নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শড্যাগন, মিয়ানমারের এক চোখ ঝলসানো প্যাগোডার নাম

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৩


সোনায় মোড়ানো শড্যাগন স্তুপা

শড্যাগন স্তুপা যাকে বলা হয়ে থাকে মিয়ানমারর গর্ব, এক সময়ের ইতিহাস বিখ্যাত রাজধানী শহর ইয়াঙ্গনের সিঙ্গুত্তারা পাহাড় চুড়ায় সোনায় মোড়ানো শড্যাগন ২৬০০ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে এক গর্বিত ভংগিমায়, যার স্বর্নালী সুচালো অগ্রভাগ যেন হাত বাড়িয়ে ছুতে চাইছে নীল আকাশকে। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন আর সেই সাথে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্রতম এই মঠটিতে রাজসিক আভিজাত্য আর সৌন্দর্য্য মিলেমিশে যেন একাকার হয়ে আছে। যাকে এক নজর দেখার জন্য এবং যেখানে প্রার্থনার জন্য সারা বিশ্ব থেকে বছর জুড়ে প্রচুর ট্যুরিষ্ট আর তীর্থ যাত্রীদের ভীড় লেগেই থাকে।
মিয়ানমারে একটি কথা প্রচলিত আছে যে ইয়াঙ্গুন শহরের যেখানেই আপনি দাড়ান না কেন শড্যাগন প্যাগোডার চোখ ঝলসানো রূপ, তার স্বর্নালী আলোর বিচ্ছুরন আপনার চোখে পরবেই পরবে। কথাটি আসলেও সত্য, আমরা এই শহরের যেখানেই গিয়েছি সেখান থেকেই তাকে দেখেছি। স্বর্নালী রঙ এর এই স্তুপা যে সত্যি অনেকটাই স্বর্নমন্ডিত তার জন্যই হয়তো এই ঝলকানি। অফিসিয়ালি একে শড্যাগন জেদী বলা হলেও এই মঠটি গ্রেট ড্যাগন প্যাগোডা বা গোল্ডেন প্যাগোডা বলেই বেশি পরিচিত ।
শডেগন চত্বরে শ্বেত-শভ্র শ্বেত পাথরের গুম্ফা বা গুহা যেখানে ভিক্ষুরা ধ্যানে মগ্ন হন

গৌতম বুদ্ধ সহ মোট চার জন বুদ্ধর মুর্তি
গৌতম বুদ্ধ সহ মোট চার জন বুদ্ধের পবিত্র স্মৃতি চিনহ বুকে নিয়ে গড়ে উঠা শড্যাগন স্তুপাটি ৫১ মিটার অর্থাৎ` ১৬৭ ফিট উচু পাহাড় চুড়ায় ৪৬.৩ হেক্টর জায়গা জুড়ে নির্মিত যা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৭০ মিটার উচুতে অবস্থান। আর তার জন্যই সে ইয়াঙ্গনের আকাশ সীমায় সর্বদাই দৃশ্যমান। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাইডের সাথে ইয়াঙ্গন শহর চষে বেড়ানোর পর দুপুরের খাবারের পর আমাদের গন্তব্য ছিল সেখানকার বিখ্যাত এই প্যাগোডা্কে কাছ থেকে দেখা।

শড্যাগন তার সকল আভিজাত্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সিঙ্গুত্তারা পাহাড়ের শীর্ষে

শড্যাগনে প্রবেশের চারটি দরজা রয়েছে। স্থানীয়রা ফ্রি হলেও বিদেশীদের জন্য বর্তমানে টিকিট মাথাপিছু ১০০০ চেস, তবে আমাদের সময় ৮০০ চেস ছিল। ক্যামেরার জন্য আলাদা চার্জ নেই।টিকিট কেটে জামায় স্টিকার লাগিয়ে রওনা হোলাম সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৭০ মিটার উচু সডেগনের মুল চত্বরে উঠার লিফটের দিকে।
লিফট দিয়ে উঠে মুল চত্বরে প্রবেশের করিডোর
ঝক ঝকে তক তকে করিডোর যার চারদিকে সোনালী রংগের ঝলকানি। ভেতরের প্রবেশের দরজার দুদিকে দুই বিশাল দেহী পৌরানিক কাহিনীর কল্পিত সিংহ যেন এই পবিত্র স্থানটিকে পাহারা দিচ্ছে। ভেতরে গিয়ে দেখি মাঝখানে মুল স্তুপা ছাড়াও চারিদিকের বিশাল চত্বর জুড়ে অসাধারন কারুকার্য্যময় এক একটি স্থাপনা যা অনেক দেশের ট্যুরিস্টদের মত আমাদেরকেও বিস্মিত করছিল।


এটাও স্বর্নালী গুম্ফা বা গুহা যা সুর্যস্তের আভায় লাল বর্ন ধারন করেছে। ভালো করে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন ধ্যানমগ্ন বুদ্ধর মুর্তি

প্রার্থনা শেষে চত্বরে দর্শনার্থীদের ঘোরাফেরা

মুল স্তুপাকে ঘিরে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা ছাড়াও ওই চত্বরেই আছে একটি ফটো গ্যালারী যাতে আছে গৌতম বুদ্ধের জীবনের সাথে জড়িত বেশ কিছু ছবি, আছে গৌতম বুদ্ধ ছাড়াও তার আগের তিনজন বুদ্ধ যথাক্রমে Kakusandha, Koṇāgamana, Kassapa, র মুর্তি। এছাড়াও আছে শড্যাগন নির্মানের প্রাচীন ইতিহাস। আরো রয়েছে অনেক ছবি যাতে আছে এই স্তুপার সাজসজ্জ্বার জন্য ব্যবহার করা দামী রত্নরাজি খচিত অলংকার। অলংকারের ছবি দেখেই মন ভরাতে হবে কারন এসব আমার আপনার দৃষ্টির বাইরে অর্থাৎ আপনি খালি চোখে কখনোই দেখতে পাবেন না। ৩৬৭ ফিট উচু শড্যাগনের শিখরের কাছে যেখানে পবিত্র ছাতা রয়েছে তার কারুকাজে ব্যবহার করা হয়েছে এইসব চোখ ধাধানো অমুল্য রত্নরাজি যা রাজা ও রাজপরিবারের সদস্যদের দেয়া উপহার।
শড্যাগন চত্বরের ফটো গ্যালারী ।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে চোখ ধাধানো দামী রত্ন হীরা, রুবি, নীলা, ইয়েলো স্যাফায়ার, পান্না ছাড়াও আরো অনেক কিছু


এখানেও সোনার তৈরি গৌতম আর আশেপাশে মানিক্য আর নীলা খচিত ফুল লতাপাতার কারুকাজ

গৌতম বুদ্ধের পায়ের ছাপ
পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো এই স্তুপা শড্যাগন নির্মান কাজ শুরু হয়েছিল হয়েছিল তৎকালীন ড্যাগন রাজ্যের মন জাতির রাজা ওক্কালাপার হাত ধরে। বিভিন্ন কাহিনী ও সুত্র থেকে জানা যায় যে গৌতম বুদ্ধের বোধি লাভের প্রথম দিকে তপস্যা ও ভাল্লিকা নামে দুজন মন ব্যাবসায়ী ব্যাবসার উদ্দেশ্যে গিয়ে তাঁঁর সাথে দেখা করেন। গৌতম বুদ্ধ তাদের দুজনকে তার নিজ মাথার ৮ গাছি পবিত্র কেশ স্মৃতি চিনহ হিসেবে দিয়েছিলেন। ব্যাবসায়ী দুজন ফিরে রাজার হাতে তুলে দেন বুদ্ধের সেই পবিত্র চিনহ। মন রাজা ওক্কালাপা তার জনগনকে সাথে নিয়ে গৌতমের সেই পবিত্র কেশ রাশিসহ তার পুর্ববর্তী আরো তিনজন বুদ্ধের ব্যাবহৃত একটি করে স্বারক চিনহ নিয়ে সিঙ্গুত্তারা পাহাড়ের উপরে প্রতিষ্ঠা করেন পবিত্র স্তুপা শড্যাগন যা মিয়ানমারের পবিত্রতম ধর্মীয় স্থাপনা। এখানে বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে বৌদ্ধধর্মাবল্মবী দেশ যেমন চীন, কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং জাপানের প্রচুর তীর্থযাত্রী আসেন। থাই এয়ারওয়েজের বিশাল এয়ার বাস A380-8০০ (৮০০) কে দেখেছি যাত্রী বোঝাই হয়ে ইয়াঙ্গন এয়ারপোর্টে নামতে। এটা ছিল পেনডেমিকের আগে থাই এর ডেইলি ফ্লাইট।

এখনো চলছে এর সংস্কার কাজ, বিদেশি ট্যুরিস্টরা বর্মী লুংগি পরে আছে। জানি না ভাড়া করেছে কি না! তবে সাদারা খুব হিসেবী। অযথা পয়সা খরচ করে না আমাদের মত

শড্যাগন চত্বরে এক কাঠের কারুকাজ করা মঠ
বহুবার শড্যাগনের সংস্কার হয়েছে, বেড়েছে উচ্চতা। এমনকি ১৪৫৪ সনে মন রাজা ধাম্মাজেদির শাশুড়ি পর্যন্ত এর সংস্কারে বিশাল অবদান রেখেছেন। নির্মানের পর থেকে একের পর এক ভুমিকম্প এই স্তুপার অনেক ক্ষতি করেছে তবে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছিল ১৬৬৮ সনে যা স্তুপার শিখরকে ভেঙ্গে চুরমার করেছিল। ১৭৭৫ সনে রাজা শিনবাইউশিন (Hsinbyushin) এর সংস্কার করেন যার মাঝে প্রাধান্য পেয়েছিল এর উচ্চতা। তিনি শডেগনের বর্তমান উচ্চতা ৩২৫ ফিট উচু শিখর নির্মান করেছিলেন।
শড্যাগনের ভিত্তি নির্মিত হয়েছে ইট দিয়ে তবে পুরো স্তুপাটাই সত্যিকারের স্বর্নালী পাতে মোড়ানো। এই স্তুপায় মোট ৫০০ টন স্বর্ন ব্যবহার করা হয়েছে। ১৫ শতকে রানী শিন সবু তার শরীরের ওজনের সমপরিমান স্বর্ন দানের পর থেকে এটা রেওয়াজে পরিনত হয় । যার ফলে পরে অনেকেই শড্যাগনের তৈরি বা সংস্কার কাজে স্বর্ন দান করেছেন।

ছাদের সিলিং এ কি অপরূপ কারুকাজ মুগ্ধ আমি ।

এই মঠেরই পিলার
স্বর্ন শুনে কেউ অবাক হবেন না কারন এই দেশে বিভিন্ন দামী পাথরের খনি ছাড়াও সোনার খনি রয়েছে। মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে শতাধিক স্বর্ন খনি আছে যা খনন করার ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমি ঢাকার নিউমার্কেটের মত এক বাজার যা বজো বা স্কট মার্কেট নামে বিখ্যাত যা ছিল আমাদের হোটেল থামাডার পাশে সেখানে আমাদের দেশের এলুমিনিয়ার হাড়ি পাতিলের মত দাড়িপাল্লায় মেপে সোনার গহনা বেচতে দেখেছি। উচু একটা চত্বরে লুংগি পরে মুখে পান য়য়ে বসে আছে বিক্রেতা আর তার চারপাশে কাচের শোকেস যার মাঝে গহনা পত্র ঠুসে ভরা, সে ক্রেতাদের দাড়িপাল্লায় (ছোট আকারের না কিন্ত)মেপে বিক্রি করছে।আমাকে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে গাইড জিজ্ঞেশ করলো আমি কিনবো নাকি ? যখন বলেছি আমাদের দেশের অলংকার ছিনতাই এর কথা তখন সে হা করে আমার দিকে খানিকক্ষন চেয়েছিল। সোনার গয়নাও যে ছিনতাই হতে পারে তা যেন তার মাথাতেই ঢুকছিল না।

দেয়ালে সোনার অক্ষরে লেখা গৌতম বুদ্ধের বানী
যাই হোক স্বর্নের গল্প এবার শুনুন মনি মানিক্যের কথা।এই শড্যাগনের শিখরে থাকা যে মুকুট যাকে তারা ছাতা বলে তাতে রয়েছে ৫৪৪৮টি হীরা, ২৩১৭টি রুবি আর এর চুড়োয় আছে ১৫ গ্রামের ৭৬ ক্যারেটের হীরকখন্ড। রয়েছে অজস্র ব্লু স্যাফায়ার যা বাংলায় নীলা নামে পরিচিত, ইয়েলো স্যাফায়ার, সবুজ পান্না, আর স্বল্পদামী পাথরের তো কথাই নেই আর সবই তাদের খনি থেকে উত্তোলন করা।

আমার প্রিয় তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
মন্দিরের গোড়ায় অর্থাৎ সমতলে যেখানে রয়েছে পুর্ব আর দক্ষিনের প্রবেশ মুখ তাঁর সামনে ফেরীওয়ালারা ধর্মীয় বই, সৌভাগ্যের জন্য নানা রকম জিনিস পত্র, বুদ্ধের ছবি, মোমবাতি, সোনার পাত,ফুল, স্বর্নালী ছাতা অনেক জিনিস সাজিয়ে বসে আছে । আমি স্যুভেনীর হিসেবে কিছু জিনিস কিনলাম। উপরে মন্দির চত্বরে ওঠার পর বুদ্ধ রীতি অনুযায়ী ঘড়ির কাটার মত ডান দিক দিয়ে যাত্রা হলো শুরু। আমরা তো এসব রীতি নীতির কিছুই জানি না তাই গাইডের নির্দেশ মত আমরা দুজন পিছু পিছু চলতে লাগলাম।যা দেখলাম তাতে বুঝলাম বেশিরভাগ মন বুদ্ধিষ্টরা থেরাভেদা অনুসারী আর তারা জ্যোতিষ বিদ্যার ক্ষেত্রে হিন্দু জ্যোতিস শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল। সেই রাহু কেতু সেই তুঙ্গে থাকা বৃহস্পতি, শনির দৃষ্টি ইত্যাদি।
এই বিশাল আকারের ঘন্টাটি এক রাজার দেয়া উপহার

সুদৃশ্য ঝালরের অপরূপ কারুকাজ করা ছোট এই ঘরটিতে আরেকটি ঘন্টা । এও শড্যাগনকে দেয়া কোন এক রাজার উপহার

এরা বৌদ্ধ ধর্মে বর্নিত দুষ্ট আত্মা

আরেকটি দুস্ট আত্মা । বৌদ্ধরা মনে হয় এইসব খুব বেশি বিশ্বাস করে যা আমি থাইল্যান্ডেও দেখেছি। তাদের সামনে খাবার আর পানি দিয়ে শান্ত রাখে
তাদের এস্ট্রলজিতে সপ্তাহকে আট দিনে ভাগ করেছে। কেমনে হলো এটা ! আট দিন বানানোর জন্য তারা বুধবারের দিন রাত্রিকে এ-এম, পি-এমে ভাগ করেছে। অর্থাৎ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বুধবার তারপর আবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত রাহুর দিন। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা কোনদিন জন্ম গ্রহন করেছে তা বৌদ্ধদের জানা অত্যন্ত জরুরী। এই আট দিনকে তারা এক একটি প্রানীর নাম দিয়েছে যেমন রবিবারের জন্মগ্রহনকারীর প্রতীক পৌরানিক পাখী গরুড়, সোমবারে সিংহ, মঙ্গলবারে ইদুর, শুক্রবারে গিনিপিগ আর শনিবারে জন্মগ্রহন কারীর পশু সাপ। আর বুধবার সকাল পর্বে দাত সহ হাতী আর বিকেলের পর্বে দাত ছাড়া হাতী । এই আটটি প্রানী নিয়ে শডেগনকে ঘিরে আটটি অত্যন্ত কারুকার্য্যময় স্থাপনা রয়েছে যাতে আছে বুদ্ধের মুর্তি সহ পানির পাত্র। যার যার রাশির প্রানীর সামনে দাঁড়িয়ে লোকজন ফুল নিয়ে প্রার্থনা করছিল আর মনস্কামনা পুরনের আশায় সেই প্রানীর মাথাতে পানি ঢেলে দিচ্ছিল। উইকিপিডিয়ার ছবিতে দেখলাম বারাক ওবামাও সিংহের মাঠায় পানি ঢালছে।

আমার জন্মদিনের প্রানী দাতওয়ালা হাতী
ঘুরে ফিরে দেখছি অপুর্ব কারুকাজ করা স্বর্নালী শড্যাগনকে। এত মানুষ তারপরও কি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, এতটুকু ধুলাবালি নেই কোথাও, অনেকে ছোট বাচ্চাদেরও নিয়ে এসেছে। সবাই চুপচাপ কোন কথা নেই, কোন সাড়া শব্দ নেই, মন কেমন করা এক শান্ত শিষ্ট সেই সাথে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশ। অনেকে বসে ধ্যান করছে,কেউ কাউকে বিরক্ত করছে না। আমাদের গাইড ধ্যানে বসলো আমিও পাশে বসা । ধ্যান শেষে আমার দিকে হাসি মুখে তাকালো মিজ ওয়া। জিজ্ঞেশ করলাম কি প্রার্থনা করলে উত্তর ‘আই প্রে ফর ইউর হেলথ এন্ড ওয়েলথ জুন”। জড়িয়ে ধরে তাকে ধন্যবাদ জানালাম । তার সাথে আমার আজও যোগাযোগ আছে সে আমাকে সিস্টার বলে ডাকে, আমার ইয়াঙ্গন ট্যুরে সে আমার অনেক বায়নাক্কা সামলিয়েছে।অনেক অনেক ভালোমানুষ। আমিও তার হেলথ আর ওয়েলথের জন্য প্রার্থনা করি সবসময়।

ইশ্বরের কাছে প্রার্থনায় রত লোকজন , এত সম্পদ এত কিছু তারপরেও সাধারন লোকজনের দুর্দশা পীড়াদায়ক
এখানে ঢুকতে হলে আপনাকে ড্রেস কোড মেনে ঢুকতে হবে । ছেলেদের শর্টস আর মেয়েদের স্কার্ট পরিত্যাজ্য। যদি আপনার কাছে না থাকে তো ভাড়ায় লুঙ্গি পাওয়া যায় তাই পরুন উভয়েই। আমাদের দরকার হয় নি। শড্যাগনকে চত্বরে কোন প্রকার জুতা স্যান্ডেল পরা নিষেধ ।

সন্ধ্যা হয়ে আসছে

একে একে জলবে দেউটি আর তারই প্রস্ততিতে প্রস্তত মাটির প্রদীপ

মনোস্কামনা পুরণের লক্ষ্যে প্রদীপ জালাচ্ছে মেয়েটি
অনেক বিখ্যাত কবি সাহিত্যিক শড্যাগনকে নিয়ে লিখে গেছে তার মাঝে আমাদের অতি পরিচিত রুডিয়ার্ড কিপ্লিং উল্লেখযোগ্য। উনি লিখেছিলেন "সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত এক পাহাড়ের চুড়োয় সুর্য্যের আলোয় ঝকমকিয়ে ওঠা এই স্বর্নালী স্থাপনাটি কি? কোন মসজিদের গম্বুজ নয়, কোন মন্দিরের চুড়া নয় এই হলো শড্যাগন" যাকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।
যুদ্ধ বিগ্রহে অনেক ক্ষতির মুখে পরেছিল। চুরি হয়েছে তার মহার্ঘ্য অলংকার কিন্ত আজও তার সৌন্দর্য্য নিয়ে স্বমহিমায় ইয়াঙ্গনের আকাশ সীমায় দাঁড়িয়ে আছে শড্যাগন যাকে আপনি ঐ শহরের যে কোন জায়গা থেকে দেখতে পাবেন।
.
সব ছবি আমাদের ক্যামেরায় তোলা।

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইটা রাইখ্যা গেলাম, পরে আসুম নে!!! B-)

লাইক দিসি কিন্তু!! :P

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৭

জুন বলেছেন: খালি ইটা নাকি শডেগনের মত স্বর্ন ইট কুনটা রাখলেন ভুয়া :-*
লাইকের জন্য ধন্যবাদ আইসেন কিন্ত :(

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে , চমতকার ছবির সাথে অসাধারন লেখনির জন্য।

সারা দুনিয়ায় এত ধন-সম্পদের মাঝেও সাধারনের লোকজনের দূরাবস্থা সত্যিই পীড়াদায়ক।আর স্রষ্টার কাছে প্রার্থনাই মানুষকে এ পীড়া থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দেয় । আর "ড্রেস কোড" -এটা থেকেও অনেকের জন্য শিখার-বুঝার বিষয় রয়েছে,যদি বুঝতে চায়।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে কামরুজ্জামান। জী মিয়ানমারের সাধারণ মানুষরা কি নিদারুণ অর্থনৈতিক কষ্টে আছে যা চোখে না দেখলে বোঝা যায় না। অর্থের অভাবে ছেলেদের রোজগার নেই, মেয়েরা চল্লিশের কোঠা পেরিয়ে গিয়েও বিয়ে হয় না অভাবের জন্য। দেখুন মিয়ানমার থেকে যে অবৈধ শ্রমিকরা থাইল্যান্ড গিয়েছে এবং তাদের মাধ্যমে নতুন করে আবার কোভিড ছড়িয়েছে। এই নিয়ে তারা যতখানি দায়ী তার সম পরিমাণ দায়ী মালিকরা। এই নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় দুই পক্ষ দুই পক্ষকে ধুয়ে দিচ্ছে। অনেক রেস্তোরাঁ এই শ্রমিকদের খাবার পর্যন্ত দিচ্ছে না। আবার অনেক রেস্তোরাঁ ফ্রি খাবার দিচ্ছে। পুলিশের ভয়ে অনেক মালিক এই সব শ্রমিকদের রাস্তার পাশে ফেলে যাচ্ছে। কিন্ত অর্থ সম্পদে তারা অনেক সমৃদ্ধ। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে আজ তাদের এই দুর হাল। অনেক কথা বলে ফেল্লাম। ভালো থাকুন। আবারও ধন্যবাদ রইলো।

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মগেরা হিংসুক জাতি, জল্লাদ জাতি।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬

জুন বলেছেন: মগ ওদের ১৮ /১৯টা জাতির মধ্যে একটা মাত্র চাদগাজী। থাইল্যান্ডে এখন যে চক্রী বংশ দশ পুরুষ ধরে থাইল্যান্ড শাসন করছে এদের পুর্বপুরুষ কিন্ত বার্মা থেকে যাওয়া মন জাতি। এদের অনেকেই দয়ালু এবং প্রজাহিতৈষী রাজা ছিলেন যেমন কিং মংকুট, কিং চুলালংকর্ন কিং ভুমিবল প্রমুখ। এরা মগ না মন :) আর মগরা একটু নীচু প্রকৃতির হিংস্র কিন্ত তাদের শান আর কারেন তো দুধর্ষ আর ভয়ংকর হিংস্র প্রকৃতির। তাদের অত্যাচারে কারেনদের আরেক শাখা পালিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আর ভুলটুকু ধরিয়ে দেয়ার জন্য আরেক দফা ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি এবং সহজ সরল বর্ণনা। মনে হলো যেন আমি নিজেই ঘুরে এলাম।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর পোস্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য।

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপাতত সোনায় মোড়া প্যগোডা দেখলাম। পরে আবার আসছি :-0

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

জুন বলেছেন: আইসেন কিন্তু আমি ইট নিয়া বইসা আছি ;)
হাজিরা দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পোষ্টের শুরুর দিকে, "৫১ সেমি উচ্চতা" দিয়ে একটা বাক্য আছে; দেখেন তো উচ্চতা ৫১ সেমি হবে, নাকি অন্য কিছু হবে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৮

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য । আসলে সংসারের ঝামেলার মধ্যে লেখালেখি বুঝেনই তো :``>>

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রিয় পোস্টের তালিকায় যোগ করে রাখা হলো।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জুন বলেছেন: ও আচ্ছা আগের কমেন্টে ভুল আছে জলদস্যু। ওটা ডিলিট করে দিলাম কেমন। পোস্ট প্রিয়তে নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: চোখ ধাধানো সুন্দর। পুরো কাজ শেষ হলে না , কত সুন্দর হয়ে উঠে।

চট্টগ্রামের বান্দবানে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত রামজাদী বৌদ্ধ বিহার নকশা ডিজাইন প্রায় দেখতে এটির মতো মনে হচ্ছে।
রাম জাদী ৷ পাহাড় চূড়ার দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ ধাতুতে একদিন

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে নিয়াজ সুমন । পুরো কাজই শেষ তবে এখানে ওখানে কিছু টূকটাক কাজ বা রঙ করা এই সব। এই প্যাগোডাটি কিন্ত আয়তনে বিশাল। আর খুবই সুন্দর সব মিলিয়ে। আমিতো ছবি বা লেখায় কিছুই ফুটিয়ে তুলতে পারি নি।
আমি বান্দরবানের রাম জাদী বিহার দেখেছি যতদূর মনে পরে ওটা শেষ হওয়ার কয়েক মাস পরেই। শডেগন কিন্ত আয়তনে বিশাল আর তার চৌহদ্দি ও বিস্তৃত। আমি আগামী কাল আপনার লেখায় যাবো কেমন?

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এত সুন্দর সুন্দর বৌদ্ধধর্মের মন্দির আর এরা রোহিঙ্গা কাটে কুচি কুচি করে

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮

জুন বলেছেন: নেওয়াজ আলী প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই পোস্টটি পড়া আর মন্তব্যের জন্য । জানি না আপনি পুরোটা পড়েছেন কি না নাকি মিয়ানমার শুনেই মন্তব্য করেছেন হয়তো । দেখেন আমরা স্বামী স্ত্রী আমার ছেলে পুরো পরিবারই একটি পর্যটক পরিবার বলতে পারেন। সুযোগ পেলেই আমরা বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াই। কিন্ত এখন যদি ঠগ বাছতে যাই তো গা উজাড় হবে । আমেরিকা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল এতেতো আমেরিকা যাওয়া আমাদের জন্য হারাম ;) আর ভারত সাহায্য করেছিল, ভুটান প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল এই যদি হয় তাহলে আমাদের তো সারা বছর ভারত আর ভুটানে পরে থাকা উচিত :-/ কুটনীতি শব্দটি তাহলে দুনিয়া থেকে উঠেই যেত আমরা যদি সব ব্যাপারে এত রিজিড হই । মিয়ানমার একটি অসাধারন সুন্দর দেশ , এখনো উন্নয়নের ছোয়া পরে নি কিন্ত তাকে উন্নত করার জন্য বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশগুলো সেখানে মিটিং করছে দিনের পর দিন । ভারত আমাদের সাথে এত খাতির, তাদের দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মিয়ানমারের বসে মিয়ানমারের মদতে ভারতে হামলা চালাচ্ছে তারপরো তারা নিজেদের স্বার্থে আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে মিয়ানমারের সাথে হাত মিলাচ্ছে । এই হচ্ছে দুনিয়া । আশাকরি আমার মনোভাবটা আপনাকে বোঝাতে পেরেছি । আগামীতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা রইলো :)

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: এই প্যাগোডার ঝলকানি - এই সকল খোদিত বানী-
কোনটাই ওদের স্বভাবকে পরিবর্তন করতে পারে নি ! ওরা বর্বর, আদিম নিষ্ঠুর।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০

জুন বলেছেন: এই সকল খোদিত বানী-
কোনটাই ওদের স্বভাবকে পরিবর্তন করতে পারে নি !

দেখেন দেশের শাসক বর্গ আর কতিপয় পথভ্রষ্ট ধার্মিক দের জন্য একটি পুরো জাতিকে আপনি বর্বর বলতে পারবেন না কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) । আমরা তো তাদের চারটি প্রদেশে লম্বা সময় নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি । তাদের আন্তরিকতা আর ব্যাবহারে আমরা সত্যি মুগ্ধ । তবে ব্যাতিক্রম কিছু থাকে তাদের সাথে আমাদের পরিচয় হয় নি । আমি খুব আলাপী , আমাদের হোটেলের সামনে যে ট্যাক্সি ড্রাইভারগুলো বসে থাকতো তাদের সাথেও আমরা চা খেতে খেতে গল্প করেছি। অনেক অনেক সদাশয় মানুষ তারা ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়া ওঁ প্রাসংগিক একটি মন্তব্য করার জন্য ।

১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলেই চোখ ধাধানো সৌন্দর্য।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৩

জুন বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই মন্তব্যের জন্য ।

১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২০

ফয়সাল রকি বলেছেন: সবাই একটা দুইটা করে ইট দিলে তো আপনি ঘর বাড়ি তুলে ফেলতে পারবেন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

জুন বলেছেন: আপনিও কি ইট রেখে গেলেন :-*
নাকি এটাই আপনার মন্তব্য ফয়সাল রকি #:-S
যদি না হয় তাহলে আরেকবার আইসেন :)

১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ওখানে, মানে, মগের মুল্লুকে আপনার কত বছর থাকা হয়েছিল? আপনি তো মাশাআল্লাহ, তাগোর অনেক কিছুই দেখেছেন এবং জানেন। :)

আমার তো ওদের দেশে যাওয়া দূরের কথা, পা রাখতেও ভয় হয়। যে হিংস্রতা আর বর্বরতা রোহিঙ্গাদের প্রতি দেখিয়েছে তারা! যে পরিমান খুন খারাবি করেছে আরাকানে! যে পরিমান বাড়িঘর পুড়িয়েছে সেখানকার! যে পরিমান নারী-শিশুদের নির্যাতন করেছে! আল্লাহ তাআলার কাছে বিচারের ভার, চিন্তা করলেও কলিজা শুকিয়ে আসে! পানির পিপাসা লাগে! X(

ছবিগুলো চোখ ধাঁধানো। +

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

জুন বলেছেন: The Mogs are descendants of the Arakan tribe and the Mogs migrated to Tripura through Chittagong Hill Tracts. The religion they follow is Buddhist. Their language comes together under Tibeto-Chinese family which is also related with Assam-Burmese section of language. Mogs are mostly dependent on the cultivation. সবাইকে রেখে আপনার উত্তর দিতে আসলাম । দেখেন মগ নিয়ে কি লিখেছে নতুন নকিব। মিয়ানমারে ১৮/১৯ টা উপজাতি আছে মগ তাদের একটা। তারা ইয়াংগন থেকে অনেক অনেক দূরে থাকে। ভয়ংকর আর হিংস্র যদি বলেন তবে মিয়ানমারের শান, কাচিন আর কারেন্দের ইতিহাস একটু দেইখেন। কত হিংস্র আর কত নিষ্ঠুর হতে পারে। কিন্ত আমরা যখন শান প্রদেশের ইনলে লেক বেড়াতে গেলাম তখন আমাদের যে গাইড ছিল ভদ্রলোক শান জাতির। তার মত দয়ালু আর ভালো মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি। রাখাইনের মুসলমান রোহিঙ্গাদের সেখানকার অন্য মুসলমানরাও একটু কম লাইক করে। এটা প্রমানিত আমার কাছে। হয়তো দীর্ঘ সামরিক শাসনে সবার মনই শক্ত হয়ে গেছে। আমার ভ্রমণে যত মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি তারা আমার সাথে এখনো যোগাযোগ রাখে। সিস্টার বলে সম্বোধন করে, আসার সময় ইভেন গিফট পর্যন্ত দিয়ে গেছে তাদের সেই অল্প সঞ্চয় থেকে। ইয়াংন বাসীর সাথে মগ রোহিঙ্গা রাখাইন্দের তুলনাই করবেন না। এত গন্ডগোল এর মধ্যেও আমাদের সরকারের লোকজন সেখানে যাচ্ছে যাচ্ছে ব্যাবসায়ীরা শুধু আমরা ট্যুরিস্টরা যেতে ভয় পাই। পরিস্থিতি ভালো হলে আমি কবে আবার গিয়ে ঘুরে আসতাম :)
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

রামিসা রোজা বলেছেন:

সোনার মোড়ানো শডেগন স্তুপ দেখে মনে হচ্ছে আমাদের সবাইকে যেনো অভিবাদন জানাচ্ছে । চমৎকার সব শিল্পকর্ম
ও চিত্রকর্ম আমাদের এতো কাছে আছে ভাবতে অবাক
লাগছে । চমৎকার সব ছবি ব্লগ এবং আপনাকে নতুনবছরের শুভেচ্ছা ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৪

জুন বলেছেন: আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা রামিসা রোজা। চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৫০০ টন স্বর্ণ দিয়ে বানানো মানে তো বিশাল কারবার। গৌতম ছাড়াও তার আগে আরও তিনজন বুদ্ধ ছিল এটা নতুন জানলাম। স্বর্ণ তরকারি মাপার পাল্লায় বেচা হয়। ওখানে স্বর্ণ কি সস্তা না কি?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৫

জুন বলেছেন: মিয়ানমারে স্বর্নের খনি আছে দুস্প্রাপ্য সব পাথরের খনিও । সেনা শাসনের কারনে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবাশাধিকার নাই বলে চীনই তাদের বড় গ্রাহক । সাধারন মানুষরা অত্যন্ত দুর্ভোগে আছে এত সম্পদ থাকার পরও সাড়ে চুয়াত্তর ।
জী গৌতম ছাড়াও আরো তিনজন বুদ্ধ ছিল আরেকজন ভবিষ্যতে আসবে নাকি সে হবে পঞ্চম এবং শেষ বুদ্ধ ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বরাবরের মতো অনবদ্য পোস্ট।
দাড়ি পাল্লায় স্বর্ন ওয়েট করার ব্যাপারটা রীতিমতো রুপকথা মনে হচ্ছে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৯

জুন বলেছেন: জনসংখ্যা কম, তাদের ক্রয় ক্ষমতাও কম আরেকদিকে সম্পদ বেশি গিয়াসউদ্দিন লিটন । দীর্ঘদিনের স্বৈর শাসন আন্তর্জাতিক অংগনে এক ঘরে করে রেখেছে । এতে সেনা শাসকদের কোন অসুবিধা নেই । তারা চীনের থেকে কমিশন পাচ্ছে কারন অনেক খনি আর দুর্মুল্য পাথর এর খনির উপর চীনের নিয়ন্ত্রন ।
অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে নিয়মিত দেখে খুব ভালোলাগছে ।

১৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে মেগা পোষ্ট !!
দারুণ আপু

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

জুন বলেছেন: মেগা পোস্ট দেখলেন কই মনিরা :-*
একে বলতে পারেন বছর শেষের এক ফাকিবাজি পোস্ট ;)
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো নতুন বছরের আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

প্রত্যাশা রইলো শান্তি নিয়ে আসুক পৃথিবীতে নতুন বছর ।

১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

ওমেরা বলেছেন: আপু দারিপাল্লায় মেপে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে , দাম কত ? আমাদের দেশের এ্যালুমিনিয়ামের মত ? হায় আল্লাহ! আপু আপনি কত বোকা নিয়ে আসলেন না কেন কয়েক কেজি!! :D অবশ্য স্বর্ণ ট্বর্ণ আমার পছন্দ না ।

বর্ণনা, ছবি সবই সুন্দর হয়েছে, এত এত সুন্দর কারুকার্জের জগত উপস্থাপনের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

জুন বলেছেন: ওমেরা মনে হয় বোকাই :(
আমি শুধু সেখানকার এবং পৃথিবী বিখ্যাত মগক খনির রুবি সাথে ছোট ছোট ৬টা হীরা বসানো একটি আংটি কিনেছিলাম ১২শ ইউএস ডলার দিয়ে ।
ছবি ব্লগ ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো :)

১৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওরে বাব্বা! পোস্ট আর শেষই হচ্ছে না। চমৎকার পরিশ্রমী পোস্ট।
ফাঁকি দেই নি আপু। কেমন পড়েছি মিলিয়ে নেবেন...
,১৫ শতকে রানী শিন সবু হঠাৎ কেন ওনার শরীরের ওজনের সোনা কেন দান করলেন? তার আগে শডেডন মন্দির কেমন ছিল?
মন্দিরের সোনার কাজ ও হীরার কাজের কথা জানলাম।সোনা তাহলে ওখানে ওপেন মার্কেটে বিক্রি হয়? আমাদের এখানে বাজারে আলু/পটল বিক্রির মতোই তাও আবার দাঁড়িপাল্লায়? কিছু সোনা আপু আনতেই পারতেন।গাইডের সঙ্গে আমিও অবাক হলাম এত সস্তায় সোনা কেনার সুযোগ না নেওয়ায়।

লুঙ্গি পড়ে মন্দিরে ঢুকতে হয়।না থাকলে ভাড়া করতে হয়।যেটা আপনাদের লাগেনি, বলছেন।ভালোকথা ,এটা অবশ্য মাহার প্রশ্ন, তাহলে কি আপনারা লুঙ্গি পড়েই গেছিলেন? নাকি আগে থেকেই ওখানকার ড্রেসকোড মেনে মন্দির দর্শন করেন। আমাদের এখানে অনেকেই দার্জিলিং এ গিয়ে ভাড়া করা ড্রেস নিয়ে চা- বালা সাজে।সেরকম কিছু কিনা জানার আগ্রহে রইলাম।

ওখানে এত এত সম্পদ অথচ জনগণ বেশ গরিব। তাহলে কি ঈশ্বর ওখানে গরিবের প্রতি উদাসিন? নাকি শিন সবুর মতো পয়সা ওয়ালাকে পেয়ে গরিবের প্রতি লক্ষ্য দিতে ভুলে গেছেন? অবশ্য কবিগুরুর কথায়,ধুলামন্দির'রের কথাই বোধহয় সঙ্গত হবে।

সবশেষে একটা প্রশ্ন আপু। ড্রেসকোডের কারণ কি মনে হয় আপনার? মোটা জিন্সের প্যান্ট পড়ে ঘষাঘষি করলে সোনা ক্ষয়ে প্যান্টে লেগে যেতে পারে কিম্বা মন্দিরের সোনা কমে যেতে পারে তেমন কিছু? আমার পরিচিত অনেকেই গুজরাটে সোনার কাজ করতো। শুনেছি প্রতি তিন/চার মাস বাদে বাদে ওদের কোম্পানি নুতন বারমুডা দিয়ে পুরানো প্যান্ট নিয়ে নিত।যে প্যান্ট ফেরত দিতে ওরা বাধ্য ছিল।স্বর্ণ মন্দিরে ড্রেসকোড নিয়ে কথাটা মনে পড়লো।
ও আর একটা কথা, ভূয়া ভাই দেখছি ইট রেখে সেই যে গেছেন এখনো এলেন না। তাহলে কি উনি দাঁড়িপাল্লায় সোনা বিক্রির কথা শুনে ওখানে পাড়ি জমালেন? নাকি সোনার ইট আনতে গেলেন। বুঝতে পারছি না‌।


শুভেচ্ছা জানবেন আপু।


৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

জুন বলেছেন: ওরে বাব্বা! পোস্ট আর শেষই হচ্ছে না। চমৎকার পরিশ্রমী পোস্ট।
ফাঁকি দেই নি আপু। কেমন পড়েছি মিলিয়ে নেবেন...

হা হা হা পদাতিক মিলিয়ে দেখলাম যাকে বলে ১০০তে ১০০ :)
যারা অত্যন্ত ভক্তিমান তারা অনেক সময় অনেক কিছু করে ধররীয় কারনে যার কোন ব্যাখ্যা থাকে না । এই যেমন ভারতের অনেক মন্দিরে ( পুরীর জগন্নাথ, বালাজী) এত টন টন সোনা মজুদ যা নাকি এক খনির সমান। ভুয়ার কথায় আমিও একটু কনফিজড হয়ে যাচ্ছি আদতেই কি চকচক করিলে সোনা হয় না টাইপ ! কিন্ত আমি বেশ কিছু পুরুষ ক্রেতা দেখেছি স্ত্রীকে নিয়ে তাহলে কি আপনারা লুঙ্গি পড়েই গেছিলেন =p~ আসলে হবে পা ঢাকা , আমি যেহেতু সালোয়ার কামিজ আর আমার সহ পর্যটক প্যান্ট শার্ট আর গাইডতো লুঙ্গি পরাই ছিল ;) ওরা বলে লঞ্জি ।
আসলে বার্মায় সামরিক শাসন চলছে অনেক বছর ধরেই । বর্তমান পিএম অংসাং সুকির বাবা অং সাং মিয়ানমারের জাতির পিতা । তিনি ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ সাথে বিপ্লবী । তিনিই মিয়ানমারকে বৃটিশ শাসন থেকে মুক্ত করেছিলেন । কিন্ত তার মৃত্যুর পর মিয়ানমারের দুর্দশা শুরু হয় সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় গিয়ে । অত্যন্ত লোভী নীতিহীন এই স্বৈরশাসকরা তাদের দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিতে একটুও দ্বিধা করছে না । অং সাং সুকি ক্ষমতায় আসলেও প্রকৃতপক্ষে তার হাতে কোন ক্ষমতাই নেই ।
সাধারন মানুষরা যে কি কষ্ট করছে চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না পদাতিক । আমরা কোন দেশ ভ্রমনে গেলে সেখানকার সাধারন জনগন যেমন রিকশা ওয়ালা , ট্যাক্সিওয়ালা দোকানদার সবার সাথেই আলাপ করতে চেষ্টা করি যদি ভাষা না সমস্যা হয় । তখন অনেক কিছুই ফুটে উঠে জানা যায় অনেক কিছু । যেমন আমাদের হোটেলের সামনে ফুটপাতের রেস্তোরায় বসে ফ্রি চা খেতে খেতে দুই ট্যক্সিওয়ালার সাথে গল্প করছিলাম । কি কি দেখা যায় নিজেরা ঘুরে ঘুরে । আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈন্যদের সমাধিতে যাবো বলছিলাম । তখন তারা জানালো এখানে পরাজিত জাপানী সৈন্যদেরও একটি সিমেট্রি আছে যা আমরা আর কোথাও আছে বলে শুনি নি । পরদিন তাদের সাথে সেখানে গিয়ে এক নতুন অভিজ্ঞতার সন্মুখীন হয়েছিলাম তা নিয়ে ব্লগে একটা ছোট ছবি ব্লগ দিয়েছিলাম দেখার অনুরোধ রইলো পদাতিক ।মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ( ছবি + ইতিহাস )
ভুয়া আসছে আর ইট ভাগাভাগি করতে চাইছে :`>
আন্তরিক এক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ পদাতিক ভালো থাকুন আর ছবি ব্লগটি দেখতে ভুইলেন্না কিন্ত । নতুন কিছু জানবেন শিউর :)

২০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: আমি ভ্রমন করতে যেমন পছন্দ করি তেমন ভ্রমন কাহিনি পড়তেও পছন্দ করি জানি না বাংলাদেশের বাইরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারবো কিনা তবে আপনাদের মতো গুনী লেখকদের ভ্রমন কাহিনি পড়লে অর্ধেক ভ্রমন এমনিই হয়ে যায়। ঘরে বসে ভ্রমন কাহিনি পড়ে বিদেশ ভ্রমন করতে পারলে খারাপ হয়না যা আপনাদের মত মানুষ আছে বলেই দেশ বিদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারছি। অসাধারণ মনোমুগ্ধকর সাবলীলভাবে সবকিছু বর্ননা করেছেন যা আমাকে দুইবার পড়তে বাধ্য করেছে আপনার ভ্রমন কাহিনির মধ্যে অনেক তথ্য রয়েছে যেগুলো আপনার লেখাকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। দাঁড়িপাল্লায় স্বর্ন বিক্রি করে এটা শুনে অবাক হলাম। আসলে খারাপ ভালো সব দেশেই আছে কিছুসংখ্যক মানুষের জন্যে পুরো জাতিকে দোষ দেযা ঠিক হয়না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আশা করছি মাঝে মাঝে এরকম কিছু ভ্রমন কাহিনি দিয়ে আমাদেরকে দেশ বিদেশ ঘুরিয়ে নিয়ে আসবেন। থ্যাংকস এগেইন

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১২

জুন বলেছেন: আপনি ভ্রমন করতে পছন্দ করেন জেনে খুব ভালোলাগলো মেহদি হাসান । যারা ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে তাদের মনটা অনেক বড় হয় বলেই আমার ধারনা । আমার পুরনো পোষ্ট সময় থাকলে দেখতে পারেন কারন আমার প্রোফাইলেই লেখা আছে ইবনে বতুতার ব্লগ :)
আসলে খারাপ ভালো সব দেশেই আছে কিছুসংখ্যক মানুষের জন্যে পুরো জাতিকে দোষ দেযা ঠিক হয়না।
আপনি ঠিকই বলেছেন । আসলে মিয়ানমারে ১৮/১৯ টি জাতি গোষ্ঠি আছে । তাদের মধ্যে এই রাখাইন, কাচিন, শান আর কারেনরা ভয়ংকর । আমরা কিন্ত শান প্রদেশের ইনলে লেক এ ঘুরতে গিয়েছিলাম । তিনদিন ছিলাম ইনলে তে । আমাদের গাইড ছিলেন শান গোষ্ঠির কিন্ত কি অমায়িক আর ভদ্রলোক ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা ।

২১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: বার্মা আমার ভ্রমণ লিষ্টে আছে। কিন্ত কল্লা হারানোর ভয়ে নিকট ভবিষ্যতে যাওয়ার ইচ্ছা নাই।

বার্মা আমার ভ্রমণ লিষ্টে আছে। কিন্ত কল্লা হারানোর ভয়ে নিকট ভবিষ্যতে যাওয়ার ইচ্ছা নাই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

জুন বলেছেন: আমিও আরেকবার যেতে চেয়েছিলাম বিশেষ করে বাগান শহরে । সব প্রোগ্রাম ঠিক হওয়ার পর পরই রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হলো আর আমাদের সব প্রোগ্রাম ক্যান্সেল জাহিদ হাসান :(
অনেক ভালো থাকুন । নববর্ষের রইলো :)

২২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫০

ঢুকিচেপা বলেছেন: ছবিসহ বর্ণনা দারুণ লাগলো। অনেক তথ্য সমৃদ্ধ।
ছাদের সিলিং এর কাজ সত্যিই চমৎকার।
পাতিলে করে সোনা বিক্রির ছবি থাকলে দেখতাম চাই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ঢুকিচেপা। আসলে ছবিটা তোলা উচিত ছিল :)
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো ।

২৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

আমি সাজিদ বলেছেন: দারুন পোস্ট।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আমি সাজিদ সাথে নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো ।

২৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩২

সোহানী বলেছেন: এইটা কি দেখাইলেন..........স্বর্ন, হীরা, জহরতের ছড়াছড়ি দেখি। কেজি কেজি স্বর্ন কেনা-বেচা ও চলছে সাথে। হায় হায় আমাগো চোর ছিনতাইকারীরাতো হায় হায় করবে!!

গয়নাগাটি, স্বর্ন, হীরা, জহরত... কেন যেন আমাকে টানে না। তারচেয়ে প্রকৃতি ভালোলাগে। তারপরও যাবার ইচ্ছে আছে এ কেজি কেজি স্বর্ন দেখার।

বরাবরের মতই সুপার লাইক।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

জুন বলেছেন: গয়নাগাটি, স্বর্ন, হীরা, জহরত... কেন যেন আমাকে টানে না। তারচেয়ে প্রকৃতি ভালোলাগে।
আমারও তাই সোহানী তাই তো গয়নাগাটি না কিনে ছবি কিনে এনেছি।
দেখুন তবে এগুলো কিন্ত জেড আর ইয়েলো সিট্রিন পাথর কুচি দিয়ে তৈরি ;)

সবুজ জেড কুচির বন

এটা ইয়েলো সিট্রিন
এই শিল্প কিন্ত আমি অন্য কোন দেশে দেখিনি । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইলো ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো ।

২৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এক ঝলক দেখে প্রিয়তে তুলে রাখলাম।
পরে আবার আসব ।
শুভেচ্ছা রইল

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

জুন বলেছেন: আপনার আসা আর আমার লেখাটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য খুব খুশী লাগলো ডঃএম এ আলী ।
আরেকবার আসবেন তার প্রতীক্ষায় তার আগে রইলো নতুন বছরের শুভেচ্ছা :)

২৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেক সমৃদ্ধ প্রাচীন স্থাপনা মিয়ানমারে

চেংগিশ বক্তেয়ার হালাকু ডাকাতরা সম্ভবত বার্মায় ঢুকতে পারেনি। তাই সেখানে অনেক প্রাচীন জিনিস এখনো অটুট

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৪

জুন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আপনি হাসান কালবৈশাখী। চেংগিস খান হালাকু খানের আওতার বাইরে ছিল মায়ানমার । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন।

২৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




কিছুদিন থেকে বাড়ী বদল ও দেশের বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে নতুন বাসায় নেট কানেকশান নেয়া হয়নি। ব্লগ যাতে দেখতে পারি সে কারনেই মোবাইলের জন‍্যে গ্রামীনের প‍্যাকেজ কিনেছি। তাতে নেট ব্রাউজ করা গেলেও শুধু সামুই ওপেনই হয়না।হরিবল অবস্থা। তাই ব্লগে আমি গরহাজির।
আজ কেবলমাত্র ব্লগের বছর শেষের শুভেচ্ছা পোস্টে মন্তব্য করার জন‍্যেই মেয়ের বাসার ওয়াইফাই দিয়ে ব্লগে ঢুকতেই আলোচিত পাতায় আপনার পোস্ট দেখে প্রথমেই আপনাকে বুড়ী ছুঁয়ে গেলুম। এবং মোবাইল দিয়ে ব্লগে মন্তব্য এটাই প্রথম।

আপনার পোস্টের বিষয়ে এই মূহুর্তে কিছু বলছিনে কারন মোবাইলের কীবোর্ড টিপে টিপে মন্তব্য করা আমার জন‍্যে খুব ক‍ষ্টকর।
তবুও বলি বছরের শেষে বর্ণালী রং ছড়িয়ে গেলেন।

নতুন বছর এমনি করেই রং ছড়াক সবার জীবনে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৪৭

জুন বলেছেন: আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা আহমেদ জী এস :) এত ঝামেলায় থেকেও যে আপনি আমার লেখায় এসেছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ রইলো। তা বাসা বদলিয়ে যাচ্ছেন কই বা ছিলেনই বা কই? দেশের বাইরে কি একেবারেই যাওয়ার!! যাক যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন সেই প্রার্থনা রইলো।
মোবাইলে তো বুড়ি ছুয়ে গেলেন, ল্যাপটপ আর নেটে যখন থাকবেন আশাকরি তখন বরাবরের মতই শডেগন নিয়ে আপনার সিগনেচার মন্তব্যের প্রত্যাশা করতে পারি কি বলেন :)
আমিও মোবাইলে উত্তর দিচ্ছি কষ্ট করে। আবারও ধন্যবাদ জানাই বহুদিন ধরে পাশে পাশে থেকে উৎসাহিত করার জন্য।

২৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




দুষ্ট আত্মাদের শান্ত করার প্রক্রিয়া আমি অনেক দেশেই দেখেছি, আমার কাছে মনে হয়েছে “হতেও পারে” এই পৃথিবীতে অনেক কিছুই হতে পারে। অসম্ভব কিছু না। আমরা আর কতোটুকুই জানি আর কতোটুকুই বুঝি।

মিয়ানমারে পহেলা বৈশাখ দেখেছেন কি না জানা নেই। পহেলা ফাল্গুন, পহেলা বৈশাখ এরা প্রচুর খরচ করে জাতিয় পর্যায়ের জমজমাট অনুষ্ঠান করে।

আপনাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫২

জুন বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন ঠাকুর মাহমুদ। জী দুষ্ট আত্মার ছড়াছড়ি থাইল্যান্ডে। তাদের সামনে নানা রকম খাবার আর লাল রঙের কোল্ড ড্রিংকস দেয়া থাকে। তারা কি কোল্ড ড্রিংকস পছন্দ করে কি না নেক্সট টাইম গেলে জিজ্ঞেস করবো :)
মিয়ানমারের যেটা সংক্রান উৎসব যাতে পানি ছিটানো হয় সেটা দেখেছি ক্যাম্বোডিয়ার সিয়েমরেপে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে নানা রকম ইভেন্ট তার মধ্যে নৌকা বাইচও ছিল।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০২

মেরুভাল্লুক বলেছেন: আপনেরা স্বর্ন দেইখা হা হুতাশ করতাছেন, আমার চিন্তা ওই দুই মন ব্যাবসায়ী আসলেই বুদ্ধের চুল রাজারে দিছিল তো নাকি নিজেগো লুংগী ঝাড়া দিয়া হিন্দিতে যারে চুল কয় ওই জিনিশ রাজারে দিয়া আসছে। আর ২৫০০ বছর ধইরা মানুষ ওইটার চার পাশে স্বর্ন মোড়াইতাছে।

৩০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে সবার মন্তব্য গুলো ভালো লাগলো।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫৩

জুন বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন রাজীব নুর।
আর আমার লেখাটি!! লেখা ভালো লাগে নাই!! :)

৩১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: খালি ইটা নাকি শডেগনের মত স্বর্ন ইট কুনটা রাখলেন ভুয়া সোনার ইট রাখুম!! আমি ভুয়া হইলেও বেকুব না। সোনার ইট রাখি, আর আপনে তুইলা নিয়া বেইচা দ্যান আর কি!! কইলাম দুলাভাইয়ের সোনার হাতিটা পাচার করেন....হুনলেন না!! দুইন্যা থিকা বিশ্বাস উইঠ্যা গ্যাছে। আমি কি ভাগ দিতাম না নাকি!!! :P

২০১৫ সালের বেড়ানির পোষ্ট অহন দিলেন কিল্লাইগা বুঝলাম না। এতোদিন দ্যান নাই ক্যান? রহস্যটা কি? আর আমি অত্যন্ত আশ্চাইর্য হইলাম! ব্রিটিশরা এইসব ধনরত্ন নেয় নাই ক্যান? এই ব্যাপারে আপনের কিছু জানা আছে?

একটা প্রশ্ন মাথায় উদিত হইছে। গৌতম বুদ্ধ ছিলেন প্রথম বুদ্ধ। উনার সময় কাল আছিলো খ্রীষ্টপূর্ব ৫ম - ৪র্থ শতাব্দী। তাইলে এই মন্দির বুদ্ধের নামে ২৬০০ বছর আগে করা হইলো ক্যামনে? গ্যান্জামের গন্ধ পাইতাছি!! :-B

শোনেন, দাড়িপাল্লায় ওইগুলান ছিল বেশিরভাগ ইমিটেশানের গয়না (অল্প সোনা থাকে, কম ক্যারেটের)। ট্যুরিস্ট গো বেকুব বানানের বুদ্ধি। এই ব্যাপারে আমার কাছে নির্ভরযোগ্য খবর আছে! B-)

আমার জন্মদিনের প্রানী শুড়ওয়ালা হাতী আজকে জানলাম শুড় ছাড়া হাতিও এই দুইন্যায় আছে। আসলে জানার কোন শ্যাষ নাই। ভবিষ্যতে আপনের কাছ থিকা আরো গিয়ান আহরণের ইচ্ছা ব্যক্ত করলাম। =p~

ছবি, লেখা চমৎকার হইছে। যদিও এক কথা বারে বারে কওনের কোন মানে নাইক্কা!!!

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:১৫

জুন বলেছেন: হা হা হা আমি তুইলা বেচলেতো ভালোই হইতো ভুয়া :) তাইলে তো পয়লা পুত্থুম হাতিটাই বেচতাম। দুষ্ট আত্না হইলেও এত খ্রাপ না বুঝলেন!
শোনেন যে কারনে শডেগন নিয়ে পোস্ট দিতে দ্বিধা করেছি সেই একই অবস্থা এখনো বিদ্যমান। বুঝলেন কিছু!! আমারতো মনে হয় সমঝদার কে লিয়ে ইশারাই কাফি ;)
আমি জীবনে যত গীর্জা দেখেছি তা অনেক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকও দেখেছে কি না সন্দেহ। সেই ভ্যাটিকান থেকে আমাদের বান্দুরার হলিক্রস চার্চ, যত মন্দির দেখেছি তত মন্দির নাকি অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও দেখে নাই এটা এক বৌদির কথা, কার্নাকের মন্দির থেকে পুরীর জগন্নাথ, আসামের কামরুপ কামাখ্যা হয়ে শত শত অন্যান্য দেশের। একই কথা প্রযোজ্য বুদ্ধিষ্ট মঠ সম্পর্কে। আর নামাজ পরেছি মিশরের আল আজহার মসজিদ থেকে মালয়েশিয়ার ব্লু মস্ক পর্যন্ত অজস্র মসজিদে। অন্য ধর্মের উপাসনালয় দেখলেই আমার ধর্ম টলে যাবে এত ঠুনকো ইমান আমার না। মিয়ানমারে মসজিদ, বৌদ্ধ মন্দির, চাইনীজ মন্দির আর হিন্দু মন্দির গা ঘেষে লাগানো। আজান আর ঘন্টা এক সাথেই বাজছে। ল্যাপটপ এ বসলে ছবি দিবো :)
আর বৃটিশদের শাসনে ছিল বার্মা কত কিছু যে লুটে নিছে সেইটা কি আর বলতে। আপনি আরেক বার বিটিশ মিউজিয়াম আর এই বিষয়ে নেটে সার্চ দিয়েন ;)
আমি আপ্নেরে অনেক গিয়ানী পন্ডিত ভাবছিলাম কিন্তু আপ্নে যে অংকে আমার চেয়েও কাচা হেইডা জান্তাম্না :P বুদ্ধ জন্মাইছিলো ৪০০ /৫০০ BC মানে খ্রীষ্টের জন্মের ৪০০ বছর আগে আর আমরা জন্মাইছি AD মানে উনার জন্মের পরে। AD মানে জানেন তো? এন্নো ডমিনি এইডা ল্যাটিন শব্দ নাও জানতে পারেন =p~ এইয়ার অর্থ হইলো "ইয়ার অফ দ্যা লর্ড"। সুতরাং ওই ৪০০ বছর আর ২০২০ যোগ দেন। নাকি এইডাও আমার মত অংকের মহাপন্ডিতকে করতে হপে B-)
যাই হোক নতুন বছরের সাত সকালে আপ্নেরে একটু পচাইলাম ইংরেজিতে যাকে বলে ট্রল ;)

অনেক অনেক ধন্যবাদ আরেকবার এসেছেন ভুয়া। নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনি ও আপনার পরিবারের সবাইকে আর ও ইয়ে মানে ঐ সুমনা ভাবীদের পরিবারকেও :)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৪

জুন বলেছেন: আজকে জানলাম শুড় ছাড়া হাতিও এই দুইন্যায় আছে। হা হা হা ভুয়া মফিজ আপনি প্রমথ নাথ বিশীর বিখ্যাত রম্য গল্প চোখে আঙ্গুল দাদা র মত চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরও নিজের ভুল বুঝতে পারি নি ।
চিন্তা করেন জ্ঞ্যানের কি বহর আমার :P
নীচে সহ ব্লগার খায়রুল আহসান না বললে হয়তো খেয়ালই করতাম না । এজন্য এক বিশাল ধন্যবাদ উনাকে দিতেই হয় :)

৩২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমারতো মনে হচ্ছে মিয়ানমার আসলে চীনের একটা করদ রাজ্য। ওখানকার সেনাবাহিনীর কাছে চীন এই ভূখণ্ডকে ইজারা দিয়েছে। এই দেশ সম্পর্কে বেশী জানি না। এদের খবরও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেশী আসে না ( অধুনা রোহিঙ্গা সমস্যা ছাড়া)। আমাদের প্রতিবেশী দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের জন্য নাকি ওখানে যাওয়া তেমন নিরাপদ না। পরস্পর কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্ক তলানিতে। ভুগলিক অবস্থানে বাংলাদেশের চারিদিকে সমস্যা। বঙ্গোপসাগর না থাকলে দম বন্ধ হয়ে মারা যেতাম। শরৎচন্দ্র যেখানে ছিল সেখানে গিয়েছেন নাকি? আগে তো স্টিমারে করে যেত।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪

জুন বলেছেন: আসলেই সাড়ে চুয়াত্তর আপনি ঠিকই বলেছেন। পুরাই চীনের অধীন। আমরা চীন ভ্রমণে গিয়ে যেদিন গ্রেট ওয়াল দেখতে গেলাম তার আগে আমাদের একটা জেডের কারখানায় নিয়ে গেল দেখাতে। ছোট খাটো টিলার মত আকারের আস্ত জেড কেটে পাচটা স্প্র‍্যাংলিং ঘোড়ার ভাস্কর্য। জানলাম সবই মিয়ানমার থেকে আনা এই পাথর।
মিয়ানমারের এত সম্পদ যে ওখানে বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশের প্রতিনিধি ছাড়াও ব্যাবসায়ীদের পদচারণা প্রতিনিয়ত। কিন্ত জনগণের জন্য সুযোগ সুবিধা এত সীমিত যে দেখলে আর শুনলে খারাপই লাগে। আরেক বার এসেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে চলে যাওয়া নববর্ষের শুভেচ্ছা।

৩৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি গিয়ানী না হইলেও এডি / বেডি'র হিসাব কিতাব জানি। হের লাইগাই তো সন্দো!!! আপনে আসলেই অংকে কাচা। আপনে কইছেন, মন্দিরটা ২৬০০ বছর ধইরা খাড়ায়া আছে। আবার এহন কইতাছেন সুতরাং ওই ৪০০ বছর আর ২০২০ যোগ দেন।, দিলাম!! ফলাফল তো ২৪২০!!! ১৮০ বছর আগেই খাড়াইলো কি হিসাবে? অহন আপনেই কন.......গ্যান্জাম আছে না নাই!!! :P

নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনি ও আপনার পরিবারের সবাইকে আর ও ইয়ে মানে ঐ সুমনা ভাবীদের পরিবারকেও =p~

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

জুন বলেছেন: ৪০০/৫০০ ব্যাপার না ভুয়া তবে বিসিতে আপ্নে ৬০০ বছর ধরেন আর এডিতে ২০০০ তাইলেই তো হয়। হুদাই আমার মাথাডারে আউলানের কোন দরকার আছে আপ্নের :`>

শুভেচ্ছা ভাগাভাগি কইরা নিয়েন কিন্তু, পুরাটাই গাপ কৈরেন্না য্যান =p~
আরেক বার আইছেন লেডি মুগাম্বো খুশ হুয়া B-)

৩৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০২

শোভন শামস বলেছেন: অনেক দিন পর প্রাঞ্জল বর্ণনায় মিয়ানমারের তথ্য পেলাম, অপূর্ব

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

জুন বলেছেন: অনেক অনেক দিন পর আপনাকে দেখছি মনে হয় শোভন সামস!! ভালো আছেন আশা করছি। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো :)

৩৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আমার মন ভাল নেই।প্রতিমন্তব্য করার সবুজ বাটন আসছে না।

আপনি ওখানে জানতে চেয়েছেন কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে।আমার এক বন্ধু দিল্লি গেছে কৃষকদের আন্দোলন কভার করতে। ট্রাম দাদার সঙ্গে মোদীজি মিলে সারাবিশ্বের আমেজ তৈরি করতে পেরেছেন। সেখানে কৃষকরা খামোখা যদি মোদিজীর ইমেজ নষ্ট করতে চান তার মধ্যে আমি ওদের দূরভিসন্ধি বলেই মনে করি। মোদীজি সাচ্চা ধোয়া তুলসীর পাতা।আপনারা শুধু শুধু একজন অবতারকে গালমন্দ করেন। দেখছেন না এখন কেমন মোদিজি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়েছেন।আপনি বিশ্বাস নাও করতে পারেন তবে ঘটনা হলো উনি রবীন্দ্র সংগীতও রচনা করছেন। খুব শীঘ্রই বাজারে মোদিজির রবীন্দ্র সংগীত আসতে চলেছে। উনি প্রথমেই দাড়ি রেখে একাজ শুরু করেছেন।আর টীকার কথা বললে,আমরা কলকাতার পাশ্ববর্তী এলাকায় থেকেও কিছুই বুঝতে পারছি না।ব্লগ ও পোর্টাল থেকে জানতে পারি নাকি ভারতে টীকা আসতে চলেছে। যদিও কবিগুরু মোদিজি এখন নীরবই বেশি থাকেন। তাই বলে আবার নীরব মোদি বলে ওনাকে ভুল বোঝেননা পিলিজ।


১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

জুন বলেছেন: প্রতিমন্তব্য করার সবুজ বাটন আসছে না। এখন মনে হয় এসেছে পদাতিক :)
মোদী এখন দেশে দেশে , আমাদের কিচ্ছুই করার নেই । অসহায় আমরা তাদের কাছে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার ব্লগে দেয়া আমার মন্তব্যের উত্তর দিতে না পারার কারন জানাতে এসেছেন বলে ।

৩৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



শরীরটা তেমন ভাল যাচ্ছেনা বলে পোষ্টে ফিরে আসতে বিলম্ব হলো।এসে অনেকক্ষন ধরে ছবি দেখলাম ও সচিত্র বিবরণ
পাঠ করলাম ।
মায়ানমার এর অপরূপ পকৃতির বুকে জোড়ে থাকা শত শত মন্দিরের সাথে যে সমস্ত খাঁটি যাদু আছে তা যতক্ষণ পর্যন্ত না
চোখের সামনে দেখতে পারা যায় ততক্ষন সহজে বুঝা যায়না । প্যাগোডাগুলির সৃদৃশ্যমান অবয়ব আর এর সাথে থাকা মনিমুক্তাময় ঐতিহ্যবাহী বিষয়গুলির মহিমা প্রশংসা করার জন্য যতগুলি উপায় প্রয়োজন তার প্রায় সবগুলিই সুন্দর সুন্দর
চিত্র ও বর্ণনায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠে এসেছে এই পোষ্টটিতে । ঘোরানো তোরণ মারিয়ে পথচলার মধ্য দিয়ে মন্দিরগুলিতে
থাকা সমস্ত দর্শনীয় বিষয়গুলির দৃশ্য অপরূপ মনে হয়েছে । এটা যেন সেখান মন্দিরগুলির ইতিহাসের অপুর্ব সমন্বয়।

মায়ানমারের শত শত মন্দির দেখার সেরা একটি উপায় হল হট এয়ার বেলুন ভ্রমন, যদিউ এটি অবশ্যই দামি:
মাথাপিছু $৩৫০- $৪৫০ মার্কিন ডলার ।
তবে এতে চড়ে মন্দির দেখলে প্রতিটি পয়সার মূল্য উসুল হয়ে যায়। সত্যিকারের পাখির চোখের দর্শন উপভোগের জন্য বেলুনগুলি আলতো’করে মন্দিরের উপর দিয়ে ভেসে যায়, প্রায় ৪৫ মিনিটের বেলুন ভ্রমনে এলাকার সকল মন্দিরের ছবি
দেখা যায়। তবে গরম বাতাসের বেলুনের ঝুড়িতে কোনও পার্টি পটি নেই; নিজকে তাজা রাখার জন্য কাপভর্তী গরম
চা/কফি সাথে রাখতে হয় ।


গরম বাতাস ভর্তী বেলুন মহুর্তেই শত ফিট উপরে উঠে যায় , নজরে আসে ঐ এলাকার শত শত মন্দির,
তবে তাতে কি মনের তৃপ্তি মিটে । মাটিতে নেমে খালি পায়ে হেটে মন্দির দেখার সুখই আলাদা ।

চমকপ্রদ সোনায় মোরানো স্তূপায় ঘিরে থাকা পুরো প্রায় ৫০ হেক্টর জমি জুরে ছড়িয়ে থাকা শডেগন
মন্দিরের অবকাঠামো যেন বৌদ্ধ মন্দিরগুলিকে নিয়ে গড়ে উঠা সেখানকার এক ডিজনিল্যান্ড ।

মায়ানমানের বিশেষ করে রাখাইনের বৌদ্ধরা মনে হয় অনেকেই দুষ্ট আত্মাতে পরিনত হচ্ছে । কালক্রমে
এরা হয়তবা এই রকম ভাবে মন্দিরের পাশে দুষ্ট মুর্তী হিসাবে পরিনত হবে যদি না তাদের মধ্যকার দুষ্ট প্রবৃত্তি
চলে গিয়ে মানবতাবোধ জাগ্রত হয়ে বিতারিত ও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদেরে তাদের নীজ মাতৃভুমিতে ফিরিয়ে
না নেয় অতি শীঘ্র করে । তা না হলে আমরাও হয়তবা কামনা করতে বাধ্য হব যেন দুষ্ট একটি মায়াবী ঝড় এসে
মায়ানমারের দুষ্টগুলিকে দুষ্ট আত্মায় পরিনত করে পাথরের মুর্তীর মত করে তাদের দেশের রত্ন খনি শ্রমিকের
ঘাম নির্সিত ও রক্তরঞ্জিত মনিরত্ন শোভিত মন্দিরের পাশে দুষ্ট আত্মায় পরিনত করে দীর্ঘদিন ধরে বসিয়ে রাখে
কঠিন শিলা খন্ডের উপরে ।

তাদের ভবিষ্মত প্রজন্ম দেখুক কাওকে কষ্ট দিয়ে নির্যাতন করে দেশান্তরী করলে পরিনতি কি হয় । যাহোক,
মায়ানমারের সকল শুভ আত্মার জন্য আমাদের শুভকামনা রইল । তারা আমাদের ভাল প্রতিবেশী হয়ে
বিরাজ করুক জীবন ভরে ।

পোষ্টটি আগেই প্রিয়তে নিয়ে রেখেছি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩৭

জুন বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাই অসুস্থতা নিয়েও যে আপনি আমার পোস্টে এসেছেন আর আপনার সিগনেচার মন্তব্যে মুগ্ধ করেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন ।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যের সাথে অপরূপ নকশায় অনিন্দ্য শডেগন সত্যি আমাদের মত পর্যটকদের কাছে দেখার মতই । কিন্ত আপনি বলেছেন মায়ানমারের শত শত মন্দির দেখার সেরা একটি উপায় হল হট এয়ার বেলুন ভ্রমন, যদিউ এটি অবশ্যই দামি:
মাথাপিছু $৩৫০- $৪৫০ মার্কিন ডলার ।
। এটা কিন্ত বাগান শহরের হাজার হাজার মন্দিরগুলো দেখার জন্য যা বিস্তৃত সমগ্র শহর জুড়ে । শডেগন দেখার জন্য কোন বেলুনের ব্যাবস্থা নেই । আমাদের সময় বন্ধ ছিল বলে সহ পর্যটক বহুৎ আফসোস করেছিল আর আমি খুশি যে ঐ শুন্যে উঠে দুলতে থাকলে আমি মাথা ঘুরে বমি করে মরেই যেতাম ।
মায়ানমারের রাখাইনই শুধু নয় তাদের অন্য উপজাতি যেমন কাচিন কারেন শান এরা তো ভয়ংকর । তাদের নিষ্ঠুর অত্যাচারে কারেনদেরই একটি অংশ পালিয়ে গেছে থাইল্যান্ডে। এই বর্মীরাই কিন্ত থাইল্যান্ডের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী রাজধানী নগরী আক্রমন করে জ্বালিয়ে পুড়ে খাক করে দিয়েছিল তারপরও চীন, জাপান, কোরিয়ার চেয়েও থাইল্যান্ড থেকে সবচেয়ে বেশি তীর্থযাত্রী আসে শডেগনে প্রার্থনা করতে বেড়াতে । তাদের A 380-800 এয়ারবাসের ডেইলি ফ্লাইট আসে পুরো ভর্তি হয়ে ।
আপনার দেয়া দুষ্ট আত্মার ছবি আমিও দিয়েছি কিন্ত দেখেন :)
আমার লেখায় মন্তব্য ভালোলাগা আর প্রিয়তে নেয়ার জন্য রইলো অশেষ কৃতজ্ঞতা :)

৩৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: প্রথম ছবিটি ২০১৫ তে তোলা
আর লিখছেন ২০২০ সালে, তাই একটু মিলাতে পারছিনা ।

............................................................................................
মিয়ানমার যাবার আমন্ত্রন ছিলো , কিন্ত কেন জানি মন টানেনা,
বিশেষ করে তাদের দ্বিচারিতা মনের মাঝে ক্ষোভের সন্চার করে ।
তাই ভ্রমন সূচী থেকে বাদ দিয়েছি । তারপরও মনের মাঝে প্রশ্ন থাকে
এইযে চোখ ঝলসানো সম্পদের প্রকাশ এর অর্থর উৎস কোথা থেকে আসল ।
বিশেষত যেখানে বৌদ্ধরা অহিংস মতবাদে বিশ্বাসী ???

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৩

জুন বলেছেন: স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: প্রথম ছবিটি ২০১৫ তে তোলা
আর লিখছেন ২০২০ সালে, তাই একটু মিলাতে পারছিনা ।

পারবেন না শংখচীল ,কারন শডেগন প্যাগোডা নিয়ে তখন লিখিনি ভাই :) তবে মিয়ানমার নিয়ে আমার অনেকগুলো পোষ্ট আছে যা আমি ভ্রমন শেষ করে এসে লিখেছিলাম । এর অনেকগুলোই পেপার পত্রিকা আর ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল । যেমন এগুলো দেখতে পারেন
মায়ানমারের শেষ রাজকীয় রাজধানী মান্দালয়ের পথে পথে (ছবি ব্লগ) ১ম পর্ব
মান্দালয়ের পথে পথে। ২য় পর্ব

মায়ানমারের শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা মিনডন ও তার অপরূপ রাজপ্রাসাদ (ছবি আর ইতিহাস) মান্দালয়ের পথে পথে তৃতীয় পর্ব
মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ( ছবি + ইতিহাস ) বিশ্বের বৃহদাকার বইটি (ইতিহাস +ছবি) ভ্রমন ব্লগ
কিতনা বদনসীব হ্যায় জাফরঃ ভাগ্য বিড়ম্বিত এক সম্রাটের জীবনের করুন আলেখ্য (ছবি আর ইতিহাস)
বিদেশী মাটিতে চিড়িয়াখানায় একদিন ঘোরাঘুরি ( ছবি ব্লগ)
বাগান --- মায়ানমারের এক অসাধারন দৃষ্টিনন্দন পুরাতাত্বিক শহরে দুটো দিন (১ম পর্ব)বাগান --- মায়ানমারের এক অসাধারন দৃষ্টিনন্দন পুরাতাত্বিক প্রাচীন নগরীতে দুটো দিন ( শেষ পর্ব)
লেক ইনলে (ছবি আর কথকতা ) বার্মা নিয়ে শেষ পর্ব
এসব ছিল আমার মিয়ানমার নিয়ে লেখালেখি ।
আপনি লিখেছেন এইযে চোখ ঝলসানো সম্পদের প্রকাশ এর অর্থর উৎস কোথা থেকে আসল । মিয়ানমারের প্রাকৃতিক আর খনিজ সম্পদ যে কতটা আপনি একটু খোজ নিলেই জানবেন যদিও আমার পোস্টে উল্লেখ করেছি । যতদুর ধারনা আপনি আমার লেখা না পড়েই মন্তব্য করেছেন । তাদের কাচিন প্রদেশে শত শত সোনার খনি যাতে খনন কাজ চালিয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে বলে স্থানীয় লোকজন আপত্তি জানাচ্ছে । তাদের জেড, রুবি, নীলা এরকম বহু দুর্মুল্য পাথরের খনি আছে প্রচুর । এত সম্পদের জন্যই চীন তাদের প্রটেক্ট করছে । তাদের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে সমুদ্র সীমা যার দিকেও অনেকের লোলুপ দৃষ্ট ।
আর এসবের দিকে নজর দিলে আপনি কোন দেশ ভ্রমন করতে পারবেন না । ভারতের সাথে তাদের প্রচন্ড মনমালিন্য তারপর ওঁ তাদের প্রতিনিধিরা সেখানে বসে আছে । আরও হাজার হাজার উদাহরন দিতে পারবো কিন্ত ভাই আমার সময় কম ।
সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে কিছু বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে :)









৩৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




আপনার এই "শডেগন"য়ে আগে "শর্টকাটে" বুড়ী ছুঁয়ে গেছিলুম। এবার এসেছি বুড়ীর বদলে "তরুনী" ছুঁয়ে যেতে। :) :P

এই তরুনীর গায়ের ছত্রে ছত্রে ইতিহাসের স্বর্নোজ্বল যে বর্ণচ্ছটা তা আসলেই চোখ ধাঁধানিয়া।
তালগাছে যে শয়তান মানে দুষ্টআত্মারা থাকে তা শুনেছিলুম ছেলেবেলায়। এই বুড়োবেলায় এসে দেখি এমন তালগাছই আপনার প্রিয়। :( তাই মনে হয় দুষ্টআত্মাদের মতো জনমানুষ অধ্যুষিত মিয়ানমারের কথা আপনার মনে পড়লো! #:-S

বরাবরের মতোই ইতিহাসাশ্রয়ী বর্ণচ্ছটা নিয়ে লেখা আর তা যেন ছাড়িয়ে গেছে শডেগনের ৩৬৭ ফুট উচ্চতাকেও!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস,
হা হা হা আপনার মন্তব্য পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ =p~
শডেগন তো বুড়ীই, ২৫০০ বছর বয়স :`>
তালগাছে যে শয়তান মানে দুষ্টআত্মারা থাকে তা শুনেছিলুম ছেলেবেলায়। এটা জেনেও কেন জানি দৃপ্ত ভংগীতে আকাশ ছোয়ার চেষ্টায় রত তালগাছ আমার আজীবনের প্রিয় । ইন্ডিয়ার ভিশাখাপত্তম থেকে আরাকু ভ্যালীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম । আসার সময় গাড়ীতে । রাস্তার দুপাশে অজস্র তাল্গাছের সারি দেখে আমি মুগ্ধ । ট্রেনে চিটাগাং গেলে ফেনীতে দেখা যায় । আমি ঐ সময়টার জন্য হা করে থাকি ।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত কষ্ট করে এসে আমার লেখায় আপনার নিজস্ব অসাধারন স্টাইলের মন্তব্য করার জন্য ।
ভালো থাকুন, যেখানেই থাকুন :)

৩৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুন্দর প্রতিন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
দুষ্ট আত্মার ছবিটিতো নিয়েছি আপনার ব্লগ হতেই ।
সেটা দেখেইতো মন্তব্যটি লেখা হয়েছে । হাতের কাছে
ছবি থাকতে দুরে যায় কে। মন্তব্যের ঘরে দেয়া অনেক
ছবির সুত্র উল্লেখ করা হয়না আলসেমি করে। যাহোক
এমন ভুল আর যেন না হয় সেটা খেয়াল করে দেখব
ভাল করে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৩

জুন বলেছেন: ওহ আপনি এত বিনয়ী সত্যি আমি মুগ্ধ ডঃ এম এ আলী ভাই। মন্তব্যের উত্তরটাও যে ভালো লেগেছে তাও জানিয়ে গেলেন। আপনার তুলনা আপনিই।
হ্যা ছবির ব্যাপারে এখন তো শুনলাম সুত্র উল্লেখ করতে হবে। আপনি ঠিকই বলেছেন আলসেমি। এতে হয়তো ছবির ব্যাবহার কমে যাবে :(
আপনি প্রথম যে দুটো ছবি দিয়েছেন তা কিন্তু বাগান শহরের। অনেক মঠ তার আবার বেশিরভাগই বন্ধ তাই হয়তো হট বেলুনে চেপে সবুজ বাবলা বনের ভেতর লাল লাল মঠের অসাধারণ সৌন্দর্য দেখাটা পোষায়। কিন্ত বৌদ্ধদের পবিত্রতম মঠ শডেগনে উপাসনা হয় সেখানে মাথার উপর বেলুন চেপে পর্যটকদের ঘুর ঘুর এটা হতে দেবে না আমার ধারণা।
আরেকবার আসার জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। আর আপনার বই কি রকমারীতে এসেছে? জানেন কিছু? এলে জানাবেন অবশ্যই। পড়ার জন্য অপেক্ষায় :)

৪০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্ট যে আমার মন্তব্যের অপেক্ষায় আছে জেনে ধন্য হয়ে গেলাম জুন। :) আসলে আমি ভাবলাম সিরিয়াল মেনে মন্তব্য করবো, তাই আসতে দেরি। বুয়ার পোস্টে মন্তব্য লিখেও পোস্ট করিনি, এখন পোস্ট করে আসলাম... মাঝে দুটো পোস্ট বাকি...

ছবি দেখেই চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে, সামনাসামনি আপনার কেমন লাগছিল কে জানে!! মায়ানমারে যে এত সোনার ছড়াছড়ি সেটা এই পোস্ট না পড়লে জানতাম না। মায়ানমারের মাটি ও মানুষ সম্পর্কে যেটুকু জ্ঞান তা শ্রীকান্ত পড়ে- সেখানে কোথাও এমন চমৎকার মঠ আছে বলে উল্লেখ দেখিনি।

মানুষগুলোও অদ্ভুত, পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে সোনা তুলতে বাঁধা দেয়!! আমরা হলে কবে সব সাফ হয়ে যেত!! আমরা এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার টন কয়লা তুলে বাতাসে মিলিয়ে দিতে পারি, নদী নালা খাল সব খেয়ে নিতে পারি। হয়ত সেজন্য আমাদের দেশে কোন প্রাচীন স্থাপনা নেই। এই এলাকার অন্য সব দেশ ভারত, পাকিস্তান এমনকি আফগানিস্তানেও প্রাচীন স্থাপনা পাওয়া যায়... আমাদের কিছু নেই।

শডেগন মঠে একটা ভার্চুয়াল ভ্রমণ হয়ে গেল এই পোস্ট পড়ে, বাড়তি পাওনা ডা. এম এ আলীর মন্তব্য।

লাইক না দিয়ে কই যাই!!

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

জুন বলেছেন: এই পোস্ট যে আমার মন্তব্যের অপেক্ষায় আছে জেনে ধন্য হয়ে গেলাম জুন। এইবার বুঝতে পারলেন আপনার মন্তব্য আমি কতটা প্রত্যাশা করি করুনাধারা :) চারিদিকে খোজখবর নিয়েও যখন আপনার পাত্তা পাচ্ছিলাম না তখন চিন্তাই করছিলাম কি হলো আপনার । যাক ভালো আছেন সুস্থ আছেন জেনে ভালোলাগছে আমারও ।
আমার যতদুর মনে পরে শরৎচন্দ্র তার শ্রীকান্ত বইতে উল্লেখিত বার্মায় গিয়েছিলেন কাজের উদ্দেশ্যে। আমার আব্বা বেচে থাকলে কনফার্ম হোতাম । আব্বা ছিল শরৎচন্দ্রের মহা ভক্ত । তার বেশিরভাগ বইএর লাইন লাইন মুখস্থ ছিল। তবে আমার মনে হয় তিনি তৎকালীন রাজধানী মান্দালয় আর বন্দর নগরী পেগু গিয়েছিলেন ।
মানুষগুলোও অদ্ভুত, পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে সোনা তুলতে বাঁধা দেয়!! আমরা হলে কবে সব সাফ হয়ে যেত!! আসলেও , সাধারন মানুষরা খুবই নিরীহ আর অল্পতেই খুশী । যে কয়েকজনের সাথে মিশেছি বা এখনো যোগাযোগ আছে তাদের মাঝে কোন লোভ লালসা উকি দিতে দেখিনি । কোন আফসোস দেখিনি । আমাদের লোভই আমাদের সর্বনাশের কারন । মৃত্যু শয্যায় শুয়ে শুয়েও আমরা লুটপাট আর ক্ষমতার চিন্তা করি ।বখাটে নেশাখোর সন্তানদের জন্য রেখে যাই সাম্রাজ্য । ধ্বিক আমাদের ।
দারুন এক মন্তব্য আর লাইকে অনেক অনেক খুশী হোলাম । সবসময় সাথে থাকেন তার জন্যও ধন্যবাদ :)

৪১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: থাইল্যান্ড থেকে কি বিমানে না সড়কপথে বার্মা গিয়েছিলেন?
আমি ২০০৪ এর ডিসেম্বরে জিঞ্জিরা দ্বীপ ভ্রমনে গিয়ে বিশেষ পাসপোর্ট করে বার্মর আরাকান যাওয়া যায় জেনে নৌকায় করে নাফ নদী পার হয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। রোহিঙ্গারা খুব সহায়তাপরায়ণ ছিলো। ওদের দেশী টাকা না থাকায় থাইল্যান্ডের মতো রিকশা চড়ে হোটেল খূজতে যাওয়ার সময় আমার রিকশাভাড়া দিয়ে দিতে চেয়েছিলো, বলেছিলো যাওয়ার সময় ফেরত দিতে।
কিন্ত কোনো ভালো হোটেল না থাকায় সেখানে রাতে না থেকে ফিরে এসেছিলাম।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

জুন বলেছেন: আমরা ঢাকা থেকে বিমানের ফ্লাইটে গিয়েছিলাম অনল চৌধুরী । মিয়ানমারের মুল কেন্দ্র থেকে আমাদের বর্ডার লাগোয়া রাখাইন কিন্ত অনেক অনেক দূর। সারি সারি দুর্গম পাহাড়ি পথ ডিঙ্গিয়ে যেতে হয়। সাধারনত বেশিরভাগই প্লেনে ফ্লাই করে । আপনি গিয়েছিলেন শুনে ভালোলাগলো । তবে আসল মিয়ানমার দেখতে চাইলে আপনাকে ইয়াঙ্গন, মান্দালয় যেতে হবে আর তা প্লেনে । ঢাকা থেকে দুদিনেই ভিসা দেয় । আমাদের প্রচুর ব্যাবসায়ীরা যায় কিন্ত । সরকারী লোকেরাও ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৪২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২২

শায়মা বলেছেন: আহা কি সুন্দর!!!!!!!!!!!!!

সোনালী সোনালী আমার দারুন পছন্দ আপু!!!!!!!!!!

থালা বাটি থেকে ঘর বাড়ি প্রাসাদ সব সব সব!!!!

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩২

জুন বলেছেন: সত্যি সুন্দর শায়মা। তুমি গেলে আরো ভালো বর্ননা দিতে পার‍তা শড্যাগনের সাজুগুজুর B-)
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক একটা ধন্যবাদ রইলো।

৪৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৪

শায়মা বলেছেন: হা হা কেমন যাবো!!

আর কবেই বা যাওয়া হবে কোথাও কে জানে!! :( :( :(

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৯

জুন বলেছেন: শায়মা আমরাতো ঢাকা থেকে বিমানে গিয়েছি। তবে এখনতো সমস্যা, পরিস্থিতি ভালো হলে ঘুরে এসো ভালো লাগবে। অনেক সাজুগুজুর জিনিসপত্র পাবে সেখানে। ভালো থেকো সবসময় :)

৪৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: শড্যাগনের মুকুটের হীরা মানিকের এন্তেজাম দেখে টাস্কিত...........এগুলো কি এখনো আসল অবস্থায় অক্ষত আছে....ব্রিটিশরা দেখতে পায় নি............

চমৎকার লেখা বরাবরের মতো........... :D

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের মানুষের মনে মায়ানমার সম্পর্কে একটি স্থায়ী নেতিবাচক চিত্র প্রোথিত করে দিয়েছে মনে হয়। :(
অথচ কত শত পর্যটনের মনি মানিক্য পাশের দেশটিতেই..........।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৮

জুন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি আখেনাটেন। বৃটিশরা যে মিয়ানমার থেকে কত মুল্যবান রত্নরাজি নিয়েছে তার হিসেব নেই। মান্দালয়তে ওদের যে পৃথীবির বৃহত্তম বই আছে তার পৃষ্ঠাগুলো এক একটা পাথরের স্ল্যাব। প্রতিটি পৃষ্ঠার মাথায় একটা বড় রুবির টুকরো বসানো ছিল সেগুলো লুট করে নিয়েছে।
লেখাটি ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমরা ভয় পাই বা ইতস্তত করি যেতে কিন্ত আমাদের দেশের অনেক সরকারি আমলা সরকারি কাজে এবং ব্যাবসায়ীরা মিয়ানমারে নিয়মিত যায়। পরিস্থিতি ভালো হলে একবার বেড়িয়ে আসবেন। ঐদেশের সাধারণ মানুষরা কিন্তু অনেক আন্তরিক আর দেখার মত প্রচুর জিনিস আছে।
ধন্যবাদ আরেকবার।

৪৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ট্রাভেলগ এরকমই হওয়া উচিত। সুন্দর ছবি, সুন্দর বর্ণনা, সেই সাথে কিছু টুকটাক ইতিহাস এবং লেখকের নিজস্ব মন্তব্য। খুব ভাল লাগলো আপনার মিয়ানমার ভ্রমণের এ স্মৃতিকথা। অনেকবার যাই যাই করেও আমার আর শেষ পর্যন্ত এ পড়শির বাড়ী যাওয়া হলো না! :)

এখন তো নতুন অবৈধ শাসক আসন গেড়ে বসলো, এখন হয়তো আর যাওয়াই হবে না। এরা একবার বসলে বিশ ত্রিশ বছরের আগে উঠতে চায় না, জোর করে না ওঠানো হলে। বার্মিজরা সামরিক শাসকদের প্রতি ঐতিহাসিকভাবে সহনশীল এবং পারমিসিভ।

"আমার জন্মদিনের প্রাণী শুড়ওয়ালা হাতি" - শুড়ওয়ালা হাতি পেলেন কিভাবে? সাপ্তাহিক বার হিসেবে পোস্টে যে প্রাণী বিভাজনের কথা উল্লেখ করেছেন, তাতে আছে একটা দাঁতওয়ালা হাতি, আর অপরটা দাঁতছাড়া হাতি। আপনারটা কোনটা? :)
আমারটা গরুড়

আরেকবার আসতে হবে এ পোস্টে, পাঠকের মন্তব্যগুলো পড়ে।
পোস্টে ২২তম ভাল লাগা + +।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৯

জুন বলেছেন: আপনার প্রশংসা মাথা পেতে নিলাম খায়রুল আহসান। সময় সুযোগ পেলে ঘুরে আসবেন। দেখার মত অনেক কিছুই আছে যা বিশ্ব ঐতিহ্যর তকমা প্রাপ্ত। আর পর্যটকদের রাজনৈতিক কারণগুলো বিবেচনা করলে অনেক দেশেই ভ্রমণ ঠিক না। তবে নিরাপত্তার কথা অবশ্য ভাবতে হবে।
এবার অবশ্য সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অনেক প্রতিবাদ হচ্ছে যা ব্যাতিক্রম।
শুড় এর ব্যাপারটি ঠিক করে দিচ্ছি শীঘ্রই :)
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে শেষ পর্যন্ত সময় করে আমার লেখায় এসেছেন। ভালো থাকুন সবসময়।

৪৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ পোস্টে যেমন অনেক চমৎকার মন্তব্য এসেছে, তেমনি আপনার অনেকগুলো প্রতিমন্তব্যও দারুণ হয়েছে। বলাবাহুল্য, সেগুলোতে 'লাইক' দিয়েছি। +
২৪ নং প্রতিমন্তব্যে দেয়া আপনার ছবি দুটো নজর কেড়ে নেয়। খুবই সুন্দর! সোনার চেয়ে কম নয়।
আহমেদ জী এস এর প্রথম মন্তব্যটা এত আন্তরিকতাপূর্ণ! ভাল লেগেছে। +
অংকের গড়মিলটা কিন্তু ভুয়া মফিজ ঠিকই ধরেছেন, অর্থাৎ ২৬০০ এর স্থলে ২৪২০ হবে। :)
মোদী এখন দেশে দেশে , আমাদের কিচ্ছুই করার নেই - এটাই রূঢ় বাস্তবতা।
"মানুষগুলোও অদ্ভুত, পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে সোনা তুলতে বাঁধা দেয়!! আমরা হলে কবে সব সাফ হয়ে যেত!!" (৪০ নং মন্তব্য) - সোনা তো মহামূল্যবান বস্তু। আমরা সিলেটের জাফলং, ছাতক এবং অন্যান্য স্থানে পাথর তুলে তুলে নদীর গতিধারাকে বদলে দিচ্ছি, নদীর শয্যাতলকে উপড়ে ফেলছি এবং এভাবে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছি। পরিকল্পিতভাবে পরিবেশ রক্ষা করেও হয়তো পাথর আহরণের কাজটা সুশৃঙ্খলভাবে করা যেত, কিন্তু সেটা যে আমাদের ধাতে নেই!
আপনার কব্জীর ব্যথাটা কি এখন সম্পূর্ণ সেরেছে?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২

জুন বলেছেন: এ পোস্টে যেমন অনেক চমৎকার মন্তব্য এসেছে, যেমন আপনার মন্তব্যটিও অবদশ্যই সেই কাতারেই পরে, কিন্ত দুঃখের বিষয় আপনার অনন্য সাধারন মন্তব্য কারো দেখার সুযোগ হয় না কারন প্রায়শই আপনি আমার ব্লগ পোস্টের শেষ মন্তব্যকারী হয়ে থাকেন :) আমরা সিলেটের জাফলং, ছাতক এবং অন্যান্য স্থানে পাথর তুলে তুলে নদীর গতিধারাকে বদলে দিচ্ছি, নদীর শয্যাতলকে উপড়ে ফেলছি এবং এভাবে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছি। অনেক বছর আগে জাফলং এর যে রূপে মুগ্ধ হয়েছিলাম তা কয়েক বছর আগে দেখে স্তম্ভিত হয়ে পরেছি । মানুষ এত লোভী । কিন্ত আপনি তামাবিল ক্রস করে শিলং যাবার পথে রাস্তার দুপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হবেনই হবেন । এত সুন্দর ।
আপনি যে ছবি দুটোর কথা বলেছেন তা সত্যি সুন্দর । দামী পাথর রুবি, নীলা, পান্না্র কুচি বসানোও ছিল যা অনেক দাম, আমরা কিনতে পারি নি । আমার দুটো জেড আর ইয়েলো সিট্রিনের মত সেমি প্রেশাস স্টোনে তৈরি ।
জী আমার কব্জীর ব্যাথাটি এখন নেই বললেই চলে । অনেক অনেক ধন্যবাদ এটা মনে রেখেছেন বলে ।
ভালোলাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে , সত্যি বলতে কি আপনার মন্তব্য ছাড়া আমার লেখা যেন পুর্নতা পায় না।
আবারও ধন্যবাদ রইলো সাথে শুভকামনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.