নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অত্যাশ্চর্য্য এক নগরী বাগান
পরদিন ঠিক সকাল আটটায় আমাদের গাইড আসলো, নাম তার সারাহ। নামটি সেদেশের জন্য ব্যাতিক্রমী বটে। আমরা তৈরী হয়ে রিসেপশনেই বসে আছি ।পরিচিতির পালা শেষ করে রওনা হোলাম পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য পুরনো বাগানের পথে। ট্যুর কোম্পানীর গাড়ীতে চলেছি বাগান নগরীসহ সেখানকার শতাব্দী প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারগুলো দেখবো বলে।
প্রথমেই সারাহ আমাদের নিয়ে গেল একটা কাঁচা বাজারে। কি ব্যাপার? উদ্দেশ্য আমাদের স্থানীয় বাজারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। হয়তো পাশ্চাত্যের পর্যটকদের কাছে এটা আকর্ষনীয় বা নতুন কিছু, কিন্ত এতো আমাদের চির পরিচিত কাচা বাজার। সেই সব্জী, মাছ, চাল -ডাল সাজিয়ে বসা বিক্রেতা। তবে সেখানকার ঐতিহ্য অনুযায়ী বিক্রেতারা বেশিরভাগই নারী। তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসলাম, অবশ্য আমার একটা স্লিপারের দরকার ছিল সেটা কেনা হলো এই যা ।
স্থানীয় কাঁচা বাজার
গাইড জানালো চল্লিশ স্কয়ার মাইল জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা বাগান নগরীটি পুরানো আর নতুন এই দু ভাগে ভাগ করা। পুরনো বাগান যা সরকারীভাবে সম্পুর্ন সংরক্ষিত, এখানে কোন ঘর বাড়ী তোলা নিষেধ। নতুন বাগানেই সব লোকজনের বসতি। তারপর ও সেখানে জনসংখ্যা অত্যন্ত কম। রাস্তাঘাটে কোন মানুষজন দেখেছি কিনা মনে করতে পারছি না।
বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বাবলা ঝাড়ের মাঝে ইতি উতি সুচালো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য দৃষ্টি নন্দন লাল টেরকোটার প্রাচীন মঠ যার বেশিরভাগই পরিত্যাক্ত। কয়েকবার গাড়ী থেকে নেমে ছবি তুললাম, ঘুরে ঘুরে দেখলাম। পেশায় শিক্ষিকা সারাহ হাসি মুখে শুরু করলো বাগানের ইতিহাস। আসুন আমার মুখ থেকে আপনারাও শুনে নিন সেই অভুতপুর্ব প্রাচীন এক নগরীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
পথের দুপাশ জুড়ে এমন মঠের দেখা মিলবে
বাগান শহরে জনপদের সুচনা যদিও ২য় শতকে হয়েছিল তবে এর প্রকৃত শুরুটা হয়েছিল নবম শতকে। যখন রাজা মারমান্স ওরফে বারমান্স বর্তমান চীনের অংশ নানঝাও রাজত্বের শেষ পর্যায়ে সেখান থেকে এসে মধ্য বার্মার ইরাবতি নদীর এই ছোট্ট উপত্যকায় আস্তানা গাড়ে। রাজা বারমানস ছোট ছোট রাজ্যগুলোকে একত্র করে ১০ শতকের মধেই পাগান রাজত্বকে সুসংহত করে ফেলে। আর এই পাগান বা বাগান ছিল এর রাজধানী যা তেরশ শতাব্দী পর্যন্ত অক্ষুন্ন ছিল।
একাকী নিঃসংগ
আর এই সময়েই ১১-১৩ শতকের মাঝে শুধু বাগান শহরেই ছোট বড় মিলে প্রায় ১০,০০০ মন্দির বানানো হয়েছিল। বর্তমান মায়ানমারের ভাষা, সংস্কৃতির এবং ধর্মের গোড়াপত্তন এই বাগানেই হয়েছিল বলে গন্য করা হয়। সারাহ জানালো সে সময় অনেক ধনী ব্যাক্তিরাও এখানে প্রচুর মঠ বানিয়েছিল কারন তারা মনে করতো এর ফলে তাদের স্বর্গবাস সুনিশ্চিত।
কি অসাধারন বাগানের রূপ
১০৪৪ থেকে ১২৮৭ খৃঃ সময় বাগান ছিল পাগান অর্থাৎ মায়ানমারের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই ২৫০ বছরে মাত্র ৪০ বর্গ মাইল এলাকার মাঝে মোট ১০০০ স্তুপা, ১০০০০ বৌদ্ধ মন্দির এবং ৩০০০ মনেষ্ট্রি বাগান উপত্যকায় গড়ে তুলে। বাগান হয়ে উঠলো বুদ্ধ ধর্মের এক সমৃদ্ধ পীঠস্থান। তবে এখানে কিন্ত অপরাপর ধর্ম এবং ভিন্নমতের সংমিশ্রন এবং সদ্ভাবের চিনহ লক্ষ্য করা যায়। বাগান পালি ভাষা ছাড়াও বিভিন্ন ভাষা চর্চার এক উৎকৃষ্টতম কেন্দ্র হয়ে উঠে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে পন্ডিতরা এখানে এসে বৌদ্ধ ধর্মের চর্চা করত।
ভুমিকম্পে বহু মঠ এমন ভাবে ভেঙ্গে আছে
১২৮৭ সালে মোঙ্গলরা বাগান নগরীতে আধিপত্য বিস্তার শুরু করলে এই রাজ্যের স্বর্ন যুগের অবসান হতে শুরু করে। ২ লক্ষ লোকের বাস থেকে বাগান ধীরে ধীরে ছোট্ট একটি গ্রামে পরিনত হয়। এবং ১২৯৭ সালে বাগান পরিপুর্নভাবে রাজধানী হিসেবে এর রাজনৈতিক পরিচয় হারিয়ে ফেলে।
অপরূপা বাগান
বাগান শহরটি এ্কটি সক্রিয় ভুমিকম্প প্রবন অঞ্চলে অবস্থিত। গত ১০০ বছরে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৪০০টি ভুমিকম্প এখানে আঘাত হানে। অনেক মন্দিরের এখন কোন অস্তিত্ব নাই। সেই দশ হাজার মন্দির মঠ আর স্তুপার মাঝে এখন কারো কারো মতে মাত্র ২২২৯টি কারো মতে ৩০০০ হাজার মন্দির/মঠ টিকে আছে।
দূর থেকে গাছের ফাকে আনন্দ মঠের চুড়ো
এগুলো মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো টিলোমিনোলো, আনন্দপায়া, ধামাইয়ানগি, থাটবিনিয়ু, সোয়াজিগন ইত্যাদি। এসব হাজার হাজার মঠের কোনটি পুন্যার্থীর পদভারে মুখরিত আর কোনটি পরিত্যাক্ত। এখানকার প্রতিটি মঠের নির্মান শৈলীতে স্থানীয় নকশার বৈশিষ্ট ছাড়াও ভারতীয় এবং ক্যাম্বোডিয়ার বিখ্যাত খেমার স্থাপত্যকলার সুপষ্ট ছাপ লক্ষ্য করা যায়।
মোহনীয় বাগানের রূপ
যাই হোক ১২৯৭ পরবর্তী ৬০০ বছর অনাদরে অবহে্লায় বাগান ছোট একটি জনপদ এবং শুধুমাত্র একটি ধর্মীয়স্থান হিসেবেই শুধু পরিচিতি লাভ করে। মাঝে মাঝে বড় বড়ো মন্দিরগুলোর কিছু সংস্কার হয়েছিল তবে তা মুল কাজের সাথে মোটেও মানানসই ছিলনা। ১৯৯০ সালে বার্মার সামরিক সরকার পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য এর সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়। যদিও অনেক মন্দির তার আদিরূপেই এখন আছে যেগুলো খুব সহজেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে অন্তর্ভুক্ত হবার দাবী রাখে, কিন্ত অত্যন্ত সামান্য কিছু সংস্কার কাজ করার জন্য ইউনেস্কো বাগান শহরটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা দেয় নি।
পথের পাশে
কিন্ত তাতে বাগানের কি যায় আসে ? বাগান তার ব্যতিক্রমী এবং অতুলনীয় সৌন্দর্য্য দিয়ে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটকদের টেনে নিয়ে যায় সেখানে। এই নগরী এখন পশ্চিমা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় একটি পর্যটন স্পট। ২০১৫ সালে প্রায় ৩ মিলিয়ন পর্যটক বাগান ভ্রমন করবে বলে সেদেশের পর্যটন মন্ত্রনালয় আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন। তথ্যমতে ইতিমধ্যে প্রায় এক মিলিয়ন পর্যটক মায়ানমার তথা বাগান ভ্রমনে এসেছে। তুলনামুলক ভাবে এত ঐশ্বর্য্য থাকা সত্বেও গোটা বাংলাদেশ ভ্রমনে সারা বছরে ১ মিলিয়ন পর্যটক ও আসে না।
জায়গায় জায়গায় ভেঙ্গে পড়া সুউচ্চ দেয়ালটি ঘিরে রেখেছে পুরোনো বাগান নগরীর একটি অংশকে
চলতে চলতে প্রথমেই হাজির হোলাম দেয়ালের বাইরে অবস্থিত বিশাল প্রাঙ্গনের মাঝখান জুড়ে নির্মিত অতিকায় এক ঘন্টাকৃতির স্বর্নালী রঙের প্যাগোডায়, নাম সোয়াজিগন। দেয়ালের ব্যাপারটা এখানে আগে একটু উল্লেখ করে নেই । তা হলো এই পুরনো বাগানের একটি অংশ সেই প্রাচীন যুগ থেকেই ১২টি তোরণ উচু লাল ইটের দেয়াল দিয়ে ঘিরে রাখা, আর সেই দেয়াল বেষ্টিত বাগানের অংশে রয়েছে অনেকগুলো বিখ্যাত মঠ আর বৌদ্ধ বিহার। তোরনের বাইরের দেয়ালের সাথে লাগানো দুদিকে দুটো ছোট্ট মন্দিরে রয়েছে, এই মন্দির দুটিতে অধিষ্ঠিত রয়েছে বাগান নগরীর রক্ষাকর্তা দুজন দেব-দেবী, সম্পর্কে তারা ভাই- বোন। ।
দেয়ালঘেরা বাগানের অংশে ঢোকার ১২টি তোরণের একটি
এই দেয়াল ঘেরা অংশে ঢুকতে হলে মাথাপিছু ২০ ডলার ফি দিতে হবে যা এয়ারপোর্টেই কেটে রেখে আপনাকে দেবে বাগান নগরীতে প্রবেশাধিকারের চিনহ স্বরুপ একটি স্টিকার। আমরা যেহেতু বাসে এসেছি তাই ফি টা গেটে দিতে হলো। দেখলাম ওরা খুব অল্পদিনেই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পর্যটনকে একটি শিল্পে পরিনত করে তুলেছে ।
তোরণের দুদিকে ছোট মন্দিরের ভেতর দুটো দেব মুর্তি, নগরীর রক্ষাকর্তা যাকে বলে
যাই হোক এখন আমরা এসেছি সোয়াজিগন স্তুপায় যাকে বলা হয়ে থাকে ইয়াঙ্গন তথা মায়ানমারের বিখ্যাত সডেগন প্যাগোডার পুর্বসুরী। চারিদিক ঘুরে ঘুরে দেখতে অনেক সময় লাগলো। এখানে বুদ্ধ মুর্তি ছাড়াও বিভিন্ন স্থানীয় দেব দেবীর মুর্তি রয়েছে যা অন্য কোন মঠে চোখে পড়ে নি। যেমন বাগান নগর রক্ষকের মুর্তির প্রতিকৃতি ছাড়াও আরো অনেক অদ্ভুত রহস্যময় মুর্তি।
স্বর্নালী সোয়াজিগন স্তুপা
গাইড জানালো এই স্তুপার এক দিকে যে বিশাল ঢোলটি রয়েছে তা বাজালে অপর দিক থেকে শোনা যায় না। এর প্রাঙ্গনে Chayar বলে এক গাছ আছে যাতে সারা বছর চলে ক্লান্তিবিহীন ফুল ফোটানোর খেলা । স্থানীয়দের বিশ্বাস এই স্তুপার নীচে গৌতম বুদ্ধের পবিত্র দাঁত এবং হাড় রয়েছে। এ কারনে সোয়াজিগন বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত সন্মানিত এক স্তুপা।
টিলোমিনলো মঠ
এর পর আসলাম Htilominlo মঠে ।এটাও দেয়াল ঘেরা বাগান নগরীর বাইরে অবস্থিত। লাল ইটের তৈরী নান্দনিক ডিজাইনের এক সুউচ্চ তোরণ পার হয়ে আমরা ইট বিছানো পথ বেয়ে হেটে যাচ্ছি । দু দিকে সারি সারি স্যুভেনীরের দোকান। সেই সাথে রয়েছে বাগানের সম্পুর্ন নিজস্ব ঐতিহ্যময় চিত্রশিল্প স্যান্ড স্টোন পেইন্টিং এর দোকান।স্থানীয় শিল্পীরা মাটিতে উপুড় হয়ে নিবিষ্ট মনে একে চলেছে বালু লাগানো কাপড়ের উপর বাগান নগরী সম্পৃক্ত ঘটনাবলীর চিত্র।
এখানে স্যান্ড স্টোন পেইন্টিং এর একটু বিবরন না দিলেই নয় । এই চিত্র আঁকতে গেলে প্রথমে এক টুকরো সাদা কাপড়ে আঠা লাগিয়ে ইরাবতী নদীর বালি মাখানো হয়। এই বালি আবার দু রঙের। ইরাবতী নদীর বালি সাদা আর তার শাখাগুলোর বালি ধুসর রঙের। এই বালি শুকিয়ে গেলে তার পর আবার আঠা লাগিয়ে আবার বালি মাখানো। এমন ভাবে তিন চার বার করার পর তার উপর আঁকা হয় অপরূপ সব চিত্রাবলী যা আপনাকে কিনতে বাধ্য করবে। যা আমাকেও করেছিল ।
সারাহ আমাকে দেখাচ্ছে স্যান্ড পেইন্টিং এর নমুনা
অবশেষে আমরা এগিয়ে গেলাম মূল মঠের দিকে। ১২১১ সনে রাজা হিটিলোমিনলো ৪৬ মিটার উচু তিন স্তরের এই মঠটি নির্মান করেছিলেন।অন্য দেশের কথা জানি না তবে মায়ানমারের প্রতিটি মঠেরই চারিদিকে খিলান আকৃতির খোলা দরজা। দরজার ভেতরে বর্গাকৃতি ঘরে চারটি বিশাল আকৃতির বুদ্ধ মুর্তি চারিদিকে মুখ করে আছে । তাদের মতে এর অর্থ হলো পৃথিবীর চারিটি দিক আর সেই চারিদিকেই বুদ্ধের কল্যানকর সুদৃষ্টি ছড়িয়ে আছে । সারাহ জানালো ১৯৭৫ এর ভুমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এই অনিন্দ সুন্দর মঠটি পরে ঠিক করা হয়েছিল।
টিলোমিনলো মঠের খিলানাকৃতি দরজা
দোকানগুলোকে ছাড়িয়ে আসার পর মঠ ঘুরে দেখবেন কিছুটা সময় নিয়ে । তারপর নির্জন নিরিবিলি সেই মঠের টেরাকোটা ইটের পৈঠায় বসে যখন আপনার ক্লান্ত পা দুটোকে ছড়িয়ে দেবেন, তখন পাশেই সেই শত বছরের পুরনো নিমের শাখায় ঝিরি ঝিরি শব্দ তুলে বয়ে যাওয়া বাতাসের স্পর্শে আমি নিশ্চিত আপনি হারিয়ে যাবেন শতাব্দী প্রাচীন এক জগতে ।
সুবিখ্যাত আনন্দ পায়া
সারাহর ডাকে উঠে আসলাম ।এর পর আমাদের দেখার তালিকায় আসলো বার্মার প্রাচীন মঠের মধ্যে সবচেয়ে সংরক্ষিত ও অবিকৃত মঠ আনন্দপায়া। এর আসল নাম সংস্কৃতভাষায় অনন্ত পিনিয়া অর্থাৎ সীমাহীন জ্ঞ্যান। ১০৯১ সনে তৈরী নির্মিত এই মঠ বাগানের চারটি মঠের মাঝে অন্যতম প্রধান আকর্ষন। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এই মঠের উপরে রয়েছে নানা রকম রত্ন খচিত স্বর্নালী ছাতা যা মায়ানমারের সব মঠেই দেখা যায়।
আনন্দ পায়া , পায়া অর্থ মঠ
এই মঠের নির্মান শৈলিতে রয়েছে মায়ানমার আর ভারতীয় স্থাপত্যকলার সুস্পষ্ট ছাপ। মঠের ভেতরে ঢুকে করিডোর দিয়ে হেটে গেলে দেখতে পাবেন চারিদিকে চারটি স্বর্নালী পাতে মোড়া বিশাল সাইজের বুদ্ধের মুর্তি যা প্রথাগতভাবেই চারিদিকে মুখ করে আছে।
এমনি ভাবে চারিদিকে মুখ করে আছে চারটি গৌতম বুদ্ধের মুর্তি
চারিদিকে ঘুরে আসা করিডোরের দেয়াল জুড়ে রয়েছে গৌতম বুদ্ধের জীবনের বিভিন্ন সময়ের বিশেষ করে প্রথম দিকের ঘটনাবলী নিয়ে কিছু ফ্রেস্কো, আর হাতে আঁকা ছবি । ছাদে আকা পেইন্টিং এর কিছু কিছু অবিকৃত রয়েছে আর কিছু বা মুছে গেছে কালের করাল গ্রাসে।
আনন্দ মঠের করিডোরের ভল্ট আকৃতির ছাদে আঁকা চিত্র যা দেখে আপনার ভ্যাটিকান এর সিস্টিন চ্যাপেলের কথা
আনন্দ মঠের ভেতরের দেয়ালে বুদ্ধের জীবন নিয়ে তৈরী ফ্রেসকো
দেয়ালের গায়ে আঁকা রঙ্গীন ময়ুর
প্রাঙ্গনেও রয়েছে দেখার মত অনেক কিছু । তবে সংস্কার কাজের জন্য মনেষ্ট্রিতে ঢোকা সম্ভব হয়নি।আস্তে আস্তে বের হয়ে আসলাম আনন্দ মঠ থেকে।
এর পরের গন্তব্য আরেকটি উল্লেখযোগ্য মঠ নাম তার ধাম্মাইয়াঙ্গী।
লাল ইটের তৈরী ধাম্মাইয়াঙ্গী মঠের দৃষ্টিনন্দন তোরন
ধাম্মাইয়াঙ্গী মঠটি অনেকটা মিশরের পিরামিডের আদলে তৈরী, আকারেও বিশাল, বাগানের যে কোন উচু জায়গা থেকেই এটি আপনার নজর কাড়তে বাধ্য। সারাহ জানালো স্থানীয়রা এই মঠকে ভুতুড়ে বলে মনে করে। কারন এর নির্মাতা রাজা নারাথু তার বাবা, ভাই এমনকি রানীকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করেছিল। অনেকে মনে করে এর বন্ধ দেয়ালের পেছনে অনেক হীরে জহরত লুকিয়ে আছে। এসব ছাড়াও এই মঠে রয়েছে বুদ্ধের দ্বৈত মুর্তি যা একটি ব্যাতিক্রম ।
বিশাল মঠটি খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার পর ফিরে এলাম সেই তোরণের কাছে যেখানে এক মহিলা কাচা আম ফালি ফালি করে কেটে পরিস্কার পলিথিনের প্যাকেট করে বিক্রি করছিল, সাথে লবন আর শুকনা মরিচের গুড়োর ছোট ছোট প্যাকেট। তাই একটা কিনলাম ২০০ চেস দিয়ে । প্রচন্ড সেই গরমের মাঝে সেই কাচামিঠা আমের স্বাদ অপুর্ব লাগছিল।
সুবিশাল ধাম্মাইয়াঙ্গী মঠ
মায়ানমারের বিভিন্ন মঠের দেয়ালে ছোট সাইনবোর্ডে লেখা আছে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য্য বজায় রাখার জন্য পোশাকের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা। যেমন নারী পুরুষ নির্বিশেষে হাফ প্যন্ট বা হাতা কাটা গেঞ্জী পরা সম্পুর্ন নিষেধ। পর্যটকদের মধ্যে বেশিরভাগই তা মেনে চলার চেষ্টা করছে বিখ্যাত বার্মিজ লুঙ্গির মাধ্যামে যাকে বার্মিজরা লঞ্জি বলে উল্লেখ করছিল।
এরপর থটবিন্নিয়ু, গদপালিন আর সুলামানি মঠ দেখতে দেখতে দুপুর গড়িয়ে গেল। সাথে সাথে পেটের মধ্যে ছুচোর কীর্তন । দুপুরও হয়ে আসলো তাই খেতে বসলাম নির্ধারিত রেস্টুরেন্টে।
সাদামাটা রেস্তোরায় দুপুরের খাবারের অপেক্ষায়
দেয়াল ঘেরা বাগান নগরীর একটি ছিমছাম রেস্তোরায় আমাদের দুপুরের খাবারের ব্যাবস্থা করা হয়েছিল। সারাহ বিশেষ করে আমাদের ধর্ম আর খাবার ব্যাপারে আগেই তাদের সতর্ক করে দিয়েছিল। ভালো করে প্লেট বাসন ধুয়ে দেয়া ছাড়াও কোন নিষিদ্ধ খাবার যেন তালিকায় না থাকে তার নির্দেশ ছিল। তিন বছরের এক দুষ্ট ছেলের মা সারাহর মুখে হাসি যেন লেগেই ছিল।
ল্যাকারের তৈরী জিনিস পত্র
খাবার পর হোটেলে ফেরার পথে সে আমাদের নিয়ে গেল এক ল্যাকার কারখানায়, যেখানে ঐ এলাকার বিখ্যাত ল্যাকারের (এক প্রকার গাছের আঠালো কষ)জিনিসপত্রগুলো তৈরী হচ্ছে। বিশেষভাবে কারখানার হাসিখুসি মালিক আমাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখালো দক্ষ শিল্পীদের হাতের সেই সব পরিশ্রমের ফসল। কিনে আনলাম কিছু ছোট খাটো ঘর সাজানোর সামগ্রী স্যুভেনীর হিসেবে।
রুমে ফেরা মাত্র আজও আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামলো । ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত মুষল ধারে সেই বৃষ্টিতো নয় যেন আশীর্বাদ। প্রচন্ড সেই তাপদাহের মাঝে ঠান্ডা ঠান্ডা সেই বৃষ্টি ভেজা বাতাসের ছোয়া কি অপুর্ব তার অনুভূতি তা ভাষায় প্রকাশের নয়।
গাইড সারাহ ও আমাদের চালক সহ বাহন
ঠিক বিকেল সাড়ে চারটায় গাইড এসে আমাদের নিয়ে রওনা হলো পুরনো বাগানে। পুরো বাগান শহরটি উপর থেকে পরিস্কারভাবে দেখার জন্য আমরা প্রচন্ড আগ্রহী ছিলাম। আমি শুনেছি আভ্যন্তরীন ফ্লাইটগুলো বাগানের উপর দিয়ে যাতায়তের সময় ঘোষনা দিয়ে প্লেন নীচে নামিয়ে আনে, এতই তার সৌন্দর্য্য। আমরা কি ভাবে দেখবো ?
জানি বৃটিশ কোম্পানীর তৈরী হট বেলুনেও চড়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। তার জন্য গুনতে হবে মাথাপিছু ২৮০ থেকে ৩২০ ডলার। শুন্যের মাঝে বেলুনের দুলুনির কথা মনে পড়ার সাথে সাথেই আমার নার্ভাস লাগতে লাগলো। আমার সহ -পর্যটক যখন সে ব্যাপারে খোজ খবর নিচ্ছিল গাইড জানালো এখন অফ সিজন তাই বেলুন উড়া বন্ধ। সহযাত্রী নিদারুন মনমরা হলো কিন্ত আমি খুব খুশী হোলাম।
নাম না জানা এক মঠ
বেলুন বাদ, এখন কি করে উপর থেকে পুরো নগরীটি দেখা যায় সে ব্যাপারে গাইডকে জিজ্ঞেস করলুম। গাইডের মতে বাগান নগরীর বিখ্যাত সুর্যোদয় আর সুর্যাস্ত দেখার জন্য অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে এক ওয়াচ টাওয়ার কিন্ত সেটা নগরীর এক প্রান্তে থাকায় পুরো শহরের অসাধারন সেই রূপ আপনি দেখতে পাবেন না। যা আমরাও পরে খেয়াল করেছি ।
Shwesandaw বিহারের সিড়ি
এখন কি হবে ? সারাহ অভয় জানিয়ে বল্লো এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হলো এই নগরীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মঠ Shwesandaw Pagoda। বলা হয়ে থাকে প্রথম দিকের এই মঠটি মায়ানমারের জাতির পিতা রাজা অনর্থ ১০৫৭ সালে নির্মান করেছিলেন । সারাহ আরো জানালো দেয়ালের বাইরে অবস্থিত এই মঠটি নিয়ে মোট চারটি মঠ চারিদিক থেকে এই নগর ও নগরবাসীকে সব ধরনের জাগতিক সমস্যা থেকে সুরক্ষিত করে রাখে ।
কিন্ত এই মঠের মাথায় উঠে সুর্যাস্ত দেখতে হলে আপনাকে পাঁচ ধাপে তৈরী চওড়া চওড়া খাড়া সিড়ি বেয়ে সেই উপরের সরু চাতালে উঠতে হবে যা বয়স্ক আর শিশুদের জন্য নিরাপদ নয় বলে গাইড জানালো। আমরা প্রথম ক্যাটাগরীতে পরায় আর সাহস করিনি। সুর্যোদয় আর সুর্যাস্ত এ দুটি সময়ে সেখানে থাকে পর্যটকদের প্রচন্ড ভীড়। এ পর্যন্ত বাগানের যত ছবি তার বেশিরভাগই এখান থেকে তোলা বলে শুনেছি।
এটাই সেই মঠ ধাম্মা ইয়াজাকি যেখান থেকে আমরা সুর্যাস্ত দেখেছিলাম
শুনে মনটাই খারাপ হয়ে গেল । এত দূর আসলাম আর বাগানের আসল সৌন্দর্য্যটাই দেখা বাকি থেকে যাবে ! সারাহ বল্লো 'চলো আগে চা খাই তারপর দেখা যাবে'। এই বলে গাড়ী করে নিয়ে গেল অল্প কিছু সিড়ি বেয়ে উঠা লাল ইটের অসাধারন কারুকার্য্যময় এক মঠের উপর নাম তার ধাম্মা ইয়াজাকি, তবে সারাহ একে টি টেম্পল বলে উল্লেখ করছিল। সিড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে সারাহ জানালো এই মঠেও নাকি প্রচুর ট্যুরিষ্ট আসে বাগানের অপরূপ সুর্যোদয় আর সুর্যাস্ত দেখার জন্য। তবে অফ সিজন থাকায় গোটা সাতেক ইউরোপিয় পর্যটক ছাড়া আর কেউ ছিল না।
মঠের এই ছোট ঘরগুলোতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা একসময় ধ্যান করতো
মঠের উপর চত্বরে যেতেই দেখি দুজন ছবি বিক্রেতা বিখ্যাত স্যান্ডস্টোন পেইন্টিং এর পশরা সাজিয়ে বসেছে। ছবির ব্যাপারে আমার আগ্রহ দেখে ওরা বার বার হাসিমুখে ইশারায় জানতে চাইলো আমি কিনবো কি না ? ভাষার কারনে তাদের বুঝাতে পারিনি আমি যে সকালেই টিলোমিনলো মঠ থেকে কিনে ফেলেছি চমৎকার এক স্যান্ড পেইন্টিং।
স্যান্ড পেইনটিং
আমাদের জন্য ট্যুর কোম্পানীর পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল চা আর সাথে বিভিন্ন রকম টা ও। সারাহ কাপে চা ঢেলে আমাকে ডাকছে কিন্ত আমার মতন চা পাগল সেই ডাক উপেক্ষা করে অবাক নয়নে দেখছে বিশ্বের কাছে লুকিয়ে থাকা এক বিস্ময়কর প্রাচীন জনপদ নাম তার বাগান ।
অপরূপ সেই বিকেল
সত্যি বলতে কি চারিদিকে তাকিয়ে আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম, ঐ যে দূর দূর দিগন্ত জুড়ে বিস্তৃত সবুজ আর সবুজ এর মাঝে লাল টেরাকোটার অসংখ্য মন্দির, ছোটবেলা থেকেই যে নদী তার নামটির জন্যই আমার প্রিয় তালিকায় রয়েছে সেই ইরাবতী নদীর রেখা, আর সেই অবর্ননীয়, অপরূপ সুর্যাস্তের যে দৃশ্যটুকু দেখলাম তা আমার মনের ক্যানভাসে সারা জীবনের জন্য যেন এক ছবি একে রেখে গেল , যা কখনোই ভোলার নয়। সেই অপুর্ব দৃশ্যের বর্ননা দেয়ার মত ভাষা আমার জানা নেই।
সুর্য্য অস্ত যাবার জন্য তৈরী হচ্ছে
আস্তে আস্তে সুর্য্য ডুব দিচ্ছে পশ্চিম দিগন্তে । কেমন বিষন্ন হয়ে উঠলো মন সেই হাজার বছরের প্রাচীন নগরীর এক ভাঙ্গা মন্দিরের চাতালে দাঁড়িয়ে। ছবি বিক্রেতারা আস্তে আস্তে তাদের পসরা গুটিয়ে তুলছে, আবার আসবে আগামীকাল হয়তো। আমরা অবশ্য তখন থাকবো না। চারিদিকে আধার ঘনিয়ে আসছে ধীর লয়ে।
সাঁঝের বাগান
আমাদের জন্য চা সাজিয়ে বসে আছে সারাহ । আজন্ম বাগানে বেড়ে ঊঠা সারাহর হয়তো এ দৃশ্যে কোন প্রতিক্রিয়া নেই, কিন্ত আমাদের দৃষ্টি তখন সুদুরের পানে । সেই অনির্বচনীয় দৃশ্যের সবটুকু মাধুরী যেন চুমুকে চুমুকে পান করে চলেছি। আস্তে আস্তে ঝাপসা হয়ে আসলো চারিদিক । বসলাম সারাহর বাড়িয়ে দেয়া চায়ের কাপ হাতে নিয়ে।
চা
চা খেতে খেতে সারাহ জানালো ‘তোমাদের নিয়ে বাগানের ভেতরেই মেঠো পথ দিয়ে নাম না জানা ছোট ছোট কিছু মঠ দেখানোর কথা ছিল, কিন্ত বৃষ্টি হয়েছে। এখন মাটির নীচ আর ভেঙ্গে পড়া পরিত্যাক্ত মঠের ইটের ফাঁক ফোকর থেকে বিষাক্ত সব সাপ বেরিয়ে আসার সময়। আমি সাপকে অনেক ভয় পাই জুন। আমার বাবা সাপের কামড়ে মারা গিয়েছে। আর মায়ানমারে অন্যান্য অসুখ বিসুখের চেয়ে সাপের কামড়েই বেশি মানুষ মারা যায় আর তার বেশিরভাগই হলো এই বাগানে’।
সারাহর কথা শুনে আমিও আতংকিত হোলাম, আমিও যে সাপকে ভীষন ভয় পাই আর সাপের বসবাসের জন্য বাগান একটি আদর্শ স্থানই বটে।
গত রাতে খেয়ে দেয়ে এই গাছের নীচে বসেছিলাম
মনে পড়লো গত রাত্রির কথা। খেয়ে দেয়ে ঘরের সামনে গাছের নীচে একটি পাকা ইটের নীচু একটি দেয়ালে পা ঝুলিয়ে বসে আছি। হটাৎ মাথার উপর তক্ষক সাপ (গিরগিটির মত দেখতে) ডেকে উঠলো। আমি চমকে সভয়ে উপরের দিকে তাকালাম। পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিল রিসোর্টের এক কিশোর কর্মচারী, আমাকে ভয় পেতে দেখে হাসি মুখে বল্লো,
‘ম্যাম ইটসে বাফ’(বার্ড)।
আমি বললাম “নো,ইটস নট আ বাফ, আই থিংক ইটস আ স্নেক”।
সে অত্যন্ত জোরের সাথে মাথা ঝাকিয়ে চারিদিকে হাত ছড়িয়ে বলে উঠলো,
‘ওহ নো, নো ম্যাম, হেয়ার নো স্ন্যাশ’।
তক্ষককে আমরা ছোটবেলা থেকে সাপই জানতাম । ছেলেটির প্রতিবাদে আর কথা বাড়ালাম না
আজ বিকেলে গাইড সারাহর সাপের ভয়ে সেই আদিম সবুজ বাবলা বনের ভেতর দিয়ে মেঠো পথে হেটে হেটে লাল লাল মঠগুলো কাছ থেকে দেখতে না পারায় দারুন এক আক্ষেপ রয়ে গেল মনে।
মনে পড়লো গত কালকের ছেলেটির কথা ‘হেয়ার নো স্ন্যাশ ম্যাম’।
ধীরে ধীরে রাত নেমে আসছে বাগানে
দুদিন থেকে আমাদের মন ভরলো না একদা পাগান রাজ্যে যা এখন বাগান নামে সারা বিশ্বে পরিচিত। পরদিন সকালে যাত্রা হলো শুরু অন্য কোথাও, অন্য এক প্রদেশে।
শেষ
ছবি সব আমাদের ক্যামেরায় তোলা ।
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৯
জুন বলেছেন: কি ভাবে জানবেন মশিকুর এত দিন তো তারা সবার জন্য দরজা বন্ধ রেখেছিল ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পড়া আর মন্তব্যের জন্য ।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার জুনাপু!! খুব ভালো লাগলো।
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২০
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক উৎসাহ যুগিয়ে যাবার জন্য ।
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
লেখোয়াড়. বলেছেন:
দারুন জুনাপু!! দারুন!!
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৫
জুন বলেছেন: অনেক অনেক দিন পর আপনার মন্তব্য দেখে ভালোলাগলো লেখোয়াড়। অনেক ধন্যবাদ
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
আমি মিন্টু বলেছেন: কে বলেছিল আপু এত কষ্ট করার জন্য । ৪থ ভালো লাগা ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫১
জুন বলেছেন: আমিও তাই ভাবছি আমি মিন্টু
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: অসাধারণ!..চমৎকার বর্ণনা...তবে ইরাবতি নদীর কিছু ছবি যোগ করলে হয়ত আরও ভাল লাগত। অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । ঈরাবতী নদীর ছবি যোগ করেছি আমার এই পোষ্টে, সময় হলে কষ্ট করে দেখে নিতে পারেন
http://www.somewhereinblog.net/blog/June/30036899
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
রাবার বলেছেন: 'হেয়ার নো স্ন্যশ ম্যম '...।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২০
জুন বলেছেন: আপনি ধরতে পেরেছেন তাহলে রাবার ? ওরা কিছু কিছু শব্দ উচ্চারন করতে পারে না, বিশেষ করে 'র' আর 'প' । আমরা বলি মিয়ানমার, ওরা উচ্চারন করে মিয়ামা, সারা জীবন শুনে এসেছি ওদের একটি শহরের নাম পেগু, ওরা উচ্চারন করছে বাগো ।
তবে সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিনা জানা নেই ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য ।
৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: দারুণ
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২১
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বাকপ্রবাস ।
৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
সুমন কর বলেছেন: পরিপূর্ণ ভ্রমণ পোস্ট। নাইস। যদিও একটু বড়। তবে অনেক ভালো লেগেছে।
আমরা'তো আর যেতে পারবো না, তাই আপনার পোস্ট থেকেই মজা বা অানন্দ নিয়ে নিচ্ছি।
ছবিগুলোও সুন্দর এসেছে।
৭+।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১১
জুন বলেছেন: হ্যা সুমন কর একটু বড়ই হয়ে গেছে । তিন পর্বে করলে আবার বেশি ছোট হয়ে যেত । যাক ক্ষমা ঘেন্না করে পড়ে ফেলুন এই যাত্রা । কেন যেতে পারবেন না ? এ কথাটি শুনলে আমার বেড়ানোর আনন্দটা ম্লান হয়ে আসে । আপনারা যাতে পছন্দসই জায়গায় যেতে পারেন তার জন্যই তো আমার লেখা ।
মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন কর ।
৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
কাবিল বলেছেন: চমৎকার, ভাল লাগল।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১২
জুন বলেছেন: চমৎকার, ভাল লাগল।
বোকা মানুষের পোষ্টের মত আবারো আসবেন নাকি কাবিল ?
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
জনাব মাহাবুব বলেছেন: পুরো মিয়ানমারই কি মন্দিরে ঘেরা? কোন জনবসতি কি নেই?
আপনার পোষ্ট পড়ে মনে হলো মিয়ানমারে কোন জনবসতি বা অন্য কোন ধর্মের উপাসনালয় নেই। সবই বৌদ্ধ মন্দিরের দখলে।
মিয়ানমারে যদি কোন জনবসতি থেকে থাকে তাহলে সেখানকার নাগরিকদের জীবনযাত্রার বর্ণনা দিয়ে এই অতৃপ্ত আত্মাকে একটু তৃপ্ত করবেন
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৭
জুন বলেছেন: না পুরো রেঙ্গুন মন্দির অর্থাৎ মঠে ঘেরা নয় , তবে বৌদ্ধধর্মাবল্মবী দেশ হিসেবে অনেক প্যাগোডা রয়েছে। তবে মান্দালে আর ইয়াঙ্গনে আমরা মন্দির আর মসজিদ ও দেখেছি , আজান শুনেছি ।
মিয়ানমারে অবশ্যই জন বসতি রয়েছে তবে আমাদের দেশের মত এত ঘন জন বসতি নেই । আমাদের দেশের চেয়ে চার গুন বড় একটি দেশের মোট জনসংখ্যা চার কোটি মাত্র ।
মসজিদ
মন্দির
গির্জা
২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
জুন বলেছেন: আশাকরি আমার ছবিতে আপনি জনগন আর বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয় এর ছবি দেখতে পাচ্ছেন জনাব মাহবুব। এই উপাসনালয় গুলো কিন্ত একদম ইয়াঙ্গনের কেন্দ্রে অবস্থিত ।
১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর একটা পোস্ট। বাগান শহরে আজ থেকে হাজারো বছর আগেই হাজার দশেক মন্দির ভাবাই যায়না! পুরো লেখাতে চমৎকার সব ছবি আর অপুর্ব বর্ণনা, মনে রাখার মত। ধন্যবাদ। আর ওইসব অপুর্ব স্হাপনাগুলোকে ঠিকমত রক্ষা করে রাখার জন্য মিলিটারী জান্তাকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয়। নেতারা এখনো মন্দিরগুলো দ্খল করে 'বার্মার গনতান্ত্রিক ফ্রন্টে'র অপিস খোলেনি!
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১০
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী দীর্ঘদিন সাথে থেকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন বলে ।
১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো লাগলো মানে অসম্ভব ভালো!!!
বাগানের প্রতি মুগ্ধতা একবাক্যে!!
মুগ্ধতা ইরাবতী নদীর বালি দিয়ে আঁকা ছবিতে!!
মুগ্ধতা আপনার দেখবার এবং দেখাবার গভীরতায়!!
আর কতো মুগ্ধতার কথা বলবো!!!
প্রিয়তেই থাক এই অসাধারণ কাজটি!!
শুভকামনা অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১১
জুন বলেছেন: আমি কৃতজ্ঞ আমার সামান্য পোষ্টটি প্রিয়তে রেখেছেন জেনে দীপংকর চন্দ ।
মন্তব্য আর প্রেরনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৮
প্রামানিক বলেছেন: এত মন্দির এক এলাকায় থাকতে পারে এটা আমার কল্পনার বাইরে ছিল। ছবি এবং বর্ননায় সেই ভুল ভাঙল। অসম্ভব ভাল লাগল এই পোষ্ট। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। সামনের পোষ্টের আশায় রইলাম।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪০
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন প্রামািনক ভাই । বার্মা বহুদিন ধরে তার অপার সৌন্দর্য্য আর সেই সাথে তার ঐতিহ্যকেও লুকিয়ে রেখেছিল লোক চক্ষুর অন্তরালে । আমিও নিজেও দারুন অবাক হয়েছি এসব দেখে শুনে ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৫
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অসাধারণ, অসাধারণ, অস্বাধারণ!!!!!
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪১
জুন বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ অনেক ধন্ন্যবাদ কামরুন নাহার বীথি
১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনার লেখায় বার্মার এক নূতন রূপ দেখলাম।। ঘোলে হলেও দুধের স্বাদতো মেটাতে পারলাম।।
তথ্যমতে ইতিমধ্যে প্রায় এক মিলিয়ন পর্যটক মায়ানমার তথা বাগান ভ্রমনে এসেছে। তুলনামুলক ভাবে এত ঐশ্বর্য্য থাকা সত্বেও গোটা বাংলাদেশ ভ্রমনে সারা বছরে ১ মিলিয়ন পর্যটক ও আসে না। কিন্তু এখানে মনটা ছোট আর ভার হয়ে উঠলো।। মরুভূমির দেশে থকার সুবাদে দেখছি সামান্য একটি গাছ বা একটুকরো সবুজ ঘাসের জন্য কত টাকা এরা খরচ করে।। আর সেখানে প্রকৃতিদত্ত অপরূপ সম্পদ পাওয়ার পরও আমরা শুধু পর্যটনকে শিল্পে পরিনত করার অদক্ষতায় নিজেরই ক্ষতি করে চলছি।।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
জুন বলেছেন: আমিও বার্মার রূপ দেখে অবাক হয়েছি । ভেবেছি বহুদিনের সামরিক শাসনের ঘেরাটোপে থাকা একটি দেশ । কিন্ত এত ঐতিহ্য সেদেশে যা সত্যি বিস্ময়কর ।
অনেক দিন ধরে সাথে আছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সচেতনহ্যাপী
১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:২৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: মনোমুগ্ধকর !!!!
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৫
জুন বলেছেন: সত্যি মনোমুগ্ধকর মৃদুল শ্রাবন । পোষ্টটি দেখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৮
রাতুলবিডি৪ বলেছেন: বর্ণনা অসাধারণ । ছবিগুলোও সুন্দর হয়েছে।
দিনের বেলা আউটডোরের কিছু ছবির এক্সপোজার একটু কমিয়ে দিলে আরো সুন্দর আসত ছবিগুলো ।
আপনি কি 'পয়েন্ট এন্ড শুট' মানে অটো ক্যামেরা ব্যবহার করেন ?
পয়েন্ত এন্ড শুটেও এক্সপোজার একটু কমিয়ে নেওয়ার অপশন থাকে ।
ট্রাভেলে ডিএসএলআর নেওয়া বাড়তি ঝামেলা । আমিও বেশীর ভাগ ছবি পয়েন্ট এন্ড শুটেই তুলি । উজ্জল আলোতেএক্সপোজার একটু কমিয়ে খুব ভাল ফল পেয়েছি । হ্যাপী ট্রেভেলিং , হ্যাপী ফটোগ্রাফী।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০১
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রাতুলবিডি৪ ।
ছবি তোলা বা ক্যামেরার ব্যাপারে আমার কোন ধারনাই নেই, কেমন যেন জটিল মনে হয় । দেখি আর তুলে যাই । এখানে মোবাইল সহ আরো দুটো ক্যামেরা ব্যাবহার করেছি , নাইকন ডিএস এল আর আর আমার হ্যান্ডি ক্যানন ।কিন্ত সব গুলোতেই পয়েন্ট এন্ড শ্যুট । আসলে সময় ও একটা ব্যাপার থাকে ভ্রমনে গেলে ।
শুভেচ্ছা জানবেন
১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
মহান অতন্দ্র বলেছেন: সুন্দর লেখা আর সবচেয়ে সুন্দর ছবিগুলো আপু যেন অনেকটা ঘুরে এলাম।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৯
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মহান অতন্দ্র পোষ্টটি দেখার জন্য ।
১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪০
রিকি বলেছেন: বাগানের দ্বিতীয় পর্বটি প্রথম পর্বের মতই চমকপ্রদ। পোস্টে অনেক অনেক ভালো লাগা রইল আপি
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১০
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া আর দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রিকি । শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ।
২০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দারুন একটা সিরিজ উপহার দিলেন। অনেককিছু জানাও হইলো প্রতিবেশী সম্পর্কে। ++
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১১
জুন বলেছেন: জানবেন কি করে শতদ্রু একটি নদী ! দুয়ার যে বন্ধ ছিল এত দিন ।
যাই হোক সাথে থাকা আর উৎসাহ দিয়ে যাবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
২১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
শরাফত বলেছেন: দুটো পর্বই এক সাথে পড়ে ফেললাম
যেমন সুন্দর বাগান নগরী তেমন সাবলীল তার বর্ননাকারী।
বিনা খরচে মিয়ানমারের এক প্রাচীন ঐতিহ্য দেখিয়ে আনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১২
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দুটি পোষ্ট এক সাথে পড়ার জন্য শরাফত । স্বাগতম আমার ব্লগে ।
২২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওয়াও!!! চমৎকার। এই পর্বে ছবি আর ইতিহাসের মিশেলে দারুণ এক পোস্ট পেলাম। আর আনন্দপায়া দেখে এখনই যেতে মন চাচ্ছে। দুঃখ লাগছে উপর থেকে বার্ড আই ভিউয়ে এই অপরূপ শহর দেখতে না পারার জন্য। কি জটিল একটা ভিউ ছিল, আপনার তোলা ছবিতে আমরাও দেখতে পেতাম। বরবরের মতই মায়ানমার ভ্রমণের কাহিনীগুলো খুব ভাল লেগেছে, ইচ্ছে করছে এখনই বেড়িয়ে আসি। আগে কখনো মায়ানমার ভ্রমণের ইচ্ছে জাগে নাই, কিন্তু আপনার ভ্রমণ কাহিনীগুলো পড়ে খুব ইচ্ছা আছে সময় সুযোগ হলে অবশ্যই মায়ানমার বেড়াতে যাব।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
জুন বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বোকামানুষ । কি করে দেখবেন বেলুন ওড়ানো বন্ধ আর বাতে ধরা পা ওয়ালা দুজন বুড়ো বুড়ীর সেই বিহারের চুড়োয় ঊঠাও অসম্ভব । তাই আমার যৎসামান্য ছবি দেখেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো ছাড়া উপায় নেই।
সুযোগ পেলে ঘুরে আসবেন , আমি কিন্ত সব সময় সব দেশের ইতিবাচক দিক গুলোই তুলে ধরতে চেষ্টা করি, নেতিবাচক নয়। সব দেশেই ভালো মন্দ আছে এটাই আমার বিশ্বাস ।
আবারও ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো
২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আপনার লেখাগুলো অনেক তথ্যসমৃদ্ধ ও প্রচুর ভাল মানের ছবি।
আগেও বার্মা নিয়ে আপনার লেখা পড়েছি।
দেশটিকে আগের নাম "বার্মা" বলাটাই মনে হয় ভাল।
যেমন জার্মানিকে আমরা ড্যয়েচল্যান্ড না বলে জার্মানি বলি, ব্রাসিল কে ব্রাজিল বলি।
ওরা নিজেরা বার্মাকে আগেও মায়েমা বলতো এখনো তাই বলে। বিবিসি ও বড় মিডিয়াগুলো এখনো দেশটিকে বার্মা বলে
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২১
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন হাসান কাল বৈশাখী নামটি নিয়ে আমি সত্যি কনফিউজড। বার্মা বললে সেদেশীয়রা মনে আঘাত পাবে কি না সেটাও ভাবি । বার্মা বলতেই সুবিধা। বৃটিশরা ওদের মায়ামা উচ্চারন কে ভুলে বার্মা শুনেছিল কিনা কে জানে ? ওদের দেশে র এর উচ্চারন শুনি নি ।
যাই হোক সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৮
রমিত বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট! খুব সুন্দর লিখেছেন।
আপনার একটা ছবি আমি আমার কোন লেখায় ব্যবহার করতে চাই। অনুমতি দেবেন কি?
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৩
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জনাব রমিত ।
আপনি কোন ছবিটা চাইছেন বলবেন কি ?
প্রাপ্তি সুত্রে আমার নামটি থাকলেই হলো
২৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪১
পাজল্ড ডক বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য পাজলড ডক ।
২৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
পূজোর থালায় নৈবেদ্যের মতো সাজিয়েছেন লেখাটি ,অনিন্দ্য সব মন্দিরের ছবি আর ইতিহাসের কথামালায় ।
শুধু দুঃখ, আমরা আমাদের দেশকে সেভাবে সাজিয়ে তুলতে পারিনি । পারবোও না হয়তো কারন , সব কিছুর মর্ম সবাই বুঝিনে আমরা ।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
জুন বলেছেন: এই ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের ও দুঃখ হয় যখন কোন দেশে বেড়াতে যাই আহমেদ জী এস । পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সুন্দর বন কত যে অপরূপ তার সৌন্দর্য্য রাশি তা একটু ফুটিয়ে তোলার কেউ নেই এদেশে।
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
২৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২২
মোঃমোজাম হক বলেছেন: সমাপ্তি টেনে দিলেন যাকএর পরের পোষ্টের প্রতীক্ষায় থাকলাম।
সেটা কি বার্মা নাকি ভিয়েতনামের হবে ?
আমার এক বন্ধু ভিয়েতনাম থেকে ঘুড়ে এসে ভূয়সী প্রসংশা করলেন
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
জুন বলেছেন: শেষ হয়ে গেলে শেষ করাইতো ভালো মোজাম ভাই ।
পোষ্ট নিয়ে যে কিছুই বললেন না !
তারপরো আপনি আছেন সাথে তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
আমিও শুনেছি ভিয়েতনামের কথা , ইচ্ছে আছে ভিয়েতনাম আর ক্যাম্বোডিয়া যাবার । জানি না হবে কি না ?
২৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: বারবার ভাল,চমতকার ইত্যাদি বলে আপনাকে ছোট করবো কেন জুনাপু?
ব্লগে কম আসি ঠিক কিন্তু একদিন এসেই অনুসারিত সব নুতন পোষ্টগুলি পড়ে ফেলি।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৮
জুন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন মোজাম ভাই বার বার বলতে বলতে কথাগুলো বড্ড ক্লিশে হয়ে গেছে । আরেকবার আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই মুল্লুকে ঘুমিয়ে আছেন নির্বাসিত সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর । তাঁর কবরে তাঁর লিখা এপিটাফ -''মরনেকে বাদ ইশ্ক্ব মেরা বা আসর হুয়া উড়নে লাগি হ্যায় খাক মেরি ক্যোয়ি ইয়ার মে; কিৎনা বদনসিব জাফর দাফনকে লিয়ে দোগজ জামিন ভি মিলানা চুকি ক্যোয়ি ইয়ার মে । ''
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী মায়ানমার সফরে গিয়ে তার সমাধি সৌধ পরিদর্শন করেন ।সে সময় তিনি পরিদর্শক বইতে লিখেছিলেন
"দু গজ জমিন তো না মিলি হিন্দুস্তান মে , পার তেরী কোরবানী সে উঠি আজাদী কি আওয়াজ, বদনসীব তো নাহি জাফর, জুড়া হ্যায় তেরা নাম ভারত শান আউর শওকত মে, আজাদী কি পয়গাম সে"।
বাংলায় অনুবাদ করলে দাড়ায়;
"হিন্দুস্তানে তুমি দু গজ মাটি পাও নি সত্য।তবে তোমার আত্মত্যাগ থেকেই আমাদের স্বাধীনতার আওয়াজ উঠেছিল। দুর্ভাগ্য তোমার নয় জাফর, স্বাধীনতার বার্তার মধ্যে দিয়ে ভারতবর্ষের সুনাম ও গৌরবের সঙ্গে তোমার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে ।
বার্মার লোক কি বাহাদুর শাহকে চিনে ? চিনলে তাদের ধারনা কি ? কাউকে কি জিজ্ঞেস করেছিলেন ?
ছবি আর বর্ণনায় অসাধারণ পোস্ট । ছবির লেংথ শর্ট চমৎকার ! আলোকচিত্র শিল্পীকে অভিনন্দন ! পোষ্ট দাতাকেতো বটেই !
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
জুন বলেছেন: গিয়াসলিটন প্রথমেই জানাই অসংখ ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়া আর দেখার জন্য । ছবি আমরা দুজনাই তুলেছি দুটো ক্যামেরা আর মোবাইল দিয়ে। অভিনন্দন জানানোর জন্য আরেক দফা ধন্যবাদ ।
আপনি সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের কথা উল্লেখ করেছেন , আমিতো মায়ানমার সফর নিয়ে লেখায় তাকে নিয়ে একটা পোষ্ট ও দিয়েছি যেখানে এই বিখ্যাত শেরটির ছবিও আছে আপনি মন্তব্যও করেছেন
৩০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কমেন্ট করার পর বিষয়টি আমার মনে পড়েছে ।
কার লিখায় যেন পড়েছি ! পরক্ষনে খেয়াল হল ওটা আপনারই লিখা ।
ততক্ষনে তীর থেকে তুন বেরিয়ে গেছে । কমেন্ট এডিটের কোন অপশন খুজে পাইনি ।
আমি লজ্জিত !
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
জুন বলেছেন: এটা কোন ব্যপারই না গিয়াসলিটন ভাই। এমন ভুল সবার হতে পারে। আমারতো অহরহই হয়।
শুভেচ্ছা রইলো
৩১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫১
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অপূর্ব। মায়ানমারের ইতিহাস, ঐতিহ্য তো দেখছি অনেক সমৃদ্ধ।
পোস্টে ভালো লাগা নং ১৫।
২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জান্য আর সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক ।
৩২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
মুরশীদ বলেছেন: বাগানের সৌন্দর্যে এক অসাধারন ব্যাঞ্জনা আছে। প্রায় শুষ্ক, কিন্তু সবুজ আর মানুষের শৈল্পিক স্পর্শে প্রকৃতিকে এক অপরুপ মায়াবী রূপে আবৃত করেছে তাকে।
আপনার চোখে তৃতীয়বারের মত বাগান দেখে আসলাম ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৬
জুন বলেছেন: Thank you for nice comment
৩৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৩
জেন রসি বলেছেন: ঘুরে আসলাম।
৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৭
জুন বলেছেন: Thanks for ur nice comment rosi
৩৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: বিস্তারিত আলাপ পোস্টটাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে । খুটিয়ে খুটিয়ে সবকিছু বর্ণনা করা আপনার একটা বিশেষ গুণ জুন আপু ।
অনেক ভাল লেগেছে ইনফরমেটিভ ভ্রমণ ব্লগ ।
শুভ কামনা রইলো অশেষ ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৮
জুন বলেছেন: অনেক ভালোলাগলো মন্তব্যে ককাশে ।
শুভেচ্ছা অনেক ।
৩৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২২
এহসান সাবির বলেছেন: সিরিজটাই ছিল চমৎকার।
শুভ কামনা আপু।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২২
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এহসান সাবির
৩৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
সুফিয়া বলেছেন: খুব ভঅল লাগল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
জুন বলেছেন: ভাললাগলো জেনে অনেক অনেক ভালোলাগলো সুফিয়া । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৩৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
আরুশা বলেছেন: ্দুটি পর্ব একসাথে পরলাম । খুব ভালোলাগলো বাগানকে +++
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
জুন বলেছেন: কি ব্যাপার কই কই ডুব দেন মাসের পর মাস ? আশাকরি ভালো আছেন ।
পোষ্ট ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো
৩৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: এই পোষ্ট কি আমি পড়ি নাই?
বুঝতেছিনা ব্যাপারটা।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
জুন বলেছেন: মনে হয় চোখ এড়িয়ে গেছে রাতুল শাহ । পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
৩৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৩
তুষার কাব্য বলেছেন: ইতিহাস আমাকে কেন জানি খুব একটা টানেনা । তবে ইতিহাসের সাথে সাথে এমন বাগান টাগান থাকলে ঘুরে বেড়ানো যায় নিশ্চিন্তে
চলে আসলাম আবার
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
জুন বলেছেন: আমি দু:খিত তুষার তারপর ও ইতিহাস পড়তে হচ্ছে ভেবে
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: হুম সেটাই হবে হয়তো। এইবার কোন দেশ ভ্রমণে বের হয়েছিলেন বা হয়েছেন কিংবা হবেন?
০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
জুন বলেছেন: দেখা যাক আল্লাহ কই নিয়ে যায় রাতুল । মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ
৪১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
রাতুল_শাহ বলেছেন: সাথে তো নিয়া যাবেন না, কিন্তু আসার সময় আমাদের জন্য চকোলেট তো আনতে পারেন। এইবার চকোলেট নিয়া আসবেন কেমন।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৬
জুন বলেছেন:
৪২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারন আপু
এবারের পোষ্ট টা কয়েকবারে পড়লাম , ঠিক পড়লাম না সাথে ঘুড়ে ও আসলাম ।
অনেক ধন্যবাদ তুমি আর ও অনেক অনেক ঘুড়ে আমাদের জন্য পোষ্ট লিখ এই কামনা
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩১
জুন বলেছেন: বার্মা ভ্রমনের সাথী হিসেবে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা
আমি এখন সিলেট ভ্রমনে
৪৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর !!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জহির ।
৪৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪১
রাতুল_শাহ বলেছেন: কিছুই তো বললেন না.....................
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
জুন বলেছেন: সিলেটের চকোলেট আমিতো জানি এখানে চা পাতার জন্য বিখ্যাত
৪৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: সিলেট কবে যাবেন? অবশ্য আমারেও এই মাসে বেশ কয়েকবার সিলেট ট্যূরে যাইতে হইতে পারে। ৭-৮বার গেলাম, সিলেটের চা খা হয় নাই। মাজারের পাশে নাকি ন্যাশনাল নামের খুব ভালো চা পাতা পাওয়া যায়। কেনার সুযোগ করতে পারি না। খুব টাইট শিডিউল থাকে। এইবার তো আরও টাইট অবস্থা হবে মনে হচ্ছে।
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
জুন বলেছেন: আমি এখন শ্রীমংগল । সিলেটের দরগা গেটের ন্যশনাল টি কো: থেকে আমি আগেও চা কিনেছি । সত্যি চমৎকার ফ্লেভার আর test ।
৪৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: আপনার নতুন লেখার জন্য বসে আছি
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩
জুন বলেছেন: আমার এইসব অং বং লেখার জন্যও কেউ অপেক্ষা করে জেনে খুব খুশী হোলাম প্রামানিক ভাই।ঢাকায় এসে দেবো । লিখে রেখেছি
৪৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
দীপান্বিতা বলেছেন: অসাধারণ! খুব সুন্দর করে রাখা হয়েছে!
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দীপান্বিতা
৪৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৪০
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগা আবারো। দরজা যেহেতু আবার খুলে গিয়েছে তাহলেতো একবার যেতেই হবে কিন্তু কোন গাইডের তথ্য তো জানা নেই।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ তুহিন । সত্যি যেতে চাইলে অবশ্য গাইডের নাম ঠিকানা দেবো । তাদের ফাইভ স্টার থেকে বাজেট সবরকম প্যকেজ ই আছে ।
৪৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এতো সুন্দর বর্ণনা ও ছবি! অবাক বিস্ময়ে শুধুই দেখতে ইচ্ছে করছে।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন নিরন্তর।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী । আপনিও ভালো থাকুন নিরন্তর ।
৫০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ছবি আর বর্ননায় পরিপূর্ণ ট্রাভেল গাইড। অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপু।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা । শুভেচ্ছা আপনার জন্যও ।
৫১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
দীপান্বিতা বলেছেন: নতুন পোস্ট কবে আসছে!
২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
জুন বলেছেন: দিয়েছি দীপান্বিতা দেখো । অনেকবার ভাবি এখান থেকে গুটিয়ে নেবো নিজেকে । কিন্ত আপনাদের ডাকে আবার ফিরে আসি ।
৫২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: জুন আপু কেমন আছ ?
নেক্সট ভ্রমন কোথায় হবে আমাদের ?
২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
জুন বলেছেন: ভালো আছি সোহেলী । আশাকরি আপনিও ভালো আছেন ।
পশ্চিমে যাবার আশা আছে
৫৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
সকাল রয় বলেছেন: আপনার চোখ দিয়ে পৃথিবীর অনেক কিছু দেখে নিচ্ছি। এই যে আপনার ভ্রমন এবং তা নিয়ে আলোচনা সেগুলো আমার জন্য অনেক উপাদেয় কারন আপনার চোখ দিয়ে অনেক অজানা কিছুকে জানার আনন্দ বলে বোঝানো সম্ভব নয়। অনেক অনেক ভাল লাগলো।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১১
জুন বলেছেন: সময় করে পড়া আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সকাল ।
৫৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
স্প্লেন্ডিড!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ইমরাজ কবির মুন ।
৫৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬
রিভানুলো বলেছেন: অসম্ভব ভালোলাগা ।
এ নগরী নিয়ে কিছুই জানা ছিলনা ।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপা
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
জুন বলেছেন: আমিও জানতামনা রিভানুলো ।
কোন কিছু লিখেন না , ঘটনা কি !
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য
৫৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভালো লাগল বেশ।
বার্মা অনেকটা উত্তর কোরিয়ার মত। কিছুই জানি না বার্মা সম্পর্কে
যা হোক, আপনার ঘোরাঘুরি অব্যাহত আছে বিষয়টা সুখের
পারলে আগামীতে উত্তর কোরিয়া যাইয়েন
উহায় সবাই হামলা দিবে
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৫
জুন বলেছেন: অনেক অনেকদিন পর তানিমকে ব্লগে দেখে অনেক অনেক ভালোলাগলো ।
হ্য অনেকটা উ: কোরিয়ার মতই ছিল । এখন দুয়ার খানিকটা খুলে দিয়েছে বিশেষ করে ব্যবসায়ী আর পর্যটকদের জন্য।
শুভেচ্ছা রইলো
৫৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সূর্যোদয় দেখার প্রথা এখানো চালু রয়েছে ! একে প্যাগোডার বাগান বললেই ভালো হয়। এক শহরে ৩০০০- ৪৪০০ প্যাগোডা ! অদ্ভুত; পাপ মোচনের জন্যই নাকি এগুলোর তৈরি। হাহ হা।
ফ্রেসকো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখুলম। আচ্ছা ছবিগুলো আকৃতি কিন্তু আরও বড় করা যেত। তবুও মনের ক্যানভাস থেকে ভাষার ক্যানভাসে যা উঠিয়েছেন, মুগ্ধ হয়ে পড়লেম। ধন্যবাদ ...
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭
জুন বলেছেন: এতো যে সে জায়গার সুর্যোদয় নয় অন্ধবিন্দু , এ হলো বাগানের সূ্র্যদয় যা অন্য জায়গা থেকে পুরোই ব্যতিক্রম । ৩/ ৪ হাজার নয় ১০ হাজার ছিল একসময়। আমি এটা লিখেছিতো
ফ্রেসকো যতই বড় করিনা কেন , ব্লগে এতটুকু ই দেখা যায় ।
মনযোগী পাঠ আর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৫৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯
Md. Zafor Sadaque বলেছেন: onek derite porlam. but khub e sundor laglo. anondo pelam. essau jaglo jabar jonno. sudhu ai bagan e jete koto tk lagbe janale khub e khusi hobo. onek sundor hoyese likhata.
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১২
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে মো জাফর সাদেক। আমরা আসলে প্যাকেজে গিয়েছিলাম ১৫ দিনের জন্য। তাতে চারটা শহর ছিল ইয়াংন মান্দালে বাগান আর শান এর ইনলে। মোট ২২০০ $ নিয়েছিল তাও অফসিজন থাকায়। তাই শুধু বাগানের ব্যাপারটা বলতে পারবো না ভাই। আপনি যদি আগ্রহী থাকেন তবে আমাদের ট্যুর কোম্পানীর এড্রেস দিতে পারবো।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৩
জুন বলেছেন: আর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
৫৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১
Md. Zafor Sadaque বলেছেন: Tahnks for ur reply. address ta dile valo hoi. kono ekdin hoito time hobe jabar. asole job er jonno somoi hoye uthay na duray kothau jabar. thanks again. valo thakben.
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৪
জুন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন Md. Zafor Sadaque
৬০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: spectacular writing. enchanted !
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৬
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে মাধুকরী মৃণ্ময় , আর পোষ্টটি পড়ে ভালোলাগা আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৬১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: তারপর নির্জন নিরিবিলি সেই মঠের টেরাকোটা ইটের পৈঠায় বসে যখন আপনার ক্লান্ত পা দুটোকে ছড়িয়ে দেবেন, তখন পাশেই সেই শত বছরের পুরনো নিমের শাখায় ঝিরি ঝিরি শব্দ তুলে বয়ে যাওয়া বাতাসের স্পর্শে আমি নিশ্চিত আপনি হারিয়ে যাবেন শতাব্দী প্রাচীন এক জগতে - এই লেখাটুকু পড়েই যেন সেই ঝিরিঝিরি বাতাসের কিছুটা পরশ পাওয়া শুরু করলাম।
ছোটবেলা থেকেই যে নদী তার নামটির জন্যই আমার প্রিয় তালিকায় রয়েছে সেই ইরাবতী নদীর রেখা, আর সেই অবর্ননীয়, অপরূপ সুর্যাস্তের যে দৃশ্যটুকু দেখলাম তা আমার মনের ক্যানভাসে সারা জীবনের জন্য যেন এক ছবি একে রেখে গেল , যা কখনোই ভোলার নয়। সেই অপুর্ব দৃশ্যের বর্ননা দেয়ার মত ভাষা আমার জানা নেই। - যেটুকু বলেছেন, সেটুকুতেই বেশ ভাল করে বুঝে নিলাম।
ছবি বিক্রেতারা আস্তে আস্তে তাদের পসরা গুটিয়ে তুলছে, আবার আসবে আগামীকাল হয়তো। আমরা অবশ্য তখন থাকবো না। চারিদিকে আধার ঘনিয়ে আসছে ধীর লয়ে - কেন যেন এই কথাগুলো বার বার করে পড়লাম, আর নীচের ছবিটার দিকেও কয়েকবার তাকালাম। অপূর্ব সুন্দর করে বলেছেন কথাগুলো জুন, মন ছুঁয়ে গেছে।
আজন্ম বাগানে বেড়ে ঊঠা সারাহর হয়তো এ দৃশ্যে কোন প্রতিক্রিয়া নেই, কিন্ত আমাদের দৃষ্টি তখন সুদুরের পানে । সেই অনির্বচনীয় দৃশ্যের সবটুকু মাধুরী যেন চুমুকে চুমুকে পান করে চলেছি। আস্তে আস্তে ঝাপসা হয়ে আসলো চারিদিক । বসলাম সারাহর বাড়িয়ে দেয়া চায়ের কাপ হাতে নিয়ে -- বেশ, আমিও এক কাপ চা হাতে নিয়ে এসে বসলাম আপনার বাকী কাহিনী আর পাঠকদের মন্তব্যগুলো পড়তে।
‘হেয়ার নো স্ন্যাশ ম্যাম’ -- যাক, সর্প দর্শন (দংশন নয়) থেকে বেঁচে এসেছেন, সেই ভালো!!!
চমৎকার সময় কাটালাম, কিছুটা আপনার প্রাঞ্জল বর্ণনা পড়ে, আর কিছুটা কল্পনায়। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার এ ট্রাভেলগ, বর্ণনা আর ছবির ঐশ্বর্যে। আর আপনার আন্তরিকতার কথাটা না হয় নাই বা বললাম।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৭
জুন বলেছেন: আপনি আমার লেখায় যখন চমৎকার সময় কাটিয়েছিলেন সে সময়ই প্রচন্ড ভুমিকম্পে মায়ানমারের এই বাগান নগরীর ১৭০০ মঠ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মাঝে আমার দেখা কয়েকটি বিখ্যাত বৌদ্ধ মন্দির ও রয়েছে যেমন ধাম্নাইয়াংগী এবং টিলোমিনোলো অন্যতম।
অনিবার্য কারনে আন্তরিক দুখিত দেরীতে জবাব দেবার জন্য ।
৬২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কোন লেখায় আমার কোন মন্তব্যের উত্তর পেতে আগে কোনদিন এত দেরী হয় নাই। তাই ভাবছি, আপনি ভাল আছেন তো, জুন? আপনার নতুন কোন লেখা দেখতে চাই।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৫
জুন বলেছেন: আমি অত্যন্ত দু:খিত আপনার মন্তব্যের জবাবটি দিতে দেরী হবার জন্য জনাব খায়রুল আহসান। মুলত নেট ওয়ার্কের সমস্যাই এর প্রধান কারন। জী আমি ভালো আছি, আর নতুন লেখা দেবার ব্যাপারে একটু ভাবনা চিন্তা করছি। আশাকরি শীঘ্রই কিছু একটা লিখবো ব্লগে। আমার লেখা দেখতে চান জেনে খুব ভালো লাগলো।
৬৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২১
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নিজেই যেন ঘুরে আসলাম সাবলীল বর্ণনা ও উপস্থাপনায়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর পরিবেশনার জন্যে।
ভালো থাকুন সর্বদা!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে সামু পাগলা। বেশ মজার নিক নামটি নিয়েছেন তো আপনি।
আমার পোষ্টটি ভালোলাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
আপনিও খুব সুন্দর এবং গভীর দৃষ্টি নিয়ে লিখছেন আপনার প্রবাস জীবন। অনেক কিছু জানা আর শেখার আছে।
শুভকামনা সকালের।
৬৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫০
পথহারা মানব বলেছেন: আপু আপনার লেখাগুলো পড়লে মনে হয়, না গিয়েও ভ্রমনের এক অন্যরকম সুখ নেওয়া যায়!!!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭
জুন বলেছেন: পথ হারিয়েও শেষ পর্যন্ত যে এসে পরলেন তার জন্য রইলো অশেষ ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
বাগান নগরীতে বেড়ানো ছিল আমার জন্য স্বপ্নের মত। যতটুকু নিজ চোখে দেখেছি তার অর্ধেক ও বর্ননায় তুলে ধরতে পারি নি। তারপর ও আপনাদের ভালোলাগার জন্য গভীর আনন্দ অনুভূত হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লেখা ও আমার প্রিয় পোষ্টটি পড়ার জন্য। সাথে থাকবেন। শুভেচ্ছা সকালের।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
মশিকুর বলেছেন:
প্রতিবেশী দেশ হওয়া সত্ত্বেও এই দেশ সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। আপনি না জানালে হয়তো মায়ানমার সম্পর্কে এই জীবনে কিছুই জানা হতো না
ধন্যবাদ আপু এই সিরিজটার জন্য