নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৭৬৫ সনে উন্মত্ত বার্মিজ সৈন্যদের লাগানো আগুনের ছাই থেকে আবার সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়ানো আয়ুথিয়ার রাজকীয় প্রাসাদ "সানফেত প্রাসাত থর্ন হল
"If man has no knowledge of the past, he is nothing but a vessel without a rudder on the high seas", claims the Ancient City's sage-like founder, Lek Viriyaphant
একটি দেশের উপর দিয়ে আপনি পায়ে হেটে পেরিয়ে যাচ্ছেন মাইলের পর মাইল, যাচ্ছেন সেদেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে, দেখছেন পর্যটক প্রিয় প্রাচীন সৌধ আর স্থাপনাগুলো মাত্র সাত ঘন্টায় ! এই বিশাল দেশের সবটুকু ঐতিহ্য সাত ঘন্টায় দেখা এও কি সম্ভব ? হ্যা সেটা সম্ভব যদি আপনি ব্যাংককের গা লাগোয়া বিভাগ সামুদ প্রাখানে একটিবার যেতে পারেন। আগে একটু কষ্ট হলেও এখন আপনি স্কাই ট্রেনে করেই কয়েক মিনিটে যেতে পারবেন সুকুম্ভিতের যে কোন বিটিএস স্টেশন থেকে খেহা পর্যন্ত যা সামুদ প্রাখানে গিয়ে শেষ হয়েছে।
যাই হোক বলছিলাম সাত ঘন্টায় থাইল্যান্ড ভ্রমন নিয়ে। আসলে এটি খোলা আকাশের নীচে একটি উন্মুক্ত যাদুঘর স্থানীয় ভাষায় যার নাম মুয়াং বোরান অর্থাৎ প্রাচীন শহর। তাদের গর্বের মাতৃভুমি থাইল্যান্ডের মানচিত্রের আদলে ছোট আকারে তৈরী যাদুঘরটির নির্মাতা প্রয়াত ধনকুবের Lek Viriyaphant ।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য প্রিয় পর্যটকদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকা এই যাদুঘরের নির্মাতা মিঃ লেক দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করতেন যে কোন মানুষ যদি তাদের নিজেদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে কিছু না জানে তবে সে হবে সমুদ্রের মাঝে ভেসে থাকা এক দিকভ্রান্ত জাহাজ,যার কাছে তীরে ফেরার কোন দিক নির্দেশনা নেই।
এই ধারনা থেকেই থাইবাসীকে তাদের শেকড় চেনানোর উদ্দেশ্যে মিঃ লেক ১৯৬৩ সনে ব্যংককের লাগোয়া প্রদেশ সামুদ প্রাখানে আনুমানিক ২৬০ একর জায়গার উপর নির্মান করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত যাদুঘর।এখানে রয়েছে গোটা থাইল্যান্ডের ৩২০ টি শহরের ১০৯ টি বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থাপত্য যা পর্যটকদের চুম্বকের মত টেনে নিয়ে আসে।
প্রাচীন নগরী শ্যাম বা মুয়াং বোরানে নির্মিত অসংখ্য ঝর্নার মাঝে একটি
এই মানচিত্র আকারের যাদুঘরের প্রতিটি স্থাপনা দেশের যেখানে যে অবস্থায় আছে ঠিক অবিকল সেভাবেই তৈরী ও সাজানো । নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হওয়ার কথা না। এই সৌধগুলোর কোনটাই ক্ষুদ্রাকৃতির নয়, কিছু কিছু আসল আকার থেকে সামান্য ছোট বা প্রমান সাইজের যা বিস্মিত করে পর্যটককূলকে ।
আজকের আধুনিক থাইল্যান্ড বলতে অধিকাংশ মানুষই একে এক প্রমোদ নগরী ভেবে থাকে, এখানে মানুষ আসে বুঝি শুধু তাদের মনোরঞ্জন ও শপিং এর জন্য। কিন্ত তা নয়,বহু প্রাচীন যুগ থেকেই চির-স্বাধীন থাইল্যন্ডের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য, যার গোড়াপত্তন হয়েছিল খৃষ্টপুর্ব ৩৬০০ বছরেরও আগে। বিভিন্ন রাজন্যবর্গের রাজত্বকাল যেমন সুকোথাই,লান্না,হরিপুঞ্চাই,আয়ুথিয়া, থনবুরি ও বর্তমান রাত্তানাকোসিন রাজত্বকালের সমস্ত উল্লেখযোগ্য স্মৃতিসৌধগুলোকে মিঃ লেক ফুটিয়ে তুলেছেন তার এই ২৬০ একর জমির উন্মুক্ত যাদুঘরে ।
সানফেট প্রাসাত থর্ন হলের ছাদের অপরূপ কারুকাজ
প্রাচীন রাজধানী এবং ঐতিহাসিক আয়ুথিয়া নগরীর সানফেট প্রাসাত প্যালেস, সুকোথাই্, ফিটসানুলক ও কামপেং ফেটের ঐতিহ্যময় মন্দিরগুলো, ক্যাম্বোডিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে রশি টানাটানি করা সি-সাকেটের বিখ্যাত প্রি বিহারা, নাখন রাচাসিমার ফিমাই, লপবুরির বিখ্যাত মাংকি টেম্পল যা খেমার রাজত্বকালে খেমার স্থাপত্যকলার অনুসরনে নির্মিত হয়েছিল। এমনকি এখানে থাইল্যন্ডের বিখ্যাত ফ্লোটিং মার্কেটও রয়েছে ছোট আকারের। তাতে আছে রেস্তোরা ও হাতে তৈরী বিভিন্ন জিনিসের ভাসমান দোকান-পাট যেমনটি রয়েছে দামুনেন সাদুয়াকে,রয়েছে প্রাচীন থাইল্যান্ডের একটুকরা গ্রাম। ছোট আকারের এক নদী তাতে প্রাচীন যুগের সাধারন নৌকা থেকে রাজকীয় বজরা। ফলে কারো যদি পুরো থাইল্যান্ড ঘোরার সুযোগ বা সময় না থাকে তবে এখান থেকেই সে দেখে নিতে পারবে সব কিছু, যাকে বলে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত।আর আপনার পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে এখানে সারাদিনের ভ্রমন হবে একটি নতুন দেশ সম্পর্কে জানা যা অত্যন্ত শিক্ষামুলক এবং সেই সাথে আনন্দদায়ক তো বটেই।
পথ চলা
এবার আসা যাক সেই বিস্ময়কর যাদুঘর ভ্রমনে যার শুরু হয়েছিল ছুটির দিনের এক মেঘমেদুর সকালে। স্কাই স্টেশন খেহাতে নেমে ট্যক্সি নিয়ে প্রবেশ করলাম দুর থেকে দেখতে পাওয়া দৃষ্টি নন্দন গেটের ভেতর। টিকিট ফি বিদেশী মাথাপিছু ৭০০ বাথ এটা একটু বেশিই মনে হলো আমাদের কাছে। ব্যংককের প্রধান যাদুঘর আমি দেখেছি ২০০ বাথ দিয়ে । সামান্য কিছু খেয়ে নিয়ে এই বিশাল এলাকাটি ঘোরার জন্য আটঘাট বেধে নামলাম । ঘন্টা প্রতি ৩০০ বাথ দিয়ে ড্রাইভার ছাড়া একটি গলফ গাড়ী ভাড়া নিলাম। কারন বুড়ো হাড়ে ২৬০ একর জায়গা পায়ে হেটে ঘুরে দেখা সম্ভব না ।
এনসিয়েন্ট সিয়াম এর প্রবেশ তোরণ যা অনেক দূর থেকেই চোখে পরবে সবার
কিছুদুর এগিয়ে গেলেই হাতের বায়ে চোখ ঝলসানো মন্দির নাম মহা ভাজিরাধাম্মা বিহার
অত্যন্ত পবিত্র এই মন্দিরে রয়েছে ২৮টি বুদ্ধ মুর্তি এবং অনেকগুলো প্যাগোডা যার মাঝে আছে বারোটি রাশির জন্য আলাদা আলাদা মন্দির গৃহ।
এই স্থাপনার ভেতরের দৃশ্য
প্যাভিলিয়ন অফ দ্যা এনলাইটেন।
প্রাচীন থাই সাহিত্য থেকে নেয়া বোটানিক্যাল গার্ডেন যেখানে রয়েছে একগুচ্ছ তাবু আকৃতির কুটির। থাইবাসীরা একসময় প্রকৃতির খুব কাছাকাছি বসত করতো, বিভিন্ন গাছ আর ফুলের সমারোহ ছিল তাদের বাড়ীর আশেপাশে। যা এখনো আছে তাদের বাগান জুড়ে আর জীবন জুড়েও। এই বিষয়টি তাদের সাহিত্যে ব্যাপক স্থান দখল করে আছে। সেই থাই সাহিত্য থেকে নেয়া বাগান ঘেরা এক প্যাভিলিয়ন
প্যাভিলিয়ন থেকে সামান্য এগিয়ে আসতেই এই নজর কাড়া লেক। আর ছোট এই লেকের মাঝে তৈরী হয়েছে দারুন সুদৃশ্য এক ফোয়ারা যেখানে বোধিসত্ব আলোকিতেস্বরা বর্ননা করেছেন ক্ষমার দেবী কুয়ান ইন তার অলৌকিক ক্ষমতার বলে অশুভশক্তিকে তাড়িয়েছেন
সেই ঝরনার মাঝে কৃত্রিম পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে থাই পুরাণের বিভিন্ন অশুভ আত্মারা যাদের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ক্ষমার দেবী কুয়ান ইন
ঘুরতে ঘুরতে এখানেও এসে দেখি মায়ে-নাকের চেয়েও নাকি ভয়ংকর এই লম্বা গলার মহিলা ভুত। একদম পেছনে দাঁড়িয়ে কি যেন নির্দেশ দিচ্ছে। গাইড আমার হাত ধরে টানতে টানতে সরিয়ে নেয়ার আগে কোন রকমে একটা ফতো তুলে নিলাম
এরপর আমরা আসলাম বিশাল লেকের উপরে গোলাপী রঙের অপুর্ব দৃষ্টি নন্দন নকশায় নির্মিত এই মন্দিরটিতে, নাম সালা রামায়না। এই নাম দেখেই বোঝা যায় হিন্দু দেবতার মন্দির
সরোবরের উপর দিয়ে বানানো এমন পদ্ম কুড়ির সেতু দিয়েই যেতে হবে আপনাকে মুল মন্দিরে
মুল মন্দিরের মাঝখানে রয়েছে স্বর্নালী রঙের চার মুখওয়ালা দেবতা নারায়ন
খানিকটা এগিয়ে যেতেই আরেক সরোবর যার মাঝখানে রয়েছে অসাধারন নান্দনিক নকশায় নির্মিত বৌদ্ধধর্মাবল্মবীদের কল্পিত স্বর্গপুরী। এই ছবিটি নেট থেকে নেয়া
বুদ্ধ ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী এটা তাদের স্বর্গপুরী যার অবস্থান সুমেরু পর্বত চুড়ায়, এই পর্বত রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে। এই স্বর্গপুরীকে ঘিরে আছে বিশাল একটি মাছ যার নাম আনন্দ মাছ, আমার কাছে অনেকটা মাগুর মাছের মত লাগলো দেখতে
স্বর্গপুরীকে ঘিরে থাকা অতিকায় আনন্দ মাছ হা করে আছে
আস্তে আস্তে দুপুর হয়ে এলো, খিদেয় সবার পেট চো চো করছে, এখানে গেটে ঢুকেই কফি আর স্যান্ডউইচ খেয়েছিলাম তা বারবার গাড়ীতে ঊঠানামা করতে করতেই হজম।এবার গাইড আমাদের নিয়ে গেলো সেখানে নির্মিত ফ্লোটিং মার্কেটের এক রেস্তোরায় ।
এই গেট দিয়ে ঢুকে পাশের কাঠের বাড়ি্টাই একটি রেস্তোরা যেখানে আমরা খেয়েছিলাম
খাবার দাবার নিয়ে বেশি এক্সপেরিমেন্ট করতে আমার ভয় হয় । তাই গরম গরম ভাত খাও সুয়ে আর ফ্রাইড চিকেন সাথে কাচা পেপের সালাদ সোমতাম অর্ডার দিলাম আমার জন্য। যে যার পছন্দ মত খেয়ে নিয়ে বের হয়ে আসলাম ফ্লোটিং মার্কেট থেকে। এবার আমাদের গন্তব্য পাহাড় চুড়োয় প্রি বিহারায় । সকাল থেকেই আকাশটা মেঘলা ছিল যার জন্য ঘুরতে অত ক্লান্ত হইনি, কিন্ত খেয়ে দেয়ে বের হতেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি আসল। কাম্ফেংফেটের ভাংগা দেয়ালের পাশে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে গলফ কার্ট রওনা দিল গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
প্রাচীন রাজ্য কামফেংফেট নগরীর নিরাপত্তা দেয়াল। জায়গায় জায়গায় ভেঙ্গে পরা শ্যাওলা ধরা দেয়ালটি বাস্তবে যেমনটি আছে এখানেও ঠিক তেমনি করেই নির্মান করেছেন মিঃ লেক তার দারুন দক্ষতায়
গলফ কার্ট চলে আসলো খেমার নকশায় ১১শ শতাব্দীতে নির্মিত সি-সাকেট প্রদেশের বিখ্যাত প্রি-বিহার মন্দিরে উঠার বৃষ্টি ভেজা সিড়ির সামনে
এই সিড়িটি বেয়ে উঠে আপনি আরেকটি ধাপে চলে আসবেন
ঐতিহ্যবাহী খেমার শিল্পের অন্যতম অনুসংগ নাগরাজকে এখানেও দেখতে পাবেন কারন এটা যে সেই এংকরভাট আমলেই নির্মিত। এই সিড়ি বেয়ে উঠলে আপনি চলে যাবেন পাহাড়ের সর্বোচ্চ চুড়ায় যেখান থেকে আপনি পুরো মন্দিরটি দেখতে পাবেন
এখানে দাঁড়াতেই চোখের সামনে হাজির হলো থাই-ক্যাম্বোডিয়া সীমান্ত ঘেষা দুর্গম দাংরেক পাহাড়ের চুড়ায় বহু প্রাচীন প্রি-বিহার মন্দিরের বৃষ্টি ভেজা উঠোনটি । এই মন্দিরের মালিকানা নিয়ে ক্যাম্বোডিয়ার সাথে থাইল্যান্ডের দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিলো। শেষ পর্যন্ত হেগের আন্তর্জাতিক আদালত একে ক্যাম্বোডিয়ার সম্পত্তি বলে রায় দেয়। ক্যাম্বোডিয়া থেকে এখানে যাবার পথটি ভয়ংকর দুর্গম আর বিপদ শংকুল। তবে সহজ ভাবে মন্দিরে প্রবেশের মূল পথটি রয়েছে কিন্ত থাইল্যান্ডের দিকেই।
খেমার নকশায় গড়া প্রি-বিহার নামের মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল খেমার রাজা প্রথম সুর্যবর্মনের সময়কালে।
বিখ্যাত খেমার নকশায় তৈরী প্রাসাত ফিমাই ( Prasat Phimai )
এই মন্দিরটির অবস্থান থাইল্যান্ডের পুর্ব দক্ষিন সীমান্ত প্রদেশ নাখন রাচাসিমায় Nakhon Ratchasima যার সংক্ষিপ্ত নাম খোরাট। থাইল্যান্ডে অবস্থিত সব খেমার মন্দিরের মাঝে এটাই আকারে সবচেয়ে বড়। প্রায় ক্যাম্বোডিয়ার এংকরভাটের সমান জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত। ১১ শ/ ১২শ শতাব্দীতে হিন্দু দেবতা শিবের উদ্দেশ্যে নির্মিত এই খেমার মন্দিরটি ইতিহাসে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। ১৯৬৩ -৬৯ সালে যেই সব ফরাসী বিশেষজ্ঞ এংকরভাট পুনরুদ্ধার করছিলেন তারাই এটি পুনরুদ্ধার করেন।
ফিমাই মন্দিরের চুড়োয় ঝালরের কারুকাজ
প্রাসাত শিখোরাফুম নামের ৩২ মিটার উচু লাল রঙের এই মঠটি সুরিন প্রদেশের গর্ব বলে পরিচিত।
সুরিন আর সি-সাকেট শহরের মাঝখানে এই মন্দিরটিও খেমার রাজা দ্বিতীয় সুর্য্যবর্মনের সময় স্যান্ডস্টোন আর ইট দিয়ে তৈরী হয়েছিল। এর দেয়াল আর দরজার ফ্রেমে খোদাই করা আছে বিভিন্ন দেব-দেবী আর অপ্সরাদের মুর্তি। এখানে বাৎসরিক একটি হাতী প্রদর্শনী হয়ে থাকে ।
পোড়া ছাই থেকে ফিনিক্স পাখীর মত আবার আগের রূপে উঠে আসা রাজপ্রাসাদ সানফেট প্রাসাত থর্ন হল। প্রাচীন রাজধানী আয়ুথিয়ার বিখ্যাত রাজপ্রাসাদ এর রেপ্লিকা যার ভেতরের দেয়ালের স্বর্নালী কারুকাজ আর সোনার সিংহাসন চোখ ধাধিয়ে দিয়েছিল আমার।
ভেতরের ছবি তোলা নিষেধ এটা দেখার আগেই আমি এই ছবিটি তুলেছিলাম।
১৭৬৫ সনে যখন বার্মিজরা থাইল্যান্ড আক্রমন করে রাজধানী আয়ুথিয়াকে জালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল তখন এই রাজপ্রাসাদটিও জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল উম্মত্ত বর্মী দর আক্রমনে। এখন আয়ুথিয়া নগরীতে শুধু ভিত্তিটাই রয়েছে। মিঃ লেক প্রচুর গবেষনা করে এই প্রাসাদটি পুরো আকৃতিতেই নির্মান করেছেন তার স্বপ্নের যাদুঘরে। নির্মানের পর এই প্রাসাদটি একবার মাত্র ব্যাবহার করা হয়েছিল যখন বৃটেনের রানী এলিজাবেথ প্রথম বারের মত থাইল্যান্ড ভ্রমনে এসেছিলেন।থাই প্রয়াত রাজা ভুমিবল তাকে এই ঐতিহ্যময় রাজ প্রাসাদে সম্বর্ধনা জানিয়েছিলেন।
রাজপ্রাসাদ সানফেট প্রাসাত থর্ন হলের সামনে অপরূপ এক ফোয়ারা
আয়ুথিয়াতে ভস্মীভুত সানফেট প্রাসাত হলের বর্তমান রূপ। এখান থেকেই মিঃ লেক থাই এবং ফ্রান্সের ঐতিহাসিক দলিল থেকে একে আবার আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তার স্বপ্নের যাদুঘরে
ইনি হলেন থাইবাসীদের বিখ্যাত একজন স্পিরিত। তার অনুকম্পা লাভের জন্য সামনে কিছু খাবার দাবার দেখলাম
এখানেও গাইডের হাত টানাটানি, কি ব্যাপার ? "ওহ নো মামা হি ইজ আ স্পিরিত" ! বললাম 'সো'! সে জানালো "ইফ ইঊ ডু এ রঙ থিং হি উইল পলো ইউ আপটু ডাকা"! ভাবলাম কি বলে ! জিজ্ঞেশ করলাম কি রঙ থিং ? বল্লো "তুমি যদি তার সামনে থেকে কিছু নাও এমনকি গাছ থেকে ছিড়ে একটা পাতা পর্যন্ত নিলে"। তার কথা শুনে মনে হলো আমাদের দেশেও এমন কিছু স্পিরিত থাকা দরকার ছিল কারন যেই হারে লোকজন গাছ কেটে সাবাড় করছে
থাই বর্নমালার উদ্ভাবক মহান রাজা রামখামহ্যাং এর রাজ্য সুকোথাই (১২৩৮খৃঃ-১৪৩৮খৃঃ ) এর পথে পথে
প্রাচীন সুকোথাই রাজ্যের বিখ্যাত ওয়াট মহাথাট
দাঁড়িয়ে থাকা গৌতম বুদ্ধ। খৃষ্টপুর্ব ৭ থেকে ১১ শতাব্দীতে দভারাভতী সময়ে ( Dvaravati Period) মুর্তিটি নাখন পাথম প্রদেশের পুরনো একটি শহর নাখন চাই সিতে নির্মিত হয়েছিল দাভারাভতী সময়কালে এই শহরটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন ছিল
প্রাচীন লান চাং স্থাপত্য নকশায় তৈরী বৌদ্ধ বিহার
একসময় থাইল্যান্ডের অধিকৃত লাওসের ভুখন্ড লান চাং এর বহু প্রাচীন স্থাপত্য নকশায় তৈরী বৌদ্ধ বিহার যা এখনকার নির্মান রীতিতে দেখা যায় না । ১৯৪৬ সনে এই ভুখন্ডটি থাইল্যান্ডের হাত ছাড়া হয়ে যায়।
সামার প্যালেস থেকে তুলে আনা ফ্রা খিউ প্যাভিলিয়ন
সকাল নটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে এই মিউজিয়াম। একটি ব্যাটারি চালিত গাড়ি নিয়েও ৩২০ টি শহরের ১০৯টি স্থাপত্যের অনেকগুলো দেখা সম্ভব হয়নি। আর দেখলেও সামুর এই ক্রান্তিকালে এত ছবি দিয়ে সার্ভার ডাউন করতে চাই নি । যতটুকু দেখেছি ততটুকুই আসুন আমাদের সাথে আপনারাও দেখুন যাদের এখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি ।
ছবি সব আমার মোবাইলে
১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১৯
জুন বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ।
ছবি তোলার আগে নিষেধ বুঝেন নি ঠিকাছে তারপরও ছবি পোস্ট করা নিষেধ নয়
আপনি কোন সরোবরের কথা বলছেন বুঝতে পারলাম না ।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: কোনো দিন কি এই মিউজিয়াম আমার নিজ চোখে দেখা হবে? !!!
১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৪
জুন বলেছেন: অবশ্যই দেখা হবে রাজীব নুর । এমন কোন কঠিন বিষয় না।
আর আমিতো সব বলেই দিয়েছি কি করে যাবেন
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক প্রাসাদ, অনেক স্হাপনা ও অনেক কারু-দক্ষতার ইতিহাস
১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৫
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ চাঁদগাজী সুন্দর একটি সংক্ষিপ্ত মন্তব্যের জন্য ।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জুনাপির পোস্ট মানেইতো কিছু অজানাকে জানা। অনেক সুন্দর-সুন্দর স্হাপনা আর কারুহচ্চিত মন্দিরগুলোর ছবি মন কেড়েছে। নিপুণ বর্ণনা যা জানতে সহায়ক।
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫২
জুন বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন
হাজারো ব্যাস্ততার মাঝে আমার লেখাগুলো পড়তে আপনার ভুল হয় না ভেবে অত্যন্ত আনন্দিত আমি । আন্ত্রিক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য । অনেকদিন কিছু লিখছেন না যে ! কিছু লিখুন, আমরা পড়ি
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৭
ওমেরা বলেছেন: সুন্দর ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছি, আর বর্ননা থেকে অনেক কিছুই জানা হল । অনেক ধন্যবাদ আপু ।
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:০৮
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ওমেরা আমার লেখাটি পড়ে আন্তরিক একটি মন্তব্য রেখে যাবার জন্য ।
অটঃ ব্লগার মলাসইলমুনাকে দেখি না অনেকদিন । আপনি কি জানেন উনি কেমন আছেন ?
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
চমৎকার ছবি, চমৎকার কারুকার্য, চমৎকার শিল্পকলা। আপনার মাধ্যমে থাইল্যান্ডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি জানতে পারলাম। ২৬০ একর জায়গার উপর উম্মুক্ত জাদুঘর। ভাবা যায়!!
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩
জুন বলেছেন: কাওসার চৌধুরী
অত্যন্ত আন্তরিক ও চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ । কেন জানি কিছু লিখতে গেলে ইতিহাস চলে আসে । ইতিহাসের ছাত্রী ছিলাম বলেই হয়তো
শুভেচ্ছা রইলো
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫৫
সুমন কর বলেছেন: আপু, আজ পোস্ট পড়িনি !! শুধু ছবি দেখে জানান দিয়ে গেলাম। প্যারময়ের কারণে কিছুদিন সামুতেই আসতে পারিনি.....
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
জুন বলেছেন: প্যারাময় অবস্থাতেও লিখে চলেছি যে এখনো সামুর ব্লগাররা মরে যায় নি বোঝাতে সুমন কর । যাইহোক আবার আসবেন আর পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো ।
উপস্থিতি জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই অনন্য অসাধারন সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ভ্রমন পোষ্ট!
হায় দেখী আর নিজেদের কেমন শুন্য মনে হয়!
আমার ইতিহাস, ঐতিহ্য আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে অমরত্ব লাভের আকাংভি কোন ধনকুবের আজো জন্মাল না।
কেবলই ব্যক্তি ভোগ আর বিলাসে লিপ্ত থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বুদবুদের মতোই! মহাকালে ঠাই পাবার স্বপ্ন কি তাদের জাগে না!!!
দারুন লাগলো সব ছবি আর বর্ণনা
+++++++
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯
জুন বলেছেন: আপনার আন্তরিকতাপুর্ন মন্তব্য পড়ে বরাবরের মতই আমি অনেক খুশী হয়েছি ভৃগু । আপনারা উৎসাহিত না করলে অনেক আগেই আমার এই হাবিজাবি লেখা হয়তো থেমে যেত ।
আমার ইতিহাস, ঐতিহ্য আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে অমরত্ব লাভের আকাংভি কোন ধনকুবের আজো জন্মাল না।
কেবলই ব্যক্তি ভোগ আর বিলাসে লিপ্ত থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বুদবুদের মতোই! মহাকালে ঠাই পাবার স্বপ্ন কি তাদের জাগে না!!!
কত সমৃদ্ধ আমাদের ইতিহাস শুধু কিছু ব্যাক্তি বিশেষের দ্বন্দে আটকে আছে একটি যায়গায় । বড় দুঃখই হয় অন্য দেশের কথা যখন লিখি তখন নিজ দেশের কথা মনে করে ।
আর ছেলেপুলে নাতি নাতনী তস্য পুরুষদের জন্য চুরি ডাকাতি করে ধন সঞ্চয় করে চলে আমাদের দেশের ধনীরা যা তাদের সুসন্তানরা হুক্কা আর ধুয়াতেই উড়িয়ে পুড়িয়ে দেয়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ ।
৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৪
সেতুর বন্ধন বলেছেন: চমৎকার ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছি, আর বর্ণনা থেকে অনেক কিছুই জানা হল ।
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৪
জুন বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম সেতুর বন্ধন । হাজার দুয়ারী নিয়ে আপনার চমৎকার লেখাটি পড়ে একটি মন্তব্য রেখে এসেছি । আপনাকে প্রথম পাতায় মুক্তি দেয়া হোক সেই প্রত্যাশা রইলো সামুর কাছে ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।
১০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪২
তারেক ফাহিম বলেছেন: ২৬০ একর জায়গার উপর যাদুঘর, বিশাল কিছু।
চমৎকার সব কারুকার্যময় ছবি।
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
জুন বলেছেন: চমৎকার সব কারুকার্যময় ছবি। আর বর্ননা ! বর্ননা তারেক ফাহিম ! সেইটা নিয়ে তো কিছু বললেন না
আমার লেখার নিয়মিত পাঠক আপনি, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ২৬০ একর !! এযে দেখছি বিশাল অবস্থা !!!
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২
জুন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখে খুব ভালোলাগলো গিয়াস উদ্দিন লিটন ।
২৬০ একর জায়গা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে কিন্ত । নিরিবিলি নির্জন চুপচাপ সেই যাদুঘরটি কিন্ত সত্যি মনোরম ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
১২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৫
শায়মা বলেছেন: ফ্লোটিং মার্কেটে গিয়ে আমার কথা মনে করলে না আপুনি!!!
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
জুন বলেছেন: শায়মা আমি আবার সামনেই যাচ্ছি তোমার ঐ নৌকাতো ? কিন্ত কোন ঠিকানায় পাঠাবো তাই তো জানি না আপু । আকাশের ঠিকানায় পাঠালে কি তুমি পাবে ?
১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
এই সুবিশাল পোস্টে আপনার লেখার মতো করে "ইতিহাস মন্তব্য" করার ধৃষ্টতা দেখালুম না।
শুধু এই একটা লাইন তুলে দিয়ে বলে যেতে চাই, উন্মুক্ত যাদুঘরের মতোই উন্মুক্ত করে দিয়ে গেলেন সৌন্দর্য্য পিপাসু এক শ্যামদেশের-----
বিভিন্ন গাছ আর ফুলের সমারোহ ছিলো আর এখনও আছে তাদের বাগান জুড়ে আর জীবন জুড়েও............
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০০
জুন বলেছেন: এই সুবিশাল পোস্টে আপনার লেখার মতো করে "ইতিহাস মন্তব্য" করার ধৃষ্টতা দেখালুম না।
আপনি যদি এই কথা বলেন তাহলে আমার মত চুনোপুটি ব্লগার কি বলবে তার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছে আহমেদ জী এস
বিভিন্ন গাছ আর ফুলের সমারোহ ছিলো আর এখনও আছে তাদের বাগান জুড়ে আর জীবন জুড়েও............ একথাটি কিন্ত দারুন সত্যি । তাদের ভেঙ্গে পড়া কুটিরের এক চিলতে মাটিতে অথবা টবে দেখেছি নানা রকম ফুল আর ঔষধি গাছ । ব্যংককের বানিজ্যিক এলাকা বাদে আর সব জায়গাতেই বিশাল এলাকা নিয়ে এক একজনের বাগান বাড়ী । সেখানে ঘন সবুজ বনানীর ভেতর তাদের বাড়ী খুজে পাওয়াই মুশকিল ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকুন , শুভকামনা রইলো ।
১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫০
মুক্তা নীল বলেছেন:
জুন আপা ,
অসম্ভব ভালো লাগলো ছবি দেখে, সেই সাথে আপনার লেখার বর্ণনা অসাধারন । শুভকামনা জানবেন।
১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৭
জুন বলেছেন: মুক্তা নীল
আপনার অসম্ভব ভালোলাগায় আমারো অনেক অনেক ভালোলাগলো ।
সব সময় আমার লেখার সাথে থাকছেন এ আমার বড় ভাগ্য জানবেন
শুভেচ্ছা রইলো নিরন্তর ।
১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সময় অভাবে ভাল করে দেখতে পারিনি ।
আসতে হবে আবার ।
প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
জুন বলেছেন: সময় নিয়ে আপনি আরেকবারও এসেছেন কিন্ত আমি সময় পাই নি আপনার প্রথম মন্তব্যের জবাব দিতে ডঃ এম এ আলী ভাই । আন্তরিক দুঃখিত আমি । অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ।
১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:৩৫
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপু,
যেন এক পৃথিবীর ভেতর আরেক পৃথিবীর পরিচয় করিয়ে দিলে। অসাধারণ উপস্থাপনা বটে। শুধুই কি উপস্থাপনা, পাঠককে দেয়ালে দেয়ালে লেপ্টে দেয়ার তাড়না।
ভালোলাগা জানিয়ে গেলুম ।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১২
জুন বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম
অনেক অনেক ভালোলাগলো আপনার অসম্ভব সুন্দর এবং আন্তরিক মন্তব্যটি পেয়ে । দেরী হয়ে গেল জবাব দিতে তার জন্য দুঃখিত আমি ।
আপনার একটি পোষ্ট দেখলাম , মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি যেই বয়সসীমা বেধে দিয়েছেন তা পেরিয়ে এসেছি আরো বিশ বছর আগে এই বয়স কি গ্রহনযোগ্য জানাবেন শীঘ্রই
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৩৯
ল বলেছেন:
রহমাম লতিফ বলেছেন ""অতীতের ধারণা না থাকলে একজন মানুষ প্রকৃতপক্ষে শূন্য বিরানভূমি""--
থাইল্যান্ডের অনেক অনেক কিছু জানা হলো এই পোস্ট থেকে প্রিয় ইবনে বতুতা আফুউ।।।।
ভালে থাকুন
।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১৯
জুন বলেছেন: ল
নিজেদের গৌরব গাথা না জানলে আত্নবিশ্বাসই তো গড়ে ওঠার কথা না কারোই । এটা মিঃ লেক বুঝতে পেরেছিলেন , কিন্ত আমাদের ধনীরা বুঝে না
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । সাথে থাকবেন ভবিষ্যতেও এই প্রত্যাশায় ।
১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:২৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এ তো বিশাল যগ্য। আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছি, আর অনেক কিছুই জানা হল।
তবে সত্যি কথা বলি কৃত্রিম যাদুঘরের চেয়ে আদি অকৃত্রিম স্থাপনাই প্রিফার করি। সময় ও অর্থ বেশি গেলেও।
আপনার এর আগে বার্মায় ভ্রমণেরটা ছিল দুর্দান্ত।
ধন্যবাদ।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩০
জুন বলেছেন: আপনার প্রশংসা পেয়ে খুব খুশী হয়েছি কালবৈশাখী । আমি যেখানেই যাই চেষ্টা করি সেখানকার যাদুঘরগুলো দেখতে, তার প্রবেশ ফি যতই হোক । আর এখানকার বেশিরভাগ স্থাপনাগুলো আমি সেখানে গিয়েই দেখেছি । কোন কোনটাতো একাধিকবার । তবে আপনি যতই চেষ্টা করুন আয়ুথিয়ার সানফেত প্রাসাত থর্ন হল কখনোই দেখতে পাবেন না । কারন ১৭৬৫ সনে বার্মিজ সৈন্যরা একে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে গিয়েছিল ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আবারও । শুভকামনা ।
১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: অবশ্যই দেখা হবে রাজীব নুর । এমন কোন কঠিন বিষয় না।
আর আমিতো সব বলেই দিয়েছি কি করে যাবেন ।
যাবো। গিয়ে সামুতে একটা পোষ্টও দিব।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৬
জুন বলেছেন: আমিও অপেক্ষায় রইলাম আপনার পোষ্টটি দেখার জন্য রাজীব নুর। খুব শীঘ্রই আসবেন আশা করছি
আরেকবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
২০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫
নীলপরি বলেছেন: যেন টাইম মেশিনে চড়ে ইতিহাস থেকে ঘুরে আসা । অনেক কিছু জানলাম আপনার পোষ্ট থেকে ।
++
শুভকামনা
২০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬
জুন বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ নীলপরি ।
সব সময় লেখার সাথে থেকে উৎসাহিত করেন এটা আমার কাছে খুবই প্রিয়
২১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নাম নেই মনে হয়। ছোট লেক বলেছেন যেহেতু।
নয় নম্বর ছবি।
২১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫
জুন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল সেলিম আনোয়ার । মনে হয় আসল দৃশ্যের সাথে মিল রাখার জন্যই লেকগুলো সেখানেই তৈরী করেছিলেন মিঃ লেক ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন , সাথে সকালের শুভেচ্ছা ।
২২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সানফেত প্রাসাত পোড়ানোর প্রতিশোধ স্বরুপ থাইল্যান্ডের উচিত বার্মার ভালো কিছু একটা পোড়ায়ে দেওয়া। এই বর্মী অসভ্যগুলার একটা শিক্ষা হওয়া খুব জরুরী।
আপনার ছবি, বর্ণনা সবই যদিও দারুন লাগলো, তবু আমি এখানে কোনদিনই যাবো না। যতো সুন্দরই হোক, নকল কোনকিছু আমার ভালো লাগে না।
আমি নিজে ভুয়া হলেও দেখার ক্ষেত্রে জেনুইনে বিশ্বাসী।
২১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১০
জুন বলেছেন: অনেক দেরী হয়ে গেল মন্তব্যের উত্তর দিতে তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি । ভয়ংকর ধীর গতিতে এই কয়দিন নেট চল্লো । গতকাল ঠিক করে দিয়ে গেল জানি না কতদিন ঠিক থাকবে
থাইল্যান্ড যদি তাই করে তাহলেতো তারা সেই বর্মীদের পর্যায়েই চলে গেল । থাইরা তো অধিকাংশই দারুন বিনীত, প্রতিটি কথার আগে পিছে খাপুন খা অর্থাৎ ধন্যবাদ ছাড়া কথা বলার কথা তারা চিন্তাই করতে পারে না ।
আপনে যাইবেন এখানে এইটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস , কারন সানফেট প্রাসাত থর্ন হলের কোন অস্ত্বিতই নেই আয়ুথিয়ায় । এটিকে মিঃ লেক কি ভাবে পুননির্মান করেছেন তা সত্যিই অবিশাস্য, আকৃতিতে প্রায় একই সমান । বিদেশে যেমন মিনিয়েচার অমুক তমুক তেমনটি নয় এখানে। ছবি দিলাম বর্মীদের ধ্বংস করা আয়ুথিয়ার এই রূপ এখনো তেমনি রক্ষিত । আর এখানে থাইল্যান্ডের যত প্রদেশের যত সৌধের ছবি আছে তার অধিকাংশই আমি সশরীরে দেখে এসেছি
আমার সকল লেখায় সাথে সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ভুয়া
২৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপু, পোস্ট আবার পড়ে মন্তব্য করব। ছবিগুলি ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ।
২১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৩
জুন বলেছেন: নীল আকাশ,
আপনি প্রথম মন্তব্য করে দ্বিতীয় মন্তব্যও করে ফেলেছেন কিন্ত অনিবার্য্য কারনে আমার উত্তর দিতে দেরী হলো বলে আন্তরিক দুঃখিত আমি । অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
২৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯
ইসিয়াক বলেছেন: মন মোর মেঘের ছন্দে
উড়ে চলে দিক দিগন্তের পানে..।
অনেক ভালো লেগেছে+++্
ধন্যবাদ
২১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৪
জুন বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের এই গান হেমন্তের গলায় অপুর্ব । আমার অনেক প্রিয় একটি গান ইসিয়াক ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
২৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লেগেছে আপনার ভ্রমন পোস্ট।বহু বছর আগে একবার গিয়েছিলাম ব্যংককে। টুরিস্ট গাইড নিয়ে গিয়েছিল এক রাজপ্রাসাদ দেখাতে। ছয় নম্বর ছবিটার মত ছিল দেখতে সেই প্রাসাদ। থাইল্যন্ডে আমার সব কিছু খুবই সস্তা বলে মনে হয়েছে। ভ্রমনের জন্য এই কারনে আদর্শ একটি দেশ। প্রাকৃতিক দৃষ্যও খুব সুন্দর।খাবার দাবারও সুস্বাদু। বিশেষ করে সেখনাকার স্টিকি রাইস এর সাথে মেংগো ডেজার্ট এর কথা ভুলব না।
২১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান বিস্তারিত মন্তব্যটির জন্য । আমার মনে হয় আপনার গাইড বর্তমান থাই রাজাদের বাসগৃহ বিখ্যাত রয়েল প্যালেস যেখানে দুসিত মাহাপ্রাসাত, ওয়াট ফ্রা খিউ ছাড়াও আরো অনেক কিছু আছে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল । দেখেন তো এটাই সেই জায়গা কি না ?
খাবার সস্তা, মানও ভালো আর সবচেয়ে বড় কথা আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো ।
আম দিয়ে মাখা ভাত ওখানে একটি প্রিয় খাবার । আইস্ক্রিম এর সাথে আম এটাও দারুন মজার ।
শুভকামনা রইলো অনেক ।
২৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্টগুলো কখন দৃষ্টির সীমানার বাইরে জায়গা বুঝি না
সুন্দর পোস্ট আপি
২১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭
জুন বলেছেন: আমারও একই অবস্থা কাজী ফাতেমা
লগ দেখায় কিন্ত কিছু লিখে প্রকাশ বাটনে চাপ দিলে বলে আপনাকে লগ করতে হবে
পোস্টটি সুন্দর লাগার জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো ।
অনেক ভালো থাকুন
২৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২
নজসু বলেছেন:
আপা, তোমার পোষ্ট মানে দূর্দান্ত এক জানার দরজা।
মায়নাকের ঐ পোষ্টটার পর এই পোষ্টটাও আমার জানার পরিধিকে সমৃদ্ধ করলো।
ছবিগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সময় নিয়ে দেখলাম আর আফসোস বাড়িয়ে তুললাম।
যে কেউ মনোযোগ দিয়ে ছবিগুলো দেখলে তার মন ওখানে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠবে।
ঐতিহ্যময় মন্দিরখানা দেখে আমারও মনটা কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে।
অশুভ আত্মাদের মাঝে ক্ষমার দেবীকে পেয়ে পুলকিত হয়েছি।
পদ্মকুঁড়ি সেতু আমার মন কেড়েছে।
৭০০ বাথ বাংলাদেশি টাকায় কত হবে?
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫৫
জুন বলেছেন: নজসু ,
এত সুন্দর একটি মন্তব্য পেয়ে আমি আপ্লুত । তেমন কিছু আমি লিখি না , মোটামুটি সহজ সরল ভাবে লিখতে চেষ্টা করি জানি পড়তে গিয়ে কেউ বিরক্ত না হয় । আপনার মন্তব্য দেখে মনে হলো আপনি দারুন এক মনযোগী পাঠক, সব কিছু খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেছেন আর পড়েছেন ।
আমি শুনেছি আমাদের টাকা আর ওদের বাথ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পর সমান ছিল, এমন কি টাকা কিছুটা স্ট্রং ছিল। এখন এক বাথ সমান আড়াই টাকা । অর্থাৎ ৭০০ বাথ ১৭৫০ টাকা বিডি ।
শুভকামনা রইলো আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের জন্য ।
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরীর জন্য অবশ্যই আমি অনেক দুঃখিত ।
২৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮
ওমেরা বলেছেন: জী আপু জানি , আলহামদুল্লিলাহ! মলাসইলমুইনা ভাইয়া ( আমার ভাপু ) ভালো আছে তবে উনি অনেক ব্যাস্ত তাই ব্লগে আস্তে পারছে না তবে মাঝে মাঝে অন লাইনে আপনাদের লিখা পড়ে।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:০২
জুন বলেছেন: প্রিয় ওমেরা আপনার ভাপু আমাদের প্রিয় সহব্লগার অমায়িক এবং অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ মলাসইলমুনা ব্লগে আসতে না পারলেও ভালো আছেন শুনে খুব ভালোলাগলো। তার প্রতি রইলো আমার অশেষ শুভকামনা।
আপনিও ভালো থাকুন অনেক অনেক
২৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো পোষ্টটাকে আরো প্রানবন্ত করেছে।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:০৪
জুন বলেছেন: আরেকবার আসার জন্য, এবং আপনার মত ফটোগ্রাফারের কাছে ছবিগুলো ভালোলেগেছে জেনে খুব খুশী হয়েছি । আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর ।
৩০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
আরোগ্য বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ। আপু আপনাদের ফটোগ্রাফির হাত বেশ পাকা।
আনন্দ মাছের হা দেখে আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:০৭
জুন বলেছেন: আনন্দ মাছের হা দেখে আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
সামনা সামনি দেখলে আরো ভয় পেতেন আরোগ্য
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে
৩১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি দুঃখিত,আপনার আর্জেন্টিনীয় উপকথার পরের পোস্টগুলি আমি মিস করেছি। নজরে এলনা কেন বুঝতেছিনা। আমি ভাবছিলাম আপনি আর পোস্টই দেননি।
শুভ কামনা জানবেন।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১০
জুন বলেছেন: দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই গিয়াস লিটন । আমিওতো কত লেখায় ইদানীং যেতে পারি না সামু + নেটের সমস্যার জন্য । লগ ইন দেখায় কিন্ত মন্তব্য লিখে পাবলিশে চাপ দিলে বলে আপনাকে লগ করতে হবে এটা কতক্ষন সহ্য হয় বলেন ?
আমার শুভ কামনা আপনার জন্য সবসময়
৩২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিশ্বের সর্ববৃহত এই উন্মোক্ত যাদু ঘরটির সুন্দর ছবিগুলি থাইল্যন্ডের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলিকে একসাথে অল্প সময়ে দেখা ও জনার দরজা খোলা দেয়। ফাইন আর্টস এবং কারিগরি, কাঠামোর বিন্যাস এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সমন্বয়কারী স্থাপত্যের প্রতীকগুলি বিস্তৃত পরিসর সহকারে একত্রিত করে, প্রাচীন সিয়াম শহরটিতে এমন ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যা আমাদের মত দর্শকদেরকে সেখানকার ইতিহাস, সংস্কৃতি, ধর্ম, শিল্প ও প্রথার ধারাবাহিকতা অনুধাবন করতে এবং সেগুলিকে প্রশংসা করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
শুধু এক দিনের বিশেষ করে সাত ঘন্টার বৃত্তাকার একটি যাত্রায় (যদিও ঘন্টায় ৭০০ বাথ লাগে ) প্রাচীন শহরটিতে পর্যটনে গেলে থাইল্যান্ডের একটি পরিপুর্ণ দর্শনই (দেখা এবং জানা)হয়ে যায় জেনে ভাল লাগল । আপনার ব্লগে বিচরণ করে মনে হল যেন আমরাও সাথে ছিলাম । বিচরণকালে মনে হল লেআউটগুলিতে ঐতিহ্যগত থাই লাইফস্টাইলগুলির প্যাটার্নকেই সংরক্ষণ করা হয়েছে , যা আজকাল দেখা খুব কঠীন ।এর নির্মাতার প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
সিয়াম এর মধ্যে থাকা শিল্প শৈলীগুলিও মনোমুগ্ধকর । ছবিগুলি দেখে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে এগুলি থাইল্যান্ডের সাংস্কৃতিক বিষয়াবলী ও শিল্পকর্ম সংগ্রহের একটি বিরাট উৎস হিসাবে পর্যটকদের কাছে পরিগনিত । এই উন্মোক্ত যাদুঘরটি যেন থাইল্যন্ডের বিভিন্ন সময়ের শিল্প ও জাতিগত সাংস্কৃতিক চাষের একটি প্রতিনিধিত্বকারী শিল্প সুষমার অনন্য সমারোহ । সেখানকার বিভিন্ন সময়কালীন সাম্রাজ্য , রাজ্য ও ডাইনেস্টির কারুকার্যময় টেম্পলগুলির ছবি দৃশ্যে অভিভুত না হয়ে পারা যায় না, বিস্ময়ে অভিভুত হতে হয় একথা ভেবে যে সে সময়ে কিভাবে থাই সংস্কৃতি ও জাতিগত ঐতিহ্যের উত্থান ঘটেছিল এবং বিবদমান সম্প্রদায়ের পতন ছাড়াই আর একটি সম্প্রদায়ের/ডাইনেস্টির বিস্ময়কর উত্থান সেখানে ঘটতে পেরেছিল। বিশ্বের সর্ব বৃহত এই উন্মোক্ত যদাদুঘর হতে আরো প্রতিয়মান হয় যে প্রতিটি সম্প্রদায় কিভাবে নীজ নীজ ফ্রেমের মধ্যে থেকেই তাদের সভ্যতার বিকাশ করেছে, তাদের ঐতিহ্যের শিকরটি সে সময়ে কত শক্তিশালী এবং কত সমৃদ্ধ ছিল সে কথা ভাবতে গেলেও অবাক লাগে । এই উন্মোক্ত যাদুঘরটি যেন থাইল্যন্ডের ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকেই তুলে ধরেছে । একটি ডাইনেস্টির পতন সন্ধিক্ষেনই আর একটি ডাইনেস্টি বিকাশ লাভ করেছে ।
মাত্র ২৬০ একরের একটি স্বল্প পরিসরে পুরা থাইল্যন্ডের আদলে গড়ে তোলা এই উন্মোক্ত যাদুঘরে ( এনসিয়েন্ট সিয়াম ) অতি সুন্দরভাবে নির্মান করা হয়েছে বলেই মনে হল। ঐতিহাসিক যুগের স্থাপনাগুলি স্বতন্ত্রভাবে প্রায় হুবহু একইরূপ কিংবা খুব কাছাকাছি রেপ্লিকা হিসাবে তৈরী করা হয়েছে যা রীতিমত বিস্ময়কর । পূর্ববর্তী ঐতিহাসিক যুগের স্থাপত্যকর্ম যথা ডিভরাটি, শ্রীভাইচাই, লোপবুরি, লান্না, লান চ্যাং, সুখোতাই, উ-তন, আয়ুয়া, তোনবুরি এবং রাত্তানকোসিনের সাথে সামঞ্জস্যতা প্রকাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে অতি নিখুতভাবেই ।
বিশ্ব যদি কেবল একটি থিয়েটার হয় তবে উন্মোক্ত যাদুঘরটি ( প্রাচীন সিয়েম) একটি প্রতিকি দেশ হিসাবে তাতে থাকা অতীত কালের মনোরম স্থাপত্য কর্মগুলিকে আমাদের কল্পনার চোখ থেকে বাস্তবের চোখে তুলে ধরছে । আপনার ক্যমেরার সৃজনশীলতা আমাদের কল্পনারও অতীত বিষয়গুলিকে বাস্তবে রূপ দিতে দারুনভাবে সহায়তা করেছে । উন্মোক্ত যাদুঘরে থাকা ঐতিহ্যময় স্থাপনাগুলীর ফটোগুলিকে এমন চমৎকারভাবেই আমাদের সামনে কথা ও ছবিতে উপস্থাপন করেছেন যে, তা যে কারো স্বপ্ন ও কল্পনাকে বাস্তবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতেই যেন সহায়তা করছে ।
শুধু কি তাই এখানে থাকা কিছু স্থাপত্যকর্মের দৃশ্যমালা যথা সুমেরু স্বর্গপুরী আমার নীজের স্মৃতিকে ইন্দোনেশিয়ার স্বর্গপুরীর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের কথা মনে করে দিয়েছে , যেখানে লিগেন্ড রয়েছে যে আদিকালে পৃথিবী সৃস্টির ৭০ দিনের মাথায় ইন্দোনেশিয়ার বালি এলাকায় ঘন ঘন ভুকম্পন হতো , তাই পৃথবীকে ভুমিকম্পের হাত হতে রক্ষার জন্য সেখানকার সুমেরু পর্বতে থাকা দেবী সৃষ্টি কর্তার কৃপা প্রার্থনা করেছিলেন । পরের তারি স্মরনার্থে ইন্দোনেশিয়ায় সুমেরু পিক টেম্পল নির্মীত হয় , সেটার অনুসরনেই হয়তবা এই সিয়াম নগরের স্বর্গপুরী মন্দিরটি নির্মিত হতে পারে । এই স্বর্গপুরী মন্দিরটির কথা ভাবতে গিয়ে আবার গ্রীক মাইথলজির সেই বিখ্যাত টেম্পল অফ হেভেনের কাল্পনিক চিত্রের কথাও মানসপটে ভেসে আসে । আমার মনে হয় এটা যদি থাইল্যাল্ডের এই উন্মোক্ত যাদুঘরের নির্মাতার মানসপটে জাগিয়ে দেয়া যেতো তাহলে হয়তবা আমরা তার কল্যানে সেটার একটি বাস্তব চিত্রই দেখতে পেতাম ।
গ্রীক মিথলজির স্বর্গপুরীর ছবি ।
পোষ্টটি পুর্বেই প্রিয়তে গেছে । এখন শুভকামনা রইল ।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১৮
জুন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ডঃ এম এ আলী ভাই,
আমি ভাবছি এরপর থেকে যা কিছু লিখবো তার আগেই আপনাকে বিষয়টি জানাবো , তারপর আপনি যা লিখবেন তাতে যদি কোন আদৌ কোন ফাক-ফোকর থেকে তবে সেখানে কিছু কিছু লিখে ভর্তি করে দেবো
সত্যি আপনার জানার কোন তুলনা হয় না । আমার অনেক না বলা কথা আপনি মন্তব্যের মাধ্যমে বলে দেন তার জন্য কৃতজ্ঞ আমি । এমনভাবে সকল লেখায় সাথে সাথে থাকবেন এটুকু প্রত্যাশা আমার আপনার কাছে রইলো ।
আর সুমেরু পর্বতের যে ছবিটা দিয়েছেন তা সত্যি অনাবদ্য ।
শুধু এক দিনের বিশেষ করে সাত ঘন্টার বৃত্তাকার একটি যাত্রায় (যদিও ঘন্টায় ৭০০ বাথ লাগে ) প্রতি ঘন্টায় ৭০০ বাথ না । মাথা পিছু প্রবেশ ফি ৭০০ বাথ আমাদের টাকায় প্রায় ১৭৫০ টাকা । প্রতি ঘন্টা হলেতো মারা যেতাম
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনি ও আপনার পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য । ভালো থাকুন ।
৩৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: কোন কিছু বলে এত সুন্দর পোস্টের মান নষ্ট ক ম্রব না। আমি সোজা প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। এখানে আসলে আমি অবশ্যই এটা ঘুরে যাব। থাইল্যান্ডে ঘুরাঘুরি করার প্ল্যান করার জন্য আর কিছু দরকার নেই। আপনার কয়েক্টা পোস্ট প্রিন্ট করে নিলেই হবে।
এত সুন্দর করে ভ্রমন কাহিনী লিখেন কিভাবে! ঈর্ষা ঈর্ষা ঈর্ষা!
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২১
জুন বলেছেন: পোষ্টটি দেখা, মন্তব্য করা, ভালোলাগা দেয়া তার উপর প্রিয়তে নেয়া আমাকে চির কৃতজ্ঞ করে রাখলেন নীল আকাশ । আমি জানিনা আমার লেখা তেমন স্তরে পৌছায় কি না , তবে আমার চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকে না সহজ প্রাঞ্জল ভাষায় লিখে আপনাদের হাতে পৌছে দিতে । দেরী হয়ে গেল উত্তর দিতে তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি । ভালো থাকবেন শুভেচ্ছা রইলো ।
৩৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৬
রাকু হাসান বলেছেন:
দুর্দান্ত পোস্ট । পূর্ণাঙ্গ। মৌলিক ভ্রমণ ব্লগ ।
ইতিহাস, ঐতিহ্য,স্থাপত্য সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ দেশ ,শ্যাম দেশ সর্ম্পকে সবচেয়ে তথ্য জেনেছি আপনার পোস্ট থেকে । প্রত্যেকটি পোস্টই ইউনিক । প্রিয়তে রাখার মতোই পোস্ট । রাখলামও । আবারও মুগ্ধতা পেয়েছি । ধন্যবাদ সুন্দর সাবলীল উপস্থাপনা ও ছবিতে সুন্দর পোস্ট করার জন্য ।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৪
জুন বলেছেন: রাকু হাসান আপনার এত সুন্দর এবং প্রশংসাপুর্ন মন্তব্যে আমি সত্যি আভিভুত ।
পড়া, মন্তব্য করা , ভালোলাগা সেই সাথে প্রিয়তে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
লেখার সাথে সবসময় থাকার জন্য আরেকদফা ধন্যবাদ ।
শুভকামনা সতত ।
৩৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯
মা.হাসান বলেছেন: বড় কাজের পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম।
মায়ে নাকের পোস্ট এবং এই পোস্ট দুজায়গায়ই দেখলাম গাইডের কথা উল্লেখ করেছেন। অনেক মিউজিয়ামে অডিও রেকর্ডিং ভাড়া পাওয়া যায়, গাইডের বিকল্প , এখানে কি এরকম নেই? গাইড কি ৭০০ বাথের বাইরে? আমার মতো যারা 'কিরপিন' তাদের জন্য টোটকা কিছু আছে? গাইডের জন্য কি আলাদা গাড়ি ভাড়া করতে হয়? নাকি এক গাড়িতে দুজন বসা যায়?
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩০
জুন বলেছেন: থাইল্যান্ডের ভ্রমনে গাইড নিয়ে গেলে একটু সুবিধা হয় মা হাসান । ভাষাগত সমস্যা এর প্রধান কারন । অডিও রেকর্ডিং ভাড়া পাওয়া যায় এটা সত্যি । তবে এর অভিজ্ঞতা আমার কাছে ভালো না । প্রথম হলো সেদিকে কনসেনট্রেট করে থাকতে হয় । য়ামি চোখ আর কান একসাথে ব্যবহার করতে পারি না দ্বিতীয়ত হলো আপনার মনে যদি কোন প্রশ্ন আসে তবে আপনি তার কাছে কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারবে না
সুন্দর সাথে আন্তরিক এক মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো। প্রিয়তে রাখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভকামনা রইলো
৩৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুণ আপু !!!
শব্দে শব্দে আর ছবির উপস্থাপনায় তোমার চোখে মিনি থাইল্যান্ড দেখলাম।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫
জুন বলেছেন: অল্প কথায় এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ মনিরা । অনেকদিন পর তোমাকে ব্লগে দেখে খুব খুব ভালোলাগছে । ব্লগের এই অবস্থায় লগ হওয়া যে কি কষ্টের সেটা বলাই বাহুল্য । অনেক ভালো থেকো । আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো ।
৩৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
++++
২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪১
জুন বলেছেন: ফয়সাল রকি
বহুদিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালোলাগলো । ভালো ছিলেন তো ?
৩৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার এই ঘুরে ঘুরে ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখার বিষয়টি আমার বেশ ভালো লাগে। আমিও প্রাচীন এই নিদর্শনগুলোর প্রতি অনেকটাই দুর্বল। অনেকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো পছন্দ করে না, এর পেছনের ইতিহাস না জানার কারণে। অথচ প্রতিটি স্থাপনা বা জায়গার পেছনে কত-না ইতিহাস, স্মৃতি। লুক্সরের 'কারনাক টেম্পল' দেখে বলে 'এগুলো তো ভাঙা পিলার'।
কম্বোডিয়ার এংকরভাট টেম্পল ও ইন্দোনেশিয়ার বরোবুদুর টেম্পল দেখার খুব ইচ্ছে। অথচ কাছের লোকদের এগুলো দেখার কোনো ইচ্ছে নেই। চিন্তা করছি, সলো ট্রাভেলার হয়েই একদিন ছুট দিব। হা হা।
সুন্দর এই পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর জুনাপা।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭
জুন বলেছেন: অনেকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো পছন্দ করে না, এর পেছনের ইতিহাস না জানার কারণে। অথচ প্রতিটি স্থাপনা বা জায়গার পেছনে কত-না ইতিহাস, স্মৃতি। লুক্সরের 'কারনাক টেম্পল' দেখে বলে 'এগুলো তো ভাঙা পিলার'।
আপনার কথার সাথে কথা মিলিয়ে বলি আমাদের পরিচিত দুজন রোম সিটি ট্যুরে গিয়েছিলেন । আপনিতো ভালোই জানেন পুরো রোমের মাটির উপর থেকে নীচের পুরো শহরটি রোমান সভ্যতার এক জ্বলন্ত নিদর্শন । তো আমাদের পরিচিত দুজন কলোসিও গিয়ে বাস থেকে নেমে চলে এসেছে এত ভাঙ্গাস এন্ড চুরাস দেখে
বরবদুরে আমারো যাবার অনেক ইচ্ছে বহুদিন ধরেই । আমার আবার একটু সুবিধা আছে এই যে আমার কাছের লোকেরও এসব পছন্দের । নইলে আমারো মনে হয় আপনার মতই একাকী ছুটতে হতো
অনেক অনেক ভালোলাগলো বহুদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখে আখেনাটেন । আমিতো ভাবলাম আমার না জানা কোন কারনে রাগ করলেন কি না ?
ভালো থাকুন অনেক সাথে শুভকামনাও রইলো ।
৩৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১২
মুরশীদ বলেছেন: দ্বিতীয়বার দেখা হলো , সাথে ভালোলাগা রইলো
++++++
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৩
জুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৪০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: সময় নিয়ে এই পোস্টে আবার আসবো জুন। এখন মন কিছুটা বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
জুন বলেছেন: করুনাধারা বেশ কিছুদিন হলো ব্লগে আপনাকে না দেখে কেমন যেন চিন্তা হচ্ছিলো। মন ভালো করে আবার ফিরে আসুন আমাদের ব্লগ বাড়ীতে, আমি আপনার আসার আশায় থাকলাম ।
শুভকামনা সবসময়ের জন্য ।
৪১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫
শোভন শামস বলেছেন: সুন্দর।
শুভ কামনা।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬
জুন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ শোভন শামস শুভকামনা আপনার জন্যও
দেরীতে জবাব দিতে হলো বলে খুবই দুঃখিত ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছবি তোলার আগে নিষেধ বুঝেন নি ঠিকাছে তারপরও ছবি পোস্ট করা নিষেধ নয়। আর হ্রদের নাম টি কি জানতে ইচ্ছে করছে। কি সরোবর ।
সুন্দর।+