![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিচয় দেওয়ার মত তেমন কিছু নেই। আমি নিতান্তই অলস একজন মানুষ। লেখালেখি শখ হিসেবে শুরু করলেও এখন সেটা নেশা হয়ে গেছে।
-তুই ফার্মগেট আসলি আর আমার বাসায় আসলিনা!! বোনে ভাগ্নেদের দেখা লাগেনা!!
-কাজে ব্যাস্ত ছিলাম তাই যাওয়ার সময় পাইনি।
-একটু সময় করে আয়।
ঢাকা যাবার খবর পেয়েই বড় আপু ফোনে যাওয়ার কথা বলতে থাকল। এমনিতেই তাদের বাসায় যাইনা। তারপরে আবার ঢালায় গিয়েই যাইনি। এতে রাগ আর অভিমান হওয়া স্বাভাবিক।
আসার সময় ফোন দিয়ে বলল
-কিরে তুই আসবিনা?
-বাড়ি যেতে হবে। কাজ আছে।
-একটু সময় করে আসলে পারতিনা!!
-আবার আসলে যাব।
-আচ্ছা।
কিছুটা অভিমানেই বড় আপু ফোন রেখে দিল।
মেঝো আপুর বাড়িতে যাইনি বলে আমাকে অনেক কথা বলে। মাঝেমাঝে বলে "আমাদের এলাকায় তোকে বিয়ে দেব, যাতে আমাদের বাড়িতে আসিস"। আমি বলি "তাহলে আরো যাব না" মেঝো আপু বলে "রাজি থাকলে বল, আগে বিয়ে দিয়েই দেখি" আমি শুধু হাসি।
ছোট আপু আমার পা কাটার খবর জানত না। হঠাৎ জানার পরেই শুরু হল উপদেশ দেওয়া। ডাক্তারি উপদেশ যেমন হয়, ঠিক তেমন। আমি বললাম
-তেমন কিছু হয়নি।
-তাই বলে এভাবে চলবি!! সাবধানে থাকবি।
আরো অনেক উপদেশ দিল।
ভাইদের চেয়ে বোনদের মনে ভালবাসা বেশি থাকে। শত অভিমান আর রাগ করে থাকলেও বোনরা নিজেই যোগাযোগ করে। ভাইয়েরা দুরে রাখলেও বোনরা কখন'ও সেটা করতে পারেন। আমি আমার বোনদের কাছে ফোন দেইনা। কিন্তু তারা ঠিক'ই ফোন দেয়।
ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মনে মায়া মমতা বেশি থাকে। ছোটবেলায় বাবাকে ভালবেসে শাষন করে। আরেকটু বড় হলে ছোট ভাইকে শাষন করে। বড় ভাইকে শাষন করতে না পারলেও পাকনা উপদেশ দিতে পারে। বিয়ের পরে স্বামিকে উপদেশ দেয়। সন্তান জন্ম দিয়ে তাকেও উপদেশ দেয়।
মেয়েদের আদেশ আর উপদেশ চেয়ে তাদের আগলে রাখার ক্ষমতা বেশি। এরা সবসময় মমতা আর ভালবাসা দিয়ে আগলে রাখতে জানে। কখনো মেয়ে, কখনো বোন, কখনো স্ত্রী, কখনো মা হয়ে আগলে রাখে।
ভাইয়েরা বোনদের উপর রাগ করে থাকলেও বোনরা অভিমান করেও ভাইয়ের খোঁজ রাখে। রাগ করে দুরে থাকলেও ভাইয়ের খোজ রাখবে। ভাইয়েরা সেটা খুব কম করে। তাই ভাইদের ভালবাসার চেয়ে বোনদের ভালবাসা বেশি। মেয়ে জাতি ছেলেদের চেয়ে মায়াময়ী হয় বেশি। এটা যে উপলব্ধি করতে পারে সেই জানে।
©somewhere in net ltd.