নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়টা সুবহ সাদেক তবে শীতের এই রাত এখনো মনে হয় অনেক গভীর। গাঢ় কুয়াশায় বিশ্ব চরাচর যেন ঢাকা পড়ে আছে। কাঁথাটা গা থেকে ফেলে অনেক কষ্টে উঠে বসলো মায়মুনা বিবি। সে জানে এখন ফজর নামাজের সময়। আরেকটু দেরী করলে নামাজের ওয়াক্ত পার হয়ে যাবে ।
আদিগন্ত ফসলী ক্ষেতের পাশেই তাল- সুপাড়ী আর আম- কাঠালের ছায়ায় ছায়ায় কয়েক ঘর ছন আর টালি ছাওয়া মাটির ঘর। তাতে তার শ্বশুড়দিকের আত্নীয় পরিজনেরই বসবাস। তাদের এই ছোট্ট গাঁয়ের ত্রি সীমানায় কোন মসজিদ নেই । এই এলাকায় যা একটা টিনের দোচালা মসজিদ তাও সেটা মাইল তিনেক দূরে সেই যাকে বলে বড় বাজারের লাগোয়া। তাই এ বাড়ীর লোকজন আজান শুনে নামাজ পড়ার কথা চিন্তাও করতে পারে না। বহু বছর ধরে গত হয়ে যাওয়া তার স্বামী সুর্য্যের আলোর নিশানা দেখে দেখে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছে।
অন্ধকারের মাঝেই হাতড়ে হাতড়ে দিয়াশলাই এর বাক্সটা খুজে কুপি বাতিটি কয়েকবারের চেষ্টায় জ্বালিয়ে ধরে। সলতেয় আগুন পড়তেই দপ করে লাফিয়ে উঠে তার শিখা আর খানিকটা কেরোসিনের গন্ধওয়ালা ধোঁয়া ভুস করে গলায় ঢুকে পড়ে মায়মুনা বিবির। সাথে সাথে খঁক খঁক করে কেশে উঠে আর তার ধাক্কা গিয়ে লাগে বুকের পাজরে। কাশির দমকে মনে হচ্ছে বুকের ক্ষয়ে যাওয়া হাড়গুলো যেন এবার ভেংগেই পড়বে ।
আঁচলটা মুখে চেপে ধরে সেই ধোঁয়া উঠা ঝাপসা আলোয় দরজার দিকে এগিয়ে যায় মায়মুনা বিবি। বাইরে আসতেই মনে হলো প্রচন্ড শীত যেন ধাক্কা তাকে দিয়ে ফেলে দেবে। তাড়াতাড়ি বারান্দার খুটিটা হাতে ধরে সামলে নিল প্রৌঢ়া। ঘুট ঘুটে এই অন্ধকারের মাঝে খানিকটা দূরে দেবর গনি মুন্সীর বাড়ী থেকে সামান্য আলোর রেখার সাথে সাথে অস্পষ্ট কথাবার্তাও ভেসে আসছে।
ফরসা রঙ আর মাথা ভরা পাকা চুল মায়মুনা বিবির বয়সের ভারে ধনুকের মত বাকা হয়ে আসা মোটাসোটা শরীরটা নিয়ে মাটির দাওয়া থেকে নেমে আসে, তারপর আন্দাজে আন্দাজে এগিয়ে চলে ছোট পুকুরটির দিকে। পুকুরের ঐ পাশে চটের ঘের দেয়া একটুখানি বাথরুম। সেখানের কাজ সেরে অনেকগুলো মাটির সিড়ি হাতড়ে হাতড়ে নেমে খেজুর গাছের কান্ডের উপর বসে মায়মুনা বিবি অজু করার জন্য।শীতকালতো তাই পানিও কমে তলানীতে এসে ঠেকেছে। শীত থাকলে কি হবে পুকুরের পানি কিন্ত ওম গরম। ওজু করে ঘরে এসে ছেড়া পাটিটা বিছিয়ে নামাজ পড়তে বসে নিকানো মেঝের এক কোনায়।
নামাজ শেষ করে ত্যাড়াব্যকা এলুমিনিয়ামের বাটিতে একটুখানি গুড় আর এক মুঠ মুড়ি নিয়ে বসে মায়মুনা বিবি । মাটির পাতিলে পানি দেয়া ভাত ঢাকা আছে তাই আরেকটু বেলা হলে কাচা মরিচ আর ভর্তা দিয়ে খেয়ে নেয়া যাবে।
“এই জরিনা, জরিনা, উঠো বুবু নামাজের সময় হইছে” । নানীর ডাকে কাঁথাটা আরো ভালো করে মুড়িসুড়ি দিয়ে পাশ ফিরলো কিশোরী নাতনী । দুদিন হলো পাশের গ্রাম থেকে নানীর কাছে বেড়াতে এসেছে ছোট মেয়ে রহিমার বড় মেয়েটি। মায়মুনা বিবির দুটিই মেয়ে, কোন ছেলে নেই। স্বামী বেচে থাকতেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে পাশের গ্রামের স্বচ্ছল দুই গৃহস্থ পরিবারে। জুলেখা আর রহিমা মায়ের মতই ডাকসাইটে সুন্দরী। মেয়ে দুটোকে বিয়ে দিতে আমিনুদ্দিন মুন্সীর কোন যৌতুক লাগেনি । তারা বলতে গেলে সেধেই নিয়ে গেছে।
তাছাড়া জামাই দুজনই বেশ শক্ত সমর্থ খাটিয়ে পুরুষ, মেয়েরা খেয়ে পরে ভালোই আছে। তবে ছোট মেয়েটির শশুড়- শাশুড়ী, দেবর ননদ নিয়ে ভর ভরন্ত সংসার, তাই খাটুনিটা একটু বেশি। গ্রামের মাঝেই অনেক বিধবা বা গরীবের মেয়ে আছে যারা এবাড়ী ও বাড়ী গিয়ে কুটোবাছা বা ধান শুকানো, সেদ্ধ করা, ঢেকিতে বাড়া বাঁধা এসব ঘর গৃহস্থালির কাজে ঝি বৌদের হাতে হাত মিলিয়ে সাহায্য করে। বিনিময়ে তারা কিছু ধান চাল পায় কখনো বা এক সানকী ভাতও জুটে যায় বৈকি ।
ছোট মেয়ের শাশুড়ী একটু কৃপন স্বভাবের, তার এসব পছন্দ নয় । আসলে এক সময় অনেক কষ্ট করেছে তাই এটা তার কাছে অপচয় । “ধান-চাল দিয়াই যদি কাজ করাইতে হয় তবে পুতের বিয়া দিছি ক্যান” ? গজ গজ করতে থাকে ঘরের ভেতর রহিমার শাশুড়ী?
মাঝে মাঝে ছোট ছেলেটিকে কোলে নিয়ে মায়ের কাছে ঘন্টা খানেকের জন্য বেড়াতে আসে রহিমা, এসব কথা বলে দুঃখ করে। মায়মুনা বিবি তিন বছরের নাতির হাতে একটি মুড়ির মোয়া ধরিয়ে দিতে দিতে মেয়েকে সান্তনা দেয়,
‘সবুর কর মা, সবুর কর, সবুর যারা করে তাগো আল্লাহও পছন্দ করে। তাছাড়া জামাইতো ভালো মানুষ, হ্যয়তো আর তরে মাইর ধইর করেনা বইল্যাই জানি’।
মা এর কথায় চুপ করে যায় রহিমা । এটা সত্যি জরিনার বাপ তারে অনেক সোহাগ করে। হাটে গেলেই তার জন্য লুকায় লুকায় এইডা ঐডা কিন্না আনে। মায়ের স্বভাবটা বোঝে কিন্ত কিছু বলতে পারে না। হাজার হইলেও তো তার মা।
বাইরে এখনো অন্ধকার,ফর্সা হয়নি, মাদুরে পা ছড়িয়ে বসে গুড় মুড়ি খেতে খেতে মায়মুনা বিবির মন সুদুর অতীতে চলে যায়। মনে পড়ে একটা ছেলের জন্য তারা স্বামী- স্ত্রী আল্লাহর কাছে কত যে আহাজারি করেছে তার হিসাব নেই। আল্লাহ মায়মুনা বিবি আর তার স্বামীর মনের আশা পুরন করে নাই। মুন্সী বৌকে স্বান্তনা দিয়ে বলতো,
“পোলা নাই বইলা কান্দিস না বৌ, এইডা আল্লাহর হুকুম, মনে রাখিস তাঁর হুকুম ছাড়া গাছের পাতাডাও লড়ে না”।
স্বামী মারা যাবার পর থেকে একলাই থাকে নিজের এই বাড়ীতে। ছেলে থাকলে বৌ আর নাতি-নাতকুড় নিয়ে তার বাড়ী এখন ভর-ভরন্ত থাকতো। জমিগুলোও আর অন্য মানুষকে বর্গা দেয়া লাগতো না, ছেলে নিজেই হালটি কাজ করতো আর সবার মত। যা হওয়ার না তা নিয়ে আর চিন্তা করতে চায়না সে, দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে পরে মায়মুনা বিবি ।
মেইল দেড়েক দূরে স্টেশনের কাছে থাকা বাসা বাড়ী থেকে ভোর সকালে পাঁচ ছটি ছেলে মেয়ে তার কাছে আরবী পড়তে আসে । অবস্থাপন্ন মানুষের ছেলে মেয়ে হলে কি হবে গাঁয়ের মানুষ মায়মুনা বিবিকে তারা খুব ভালোবাসে, নানী বলে ডাকে। ছোটগুলো তো মাঝে মাঝে তার কোলে উঠে বসে থাকে। সেও তাদের নিজের নাতি নাতনীর মতই আদর করে ।
মাটির কলস থেকে টিনের ঘটিতে পানি ঢেলে খেয়ে নেয় এক চুমুকে। এরপর সুন্দর করে লেপা মাটির বারান্দায় খেজুর পাতার বড় পাটিটা বিছিয়ে দেয়।তখনো চারিদিক কুয়াশায় ঘেরা, সুর্য্যের এখনো দেখা নাই। কিন্ত কাওসার, তারেকদের আসার সময় হয়ে গেছে প্রায়। তার কাছে ছিপারা পড়তে আসে ওরা।
মাঝখানে সরু মাটির রাস্তা আর তার দুদিকে নাবাল জমি জুড়ে সবুজ ধানের মাঠ। সেই চিকন মাটির পথের দুধারে আশ শ্যাওড়া আর কাল কাসুন্দের ঝোপ । সেই পথ নাকি চলে গেছে দূরে বহু দূরে । বুকে কায়দা/আমপারা নিয়ে মেঠো পথ ধরে হেটে চলেছে গুটি কয়েক ছেলে মেয়ে মায়মুনা বিবির বাড়ীর উদ্দেশ্যে।
খোলা মাঠে শীত যেন আরো জেঁকে বসেছে আর সে কাঁপুনীতে দাতে দাত লেগে ঠক ঠক করে আওয়াজ হচ্ছে। এরপর ও সেই কুয়াশার মিহি চাদর ঠেলে এগিয়ে চলেছে তারা । কত বার তারা নানীকে অনুরোধ করেছে আরেকটু বেলা করে পড়ানোর জন্য । নানী রাজী হয়না বলে,
“বুঝলা নাতি এই বিয়ান বেলা ছিপারা পড়লে বেশী সোয়াব হয়। আর সোয়াব বেশী হইলেই তো তোমরা এক্কেবারে বেহেস্তে যাইতে পারবা”। বেহেস্তে যে কত সুখ তার বিবরণ সে তুলে ধরে মাঝে মাঝে ওদের কাছে।
সেই বেহেস্তে যাবার আশাতেই হোক আর তাদের বাবা মাকেও টলাতে না পেরেই হোক চুপ থাকে তারা। তাছাড়া নয়টা থেকে সবার স্কুল ও আছে ।
এই দলের মাঝে শুধু বয়স আর সৌন্দর্য্যেই নয় শরীর স্বাস্থ্যেও সবার চেয়ে বড়সর কাওসার তার দু বছরের পুরনো সোয়েটারটা একটু টেনে টুনে দেয়। হাতাটা একটু ছোট হয়ে গেছে। সস্তার ঊলে তৈরী খয়েরী রঙ এর এই হাল্কা সোয়েটারে শীত মানে না, জায়গায় জায়গায় জমে গেছে। মাকে বলেছে একটা নতুন সোয়েটার যেন বানিয়ে দেয়। কিন্ত আট ভাই বোনের সংসার রোজগেরে বলতে রেলওয়ের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী বাবা। তাদের জন্য বছর বছর নতুন সোয়েটার চুড়ান্ত বিলাসিতা ।
মাথার ওড়নাটা টানতে গিয়ে কাওসারের চোখ পড়ে তুলির দিকে। হলদের উপর লাল ফুল ফুল ডিজাইন করা সোয়েটার পড়া তুলির পায়ে চামড়ার স্যন্ডেল। দ্রুত নিজের আধ ক্ষয়ে যাওয়া স্পঞ্জের স্যন্ডেলের দিকে চোখ চলে যায় কাওসারের। দীর্ঘঃশ্বাস বেড়িয়ে আসে বুক চিড়ে, কবে কবে একটু স্বচ্ছল জীবন হবে তাদের ! এত টানাটানি আর ভালোলাগে না ?
ভাবতে ভাবতেই নানীর বাড়ীর সামনে চলে আসে তারা । মাদার গাছ এর বেড়া দেয়া নানীর বাড়ীতে গেটের বালাই নেই । হেলে পরা বাঁশ বাখারির আগড় ঠেলে হৈ হল্লা করতে করতে সামনের উঠোনে এসে দাঁড়ায় ছেলে পুলের দল । তাদের গলার আওয়াজ পেয়ে মায়মুনা বিবিও বেড়িয়ে আসে ঘর থেকে,
“ আইছো নি ? যাও যাও জলদি জলদি পুকুর থিকা ওজু কইরা আসো” ।
“ ওজু করা লাগবো না, বাসা থিকা ওজু কইরা আসছি নানী” বছর নয়েকের আবু শীতে কাপতে কাপতে আবাদারের গলায় বলে ঊঠে।
“না না ঐ ওজুতে হইবো না , রাস্তা ঘাটে কত শিয়াল কুত্তার গু পাড়াইয়া আইছো”।
বাধ্য ছেলে মেয়ের মত ওরা লাইন দিয়ে পুকুর ঘাটের দিকে এগিয়ে যায় ।
কোরান শরীফ পড়া শেষে দৌড়ে বাসায় আসে কাওসার । ছোট ছোট ভাইবোনগুলোকে হাত মুখ ধুইয়ে দেয়। প্রতিবছরই তার নতুন নতুন ভাই বোন আসে আর সংসারের অভাবও বেড়ে চলে। তুলিদের কথা মনে পড়ে, সামনের বাসায়ই তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে তুলির বাবা মা এর সুখের সংসার। ওর বাবা খুব সৌখিন মানুষ। ঘরে কি সুন্দর কারুকাজ করা খাট। কাওসারদের মত ঘর জোড়া চৌকি না। আর খাবার জন্য কি সুন্দর টেবিল তার মাঝখানে পিতলের ফুলদানীতে প্লাস্টিকের গোলাপ সাজানো। তুলিদের বাসায় গিয়ে বসে থাকতেও ভালো লাগে কাওসারের।
যেদিন প্রথম তুলির বাবা রেডিও কিনে এনেছিল ওরা সবাই গিয়েছিল। ঐ সময় একটা গান বাজছিল গায়িকার নামটা পরিস্কার মনে আছে কাওসারের। নাম ফেরদৌসী বেগম। কাওসার খুব গান পছন্দ করে। নিজে গাইতেও পারে দু একটা গান। তাই বলে তাদের বাসায় রেডিও কিনার কথা স্বপ্নেও ভাবে না সে ।
তুলির মা ও খুব ভালোমানুষ, একটুও অহংকারী নয়, কাজ না থাকলে ওর সাথে অনেক গল্প করে। ওর মা ভাই বোনদের কথা জিজ্ঞেস করে। সময় পেলে ওদের বাসায় বেড়াতে আসে। সারাদিন রান্না ঘরে থাকা আধ ময়লা শাড়ী পরা কাউসারের মা্যের সাথে রান্নাঘরের সামনেই মোড়ায় বসে গল্প করে পান খায়। ওর তিন নম্বর বোনের নামও রেখেছিল খালাম্মা। মাঝে মাঝে কাওসারের লজ্জা করে তাদের দারিদ্রতার জন্য।
দুমাস পর পনের বছরে পা দেবে কাওসার, এখন সে ক্লাশ সিক্সে পড়ে। পড়াশোনাতেও সে অনেক ভালো। প্রতিবছর ক্লাশে প্রথম হয়। পুকুরে গোসল করে ভাত খেয়ে ওরা কয়েকজন দল বেধে স্কুলের দিকে রওনা হয়। হাসি খুশী কাওসার আপাকে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অনেক পছন্দ করে। একসাথে স্কুলে যাবে বলে সবাই অপেক্ষা করে। বুনো জঙ্গলের মাঝে লাল লাল থোপায় ফুটে থাকা অশোক আর চালতে গাছের পাশ দিয়ে হেটে যায় ওরা, মাটির সেই পথের দুপাশে ফুটে থাকে গাঢ় সবুজ পাতার মাঝে গোছা ধরা সাদা সাদা ভাঁটফুল।
এরই মধ্যে কত যুবকের নজর কাওসার আপার দিকে। আপাকে উদ্দেশ্য করে কথাবার্তা আর হাসি ঠাট্টায় আপার প্রশ্রয় দেখে দশ বছরের তুলি অবাক হয়ে যায়। ছেলেগুলোর উপর আপা রাগতো হয়ই না আরো উলটো হাসে। পাড়ার বড় বড় মেয়েরা আপাকে নিয়ে বাজে বাজে কথা বলে । পুরোটা না বুঝলেও কিছুতো বুঝে আর তা শুনে তুলির অনেক খারাপ লাগে।
কাওসার আপা কি সুন্দর দেখতে, ফর্সা গায়ের রঙ, চোখের মনিগুলো তুলিদের মত কালো নয়, কেমন যেন কটা কটা , অনেকটা ছবিতে দেখা মেম সাহেবদের মত লাগে। লালচে লম্বা চুলগুলো নকশী শাড়ির ছেড়া পাড় দিয়ে সব সময় দুটো বেনী বেধে রাখে। সবাই বলে আপার নাকি ভারী মিষ্টি গলা, হয়তো তারা ঠিকই বলে তুলি মনে মনে ভাবে। নাহলে এত সুন্দর গান গাইতে পারতো!স্কুল থেকে ফেরার পথে মাঝে মাঝে ওদের গান গেয়ে শোনায়। শুধু গানই নয় সুন্দর নাচতেও পারে কাওসার আপা। তুলির মনে আছে একবার কি একটা অনুষ্ঠানে আপা নেচেছিল মোমেরও পুতুল মোমের দেশের মেয়ে গানটার সাথে। সাজগোজ করা আপাকে সেদিন মোমের পুতুলের মতই লেগেছিল।
আজ কদিন হলো কাওসার আপা আর তুলিদের বাসায় আসে না। স্কুলেও যায় না।আপাকে তুলি অনেক ভালোবাসে। কিন্ত মা এর কাছে শুনেছে ওর আব্বার সাথে তুলির আব্বার কি জানি হয়েছে। কাওসার আপার আব্বা আমাদের নিষেধ করে দিয়েছে তাদের বাসায় যেতে । এটা শোনার পর তুলিরা আর কেউ ভয়ে ঐ বাসায় যায় না । কিন্ত তুলির খুব ইচ্ছে করে কাউসার আপার কাছে যেতে।
আজ স্কুল ছুটি ছিল। তুলি এতক্ষন পারভীনের বাসায় ওর সাথে রান্নাবাটি খেলে বাসায় ফিরছে। গেট দিয়ে ঢুকতেই ডান দিকে লম্বামত একটা টিনের ঘরের দুটি রুম নিয়ে কাওসার আপারা থাকে। নিজেদের বাসার দিকে এক পা এগুতেই কাওসার আপার চাপা গলার ডাকে তুলি চমকে তাকায়। “এই তুলি এদিকে আয় না”। তাকিয়ে দেখে জানালা ধরে কাওসার আপা হাসি হাসি মুখে চেয়ে আছে। তুলি চুপি চুপি এগিয়ে যায়।
“কি ব্যপার আপা তুমি আর আমাদের সাথে স্কুলেও যাওনা, আরবী পড়তেও যাওনা কি হয়েছে তোমার” ?
‘কি করে যাবো বল ? দেখনা আমায় বেঁধে রেখেছে ওরা’ ।
“বেধে রেখেছে”? হতভম্ব তুলি জানালার শিক ধরে পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে ঘরের ভেতরটা দেখতে চেষ্টা করে। সত্যি একটি মোটা পাটের দড়ি দিয়ে তার এক পা বেঁধে রাখা আছে ঘরের খুটির সাথে। কাঁধ পর্যন্ত এবড়ো খেবড়ো করে কাটা মাথার চুলের সাথে একটা তাবিজ বেনী করে বাঁধা। কাওসার আপাকে কেমন অন্য রকম লাগছিল দেখতে।
‘বুঝলি আমার উপর নাকি জ্বীনের আছর আছে’ সুন্দর মুখে বড় বড় চোখ নিয়ে করুন গলায় বলে উঠে কাওসার আপা।
“জ্বীনের আছর কি আপা”! অদ্ভুত এই নতুন কথাটি শুনে তুলি অবাক হয়ে যায় ।
‘যা তুই একটা আস্ত গাধা , জীনের আছরও বুঝিস না’! খিল খিল করা অপার্থিব এক হাসিতে ভেঙ্গে যেন লুটিয়ে পড়ে কাওসার আপা, সেই হাসির দমকের সাথে সাথে তার শরীরটাও যেন দুমড়ে মুচড়ে উঠে। ঘোলাটে হয়ে আসা কটা চোখের তারায় ফুটে ওঠে এক বন্য চাহনী ।
“কিরে কাওসার কার সাথে কথা কস” ? দরজার দিকে এগিয়ে আসা মায়ের ডাকে ভীত কাওসার বিছানায় বসে পড়ে, আর তুলিও টুপ করে নীচু হয়ে জানালার কাছ থেকে সরে যায়। বুকটা কেমন ঢিপ ঢিপ করতে থাকে তুলির।
তাড়াতাড়ি বাসায় এসে দেখে বাবা অফিসে চলে গেছে আর মা রান্না ঘরে লম্বা বুড়ির সাথে কি নিয়ে জানি কথা বলছে। লম্বা বুড়ি আগে ওদের বাসায় কাজ করতো মাসখানেক হলো এক বুড়োকে বিয়ে করে সংসার পেতেছে।
“কি এতক্ষনে বাসায় ফেরার সময় হলো আপনার? ছিলেন কোথায়”? তুলি আস্তে আস্তে দম নিয়ে কাওসার আপার কথা বল্লো। শুনে মা গম্ভীর হয়ে বল্লো আর কখনো যেওনা অমন করে।
রাতে পড়তে বসে তুলি শুনলো মা বাবাকে বলছে, ‘বুঝলে তুলির বাবা, কাওসারের বাবা জামান সাহেব মানুষ না, ডাক্তার কবিরাজ না দেখিয়ে এমন সুন্দর মেয়েটাকে মেরে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে পাগল বানিয়ে ছাড়বে একদিন’।
বাবা চুপ করে থেকে একটু পরে বল্লো ‘এ রোগের নাম হিস্টিরিয়া, চিকিৎসা করলেই ভালো হতো কিন্ত ওর ঐ বজ্জাত বাবাকে কে বলতে যাবে’।
তুলির বাবা মা দুজনাই চুপ করে যায়।
স্কুলে পরীক্ষা থাকায় কদিন আর আরবী পড়তে যাওয়া হয়নি তুলির। পরীক্ষার পর প্রথম যেদিন সবার সাথে তুলি সেই সবুজ ধান ক্ষেত পেরিয়ে কায়দা পড়তে গেলো, সেদিন নানীও ওর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে ‘কিরে নাতনী কাউসার আর আসবো না’।
“নানী ওকে নাকি জ্বিনে ধরেছে” তুলি বলে উঠে।
“হইতেও পারে, মাইয়াডা যেমন ডবকা আর সুন্দর দেখতে হইছিলো। এই সব মাইয়াগো উপরেই তো খারাপ জ্বীনেরা কুনজর দেয়, আপসোস কোরান শরীফ পুরাডা শেষ করতে পারলো না।, দশ পারা পর্যন্ত পড়ছিল”।
লাল টুকটুকে ঠোটের কষ বেয়ে গড়িয়ে পড়া পানের রস আঁচল দিয়ে মুছতে মুছতে মায়মুনা বিবি বলে উঠে “কিরে তরা পড়া থামালি ক্যান । ঐ আবু জোরে জোরে পড় আলিফ যবর আ, বে যবর বা” ……
সমাপ্ত
ছবিটি নেট থেকে
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫
জুন বলেছেন: আচ্ছা পড়েই পড়বেন সাদা মনের মানুষ । তবে অবশ্যই পড়বেন বলে আশা রাখি ।
ঘরের ছবিটি নেট থেকে নিয়েছি আর সেটা গল্পের নীচে উল্লেখও করেছি আমি । আমার গল্পের সাথে ছবিটি মানানসই বলেই মনে হয়েছে তাই আর কি
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১২
প্রামানিক বলেছেন: আপনার কারণে আমি প্রথম হইতে পার লাম না। জুন আপা ঘর যারই হোক আগে চা দেন।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭
জুন বলেছেন: দ্বিতীয়ও কিন্ত খারাপ না প্রামানিক ভাই । চা বানাতে গেলাম আর আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থেকে উৎসাহ দেয়ার জন্য ।
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
প্রামানিক বলেছেন: কামাল ভাই আপনার কারণে আমি প্রথম হইতে পারলাম না। জুন আপা, ঘরের উত্তর পরে দিয়েন, আগে আমাগো চা দেন।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯
জুন বলেছেন: চা এর পানি চুলোয় দেয়া প্রামানিক ভাই একটু অপেক্ষা শুধু
আবার আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২০
অগ্নি সারথি বলেছেন: গল্পটা একটু বড়। আপাতত লড়াই সংগ্রামের মধ্যে আছি। হাজিরা দিয়া গেলাম।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১
জুন বলেছেন: আশাকরি লড়াই সংগ্রাম শেষে গল্পটা পড়ার সময় হবে অগ্নি সারথি
হাজিরার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা, আপনার গল্পে গ্রামের বাস্তবতা তুলে উঠেছে। গ্রামের সুন্দরী মেয়েদের প্রতি বিশেষ নজর রাখা হয় যাতে জ্বিনের আছড় না লাগে। বিয়ের পরেও সুন্দরী বউদের সন্ধার সময় বাড়ির বাইরে যেতে দেয়া হয় না জ্বিনের আছড় লাগার ভয়ে। অথচ বাস্তব কিন্তু অন্য। সঠিক চিকিৎসা না করে ভূতের চিকিৎসা করেই তাদেরকে পাগল বানানো হয়।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০২
জুন বলেছেন: ভাই প্রামানিক আমি কিন্ত শহুরে মানুষ। অনেক কল্পনা করে গ্রামীন পরিবেশের চিত্র আকি। জানিনা আপনাদের মনের মত হয় কি না?
হ্যা বিভিন্ন গল্পের বইতে পড়া আর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই কাউসার আপার চিত্র একেছি। গ্রাম। ছাড়াও ছোটখাট মফস্বল শহরে এধরনের চিন্তাধারার মানুষের অভাব নেই। চেষ্টা করেছি তবে জানি না কতটুকু সফল। আবার এসে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো।
৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১০
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অসাধারন,গ্রামের একেবারে র ছবিযা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
আপনার ভ্রমন ব্লগ কি আর দেন না? ভাইজানের কি খবর?
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৯
জুন বলেছেন: বিজ্ঞানের এত বড় পন্ডিতের কাছ থেকে এমন সার্টিফিকেট পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার উদাসী। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাইজান ভালো আছে। আর আমি গত বছর খানেক ধরে তো ভ্রমন ব্লগই লিখছি, দেখা হয় নাই! ক্যম্বোডিয়া বিশেষ করে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রতীক প্রাচীন নগরী এংকর সফরের উপর আমার অনেক লেখা আছে। বার্মা নিয়েও অনেকগুলো লেখা আছে। যাক ল্যপি খুললে আপনার ব্লগে যেয়ে লিংক দিয়া আস্মুনে
৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৫
বিজন রয় বলেছেন: কুঁড়েঘরের ছবিটি সুন্দর।
আর লেখাটি পড়িনি, পরে পড়বো।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৯
জুন বলেছেন: ছবিটি নেট থেকে নেয়া ভাই বিজন রয়। পরে এসে পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো আমার সাদামাটা গল্পটি পোষ্টটি দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জ্বিনের আছড়। সমাজের দুষ্টু ক্ষত। মায়মুনা বিবির চরিত্রটি ভালো এঁকেছেন।
তুলি আর কাউছারদের ব্যবধান তো আজন্ম কাল থেকে চলে এসেছে!
গ্রামবাংলার একটি পুরোনো সমস্যা নিয়ে লেখেছেন, জুন আপা! ভালো হয়েছে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪১
জুন বলেছেন: কেমন আছেন মাইনুদ্দিন মইনুল? আশা করি ব্যস্ততার মাঝেও ভালো ছিলেন।
জী এ বিষয়গুলো আমাদের সমাজে যুগ যুগ ধরে শেকড় গেড়ে আছে। অনেক শিক্ষিত পরিবারেও আমি এই সব ভুত প্রেতের আছড় আর বাতাস লাগার কথা শুনে হতবাক হয়েছি।
ভালো হয়েছে জেনে অনেক ভালোলাগলো আর মন্তব্যের জন্য রইলো অজস্র ধন্যবাদ।
৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
বহমান গ্রাম্য সত্যতা তুলে ধরেছেন বেশ ভালোভাবেই।
ভালো লাগা। +
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১০
জুন বলেছেন: ভালোলাগলো জেনে অনেক অনেক ভালোলাগলো দিশেহারা। শুভকামনা রইলো সতত।
১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭
পুলহ বলেছেন: আমি প্রথমে কাউসার/ কাওসার নামটা দেখে ছেলে মনে করেছিলাম, পরে ভুল ভাংলো!
'....ছেলে মেয়ে নিয়ে তুলির বাবা মা এর সুখের সংসার। ওর বাবা খুব সৌখিন মানুষ। ঘরে কি সুন্দর কারুকাজ করা খাট। আমাদের মত ঘর জোড়া চৌকি না।'-- 'আমাদের মত ঘর জোড়া চৌকি না।' এর জায়গায় 'কাউসারদের মত ঘর জোড়া চৌকি না।'- লেখা যায় কি ? যেহেতু আপনি পুরোটা গল্পটাই নাম পুরুষে লিখেছেন তা--ই বললাম।
ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করার পর থেকে এতোদিন শুধু আপনার ভ্রমণ কাহিনীগুলো মুগ্ধ হয়ে পড়েছি, আজ গল্প পড়েও সমান মুগ্ধ হলাম। পড়তে পড়তে মাটি, গাছ-পাতা, ঝোপ-ঝাড়, এমনকি কুয়াশার গন্ধ পর্যন্ত পাচ্ছিলাম- এতো চমৎকার ডিটেইলিং!!
আর শেষে গল্পটা যে দিকে মোড় নিলো- সেটা তো পুরোপুরিই অপ্রত্যাশিত। আমি মনে করেছিলাম- লেখাটা মায়মুনা বিবিকে নিয়ে!
খুব ভালো লাগলো আপু আপনার লেখা।
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় জুন আপু।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৪
জুন বলেছেন: পুলহ আপনি যে আমার লেখাটি কত মনযোগ দিয়ে পড়েছেন তা ফুটে উঠেছে আপনার মন্তব্যের ছত্রে ছত্রে। অনেক অনেক খুশী হয়েছি আমি।
কাওসার নামটা কিন্ত নাসিম শাহীনের মতই ছেলে মেয়ে সবার ক্ষেত্রেই দেখেছি আমি। আমার খুব কাছের জনার মাঝেও তারা আছে। এটা একটি ধর্মীয় নাম, সুরা কাউসার থেকে নেয়া নামটি আমার জানা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে রাখতে দেখেছি আপু
আমি কিন্ত আমার এই ব্লগে ভ্রমন ছাড়াও প্রচুর গল্প, কবিতা, অনুবাদ, ফিচার ইত্যাদি লিখেছি। সময় থাকলে কষ্ট করে একটু চোখ বুলাতে পারেন।
আপনিও অনেক ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: চমৎকার গল্প। ভাললাগা রইলো।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৭
জুন বলেছেন: স্বাগতম জানাই আমার ব্লগে আপনাকে
গল্পটি ভালোলেগেছে জেনে আমারও অনেক ভালোলাগলো বৈশাখের আমরণ নিদাঘ।
শুভেচ্ছা সকালের।
১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গ্রাম বাংলার পটভূমিতে লেখা গল্পে ভালোলাগা। তবে, এই গ্রাম্য জীবন আজ হারিয়ে গেছে, এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও গ্রাম্য জীবনেও কেমন বেখাপ্পা শহুরে উপাদান ঢুঁকে গেছে। কিন্তু যা দরকার ছিল, সেই শিক্ষার আলো আর সচেতনতা ঢুকতে পারে নাই। আপনার গল্পের জীনে ধরার মত নানান গোঁড়ামি ঠিকই বসে আছে আগের মতই তার আসন গেঁড়ে।
ভালো থাকুন আপু, আরও গল্প উপহার দিন আমাদের, সাথে ভ্রমণ কাহিনীতো পাচ্ছি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪২
জুন বলেছেন: তবে, এই গ্রাম্য জীবন আজ হারিয়ে গেছে, এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও গ্রাম্য জীবনেও কেমন বেখাপ্পা শহুরে উপাদান ঢুঁকে গেছে। আপনার এ কথাটি যে কতখানি সত্য তা মাঝে মাঝে গ্রামে এক দিনের জন্য বেড়াতে গেলেও বোঝা যায়। গ্রাম রহেকে মফস্বলের সমাজে এসব জীনে ধরা ভুতে ধরা তো ছিলই তার সাথে এখন যুক্ত হয়েছে ভয়াবহ মাদকের ছোবল, খুন সন্ত্রাস, অপহরন বানিজ্য, আর ধর্ষনের মত ভয়ংকর অপরাধ। তরুর ছায়ায় শ্যমল মায়ায় ঘেরা সেই গ্রাম আর নেই তা আমার মত আজন্ম শহরে লালিত একজন ও বোঝে।
আপনিও ভালো থাকুন আর চোরদের হাত থেকে নিরাপদে থাকুন
১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার গল্প। গ্রামের ছেলে বলে আরও বেশী ভালো লাগলো।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২১
জুন বলেছেন: মো: সাইফুল্লাহ শামীম আপনার ভালোলাগার কথা শুনে অত্যন্ত খুশী হোলাম। আর আমার অপরিচিত গ্রামীন পরিবেশের ছবি কিছুটা হলেও আকতে পেরেছি এটা জেনে খুব ভালোলাগলো।
অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। সাথে থাকবেন আগামীতেও।
১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭
সুমন কর বলেছেন: গ্রাম্য জীবনের বর্ণনা সুন্দরভাবে গল্পে ফুঁটে উঠেছে। দূর হোক সকল কুসংস্কার। হাসি-খুশি আর আনন্দে বেড়ে উঠুক কাউসার'রা।
+।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৬
জুন বলেছেন: আপনার মত আমিও আশাবাদী সুমন কর, তবে গ্রাম গঞ্জে জ্বীন ভুত ধরা, বিভিন্ন অপরাধে শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে নিষ্টুর শাস্তি দোররা মারা, কাউকে ডাইনী স্যব্যস্ত করা (এটা অবশ্য ভারতে) এসব কুসংস্কার দূর তো হয়নি বরং তার সাথে আরো জাকিয়ে বসেছে বিভিন্ন অপরাধ আর মাদকের ছোবল। অনেক দু:খ হয় যখন এসব শুনি।
অনেক অনেক ভাল থাকবেন আর সাথে থেকে প্রেরনা দেবেনতো বটেই
১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
জামিনদার বলেছেন: আহ! আলিফ যবর আ, একটি হারানো শৈশব।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
জুন বলেছেন: আহ জামিনদার ভাই কতদিন পর আপনাকে দেখলাম। অনেক ভালোলাগে পুরনো পরিচিত মুখগুলো যখন দেখি। কেমন আছেন এখন? সবাই ভালতো?
১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: মন্তব্য সংশোধন ঃ ধন্যবাদ জুন আপা, আপনার গল্পে গ্রামের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। গ্রামের সুন্দরী মেয়েদের প্রতি বিশেষ নজর রাখা হয়, কারণ সুন্দরী মেয়েদেরকেই নাকি বেশি জ্বিনে ধরে। বিয়ের পরেও সুন্দরী বউদের সন্ধার সময় বাড়ির বাইরে যেতে দেয়া হয় না জ্বিনের আছড় লাগার ভয়ে। অথচ বাস্তব কিন্তু অন্য। বাস্তবতার নিরিখে সঠিক চিকিৎসা না করে ভূতের চিকিৎসা করেই তাদেরকে পাগল বানানো হয়।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫
জুন বলেছেন: এটা কোন ব্যাপার না প্রামানিক ভাই। সামান্য এই ত্রুটির সংশোধনের প্রয়োজন ছিল না
আবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন! একেবারে মাটি আর মানুষের শেকড়ের গল্প! যাদের দিয়ে আমাদের ভিত অথচ সবচে অবহেলিত সেই প্রান্তিক জীবনের কথা রুপকথার মতোই ফুটে উঠেছে।
++++++++++
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬
জুন বলেছেন: পোষ্ট পড়া মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বিদ্রোহী ভৃগু।
১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: সম্পূর্ণ গ্রাম বাংলার আবহে সাজানো একটা চমৎকার গল্প জুনাপু! গল্পটা পড়ে সেই পিচ্চি কালের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। গল্পটার মধ্যে সব থেকে ভাল লেগেছে এর গ্রাম্য ডায়লোগ গুলো! তবে কাওসারের ব্যাপারটা পড়ে খুব খারাপ লাগছে। এখনও গ্রামাঞ্চলের অনেক পরিবার আছে যারা জাত কুসাংস্কারাচ্ছন্ন! এই ধরনের স্পর্শকাতর ব্যাপারগুলো ভাল ভাবে না জেনেই জিনে পাইছে, ভুতে পাইছে বলে চালিয়ে দেয়।
আপু গল্পের নাম করণটা হইছে মোটামুটি ভালই। তবে গল্পটা যদি আমি লিখতাম তাহলে এর নাম দিতাম- "একটি সুন্দর স্বপ্নের অকাল মৃত্যু বা কুসাংস্কারাচ্ছন্ন সমাজ!"
ও আর একটা কথা! মায়মুনা বিবি এবং উনার দুইটা মেয়ে যেমন ডাক সাইটে সুন্দরী, নানীনটাও বুঝি তেমন? ইয়ে মানে বোঝেনই তো......
অঃ টঃ- আপু, মেয়েদের নাম কাওসারও হয়? আমি কিন্তু এই ফাস্ট জানলাম!
চমৎকার গল্পের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
জুন বলেছেন: পিচ্চি কালের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য এক্সট্রা একটা ধন্যবাদ আমার প্রাপ্য সাহসী। অনেকেই বলছে কাওসার নামটা নিয়ে তারা বিভ্রান্ত। কিন্ত আমার চেনাশোনা কয়েকজন মেয়ে আছে কাওসার সুলতানা নামে। কাওসার নামে ডাকে তাদের।
আমার দেয়া নামটা ভালো হয় নি জানি সাহসী তোমার দেয়া নাম দুটি সুন্দর কিন্ত এখন তো আর পাল্টানোর সুযোগ নেই।
মা নানী যখন এত সুন্দরী তাহলে তাদের নাতনীর সুন্দরী হওয়ারই তো কথা
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অর্ধেক পড়ে রেখে গিয়েছিলাম; এখন পুরোটা পড়লাম । গ্রামীণ নিম্নবিত্ত পরিবারের নিদারুণ অাখ্যান । এ যে গ্রামবাংলার চিরাচরিত রুপ! ভাল্লাগসে গল্প ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২
জুন বলেছেন: ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো রূপক বিধৌত সাধু। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শেষটা জানতে খুব ইচ্ছে করছে, মেয়েটাকে কি ওরা পাগলই বানিয়ে ফেলেছিলো কিনা.........আফসোস, আমাদের দেশে এখনো জ্বীন ভুতেরা অবস্থান করে!
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জুন বলেছেন: এটাতো আর সত্যি কাহিনী না যার শেষ থাকবে সাদা মনের মানুষ। এ হলো গিয়ে গল্প। কি হলো কল্পনার মেয়েটির কেই বা জানে। হয়তো ভালো টালো হয়ে গিয়ে সংসার করবে, দু চারটা ছেলেপুলে নিয়ে এইতো।
শুধু আমাদের দেশেই নয়, আমি শুনেছি এত উন্নত দেশ আমেরিকার অনেক লোকজন ভুত প্রেতে বিশ্বাস করে।
শুভকামনা রইলো অনেক
২১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
খুব বিশ্বস্ততার সাথে গ্রামীন বাংলার একটি সময়কে চিত্রিত করছেন । চোখের সাথে মনের দৃষ্টিতেও যিনি দেখে থাকেন তা বোধহয় এরকম করে তারই হাতে গাল্পিক শিল্পে উত্তীর্ণ হয়ে ওঠে ।
আপনার এই ব্যতিক্রমী গল্প পড়ে পুরোনো দিনগুলি ভেসে উঠলো স্মৃতির আয়নায় । আসলেই সেই একটা সময় ছিলো যখন দলবেঁধে বুকে আমপারা / ছেপারা চেপে চলা কিশোর-কিশোরীদের দেখা যেত । আলিফ যবর আ, বে যবর বা'র দলবদ্ধ সুর ভেসে যেতো দুর আরেক গাঁয়ে । প্রায়শঃই সুন্দরী মেয়ে বা ছেলেদের ঘাড়ে আছর করতো জ্বীন-ভুত বা পরীতে । এই জ্বীন-পরীর আছর ছাড়াতে আসতো ওঝা । তারপরে একনাগাড়ে নাকে মুখে পোড়া মরিচের ধোঁয়া আর ঝাড়ুর বারি চলতো জ্বীন পরীতে পাওয়াদের গায়ে । ওঝার এই নির্মম আর অমানুষিক আচারের ঠ্যালায় পড়ে সত্যি সত্যিই জ্বীন-ভুত বা পরী পালিয়ে যেতো উঠোনের গাছের ডালটি ভেঙে । মেয়েটি বা ছেলেটির অবস্থা যে কি হতো তা আর না-ই বললুম । এ ছিলো এক সনাতন বাংলার আরেক রূপ ।
সে রূপ আর এখন নেই । এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আজ আর অদৃশ্য জ্বীন-ভুতের কবলে পড়েনা । সুন্দরী- অসুন্দরী সব মেয়েরাই আজকাল পড়ে জ্বীনরূপী বদ-মানুষের খপ্পরে । তাদের ঘাড়ের জ্বীন-ভুত ছাড়াতে হয়না , প্রান-পাখিটিকেই ছাড়িয়ে নেয়া হয় ।
নষ্টালজিক হয়ে লেখা এই অহেতুক সাতকাহন নিশ্চয়ই আপনার ও পাঠকদের মার্জনা লাভ করবে ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই আহমেদ জী এস। মন্তব্যকে আপনি যেন শিল্পের মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
হ্যা সেই কায়দা আমপারা বুকে শিশু কিশোরের দলের দেখা মেলা ভার। এখন পিঠে বই এর বস্তা নিয়ে বাচ্চাদের হাত ধরে টানতে টানতে মা দের যেতে দেখবেন এক কোচিং সেন্টার থেকে আরেক কোচিং সেন্টারে।
আর জীন ভুত ছাড়ানোর নাম করে অকথ্য নির্যাতন চোখে না দেখলেও গল্পে পড়েই গা শিউড়ে উঠে।
শুভেচ্ছা রাত্রির
২২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এ যেন এক গ্রাম বাংলার অনবদ্য রূপ তুলিতে একেঁ দিয়েছ আপুনি। অনেক ভাল লাগল।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
জুন বলেছেন: ভালোলেগেছে জেনে অনেক অনেক খুশী হোলাম মাহমুদুর রহমান সুজন। সাথে থাকবেন সামনের দিনগুলোতেও সেই প্রত্যাশায়।
২৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: অনেক আগের দৃশ্যে চলে গিয়েছেন । অজোপাড়া গাঁ এর বর্ণনা অনবদ্য । যেন সব দেখতে পাচ্ছি ! এমন স্বাভাবিক রেখায় এগিয়ে চলা গল্পগুলো ভাল লাগে । আর এর সাথে বাস্তবের মিল একদম হুবহু । লেখনীগুণে তুলে আনায় কারগরিত্ব, আর সেখানে আপনি পূর্ণাঙ্গ কারিগরিত্ব দেখিয়েছেন । অনেক ভাল লেগেছে ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৬
জুন বলেছেন: এত নিখুত ভাবে আমার লেখার দৃশ্যগুলো আপনার চোখে ভেসে উঠেছে তা সত্যি বিস্ময়কর কথাকথিকেথিকথন। অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৯
তাসলিমা আক্তার বলেছেন: জুন মানেই ভ্রমন ব্লগ-এরকম একটা ধারনা আমার। আজ প্রথম আপনার লেখা ছোটগল্প পড়লাম। ভীষন ভালো লাগল। গ্রামীন সরল সরল জীবনের প্রতিচ্ছবি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৮
জুন বলেছেন: না তাসলিমা আক্তার জুন মানেই ভ্রমন ব্লগ নয় আমার অনেক গল্প, কবিতা, অনুবাদ, ফিচার রয়েছে। একটু কষ্ট করে পিছু ফিরে দেখলেই দেখতে পারবেন।
গল্পটি ভালোলাগার জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
শুভেচ্ছা রাত্রির।
২৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো যেহেতু লাগলো, তাই প্রত্যাশাও বাড়লো কিন্তু ।
নিশ্চিত ভালো হবে আপনার কবিতাও।
আগাম শুভেচ্ছা।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২০
জুন বলেছেন: আপনার ভালোলেগেছে জেনে আমারও অনেক ভালোলাগলো দীপংকর চন্দ। অনেক অনেক ভালোথাকুন। রাত্রির শুভেচ্ছা জানবেন।
২৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৯
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: বাহ,গল্পে দেখি তুলিও আছে!!! হাহাহা, তবে কাউসার নামটা মেয়েদের জন্য আনকমন।
শুধু গ্রামের মানুষই না অনেকেই জ্বীন ,তাবিজ-কবজ বিশ্বাস করে। আমি কলেজে থাকতে আমার এক টিচারই আমাকে বলেছিল হুজুর দেখাতে, কেউ তাবিজ করেছে কিনা, কিংবা অন্য কোন প্রবলেম কিনা( হয়ত জ্বিন ধরাও ইঙ্গিত করে থাকতে পারে)। তখন জ্বিন ধরা, তাবিজ-কবজ এসব নিয়ে তেমন ধারণা ছিলনা, তাই বুঝিনি আমার সমস্যা গুলো কেন তারা ঐটাইপ সমস্যা ভাবতো ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৩
জুন বলেছেন: অনেক অনেক দিন পর আমার ব্লগে দেখে অনেক খুশী হলুম রঙ তুলি ক্যনভাস।
কাওসার বা কাওসার সুলতানা নামে আমার কিন্ত অনেক পরিচিত জন আছে। নামটা অনেকেই পুরুষদের ভাবছে দেখে আমিও বিভ্রান্ত।
তা ঠিক অনেক শহুরে শিক্ষিত মানুষরাও জীন ভুত তাবিজ কবজ ফকির এসবে বিশ্বাস করে।
মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো। শুভেচ্ছা রাত্রির।
২৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কাল
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৫
জুন বলেছেন: ভাই আরন্যক রাখাল সত্যি বলতে কি আমি আপনার মন্তব্যটি বুঝতে পারি নি।
যাইহোক অনেক ভালো থাকুন সাথে থাকুন।
২৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমাদের চিরচেনা গ্রামীন চিত্র।। (বোধহয় আপনার জানা কোন ঘটনা)।। একটানে পড়ে গেলাম।। এইসব বিশ্বাসের ভুল-ভ্রান্তী আমাদের সমাজকে পিছনে টেনে ধরছে।।
এই সময়েও আমরা, একটা বৃহত্তর জনগোষ্টি এই দুর্যোগ থেকে বেড়িয়ে আসতে পারছি না।। শহরও এই অন্ধকার থেকে বাদ নেই।। আসলে আমরা শিক্ষিত হচ্ছি ঠিকই কিন্তু কুসংষ্কারাচ্ছন্ন থেকে বের হতে পারছি না।।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:১৯
জুন বলেছেন: আসলে আমরা শিক্ষিত হচ্ছি ঠিকই কিন্তু কুসংষ্কারাচ্ছন্ন থেকে বের হতে পারছি না।।
আপনার উপরের কথাটি আমাদের সমাজের জন্য এখনো প্রযোজ্য ভাই সচেতনহ্যাপী।
সুন্দর মতামত সহ আপনার মন্তব্যটি অনেক ভালোলাগলো। আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা থাকলো। সাথে থাকবেন আগামীতেও।
২৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২২
ভারসাম্য বলেছেন: আমিও 'পুলহ'-এর মত করেই কাওসারকে ছেলেই ভেবেছিলাম এবং যখন 'কাওসার আপা' বলা হচ্ছিল তখনও ভাবছিলাম, স্কুলের কোন শিক্ষিকার কথা বলা হচ্ছে কি না! আরো কিছুদুর পড়া এগিয়ে শেষে ব্যাক করে, "মাথার ওড়নাটা টানতে গিয়ে কাওসারের চোখ পড়ে তুলির দিকে" পড়ার পর ভুলটা ভাংলো।
গল্পের বিষয় বস্তু ভাল, তবে গ্রামের পটভূমিটা ফুটিয়ে তুলতে একটু বেশি পরিশ্রম দেয়া হয়েছে হয়তো। তাই মূল বিষয়ে কিছু কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে, ঘাটতি গ্রামের জীবনযাত্রা বর্ণনায়ও রয়ে গিয়েছে অনেকটাই। তবে লেখা অনেক ঝরঝরে ও প্রাণবন্ত হয়েছে। অনেক ভাল লাগছিলো পড়তে।
শুভকামনা নামী গল্পকার হয়ে উঠতে যাওয়া 'জুন'-এর জন্য।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩
জুন বলেছেন: না ভাই ভারসাম্য কাওসার একটা জলজ্যন্ত মেয়েই বটে। কাওসার সুলতানা, কাওসার বেগম নামে আমার বেশ কজন পরিচিত মেয়ে আছে। তারা অবশ্য মধ্যবয়স্কা। বেশ কয়েক বছর আগে ইসলামী নাম রাখার একটা বহুল প্রচলন ছিল তারই বহিপ্রকাশ সুরা কাওসার থেকে এ নামটি নেয়া। তবে এটা আমার একান্ত গবেষণা আর নাসিম, শাহীন এমন ছেলেদের নামও আমার মেয়ে আত্মীয়া পরিচিতর মাঝে রয়েছে।
আপনার প্রশংসা শুনে খুবই খুশী লাগছে। কিন্ত ঘাটতিটা কোথায় যদি একটু চিনহিত করে বলতেন ততাহলে আমি এডিট করে নিতাম। আসল কথা হলো আজন্ম ঢাকা শহরে বেড়ে ওঠা আমার কাছে গ্রাম সম্পর্কে ধারনা খুবই কম। স্বল্প সময়ের জন্য বেড়াতে যাওয়া আর বই পত্র থেকেই যতটুকু ধারনা আমার। তাই হয়তো এমন ঘাটতি রয়ে গেছে । তাছাড়া ব্লগের জন্য লেখাতো একটু সংক্ষিপ্তই হয়। যাই হোক আপনার মতামতের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনার জন্যও রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ভারসাম্য। অনেক ভালোথাকুন।
৩০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৫১
বাঘ মামা বলেছেন: আপু তুমি যেই সংসারটা এখানে তুলে ধরেছো এমন সংসার গুলোর খুব কাছে বসে আমি দেখেছি,আমার এমন একটা অদ্ভুদ স্বভাব আছে যে বছরে এক দুবার হুট করে কোন অচেনা অজেনা কোন গ্রামে কোন সংসারে গিয়ে উঠে তাদের সাথে মিশে থাকা,ওদের জীবন যাপন দেখা। আমরা যারা একটু উপরের তলায় থাকি তারা অনেকেই জানিনা এই মাটির সাথে মিশে থাকা জীবন গুলো কতটা মেখে আছে মাটিতে,মাটির মত সরল নরম জীবন তাদের।যত যাই বলো আপু আমার কেন জানি মনে হয় ওদের সুখানুভুতিটা আমাদের চেয়ে কম নয়।
তুমি দেখেছো কিনা জানিনা,একজন রিক্সাওয়ালা সারাদিন খেটে সন্ধ্যায় যখন কোন টং দোকানে সামনে দাড়িয়ে একটা চা সাথে একটা বিস্কিট কিংবা গোল রুটি চুবিয়ে খায় আর একটা বিড়ি ধরিয়ে রিক্সার উপর বসে যখন তার সারা দিনের শ' খানেক কিংবা আরেকটু বেশি টাকার ভাংতি গুলো ভাজ করে গুনে তখন আমি তাদের চোখে মুখে সেই তৃপ্তির হাসি কিংবা সুখটুকু স্পষ্ট দেখতে পাই যা আমি লক্ষ টাকা গোনার মধ্যেই পাইনা, আমার এমনি মনে হয়,সুখ শুধুই সুখ,সেটা অর্থের অংকের কাছে জিম্মি নয়,সুখ ভেসে বেড়াতে পারে যে কোন সংখ্যায় কিংবা সীমাবদ্ধতায়।
একটা ঘটনা মনে পড়েছে আপু,তখন আমার ছাত্র জীবন,যে কোন কিছুতে নাক পর্যন্ত ডুবে বোঝার চেষ্টা করার ইচ্ছে কাজ করতো-
চাঁদপুর কচুয়ার উজানী নামের এক জায়গায় একটা মাহফিল হয়। কোন এক চেনা মানুষের মুখে শুনেছিলাম সেই মাহফিল দুদিন চলে,এবং মজার বিষয় হলো দুর দুরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ গুলোর এক রাতে অতিথী আপ্যায়ন সেই গ্রামের মানুষরাই করে থাকে, বিষয়টা আমাকে অবাক করেছে,আমার কৌতুহল হলো কিভাবে অচেনা অজানা মানুষ গুলোকে এরা বাড়িতে নিয়ে যায়,রাত্রীযাপন অতিথি আপ্যায়ন করে, কেমন লাগবে আমার যদি এমন কোন বাড়িতে গিয়ে উঠি ওদের সাথে থাকি, কিভাবে তারা এত গুলো মানুষকে ভাগ করে দুজন দুজন করে প্রতিটা পরিবার নিয়ে যায়,যেই ভাবা সেই কাজ,হাজির হলাম সেই মাহফিলে। প্রথম দিনের পর্ব শেষ হলো মধ্যে রাতে, মাহফিলের গেট দিয়ে বের হবার সময় ভাবছিলাম কে আমাদের নিবে,আমি এবং আমার এক বন্ধু সেদিন খুব এনজয় করছিলাম গোটা ব্যপারটা, মাহফিল সীমানা থেকে বের হতেই একজন আমার হাত ধরে বললো আপনারা আমার সাথে চলেন, আবছা আলো অন্ধকারে লোকটা দেখে বুঝতে পারছিলামনা তার অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন হবে, কেমন ঘরে আমাদের থাকতে হবে। আমার বন্ধু মনে মনে দোয়া পড়তে লাগলো,খোদা আমাদের একটা ভালো ঘরে মধ্যে থাকার সুযোগ করে দিও,আমি তাকে আস্তে আস্তে ধমক দিয়ে বললাম সব কিছুই জেনে শুনেই পুরো বিষয়টা বুঝার জন্যই এখানে আসছি, তারপরো ঘাবড়াচ্ছিস কেন তুই, যেমন ঘরেই হোক মানসিক প্রস্তুতি রাখ।
আধা কিলোমিটার হাটার পর ঐ মানুষটার ঘরে এসে পৌছে দেখি ভাঙা একটা ঘর,মেঝেটা মাটির,বাশ পাতা নানা সব জিনিস দিয়ে ঘরের বেড়া বানানো,খাট বলে কিছু নেই, শোয়ার ব্যবস্থা হলো সুপারী গাছ ফালি ফালি করে কেটে বাশের খুটি মাটিতে পুতে দড়ি দিয়ে বানানো চকি,যেখানে একটা পাতলা কাঁথা বিছানো, জানতে পারলাম লোকটা বাজারে নানা ধরনের শাক শবজি লতাপাতা বিক্রি করে পেট চালায়, এই মাহফিলের অতিথীর জন্য এক কেজি গরুর মাংস কিনবে বলে গত একমাস ধরে টাকা জমাতে শুরু করে আজকেই সেটা কিনে এনেছে, তার বউ ডাল আর গরুর মাংসা রান্না করে যেই তৃপ্তির হাসিটা হেসেছে আমি খেয়ে সেই হাসির ধারাবাহিকতা রাখলেও আমার বন্ধুর মুখচ্ছবি এখনো আমার চোখে ভাসে,সারা ঘরটায় অভাব লেগে থাকলেও এর ফাঁকে ফাঁকে দাঁত বের করে যে সুখ গুলো হাসছে সে আমার বন্ধুর চোখে না পড়লেও আমার চোখে ঠিকি পড়েছে আপু।
তুমি শব্দে দৃশ্য তুলতে পারো সে ক্ষমতা তোমার আছে নতুন করে বলতে হবেনা,
শুভ কামনা সব সময়
(আজ আমার জন্মদিন,তোমাদের ওখানে গত কাল হলেও আমার এখানে এখনো সময় শেষ হয়নি,আমার জন্য দোয়া করো আপু)
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৪
জুন বলেছেন: বাঘমামা জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো। বার বার ঘুরে আসুক এদিনটি এই কামনা করি।
আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতায় আমি মুগ্ধ বিস্মিত। আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি কত সামান্যতেই যে তৃপ্ত তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না। আর অতিথি আপ্যায়নে তাদের আন্তরিকতা উদাহরণস্বরূপ।
এত সুন্দর আন্তরিক এবং সুবিশাল মন্তব্যে বোঝা গেল আমার প্রতি বাঘমামার কতখানি মমতা।
অনেক অনেক দোয়া করি আমার ছোট ভাইটির জন্য যাতে জীবনে সে প্রতিষ্ঠিত আর মানুষের মত মানুষ হয়। শুভেচ্ছা রইলো
৩১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
শারলিন বলেছেন: গল্প টা পড়বো, তার আগে বলি এই ঘর গ্রাম বাংলায় এখনও কোথাও কোথাও দেখা যায়।
একসময় আমার দাদী এরকম একটা ঘরে থাকতেন। তাই ঘরটা দেখে অনেক বছর পিছনে চলে গিয়ে ছিলাম.।.।.।.।.।।
ধন্যবাদ
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮
জুন বলেছেন: এমন ঘর এখনো কিছু কিছু আছে তবে এ ছবিটি আমি নেট থেকে নিয়েছি শারলিন। চিটাগাং এলাকার।গ্রামে একবার দেখেছিলাম এমন মাটির ঘর। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো সাথে শুভেচ্ছা একরাশ।
৩২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭
নেক্সাস বলেছেন: বাহ জুনাপা কে এবার পেলাম গল্পকার হিসেবে। সব্যচাসী। গল্প দারুন লেগেছে।
আমাদের সমাের আবহমান দৃশ্যপট অংকন করেছেন স্বার্থক ভাবে
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০৯
জুন বলেছেন: জুনাপা আপা আগেও অনেক ছোট গল্প লিখেছে তা আমার এই ভাইটির চোখ এড়িয়ে গেছে হয়তো বা
অনেক দিন হলো লেখি না তাই একটু ঝালিয়ে নিলাম যাতে এতে মরিচা না পরে যায়।
দারুন লাগার জন্য প্রীত হোলাম প্রিয় কবি, অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
৩৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বেশ ভাল একটা গল্প পড়লাম। মাটির ছোঁয়া পাওয়া যায়। আমার ভাইয়ের নাম কাওসার। আমিও প্রথমে কাওসারকে ছেলেই ভেবেছিলাম। যা হোক মেয়েদের নামও কাওসার হতে পারে।
শীত থাকলে কি হবে পুকুরের পানি কিন্ত ওম গরম। আচ্ছা শীতকালে কি পুকুরের পানি আসলেই কখনো গরম থাকে? আমি তো তেমন পাইনি কখনো। ফজরের নামাজের জন্য পুকুরে ওজু করতে কী যে কষ্ট লাগত। হাত-পা জমে বরফ হয়ে যেত যেন।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৪
জুন বলেছেন: আমি একজন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে শুনেছি শীতকালে পুকুরের পানি বাইরের আবহাওয়ার চেয়ে খানিকটা নাকি গরম থাকে অলওয়েজ ড্রিম। নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই
আমার জানা বেশ কয়েকজনের নাম কাওসার সুলতানা বা কাওসার বেগম যাদের শুধু কাওসার বলেই ডাকা হয়।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সাথে শুভেচ্ছা সতত।
৩৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৬
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বাঘ মামা'র চাঁদপুরের ব্যাপারটা পড়ে অসাধারণ লাগল। আমার অভিজ্ঞতা বলে চাঁদপুরের মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
জুন বলেছেন: গ্রামের মানুষরা শহুরের মানুষের চেয়ে এখনও অনেক অতিথি পরায়ন । তাদের ভাষায় মেহমান হলো ফেরেশতা , সৌভাগ্য নিয়ে আসে ।
আবার এসেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৬
সাদিয়া আফরোজ বলেছেন: গতকাল মোবাইলে পড়েছি। বাহিরে থাকায় মন্তব্য করা হয়নি। গ্রামীন পটভুমির অসাধারণ প্রকাশ।
+++++++
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সাদিয়া আফরোজ
৩৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জুন আপ্পি আপনি বরাবরই খুব ভাল লেখেন নিঃসন্দেহে। এই গল্পটাও তার ব্যতিক্রম নয়।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪০
জুন বলেছেন: কান্ডারি আপনিও আমার হাবিজাবি সব লেখার এক উতসাহদাতা। অনেক কৃতজ্ঞ আমি। শুভকামনা রইলো
৩৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কত সাবলীল ভাবে লিখে গেলেন ।আর তাতে একটা সাধারন ঘটনা কি অসাধারন মনে হল। অনেক সুন্দর হয়েছে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪২
জুন বলেছেন: ভালোলেগেছে জেনে অনেক অনেক ভালোলাগা মোস্তফা সোহেল। সাথে থাকুন আগামীতেও
৩৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১২
কালনী নদী বলেছেন: Click This Link
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪
জুন বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৬
রিপি বলেছেন: ভালো লেগেছে। গ্রামের জীবন পরিবেশ অনেক জীবন্ত ভাবে ফুটে উঠেছে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৯
জুন বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশী হলুম রিপি। আপনি মনে হয় আমার ব্লগে এই প্রথম বারের মত? তাহলে স্বাগত রইলো সব সময়ের জন্য।
৪০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:১৪
মুরশীদ বলেছেন: দিন শেষের কাব্যে অনেক কথাই শোনা হলো। গ্রামীন পরিবেশের সাথে মফস্বলের খানিকটা ছোয়া। কুসংস্কারাপন্ন সমাজের দু একটি বিবরণ এ গল্পটি সত্যি হয়ে উঠলো। লিখতে থাকুন
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩২
জুন বলেছেন: সময় বের করে নিয়মিত আমার লেখা পড়ছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জনাব মুরশীদ
৪১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২
রাবার বলেছেন: পল্লী সমাজের এক চিরন্তন চিত্র অনেক ভাললাগলো +++++++
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৬
জুন বলেছেন: আপনার পল্লীসমাজ শুনে আমার আবার শরতচন্দ্রের পল্লীসমাজ বইটির কথা মনে পড়লো রাবার
ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ভালোলাগা জানবেন।
৪২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
আমিই মিসির আলী বলেছেন: গ্রামের অবস্থার যদিও এখন অনেক উন্নতি হইছে তবুও কিছু কিছু গ্রামে কিছু কুসংস্কার এখনো আছে।
গল্প অনেক ভালো লাগছে।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৯
জুন বলেছেন: হ্যা গ্রাম আর এখন আগের গ্রাম নেই মিসির আলী। বিদ্যুতের সাথে সাথে টিভি তাদের অনেক পরিবর্তন এনেছে যার সুফল কুফল দুটোই আছে। তাদের জীবন অনেক স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়েছে তবে অনেক সরলতাও হারিয়ে গেছে।
গল্প ভালোলাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
৪৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০১
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভালোলাগার জন্য নীলপরি
৪৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৯
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
মাথামুথা ঠান্ডা করে সময় নিয়ে ১দিন পড়বো, পড়বোই!
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৩
জুন বলেছেন: আচ্ছা ইমরাজ কবির মুন আপনার যখন আজ্ঞা হয়। হাজিরা দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
৪৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগল আপু... অনেক দিন পর গল্প পড়লাম...
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৬
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক ভালোলাগা রইলো জহির ।
লিখলাম একটা যা তা । মানুষ তো আমার ভ্রমন কাহিনী পড়ে ত্যাক্ত বিরক্ত
৪৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০১
জেন রসি বলেছেন: খুব চমৎকার ভাবে বর্ণনা করেছেন। মনে হচ্ছিল চোখের সামনেই সব স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম।
++
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১০
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া মন্তব্য করা আর প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জেন রসি ।
৪৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৪
ইস্কান্দার মীর্যা বলেছেন: মাটির ঘরটা খুব সুন্দর লাগতেছে দেখতে । কোথাকার ছবি ? (সরি, লেখাটা পড়তে পারি নি পুরোটা ) ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৯
জুন বলেছেন: ছবিটি নেট থেকে নেয়া ইস্কান্দার মীর্যা ।
৪৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: হমমমমমমমমমমমম
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
জুন বলেছেন:
৪৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার ছোট খাট বর্ণনা একদম মাটির গল্প
+++ আপু
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া , মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা মনিরা সুলতানা
৫০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
ভারসাম্য বলেছেন: যদিও সাহিত্য সমালোচনার যোগ্যতা রাখি না তেমন, তবু যেহেতু গল্পের কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি-বাড়তি আছে মনে হয়েছিল এবং সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দিতে বলেছেন, তাই সেগুলোই বলার চেষ্টা করছি নীচে।
যেহেতু এটা একটা ছোটগল্প; বড় গল্প বা উপন্যাস নয়, তাই ছোটগল্পের সার্থকতা ঠিক রাখতে গল্পের মূল ফোকাসটা কাওসারের উপর আরো বেশি রেখে অন্যান্য সব ক্ষেত্রেই ডীটেল বর্ণনায় না গিয়ে ছোট ছোট এবং কম সুস্পষ্ট আকারে থাকলেই ভাল হত হয়তো। কিন্তু যেহেতু গল্পটা অনবদ্য নিখুঁতভাবে বর্ণিত হচ্ছিলো, তাই গল্পটাকে আরেকটু টেনে বড় করে এবং কোথাও কোন ফাঁক-ফোঁকর না রেখে শেষ পরিণতিটাও উল্লেখ করেও এটাকে একটা সার্থক বড়গল্প হিসেবেও দাঁড় করানো যেত হয়তো। যেমন, মায়মুনা বিবির ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে অজু-নামাজ-নাস্তা, ছেলে-মেয়েদের পড়ানো এই কাজগুলোর সময় ধরে ধরে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির নিখুঁত বয়ানসহ ধারাবাহিক আকারে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু এই সময়কালের মধ্যে আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাজের বর্ণনা বাদ পড়ে গিয়েছে। গল্পের অনবদ্যতার প্রয়োজনে যদি কিছু বাদ দিতে হয়, তাহলে সেটা এমনভাবে করলে ভাল হয়, যেন সেটা উল্লেখের প্রয়োজনই নেই বলে পাঠকের কাছেও মনে হয়।
যাই হোক, যদিও 'কাওসার' নামটি কনফিউশনে ফেলে দিয়েছিল আমি সহ প্রায় সবাইকেই, তাই এই চরিত্রটিকেও নামোল্লেখের সময়েই কোন একভাবে নারী-চরিত্র হিসেবে চালিয়ে দিতে পারলে ভাল হতো সম্ভবতঃ। 'কাওসার' যখন ক্লাস সিক্সে পড়ে তখন তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থায় কোন উন্নতি ঘটেছিলো কিনা এটা গল্পে আসে নি, কিন্তু কাওসারের তখনকার সাজ-সজ্জায় আগের মলিন অবস্থার চেয়ে অনেক চাকচিক্য এসেছিলো বলে মনে হয়েছে। আর সবশেষে এত সুন্দর বর্ণনার পরেও, গল্পটা পড়া শেষে কাওসারকে নিয়ে পাঠকের মধ্যে যে মাত্রার আক্ষেপ সৃষ্টি হওয়া উচিৎ ছিল, ততটা হয় নি সম্ভবতঃ।
অনেক বলে ফেলেছি, গলা শুকায় গেছে, পানি দেন।
পরের গল্পটা কবে দিচ্ছেন! শুভকামনা রইলো।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
জুন বলেছেন: গল্পের দুর্বলতাগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভারসাম্য । সারাক্ষন ব্লগের কথা মাথায় রেখে গল্প লেখা শুরু করি তাই লেখায় ঘাটতি থেকে যায় অনেকটাই । এটা ছোট করতে গেলে ওটা বড় হয়ে যায় তো এটা বড় করলে ওটা ছোট হয়ে যায়। আর কাওসারদের অর্থনৈতিক অবস্থার উত্তরন হয়নি। কিন্ত ১৪ / ১৫ বছরের লম্বা চওড়া ডগমগে স্বস্থ্যে ভরপুর শরীর আর তার সৌন্দর্য্য পোষাকে ঢাকা থাকে কি ভারসাম্য ?
। আজও ব্লগে সকাল আট টা নটার দিকে একটি পোষ্ট এসেছিল , লেখিকা কাওসার পারভীন । আমি তো নামটা এমন কনফুশন হবে জানলে পালটে দিতুম । আমাদের ফ্যমিলিতে অনেক মেয়ের নাম নাসিম , শাহীন । ওদের কি হবে
আবার এসে বুঝিয়ে বলার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । এরপর থেকে আপনার কথাগুলো মাথায় রেখে গল্প লিখবো তবে হয়তো আর এখানে নয় । শুধু নিজের জন্য
৫১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: গ্রাম বাংলার গল্পে ভালো লাগা। অভিনন্দন।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক ভালোলাগা রইলো বন্ধু তুহিন। পানকৌড়ির মত কই যে ডুব দিয়ে থাকেন আবার ইচ্ছেমত ভূষ করে ভেসে ঊঠেন অনেক দিন পর পর? আগের মত লেখালেখিতেও নেই। জীবন সংগ্রামে ব্যাস্ত কি কবি?
৫২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভারসাম্য'র সাথে একমত। গল্পটা ব্লগের জন্য আরো উপযোগি হতো যদি সাইজ ছোট রাখা যেত।
তবে গল্পটি যেরকম প্রভাব বিস্তার করতে পারছে, সেটা অন্য দশটা গল্পে পাওয়া যায় না। সাহিত্যমান বিবেচনা করলে সাবলীল ও ঝরঝরে একটি গল্প যা, পাঠকের মনোজগতে একটা আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম।
কাওসার আপা'ই যেহেতু মুল চরিত্র সেহেতু তাঁর ওপর যে অন্যায় হয়েছে সেটাই আমার কাছে মুখ্য বিষয় মনে হলো। জ্বীন ভুত এইগুলো আগেকার নিত্যদিনের ব্যাপার ছিল সেটা ঢের ওঠে এসেছে।
জুনাপু! সত্যি কথা বলতে কী, তৎকালীন বাংলা'র একটি চিত্র খুব চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। (+)
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৯
জুন বলেছেন: কোন দিকে সাইজ ছোট রাখবো গেম চেঞ্জার? অনেকে বলে আমি নাকি বেশি ছোট গল্প লিখি। কই যাই কি করি
পোষ্টটি পড়া, মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
শুভেচ্ছান্তে.....
৫৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রথমদিকে বুড়ি মায়মুনাকে নিয়ে বেশি লেখা হয়ে গেছে। এটা আরো সর্ট করতে পারতেন। আর ভারসাম্য তো অনেক ভাল বিশ্লেষণ করেছেই।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৮
জুন বলেছেন: বুড়ি পছন্দ না
৫৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হেঃ হেঃ হেঃ
(সত্যিই না)
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৫
জুন বলেছেন: ঐটা আমি আগেই বুঝতে পেরেছি গেম চেঞ্জার
ওক্কে পরবর্তী গল্প হবে এক তরুনী কইন্যাকে নিয়ে গেম চেঞ্জার
৫৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
porLam.
overaLL sundor hoise Juneaunty
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
জুন বলেছেন: ভালো লাগার জন্য মেনি মেনি থ্যংকস ইমরাজ কবির মুন নাতি
৫৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
সাহসী সন্তান বলেছেন: ইমরোজ কবির মুন আপনাকে আন্টি কইলো, কিন্তু আপনি তাকে নাতি কইলেন ক্যান জাতি জানতে চায়?
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২০
জুন বলেছেন: ওই একই কথা সাহসী যাহা বায়ান্ন তাহাই তিপ্পান্ন
৫৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
এহসান সাবির বলেছেন: গ্রাম বাংলার এই সমস্যা লেগেই আছে।
গল্প ভালো লেগেছে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩
জুন বলেছেন: এতো সেই অনেক আগের এক সমাজের ছবি এহসান সাবির। এসব কি এখনো বজায় আছে! প্রযুক্তির কল্যানে গ্রাম কি সেই আগের মত গ্রাম আছে কি? ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ভালোলাগা
৫৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯
সোহাগ সকাল বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায়
বলেছেন: গ্রাম বাংলার পটভূমিতে
লেখা গল্পে ভালোলাগা। তবে,
এই গ্রাম্য জীবন আজ হারিয়ে
গেছে, এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও গ্রাম্য জীবনেও
কেমন বেখাপ্পা শহুরে উপাদান ঢুঁকে গেছে।
কিন্তু যা দরকার ছিল, সেই শিক্ষার আলো আর
সচেতনতা ঢুকতে পারে নাই।
উনার সাথে সহমত।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২৩
জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পুরনো পোষ্টটি পড়ার জন্য সোহাগ সকাল
৫৯| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট।
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৩৭
জুন বলেছেন: অনেক পুরোনো লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত আমি। ভালো থাকুন, নিরাপদে আর সাবধানে। কি এক তাবলিগী জামাতের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় করোনা ছড়িয়ে পরলো। দোয়া করবেন আমাদের জন্য ও।
৬০| ১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: হায়, স্বামীর হাতে চড় থাপ্পর না খেলেই এক সময় নারীদেরকে সৌভাগ্যবতী ধারণা করা হতো!
জ্বীন-ভুত বা পরীর আছড় ছাড়াতে গ্রামের কত নারী পুরুষকে যে হেনস্থা হতে হয়, এমনকি জীবনও দিতে হয়, তার কোন হিসেব নেই।
আমাদের ব্লগেও একজন কাওসার চৌধুরী আছেন, আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, গল্পের কাওসার সেরকমই হবে কেউ একজন।
পোস্টে ভাল লাগা + + রেখে গেলাম।
২১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩
জুন বলেছেন: হায়, স্বামীর হাতে চড় থাপ্পর না খেলেই এক সময় নারীদেরকে সৌভাগ্যবতী ধারণা করা হতো!
খোজ নিয়ে দেখেন আজও হয়তো এ থেকে বের হতে পারে নি আমাদের সমাজ ।
মেয়ে কাউসার আমার জানাশোনা অনেকেই আছে
অসুস্থ (করোনা নয়) থাকায় আপনাদের মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল ।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য খায়রুল আহসান । আপনি পুরনো লেখাতে মন্তব্য করে আপনার ট্রেড মার্ক বজায় রাখছেন ।
৬১| ২১ শে মে, ২০২১ রাত ৯:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অসুস্থ (করোনা নয়) থাকায় আপনাদের মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল" - দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠুন, এ দোয়া করছি।
এর আগে একবার কব্জীর ব্যথায় অনেকদিন লেখালেখি থেকে দূরে ছিলেন, অথবা খুব কম কম করে লিখে ব্লগে হাজিরা দিতেন। এ বারেও কি সেটাই কারণ, নাকি অন্য কিছু? যাই হোক, দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠুন!
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গল্প পড়বো পরে, আগে বলেন এই ঘরের ছবিটা কোথাকার