নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুখ্যাত তোল স্লেং / এস-২১ নির্যাতন কেন্দ্র।
ক্যম্বোডয়ার রাজধানী নমপেন শহরের মাঝে একটি স্কুল ।কিশোর বালকের কল কাকলিতে যার মুখরিত থাকার কথা । সে কেন কবরের নৈঃশব্দ নিয়ে চুপচাপ হয়ে আছে ? নীরবে একের পর এক শ্রেনীকক্ষে ঢুকে চারিদিকে তাকাতেই কেন মরা মাছের চোখের মত ঘোলাটে হয়ে উঠছে পর্যটকদের চোখ! সবার চেহারায় বিষন্নতা আর মলিনতা একই সাথে আসন গেড়েছে যেন। হৃদয়ের গভীরে এই মাত্র সৃষ্টি হওয়া ক্ষতগুলোই কি বাঙ্গময় হয়ে ফুটে উঠছে তাদের চেহারায় ? একি গেট দিয়ে ঢোকার সময় লেখা নির্দেশাবলী পড়ে, নাকি অন্য কিছু ?
প্রবেশ পথে নির্দেশনা
ক্যম্বোডিয়া যাবার আগেই মেইলে কথা হলো আমার স্বামীর কলিগ এর সাথে । সে জানালো ‘তোমরা নমপেনের যেখানেই যেখানেই ঘুরে বেড়াও না কেন,দুটো দিন কিন্ত বরাদ্দ রেখো আমার জন্য’ ।
তাঁর কথা মত যেদিন নমপেন পৌছালাম তারপর দিন ঠিক সকাল নটায় গাড়ী নিয়ে আমাদের হোটেলে আসলেন ।আমরা লবিতে বসে ছিলাম, এসেই আমার স্বামীকে জড়িয়ে ধরলেন নাবি কান । লম্বা সুদর্শন নাবি কানের সুন্দর মুখেও স্থায়ী এক বিষন্নতার ছাপ যা ভেঙ্গে সারাটি দিনে খুব কম সময়েই উকি দিয়ে গেছে মেঘের আড়ালে থাকা সুর্য্যের মত তার এক চিলতে হাসি। তার কারন বলবো পরে।
সৌজন্য বিনিময়ের পর শুরু হলো আমাদের চলার পালা। শুরু হলো তার দেশের এক করুন সময়ের কাহিনী বর্ননা। আমরা দুজন নীরব শ্রোতা । মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনে চলেছি ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত এক দানবের উত্থানের ইতিহাস।
১৯শে মে ১৯২৫ খৃষ্টাব্দে ক্যাম্বোডিয়ার কামপন থং প্রদেশের একটি গ্রাম। সেই গ্রামের এক উচ্চবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্ম হয় এক ছেলের নাম ছিল তার সালথ সার। নয় ভাই বোনের মাঝে আট নম্বর সালথ সার দশ বছর বয়সে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে রাজধানী নমপেনে এক আত্মীয়র বাসায় এসে উঠে।
পলপট ও তার সঙ্গীরা
১৯৪৯ সনে সালথ সার কারিগরী বিষয়ের উপর উচ্চতর পড়াশোনা করার জন্য বৃত্তি পেয়ে প্যরিসে যান। সেখানেই সে প্রথম মার্ক্সের সমাজতন্ত্র সম্পর্কে ধারনা লাভ করে। রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ততার ফলে পরীক্ষায় অকৃতকার্য্য হয় এবং ১৯৫৩ সনে সে ক্যম্বোডিয়া ফিরে আসতে বাধ্য হয় । দেশে ফিরে বিভিন্ন জেলা শহরে কম্যুনিষ্ট শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সালথ সার তার ঘনিষ্ঠ কিছু সহযোগীদের নিয়ে শুরু করে দল গঠন। পরে যা কম্যুনিষ্ট পার্টি অফ ক্যাম্পুচিয়া ইন ক্যাম্বোডিয়া যা খেমার রুজ (লাল খেমার) নামে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে । ১৯৬৩ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এই খেমার রুজের জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিল সালথ সার ।
সে সময় ক্যাম্বোডিয়ায় সৈন্যবাহিনীর প্রধান ছিল লন নল। রাজা সিহানুক তাকে পছন্দ করতোনা। কারন সে ছিল মার্কিন ঘেষা। আর সে সময়ই ভিয়েতনাম এর সাথে মার্কিনদের যুদ্ধ চলছিল। মার্কিন আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য ভিয়েতনামের সাধারন জনগন ছাড়াও মার্কিন বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত গেরিলারা ক্যম্বোডিয়ায় আশ্রয় নেয়। আমেরিকা এই ভিয়েতনামী গেরিলাদের ধ্বংস করার লক্ষ্যে ক্যম্বোডিয়ার মাটিতে নির্বিচারে বোমা বর্ষন করতে থাকে।তাতে অনেক সাধারন খেমার জনগন ও মারা যায়। সে সময় সাম্যবাদী দল গঠনে ব্যস্ত সালথ সার রাজনৈতিক কারনে ভিয়েতনাম পালিয়ে যায় আর তখন থেকেই সে পলপট নামে অভিষিক্ত হয়। খেমার ভাষায় পলপট অর্থ বড় ভাই।
এ সময় ক্যম্বোডিয়ায় অনেকগুলো ঘটনা এক সাথে ঘটে। তা হলো মার্কিন মদদ পুষ্ট জেনারেল লননল রাজা সিহানুককে উৎখাত করে ক্যম্বোডিয়ায় সরকার গঠন করে। রাজা সিহানুক প্রথমে চীন এবং সেখান থেকে পরবর্তীতে ইউরোপ পালিয়ে যান। সে সময় সিহানুক খেমার রুজ অর্থাৎ পলপটের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলছিলেন।
রাজা নরদম সিহানুক, নমপেনের রাজপ্রাসাদের বাইরে থেকে তোলা তাঁর তৈল চিত্র
১৯৭০ সনে পলপট উত্তর ভিয়েতনামের গেরিলা যোদ্ধাদের সহায়তায় লননলের সরকারী বাহিনীকে পরাজিত করে ক্যম্বোডিয়ার এক তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়। এ সময় পুরো দেশ জুড়ে চলতে থাকে এক গৃহ যুদ্ধ।মার্কিন বোমায় ভিয়েতনামী গেরিলারা সরে গেলে সেই শুন্যতা পুরন করে পলপট।১৯৭৫ সালের ১৭ই এপ্রিল পলপট ও তার দল খেমার রুজ লননলকে পরাজিতে করে রাজধানী নমপেন অর্থাৎ পুরো ক্যম্বোডিয়া দখল করে নেয়।এর অল্পদিনের মধ্যেই ভিয়েতনাম যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।
ক্ষমতা দখল করেই চীনের ভাবাদর্শে অনুপ্রানিত পলপট ক্যম্বোডিয়ার সমাজ পুনর্গঠনের নামে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে তারই ধারাবাহিকতায় ঘটে ইতিহাসের এক ভয়াবহ গনহত্যা। শুরু হয় এক সীমাহীন ত্রাসের রাজত্ব যার স্থায়িত্ব ছিল চার বছর।
শিল্পীর কাঁচা হাতে আঁকা বটে কিন্ত খেমার রুজদের হিংস্রতা আর নির্মমতা ফুটে উঠেছে ঠিকই
খেমার রুজদের উদ্দেশ্য ছিল পুরো ক্যম্বোডিয়ায় একমাত্র কৃষক শ্রেনীই থাকবে আর কিছু নয়। যার ফলে পুরো নমপেন খালি করে জনগনকে কৃষিকাজের জন্য গ্রামের বিভিন্ন খামারে পাঠানো হলো। এই জনগনের বেশিরভাগই ছিল মধ্যবিত্ত শ্রেনীর যার মাঝে ছিল শিক্ষক,পেশাজীবি,শিশু, কিশোর নারী, এমনকি যারা চশমা বা ঘড়ি ব্যবহার করতো তাদেরকেও ধনীক শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত করে পাঠানো হলো কৃষি খামারে। এদের মনে করা হতো উদবৃত্ত শ্রমিক। অনেকটা চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মত। কিন্ত খেমার রুজ বাহিনী এটা বুঝতে ব্যার্থ হয় যে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় চীনের রাজনৈতিক/সামাজিক পটভুমি আর ক্যম্বোডিয়ার পটভুমিতে অনেক পার্থক্য ছিল।
কমরেড মাও সে তুং এর সাথে পলপট , শিল্পীর হাতে আঁকা
অনাহারে অর্ধাহারে দিনে পনের ঘন্টা হাড় ভাঙ্গা খাটুনি সাথে চাবুকের আঘাত আর নির্যাতনের ফলে অনেকেই সেখানে মৃত্যুবরন করে। তাদেরকে সেই খামারেই মাটি চাপা দিয়ে রাখা হতো । এমন গন কবরের সংখ্যা ছিল তিনশ র ও বেশি।
কর্নেল পিতার সন্তান নাবি কানের বয়স ছিল তখন সাত।ছোট বোন বছর তিনেকের। হাসি খুশী সচ্ছল ছোট সেই পরিবার পলপটের নিষ্ঠুর ঝড়ের আঘাতে যেন মুহুর্তে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পরলো। বাবা পালিয়ে গেলেন থাইল্যান্ড। দেশকে নরপশু সেই হায়েনার হাত থেকে মুক্ত করতে। নাবি কানকে পাঠানো হলো ফসলের ক্ষেতে শ্রমিক হিসেবে ,আর মা ছোট বোনকে নিয়ে পালিয়ে গেল গ্রামে। বাবা আর ফিরে আসেনি গত তিরিশ বছরে। ধারনা করা হয় পরে থাইল্যাণ্ড যখন পলপট সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল তখন হয়তো এসব বিদ্রোহীদের কঠিনহাতে দমন করেছিল থাই সরকার। হয়তো তাদের হাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রিয় সেই বাবার।
নাবি কানের সমবয়সী এক শিশু যে কিনা খেমার রুজের নির্যাতনে বন্দী শিবিরে প্রান দিয়েছিল
মা এর কি হলো জিজ্ঞেস করায় একটু ইতস্তত করে বল্লো জীবন বাঁচানোর জন্য একদা সেনা বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার স্ত্রী, নাবি কানের মা এর সেই দুর্দশার কাহিনী। অভুক্ত শিশু আর নিজের জন্য খাবার চুরি করতে গিয়ে বার বার লোকজনের হাতে তার মা এর মার খাওয়ার করুন বর্ননা দিচ্ছিল সে থেমে থেমে ধীর লয়ে সসংকোচে।
শহর খালি করে সব ব্যক্তিকে কৃষি খামারের কাজে লাগানো হয়েছিল যার থেকে রেহাই পায়নি ৬/৭ বছর বয়সের নাবি কান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত্য সামান্য খাবার খেয়ে ১৫ ঘন্টা অনভ্যস্ত কচি হাতে কাজ করতে গিয়ে কত অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল তাকে। নিজের ও পরিবারের সেই দুর্দশার ইতিহাস বর্ননা করতে গিয়ে মাঝে মাঝেই তার গলা বন্ধ হয়ে আসছিল, ভিজে আসছিল চোখের কোন।আমরা বোবা হয়ে গিয়েছিলাম জাতিসঙ্ঘের এই কর্মকর্তার জীবন কাহিনী শুনে।
দেয়াল ঘেরা নির্যাতন কেন্দ্রের পাশের রাস্তা থেকে মুল গেটে যাবার আগে
রাজধানী নমপেনের মাঝখানেই উচু দেয়াল ঘেরা এক জায়গার পাশে আস্তে আস্তে গাড়ী থামলো। আমরা তিনজন হেটে গেটের সামনে আসতেই দেখি লাইন ধরে লোকজন ঢুকছে। আমরাও সেই সারিতে দাড়ালাম। পাশের ঘর থেকে টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়লো মাঝাখানে একটি আঙ্গিনা তাতে সবুজ কিছু গাছ পালা আর সাদা চুনকাম করা কিছু কবর। দু একটা বেঞ্চ ও আছে বসার জন্য।
ভিয়েতনাম বাহিনীর হাতে খেমার রুজের পতনের পর যে কয়টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল তাদের কবর
সেই প্রাঙ্গনের হাতের বাদিকে পুর্ব পশ্চিমে আর উত্তর দক্ষিন দিকে লম্বা তিন তলা সাদামাটা এক স্কুল ভবন যেমন সব দেশের সরকারী স্কুলগুলোর চেহারা হয়ে থাকে। কিন্ত ভেতরে ভেতরে তার কি ভয়াবহ বৈপরিত্ব যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। সেই স্কুলে টেবিল নেই, বেঞ্চ নেই, বই-খাতা নেই, নেই কিশোর কন্ঠের পড়াশোনার আওয়াজ, বা কলকাকলি।
সৃতি স্তম্ভের পেছনে স্কুল
কারন এক সময়ের সরকারী এই উচ্চ বিদ্যালয় জেনারেল পলপটের রাজত্বকালে পরিনত হয়েছিল এক কুখ্যাত নির্যাতন কেন্দ্রে। তুল স্লেং বা এস-২১ জেল নামে সারা বিশ্বে এর সমাধিক পরিচিতি। ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৯ এই চার বছরে শুধু এখানেই প্রায় ১৭,০০০ থেকে ২০,০০০ নারী-পুরুষ এবং শিশুর নির্মম মৃত্যু ঘটেছিল খেমার রুজ বাহিনীর পৈশাচিক নির্যাতনে।কোন বাক্য দিয়ে খেমার রুজদের এই উন্মাদ আচরণ সম্পর্কে বললে উপযুক্ত হয় তাই হাতড়ে বেড়াচ্ছি আমি।
ক্লাশ রুমের ভেতর পচে গলে থাকা লাশের ছবি
উপরে আংটার সাথে পা এ দড়ি বেধে ঝুলিয়ে রাখা হতো বন্দীদের। খানিক পর পর নীচের পাত্রে রাখা পানিতে মাথা চুবিয়ে দিত যতক্ষন না তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা মিথ্যে অভিযোগ স্বীকার না করতো ।
খেমার জাতিকে পরিশুদ্ধ করার যে উদ্দেশ্য নিয়েছিল পলপট ও তার সঙ্গীরা তারই ফলশ্রুতিতে দেশ ব্যাপী গড়ে উঠে এই সব নির্যাতন কেন্দ্র। ভূতপুর্ব সরকার অথবা বিদেশী সরকারের সাথে যোগাযোগ রয়েছে এমন সন্দেহভাজন ব্যক্তিবর্গ, পেশাদার এবং বুদ্ধিজীবি, থাই, চাইনী্জ, ভিয়েতনাম নৃ জনগোষ্ঠী ছাড়াও খৃষ্টান যাজক, বৌদ্ধ সন্ন্যাসী কেউ রেহাই পায়নি নৃশংস পলপট বাহিনীর তৈরী এই নির্যাতন কেন্দ্র থেকে। একমাত্র মৃত্যুর মাধ্যমেই তারা মুক্তি পেয়েছি। এই শুদ্ধি অভিযানের উদ্ভট ইউটোপিয়ান চিন্তাধারা তাকে বিবেকহীন অমানুষ এক উন্মাদ খুনীতে পরিনত করেছিল।
পা এ লোহার এই বেড়ী পড়িয়ে এই লোহার খাটে রাখা হতো বন্দীদের
কাছ থেকে দেখা
একের পর এক শ্রেনী কক্ষে ঢুকছি আর হতভম্ব হয়ে যাচ্ছি মানবতার বিরুদ্ধে খেমার রুজদের বীভৎস,ভয়ংকর সেই জঘন্য অপরাধের চিনহগুলো দেখে। মানুষকে নির্যাতন এর জন্য কত যে সরঞ্জাম থাকতে পারে তা আমার ধারনার বাইরে ছিল। বাকরুদ্ধ পর্যটকরা ঘুরে ফিরছিল শ্রেনী কক্ষ থেকে শ্রেনী কক্ষে।
একদা এই স্কুলের ক্লাশের সামনে টানা বারান্দা
সারি সারি শ্রেনী কক্ষের ভেতরের দেয়ালগুলোতে টাঙ্গানো রয়েছে সন্দেহর ভিত্তিতে ধরে আনা মানুষের ছবি যাদের ভেতর রয়েছে শিশু, কিশোর, নারী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তির নম্বর লাগানো ছবি। এদের সবাই খেমার রুজদের অকথ্য নির্যাতনে মৃত্যু্র কোলে ঢলে পড়েছিল।এদের মাঝে রয়েছে কিছু বিদেশীও যাদের বিভিন্ন দেশের চর সন্দেহে ধরে আনা হয়েছিল। সেই পৈশাচিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তারা অনেকেই তাদের উপর আরোপিত মিথ্যা অভিযোগকেই স্বীকার করে নিয়েছিল।টাঙ্গানো রয়েছে বর্ননা শুনে শুনে শিল্পীদের হাতে আঁকা সে সব লোম হর্ষক ঘটনার চিত্র।
মৃত বন্দীদের আলোকচিত্র
ঘরের পর ঘর এর দেয়াল জুড়ে হতভাগ্যদের নম্বর দেয়া বাধানো ছবি
কি বুঝেছিল কি রাজতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রের পার্থক্য এই এক নম্বর মৃত্যুবরন করা শিশুটি !
নির্যাতনে মৃত সন্দেহ ভাজন খেমার রুজ বিরোধী
বিদেশী চর সন্দেহে এদের ধরা হয়েছিল
নির্যাতন থেকে বাচার জন্য মিথ্যে স্বীকরক্তি
গলায় বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো যুবকের চোখদুটি আমি এখনো ভুলতে পারি নি
কিছু বড় বড় ঘরকে পার্টিশন দিয়ে ছোট ছোট রুমে পরিনত করেছিল তারা।। সেগুলো দেখে আমার দম বন্ধ হয়ে আসলো। চওড়ায় আড়াই ফিট আর লম্বায় আনুমানিক ৫ ফিট চারিদিক বন্ধ সেই ঘরের দরজায় একটা মাত্র ছোট্ট চৌকনা জানালা। বন্দীরা যেন একে অপরের সাথে কিছু বিনিময় না করতে পারে তার জন্য ঘর গুলোর মাঝে অল্প একটু ফাক রাখা হয়েছিল।
ক্লাশ রুমের ভেতর কাঠ দিয়ে তৈরী সেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বন্দী শালা
মেঝেতে শুকিয়ে থাকা রক্তের দাগ
অত্যাচারের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম
এই কাঠের বাক্সের চারিদিকে লোহার আংটার সাথে টেনে হাত পা বেধে রাখা হতো , ভেতরে থাকতো পানি যাতে কিছুক্ষন পর পর মুখ ডুবিয়ে ধরা হতো বন্দীদের ।
অভিযোগ স্বীকার না করা পর্যন্ত তাদের উপর চলতো অকথ্য নির্যাতন তারপর ফেলে রাখা হতো সেই কুঠুরীত। নির্যাতনের যে বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলো ঠিক সেভাবেই সাজিয়ে রাখা আছে।
পা বেধে রাখার জন্য লোহার ডান্ডা বেড়ী , সাজিয়ে রেখেছে
লাল রক্তের দাগ শুকিয়ে আছে কোন কোন ছোট ছোট কুঠুরীর মেঝেতে, চোখের পানি দেখি নি কোথাও, হয়তো সেই অমানুষিক নির্যাতনে শুকিয়ে গিয়েছিল তাদের চোখের জল। কিন্ত আমাদের চোখ তখন আদ্র হয়ে এসেছে। ঝাপসা চোখেই দেখে চলেছি শিশু কিশোরদের ছবিগুলো। এক নম্বর বন্দী হিসেবে চিনহিত এই ছোট বাচ্চাটি কি বুঝে রাজনীতির সেটাই ভাবছি ক্ষনে ক্ষনে।দেয়ালের ভেতর থেকে যেন আমাদের কানে ভেসে আসছিল সেই সব মৃত আত্মার করুন আর্তনাদ কি ফরিয়াদ।
পলপট সরকারের পতনের পর বন্দী শিবিরে পাওয়া বন্দী এক হতভাগ্যের ফুলে ওঠা লাশ
আমি এক সময়ে ফিস ফিস করে নাবি কানকে বললাম ‘শোনো এমন অনেক দেশেই হয়েছে, আমাদের দেশে বুদ্ধিজীবিদের হত্যা, হিটলারের গ্যাস চেম্বারে ইহুদী হত্যা, হুতু টুটসী । আমাকে থামিয়ে দিয়ে সে আর্ত গলায় বলে উঠলো, ‘ইয়েস আই নো জুন , বাট দিস ইজ ডিফারেন্ট, হি, হি কিল্ড হিজ ওন পিপল’।
তাঁর এই আর্তনাদের মত কথাটি শুনে আমি কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেললাম।বর্তমানে ক্যাম্বোডিয়ায় এমন একটি ব্যক্তিও খুজে পাওয়া যাবে না যার আপনজন এই নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হয়নি।
অবশেষে ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনাম সেনাবাহিনীর হাতে খেমার রুজ সরকারের পতন ঘটলে চার বছরের এই নারকীয় রাজত্বের অবসান ঘটে। এরপর গত তিরিশ বছর ধরে দেশের ভেতর আর বাইরে থেকে এই নারকীয় গনহত্যাযজ্ঞ পরিচালনাকারীদের বিচারের জোর দাবী উঠছিল। কিন্ত কেন জানি তা কার্যকর হচ্ছিল না । অবশেষে ১৯৯০ এর দশকে এসে জাতিসঙ্ঘ আর ক্যাম্বোডিয় সরকার যৌথভাবে বহু মানুষের আকাংখিত এই আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী বিচারের জন্য আদালত গঠন করেন
পলপট
দুর্ভাগ্য ক্যাম্বোডিয়ার জনগনের যে তারা এই নৃশংস হত্যাকারী পলপটের বিচার দেখতে পারে নি দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার ফলে। ভিয়েতনাম বাহিনীর হাতে খেমার রুজের পতনের পর সে প্রথম থাইল্যন্ড পালিয়ে যায় এবং সেখান থেকে পরে চীন তার ক্যন্সারের চিকিৎসার জন্য । ১৯৮৯ সনে ভিয়েতনাম বাহিনী ক্যম্বোডিয়া ছেড়ে গেলে পলপট আবারো তার বাহিনীকে সঙ্ঘঠিত করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। কারন তার দলের লোকেরা অনেকেই তখন দলত্যাগ করছিল । অনুপস্থিত আসামী হিসেবে দেশের বিচারে তার শাস্তি হয়েছিল গৃহবন্দী । কিন্ত তাকে সরকার বন্দী করতে পারে নি ।
১৯৯৮ সালে পলাতক পলপট বিবিসির খবরে শুনতে পেলো তারই হাতে গড়া দলের লোকেরাই শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাকে আন্তর্জাতিক আদালতের হাতে তুলে দেবে । এ কথা শুনে সেই রাতেই লক্ষ মানুষের হত্যাকারী, সারা পৃথিবী জুড়ে ঘৃনার সাথে উচ্চারিত নাম পলপট হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরন করে। কারো কারো মতে অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে সে আত্যহত্যা করেছিল । তখন তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৭২ বছর। তবে মৃত্যুর আগে সে বলেছে এই গনহত্যার বিষয়ে তার কোন ধারনা ছিল না।
পলপটের পরে যে নেতা ছিল সেকেন্ড ব্রাদার নামে পরিচিত নুন চিয়া এখনো জীবিত । আন্তর্জাতিক এই আদালতে ৮২ বছর বয়সী নুন চিয়ার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে তার সবগুলোই সে অস্বীকার করেছে। তার কথা হলো সে মানুষ হত্যার জন্য দায়ী নয়, তার দায় হলো এই সব লক্ষ লক্ষ মানুষকে পাইকারী ভাবে হত্যার হাত থেকে রক্ষা করার ব্যর্থতা।
আদালতের কাঠগড়ায় ডুএচ ওরফে কাই গুয়েক
এরপর যে ছিল সেই টর্চার চেম্বারের প্রধান তার নাম কাং কেক লিউ ওরফে কাইং গুএক যে কিনা ডুচ Duch or Deuch নামেই সব চেয়ে বেশি পরিচিত। আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে বিচারের সময় তার নিজ হাতে খেমার ভাষায় লেখা স্বীকোরক্তি যা এখন মিউজিয়ামে রাখা আছে তার কয়েকটি লাইন পড়ে শোনালো কান। অবশ্য পাশেই ইংরাজীতে অনুবাদ করা রয়েছে বিদেশীদের জন্য। তাতে সে লিখেছে সে নির্দোষ, কারন এসব নির্যাতন সে তার নিজের ইচ্ছেয় করে নি, করেছে আংকার নির্দেশে।আংকা হলো একটি ফরাসী শব্দ যার অর্থ পলিট ব্যুরো ( দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব)। অর্থাৎ তাদের সংঘঠনের নেতৃত্বের নির্দেশেই এসব নির্যাতন চালিয়েছে।
কাই গুয়েক এর নিজ হাতে খেমার ভাষায় লেখা স্বীকোরক্তি।
আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারে ডুচের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। ক্যম্বোডিয়ার মানুষ বিশ্বাস করতে পারেনি এই নরপশু কোনদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে । যেদিন সে কাঠগড়ায় দাড়িয়েছিল সেদিন ক্যম্বোডিয়ার লাখো জনগন ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল তার বিচার দেখার জন্য।
নিরপরাধ এই সব মৃত বক্তিদের আত্মীয়রা ভিড় করেছিল কারা রক্ষক ডুচ সহ অন্যান্যদের বিচার প্রত্যাশায়
বের হয়ে আসার আগে দেখা হলো ভিয়েতনাম সৈন্যের হাতে মুক্ত সেই এস-২১ এ বেঁচে থাকা মাত্র সাত জন সৌভাগ্যবান বন্দীর মাঝে্র শেষ জীবিত ব্যক্তিটির সাথে। তার নাম চৌ মে। নির্যাতন কেন্দ্রে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে লাষ্ট সারভাইভার নামে একটি বই লিখেছেন। সব হারানো চৌ মে এই বইয়ের এক জায়গায় প্রশ্ন রেখেছে, ‘আমি কেন বেচে রইলাম’! তাঁর স্বাক্ষরসহ সেই অমুল্য বইটি কেনার এবং তার সাথে বসে কিছু আন্তরিক মুহুর্ত কাটানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছিল এই ভ্রমনে।
শেষ জীবিত বন্দী চৌ মে তার বই হাতে যার একটি কপি কেনার সৌভাগ্য আমার হয়েছে
যে ছোট্ট কুঠুরীতে চৌ মে কে দিনের পর দিন থাকতে হয়েছিল পায়ে ডান্ডা বেড়ি পড়ে
বের হয়ে আসতে আসতে ভাবছিলাম আজ যদি কোন প্রফেশনাল গাইডের সাথে কুখ্যাত এস-২১ এ আসতাম তবে হয়তো তার সযত্ন চর্চিত গলায় শুনতে পেতাম এর গৎবাধা এক ইতিহাস । কিন্ত নাবি কানের সাথে আসার ফলে মনে হলো ইতিহাসের সেই সময়টিকেই যেন ধারন করছি আমরা , এবং সেই দুঃখভারাক্রান্ত অনুভূতির কিছুটা যা কান ধারন করে আছে হৃদয়ে।
স্কুলটি এখন ওয়ার ক্রাইম মিউজিয়াম নামে পরিচি্ত। জীবনে অনেক মিউজিয়াম দেখেছি কিন্ত এমন মিউজিয়াম দেখার দুর্ভাগ্য যেন আর না হয়।
এরপরের গন্তব্য শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে এক বধ্যভুমি।
চলবে ----
ছবি আমাদের ক্যামেরায় ।
২য় পর্ব (ছবি) Click This Link
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬
জুন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ অপর্না মম্ময় আমার এই দীর্ঘ পোষ্টটি পড়ার জন্য ।
দেয়ালে আকা বিভিন্ন শিল্পীর ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায় মানুষের মত হিংস্র প্রানী জগতে আর একটিও নেই ।
আবারো ধন্যবাদ জানাই সাথে থাকার জন্য ।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
মাকড়সাঁ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মাকড়সাঁ আমার ব্লগে আসা এবং মন্তব্য করার জন্য ।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধৈর্য্য নিয়ে পোষ্ট পড়তে এসেছি.....................
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬
জুন বলেছেন: এই পোষ্ট ধৈর্য্য নিয়েই পড়ার কথা রাতুল । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেকদিন পর প্রিয় জুন আপুরে খুঁজে পাইছি তার ব্লগিং এর মধ্য দিয়ে।
আপা পোষ্টটা পড়ে মনঃটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫
জুন বলেছেন: আমাকে খুজে পাওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কান্ডারি ।
আমার ও অনেক মন খারাপ ছিল বিশেষ করে ছবিগুলো দেখে ।
মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
নেক্সাস বলেছেন: হেলো লেডী বতুতা। আমিও একদিন বড় হলে কম্বোডিয়া যাব।
অনেক দামী পোষ্ট। জানতে হলে পড়তে হবে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১
জুন বলেছেন: অবশ্যই যাবেন নেক্সাস । ক্যাম্বোডিয়ায় অনেক কিছু রয়েছে দেখার ।
সাথে আছেন জেনে অনেক ভালোলাগলো ।
শুভকামনা রইলো সব সময়ের জন্য ।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
কি বীভৎস!
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ইমরাজ কবির মুন ।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯
মৈত্রী বলেছেন: জীবনে অনেক মিউজিয়াম দেখেছি কিন্ত এমন মিউজিয়াম দেখার দুর্ভাগ্য যেন আর না হয়।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২২
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মৈত্রী ।
৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২
রাতুল_শাহ বলেছেন: পলপট গণহত্যার ব্যাপারে ধারণা ছিলো না?????
খুব অদ্ভুত লাগছে এই জায়গাটা।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৪
জুন বলেছেন: শুধু আমরা কেন সেদেশের অনেক নেতাদেরও একই কথা রাতুল । পোষ্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩
কাবিল বলেছেন: এমন বীভৎস জরিত মিউজিয়াম দেখতে চাই না।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১২
জুন বলেছেন: তারপর ও ইতিহাসের সাক্ষী হওয়া কাবিল ।
তবে খুবই মর্মান্তিক, ঠিক আমাদের দেশের বধ্যভুমিতে গেলে যে অনুভূতিতে আক্রান্ত হই ।
১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
রাতুল_শাহ বলেছেন: চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কথা বললেন, সেটাও কি ক্যাম্বোডিয়ায় মত সবাইকে কৃষি কাজে নিয়োজিত করা?
নাবি কানের জীবন কাহিনী জানার পর বলার মত কিছু থাকে না।
পলপট বলে সে কিছু জানেনা, সেকেন্ড ব্রাদার নুন চিয়ার সেও নির্দোষ, টর্চার চেম্বারের প্রধান কাইং গু সেও নির্দোষ। তাহলে দোষী কে?
মেজাজ হারিয়ে ফেলার মত অবস্থা।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
জুন বলেছেন: প্রায় কাছাকাছি রাতুল শাহ ।
সত্যি মেজাজ হারানোর মতই ।
মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
সুমন কর বলেছেন: বীভৎস কাহিনী !! চমৎকারভাবে বিস্তারিত লিখেছেন বলে, জানা গেল।
এমনি কাঁটা-ছেঁড়া দেখতে পারি না, তার উপর এমন সব বীভৎস অত্যাচার !! না, আমি দেখতে চাই না।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৪
জুন বলেছেন: আমার ও অনেক খারাপ লেগেছিল সুমন কর । পোষ্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ধীর গতির নেট এর কারনে মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরীর জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ।
১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভয়ংকর --------
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫
জুন বলেছেন: আসলেও দুঃখজনক তাহসিনুল ইসলাম । সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
রিকি বলেছেন: ভয় পেয়েছি !!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৭
জুন বলেছেন: মন্তব্য ও সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রিকি।
১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
মানস চোখ বলেছেন: 'জুন' আপা, এই শেষ বিকেলে কম্বোডিয়ার গণ হত্যার আপনার এই বিস্তারিত লেখা আর ছবি গুলো মনকে বিষন্ন করে দিল ।
অসাধারণ পোস্ট আপনার !! খুবই সহজ করে এক নৃশংস গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরেছেন !! আশা করছি কম্বোডিয়া নিয়ে আরও কিছু অসাধারণ লেখা পড়তে পারব।
ভালো থাকবেন !!!!!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬
জুন বলেছেন: পোষ্টটি ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মানস চোখ । আগামী অর্থাৎ শেষ পর্বেও সাথে থাকার আমন্ত্রন রইলো ।
আমিও আশা করছি কম্বোডিয়া নিয়ে আরও কিছু লেখার ।
১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
সাহসী সন্তান বলেছেন: জুনাপু, ইতিহাসে ইতিহাসে ভরপুর একটা সুন্দর সাঁজানো পোস্ট! আজকের পোস্টের শিরনামটা দেখেই বুঝেছিলাম যে চমৎকার একটা ইতিহাস সমৃদ্ধ পোস্ট পড়তে যাচ্ছি। আর তাই প্রথমে ক্রলিং করে একেবারে নিচে এসে, আগে একটা লাইক দিয়ে তারপর পড়া শুরু করলাম।
তবে পোস্টের তথ্য সংবলিত ইতিহাস এবং তৎসংশ্লিষ্ট ছবি গুলো দেখে যতটা না আনন্দ পেয়েছি, তার থেকে বেশি কষ্ট লেগেছে কহিনীটা জানার পর! কত নিশংসতম বীভৎস কাহিনী আর তার ইতিহাস! সত্যিই গা শিউরে উঠার মত কাহিনী.........!!
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন আপু!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১
জুন বলেছেন: অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও ইতিহাসের কলংকজনক এক অধ্যায়ের কথা লিখতে গিয়ে অনেক খারাপ লেগেছিল সাহসী । তারপর ও চেয়েছি সবাই দেখুক আমার চোখে মানুষের হিংস্রতা যা আমরা দেখেছি শুনেছি আমাদের একাত্তরে ।
মন্তব্য ও সব সময় উৎসাহ দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সাহসী । আগামীতেও সাথে থাকার প্রত্যাশায় ।
১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০
সৌরভ মেজবাহ বলেছেন: বিভৎসতার চমৎকার উপস্থাপন।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সৌরভ মেজবাহ ।
আমার ব্লগে স্বাগতম জানাই আপনাকে । আগামীতেও সাথে থাকার প্রত্যাশায় ।
১৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: একটি হারানো বিজ্ঞপ্তিঃ- "ব্লগার জুনাপু আজ সকাল ১১:৩০ মিনিটে সামহোয়্যার ইন ব্লগে একটা পোস্ট করে সেই যে হারিয়ে গেছেন, তারপর থেকে তাকে আর ব্লগে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! যদি কোন স্বহৃদয়বান ব্যক্তি তার দেখা পান তাহলে দয়াকরে তাকে একটু বলবেন যে, তার নতুন পোস্টে এতক্ষন পর্যন্ত ১৭ টি মন্তব্যের কোন জবাব না পাওয়ায় ব্লগার সাহসী সন্তান বেশ টেনশনে আছে! সে যেন অনতি বিলম্বে ব্লগে ফিরে তার মন্তব্য গুলোর উত্তর দিয়ে যায়.......!!"
জুনাপুউউউউউউউউউউউউউ.............................আপনি কইইইইইইইই...........??
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
জুন বলেছেন: এই যে আমি সাহসী । কি করবো বলো ! পোষ্ট টি দেয়ার কিছুক্ষন পরেই সেই যে নেট আমাকে বের করে দিল । আর ঢুকতেই পারছিলাম না । পরে অনেক কায়দা কানুন করে , সাহায্য চেয়ে শেষ মেষ লগ হতে পারলাম । তারপর আসার পর বাসার পরে থাকা অনেক কাজ। বুঝতেই পারো ঘর কন্নার হাজারো কাজের ফাকে ফাকে সময় বের করে ব্লগিং । কত যে কষ্টের। শুধু হাবিজাবি লেখার বাসনা থেকেই এই অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বছর পাঁচেক ধরে ।
সাথে থেক আগামীতেও । অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ।
১৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক সময়ে ফিস ফিস করে নাবি কানকে বললাম ‘শোনো এমন অনেক দেশেই হয়েছে, আমাদের দেশে বুদ্ধিজীবিদের হত্যা, হিটলারের গ্যাস চেম্বারে ইহুদী হত্যা, হুতু টুটসী । আমাকে থামিয়ে দিয়ে সে আর্ত গলায় বলে উঠলো, ‘ইয়েস আই নো জুন , বাট দিস ইজ ডিফারেন্ট, হি, হি কিল্ড হিজ ওন পিপল’। ....
আমাদের চোখ তখন আদ্র হয়ে এসেছে। ঝাপসা চোখেই দেখে চলেছি শিশু কিশোরদের ছবিগুলো। এক নম্বর বন্দী হিসেবে চিনহিত এই ছোট বাচ্চাটি কি বুঝে রাজনীতির সেটাই ভাবছি ক্ষনে ক্ষনে।দেয়ালের ভেতর থেকে যেন আমাদের কানে ভেসে আসছিল সেই সব মৃত আত্মার করুন আর্তনাদ......
পলপটের এত অত্যাচারী চরিত্র- জানা ছিল না। ভয়াবহ ইতিহাসের স্বাক্ষী বানালেন্।
ধণ্যবাদ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১১
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ।
সামনের দিনগুলোতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
১৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩
সোহানী বলেছেন: মানুষ কিভাবে মানুষকে হত্যা করে.... মানুষ কিভাবে এমন করে নরপশু হয়ে যায়.... হত্যা রক্তের মাঝে কিভাবে আনন্দ খুজেঁ পায়.... ধিক্ তোমাকে হত্যাকারী, তুমি মানুষ নামের কলংক..........
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭
জুন বলেছেন: মানুষ কিভাবে মানুষকে হত্যা করে.... মানুষ কিভাবে এমন করে নরপশু হয়ে যায়.... হত্যা রক্তের মাঝে কিভাবে আনন্দ খুজেঁ পায়.... ধিক্ তোমাকে হত্যাকারী, তুমি মানুষ নামের কলংক..........
অসাধারন মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা । শুভকামনা রইলো অনেক সোহানী ।
২০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: মনভারী করে দিয়েছে ।
অনেক দারুণ লেখা । খুব ভাল লেগেছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯
জুন বলেছেন: আমারও মনটা ভার হয়ে গিয়েছিল দেখতে দেখতে কথাকথিকেথিকথন ।
ভালোলাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
২১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ওদের দেশের সর্বোচ্চ শাস্তি কি যাবজ্জীবন? এইসব অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ড হলেও কম হয় অবশ্য। একই ধরনের পরিবেশে নির্যাতন সহ জেল হওয়া উচিত। দেশের জনসংখ্যা যদি বিচারে নেন পৃথিবীতে এমন মাত্রার গনহত্যার নজি খুব কমই আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা তো বলেই দিয়েছে, "ওরা নিজের মানুষকে হত্যা করেছিলো।" ইতিহাসে আর এমন কোন নজির আছে নাকি এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি না। স্বল্প সময়ে নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষনের ইতিহাসে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, নানজিং ম্যাসাকার কিংবা রুয়ান্ডার তুতসী নিধনের ইতিহাসগুলো আসবে, তবে নিজের মানুষকে নিজেই মারছে এমন ইতিহাস কম্বোডিয়া ছাড়া আর কোন দেশের উদাহরন টানতে পারছি না।
এই গিতিহাসগুলো সবার জানা দরকার। মানবজাতির ইতিহাসের একটা বড় অংশ জুড়েই আছে এমন অনেক কালো অধ্যায়। ভবিষ্যতেও হবে এতেও কোন সন্দেহ নাই।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
জুন বলেছেন: আমি ও আপনার সাথে একমত শতদ্রু । আমারো মনে হয়েছিল শুধু মৃত্যুদন্ড নয় বা যাবজ্জীবন নয়। এমন পাশবিক নির্যাতন করে দিনের পর দিন বাচিয়ে রাখাটাই তাদের জন্য উপযুক্ত শাস্তি হতো ।
সেটাই কানের বক্তব্য ছিল যে সে তার নিজ দেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষকে মেরেছিল বিনা অপরাধে ।
সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ , আগামীতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
২২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
আবু শাকিল বলেছেন: নীচের ছবি গুলো দেখে মন নাড়া দিয়ে দিল । বীভৎস এক ইতিহাস জানলাম ।
ক্যাম্বোডিয়ায় বাসীর কাছে আর যেন পলপট না আসে।
শান্তিতে থাকুক ক্যাম্বোডিয়ার মানুষ।
ধন্যবাদ জুন আপু।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
জুন বলেছেন: কোন দেশেই যেন এমন পাষন্ড নিষ্ঠুর সৈরাচার সরকার না আসুক সেই প্রার্থনা রইলো আবু শাকিল ।
সব সময় সাথে থেকে উৎসাহ যুগিয়ে যাবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
শুভ কামনা নিরন্তর ।
২৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পড়ছি আর ভাবছি কিভাবে সম্ভব এভাবে মানুষ হয়ে মানুষকে অত্যাচার করা।
আমি এরচেয়েও ভয়াবহ অত্যাচারের ঐতিহাসিক জায়গা দেখেছি, অনেকটাই মিল অত্যাচারের ধরনের সাথে।
সেই জায়গা সেই মিউজিয়াম এর ছবি যাকেই দেখাই তারাও এসব দেখে আঁতকে উঠে । সময় করে এক সময় লিখব ব্লগে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
জুন বলেছেন: অবশ্যই লিখবেন ফেরদৌসা রুহী । আমাদের জানা উচিত এসব নৃশংস ইতিহাসের কথা যাতে ভবিষ্যতে এ থেকে মানুষ শিক্ষা নেয় ।
মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে । আগামীতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
২৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
আরজু পনি বলেছেন:
পড়তে পড়তে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছিলাম আর মন খারাপ হচ্ছিল !
নাবি কানের এই কথাটা খুব লাগলো...দিস ইজ ডিফারেন্ট, হি, হি কিল্ড হিজ ওন পিপল...কী নির্মম !
অসাধারণ শেয়ার, প্রিয় ব্লগার ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০০
জুন বলেছেন: আমারও দেখতে দেখতে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল পনি । আসলে এটাই ছিল মূল কথা । সে তার নিজের দেশের নিজ জাতির লক্ষ লক্ষ জনগনকে হত্যা করেছিল ।
সাথে থার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ , আগামীতেও সাথে থাকার প্রত্যাশায় ।
২৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ অগ্নি সারথি মন্তব্যের জন্য । পরবর্তী পর্বেও সাথে থাকবেন আশা করছি ।
শুভকামনা রইলো ।
২৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
এবারও একটি অনন্যসাধারন পোষ্ট । আপনার ভ্রমনজনিত পোষ্টের সাথে ইতিহাস থেকেও আপনি পাঠককে ভ্রমন করিয়ে আনেন যা সচরাচর দেখা যায়না । আপনার ইতিহাস বর্ণনাও সবচেয়ে ব্যতিক্রম । বইয়ের পাতা থেকে নয় , নিজের চোখে দেখা থেকে ইতিহাস সৃষ্টি করেন ।
এ লেখাটি একটি অনবদ্য ব্যতিক্রম । খেমার রুজ বাহিনীর নির্মমতার শিকার হয়ে একবুক কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকা একটি মুখ থেকে কথা নিয়ে ইতিহাস তুলে আনলেন । নাবি কানের এই কাহিনী পাঠককে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট ।
আবারো দেখা হলে তাকে বলবেন, তোমার মতোই কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছে বাঙলার অসংখ্য মানুষ । সে মানুষেরা তোমার ব্যথায় সমব্যথী । সে মানুষেরাও তোমার মতো প্রতিটি নরাধম পাষন্ডের বিচারের অপেক্ষায় .........
আপনার দূর্লভ এক সৌভাগ্য যে , সব হারানো চৌ মে'র সাথে আপনি কথা বলেছেন । ইতিহাসের এক চরিত্রের সাথে কিছুটা সময় কাটানোকে দূর্লভই বলতে হয় ।
ছবিসহ পোষ্টটিতে +++++++++
রাতের শুভেচ্ছা ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস বরাবরের মত এক ব্যতিক্রমী মন্তব্যের জন্য ।আমার ভ্রমন পোষ্টে আমি বরাবরই চেষ্টা করি আমার পাঠকদের সামনে সামান্য কিছুটা ইতিহাস তুলে ধরতে । শুধু এই দেখলাম সেই দেখলাম মার্কা যেন না হয় ।
হ্য চৌ মের সাথে হাত মেলানো/ কথা বলা যদিও দোভাষীর মাধ্যমে তা আমার জীবনের এক বিরল অভিজ্ঞতা ।
আপনার জন্যও রইলো প্রান ঢালা শুভকামনা যাতে সব কিছুতেই সফল হয়ে উঠেন ।
২৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওফফ!! কি নিষ্টুরতা!! আদর্শ প্রতিষ্ঠার নামে এইসব নৃশংসতা কোন দেশ বাকি নেই মনে হয়........... মনের আকাশে একটি কালো মেঘের ভেলা যেন এসে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে আপু!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২
জুন বলেছেন: আমি চাইনি কাউকে ভারাক্রান্ত করতে গেম চেঞ্জার তারপর ও মনে হলো আমাদের দেশের নৃশংস গনহত্যার ইতিহাসের মতই আরেকটি দেশে ঘটে যাওয়া ঘৃন্য এক গনহত্যার ইতিহাস সবাই জানুক ।
সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ , আগামীতেও সাথে থাকার প্রত্যাশায় ।
২৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৩
কোলড বলেছেন: Polpot was never in house arrest. Please correct this statement.
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
জুন বলেছেন: জনাব কোলড অসংখ্য ধন্যবাদ ভুলটি ধরিয়ে দেবার জন্য । ক্যম্বোডিয়ায় ঘোরাঘুরির মাঝে খুব তাড়াহুড়ো করে লেখা, এবং যাচাই করার সুযোগ না থাকায় । তারপর কাল পোষ্ট পাবলিশ করার পর পরই রাত ৮টা পর্যন্ত নেটে ঢুকতে না পারার কারনে ভুল ত্রুটি ধরতেও পারছিলাম না ।
শুদ্ধ করে দিয়েছি ।
২৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ইতিহাসে যে কত বীভৎসতা লুকিয়ে আছে, তার কতটুকুই বা আমরা জানি। আর কোন ইতিহাস যেন এমন পাশবিক না হয়।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
জুন বলেছেন: আমরা বইতে পড়তাম ইতিহাস পড়ার সব চেয়ে প্রধান কারন হলো মানুষ যেন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় ।
কিন্ত এর প্রমান আজ পর্যন্ত পাই নি । শিক্ষা নিলে একই ঘটনার পুনারাবৃত্তি হতো না মাহবুবুল আজাদ ।
সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৩০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
সুলতানা রহমান বলেছেন: কি ভয়াবহ!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
জুন বলেছেন: সত্যি ভয়াবহ সুলতানা রহমান । সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "অামাকে থামিয়ে দিয়ে সে আর্ত গলায় বলে উঠলো, ‘ইয়েস আই নো জুন , বাট দিস ইজ ডিফারেন্ট, হি, হি কিল্ড হিজ ওন পিপল’।" অারো একটা গণহত্যার কাহিনী পড়লাম । বুঝতে পারছি না, পলপট মানসিক রোগী ছিলো কিনা । নিজের মানুষকে কি কেউ এমনভাবে মারে? পলপটের কি স্বজাতির প্রতি ক্ষোভ ছিলো? সে জন্যই কি এতটা রূঢ় হয়েছিলো? ও যতটা নির্মম হয়েছিলো, অামাদের স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার তথা মুক্তিযোদ্ধাদের ততটা নির্মম হওয়া উচিত ছিলো রাজাকারদের প্রতি । তাহলে অার এত বছর পরে বিচার করতে হতো না, এত বিভক্তিও অাসতো না; রাজাকাররা বংশধরও বাড়াতে পারতো না ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
জুন বলেছেন: জানিনা পলপট মানসিক রোগী ছিল কি না । তবে একটি ইউটোপিয়ান সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য তার এই উন্মাদনা মানসিক রোগের কথাই মনে করিয়ে দেয় রূপক বিধৌত সাধু ।
ও যতটা নির্মম হয়েছিলো, অামাদের স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার তথা মুক্তিযোদ্ধাদের ততটা নির্মম হওয়া উচিত ছিলো রাজাকারদের প্রতি । তাহলে অার এত বছর পরে বিচার করতে হতো না, এত বিভক্তিও অাসতো না; রাজাকাররা বংশধরও বাড়াতে পারতো না ।
এটা আপনি ঠিক বলেছেন শতভাগ । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । আগামীতে সাথে থাকার প্রত্যাশায় ।
৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫
লেখোয়াড়. বলেছেন:
কি বলবো জুনাপা।
অসম্ভব সুন্দর লেখার পোস্ট।
স্যালুট!!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ লেখোয়াড় দীর্ঘদিন ধরে উৎসাহ যুগিয়ে যাবার জন্য ।
আগামীতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
৩৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: একরাশ কৌতুল নিয়ে প্রবেশ করলাম আপনার ভ্রমণ পোস্টেঃ
//কুখ্যাত তোল স্লেং ক্যম্বোডয়ার রাজধানী নমপেন শহরের মাঝে একটি স্কুল ।কিশোর বালকের কল কাকলিতে যার মুখরিত থাকার কথা । সে কেন কবরের নৈঃশব্দ নিয়ে চুপচাপ হয়ে আছে ?//
তারপর নাবি কানের হাত ধরে পলপটের ইতিহাসের চাকা ঘুরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের লোমহর্ষক ছবি গুলো লেখকের সাথে সাথে খুব কাছ থেকে দেখা হলো-অবাক বিস্ময়ে উপলব্ধি করলাম ভ্রান্ত আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য নিজের দেশের লোকের প্রতি অকল্পনীয় নিষ্ঠুরতার।
খুব দরদ দিয়ে না দেখলে এভাবে বলা যায় নাঃ
//লাল রক্তের দাগ শুকিয়ে আছে কোন কোন ছোট ছোট কুঠুরীর মেঝেতে, চোখের পানি দেখি নি কোথাও, হয়তো সেই অমানুষিক নির্যাতনে শুকিয়ে গিয়েছিল তাদের চোখের জল। কিন্ত আমাদের চোখ তখন আদ্র হয়ে এসেছে। ঝাপসা চোখেই দেখে চলেছি শিশু কিশোরদের ছবিগুলো।//
আপনার মত নাবি কানের প্রতি রইল আমারও একরাশ শুভকামনাঃ
//বের হয়ে আসতে আসতে ভাবছিলাম আজ যদি কোন প্রফেশনাল গাইডের সাথে কুখ্যাত এস-২১ এ আসতাম তবে হয়তো তার সযত্ন চর্চিত গলায় শুনতে পেতাম এর গৎবাধা এক ইতিহাস । কিন্ত নাবি কানের সাথে আসার ফলে মনে হলো ইতিহাসের সেই সময়টিকেই যেন ধারন করছি আমরা , এবং সেই দুঃখভারাক্রান্ত অনুভূতির কিছুটা যা কান ধারন করে আছে হৃদয়ে।//
ভ্রমণের পাতা থেকে ইতিহাসের পাতায় আপনার সাবলীল পদচারণায় অনবদ্য একটি পোস্ট, মনে থাকবে অনেকদিন।
ভাল থাকুন। সবসময়।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
জুন বলেছেন: জানিনা আপনার কৌতুহল মেটাতে পেরেছি কি না শামসুল ইসলাম । তবে চেষ্টা করছি ব্লগের ছোট্ট পরিসরে আমি যা জানি সেটুকু তুলে ধরতে। আপনার ব্লগ জীবনের প্রথম থেকেই আমার লেখায় আপনার মনযোগী পাঠ আর অনুপ্রানিত মন্তব্যগুলো আরো উৎসাহী করে তুলেছে আমাকে লেখায় , যা মাঝে ঝিমিয়ে পরেছিল হয়তো বা । অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনিও ভালো থাকুন আর আগামীতেও সাথে থাকুন সেই প্রত্যাশায় ।
৩৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কি জঘন্য কি ভয়াবহ পলপট ইতিহাস। জুন আপা আপনার লেখাটি অসাধারণ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬
জুন বলেছেন: এমন ভয়াবহ এবং জঘন্য ইতিহাস আমাদের ও রয়েছে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় আমি ময়ুরাক্ষী । তবে অনেকের কাছে হয়তো বা এই ইতিহাস অজানা তাই শেয়ার করার এক তাগিদ বোধ করলাম । আপনাদের ভালোলেগেছে জেনে কৃতজ্ঞ ।
শুভকামনা ও আগামীতে সাথে থাকবেন সেই আশা রইলো ।
৩৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: পুরোটা পড়লাম ।
এইরকম আরও অজানা তথ্য আপনার কাছ থেকে আশা করি আপু
আপনার মাধ্যমে ভিনদেশের অনেক কিছু জানা হল ।
আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমাদের দেশের মানুষের কথাগুলো বারবার মনে পরছিল ।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কত মানুষ কষ্ট পাইছে
শুভেচ্ছা রইল
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯
জুন বলেছেন: পুরোটা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ নাজমুল হাসান মজুমদার । আমাদের দেশের মুক্তিকামী যোদ্ধারা ছাড়াও কত নিরপরাধ মানুষ বলি হয়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে সে কথা মনে হলে মনটা ভারী হয়ে উঠে ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্যও ।
৩৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বিভৎস ইতিহাস, পড়ে শরীর শিউড়ে ওঠে
ধন্যবাদ এই ইতিহাস শেয়ার করার জন্য।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬
জুন বলেছেন: অনেক দেশেই রয়েছে এমন ইতিহাস এমন অনেক নির্যাতন কেন্দ্র যার খোজ আমরা রাখি না বোকা মানুষ । যেমন শুনেছিলাম ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের ছেলে উদের টর্চার চেম্বারের কথা । তাদের ফুটবল কোন প্রতিযোগীতায় জানি জিততে পারেনি তার জন্য সেই সব প্লেয়ারদের উপর অকথ্য নির্যাতনের করুন কাহিনী শুনে হতবাক হয়েছিলাম ।
তবে নাবি কানের ভাষায় একটি রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজ দেশের এতগুলো মানুষ হত্যা আর কোথাও ঘটে নি ।
সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ , আগামীতেও থাকবেন আশা করি ।
৩৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: পুরোটা পড়লাম। ভিনদেশের অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ জুন আপা।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮
জুন বলেছেন: ভিন দেশের কিছু ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারছি সে শুধু আপনাদের কল্যানেই প্রামানিক ভাই । আপনাদের উৎসাহ না পেলে এটা কখনো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না । আগামীতেও সাথে থাকার প্রত্যাশা নিয়ে ।
৩৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: পড়তে পড়তে হাত দু'টো অজান্তেই মুষ্ঠিবদ্ধ হয়ে ওঠছিল। শালা পলপট...
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
জুন বলেছেন: সত্যি কি অকারন মৃত্যু দেশে দেশে সুপান্থ সুরাহী । ভাবতেও মনটা খারাপ হয়ে যায় ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । সাথে থাকুন আগামীতেও ।
৩৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পলপটের উত্থানটা ছিল রোমাঞ্চকর !
ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে সে ছিল এক বর্বর পশু ।
হতে পারে সে মানসিক বিকারগ্রস্ত , কিন্তু তার পুরো প্রশাসন এমন হয় কিভাবে ?
যারা ৩০ লক্ষ স্বজাতির মৃত্যুর কারন হয়েছিল ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪
জুন বলেছেন: বিশুদ্ধ এক জাতি ও শ্রেনী সৃষ্টির উদ্ভট পরিকল্পনাই তাকে এমন উন্মত্ত করে তুলেছিল মনে হয় গিয়াস লিটন । পোষ্ট পড়া আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ , সাথে থাকুন শেষ পর্বে , তবে সেটা হবে মুলত একটি ছবি ব্লগ ।
৪০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৬
জুন বলেছেন: ধীর গতির নেটের কারনে সবার মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরীর জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ।
৪১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: ও..............
আমি তো ভাবলাম আপনি ১৫ কিলোমিটার দূরে এক বধ্যভুমিতে হারিয়ে গিয়েছেন। আমি আপনাকে গুগল ম্যাপে সার্চ করছিলাম।
গুগল ম্যাপ ভালো না। আমি একটা সার্চ ইঞ্জিনরে চিন্তা করছি। নামও পেয়েছি- "বাটি চালান সার্চ ইঞ্জিন"
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫
জুন বলেছেন: না হারাই নি , নেট হারিয়ে গিয়েছিল রাতুল । খোজ নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৪২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮
রাবার বলেছেন: ভয়ংকর এক ইতিহাসের সাক্ষী আপনি,
++++
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১
জুন বলেছেন: নিজের দেশ ছাড়াও অন্য একটি দেশের গনহত্যার নৃশংস চিত্র দেখার দুর্ভাগ্য রাবার ।
মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শভেচ্ছা ।
৪৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: শত ব্যস্ততার মাঝেও যে আপনি ব্লগে সময় দিচ্ছেন, আমাদের কে এমন সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখার সৌভাগ্য প্রদান করছেন, সেটাই বা কম কি? ইতিহাসের পাতায় চেঙ্গিচ খানের নাম পড়ছিলাম, আর আপনার ব্লগের পাতায় পড়লাম পলপটের নাম! আসলেই একটা হৃদয় বিদারক ইতিহাস!
আপু, পিসি দিয়ে কিন্তু আমার ব্লগে ঢুকতে কোন সমস্যা হচ্ছে না? আপনি প্রয়োজনে ব্রাউজারের হিস্টরি এবং কুকিটা রিফ্রেস করে নেন! দেখেন ঐ গুলো করার পর ব্রাউজার অনেকটাই ফাস্ট হয়ে যাবে! মনে আছে তো কিভাবে কুকি রিফ্রেস করতে হয়? যদি না থাকে তবে গেম ভাইয়ের ঐ.......... সেই পোস্টটা একবার দেখে আসতে পারেন!
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৫
জুন বলেছেন: কিউবি চালু হওয়ার পর থেকে আমরা তার কাস্টমার । বাসায় রাউটার দিয়ে সবাই ইউজ করি । কয়েকদিন একটু ডিস্টার্ব দিচ্ছিল এতে কিউবি বন্ধ করে ল্যান কালেকশন আনা হয় । তাতে দুই দিন ভালো থেকে যে কে সেই । তবে ওটা দিয়ে সামু ছাড়া আর সব জায়গাতেই ঢুকতে পারছিলাম । সামুর জন্য আমি আবার আলাদা করে কিউবির কানেকশন নিয়েছি । আপাতত এখন পর্যন্ত কোন প্রব নেই সাহসী ।
আমার দুঃখে সমব্যাথি হওয়ার জন্য প্লাস দিলাম একটা ।
৪৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১
চোখের কাঁটা বলেছেন: এইটা কেমন ইতিহাস আপু? এতটা হৃদয় বিদারক.......!! প্রচন্ড কষ্ট রেখে গেলাম! তবে পোস্ট সহ প্রত্যেকটা ছবি এবং ঝরঝরে লেখা অসাধারন!
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০
জুন বলেছেন: এমন ইতিহাস পৃথিবীর বহু দেশেই যুগে যুগে ঘটেছে চোখের কাটা । তবে সেদেশের জনগনের রাগ ক্ষোভ আর দুঃখ হলো তাদের নিজেদের লোকেরাই তাদের হত্যা করেছে এবং সংখ্যায় সে দেশে জনগনের এক তৃতীয়াংশ ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আগামীতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
৪৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: তাহলে বুঝেন, আপনাকে সার্চ করতে করতে, নেট নিজেই হারিয়ে গিয়েছে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
জুন বলেছেন: সেটাই রাতুল
৪৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: সাহসী সন্তান বলেছেন: শত ব্যস্ততার মাঝেও যে আপনি ব্লগে সময় দিচ্ছেন, আমাদের কে এমন সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখার সৌভাগ্য প্রদান করছেন,
ঘটনা কিন্তু সত্য। এই ব্যাপারটা ভাবলে আসলেই খুব ভালো লাগে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭
জুন বলেছেন: আমার সমস্যাটি বুঝতে পারার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রাতুল
৪৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: যেদিন লেখাটা পোস্ট করেছিলেন, সেদিন থেকেই ভাবছিলাম, আপনার এই কষ্ট করে লেখার মূল্য দিতে যথেষ্ট সময় নিয়ে আপনার লেখাটা পড়বো। তাই করলাম, কিন্তু সে সুযোগটা পেতে একটু দেরীই হয়ে গেলো।
'হি কিল্ড হিজ ওন পিপল’ -- soliloquy of a genocide witness!
এরপর গত তিরিশ বছর ধরে দেশের ভেতর আর বাইরে থেকে এই নারকীয় গনহত্যাযজ্ঞ পরিচালনাকারীদের বিচারের জোর দাবী উঠছিল। কিন্ত কেন জানি তা কার্যকর হচ্ছিল না -- কেন জানি এই সব জানোয়ারদের বিচার যখন সময়ের দাবী, প্রকৃতির দাবী, তখনই এদের সমর্থনে দেশী বিদেশী চরেরা এদের বাঁচাতে নতুন নতুন কৌশল খুঁজে বেড়ায়।
তবে মৃত্যুর আগে সে বলেছে এই গনহত্যার বিষয়ে তার কোন ধারনা ছিল না। -- ওয়াট আ জোক!
তার কথা হলো সে মানুষ হত্যার জন্য দায়ী নয়, তার দায় হলো এই সব লক্ষ লক্ষ মানুষকে পাইকারী ভাবে হত্যার হাত থেকে রক্ষা করার ব্যর্থতা -- একজন জঘন্য অপরাধীর আত্মরক্ষার ডিফেন্স মেকানিজম।
কারন এসব নির্যাতন সে তার নিজের ইচ্ছেয় করে নি, করেছে আংকার নির্দেশে -- বিচারের সময় এরা এ ধরনের কথাই বলে থাকে।
তাঁর স্বাক্ষরসহ সেই অমুল্য বইটি কেনার এবং তার সাথে বসে কিছু আন্তরিক মুহুর্ত কাটানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছিল এই ভ্রমনে -- সত্যিই, এ এক দূর্লভ সম্পদ, এক মহা দূর্লভ অভিজ্ঞতা!
মানুষের মত হিংস্র প্রানী জগতে আর একটিও নেই (১উঃ) -- আমারও ঠিক তাই মনে হয় জুন, এটা একদম সত্যি কথা।
পল পট আর তার দোসরদের বিচার কার্যটা ঠিকমত করা গেলোনা, এ কথা মনে হলেই পীড়িত বোধ করি। আপনার এই অসাধারণ, ইতিহাস তুলে ধরা পোস্ট আর কষ্ট করে তোলা অমূল্য চিত্রসম্ভার শেয়ার করার জন্য অভিবাদন জানাচ্ছি। +
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫
জুন বলেছেন: বর্তমানে আমার লেখার নিয়মিত পাঠকের মাঝে আপনি একজন খায়রুল আহসান । আপনাকে না দেখে ভেবেছি হয়তো কোন ব্যক্তিগত সমস্যা অথবা আমার মত নেটের সমস্যা নিয়ে আছেন ।
যাই হোক অত্যন্ত্য মনযোগ দিয়ে যে এই বিশাল লেখাটি পড়েছেন তা আপনার মন্তব্য দেখেই বুঝেছি । যদিও আমি একজন নরম মনের মানুষ, হত্যা, নির্যাতন আমি কখনো পছন্দ করিনা । তারপর ও মনে হয়েছিল পলপট সহ বাকিরা আমৃত্যু যে এমন নির্যাতনের মধ্যেই জীবনভোর থাকে এমন শাস্তি হোক । তারা যেন অনুভব করতে পারে সে পৈশাচিক শাস্তির কষ্ট।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো। আগামীতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় রইলাম । শুভকামনা জানবেন ।
৪৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১
শ।মসীর বলেছেন: পলপটের ইতিহাস পড়ব পড়ব করেও উইকিতে পড়া হয়ে উঠেনি, আজকে পড়া হয়ে গেল........।
সমাজতন্ত্র মানুষের মাঝে সাম্যতা এনে দিবে বলে যারা গলাবাজি করে জানিনা পলপট নিয়ে তাদের ভাবনা কি ??
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
জুন বলেছেন: সমাজতন্ত্র মানুষের মাঝে সাম্যতা এনে দিবে বলে যারা গলাবাজি করে জানিনা পলপট নিয়ে তাদের ভাবনা কি
ক্যম্বোডিয়ায় সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার ভয়াবহ রূপ দেখে আমি স্তম্ভিত শামসীর ।
পলপট সম্পর্কে কিছুটা জানতে পারে তারই জন্য আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস । জানিনা কতটুকু সফল । তারপর ও আমার মনে রাখার খেরোখাতায় লিখে রাখছি যাতে নিজেই ভুলে না যাই ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইলো ।
৪৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনি অনেক দেশ ঘুরেছেন, ইতিহাস জেনেছেন। এই সব নিয়ে একটি বই তো বের করতে পারেন।
৫০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে না দেখে ভেবেছি হয়তো কোন ব্যক্তিগত সমস্যা অথবা আমার মত নেটের সমস্যা নিয়ে আছেন -- আমি আসলে আপনার সামনের দিকের লেখাগুলোতে না আসলেও পেছনেরগুলোতে ছিলাম। এই যেমন অভিনব চাইনিজ প্রতারণা, যানযট সমাচার, ঢাকা থেকে রোম, ইত্যাদি।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
জুন বলেছেন: ভাই খায়রুল আহসান সমস্যাটা হলো এই যে সাম্প্রতিক গুলো ছাড়া পুরনো লেখায় মন্তব্য করলে কোন ধরনের নোটিফিকেশনই আসেনা ।
তাই বুঝতে পারিনা । দুঃখিত
৫১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১
প্রামানিক বলেছেন: জুন আপা, আমি আশ্চার্য হয়েছি খায়রুল ভাই আমার সর্ব প্রথম যে পোষ্ট করেছিলাম সেটাতে তিনি মন্তব্য করেছেন। এই পোষ্ট ২০১১ সালে করা ছিল, তাতে কোন মন্তব্য ছিল না, খায়রুল ভাই প্রথম মন্তব্য করেছেন। মন্তব্য দেখে আমি তো আশ্চার্য হয়েছি।
পুরানো পোষ্টে মন্তব্যের জবাব দিতে আপনি ব্লগ ইনফরমেশন প্যানেলে গিয়ে--- অদেখা মন্তব্যতে ক্লিক করলে যে যে পোষ্টে মন্তব্য আছে তা দেখতে পাবেন ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
জুন বলেছেন: আমিও খায়রুল আহসান ভাই এর প্রতি কৃতজ্ঞ যে উনি আমার সমস্ত পুরনো পোষ্টগুলো পড়ছেন এবং সুচিন্তিত মতামত রেখে আসছেন ।
এখন প্রশ্ন হলো ব্লগ ইনফরমেশন প্যানেলটা কোথায় ? কোথায় গেলে পাওয়া যাবে তাকে একটু কষ্ট করে জানান প্রামানিক ভাই ।
৫২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: সেটা আমি এখন জানি এবং বুঝিও, জুন। তাই কোন সমস্যাই নেই এতে। নিজের আনন্দেই পড়ি, নিজের আনন্দেই কিছু কথা রেখে আসি। লেখক যদি কোনদিন সেটা পড়েন, তবে জবাব দিলেও দিতে পারেন, নাও পারেন। আর সে জবাব আমার চোখে পড়লেও পড়তে পারে, আবার নাও পারে, কারণ জবাবেরও কোন নোটিফিকেশন হয়না। এতে কোন সমস্যা নেই, তাই দুঃখিতও হবেন না।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
জুন বলেছেন: না আসলে লজ্জাও লাগে খায়রুল আহসান, আপনি খুজে খুজে আমার পুরনো লেখাগুলো পড়ে মুল্যবান মন্তব্যগুলো রেখে আসছেন কিন্ত তা আমার চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে । আমি তার প্রতি উত্তর দিচ্ছি না এটাও তো কেমন লাগে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আবার এসেছেন বলে ।
৫৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬
পুলহ বলেছেন: এই ইতিহাস ভাসা ভাসা জানতাম, আপনার পোস্ট থেকে বিস্তারিত জানতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ আপু !
প্রার্থনা করি- এইরকম একটা দুঃখের পোস্টকে কাটাকাটি করার জন্য আপনি যেনো আনন্দের কোন মিউজিয়াম/ জায়গা ঘুরে আসতে পারেন (ডিজনিল্যান্ড টাইপ); কামনা করি- একটা তোল স্লেং/ এস-২১ এর বদলে যেনো এই পৃথিবীতেই জন্ম নেয় একশটা ডিজনিল্যান্ড
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে আনন্দময় ভ্রমনের আশা প্রকাশ করার জন্য আরেকদফা ধন্যবাদ পুলহ ।
৫৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
অদ্বিতীয়া সিমু বলেছেন: ++++++++ U r simply wonder and magic ....many many thanks for this post...very touching story...really sadden...
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪২
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অদ্বিতীয়া সিমু আন্তরিক এক মন্তব্যের জন্য ।
৫৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেখছি এবং মিলাচ্ছি।। তবু মনের অন্দরে টোকা দিয়ে যাওয়া।।
আপনার এটিই ভাল লাগে যে, যেখানেই যান না কেন ফুটিয়ে তুলেন সেখানকার ইতিহাস।। মাঝখান থেকে পাঠকরা জানতে পারে অনেক অজানা তথ্য।।
ভাল থেকে এভাবেই লিখে যান এই কামনায়।।
বিঃদ্রঃ হিংসা কিন্তু না কমে পারদের মাত্রা বাড়িয়েই যাচ্ছে!!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩
জুন বলেছেন: বরাবরের মতই সুচিন্তিত এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী ।
দোয়া করবেন সকল হিংসাকে পিছে ফেলে যেন এগিয়ে যেতে পারি এই ব্লগ ভুবনে
শুভেচ্ছা জানবেন আর আগামীতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
বিশেষ করে এর ২য় পর্ব হয়তো আজ অথবা কাল আসবে সেটা দেখে মত প্রকাশের অনুরোধ রইলো ।
৫৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: কী ভয়ংকর !!!!
পড়তে পড়তে কী যে কষ্ট হচ্ছিল, শুধু দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই দেবার নেই!!!
ভাল থাকবেন আপু!!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
জুন বলেছেন: আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকুন কামরুন্নাহার বিথী । মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এর শেষ পর্বটি দেখার আমন্ত্রন রইলো ।
৫৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: জুনাপু, কেমন আছেন? কোন খবর বাদ নাই? আপনার নতুন পোস্টের অপেক্ষায় আছি কিন্তু.........??
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০
জুন বলেছেন: দিলাম তো সাহসী । দেখো নি !
আছি মোটামুটি এক রকম ।
৫৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কোন মন্তব্য করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ... আপনার মাধ্যমে অনেক অজানা ইতিহাস জানলাম।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
জুন বলেছেন: কোন মন্তব্য করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি
.জহির একথা শোনার পর আমিও উত্তর দেবার ভাষা হাতড়ে বেড়াচ্ছি । অনেক অনেক শুভকামনা সবার জন্য । সাথে থাকার প্রত্যাশায় ।
৫৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
এহসান সাবির বলেছেন: ছবি আর ইতিহাস কথা কয়.......
ভালো লাগা আপু।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
জুন বলেছেন: ভালোলাগার কথা শুনে অনেক ভালোলাগলো এহসান সাবির।
৬০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
মশিকুর বলেছেন:
আপনার ভ্রমন ব্লগের ভাল একটা দিক হল ইতিহাসটা খুব ভাল ভাবে উঠে আসে। মন ভারী করা পোস্ট
ভাল থাকুন
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৩
জুন বলেছেন: আমি যে ইতিহাসের ছাত্রী ছিলাম একথাটি ভুলতেই পারি না কেন জানি
যাইহোক পোষ্ট পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ মশিকুর। ভালো থাকুন আপনিও।
৬১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
আহলান বলেছেন: আহ! কি বিভৎস!!
১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আহলান এই নৃশংস নির্যাতনের স্থানটি দেখার জন্য ।
এখানে ২য় পর্বের লিংক যোগ করে দিলাম দেখতে পারেন সময় হলে। , ওটা মুলত ছবি ব্লগ , সেখানে রয়েছে বিভৎসতার সব মর্মান্তিক চিনহগুলো ।
৬২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: জুন আপু,
আপনি এতো গুণী লেখক কিন্তু এই প্রতিভাটি অনেক দিন পর চিনতে হলো আমি নতুন মানুষ কেমনে চিনি কোন ব্লগার কেমন লেখেন? আপনি যে সুপারস্টার তা আজই জানতে পেলাম। পলপটকে নিয়ে আপনার লেখাটি ইউনিক হয়েছে। সময় করে আপনার বাকী লেখাগুলো পড়বো। সরণে নিলাম।
আর আপনার লেখার সাথে আমিও লকিছু যোগ করি,
ইল
স্বাস্থ্য
বিজ্ঞান প্রযুক্তি
ফিচার
প্রবাস
অন্যান্য
বিশ্বজুড়ে খেমার রুজের গণহত্যা
খেমার রুজের গণহত্যা
বিশ্বজুড়ে ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ বুধবার, ১০:৫৭ এএম
খেমার রুজের গণহত্যা
খেমার রুজ বলতে কম্বোডিয়ার কমিউনিস্ট গেরিলাদের বোঝায়। রুজ একটি ফরাসী শব্দ। এর অর্থ লাল। সুতরাং খেমার রুজ শব্দের অর্থ লাল খেমার। স্বাধীনতাউত্তর কম্বোডিয়ার প্রথম শাসক ছিলেন প্রিন্স নরোদম সিহানুক। তিনিই কম্বোডিয়ার কমিউনিস্ট গেরিলাদের “লাল খেমার” নাম দিয়েছিলেন।
ষাটের দশকে এই খেমাররা কম্বোডিয়ান ক্ষমতা দখলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। ১৯৭৫ সালের ১৭ এপ্রিল খেমার রুজ গেরিলারা কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন দখল করতে সফল হয়। তখন খেমার রুজ গেরিলাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পলপট। নমপেন দখল করার পরে পলপট সরকার কম্বোডিয়ার নামকরণ করে “ডেমোক্রেটিক কাম্পুচিয়া”। তারপর খেমার রুজ গেরিলারা ভয়ঙ্কর এক হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়।
যে গণহত্যা চলাকালীন সময়ে নমপেন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা মেকঙ নদীটার জল হয়ে উঠেছিল রক্তাক্ত।
খেমার রুজ গেরিলাদের প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল নমপেনবাসীর ওপর। কারণ তাদের ধারণা ছিল নমপেনবাসীরা আমেরিকান কালচারে আসক্ত। তাই খেমার রুজ গেরিলারা নমপেনবাসীর নাম দিয়েছিল “মেকঙ নদীর বেশ্যা।”
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯। অসংখ্য নির্যাতনকেন্দ্র ও বধ্যভূমি গড়ে উঠেছিল কম্বোডিয়া জুড়ে। প্রায় প্রতিদিনই হাজার হাজার লোককে মেরে ফেলা হত। ১৯৭৫ সালে কম্বোডিয়ার জনসংখ্যা ছিল ৭০ লক্ষ। যার মধ্যে ৩০ লক্ষই নিহত হয়েছিল খেমার রুজ গেরিলাদের পরিচালিত নির্মম গণহত্যায়।
খেমাররা লোকজনদের অস্ত্রের মুখে কোনও নির্জন স্থানে নিয়ে যেত। তারপর কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে রড দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলত। খেমার রুজ গেরিলার অনেক খুনিরাই ছিল কিশোর। খেমার রুজরা এসব কিশোরদের ডাবের পানিতে রক্ত মিশিয়ে খাইয়ে খুন করতে বাধ্য করত।
১৯৭৮ সালে ভিয়েতনামী সৈন্যরা কম্বোডিয়ায় অনুপ্রবেশ করে। ১৯৭৯ সালে অপ্রতিরোধ্য ভিয়েতনামী সৈন্যরা নমপেন দখল করার আগেই পলপটসহ খেমার রুজ গেরিলারা পালিয়ে যায়। কম্বোডিয়ায় ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনামের আংশিক শাসন বলবৎ ছিল। থাইকম্বোডিয়া সীমান্তের কাছে গহীন অরণ্যে একটি কাঠের বাড়িতে ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাসে পলপটের মৃত্যু হয়। পলপটের মৃত্যুর পর বাকী খেমাররুজ গেরিলারা আত্মসমর্থন করে।
১৯৯১ সালে প্যারিস শান্তি চুক্তির মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন দলের আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে শাসনতান্ত্রিক রাজতন্ত্র, কোয়ালিশন সরকার ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে কম্বোডিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসে।
০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
জুন বলেছেন: কাউসার চৌধুরী আপনার তুলনা আপনিই । আপনার মন্তব্যেই বোঝা যায় কত গভীর মনযোগী পাঠক আপনি সাথে রয়েছে আপনার অগাধ পান্ডিত্য যা আপনার কয়েক ছত্র লেখাতেই ফুটে উঠেছে । তবে এখানে আমি কোন জার্নাল বা অন্যান্য তথ্য সুত্র খুব কমই ব্যবহার করেছি। এখানের লেখার বেশির ভাগই আমাদের সফর সঙ্গী নাবি কান ও দেয়ালে লাগানো বিভিন্ন তথ্য ও শেষ জীবিত ব্যক্তির কাছ থেকে শোনা ।
আপনার দেয়া তথ্য আমার পোস্টের সৌন্দর্য্য অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো ।
আপনি কি এর দ্বীতিয় পর্বটি পড়েছেন কাউসার চৌধুরী ? যার লিংক এই পোস্টের নীচে দেয়া আছে । সেটাতেো আপনি দেখতে পাবেন কিছু গুরুত্বপুর্ন ছবি ।
৬৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, দ্বিতীয় পর্বটা পড়বো। আজ থেকে তিন চারদিন একটু বিজি থাকবো। এজন্য ব্লগে হয়তো আসতে পারবো না। ফ্রি হয়ে আপনার অনেক লেখাই পড়বো।
০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫
জুন বলেছেন: আপনার যখন সময় বা ইচ্ছে হবে তখন পড়বেন কাওসার চৌধুরী । আমি জোর করছি না । দ্বিতীয় পর্বটি মুলত ছবি ব্লগ সাথে সামান্য তথ্য যা এই পোস্টকে সমাপ্তি দিয়েছে । আপনি গনহত্যা নিয়ে লিখেছেন তাই দেখতে বলেছিলাম। আর না পড়লেও কোন সমস্যা নেই
৬৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: পুরোটা পরে পড়ব। + দিলাম আপাতত । কাজ আছে
০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
জুন বলেছেন: রিফাত হোসেন বলেছেন: পুরোটা পরে পড়ব। + দিলাম আপাতত । কাজ আছে
প্লাস দিলাম
পড়বেন রিফাত হোসেন এই প্রত্যাশায় । অনেক অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালোলাগলো ।
ধন্যবাদ ।
৬৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: ভয়ঙ্কর বীভৎস, পৈচাশিক এক ইতিহাস জানলাম আপনার লেখাটা পড়ে। কি দারুন সুন্দরভাবে বর্ননা করেছেন।
এ বিষয়ে আমি একেবারেই কম জানতাম।
পৃথিবীতে সবখানেই কিছু পিশাচ স্বৈরশাসক এভাবে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে যুগের পর যুগ।
কিন্তু আমি বুঝিনা 'কার্ল মার্ক্স' এর অনুসারিরা তর লেখায় কি এমন তত্ত্ব খুঁজে পেয়েছিল যার কারনে যেখানেই কম্যুনিষ্ট শাসন কায়েম হয়েছে সেখানেই শুদ্ধি অভিযানের নামে 'এমন নারকীয় জঘন্য হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে- সবাই নিজেদের মানুষকে হত্যা করেছে, এবং তা-ও সবচেয়ে জঘন্যতম উপায়ে। সেটা চীন, রাশিয়া হোক আর কম্বোডিয়া।
কেন মানুষ এত নিঃশ্বংস হয়????
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু- লেখাটার রেফারেন্স দেবার জন্য। আমার স্তালিনের শুদ্ধি অভিযান নিয়ে লেখার সময়ে রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগবে।
ভাল থাকুন
২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৩
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালোলাগছে শেরজা তপন। আগে থেকে কোন ধারনা না থাকায় নাবি কান যখন আমাদের নীয়ে গেল আমরা সব কিছু দেখে শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম । আমার এই লেখাটি একটি ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হয়েছে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার অনুরোধ রক্ষার জন্য ।
আমি চাই আপনি দ্বিতীয় পর্বটি একটু দেখুন, কারন আপনিও একটি সমাজতান্ত্রিক দেশে কিছু সময় অতিবাহিত করে এসেছেন। ওটা শুধু ছবি ব্লগ আকারেও ছোট । দেখলে বুঝবেন ওরা কি ছিল। প্রথম পর্বের নীচেই কিন্ত ২য় পর্বের লিংক দেয়া আছে । আবারও ধন্যবাদ ।
৬৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: আগেই চেষ্টা করেছি যেতে পারিনি, এই ম্যাসেজ দেখায়;
দুঃখিত, টেকনিক্যাল সমস্যার কারনে অনুগ্রহ করে আবার লগ আউট করে লগ ইন করুন। এরপরও যদি আপনি পোস্ট করতে না পারেন, তাহলে আপনার পোস্টের কন্টেন্ট ও শিরোনাম আমাদেরকে মেইল করে পাঠিয়ে দিন।
দু'বার লগ ইন আউটের পরেও সেই ম্যাসেজ
২০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জুন বলেছেন: ঠিক করে দিয়েছি শেরজা। তারপর ও আপনার পোস্টে নতুন করে সরাসরি ঐ পোস্টের লিংক দিয়েছি। ওটা ব্যবহার করলেই মনে হয় ভালো হবে।
আপনাকে বার বার বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত আমি
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বুকের ভেতর নিঃশ্বাস আটকে রেখে আমার পোস্ট পড়লাম আর ছবিগুলো দেখলাম।
মানুষ খুব বৈচিত্র্যপূর্ণ জীব। অত্যাচারের বিভিন্ন মাধ্যম যে কী করে মানুষের মাথায় আসে আর অন্যের বাঁচার আকুতি শুনে তারা আরও কতটা নির্মম হয়ে উঠতে পারে না দেখলে আর শুনলে সব কাল্পনিক মনে হবে!