নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্যটক প্রিয় কো- সামুই এর বিখ্যাত আং থং মেরিন পার্ক ও তারনিম ম্যাজিক পার্ক ভ্রমনের গল্প

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪


কো মায় কো পাহাড় চুড়া থেকে আং থং মেরিন পার্কের কিছু অংশ
বেশ অনেকদিন অর্থাৎ মাস খানেক হলো ঘরে বসে আছি। ঘরে বসে থাকা বলতে যা বোঝায় তা ঠিক না যেমন ব্যংকক শহরের ভেতর ঘুরছি ফিরছি কিন্ত মন আমার উড়ু উড়ু অনেক দূরে কোথাও যাবার জন্য। অবশেষে অগতির গতি নেট নিয়ে বসলাম। থাইল্যন্ড নিয়ে বিখ্যাত ভ্রমণ বিশারদের নানা রকম লেখাজোকা, আদেশ-উপদেশ থেকে শেষ পর্যন্ত বেছে নিলাম না দেখা কো- সামুইকে। থাই ভাষায় কো অর্থ দ্বীপ অর্থাৎ কো সামুই মানে সামুই দ্বীপ। সেদেশের বিখ্যাত আং থং মেরিন পার্ক সহ আরো অনেক কিছুরই গর্বিত মালিকানার অংশীদার তিনি। দেশটির দক্ষিনের বিশাল প্রদেশ সুরাটথানির কোল ঘেষে থাই উপসাগরের পান্না সবুজ জলের মাঝে সবচেয়ে বড়টিই হলো সামুই।

ফেরীর কাঁচের জানালার ভেতর থেকে তোলা কো সামুই
ক্রান্তীয় বনভুমিতে ছেয়ে থাকা ২২৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সামুই এর বুক জুড়ে রয়েছে সুউচ্চ পাহাড় সারি, সমতলে জনবসতি ছাড়াও আছে পাম, দুরিয়ান, রাম্বুথান আর চির পরিচিত নারকেল বাগান। তার ফাকে দু একটা সুপারী গাছও নজরে পড়লো। আছে সেগুন, মেহগনী, কাঠ বাদাম,দু একটি পলাশ, নাম না জানা অসংখ্য গাছ আর চেনাজানা জংলী গাছের ঝোপ। চলতে ফিরতে ডানে বায়ে উকি দেয়া সমুদ্রের সবুজাভ জলতরংগ দেখে মনে হচ্ছিল প্রকৃতি যেন নিজ হাতে স্বর্গীয় রূপ-সুষমার পাত্রটি উপুড় করে ঢেলে দিয়েছে সামুইতে। যার আকর্ষনে সারা বছর জুড়েই এত পর্যটকদের ভীড় এখানে, যেমনটি আমরাও এসেছি।
ট্যাক্সি, প্লেন, ফেরী, মাইক্রোবাস ইত্যাদি নানা রকম যানবাহন লেগেছিল ব্যংকক থেকে ৬৭০ কিঃমিঃ পথ পারি দিয়ে সামুই এর নির্ধারিত হোটেলে পৌছাতে। ডিলাক্স বাস বা ট্রেনে আসা যায়, বিভিন্ন সময় প্রমোশন দেয়ায় বাসের সাথে প্লেনের ভাড়ায় খুব একটা ফারাক না থাকায় আমরা প্লেনেই আসলাম। তাছাড়া দীর্ঘ এবং বিশেষ করে নৈশ বাস জার্নিতে আমি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পরি এই একটা বিরাট অযোগ্যতা ইবনে বতুতা হিসেবে আমার।

বিশাল সাইনবোর্ড আহবান জানাচ্ছে সামুই ভ্রমনে
সুরাটথানি এয়ারপোর্ট এ একটি কোম্পানী্র সাথে চুক্তি হলো, তারা মাথা পিছু ১৫০০ বাথ নিবে যার মাঝে রয়েছে ট্যাক্সি করে পৌনে দু ঘন্টার পথ ডনসাক জেটিতে পৌছে দেয়া, যেখান থেকে সামুই এর উদ্দেশ্যে ঘন্টায় ঘন্টায় ছেড়ে যাওয়া নির্ভরযোগ্য কোম্পানী সিট্রান এর ফেরীতে তুলে দেয়া। ফেরীতে লাগে এক ঘন্টা পাঁচ মিনিট সময়, সামুই জেটি থেকে সোয়া ঘন্টার পথ পর্যটক প্রিয় এলাকা চয়েং এক হোটেলে পৌছে দেয়া। আবার চারদিন পর একই ভাবে সুরাটথানি এয়ারপোর্ট পৌছে দেবে তারা। প্রতিটি জায়গায় ড্রাইভার সহ গাড়ী আমাদের অপেক্ষায় থাকবে। নিজেরা নিজেরা যাবার চেষ্টা করলে হয়তো কিছুটা কম পয়সা লাগতো কিন্ত বিদেশ বিভুই কোথায় কি তা খুজে বের করা ছাড়াও ভাষা এখানে বিশাল সমস্যা। মোদ্দা কথা ব্যংকক থেকে সকাল সাতটায় ঘর থেকে বের হয়ে সামুই হোটেলে আসতে আসতে আমাদের বিকেল হয়ে গেল।

পরদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা নির্ধারিত ছিল বিখ্যাত আং থং মেরিন পার্ক ভ্রমন যা আগে থেকেই বুকিং দেয়া ছিল। এই ভ্রমনের জন্য মাথা পিছু ১৫০০ বাথ দিতে হলো ট্যুর কোম্পানীকে। কোম্পানীর নাম সামুই আইল্যান্ড ট্যুর। এই টাকার মাঝে অন্তর্ভুক্ত হোটেল পিক আপ, ড্রপ, অর্থাৎ ভ্যানে করে অনেক দুরের জেটিতে ভেড়ানো নির্দিষ্ট নৌযানে তুলে দেয়া ও সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরিয়ে আনা ছাড়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের চা নাস্তা, সারাদিনের জন্য চা, কফি, কোমল পানীয়তো ছিলই। আমাদের দেশের লঞ্চের মতই তিন তালা সেই নৌযান। সেখানে ওঠার সাথে সাথে দুজন পুলিশ চেকিং করতে লাগলো সেই নৌযানে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে কি না, সবাই লাইফ জ্যাকেট পড়েছে কি না? মোবাইলে ছবিও তুলে নিয়ে গেল তারা।


নীলাভ সবুজ পানিতে কায়াক প্রেমীরা
১৫০০ বাথে আরো অন্তর্ভুক্ত ছিল কায়াকিং, ছোট ছোট দ্বীপে সময় যাপন, সাতার কাটা, স্ন্ররকেলিং অর্থাৎ ডুবুরীর মত পোশাক পড়ে ডুবে ডুবে প্রবালের ঝাড় দেখে বেড়ানো, পাহাড়ে চড়া এসব। সত্যি বলতে কি এসব আমাদের মত বয়সীদের জন্যও নয় আমাদের সংস্কৃতির লোকজনের জন্যও নয়। তাই আমরা দুজনাই বসে বসে শুধু প্রকৃতির রূপ সুষমাই উপভোগ করেছিলাম যখন বাকি পঞ্চাশ ষাটজন জোয়ান বুড়ো কচি কাঁচার দল সমুদ্রে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছিল।

সামুই এর ৩০ কিঃমিঃ:উত্তর পশ্চিমে ছোট বড় ৪২ টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে বিখ্যাত আং থং মেরিন পার্ক যা দেখা ছিল আমাদের প্রধান আকর্ষন। ২৫০ স্কয়ার কিমি বিস্তৃত মেরিন পার্কের মাঝে মাত্র ৫০ স্কয়ার কিঃমিঃ জুড়ে চুনা পাথরের পাহাড় যার বেশিরভাগই জনমানবহীন। অদ্ভুত আকৃতির বেশিরভাগই পাহাড়ই খাড়া উঠে গেছে সমুদ্র থেকে, আবার কোন কোনটি সরু একটি পাথরের স্তম্ভের উপর ঝুলে আছে সমুদ্রের উপর যে কোন সময় ভেঙ্গে পরার অপেক্ষায়। এর ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে প্রকৃতির নিজ হাতে তৈরী অন্ধকার গুহা আর সরু টানেল যার মাথার উপর থেকে নেমে এসেছে চুনা পাথরের মোটা মোটা হাত যার নীচ দিয়ে মাথা নীচু করে কায়াক চালিয়ে যেতে হয়। খুব দক্ষ চালক না হলে মুহুর্তের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পেরে।
ফুকেটের এক ভয়ংকর গুহায় কায়াক চড়ে যাচ্ছি আমি
কয়েক বছর আগে যখন ফুকেট গিয়েছিলাম তখন কায়াক চালাতে অক্ষম আমাকে একাকী অসহায় অবস্থায় ডেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে লঞ্চের এক কর্মী যিনি একজন দক্ষ কায়াক চালকও বটে আমাকে সেই টানেলের ভেতর দিয়ে চারিদিকে অনেক উচু পাহাড় ঘেরা অপুর্ব সুন্দর ছোট এক হ্রদের মাঝে নিয়ে গিয়েছিল। পানি থেকে লম্বা একটি নারকেল পাতা তুলে তৎক্ষনাৎ একটি গোলাপ ফুল বানিয়ে গিফট করেছিল আমাকে। যা আমার অনেক প্রিয় একটি স্মৃতি।
সামুই আইল্যান্ড ট্যুর কোম্পানী প্রায় ঘন্টা দেড়েক পরে আমাদের নিয়ে আসলো একটি দ্বীপে নাম কো মায় কো যার অর্থ মাদার আইল্যান্ড বা মা দ্বীপ। ঘুরে দেখার জন্য সময় দিল এক ঘন্টা। তার আগে অবশ্য যারা কায়াকিং করবে তাদেরকে এই দ্বীপ থেকে একটু দূরে সমুদ্রে নামিয়ে দিল যাতে তারা সহজেই কায়াক চালিয়ে দ্বীপে চলে আসতে পারে। জেগে থাকা পাথুরে পাহাড় আর নীলাভ সবুজ জলের মাঝে কায়াকগুলো মুহুর্তের মাঝে সৌন্দর্য্যের রঙ ছড়িয়ে দিয়েছিল।


সমুদ্র থেকে উঠে আসা চুনাপাথরের পাহাড়
এ দ্বীপের প্রধান আকর্ষন হলো পাহাড়ের চুড়োয় প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী অপরূপ সুন্দর এক লবনাক্ত পানির হ্রদ যার পানির রঙ পান্না সবুজ। অনেক উচু এই পাহাড়ে ওঠার জন্য দুধারে রেলিং সহ লোহার সিড়ি উঠে গেছে খাড়া ভাবে, যার খানিকটা পর পরই রয়েছে কাঠের চারকোনা পাটাতন। এখানে দাঁড়িয়ে অনেকেই ক্ষনিকের জন্য বিশ্রাম নিচ্ছিল যেমন নিচ্ছিলাম আমি পরবর্তী ধাপ পাড়ি দেয়ার জন্য। অনেক কষ্টে উপরে ওঠার পর দেখলাম কাঠের একটি ছাউনি রয়েছে যার চারিদিকে বেঞ্চ পাতা।
খাড়া এই সিড়ি বেয়ে উঠতে হলো ডি ক্যাপ্রিওর লেগুন দেখার জন্য

এত দূর উঠে যেন বিশ্রাম নিতে পারেন। রয়েছে একই উচ্চতায় বেড়া দেয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে হ্রদটি ছাড়াও আপনি সুদুরে চোখ মেলে দিতে পারেন।পাহাড়ের এত উপরে গড়ে ওঠা হ্রদের পানি লবনাক্ত হলো কেমন করে সেটা জানার ইচ্ছে পুরন করলো সেখানে ঝোলানো এক সাইন বোর্ড। লেখা আছে তিরিশ মিলিয়ন বছর আগে ভুপৃষ্ঠের আন্দোলনের ফলে এই হ্রদটি সৃষ্টি হয়েছিল, আরো সৃষ্টি হয়েছিল কিছু গুহা আর ভুগর্ভস্থ টানেলের যার মাধ্যমে সমুদ্র থেকে এখানে লবনাক্ত পানি আসে।

মা দ্বীপের প্রধান আকর্ষন পাহাড়ের চুড়োয় সৃষ্টি পান্না সবুজ রঙের পানির লেগুন

এই লেগুনেই হলিউডের বিখ্যাত স্টার টাইটানিক ছবির নায়ক ডি ক্যাপ্রিওর দ্য বীচ সিনেমার শুটিং হয়েছিল। আমার সঙ্গীর পায়ে সমস্যা থাকায় আমি একাই উঠেছিলাম। যত সুন্দরই হোক কোন কিছুই যেন একা একা উপভোগ করা যায় না। তাই আমিও নেমে আসলাম খানিক পরেই সুন্দর একটি অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করে। ওঠার থেকেও নামাটা ভয়ংকর মনে হলো আমার কাছে। পা পিছলে পড়লেই সব শেষ। আমাদের সাথী পর্যটক যারা যারা পাহাড়ে ওঠেনি বিশেষ করে অসুস্থ অথবা যাদের সাথে শিশু রয়েছে তারা নেমে পড়েছিলো সমুদ্র মন্থনে ।

সমুদ্র স্নানের তোরজোড়
সমুদ্র থেকে খাড়া ভাবে উঠে যাওয়া কো মায় কো দ্বীপটিতে রয়েছে সামান্য এক চিলতে এক বেলাভুমি। এটুকুর মাঝেই তারা গড়ে তুলেছে প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে ছোট আকারের একটি দৃষ্টি নন্দন কফি ও কোমল পানীয়র দোকান, ক্ষুদে এক স্যুভেনীরের দোকান, অত্যাধুনিক টয়লেট ও চেঞ্জ রুম। সারাদিন ধরে শত শত পর্যটকের আগমনেও নোংরা হয়ে পরে নি এর ক্ষুদে বেলাভুমি। কারন সার্বক্ষনিক পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ছাড়াও মানুষ জনও অত্যন্ত সচেতন, তদুপরি আইন অত্যন্ত কড়া । পাহাড় থেকে নেমে আসলাম, সুর্য্য তখন মাথার উপর তার তেজ ঢেলে দিচ্ছে অমিত বিক্রমে। গলা শুকিয়ে কাঠ, পানি খাওয়া উচিত কিন্ত আইসক্রীমের লোভ সামলাতে পারলাম না। ১৫ বাথের একটি ম্যাগনাম আইসক্রীম চল্লিশ বাথে খেতে খেতে জেটিতে ভেড়ানো পারাপারের নৌকায় উঠে বসলাম।

ভাসমান প্লাস্টিকের জেটি
নৌযানে ফিরে শুনলাম নীচ তালা থেকেই লাইন দিয়ে দুপুরের খাবার নিয়ে উপরে উঠতে হবে। খাবারের মাঝে ছিল সাদা ভাত, আলু দিয়ে রান্না মুরগীর তরকারী, হরেক পদ মিলিয়ে একটি সব্জী, ভেজিটেবল রোলস এবং তরমুজ ও আনারস। তিনতালা সেই নৌযানের দোতালায় দুদিকে বেঞ্চ লাগানো টেবিল বসে খেতে খেতে শুনলাম আমাদের পরবর্তী গন্তব্য কো উয়া তালাপ , এখানে রয়েছে ন্যাশনাল মেরিন পার্কের হেড কোয়ার্টার। কায়াকিং করে আর পাহাড়ে চড়ে ক্লান্ত বিপর্যস্ত সবার চেহারা দেখে মনে হলো না ঐ দ্বীপে কেউ যেতে রাজী হবে। আমরা যেহেতু অতটা পরিশ্রম করি নি তাই খেয়ে দেয়ে অল্প গভীর পানিতে নীল প্লাস্টিকের ভাসমান জেটি পর্যন্ত যাবার জন্য লম্বা ইঞ্জিন নৌকায় উঠে বসলাম। দেখলাম ধীরে ধীরে সবাই এসে দুটো নৌকা ভরে ফেল্লো। দু মিনিটের মধ্যে জেটিতে এসে নৌকা ভিড়লো।

এই দ্বীপেই রয়েছে আং থং ন্যাশনাল মেরিন পার্কের প্রধান কার্যালয়
আং থং ন্যাশনাল মেরিন পার্কের সমুদ্রের নীচে রয়েছে নানা ধরনের জীব বৈচিত্রের সমাহার যার মাঝে প্রবালের ঝাড়, মাছ ও বিভিন্ন জলজ প্রানী ও মাঝে মাঝে নজরে পরা বিষাক্ত জেলী ফিস। জেলী ফিসের ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় সতর্কবানী লেখা।
পাহাড়গুলোতেও রয়েছে অনেক রকম বন্য প্রানী যার মাঝে সাপ, গিরগিটি, সাদা মুখের বানর, দুর্লভ পাখী ছাড়াও বিভিন্ন ফার্ন আর বুনো ফুল যার মাঝে অর্কিড প্রধান। গাইড বার বার সাবধান করে দিল যে "এখানে শুধু চোখ দিয়ে দেখবে আর হাতের ক্যামেরা ও মনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে আনবে। যেখানের জিনিস সেখানেই থাকবে, কোন কিছু নেয়া বা ছোয়া বারন, ২০০০ বাথ জরিমানা আর সেটা দিতে তুমি বাধ্য"। বিশেষ করে বন্য প্রানী যার মাঝে বিশেষ করে বানরদের কোন রকম উত্যক্ত না করা বা খাবার না দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিচ্ছিল । মনে মনে ভাবলাম বানরকে কে খাবার দিতে যাবে শুনি! শেষ মেষ হয়তো আমার ফোন সানগ্লাস তাদের হাতে খুইয়ে বসবো।

সমুদ্র তীরে নারকেল বিথী আর সমুদ্র সৈকত
দেড় ঘন্টা সময় আমাদের হাতে জানিয়ে দিল গাইড এখানে কেউ বা স্নরকেলিং এ ব্যস্ত, কেউবা সমুদ্র স্নানে আর কেউ বালুকা বেলায় অথবা গাছের ছায়ায় চাদর বিছিয়ে গভীর ঘুমে মগ্ন । আয়তনে সব চেয়ে বড় এই পাহাড়ী দ্বীপটির সমুদ্রের দিকে অপেক্ষাকৃত বড় একটি সৈকত ছাড়াও রয়েছে রেস্টুরেন্ট, কোমল পানীয়র দোকান, মিউজিয়াম, প্যারা মেডিকস সহ মেডিকেল সেন্টার, ক্যাম্পিং এর ব্যবস্থা, অর্কিডের বাগান, আর চেইঞ্জ রুম, টয়লেট তো আছেই। সবুজ ঘাসের কার্পেটে পা ফেলে বিশাল গাছের ছায়ায় ছায়ায় চারিদিকে ঘুরে ফিরে এক কাপ কফি নিয়ে বসলাম কাঠের বেঞ্চে।

সাপ খোপের দেখা না মিল্লেও এই পুচকে গিরিগিটি জাতীয় প্রানীটি বেঞ্চে আমার সঙ্গী হয়েছিল
তারই ফাকে মেরিন পার্ক মিউজিয়ামটি দেখে নিলাম। নিরিবিলি সেই এক রুমের মিউজিয়ামে দু তিন জন কর্মী মাত্র বসে আছে। ভাষা না জানার জন্য অনেক কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। দেড় ঘন্টা সময় কখন পেরিয়ে গেল টেরই পেলাম না। গাইডের ডাকে ফিরে চললাম নৌকার উদ্দেশ্যে যে আমাদের নিয়ে যাবে সামান্য দূরে ভীরে থাকা আমাদের নৌযানে। এসে দেখি চা নাস্তা সাজানো। নাস্তার প্লেট নিয়ে সামনে ডেকে গিয়ে বসলাম। ধীরে ধীরে আমাদের লঞ্চের মুখ ঘুরিয়ে রওনা দিল গন্তব্যে।

চোখে পড়লো অথৈ নীল পানিতে অদূরেই এক বিশাল জলযান
চালকের আসনে বসে আছে আমাদের অত্যন্ত হাসি খুশী গাইড। অনেক দূরে ধোঁয়া ধোঁয়া এক সারি পাহাড়ের দেখিয়ে তার দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকা্তেই সে হেসে উত্তর দিল “ইয়েস দিস ইজ আওয়ার সামুই”। জেটিতে নামার সময় মনে হচ্ছিলো অসাধারন নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য নিয়ে সমুদ্রের কোলে লুকিয়ে থাকা এই আং থং মেরিন পার্ক আমাদের স্মৃতিপটে ভেসে থাকবে সারা জীবন।

রাতে খেয়ে দেয়ে যখন ফিরে আসছি চেয়ে দেখি আমাদের হোটেলের পাশেই প্রচুর ট্যুর কোম্পানীর অফিস। কাঁচের দরজা ঠেলে মালকিনের কাছে পরদিন একটি হাফ ডে সিটি ট্যুরের জন্য বললাম। উনি তড়িৎ গতিতে কয়েকটি কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করে ভীষন দুঃখের সাথে জানালেন পরদিন সিটি ট্যুরের কোন সিটই খালি নেই, সব বুকড। উনি আরো জানালেন চাইনীজ নববর্ষ উপলক্ষে প্রচুর চীনা পর্যটকের আগমনই এর কারন। আরো দু একটি জায়গায় চেষ্টা করলাম একই ফলাফল। কি আর করা দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে হোটেলে ফিরে আসলাম। পরদিন সামুইতে ই ঘুরি ফিরে কাটাতে হবে আর কি।

ম্যাজিক পার্কের বংশী বাদক
সামুই বেড়ানো যখন ঠিক হলো তখনই নেট থেকে জানতে পারি এখানে একটি ম্যাজিক পার্ক রয়েছে যা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষনীয়। ছবি দেখে সেখানে যাবার জন্য আমার মাথায় ভুত চেপে বসেছিলো। হাফ ডে ট্যুর নিয়ে সেখানে যাওয়াই ছিল আমার প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্ত তা আর হলো কই! সকাল নয়টা, কফি খাবার জন্য হোটেল থেকে বের হয়ে রওনা দিলাম ফ্যামিলি মার্টের উদ্দেশ্যে যা চব্বিশ ঘন্টাই খোলা থাকে। মাঝ রাত পর্যন্ত হুলুস্থুল করে এসময় চারিদিকের দোকান-পাট, রেস্তোরা সব বন্ধ শুনসান, রাতের জমজমাট রাস্তাটি বিশাল অজগরের মত নীরব ঘুমে পরে আছে যেন।

সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় এখানে সামুদ্রিক খাবারের এলাহী আয়োজন যা এখন বন্ধ
ফেরার পথেই এক ট্যাক্সিওয়ালা এগিয়ে এসে জানতে চাইলো আমরা কোথাও যাবো কিনা। যখন শুনলো আমরা যাদুর বাগানে যেতে চাই তখন সে জানালো সে বাগান অনেক দূর, যেতে দু ঘন্টা লাগবে, অনেক উচু পাহাড়ের উপর উঠতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। শুধু ড্রপ দিয়ে আসবে ভাড়া মাথা পিছু ১০০০ বাথ, অর্থাৎ দুজনার বাংলাদেশি টাকায় ৫হাজার।অনেক দর কষাকষির পর পিক আপ হোটেল ড্রপ ও আরো তিনটি জায়গা ঢুকিয়ে মোট চার ঘন্টার জন্য ১৮০০ বাথে রাজী করালাম। কিন্ত ট্যুর কোম্পানীর ভ্যানে অন্যদের সাথে গেলে ভাড়া নিতো মাথাপিছু ৩৫০ বাথ। মনে পড়লো জীবনে কত রকম বাগানই না দেখেছি, যার মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিল মায়ানমারের হাজার বছরের পুরনো একটি আস্ত শহর যার নামই বাগান। সবুজ বাবলা গাছের মাঝে লাল পোড়ামাটি আর পাথরে তৈরী হাজার হাজার মঠের বাগান।

ম্যাজিক পার্কে খুন নিমের স্বহস্তে নির্মিত বাদক আর নর্তকী দলের ভাস্কর্য্য
১৮০০ বাথের শোক বুকে চেপে শহর ছাড়িয়ে রানওয়ের মত মসৃন নিরিবিলি পথ ধরে চলছি তো চলছি শেষ আর হয়না।তারপর শুরু হলো পাহাড়ি পথে চড়াই উৎরাই। পথের দুপাশে পাতা বাহার আর বিভিন্ন ফুল আর ফলের গাছ যার ফাক দিয়ে দৃষ্টি চালানো মুশকিল। কক্সবাজার যাবার সেই পুরনো পথের কথা মনে করে দুঃখ হতে লাগলো। বন উজাড় করে কি করেছি আমরা ! অবশেষে ড্রাইভার এসে থামলো পাহাড়ের চুড়োর উপর একটি খোলা চত্বরে যেখানে রয়েছে স্যুভেনীর কাম কফি শপ ও টিকিট ঘর কাচের উপর লেখা তানিম ম্যাজিক পার্ক।

তানিম ম্যাজিক গার্ডেনের টিকিট ঘর
আসার আগে বিভিন্ন সুত্র থেকে এই যাদুর বাগান সম্পর্কে তেমন বিস্তারিত কোন বর্ননা পাইনি। যতটুকু জেনেছি সেটা হলো ১৯৭৬ সালে ৭৭ বছর বয়সী এক দুরিয়ান (কাঠাল আকৃতির ফল)চাষী নাম তার নিম থংসুক প্রকৃতির কোলে নীরবে নিভৃতে তার শেষ জীবন কাটাতে বেছে নিয়েছিলেন এক অভিনব পন্থা যা অনেকের কাছেই অকল্পনীয়। সামুইতে পম নামের অন্যতম উচু পাহাড়টির গভীর জঙ্গলের মাঝে ছোট্ট এক গিরিখাতকে ঘিরে খুন নিমের ছিল কিছু পারিবারিক জমিজমা। প্রৌঢ় বয়সে খুন নিম সেই শান্ত সুন্দর পরিবেশকে ঘিরে শুরু করেন এক যাদুর বাগান তৈরীর কাজ যা শেষ হয় ৯১ বছর বয়সে তার মৃত্যুর মাধ্যমে। তাঁর যাদুর বাগানটি তারানিম ম্যাজিক পার্ক বা সিক্রেট বুদ্ধ পার্ক নামে পরিচিত। সংক্ষেপে তানিম পার্ক নামেও ডাকে কেউ কেউ।

যাদুর বাগান জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ভাস্কর্য্য
উপড়ে উঠে এসে শুনি এত খাড়া পথে ভ্যান উঠতে পারে না। এখানে আসতে হলে ফোর হুইল জীপ, মটর সাইকেল বা ট্যাক্সিই সম্বল। মনে হলো আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে। ট্যুর গ্রুপের সাথে গেলে ওরা হয়তো পাহাড়ের অনেক নীচেই ভ্যান থেকে নামিয়ে দিয়ে হেটে উঠতে বলতো ।

ম্যাজিক পার্কের অচেনা মুর্তি
মাথা পিছু ৮০ বাথ দিয়ে টিকিট কিনলাম। তারপর একজনার দেখিয়ে দেয়া পথ ধরে শুরু হলো নীচে নামা। আগের দিন মেরিন পার্কে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দৌড় ঝাপে পা দুটো এমনিতেই টন টন করছিল ব্যাথায়। তার উপর খাড়া সিড়ি বেয়ে নামাও বেশ কষ্টকর ছিল আমাদের কাছে। কিন্ত নেমেই মনে হলো সত্যি এক যাদুর বাগানেই এসেছি। ভুলে গেলাম পায়ের ব্যথা বেদনা, টাকার মায়া। কংক্রিটের সিড়ি নেমে এলাম ছোট্ট এক গিরিখাতের মাঝে।

ম্যাজিক পার্কের মাঝে ছোট গিরিখাতের মাঝ বরাবর ছোট ঝর্নাটি
ঘন সবুজ গাছের ছায়ার ফাকে উকি দেয়া সুর্য্যের নরম আলোয় প্রথমেই চোখে পড়লো ছোট বড় নানা রকম পাথরের টুকরো আর প্রাচীন চেহারার কিছু মন্দির। তারই মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে শান্তশিষ্ট এক ক্ষুদে ঝর্না যার মৃদু মন্দ কুলু কুলু ধ্বনি শান্ত নিরিবিলি পরিবেশকে ঘিরে এক মোহনীয় সুরের সৃষ্টি করে চলেছে। সেই শীতল স্রোতধারার দুপাশ ঘেষে বিস্ময় জাগানিয়া যাদুর বাগানের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে বড় বড় পাথর ছেঁনে নিম থংসুকের নিজ হাতে তৈরী বিভিন্ন ভঙ্গীমার ভাস্কর্য্যগুলো। এমনকি ঝর্নার পানিতে শায়িত শ্যাওলা ঢাকা বিশাল আকৃতির দুটি মুর্তিও আছে যা খুন নিমের দাদা দাদী বলে জানা যায়। প্রাচীন আদলে তৈরী সেই মুর্তিগুলো এতই জীবন্ত মনে হচ্ছিল ওরা আমাদের তাকিয়ে আছে যেমন করে আমরাও বিস্মিত হয়ে চেয়ে আছি তাদের দিকে।

পাথরের উপর হাসি খুশী মুখে বসে আছে দু জন
সেই সব ভাস্কর্য্যের মাঝে রয়েছে বৌদ্ধ পৌরানিক কাহিনীর বিভিন্ন দেব-দেবী, স্বর্গীয় নর্তকীর দল, বংশী বাদক, একাধিক নৃত্যরতা থাই রমনী, সাপ মুখে বিশালাকার এক পৌরানিক পাখী, কিছু সামুদ্রিক প্রানী, ব্যং, এমনকি এই যাদুর বাগানের স্রষ্টার নিজস্ব ভাস্কর্য্য পর্যন্ত রয়েছে এখানে। আরো আছে অপুর্ব দৃষ্টি নন্দন সব মন্দিরের সমাহার।

বিশাল সাপ মুখে নিয়ে এক পৌরানিক পাখি
কোন গাইড বা ব্রোশিউর না থাকায় আমরা সেই অত্যাশ্চার্য্য বাগান ও তার ভাস্কর্য্যগুলোর কোন পরিচয়ই জানতে পারিনি বলে আফসোস হচ্ছিল। এই যাদুর বাগানেই খুন নিম ও তাঁর স্ত্রীর সমাধিও রয়েছে যা চিনতে আমরা ব্যার্থ হই। এখানকার প্রতিটি ভাস্কর্য্যের নির্মান রীতিতে রয়েছে অত্যন্ত প্রাচীন একটি ভাব, যা দেখলে মনে হয় চল্লিশ বছর নয়, হাজার বছর আগে বুঝি এই যাদুর বাগান তৈরী হয়েছে।

যমদুতের মত দেখতে মুর্তিটির পরিচয় জানা হলো না
এখানে দুটি দরজা বিহীন ঘরে দুটি ব্যতিক্রমী মুর্তি রয়েছে যাদের গায়ে সাদা পোশাক, সামনে খাবার দেয়া। ব্যংকক ফিরে আসার পর একজন ছবি দেখে ভীত স্বরে বল্লো “ এ ছবি কেন তুলেছো ! তুমি কি জানোনা এ দুটো হলো প্রেতাত্বার প্রতীক”। আমি সন্দেহ প্রকাশ করায় সে জানালো “ তুমি দেখছোনা শুধু এই মুর্তি দুটোর সামনেই খাবার ও ধুপকাঠি দেয়া, আর এটা দেয়া হয় এদের খুশী রাখার জন্য"। সে আরো জানালো “তাদের আশাপাশ থেকে কেউ কোন কিছু নিয়ে আসলে সেটা যদি সামান্য গাছের ঝরা পাতাও হয় তা নিয়ে যত দুরেই পালিয়ে যাই না কেন তারা ঠিকই পিছু পিছু ধেয়ে আসবে প্রতিশোধ নিতে”। একথা শুনে আমিতো রীতিমত আতংকিত হয়ে গেলাম, এক ছবি তোলা ছাড়া আর কিছু করেছি বলেতো আপাতত মনে পরছে না আমার।


যাদুর বাগানের মাঝে দরজাবিহীন পাথরের ঘরে সামনে খাবার সাজানো এক প্রেতাত্বার মুর্তি
ঝর্নার পানিতে ছোট ছোট পাথরের টুকরো ফেলে এপার ওপার করার ব্যবস্থা। তখনো তো ভুত প্রেত সম্পর্কে কিছু শুনিনি তাই ঝর্নার দুদিকেই ঘুরে ফিরে দেখছি মুগ্ধ নয়নে। এমনকি সেই প্রেতাত্বার আশে পাশেও ঘুর ঘুর করছি, ছবি তুলছি, অবশেষে ড্রাইভার এসে উকি দেয়ায় ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি কখন এক ঘন্টা পেরিয়ে গেছে টেরই পাইনি। যাদুর বাগান যেন সত্যি আমাদের যাদু করে রেখেছিল এতক্ষন। ধীরে ধীরে সিড়ি বেয়ে উঠে আসলাম সেই স্বর্গীয় বাগান থেকে দারুন এক প্রশান্তি নিয়ে।


খুন নিমের সৃষ্টি ভয়ংকর এক ভাস্কর্য্য
অবশেষে কফি শপে কফি খেতে খেতে মনে হলো ট্যাক্সি ড্রাইভার আমাদের মোটেও ঠকায়নি, টাকাটি তার ন্যয্য পাওনাই। এখানে একটা কথা বলে রাখি চায়ের সাথে তুলনা করলে কফি আমার কাছে বিস্বাদই লাগে । যেহেতু দেশের বাইরে কফি সহজলভ্য আর যদিও বা চা পাওয়াও যায় তা হয় লিকার অথবা আইস টি যা আমার মোটেও ভাললাগে না। তাই ক্লান্তি তাড়াতে কফি নিয়ে বসি আর মনে মনে ভাবি এই চা খাবার জন্যই আমি একদিন ঘরে ফিরে যাবো ।
কফি শেষে উঠে দাড়ালাম পরের গন্তব্য এক ঝর্না দেখতে। অসংখ্য দর্শক গিজ গিজ করছে কেউবা পানিতে নেমে দাপাদাপি করছে। দশ মিনিটের মত সেখানে থেকে গেলাম পথের পাশেই থাকা এক লাল পাথরে তৈরী মন্দির দেখতে। সমুদ্রের পাশে খেমার ডিজাইনে করা অত্যন্ত আকর্ষনীয় ছোট খাটো লাল মন্দিরটি সত্যি দেখার মত।

খেমার নকশায় তৈরী লাল মন্দিরটি সত্যি আকর্ষনীয় ছিল দেখতে।
পরের গন্তব্য ছিল বানর দেখা। আমি ভেবেছিলাম উন্মুক্ত নারকেল বাগানে বানরের কেরামতি। যখন গিয়ে শুনলাম সেটা শেকল বাধা বানরের খেলা লাঠির নির্দেশে সে খেলছে তখন তা দেখার আর আগ্রহ হলো না। আপনারা হয়তো ভালো করেই জানেন পাখী থেকে শুরু করে সব প্রানী শিকলি কাটা অবস্থাতেই আমার পছন্দ। প্রায় পাচ ঘন্টা পরে হাসিখুশী তরুন ড্রাইভার আমাদের হোটেলের সামনে নামিয়ে দিয়ে যাবার সময় তার নেইম কার্ডটা দিয়ে গেল কোথাও গেলে যেন তাকে ডাকি।

না আর তাকে ডাকতে হয়নি, কারন বাকি দিন আমরা পায়ে হেটেই বীচে আর রাত বাজার ঘুরে ফিরে কাটিয়েছি। উন্মুক্ত আকাশের নীচে রাস্তা থেকে খাবার কিনে খেতে খেতে মাঝ বয়সী এক পশ্চিমা ভদ্রোলোকের কন্ঠে সত্তর ও আশির দশকের পুরনো দিনের গান সাথে রক এন্ড রোল নাচ উপভোগ করেছি। যার গানের তালে নষ্টালজিক হয়ে দু জোড়া দর্শক টেবিল ছেড়ে উঠে নাচতে লাগলো হাত ধরাধরি করে। যা শেষ হলো অসংখ্য দর্শকের করতালিতে।

এক চৈনিক তরুন এক অপরিচিত মেয়ের হাত ধরে নৃত্যরত।
সারা বছর জুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকের ভীড়ে ভারাক্রান্ত সামুই দ্বীপ আরো ভরে উঠেছিল চীনা নববর্ষে উপলক্ষে চীন থেকে আসা প্রচুর পর্যটকে। আমাদের হোটেলের আশাপাশ রাস্তাঘাট যেন আরো জমজমাট হয়ে থাকতো। রাস্তায় রাস্তায় ঝুলানো লাল কাগজের লন্ঠন, ড্রাগন, পাশেই নারিকেল বিথীর ফাঁকে ফাঁকে উকি দেয়া সাদা বালির সমুদ্র সৈকত, সামুদ্রিক খাবা্রের পশরা সাজানো রাস্তার দুধারের অজস্র রেস্তোরা তো আছেই সাথে চীনাদের ঐতিহ্যবাহী লাল পোশাকে তরুন-তরুনী, বুড়ো- বুড়ী মিলে নাচ-গান, হৈ হুল্লোড় ১৫ই ফেব্রুয়ারী থেকে ১৯ শে ফেব্রুয়ারী এই চার চারটি দিন সামুই এর আকাশ বাতাস আমাদের চোখে যেন ধাঁধা লাগিয়ে দিয়েছিল।

ভোরের মেঘলা আকাশ আর তারই নীচে ঢেউগুলো চয়েং সৈকতকে আলতো হাতে ছুয়ে ছুয়ে ফিরে যাচ্ছে

আট বছর পুর্তি উপলক্ষে লেখা এই ভ্রমণ কাহিনীর সব ছবি আমার মোবাইলে তোলা ।

মন্তব্য ১১৪ টি রেটিং +২৮/-০

মন্তব্য (১১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার যতসব ছবি আর বর্ণনা; পরে পড়ে নেবো।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

জুন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙ্গালী প্রথম মন্তব্যটির জন্য । আবার এসে পড়ে নিবেন সেই প্রত্যাশাই থাকলো ।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:


সামু ব্লগে আপনার আট বছরপূর্তিতে এমন ছবি ব্লগ আমাদের জন্য অনেক আনন্দময়।

শুভ হোক আপনার আগামীর পথচলা
রেখে গেলাম, নিরন্তর ভালবাসা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

জুন বলেছেন: অত্যন্ত আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন সৈয়দ ইসলাম । লেখা লেখির প্রতি অদম্য ইচ্ছে আর আপনাদের মত সহ ব্লগারদের অনুপ্রেরনাই আমাকে এতটি বছর সামু ব্লগ ধরে রেখেছে ।
নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্যও ।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর লেখাটি পরে পড়বো।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

জুন বলেছেন: তারেক মাহমু৩২৮ সময় করে আমার লেখাটি পড়বেন সেই আশাটুকু থাকলো ।
ভালো থাকুন, পাশে থাকুন সেই প্রত্যাশায় ।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এসব দেখলে আমার মাথা ঘুরে, পরে আসছি পড়ার জন্য।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

জুন বলেছেন: সাদা মনের মানুষ আমার লেখা পড়ে আপনার দেখছি ভার্টিগো অর্থাৎ মাথা ঘুরুন্টির অসুখ ধরে গেল :/
যাই হোক একটি স্টিমিটিল টাবলেট খেয়ে খুব শীঘ্রই ফিরে আসবেন সেই প্রতীক্ষায় :)
শুভেচ্ছা রাত্রির ।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: জানাতে জানাতে আমাদের দেখছি জানোয়ার বানিয়ে ছাড়বে আপি!! :

সামুই দ্বীপের সব কিছুকে এবার সামুতে এনে ব্লগটাকেই একটা সামুই দ্বীপ বানিয়ে ছাড়লে!!:)


+++

আর হ্যা অষ্টম বর্ষ পূর্তির জম্য স্পেশাল শুভকামনা! :)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

জুন বলেছেন: জানাতে জানাতে আমাদের দেখছি জানোয়ার বানিয়ে ছাড়বে আপি!! :
হা হা হা এইটা কি বললেন বিলিয়ার এতদিন পর এসে =p~
আমি আরো ঘুরে টুরে এসে কত কষ্ট করে সব কিছু লিখলাম :``>>

যাই হোক আশাকরি এখন থেকে নিয়মিত হবেন আমাদের প্রিয় সামুই ব্লগে ।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্যও :)

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পড়তে পড়তে লেখাটি কখন ফুরিয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না!শেষে এসে মনে হল আরও যেন অনেক কথায় বলা হয়নি!
আরও যেন অনেক কিছু বলতে পারতেন।তবু যা বলেছেন তা নেহাত কম নয়।
এত বড় লেখা পড়ে কোনটা রেখে কোনটা বলি তাই তো ভেবে পাচ্ছি না।প্রথমেই এত সুন্দর একটি ভ্রমন কাহিনি উপহার দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
সাথে সুন্দর সব ছবি গুলো মনে তৃপ্তিত দিয়েছে।এমন পাহাড় আর সাগর দেখলে মন সবারই ভাল হয়ে যাবে।
আত্বার মূর্তিটা দেখতে সত্যি ভয়ংকর।আর লাল মন্দিরটি দেখতে তো বেশ।
সামুই নামটি কিন্তু আমাদের প্রিয় সামুর সাথে মিলে গেছে! :D
এমন করে অনেক সুন্দর সুন্দর স্থান ঘুরতে থাকুন আর আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

জুন বলেছেন: মোস্তফা সোহেল সকাল থেকে রাত চারদিনের এই ধকল সহ্য করার পর ভাবি নি সামুই নিয়ে চটজলদি কিছু লিখতে পারবো । কিন্ত সেদিন আড্ডাঘরে আপনারা আমাকে এই ভ্রমনটি নিয়ে লেখার জন্য অনুরোধ করলে আমিও উৎসাহিত হই । যার ফলশ্রুতিতেই এই ভ্রমণ কাহিনী। তার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদটি আপনাদের প্রাপ্য ।
আপনি ঠিকই ধরেছেন, শেষ মুহুর্তে অনেক কিছুই বলা বাকি থেকে গেছে।
প্রেতাত্বার মুর্তিটি দেখে তখন কিন্ত ভয় পাইনি , যখন ব্যংকক ফিরে এসে আমার পরিচিতজনার কাছে এ বিষয়ে মোটামুটি বিশদভাবেই জানলাম তখন আমি রীতিমত আতংকিত হয়ে পড়ি। বারবার ভাবছিলাম সেখান থেকে আমি কোন নুড়ি পাথর বা জংলী গাছের চারা তুলে এনেছিলাম কি না ? যা আমি প্রায়শই করে থাকি।

আপনাদের কথায় আমারো মনে হলো আমার প্রিয় সামুর সাথে সামুইর নামটা মিলে গেছে :)
শুভকামনা রইলো সব সময়ের জন্য ।

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

সামিয়া বলেছেন: পোষ্টে চোখ বুলিয়েই স্পেশাল কিছু মনে হচ্ছে, প্রিয়তে নিলাম আপু।সময় করে পড়ে ফেলবো ।।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৯

জুন বলেছেন: ইতি সামিয়া , লেখাটির মাঝে স্পেশাল কিছু আছে কি না জানিনা , তারপর ও এসেছেন মন্তব্য করেছেন তার উপর প্রিয়তে নিয়েছেন । সত্যি আমি আভিভুত প্রিয় ব্লগার। লেখাটি পড়ে একটি নিরপেক্ষ মতামত জানিয়ে যাবেন সেই প্রত্যাশায় রইলুম :)
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রাত্রির ।

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই স্পেশাল পোস্টটি এক বসায় শেষ করে উঠলাম। অনেক তথ্যও মনোমুদ্ধকর বর্ণনায় পোস্টটি তার শ্রী যেনো অম্লান। আপুনি আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার ভ্রমন কাহিনী আমাদের শিয়ার করে জানার সুযোগ করে দেওয়ায়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

জুন বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন সেদিন আড্ডাঘরে জোর না দিলে আলসেমীর জন্য এই লেখাটি লিখতে আমার হয়তো আরো অনেক দিন কেটে যেত । তাই তাড়াহুড়ো করে লিখেছি আমার সামুই ভ্রমণ কাহিনী। আপনারা যে পছন্দ করেছেন তার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞ আমি সব সময়ই থাকি ।
বহুদিন ধরে পাশে থেকে লেখালেখির ব্যপারে নানা রকম উৎসাহ দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন সাথে সকালের শুভেচ্ছা :)

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভ্রমণ বর্ণনা একেবারে ঝকঝকে তকতকে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

জুন বলেছেন: মাইদুল সরকার অল্প কথায় আপনার মন্তব্যটিও চকচকে লাগলো ।
অফুরান শুভেচ্ছা সাথে থাকার জন্য ।

১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

আরাফআহনাফ বলেছেন: এমন বর্ননা আর ছবি যদি থাকে তবে দর্শনের ৮০%ই সারা আর বাকীটুকুর(২০%) জন্য স্ব-শরীরে যাওয়া ছাড়া তো কোন গত্যন্তর নেই।
দারুন সব ছবি বলছে বাকী ২০%ও করে ফেলতে হবে নিশ্চয়ই - পকেটের অবস্থা যাই হোক! ! !

ভালো থাকুন সামুর ইবনে বতুতা, দীর্ঘজীবি হোন।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২০

জুন বলেছেন: আমিও সেই আশায় আশায় লিখে যাই যে সময় সুযোগ হলে এর মাঝে ভ্রমনের জন্য কিছু স্থান নির্বাচনে যেন আপনাদের সুবিধা হয় আরাফ আহনাফ ।
সুন্দর ও একটি আন্তরিক মন্তব্যে সকাল সকাল মনটাই ভালো হয়ে গেল।
অশেষ ধন্যবাদ আমার ভালো থাকার জন্য আপনার প্রার্থনাটুকুর জন্য :)

১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বাইরে প্রচন্ড ঝড় আর বৃষ্টি সেই সাথে হার কাঁপানো ঠান্ডাতো আছেই |ভাবছিলাম কমফোর্টার মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়বো |আপনি আর ঘুমাতে দিলেন কই ? আপনার সাথে সেই সাত সাগরের পাড়ের থাইল্যান্ডের সামুই দ্বিপে যেতেই হলো | জানতাম অপূর্ব সুন্দর এই দ্বীপের কথা |কিন্তু আপনার ফটো আর বর্ণনাতে নিজেও যেন ঘুরলাম সামুই দ্বীপে - ঘ্রাণং অর্ধং ভোজনং তেমন দর্শনং অধ্যায়নং ভ্রমনং | ম্যাজিক পার্কের বর্ণনাটা ভালো লাগলো | মানুষ চাইলে কি না পারে? পৌরাণিক পাখিটা কি গারুদা ? খেমার নকশায় করা মন্দিরটা খুবই সুন্দর | নাম কি মন্দিরটার ? থাইল্যান্ডের কালচারে তাহলে এনগর সিভিলাইজেশনের অনেক প্রভাব মনে হচ্ছে আছে ? অনেক ভালো লাগলো এবারের লেখাটাও | অনেক ধন্যবাদ |

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

জুন বলেছেন: মলাসইলমুনা ,
বাইরের ঝড়ও যে আপনাকে আমার সামান্য লেখাটি পড়া থেকে বিরত রাখেনি তার প্রমান আপনার এই অসাধারন মন্তব্য। আমার দেখা নীল সবুজ সামুইকে রাঙ্গিয়ে গেলেন রঙ্গীন একরাশ কথার মালায়। আমার সাথের সাথী হয়েছেন এই প্রচন্ড শীতেও তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
পাখীটা গরুড় কি না বুঝতে পারছি না , কারন বিষ্ণুর বাহন গরুড়ের মুখটি কিন্ত অনেকটা আমেরিকার জাতীয় পাখী বিশালাকায় ঈগলের মুখের মতই, চঞ্চু রয়েছে তেমনি তীক্ষ। এটাতে তো তেমন কিছু নেই । বলেছি না লেখায় না গাইড না ব্রোশিওর কিছুই না থাকায় অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে প্রিয় ব্লগার ।
ম্যাজিক গার্ডেন যাবার সময় পথের পাশে সমুদ্রের সৈকত ঘেষে মন্দিরটি নজরে পরে। তখনই তরুন চালককে বলে রেখেছিলাম ফেরার সময় এখানে থামার জন্য । খেমার স্থাপত্য আমাকে আকর্ষন করে অনেকটা চুম্বকের মতই। অবশ্যই থাইল্যান্ডের কালচারে খেমারের সুস্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্যনীয় যা আমি লপবুরি ভ্রমণ কাহিনীতে লিখেছি। ক্যাম্বোডিয়ার সাথে সীমানা নিয়ে এখনো তাদের কিছু দ্বন্দ আছে ।
আপনার ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক খুশী হয়েছি কারন আপনি যে অত্যন্ত মনযোগী পাঠক তা আমি বুঝতে পেরেছি অল্পদিনেই ।
যার জন্যলেখাটি দিয়ে আপনার অনাবদ্য এক মন্তব্যের অপেক্ষায় থেকেছি । অনেক ভালো থাকুন আর পরের লেখাতেও সাথে থাকুন সেই প্রত্যাশায় :)

১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: ছবি বর্ণনা চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সেখানকার।
সামু ব্লগে সামুই দ্বীপ নিয়ে লেখা! কেমন জানি মিলে গেল!

যাবার ইচ্ছে জাগল পোস্ট দেখে! ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

জুন বলেছেন: কাছের- মানুষ আমার সামান্য লেখাটি দেখে আপনার সামুই যাবার ইচ্ছে জাগলো জেনে খুব ভালোলাগলো । আশাকরি সুযোগ মতই ঘুরে আসবেন । আর মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরীর জন্য আন্তরিক দুঃখিত ।
আপনার থাই ও লাওস ভ্রমণ নিয়ে একটি লেখা অনেক আগে পড়েছিলাম, সেখানে আপনার নৌ পথে ঘুর ঘুরের কথা জেনে খুব ভালোলাগলো কারন এটা আমার বর্তমান অস্থায়ী আবাসের একদম পাশেই । এমনকি এটা নিয়ে একটি পোষ্টও দিয়েছিলাম আমি ।
Click This Link

আপনার জন্য একটি ছবি রইলো :)

১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: ছবি আর বর্ণনা দুটোতেই মুগ্ধ হলাম। এত বড় পোস্ট কিন্তু কখন শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। সব ছবিই খুব ভাল, কিন্তু দুরকম নীল আকাশ আর সাগর যেখানে দিগন্তে মিশেছে সেখানে একটা জাহাজ একাকী দাঁড়িয়ে আছে- এই ছবিটা বারবার দেখলাম।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

জুন বলেছেন: করুণাধারা
এত বড় পোস্ট কিন্তু কখন শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। আপনার এ কথাটি আমার জন্য কতখানি আনন্দ বয়ে নিয়ে আসলো এ শুধু আমিই জানি। আপনি যেঁ ছবিটির কথা উল্লেখ করেছেন সেটি আমারও অনেক প্রিয় । দিক চক্রবাল ঘিরে থাকা বিশাল সমুদ্রে এক নিঃসংগ পথিকের মতই লাগছে তাকে।
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরীর জন্য আন্তরিক দুঃখিত । সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংক্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

ওমেরা বলেছেন: আমার আব্বু লিবিয়া সরকারের অধীনে একটা জব করত তবে জবটা থ্যাইল্যান্ট,ম্যালেশিয়া,ইন্দোনেশিয়া,সিংগাপুর,চীন,পাকিস্তান এসব দেশে ছিল। সেই কারনে উনি কয়েক বছর থ্যাইল্যান্ড ছিলেন। আমার জন্মের আগেই আব্বু ঐ জব ছেড়ে জগন্নাথ কলেজে জব নেন। তাই ছোট বেলায় আব্বুর মুখে থ্যাইল্যান্ডের অনেক গল্প শুনেছি বিভিন্ন জায়গায় আব্বুর তোলা অনেক ছবিও দেখেছি। আপু থ্যাইল্যান্ডের পোষ্ট গুলো যখন পড়ি তখন আব্বুর বলা গল্পগুলো ও ছবিগুলো চোখের সামনে ভেষে উঠে। খুব ভাল লাগে, চেনা চেনা মনে হয় আর আপন আপন লাগে । অনেক ধন্যবাদ আপু।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০২

জুন বলেছেন: ওমেরা আপনার বাবার কথা বিশেষ করে তার এত এত দেশ ঘোরার কথা শুনে খুব ভালোলাগলো । কারন আমিও ঘুর ঘুর করতে পছন্দ করি যে :)
আমার চেনা জায়গাগুলো আপনার কাছেও চেনা আর আপন লাগে জেনে অনেক ভালোলাগলো ।
আপনার নিয়মিত মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করে এটা আপনি নিশ্চয় বুঝে ফেলেছেন এতদিনে !
যাই হোক অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো মন্তব্যে ।

১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সুমন কর বলেছেন: আপনি বলেছেন, "যে কোন কিছু লিখেই যার ছোট্ট দু লাইনের এক মন্তব্যের প্রত্যাশায় থাকি সেই সুমন কর......" খুব ভালো লেগেছে। তাই আজ কিন্তু ছোট্ট করেই বলছি, পরিপূর্ণ পোস্ট। +।

ব্লগ থেকে আমরা কিন্তু অনেক কিছু পেয়েছি। এটাই সামুর সার্থকতা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

জুন বলেছেন: যে কোন কিছু লিখেই যার ছোট্ট দু লাইনের এক মন্তব্যের প্রত্যাশায় থাকি সেই সুমন কর.. এটা কিন্ত একদম সত্যি কথাই লিখেছি আমি :)
আপনার নিরলস উৎসাহ আর সহযোগীতা আমাকে এত বছর চলার পথকে মসৃন করতে সাহায্য করেছে অনেকখানি।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকুন সব সময় । শুভেচ্ছা সকালের ।

১৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আগের দিনে, ঐ দেশের মানুষের বড় কাজ ছিলো মুর্তি তৈরি করা, মনে হয়!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১২

জুন বলেছেন: আমারও তাই মনে হয় চাঁদগাজী যাকে বলে নাই কাজ তো খই ভাজ সেই অবস্থা আরকি ।
মুর্তি উপাসক ছিল বলেই হয়তো দেবতাকে খুশী করার জন্য এই প্রচেষ্টা কি না কে জানে ।
নিয়মিত মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুরাই যাদুই ঘোর লাগা যেন!!!!

আহা! পড়তে পড়তে যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম ...

মুগ্ধতা দারুন সব অজানাকে জানানোয়. অদেখাকে দেখানোয় :)

+++++++++++

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

জুন বলেছেন: প্রথমেই মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরীর জন্য আন্তরিক দুঃখিত বিদ্রোহী ভৃগু ।
পড়তে পড়তে কই হারালেন !! ম্যজিক পার্কে নাকি মেরিন পার্কে :-*
না না হারিয়ে যাবেন না , হারিয়ে গেলে আমার এই এলেবেলে লেখাগুলো পড়ার পাঠক কই পাবো :(

মন্তব্য ও প্লাসে অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন প্রিয় ব্লগার ।

১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: খণ্ডে খণ্ডে লেখার কারণে পড়তে ক্লান্তি আসে না। আর ছবিগুলোতো অসাধারণ

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

জুন বলেছেন: খণ্ডে খণ্ডে লেখার কারণে পড়তে ক্লান্তি আসে না। ঠিকই বলেছেন দিশেহারা । আমার নিজেরও টানা লেখা পড়তে কষ্ট হয় । ছবি মোবাইলে তোলার জন্য খুব একটা স্পষ্ট আসে না । কিন্ত ভারী ক্যমেরা নিয়ে ইদানীং কোথাও ঘুরতে যেতে ভালোলাগে না । ক্যামেরা সামলাবো না দেখবো তাই !
অনেকদিন পর আপনাকে নিয়মিত ব্লগে দেখে ভালোলাগছে । মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ সাথে সকালের শুভেচ্ছা ।

১৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:







অষ্ট


বছর


পূর্তিতে



শুভেচ্ছা


সুপ্রিয় লেখক!!!!

পোষ্ট সোজা শোকেসে!!!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০০

জুন বলেছেন: ভ্রমরের ডানা,
নানা রকম ব্যস্ততা আর নেটের ধীরগতির জন্য উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল বলে দুঃখিত ।
আমার অষ্টম বছর পুর্তিতে আপনার শুভেচ্ছা, মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
ইদানীং আপনার কবিতা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে লেখালেখির পরিমান কমে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। একি ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় ? !!

২০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দারুন হয়েছে পর্যটন আকর্ষন সামু্‌ই দ্বীপ ভ্রমন কাহিনী, সাথে সুন্দর সুন্দর সব ছবি, বিশেষ করে সেখানকার মেজিক পার্কের বিভিন্ন রকমের ও ভঙ্গিমার স্ট্যাচুগুলি । এসমস্ত মুল্যবান ভাস্কর্যগুলিতে উঠে এসেছে সে সময়কার প্রাচ্য দেশীয় প্রাচীন শিল্পকলা চর্চার ইতিহাস । এর সাথে জড়িত আছে সে সময়কার মানুষের বিশেষ করে কিছু সংখ্যক ভাস্কর্য শিল্পীর মেধা ও কারিগরী নৈপন্যের ইতিকথা । একটি দেশে বা সমাজে শিক্ষা ও শিল্প সাধনার সুযোগ সুবিধা না থাকলে একদিনে রাতারাতি কোন মেধাবী ও গুণী শিল্পী পয়দা হতে পারেনা । এই বিষয়গুলি বলে দেয় যে, সে সময়কার নৃপতিগন শুধু যে শিল্প কলার পৃষ্টপোষকই ছিলেন ও পাথরের মুর্তীই বানাতেন তাতো নয়, বরং সে সময়ে তারা দেশের সাধারন মানুষের শিক্ষা ও শিল্প সাধনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সহায়ক পরিবেশ সৃজন সে সাথে যথাযথভাবে তার বিকাশও ঘটিয়েছেন বিভিন্ন মাধ্যমে । প্রাচীন ভাস্কর্য সমৃদ্ধ এই সব ভাস্কর্যগুলি সেখানকার বিশেষ করে পুরা থাইবাসীদেরকে তাদের সমৃদ্ধ ঐতিয্যের কথা স্মরন করিয়ে দেয়। তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে তাদের দেশকে শিল্প সাহিত্য , আর্থনীতি , সমাজনীতি সহ আন্তর্জতিক অঙ্গনে আরো বেশি করে পরিচিত করাতে । এটা একদিকে যেমন তাদের এতিহ্যকে সমৃদ্ধ করছে, তেমনি ভাবে বর্তমানেও পর্যটন শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে ।

বিষয়গুলি এ পোষ্টের লেখাতেও সুন্দরভাবে উঠে এসেছে , যেমনটি দেখা যায় সুরাটথানি এয়ারপোর্টের একটি কোম্পানী্র সাথে চুক্তি করে মাথা পিছু ১৫০০ বাথ দিয়ে ট্যাক্সি করে পৌনে দু ঘন্টার পথ পারি দিয়ে ডনসাক জেটিতে পৌছে যেখান থেকে সামুই এর উদ্দেশ্যে সিট্রান নামের ফেরীতে করে সামুই দ্বীপে যাওয়া । তার পর সেখানে গিয়ে আরো ৮০ বাথ টিকেট কেটে যাদুর বাগানের ভিতরে গিয়ে তারানিম ম্যাজিক পার্ক বা সিক্রেট বুদ্ধ পার্ক এর জঙ্গলে গিয়ে হরেক রকমের মৃর্তী দেখা । সেখানে গেলে ভাস্কর্যগুলি নাকি পর্যটকদেরে এমনতরভাবে সেলুট দেয় যা সত্যিই অনেক ভাল লাগার বিষয় :) । এগুলি থাই অর্থনীতির বিকাশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের ভাবমুর্তী তৈরী করে ব্যবসা বানিজ্যকেও দারুন ভাবে চাঙ্গা করতে সহায়তা করে ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনার এই ভ্রমন কহিনীর সাথে একাত্ম হয়ে মনে হল যেন সেখানে ভ্রমনরত আছি, অনক কিছু দেখা হল , জানা হলো অনেক অজানা ইতিহাস। বার বার মনে হয়েছে আমাদের দেশেও বিভিন্ন স্থানে এমন অনেক নিদর্শন রয়েছে যেগুলি থাই আদলে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা যায় । এই ব্লগের ইবনে বতুতার প্রতি রইল ভালবাসা, বিনম্র শ্রদ্ধা ও ছালাম ।

অস্টম বর্ষ পুর্তীতে রইল প্রাণডালা শুভেচ্ছা।

কামনা করি সামনের দিনগুলিতেও সুন্দর সুন্দর মুল্যবান লেখা দিয়ে আনন্দ দানের পাশাপাশি আমাদের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে যাবেন নিয়মতভাবে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

জুন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ডঃ এম আলী প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই যা আমি লিখতে ব্যর্থ হয়েছি তা তুলে ধরার জন্য । আপনার বিশ্লেষনে চমৎকার ভাবে উঠে এসেছে সে দেশের শিল্পকলা । যা নীচে আবার তুলে ধরলাম । এরা সামান্য জিনিসকেও এত সুন্দর মোড়কে তুলে ধরে যার ভেতর দিয়ে প্রতিফলিত হয় এদের শিল্প ও সৌন্দর্য্যের প্রতি আকুলতা। যা দেখে আপনিও প্রলুদ্ধ হবেন কিনতে বা দেখতে।

একটি দেশে বা সমাজে শিক্ষা ও শিল্প সাধনার সুযোগ সুবিধা না থাকলে একদিনে রাতারাতি কোন মেধাবী ও গুণী শিল্পী পয়দা হতে পারেনা । এই বিষয়গুলি বলে দেয় যে, সে সময়কার নৃপতিগন শুধু যে শিল্প কলার পৃষ্টপোষকই ছিলেন ও পাথরের মুর্তীই বানাতেন তাতো নয়, বরং সে সময়ে তারা দেশের সাধারন মানুষের শিক্ষা ও শিল্প সাধনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সহায়ক পরিবেশ সৃজন সে সাথে যথাযথভাবে তার বিকাশও ঘটিয়েছেন বিভিন্ন মাধ্যমে ।
আপনার এই কথাগুলোতে আমার পোষ্টের অনেক পাঠকেরই বুঝতে সুবিধা হবে বলে মনে করি। শুধু মুর্তি বানানোই নয় এর ভেতর দিয়ে একটি জাতির শিল্পের প্রতি যে তাদের আকুলতা রয়েছে তাই প্রতিভাত হয়েছে বলে মনে করি। নাহলে একজন সামান্য ফলচাষী শেষ বয়সে গিয়ে এমন অসামান্য একটি কাজ শুরু করবেন কেন ! এবং যা তিনি করেছেন তার মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত । বিশ্বের অনেক বিশাল বিশাল ভাস্কর্য্য বা সৌধ দেখার সুযোগ হয়েছে আমার । সেগুলো সবই গড়ে উঠেছে শাসক বা ধনীদের ইচ্ছেয় শ্রমিকের রক্ত পানি করা শ্রমের বিনিময়ে। হয়তো কি বানাচ্ছে তারা সেটা নিয়ে তাদের কোন আগ্রহই ছিল না। শিল্পের প্রতি ভালোবাসা আর আকর্ষনেই খুন নিম ৯১ বছর বয়স পর্যন্ত ছেনি আর হাতুড়ি নিয়ে কঠিন শিলায় গড়ে তুলেছেন তার স্বপ্নের ভাস্কর্য্যগুলোকে, তাকে তো কেউ বাধ্য করে নি এগুলো গড়তে। ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেল যা আমি দেখেছি স্বচক্ষে সেখানে ছাদ জুড়ে মাইকেল এঞ্জেলোর বিখ্যাত সব ছবি আকা রয়েছে যেটা আপনি নিঃসন্দেহে জানেন। সেগুলো সে দীর্ঘদিন চিৎ হয়ে শুয়ে শুয়ে অনেক কষ্টে একেছিল পোপ দ্বীতিয় জুলিয়াসের নির্দেশে, প্রভুর প্রতি ভক্তি থেকে নয় ।
যাই হোক অনেক কিছু আবোল তাবোল লিখে ফেললাম নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন আশাকরি
আমাকে বর্ষ পুর্তির শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । ভালো থাকুন আর আমাদের জন্য অজানা বিষয় নিয়ে চমৎকার লেখা নিয়ে শীঘ্রই আসুন সেই প্রত্যাশায় :)

২১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২২

নীলপরি বলেছেন: ছবিগুলো তো অপূর্ব লাগলো । আর বিবরণও খুব সুন্দর ।

শুভকামনা

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

জুন বলেছেন: পোষ্টটি ভালোলাগা ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ নীলপরি ।
শুভকামনা আপনার জন্যও ।

২২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু!
আপু!!
আপু!!!!
তোমার তুলনা তুমি নিজেই !!!!
অপূর্ব ভ্রমন গল্প ! আমি তো পানি দেখলে বসেই থাকতে পারতাম না ; কি সুন্দর সব ছবি !!!!
আর তোমার লেখার যাদু , সব মিলিয়ে এক স্বপ্নের জগত।


ব্লগে অষ্টম বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা আপু ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

জুন বলেছেন: মনিরা মনিরা সব সময় এত আন্তরিকতা তোমার মন্তব্যে থাকে যা আমাকে ভালোলাগায় ভরিয়ে দেয় ।
আমিও পানিতে নেমেছিলাম বৈকি তবে ঐ গোড়ালী পর্যন্তই । ওদের মত তো আর ঝাপাই ঝুরতে পারি নি ।
আট বছরের বুড়ী ব্লগারকে অভিনন্দন জানানো ও মন্তব্য ভালোলাগায় অসংখ্য ধন্যবাদ :)

২৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর সব ছবি চমৎকার বর্ণনা লেডি বতুতা। :) অষ্টম বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

জুন বলেছেন: সেলিম আনোয়ার আমার খুব ইচ্ছে করে সুন্দর করে ছবি তুলি । কিন্ত এখন ভারী ক্যামেরা বহন করে ভালো ছবি তোলার চেয়ে মনের ক্যামেরাতেই তুলে নেই তাতে সময় বাঁচে এবং দেখারও সময় পাই অনেক । আর ফোনেই টুকটাক তুলি কিছু মুহুর্তের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য :)
বছর পুর্তির শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকুন হাসিতে খুশীতে ।

২৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আট বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা ।

সামুই দ্বীপের ছবি ও বর্ণনায় মুগ্ধ ।

ইবনে বতুতার পায়ের ব্যথাটার কথা জেনে খারাপ লাগছে । তারপরও আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণার কাছে সব বাঁধাই তুচ্ছ । এমনি ইবনে বতুতা হয়েই কাটুক আপনার সারাটা জীবন । আমীন ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

জুন বলেছেন: শামসুল ইসলাম ,
তারপরও আপনার ভ্রমণ তৃষ্ণার কাছে সব বাঁধাই তুচ্ছ । এমনি ইবনে বতুতা হয়েই কাটুক আপনার সারাটা জীবন । আমীন ।
বছর পুর্তির শুভেচ্ছার সাথে ও পোষ্টটি পড়ে এমন একটি আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানাই আপনাকে । পায়ের ব্যাথা সেরে গেছে আপাতত :)

২৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার মতোই পোস্ট!!

৮ বছরের শুভেচ্ছা।

ব্লগিং চলুক অবিরাম।
ভাল থাকুন জুন আপা।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

জুন বলেছেন: ব্লগিং চলুক অবিরাম। তো বলছেন কিন্ত এখানেও নেট এত স্লো যে আপনাদের উত্তরগুলোও সময় মত দিতে পারছি না বিজন রয়। তারপর ও যে সাথে থেকে অবিরত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন লেখালেখিতে তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ।
আপনিও ভালো থাকুন সেই কামনাই থাকলো :)

২৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





অসাধারণ লেখা এবং ছবিগুলো । যদিও এটাই আপনার ইউনিক ছাপ সবসময়ের জন্য !

আট বছরের স্নিগ্ধ শুভেচ্ছা ।

শুভ কামনা রইলো ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

জুন বলেছেন: প্রিয় ব্লগার কথাকথিকেথিকথন আপনার আন্তরিক মন্তব্যে আপ্লুত । মন্তব্যের উত্তর দিতে দীর্ঘসুত্রীতার জন্য আমার ব্যস্ততা যেমন দায়ী তেমনি দায়ী নেটের ধীর গতি :(
বছর পুর্তির শুভেচ্ছা সাদরে গ্রহন করলাম সাথে আপনাকেও দ্বিপ্রহরের শুভেচ্ছা ।

২৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,




ম্যাজিকের মতো মনে হলো সবটুকু । পান্না সবুজ জলের মতো চোখকাঁড়া লেখা ও ছবি । প্রকৃতির মতো আপনিও যেন পোস্টের নীলাভ সবুজ জলে রঙ গুলিয়ে দিয়ে হুতাসন তুলে গেলেন মনে, এই সুরে -- কঁহা ম্যায় কঁহা............ !!!!!!!!! "কো মায় কো" র পাহাড় চূড়া নয় , মনের ভেতরে এই " কঁহা ম্যায় কঁহা "র গুঞ্জরণ । নিজের ব্যর্থতা পুষিয়ে যায়, আপনার সাথে সাথে বিনে পয়সায় এমন এক একটা ভ্রমন করিয়ে আনেন বলে ।

ভাস্কর্য্য আমায় সব সময়ই টানে । আপনার প্রতিটি লেখায় ভাস্কর্য্যের ছড়াছড়ি আর তাদের গায়ে অলঙ্কারের কারুকাজ যে আবেশ ছড়ায় তাতে মুগ্ধ না হয়ে উপায় থাকেনা ।
ফুকেটের ভয়ঙ্কর গুহায় কায়াক চড়ে ঘুরে আসা , কাঠের বেঞ্চিতে পুঁচকে সঙ্গী , প্রেতাত্মার অশুভ স্পর্শ , খাড়া সিড়ি বেয়ে লেগুনের পান্না সবুজ জল দেখায় যে থ্রীল , ইহজন্মে আমার বোধহয় তেমনটা হয়ে উঠবেনা ।
তাই শুরুতেই বলতে হয়েছে - " মনের ভেতরে এই " কঁহা ম্যায় কঁহা "র গুঞ্জরণ" ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

জুন বলেছেন: আহমেদ জি এস প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সবার মত আপনার অসামান্য মন্তব্যটিরও উত্তর দিতে দেরীর জন্য । আপনি যেঁ কাব্য রচনা কওরে গেছেন আমার সামান্য ভ্রমণ বর্ননায় তার যথাযোগ্য প্রতি উত্তর দিতে আমি ব্যর্থ । আমার চোখে দেখেই আপনি যা লিখলেন আমি নিশ্চিত আপনি নিজ চোখে দেখলে এর সৌন্দর্য্য নিয়ে একটি মহাকাব্য লিখতে পারতেন । তখন আর আপনাকে বলতে হতো না "কঁহা ম্যায় কঁহা "
ভাস্কর্য্য আমায় সব সময়ই টানে । আপনার প্রতিটি লেখায় ভাস্কর্য্যের ছড়াছড়ি আর তাদের গায়ে অলঙ্কারের কারুকাজ যে আবেশ ছড়ায় তাতে মুগ্ধ না হয়ে উপায় থাকেনা । আপনার এই কথার সাথে আমি সম্পুর্ন একমত ।
যেহেতু আপনি ভাস্কর্য্য প্রেমি তাই আপনার জন্য আরেকটি ভাস্কর্য্যের ছবি দিলাম , দেখুন প্রথাগত শিক্ষার বাইরে এক ফল চাষীর কি দুর্দান্ত হাতের কাজ । কি এক্সপ্রেসন তাদের ।

বিনে পয়সায় ভ্রমনের জন্য আগামীতেও সাথে থাকবেন নিশ্চয় কি বলেন :)
শুভকামনা রইলো দ্বীপ্রহরের । ভালো থাকুন সব সময়ের জন্য ।


২৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৫৯

সোহানী বলেছেন: শুধু দেখে গেলাম, আসছি আবার!!!!!!!!! একটু দৈাড়ের উপর আছি..........

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

জুন বলেছেন: সোহানী আপনার কথা রেখে আপনি আরেকবার চলে এসেছেন কিন্ত আমি আপনার প্রথম আসার নিয়ে কিছু বলার সুযোগ পাই নি । আমাদের এপার্টমেন্ট জুড়ে চলছে নেটওয়ার্ক উন্নত করার জন্য ক্যাবল বদলানোর কাজ । যার ফলে ধীরগতির নেট দিয়ে মন্তব্য করা হয়ে উঠছে না । দুঃখিত আমি । অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো আরেকবার আসার জন্য :)

২৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার সামুই দ্বীপ ভ্রমণ। যমদূতের মতো মিথগুলো আমায় খুব টানে, শুভেচ্ছা জানবেন আপু।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০০

জুন বলেছেন: যমদূতের মতো মিথগুলো আমায় খুব টানে বলেন কি সাদা মনের মানুষ :-&
আমিতো রীতিমত তাদের দেখে আতংকিত হই ।
কথা রেখেছেন অর্থাৎ আবার এসেছেন বাকিটুকু পড়ার জন্য তার জন্য জানাই অশেষ ধন্যবাদ । কত দেশ বিদেশই তো ঘুরেন । একবার এসে পরুন এই বোনটির অস্থায়ী দেশে । বেড়িয়ে যান । দেখে যান কেমন আছি ।
ভ্রমণ পাগল সহ ব্লগারের জন্য আরেক ভ্রমণ পাগলের শুভেচ্ছা :)

৩০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

জুন বলেছেন: সাদা মনের মানুষ কাপ পিরিচ যতই ক্লাসিক হোক সেই রঙ চা আমাকে কিছুতেই আকর্ষন করে না ভাই ;)
আমার চাই দু বেলা মগ ভর্তি এমন চা :P

৩১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার লেখা ও ছবি।

ফুকেটের চেয়ে সামুইকে মনে হচ্ছে বেশি সুন্দর। লোকজনের চাপও মনে হচ্ছে কম।

ভালোলাগা লেখাতে। প্রিয়তে নিলাম যদি কাজে লাগে।


২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

জুন বলেছেন: আখেনাটেন মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরীর জন্য সেই একই চর্বিত চর্বনে শরমিন্দা বোধ করছি :``>>
আমি ফুকেট প্রথম দেখেছিলাম বছর দু তিনেক আগে , আন্দামান সাগরের মাঝে ফুকেটের দ্বীপগুলোও যথেষ্ট আকর্ষনীয়ই মনে হয়েছে । ফুকেট দ্বীপটিও পর্যটন উপযোগী করেই সাজানো মনে হয় । কিন্ত সামুই অনেকটা জনবহুল । স্থানীয় লোকজনের সংখ্যা বেশী। সবচেয়ে অবাক হয়েছি সামুইতে ঘরের পাশে সেন্ট্রাল ওয়ার্ল্ডের অনিন্দ্য সুন্দর নান্দনিক নকশার শপিং মলটি দেখে। যার মাঝে পৃথিবী বিখ্যাত সব খাবারের ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে, এমনকি টপস মার্কেট পর্যন্ত ।
জানি না ফুকেটে যে জায়গায় ছিলেম তার জন্য কি না এই অনুভুতি।
মন্তব্য + ভালোলাগা + প্রিয়তে নেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার দিল্লী কড়চা পড়েছি, অনেক পরিচিত দিল্লীকে নিয়ে হেলা ভরে মন্তব্য করবো না বলে অপেক্ষা করছি সময় হাতে পাবার :)
ভালো থাকুন সেই কামনাই করছি ।

৩২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনি আপাদত সেখানে আছেন শুনে ভাল লাগল।
হা হা ধন্যবাদ ছবিটার জন্য ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

জুন বলেছেন: কাছের-মানুষ আরেকবার আসার জন্য আরেকটি ধন্যবাদ আপনার পাওনাই হয়ে গেল :)
জি আমি অনেক বছর ধরেই আসি যাই থাকি লাগাতার অনেক মাস । ঘরের কাছে বলে ভালো না লাগলে ছুটে যাই দেশে :)
ভালো থাকুন সব সময়ের জন্য ।

৩৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

সোহানী বলেছেন: বলো কি ভুত থেকে সবাই দূরে থাকে আর তুমি স্বয়ং ভুতের ছবিই তুলে এনেছো। সেই সাথে সামুর মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছো X(( । দেখো ওরা তোমার খাটের নীচে..............হাহাহাহা

বরাবরের মতই অসাধারন। ঠিক এ ছবিগুলোই দেখি বিভিন্ন পর্যটন ওয়েবসাইটে। আহ নীল পানি .... কি যে টানে আমায়। লাল মন্দির বা ভাষ্কর্য্যগুলো অসাধারন। ক'দিন আগে এখানকার সেন্ট্রাল আইল্যান্ডে গেছিলাম ছোট শীপে করে। এখানকার সমুদ্র বা নদীর চারপাশে এরা খুব একটা হাত দেয় না থাইদের মতো। সব কিছুই ন্যাচারাল থাকতে দেয়। কিন্তু থাইরা প্রকৃতির সাথে নিজেদের সৃষ্টি ও তুলে ধরে। যা সত্যিই দারুন। কোনদিন সুযোগ হলে বেড়িয়ে পড়বো থাইল্যান্ডে ৩ মাসের জন্য.... সব দেখেই বাসায় ফিরবো।

আর হাঁ, আমি কফিখোর তাও মারাত্বক কড়া কফি, ল্যাটে বা ডাবল সট ছাড়া চলে না। দেশে থাকতে আমার একজন কনসালটেন্ট সিলেটের স্পেশাল টি পাঠাতো প্রায় মাসে, সে চা ছিল অসাধারন। তোমার লিখা পড়ে মনে হলো আহ্ তোমাকে যদি পাঠাতে পারতাম।

অনেক অনেক ভালো থাকো..............

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জুন বলেছেন: দেখো ওরা তোমার খাটের নীচে..............হাহাহাহা
এটা কেমন কথা :-& । আমি আরো কত কষ্ট করে ছবি তুলেছি ঝর্না পেরিয়ে গিয়ে :(
ছুহ আমিও পাঠিয়ে দিলাম যাও কানাডায় সোহানীর খাটের নীচে
শুনেছি তারা নাকি জলে স্থলে অন্তরীক্ষে সব জায়গায়ই যেতে পারে :P
ঠিক এ ছবিগুলোই দেখি বিভিন্ন পর্যটন ওয়েবসাইটে। অবশ্যই দেখবে কারন এই স্পটগুলোই তো পর্যটনের জন্য সামুইর সব চেয়ে আকর্ষনীয় জায়গা। আমি তো সব জায়গাতেই দাঁড়িয়ে বসে প্রচুর ছবি তুলেছি :)
অবশ্যই এসে পরো থাইল্যান্ডে। আমি গাইড হবো বেচে থাকলে, হা হা হা কিছু কানাডিয়ান ডলার ফোকটে রোজগার হয়ে যাবে :P
কফি আমি একটু কম পছন্দ করি, তার মধ্যে খেলে ঐ লাতেটাই খাই। যেমন একটু আগেই মলে গিয়ে স্টার বাক্সে বসে খেয়ে আসলাম :) হ্যা সুযোগ পেলে পাঠিয়ে দিও । এখনতো পৃথিবী হাতের মুঠোয় । কিছু পাঠাতে হলে কি সেই আমাদের মা খালাদের মত কারো হাতে পাঠাতে হবে নাকি :-* আলীবাবার দৈত্যটা আছে কি করতে শুনি X((
যাক অনেক কথা হলো, তুমিও অনেক অনেক ভালো থেকো ।

৩৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



জ্বী কিছুটা ব্যক্তিগত কারনেই সুপ্রিয় লেখক! এছাড়া এসব আর লেখতে খুব একটা মন চায় না। মুল্যহীন সব!

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১০

জুন বলেছেন: ভ্রমরের ডানা আমারো মাঝে মাঝে মনে হয় আমার এই সব লেখা সত্যি সত্যি মুল্যহীন । তারপর ও দিনপন্জীর মত কিছু একটা যদি থেকে যায় মন্দ কি ! সেটা ভেবেই লিখুন আর সুখে দুঃখে সাথে থাকুন আমাদের । আরেকবার আসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৩৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,




আসতেই হলো আবার, ভাস্কর্য্য আমায় সব সময়ই টানে বলে কষ্ট করে যে আর একখানা চমৎকার ভাস্কর্য্য দিয়ে গেলেন তাতে কৃতজ্ঞতা জানাতে ।

কষ্টটা তো ওখানেই , নিজ চোখ মেলে দেখা হলোনা কিছুই । তাই তো দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে হয়েছে -- "কঁহা ম্যায় কঁহা " ।
এ এক অভাজনের কাতরোক্তি !
আর -
প্রতি মন্তব্যে যে প্রশংসাও আমায় করলেন , তা একজন নিরলস বিনয়ীকে চিনিয়ে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট । আপনার তুলনা আপনিই ।
শুভেচ্ছা রাত্রির ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

জুন বলেছেন: আপনাকে যে আবার কষ্ট করে আসতে হলো তার জন্য আমি সাংঘাতিক লজ্জিত আহমেদ জী এস । আশাকরি শীঘ্রই পুনারাগমনের কষ্টটুকু মুছে যাবে শরীর আর মন থেকে । আমার তুলনা আমি সত্যি বলেছেন । চালাক চতুর না হতে পারা অতি বোকা সোকা এক জন ।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন পুন প্রতি মন্তব্যের জন্য । শুভকামনা জানাই আপনার সুন্দর ভবিষ্যতের

৩৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অসাম! :)
ইউ আর লিডিং দ্যা লাইফ, জুনান্টি ||

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

জুন বলেছেন: মুন বহুদিন পর পর ধুমকেতুর মত উদয় হও বটে কিন্ত তারই মাঝে নিজের করতলের ছাপ রেখে যাও ।যা থেকে আমিও বাদ পরি না বৈকি । অল্প কথায় সুন্দর একটি প্রশংসা বাক্য রেখে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৩৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

শ।মসীর বলেছেন: শুভকামনা রইল লম্বা পথ চলার :)

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

জুন বলেছেন: শামসীর আপনাদের এই শুভকামনায় আমি যেন লম্বা রেসের ঘোড়া হয়ে যাচ্ছি :)
মন্তব্যের উত্তর দিতে অনিচ্ছাকৃত দেরীর জন্য আন্তরিক দুঃখিত।

৩৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৮

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: অনন্যসাধারণ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

জুন বলেছেন: মনিরুল ইসলাম বাবু
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপনিও দেখছি আমার মত হারিয়ে যান মাঝে মাঝে মনে হয় ।
ভালো থাকুন শিঘ্রই আসছি আপনার গ্রান্ড সুলতানে :)

৩৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

সোহানী বলেছেন: কি আপু তোমার দেখি সেই ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৮ এর পর কোন খবর নাই!!! মাস পার হতে চললো কিন্তু কোথাও দেখি না....................

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২০

জুন বলেছেন: নারে আপু হারিয়েও যাই নি, মরেও যাইনি।
সেই রুশ উপকথার ভাষায় বলতে হয়
ছিলাম আমি বটে
মধু তুলেছি ঠোটে,
দেখেছি ঠোটে চেটে
যায়নি কিছুই পেটে ;)

কখনো কখনো নিজের কাছে হেরে গিয়ে লুকিয়ে থাকতেই ভালোলাগে । তারপর ? তারপর আবার সেই চেনা জগতে ফিরে আসা , সেই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড় ।
অনেক অনেক ভালো থেকো সোহানী সেই শুভকামনায় ।

৪০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ভাল আছেন তো, জুন? আমি এ ব্লগে আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত এর আগে আর কখনো আপনাকে এত দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্লগে অনুপস্থিত দেখিনি। আশাকরি, ছোট্ট একটা মন্তব্য বা প্রতিমন্তব্য করে আমাদের জানিয়ে যাবেন যে আপনি ভাল আছেন। সোহানী তো দিন তারিখ উল্লেখ করেই দিয়েছে, আপনি কবে শেষ এ ব্লগে এসেছিলেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

জুন বলেছেন: খায়রুল আহসান সত্যি বলতে কি আপনার মত একজন সহ ব্লগার পাওয়া আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যপার। অত্যন্ত দরদ নিয়ে আপনি এসে বার বার খুজে গেছেন যা দেখে সত্যি আমি আপ্লুত । আপনাদের এই ভালোবাসা ও শুভকামনার জবাব যেন সব সময় দিতে পারি তার জন্য দোয়া করবেন । আমি ভালো আছি তবে বহু ঝড় ঝঞ্ঝা পারি দিয়ে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: সামু ব্লগে আপনার আট বছর পূর্তিতে আন্তরিক অভিনন্দন! আশাকরি আরো বহুদিন ধরে আপনি আপনার ভ্রমণ কাহিনী লিখে লিখে আমাদের দেশভ্রমণের তৃষ্ণা মেটাবেন। অনেকেই হয়তো খুব ঘন ঘনই দেশভ্রমনে বের হন, তবে আপনার মত এত সুন্দর করে তো আর সবাই লিখতে পারেনা। যেমন আমি পারিনি আমার ভ্রমণকৃত দেশগুলো নিয়ে লিখতে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

জুন বলেছেন: আট বছর পুর্তির শুভকামনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান। অনেক প্রত্যাশা রইলো যেন আগামী দিনগুলোতেও সাথে থেকে উৎসাহিত করবেন । আমার লেখায় তবে শুধু আমারই নয় প্রত্যেকের লেখায় আপনার মন্তব্যগুলো অসীম মনযোগী এক পাঠকের চিত্র তুলে ধরে। কি নৈপুন্যের সাথে লেখাই শুধু নয় অন্যদের মন্তব্য প্রতি মন্তব্যগুলোও দক্ষ হাতে ব্যবচ্ছেদ করেন যা আমাকে সত্যি বিস্মিত করে ।
আপনি আমার ভ্রমন কাহিনীর কথা বলছেন আর আমি মনে করি আপনার বিভিন্ন কবিতা আর ছোট ছোট গল্প ও ফিচারগুলো সামুর এক মহা সম্পদ । আপনার মত করে যা আমি কিছুতেই লিখতে পারি না।
এ বছর ফেব্রুয়ারীতে আবার চিয়াং রাই চিয়াং মাই গিয়েছিলাম। দই ইনথানন নিয়ে একটি পোষ্ট লেখার চেষ্টা করছি। আশাকরি তাতে আপনার মুল্যবান মতামত পাবো যেহেতু আপনিও সেখানে গিয়েছিলেন। তবে অনুরোধ থাকবে পোষ্টটি তরতাজা থাকতে থাকতেই আপনি কিছু বলবেন । মরে হেজে পচে যাবার পরে নয় :)
ভালো থাকুন আর সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন সবসময়।

৪২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশীরভাগ ছবিই খুব সুন্দর হয়েছে। পান্না সবুজ রঙের লেগুনটি দেখে ভাল লেগেছে। অথৈ নীল জলে ভাসমান বিশাল জলযানটি দেখেও খুব ভাল লেগেছে। আর লাল মন্দিরটি তো খুবই সুন্দর!
ফুকেটে আমিও কোন একটা জায়গায় ক্যানোতে চড়ে সস্ত্রীক ভেসে বেড়িয়েছি। পাহাড় থেকে ঝুলে থাকা বিশাল বিশাল বোল্ডারের নীচ দিয়ে সরু টানেল অতিক্রম করার সময় মাথা বাঁচাতে দু'জনকেই চিৎ হয়ে শুয়ে পড়তে হয়েছিল, তার মধ্যেও কোনরকমে ছবি তুলেছিলাম।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

জুন বলেছেন: খায়রুল আহসান
আবারো ধন্যবাদ জানাই আমার লেখাটি এত সযত্ন ও মনযোগী পাঠের জন্য। সত্যি বলতে কি আং থং মেরিন পার্ক দেখে আমার বার বার ফুকেটের কথাই মনে হয়েছে। একই রকম ভু প্রকৃতি কিন্ত পানির রংটাতেই পার্থক্য । সাগর ও আলাদা একটি আন্দামানের তীরে আরেকটি সম্পুর্ন বিপরীতে অর্থাৎ গালফ অভ থাইল্যান্ডে ।
লাল মন্দিরটি আসলেও দারুন কারুকার্য্যময় । মোবাইলে তোলার জন্য অত ভালো আসে নি । তারপর ও ভেতরে দেয়ালের গায়ে টেরাকোটার একটি অপরূপ ছবি দিলাম মনে হয় রামায়নের কাহিনী বর্নিত হয়েছে ।

শুভেচ্ছান্তে --

৪৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: জুন, সালাম জানবেন। অনেকদিন পরে আজ আপনাকে অনলাইনে দেখে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, কেমন আছেন/ছিলেন?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

জুন বলেছেন: খায়রুল আহসান প্রথমে আপনিও আমার সালাম গ্রহন করবেন। আমার জন্য এতখানি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো। একেই বলে ব্লগ পরিবার যেখানে সকলের সাথে সকলের অদৃশ্য সুতোয় গাঁথা এক নিবিড় বন্ধন যার ফলে বিভিন্ন কারনে হারিয়ে যেতে চাইলেও হারিয়ে যাওয়া হয়ে ঊঠে না।
আমি ভালোই ছিলাম, আপনিও আশা করি ভালো ছিলেন।
ভালো থাকুন আর সুস্থ থাকুন সেই প্রত্যাশায় :)

৪৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন:


২৫ শে ফেব্রুয়ারি লিখেছিলেন পোষ্টটা ! এরপরে অনেকবার এসেছি আপনার ব্লগে। পোষ্টটাও দেখেছি।
কেন যেন মনে হচ্ছিলো এই পোষ্টে আমার মন্তব্য আছ ! আজ এসে দেখি নেই !
আমি আজকাল এমন কিছু ভুলে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে আছি ! মনে হয় ওটা করেছি, সেটা করেছি- কিন্তু গিয়ে দেখি কিছুই করি নাই।


যাক ! এটুকু বলতেই এসেছিলাম জুন আপু। ছবিগুলো দেখেই আমার চোখ জুড়িয়ে গেল, না জানি সামনা সামনি দেখে আমার কেমন লেগেছিল !!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

জুন বলেছেন: জাহিদ অনিক ,
মন্তব্য করেছেন অর্থাৎ পোষ্টটি আপনি দেখেছেন তাতেই খুশী আমি । তারপর ও আপনাদের মন্তব্যের প্রত্যাশী আমি :)
না হলে কি যেন নেই কি যেন নেই মনে হয় । আগামীতেও সাথে থাকবেন সেই অপেক্ষায় ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ।

৪৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১২

জাহিদ অনিক বলেছেন:

যাক ! এটুকু বলতেই এসেছিলাম জুন আপু। ছবিগুলো দেখেই আমার চোখ জুড়িয়ে গেল, না জানি সামনা সামনি দেখে আপনার কেমন লেগেছিল !!!


* আগের মন্তব্যটিতে টাইপো আছে

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

জুন বলেছেন: আমি বুঝতে পেরেছি জাহিদ । এটা কোন ব্যপার নয় । তারপর ও আরেকবার কষ্ট করে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
সামনা সামনি দেখে সত্যি আমি অভিভুত হয়েছিলাম তা স্বীকার করতেই হয় একবাক্যে ।
অনেক অনেক ভালোথাকুন আর সাথেই থাকুন জাহিদ ।
শুভকামনা রইলো ।

আমার দুই ক্লোজ কাজিনের নাম কিন্ত জাহিদ :)

৪৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

শামচুল হক বলেছেন: ছবি বর্ননা দারুণ লাগল।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০২

জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে আমারো অনেক ভালোলাগলো শামচুল হক । সাথে থাকবেন আগামীতেও তারই প্রত্যাশায় :)

৪৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট "ভালবাসার বাসা!!" (২৯ মার্চ ২০১০), "আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত" (২৭ মার্চ ২০১০), "শিরোনাম নেই" (২৪ মার্চ ২০১০), "আশ্চর্যের বিষয়!!!" (১৮ মার্চ ২০১০)- ইত্যাদিতে আমার করা কিছু মন্তব্য রয়ে গেছে, যা আপনি এখনো দেখেন নি। একবার সময় করে দেখে নিলে খুশী হবো। :)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

জুন বলেছেন: খায়রুল আহসান আপনার নিজস্ব আবিস্কৃত নোটিফিকেশন সিস্টেমটি যথার্থই অনেক মুল্যবান একটি আবিস্কার । এর জন্য কোনরকম ধন্যবাদই যথার্থ নয় :)
আপনি এত কষ্ট করে খুজে খুজে আমার প্রথম দিকের হাবিজাবি লেখাগুলো পড়েছেন আবার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য মন্তব্যে জানিয়ে যাচ্ছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ ।
আমি একে একে সেগুলোর জবাব দিয়ে যাচ্ছি আশাকরি তা দেখেছেন । আমিও আপনার শান্তা ঘুমিয়েছিল এবং আনায়াকে নিয়ে লেখা কবিতায় মন্তব্য করে এসেছি। আশাকরি তা দেখে জবাব দিবেন সেই প্রত্যাশায় :)

৪৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসুস্থতার জন্য ইদানিং ব্লগে বিচরন করতে পারছিনা । আজকে ব্লগে এসে আপনার দেখা পেলাম । ভাবলাম দেখে অাসি একবার ।
আপনারো দেখি ব্লগে বিচরন কম । আশা করি ভাল আছেন । দোয়া করি আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

জুন বলেছেন: ড: এম আলী প্রায়ই শুনি আপনি অসুস্থ। যা শুনে খুব খারাপ লাগে। আপনি আমার অনেক প্রিয় একজন ব্লগার। আপনার বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশেষ করে জগত ও জীব নিয়ে গবেষণাধর্মী লেখাগুলো। আমিও বিভিন্ন কারনে কিছুদিন ব্লগে অনুপস্থিত ছিলাম। তবে এখন থেকে সব ঠিক থাকবে বলে বিশ্বাস করি। আপনিও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুনতো।
আমিও দোয়া করি আপনি যেন শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যান। শুভকামনা রইলো।

৪৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপু, ফিরে এসেছেন ব্লগে, আনন্দে ব্লগভুবন ঝলমল করছে।

নু বুবু, বান্দুরা যাই।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

জুন বলেছেন: দেশিভাই আপনার মন্তব্যে আপ্লুত হোলাম । আপনাদের জন্যই যাওয়া হয়না আমার। ফিরে ফিরে আসি :)
অনেক অনেক ভালো থাকুন আর আশীর্বাদের হাত প্রসারিত রাখুন এটাই কামনা আমার ।

৫০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা। পড়ে মুগ্ধ হলাম। এমন লেখা পড়তে আমার বেশ ভাল লাগে। আপনার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়নি। এজন্য শুভেচ্ছা রইলো।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৮:২৪

জুন বলেছেন: কাওসার চৌধুরী
স্বাগতম আমার ব্লগে । অত্যন্ত উচুদরের বিশ্লেষনমুলক লেখা ছাড়াও সবার সাথে মেশার এক আন্তরিক মনোভাব অল্প দিনেই আপনাকে জনপ্রিয় একজন ব্লগারের সারিতে নিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।
আমার লেখাটি আপনার ভালোলেগেছে জেনে অত্যন্ত প্রীত হোলাম। ভবিষ্যতেও সাথে থাকবেন আমার সকল লেখায় তার প্রত্যাশায়।
অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যে ।

৫১| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

কাবিল বলেছেন: আপনি খুবই ভাগ্যবতী, নিজ চোখে পৃথিবীর সৌন্দর্য গুলো দেখে বেড়ান।
মাঝে মধ্যে হিংসে হয় আমার।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

জুন বলেছেন: তুমি তুমি বড় ভাগ্যবতীইই----- না না তুমি তুমি বড় ভাগ্যবতী
কি একটা সিনেমার গান আছে না কাবিল ঐ অবস্থা আরকি ;)

বহু যুগ পরে বহু ক্রোশ হেটে দেখিতে এসেছে আমাকে তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ।
বলো ভালো আছো তো ???

৫২| ০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

শামচুল হক বলেছেন: জুন আপা, নতুন লেখা দেন না কেন?

১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫০

জুন বলেছেন: ওহ শামচুল হক কবে আপনি মন্তব্য করে গেছেন দেখিনি বলে দুঃখিত । অনেক ধন্যবাদ আমার মত একজন সামান্য ব্লগারকে মনে করার জন্য :)

৫৩| ১৪ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

ইখতামিন বলেছেন: অনেক সুন্দর

১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫২

জুন বলেছেন: বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ভ্লাদিমির পুতিনের বক্তৃতা শুনতে শুনতে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ইখতামিন :)

৫৪| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মোবাইলে তোলা ছবি গুলো ভালো হয়েছে।

২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রাজীব নুর। আপনার মত একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার যখন বলেছেন ছবি ভালো হয়েছে তখন সত্যি অনেক ভালোলাগলো। এখন আর বড় ক্যামেরা ডিএসএল আর এমনকি ক্যননের ছোট ক্যমেরা বহন করতেও ইচ্ছা করে না ।

৫৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

তারেক সিফাত বলেছেন: লেখা পড়ে আর ছবি দেখে ভালো লাগলো।

কোহ সামুই যাওয়ার প্ল্যান আছে; দেখি কতদূর কি হয়!

শুভকামনা!

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৭

জুন বলেছেন: অনেক খুশি লাগছে আপনার মন্তব্য পেয়ে । আপনি মনে হয় প্রথম আসলেন আমার ব্লগে ?
ঘুরে আসুন কো সামুই । খারাপ লাগবেনা আশা করি :);

৫৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৫৮

তারেক সিফাত বলেছেন: জি আপু। আমি সামুতে নতুন। সময় করে সবার ব্লগবাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছি, লেখা পড়ছি।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

জুন বলেছেন: আমিও আপনার মালয়েশিয়া ভ্রমন পড়ে আসলুম । সুন্দর লিখেছেন । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।

আমার সংক্ষিপ্ত মালয়েশিয়া ভ্রমন এখানে পড়তে পারেন । তখন আমিও আপনার মতই নতুন ছিলাম :)
এখানে

৫৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

তারেক সিফাত বলেছেন: অবশ্যই পড়ব। ভ্রমণ রিলেটেড লিখা একটু সময় নিয়ে পড়তে ভালো লাগে।

ধন্যবাদ আপু লিঙ্ক দেয়ার জন্য।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

জুন বলেছেন: না পড়লেও কোন অসুবিধা নাই তারেক সিফাত । জাস্ট অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য ।
আপনিও লিখতে থাকুন নতুন কাহিনী । আমি পড়বো কারন ভ্রমন যাতে যুক্ত থাকে থাকে ইতিহাস তা আমার প্রিয় ।
নেপিড আর পুত্রজায়া আমি সুযোগ থাকা সত্বেও যাইনি তারেক সিফাত । থাইল্যান্ডের পুরনো রাজধানী আয়ুথিয়া বা লপবুরি ঘুরে যেই আনন্দ পেয়েছি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.