নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীতে ধার্মিক মানুষের সংখ্যা কত ?

১৭ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রসুল (সা.)-কে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কে সত্যিকারের মুসলিম? তিনি বলেছিলেন, 'যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মানুষ নিরাপদ'। এই সূত্র মোতাবেক পৃথিবীতে কয়জন মানুষ আছে যে নিজেকে মুসলিম দাবী করতে পারে? এক ইহুদি ধর্মযাজকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, 'তাওরাত অনেক দীর্ঘ, যা আমরা পড়তেও পারব না, বুঝতেও পারব না। আপনি সংক্ষেপে এক লাইনে যদি বলে দেন ইহুদি ধর্মের মূল শিক্ষাটা কী, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়।' তিনি বলেছিলেন, 'অন্যে যে আচরণ করলে তুমি কষ্ট পাও, সে আচরণটা তুমি অন্যের সঙ্গে করো না' - এটাই ইহুদি ধর্মের মূল শিক্ষা। আজ পৃথিবীতে এমন কোন ইহুদি আছে কি যে উক্ত সূত্র অনুসরণ করে? খ্রীষ্ট ধর্ম - প্রেম, ক্ষমা ও ভালোবাসার ধর্ম। যিশু খ্রীষ্টের শিক্ষা হলো, 'তোমাকে যে ঘৃণা করে তাকেও তুমি ভালোবাসো। কাউকে ঘৃণা করো না, কারো ক্ষতি করো না'। খ্রীষ্টান ধর্মের অনুসারীরাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল এমন একটা সময়ে যখন জাপান আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশ্ন জাগে - পৃথিবীতে কতজন মানুষ আছে খ্রীষ্টের অনুসারী?



উপ-মহাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী হিন্দু ধর্মাবলম্বী। হিন্দু ধর্মের সম্বোধন হচ্ছে- 'নমস্কার'। এর অর্থ: 'আপনার ভেতর যে ঈশ্বর আছেন তার কাছে আমি মাথানত করছি।' পৃথিবীত ক'জন হিন্দু আছেন যিনি ঈশ্বর জ্ঞানে মানুষকে 'নমস্কার' করে মাথা নত করেন?



তাই প্রশ্ন জাগে - পৃথিবীতে কতজন মানুষ আছেন যিনি প্রকৃত অর্থেই ধার্মিক? নিশ্চয়ই সংখ্যাটি তিন অঙ্কের বেশি হবে না। এজন্যই কি ধর্ম নিয়ে এত বাড়াবাড়ি, দলাদলি, আর সামপ্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশে?



আমাদের দেশে মসজিদ মাদ্রাসার সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। বাড়ছে মাদ্রাসার সনদধারী দাড়িওয়ালা, টুপিওয়ালাদের সংখ্যা; কিন্তু ধার্মিকের সংখ্যা বাড়ছে না। কুরআন, হাদিস পড়ে ডিগ্রি প্রাপ্তদের অভাব নেই দেশে কিন্তু ধর্ম শিক্ষা কারো অন্তরে প্রবেশ করছে না কেন? কেন সমাজে ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না? কেন বাংলাদেশ মানুষের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে না? তবে কি আমরা লম্বা দাড়ি আর টুপি পড়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের ব্যবসা শিক্ষাচ্ছি মাদ্রসায়? এই দেশের শতকরা ৫ জন মানুষও যদি এমন ধার্মিক হতো যাদের হাত ও মুখ থেকে অন্য মানুষ নিরাপদ তাহলে কি শান্তির সুবাতাস বইতো না? অন্যভাবে সৃষ্টি হতো না বাংলাদেশের ইতিহাস?



আসলে আমাদের দেশে ধর্ম নেই। আছে পয়সা কামানোর জন্য ধর্মের ব্যবহার। ধর্ম ব্যবহৃত হচ্ছে সামাজিক মর্যাদা ও প্রতিপত্তি বাড়ানোর কাজে। এ কাজ যে শুধু ধর্মের লেবাসধারি ধর্মব্যবসায়ীরা করছে তা নয় রাজনৈতিক নেতা ও বুদ্ধিজীবীরাও করছে। ধর্ম প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক না হয়েও তারা নানা উপলক্ষে ধার্মিকের অভিনয় করে। নির্বাচনকালে মাথায় টুপি বা কালো পট্টি বাঁধে এবং হাতে তসবিহ নেয় আবার নির্বাচন শেষে এসব ছুঁড়ে ফেলে দেয়। মতলববাজ রাজনীতিকরা ছুটে যায় সূফী সাধকদের দরবারে, অংশগ্রহণ করে মিলাদে, সুযোগ বুঝে মন্দির বা বৌদ্ধবিহারেও হাজির হয়।



শান্তি ধর্মের আদর্শে সামান্য আগ্রহী না হয়েও মৌসুম বুঝে নসিহত করেন সে আদর্শ অনুসরণের। পূজার মৌসুমে এরা শ্রীকৃষ্ণকে অনুপম আদর্শ বলেন। আবার বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়েও পূজনীয় বলেন গৌতম বৌদ্ধকে। আসলে এরা বিশ্বাসী নয় কোন আদর্শেই, আন্তরিক শুধু নিজেদের স্বার্থ হাসিলে। তাদের লক্ষ্য নিছক ক্ষমতালাভ। এভাবে আর কতদিন চলবে? তা ভেবে দেখার সময় এসেছে বৈকি!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৪৯

ঢাকার কুতুব বলেছেন: ভাল লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.