নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুয়াদের জ্ঞ্যান গরিমা

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮



পড়াশোনা করার কারনে আমারা নিজেদের অনেক সময় সর্বাজ্ঞ মনে করি। কিন্ত পড়ালেখা না করেও আমাদের গৃহকর্মীরা কতটা বুদ্ধিমতি তা তাদের কিছু কিছু কথা বা কাজে বোঝা যায়। যেমন এই দুদিন আগের ঘটনা, আমার এক বান্ধবী যে কি না আমার প্রতিবেশীও বটে ফোন করলো। বল্লো "দোস্ত চলো তুমি আর আমি গিয়ে কোথাও থেকে চাইনীজ খেয়ে আসি"। বুঝলাম আমি তাকে একটি ব্যাপারে হেল্প করেছিলাম সে তার রিটার্ন দিতে চাচ্ছে। কিন্ত তার প্রস্তাব শুনে এই দুর্যোগকালে আমি তো অবাক তার উপর বিব্রত। তার কারন সে করোনায় আক্রান্ত ছিল। শারিরীক ভাবে বর্তমানে সে সুস্থ বোধ করছে কিন্ত তার কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড মাত্রই শেষ হয়েছে, কিন্ত সম্পুর্ন করোনা মুক্ত হয়েছে কি না সেই টেষ্টও করেনি। আমি তোতলাতে তোতলাতে বললাম "কি বলো এই সময় বাইরে খাওয়া ঠিক না, পেপারে দেখলাম রেস্টুরেন্ট, হোটেল আর জিম হলো করোনার আস্তানা "।
বান্ধবী বলে উঠলো ' তাইতো, তুমি ঠিকই বলেছো দোস্ত, কিন্ত কি করা যায় বলতো ? শোনো আমার পারু ( তার সার্বক্ষনিক গৃহকর্মী) যে রন্ধনপটিয়সী সেতো তুমি জানোই, পোলাও কোর্মা থেকে চাইনীজ সব কিছুই ফাসক্লাশ রান্না করে। ও তাহলে কিছু রান্না করে তোমার বাসায় দিয়ে আসবে '। আমি না না করছি দরকার নেই, কিন্ত সে কিছুতেই মানছে না, পাঠাবেই। তিন চার বার ফোন করা হয়ে গেল । শেষে আর কোন উপায় না দেখে রাতে মেসেজ পাঠালাম যে 'আমরা তো কাল বাসায় থাকবো না, তুমি ঝামেলা কোরো না'।

পরদিন আবার ফোন আসলো "দোস্ত তাহলে কালকে পাঠাই? কাল থাকবে তো? তুমি পরিস্কার করে বলো তো কেন না করছো? শোনো আরেকটা কথা, পারুর সাথে আলাপ করলাম খাবার পাঠানোর ব্যাপারে, তুমি যে রাজী হচ্ছো না সেটাও বলেছি কিন্ত ও শুনে বল্লো
"আফা আপনের যে করোনা হইছে তার জন্যই মনে হয় জুন আপা মানা করতেছে। আগে তো কোনদিন না করে নাই"। সত্যি কি তাই জুন! "। আমি মনে মনে বললাম দোস্ত আমি এই কথাটি তোমাকে ইনিয়ে বিনিয়ে দুইদিন ধরে বোঝানোর চেষ্টা করছি কিন্ত তুমি বুঝলে না, আর পারু যে কি না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারাও জীবনে দেখেনি, তোমার মত কলেজের টিচারও না সে কিনা একবারেই বুঝে ফেল্লো। কিন্ত এ কথাতো আর বান্ধবীকে বলা যায় না। তাই বলি ' খাবার পাঠালে তো আর এক সাথে বসে খাবার আনন্দ থাকে না, দুনিয়াটা ভালো হোক তারপর আমরা না হয় কোথাও বসে খাবো '। ওর মাথাতে মনে হয় চিন্তাটা বিদ্যুৎ চমকের মত উকি দিয়ে গেল, তাইতো ---

করোনার আগের কাহিনী । রান্নাঘরে বুয়া তরকারী কাটছে আমি চা বানাই, বললাম 'বুয়া জানো কয়েকদিন ধরেই আমার পেটটা চিন চিন করে ব্যাথা করছে'। বুয়া জিজ্ঞেস করলো কোথায় ? আমি হাত দিয়ে দেখালাম , বুয়া তাচ্ছ্যিল্যের ভংগীতে বলে উঠলো "আফা এইডা কিছু না, এইডা ঘেষ্টিকের ব্যাথা, আমারও মাঝে মইদ্দে হয়"। আমি বললাম তাই ! বল্লো "হ ,একটু তেল আর মরিচ কম খাইয়েন, চাও কম খাইয়েন, আফনে অনেক তেল আর ঝাল খান আমি দেখছি। আর ওষধের দোকানে এক রকম টেবলিট আছে কইলেই দিবো চুইষ্যা খাইতে হয় আর বোতলে এক রকম পাওয়া যায় পানির মত হেইডায় তাত্তাড়ি উপকার পাইবেন "।
আমার স্বামী শুনে টুনে বল্লো ভালোইতো বুয়াই এখন তোমার ডাক্তার । কিছুদিন পরে এপোলো হসপিটাল বর্তমানে এভার কেয়ারে যেই ডাক্তারকে আমি সব সময় দেখাই তাকে পেট ব্যাথার কথা বললাম । সাথে সাথে সে আমাকে আরেক ডাক্তারের কাছে রেফার করলো যিনি কিনা একজন gastroenterologists । এই নাম উচ্চারন করতেই আমার দাত ভাংগার অবস্থা।
সেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আমার পেট ব্যাথা শোনামাত্রই নানা রকম টেষ্ট আর আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে দিল। এখন তো আর নাড়ী টেপা ডাক্তার নেই, সবই যন্ত্র নির্ভর। যাই হোক তার ফি সহ দশ হাজার টাকা টোটাল বিল দিলাম। রিপোর্ট আসার পর উনি পিসিতেই দেখে প্রেস্ক্রিপশন লিখে দিল । প্রিন্ট আউট হাতে আসার পর দেখলাম ডায়গ্নোসিস এক বিশাল লম্বা লেখা। জিজ্ঞেস করলাম 'ডাক্তার সাহেব এটার অর্থ কি ? আমার কি হয়েছে পরিস্কার বাংলায় বলেন ? বল্লো " না না তেমন ভয়ের কিছু নেই, সোজা বাংলায় বললে এই যাকে বলে গ্যাষ্ট্রিক এর প্রবলেম। ঔষধ লিখে দিয়েছি আর তেল ঝাল খাবেন না"। ঔষধ সেই এন্টাসিড ট্যবলেট যা চুষে খেতে হয় অথবা তাড়াতাড়ি কাজের জন্য লিকুইড আর খাবার আগে সাতদিন একটা করে সার্জিল ক্যাপ্সুল যা বুয়ার মৌখিক প্রেস্ক্রিপশনে ছিল না, ছিল না দশ হাজার টাকার বিলও :(

মন্তব্য ৮৩ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৮৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বুয়াকেই এর অর্ধেক দিলেও তো টাকাটা বাঁচতো।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২

জুন বলেছেন: বুয়াকেই এর অর্ধেক দিলেও তো টাকাটা বাঁচতো আপনি ঠিকি বলেছেন কবিতা পড়া :(
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



বুয়া গ্যাষ্ট্রিক ধরতে পেরেছে অনুমানে, ডাক্তার ধরেছেন সঠিক পদ্ধতিতে; পেনক্রিয়াসে কিছু ঘটলে বুয়া ধরতে পারবে না, ডাক্তার ধরতে পারবে।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৫

জুন বলেছেন: পেনক্রিয়াসে কিছু ঘটলে বুয়া ধরতে পারবে না, ডাক্তার ধরতে পারবে।
এই প্যাঙ্ক্রিয়াস নিয়ে আমি খুব ভয়ে থাকি চাদগাজী :-&
মন্তব্যে ধন্যবাদ রইলো ।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৬

শাহ আজিজ বলেছেন: এইডা ঘেষ্টিকের ব্যাতা , হজ্ঞলের মাজে মইদ্দে অয় =p~ :D =p~

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১

জুন বলেছেন: এইডা ঘেষ্টিকের ব্যাতা , হজ্ঞলের মাজে মইদ্দে অয় সেটাই =p~

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,





এখন বুঝলেন তো "গরীবের কতা বাসি হৈলে ফলে" ?

১০ হাযার টাকা এ্যাপোলোর ধোপদুরস্ত ফ্লোরে বেহুদা ঢেলে আসতে পারলে এখন আপনার এখন উচিৎ আপনার ঘরের বুয়া ডাক্তারকে ৫০০ টাকা দেয়া। :P
বুয়া ডাক্তারের টাকা কম এই জন্যে যে বুয়া আপনাকে সারজেল প্রেসক্রিপশান করেনি। এটা তার পেনাল্টি কারন স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন স্বাস্থ্য খাতে অবহেলা বরদাস্ত করা হবেনা। :(

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

জুন বলেছেন: "গরীবের কতা বাসি হৈলে ফলে" =p~
হা হা হা আসলেও ঠিকি কৈছেন আপ্নে ;)
বুয়ার ভুলে টাকা পাইলো এভার কেয়ার ।

এটা অবশ্য বলা উচিত না তবে আমি তাকে সব সময় তার বেতনের বাইরেও সাহায্য করি । কিন্ত সে আমার কাজে ফাকি দেয় নিয়মিত। তার বলার স্টাইলটা হলো "আফা, জানেন আমি কাজ করার সময় ১৪র সি বাসার খালাম্মা আমার পিছে পিছে ঘুরে । আমি আইডিয়া করতে পারি হে আমার কামের চকিদারি কর্তেছে । ভাবতাছি তার কামডা ছাইরা দিমু আগামী মাসে " । একেই বলে ঝিকে মেরে বৌকে শিক্ষা। সাথে সাথে আমি সতর্ক :P
মজার একটি মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আহমেদ জী এস ।

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: মজা পেলাম পড়ে। পরে আপনার কলেজ শিক্ষক সে বান্ধবীকে কি জবাব দিলেন আপু? আপনার বুয়া বেশ কথা বলেছে - আন্দাজে রোগ ধরে এন্টাসিড ট্যাবলেট আর এন্টাসিড সাসপেনশন দিলো। একদম এই সমস্যার সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শ । ইবনে বতুতা আপু কি সানফ্লাওয়ার ওয়েল দিয়ে রান্না না করে সয়াবিনে রান্না করেন? খাবার দাবারের পরপরই পানি খেয়ে ফেলেন? ডিনার বা লাঞ্চ করা মাত্রই ঘুমাতে চলে যান?

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

জুন বলেছেন: হু বুয়ারা এই সব প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোই জ্ঞ্যান রাখে । আগের দিন হলে হয়তো কিছু টোটকা্র কথা বলতো তারা, এখন তারা ডায়রেক্ট মেডিসিনের কথাই বলে আমি সাজিদ । এবং তারা যথেষ্ট বুদ্ধিমতী । আমি আমার বুয়ার সাথে খুব আন্তরিক। দুজনে দু কাপ চা খেতে খেতে তার জীবনের যত দুঃখ সুখের গল্প সব আমার সাথে ।
আমি আজ থেকে বহু বছর আগে থেকেই সানফ্লাওয়ার এ রান্না করি । তবে সেদিন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েলের ৫ লিটারের এক ক্যান এনেছিলাম । দেখি রান্নাঘরের সব কিছু আঠালো । খুজে বের করলাম আসামী সেই অলিভ ওয়েল । পরে ওটা ফেলে আবার সানফ্লাওয়ারে ফেরত গেলাম । কত্তগুলি টাকা গচ্চা /:)
খাবার দাবারের পর কি !! আমি তো দুই চুমুক পানি খেয়ে খাওয়া স্টার্ট করি । তারপর খেতে খেতে তো পানি খাওয়া চলতেই থাকে । আমি জানি এটা ঠিক না কিন্ত আমার গলায় খাবার আটকে যায় :(
লাঞ্চের পর ঘুমাতে চেষ্টা করি তবে ডিনার রাত আটটার মধ্যে রুটি সব্জী এক কাপ দুধ । ঘুমাই রাত ১১ টায় ।
আশাকরি শীঘ্রই আপনিও আমাকে একটি প্রেসক্রিপশন পাঠাবেন :P
অসংখ্য ধন্যবাদ আমি সাজিদ ।

৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বয়স বাড়ার সাথে সাথে একজন মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বাড়ে,সে লেখা পড়া জানুক বা না জানুক।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

জুন বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য ভাই ।
আমার বুয়া বয়স্ক ৩৫/৪০ হবে কিন্ত আমার বান্ধবীর মেয়েটি ২০/২২ । আমার সাথে চার বার কথা বলে আমার বান্ধবী যা বুঝলো না তা তার সার্বক্ষনিক হেল্পিং হ্যান্ড পারু এক কথায় বুঝলো । যাকে শুধু একবার বলেছে কিরে পারু তোর জুন আপাতো খাবার পাঠাতে না করছে

৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা পড়লাম।বুয়া ডাক্তারকে আমার মনে ধরেছে। আপনার মাহা থাকলে হয়তো বলতেন, নিশ্চয়ই বুয়ার এমবিবিএস পড়া আছে বা ডিক্রি আছে।কোন ভাবে স্যাক হয়ে আত্মগোপন করে আপনার বাসায় বুয়ার কাজ নিয়েছেন।অথবা ডাক্তারি করতে গিয়ে রোগী মেরে ভয়ে পালিয়ে বুয়ার কাজ নিয়েছেন। এক্ষেত্রে ওনার পরামর্শ না নেওয়াই ভালো।এটাতো গেল ওনার কথা।
আমি অবশ্য আপু ওসব বিতর্কে জড়াতে চাই না।বুয়া ভালো বেসে পরামর্শ দিচ্ছেন,এক ডোজ ঔষধ সেবনের মধ্যে খারাপ কিছু দেখিনা।

আমাদের ছোট বেলায় বাড়িতে একটা পাত্রে সেরিডন,ভাইজিন/ভায়াভল্ব,প্যারাসিটামল প্রভৃতি ট্যাবলেট থাকতো।একটা মাথা ব্যাথা,আরেকটা গ্যাসের হলে অপরটি জ্বরের হবে। একটু বেশি জ্বর হলে ডাক্তারখানায় গিয়ে একটা লাল হলুদ খাইয়ে দিত।তাতে জ্বর মালুম না হলেও ক্রমশ বোতলের ওষুধ অবশ্য একসময় শেষ হয়ে হতো। যাই হোক পরের দিকে এসব ওষুধের সঙ্গে যোগ হয় মেট্রোজিলের মত আমাশয়ের ঔষধ। বহুদিন পর্যন্ত ধারনা ছিল মানুষের এই চার রকমের রোগ হয়।আরো অনেক পরে শহরে পড়াশোনা করতে এসে ধারনা পরিবর্তীত হয়। এখন বুঝেছি আমরা বেশিরভাগই এক একজন রোগের ডিপো। আপনি বিশ্বাস নাও করতে পারেন, আমরা শহরে করোনার প্রথম থেকে যতটা আতঙ্কে কাটিয়েছি তার সিকিভাগও আমার গ্রামের মানুষেরা কাটায়নি।ফোনে কথা হলে আমাকে নিয়ে ওরা রসিকতা করতো।অথচ আমরা সাবধানে থেকেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ ভুগেছি। আশপাশের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কয়েকটি খারাপ খবরও কানে এসেছে। কিন্তু আমাদের গ্রামে, জানা বিস্তীর্ণ এলাকায় একজনকেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভুগতে শুনিনি। ফাইনালি আমার ধারনা, কম জানলে বোধহয় জীবনটা অনেক ধুর ভাবনামুক্ত বা স্বাচ্ছন্দ হয়। বেশি জানলেই পদে-পদে বিপদ আমাদেরকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরে। যুক্তিতে হয়তোবা ঠিক নয় তবুও বুয়ারা অনেক সুখি। রোগব্যাধির প্রকোপ ওদের কম।ডাক্তার কবিরাজকে অহেতুক পয়সা দেওয়ার জন্য তাদেরকে ভাবতে হয় না।
সবশেষে একটা অনুরোধ। আপনার বুয়া (ভুয়া নয়)ডাক্তারকে যদি বাসার কাজের ফাঁকে আমাদের জন্যও একটু কনসালটেশন করার সুযোগ দেন তাহলে আমরা ঐ শহুরে মাফিয়াদের ছেড়ে ওদের পরামর্শ নিতে পারি। দশহাজার টাকি ফিজ! ভয়ঙ্কর ব্যাপার।
বহুদিন আগে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় একটি কবিতা লিখেছিলেন, ধর্মতলার মোড়ে লেলিন দাঁড়িয়ে আছেন। আধুনিক ডাক্তারদের জনসেবার এক সার্বিক চিত্র এই কবিতায় কবি উপস্থাপন করে গেছেন।

শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা প্রিয় আপুকে।



২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

জুন বলেছেন: পদাতিক আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো। আগামীকাল জবাব দিবো আপনি সহ সবার মন্তব্যের। আজ শুধু জানান দিয়ে গেলাম আছি এখনো বেচে। সারাদিন দৌড়ের উপর ছিলাম তাই উত্তর দিতে পারি নি তাই দুঃখিত।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১১

জুন বলেছেন: আমাদের মাহা যে কই গেলো বুঝতেই পারছি না। তার কবর পাহারাদারি কি এখনো শেষ হয় নি! আর আখেনাটেনই বা কই!
বুয়া ডাক্তারী পেশা ত্যাগ করে আমার বাসায় কাজ নিয়েছে এইটা শুনলে ব্লগার আহমেদ জী এস আর আমি সাজিদ মাইন্ড করবে কিন্তু ;)
আপনি ঠিকই বলেছেন আগে সবার বাসায় কিছু টুকটাক ঔষধ থাকতো যার মাধ্যমে কাজ চলে যেত। এখন ডাক্তার বাড়ি না দৌড়ালে আমাদের পেটের ভাত হজম হয় না। বুয়ার সেবা নিতে হলে অর্ধেক কমিশন আমাকেও দিতে হবে বলে দিলাম =p~
আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ পদাতিক।

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুয়ারা ভুক্তভুগি তাই আমাদের চেয়ে ওদের আক্কেল বেশী। করোনার কারণে বহু বুয়া কাজ হারিয়েছে। কেউ সরাসরি না করেছে কেউ ঘুড়িয়ে না করেছে। তাই আপনার অজুহাত বুঝতে আপনার দোস্তের বুয়ার সময় লাগে নাই। আমার বাড়িওয়ালার করোনা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে থাকা অবস্থাতেই সে সবাইকে জানিয়েছে যে তার করোনার কারণ হোল তাদের বুয়া। একই বুয়া আমাদের বাসায়ও কাজ করে। হাসপাতালে শুয়েই বাড়িওয়ালা করোনা ছড়ানোর অপরাধে বুয়াকে বাড়িতে ঢুকতে নিষেধ করে দিয়েছে। এখন আমরাও সমস্যায় পড়লাম বাড়িওয়ালার সিদ্ধান্তের কারণে। বুয়ারা অনেক বাস্তবতার সম্মুখীন হয়। দুই দিন আগে আমাদের বুয়াকে পাশের বাড়ির একলোক চুরির অপরাধে প্রচণ্ড গালিগালাজ করেছে (সে ঐ বাড়িতে এক বাসাতেও কাজ করে)। আটবার নাকি ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মারতে উদ্যত হয়েছিল। তার আর্মির আত্মীয় দিয়ে নির্যাতন করানোর হুমকি দিয়েছে। ঐ লোক লিফটে মানি ব্যাগ ফেলে নেমে যায়। এরপরে একলোক ওঠে আর পরে বুয়া ওঠে। পরে যে লোক উঠেছিল তার কথা ওনাদের জানাছিল না। তাই ওনারা ১০০% নিশ্চিত ছিল যে বুয়াই চুরি করেছে। কয়েক ঘণ্টা এভাবে বুয়া ও তার স্বামীকে গালিগালাজ ও মানসিক নির্যাতন করার পর যে লোকটা বুয়ার আগে লিফটে উঠেছিল সে এসে মানি ব্যাগ ফেরত দেয়। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার যার ব্যাগ চুরি হয়েছিল সে প্রকৃত ঘটনা জানার পর বুয়ার সামনে আর আসেনি এমনকি কাউকে দিয়ে সরি পর্যন্ত বলেনি। দারওয়ানকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। পরের দিন বুয়া আমাদের বাসায় এসে আমার স্ত্রীকে তার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বলছে। সে তখনও মানসিকভাবে স্বাভাবিক হতে পারেনি। তাই বলছি বুয়াদের আক্কেল আর অভিজ্ঞতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশী। ওরা জীবনের ঘাটে ঘাটে ঠেকে ঠেকে শিখেছে।

আর এসিডিটির সমস্যার কোনও ভালো চিকিৎসা উন্নত বিশ্বেও আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। আর্থিক কারণে বুয়ার কাছে এইটা কোনও রোগের পর্যায়েই পরে না। তাই আপনাকে উপযুক্ত পরামর্শ দিয়েছে। বুয়ার পরামর্শ আগে নিলে কিছু টাকা বাঁচাতে পারতেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৫

জুন বলেছেন: বুয়ারা সবাই না তবে কিছু কিছু এত বুদ্ধিমান যে অবাক লাগে একটু পড়াশোনা করলে তারা হয়তো আরেকটু ভালো থাকতো। আর আমার মূল বক্তব্যও তাই সাড়ে চুয়াত্তর। আর মিথ্যে অজুহাত দিয়ে অনেক সময় আমরা তাদের ঠকিয়ে থাকি অবশ্য তারাও আমাদের সরলতা ভালোবাসাকে ঠকাতে দ্বিধা করে না। আর আমার বান্ধবীর বাসার মেয়েটা জন্ম ইস্তক মায়ের সাথে ঐ বাসায়। অনেক ইন্টিলিজেন্ট।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সবসময়।

৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌ওনাদের কারো কারো মাথায় ফিচকে বুদ্ধির গোডাউন থাকে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২২

জুন বলেছেন: হা হা হা ঠিকই বলেছেন জলদস্যু। আমার এক বুয়া ছিল তার কাজ শুধু ফার্নিচার মোছা আর ঘর ঝাড়ু মোছা। একদিন সে আমার বেডরুমে আমি কিচেনে। কি দরকারে এসে দেখি (ইনটেনশনালি না) হাতিলের আলমারি যা জীবনেও লক করতে পারি নাই সেটা খুলে আমার হ্যান্ডব্যাগের ভেতরে হাত দিয়ে কি খুজছে। আমি আস্তে করে সরে গেলাম। তারপর সে এসে যেই এক্সকিউজ দিল তা শুনে আমার হাসি চেপে রাখা দায়। " আফা আপ্নের ব্যাগের ভিতর অনেক ধুলা তাই মুছতাছিলাম " :P মনে মনে বলি ঘরের সব ফার্নিচারে ধুলার আস্তরন, সেগুলো না মুছে আলমারির ভেতরের ব্যাগের ভেতরে ধুলা সাফ!!
এই রকম বহু কাহিনী আছে। যাই হোক মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বুয়া বাসা বাড়িতে শুনতে শুনতে অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫

জুন বলেছেন: কিন্ত পারু আজন্ম তার বাড়িতে লালিত পালিত আর ওর বাসাটা দোতলা সিংগল ইউনিট। কারো সাথে মেশামেশির সুযোগ নাই। তবে টিভির খবর মন দিয়ে দেখে তার বেগম সাহেবের চেয়েও B-)
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বুয়া পাওয়া বিরাট ভাগ্যের ব্যাপার।
মানুষের বয়স হলো অভিজ্ঞতা বাড়ে। আপনার বুয়া অভিজ্ঞ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩০

জুন বলেছেন: আমি বুয়ার ব্যাপারে খুব ভাগ্যবান। কারন তাদের উপর আমি কখনই চৌকিদারি করি না। আর রাগারাগি বকাবকির তো প্রশ্নই উঠে না। পছন্দ না হলে আগেই নোটিশ দিয়ে বেতন চুকিয়ে বিদায় দেই। অবশ্য তারা আমাকে ছাড়তে চায় না। ভালো বুয়ার জন্য ভালো বিবিসাহেবও দরকার :)
আমি যখন মাসের পর মাস দেশের বাইরে থাকি তখনো বুয়া আর ড্রাইভার এর বেতন দিয়ে যাই। ঢাকায় ল্যান্ড করার সাথে সাথে বুয়াকে ফোন দেই দৌড়ে আসে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে রাজীব নুর ।

১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



গল্পচ্ছলে হলেও লেখাটিতে বুয়াদের প্রজ্ঞা ও জ্ঞান গরিমার কথা সুন্দরভাবে উঠে এসেছে দেখা গেল ।
উল্লেখ্য বুয়া বা গৃহকর্মী হিসাবে কাজে নিয়োজিত রাখা আমাদের সমাজের একটি দৈনন্দিন জীবনের বাস্তবতা।
বুয়া তথা গৃহকর্মীদের কাজ এখনো প্রাতিষ্ঠানিক বা আইনি স্বীকৃতি পায়নি বাংলাদেশে৷ এঁদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো
শ্রমঘণ্টা নেই, নেই ইচ্ছামত কাজের অধিকার ৷ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে এখন ২৫ লাখ গৃহকর্মী বা গৃহশ্রমিক আছেন৷
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ-২০১০ অনুযায়ী দেশে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে এমন
শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার, যাদের বয়স ৫-১৭ বছর৷ আর এর মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই মেয়েশিশু৷

এই মেয়ে গৃহকর্মীরাই বয়সকালে সমাজের ধনিক শ্রেণীর মানুষের ঘরের কাজের বুয়া । এটা অবশ্য অস্বিকার
করার উপায় নাই যে এদের অনেকেই অনেক পরিবারে নিন্মের ছবির ভাল পরিবেশে ভাল সুযোগ সুবিধা,
ও ভাল বেতন/মজুরীতে কাজের সুযোগ পান ।

অল্পশিক্ষিত বা নিরক্ষরদের জন্য এটা একটা উত্তম সুযোগ। বুয়াদের অনেকেই আবার ঘরের অন্য সকল সদস্যের নিকট
হতে সন্মানজনক সম্বোধন/আচরনও পান যেমনটি অনুভুত হলো এই পোষ্টের লেখা হতে। এটা নিস্ন্দেহে প্রসংসার কাজ ।
পোষ্টটিতে একজন বুয়ার জ্ঞান ও প্রজ্ঞার, বিশেষ করে স্বাস্থ্য পরিচর্যা সম্পর্কিয় বিষয়ে তাদের জ্ঞান গরিমার পরিচয়
সুস্দর করে তুলে ধরা হয়েছে । বুয়াদেরকে এমনভাবে মর্যাদা দিয়ে তাদের যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা তুলে ধরা হলে সমাজে
তাদের জন্য মর্যাদার আসন তৈরী হবে বলে মনে করি ।

পশ্চিমা বিশ্ব এখন ঘরের কাজে রোবট ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে৷ এই নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা৷ তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভিন্ন৷ এখানে ঘরের কাজের জন্য অধিকাংশ বাড়িতে রয়েছেন গৃহকর্মী৷ যাঁদের মাসিক বেতন গড়ে হাজার টাকার মত।৷
আর দিনে কাজ করতে হয় কমপক্ষে দশ ঘন্টা ।এমতাবস্থায় গৃহকর্মীদের জন্য আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শোভন কাজ,
নিরাপত্তা, নিয়োগপত্র প্রদান, ন্যূনতম বয়স, মজুরি নির্ধারণ, ছুটি ও মাতৃত্বকালীন ছুটির অধিকার প্রদানের মতো
বিষয়গুলোর সুরাহা করতে হবে অতি গুরুত্বের সাথে ৷

উল্লেখ্য ২০১৫ সালে বাংলাদেশে গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন হলেও তাদের অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হচ্ছেনা ।
বিষয়টি নিয়ে সমাজ সচেতন সকলকে সোচ্চার হতে হবে।এদেরকে নিয়ে আপনারমত গুণীজনদের লেখালেখি করতে হবে।
মনে পরে রুশ বিপ্লবের সময় লেলিনের একটি স্লোগান ছিল THE KITCHEN MAID THAT WILL RULE THE STATE
তাই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রনে প্রজ্ঞাময় ও জ্ঞান গরিমা সম্পন্ন বুয়াদেরকেও সম্পৃক্ত করার সুযোগ করে দিতে হবে ,
আর বুয়াদের নীজেদেরকেও এগিয়ে আসতে নীজেদের ভাগ্য ও অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য ।

মুল্যবান দিক নির্দেশনামুলক পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

জুন বলেছেন: বুয়া তথা গৃহকর্মীদের কাজ এখনো প্রাতিষ্ঠানিক বা আইনি স্বীকৃতি পায়নি বাংলাদেশে৷ এঁদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো
শ্রমঘণ্টা নেই, নেই ইচ্ছামত কাজের অধিকার ৷

আসলেও ডঃ এম এ আলী উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে এই পার্থক্য প্রকট ভাবে ফুটে উঠে । আমি ইতালী ভ্রমনে গেলে রোমে যেই বাসায় ছিলাম তার গৃহকর্মী দেখে অবাক হয়েছিলাম । হঠাৎ একদিন সকাল দশটায় লুচিয়ানির ল্যান্ডফোন বেজেই চলেছে তার ঘরে, আমি একা বাসায় । কি মনে করে ধরলাম শুনতে পেলাম লুচির গলা । কি ব্যাপার ? সপ্তাহে একদিন কাজ করে যে মেয়েটা তার আসার দিন আমি যেন গেট খুলে দেই । মেয়েটি আসলো ধোপদুরস্ত প্যান্ট শার্ট পড়া , কোকড়া চুলগুলো রবার ব্যান্ডে আটকানো । হেসে করমর্দন করে কফি বানিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসলো আমাকেও এক কাপ দিয়ে । সেই আমার প্রথম বারের মত উন্নত বিশ্বের গৃহকর্মী দেখা শুনেছি তার বহু আগে থেকেই । তখন মনে হলো আমাদের অপুষ্ট শরীরের জরিনা সখিনার কথা আর তাদের চোখের পানি সাথে ছেড়াফাটা কাপড় চোপড় পরনে ।
নিরাপত্তা, নিয়োগপত্র প্রদান, ন্যূনতম বয়স, মজুরি নির্ধারণ, ছুটি ও মাতৃত্বকালীন ছুটির অধিকার প্রদানের মতো
বিষয়গুলোর সুরাহা করতে হবে অতি গুরুত্বের সাথে ৷

ছোট মেয়েদের ঘরে সারাদিন আটকে রেখে চলে যায় বাসার সাহেব বেগম সাহেবরা । কি আমানুষিক ভাবতেও কষ্ট হয় ।
অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন বিষয় তুলে এনেছেন বরাবরের মতই আপনার মন্তব্যে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে :)

১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩৯

সোহানী বলেছেন: ওওও আচ্ছা আচ্ছা। আমার বুয়া কাহিনী কি পড়েছো জুনাপু? তাইলে বুঝবা তারা কি পরিমান বুদ্ধিমান...... B-))

যাই হোক, চাঁদগাজি ভাইয়ের মন্তব্য ভালো লেগেছে। গ্যাসট্রিক ধরছে কিন্তু পেনক্রিয়াসের কিছু হলে ধরতে পারবে না ;) । তাই নেক্সট এ এরকম কিছু হলে বিশ হাজার টাকার দু:খে বুয়ার প্রেসক্রিপশানে ডিপেন্ড করো না.......... হাহাহাহা

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

জুন বলেছেন: বুয়া কাহিনী পড়েছি বলেই মনে পরছে সোহানী । তারপর ও আরেকবার চেক করতে হবে । বুড়ি হয়েছি তো তাই ভুলে যাই :`>
ব্লগার চাদগাজীর মন্তব্য আমি সবসময় লাইক করি ;) তবে দোয়া কইরেন যেন প্যাঙ্ক্রিয়াসে কিচ্ছু না হয় :((
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে ।

১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন অভিজ্ঞতা

আল্লাহ সবাইকেই জ্ঞান দিয়েছেন। এরা সব মতেই বুদ্ধিমান
ফাকি দিতেও বুদ্ধিমান হাহাহা

দারুণ লাগলো আপি

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

জুন বলেছেন: ফাকি দিতেও বুদ্ধিমান হাহাহা আপনি ঠিকই ধরেছেন কাজী ফাতেমা।দশটার দিকে এসেই আমার সাথে এক কাপ চা খাওয়া। তারপর ঘর ঝাড়ু দিতে এসে প্রথমেই ঝাড়ুটা মেঝেতে ফেলে আচলের খুট থেকে পান বের করে মুখে দিয়ে শুরু হয় তার যত গল্প যত দুক্ষের কিচ্ছা। ১৫/২০ মিনিট এইভাবে আলাপের পর হঠাৎ লাফিয়ে উঠে হায় হায় খালাম্মা আমার ঐ বাসায় যাওয়ার টাইম হইয়া যাইতেছে । তারপর বাকি ঘর মোছা, থালাবাসন মাজা তরকারী কোটা রকেটের গতিতে আধাঘন্টায় কোন রকমে সেরে দুড়দাড় দৌড় ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০২

রামিসা রোজা বলেছেন:
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ।
আপনার রোগের ধারণার উপর উনার ফুল কনফিডেন্স ছিলো
তাই তিনি আপনাকে সমাধানও দিয়েছিলেন ।
তারপর ডাক্তার দেখিয়েছেন ভালোই করেছেন অন্তত মনের
সন্দেহ দূর হলো । কারণ আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী ।
খুব ভালো লাগবে খোলামেলা ও আন্তরিকতার সাথে
সুন্দর একটি লেখা উপহার দিয়েছেন ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

জুন বলেছেন: আপনার রোগের ধারণার উপর উনার ফুল কনফিডেন্স ছিলো আসলে তাই মনে হচ্ছে রামিসা রোজা । শুধু শুধু ১০হাজার টাকা পানিতে ফেললাম :)
আপনারও আন্তরিক মন্তব্য পাঠে খুশী হয়েছি অনেক । সাথে থাকবেন সবসময় ।

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

রানার ব্লগ বলেছেন: দয়া করে বুয়াদের সব কথায় কান দেবেন না। ডাক্তার দেখানই ভালো, আপনাকে একটা গল্প বলি হয়তো আগে শুনেছেন আবার শুনুন (জোর জবরদস্তি আর কি) এক রাজা ছিল সে তার নাপিতের কাছে যেত দাড়ি কামাতে, একদিন রাজার পেছন দিকে ফোড়া হলো, রাজা ঠিক ঠাক বসতে পারছিলেন না তাই নাপিত দাড়ি কামতে পারছিলো না, তো নাপিত রাজা কে জিজ্ঞাসা করলো মহারাজ আজ আপনার কি হলো
- রাজার উত্তর , পেছন দিকে ফোড়া হয়েছে তাই বসতে কস্ট হচ্ছে,
- নাপিত শুনেই লম্ফ দিয়ে বলে ও এই ব্যাপার , আসুন আপনার ফোড়া কেটে দেই।
তো রাজা এদিক ও দিক চেয়ে কাপড় টা তুলে নাপিতের দিকে পেছন ফিরে দাঁড়াল, নাপিত তার খুঁড় বের করে কচ করে ফোড়া টা কেটে দিল, রাজার পরম শান্তি, রাজা নাপিত কে এক লক্ষ স্বর্ন মুদ্রা দিলেন আর রাজ্যে এলান করে দিলেন আজ থেকে নাপিত রাজ বদ্যির দায়িত্ব পালন করবে, এখন হলো এই যে কেউই আর বদ্যি বাড়ি যায় না সবাই নাপিতের কাছে যায়, নাপিত তার বুদ্ধি খাটিয়ে যা ইচ্ছা চিকিৎসা শুরু করে দিল, আসল বদ্যিরা পড়লো ঝামেলায়, এদের এখন অবস্থা কাহিল, আয় নাই রোজগার নাই, এরা চিন্তা ভাবনা করে একদিন নাপিতের বাড়ি এসে হাজির, নাপিত তো এদের দেখে মহা খাপ্পা, এই সব অকট মুর্খ্য তার বাড়িতে কেন, যারা একটা ফোড়া কাটতে জানে না এদের দিয়ে হবে টা কি? এই সব কথা বলে গজগজ করতে লাগল, তো বদ্যিরা যথাবিহিত সন্মান করে বলল জনাব আপনি তো এখন অনেক বড় বদ্যি তাই আমরা ঠিক করেছি আপনাকে আমাদের কিছু জানা বিষয় জানিয়ে দেই এতে আপনার উপকার হবে, নাপিত উপকারের কথা শুনে আগ্রিহী হলো, সে বেশ আহ্ললাদি হয়ে বল্য এতে কি আমি আরো বেশি ধন লাভ করতে পারবো? রাজা মশাই কি আরো বেশি আমাকে প্রাচুর্য দান করবেন? বদ্যিরা সব মাথা নেড়ে বল্লো জ্বি জনাব, রাজা আপনাকে মাথায় তুলে রাখবেন, নাপিত তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে গেল জ্ঞ্যান লাভের জন্য। বদ্যিরা তাকে শৈল চিকিৎসার সকল কিছু বুঝিয়ে দিল। নাপিত ও খুশি বৈদ্যিরাও খুশি, আবার রাজার পিঠে ফোড়া হলো যথারিতি নাপিতের ডাক, নাপিত তার খুড় নিয়ে হাযির, রাজা পিঠের কাপড় তুলে বললেন কাটো, এখন আর নাপিত কাটতে পারে না, তার চোখের সামনে হাজারো শিরা উপশিরা ভেসে উঠলো, কোনটা কাটলে কি হয়ে যায় এই চিন্তায় সে অস্থির, রাজা বলেন ও নাপিত কাটো না ব্যাথায় মরে যাই, নাপিত তো ঘেমে অস্থির , সে হাত জোড় করে বলে জনাব আমাকে মাফ করুন আমি কাটতে পারবো না এটা বদ্যির কাজ আমার না। রাজা তো রেগে আগুন , নাপিতের কান ধরে বলে ব্যাটা যেটা বদ্যির কাজ সেটা তুই কেন করেছিস বলে দিল এক ঘাড় ধাক্কা।

আমার গল্প শেষ, আশা করি বুঝে গেছেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

জুন বলেছেন: দয়া করে বুয়াদের সব কথায় কান দেবেন না। ডাক্তার দেখানই ভালো, জী রানার ব্লগ আমি সব সময় আমার নিজস্ব ডাক্তারের পরামর্শে চলি । বুয়ার ব্যাপারটা এখানে লেখাতো যাষ্ট আপনাদের সাথে মজা করা আর তাদের বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে আলোকপাত করা ।
রাজা আর নাপিতের গল্পটি পড়েছি অনেক আগে তারপরো আপনার লেখায় আবার সেই দৃশ্য কল্পনা করে হাসলাম খানিক্ষন ।
আমি কিন্ত আলটিমেটলি সেই খটোমটো নাম ওয়ালা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকেই দেখিয়েছি ।
ভালো থাকবেন আর সাথে থাকবেন বরাবরের মতই । অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো ।

১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেকে অনুমান করে যা বলে পরে দেখা যায় সেটাই বাস্তব।

জ্ঞানী বুয়া।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৯

জুন বলেছেন: জ্ঞ্যানী বুয়া B-) হ্যা তারা অনেক বাস্তব জ্ঞ্যান সম্পন্ন হয় সাত ঘাটের পানি খেতে খেতে মোঃ মাইদুল সরকার। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।

১৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম। শইলডা কি অহনে পুরাই ভালা? কয়দিন আগে রাজীব নূর কার গল্প জানি পুসষ্টাইছিল না নিজের নামে! কোন এক নাপিত ডাক্তারের, আর আইজকা আপনে পুষ্টাইলেন বুয়া ডাক্তারের!! আমাগো জেনুইন ডাক্তার গো এহন কি হইবো? এর মইদ্দেই দুইজন ডাক্তার কিন্তু আয়া উপস্থিত। হ্যাগো টেনশানে ফালায়া কি লাভ!!

গরীবের কথা বাসী হইলে ফলে। গরীবের কথা যদি হুনতেন, তাইলে এতোডি ট্যাকা গচ্চা দিতে হইতো না।

যাউকগ্যা, আপনের বান্ধবী আপনেরে চাইনীজ+করোনা একলগে দিতে চাইছিল, আপনে নিলেন না। কেউ ভালোবাইস্য কিছু দিতে চাইলে ফিরাইতে নাই। এর পর থিক্যা এই ভুল আর কুনসুম কইরেন না। দিলে লগে লগেই লইবেন। তাইলে আপনেও অন্যগোরে কিছু বিলাইতে পারবেন।

এইবার একটা কৌতুক হুনেন,

গৃহকর্ত্রী: তুমি গত তিন দিন কাজে আসো নাই ক্যান?
কাজের বুয়া: আমি তো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিসিলাম যে, আমি বাড়ি যাচ্ছি।
গৃহকর্ত্রী: ওমা, তুমি ফেসবুক চালাও নাকি?
কাজের বুয়া: ক্যান, আপনি জানেন না? আপনার সাহেব তো কমেন্টও দিসে, 'মিস ইউ'!

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০

জুন বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম । আছি আপনাদের দোয়ায় এখনো বাইচ্চা । আমার লেখা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিকছি কিন্ত ।

আমাগো জেনুইন ডাক্তার গো এহন কি হইবো? এর মইদ্দেই দুইজন ডাক্তার কিন্তু আয়া উপস্থিত। হ্যাগো টেনশানে ফালায়া কি লাভ!! হ আইজকাল আসল ডাক্তারের ভাত নাই । দেখেন্নাই রিজেন্টের ডাক্তার শাহেদের অবস্থা ;)
হ বান্ধবীর নিম্নত্রন্টা নিলে ভালোই হইতো । এক ঢিলে দুই পাখি কি কন ! খাইতে না পারলে ইউকেতে রপ্তানী করা যাইতো :)
এই জোক্সটা পড়ছি তবে আরেকবার মজা পেলাম ।
অনেক অনেক ভালো থাকেন ভুয়া পরিবারের সবাইকে নিয়ে । মজার এক মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

আমি সাজিদ বলেছেন: সিনিয়র থাকতে আমার প্রেস্ক্রাইব করা উচিত হবে না। জী এস স্যারের দৃষ্টি আকর্ষন৷ করছি। ভুম ভাইয়ের কৌতুক ভয়াবহ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০২

জুন বলেছেন: জী এস স্যারের দৃষ্টি আকর্ষন৷ করছি।
জী এস স্যার আন্নে কই :-* কিছু কন ;)

ভুম ভাইয়ের কৌতুক ভয়াবহ।
:-&

আরেকবার আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আমি সাজিদ ।

২০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

প্রামানিক বলেছেন: ১৯৯০ সালে আমার জন্ডিস হয়েছিল ৩.৭২। আমার কাজের বুয়া আমাকে তিন বেলা কাঁচা পেপের তরকারী আদা আর জিরা বাটা দিয়ে রান্না করে দিত সেই খেয়ে সাতদিনেই আমার জন্ডিস ভালো হয়েছিল। কাজেই সব বুয়া অবহেলার পাত্র না। ধন্যবাদ জুন আপা

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

জুন বলেছেন: প্রামানিক ভাই অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম । কেমন আছেন কই ছিলেন সব খবর ভালো তো ? কেন আর আগের মত আসেন না ব্লগে ?
আপনার বুয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে দিবেন আমার পক্ষ থেকেও ।
কখনোই বুয়ারা অবহেলার পাত্র না । তাদের সাথে আমি চা খাই :)
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

২১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একে বলে অভিজ্ঞতা আপু।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬

জুন বলেছেন: একে বলে অভিজ্ঞতা আপু। ঠিকই বলেছো মনিরা ।
তারপর তোমার সেই অপরূপ কবিতা নিইয়ে আর আসছো না কেনো বলতো ??
শুভেচ্ছা রাত্রির

২২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আপনার বান্ধবীর তো নিজে থেকেই বুঝে যাওয়ার কথা ছিলো। তবে উনার বুয়ার বুদ্ধিমত্তা আপনাকে বিব্রত অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করেছে।

শুধু বুয়া নয়, আমাদের কাছের কিছু আত্মীয়স্বজনও কমন কিছু রোগের প্রেস্ক্রাইব করতে পারে। তাদের অনুমান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়তো ঠিক হয় কিন্তু পুরোপুরি তাদের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। তবে কিছু অসুখ আছে যেগুলোর টোটকা প্রাথমিকভাবে আমার আম্মু অথবা শ্বাশুড়ির থেকে নেই। দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজ হয়ে যায়। সেজন্য কোনো কিছু হলে আগে এই দু'জন মানুষকে জানানো আমার কাজ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

জুন বলেছেন: জী অবস্থা দৃষ্টেতো তাই মনে হয় শুভ্রনীল শুভ্রা। ওর পারুই ওর চেয়ে ইন্টিলিজেন্ট।
আগে ডাক্তাররা নাড়ি টিপে জিভ দেখে ঔষধ পত্র দিতো। এখন তারা টেস্টের নামে বিশাল অংকের বিল করে হাসপাতালের আয় বাড়াতে সহায়তা করে সাথে তার কমিশন। সবই বুঝি তারপর ও তাদের উপর আমরা নির্ভরশীল। আমরা অনেকে হয়তো পারছি কিন্ত আমাদের দেশের গরীব মানুষরা তো এই সব স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। তাই তারা ডাক্তারের কাছে না গিয়ে আন্দাজে নিজেদের চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো । মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

নাহিদ০৯ বলেছেন: ডাক্তার দেখিয়েছেন ভালো করেছেন। ছোট খাটো টোটকা মা খালারা এমনিতেই জানে। এখন এসব প্রচলন না থাকায় হুটহাট ই আমাদের ডাক্তার এর স্মরনাপন্ন হতে হচ্ছে। দাদী নানী চাচীদের সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছে বাসার বুয়া রা।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

জুন বলেছেন: জী ডাক্তার দেখিয়ে কনফার্ম হয়েছি নাহিদ ০৯। এখন আর আগের মত যৌথ পরিবারও নেই, চাচী ফুফুরাও নেই। আসলেও এক বেলার জন্য বেড়াতে আসেন। তাদের টোটকা চিকিৎসার উপর ভরষা কই আমাদের! অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: gastroenterologist এর গ্যাস্ট্রো... পর্যন্ত উচ্চারণ করার চেষ্টা করেছিলাম! তারপর দাঁত রক্ষা করেছি।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪২

জুন বলেছেন: এই প্রসঙ্গে অনেক আগে পড়া এক কৌতুকের কথা মনে পড়লো ফয়সাল রকি। এক রেড ইন্ডিয়ান ডাক্তারের কাছে গিয়েছে। ডাক্তার শুনে টুনে প্রেসক্রিপশন লিখে দিল। সেখানে ওসুখের এক বিশাল নাম। রেড ইন্ডিয়ান জিজ্ঞেস করলো এর অর্থ কি? ডাকতার জবাব দিলো এর অর্থ অলসতা। তখন লোকটা ডাক্তারকে বল্লো আপনি দয়া করে ওই আগের নামটাই লিখে দিন নাহলে বৌ ---- :P
মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

সেরাম অভিজ্ঞতা :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

জুন বলেছেন: হু এইরাম অভিজ্ঞতা সঞ্চয় বিশাল ব্যাপার ভৃগু। ভালো আছেন তো? ভালো থাকুন সবসময় :)

২৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

রাকু হাসান বলেছেন:

এরকম ডাক্তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সারা বাংলাদেশে...

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

জুন বলেছেন: এরকম ডাক্তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সারা বাংলাদেশে... এদেরকে একসময় কোয়াক ডাক্তার বলা হতো এখন তাদের জায়গা নিয়েছে বুয়ারা। মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রাকু হাসান।

২৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পদাতিক দা'র মত আমিও এরকম কিছু বলতে চেয়েছিলাম। ৯০ এর আগের ঘটনা আমার এক ফ্রেন্ড ডিবি পেয়ে আমেরিকা গেছে। সে ছিল এমবিবিএস পাশ।
মাস তিনেক পর তার চিঠি পেলাম। লিখেছে- সে এক ইন্ডিয়ান হোটেলে তন্দুরি রুটি বানায়।

জুনাপু,
ব্যাংক ম্যানেজারের পানির কল সারাই করে মিস্ত্রি ১০০০ টাকা পারিশ্রমিক চাইল। ম্যানেজার সাহেবের চোখ কপালে!
বলেন কি? এক ঘন্টায় এক হাজার টাকা? এত টাকাতো আমিও বেতন পাইনা।
মিস্ত্রি জবাব দিলেন - আমি যখন ম্যানেজার ছিলাম, আমিও পেতাম না।
গল্পটা বল্লাম কারণ অনেক ভাল প্রফেসনালদের চেয়ে বুয়াদের রোজগার ভাল। ভাল রোজগারের জন্য কেউ আপনার বুয়া সেজেছে কিনা আল্লা মালুম

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

জুন বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন মনে হয় বহুদিন পর আপনাকে দেখলাম ব্লগে। আশাকরি ভালোই ছিলেন এবং আছেন।
আমার জানামতে অনেক শিক্ষিত লোকজন উন্নত বিশ্বে গিয়ে অড জব করতে বাধ্য হয়।
বুয়াদের রোজগার ভালো বিশেষ করে প্রফেশনাল বুয়াদের। আমার বুয়াতো বছরের বেশির ভাগ সময় ছুটিতে থেকেও নিয়মিত বেতন নেয়। আর যেই কদিন কাজ করে তার মাঝেও দশ পনের দিন পর পর দুই দিন কামাই, কি হইছে তোমার "অসুস্থ"।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সবসময়।

২৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পদাতিক দা'র মত আমিও এরকম কিছু বলতে চেয়েছিলাম। ৯০ এর আগের ঘটনা আমার এক ফ্রেন্ড ডিবি পেয়ে আমেরিকা গেছে। সে ছিল এমবিবিএস পাশ।
মাস তিনেক পর তার চিঠি পেলাম। লিখেছে- সে এক ইন্ডিয়ান হোটেলে তন্দুরি রুটি বানায়।

জুনাপু,
ব্যাংক ম্যানেজারের পানির কল সারাই করে মিস্ত্রি ১০০০ টাকা পারিশ্রমিক চাইল। ম্যানেজার সাহেবের চোখ কপালে!
বলেন কি? এক ঘন্টায় এক হাজার টাকা? এত টাকাতো আমিও বেতন পাইনা।
মিস্ত্রি জবাব দিলেন - আমি যখন ম্যানেজার ছিলাম, আমিও পেতাম না।
গল্পটা বল্লাম কারণ অনেক ভাল প্রফেসনালদের চেয়ে বুয়াদের রোজগার ভাল। ভাল রোজগারের জন্য কেউ আপনার বুয়া সেজেছে কিনা আল্লা মালুম

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

জুন বলেছেন: দুবার একই মন্তব্য!!

২৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ঘরের বুয়া আর বাজারের নাপিত
এদেরকে হেলা করবেন না। এরা
সব জানে !!

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

জুন বলেছেন: না না কি যে বলেন! নাপিতের তো দরকার হয় না তবে বুয়াদের আমি অনেক সমাদর করি :) মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বুয়া সমাচার ভাল লাগল আপু।
কেমন আছেন জুনাপি?
অনেক দিন আপনার ভ্রমন কাহিনি পড়া হয়নি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

জুন বলেছেন: মোস্তফা সোহেল মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি। অনেক দিন পর ব্লগে দেখে খুব খুব ভালোলাগলো। আমি আছি একরকম চলছে আর কি? আপনি ভালো আছেন তো? আমার ভ্রমণ কাহিনী কোনটা কি না পড়া আছে? ব্যাংকক যাদুঘর নিয়ে ২পর্বের একটা পোষ্ট আছে কিন্ত। ভালো থাকুন সবসময় এই প্রত্যাশা রইলো। আর মাঝে মাঝে খোজ খবর নিবেন কিন্তু।

৩১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩১

ওমেরা বলেছেন: বুয়ারাও আমাদের মানুষ বাস্তব জ্ঞান তাদেরও আছে কিন্ত আপু শারিরীক সমস্যার ব্যাপারে শুধু বুয়া না আপনজনও ডাক্তার না হয় তার কথা শুনা ঠিক হবে না।
তবে কোন সাধারন ব্যাপারে বুয়া বলে অবহেলা করা ঠিক না বাস্তব অভিজ্ঞতায় অনেক বিষয়ে তারা আমাদের চেয়ে বেশী জানতেই পারে।
ধন্যবাদ আপু।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

জুন বলেছেন: বুয়াদের নিয়ে আমি কোন সিরিয়াস লেখা লিখতে চাইনি ওমেরা যাষ্ট একটু মজা করা। অবশ্যই তারা মানুষ। তাদের মগজ আছে, তারাও অনেক বুদ্ধিমান অবশ্যই। তবে পড়াশোনা মানুষের জ্ঞ্যানবুদ্ধিকে যতটা পরিশীলিত করে চর্চার অভাব বা সুযোগ না পাওয়ায় তাদের হয়তো এতে ফাক থেকে যায়।
তাদের আমি কখনোই অবহেলা করি না। আমার বাসায় আসার সাথে সাথেই আমি আর সে দুজন দু কাপ চা খাই। দশটায় আসে অন্য বাসায় নাস্তা খায় কিন্ত চা পায় না। আমি খাবার সাধলে খায় না কিন্ত চা খুব আগ্রহ করে খায়।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেকদিন লেখা থেকে দূরে আছি, তাই সেভাবে কবিতা নিয়ে আসা হচ্ছে না। তবে ফিরবো জলদি।
ভালো থেকো আপু।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

জুন বলেছেন: অনেকদিন লেখা থেকে দূরে আছি তাতো দেখাই যাচ্ছে মনিরা। তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে উঠে লিখে ফেলুন। তুমিও ভালো থেকো আর সাবধানে।

৩৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩১

মরুর ধুলি বলেছেন: আমি আর কি বলবো, সাড়ে ‍চুয়াত্তরের সাথে একমত পোষণ করছি। বুয়ারা ঘাটে ঘাটে ঠেকে আর শিখে, ওনাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশী।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

জুন বলেছেন: মরুর ধুলি আপনি কি আমার ব্লগে প্রথম? যদি তাই হয় তবে স্বাগত জানাই। বুয়াদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি এটা আমি জানি। কারন আমার বুয়াও আমার সাথে বসে চা খেতে খেতে তার নিজের ও আশেপাশের জীবনের কত শত দুক্কের কিচ্ছা যে বলে তার শেষ নেই। আমি মাঝেমধ্যে বাধা দিলেও সে দুদিন পর আবার শুরু করে। বুঝি তার হয়তো মনের বোঝা হাল্কা করা জরুরি। আমি একজন নিরাপদ শ্রোতা।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৩৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




যাক, আপনি সুস্থ হয়েছেন এটিই বড় বিষয়। ড্রাইভার, বাড়ির কেয়ারটেকার, বুয়া এরা ভালো জ্ঞান রাখেন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

জুন বলেছেন: সুস্থ আরকি ঠাকুর মাহমুদ :( তেল ঝাল কম খাওয়া এই আর কি। এটা আমি নিজেও বুঝতে পারি।
হ্যা তারা অবশ্য জ্ঞ্যানী। চলার পথে ঠোকর খেতে খেতে তারা জীবনের সব পার্টই মোটামুটি শিখে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৩৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৮

মরুর ধুলি বলেছেন: জ্বি, আমি আপনার ব্লগে এই প্রথম। ভাল লাগলো আপনার বুয়াকথন। ধন্যবাদ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫০

জুন বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার লাস্ট পোস্টে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি। আপনার সুস্থতার জন্য দোয়া রইলো।

৩৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: কাজের বুয়ার উপস্তিত বুদ্ধির কথা আর বল্লাম না।
এপোলো হসপিটালের বিশেষজ্ঞ একজন gastroenterologists যিনি-
একগাদা টেষ্ট দিলেন যার বাজার মুল্য ১০ হাজার টাকা এবং রিপোর্ট হাতে পেয়ে,
ওনার মনে হল এইটা সাধারন গেসটিকের সমস্যা। ১০ টাকার সার্জেল খেলে ঠিক হয়ে যাবে!
কি বলবো আপা বেপক বিনোদন! :D

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে শেষ কালিমুদ্দি সাথে আমিও ব্যাপক বিনোদন পাইলাম। থাকেন কই ডুব দিয়ে? শুশুকের মতন ভুস করে ভেসে উঠেন কয়েক মাস পর পর :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখায় আপনাকে পাওয়ার জন্য। ভালো থাকুন সবসময়। আপনাদের ওখানে করোনা কন্ট্রোলে আছে তো? শীত এসেছে এটাই ভয়ের। যাক সাবধানে থাকুন আপনার বিড়ালকে নিয়ে।

৩৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আমার মত ক্ষুদ্র একজন ব্লগারকে এভাবে মনে রাখায় জন্য আপনার নিকট আমি কৃতজ্ঞ। :P
করোনা পরিস্থিতি এখানে খুব ভাল। সবাই সামাজিক দুরত্ব মেনে চলাফেরা করছে রেস্টুরেন্ট এ যাচ্ছে।

গত সপ্তাহে সংক্রমনের হার কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। প্রতি বছর চায়না থেকে দুষিত বায়ু কোরিয়ান উপদ্বীপ আসার ফলে করোনার আগে থেকেই কোরিয়ানরা মাক্স পড়ে বাইরে বের হওয়ার অভ্যাস আছে। তাই বিধি নিষেধ গুলো মানতে তেমন সমস্যা হয় নী। সিউলের বাস স্টোপেজ গুলোতে শরীরের তাপমাত্রা এবং হাত ধুয়ার ব্যবস্হা রাখা হয়েছে।

আমার বিড়াল বরাবরের মতই ভাল আছে। খাওয়া-দাওয়া আর ঘুম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন, সুস্হ থাকুন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৮

জুন বলেছেন: না না দফাদার আমি আপনাকে কখনোই ক্ষুদ্র ব্লগার মনে করি না। আপনি অত্যন্ত্য ভালো একজন পাঠক যে কিনা তার উইটিনেস দিয়ে মন্তব্যের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমি সব সময় আপনাকে আমার পোস্টে পাঠক হিসেবে দেখতে চাই কলিমুদ্দি :)
সার্স ভাইরাসের সময় থেকে ক্যাম্বোডিয়া লাওস থাইল্যান্ড মাস্ক পরা শিখেছিল যার জন্য লাওস ক্যাম্বোডিয়াতে তো সংক্রমণ নাই বললেই চলে, থাইল্যান্ড ও যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রেখেছে ৬০ জন মৃত্যুর মাধ্যমে।
আপনার বেড়াল ছানার জন্য রইলো শুভকামনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।

৩৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৯

রামিসা রোজা বলেছেন:
আপনার লেখাটা পড়ে আমার মনে হলো আমাদের ঘরের
একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করি, আপা ।
আসলে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে এরাও কম জ্ঞান
এবং বড় মনের অধিকারী হয়ে থাকেন , তাই আজ আমিও একটি পোস্ট দিয়েছে জানিনা কে কেমন ভাবে নেবে ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

জুন বলেছেন: তাই নাকি তাহলে তো এখুনি দেখতে হয় আপনার পোস্ট। অবশ্যই ভালো হবে আপনি তো অনেক সুন্দর লিখে থাকেন রামিসা রোজা :)

৩৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

করুণাধারা বলেছেন: বুয়াদের জ্ঞানপূর্ণ বাণী আমিও বেশ শুনেছি, তবে ডাক্তারি জ্ঞানসম্পন্ন বুয়া দেখিনি কখনো। কিন্তু বুয়া না, আপনার লেখা পড়ে আমার যা লিখতে ইচ্ছা করছিল তা লিখবো কিনা ভাবতে ভাবতে দুদিন কাটিয়ে ঠিক করলাম লিখেই ফেলি!! কথাটা হচ্ছে- বুয়ার জ্ঞান বেশি তা নয়, আপনার দোস্তের সাধারণ জ্ঞান, যাকে কমন সেন্স বলে তার বেশ কিছুটা ঘাটতি আছে। অবশ্য এটা শুধু আপনার দোস্ত নয়, করোনা থেকে সেরে ওঠা বা প্রায় সেরে ওঠা প্রতিটি মানুষকে দেখেছি এমন ভাব নিতে যে, "করোনা খুবই মজার রোগ, একবার অভিজ্ঞতাটা নিয়েই দেখুন না!" কিছুটা সুস্থ হয়েই তারা মার্কেটিং, দাওয়াত দেয়া ইত্যাকার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যেমন আমার এক পড়শী সেরে উঠেই একঘেয়েমি কাটাতে এলেন আমার সাথে গল্প করতে... আবার কেউ কেউ একটু সুস্থ বোধ করলেই খুব ঘোরাঘুরি শুরু করেন, নেগেটিভ হবার আগেই... ভাবখানা আমি এক করোনা জয়ী বীর। এমন বীরত্ব দর্শন থেকে রক্ষা পেয়েছেন বুয়ার বুদ্ধিমত্তায়, সেটা মানা যায়। তবে বুয়াদের ডাক্তারি জ্ঞান বেশি সেটা মানছি না। এরা গ্যাসট্রিক বিশেষজ্ঞ হয়, না খেয়ে থাকায় ভুক্তভোগী বলে। কিন্তু আপনি পয়সা খরচ করে টেস্ট করিয়ে একদম ঠিক কাজ করেছেন।

 সুস্থ থাকুন...
 এই সময়ে এরচেয়ে ভালো শুভেচ্ছা বাণী কি আছে!!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৬

জুন বলেছেন: আমার আর ভুয়ার চিল্লাচিল্লিতে লেডি কুম্ভকর্ণ এর ঘুম ভাংলো এতেই লেডি মুগাম্বু খুশ :P

আপনি যা বলেছেন তা যথার্থ করুনাধারা করোনা নিয়ে লোকজনের সচেতনতার ব্যাপারে। পরের কথা আর কি বলবো আমার নিজের আপন বোনই দুই বেলা থ্রেট দিতেছে। "তুইতো আসবি না, তো আমরা কি আসবো নাকি"? বলেন কি বলি। তারপর যদি ইনিয়েবিনিয়ে না করি তো অভিমান "ঠিক আছে তোর বাসায় আর জীবনেও যাবো না" :P বলেন কি অবস্থা।
হ্যা বান্ধবীর বুয়ার জন্যই মুখ রক্ষা আমার।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সব সময় সাথে থাকেন তো তাই আশা থাকে আপনার আসার :) ভালো থাকুন আর সুস্থ থাকুন দেখা হবে আম্রিকায় :``>>

৪০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩১

ঢুকিচেপা বলেছেন: অনেক বছর আগে আমি একটা বাসায় টিউশনি করতাম। সপ্তাহে ৩ দিন যেতাম।
একদিন গিয়ে দরজায় নক করার পর দেখি ৭/৮ বছরের এক বাচ্চা গেট খুলে সালাম দিয়ে আমার পরিচয় জানতে চাইলো। এত চমৎকার তার কথা বলা আমি রীতিমত অভিভূত হয়ে গেলাম। ড্রেস দেখে মনে হচ্ছে গৃহকর্মী কিন্তু কথা শুনে দ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম। পরে জেনেছি ও গৃহকর্মীই ছিল।
প্রকৃতপক্ষে গৃহকর্মীরা ঘরের প্রতিটি আলোচনায় কান সজাগ রাখে এবং অবজার্ভ করে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৫

জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ঢুকিচেপা। এরা অনেক ইন্টিলিজেন্ট হয়। প্রাসঙ্গিক একটি মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: কারো বুয়ার দরকার হইলে জানায়েন, করোনায় আয় রোজগার ভালো না।
মাগার - প্রেসক্রিপশন দিতে পারুম না

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৪

জুন বলেছেন: মাগার - প্রেসক্রিপশন দিতে পারুম না হা হা হা কবিতা। কিন্ত আমার যে বুয়া কাম ডাক্তারই দরকার। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটি মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.