নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সে অনেক, অনেক, অনেকদিন আগের কথা এক বনে থাকতো এক শিয়াল আর এক কুইরকুঞ্চো। তোমরা হয়তো ভাবনায় পরে গেছো যে কুইরকুঞ্চোটা আবার কি? তোমাদের মত আমিও ভেবেচিন্তে অস্থির, বাবারে বাবা এ আবার কি জিনিস ! খানিকটা পড়তেই বুঝতে পারলাম এ হলো গিয়ে আমাদের বনরুই যার পিঠের চামড়া কুমিরের মত খাজ কাটা মোটা শক্ত আশওয়ালা । কোন রকম বিপদ দেখলেই ফুটবলের মত গোল হয়ে শক্তভাবে পেচিয়ে যায় পিপড়াভূক এই প্রানীটি, তখন কেউ তার কোনরকম ক্ষতি করতে পারে না। উত্তর আমেরিকার আদিবাসী ইনকারা এদের কুইরকুঞ্চো বলতো । আমরাও এই গল্পে ইনকাদের মতই তাদের দেয়া মজার নাম কুইরকুঞ্চোই বলি কেমন?
এই হলো সেই নিরীহ প্রানী ইনকাদের ভাষায় যার নাম কুইরকুঞ্চো আর আমরা বলি বনরুই
এই কুইরকুঞ্চো আর শেয়ালের মধ্যে ছিল আবার দারুন ভাব। সারাদিন তারা দুজন মিলে বনের ভেতর নানা রকম দুষ্টামী আর খেলাধুলা করে সময় কাটাতো। একদিন কুইরকুঞ্চো একা বসে আছে, শেয়াল বন্ধু তখনো আসেনি হঠাৎ তার মনে হলো এভাবে সারাদিন খেলাধুলা করে কত সময়ই নষ্ট করছে। এটা না করে তার কিছু রোজগারের চেষ্টা করা উচিত। তার বন্ধু শেয়ালের কত টাকা আর সে কি না হদ্দ গরীব। যা ভাবা তাই কাজ সাথে সাথে সে বনের একধারে একটি জায়গায় মাটি কুপিয়ে চারিদিকে বেড়া দিতে শুরু করলো। এখানে সে নানা রকম ফসল ফলাবে আর বিক্রী করে বিশাল ধনী হয়ে যাবে। এমনকি বন্ধু শিয়ালের চেয়েও ধনী ।
পাজী শেয়াল মামা
তাকে বেড়া দিতে দেখে শিয়াল এসে হাজির। “কি ব্যাপার বন্ধু তুমি এটা কি করছো’?
‘দেখতেই তো পাচ্ছো কি করছি’ কুইরকুঞ্চো উত্তর দিলো।
“হু হু তাতো দেখতেই পাচ্ছি, মাটি খুড়েছো এখন আবার চারিদিকে বেড়াও দিচ্ছো”!
কুইরকুঞ্চো তখন শিয়ালকে সব খুলে বল্লো। শিয়াল তাকে অনেক বোঝালো “কি দরকার এসব করার। তার চেয়ে আসো আমরা আগের মত খেলাধুলা করি, দেখেছো কি সুন্দর রোদ উঠেছে, চারিদিকে একেবারে ঝলমল করছে” ।
কুইরকুঞ্চো সাফ জানিয়ে দিল ‘তা হবে না ভায়া, আমি ভাবছি এ জমিতে ফসল ফলিয়ে সেগুলো বাজারে নিয়ে বিক্রী করবো, তাতে যে টাকা আসবে তাই দিয়ে আমি মস্ত ধনী হয়ে যাবো’ ।
এ কথা শোনার সাথে সাথেই শেয়াল মনে মনে হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরতে লাগলো। তৎক্ষনাৎ তার মাথায় একটা চালাকি খেলে গেলো। মুখটা ভেজা বেড়ালের মত করে বল্লো “তাই নাকি বন্ধু! এতো বিরাট খুশীর খবর। তবে তুমি তো জমিতে বেড়া দিয়েই সব পয়সা খরচ করে ফেলেছো, এখন ফসল বুনবে যে তার টাকা পাবে কই” ?
একথা শুনে কুইরকুঞ্চো একটু চিন্তায় পরে গেলো। বন্ধু শেয়ালতো ঠিকই বলেছে। ‘তাইতো এ কথাতো ভাবি নি’।
“না না তুমি একটুও ভেবো না বন্ধু, বীজ কেনার জন্য যত টাকা লাগে আমি দেবো”। শেয়ালের কথা শুনে আশ্বস্ত হয়ে কুইরকুঞ্চো খুশী খুশী হয়ে বল্লো ‘আচ্ছা ঠিক আছে দোস্ত তুমি যখন দিবে বলছো তাহলে আমার আর কোন চিন্তাই রইলো না’ ।
ধুর্ত শেয়াল তখন মুখে ভালোমানুষীর ভাব নিয়ে বল্লো “ কিন্ত বন্ধু কথা হচ্ছে এই যে ফসলটা যখন ফলবে তখন সেটা আমাদের দুজনার মধ্যে কিভাবে ভাগাভাগি করবে বলতো”?
‘তুমি বলো কিভাবে করবো’ বল্লো কুইরকুঞ্চো। শিয়াল চিন্তার ভান করে বল্লো, “শোনো তুমি যাই বুনবে তার উপরের অংশটা আমি নেবো আর নীচের অংশটা তুমি নিবে”।
কুইরকুঞ্চো শেয়ালের চালাকিটা সাথে সাথে ধরে ফেল্লো কিন্ত প্রকাশ করলো না। সেও শেয়ালের চেয়ে তিনগুন ভালোমানুষীর ছাপ মুখে এনে বল্লো ‘আরে দোস্ত এটা একটা কথা হলো নাকি! তুমি এত টাকা দিচ্ছ তুমি যে ভাবে চাইবে সেভাবেই হবে’।
শেয়াল গোফের ফাকে ফ্যাচর ফ্যাচর করে হাসতে হাসতে গর্বে ফুলে ওঠা বুক নিয়ে তার গর্তের দিকে হাটা দিলো। বাসায় গিয়ে গিন্নীকে জানালো সে কুইরকুঞ্চোর সাথে কতবড় এক চালাকী করে এসেছে।
সিংহরা পর্যন্ত অসহায়ের মত বসে আছে বলের মত গোল হয়ে পেচিয়ে থাকা কুইরকুঞ্চো নিয়ে
কুইরকুঞ্চো কি বুনলো জানো তোমরা ? আচ্ছা আচ্ছা বাপু আমিই বলে দিচ্ছি, ধুর্ত্ শেয়ালকে শিক্ষা দেয়ার জন্য সে কিনা বুনলো আলু । সময় হলো ফসল তোলার, কুইরকুঞ্চো শেয়ালের কথা মত নীচের ফসল অর্থাৎ সব আলু বাসায় নিয়ে গেলো আর শেয়াল নিল উপরের অংশ অর্থাৎ পাতা আর ডালপালা, যা খাওয়ার অযোগ্য।
পরের বার শেয়াল বল্লো “বন্ধু আমি কিন্ত এবার ফসলের নীচের অংশটা নিবো আর তুমি উপরেরটা নেবো”। কুইরকুঞ্চো তার থেকে এক কাঠি সরেস। বল্লো আচ্ছা দোস্ত তাই হবে। এবার কুইরকুঞ্চো কি বুনলো বলতো? কি বললে ? আরেকটু জোরে বলো, হু হু এক্কেবারে ঠিক বলেছো, এবার কুইরকুঞ্চো বুনলো গম । শেয়াল নিলো শিকড় বাকর আর কুইরকুঞ্চো নিল গম ।
শেয়াল তো রেগে কাই, বনের অন্যান্য প্রানী থেকে শুরু করে ঘরের বৌ পর্যন্ত তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। শেয়াল বৌকে বলে “রোসো বৌ এবার তাকে এমন শায়েস্তা করবো যে বাছাধন আমার সাথে চালাকি করার মজা টের পাবে” ।
পরদিন সে বন্ধুর জমিতে গিয়ে হাজির। দেখলো বন্ধু মন দিয়ে জমি চাষ করছে। শেয়াল মনের রাগ মনে চেপে মুখে মিষ্টি হাসি এনে বল্লো “দোস্ত শোনো তুমি এবার যা বুনবে তার উপরের অংশ এবং মাটির নিচের অংশ দুটোই আমি নেবো, তুমি নিবে শুধু মাঝখানের অংশ”।
রাজী হলো কুইরকুঞ্চো। মনে মনে ভাবছে দাড়াও বন্ধু এবারো কি ভাবে তোমাকে জব্দ করি তাই দেখো। কি বুনবে কুইরকুঞ্চো তা ভেবে ভেবে তোমরা আবার হতবুদ্ধি হয়ে যাও নি তো? এবার কি তাহলে কুইরকুঞ্চোর ঠকার পালা আসলো। না সে এবারও ঠকে নি, কারন সে এবার বুনলো ভুট্টা । শেয়াল পেলো শেকড় বাকর আর পাতা, কুইরকুঞ্চো পেলো মাঝের অংশে ফলন হওয়া অজস্র ভুট্টা।
এবার শেয়াল এতই রেগে গেলো যে সে কুইরকুঞ্চোর সাথে জন্মের মত আড়ি দিয়ে রেগেমেগে সেখান থেকে চলে গেলো। আর কখনো সে কুইরকুঞ্চোর ত্রিসীমানাও মাড়াতে আসেনি।
তিনদফায় এত ফসল হয়েছিলো যে কুইরকুঞ্চো তা বিক্রী করে এখন মহাধনী। তার আর পাজী শেয়ালের টাকার দরকার নেই। নিজের টাকা দিয়েই সে বীজ কিনে চাষবাস করতে লাগলো ।
গল্পের মরালঃ
ধুর্ত বন্ধুর চেয়ে বন্ধু না থাকাই ভালো।
উৎসর্গ ঃ আমার সহ ব্লগারদের ছোট ছোট ভাই বোন ,ছেলে- মেয়ে আর নাতি নাতনীদের জন্য ঈদুল ফিতরের উপহার
অনুবাদ ঃ জুন
.
ছবি সুত্র : নেট
২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭
জুন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ।
২| ২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহা উল্টো কাহিনী । ছোডোবেলা শেয়াল এমন করতে শুনেছি । সুন্দর হয়েছে
২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:১১
জুন বলেছেন: রমজানের ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন কাজী ফাতেমা । আমাদের ভাগ্নেরাতো এখন বড় হয়ে গেছে এসব গল্পে কি আর তারা মজা পাবে ! তবে আমরা বুড়ো বুড়িরা এখনো পাই কি বলেন
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
৩| ২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সত্য কথা আপি। ছেলেকে এসব গল্প বলার আগেই বলে মা, এক দেশে ছিলো এক এই জিনিস বাদ দিয়া একখান গল্প কও হাহাহাহাহা। আমি বলি বাপরে আমরা তো ঠাকুরমার ঝুলি, রূপকথার গল্পই শুনছি বেশী আর গল্প তো মনে থাকে না হাহাহা।
২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭
জুন বলেছেন: তাও তো বলে গল্প কউ , আমার ছেলে পিসির থেকে চোখ না তুলেই বলতো
জ্বালায়ো নাতো আম্মু,আমারে এখন গেমস খেলতে দাও
মজার একটি আবারো একরাশ ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা
৪| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা
আপনার অনুবাদটি অসাধারণ হয়েছে । বেশ শিক্ষনীয় বটে !
অতি লোভে তাঁতি নষ্ট---
কুইরকুঞ্চো শিয়াল কে উচিত শিক্ষা দিয়েছে।
অনেক ভালো থাকবেন ও আপনার জন্য শুভকামনা রইল। +++
২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯
জুন বলেছেন: অনুবাদটি ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালোলাগলো মুক্তানীল।
ঠিকই বলেছেন সব গল্পেই থাকে শিয়ালের চালাকির কথা, তবে এই গল্পে তা আর খাটলো না শেষমেষ।
শুভকামনা আপনার জন্যও রইলো। ভালোথাকুন
৫| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:০৮
আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: হাহাহা, অনেকটা ইশপের গল্পের মত। খুব মজা পেয়েছি, আর খুব শিক্ষনীয়। অনেক ধন্যবাদ আপু এই গল্পটা অনুবাদ করার জন্য।
তবে আমরা সব জায়গায় শেয়ালকে চালাকিতে জিততে দেখি কিন্তু আজ হার দেখলাম।
২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭
জুন বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । আমি এর আগে বিভিন্ন দেশের কয়েকটি উপকথা অনুবাদ করেছি সামুতে । ছোটবেলায় বিশেষ করে রাশিয়ান উপকথা পড়ে বেড়ে উঠেছি, তার প্রভাব মনে হয় এখনো আছে
তাই এই বয়সেও আমার বাচ্চাদের বই পড়তে ভালো লাগে ।
আমরা সব জায়গায় শেয়ালকে চালাকিতে জিততে দেখি কিন্তু আজ হার দেখলাম।
ঠিক ঠিক আমিও তাই ভেবেছি লিখতে গিয়ে ।
শুভেচ্ছা রইলো ।
৬| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২০
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: এর আগেও এমন আরেবটি গল্প পড়েছিলাম,আজ আবার নতুন করে পড়লাম। অগ্রিম ইদুল ফিতরের শুভেচ্ছা আপনাকেও।
২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮
জুন বলেছেন: এক এক দেশের রূপকথা উপকথাতো কত ভাষায় অনুদিত হয়ে সারা পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়েছে । কখন কোন ফাকে হয়তো পড়া হয়ে গেছে আমার এই গল্পটিও মেঘ প্রিয় বালক
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সন্ধ্যার ।
৭| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি ভালো লাগলো।
২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক ভালোলাগা রইলো রাজীব নুর । ভালো থাকবেন ।
৮| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
পথিক প্রত্যয় বলেছেন: গল্প পড়ে মজা পেলাম। তবে বাস্তবে শেয়ালরাই জিতে
২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
জুন বলেছেন: বাস্তব হলো ধুর্তদের জয়জয়কারে ভরপুর । সৎ থাকবেন , ভালো মানুষ হবেন তাইলেই আপনার সাড়ে সর্বনাশ পথিক প্রত্যয় ।
মজা পেয়েছেন জেনে ভালোলাগলো অনেক । ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।
৯| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কচি-কাচারা গল্পটা শুনে মজা পাবে।
২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
জুন বলেছেন: কচি কাচা ভাতিজা ভাতিজিদের জন্যই তো ঈদে আমার এই ক্ষুদ্র উপহার । তারা আর কতদিন হাম্পটি ডাম্পটি পড়বে বলুনতো
সাথে থেকে সব সময় উৎসাহিত করার জন্য একরাশ ধন্যবাদ ভুয়া
১০| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪
নজসু বলেছেন:
আপা, তোমার অনুবাদটি সত্যি খুব সরল হয়েছে।
ভালো লেগেছে। শিশুতোষ অনুবাদ। গল্প বলার ঢংটা সুন্দর।
শিয়াল পন্ডিতের পন্ডিতগিরি সব সময় খাটে না।
২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:০৬
জুন বলেছেন: এত সুন্দর করে বলার জন্য দারুন অনুপ্রানিত হোলাম নজসু । আমি কিন্ত এর আগেও বেশ কয়েকটি বিভিন্ন দেশের উপকথা অনুবাদ করেছি । আমার ভাইয়ের বাবুরা গল্প শোনার বয়স হলে তাদের শোনাতে পারেন । মজাই পাবে । তবে আমি এই বয়সেও উপভোগ করি কিন্ত
বেচারা শেয়াল হা হা হা ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।
অটঃ হাবিব স্যারের খবর কি জানেন কিছু ?
১১| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
হা হা হা হা । দারুণ চমৎকার গল্প হয়েছে আপু। আপনি এরকম কিছু বিদেশি উপকথা পেলে আমাদের সঙ্গে আরও শেয়ার করবেন। সুন্দর অনুবাদ কর্মে ভালোলাগা হয়ে গেলাম++
পোস্টে পঞ্চম লাইক ।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
২২ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৫
জুন বলেছেন: প্রিয় ব্লগার পদাতিক ,
প্রতিটি পোষ্টে আপনার মন্তব্যগুলো যে কিরকম উৎসাহ দিয়ে থাকে আমায় তা কি বলতে হবে ?
উপকথা আপনার মত আমারও ভালোলাগে । এই ব্লগে আমি আরো কয়েকটি ভিন দেশের ছোট ছোট উপকথা অনুবাদ করেছি । সেগুলো দেখতে পারেন । নাহলে আমি কোন একসময় আপনাকে সেগুলোর লিংক দিয়ে আসবো না হয়
আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা ।
১২| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মজার পোস্টে++++++
২২ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৬
জুন বলেছেন: ছোট্ট একটি মন্তব্যে বিশাল একটি ধন্যবাদ মাইদুল সরকার
১৩| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫
জাহিদ অনিক বলেছেন:
হা হা মজার পোষ্ট জুন আপু। আপনার অনুবাদ খুব সুন্দর
২২ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৭
জুন বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ জাহিদ অনিক ।
অনেক ভালো থাকবেন
১৪| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শেয়াল কুমিরকে নিয়ে এরকম উপকথা আমাদের দেশেও প্রচলিত আছে।
২২ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:২০
জুন বলেছেন: ঠিকিই বলেছেন গিয়াস লিটন । আমাদের ছোটবেলা থেকে এই বুড়োবেলা পর্যন্ত প্রিয় বই দক্ষিনা রঞ্জন মিত্র মজুমদারের ঠাকুরমার ঝুলিতেই শেয়াল আর কুমিরের মজার মজার গল্প রয়েছে । শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালাতো ক্লাসিক একটি গল্প ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
১৫| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪
ল বলেছেন: হা হা হা --- এপিক,,,
এমন বন্ধুর না থাকাই ভালো কিন্তু এ সমাজে সবাই তো নিজেরটা বুঝে।।
অনুবাূ এত ফাটাফাটি হয় তা জানতাম না --- পুরাই মাতৃভাষার টকাসটকাস রসের অনুবাদে আর গল্পে যাদুর আবির্ভাব ।।।
ভালোবাসা অবিরাম।।।। শুভেচ্ছা নিরন্তর।।
২২ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:২২
জুন বলেছেন: ল
এত সুন্দর মন্তব্যের কি উত্তর দেবো ভেবেই অস্থির আমি । অসাধারন বলেছেন পুরাই মাতৃভাষার টকাসটকাস রসের অনুবাদে আর গল্পে যাদুর আবির্ভাব
আপনার জন্যও রইলো অজস্র শুভকামনা ।
১৬| ২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উপকথা, রুপকথাগুরোর গোড়া কি এক নাকি?
কোথায় না কোথায় যেন গিয়ে সব মিলে যায়!
একটু আধটু নাম বা চরিত্র বদলালেও গল্প গুলোর মোরাল, বেইজ কেমন মিলে মিলে যায়!
এম!
এত কিপটুসী ঈদুর ফিতরের উপহারে কি বাচ্চারা খুশি হবে????
হা হা হা
ভাল লাগলো ঝরঝরে অনুবাদ
+++
২২ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৩
জুন বলেছেন: উপকথাতো মানুষের মুখে মুখে ফেরারই কাহিনী ভৃগু । মানুষ যেমন একদেশ থেকে আরেক দেশে ভেসে ভেসে গেছে তেমনি তাদের সাথে কিছু গল্প কিছু গানও । তাই হয়তো সব দেশের গল্প গাথায় এট্টুসখানি হলেও মিল থেকেই যায়
বাচ্চারা অল্পতেই খুশী হয় কিন্ত হয়না বুড়োরা
তাই তাদের জন্য চেষ্টা করবো ঈদ স্পেশাল এক ভুতের গল্প উপহার দিতে
ভালোলাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
১৭| ২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কোন ভাষা থেকে অনুবাদ করেছেন?
২২ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬
জুন বলেছেন: বিভিন্ন দেশের উপকথা বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে । আমি গরীব মানুষ আমি ইংরাজী থেকেই করেছি । চীনা ভাষায়ও আছে দেখলাম কিন্ত খটোমটো লাগায় সেদিকে আর ভীরলাম না
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন চাঁদগাজী ।
১৮| ২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অনুবাদটা চমৎকার হয়েছে। বনরুই বা আর্মাডিলো দেখেই পিঁপড়ার কথা মনে হলো। তার দেখছি তুমিও সেটা লিখেছো।
গল্পটা অনেকটা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যেকার বৈষম্য প্রকাশকারী সেই ছবির মতোই। গরু খায় বাংলাদেশের ঘাস আর দুধ নিয়ে যায় পাকিস্তান। এক্ষেত্রে ছবিটা থাকলে দিতাম। গরুর সামনের অংশ বাংলাদেশে এবং পিছনের অংশ পাকিস্তানে।
আবার দুই ভাইয়ের গল্পটাও বলা যায়। গাছের গোড়ার দিকটা বোকা ভাইয়ের আর উপরের ফলদ দিকটা চালাক ভাইয়ের। বোকা ভাই কষ্ট করে গাছে পানি দেয়, সার দেয়। আর সময় হলে চালাক ভাই ফল পেড়ে নেয়। তবে শেষমেশ বোকা ভাই গাছটা কেটে ফেলে। এক্ষেত্রেও তোমার অনুবাদকৃত গল্পের মতোই অবস্থা।পুনরায় বলা যায় লেপের কথা। দিনের বেলা এক ভাই আর রাতের বেলা আরেক ভাইয়ের। তো দিনে তো লেপের দরকারই পড়ে না। চালাক ভাইটা শীতের রাতে আরামে ঘুমায়। এবার বোকা ভাই করলো কি, লেপটা ভিজিয়ে রাখলো সকালে। তারপর তো....
আমার শৈশব কৈশোরে অনেক অনেক বই পড়েছি। রাশিয়ার রূপকথা, জাপানের রূপকথা সহ আরো কতো কি !
শৈশব যেন এক টুকরো রঙিন আনন্দ !
পোস্টের জন্য এত্তগুলা ধন্যবাদ
২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫
জুন বলেছেন: গরু খায় বাংলাদেশের ঘাস আর দুধ নিয়ে যায় পাকিস্তান। এটা কি করে হয় আর্কিও
মাঝখানে ভারতের বিশাল ভুড়িটা রয়েছে যে
দুই ভাইয়ের গল্পটাও আমরা ছেলে বেলায় পড়েছি । সেটাই উপরে লিখেছি মানুষের সাথে ভেসে বেড়িয়েছে একই গল্প আর গান । তারপর স্থানীয় ভাষায় কিছুটা যোগ বিয়োগ করেই সমৃদ্ধ হয়েছে এক এক দেশের উপকথা রূপকথা ।
আপনার এত্তগুলা ধন্যবাদ সযত্নে রেখে দিলুম । আজকাল কেউ কি আর মিনি মাগনা কিছু দেয় । দুনিয়া বড় কঞ্জুষ
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন প্রিয় ব্লগার
১৯| ২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হতচ্ছাড়া কিবোর্ড
টাইপো - তার নয় আর লিখতে চেয়েছিলাম
২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭
জুন বলেছেন: যে কারনেই হোক একটি অধিক মন্তব্য পাওয়ায় যারপরনাই খুশী হইলাম
হুদাই কী বোর্ডরে বইক্কেন্না
২০| ২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: নাই, নাই... ছোট ছোট ভাই বোন, ছেলে মেয়ে, নাতি নাতনি কিছু নাই এই গল্প শোনাবার জন্য। তাতে কি, আমি নিজেই এমন গল্প কয়েকবার পড়তে পারি, আর অপেক্ষায় থাকি, কোনদিন নাতি-নাতনি হলে তাদের শোনাবো...
গল্পটা পড়ে ভালো লেগেছিল, কিন্তু মনে হচ্ছিল কি জানি কম আছে। এখন সেই শূন্যস্থান পূরণ হয়ে গেছে, ছবি দিয়ে। দারুন গল্প!
শুধু একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, আপনি এই আর্জেন্টাইন গল্প কোন ভাষা থেকে অনুবাদ করলেন, অনুবাদ একেবারে ঝরঝরে।
২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩
জুন বলেছেন: আমারো এমন কেউ নেই করুনাধারা যাদের এই গল্প শোনাতে পারি ।
ভাই বোন সব্বাই বড় হয়ে গেছে ।
আর নাতি নাতনীর মুখ দেখা হয় না
হলেতো দেখবো
অনেকে ছবি দেয়াটা পছন্দ করে না গল্পে তাই অরিজিনাল গল্প থেকে একমাত্র ছবিটা দিয়েছিলাম । তারপর ভাবলাম নেট থেকে দু একটা ছবি দেই এতে প্রানীটা বিশেষ করে কুইরকুঞ্চো সম্পর্কে অনেকের ধারনাটা ক্লিয়ার হবে ।
গল্পটি আমি ইংরাজী ভাষা থেকে অনুবাদ করেছি । আরো ছিল চীনা জাপানী রাশিয়ান স্পেনিশ ফ্রেঞ্চ ভাষায় । চীনা ভার্সনটি অনেকক্ষন বসে ছিলাম, তবে কিছুই বুঝতে পারি নি
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।
২১| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:২০
সুমন কর বলেছেন: দারুণ অনুবাদ এবং গল্প। যাক শেষ পর্যন্ত শেয়াল হারল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:০০
জুন বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ শুরু থেকে মন্তব্যে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন বলে
আগামী ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো ।
২২| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: একসময় আমাদের দেশেও বনরুই ছিলো, এখন প্রায় বিলুপ্ত। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পাচারকৃত প্রাণী বনরুই। চায়নিজরা অনেক কুসংস্কারের বিশ্বাস করে, তারা এই নিরীহ প্রাণীটিকে সুপ বানিয়ে খায়।
আচ্ছা, গল্পের শেয়াল টাকা কোথায় পেলো, ও কি সুদের ব্যবসা করে?
সুন্দর অনুবাদ।
২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:০৮
জুন বলেছেন: চায়নীজরা খায়না এমন জিনিস জগতে নাই । আমার চীন ভ্রমন নিয়ে লেখায় লিখেছিলাম তাদের খাবার দাবার । একটা ছবি দিয়েছিলাম তাতেই অনেকে ভিমড়ি খেয়েছিল প্রান্ত । ১২৫০ কিমি পথ পাড়ি দিয়েছিলাম ট্রেনে । সেখানের আকাশে বাতাসে কোন পাখি দেখিনি , রাস্তা ঘাটে একটা কুকুর বিড়াল পর্যন্ত দেখিনি । সব খেয়ে ফেলেছে
গল্পে সব কিছু সম্ভব প্রান্ত শিয়ালের টাকা থাকাতো কোন ব্যাপারই না । কেনো ঠাকুরমার ঝুলিতে পড়েন নি শেয়াল মানুষের মেয়ে বিয়ে করে ফেল্লো
অনুবাদ ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা ।
শুভেচ্ছা রইলো
২৩| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:২৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যাইক ভালই হলো আমার ছেলেটা প্রতিদিনি গল্প শুনাতে বায়না ধরে এই গল্পটি শুনিয়ে দিব। নিজেও পড়ে মজা পাইছি।
২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:১০
জুন বলেছেন: মাহমুদুর রহমান আমার ভাতিজা যদি লাইক করে তবে আমার ব্লগে এরকম আরো কিছু মজার মজার উপকথা আছে যা আমি অনুবাদ করেছি তা পড়ে শোনাতে পারেন । মনে হয় ভাতিজা পছন্দ করবে
আন্তরিক মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো ।
২৪| ২২ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যদিও মুল গল্পটি দেখিনি তথাপি এ গল্পটি পাঠে দেখা যায় অনুবাদ অত্যন্ত প্রাঞ্জল হয়েছে ।
মনে পড়ে ছোটকালে প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময় আমাদের বাংলা পাঠ্য বইএ শিয়াল ও কুমীরের ভাগাভাগি করে চাষাবাদ নিয়ে
একটি মঝার গল্প ছিল । সেখানে তারা চুক্তি করে প্রথম বছরে আলু আর পরের বছর ধানের আবাদ করেছিল । অনেক কাহিনীর ভিতর দিয়ে চালাকী করে শিয়াল মহাশয় দুবারই জিতে যায় ।
আর আপনার আর্জেটিনীয় উপকথায় দেখা যায় প্রতিবারেই শিয়াল বন রুই তথা কুইরকুঞ্চোর কাছে হেরে যায়।
আমাদের দেশের ধুর্ত শিয়াল ও কাকড়াকে নিয়ে আমার জানা একটি গল্পেও অবশ্য দেখা যায় যে বাগারম্বরে বুদ্বিমান কাকড়ার কাছে ধুর্ত শিয়াল মহাশয়ই কুপুকাত হয়ে গেছে।
শিয়াল ও কাকড়ার কথোপকথনটি তুলে দিলাম নীচে ।
শিকারের সন্ধানে শিয়াল মহাশয় একদিন নদী পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পেল গর্তের কিনারে কাকড়া চুপ করে বসে আছে ।
কাকড়াকে দেখে তাকে খাওয়ার জন্য শিয়ালের খুাই লোভ হল , তবে সে জানে গর্তমুখ হতে কাকড়াকে বেড় করা আনা খুব একটা সহজ কর্ম নয়। তাই ধুর্ত শিয়াল মহাশয় অতি বিনয়ের সহিত সন্মানসুচক উপাদি সহযোগে কাকড়াকে বলল -
কুকুরী মুকুরী কর্মেশ্বরী
গর্ত হতে বেড় হয়ে আস
তোমায় আমি নমস্কার করি।
কাকড়া তার বদ উদ্দেশ্যখান বুঝতে পেরে তার স্বভাবসুলভ কন্ঠেই বলল
গায়ে উঠছে জ্বর
যেথায় আছিছ সেথায়
থেকে নমস্কার কর ।
শিয়াল বুঝতে পারে বিনয়ী কৌশলটা বিফলেই গেল
তাই ভাবল কি আর করা, তবে
যাওয়ার আগে কাকড়াকে
একটা খোচাতো দিয়েই যাই,
এমনতর ভেবেই সে কাকড়াকে বলল
কাকে বুঝে তোর কদর
ঠোট দিয়ে গর্ত হতে বেড় করে এনে
কড় কড়ায়ে খায় তোর উদর ।
শিয়ালের কথা শুনে কাকড়া মৃদু হেসে বলল
কুত্তায় বুঝে তোর কদর
তাকে দেখে দৌঁড়ায়ে যাছ
পিছন ফিরে চাছ আর
পায়ু পথে বাদ্য বাজাস বদর বদর ।
কিচ্ছা আমার ফুরাল নটে গাছটি মুরাল ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৩০
জুন বলেছেন: ডঃ এম এ আলী প্রথমেই আমার শুভেচ্ছা ।
জী শিয়াল আর কুমীরের মধ্যে এধরনের চালাকীর গল্প সেই ঠাকুরমার ঝুলি থেকে শোনা শুরু করেছি , কারন তখন নিজে নিজে পড়তে পারতাম না এতই ছোট ছিলাম উপরে অনেক কেই বলেছি এই সব উপকথা দেশে দেশে কালে মানুষের মাধ্যমেই ছড়িয়ে গেছে দেশ থেকে দেশান্তরে । হয়তো কিছুটা অদল বদল হয়ে । কুমিরের বদলে একই রকম পিঠে আশ ওয়ালা কুইরকুঞ্চোকে এনেছে কিন্ত শেয়াল ঠিকই আছে ।
আপনার গল্পটাও অনেক মজার ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।
২৫| ২২ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯
নীল আকাশ বলেছেন: ছোটদের কেন দিচ্ছেন? গল্প শুনার জন্য কোন বয়স লাগে নাকি? পড়ে আমার নিজেরই অনেক মজা লাগলো!
মন্তব্যে আলী ভাইয়ের গল্পটা পড়ে মজা পেলাম।
ঈদ কি বাংলাদেশে করবেন?
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০৭
জুন বলেছেন: কারন বড়দের জন্য আরেকটি উপহার রচনা করছি নীল আকাশ
যদি সময় পাই তো ঈদের আগেই দেবো ।
গল্প পড়ে মজা লেগেছে শুনে খুব ভালোলাগলো আমার ।
আমি বাচ্চাদের জন্য আরো কিছু দেশ বিদেশের উপকথা অনুবাদ করেছি । আমার ব্লগেই আছে । পরে একসময় লিংক দিবো । ভাতিজা ভাতিজিকে পড়ে শোনাবেন আর তাদের মতামত জানাবেন
না আমি দুদিন পরেই চলে যাচ্ছি । ঈদ বাইরেই করবো ।
দোয়া করবেন আমার নিরাপদ ভ্রমনের জন্য ।
শুভকামনা রইলো আপনি ও আপনার পরিবারের সবার জন্য ।
২৬| ২২ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: @ মাহমুদুর রহমান সুজন ভাই! আমার আর আপনার অবস্থা একই। মিনিমাম ২টা গল্প এখানে পেয়েছি। ২ রাত বাচ্চাগুলিকে আরামে ঘুম পাড়াতে পারবো। তারপর এইগুলিকে জোড়াতালি দিয়ে মিনিমাম এক সপ্তাহ.....
২৭| ২২ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর অনুবাদ করেছেন ।
++
শুভকামনা
২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:১৯
জুন বলেছেন: প্রশংসার জন্য অনেক খুশি হয়েছি নীলপরি
শুভেচ্ছা সকালের।
২৮| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:২৬
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আচ্ছা আপু চীনে পরিবেশ দূষণ কেমন?
২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৩২
জুন বলেছেন: ভয়ংকর প্রান্ত। মাইলের পর মাইল জায়গা ধুসর মরুভুমির মত। আকাশে বাতাসেও দুষন
২৯| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক মিষ্টি করে লেখা আপু !
অনেক অনেক ভালোলাগা।
২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:২০
জুন বলেছেন: অনেক অনেক শুভকামনা তোমার জন্যও মনিরা আমার প্রিয় ব্লগার
৩০| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৩০
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: শেষ ছবিটা আমার বেশ ভালো লেগেছে।আর গল্প!
সেটা তো ঝাক্কাস++
২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:২৪
জুন বলেছেন: ওই লোহার মত শক্ত খোলস ছাড়িয়ে মনে হয়না সিংহ বাবাজীরা তাদের উদর পুর্তি করতে পারবে মাহমুদূর রহমান। মহান সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর প্রতিটি জীব জানোয়ারকে আআত্মরক্ষার জন্য কিছু অস্ত্র দিয়ে দিয়েছে।
গল্পটি ভালোলাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।
৩১| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৪০
শেহজাদী১৯ বলেছেন: দারুন গল্প। ছোট্টবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম।
২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:২৯
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে শেহজাদী ১৯।
উপকথাগুলো সব সময়ই সব বয়সেই ভালো লেগে থাকে সবার
শুভেচছা সকালের।
৩২| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:০১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার ঈদউপহার।
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
জুন বলেছেন: আপনার ছেলে আমাদের সালমানকেও পড়ে শোনাবেন কিন্ত
৩৩| ২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওহ! এই ব্যাপার! আসলে আমি এই লেখাটা না পড়ায় আপনার কথার তাৎপর্য বুঝতে পারিনি বোন। এক্সট্রিমলি সরি!
বাচ্চাদের জন্য ঈদের উপহার এর চেয়ে ভালো আর হয় না। ছোটবেলায় আমরা এসব গল্প শুনে আনন্দ, বিস্ময় ও ভালো লাগার এক রঙিন জগতে হারিয়ে যেতাম। কোথায় গেল সেই সব রঙিন দিনগুলো?
অনুবাদ নিঃসন্দেহে খুব ভালো হয়েছে। তবে আমার নয়নতারা এখনো এসব গল্পের রস আস্বাদনের মতো উপযুক্ত হয়ে ওঠেনি। মাত্র তো চৌদ্দ মাস বয়স। তারপরেও ওকে কোলে বসিয়ে পড়ে শোনাবো। ওর কী প্রতিক্রিয়া হয় জানাবো আপনাকে। আমার পরিবারে নয়নতারাই একমাত্র শিশু। তবে ওর সাথে খুনসুটি করার সময় ওর দাদী বলে এই পরিবারে দুইটা শিশু। হাঃ হাঃ হাঃ।
নয়নতারার ঈদ উপহারের জন্য ধন্যবাদ বোন জুন।
২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৪
জুন বলেছেন: : কেন স্যরি বলছেন হেনা ভাই! সরি তো বলবো আমি এত জোরজবরদস্তি করে টেনে আনার জন্য। যাইহোক নয়নতারার দিদি ভাইয়ের বাসার আরেকটি শিশু যে আমার গল্পটি পড়েছে এবং সেই সাথে বুঝতেও পেরেছে তার জন্য আমি মহা খুশী
মনে করে রাখবেন হেনা ভাই আর আমাদের দিদিমনিটা বুঝদার হলে পড়ে শোনাবেন। এই ব্লগে আমার আরো কয়েকটি অনুবাদ করা বিভিন্ন দেশের মজার মজার উপকথা আছে।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
৩৪| ২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ২:২৩
ওমেরা বলেছেন: ঠিক এই রকমই যেই গল্পটার কথা যেটার কথা ডঃ আলী ভাইয়া বলেছেন শিয়াল আর কুমীরের । আব্বুর কাছে সেই গল্প কত শতবার শুনতে শুনতে ঘুমিয়েছি । অনেক দিন পর সেই গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগল আপু । অনেক ধন্যবাদ নিবেন আপু।
২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:০২
জুন বলেছেন: ওমেরা সব দেশের উপকথা গুলো একই যোগসুত্রে গাথা। কোথাও হয়তো পাত্র পাত্রী বদল, কোথাও বা স্থান কাল। আমার এখনো ভালোলাগে রূপকথা উপকথার রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে
অনেক অনেক ভালো থাকবেন। পবিত্র ঈদের আগাম শুভেচ্ছা রইলো।
৩৫| ৩১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
এ.এস বাশার বলেছেন: সুন্দর গল্প... ছোটরা অনেক মজাপাবে......
৩১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১
জুন বলেছেন: জী ছোটদের জন্যই এটা আমার আসন্ন ঈদ উপহার।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ২:১৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন:
০৯ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০১
জুন বলেছেন: চলে যাওয়া ঈদের শুভেচ্ছা আপনার জন্যও মাহমুদুর রহমান সুজন
দেরীতে উত্তরের জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি ।
৩৭| ০৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
০৯ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০৩
জুন বলেছেন: চলে যাওয়া ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন ডঃ এম এ আলী
অনিচ্ছাকৃত কারনে দেরীতে উত্তরের জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি ।
৩৮| ০৫ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:২৮
নজসু বলেছেন:
০৯ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৯
জুন বলেছেন: পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা আপনার জন্যও নজসু ।
অনিচ্ছাকৃত দেরীতে উত্তরের জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি ।
আমার ভাগ্নের জন্য আরেকটি ঈদ উপহার
কি করে উট তার রূপ হারালো (একটি মঙ্গোলিয়ান উপকথা)
৩৯| ০৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইন শা আল্লাহ, আগামী সেপ্টেম্বরে আমার ৫ বছরের নাতনি কিছুদিনের জন্য আমাদের কাছে আসবে। ওর জন্যে আপনার এ গল্পটা তুলে রাখলাম। আমার মত করে সাজিয়ে (ও যেন বুঝতে পারে) ওকে এ গল্পটা পড়ে শোনাবার ইচ্ছে পোষণ করছি। বাকী আল্লাহ ভরসা!
০৯ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৫
জুন বলেছেন: খুব খুশী হোলাম শুনে খায়রুল আহসান । আনায়া নিশ্চয় মজা পাবে তার দাদুর মতই । তার জন্য আমার করা আরেকটি অনুবাদ গল্প উপহার রইলো
চলে যাওয়া ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকে ।
কি করে উট তার রূপ হারালো (একটি মঙ্গোলিয়ান উপকথা)
৪০| ০৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "মাঝখানে ভারতের বিশাল ভুড়িটা রয়েছে যে" (১৮ নং প্রতিমন্তব্য) -
২৪ নং মন্তব্যে ডঃ এম এ আলী'র শেয়াল আর কাঁকরার কেচ্ছাটাও দারুণ হয়েছে!!!
০৯ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২২
জুন বলেছেন: জী প্রতীকি ভাবে খেতে পারে কিন্ত ভারতকে ডিংগিয়ে সত্যিকার ভাবে নয়
ঊনার গল্পটিও সত্যি মজার হয়েছে ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
৪১| ১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ঈদের পোষ্ট কোথায় , ঈদ কি দেশে না বিদেশে কাটালেন ।
যেখানেই কাটান না কেন পোষ্ট একটি চাই ই চাই ।
নাহলে আমাদের ঈদ অপুর্ণ রয়ে যাবে ।
শুভেচ্ছা রইল
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১১
জুন বলেছেন: হায় হায় সেই ১১ জুনের মন্তব্য এখন চোখে পড়লো আমার
অত্যন্ত দুঃখিত আমি ডঃ এম এ আলী ভাই । ঈদ বাইরেই ছিলাম ।
আপনার অনুরোধ রক্ষা করতে পেরেছি কি না জানি না ।
এবার আমি আপনাকে আগাম ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখছি
সাথে মজার কোন লেখা । এত এত কঠিন ভাব গম্ভীর কিছু না কিন্ত ।
শুভকামনা রইলো , অনেক অনেক ভালো থাকুন ।
৪২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আর্জেন্টিনার এই রুপকথায় আপনার ভাস্তে ভীষণ মজা পেয়েছে।এত বোকা শিয়াল নাকি ও আগে কোনদিনও দেখেনি।তবে কুইরকুজ্ঞো খুব ইন্টেলিজেন্ট।ওর খুব পছন্দ হয়েছে কুইরকুজ্ঞোকে।
শ্রদ্ধাবনত শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২১
জুন বলেছেন: যাক শেষ পর্যন্ত আমার উপকথাগুলোর একজন সমাঝদার পাঠক পেলাম দেখে খুব খুব ভালোলাগছে । ভাস্তে মেঘের জন্য আমার অনেক অনেক শুভকামনা পদাতিক ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পড়েই মুগ্ধ।