নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্লোব বায়োটেক

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০


গ্লোব বায়োটেক ভ্যাকসিন আমি নিতে চাই না । এই ভ্যাকসিন যদি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠও হয়, যদি বলে এটা নিলে তুমি ৫০০ বছর বেচে থাকবে তাও নিবো না। কারন বলছি তাদের প্রতি এত বিরূপ হোলাম কেন ?
সেদিন টিভিতে (কোন টিভি মনে নাই) গ্লোব ভ্যাকসিন কোন পর্যায়ে আছে তার একটি প্রতিবেদন দেখাচ্ছিল । সেখানে এক ভদ্রলোক অর্থাৎ এক গবেষক ডান হাতে একটি সাদা ইদুর চেপে ধরে বা হাতে একটি ইনজেকশনের সিরিঞ্জ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । উনি টিভির সাংবাদিকের সাথে হেসে হেসে কথা বলছেন আর একটু পরে পরেই ইদুরটির গায়ে সেই লম্বা সুইটি অযথাই ফোটাচ্ছে আর বের করে আনছে । আমি লোকটার কথা শুনবো কি আমি তাকিয়ে ছিলাম তার হাতে চেপে ধরা ইদুরটির যন্ত্রনাক্লিষ্ট মুখ আর ভীত চোখের দিকে ।

আমি জানি এই সব গবেষনায় ইদুর খরগোস বানর শিম্পাঞ্জী ছাড়াও মানুষ পর্যন্ত ব্যাবহার করা হয়। তা হয় ল্যাবের ভেতর গোপনে । কিন্ত এমন প্রকাশ্যে এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় নির্দয় আচরণ প্রদর্শন কতটা যুক্তিযুক্ত আমি ভেবে পেলাম না । এসব কি প্রকাশ্যে এভাবে প্রচারিত হয় ?

বুঝলাম ঈদুর একটি খারাপ ও দুষ্ট প্রানী, তারা আমাদের শস্য খেয়ে শেষ করে, কাপড় চোপড় কেটে কুটি কুটি করে , বিরক্ত হয়ে নিজেরাও অনেক সময় ইদুর মারি । কিন্ত এভাবে প্রকাশ্যে নির্মমতার আমি বিরুদ্ধে সে যেই হোক ।

ছবি নেট

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

শায়মা বলেছেন: কি ভয়ংকর! কিন্তু যুগে যুগে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা তো তাদের উপরই হয়েছে। শুধু আমরা দেখিনি। :(

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

জুন বলেছেন: বৃহত্তর মানব জাতির কল্যানে এইসব পশুপাখিদের জীবন বলি দেয় কিন্ত তা হয় লোক চক্ষুর অন্তরালে শায়মা । এমন প্রকাশ্যে হাসি হাসি মুখে একটি প্রানীর নির্যাতন করে তাদের আবিস্কারের গুন কীর্তন করছিল যা সত্যি ভয়ংকর ।
অনেক দিন পর আমার পোস্টে তার জন্য একরাশ ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো ।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার বর্ণনা মতে এমন আচরন করা একেবারেই ঠিক হয়নি। এটা নৈতিকতার চরম অবক্ষয়।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

জুন বলেছেন: বিশ্বাস করেন আমি তাজ্জব হয়ে গিয়েছি ভদ্রলোকের আচরনে । তার কাজ দেখে মনে হচ্ছিল সে কোন নিস্প্রান জিনিসের উপরে বার বার সুই ফোটাচ্ছে । বেচারা ইদুরের চোখ দুটো এখনো আমার চোখের সামনে ভাসছে দেশ প্রেমিক ।
ধন্যবাদ মন্তব্যে

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: এ আর কি ইদুররে ক্রস ফায়ার কইরা দেয় নাই সেই সৌভাগ্য । বায়ু টেক আসলেই কি করতাছে আল্লাও জানেন না ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

জুন বলেছেন: ওরা যদি বলে এই ভ্যাক্সিনে আপনে ৫০০ বছর বাচবেন তাও আমি নিবো না শাহ আজিজ ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

শায়মা বলেছেন: হা হা অনেকদিন আমি মহা ঝামেলায় আছি আপুনি!!!

অনলাইন ক্লাসে বাবামায়েদের কনভিন্স করার জন্য সব রকমের যাদু বিদ্যা নিয়ে বসেছি। এট লাস্ট সফলও হতে পেরেছিও!

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

জুন বলেছেন: আমি তো ভাবলাম অন্যকিছু যেমন ধরো চিলেকোঠার প্রেমে বিজি ;)
তুমি যে কাজ ধরো তাতেই সফল হও এ আর নতুন কি ! আর বাবা মাকে কনভিন্স করাতো নস্যি ।
ছেলেপুলে গুলোই বরং কঠিন B-)

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০২

জাহিদ হাসান বলেছেন: দুই দিন আগে আমার আব্বু ঘরের একটা পাতিইঁদুর পিটিয়ে মেরেছে- আম্মু বলতেছে-

‘আমার খুবই মায়া লাগতেছে ইদুরটার জন্য!’ :D

আমি হাসি থামিয়ে রাখতে পারিনি।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৮

জুন বলেছেন: আমার খুবই মায়া লাগতেছে ইদুরটার জন্য!’ এতে বোঝা গেল আপনার মা অনেক মানবিক অনুভুতিসম্পন্ন একজন মানুষ । দেখুন আমরা অনেকেই ঔষধ দিয়ে কল দিয়ে ইদুর মারি কিন্ত এমন প্রকাশ্যে হাতে ইদুর নিয়ে খোচাতে খোচাতে মারি না । আমি যতবার রুটিন টেষের জন্য রক্ত দেই । স্যাম্পল কালেক্টররা কত সাবধানে রক্ত নেয় তাও আমি ব্যাথায় কাতর হই আর সে কথা বলছে আর সুই ফুটাচ্ছে । আজিব ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য জাহিদ হাসান ।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৮

শায়মা বলেছেন: কি যে বলো না আপু!! আমার কি শুধু চিলেকোঠার প্রেম নিয়ে বিজি থাকলেই চলে !!!

এখন আমার ব্যালকনিকোঠার প্রেম দেখো-
দেখো-

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৩

জুন বলেছেন: বাব্বাহ অসাধারন শায়মা । তা এইখানে বসা আর চা খাওয়ার জন্য একদিন দাওয়াত করবে নাকি ! না আবার পরীর দেশে যেতে বলবা ! আরেকটি প্রশ্ন সেটা হলো একটা চেয়ার কেনো ! চিলেকোঠার আরেক জন কি মাটিতে বসে নাকি ;)
হা হা হা ------

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইঁদুর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তারা কি বুঝিয়েছে কে জানে, অনেক সময় রাস্তার হকাররা দাঁতের মাজন বিক্রি করে আর লাইভ দাঁত মেজে দেখায়।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

জুন বলেছেন: আসলেই তাদের প্রতিক্রিয়া বোঝা দুঃসাধ্য। আরেকজন মনে হলো সে প্রধান খুবই বিরক্তি প্রকাশ করছিলো তাদের প্রডাক্টকে ইম্পর্টেন্স দেয়া হচ্ছে না বলে নূর আলম হিরণ। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পশু পাখি ইত্যাদির উপর মমত্ত বোধ মানবকুলের একটা সহজাত। এজন্যই আমরা মানুষ।
কিছু মানুষ নামের অমানুষ তুচ্ছ ধর্মিয় কারনে কুকুর নির্জাতন, কুকুর হত্যা করে। গোপনে বিষ খাইয়ে হত্যা করে।
এছাড়া সুযোগ পেলেই ঢিল মারবে নইলে লাঠি দিয়ে পা ভেংগে দিবে।
শহরের কুকুরগুলো একটাও অক্ষত পাবেন না, হয় পা ভাংগা, কান কাটা, নতুবা পিঠের একঅংশ ঝলসানো গরম পানি নিক্ষেপে। নৃসংস।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

জুন বলেছেন: নেপালের একটি ধর্মীয় উৎসব আছে যেখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে গরু মহিষ দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে যা চোখে দেখা যায় না। উল্লেখ্য নেপাল আরেকটি রাস্ট্রীয় হিন্দু ধর্মের দেশ। সেখানে তাদের গরু মাতাকে কি ভাবে এমনে হত্যা করে আমি ভেবে পাই না। চীনে কি একটা উৎসবে কুকুর খায়। হাজার হাজার কুকুর হত্যা করে বৌদ্ধ ধর্মের দেশটি। যদিও এখন তারা কোন ধর্মই পালন করে না। তাদের কোন দেবতা নেই এক অর্থের দেবতা ছাড়া।
আর কুকুর বিড়ালের প্রতি আমাদের মনোভাব নিয়ে আমি আগেও অনেক মন্তব্যে উল্লেখ করেছি কালবৈশাখী। ওদের দেখলেই আমাদের পা উঠে যায়। পাখি হত্যা যেন ডালভাত। আসলে এর পেছনে পারিবারিক একটা শিক্ষার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।
যাক অনেক কথা বলে ফেল্লাম। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: গ্লোব এর এই ক্লিপ আমি দেখিনি।
আসলে ওদের নিয়ম কানুন তো আমরা জানি না। যেমন ফুচকা কি দিয়ে বানায় বা পাউররুটি ইত্যাদি জিনিস আপনি আবানানো দেখলে আম খেতে পারবেন না।

গ্লোব এর শেষ সংবাদ সম্মেলন হয়েছে কয়েকদিন আগে তেজগাতে। আমি সেখানে ছিলাম। তারা বলেছে, ৬/৭ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১০

জুন বলেছেন: গ্লোবের প্রতিবেদন গত পরশু সম্ভবত কোন একটা চ্যানেলে দেখিয়েছে। শোনেন রাজীব নুর ফুচকা, পাউরুটি বানানোর প্রকৃয়াটি গোপন ক্যামেরায় ধারন করা হয়। আর এখানে সেই গবেষক ক্যামেরার সামনে কথা বলছে আর চেপে ধরা ইদুরটার গলায় গায়ে বারবার পুরো সুইটা ঢুকিয়ে আবার বের করে আনছে। আপনি সংবাদ সম্মেলনের কথা বলছেন আর লোকটাকে ল্যাবের মধ্যে দেখালো। তার মুখে মাথায় গায়ে কোন প্রটেকশন যা থাকে সাধারণত তেমন কিছু নেই। সাধারণ পোশাকে এক ইদুর আর সিরিঞ্জ নিয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কথা বলছে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫১

শায়মা বলেছেন: ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৩০

লেখক বলেছেন: বাব্বাহ অসাধারন শায়মা । তা এইখানে বসা আর চা খাওয়ার জন্য একদিন দাওয়াত করবে নাকি ! না আবার পরীর দেশে যেতে বলবা ! আরেকটি প্রশ্ন সেটা হলো একটা চেয়ার কেনো ! চিলেকোঠার আরেক জন কি মাটিতে বসে নাকি ;)


হা হা হা হা হা একটা চেয়ারের কথা শুনে আর তার মাটিতে বসার কথা শুনে হাসতে হাসতে মরলাম।

আরেকটা চেয়ার তো আরেক বারান্দায় রেখেছি। দুজনে গান গাবো।

এই কূলে( এই বারান্দায় আমি ) আর ঐ কূলে( ঐ বারান্দায়) তুমি!!!

মাঝ খানে পরীর দেশের নদী বয়ে যায়!!

তোমার দাওয়াৎ আপুনি! ময়ূরপঙ্খী পাঠিয়ে দিচ্ছি!

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

জুন বলেছেন: নাকি "দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা বন্ধু চিরকাল,
রেল লাইন বহে সমান্তরাল" গাইবে??
যাই গাও বাপু আমার ময়ুরপংখী আসলেই হলো,
আমি তায়ের সাতে তাও খাবো মাঝখানে বসে বসে হা হা হা B-)

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২২

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার চিন্তা করতে হবে না। এই টিকা মনে হয় না কোন দিন আলোর মুখ দেখবে। আমার ধারণা এটা বিশাল একটা ধাপ্পাবাজি।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

জুন বলেছেন: তারপর ও আমি চাই আমাদের দেশের মানুষ জ্ঞ্যানে বিজ্ঞানে এগিয়ে যাক । দুই একজন নির্বোধ মানুষের বেয়াক্কেলে কার্যকলাপের জন্য আবিস্কারের পথ রুদ্ধ না হয়ে যায় নীল আকাশ ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য আপনাকে ।

১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আরে রাগ করেইন না । টুস টুস সুই ক্যামরার সামনে ইদুরে মেরে দেখাতে চাইলো আমরাও গবেষক আমরাও পারি। :D

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

জুন বলেছেন: লোকটার কার্যকলাপ সত্যি আজিব লাগছিলো নেওয়াজ আলি । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই ।

১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪১

আমি সাজিদ বলেছেন: গ্লোব নোয়াখালি চৌমুহনীর এমপি কিরন সাহেবের কোম্পানী। ওদের মেডিসিন চলে ফাউল ক্লিনিকের সাথে চুক্তি করে। আমি কোনদিন গ্লোবের ড্রাগ লেখি নাই। লিখতেও চাই না। বায়োটেক যে কি করে সন্দেহ আছে। আমাদের দেশে ভালো কিছু হলে তো ভালোই। তবে গ্লোব বলে সন্দেহ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

জুন বলেছেন: আমাদের দেশে ভালো কিছু হলে তো ভালোই। ভালো কিছু করার ক্ষমতা কিছুটা হলেও তো মাদের দেশের মানুষের মাঝে আছে আমি সাজিদ । কিন্ত দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পরেছে যে চাইলেও মানুষ ভালো কিছু করতে পারে না । গ্লোব সাফল্য লাভ করুক কিন্ত তাদের গবেষকদের আচরন মানবিকসম্পন্ন হোক এটাই প্রত্যাশা ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।

১৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

আমি সাজিদ বলেছেন: প্রি ক্লিনিকাল ট্রায়াল থেকে তারা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি চাইলো মাত্র। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের কয়েকটি ধাপ ছয় মাসেই পার করে ফেলবে? মানুষজন অসমাপ্ত আত্নজীবনী ছাড়াও অন্য কিছু পড়ে টড়ে। এই যুগে অত্যাচার করা সহজ কিন্তু মিথ্যা তথ্য দিয়ে সমীহ আদায় সম্ভব নয়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

জুন বলেছেন: রাশিয়ার ভ্যাক্সিনের অবস্থা আর কি আমি সাজিদ। তবে আমি তাদের ভ্যাক্সিনের সমালোচনা করছি না। আমি তাদের এক বিজ্ঞ গবেষকের আচরণের সমালোচনা করছি না। আমার মনে হয় তারা কি করবে না করবে বা করতে পারে এই সব বিষয়ে অবশ্যই একটি গাইড লাইন আছে। যাই হোক ব্যাপারটি হয়তো অনেকের কাছে তুচ্ছ মনে হতে পারে। কিন্ত আমার কাছে খারাপ লেগেছে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দ্যাশে যেই হারে নারী-পুরুষের নির্যাতন চলতাছে, সেইখানে ইন্দুর নির্যাতন তো নস্যি। আপনে মন খারাপ কইরেন না। অত্যাচারিত ইন্দুর সমাজ এইটার পরতিবাদ করবো যথাসময়ে। তয় ওই ইন্দুর কইলাম হোয়াইট। হোয়াইট সুপ্রিমিস্টরা না আবার চেইতা যায়!!! :P

আচ্ছা, ইন্দুর সমাজে বর্ণবাদের ব্যাপারে কিছু জানেন? :-B

ভ্যাকসিন লাগলে নিয়েন.....গুপনে! আমাগো কওনের দরকার নাই। পারসোন্যাল সেইফটি ফার্স্ট!!

মাহা দাওয়াত দিছিলো, আমার হয়া উনারে ধন্যবাদ দিয়েন.....পিলিস!! B-)

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

জুন বলেছেন: হ এই কথাটাই উপরে আমি সাজিদরে কইলাম মাত্র ভুয়া। মানুষেরই দাম নাই তায় আবার ইন্দুর। আমাদের দেশে একটা প্রবাদ আছে কচু গাছ কাটতে কাটতে ডাকাত হয়। এর পরে দেখবেন একদিন একটা লোকের সাথে গিনিপিগের মত আচরণ করতেছে।
হোয়াইট সুপ্রিমেসিষ্ট দের মত আর কয়েক বছর ভারতীয় ছাড়া বাকিরা ভারতীয় সুপ্রিমেসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। কমলাতো মনে হয় ১০০ কোটির মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ কোটিতো নিবেই। তখন সাদাদের মত চীনা, বিডি, সাউথ আম্রিকার লুকজনকে রাস্তায় দেখবেন চাকরী আর খাবারের জন্য চিল্লাফাল্লা করতে। হিস্ট্রি রিপিটস ইটসেল্ফ এই থিওরি অবলম্বন কইরাই এইটা ঘটবে। প্রস্তত থাকেন ;)
আমি নিবো পুতিনের দেশের ভ্যাক্সিন মনে রাইখেন। বাটপারি ভ্যাক্সিন

১৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কাজটা দৃষ্টিকটু। তবে আমি আশা করবো এরা সফল হউক। বাংলাদেশের কেউ টিকা বানাক এটা আমি চাই। চেষ্টা করলে সম্ভব।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

জুন বলেছেন: টিকা বানাক সাফল্য লাভ করুক সেটা আমিও চাই সাড়ে চুয়াত্তর কিন্ত তার আগে কিছু নর্মস শেখা উচিত তাদের। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো।

১৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

ওমেরা বলেছেন: আপু আপনার নরম মনে পশুপাখিদের জন্য অনেক মায়া। আমারও এই মায়া আছে এই কারনে মাছ, গোস্ত খেতে পারি না ছোট বেলা থেকে। আম্মুকে মাছ, মুরগী কাটতে দেখলে খুব কান্না করতাম। সেই আমাকেও প্রয়োজনে অনেককিছু কাটাকুটি করতে হয়। তাই বলে এটা প্রকাশ্য করা খুবই দৃষ্টিকুটু ব্যাপার।

অনেক ধন্যবাদ আপু।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ওমেরা। ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত আমি কোরবানি দেখতে পারি না, কোন মারামারির সিনেমা এমনকি wwf এর কোন প্রোগ্রামও দেখি না। আমার ছেলে বলতো আম্মু এগুলো অভিনয় কিন্ত আমি মানতে পারতাম না।
গ্লোবের ভ্যাক্সিন হয়তো অনেক ভালো হবে কিন্ত লোকটার কাজটা মানতে কষ্ট হয়।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: নেটেও এমন ছবি পাওয়া যায়!! একটা প্রাণীকে খোঁচা দেবার দৃশ্য ভালো কিছু নয় যে সবাইকে দেখাতে হবে!! কোন টিভি চ্যানেলে এমন বিভৎস দৃশ্য দেখায়!!

গ্লোব বায়োটেকের এই সব কর্মকাণ্ড পুরোটাই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। এটা কোন গ্রহণযোগ্য ভ্যাকসিন হবে বলে মনে হয় না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জুন বলেছেন: আসলেই আমাদের মানুষের মাঝেই কত বিকৃত মানষিকতার লোক আছে। এই বিড়ালকে কত যন্ত্রণা দিয়ে মারা যায় তার ভিডিও আপলোড করেছে এমন দুয়েকটা ঘটনা শুনেছি। আবার কোন অসহায় বিড়ালকে কত কঠিন জায়গা থেকে উদ্ধার করেছে তাও দেখেছি করুনাধারা। এবারের অস্ট্রেলিয়ার বুশফায়ারে কোয়ালা সহ কত প্রানীকে নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে সাধারণ মানুষ উদ্ধার করেছে তাতো আপনিও জানেন।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

১৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সহমত।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জুন বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ হোসেন

২০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

রামিসা রোজা বলেছেন:

বিতর্কিত গ্লোব বায়োটেক এর টিকার প্রতি আমার মনেহয়
দেশের জনগণ খুব একটা আস্থা রাখতে পারবে না। আর
আপনার লেখায় যা পড়লাম তা শুনে তো আমি রীতিমতো
হতবাক । আল্লাহই জানেন শেষ ভরসা কি হবে ,
ভ্যাকসিন এর ব্যাপারে ।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৩

জুন বলেছেন: জী রামিসা রোজা ভ্যক্সিন নিয়ে এখনো ফাইনাল কিছুই বলাও যাচ্ছে না, বোঝা যাচ্ছে না ।
অনিবার্য কারনে মন্তব্যের জবাব দিতে দেরী হলো বলে দুঃখিত আমি ।
আশাকরি সামনের দিনগুলোতেও সাথে থাকবেন । অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।

২১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



এইসব গ্লোব ইত্যাদি ইডিয়টে ভরপুর; লোকটাকে পিটানোর দরকার ছিলো।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৪

জুন বলেছেন: লোকটাকে পিটানোর দরকার ছিলো। :-*
না না পিটাপিটি কেনো চাদগাজী !
আসলে উনি যেই পদে আছেন তার উচিত একটু সচেতনতা ।
এটাই আমার বক্তব্য ।

২২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লোকটার বর্বরতা ক্ষমার অযোগ্য।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৬

জুন বলেছেন: হেনা ভাই সকালের শুভেচ্ছা রইলো । উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল বলে আন্তরিক দুঃখিত আমি ।
আসলে ভদ্রলোক সচেতন না এই বিষয়ে । কিন্ত হওয়া উচিত ছিল ।
অনেক ধন্যবাদ ।

২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা আসো আসো
আমি ময়ুরপঙ্খী নাও পাঠালাম


১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৮

জুন বলেছেন: view this link
পংখীটাকে কন্ঠি বানিয়ে শুনো শায়মা :)

উত্তর দিতে দেরী হলো বলে অনেক দুঃখিত আমি :(

২৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৮

সকাল রয় বলেছেন: মানুষের কাছে প্রাণীকুল বড় অসহায়

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৯

জুন বলেছেন: দানীং মানুষও মানুষের কাছে নিরাপদ না সকাল ।
তা এতদিন পর ভর দুপুরে কোথা থেকে উদয় হলো সকালের !!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জেনো । ভালো আছো তো ??

২৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৬

মা.হাসান বলেছেন: রিসার্চ ফান্ডিঙের সময় একটা এথিকাল কমিটির অ্যাপ্রুভালের দরকার হয়। অ্যানিম্যাল ক্রুয়েলটির বিষয় থাকলে দেখা হয় কেনো এটা করা হচ্ছে, বিকল্প কি আছে, কতটুকু কষ্ট দেয়া হবে ইত্যাদি। আমরা টেলিভিশন নেই। এই জিনিস দেখি নি । যা শুনলাম তা রিসার্চের মধ্যে পড়ে না, অসুস্থতার মধ্যে পড়ে। দেশের প্রচলিত আইন (Animal Welfare Act of 2019) অনুসারে এটা পানিশেবল অফেন্স।

গ্লোবের টিকা একটা ভন্ডামি। ১৩ এবং ১৪ নম্বর মন্তব্য দেখুন। ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরে অভিজ্ঞ দুএকজনের সাথে আলাপ আছে। ওনাদের বক্তব্য এরকম যে - গ্লোবের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না, বাজারে এদের অনেক দেনা। এরা ব্যাংকলোন বা ইনভেস্টমেন্ট খুঁজছে । সেজন্য এত প্রচারণা।

করোনার টিকা আপনার পাওয়ার সুযোগ কম। সব ঠিক মতো চললে কোনো কোনো টিকা এবছরের নভেম্বরের শেষে অনুমোদন পেতে পারে। রাতারাতি সাত বিলিয়ন টিকা তৈরি করা যাবে না। গুজব আছে , আমাদের সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রথম চালানে ৩% জনগনের জন্য টিকা পাওয়ার , পরে চালানে ২০% এবং আরো পরে সবার জন্য টিকা পাওয়ার। প্রথম চালান পাবার কথা যারা ফ্রন্ট লাইনে আছেন- ডাক্তার, নার্স এদের। তবে আগে পাবে মন্ত্রী-নেতা এনাদের আত্মীয় স্বজন। এর পর ডাক্তার। আপনার টিকা পাবার সিরিয়াল আসতে আসতে সামনের বছরের শেষের দিক। সর্টকাট একটা আছে। ''বাংলাদেশে ব্লগারস লীগ'' নামের সংগঠন খুলে আপনি সভানেত্রি হয়ে যেতে পারেন, সিরিয়াল আগে আসবে।

একটা মহামারি দেড় -দুবছর পর নিজে থেকে দূর্বল হয়ে যায়। কাজেই টিকা ব্যবসায়ীরা ভালো ব্যবসা নাও করতে পারে।

তবে বাজারে ১ টাকা দামের প্যারাসিটামলেরও নকল পাওয়া যায়। কাজেই কালোবাজারে যদি নকল চাইনিজ/আমেরিকান/ইউরোপিয়ান টিকা চড়া দামে বিক্রি হয় তবে অবাক হবো না। গ্লোবও ভুয়া টিকা বিক্রি করতে পারে। টিকার বিষয়ে একটু সতর্ক থাকাই ভালো হবে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৬

জুন বলেছেন: অ্যানিম্যাল ক্রুয়েলটির বিষয় থাকলে দেখা হয় কেনো এটা করা হচ্ছে, বিকল্প কি আছে, কতটুকু কষ্ট দেয়া হবে ইত্যাদি।
মা হা আপনি নিশ্চয় খেয়াল করেছেন ম্যুভিতে বিশেষ করে হলিউডের ছবিতে কোন প্রানী থাকলে আগেই ঘোষনা থাকে এইসব প্রানীদের উপর বিন্দুমাত্র অত্যাচার করা হয়নি । আর আমরা !
টেলিভিশন নাই শুইনা অবাক হইলাম ! এইটা কি ধর্মীয় কারনে নাকি পয়সার অভা-- !!
বাংলাদেশের কোন চাকরী, কোন কোম্পানীর অবস্থাই ভালো না এক চোরদের ছাড়া তারাই একমাত্র দেশে সুখে শান্তিতে আছে ।
আমি যখন কোনভাবেই টিকা পাবো না তখন মহামারি দুব্বল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই :(

মহামারী নিজে নিজে চলে যাক এই দোয়া রইলো । সংশ্লিষ্ট বিষয় নিইয়ে মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন আর নিয়মিত লেখালেখির সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশায় :)

২৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী ভয়ংকর !

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

জুন বলেছেন: মনিরা উত্তর দিতে দেরী হলো মনে কিছু নিও না ।
শুধু ভয়ংকরই না অনভিপ্রেত একটি দৃশ্য ।
ভালো থেকো অনেক অনেক ।

২৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪২

রাকু হাসান বলেছেন:

দুঃখজনক! প্রকাশ্যে এমন করতে দেখিনি.. শুনেই মর্মাহত হলাম।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪০

জুন বলেছেন: রাকু হাসান অনেক দেরী হয়ে গেল উত্তর দিতে :(
দুঃখজনক মানে ! লোকটা সাংবাদিকের সাথে কথা বলছে আর অন্যমনস্কভাবে ইদুরের গায়ে লম্বা সুইটি দিয়ে গা ফুড়ে দিচ্ছে । অবাক কান্ড ।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

২৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার পোষ্টে সবার মন্তব্য গুলো পড়ে ভালো লেগেছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪২

জুন বলেছেন: আপনাকে আবার দেখে ভালোলাগলো রাজীব নুর । মন্তব্য যারা করেছে তারা প্রত্যেকেই জ্ঞ্যানীগুনী । তাই ভালোলেগেছে আপনার, আমারও ।

২৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: দেশী পন্য কিনে হৌউন ধন্য ! :D :D

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

জুন বলেছেন: সব সময় এই স্লোগান খাটে না অপু তানভীর ,
বিশেষ করে ঔষধের ক্ষেত্রে :)


মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

প্রশ্নফাস জেনারেশন, অটোপাস জেনারেশন তারা করবে গবেষণা!
তারা করবে উদ্ভাবন?
সেরেছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

জুন বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
মেডিকেলের প্রশ্নফাস করা লোকটাকে দেখেছেন ?? কি নুরানী চেহারা ।
আসলে এদের পেছনে রাঘব বোয়ালরা অবশ্যই রয়েছে বলে আমি মনে করি ।
মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আর উত্তর দিতে দেরীর জন্য দুঃখিত অনেক ।

৩১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:২৮

সোহানী বলেছেন: এটা অবশ্যই দু:খজনক। তবে পর্দার পিছনের দৃশ্য ভয়াবহ, ওটা আমরা কেউ দেখি না বা দেখতেও চাই না।

আপনি নিশ্চয় জানেন, ভারত চীন এমন কি বাংলাদেশে ও নাকি অনেক নতুন ভ্যাক্সিন পরীক্ষা করা হয়। এর সত্যতা আমার জানা নেই। তবে এসব পরীক্ষা বা ট্রায়াল না হলে আসল ভ্যাক্সিন পাওয়া সম্ভব নয় তা সত্য।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

জুন বলেছেন: পর্দার পিছনের দৃশ্য ভয়াবহ, ওটা আমরা কেউ দেখি না বা দেখতেও চাই না।
অবশ্যই সোহানী কিন্ত পর্দার সামনে এটা আসা অনুচিত ।
দোয়া করবেন যেন শীঘ্রই ভ্যক্সিন আবিস্কার হয় আর আমরা এই কেয়ামত থেকে মুক্ত হই ।
ভালো থাকবেন অনেক অনেক ।

৩২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর পঞ্চাশ দেশে হাজার হাজার ল্যাবে করোনা টিকা উদ্ভাবনের চেষ্টা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড সব ক্রাইটেরিয়া মেনেই করোনা টিকা উদ্ভাবন চেষ্টা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইদুরের উপর পরিক্ষার অনুমতি পেয়েছে। ওদের 'টিকা উদ্ভাবনের চেষ্টা' প্রাথমিক পর্যায়ে। ভাল না খারাপ এখনো বলার সময় হয়নি।
চার পাচ দফা ট্রায়ালের পর WHO CDC FDA ৩ সংস্থার অনুমোদন ও বাংলাদেশের অনুমদন এখনো অনেক অনেক পর্ব বাকি। আর সব অনুমদন পেলেও বাংলাদেশ কে দিবে না। স্বত্ত বিক্রি করে দিবে জনসন এন্ড জনসন বা ফাইজারের কাছে।
ও ব্যাটার চাপাবাজি কান্না অনেকের কাছে ভাল লাগেনি, আমার কাছেও লাগেনি।

তবে যে কোন প্রডাক্ট এর মার্কেটিং করতে চাপাবাজি একটা শিল্প, ক্ষেপে যাওয়ার কিছু নেই। দেশি ল্যাব বলে বাংগালীর গতানুগতিক নাটসিটকানো। বিদেশী চাইনিজ মাল বিষ হলেও গিলে ফেলতে সমস্যা নেই।

আর ছোট কম্পানীর দেশী ওসুধ খারাপ এটা মেনে নিতে পারলাম না।
বাংলাদেশে ছোট বড় কোন কম্পানীই ওসুধ বানায় না।
ছোট বড় সব কম্পানী চীন বা ভারতের একই পাইকারি বাজার থেকে ওসুধের একই ড্রাম কিনে ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকৃতি করে প্যাকেটজাত করে। সব অসুধ একই মান।
প্যারাসিটামল ও এন্টাসিডের মত কাচামাল অবস্য বাংলাদেশেই তৈরি হয়, সেটা একমাত্র গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কারখানায়। এখন হয়তো স্কোয়ার বেক্সিমকোও করছে।
বাংলাদেশের ডাক্তাররা ছোট কম্পানীর ওসুধ লিখতে পারবে না কোনদিনই। আগেই 'নারায়ন' পেয়ে বুকড হয়ে থাকে কর্পোরেট জায়েন্ট চক্রের কাছে। এটাও বিক্রয় প্রতিনিধীদের মার্কেটিং দক্ষতা।
ছোট কম্পানীর অসুধ বিক্রি হয় মুলত গ্রামগঞ্জে। ব্যাপক বিক্রি হয়। সেখানে ফার্মেসি দোকানদাররাই ডাক্তার।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫২

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে হাসান কালবৈশাখি । তবে বিদেশ থেকে যে ঔষধের কাচামাল আসে তা আমরা আস্তে আস্তে ব্যবহার করি,পুরান এক্সপায়ার মাল ব্যবহারের পর। যখন নতুন মাল ব্যবহারের সময় আসে তখন সেগুলোও এক্সপায়ার্ড হয়ে যায় সেই পুরনো মালের মতই ।

৩৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

আমি সাজিদ বলেছেন: হাসান ভাই আজকে যদি গ্লোবের মালিক বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান হতো তাহলে কি ৩২ নম্বর কমেন্টে আপনার কথাগুলো পরিবর্তন হতো? ফার্মেসীর দোকানদার যে কবিরাজি করতে গিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ময়দার গুড়ো দিয়ে বানানো ট্যাবলেট গিলিয়ে নানা বিপত্তি বাঁধিয়ে বসে তার দায়ভার কি আপনি নিবেন? আপনি খাবেন এই মেডিসিন?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

জুন বলেছেন: কালবৈশাখী ঝড়ের মতই উত্তর দিয়েছে আমি সাজিদ। আপনার পিতা কন্যার চিঠির কি হলো?

৩৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৭

মা.হাসান বলেছেন: ছোট বড় সব কম্পানী চীন বা ভারতের একই পাইকারি বাজার থেকে ওসুধের একই ড্রাম কিনে ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকৃতি করে প্যাকেটজাত করে। সব অসুধ একই মান।
হাসান কালবৈশাখীর এই কথা সত্য না ।
নর্থ আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইউরোপের দেশ গুলোতে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রনে ভালো কড়াকড়ি করা হয়। খারাপ ইনগ্রেডিয়েন্ট দিয়ে ওষুধ বানালে বাজারজাত করতে পারবে না। ৯০র দশকে বাংলাদেশের বেক্সিমকো আমেরিকান মার্কেট ধরার জন্য ডলারে বেতন দিয়ে আমেরিকান কোয়ালিটি কন্ট্রোলার এবং ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দিয়েছিলো (পরবর্তিতে সালমান রহমান রাজনীতিতে বেশি সক্রিয় হবার পর বেক্সিমকোর প্রজেক্টে সময় কম দিচ্ছিলেন বলে এটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়, শেষ খবর জানি না)। বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকটা কম্পানি তাদের ওষুধ ইউরোপের বাজারে রফ্তানি করতে পারে, কঠোর মান নিয়ন্ত্রনের কারনে। ওষুধের কাচামাল চিন, ভারত, কোরিয়া এবং জার্মানি থেকেই মুলত আমদানি করা হয়। ভালো কোনো ওষুধ কম্পানি চিন বা ভারতের কাচামাল ব্যবহার করে না। আলফা এসার (থার্মোফিশার), কুরি, সিগমা এদের কাচামালের মান ভালো । বাংলাদেশের কোনো কোনো কম্পানি বিএএসএফ ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে কাঁচামাল কেনা পরিহার করে (বিএএসএফ বেশি কিছু ভালো সাপ্লাইয়ারের লোকাল অথরাইজড এজেন্ট)। বাকিরা বাহির থেকে আমদানি করে। অধিকাংশ কোম্পানি ভারতীয় বা চিনা মাল ব্যবহার করে। ওষুধের মান নিয়ন্ত্রন ঠিক মতো করা হলে ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক নাম লিখতে বাধ্য করা যেতো, এই খাতে অরাজকতা হতো না।

অতীতে মান বিহীন প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

বাংলাদেশের দেড়শতের বেশি ওষুধ তৈরিকারি কম্পানি আছে। ওষুধের মান নিয়ন্ত্রনের দায় ওষুধ প্রশাসনের। কিন্তু এদের যা জনবল তা দিয়ে দশটা কারখানাও নিয়মিত পরিদর্শন করা সম্ভব না। অথচ ওষুধ খাত থেকে শত শত কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হয়। টাকা যায় কোথায়? তাহাজ্জুদের নামাজের জায়নামাজ কিনতে ? না কি বোয়িঙ কিনতে?

সোহানী আপা ঠিক বলেছেন। অনেক ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালানো হয় তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে। কয়েক বছর আগে ডেঙ্গুর টিকা পরীক্ষা করা হয়েছিলো ফিলিপিন্সে, কয়েকটা বাচ্চা মারা যায়।
মেনিনজাইটিসের নতুন ওষুধ টেস্ট করা হয়েছিলো নাইজেরিয়ায়। পুরাতন এবং কার্যকর ওষুধ কিন্তু ছিলো। ফাইজারের ঐ ট্রায়ালে অনেক বাচ্চাও মারা যায়; এদের সবাইকে বাচানো যেতো যদি এদের গিনিপিগ হিসেবে ট্রিট না করে মানুষ হিসেবে গন্য করা হতো।
অধিকাংশ জন্ম নিয়ন্ত্রন ড্রাগ টেস্ট করা হয়েছে তৃতীয় বিশ্বের জনগনের উপরে। বাংলাদেশে ৮০র দশকে নরপ্ল্যান্ট নামের একটা ওষুধ আসে। চামড়ার নিচে ছোট একটা স্টিক ঢুকিয়ে দিলে পাঁচ বছরের জন্য বাচ্চা হবে না। এর ট্রায়াল হয়েছিলো চিলিতে। এফডিএ অ্যাপ্রুভ করলেও আমেরিকাতে এখন আর পাওয়া যায় না। সে সময় আমেরিকার খবরের কাগজে এসেছিলো, কালো মহিলাদের উপর এটা প্রয়োগ করে কালো লোকদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রন করা যায়। গুগুলে Norplant লিখে চেক করতে পারেন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

জুন বলেছেন: মাহা এই মন্তব্য কাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন বুঝতে পারছি না :(
কালবৈশাখীকে কি!!
তারপর ও আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই :)

৩৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের ওষুধ মানহীন, ছোট ওষুধ কম্পানির প্রডাক্ট সব মানহীন মেনে নিতে পারলাম না ভাই।
আমিও গ্রামে যাই, মাঝে মাঝে ভাতিজার ছোট্ট ফার্মেসিটিতে বসি, অচেনা ব্রান্ড, গ্রাম্য রিপ্রেজেন্টিটিভ, ডিষ্টিবিউটার, রোগি, গ্রাম্য কোয়াক দেখি।
গ্রামে থাকলে তথাকথিত নিম্নমানের অসুধ আমার বাচ্চাকেও খাওয়াই। খাওয়াতে বাধ্য হই। বাস্তবতা দেখে পর্যাপ্ত আস্থা পাই বলেই বিনা দ্বিধায় খাওয়াই।
অতীতে নকল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেটা বহু যুগ আগের ঘটনা। নকল ওষুধ আর ছোট কম্পানীর ওষুধ গুলিয়ে ফেললে সমস্য।
যা বুঝেছি ছোট কম্পানী কখনোই নিম্ন মানের বা আটা-ময়দার ওষুধ বানাবে না, একবার আস্থা হারালে কম্পানী শেষ, কেউ কিনবেনা। নকল ওষুধ বানায় লাইসেন্স বিহীন ভুয়া কম্পানী।

গত এক দশকে ওষুধ শিল্পে প্রভুত উন্নতি হয়েছে।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে শত বিতর্ক থাকলেও বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের সুনাম বিশ্বজুড়ে।
গুণগত মান ও কার্যকারিতার কারণে বাংলাদেশের ওষুধ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ববাজারে। দেশের ৯৮ শতাংশ চাহিদা মিটিয়ে দেশীয় ৪৬ কোম্পানির ৩০০ ধরনের ওষুধপণ্য ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ আমেরিকা সহ ১৬০টি দেশে।
শুধু তাই নয়, বিশ্বের ৪৮ বড় ওষুধ রফতানিকারক দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে বাংলাদেশের নাম। দেশের ২৫৭টি কোম্পানির কারখানায় বছরে ২৪ হাজার ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে। বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধ ও কাঁচামাল উৎপাদিত হচ্ছে এসব কারখানায়। এ শিল্পে প্রায় ২ লাখ দক্ষ জনশক্তির একটি শক্তিশালী অবকাঠামো। ছোট করে দেখার কিছু নেই।
মুলত দেশে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ অনেকটাই নিশ্চিত হওয়াতে দুঃসাহসি ইনভেষ্ট করতে সাহস পেয়েছে বড় বড় ইনভেষ্টররা।

বাংলাদেশ সরকারও বসে বসে ঘাস খায় নি। সুযোগের সদব্যবহার করে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা বা এলডিসি হিসেবে ওষুধশিল্পে মেধাস্বত্ব ছাড় আরো ১৭ বছর বৃদ্ধি (২০৩৩ সাল পর্যন্ত) করা সম্ভব হয়েছে। এতে ডা জাফরুল্লারও অবদান আছে। ফলে বাংলাদেশের ওষুধশিল্প বিনা পেটেন্ট ফিতে কম প্রডাক্টমুল্য এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। ওষুধশিল্পকে আরও বেগবান করতে এবং রপ্তানি সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ২০১৯ কে ওষুধকে ‘বর্ষ পণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল সরকার। এ সুবিধায় বিশ্ব ওষুধ রপ্তানির বিশাল বাজার ধরতে তোড়জোড় শুরু করেছে বাংলাদেশের বড় কম্পানীগুলো।

বাংলাদেশের ওষুধের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়াটা এত সহজ হয়নি।
ইউরোপ-আমেরিকায় ওষুধের মতো স্পর্শকাতর পণ্য বাজারে যায় বিভিন্ন সংস্থা দ্বারা যথাযথ মান যাচাইয়ের পর। তাদের মান যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার ওপর সবাই আস্থাশীল। সেই মান যাচাইয়ের পরীক্ষায় পাস করেই আমাদের ওষুধ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। আমেরিকায় ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএর ছাড়পত্র পাওয়া দুরূহ, অসম্ভব ব্যাপার।

অসম্ভব কে সম্ভব করে বাংলাদেশের ওষুধ তাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। গুণ প্রশ্নাতীত না হলেও। স্বস্তির বিষয় হলো, বাংলাদেশ অন্যদের চেয়ে অনেক কম মূল্যে মানসম্মত ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে। এটাই বড় গুণ।

ক্যানসারের ওষুধের তৈরি করছে বাংলাদেশ। তৈরি করছে হেপাটাইটিস সির ওষুধ। ক্যানসারের ৮৪ ডোজের চিকিৎসায় ১ ডোজের খরচ ১ হাজার ডলার। পুরো কোর্সে খরচ ৮৪ হাজার ডলার। বাংলাদেশে তৈরি এর ১ ডোজের পাইকারি মুল্য মাত্র ১০ ডলার। ভারতীয় একটি দৈনিকের প্রতিবেদন বলছে, উন্নত বিশ্বে যে ওষুধের দাম গড়ে ৪২৫ ডলার, বাংলাদেশে এর দাম মাত্র ৩২ ডলার। মানও খারাপ নয়।

রিসেন্টলি করোনা টিকার কম মুল্যে বাংলাদেশের মাধ্যমে তৈরি করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্বের বড় বড় কম্পানী ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরুকরে দিয়েছে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

জুন বলেছেন: অসম্ভব কে সম্ভব করে বাংলাদেশের ওষুধ তাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। গুণ প্রশ্নাতীত না হলেও। স্বস্তির বিষয় হলো, বাংলাদেশ অন্যদের চেয়ে অনেক কম মূল্যে মানসম্মত ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে। এটাই বড় গুণ।

ক্যানসারের ওষুধের তৈরি করছে বাংলাদেশ। তৈরি করছে হেপাটাইটিস সির ওষুধ। ক্যানসারের ৮৪ ডোজের চিকিৎসায় ১ ডোজের খরচ ১ হাজার ডলার। পুরো কোর্সে খরচ ৮৪ হাজার ডলার। বাংলাদেশে তৈরি এর ১ ডোজের পাইকারি মুল্য মাত্র ১০ ডলার। ভারতীয় একটি দৈনিকের প্রতিবেদন বলছে, উন্নত বিশ্বে যে ওষুধের দাম গড়ে ৪২৫ ডলার, বাংলাদেশে এর দাম মাত্র ৩২ ডলার। মানও খারাপ নয়।
আপনি ঠিকই বলেছেন কালবৈশাখী। আপনার সাথে একমত। কিন্ত কিছু কিছু ঔষধের মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। সুন্দর আলোচনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ইদুরের ছবি প্রদর্শন করে একটি বিশেষ পন্যের আগ্রগতি নিয়ে প্রকারান্তরে এ ধরনের কমার্শিয়েল প্রদর্শনী
অনৈতিক ও বে- আইনী।
বন্য প্রাণীর উপর অনৈতিক বিশেষ করে নীচের ক্যাটাগরীতে পরে এমন যে কোন আচরণ শাস্তি যোগ্য অপরাধ ।
Deliberate or gratuitous attempt to cause suffering
Prolonged or deliberate abuse or neglect
Exhibition and show in a commercial context
Performing leading role in unethical illegal activity
এ কারণে এর প্রদর্শক ( গ্লোভ বায়োটেক সহ ) ও এটি জনসমুখ্যে প্রদর্শনে সহায়তাকারী (টিভি কতৃপক্ষ )সকলেই
অনৈতিক আচরনে যুক্ত বলে গন্য হতে পারে।

সচেতনতামুলক পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ

শুভেচ্ছা রইল

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমি যা বলতে চেয়েছি আপনি খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন। আপনার বর্তমান শারিরীক অবস্থা কেমন ডাঃ এম এ আলী ভাই ? সমস্ত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন নিশ্চয়ই।

৩৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


একটি জীবন্ত ইদুরকে বার বার ইনজেকসনের সিরিঞ্জ দিয়ে খোচানো/ কিংবা খোচানোর
অভিব্যক্তের দৃশ্য জনসমখ্যে প্রদর্শন খুবই পীড়াদায়ক ও অনভিপ্রেত ।

বাংলাদেশে ঔষধ তৈরী শিল্প অনেকটা এগিয়ে গেছে। এটা এখন আন্তর্জাতিক স্বিকৃতি পাচ্ছে ।
করো কোন অবিবেচনা প্রসুত কার্যকলাপের কারণে এর অগ্রযাত্রা থমকে যাক বা অলোচনার
শির্ষে উঠে না আসে সে বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে। এ পোষ্টটি সংশ্লিষ্টদেরকে
সচেতন করার জন্য ভুমিকা রাখবে বলে মনে করি।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

জুন বলেছেন: আমরা অনেকেই জানি এই সব গবেষণায় অনেক নির্মম আচরণ হয়ে থাকে প্রানীদের উপর। এমনকি অনেক ম্যুভিতে তো এমন ও দেখি অনেক সময় মানুষকেও এই কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই জিনিসগুলো প্রকাশ্যে না আসাই ভালো। ভদ্রলোক একটা ল্যাবে সাধারণ পোশাকে হাতে ইদুর নিয়ে অযথা খোচাচ্ছে আর তাদের আবিস্কারের সফলতার গল্প করছে।
আপনার প্রাসঙ্গিক এবং বিশ্লেষণমুলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

৩৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



গ্লোবের আন্তর্জাতিক মানের অ্যানিমেল স্টাডি সেন্টারে বেশ কটি ছোট ইঁদুরের ওপর অ্যানিমেল ট্রায়াল করার পর এই ভেক্সিনটির অগ্রগতি জনসমুখ্যে জনানোর জন্য গ্লোব বায়োটেক সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য । শুধু গবেষনা কেন্দ্রে ব্যবহৃত জীবন্ত ইদুরটিকে জনসমুখ্যে প্রদর্শের বিষয়টিই এতসব আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাদের কাজের অগ্রতি প্রদর্শনের বিষয়ে আরো আনেক সচেতন হওয়ার প্রয়োজন ছিল ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

জুন বলেছেন: আমরাও গ্লোব বায়োটেকের সাফল্য কামনা করছি। এতে আমাদের দেশের সর্বস্তরের জনগন উপকৃত হবে বলেই আমার বিশ্বাস। বিশেষ করে আইসিডিডিআরবির সহযোগিতায় যখন করছে। তবে আপনি শেষে যা বলেছেন সচেতনতা এটাই প্রয়োজন ডাঃ এম এ আলী ভাই। বিশাল অর্জন যেন নিজেদের বোকামির জন্য প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সাথে শুভকামনা রইলো।

৩৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

জাফরুল মবীন বলেছেন: আমি আপনার লেখাটি অনেক আগেই পড়েছিলাম।কিন্তু বেশ কনফিউসনে ছিলাম এবং আছি।আমি নিউজ চ্যানেলগুলোর ভিডিও সার্চ করেছিলাম। নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ল্যাবরেটরি অ্যানিমেলগুলোর যথেষ্ট কেয়ার নেওয়া হয়।তাছাড়া বায়ো সেফটির কারণে কোন চ্যানেলকে ল্যাবের ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার কথা নয়।কিন্তু আপনি যা দেখেছেন সেটা কীভাবে সম্ভব হলো? কোথাও বোঝার ভুল হচ্ছে না তো?অনেকসময় নিউজ চ্যানেলগুলো সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় প্রিরেকর্ডেড ভিডিও চালিয়ে থাকে। আমি নিচে দুটি ভিডিও লিংক দিলাম।ঘটনাটা কি এরকম?-

ভ্যাকসিন তৈরিতে আরও এগোল গ্লোব বায়োটেক, দ্বিতীয় ট্রায়ালেও সফল

সাফল্যের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল 'গ্লোব বায়োটেক'

আপনার ব্লগে একারণেই শ্লথের গতিতে আসা হলো =p~

অনেক অনেক শুভকামনা জুনাপির জন্য।ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

জুন বলেছেন: না ভাই আমার কোন ভুল হয় নি। আমি জীবনে যা একবার দেখি তা মনে রাখতে পারি। এটা ভালো গুনও হতে পারে আবার খারাপ গুনও হতে পারে। সত্যি না হলে আমি এই পোস্টটি লেখার দুঃসাহস করতাম না। বাংলাদেশে এত চ্যানেল যে কোন চ্যানেলে দেখিয়েছে তা বলতে পারছি না বলে অনেক দুঃখিত প্রিয় ব্লগার জাফরুল মবীন।
গবেষণাগারের ভেতর ভদ্রলোক দাড়িয়ে হাসিমুখে কথা বলছে তার এক হাতে লম্বা সুই আলা সিরিঞ্জ আরেক হাতে একটি সাদা ইদুর ধরা। উনি অন্যমনষ্ক ভাবে এবং অপ্রয়োজনীয় ভাবে সুইটা পুরো ইদুরের শরীরে পুশ করছে আর বের করে আনছে। যেন সে একটা প্রানহীন কোন বস্ত।
যাই হোক আপনি যে আমার লেখা পড়ে এত খোজ করেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রাত্রির :)

৪০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৬

আমি সাজিদ বলেছেন: আপাতত ভেবে বসে লিখার সময় পাচ্ছি না আপি। নেহেরু সিরিজটা পর্ব কমিয়ে ছোট করে শেষ করবো কিনা ভাবছি।

অনেক কিন্তুর পরেও গ্লোব সফল হোক চাই।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৩

জুন বলেছেন: আমি সাজিদ আপনি লিখাটি শেষ করুন। আমরা পড়তে চাই। তবে আমি নিজে ইদানীং ব্লগে একটি জিনিস পর্যবেক্ষণ করেছি সেটা হলো বেশি পর্ব হলে অনেক সময় পাঠক আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সত্যিকারের পাঠক এখন হাতেগোনা কয়েকজন। তাই আমি যা লিখি দুই উর্ধ্বে তিন পর্বের উপর যাই না। আপনি শেষ করুন সাজিদ।

৪১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৭

মা.হাসান বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী-- বাংলাদেশে লাইসেন্স প্রাপ্ত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান আড়াইশোর মতো (২০১৯ এর হিসাবে ২৫৭)। লোকাল মার্কেটে সেল কুড়ি হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। ওষুধে ভ্যাট ১৭.৪০%। এই ভ্যাট প্যারাসিটামল থেকে শুরু করে সব ওষুধের উপরেই নেয়া হয়। সেই হিসেবে সরকার ওষুধ থেকে ৩০০০ কোটি টাকা ভ্যাট আসে। আম্রিকাতে ওষুধের উপর ভ্যাট কতো জানাবেন।

বাংলাদেশের ওষুধ রফ্তানি ১০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি- টাকায় প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মতো। ওষুধ রফতানি হয় প্রায় দেড়শর মতো দেশে। তবে মোট ওষুধের ৬০% রফতানি হয় মিয়ানমার, শ্রিলংকা, আফগানিস্তান, স্লোভেনিয়া, ফিলিপাইন, কেনিয়া, ভিয়েতনাম এই সাতটি দেশে। বাকি ১৪০টি দেশে রফতানি হয় বাকি ৪০% ওষুধ।

বাংলাদেশের ওষুধের কাঁচামালের ৯৮% আসে ইন্ডিয়া আর চীন থেকে।

বাংলাদেশের আড়াইশো ওষুধ কম্পানির মধ্যে শুধু মাত্র স্কয়ার, বেক্সিমকো এবং ইনসেপটা এফডিএ থেকে ছাড় পেয়েছে, আর কোনো কম্পানি পায় নি। এই হলো মানসম্পন্ন কম্পানিগুলোর দশা।

ময়মনসিংহের আশেপাশে ওষুধ শিল্পপার্ক করার পরিকল্পনা চলছে। বাস্তবায়ন হলে এটা হবে গেম চেঞ্জার। অনেক কাঁচামাল আমরা নিজেরা তৈরি করতে পারবো। ওষুধের মান বাড়বে। সম্ভবত সেক্ষেত্রে ওষুধ উৎপাদনে সেরা দশে বা কাছাকাছি আসতে পারবো। তবে এটা কতদিনে হবে বলা মুশকিল।

সূত্র-- Bangladesh Association of Pharmaceutical Industries (BAPI) বুলেটিন

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৫

জুন বলেছেন: আশাকরি এই মন্তব্যের উত্তর দিবেন হাসান কালবৈশাখী।
আপনি আমার পোস্টে আসেন্না ক্যান মা হাসান :-*

৪২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: পশু-পাখিদের উপর নির্যাতন চালিয়ে অনেককেই এক ধরণের পাশবিক আনন্দ পেতে দেখি। ইঁদুর যতই দুষ্ট প্রাণী হোক, সে তো গবেষণার কাজে জীবন বিসর্জন দিয়ে মানবসমাজের প্রভূত উপকার সাধন করছে। তাকে প্রকাশ্যে এভাবে সুঁই ফুটিয়ে নির্যাতন করার কোন মানে হয় না। কোম্পানী কর্তৃপক্ষের উচিত, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক সতর্ক করে দেওয়া।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৮

জুন বলেছেন: আমি মনে হয় একটু বেশি পশু প্রেমিক খায়রুল আহসান। আসলে দৃশ্যটি অমানবিক ছিল। যাই হোক তারা এখন সরকারের অনুমোদন পেয়েছে তাদের টিকার। সেই টিকা যেন বিশ্বমানের হয় সেই প্রত্যাশা রইলো। আর অনেক দিন আগের পোস্টে এসে একটি মুল্যবান মন্তব্য রেখে গেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সাথে সকালের শুভেচ্ছা রইলো।

৪৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৫

ডাব্বা বলেছেন: মন খারাপ করবেন না। আপনি গ্লোবকে একটি চিঠি লিখুন বিষয়টি জানিয়ে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৩

জুন বলেছেন: ধন্যবাদ ডাব্বা সুন্দর একটি পরামর্শের জন্য। কিন্ত চিঠি লিখলেই যদি আমাদের দেশে সব সমস্যার সমাধান হতো তাহলেতো কথাই ছিল না । তারপর ও আপনাকে আরেক দফা ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

৪৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৬

ডাব্বা বলেছেন: পেয়েছি!

আমাদের বাংলাদেশের মানুষ গুলো ভেতর থেকে ভালো মনের। কিন্তু এই টর্চার্ড হওয়ার কথাটা যদি ২০০ জন লিখে পাঠাতো তাহলে এর একটা প্রভাব তাদের কাজে হয়তো পড়তো। যদি ২০০০ বা ১০০০০ চিঠি গিয়ে হাজির হতো গ্লোবের দরজায়, গ্লোব এটাকে ইগনোর করতে পারতো না। আর যদি কিছু না ও হতো বিষয়টি ডক্যুমেন্টেড হয়ে থাকতো। এটার অনেক মূল্য।

এই আমি আপনার কাছ থেকে শুনে একটি চিঠি লিখেছি। প্রতিবাদটুকু জানিয়ে দেবার শক্তি আছে, পোঁছে দিলাম।।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫

জুন বলেছেন: পেয়েছি! কি পেয়েছেন ডাব্বা !!

আমাদের পক্ষ হয়ে আপনি যে প্রতিবাদ পত্র লিখেছেন তাঁর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । আমিও চেষ্টা করবো একটা মেইল লিখতে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.