নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদেশের এক ওয়াটার ট্যাক্সি
এই তো মাত্র দু-তিনদিন আগেই বসে বসে একটি কথা খুব ভাবছিলাম। আর যে কোন কিছু ভাবার পেছনে একটি গুঢ় কারনতো অবশ্যই থাকে বৈকি। আমার ভাবনার বিষয়টি ছিল আমাদের দেশের মানুষের এক ভয়াবহ দু:স্বপ্ন ট্রাফিকজ্যাম। বর্তমানে আমাদের নগরবাসীরা যানজটে কি পরিমান কষ্ট আর নাকাল হচ্ছে তা ভুক্তভোগীরা ভালো করেই অবহিত। খুব জরুরী কাজ ছাড়া ঢাকাসহ প্রধান প্রধান নগরবাসীরা বাইরে বেরুনোর কথা চিন্তা করতেও ভয় পায়, আতংকিত হয়। আধা ঘন্টার পথ তিন ঘন্টা লেগে যায় যেতে যেতে।
দুপাশে বাধানো এই পথ শুধু সাইকেলচারী আর পথচারীদের জন্য বরাদ্দ
আমার সাময়িক নিবাসের পেছনে এক খাল পথ দেখতে দেখতেই আমার মনে এই ভাবনার উদয় হলো। আচ্ছা আমাদের দেশও তো খাল বিলে ভরা। তা আমরা এদের কাজে লাগাই না কেন বিশেষ করে যাতায়তের জন্য ? বিশেষ করে আমাদের রাজধানী শহরে।
ব্যাস্ত নগরীর দুটি ব্যাস্ত জনপদের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা খাল,যার দুপাশে রয়েছে বাধানো পায়ে চলা পথ
এই পথে চলতে গিয়ে কখনো আপনি সাইকেলের ক্রিং ক্রিং শুনতে পাবেন না। আস্তে করে মৃদু গলায় আপনাকে তাদের ভাষায় ধন্যবাদ জানাবে পথ ছেড়ে দেয়ার জন্য।
সে খালপথে চলছে ট্যাক্সি
এ পানিপথ ব্যবহারের জন্য কোন স্বচ্ছসলিলা জল প্রবাহের প্রয়োজন আছে কি? ওরা তো এই কালো ময়লা পানি পথকেই তাদের কাজে ব্যবহার করছে। দুদিকে সিমেন্ট বাধানো পাকা রাস্তা যা শুধু নির্ধারিত সাইকেল আর পদযাত্রীদের জন্য। খালের দু পাশ জুড়ে সারিবদ্ধভাবে ঝোলানো সাদা সিরামিকের টবে বোগনভিলিয়া ফুলের সারি।
এটা হলো সেই ঘাট যা আমার সাময়িক বাসার পেছনে, চুপচাপ অপেক্ষারত যাত্রীরা
ফুলে ফুলে শোভিত পথের মাঝখানে এই ছোট খাল দিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রী ওয়াটার ট্যাক্সি নামে ইঞ্জিন চালিত দ্রুত গতির নৌকায় এ পথে তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করে। আমি ও এ পথ দিয়ে সকাল বিকাল হাটার সময় খুব গভীর মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করি তাদের। দেখে মনে হয় কেউবা শিক্ষালয়ে কেউবা চাকরীর জন্য ছুটে চলেছে সে পথে।
বিশাল তরুরাজী আর ফুল ফলে ছেয়ে থাকা পথ
খালের দুধারেই রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা যেমন: স্কুল, শপিং মল, কাচা বাজার, ছোট খাটো রেস্টুরেন্ট কাম বাসা, মন্দির মসজিদ, খেলার মাঠ সবকিছুই। অর্থাৎ দুদিকে দুটি জনপদ। যার সামনের দিকে রয়েছে চার লেনের চওড়া প্রধান সড়ক ছাড়াও উপর দিয়ে চলে যাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে। যে পথে চলছে স্বল্প ভাড়ায় প্রচুর বাস আর মিটার ট্যাক্সি।
এই মন্দিরের গা ঘেষেই সহবস্থান এ রয়েছে মসজিদ
তারপরও তারা পেছন দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া এই খাল পথকে কাজে লাগিয়েছে অত্যন্ত কার্যকর ভাবে। আমাদের দেশ হলে এতদিনে বর্জ্য ফেলে ভরাট এটাকে দখল করা হয়ে যেত। অত্যন্ত দু:খ হয় এসব লিখতে আর ভাবতে।
ঐপাশে এক ছোট্ট বাসার ভেতরের এক দিকে দোকান
এই খাল পথে সরকার নিয়ন্ত্রিত ওয়াটার ট্যাক্সি ছাড়া আর কোন ব্যক্তিগত জলযান নেই। নেই ঘাটে ঘাটে কোষা নৌকা বাধা। তবে ভাবছেন খালের দুধারের লোকজন সেই প্রধান সড়ক না ঘুরে এধার থেকে ওধারে কি ভাবে যাতায়ত করে? সে ব্যবস্থাও আছে বৈকি।
এপারের জনপদ থেকে ওপারের মসজিদ, মন্দির আর স্কুলে যাবার জন্য রয়েছে ভেলা
এর জন্য কিছু দূর পর পর ছোট ছোট সেতু, যার উপর দিয়ে দুই লেনে গাড়ি চলাচলের পথ ছাড়াও রয়েছে লোক চলাচলের জন্য দুদিকে রেলিং দেয়া পথ। এছাড়াও এর এক জায়গায় রয়েছে ভেলা যা পাড়ি দিয়ে বাচ্চারা ঐপারে স্কুলে যাচ্ছে, যাচ্ছে মসজিদ মন্দিরে, শপিং মলে কিম্বা খেলার মাঠে। এই খাল পথটির দুটি লাইন রয়েছে রাজধানীর বুকে, যেমন আছে আকাশ রেল আর পাতাল রেলের।
কখনো ছেলেটি, কখনো তার মা বা ভাই পা দিয়ে ঠেলে ঠেলে লোহার তার পেচানো পুলির সাহায্যে ভেলাটিকে এপার ওপার করছে সারাদিন।
মসজিদ আর বৌদ্ধ মন্দিরের পরেই আছে সবুজ গাছে গাছে ঢাকা এক স্কুল ভবন
যাই হোক গত দুদিন ধরে এসব নিয়ে ব্লগে একটা পোষ্ট দিবো ভাবছি, এরই মাঝে পত্রিকায় দেখলাম আমাদের ঢাকায়ও ওয়াটার ট্যাক্সি নামছে যে খালগুলোয় যার কথা আমরা ভাবছিলাম গত কয়েকদিন ধরে। এ খবরটি পড়ে ভীষন খুশী হোলাম,আবার আশংকিত হোলাম বৈকি। কারন বেশ কয়েক বছর আগে ঢাকার চারিদিক দিয়ে অনেক আশা নিয়ে এমন এক নৌপথ শুরু হয়,।যা কিনা দুদিন পরেই মুখ থুবড়ে পড়ে।
আমাদের বিলাস বহুল ওয়াটার ট্যাক্সি যাতে যাত্রীরা কেক বিস্কিট খেতে পারবে।
পত্রিকায় দেখলাম আমাদের দেশের সেসব বিলাশ বহুল ওয়াটার ট্যাক্সির ছবি যার দাম ৮৫ লাখ টাকা, আর যেখানে আপনি কেক বিস্কিট ও খেতে পারবেন।
কিন্ত ওরা তুলনামুলক ভাবে আমাদের থেকে ধনী দেশ হয়েও তাদের নৌকা অর্থাৎ ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো কাঠের তৈরী। ঝকঝকে পরিষ্কার রঙ করা কাঠের পাটাতনের উপর ঘন ভাবে সারি সারি সরু বেঞ্চ পাতা।
ঢেউ তুলে সাঝের আধারে ছুটে চলা নৌকা।
আমাদের দেশের পত্রিকায় ছাপানো ওয়াটার ট্যাক্সির দেয়া ছবির মত কোন আরামদায়ক সিট এখানে নেই। সবাই পাশাপাশি বসে আছে আর যায়গা না হলে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে তাদের গন্তব্যে।
ওই পাশেও রয়েছে এমনি গাছ আর ফুল।
এ পথে যানযট নেই। যার যার গন্তব্য আসার সাথে সাথে দ্রুত নেমে যাচ্ছে আর কেউবা উঠছে। এত যে লোক নৌকায় তারপর ও নেই কোন হৈ চৈ চেচামেচি, না ভাড়া নিয়ে কোন হট্টগোল। প্রতিটি যাত্রী অত্যন্ত সততার সাথে নিজ নিজ গন্তব্যের নাম বলে টাকা বাড়িয়ে দিচ্ছে আর কন্ডাকটার নিঃশব্দে টিকিট আর বাকি পয়সা এগিয়ে দিচ্ছে। এক স্টেশন থেকে উঠে পরের স্টেশনে নেমে গেলে ভাড়া দিতে হবে না।
ভাড়া নিচ্ছে কন্ডাক্টর
এমনি সেতু বেশ কিছু দূর দূর যাতে গাড়ি আর মানুষ পার হচ্ছে
গুরুত্বপূর্ণ লোকালয়ে রয়েছে একটি করে ল্যান্ডিং স্টেশন। কতগুলো স্টেশন বেশ পর পর , কিছু কিছু আবার বেশ খানিকটা দুরত্বে।
এমন একটি ল্যান্ডিং স্টেষন
সারি সারি পাতা কাঠের বেঞ্চে যাত্রীরা বসে আছে চুপচাপ নিজ নিজ গন্তব্যের অপেক্ষায়।
বাইরে দেখতে যেমনই হোক ভেতরটা ঝক ঝকে তক তকে পরিস্কার সেই ওয়াটার ট্যাক্সিতে কেউ কেক বিস্কিট খাচ্ছে না। বলতে গেলে সময় কই সেই অল্প সময়ের যাত্রা পথে খাওয়া দাওয়া করার! আর ওদের দেশে যানবাহনে খাওয়া নিষেধ ও বটে। হয়তো যানবাহন বা রাস্তাঘাটে চিপসের প্যাকেট আর ঝালমুড়ির ঠোংগা ফেলার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়তো তাদের অতীতেও ছিল।
যত দ্রুত গন্তব্যে ছুটে চলা যায়
আর আমাদের দেশে ঐ স্বল্প দুরত্বে অল্প সময়ের জন্য কোথাও যাবার জন্য যাত্রীদের কেক- বিস্কিট আর কোক খেতেই হবে! আর সেগুলোর মোড়ক আর কোকের বোতলের গন্তব্য কোথায়? যেদেশে চলতি গাড়ি থেকে মানুষ সদ্য ঝাড়ু দেয়া পথে চিপসের খালি প্যাকেট আর পানির বোতল ফেলে যায় সেখানে অবধারিত গন্তব্য হবে সেই খালপথ।
এই দুষিত পানিকে তারা পরিস্কার করার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এশিয়ার একটি দেশ হয়েও এদেশের নাগরিকরা পানিপথ হোক আর রাজপথই হোক পথের মাঝে ঠোঙাু ছুড়ে মারার কথা কল্পনাও করতে পারে না। আমরাও আমাদের দেশ থেকে এসব দূর করতে পারি শুধুমাত্র দরকার আমাদের একটু সচেতনতা আর সদিচ্ছার। খুব কষ্ট হয় যখন অন্য দেশ দেখতে গিয়ে নিজের দেশের চিত্রটিও উঠে আসে চোখের সামনে। আমরা ধনে জনে দরিদ্র নই, দরিদ্র মানসিকতায়।
মসজিদের সামনে থেকে ভেলায় করে পার হচ্ছে ছোট স্কার্ট পড়া মেয়েটি
শেষে এটা বলেই শেষ করি তা হলো আমাদের এসব কাজে যারা সংশ্লিষ্ট তারা কি চিন্তা ভাবনা নিয়ে চলাফেরা করে তা খুব জানতে ইচ্ছে করে। এখানে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন শুনেছি ইউনিভারসিটির প্রফেসররা।
বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য একদিন ঘুরে এলাম এই পথ দিয়ে।তবে আমার দেখা খালপথ আর তার চারিপাশ দেখুন আমার মোবাইলে তোলা ছবির মাধ্যমে।
রাতের আলোয় শহরের কেন্দ্র থেকে ফিরে আসা যাত্রিরা
রাতের আলোয় ঝলমল ওয়াটার ট্যাক্সি
আমি কায়োমনবাক্যে বাংলাদেশের এই কর্মসূচীর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।
ঝোড়ো বাতাসে ফুলে ওঠা ঢেউ ভেংগে ছুটে চলা ট্যাক্সি।
বিকেলের নরম আলোয় জলের বুকে দ্রুতগতিতে ছুটে চলা এক ওয়াটার ট্যাক্সি
অনেক কিছু লেখার ছিল, ছবি ছিল কিন্ত ট্যাব আর মোবাইল দিয়ে সম্ভব হলো না। আর মেঘলাদিনের ছবিগুলো অত পরিষ্কার আসে নি বলে দু:খিত।
বাধানো পথের পাশে সেই চির পরিচিত বাগান বিলাস।
সব ছবি আমাদের মোবাইল স্যমসং গ্যালাক্সি আর আপেলের আই ফোনে তোলা।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫
জুন বলেছেন: আপনি অত্যন্ত অল্প কথায় অত্যন্ত রূঢ় সত্যটি তুলে ধরেছেন নুরুন নাহার লিলিয়ান। আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন আমার।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ওয়াও! ব্যবস্থাটা সত্যিই দারুণ।
এতে শুধু ভোগান্তিই কমছে না, যাত্রীরা মনোরম দৃশ্যও অবলোকন করতে করতে যেতে পারছে। সময়ও বাঁচছে। এমনকী অপেক্ষা করাতেও যেন বিরক্তি না আসে তারও ব্যবস্থা আছে। পানির ধারে বসে থেকে প্রকৃতি উপভোগ করলে আর বিরক্তি লাগে নাকি?
চমৎকার ব্যবস্থা।
আমাদের দেশেও এমন কিছু হলে খারাপ হবে না। ভোগান্তি কমবে। সাথে রাস্তার জ্যামও কমবে।
কিন্তু সমস্যা হল - আমাদের দেশে এই সিস্টেম চালু হলে দেখা যাবে - রাস্তা ঘাট সব ভেঙ্গেচুরে খাল খনন শুরু করে দিবে।
নৌকায় উঠতে হলে যাত্রীকে অনেকখানি আগে সাঁতার কেঁটে পরে উঠতে হবে।
খালের একদম মাঝখানে নামিয়ে দিবে। বাকি পথ সাঁতার কেঁটে পেরুতে হবে।
সাথে সাথে মনোরম পরিবেশের বদলে দুর্গন্ধের ভিতর দিয়ে আসতে হবে। কারণ, ময়লা তো তখন রাস্তার বদলে ফেলবে পানিতে।
বাস-ট্রাক-এর জ্যাম কমে গিয়ে তখন নৌকা, ট্রলারের জ্যাম লাগবে।
সমস্যার শেষ নাই। হাস্যকর হলেও দুঃখের কথা এটাই।
পোস্টটা চমৎকার। ছবিগুলোও। ++++++
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
জুন বলেছেন: রক্তিম দিগন্ত অত্যন্ত ব্যস্ত থাকায় আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্যটির উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল।
আমাদের বর্তমান রাস্তা ঘাট এখন খাল হয়েই আছে, এখন শুধু ওয়াটার ট্যাক্সি নামানোর অপেক্ষা।
যেই হাতির ঝিল থেকে ট্যাক্সি চালু হবে বলে পেপারে পড়লাম সেটা বানানোর কত অল্পদিনের মধ্যেই আমরা তার সমস্ত সৌন্দর্যককে ধ্বংস করলাম তাতো নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন। তেমনি হবে আমাদের এই খালপথের অবস্থা।
এদেশের খাল পথটি ও স্বচ্ছ পানির নয়, কিন্ত তারপর ও একে মেইনটেইন করার কি অক্লান্ত প্রয়াস চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না।
ট্রলারের জ্যাম লাগবে কারন আমাদের কেউ যখনই কোন ব্যবসা করতে যায় তখন একজন একটা শুরু করলে তার দেখাদেখি আরো একশজন। যেমন ভিডিওর ব্যবসা, ডিশের ব্যবসার কথা মনে পড়ছে এই মুহুর্তে।
যাই হোক তারপর ও আশাবাদী মন আশায় আশায় থাকি।
অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থেকে উতসাহিত করার জন্য। শুভেচ্ছা রাত্রির।
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মেলাদিন নৌকা ভ্রমন করিনি । পোস্টটা ভালো লেগেছে ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জুন বলেছেন: এটাতো নৌ ভ্রমনের জন্য নয় সাধু এটা একটা ট্রান্সপোর্ট। যদিও রাস্তা দিয়ে একের পর এক বাস নির্দিষ্ট জায়গায় যাচ্ছে তারপরো যানজট মুক্ত এবং দ্রুত যাতায়তের জন্য শত শত লোক একে বেছে নিচ্ছে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫
ক্লে ডল বলেছেন: শেষে এটা বলেই শেষ করি তা হলো আমাদের এসব কাজে যারা সংশ্লিষ্ট তারা কি চিন্তা ভাবনা নিয়ে চলাফেরা করে তা খুব জানতে ইচ্ছে করে। এখানে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন শুনেছি ইউনিভারসিটির প্রফেসররা।
আমাদের দেশে যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তারা ঐ বিষয়ে কতখানি জ্ঞান রাখেন ভাবতে হবে। প্রফেসরদের বিদ্যা শিক্ষা দান করা ছাড়া কোন পরামর্শ প্রদানে ডাকা হয়কি!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৬
জুন বলেছেন: আর যাদের পরামর্শের জন্য ডাকা হয় তারা বিভিন্ন দলাদলি আর শুধু জী হুজুর করে কিছু লভ্যাংশ কামিয়ে আসে। তাদের কোন ব্যক্তিত্ব বা ভয়েস আছে কি না আমার সন্দেহ হয় ক্লে ডল। বড় দু:খ নিয়ে কথাগুলো বলতে বাধ্য হোলাম। আর তারাই নাকি জাতির বিবেক। আমাদের জাতির কারো কোন বিবেক আছে কি না তা নিয়ে আমার ভেতর প্রচুর সন্দেহ।
মন্তব্যে আর সাথে থেকে উতসাহিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ওরা নোংরা পানিকে পরিষ্কারের চেষ্টায় মত্ত, আমরা পরিষ্কার পানি নোংরা করার চেষ্টায়। নোংরা পানির খাল ঘিরেই ওদের এতো আয়োজন, আমাদের আয়োজন পরিস্কার খাল ভরাট করায়।
পোস্ট আর ছবি ভাল লেগেছে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৫
জুন বলেছেন: আমি যে কথাটি ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলতে চেয়েছি আপনি সেটাই এক কথায় বলে দিয়েছেন অচম ভুত। আমাদের সর্বগ্রাসী ক্ষিধে থেকে কোন কিছুরই মুক্তি নেই। আগাপাশতলা দুর্নীতিগ্রস্ত অদ্ভুত এক জাতি আমরা।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই সাথে থাকলো শুভেচ্ছা রাত্রির।
৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০০
পথহারা মানব বলেছেন: আপু তোমার পোস্ট দেখে লগইন না করে থাকতে পারলাম না।
সত্যি যদি আমাদের দেশেও এমন করে খালগুলোর ব্যাবহার হত। সেদিন ঢাকা শহরের কয়েকটা খালের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম আর এরুপটাই বারবার ভাবছিলাম। আপু আমাদের কতৃপক্ষনা অল্প বাজেটের কিছুর কথা ভাবতেই পারে না। সহজ সমাধান তাদের ইজ্জতের উপর আঘাত হানে তাই ভাল লাগে না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা বিষয় অসাধারন সব ছবি আর সুন্দর কথামালায় তুলে ধরার জন্য।
আশা করি সামু এই পোস্ট স্টিকি করবে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০২
জুন বলেছেন: পথহারা মানব এমন মন্তব্য করলেন যা শুনে সামুর নোটিশবোর্ড সার্ভার ডাউনের ঘোষনা দিয়ে ফেল্লো আমার এই হাবিজাবি পোষ্টটি স্টিকি করার মত আপনার এ কথা শুনে অনেক খুশী হোলাম। এখন দেখেন সামু মামু কবে আবার চালু হবে আর কবে যে আমি সবার মন্তব্যের জবাব দেবো
আমরা ধনী দেশের কাতারে চলে এসেছি, আমরা কেন স্বল্প খরচে জিনিস তৈরী করবো শুনি? আমাদের হবে সব মেগা মেগা প্রজেক্ট। সত্যি অন্য দেশের সাথে অটোমেটিক তুলনা চলে আসে আর ভীষন কষ্ট হয়। আর আমরাও এক জাতি যাদের সব রকম কষ্ট সহ্য করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা দিয়ে বিধাতা আমাদের দুনিয়ায় পাঠিয়েছে।
আন্তরিক একটি মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন পথ হারা মানব
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
পুলহ বলেছেন: "আমরা ধনে জনে দরিদ্র নই...." আর এ কারণেই ওয়াটার ট্যাক্সিতে বইসা আমাদেরকে কেক-বিস্কুট খাইতেই হবে প্লাস ওয়াটার ট্যাক্সির গঠন হইতে হবে বিলাসবহুল। অথচ "... ওরা তুলনামুলক ভাবে আমাদের থেকে ধনী দেশ হয়েও তাদের নৌকা অর্থাৎ ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো কাঠের তৈরী। "
কিছুদিন আগেই বিছনাকান্দি ঘুরে এলাম আপু, অলমোস্ট পুরাটাই মনে হোল নষ্ট হয়ে গেছে (শেষের পাঁচ মিনিট ছাড়া)। আমার সিম্পলি কান্না পাইলো অব্যবস্থাপনা আর উদাসীনতা দেখে (সেটা কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জনতা, পর্যটক সকলেরই....)। আপনার পোস্টটা গণপরিবহন সংক্রান্ত হলেও বিছনাকান্দির প্রসঙ্গটা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না
শুভকামনা জানবেন। অনেকদিন পর সম্ভবত আপনার পোস্ট পেলাম
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪
জুন বলেছেন: পুলহ আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পুর্ন একমত। আমরা কোন জায়গায়ই পরিস্কার রাখতে পারি না। সেটা ঘরের উঠোনই হোক আর প্রকৃতিই হোক। আমাদের অসচেতনতা আর সীমাহীন লোভ আমাদের অন্ধ করে দিয়েছে। আপনি রাতারগুলের ওয়াচ টাওয়ারের নোংরা অবস্থাটি দেখেছেন নিশ্চয়। চিপসের প্যকেট আর বাদামের খোসায় নারকীয় পরিবেশ। অনেক বছর আগে জাফলং গিয়েছিলাম তাও আমি নাকি সেই পাথর তোলার আগের রূপ দেখি নি। দু পাশে অর্কিড ভরা বিশাল কড়ই গাছের ফাক দিয়ে রাস্তা চলে গেছে সেই মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে। আর দু বছর আগে গিয়ে পাথর কাটার ধুলোয় নোংরা অপরিচ্ছন্ন জাফলং দেখে আমি ব্যাথিত হয়েছি। আপনি ঐ পারে মেঘালয় গেলেই দেখবেন প্রকৃতির কি অপরূপ রূপ পুলহ। বড্ড নোংরা জাতি আমরা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকা আর মন্তব্যের জন্য। সেই সাথে শুভকামনা ও জানবেন।
৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল জিনিস নষ্ট করতে না পারলে আমাদের পেটের ভাত হজম হয় না । কি আর বলব/ ছবি দেখে বরাবরের মতই আনন্দ পেলাম ।
শুভেচ্ছা জুনাপা
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১
জুন বলেছেন: ম্যালাদিন পর মাহমুদ০০৭ কে দেখে ভারী খুশী হয়েছি। ভালো আছেন আশাকরি।
এবার থেকে নিয়মিত দেখার আশা রইলো।
দোয়া করেন এই প্রজেক্টটা যেন সাফল্যের মুখ দেখে।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে আর শুভকামনা অফুরন্ত।
৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮
টোকাই রাজা বলেছেন: দারুন পোষ্ট ভাল লাগল।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়েও দারুন ভালোলাগলো টোকাই রাজা। শুভেচ্ছান্তে।
১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: মানসিকতার ব্যাপক পরিবর্তন ছাড়া সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া দুষ্কর ।
সুন্দর গোছানে পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
ভাললেগেছে ।
যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে আমাদের দেশেও ওয়াটার ট্যাক্সির প্রচলন হতে পারে ।
ভাল থাকুন । সবসময় ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
জুন বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন শামসুল ইসলাম, মানসিকতার পরিবর্তনটাই আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। আমরা এর সাফল্যের জন্য দোয়া করতে পারি।
আপনিও ভালো থাকুন, অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখে সত্যি বলতে কি খুবই খুশী হয়েছি। আগামীতে সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায়। শুভেচ্ছা রাত্রির।
১১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ইস! এমন ব্যবস্থাপনা যদি আমাদের দেশে থাকত তবে নৌকাবিলাস জমে উঠত। আশাকরি একদিন হয়ে যাবে!
পোষ্টে সেই আশাটা কেন জানি বেলুন হয়ে ফুটল! আপনার লেখা গুলোই এমন। পড়লেই সাধ জাগে!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
জুন বলেছেন: নৌকা বিলাস কি বলছেন ভ্রমরের ডানা!! এ হচ্ছে আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ব্যবস্থা। আশাকরি আমরা এর সাফল্যের। বেলুন হয়ে উড়তে থাকুক, ফেটে না গেলেই হলো।
নেট স্লো না সামু স্লো বুঝতে পারছি না এখনো। অনেক সময় লাগছে আর কষ্ট হচ্ছে উত্তর দিতে।
ভালো থাকুন অনেক অনেক আর সাথে থাকুন সবসময়
১২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২
অদৃশ্য বলেছেন:
ভালো কোন কিছুকে ধ্বংস করাটাই হলো আমাদের স্বভাব!... শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সঠিক... এর থেকে আমরা যতোদিন না বের হতে পারছি ততোদিন আমাদের দেশে উন্নত ভাবনার সঠিক বাস্তবায়ন হবেনা... আমরা উন্নত জাতিতে রুপান্তরিত হতে পারবোনা... আমরা বহিঃবিশ্বের উন্নয়ন দেখবো আফসোস করবো আর আমাদের নিজেদের অবনমন দেখবো হতাশ হবো...
৮৫ লাখ টাকার ওয়াটার ট্যাক্সি! ( ছবিতে যেমনটা দেখলাম )... মোটামোটি ১ কোটি টাকায় দুরপাল্লার এসি বাস পাওয়া যাবে... মানে হলো এই পরিমান টাকায় এর থেকেও ভালো ওয়াটার ট্যাক্সি নামানো সম্ভব অথবা এর অর্ধেক দামেই এমন ওয়াটার ট্যাক্সি বানানো সম্ভব বলেই আমার মনে হয়...
অনেকদিন পরই কিন্তু পোষ্ট দিলেন... চমৎকার লাগলো আপনার ভ্রমণ, কথা ও আপনার তোলা ছবি... এই সময়ের মাঝে কিন্তু আপনি চাইলে একটি কবিতা আমাদের জন্য দিয়ে দিতে পারতেন... ঠিক আছে, সামনে আসুক...
জুনাপুর জন্য শুভকামনা...
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২
জুন বলেছেন: অদৃশ্য বিভিন্ন কারনে মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল তার জন্য অত্যন্ত দু:খিত আমি।
অল্প খরচে কিছু করলে দুর্নীতির সুযোগ কম থাকে বলেই আমরা এলাহী সব প্রজেক্ট নিয়ে বসি।
খুব খারাপ লাগে নিজের দেশের জন্য যখন সুযোগ থাকা সত্বেও তা কাজে লাগাই না। আর আজ পত্রিকায় যা পড়লাম তাতে মনে হলো হাতির ঝিলের পর্যটকদের জন্য নৌ ভ্রমনের বন্দোবস্ত। এটা তারা সরাসরি বললেই পারে। মনে হয়না অফিস ফেরত কেউ তাতে চড়ে খুব দ্রুত বাসায় আসার সুযোগ পাবে।
'কবিতা দিলেও পারতেন ', ভালো বলেছেন, আমি যদি কবিই হোতাম তাহলেতো আর চিন্তাই ছিল না। লোকজনকে প্রশংসা আর ভালো কিছু বলতে না পারলেও তাদের অপমান, অপদস্থ, অসন্মান করে ভুরি ভুরি কবিতা লিখে সামুর পাতা ভরিয়ে ফেলতাম। না ভাই এ কম্ম আমার নয়
অনেক অনেক ভালো থাকবেন আর আপনার কবিতার প্রত্যাশায় থাকি জানেন তো?
শুভকামনা রইলো
১৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু ছোট থাকতে একটা কৌতুক শুনছিলাম! বাপ আর ছেলে দু'জনে জিম করার পরে ছোলা ভিজানো খেতে খেতে বাবা ছেলেকে বলছেন- জানিস খোকা, বিদেশিরা জিম করার পরে আঙ্গুর, বেদানা, কিসমিস, আপেল এসব খায়!
বাবার কথা শুনে ছেলে একটু অবাক হয়ে বলল- 'তাইলে আম্মু যে আমাকে রোজ ছোলা ভিজানো খেতে দেয়। কই কোনদিন তো আপেল, বেদানা, কিসমিস দিল না!'
তখন বাবা ছেলেকে শান্ত করে বললেন- 'আরে ওগুলো তো সব বিদেশিদের খাবার! আমাদের দেশে তা কেবল মুখে বললেই চলে.....! (ইফ ইউ নো, হোয়াট আই মিন?)
খুব চমৎকার পোস্ট আপু! ওয়াটার ট্যাক্সিতে ভ্রমনের কিছু অভিজ্ঞতা আছে, আর সেটা থেকেই বলছি- 'আমাদের দেশেও যদি এমন কিছু চালু করা যেত, তাহলে সত্যিই খুব ভাল হতো!'
সুন্দর পোস্টে ভাল লাগা! কেমন আছেন আপু?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৬
জুন বলেছেন: জোকসটা পড়ে হাসিও পেল আবার কষ্টও লাগলো সাহসী। সত্যি আমাদের সব কিছুই মুখে মুখে, কাজে খুব কমই প্রকাশ। আমরা মুখে মুখেই হাতি ঘোড়া মারি, আপেল আঙুর আমাদের ভাগ্যে নেই আছে শুধু ভেজানো ছোলা।
আমিতো প্রতিদিন পথচারীদের জন্য পথ দিয়ে দুবেলা যাতায়ত করি আর মনে মনে ভাবি আমাদের খালবিলগুলো কি ভাবে দখলদারদের হাতে দখল হয়ে যাচ্ছে। শুধু খাল বিল কেনো নদী ভরাট করে দখল করছে প্রভাবশালীরা। হয়তো কিছু দিন পর শুনবো সমুদ্র ভরাটের কথা।
ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ভালোলাগা জেনো। আছি মোটামুটি, নানারকম ভালোলাগা মন্দলাগা মিলিয়ে মিশিয়ে। প্রবাস জীবন কি আর ভালোলাগে বলো?
শুভেচ্ছা রইলো আর আগামীতেও সাথে থাকবে সেই প্রত্যাশায়।
১৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭
নীলপরি বলেছেন: আপনার ছবি আর লেখা দুটোই ভালো লাগলো । কিন্তু আমি ওয়াটার ট্যাক্সিতে কোনো দিনই উঠবো না ! কারন আমার হাইড্রো ফোবিয়া আছে ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:০৮
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ নীলপরি।
পানিতে আমারও ভয় তবে হাইড্রোফোবিয়া নয়, সাতার না জানার জন্য ডুবে যাবার ভয়
শুভকামনা রইলো সকালের।
১৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
দারুণ ব্যাপার এটা। এইরকম প্লানের কথা শুনেছিলাম বড় একজন মানুষের কাছ থেকে। আমাদের সরকারের সেই খেয়াল নেই তো!! এই হলো সমস্যা!!
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১০
জুন বলেছেন: সরকারের খেয়াল না থাকার জন্যইতো ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসছে। চা বিস্কিট কেক নিয়ে প্রমোদ ভ্রমনের আয়োজনে। নইলে এটা সর্বসাধারণের জন্য কি গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগের মাধ্যমইই না হতো গেম চেঞ্জার।
মন্তব্য আর সবসময় সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭
অশ্রুকারিগর বলেছেন: কি সুন্দর পরিপাটি সবকিছু। আমাদের দেশে এই সার্ভিস চালু করলেও সেই হযবরলই হবে।
সাহসী সন্তানের জোকসটা ভালো লাগলো।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৫
জুন বলেছেন: হয়তো হবে, হয়তো নাও হতে পারে অশ্রু কারিগর। তবুও আশাবাদী হতে চায় মন।
সাহসীর জোকসটা যথার্থ।
অনেক অনেক শুভকামনা ও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৮
প্রামানিক বলেছেন: ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম। যদি আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা করা হতো কতই না ভালো হতো।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৭
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই প্রতিনিয়ত মন্তব্যের মাধ্যমে উতসাহিত করার জন্য।
শুভেচ্ছা সকালের
১৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট আর চমৎকার আইডিয়া। তবে দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হল আমাদের দেশের কর্তারা আগে দেখে কত বড় জাহাজ কেনা যায় পরিদর্শন করতে বিদেশ ক'বার যাওয়া যায়, পার্সেন্ট কত আসবে, তারপর একবার কিনে ভুলে যাবে আর ওসব স্বেতহস্তী আবর্জনাতে পরিণত হয়। বুড়িগঙ্গার চারদিকে বোট দিয়ে সার্কুলার ওয়াটার ওয়ে তো দেখলুম, কোটি কোটি টাকা অপচয় হল কিছু লোকের পকেট ভরল ব্যাস! আমার সোজা কথা আমাদের দেশে ওসব কল্পনা কল্পনাই থাকে। পাবলিকের কিছু হয় না। বেশি পেসিমিস্টিক বা নেগেটিভ বললুম নাকি! ধন্যবাদ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২১
জুন বলেছেন: আমার মনের না বলা কথাগুলো পরিস্কার করে তুলে ধরার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ঢাকাবাসী। হকার আর নোংরা আবর্জনাপূর্ণ আশুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশনটা দেখলে মনের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস ভেসে উঠে। কি সম্ভাবনাময় একটি প্রকল্পের কি করুন মৃত্যু।
যাই হোক অনেকদিন পর আপনাকে আমার পোষ্টে দেখে খুবই ভালোলাগলো। আশাকরি এর পর নিয়মিত পাবো আপনাকে আমার লেখায়।
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় আন্তরিক দুখিত আমি।
১৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এক নজর দেখে গেলাম । ভাল লাগা রেখে গেলাম । সময় নিয়ে অাসব আবার ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২৩
জুন বলেছেন: আপনার মতন একজন বিদগ্ধ, বিশ্লেষক লেখক আর পাঠকের দ্বিতীয় নজরের অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা আপনার জন্যও।
২০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১২
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের দেশে কিছু হয় না, শুধুমাত্র দেশ প্রেম আর সদিচ্ছার অভাবে। সবাই নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮
জুন বলেছেন: নিজের আখের গোছাতে ব্যাস্ত কথাটায় মনে পড়লো রামায়নের রচয়িতা সেই ঋসি বাল্মিকীর কথা। যে কিনা ছিল এক খুনে ডাকাত। নির্জন পথের পথচারীদের খুন করে তার টাকা পয়সা লুট করে নেয়াটাই ছিল যার পেশা। একদিন তার এক শিকার খুন হওয়ার আগে বলেছিল 'তুমি যে এত নিরীহ মানুষ হত্যা করছো এর দায়ভার কি তোমার পরিবারের সদস্যরা নেবে '? বাল্মিকী বাসায় এসে বাবা মা স্ত্রী পরিজন সবাইকে জিজ্ঞেশ করলো। তাদের উত্তর 'তুমি কি করছো না করছো এ দায় তোমার, আমরা এর ভাগীদার নই'। এটা শোনার পর সে এই জীবন ত্যাগ তপস্যায় বসে। যাই হোক এটা হয়তো আগেই জানা এক পৌরানিক কাহিনী, কিন্ত এর থেকে সব দুর্নীতিবাজদের শিক্ষণীয় আছে জহির। আমাদের সমাজে আজ রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির বাসা। খুবই দু:খ হয় এসব ভাবলে।
পুরনো লোক ভেবে অনেক কিছু বলে ফেললাম। মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় আন্তরিক দু:খিত। শুভেচ্ছান্তে
২১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩২
সুমন কর বলেছেন: আজ সারাদিন বাহিরে ছিলাম, তাই শুধু ছবিগুলো দেখে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
পরে আসবো।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন কর। আশাকরি একদিন বাসায় বসে ভালো করে দেখবেন পরে আসার অপেক্ষায়
আমারও নানা কারনে উত্তর দিতে দেরী হচ্ছে। সার্ভার ডাউনের আগে লেখাটি দেয়ায় মন্তব্য আর ভালোলাগার সংখ্যায় ও গড়মিল দেখলাম। যারা মন্তব্য করেছিলেন আমি দেখিনি আপনার মন্তব্যে তাদের প্রতি আন্তরিক দু:খ প্রকাশ করছি।
২২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৩
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ছবি গুলো দেখে কেমন শান্তি শান্তি লাগছে।
জ্যমের কথা আর কি বলবো, আজ ক্লাস শেষ হয়েছে ৫ টায়, বাসায় এসেছি ৭:৩০ এ, অথচ জ্যাম না থাকলে ২০ মিনিটের রাস্তা।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭
জুন বলেছেন: আজ ক্লাস শেষ হয়েছে ৫ টায়, বাসায় এসেছি ৭:৩০ এ, অথচ জ্যাম না থাকলে ২০ মিনিটের রাস্তা। এটাই এখন আমাদের নিত্য রুটিন তামান্না তাবাসসুম। একটা কাজ করতে গেলেই সারাদিন লেগে যায়। সময়ের কি অস্বাভাবিক অপচয়।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো
২৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের মাথামোটা ব্যক্তিদের মাথায় এসব আসে না। খালি দুর্নীতি আর দুর্নীতি...
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫০
জুন বলেছেন: আপনার নিক নামের মতই বলতে হচ্ছে "সব কিছু মানি তবে কমিশন আমার" এই নীতিবাক্যেই আমাদের দেশ চলছে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।
২৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপু,
ছবি দেখে মনে হচ্ছে দেশটা থাইল্যান্ড। ভুল হতে পারে আমার। ছবি গুলো দেখে ভেনিস শহরের কথা মনে পড়ে গেল। সেখানকার পুরো শহরটা একই রকম ক্যানাল দ্বারা আবৃত। প্রতিটি বাড়ির সামনে ক্যানাল। ক্যানালের উপর হাটার জন্য পথ। আমি প্রতিনিয়ত ভাবি বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা পয়সা খরচ করে ভেনিস, লন্ডনের টেম্স, প্যারিসের রাইন নদীতে নৌকায় ঘুরার জন্য যায় কিন্তু কেন চেষ্টা করা না ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীরকে থেমস নদীর মতো সুন্দর করার জন্য। ঐ সকল শহর গুলোতে মাত্র ১ টা করে বড় নদী। অথচ ঢাকার বুক চিরে গেছে বুড়িগঙ্গা, অন্য পাশে শীতলক্ষ্যা।
আপু, আপনার পোষ্টে বর্ণীত অল্প টাকার নৌকা (দেখে মনে হলো ৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হবে না ঐ রকম নৌকা বানাতে) নামালে কিভাবে দলীয় নেতা-কর্মী-ব্যবসায়ীদের কোটি টাকা লুট-পাটের সুযোগ দিবে? যে প্রজেক্টে যত বড় দাও মারার সম্ভাবনা থাকে সেই প্রজেক্ট নিয়ে সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের আগ্রহ তত বেশি। যত বেশি খরচ তত বেশি কমিশন, তত বেশি লাভ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯
জুন বলেছেন: দেশটি সম্পর্কে আপনার ধারনা সঠিক মোস্তফা কামাল পলাশ। হ্যা আমি ভেনিস গিয়েছিলাম বেড়াতে। এ নিয়ে আমার তিন পর্বের একটি ভ্রমন কাহিনী ও আছে "ভেনিস আমার স্বপ্নের। ভেনিস" নামে। সেখানে আমি দেখেছি কি করে তারা তাদের নিত্য জীবন যাত্রায় খালকে একীভূত করে নিয়েছে। আর সর্বক্ষন সব কাজে ব্যবহার করা সেই পানিকে পরিস্কার রাখার কি আপ্রান প্রয়াস তাদের। এটা এখানেও দেখি। আর বুড়ীগঙ্গা দেখলে দু:খ হয়।
আর শেষের প্যারায় যা বলেছেন এর সাথে দ্বিমত নেই। কমিশন খেতে খেতে এমন অবস্থা যে এখন আর অল্প টাকায় আমাদের পেট ভরে না। সাধারন জনগনের কথা ভাবার মত অবসর তাদের নেই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত একটি মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন এই কামনায়।
২৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার আঙ্গিনায় এলাম।সেই রকম ফ্লেভার এখনো বিরাজ করছে
অনেক ভাল লাগলো আপনার এই স্যমসং এবং আইফোনে তোলা ছবিসহ পোষ্টটি
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৫
জুন বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি মন্তব্যের উত্তর দিতে আমার দেরী হবার জন্য মোজাম ভাই। সত্যি অনেক অনেক দিন পর আসলেন আমার ব্লগ বাড়িতে। মনে হয় অনেক ব্যস্ত আপনি। পুরানো পরিচিতদের ছবিগুলো তালিকায় দেখলে খুব ভালোলাগে আর খোজ নিলেতো কথাই নেই।
মাঝে মাঝে এসে উকি দিয়ে যাবেন সেই প্রত্যাশায়। আপনার আন্তরিক মন্তব্য আর আমার লেখা ও ছবি ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার একই মন্তব্য দুবার আসায় একটা ডিলিট করে দিলাম।
২৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বপ্নের মতো লাগে
আহা ...আমাদের দেশে কবে হবে এমন স্বপ্নপুরী
+++++++++++
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৮
জুন বলেছেন: আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী হবে এমনটা ভাবতেও অনেক ভালোলাগে বিদ্রোহী ভৃগু। কবে হবে সেই আশায় বেচে থাকা আরকি।
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩
আলোরিকা বলেছেন: খুব সুন্দর আপু ----- খাল পথ ও পথের পাশের বোগেনভিলা !
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১০
জুন বলেছেন: সত্যি সুন্দর লাগে এই ফুলপথের পাশ দিয়ে যখন হেটে যাই আলোরিকা।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন
২৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছবিতে এবং বর্ণণায় দারুন পোস্ট । থাইল্যান্ড ঘুরে আসলাম ।এদেশের জন্য শুভকামনা থাকলো ।ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত ঢাকা চাই ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪
জুন বলেছেন: মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার। আপনার স্বপ্ন সফল হোক সেই প্রত্যাশা মনে হয় দেশবাসী সবারই।
আবার আপনাজে ব্লগে নিয়মিত দেখে খুব ভালোলাগছে। শুভেচ্ছা সন্ধ্যার।
২৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমরা কিছু করে তারপর আটঘাট বেঁধে পরিকল্পনা করি তাই এমন কিছুকে আমাদের শহরে রূপকথার মতো। লেখা ছবি দুটোই চমৎকার। বেশ বিরতি নিলেন আপু। ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
জুন বলেছেন: : আপনি ঠিকই বলেছেন দিশেহারা, অনেক প্ল্যান করে শেষ পর্যন্ত খেই হারিয়ে ফেলি। প্রথম দিন যখন পেপারে ওয়াটার ট্যাক্সি শিরোনামে নিউজটা পড়ি তাতে মনে হয়েছিল পরিকল্পনাটি একটি গন পরিবহন এর মাধ্যম। কিন্ত গতকাল পড়ে মনে হলো এটা হাতির ঝিলের পর্যটকদের জন্য নিতান্তই একটি রাইড।
ইদানীংকাল এ নানা রকম ঝামেলার জন্য লেখা খুব কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে দিশেহারা। জানিনা আর কতদিন তোমাদের মাঝে থাকা হবে। চেষ্টা করি হারিয়ে না যাবার। কিন্ত লেখার মত যোগ্যতা না থাকলে হাবিজাবি দিয়ে আর কতকাল! তারপর ও ব্লগ আমায় এতদিন ধরে সুযোগ দিচ্ছে তার জন্য ধন্যবাদ তাদের প্রাপ্য বলেই মনে করি আমি।
সব সময় সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
৩০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমরা কিছু করে তারপর আটঘাট বেঁধে পরিকল্পনা করি তাই এমন কিছুকে আমাদের শহরে রূপকথার মতো। লেখা ছবি দুটোই চমৎকার। বেশ বিরতি নিলেন আপু। ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা।
৩১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
জুন বলেছেন: Eto din server r ekhon basar bairey... firey esey sobar cmnt er ans korbo ...onek dukhkho prokash korchi sobar kachey jara osadharon sob cmnt koreychen .
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭
জুন বলেছেন: সার্ভার ঠিক হওয়ার যে সময় ব্লগ কতৃপক্ষ বেধে দিয়েছিল তার কিছুক্ষন পরে দেখা মন্তব্য আর ভালোলাগার সংখ্যার সাথে কিছুটা গরমিল দেখা যাচ্ছে। যেহেতু ব্লগ ওপেন করতে পারিনি তাই ব্লগারদের নাম জানতে পারি নি। তাদের কাছে আমি আন্তরিক দু:খ প্রকাশ করছি।
৩২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমাদের দেশেও যেহেতু এটা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে, সুতরাং আমরা আশা করতেই পারি আমাদেরও এমনটা হবে......তবে সব চেয়ে বড় কথা হলো জনসচেতনতা সৃষ্টি না হলে আমাদের পানি পথগুলো খুব তাড়াতাড়িই দুষিত ও দূর্ঘন্ধময় হয়ে উঠবে, যাতে তখন যাত্রীরা উৎসাহ হারাবে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২
জুন বলেছেন: পানি দুষিত হবে সে কথা কি আর বলতে সাদা মনের মানুষ! যে রকম খানাপিনার আয়োজন তাতে না হয়ে পারেই না। আর গতকাল নাকি পরশু মনে নেই পেপারে দেখলাম এটা মুলত হাতির ঝিলের ভ্রমণকারীদের জন্য নৌ ভ্রমনের ব্যবস্থা।
সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা। ভালো থাকুন সাদা মন নিয়ে আর ছবিতে আমাদের দেশের সৌন্দর্যকে তুলে ধরুন।
৩৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬
সম্রাট৯০ বলেছেন: অনেক সুন্দর ছবি আর কথা পোষ্ট,
দেশ বিদেশকে জানার জন্য আপনার ব্লগ বাড়ি অন্যতম
ভালো থাকবেনা
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য সম্রাট ৯০। আপনিও ভালো থাকুন প্রতিদিন প্রতিক্ষন সেই প্রার্থনা রইলো।
৩৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬
সম্রাট৯০ বলেছেন: * ভালো থাকবেন
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫
জুন বলেছেন: বুঝতে পেরেছি
৩৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের দেশের BIWTA কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আশুলিয়া হতে সদরঘাট একটা নৌপথে গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিলো। এ নিয়ে BIWTA এর চেয়ারম্যান, যিনি একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার ছিলেন, অনেক আশার কথা শুনিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেষ সেটা যথারীতি (আপনার ভাষায়) মুখ থুবরে পড়েছে।
সুন্দর পোস্ট লিখেছেন, সাথে সুন্দর ছবি। + +
পথহারা মানব এমন মন্তব্য করলেন যা শুনে সামুর নোটিশবোর্ড সার্ভার ডাউনের ঘোষনা দিয়ে ফেল্লো -- উপভোগ্য হয়েছে এ কৌতুক বাক্যটি।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। দেরী হয়ে গেল উত্তর দিতে, আশাকরি কিছু মনে করেন নি।
জী সার্কুলার ওয়াটার ওয়েজ একটা সম্ভাবনাময় গন পরিবহন ব্যবস্থা ছিল। হলে অনেকেই উপকৃত হতো। হয়তো আমাদের বাস সমিতি এটা বন্ধ করেছে। এই সব সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থের জন্য কত ভয়ংকর হতে পারে তা ভাবলেও ভয় হয়।
আপনি যে সবার মন্তব্যও গভীর মনযোগের সাথে পড়ে আপনার মন্তব্যে তার প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করেন এটা খুব ভালোলাগে। এতে বোঝা যায় আপনি শুধূ লেখকের লেখাই শুধু নয়, অন্যদের মন্তব্যগুলোরও দারুন মনযোগী এক পাঠক।
আপনার ব্লগীয় জীবনের শুরু থেকেই পাশে থেকে আমার সামান্য লেখায় উতসাহ দিয়ে আসছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা। শুভেচ্ছান্তে।
৩৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
মেহেদী রবিন বলেছেন: বিদেশী বিভিন্ন চলচিত্রে যখন ওয়াটার ট্যাঙ্ক দেখি, সৌন্দর্যে অভিভুত হয়ে যাই এমনকি স্ক্রিনের সামনে বসেও। আপনার ভাবনাটা দারুণ। আমাদের দেশে এমনটা করা গেলে ব্যাপারটা সত্যিই ভালো হত
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল তার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আসলে নোটিফিকেশন না আসায় সব কিছুই তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে মেহেদী রবিন।
আমাদের দেশে এমনটা হওয়া খুবই সম্ভব ভেবেই লেখার তোড়জোড় শুরু করেছিলাম। খাল বিল নদী নালার দেশ আমাদের বাংলাদেশ। বাসার পেছনে এই পরিবহণ দেখে ভাবনার দুয়ার আরো প্রসারিত হলো। তারপর হাতীর ঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি নামাচ্ছে শুনে খুব খুশী হোলাম ভেবে যে কিছুটা হলেও মানুষের যাতায়তের কষ্ট লাঘব হবে। কিন্ত যখন শুনলাম কেক বিস্কুট খেয়ে নৌ বিহারের জন্য এই ব্যবস্থা। শুনে মনটাই দমে গেল। আরো যানজটের ব্যাবস্থা করা হলো আর কি।
যাই হোক তারপর ও আশায় বুক বেধে থাকি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সাথে শুভকামনা নিরন্তর।
৩৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫১
কালীদাস বলেছেন: কেমন আছেন? থাইল্যান্ড তো প্রায় আপনার সেকেন্ড হোমল্যান্ড হয়ে যাচ্ছে আবার কোনদিন আসলে জানাব
বেশ কয়েকটা দেশে ওয়াটার ট্যাক্সি বা ওয়াটার ট্রাম সার্ভিস ব্যবহার করেছি, বাল্টিক সাগরে পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম একবার এরকম এক ওয়াটার ট্রামে চড়ে। লোকজন গাটের পয়সা খরচ করে একঘন্টা/দুই ঘন্টার ক্রুজে ওঠে আর আমি ম্যাপে মার্ক করে রেখে সস্তায় সব দেখে নেই বেশিরভাগ সময়। খারাপ লাগে বুড়িগঙ্গার কথা মনে পড়লে বা কয়েকবার বন্ধ হওয়া সার্কুলার সার্ভিসটার কথা মনে হলে। কোন বিদেশিকে আমি নদীর দেশের মানুষ, কথাটা বললে মনে হয় লোক ঠকাচ্ছি।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:০১
জুন বলেছেন: কালীদাস প্রথমেই দুঃখপ্রকাশ করছি আপনার পোষ্ট সংশ্লিষ্ট বস্তুনিষ্ঠ একটি মন্তব্যের জবাব দিতে এতটা দেরী হওয়ার জন্য। ব্লগ খুব স্লো ইদানীং ।
আপনার মত আমরাও ম্যাপ কিনে রুট দেখে প্রয়োজনীয় জায়গাগুলোতে যেতে পারছি অত্যন্ত কম ভাড়ায় এবং দ্রুততার সাথে । সেই সাথে নদীমাতৃক দেশের এই অপার সম্ভাবনার অকাল মৃত্যুর কথা ভেবে একটি লম্বা দীর্ঘশ্বাস।
শুভকামনা রইলো কালীদাস । আসবেন মাঝে মাঝে হময় পেলে। পুরানো মুখগুলো সত্যি বলছি অনেক ভালোলাগে
৩৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার পোস্টে বাংলাদেশে ফল ধরেছে । অনেক ধন্যবাদ
হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিসের উদ্বোধন
১৬ ডিসেমন্বর হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিসের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শুক্রবার বেলা পৌনে ৩টায় তিনি এর উদ্বোধন করেন।ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস পরিচালনা করবে বেসরকারী কোম্পানী করিম গ্রুপ। প্রতিটি ওয়াটার ট্যাক্সির যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩০ জন। ভাড়া এফডিসি টু রামপুরা ২৫ টাকা এবং এফডিসি টু গুলশান ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন চারটি ট্যাক্সি চলাচল করছে। পরে আরও দুটি আনা হবে বলে করিম গ্রুপ জানায় । প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই ট্যাক্সি চলবে বলেও জানা যায় ।
শুভেচ্ছা রইল
সুত্র : দৈনিক জনকন্ঠ
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
জুন বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যের জবাব দিতে যে কতবার চেষ্টা করেছি তা বলাই বাহুল্য ডাঃ এম আলী ।
দোয়া করি আমাদের এই ওয়াটার ট্যাই যেন গন পরিবহনের কাজেই ব্যবহার হয়, প্রমোদ ভ্রমনে নয় । যানজট আর পরিবহন অপ্রতুলতায় বড্ড বিপর্যস্ত আমাদের ঢাকাবাসী ।
অসংখ্য ধন্যবাদ লিংকটি দেয়ার জন্য ।
৩৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , এ সংবাদটা দেখে প্রথমেই আপনার এই পোস্টটার কথা স্বরণে এসেছিল । তাই এটা আপনাকে অবহিত করার ইচ্ছে থেকে জানানো । আপনি ঠিকই বলেছেন যানজট আর পরিবহন অপ্রতুলতায় বড্ড বিপর্যস্ত আমাদের ঢাকাবাসী। তবে আশংকা হয় , ওয়াটার টেক্সির যাত্রীদের ছুড়ে দেয়া পলিথিন ব্যগ আর অন্যান্য বর্জে হাতির ঝিলের পানি আবার আগের দশা না হয় !!! ভাল কথা , আপনে এখন কোথায় ? , থাইল্যান্ডের বানর ভোজ উৎসব চলছে এখন আমার ব্লগের পাতায় ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
জুন বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ সুসংবাদটি সাথে সাথে জানানোর জন্য ডা:এম আলী।
আমি এখন আপাতত ঢাকা।
আপনার বানর কাহীনি পোষ্ট দেয়ার সাথে সাথেই দেখেছিলাম। কিন্ত নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেও মন্তব্য করতে পারিনি। তাই আজ সমস্যার সমাধানের সাথে সাথেই আপনার পোষ্টে মন্তব্য করেছি। আপনি বোধহয় খেয়াল করেন নি
আরেকবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, ঠিকমত নোটিশ পাইনা বলে অনেক কিছু মিস হয়ে যায় । এই প্রতি উত্তরের নোটিশটিই পেয়েছিলাম , তাই যথা সময়ে দেখা হয় নাই । এখন দেখে এসেছি । প্রতি মন্তব্যে গুরুত্ব পুর্ণ কিছু কথা লিখা হবে , তবে এখনো লিখি নাই । আশা করি একটু দেখবেন যথাসময়ে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
জুন বলেছেন: আপনার পোষ্টে প্রতি মন্তব্য দেখে উত্তর রেখে আসলাম ডঃ এম আলী
৪১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । যাক এ দিনে ডা: বাদ দিয়ে স্ব পরিচয় ডঃ এম আলী তে এলাম । নামের সাথে ড : থাকায় অনেকেই ডাক্তার ভাবেন । অাসলে নই আমি ডাক্তার , পি এইচ ডি করায় এটা নামের সাথে ঝুলে । লিখালিখির জগতে বিষয়টা নামের সাথে থাকলে সংযমী ভাবটা ভাল কাজ করে, তাই ইচ্ছের বাইরে রেখে দেয়া হলো নামের পাশে ।
হা আমি দেখে এসেছি সেখানে আপনার লিখা মন্তব্যখানি , তার একটি বড় সড় জবাবও লিখে রেখেছি , দেখলে খুশী হব । অার আপনার জোনাকীর ঝিকিমিকিও দেখে রেখে এসেছি একটি মন্তব্য, সেটা দেখলেও হব খুশী ।
শুভেচ্ছা রইল ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১২
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: খুব সুন্দর একটি পোষ্ট। আমরার ধনে জনে নয়। মানসিকতায় দরিদ্র। ধন্যবাদ