
২০০১ সালে ৫০০,
২০০২ সালে ৩১০,
২০০৩ সালে ২০৩,
২০০৪ সালে ৫২,
২০০৫ সালে ৩৪,
২০০৬ সালে ১২০,
২০০৭ সালে সাতজন,
২০০৮ সালে চারজন,
২০০৯ সালে ৪২,
২০১০ সালে ৭৬,
২০১১ সালে ৫৮,
২০১২ সালে ৮৪ এবং ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৩০৪ জন নিহত হয়েছেন।
শাসনামল ধরলে ১৯৯১ সালের জুন থেকে ১৯৯৬ সালের মে পর্যন্ত ১৭৪ জন,
১৯৯৬ সালের জুন থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৯৮ জন,
২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৮৭২ জন এবং বর্তমান সরকারের আমলে ৫৭৫ জন মারা গেছেন।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের হিসাবে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি। অধিকার বলছে, শুধু ২০০১ সাল থেকে ২০১৩-এর আগস্ট পর্যন্ত সময়েই রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজার ৯২৬ জন এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ৫৮ হাজার ২১১ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালেই মারা গেছেন ৬৫৬ জন।
জাতীয় ‘মানবাধিকার’ কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, “এই সংখ্যা তো ভয়াবহ। যে মানুষগুলো মারা গেলেন কিংবা যে লক্ষাধিক মানুষ আহত হলেন, কে তাঁদের দায়িত্ব নিয়েছে? এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কোনো সভ্য সমাজে এটা চলতে পারে না”।
আমরা দেখবো ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের হাতে কী পরিমান হতাহত হয়েছে।
ইসলামের নামে যেসব দল গনতন্ত্রের ফেরি করে বেড়ায় তাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড যুক্ত হবে গনতান্ত্রিক সন্ত্রাসবাদের সাথে। কেননা তারা আইনী ও যৌক্তিক দিক থেকে তাদেরই দলভুক্ত।
বিভিন্ন পত্র পত্রিকার তথ্য মতে ১৯৯৮ সালে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে ইসলামী আইন বাস্তবায়নের নামে জেএমবি সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। কালের কন্ঠে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাজশাহীর বাগমারায় এই সংগঠনের দ্বিতীয় প্রধান নেতা সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে সর্বহারা দমন অভিযানের নামে পাঁচ জনকে হত্যা করা হয়; আহত হয় প্রায় আরো অর্ধশত লোক। এরপর ২০০৫ এর ১২ জানুয়ারি শেরপুর ও জামালপুরে ভিন্ন দুটো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালায়। এতে আহত হয় ৩৫ জন। ১৫ জানুয়ারিতে বগুরা ও নাটোরে দুটি যাত্রা মঞ্চে বোমা হামলা করে। এতে নিহত হয় দু’জন, আহত হয় ৭০ জন।
এরপর ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট দেশব্যপি তাদের পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় দু’জন, আহত হয় পঞ্চাশ জনের মতো। একই বছর ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে তারা দুজন বিচারককে হত্যা করে। পরে একজন আইনজীবীকেও হত্যা করে। এরপর ২৯ নভেম্বর গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে তাদের বোমা হামলায় মারা যা ১০ জন। আহত হন আরো ত্রিশ জন।
অন্য দিকে ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ রাতে যশোর টাউন হল ময়দানে উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের শেষে দিনের সাংস্কৃতিক উনুষ্ঠানে ২ টি বোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে ১০ জন নিহত এবং আহত হয় প্রায় ২০০ জন।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১২ জন নিহত হয় এবং আহত হয় প্রায় ত্রিশজন। এ হামলার জন্য দায়ী করা হয় হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ হুজিবিকে।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে বৃটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলা করা হয়। এতে তিনজন নিহত ও প্রায় সত্তর জন আহত হন। এ হামলার ব্যাপারে দায়ি করা হয় ইসলামী জঙ্গীদের, যদিও এ মামলার রায় এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা, যে হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী সেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এই হামলাটিতে ইসলামী জঙ্গিদেরকে ব্যবহার করা হলেও এটিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি রাজনৈতিক সহিংসতা। কারণ এখানে আওয়ামীলীগকে দুর্বল করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার উদ্দেশ্যে তাদের প্রতিপক্ষের হাত থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
২০০৫ সালের আটই ডিসেম্বর ময়মনসিংহের নেত্রকোনায় উদীচী কার্যালয়ে জেএমবির আত্মঘাতি বোমা হামলায় মারা যান আটজন। এই ঘটনায় আহত হয় পঞ্চাশ জনেরও বেশি।
ময়মনসিংহে ছিনেমা হলে বোমা হামলার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আমি সংগ্রহ করতে পারিনি। যতোদূর মনে পড়ে সেখানে কেউ নিহত হয়েছিলো না। আনুমানিক ধরে নিচ্ছি পঞ্চাশ জন আহত।
এই হলো মোটামুটি এদেশে ইসলামী জঙ্গীদের তৎপরতা। এসব সংখ্যা যোগ করলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৯। আমি যদি কোনো তথ্য সংযুক্ত করতে ভুল করে থাকি তার আনুমানিক সংখ্যা হিসেবে যদি আরো ২১ জন যোগ করি তাহলে সর্বসাকুল্যে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় একশত; আর আহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩৫। আমি যদি আহতের সংখ্যা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করি তবুও তা দু’ হাজার ছাড়ায় না।
পক্ষান্তরে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হতাহতের যে সংখ্যা আমি ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি তা অনুযায়ী, শুধু ২০০১ সাল থেকে ২০১৩-এর আগস্ট পর্যন্ত সময়েই রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজার ৯২৬ জন এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ৫৮ হাজার ২১১ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালেই মারা গেছেন ৬৫৬ জন। পূর্বের ১০ বছরের কথা না হয় বাদই দিলাম।
গত ২৩/০২/২০১৪ তারিখে প্রথম আলোতে গোল টেবিল আলোচনার নিউজ দেখলাম। বিষয় “জঙ্গিবাদের হুমকিঃ বাংলাদেশ ভাবনা”। হ্যা, আমিও বলতে চাই। জঙ্গিবাদ পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। এটাকে অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে।
২| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১:০৬
সাইলেন্স বলেছেন: এক কথায় ভয়াবহ।
৩| ০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ৭:১৮
ভিটামিন সি বলেছেন: এভাবে এতগুলা মানুষ মরলো, যারা তাদের মারলো তাদের একজনেরও ফাঁসি হলো না?
আর কমু না, পরে আমিও গুম হয়ে যেতে পারি।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
মানুষ যদি হয় পশু তো মানুষ মরবেনা তো মরবেটা কি?