নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধারে নয় আলোতে ভয় ! দৃশ্যগুলো শব্দময়, শূন্যতার ভীড়ে হারিয়েছে স্তব্ধ সময়..

জুনা্যেদ সিদ্দিক

সত্যকে আলিঙ্গন করতে যদি মরণমরণও আসে,ফাঁসির দড়িতে যেন মুচকি হাসে!

জুনা্যেদ সিদ্দিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা খাতে দুর্নীতি

০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯





কথায় বলে, 'সর্বাঙ্গে ব্যথা, মলম দেব কোথা'_আমাদের শিক্ষা খাতের অবস্থা যেন তেমনি। ফাইল নড়া তো দূরের কথা, ঘুষ ছাড়া এখানে একটা পাতাও উল্টে না। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা। এমপিওভুক্তি থেকে শুরু করে পেনশনের অর্থপ্রাপ্তি পর্যন্ত তারা পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যুগের পর যুগ এ অবস্থা চলে এলেও এর কোনো প্রতিকার নেই; বরং অনেক ক্ষেত্রে তা বেড়েই চলেছে। জানা যায়, শিক্ষকদের এমপিও-সংক্রান্ত সব কাজই আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর থেকে করা হতো। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকদের বারবার ঢাকায় আসতে হতো। আবার মাউশির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধেও ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ছিল। তাই গত বছরের মার্চ থেকে দেশের ৯টি আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়ে এমপিও-সংক্রান্ত দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। ফল হয়েছে উল্টো। আগে একজন শিক্ষক এমপিওভুক্তির জন্য ঘুষ দিতেন সাত-আট হাজার টাকা। এখন উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয় মিলে ঘুষ লাগে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। শিক্ষকদের বলা হয়, জাতি গঠনের কারিগর। আমরা সবচেয়ে বেশি নৈতিকতাও আশা করি তাদের কাছ থেকে। অথচ বিদ্যালয়ে চাকরি পেতে এবং চাকরি পাওয়ার পর এমপিওভুক্ত (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) হতে যদি এভাবে ঘুষ দিতে হয়, তাহলে তাদের কাছে তেমন প্রত্যাশা করার যৌক্তিকতা কতোটুকু থাকে? যতো দূর জানা যায়, ঘুষ দিতে অধিকাংশ শিক্ষকেরই নৈতিকতায় বাধে। কিন্তু নৈতিকতাবিরোধী সেই কাজটিও করতে তারা একসময় বাধ্য হন। সম্প্রতি যশোর জেলার ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা অফিসে ঘুষের জন্য যে হয়রানি করা হয়, তার বিবরণ দিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মাউশি অধিদফতরে। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) জানিয়েছেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটিও অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার হাতিয়ার হবে না তো? অতীতে তদন্ত কমিটির এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহার আমরা অনেক দেখেছি। খুলনা আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জানিয়েছেন, ঝিকরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই অভিযোগে কিছুদিন আগে তাকে কেশবপুর উপজেলা থেকে এখানে বদলি করা হয়েছিল। আমরা তার এই বক্তব্যে অবাক না হয়ে পারি না। কারো বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠার পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে বদলি করাটা কি কোনো ব্যবস্থা হতে পারে? নতুন জায়গায় গিয়ে তিনি যে একই অপরাধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? আমরা চাই, শিক্ষা প্রশাসনের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিদ্যমান অনৈতিক তৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হোক। শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে যেন কোনো হয়রানি না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হোক।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

আহলান বলেছেন: তদন্ত কমিটি ... সেই কমিটির মেম্বার কারা হবে? ফেরেশতা ধরে এনে তদন্ত হবে নাকি?সবই নষ্টদের দখলে ....

০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: ? ফেরেশতা ধরে এনে তদন্ত হবে নাকি?সবই নষ্টদের দখলে ....

২| ০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

হাদী কুষ্টিয়া বলেছেন: 'সর্বাঙ্গে ব্যথা, মলম দেব কোথা'................................।

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: ঠিক তাই

৩| ০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: "আগে একজন শিক্ষক এমপিওভুক্তির জন্য ঘুষ দিতেন সাত-আট হাজার টাকা। এখন উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয় মিলে ঘুষ লাগে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা।" - মানে আগে প্রতি কেসে ওনাদের উন্নয়ন হতো ৭-৮ হাজার টাকা, এখন ৩৫-৪০ হাজার টাকা! ভাই আপনি তো 'উন্নয়ন' এবং 'এগিয়ে চলা'-এর সংজ্ঞাটাই এখনও বোঝেন নাই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.