নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাকিবের জীবনেরএকটি অণু গল্প

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩



মানুষের জীবনটা ছোটো হলেও যে কয়টি পর্বে বিভক্ত তার প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা ভাবে দেখলে অনেক লম্বাই মনে হয়। অন্তত এই মুহুর্তে তেমনটিই মনে করছে রাকিব। এটা তার ছোটো নাম, পুরোটা রাকিবুল হাসান। শৈশব, কৈশোর, যৌবন, প্রথম কর্মজীবন,বিয়ে,তারপর..., তার পর করতে করতে এক সময় তার আর পর নেই। এই সব নানান বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে পার্কের সরু রাস্তা ধরে প্রতিদিনের মত মর্নিং-ওয়াক করতে করতে চিন্তার গভীরে হারিয়ে যাচ্ছিল সে। আজ মনটা তার খুব বিষণ্ণ। গতরাতে ছেলের সাথে একটু, নাহ একটু না ভালই রাগারাগী হয়েছে।নিজেকে খুব অপমানিত বোধ করছে, বিশেষ করে ড্রাইভারের সামনে উঁচুস্বরে সরাসরি কথার প্রত্যাখান, যা চরম বেয়াদবি বলেই রাকিবের কাছে মনে হয়। আর এটা আজই প্রথম নয়। ছেলের বয়সটা যদি টিন-এজ হতো এতটা লাগতো না। কিন্ত সেতো বিবাহিত যুবক। দেশের কর্মসংস্থান পরিস্থিতির শিকার। তার উপর হয়ত খুব স্ট্রেসে আছে। রাকিব মনটাকে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করতে করতে তার নিজের এই বয়সের কথাগুলো স্মৃতি থেকে টেনে আনতে চেষ্টা চালালো। “নাহ, আমি তো ওই বয়সে ছেলের চেয়ে বেশিই করেছিলাম! ”হটাৎ তার বাবার কথা মনে আসতেই চোখটা ভিজে গেল। অনেক কঠোর ব্যবহার করেছে রাকিব তার বাবার সাথে। তখন চিন্তা করার সুযোগ হয়নাই কিংবা তার বাবার কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা দেখারও সময় ছিল না। এখন স্মৃতির পাতায় যেন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে তার বাবার অসহায়,অন্ধকার গ্লানি মাখানো মুখটা। ঠিক কল্পনা করতে পারছে তার বাবা তখন কি ভাবতো, কি করত। পাশে বসে মায়ের বলা রুটিন সান্ত্বনা বাক্যগুলো শুনে যেত যেমনটি রাকিবের স্ত্রী এখন করে। কিন্তু স্মৃতির কোথাও পেলোনা তার বাবা তাকে কঠিন ভাষা প্রয়োগ করে তিরস্কার করেছে। শুধু মনে আসছে তার কথাগুলো শুনে একদম চুপ থেকে আস্তে করে মাথাটা নিচু করে ফেলেছে। তার পরবর্তী অবস্থা রাকিবের দেখার সুযোগ কখনো হয় নাই কারণ ততক্ষণে সে স্থান ত্যাগ করত। রাকিবের ভেজা চোখ আরো খানিক্ টা ভিজে উঠল।
ভাবতে ভাবতে তার মনেই নেই প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে সে হাটছে। হাটার কথা ৪৫ মিনিট। রাকিবের চিন্তায় ছিল ছেলেকে কঠিন ভাষায় কিছু বলবে। বাসায় ফিরতে ফিরতে ভাবলো, ছেলের এই ব্যবহার তো তার প্রাপ্য।

ছবি সুত্র নেট ।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মা একজন যোদ্ধা এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে যোদ্ধা হচ্ছেন বাবা আর মা হচ্ছেন তাঁর পথ চলার সঙ্গি।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

জুন বলেছেন: কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে যোদ্ধা হচ্ছেন বাবা আর মা হচ্ছেন তাঁর পথ চলার সঙ্গি।
এরপর আর কিছুর বলার থাকে না ঠাকুর মাহমুদ । তবে অনেক সময় পিতৃহীন সন্তানদের মা রাও কিন্ত অনেক যুদ্ধ করে এগিয়ে চলে ।
মন্তব্যে একরাশ ভালোলাগা রইলো ।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
এমন একটি অনুগল্প পড়লাম , যেখানে বাস্তবিক এবং জীবনের এই প্রাপ্তির হিসাব-নিকাশের এই ধারাবাহিকতা অনুধাবনসহ প্রকাশ করেছেন অতি অল্প কথায় । দুঃখের আবেশেঅনুভবের
এই অনুগল্পে এটি একটি শিক্ষনীয় মেসেজ ।
অনেক ধন্যবাদ ও ভালো থাকুন ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

জুন বলেছেন: মুক্তা নীল
আপনার মন্তব্য পড়ে বোঝা যায় গল্পের বিষয়টি আপনাকে নাড়া দিয়ে গেছে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়া ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: এর নামই জীবন

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

জুন বলেছেন: ঠিক ঠিক ঠিক ঢাবিয়ান ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জুন আপা, পিতৃহীন সন্তানদের মা হচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখি যোদ্ধা।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

জুন বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ
সিঙ্গেল মা শুধু পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে দুঃখি যোদ্ধাই নন সাহসী যোদ্ধাও বটে , বিশ্বাস না হয় আরেকবার অনেক দিন পেছনে ফেলে আসা বই পার্ল এস বাকের মাদার বইটিতে একবার চট করে চোখ বুলিয়ে নিন ।

অনেক অনেক ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন সেই প্রত্যাশায় :)

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৭

মা.হাসান বলেছেন: সময় গেলে সাধন হবে না ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জুন বলেছেন: সময় গেলে সাধন হবে না এটাতো নিদারুন সত্য মা.হাসান ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ।

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

শেহজাদী১৯ বলেছেন: এই জীবন চক্র চক্রাকারে চলতেই থাকে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

জুন বলেছেন:

আপনি যথার্থই বলেছেন শেহজাদী ১৯ , ঠিক এই ছবিটির মতন :)
স্বাগতম আমার ব্লগে ___________

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,



জীবনে যেমন পর্ব থাকে তেমনি প্রজন্মে প্রজন্মেও থাকে তারই ধারাবাহিকতা। গল্পে সেটিই উঠে এসেছে। মনে হয়, এমন নিভৃত কিছু মনস্তাত্তিক অনুভব আমাদের প্রায় প্রত্যেকের জীবনেই হয়তো আছে। জীবনের এক পর্বে ঘটে যাওয়া কিছু দৃশ্য জীবনের আর এক পর্বে পূনরাভিনীত হয়। এরই নাম জীবন-সংসার।

রাকিবের উপলব্দিটুকু যথার্থ। বর্তমান সময়ের যন্ত্রনাদায়ক সংকট যে রাকিবের আরেক জীবন পর্বের পূনরাবৃত্তি তা আর একটু সুন্দর করে গুছিয়ে সাজানো যেত। তবুও ছোট্টর ভেতরে জীবনের নিদারুন এক সত্যকে যে ফুটিয়ে তুলেছেন তাকে প্রশংসা করতেই হয়।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১

জুন বলেছেন: আপনার মতন পাঠক খুব কমই আছে আমার ধারনা আহমেদ জী এস । এত টুকু ছোট গল্প থেকেও গভীর ভাব তুলে এনেছেন মন্তব্যে । এজন্যই ব্লগে আমরা সবাই আপনার মন্তব্যের প্রত্যাশায় থাকি । অনেক অনেক ভালো থাকবেন আর সাথে থাকবেন :)

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৫

সোহানী বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল................

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

জুন বলেছেন: অনেকদিন পর সোহানী আপনাকে দেখলাম । কিসের ভেতর যে আছি ভাবলেই আর কিছুই ভালোলাগে না । দোয়া করবেন আমাদের জন্য ।

৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

বলেছেন: জানাপু আফুউ,

এটা কি যেমন কর্ম তেমন ফল ---

মানুষকে তার অতীতকে নিয়ে ভাবলে জীবন অনেক সুন্দর হয়ে যাবে।।


দারুণ মেসেজ দিলেন।।। +++

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

জুন বলেছেন: জানাপু আফুউ, :-* B:-)
মন্তব্যের প্রথমেই এইরাম মিসটেক ল !!
আমিতো জুন, জুনাপু :``>>

যেমন কর্ম তেমন ফল কথাটিতে আমি বিশ্বাসী নই ভাই । তাহলে তো বলতে হয় রাকিব সাহেবের বাবাও তার বাবার সাথে এমন ব্যবহার করেছে সুতরাং রাকিব সাহেবের বাবার জন্য দুঃখ করার কিছু নেই তাই না????
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন :)

১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: দারুণ

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য দীপংকর বেরা ।

১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যোদ্ধা হচ্ছেন একজন মা।
যাই হোক, গল্প সুন্দর হয়েছে।
আমার ছোট ভাই এর নাম রাকীব।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৬

জুন বলেছেন: আমার ছোট ভাই এর নাম রাকীব। রাজীব আর রাকিব বেশ মিলিয়ে নাম রেখেছে আপনার বাবা মা ।
মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১২

আখেনাটেন বলেছেন: জীবনের কঠিন বাস্তবতা। আমরা যৌবনে এগুলো থোড়াই কেয়ার করি। যখন নিজের সামনে উপস্থিত হয় দানব, তখন আর কিছু করার থাকে না।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:১৭

জুন বলেছেন: আমরা যৌবনে এগুলো থোড়াই কেয়ার করি। যখন নিজের সামনে উপস্থিত হয় দানব, তখন আর কিছু করার থাকে না।
কঠিন বাস্তব আখেনাটেন । অনেক দিন পর আপনার দেখা পেলাম ব্লগে । আশাকরি ভালোই আছেন । ভালো থাকুন সবসময় ।

১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০৬

করুণাধারা বলেছেন: কর্মফল... একদিন না একদিন নিজের কাজের ফল ভোগ করতেই হয়।

আজকাল প্যারেন্টিং নিয়ে খুব ভাবছি। আদর-যত্নে গড়ে তোলা সন্তানেরা কি করে বড় হয়ে অমানবিক, অমানুষ হয়ে যেতে পারে!!!

অনুগল্পে +

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২১

জুন বলেছেন: করুণাধারা কর্মফলই যদি হয় তবে আর রাকিব সাহেবের বাবাকে নিয়ে দুঃখ করছি কেন ? সেও নিশ্চয় তার বাবার সাথে এমনটিই করেছে । নাহলে তার ছেলে রাকিব সাহেব তার সাথে এমন ব্যবহার করবে কেন ? আমার মনে হয় এর জন্য সমাজ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা দায়ী । অবশ আমার ধারনা সত্যি নাও হতে পারে ।
দেরী করে উত্তরের জন্য অত্যন্ত দুঃখিত আমি । ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশায় ।

১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৩

ঢাকার লোক বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন! আমাদের বাবারা যে সঠিক ছিলেন আমরা ততদিন বুঝতে পারিনা যতদিনে না আমাদের ছেলেরা বলে আমরা ভুল !

কবির কথায়,
We call our fathers fool, so wise we grow
Our wiser sons will, no doubt, think us so!

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

জুন বলেছেন: আমাদের বাবারা যে সঠিক ছিলেন আমরা ততদিন বুঝতে পারিনা যতদিনে না আমাদের ছেলেরা বলে আমরা ভুল !
এরপর আর কথা থাকেনা ঢাকার লোক । আর কবিতাটির দুটি ছত্রে নিষ্ঠুর সত্যকেই তুলে ধরেছে ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে । সাথেই থাকুন এই প্রত্যাশায় ।

১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৪৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: প্রকৃতি সব হিসেব বুজিয়ে দিলেও আমরা বুজি না।

কর্মফল দুনিয়াতেই ভুগতে হয়।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

জুন বলেছেন: কর্মফল দুনিয়াতেই ভুগতে হয়। :(
মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ , ধন্যবাদ সব সময় সাথে থাকার জন্য জুনায়েদ বি রাহমান ।

১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:০৫

ওমেরা বলেছেন: আমার আম্মুর কাছে একটা একটা গল্প শুনে ছিলাম , সেটা ছিল বউ, শাশুরীর । যে যেমন কর্ম করবে তেমনই রিটার্ন পাবে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

জুন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালোলাগলো ওমেরা । কেমন আছেন ? অনেকদিন লেখালেখিতে নেই । ফিরে আসুন জলদি জলদি :)

১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছোট্ট গল্পে বিরাট ম্যােসজ!

এটাকে কি বাবার ব্যার্থতা বলবো? না সন্তানের ধারনে অক্ষমতা!
অথবা ইতিহাসের পুনরাবর্তন চক্র!

সু সন্তান বানাতে পারলেতো এমন হবার কথা নয়?
স্বার্থ, লোভ, মোহ কিসের নেশায় করবে? জ্ঞান যদি হয় পূর্ন।
পিতার প্রি থাকবে আনুগত্য!
কিন্তু আমরা অনেক সময় আহলাদে বা অতি ভালবাসায় ছোট্ট কালে কিছূ কিছূ বিষবীজ বপন করি
যা বড় হয়ে বুঝি অমন রুপ নেয়!

অথবা কেবলই নিয়তি!!!???

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

জুন বলেছেন: ভৃগু আপনিতো সবটাই বলে দিয়েছেন এই ছোট গল্পের ভেতর কি আছে :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
শুভকামনা রইলো ।
ডান হাতের কব্জীতে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে লিখছি । আশাকরি দেরীতে উত্তরের জন্য কিছু মনে করবেন না ।

১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: এই জীবনে সবাই শিশু থেকে বাচ্চা এবং একসময় বাবা কিংবা মা হয়। কিন্তু যখন তারা আরেকটা পরিচয় পায় তখনই আসলে উপলব্ধি করতে পারে আগের পরিচয়ের শানে নযুল কি?
সবাই কেই তার নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে!
অনুগল্প লাইক!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

জুন বলেছেন: অল্প কথায় সুন্দর করে মুল ম্যাসেজটি ব্যাখ্যা করেছেন নীল আকাশ ।
অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য ।
শুভকামনা সবসময়ের জন্য ।

১৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাবারা যে সঠিক ছিলেন তা বাবা না হওয়ার আগে বোঝা যায়না।
গোস্তাকি মাফ, রাকিব নামটা কেমন বাচ্চা বাচ্চা লাগছে। রাকিব সাহেব বা রাকিবুল হাসান ব্যবহার করলে ভাল হত।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

জুন বলেছেন: বাবারা যে সঠিক ছিলেন তা বাবা না হওয়ার আগে বোঝা যায়না।
এই একই কথা মায়েদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য গিয়াস লিটন ।

রাকিব নামটা বাচ্চা বাচ্চা :| তবে কি আজকের বাচ্চা রাকিবরা কখনো বুড়ো হবে না :-*
ওক্কে রাকিব সাহেবই বলবো তাহলে :)
মন্তব্যে ও সব সময় সাথে সাথে থেকে অনুপ্রানিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।

২০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০০

আনমোনা বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেলো। নিজেরা বাবা-মা হওয়ার আগে কি বুঝা যায় বাবা-মা আমাদের কি পরিমান ভালোবাসে?

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

জুন বলেছেন: নিজেরা বাবা-মা হওয়ার আগে কি বুঝা যায় বাবা-মা আমাদের কি পরিমান ভালোবাসে?
আসলেই বোঝা যায় না আনমোনা । মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :)

২১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পাঠে মনে হলো স্বার্থক একটি অনুগল্প, যে গল্পে মানুষের নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়ার মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ চিত্রিত করা হয়েছে সুন্দরভাবে । দুনিয়াতে মনুষের পালিয়ে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। মানুষের পালানোর সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো তার মন। যদি সেখানে ঢুকে কপাট বন্ধ করে দিতে পারে তবে কেউ আর নাগাল পাবে না। তার পরেও নীজের অগোচরেই বের হয়ে আসে তার মনের কথা ।সচরাচর এটাই দেখা যায় য একজন পিতার মধ্যে যা আছে তা তার পুত্রের মধ্যে নেই। আবার পুত্রের মধ্যেও এমন কিছু আছে যা পিতার মধ্যে নেই। তবে হরেদরে দু'পক্ষই সমান। যিনি মানুষ তৈরি করেছেন তিনি তো আর আহাম্মক নন, একচোখাও নন। সমান সমানই দিয়েছেন দুজনকে, তবে রকমটা একটু আলাদা এই আর কি । যে কখনো কাউকে শাসন করতে পারে না, তর্ক বা ঝগড়া কখনো করেই না, তার কি রাগ হয় না! হয় ৷ কিন্তু সেই রাগ যেনো এক অন্ধ হাতির মতো দাপাদাপি করে তারই ভিতরে। তার হৃদযন্ত্রে, পাকস্থলীতে, ফুসফুসে, মস্তিষ্কে সর্বত্র সেই অন্ধ রাগের ধাক্কা গিয়ে লাগে। তাকে ক্লান্ত করে দেয়, বিধ্বস্ত করে ফেলে, নিঃঝুম করে দেয় । তাইতো দেখা যায় রাজিব সাহেব হেটেই চলেছেন, সময় ও দুরত্বের কথা তার খেয়ালই নেই । ভাবছেন আর রোমন্থন করছেন তার প্রাসঙ্গিক কিছু স্মৃতি কথা , আত্ম সমালোচনায় মিলিয়ে নিতে চাইছেন নীজেকেই । নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়ার মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করে করে পথ চলছেন তিনি। মনে হল গল্প লেখক অনুগল্পের এই ক্ষুদ্র পরিসরে বেশ নিখুতভাবেই একজন স্নেহময়ী পিতার মনোবৈচিত্রের স্ফূর্তি ঘটিয়েছেন গল্পের আবেশে। গল্পটি ছোট হলেও ভাবের প্রকাশ বিশাল, প্রিয়তে গেল । দোয়া করবেন খুবই অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪

জুন বলেছেন: দুনিয়াতে মানুষের পালিয়ে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। কথাটা এক ভাবে খুব স্বাভাবিক মনে হয়। কিন্তু আপনি এর মনস্তাত্ত্বিক গভীরতাটা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। “নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়া” নিজের কাছে নিজেই কি কখনো ফেরারি হওয়া যায়? ধরা তাকে পরতেই হয়। অসুস্থতার মাঝেই এত! ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করতে চাইনা আপনাকে ডঃ এম এ আলী । আল্লাহ আপনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করুন এই দোয়া করছি। ।

২২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সময় খুব নিষ্ঠুর জিনিস। মানুষকে তার কর্মফল সে ঠিকই কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দেয়।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

জুন বলেছেন: আমি কিন্তু একটি বিষয়ে অনেক দ্বিধা গ্রস্ত তাহলো এটা যদি কর্মফলই হয় তবে রাকিব সাহেবের বাবাও তো একই পথের পথিক। উনিও নিশ্চয় উনার বাবার সাথে এমন আচরণই করেছিলেন।
যাইহোক সবাই ভালো থাকুক। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪

ডট কম ০০৯ বলেছেন: বাবা মা থাকাকালীন কেউ তার মর্ম বুঝতে পারেনে।আমিও বুঝিনি এখন খারাপ লাগে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

জুন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আপনি। আমিতো অনেক সময় অনুশোচনায় ভুগি। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় ব্লগ জুন,
মনে হলো আমাদের সবার জীবনের ওপরই একটা বিরাট আয়না মেলে ধরেছেন । রকিবের চরিত্রটা আমাদের নিজেদের ছায়ার সাথেই জড়িয়ে ছড়িয়ে আছে ।লেপ্টে আছে । রকিব যেন দেশের আমি ও আমরা সবাই ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

জুন বলেছেন: প্রিয় ব্লগার মলাসইলমুইনা
কই যে লুকিয়ে থাকেন দিনের পর দিন ? ধুমকেতুর মত হঠাৎ করেই আবার এসে হাজির , না না ধুমকেতু না , আলাদীনের আশ্চর্য্য প্রদীপের দৈত্যের মতই । উইল স্মিথের অভিনীত দেখেছেন কি ? আমি দেখলাম , যদিও গানগুলো একটু চড়া সুরের তারপর ও উইল স্মিথকে দারুন ভালো লাগলো কিন্ত :)

রাকিবের চরিত্র আমাদের নিজেদের ছায়ার সাথেই জড়িয়ে ছড়িয়ে আছে ।লেপ্টে আছে । এরপর আর কিছু বলার নেই । তবে রাকিব তার কাজের প্রতিদান পেলো কিন্ত রাকিবের বাবাও কি তাই পেয়েছে ! এই প্রশ্নটাই আমাকে সব সুয় কুড়ে কুড়ে খায় ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দাত থাকতে আমরা দাতের মর্যাদা বুঝি না, এইটা তো প্রতিষ্ঠিত সত্য। বাবা-মা যতদিন থাকেন, আমরা (সবাই না, অনেকেই) গুরুত্ব দেই না। আর যখন হুশ হয়, তখন সেই দিনগুলি.....ভুলগুলি সংশোধনের আর উপায় থাকে না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

জুন বলেছেন: দাত থাকতে আমরা দাতের মর্যাদা বুঝি না, এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছুই হয় না ভুয়া ।
মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ ।

২৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

ফয়সাল রকি বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া, প্রায় সবার জীবনেই এমন ঘটনা ঘটে। আমরা মানসিকভাবে ভীষণ আফসোস প্রবণ তাই সময়ের চিন্তা সময়ে করি না। +++

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে সম্পুর্ন সহমত ফয়সাল রকি। সময়ের চিন্তা সময়ে করি না ঠিক ঠিক।
অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো।

২৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার অনুগল্প, শিক্ষনীয় তো বটেই। আমরা আমাদের পিতামাতাদের সাথে যেমন ব্যবহার করবো, আমাদের ছেলেমেয়েরাও আমাদের সাথে ঠিক তেমন ব্যবহারই করবে- এটা স্বতঃসিদ্ধের ন্যায় সত্য।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ঢাকার লোক, মলাসইলমুইনা এবং ফয়সাল রকি কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভুয়া মফিজ এর কলম (কী বোর্ড) দিয়ে ভুয়া নয়, একটি নিপাট সত্য কথা প্রকাশিত হয়েছে ২৫ নং মন্তব্যে।
পোস্টে প্লাস + +

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জুন বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্য সাথে অন্যান্যদের মন্তব্যের বিশ্লেষণ যা আপনার নিজস্ব একটি বৈশিষ্ট্য খায়রুল আহসান। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.