নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘বুবু ও বুবু সাজু খালা রোজ রোজ এমন ভর সাইঞ্ঝা কালে বুক চাপড়াইয়া কান্দে ক্যান কউ দেখি’!
রাহেলার প্রশ্নে সোনাভানের চোখেও পানি আসে, “বুঝোস না সাজুবু কান্দে ঐ মাইয়াডার লিগা”
‘কোন মাইয়া বুবু’ ?
“ঐ যে তার বইনের মাইয়া অবন্তী না কি নাম তার লিগা কান্দে”।
‘শুনছি সে তো মইরা গেছে আইজ সাতদিন হইলো’।
“হ সাতদিন হইলো হেইডা ঠিক,তয় মাইয়াডা বড় অভাগী আছিলোরে, এরেই কয় মাইয়া মাইনষের কপাল! মইরা গিয়া বাচছে মাইয়াডা" ।
‘কি কউ বুবু! হেরাতো বলে ঢাকা শহরে থাকে, তোমার মনে নাই বুবু একবার আমাগো গেরামে বেড়াইতে আইছিলো ? কত সুন্দর জামাকাপড় পরনে,কানে গলায় কি সোন্দর জেওর। হেই সব তো আমি জীবনে চক্ষেও দেখি নাই। আর দেখতেও কি সোন্দর আছিলো। আমাগো লগে বৌ ছি খেলছে, দুফুইরাকালে যহন পুকুরে সাতর দিতাম তহন ঘাটে বইয়া থাকতো, হে ডরাইতো পানিরে, মাইয়াডা কেমনে মইরা গেল বুবু ? আমারও মনে হইলে খারাপ লাগে’।
জাহেদা আর হালিমের প্রথম সন্তান অবন্তীকা, বড় বোনের মেয়ে শানু ইউনিভার্সিটিতে পড়তো তখন, সেই নামটি রেখেছিল শখ করে। ফুলের মত ছোট্ট অবন্তী যেন মা বাবার চোখের মনি। জাহেদার মনে পরে প্রথম কথাই সে বলেছিল মা, বুকটা যেন ভরে গিয়েছিল সেই মা ডাক শুনে। ফরসা টুলটুলে গাল, একমাথা কোকড়া চুলের ছোট্ট অবন্তীকে আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী সবাই অনেক ভালোবাসতো।
পাচ বছরে পা দিতে দিতেই অবন্তীর আরো দুটো ভাই হলো। তিন ভাই বোন বড় হচ্ছে, একসাথে স্কুলে যায় এক সাথে বসে বাবা মার কাছে স্বরে অ স্বরে আ শিখে। মায়ের রান্না শেষ হলে এক থালায় ভাত মাখিয়ে খাইয়ে দেয় তিন ভাই বোনকে।
কিন্ত এই সুখ মনে হয় হালিম আর জাহেদার সংসারে সইলো না। নিষ্ঠুর নির্মমতার যাতাকল নিয়ে একদিন তাদের বাড়িতে হাজির হলো দারিদ্রতা। স্বচ্ছল পরিবারে এখন নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। হালিম যেই ঔষধের দোকানে চাকরী করতো সেটা বন্ধ হয়ে গেলো। আত্মীয় স্বজনের মাঝে এমন কেউ নেই যে সাহায্য করবে। চোখে মুখে অন্ধকার দেখতে লাগলো।হালিম এখানে ওখানে টুকটাক কাজ করে তাতে আর কিইবা আসে। অল্প শিক্ষিত জাহেদা একদিন সংসারের হাল ধরার জন্য ঘর ছেড়ে বের হয়ে আসলো কঠিন দুনিয়ার সামনে। কেউ যেন না জানে তার জন্য অনেক দুরের এক স্কুলের গেটের বাইরে ছোট্ট এক গুমটি ঘরের আড়ালে বসে নিজ হাতে বানানো সিঙ্গাড়া বিক্রি করতে শুরু করলো। কিন্ত এতে কি আর পাচজনের পরিবারের অভাব মিটে !
ছেলেমেয়েরা সরকারী স্কুলে পড়তো, ছেলে দুটো পড়াশোনায় ভালো ছিল, অবন্তীর বাবা হেড মাস্টারের হাতে পায়ে ধরে ছেলে দুটোর বেতন মকুব করলো। কিন্ত অবন্তীকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিল কারন পড়ালেখায় তার মন বসতো না একেবারেই।তবুও মা চেয়েছিল তার মত না হয়ে বাসায় বসে নিজে নিজে পড়ালেখা করে অন্তত এস এসসি টা পাশ করুক।
মা বাবা দুজনাই সকালে যায় সন্ধ্যায় ক্লান্ত শরীরে ফিরে আসে ঘরে। ভাই দুটো স্কুল থেকে ফিরে ঠান্ডা ভাত, আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে মেখে নিয়ে খেয়ে পড়তে বসে।।অবন্তীর রোজ রোজ ডাল ভাত খেতে ভালোলাগে না,একটু মাছের জন্য মায়ের কাছে কান্না কাটি করে । কিন্ত কোথায় মাছ ! মা পড়তে বলে যায় প্রতিদিন কিন্ত পড়াশোনা করতে একটুও ভালোলাগে না অবন্তীর। তার ভালোলাগে টিভি দেখতে, বাসার ছোট্ট সাদাকালো টিভিটাই তার জীবনে যেন একমাত্র আনন্দের খোরাক। নাটক আর সিনেমার মেয়েগুলি যে কি সুন্দর! তাদের সাজগোজ আর শাড়ি গয়না পরা চেহারা দেখলে মনে হয় মায়ের মুখে শোনা গল্পের এক একটা পরী।। অবন্তী মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। আয়নার সামনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজেকে দেখে, প্রশ্ন করে মনকে আচ্ছা আমিও কি এমন পরী হইতে পারুম একদিন?
একদিন সেই সাদাকালো টিভিটাও বিক্রী করে দিল অবন্তীর বাবা। সেদিন ছিল তার জীবনের এক কষ্টের দিন। তারপর মাঝারি মানের পাকা বাড়ি ছেড়ে দুই কামরার টিনসেড বাসায় উঠলো তারা। রান্না ঘর গোসলখানা কমন। এদিকে মেয়ে বড় হচ্ছে চিন্তায় অবন্তীর মায়ের ঘুম আসে না। যেই এলাকায় উঠলো সেখানে পরিবেশটা তত ভালোনা। মাঝখানে সরু রাস্তা আর দুইপাশে টিনসেড ঘর আর তাতে ভাড়া থাকে বেশিরভাগই অল্প আয়ের লোকজন, দোকানদার, সিএনজি ড্রাইভাররা। গলির মাঝে দাঁড়িয়ে সিগারেট মুখে তাদের গালাগালি, হাসহাসি, কুৎসিত অঙ্গভংগী দেখে জাহেদা ঘোমটা টেনে দীর্ঘস্বাশ ফেলে, কিশোরী মেয়ের কথা ভাবে আর চোখের পানি ফেলে।
কাছাকাছি জাহেদার আপন বড়বোন রহিমা থাকেন উনি মাঝে মাঝে অল্প বিস্তর সাহায্য করেন তবে তার অবস্থাও তত ভালো না। একদিন ওনাকে গিয়ে সবকিছু খুলে বলে অনুরোধ করে “বুবু আমার মাইয়াটাকে যদি তুমি রাখতা তাইলে একটা চিন্তার হাত থিকা বাচতাম” ।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে রহিমা বলে “শোন জাহেদা আমার কি সেই আগের অবস্থা আছেরে, তোর দুলাভাইও তো রিটায়ার করেছে। সমস্যা না থাকলে আমিই বলতাম অবন্তীকে আমার কাছে রেখে যা। দেখি কি করা যায়’ বলে হাতে দুশো টাকা আর পুরনো একটা বিছানার চাদর দিয়ে বোনকে বিদায় করলো। অনেক ভেবেচিন্তে রহিমা কাছে থাকা তার বড় মেয়ে রানুকে অনুরোধ করলো অবন্তীকে ওদের কাছে রাখার জন্য ।
‘তুইতো কলেজে চাকরি করিস, সেই সাত সকালে বের হোস আর ফিরতে ফিরতে বিকাল। অবন্তী থাকলে তোর মেয়ে সামিয়ারও ভালো লাগবে, দুজনাই তো কাছাকাছি বয়সী। তাছাড়া সংসারের কাজেও তোর সাহায্য হবে’।
মায়ের কথাটা রানু বারবার চিন্তা করে দেখলো, সামিয়ার বাবার সাথেও আলাপ করলো। অবন্তীকে রাখলে তার নিজেরও কিছুটা সুবিধা হয় আর গরীব খালারও কিছুটা সাহায্য হয়। সামিয়াও স্কুল থেকে ফিরে একা বাসায় থাকে। তাছাড়া রানু ছোট অবন্তীকে অনেক আদর করতো। অনেক ভেবেচিন্তে অবন্তীকে নিজের বাসায় নিয়ে আসে।
সকালে রানুর স্বামী অফিসে,রানু কলেজে আর সামিয়া স্কুলে বের হয়ে যেত। রানু তাকে পড়া দেখিয়ে বলে যেত সেগুলো পড়ে রাখতে রাতে জিজ্ঞেস করবে। কিন্ত অবন্তীর তাতে মন নেই,বই এর পাতা উল্টিয়েও দেখতো না একবার। গুন গুন করে সিনেমার চটুল গান গাইতে গাইতে অবন্তী চা বানিয়ে আনতো। রানু আপা ধমক দিত তাও অবন্তীর মুখের হাসি মিলাতো না। ঝাকড়া চুলগুলো এক পাশে সরিয়ে ফিক করে হেসে ফেলতো।
তবে এই রানু আপার বাসায় থাকতেই অবন্তীর জীবনে একমাত্র সুখের ঘটনাটি ঘটেছিল। সেটা ছিল এক কোরবানীর ঈদে রানু আপারা সবাই আর অবন্তীর মা বাবা ভাইরা মিলে নানীর বাড়ি বেড়াতে যাওয়া। সবাই মিলে ট্রেনে করে গিয়েছিল আর তারপর সেই গ্রামীন জীবন। ছনে ছাওয়া মাটির ঘরবাড়ী, সামনে নিকানো উঠান। মাচায় লকলকিয়ে ওঠা সীমগাছ বেগুনী ফুলে ফুলে ভরে আছে। তাদের পেয়ে সাজু খালার খুশি কে দেখে।দিন রাত বসে কত রকমের পিঠা পায়েস বানায়। উঠোনে মাদুর পেতে পান খেতে খেতে বোন বোনঝির সাথে গল্প করে। ‘কিরে জাহেদা মাইয়া বিয়া দিবি না ? মাইয়াতো তোর ডাঙ্গর হইয়া উঠতাছে। চাস তো পোলা দেখি তর অবন্তীর লিগা’।
বোনের কথায় চমকে উঠে জাহেদা “না না বুবু কি কউ! ওর কি বিয়ার বয়স হইছে”!
‘কি জানি আমাগো তো এই বয়সে বিয়া হইয়া দুই পোলাপানের মা পর্যন্ত হইছি, তরা তো আবার শহরের মানুষ’ বলে মুখে আরেক খিলি পান গুজে দেয় সাজু বিবি।
এদিকে সেই গ্রামের বিশাল মাঠ ঘাট পুকুর সেই অবাধ স্বাধীনতা যার স্বাদ ঢাকা শহরের দুই রূমে থাকা অবন্তীরা কখনো পায়নি। পড়াশোনার বালাই নেই মুক্ত স্বাধীন অবন্তী আর তার ছোট ভাইরা মিলে রাহেলাদের সাথে মাঠে ঘাটে কত রকম গ্রামীন খেলাই না খেলতো, সাতার জানতো না তারপরও ঘাটে বসে পানি ঘাটানো। রাহেলা বলতো ‘আসেন আপনারে সাতার শিখায় দেই’ । “না না আমার ভয় করে রে” রাজী হয়না অবন্তী। সেই একটি সপ্তাহ তার ছোট্ট মনের গভীরে এক গভীর দাগ কেটে গিয়েছিল ।
দিন যায় মাস যায় বছরও পার হয় রানু আস্তে আস্তে বিরক্ত হয়ে উঠে অবন্তীর উপর। নিজে তো পড়তে বসতই না আবার সামিয়াকেও বিরক্ত করতো। সামিয়া পড়তে বসলে ও চুপিসারে টিভি খুলে বসতো, টিভি ছিল তার নেশার মত। ১৫/১৬ বছরের এক মেয়েকে কাহাতক বকাঝকা করা যায় এসব কারনে একদিন রানু অবন্তীকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়। রহিমা বেগম বাধ্য হয় বোনঝিকে রাখতে। বাসায় ফুট-ফরমাস খাটে,বললে বাসার পাশের মুদি দোকান থেকে এটা ওটা কিনে আনে। খালুর পাশে বসে টিভি দেখে যদিও তা খবরই থাকে সবসময়,মাঝে সাঝে নাটক।তাও ভালোলাগে অবন্তীর এ যেন এক আলাদা জগত।
সেদিন অবন্তীকে চা পাতা আনতে বলে রহিমা বেগম চুলায় চায়ের পানি চড়ায়। পানি ফুটতে ফুটতে শেষ কিন্ত অবন্তী আর আসে না, আসেনা । ছেলেকে পাঠালো খোজ করতে, সে আশেপাশে ঘুরে আসলো কোথাও নাই। মেয়েটা কি হাওয়া হয়ে গেল! তারাতাড়ি তার বাবা মাকে খবর পাঠালো। দুই ছেলে নিয়ে অবন্তীর বাবা মা হাপাতে হাপাতে এসে হাজির। তারাও খুজতে বের হলো, কিছুক্ষন পরে বড় ভাই মাথা নীচু করে ফিরে আসলো, মুখ দেখে মনে হচ্ছে কেউ যেন তার মুখে কালি লেপে দিয়েছে। কিরে কি খবর এমন করে আছিস কেন ? ‘বল কি হইছে? কথা কস না ক্যান’! উদবিগ্ন মায়ের প্রশ্নে ছেলে জানালো “অবন্তী আপু পাশের ঐ মুদি দোকানের দোকানদারটার সাথে পালায় গেছে”।
‘কি কস! ঐ বেটার তো বউ আছে, দুই বাচ্চার বাপ’ মাথা ঘুরতে থাকে জাহেদার। তারপর চিৎকার করে কাদতে কাদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জাহেদা।
ভাইরা বাবা মাকে নিয়ে বাসায় আসে, কসম কাটায় বলে তাকে যেন আর কোনদিন এই বাসায় ঢুকতে না দেয়া হয়, সমাজের কাছে আত্মীয় পরিজনের কাছে তাদের মাথা হেট করেছে সে , তার নামও যেন কেউ মুখে না আনে। তার বোন আজ থেকে তাদের কাছে মৃত।
বাবা আর ভাইরা অবন্তীর নাম মুখে আনে না কিন্ত মায়ের মন জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়, ছেলেদের ভয়ে ভুলেও মেয়ের কথা বলে না। দিন যায় সপ্তাহ পার হয় অবন্তী আর ফিরে আসে না। দুই মাস পর এক প্রতিবেশি জানালো স্বামীর সাথে অবন্তীর ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। সে এই এলাকায়ই এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়র বাসায় এসে উঠেছে। তার নিজের ভুল সে বুঝতে পেরে আপনাদের কাছে মাফ চেয়েছে। জাহেদা চোখের পানি ফেলে, কিন্ত মেয়েকে বুকে টেনে নেবে সে সাহস নেই। যেই আত্মীয়র বাসায় অবন্তী আছে জাহেদা লুকিয়ে লুকিয়ে ঐ আত্মীয়কে সাধ্যমত সাহায্য করে।
ছেলেরা অনেক পরিশ্রম করে পায়ের নীচের ভিতটা একটু শক্ত করলো।সেই বস্তি ছেড়ে মোটামুটি ভালো একটা বাসা ভাড়া নিল। অনেক আগে থেকেই জাহেদার ডায়বেটিস ছিল সেই সাথে চিন্তায় ভাবনায় আস্তে আস্তে শরীর খারাপ হয়ে আসে, মনে হয় এই বুঝি মরে যাবে।
সত্যি সত্যি জাহেদা একদিন মারা গেল কিডনি নষ্ট হয়ে। খবর পেয়ে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে অবন্তী বোরকায় মুখ ঢেকে মাকে শেষ বারের মত দেখতে আসলো। কি করে যেন ছোট ভাই টের পেলো অবন্তী এসেছে, সাথে সাথে পাশে থাকা আস্ত এক থান ইট উঠিয়ে নিল অবন্তীর মাথায় ছুরে মারতে যাবে কিন্ত আশেপাশের লোকজন ধরে ফেলে। খালিপায়ে খানাখন্দ পেরিয়ে অবন্তী ছুটে পালায় পাগলের মত।
মাস কয়েক পরে অবন্তীর এক ফুপু তাকে নিয়ে গেল তার বাসায়। অবন্তীর জন্য এক দারুন পাত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, বেশ ধনী পরিবার তবে একটাই শর্ত মেয়ে বিয়ের পর বাইরের কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না। বাড়ী বাড়ী লাথি ঝাটা খেয়ে বেড়ানো অবন্তী রাজী হলো সেই শর্তে। তাছাড়া যার বাসায় থাকতো সেই বাড়ির কর্তাও তাকে নানাভাবে বিরক্ত করতো। কিন্ত সেই ধনীর দুলাল যে বিকারগ্রস্ত পাগল ছিল তা তারা লুকিয়েছিল তার ফুপুর কাছে। বিয়ের রাতে সেই পাগল ছেলের হাতে চোরের মার খেয়ে সারা শরীরে কালসিটে নিয়ে অবন্তী ফিরে আসলো ফুপুর বাসায়। ধনী পরিবারের ক্ষমতার হাত অনেক লম্বা তাছাড়া তাদের ইজ্জ্বতের প্রশ্ন ফুপুকে পারেতো তখনই থানায় দেয়। ফুপু অবন্তীর হাতে একশ টাকা গুজে দিয়ে বল্লো জলদি এখান থেকে পালিয়ে যা না হলে তোরও রক্ষা নাই।
অনেক দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ঘুরে এবার অবন্তীর আশ্রয় হলো দূর সম্পর্কের এক মামার বাসায়। মামা বেচে না থাকলেও মামীর আদরে শাসনে মোটামুটি দিন কেটে যাচ্ছিলো অবন্তীর। কিন্ত বছর দুয়েক পরই মামী তাকে তার বড় মেয়ের বাসায় পাঠিয়ে দিল কারন তার মেয়ের দুটো কাজের মানুষের একজন চলে গেছে, মেয়ের বড় কষ্ট হচ্ছে।
মামাতো বোনের বাসায় এসে অবন্তী যেন একটু হাফ ছেড়ে বাচলো। মামী আদর করলেও দিন রাত অমানুষিক পরিশ্রম করতে হতো। কিন্ত এ বাসার সবাই অবন্তীকে পছন্দ করতো তার হাসি খুশী স্বভাবের জন্য। মামাতো বোনের মেয়েটা কলেজে পড়ে সে অবন্তী খালা বলে ডাকে। তার ঘরেই থাকে ঘুমায়, সময় পেলে গল্প করে।
এরই মাঝে অবন্তীর আত্মীয়রা আরেকবার চেষ্টা করলো ভাইদের বুঝিয়ে শুনিয়ে বোনকে বাসায় ফিরিয়ে দিতে। কিন্ত দুই ভাই এর সেই একই কথা তাদের বোন মরে গেছে। ছেলেদের আশ্রিত বাবারও ক্ষমতা নেই মেয়েকে ফিরিয়ে নেয়ার।
অবন্তী মামাতো বোনের বাসায় কাজ করে খায়দায় টিভি দেখে। দেখতে দেখতে অনেকদিন কেটে গেলো। এরই মাঝে সেই বাসায় হানা দিলো করোনা। মামাতো বোন, বোনের মেয়ে আর অবন্তী হাসপাতালে। ১৫ দিন যমে মানুষে টানাটানির পর ফিরে আসলো তিনজনই। ওদের বাসায় এনে মামাতো বোনের স্বামী শাহেদ অবন্তীর বাবাকে ফোন করলো “ফুপা এবার অবন্তীকে নিয়ে যান বাসায়,আমিতো সুস্থ করে নিয়ে এসেছি”। অবন্তীর বাবা ফিসফিস করে জানালো তার অপারগতার কথা। এছাড়া আগামী সপ্তাহে তার বড় ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে এখন এসব কথা বলাই যাবে না।
ক্ষিপ্ত শাহেদ আত্মীয় স্বজন সবাইকে ফোন করে জানালো এবার বোনের দায়িত্ব তার ভাইদের নিতেই হবে, না নিলে সে স্থানীয় প্রশাসনের সহয়তা নিবে।কিন্ত তার আগেই বিছানায় মিশে থাকা পাটকাঠি শরীর নিয়ে পোড়াকপালী অবন্তী আবার অসুস্থ হয়ে পরলো, প্রচন্ড পেট ব্যাথা আর সাথে বমি। আবার শাহেদ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলো। পরীক্ষায় দেখা গেল করোনা এবার তার ক্রুর থাবা বসিয়েছে লিভার আর প্যানক্রিয়াসে। ডাক্তারদের আন্তরিক চেষ্টার পরেও তৃতীয় দিন ফজরের আজানের সাথে সাথে অবন্তীর সকল কষ্টের অবসান হলো। আর ফিরে আসেনি অবন্তীকা, কোটরে ঢুকে পরা চোখদুটো চিরকালের মত বন্ধ হবার আগে মামাতো বোনকে হাপাতে হাপাতে একটি কথাই বলতে পেরেছিল ঃ-
“আমারে আমার মায়ের পাশে শোয়ায় দিও আপু, আমার মায়ের পাশে”।
ছবিঃ শিল্পী ইলাইয়ারাজা । নেট থেকে নেয়া
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬
জুন বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা ।
অবন্তীকারা মনে হয় এমনি করেই মরে গিয়ে বেচে যায় ।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৮
নীল আকাশ বলেছেন: কিছু মানুষ জীবনে বড় খারাপ কপাল নিয়ে জন্ম নেয়।
অবন্তীর জীবন যেন এইরকমই।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
জুন বলেছেন: কিছু মানুষ জীবনে বড় খারাপ কপাল নিয়ে জন্ম নেয়।
অবন্তীকা যেন তাই নিয়েই জন্মেছিল নীল আকাশ ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৯
রাশিয়া বলেছেন: বুকটা কষ্টে ভেঙে গেল। জাহেদা এবং অবন্তিকার কষ্ট মোটা দাগে প্রতিটি নারীরই কষ্টকাব্য বলা চলে।
কোন ভাই কি এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে? আমি একটা ফরাসী উপন্যাসে পড়েছি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে এক ভাই জানতে পায় যে তার বোন পতিতার খাতায় নাম লিখিয়েছে। তারপর প্রতি সপ্তাহে একবার করে খদ্দেরের ছদ্মবেশে সেই ব্রথেলে যেত বোনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদার জন্য। সেই উপন্যাসের শেষে একটা ট্যুইস্ট আছে। আমি এর পরে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু উপন্যাসের নামটা কিছুতেই মনে করতে পারছিনা।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪১
জুন বলেছেন: উপন্যাসের নামটি যদি মনে পরে তো জানাবেন রাশিয়া । গল্পটা আপনার ভালোলেগেছে জেনে আমারও অনেক ভালোলাগলো । আসলে আমি অত উচুদরের লিখিয়ে নই । যা মনে আসে তাই লিখি ।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।
৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলার পরিচিত দু:খময় প্লট; লেখার ষ্টাইল দুর্বল।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯
জুন বলেছেন: আমি নিজেই দুর্বল মানুষ তো আর আমার লেখা কি আর সবল হবে চাদগাজী!!
তারপরও গল্পটি যে মনযোগ দিয়ে পড়েছেন তা মন্তব্যেতেই বোঝা গেল। সাথে থাকবেন ভুল ত্রুটি শুধরে দেবেন এই প্রত্যাশা রইলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪২
রামিসা রোজা বলেছেন:
অবন্তীর শেষ পরিনতি বেশ মর্মান্তিক এবং এরকম যে হচ্ছে
না তা কিন্তু নয় আর মনেহয় ওর বাবা বেঁচে থাকলে আজ
এমন পরিণতি হয়তো হতো না । নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজন বেশিরভাগই স্বার্থপর হয় , কেউ-ই কারো নয় ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮
জুন বলেছেন: রামিসা রোজা আন্তরিক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । গল্পে অবন্তীর বাবাতো বেচেছিল কিন্ত মা মরে যায় । নিজের বাপ ভাই যদি না দেখে তো আত্মীয়স্বজনরা আর কি করবে ! অনেক অনেক ভালো থাকুন ।
৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অবন্তীর দুঃখের অবসান হলো।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
জুন বলেছেন: অবন্তীর দুঃখের অবসান হলো। কিন্ত মাত্র ২৫ বছর বয়সে দেশ প্রেমিক বাঙ্গালী ।
অল্প বয়সের ভুলের খেসারত জীবন দিয়ে দিল ।
গল্পটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: অবন্তীর জন্য কষ্ট হচ্ছে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
জুন বলেছেন: এটাই স্বাভাবিক রাজীব নুর । একটা মেয়ের এইটুকু জীবনে এত কষ্ট !
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে ।
৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তৃতীয় প্যারাতে হালিম সেলিম হয়া গেছে। আর কোন জায়গায় সাধু, কোন জায়গায় চলতি ভাষা ব্যবহার করছেন। যাই হোক, গল্প পইড়া মনে হইলো, অবন্তি মরিয়া বাচিয়া গেল।
পড়ালেখা না করলে সাফার তো করতেই হইবো। তার উপ্রে বিবাহিত দোকানদারের লগে ভাইগা যাওন.........ব্যাক্কলের মতোন কাম করলে ফল ভোগ না কইরা উপায় কি?
এইটা কি আপনের পরিচিত কারো কাহানী?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৬
জুন বলেছেন: দুনিয়ার কাজ মাথার উপর তার উপরে একটা গপ্প লিখতে বসছি কোথায় যে হালিম আর কোথায় যে সেলিম কিছুই চৌক্ষে পড়ে নাই
সাধু ভাষা চলিত ভাষা কই দেখলেন !! গ্রামের মানুষ গ্রামীন ভাষায় কথা কয় শহরের মানুষ শহুরে ভাষায় ।
এইরকমই তো লেখলাম । সাধু চলিত কোথায় গুরুচন্ডাল দোষ হইলো একটু দেখায় দ্যানতো
মেয়েটার বয়স দেখবেন না ? বাড়িতে বাবা মা থাকে না সারাদিন । শাসন বারন কিছুই করার কেউ নেই । ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক । বিশেষ করে ঐ বয়সের একটা মেয়ের সাইকোল্যজিকাল চিন্তা ভাবনা অন্য রকম হতে পারে । আর বুদ্ধি হওয়ার পর যেই পরিবেশে এসে উঠেছিল তারও তো একটা ইনফ্লুয়েন্স আছে কি কন?
না কোন পরিচিত না ভুয়া । করোনা লিখছি দেইখা ভাবলেন্নাকি
অনেক আগে ব্লগে একটা প্রেমের গল্প লিখছি অল্প বয়সী অবিবাহিত মেয়ে নিয়ে । সেইটা পইড়া আমার কো ব্লগারদের মধ্যে অনেকেই আমাকে এই ভুল না করার জন্য বুদ্ধি দিতে লাগলো কি আর কমু যাই লিখি তাই মাইনষে মনে করে আমার জীবন কাহিনী
৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৫
নজসু বলেছেন:
এ যেন-
অবশেষে মরিয়া বাঁচিল।
অত্যন্ত দুঃখজনক।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১১
জুন বলেছেন: হ্যা সেই রবীন্দ্রনাথের কাদম্বীনি মরিয়া বাচিল ঘটনার মতই। তা অনেক অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম। কই আছেন? কেমন আছেন? আশাকরি ভালোই আছেন। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অবন্তী বাংলার নারী । ছবিটাও তাই বলে
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৬
জুন বলেছেন: সারা পৃথিবীতেই মনে হয় মেয়েদের একই অবস্থা নেওয়াজ আলি। তবে অপেক্ষাকৃত গরীব দেশেই এর পরিমান বেশি কারণ অর্থনৈতিক।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হায়রে অবন্তীকা!
পারিবারিক সম্ভ্রম রক্ষায় এভাবে কত অবন্তীকার যে আত্মীয়ের কাছে বলি হতে হয় তার হিসেব নেই। অবন্তীকা করোনায় বলি হয়নি। সে বলি হয়েছিল তিলে তিলে তার পরিবার দ্বারা।যৌবনেরর আগুনে সে ধরা দিয়েছিল এক প্রতারকের খপ্পরে।আর সেই পরিণতিতে তাকে পেতে হয় সম্ভ্রম রক্ষার নামে তিলে তিলে তাকে মারার চূড়ান্ত উদাসীনতা।
তবে আপু গল্পটা আঞ্চলিক বা কথ্য যেকোনো একটি ভাষাতেই রাখলে আরো ভালো লাগতো। বোঝাই যাচ্ছে বাস্তব ঘটনার উপর লিখিত। কাহিনীতে ভালোলাগা।
শ্রদ্ধাবনত শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
জুন বলেছেন: আমি কি বলতে চেয়েছি গল্পে তা আপনি বুঝতে পেরেছেন পদাতিক। হতভাগ্য মেয়েটি জীবনের কাছেই পরাজিত হয়েছে, তার মনের মৃত্যু হয়েছিল অনেক আগেই, করোনায় তার দেহের মৃত্যু হয়েছে মাত্র।
আঞ্চলিক ভাষাটি এসেছে গ্রামের পটভূমিতে, গ্রামের মানুষের মুখে শুদ্ধ ভাষা কি মানানসই হতো কি বুঝতে পারছি না। আসলে আমাদের এখানে এক বাংলাতেই বিভিন্ন ভাষা প্রচলিত, যেমন আঞ্চলিক, তারপর চলিত, সাধু, শুদ্ধ সবই যে যার পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী বলে থাকে। যেমনটি আমাদের মন্তব্যেও খেয়াল করলে দেখবেন, বিশেষ করে ভুয়ার পোস্টে
করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে অনেকেই ভাবছে বাস্তব গল্প। কি যে করি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ পদাতিক। আপনার সাতক্ষীরা কবে শেষ হবে? আস্ত বইটা পড়তে চাই.।
ভালো থাকবেন সবসময় পরিবারের সব্বাইকে নিয়ে।
১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭
করুণাধারা বলেছেন: মনখারাপ করে দেয়া গল্প। তবে কখনো কখনো বাস্তব জীবন গল্পের চেয়ে নির্মম হয়।
মনে হচ্ছে কোন সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লেখা। তাই অবন্তিকার দুঃখী জীবনের কথা ভেবে খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে ওর অন্যান্য আত্মীয়রা অল্প করে সবাই মিলে সাহায্য করলে হয়ত পরিবারটা এত অসহায় হত না। সেজন্য আমি যাকাত দেবার সিস্টেম পছন্দ করি, এতে দরিদ্র আত্মীয়রা উপকৃত হন। অবন্তিকার পরিনতি দুঃখময়, কিন্তু হয়ত এটাই ওর জন্য ভালো হয়েছে!!
গল্পে +++
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২২
জুন বলেছেন: মেয়েদের জীবনটাই এমন করুনাধারা । আজ এই অপরাধ যদি কোন ছেলে করতো তাহলে সে এত নিগ্রহের শিকার হতো না হয়তো। এমন ঘটনা আকছারই হচ্ছে ।
আমার মনে পরে মফস্বলের এক প্রাইমারী স্কুলে ক্লাস ফাইভে পড়াকালীন এক ঘটনা । সরকারী এক উচ্চ পদস্থ অফিসারের মেয়ে আমাদের ক্লাসে বছরের মাঝখানে এসে ভর্তি হয়েছিল। দেখতে শুনতে সুন্দর ছাড়াও বয়সে আর লম্বা চওড়ায় আমাদের থেকে বেশ বড় ছিল । একদিন স্কুলে গিয়ে শুনলাম সে আমাদের স্কুলের বিবাহিত এক টিচারকে গোপনে বিয়ে করেছে আবার বাসা ভাড়াও নিয়েছে। আমরা দেখে এসেছিলাম ক্লাশের কিছু মেয়ে দল বেধে । বাবার সরকারী পাকা দালান ছেড়ে বেড়ার ঘর মাটির মেঝেতে বসে সে রান্না করছে । এরপরের খবর আর জানি না । এই বিয়েও কি টেকার করুনাধারা ? সেই মেয়েটির বয়স মনে হয় ছিল ১৫/১৬ ।
সব সময় সাথে থেকে মন্তব্যের মাঝে উৎসাহিত করেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪১
মা.হাসান বলেছেন: করুণাধারা আপার মতো আমারো অনুমান হচ্ছে আপনার জানা কোনো বাস্তব ঘটনার বর্ননা দিয়েছেন।
অবন্তি কিছু সুযোগ পেয়েছিলো, কাজে লাগায় নি। এজন্য ঐ চরিত্রটার উপর তেমন একটা সহানুভুতি আসছে না। তবে এ কথাটাও সত্য পনেরো বছরের বাচ্চা কতটাই বা দুনিয়া বোঝে। যখন বুঝতে পেরেছে এর পর কিন্তু আর সুযোগ পায় নি।
সবল লেখকদের লেখা পড়ার সুযোগ তেমন একটা হয় নি। আমার পড়ার বা বোঝার যা স্ট্যান্ডার্ড সে হিসেবে লেখা ভালো লেগেছে বলতে হচ্ছে।
সময় মতো লেখাটা দেখলে এদিক সেদিক দাওয়াত দিয়ে আসতে পারতাম , কিন্তু সকালে ব্যস্ত ছিলাম বলে সুযোগ হয় নি । ত্রুটি মার্জনিয়।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪
জুন বলেছেন: করুণাধারা আপার মতো আমারো অনুমান হচ্ছে আপনার জানা কোনো বাস্তব ঘটনার বর্ননা দিয়েছেন।
না না পাগল নাকি ! সব আমার উর্বর মস্তিস্কের কল্পনা প্রসুত
মেয়েটা ভুল করেছিল তার ভুল করার বয়সেই মাহা। আমি এই মেসেজটি দিতে চেয়েছি যে কারো যদি ভুলে একবার পচা শামুকে পা কেটে যায় তবে তাকে যেন আপনজনরা দূরে ঠেলে না দেয় । অন্তত আরেকবার সুযোগ দিলে সে নিজের ভুল নিজে বুঝতে পারবে ।
আমি জীবনে যত লেখকের যত লেখা পড়েছি তা কম মানুষই পড়েছে বলে আমার বিশ্বাস ( প্রবল গর্ব বোধ করছি) তারপরো আমার লেখাটি আমার কাছে অসাধারন লাগছে
হা হা হা -----
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাওয়াতি কার্য্যক্রম চালানোর জন্য, আর লেখাটি পড়ে একটি মুল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য
১৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: বড় কষ্টের গল্প। মন খারাপ হয়ে গেল পড়ে । ভাল লিখেছেন আপু ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জুন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো বলে দুঃখিত ঢাবিয়ান । মন খারাপের গল্পই । চারিদিকে শুধু মন খারাপেরই ঘটনা ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গল্পটা ভালো লেগেছে। আমাদের সমাজে এই ধরনের কাহিনী চোখে পরে। আমার এক দূর সম্পর্কের কাজিন এইভাবে অল্প বয়সে এক ছেলের সাথে প্রেম করে বাসা ছাড়ে। ছেলের পরিবারের সামাজিক অবস্থান একটু নীচে ছিল। পরবর্তীতে তাদের সংসারে অনেক সমস্যা হয়। মেয়েটি ফিরে আসতে চাইলেও চাচা ও চাচাত ভাইয়েরা মেয়েটাকে কোন দিনও ঘরে আসতে দেয়নি সামাজিক মান সম্মানের দোহাই দিয়ে। আমার চাচি চাইলেও স্বামী ও পুত্রদের কারণে পারেনি।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
জুন বলেছেন: হয়তো অল্প বয়সের একটু ভুলে কত মেয়ের জীবন যে শেষ হয়ে যায় তার খবর আমরা কি রাখি সাড়ে চুয়াত্তর ?
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৭
রাকু হাসান বলেছেন:
অবন্তী! সামাজিক জীবনের গল্প ভাল লাগে,আপনার প্রথম গল্প পাঠ করলাম
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
জুন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগলো রাকু হাসান । আমি অনেক গল্প লিখেছি আই মিন লেখার চেষ্টা করেছি । আপনার নজর এড়িয়ে গেছে হয়তো । ভালোলাগার কথা শুনে অনেক ভালোলাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটাই স্বাভাবিক রাজীব নুর । একটা মেয়ের এইটুকু জীবনে এত কষ্ট !
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে ।
পোষ্টে আবার এলাম সবার মন্তব্য গুলো পড়তে। ভালো লাগলো সবার মন্তব্য।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৯
জুন বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম সবার মন্তব্য গুলো পড়তে। ভালো লাগলো সবার মন্তব্য।
আপনার এই ব্যাপারটি বেশ ভালোই লাগে রাজীব নুর
অনেক ধন্যবাদ
১৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: 'দুনিয়ার কাজ মাথার উপর তার উপরে একটা গপ্প লিখতে বসছি কোথায় যে হালিম আর কোথায় যে সেলিম কিছুই চৌক্ষে পড়ে নাই'
আহারে লেখালেখির জন্য কতই না কষ্ট করছেন
দেশ ভ্রমন করে যে মাথা ঠান্ডা করবেন সে উপায়ও নাই
কষ্টের কথা পড়ে বিমর্ষ হলাম।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৩
জুন বলেছেন: আহারে লেখালেখির জন্য কতই না কষ্ট করছেন
আর বইলেন্না শেরজা তপন এই করোনা আমাদেরকে দশভুজা বানিয়ে ছেড়েছে
এক হাতে খুন্তি আরেক হাতে কী বোর্ড আরেক হাতে ঘর মোছার মপ আরেক হাতে মশলা বাটা যদিও ব্লেন্ডারে ।
কিযে অবস্থা হেল্পার ছাড়া কি বল্বো
হ্যা মেয়েটার জীবন বড়ই কষ্টেরই বটে । মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ জানাই পরের পোষ্টে এসেও কিছু বলবেন সেই প্রত্যাশা রইলো ।
১৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৩
ওমেরা বলেছেন: মানুষের জীবন এত কষ্টের হয় কেন ! মানুষের কষ্ট দেখলে আমার ভালে লাগে না । অনেক শুকরিয়া আল্লাহ আমাকে কত ভালো রেখেছেন ।
এত কষ্টের জীবন নিয়ে গল্পে আপনাকে ধন্যবাদ দেই কি করে আপু !! তবু দিলাম ধন্যবাদ আপু ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৫
জুন বলেছেন: মানুষের জীবন এত কষ্টের হয় কেন ! মানুষ না বলেন মেয়ে মানুষের জীবন ওমেরা ।
আসলেই আমি প্রতি ওয়াক্ত নামাজে শুধু এটাই বলি আল্লাহ তুমি আমাকে অনেকের চেয়ে অনেক ভালো রেখেছো ।
ধন্যবাদের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
২০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: নোয়াখলির ঘটনা নিয়ে কিছু লিখুন।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩১
জুন বলেছেন: একটি ঘটনা নিয়ে লিখতে শুরু করলে আরো দশটা ঘটনা ঘটে যাচ্ছে রাজীব নুর ।
ঘৃনা হয় প্রচন্ড ঘৃনা হয় এইসব ভাবলে ।
২১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
করোনাকালীন জীবনের কথা ফুটে উঠেছে গল্পে।
আহা! অবন্তি! আহা!
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৩
জুন বলেছেন: আহা! অবন্তি! আহা!
আসলেও অনেক দূঃখের জীবন কাটিয়ে গিয়েছে কাহিনীর অবন্তী ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
২২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাই হাই আপু আপনি 'ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া' সিরিজ আস্ত বই না পেলে পড়বেননা জেনে বিষণ্ণ হলাম। যদি কোন দিন বই আকারে বের না হয় তাহলে তো আপনাকে আমি কোনদিনই সাতক্ষীরা সিরিজের পাঠক হিসেবে পাবো না। ওদিকে ভূয়া ভাইও স্টেজে পদাঘাত করবেন বলে আগেই জানিয়েছেন। আমি যে কি করি.....
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৫
জুন বলেছেন: বই এর দরকার নেই পদাতিক , ব্লগেই পুরোটা লিখে যখন শেষ করবেন তখন পড়া শুরু করবো । নইলে ফ্লো থাকে না । ঘটনা ভুলে যাই ।পাঠক হিসেবে অবশ্যই আছি থাকবো
২৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
মা.হাসান বলেছেন: দাওয়াত দিতে আসিলাম
একজন নির্লজ্জ মানুষের কাহিনী!!!
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৬
জুন বলেছেন: আপনার দাওয়াতী কার্য্যক্রম আমার অনেক কষ্ট কমিয়ে দিয়েছে মাহা
এখন আর কষ্ট করে পোস্ট খুজতে হয় না , সোজা লিংক ধরে কুমিরের বাসায়
দাওয়াতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
২৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪২
মা.হাসান বলেছেন: করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে অনেকেই ভাবছে বাস্তব গল্প। কি যে করি!
দোষ আপনার না। দোষ পাঠকদের। আগেই বলেছি, অন্য কারো কারো যেমন সবল লেখকদের লেখা পড়ারই ঝোক, আমি কিন্তু তাদের মতো বড় বড় লেখকদের লেখা তেমন একটা পড়ি নি। আপনার দূর্বল লেখাই আমার কাছে বাস্তবানুগ মনে হয়েছে। এই জন্য অনুমান করেছিলাম জীবন থেকে নেয়া।
আরো একটু ভালো ভাবে দাওয়াতি কার্যক্রম চালানোর ইচ্ছা আছে। পরে সুযোগ পেলে পোস্ট দিয়ে ব্যাখ্যা করবো
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
জুন বলেছেন: হ কাকু বলছে দুর্বল প্লট
আমি নিজেই দুর্বল তো সবল লিখমু ক্যাম্নে
ভুয়ার কাছ থিকা একটা হোরাসের চক্ষু আনা লাগবেই লাগবে । আমি যেইটা আঞ্চিলাম ইজিপ্ট থিকা সেইটায় ফারাও তুতেনখামুনের নাম লিখা, কামের না
আরো একটু ভালো ভাবে দাওয়াতি কার্যক্রম চালানোর ইচ্ছা আছে। পরে সুযোগ পেলে পোস্ট দিয়ে ব্যাখ্যা করবো
তাড়াতাড়ি লেখেন পড়তে হবে
২৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩৯
সোহানী বলেছেন: হাজার হাজার অবন্তি দেশের আনাচে কানাচে। অবন্তির গল্পে ভালো লাগলো আপু।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন সোহানী। হাজার হাজার মেয়েরা তাদের দুঃখ কষ্ট নিয়ে সবার অজান্তেই হারিয়ে যায় প্রতিনিয়ত। আমি চেষ্টা করেছি একজনার কথা লিখতে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাই আপনাকে।
২৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
ফয়সাল রকি বলেছেন: অল্প বয়সে নেয়া একটা ভুল সিদ্ধান্ত, একটা পরিবারের জন্য অনেক দুঃখকষ্টের কারণ হতে পারে। ভাইদের বোনের প্রতি যে রাগ-অভিমান দেখা যাচ্ছে তা থাকাটাই স্বাভাবিক।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮
জুন বলেছেন: অল্প বয়সে নেয়া একটা ভুল সিদ্ধান্ত, একটা পরিবারের জন্য অনেক দুঃখকষ্টের কারণ হতে পারে। আপনি ঠিকই বলেছেন ফয়সাল রকি । সেই ভুলের মাশুল দিয়ে যায় অনেকেই যেমন দিয়েছে আমার গল্পের অবন্তীকা ।
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো বলে আন্তরিক দুঃখিত আমি । অনেক শুভকামনা রইলো ।
আপনার সিরিজ গল্প শেষ হলে একবারে পড়বো বলে ঠিক করেছি । নাহলে গল্পের মজা থাকে না
২৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঐ সময়টায় ব্যস্ততার কারণে আপনার এই গল্পটি আমার দৃষ্টি এড়িয়ে যায় ।
যাহোক, নতুন কোন পোষ্ট দিয়েছেন কিনা দেখতে এসে স্ক্রল করে নীচে
গিয়ে গল্পটি দেখতে পাই । এক নি:স্বাসে গল্পটি পাঠ করলাম ।
গল্পের বিষয়বস্তু ও গল্পটিতে কি বলতে চাওয়া হয়েছে সে দিকেই
নজর গিয়েছে বেশী । গল্পটি পড়ছিলাম আর উল্টা করে ভাবছিলাম
দু:খ ভরা অবন্তির জীবনটাতো এমনো হতে পারতো!
মেয়েটা যদি লেহা পড়ায় একটু মনযোগ দিতো
তাইলে ইস্কুলে তার ভাল রিজাল্ট হওয়ার পরে
সাক্ষাতকার নিতে আসা সাংবাদিকদের ডেকে বলতে পারতো -
আমি শহড়ের বস্তি পাড়ার জাহেদা বিবির বেটি অবন্তি বটে।’
কাগজওয়ালারা বলল
“উঁ অতটুকু বললে হবে কেন?
তুমি এবারকার মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছ।
তোমাকে বলতে হবে আরো কিছু।”
তয় শুনেন -
এলাকার মেম্বার , চেয়ারম্যান , ইউএনও , ডিসি , এম.পি-
সব একেবারে হামলিয়ে পড়ল আমাদের টিনের বেড়ার ঘরে।
মোর স্কুলের হেডমাস্টার স্যার
ঐদিন বিহান বেলায় টিনের আগর খুলে,
হেইকে, ডেইকে, ঘুম ভাঙাই- খবরটা যখন প্রথম শুনালেন
তখন মাকে জড়ায়ে ধরে শুয়ে ছিলাম আমি।
বেড়ার ঘরের ঘুটঘুইটা আঁধারে হেডমাস্টার মশাইরে দেখে
চোখ কচালে মায়ের সাথে আমিও হাঁ – হয়ে ভাবতে ছিলাম।
-একি স্বপন দেখছি নাকি-
স্যার বলল, এটা স্বপন নয়, স্বপন নয়, সত্যি বটে।
কথাটা শুনে কেঁদে ভাসায়েছিলাম আমরা মা বেটি।
আজ বাপ বেঁচে থাকলে
আমি মানুষটাকে দেখাতে পারতাম। দেখাতে পারতাম বহুত কিছু-
আমার বুকের ভিতর
যে তেজালো সন্ধে বাতিটা জ্বালায়ে ছিল মানুষটা।
সেই বাতিটা আজকে কেমন করে আমাদের কুঁড়ে ঘরটাকে আলো করেছে।
দেখাতে পারতাম এস এস সিতে ফার্সট হয়েছি আমি।
কিন্তু বাস্তবে অবন্তির কপালে জুটল অশেষ দু:খ কষ্ট ,
পরিবারের নিকট ও দুরসম্পর্কীয় আত্মীয়রা স্বার্থের বেড়াজালে
ফেলে কেও দুরে আবার কেহবা কাছে আটকিয়ে রেখে
অবন্তির জীবনটারে করে দিল কষ্টের এক মহা সমুদ্র ।
তার স্বল্প এ জীবনের পরিসমাপ্তিটুকু সমাজের বুকে
আঙ্গুল তুলে দেখায়ে দিল দারিদ্রতার করাল মুর্তি
দারিদ্র ক্লিষ্ট পরিবারের মানুষের তরে সামাজিক দায়
না মিটানোর পরিনতিটা হবে হাজার অবন্তির মত ।
গল্পচ্ছলে সুন্দর ভাবে দারিদ্রতার একটি দৃশ্যপট
রচনা করে এই বিষাদময় করোনাকলীন সময়ের
অবস্থা তুলে ধরেছেন দেখে ভাল লাগল ।
গল্পটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জুন বলেছেন: কি করেছেন আপনি ডঃ এম এ আলী !!
এত দেখি অসাধারন এক পোস্ট মর্টেম !
আসলেই পড়াশোনা করে
ভালো ফলাফল তার জীবনকে
বদলে দিতো হয়তো , নাও হতে
পারতো কি বলেন !! আসলে
গাইড করার কেউ ছিল না
মা বাবা ব্যস্ত সংসারের ঘানি টানতে
আর তার জেরেই অবন্তীকারা ঝরে যায় অল্প
বয়সেই ।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিলেও কম হয়ে যায় ।
আপনার প্রতিভার সাথে পাল্লা দেয়া
আমার কর্ম নয় । তাই আমার ধন্যবাদ,
আমার শুভকামনাটুকু কিন্ত আমার
অন্তর থেকেই দিলাম
আমার অন্তর থেকেই
২৮| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের শেষ বাক্যটার কারণেই যেন এমনিতেই এই বিষাদময় কাহিনীটা মনকে আরও তীব্রভাবে বিষণ্ণ করে তুললো!
একটি কিশোরী বালিকা কিভাবে ভাগ্যদোষে নিঃশেষ হয়ে গেল! পরিবারের লোকজন আরেকটু সদয় হলে হয়তো সে বাকী জীবনটা কষ্টে কাটালেও, অন্ততঃ মৃত্যুর স্বাভাবিক বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতো।
মেয়েদের জীবনে বোধকরি ১৫-২০ বছর বয়সের এ ব্রাকেটটা সবচাইতে অনিন্দ্যসুন্দর, আবার সবচাইতে বিপজ্জনকও বটে। এ বয়সটাতে ওরা রোমান্টিকতায় ভাসে, সাবধানী না হলে এবং সঠিক পারিবারিক নজরদারি না থাকলে আবার স্খলিতও হয়।
রাশিয়া এর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে।
গল্প বিষাদময়, তবুও আনন্দের সাথে ভাল লাগা + রেখে গেলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মরে গিয়ে বেঁচে গেছে অবন্তী !
খুব মন কেমন করা লেখা আপু।