নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সন্ধ্যায় আমাদের লাইন করিয়ে জানালো যে আগামীকাল সকাল ৯টায় সবাই যার যার পুটুলী নিয়ে এখানে দাড়াবে।পরদিন আমরা নটায় লাইনে দাড়ালাম তার খানিক পরেই ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর কিছু সদস্য ট্রাকে করে আমাদের নিয়ে গেল আগরতলা এয়ারপোর্টে।বেশ অনেক্ষন অপেক্ষার পর এক বিশাল মালবাহী প্লেন খুব সম্ভবত c130 ল্যান্ড করলো।মালপত্র নামিয়ে আমাদের এক তৃতীয়াংশ ছেলেকে নিয়ে প্লেন চলে গেল । আমরা পরে রইলাম, মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।
আবার বিএস এফ ক্যাম্পে ফিরে আসলাম। পরে জানতে পেরেছি এভাবেই পর্যায় ক্রমে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হবে। দ্বিতীয়দিন ও বাদ পরলাম। বাকী এবার চলে গেল, আমি একা হয়ে পড়লাম। অবশ্য এর মাঝে আমার কয়েকজনের সাথে আলাপ পরিচয় হয়েছিল।তার মধ্যে বর্তমানে জনকন্ঠের চেয়ারম্যান মাসুদ, মাসুদের চাচাতো ভাই জিল্লু পুরনো ঢাকার দুজনঃ আসলাম, রশিদ সহ আরো অনেকে যাদের নাম আমার এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না।
এক সপ্তাহ অপেক্ষার পর আমাদের পালা আসলো।এবার আমরা সবাই প্লেনে জায়গা পেলাম। এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম প্লেন ভ্রমন বলবোনা বলা যায় প্লেনে চড়া। কার্গো প্লেন সুতরাং আসনের বালাই নেই। মাটিতে বসে মালপত্র বাঁধার দড়ি দিয়ে নিজেদের বেধে নিলাম। ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুজন পাইলট দু ঘন্টা ফ্লাই করার পর কলকাতা থেকে পঞ্চাশ/ষাট কিঃমিঃ দূরে ব্যারাকপুর এয়ার বেসে অবতরণ করলো।প্লেন থেকে নেমে আমরা সবাই দুজন ভারতীয় সৈন্যের সাথে ট্রাকে করে রওনা দিলাম।
ঘন্টা তিনেক চলার পর আমাদের যেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেটা ছিল ফ্রগম্যান ক্যাম্প।সেই ক্যাম্পে তখন অনেক বাংলাদেশী ভাইরা ট্রেনিং নিচ্ছিল।তারা আমাদের দেখে দৌড়ে আসলো স্বাগত জানাতে। কিছুক্ষন পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা এসে জানালো আমরা ভুল জায়গায় এসেছি।
সেদিনের সেই ভুল জায়গাটি ছিল বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিখ্যাত সেই আম্রকানন ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন যেখানে ডুবেছিল বাংলার স্বাধীনতা। এই আম্রকাননের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে বিষাক্ত সাপে পরিপুর্ন প্রচন্ড খরস্রোতা ভাগিরথী নদ। সেই ভয়ংকর নদীতেই আমাদের বাংলাদেশি ফ্রগম্যানদের প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে।পরবর্তীতে এই সব অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ফ্রগম্যানরাই নারায়নগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করা পাকিস্তানি সামরিক জাহাজ মাইন দিয়ে ডুবিয়ে দিয়েছিল।
সেখান থেকে আবার যাত্রা হলো শুরু ।সারাদিন না খাওয়া ক্ষুধার্ত আমরা দেশ স্বাধীনের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে চলেছিতো চলেছিই, সে যেন বিরামহীন এক যাত্রা।
শেষপর্যন্ত সন্ধ্যা নাগাদ এসে পৌছালাম আমাদের নির্ধারিত গন্তব্যে।যায়গাটির নাম ‘চাকুলিয়া’ বিহার। আগে থেকেই যারা এখানে অবস্থান করছিল আমাদের দেখে তারা ছুটে আসলো, তাদের মধ্যে আমার বন্ধু বাকীও ছিল। মনটা আনন্দে ভরে উঠলো বন্ধুকে পেয়ে। থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হলো।
সেদিন থেকে আমরা পুরোপুরি ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে পরলাম। রাতে খাবার পর ফল ইন করানো হলো, গননা করা হলো, নাম ধাম পরিচয় জেনে পরের দিনের জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। তারপর আগে থেকে নির্ধারিত তাবুতে শুয়ে গভীর ঘুম।
আগের দিনের নির্দেশমত সুর্য্য ওঠার আগেই উঠে হাতমুখ ধুয়ে ছুটলাম লাইনে।সেখানে ভারতীয় প্রশিক্ষক ছোটখাটো এক বক্তৃতা দেয়ার পর শুরু হলো প্রশিক্ষন অর্থাৎ নানারকম শারিরীক কসরৎ।ঘন্টা দুয়েক এক্সারসাইজ চলার পর এক মগ চা আর পুরি সহযোগে শুরু হলো ২০ মিনিট এর চা পানের বিরতি।
চা পানের বিরতির পর আবার এক্সারসাইজ শুরু হলো চললো প্রায় তিন ঘন্টা।এরপর স্নান, মধ্যানহ ভোজ এবং বিশ্রামের জন্য তিন ঘন্টা বিরতি দেয়া হয়েছিল।এরপর আবার ফল ইন, তবে এবার আর কসরৎ নয়, শুরু হলো অস্ত্র পরিচিতি। প্রথম দিন সে সময়ের বিখ্যাত থ্রি নট থ্রি বন্দুক দিয়ে শুরু হলো পরিচিতি পর্ব। মান্ধাতা আমলের সেই অস্ত্র, ওজন সাড়ে ৯ কেজি। সেটাকে ম্যানেজ করা আমার মতন হ্যাংলা পাতলা এক ১৮ বছরের ছেলের জন্য ভীষন কষ্টসাধ্য ছিল।
যাই হোক দুজন প্রশিক্ষক আমাদের হাতেকলমে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নিজেরা করে দেখালো সেই অস্ত্রের ব্যাবহার।কি ভাবে কি করতে হয়? কি ভাবে বিভিন্ন অংশ খুলে খুলে পরিস্কার করতে হয় ইত্যাদি। এরপর আমাদের দিয়েও করালো।তবে কোন গুলি ব্যাবহার করা হয়নি।
অত্যন্ত ধৈর্য্যের সাথে সেই প্রশিক্ষক দুজন সারাটি ক্ষন আমাদের মতন নবীন শিক্ষানবীশদের সেই অস্ত্র সম্পর্কে বুঝাতে লাগলো।
এরপর রাতের খাবার এর জন্য আবার লাইনে দাড়াতে হলো। সন্ধ্যা হতেই সব কাজ শেষ করে জায়গাটি একটু ঘুরে ফিরে দেখা শুরু করলাম। আগেই বলেছি বিহার জেলায় অবস্থিত এই চাকুলিয়া ছিল একটি এয়ার বেস যা কিনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানী বিমান বাহিনীর হাতে সম্পুর্ন বিদ্ধস্ত হয়ে যায়।সেই থেকে সেটা পরিত্যক্ত অবস্থাতেই পরেছিল যার ফলে পরিনত হয়েছিল বিভিন্ন বিষাক্ত সাপের বাসস্থানে।
আমাদের আগে যারা এসেছিল তাদের দিয়ে সেস্থানের উন্নতির জন্য অনেক কাজ করানো হয়েছিল। যেমনঃ পনের বিশটা তাবু খাটানো, তাবুর চারিদিকে ড্রেনের মত ট্রেঞ্চ খোড়া হয়েছে যেন সাপ না আস্তে পারে।ঔষধ ছিটানো হয়েছিল তাদের দিয়ে। এভাবেই তাদের দিয়ে পুরো এলাকাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছিল।ফলে এসব কাজ আর আমাদের করতে হয়নি।
প্রথম প্রথম যা ভেবেছিলাম তা নয়, দিনে দিনে শক্ত ট্রেনিং শুরু হতে লাগলো, এর মাঝে কমান্ডো ট্রেনিং ও কিছুটা শেখালো।এমনি ভাবে প্রায় তিন সপ্তাহ ট্রেনিং করার পর শুরু হলো real arms training। যার মধ্যে ছিল থ্রি নট থ্রি, এসএম সি, এস এল আর, এল এমজি,হাত গ্রেনেড, এন্টি পার্সোনাল মাইন, এন্টি ট্যাঙ্ক মাইন, এক্সপ্লোসিভ এন্ড ডিটোনেটার+ম্যাচিং ওয়্যার ফিক্সিং । এসব গুলোর উপর অল্প সময়ের মধ্যে যতটুকু শেখানো যায় তার সব কিছুই আমাদের শিখিয়েছিল।এর সাথে প্রতিদিন আমাদের দুপুরের পর প্রত্যেকটা অস্ত্র পার্ট বাই পার্ট কি ভাবে খুলতে হয় লাগাতে হয় এবং সাথে সাথে পরিস্কার করতে হয় সেটারও বিশেষ প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছিল।
এরপর শুরু হলো অস্ত্র চালনা শিক্ষা।প্রথমে অস্ত্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো এরপর শুরু হলো গোলাবারুদের সাথে পরিচয় , অস্ত্রের ব্যবহার পদ্ধতি, অস্ত্র পরিস্কার করার কৌশল, বলাবাহুল্য এটা একজন যোদ্ধার জন্য অতীব গুরুত্বপুর্ন। সবশেষে আসলো গুলি ভরে কি ভাবে গুলি ছুড়তে হয় তার প্রশিক্ষন? ডেটোনেটর লাগিয়ে কিভাবে হ্যান্ড গ্রেনেড ধরতে হয় ? কি ভাবে পিন খুলতে হয় ? তখন হাতটা কেমনভাবে ভাজ করে ছুঁড়ে মারতে হয় এসব কিছু।
বিস্ফোরকের বেলায়ও একই ব্যবস্থা। একবারে কি পরিমান বিস্ফোরক নিতে হবে? কি ভাবে সেটাকে আকৃতি দিতে হবে ?কি ভাবে ডেটোনেটার ইনজেক্ট করতে হবে এবং তারপর ফায়ার ক্লিক করতে হবে। এর উপর চললো প্রায় তিনদিন লাগাতার প্রশিক্ষন।শেষ পর্যায়ে এসে প্রত্যেককে বিকেলেও ক্লাস করতে হয়েছে। এভাবে প্রায় সাত সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রমের পর আমাদের প্রশিক্ষন পর্ব০ শেষ হলো।
ছবি: অন্তর্জাল
চলবে...
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সেক্টর ২ রনাঙ্গনে সক্রিয় অংশগ্রহনকারী এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বহস্তে লেখা দিনলিপি।৩য় পর্ব
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৪
জুন বলেছেন: সাপের কথা আপনি পড়েই ভয় পেলেন মাইনুদ্দিন ! তাহলে তাদের কথা ভাবুন যারা এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী ।
সাথে থাকুন আর ইতিহাসের ছোট্ট একটু অংশের সাথী হোন সেই কামনায় ।
ধন্যবাদ ।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর ভাবে আগাচ্ছে । মনে হচ্ছে যেন আমিই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ! কয় দিন পর যুদ্ধে নামবো !
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৮
জুন বলেছেন: উনিতো কোন কবি সাহিত্যিক নয় যে ভাষার কারিকুরি আর শব্দের খেলায় তার লেখাকে সাজিয়ে নেবে রাঙ্গিয়ে নেবে ককাশে । সে হলো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাইতো তার ভাষা এত সহজ সরল । আর আমিও এখানে কোন মাতব্বরী করছিনে । তাই এগিয়ে যাচ্ছে হয়তো তর তর করে সাবলীল ভাবে ।
সাথে থেকে নিরন্তর উৎসাহ যুগিয়ে যাবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, সেই সাথে আগামীতেও সাথে থাকার আশায়
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগছে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১০
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক ভালোলাগা ঢাকাবাসী ।
সাথে থাকবেন আগামীতেও ।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধা হইতে ইচ্ছা হয় ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৬
জুন বলেছেন: সত্যি গোরব করার মত এক জীবন এ কে এম রেজাউ করিম । মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগছে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৭
জুন বলেছেন: আপনাকে সাথে দেখে অনেক ভালোলাগছে ঢাকাবাসী । আগামীতেও সাথে থাকুন । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ভালো পোষ্ট। শুভকামনা রইলো।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
জুন বলেছেন: মায়াবী রুপকথা এযে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাস্তব কাহিনী । কল্পিত একটি বাক্য ও যে এতে নেই । তাইতো এত ভালোলাগা ।
আপনার জন্যও রইলো অশেষ শুভকামনা । আগামোতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সত্যিই ভালো লাগছে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দিশেহারা উৎসাহ যুগিয়ে যাবার জন্য
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে আছেন বলে সেলিম আনোয়ার ।
৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জানলাম ট্রেনিং এর ব্যাপারে কিছু আগে পড়েছিলাম ...
ভাল লাগছে সিরিজ ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা । আপনার প্রোপিকটাও সেদিনের কথা মনে করিয়ে দেয় যে । সাথে থাকবেন সিরিজটিতে সেই প্রত্যাশায় ।
১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
এহসান সাবির বলেছেন: চলুক.........
আছি
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
জুন বলেছেন: আশা করি থাকবেন সাথে এহসান সাবির । এযে কোন কল্পিত কাহিনী নয় । আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের একজন প্রত্যক্ষ্য অংশগ্রহনকারীর জবানবন্দী ।
১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
তুষার কাব্য বলেছেন: সাপের শুধু গল্পই শুনলাম কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার কোন একটিভিটিস দেখলাম না
ফ্রগম্যান ক্যাম্প এর কথা আগেও পড়েছিলাম কোথায় যেন .যুদ্ধের গল্প পড়লেই কেমন যেন একটা অনুভুতি হয় !
প্রশিক্ষণ তো শেষ হলো এবার যুদ্ধের কথা শোনার অপেক্ষায় থাকলাম ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
জুন বলেছেন: সাপের কি একটভটিস দেখতে চাও তুষার ! তা দেখতে গেলে আমাদের বাংলা মা এর গর্ব সেই সব দামাল ছেলেদের কি হতো ভাবোতো ?
আসছে যুদ্ধ একটু অপেক্ষা করো । সাথে থাকবে সেই প্রত্যাশায় ।
১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: বীর শব্দযোদ্ধা ! ওরা অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করেছে আর বীর শব্দযোদ্ধারা কলম আর কাগজ দিয়ে । সেই দিক বিবেচনা করলে আপনি একজন শব্দযোদ্ধা । কারণ আপনার আগ্রহ এবং কলমাস্ত্রয়ের সুবাদে এইসব জানা অজানা বীরত্বগাঁথা ইতিহাস আমরা জানতে পারছি । ওরা যুদ্ধ করেছে রণাঙ্গনে আর স্বরণের দলিল তৈরিতে যুদ্ধে নেমেছিল হাজারো শব্দযোদ্ধার মন । তাই যুগ যুগ ধরে বীরত্বগাঁথা যুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে অমলিন । এবং যুগ যুগ ধরে গেঁথে দিচ্ছে না দেখা প্রজন্মের হৃদয়ে ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
জুন বলেছেন: শব্দযোদ্ধা
অনেক অনেক ধন্যবাদ ককাশে এমন একটি অভিধায় ভুষিত করার জন্য।
চেষ্টা করছি সত্য তুলে ধরার জন্য । আমি এর আগেও এমন একটি পোষ্ট লিখেছিলাম সম্পুর্ন সত্য ঘটনার উপর । সময় থাকলে দেখতে পারেন ।
http://www.somewhereinblog.net/blog/June/29534605
মন্তব্যের জন্য আর সাথে থেকে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
পোষ্ট ভালোলাগলো।
বিমানটা সি-১১৯জি অথবা টুপোলেভ হবে। ভারতের কাছে তখন সি-১৩০ ছিলনা।
আবার ৩০৩ রাইফেলের ওজন সাড়ে চার কেজি, সাড়ে নয় কেজি নয়। এই তথ্যগুলো মনে হয় ভুল আছে।
ট্রেনিং এর বর্ননা ভালো লিখেছেন।
++
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
জুন বলেছেন: শতদ্রু ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আসলে রাইফেলের ওজনটি পাউন্ডে লিখতে গিয়ে ভুলে কেজি হয়ে গেছে । আর প্লেনটি সেই সময় বিস্মিত বালকের কাছে হয়তো বিশালদেহী সি ১৩০ এর মতই মনে হয়েছিল । এত বছর পর স্বৃতি থেকে লেখা একটু আধটু ভুল ক্ষমার চোখেই দেখবেন আর শুধরে দেবেন সেই আশায় রইলাম পরবর্তী পর্বেও ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল লাগল, চলুক...
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২০
জুন বলেছেন: ভাল তো লাগারই কথা জহির । ভালোলাগার জন্য অনেক ভালোলাগা ।
সাথে থাকবে আশাকরি সামনেও ।
১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
সুমন কর বলেছেন: আজ পড়ছি। ভাল লাগছে।
সেদিনের সেই ভুল জায়গাটি ছিল বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিখ্যাত সেই আম্রকানন ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন যেখানে ডুবেছিল বাংলার স্বাধীনতা। এই আম্রকাননের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে বিশাক্ত সাপে পরিপুর্ন প্রচন্ড খরস্রোতা ভাগিরথী নদ। সেই ভয়ংকর নদীতেই আমাদের বাংলাদেশি ফ্রগম্যানদের প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে।পরবর্তীতে এই সব অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ফ্রগম্যানরাই নারায়নগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করা পাকিস্তানি সামরিক জাহাজ মাইন দিয়ে ডুবিয়ে দিয়েছিল।
১৩নং মন্তব্যটি একটু দেখে নিবেন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন কর
১৩ নং মন্তব্য দেখেছি আর উত্তরও দিয়েছি ।
১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখা দুটো অাগেই পড়েছিলাম (চাঁদগাজী সাহেবের ওখানে লিঙ্ক দেখে) । এর মাঝে মেজর হায়দার ও তাঁর বিয়োগান্ত বিদায় বইটাও পড়ার সুযোগ হয়েছে । খালেদ মেজর হায়দারকে ২ নাম্বার সেক্টরের গেরিলা সংগঠিত করার দায়িত্য দিয়েছিলেন ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
জুন বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সাধু। এটা পাচ পর্বে লেখা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এক সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধার নিজ বিবরনে লেখা মুক্তিযুদ্ধের এক টুকরো ইতিহাস।
বাকি পর্বগুলো পড়ার অনুরোধ রইলো রূপক বিধৌত সাধু।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: বারবার বিষাক্ত সাপের কথা বলে ভয় পাইয়ে দিয়েছেন। ৭সপ্তাহের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে যা জানলাম, তাতে বুঝতে পারলাম কোন প্রশিক্ষণই আরামদায়ক নয়। তবে বাঙালিদের অন্তরে ছিল স্বদেশপ্রেম। এজন্য সবকিছুকে তার এডভেঞ্চার হিসেবে নিয়েছে।
ফ্রগম্যান ও কমান্ডোদের কিছু ঘটনার উল্লেখ পেয়েছিলাম সুনীলবাবুর পূর্ব-পশ্চিমে। মনে পড়ে গেলো।
চলতে থাকুক.... আছি সাথে!