নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চোর একটি ভয়ংকর আতংকজনক নাম আবার সেই সাথে রোমাঞ্চকরও বটে। তাদের বুদ্ধিমত্তা, কীর্তিকলাপ, সাহসিকতা নিয়ে শুধু আমাদের দেশে বলি কেন সারা পৃথিবী জুড়েই অনেক কাহিনী, অনেক গল্প প্রচলিত আছে। চোরদের এই চুরি শুধু টাকা পয়সা গয়নাগাটিতেই সীমাবদ্ধ নয়। বাড়ি চুরি, পুকুর চুরি, মাটি চুরি, ইমেজ চুরি, মায় লেখা চুরি পর্যন্ত এই রকম নানা ধরনের চুরি নিয়ে চোরকূল আমাদের বাংলা সাহিত্যেও একটা বিশাল ভুমিকা নিয়ে বসে আছে। বিখ্যাত সাহিত্যিক লীলা মজুমদারের রম্য গল্পে চোরের কাহিনী শুনে হেসে গড়িয়ে পরতেই হবে বিশেষ করে নতুন ছেলে নটবর গল্পে, সেখানে লেখিকা দেখিয়েছেন নতুন ছেলে নটবর কি করে হোস্টেলে থাকার সময় চোর ধরেছিল। এছাড়া চোরের মায়ের বড় গলা, চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে, চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী এই রকম কত যে প্রবাদ প্রবচন আমাদের দেশে প্রচলিত আছে তাঁর হিসাব নেই।
আমার মনে হয় চোর নামের ভেতরেই এক প্রবল আকর্ষন আছে যা কলম দিয়ে লেখার নয়তো বটেই, এমনকি রূপকথাতেও তা বলার নয়। ছোটবেলায় শুনতাম চোর নাকি অমুক বাসায় তমুক বাসায় সিং (সিদ) খুড়ে ঘরে ঢুকে সব চুরি করেছে। বাপরে শিঙওয়ালা চোর! তো সেকি দৈত্য, নাকি মানুষ তাই ভাবতে ভাবতে আমার দিন সারা হতো।এহেন চোর সেই ছোটবেলা থেকেই আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতো। আজ লিখবো আমার জীবনে দেখা কিছু চোরের কিচ্ছা।
এই গল্প ছোট বেলার, এই ব্লগের বিভিন্ন মন্তব্যেও আমি এই ঘটনার উল্লেখ করেছি তারপরো এটাই আমার জীবনে সর্বপ্রথম চোর দেখা তাই আবারও লিখছি । আমরা তখন সীতাকুন্ড থাকি । এক রাতে চোর এসে আমাদের জানালার ইয়া মোটা রড বাকিয়ে ঢুকতে না পেরে পাশের আরেকটি সরকারী কমপ্লেক্সের এক বাসায় হানা দেয়। সেখানে সে কি চুরি করেছিল তা আজ মনে নাই তবে সেই সরকারী কর্মচারীর স্ত্রীর মাথা মাড়িয়ে সে জানালা গলে পালিয়েছিল এটা পরিস্কার মনে আছে। কারন ভদ্র মহিলা চোরের এই অস্বাভাবিক কান্ডে ভয়েই অজ্ঞান, দে পানি, ঢাল পানি করে তাঁর নাকি জ্ঞ্যন ফেরানো হয়েছিল।
সকালে শুনলাম সেই চোরকে অনেক দুরের এক গ্রাম থেকে ধরে থানায় আনা হয়েছে। আব্বা থানা থেকে লোক পাঠালো আমাদের চোর দেখার জন্য কারন আব্বা জানতো চোরের ব্যাপারে আমি দারুন কৌতুহলী। আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে সে জেরবার তাই চক্ষু কর্নের বিবাদ ভঞ্জনের জন্য আমাদের তিন ভাই বোনের ডাক পরলো থানায়। আমাদের সিপাই ভাই আলী আহম্মদের সাথে বেশ খানিকটা হেটে থানায় ঢুকে দেখি ওসি সাহেব বসা, আব্বা তাঁর সামনে চেয়ারে বসা আর সারা শরীরে ব্যান্ডেজ বাধা এক দশাসই মুসকো জোয়ান মাটিতে বসে আছে। আব্বার পাশে গিয়ে দাড়াতেই মাটিতে বসা লোকটাকে দেখিয়ে বল্লো “দেখো এই হলো চোর”। আমার গলা দিয়ে প্রথমেই যে বাক্যটি বের হলো তা হলো “আব্বু সিং কই”! এটা নিয়ে বুড়ো বয়স পর্যন্ত আব্বার ট্রল শুনতে হয়েছে।
সারা গায়ে কাদা মাখা, ছোট ছোট উস্কোখুস্কো চুল, চোখে গজ দিয়ে ব্যান্ডেজ বাধা, বর্শা দিয়ে খুচিয়ে চোখ নাকি তুলে ফেলেছে গ্রামবাসীরা, সরকারী ডাক্তার ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে। এই অবস্থায় উনি হেসে হেসে ওসি সাহেবের সাথে কথা বলছে আর চা খাচ্ছে। এই যে দুটো চোখই উপড়ে ফেলা, সারা শরীরে বর্শার আঘাত তারপরও হেসে হেসে চা খাওয়া সেদিনের সেই দৃশ্য আমার মনোজগতে বিশাল এক ভুমিধ্বসের সৃষ্টি করেছিল চোর। তাকে আমার কাছে সাহসী এক বীরের মতই লাগছিল সেদিন।
তাঁর কিছু দিন পরেই আবার শুনি চোর চোর । আম্মা চুল আচড়ে দিচ্ছিল, আম্মার হাত ছাড়িয়ে এক দৌড়ে পাশের সরকারী কোয়ার্টারের আংগিনায়। মানুষ জন ঘিরে আছে আর তাঁর মাঝখানে এক লোক "বাবা, মাগো" বলে চিল্লাচ্ছে । তাঁর কান্না শুনে আমার গলা আদ্র হয়ে আসলো। আমি ঠেলেঠুলে জটলার ভেতরে ঢুকে দেখি এক শুকনা হাড় জিরজিরে লোক দুটো মুরগী কোলে বসা আর লোকজন একটু পর পরই তাঁর খুসকী ভরা জুল্পির আধাপাকাচুল গুলো টেনে টেনে ছিড়ে আনছে। এর মধ্যেই একজন অতি উৎসাহী তাঁর মাথার চুলগুলো আধাখ্যচড়া করে কেটে দিল। সে নাকি পাশের এলাকার বিখ্যাত মুরগী চোর।নানা রকম শাস্তির পর তাকে ছাড়া হলো আর আমার চোখের পানিও বন্ধ হলো।
সেই সীতাকুন্ড থেকে একবার ঢাকায় নানা বাড়ী বেড়াতে আসলাম, পৌছালাম ভোর সকালে।এসেই শুনি তাদের বাসায় চুরি হয়েছে। আমার নতুন বিবাহিত মামীর সব গয়না চুরি হয়েছে। সবচেয়ে তাজ্জবের বিষয় হলো আমার ডাক্তারী পড়ুয়া খালা মিটফোর্ড হোস্টেল থেকে আগের দিন বাসায় এসেছিল।সে নাকি অনুভব করলো কে একজন মশারীর ভেতর হাত ঢুকিয়েছে, আর হাতটা ঠিক তাঁর কানের কাছে কি যেন হাতড়ে ফিরছে । আমার খালা ভয় ভয় গলায় জিজ্ঞেস করলো ‘কে মা’? চোর বল্লো “হু” বলেই তাঁর কান থেকে পটাস করে দুলটা টেনে নিল, তখন খালার গলা দিয়ে আর আওয়াজ বের হয় না। সে বুঝলো মা না মামা ! যাই হোক মামীর গহনার জন্য যতটা খারাপ লেগেছিল ওনার দুলের জন্য আমার অত্টা খারাপ লাগেনি কারন উনি ছিলেন অত্যন্ত বদরাগী এক বদমেজাজী মহিলা, সারাক্ষন আমাদের উপদেশ দিতেন আর বকাবকি করতেন। তাকে আমরা যমের মত ভয় পেতাম।
ইউনিভার্সিটিতে পড়ি তখন সবার বাসায় বাসায় টু ইন ওয়ান, থ্রী ইন ওয়ান। আমাদের দুবোনের মাথার কাছে জানালার পাশেই থাকতো আমাদের দুজনার প্রিয় টু ইন ওয়ান, কারন গানের প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিল আমাদের বাসার সবারই। একদিন রাতে খুটখুট শব্দে ঘুম ভেংগে তাকিয়ে দেখি এক চোর খোলা জানালা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে আমাদের শখের টু ইন ওয়ান ধরে টানাটানি করছে।মাথার কাছে চোর দেখে আমি যেমন একেবারে বোবা হয়ে পরলাম। গলা দিয়ে আওয়াজ বের হয়না কি মুশকিল। মিনিট কয়েক পরে বোনকে আস্তে করে ঠেলা দিলাম সে আমার ছোট হলেও বেশ সাহসী।বোনতো কে কে করে উঠলো চোর ছুটে পালালো আমি তখন লাফ দিয়ে উঠে আব্বাকে জাগিয়ে তুলে আনলাম। আব্বা একদম শান্তভাবে আমাদের ঘরে ঢুকে জানালা আর টুইন ওয়ানের দিকে তাকিয়ে বল্লো “বেটা একটা বুরবক নাকি! গ্রীলের এই ছোট ফাক দিয়ে কি এটা বের করে নিতে পারবে " ! চোরটা যে কত বেকুব আর শুধু শুধু আমার ঘুম প্রিয় আব্বার ঘুমের ডিস্টার্ব করলো সেই কথা বলতে বলতে আমাদের ঘুমাতে বলে নিজের ঘরে গেল ঘুমাতে।
দুই সপ্তাহ আগের কথা ছেলে ফোন করলো, এই কথা সেই কথা। তারপর বল্লো আমার কথা মত সে একজনের সাথে দেখে করতে গিয়েছিল। সে নাকি খুবই নম্র-ভদ্র জেন্টেলম্যান যাকে বলে। সেখানে এক লোককে দেখে সে চমকে গিয়েছে কারন বছর খানেক আগেই তাকে যে দুরবস্থায় দেখেছিল সেখানে আজ সে ফিটফাট পোশাক, দামী সানগ্লাস পরে অনেক দামী গাড়ি চালিয়ে হাজির। অন্য মাধ্যম থেকে জানলো সে নাকি এখন অনেক বড় হুন্ডি ব্যাবসায়ী। বিভিন্ন দেশের বিশাল বিশাল চোরদের টাকা পয়সা সে লেনদেন করে। এই কথা বলে আমার ছেলে আমাকে বল্লো “তুমি শুধু শুধু আমাকে ভালো মানুষদের সাথে পরিচয় করায় দাও কি করতে শুনি! এদের সাথে পরিচয় করে কি লাভ আমার ! পারো তো একটা চোরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিও এরপর”।
আমি থতমত খেয়ে ঢোক গিলে বললাম “বাবা তুমি দেশে আসো, এখানে আসলে আর চোরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া লাগবে না, উঠতে,বসতে, হাটতে, চলতে অনেক চোরের সাক্ষাৎ পাবে”।
শিরোনামটা একটু পালটে দিলাম
ছবিটি নেট থেকে
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৩
জুন বলেছেন: ওহ হো এই পেয়ারা চোরের কথা কি করে ভুলে গেলাম ওমেরা
এটা ভোলা একদম উচিত হয় নি
প্রথম মন্তব্যের জন্য অনেক অনেল্ক ধন্যবাদ ।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০
ওমেরা বলেছেন: আমরা যখন পুারান ঢাকাতে ছিলাম, বাসার পাশেই ছিল একটা মসজিদ। মানুষ যখন নামাজ পড়ত আমাদের রুমের জানালা দিয়ে সব দেখা যেত। এক শুক্রবারে দুপুরবেলা খুব হট্টগোল শুনে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি সবাই মিলে কাকে যেন মারছে পরে শুনি সে নাকি জুতোচোর ।
আচ্ছা আপু , ছিঁঁচকে, পুকুর চোর আর কি কি চোর আছে ?
ধন্যবাদ আপু , ভালো থাকুন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫২
জুন বলেছেন: জুতা চোরের জুতায় ভরা ফুটপাথ
আরও কত রকম চোর আছে, শুধু চোরই না এখন দেশে ডাকাত বোঝাই । এদের চোর বললে এরা মাইন্ড করবে ওমেরা
আরেকবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো ।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা - যদি ধরা না পড়ে। নিশিকুটুম্বদের নিয়ে গল্প ভালো লাগলো।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০১
জুন বলেছেন: চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা - যদি ধরা না পড়ে।
জী এটাও একটা বিখ্যাত প্রবচন সাড়ে চুয়াত্তর
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৯
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা;
চোখ তুলে ফেলা চোরের হাসতে হাসতে চা খাওয়ার দৃশ্যটা নিয়ে অনায়াসে একটি অসাধারণ সিনেমার সিকোয়েন্স তৈরি করায়।
আর দেশে এখন পা থেকে মাথা পর্যন্ত যত চোর.......তাই চোর নিয়েও মানুষের মনে হয় আগের মতো সেই কৌতূহল নেই। চাল চোর, ডাল চোর, মুরগী চোর, ক্যাসেট চোরদের বদলে এখন সর্বাধুনিক চোর হচ্ছে 'ভোট চোর'।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫২
জুন বলেছেন: আসলেই আখেনাটেন কালো মিশমিশে ইয়া জোয়ান লোকটার চোখ তুলে ফেলেছে, সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত তার মাঝেও হাসি আসে কি করে আমিও অবাক হয়ে ভাবি এখনো মনে হলে।
আপনেই একটা ম্যুভি বানিয়ে ফেলেন নাম হবে চোরের হাসি
লোকটা পুকুরে ঝাপিয়ে পরেছিল সেখান থেকে গ্রামবাসী বর্শা ছুরে তুলে এনেছে। কি ভয়ংকর। তবে আজকাল আমাদের সমাজে চোরেরা জান বাচাতে পুকুরে ঝাপিয়ে পরে না, উলটো চোরের ভয়ে সাধুরা ঝাপ দিয়ে পরে
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
অটঃ আপনি কিন্তু ব্লগ ছেড়ে যাবার কথা ভুলেও ভাববেন না।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার চোর কাহিনী
ছোট বেলার একটা চোরের ঘটনা
মনে পড়লো। এবার আমাদের ঘরে
চোর সিদ কাটলো। আমরা টের পেলাম,
আমার বড়ভাই বেশ সাহসী সে সিধের পাশে
দা নিয়ে প্রস্তুত। চোর মাথা ঢুকালেই কল্লা ধর থেকে
আলাদা করা হবে। আলাদা হলো বটে তবে মাথা না,
সেটা ছিলো একটা কালো পাতিল। চোর শতর্কতা হিসেবে
নিজের মাথা দেবার আগে লাঠির মাথায় কালো মাটির পাতিল
ঢুকিয়ে ছিলো বলে আল্লার দেওয়া কল্লাটি রক্ষা পেয়েছিল সে যাত্রায়।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
জুন বলেছেন: হায় হায় আরেকটু হলেই আপনার বাবা মানুষ হত্যার দায়ে দায়ী হতো! ভাগ্যিস চোরটা বুদ্ধি করে হাড়ি পাঠিয়েছিল অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ব্যাতিক্রমী একটি চোরের কাহিনী জানানোর জন্য।
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমি লঞ্চে দুই দুইবার চোর ধরেছি। আমি চোরকে একটি থাপ্পড় মারলেও পাব্লিক কিল, ঘুষি, লাথি মেরেছে অনেক। একবার এক চোর আমাকে বলল, ভাই আমাকে ছেড়ে দেন, আমি লঞ্চ থেকে চলে যাব। আমি বললাম কিভাবে? চোর বলল পানিতে লাফ দিয়ে। আমি অবাক হয়েছি, একেতো বর্ষাকাল তার উপর রাত, লঞ্চ থেকে লাফ দিয়ে ডাঙায় উঠবে কিভাবে? কিন্তু মামা বিষয়টা পরীক্ষা করার জন্য সত্যি সত্যি চোরকে ছেড়ে দিলেন। চোর এক লাফে লঞ্চ থেকে উধাও হয়ে গেছে। আমি আজও চোরের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি। এভাবে তাকে বিপদে ফেলে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৯
জুন বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে সত্যি বিস্মিত হোলাম শাহদাত হোসাইন। তবে চোররা অনেক ক্ষেত্রে বেশ দক্ষ থাকে। তারপরও চোরের উপর মানুষের হাতের কারসাজি দেখলে আমার কষ্টই হয়। পোস্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের বাসায় একবার চোর ধরা পড়লো।
আব্বা চোরকে ধরলো। তাকে পেট ভরে খাইয়ে দিলো। দুটা জামা দিলো। কিছু টাকা দিলো। একটা থাপ্পড়ও দিলো না। এলাকার মানুষ হই চই শুরু করে দিলো। চোরকে মারতে হবে। আমাদের হাতে ছেড়ে দিন। ইত্যাদি। তখন আমি অনেক ছোট স্কুলে পড়ি।
আমি কোনো দিন চোর মারি নি। বরং কেউ চোরদের মারলে তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করি।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
জুন বলেছেন: আপনার আব্বা ছিলেন মহানুভব । আমারও কাউকে মারতে দেখলে ভীষন খারাপ লাগে । ধন্যবাদ মন্তব্যে ।
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৭
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: একবার এক চোর আমার আম্মার রাজহাঁস চুরি করতে এসেছিলো রাত একটা-দুইটার দিকে।চারদিকে অন্ধকার। আমাদের খাঁচার সিস্টেম ছিলো পাশাপাশি চারটা খোপ। সবার মুখ খোলা।কিন্তু সব কয়টার চারদিকে আবার বাউন্ডারি দিয়ে তালা মারার ব্যবস্থা ছিলো। চোর তালা কেটে ঢুকেছে ভেতরে। সে যে খোপে হাত দিয়েছিলো তার পাশের খোপেই দুটো রাজহাঁস ছিলো।অন্য খোপটা খালি ছিলো। চোর ভুল করে খালি খোপে হাত ঢোকানো মাত্র পাশের খোপ থেকে রাজহাঁস মাথা বের করে চোরের কানে ঠোকর মেরে দিয়েছে। চোর এই আক্রমণ আশা করে নি। কানে ঠোকর খেয়ে ভয়ে জোরে শব্দ করে কান চেপে মাটিতে বসে পড়েছে।তখনই আব্বা ঘুম থেকে উঠে গিয়ে পালানোর আগেই চোরকে ধরে ফেলেছিলেন।রাজহাঁসের কাণ্ড দেখে হতভম্ব হয়ে তিনি আর চোরকে কিছু বলেন নি। আবার আসলে পুলিশে দেবার হুমকি দিয়ে বিদায় করে দিয়েছেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
জুন বলেছেন: রাজহাস আমি খুব ভয় পাই চোরের আর কি দোষ মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল। আপনার বর্ননা যেন দিব্য চোখে দেখতে পেলাম , বেচারা চোর আমার এক নানা অনেক রাজহাস পালতো, আমি একা কোনদিনও ওনাদের বাসায় যেতাম না
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকুন আর নিরাপদে থাকুন ।
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৫৫
ঢুকিচেপা বলেছেন: দুই দুইবার পুলিশের বাসায় চুরির জন্যে হানা দিয়েছে, চোরের ঘাড়ে কি ২টা মাথা ছিল ?
অনেক আগে আমাদের পাশের বাড়িতে (মাটির বাড়ি) সিঁদ কেটে চুরি হয়েছিল তাও ২/৩ বার।
ছোটবেলায় নারী-পুরুষ যৌথ চোরের গ্রুপ দেখেছি, মজার ঘটনা ছিল।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫০
জুন বলেছেন: দুই দুইবার পুলিশের বাসায় চুরির জন্যে হানা দিয়েছে, হা হা হা চিন্তা করেন একবার কি সিনা ডাংগর চোর
নারী-পুরুষ যৌথ চোরের গ্রুপ দেখেছি, মজার ঘটনা ছিল। শুনেই মজা পাচ্ছি ঢুকিচেপা । এটা নিয়ে একটা পোস্ট লিখে আমাদের সাথে শেয়ার করেন
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো ।
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিবিধ প্রকারের চোর নিয়ে লেখা চোর কাহিনী বেশ সুন্দর হয়েছে ।
লেখাটির একেবারে শেষ দিকে চারিদিকে এক ধরণের চোরের
ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে বলে মনে হল । তারা মনে হয় মন চোর ।
পৃথিবীতে চারদিকে মনে হয় এই চোরের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশী ।
মায়াবী /মায়াবীনি চোখের ইশারাতেই নিরবে অনেকের মন চুরি হয়ে যায় ।
এই চোরের কারণে অনেকেই পরম প্রাপ্তিটা পায় , আবার অনেকেই
সারা জীবন ধরে করে হায় হায় ।
আমার মনে পরে আমাদের গ্রামে মনছুর নামে এক সিচকে চোর ছিল ।
চোর আর আর চোরের ব্উ সারা দিন মানই এটা সেটা নিয়ে ঝগড়া ঝাটি
আর চিল্লাচিল্লি করত । একদিন শুনি বউটি চিল্লাইয়া বলতেছে
রাইতে করতা মাইনষ্যের বাড়িত চুরি আর দিন-দুপুরে আমার
মনের মধ্যে হানা দিয়া মনডা চুরি কইরা লইয়া যাইতা যহন-তহন!
তোমার নাম মনছুর না হইয়া মন চোর হইলে বেশি মানাইত ।
একটা মানুষের মন চুরি হলে তার আর কি বাকী থাকে? বউটি বলছে
মনচোরা সব শেষ করে দিলেও মনচোরাকে পুলিশেও ধরেনা ?
শুধু সিদেল চোর কেন অনেক মানুষ নিজের বিবেকের ঘরে সিদ কেটে
নিজের বিবেককে চোরি করে , এরা খুবই বেশী ক্ষতিকর চোর ।
দুঃখ চোর নামে আরেক পদের চোর আছে এরা নীজের দু:খ নীজেই
চোরি করে অন্তর জুরে কেঁদে ভাসায় নীজের জীবন তরী ।
যাহোক বিবিধ কারনে কিছু চোর খারাপ হলেও সব চোর
কিন্তু খারাপ নয় , তাইতো অনেক চোরদের প্রতি আমানবিক
আচরণ দেখে নরম দিলের মানূষের সহানুভুতি ঝড়ে
পড়তে দেখা যায় ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২
জুন বলেছেন: হা হা হা এই মন চুরির কথাই ভুলে গেছি ডঃ এম এ আলী কি ভাবে মনে রাখবো বলেন যেখানে পেপার পত্রিকা খুল্লেই নানা রকম চুরির গল্প শুনি । কোনদিন শুনবো আস্ত দেশটাই চুরি হয়ে গেছে । আল্লাহ মাফ করুক সেই দিন যেন দেখতে না হয় ।
আপনার ছিচকে চোর আর তাঁর বৌয়ের ঝগড়া শুনে অনেক হাসলাম । একেই বলে ভালোবাসা
কিছু চোর খারাপ হলেও সব চোর কিন্তু খারাপ নয় , আসলেই । সেই গরীব মুরগী চোরটির জন্য আমার কি যে মায়া লেগেছিল বলার নয় । আরেকবার পাশের বাসার বারান্দা থেকে এক তরুন কাপড় চুরি করে পালিয়ে যাবার সময় ধরা পরে । মুহুর্তের মধ্যেই কোথা থেকে যে এত লোক জড়ো হলো আল্লা মালুম । মানুষের ভেতর একটা পশুত্ব মনে হয় লুকিয়ে আছে ? কি এক আক্রোশে সবাই মিলে অমানুষিক মারটাই না মারছিল ছেলেটাকে। ছেলেটার কান্না আর চিৎকারে আমার বুক ব্যাথা করছিল। যাদের বাসায় চুরি হয়েছে সেই ছেলেটাকে ডেকে আমি বার বার অনুরোধ করছিলাম ছেড়ে দিতে । তারপর ওরা ছেড়ে দিল কিন্ত ছেলেটির আর দাড়ানোর অবস্থা ছিল না।
তারপর আপনি কেমন আছেন ? অনেকদিন হয় কিছু লিখছেন না । কিছুদিন আগে বলেছিলেন অসুস্থ , এখন কি একটু ভালো ? করোনা ছেড়ে গেলেও তাঁর ভালোবাসার স্পর্শ মনে হয় সহজে ছাড়ে না । সাবধানে থাকবেন , আমাদের জন্যও দোয়া করবেন । আমাদের দেশের অবস্থা তো ভয়ংকর । শুভকামনা রইলো ।
১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪৬
মা.হাসান বলেছেন: গল্পের চোরদের মাঝে আমার কাছে শির্ষেন্দুর চোরদেরই সেরা মনে হয়।
মুমনসিং অঞ্চলের দিকে প্রবাদ শুনেছি - এক কান কাটা চোর যায় রাস্তার ধার দিয়ে, দুই কান কাটা চোর যায় রাস্তার মাঝ দিয়ে।
ফাতেমা ছবি আপা থাকলে ভালো হতো। হের মনে অনেক দুষ্ক। হের কবতে খালি চুরি হয়।
আপনি তো সিদ-কাঠি হাতে নেন নাই , তো আপনার হাত কাটলো ক্যামনে?
যাউকগা , লকডাউনে দুলাভাইয়ের তো বাসন মাজা, ঘর মোছা সবই প্র্যাকটিস হইসে। তরকারি কাটাই বাদ যায় কেনো?
লেখার শেষাংশের তেব্র প্রতিবাদ কর্তেসি। দেশে কুনু চোর নাই। পাহার দেবার জন্য সদা সজাগ নেতারা আছেন, এনারা দামি গাড়ি মাঝ রাস্তা দিয়ে প্যাপো করে হাকিয়ে দেশ রক্ষায় ব্যস্ত।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪
জুন বলেছেন: এক কান কাটা চোর যায় রাস্তার ধার দিয়ে, দুই কান কাটা চোর যায় রাস্তার মাঝ দিয়ে। এটা তো পুরান প্রবাদ মা হাসান। তবে এখন আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই রাস্তার মাঝখান দিয়েই চলে , এক কান কাটা হলে তো এক পাশ দিয়ে চলতো
হু ছবি আপা ইদানীং খুব ব্যাস্ত , জানিনা কবিতা লেখা নাকি ছবি ব্লগ নিয়া । ভুয়ার অতলা বিরাট পোস্ট আর অতলা মন্তব্য দেইখা উনি টায়ার্ড হয়ে ডামেকে গেছেন মিস ইউ ছবি আপা, আমার পোস্ট বেশি বড় না আবার মন্তব্যও হাতে গোনা কয়েকটা মাত্র
হাত কাটার কাহিনী বড়ই দুঃখজনক সেটা আর মনে করতে চাই না । এখন একটু ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় । জী আমরা দুজন মিলেই সব কাজ করি বেশ অনেক মাসই তো হলো ।
দেশে কুনু চোর নাই। হ ঠিকই কইছেন, এরা চোর না ডাকাইত ডাকাইত
অনেক দিন পর আমার লেখায় আসলেন তাঁর জন্য কি বলে যে ধন্যবাদ জানাবো ভেবেই পাচ্ছি না । ভালো থাকুন অনেক অনেক পরিবারের সবাইকে নিয়ে ।
।
১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
চোর শব্দটি নিয়ে বলেছেন - ভয়ানক ও রোমাঞ্চকর। কিন্তু চোর যে রোমান্টিকও হয় তা লেখেন নি। চোর নাকি সব জিনিষ চুরি করে, পুকুর থেকে মাঠঘাট পর্যন্ত। কিন্তু কিছু জিনিষ বাদ গেছে আপনার চুরি লেখা থেকে।
তাই ওমেরা বলেছেন: আপু অত এত চোরের কথা বল্লেন ,পেয়ারা চোরের কথা তো বল্লেন না ।
আমিও তেমনি বলি - পেয়ারা থেকে "পেয়ার" মানে প্রেম। আর প্রেম মানেই মন দেয়া নেয়া। মনচোর । এই চোরের কথা বাদ দিয়েছেন কেন? এরাই তো আসল চোর- আস্ত একটা মানুষ চুরি করে । কি ভয়ানক!!!!!
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫
জুন বলেছেন: এরাই তো আসল চোর- আস্ত একটা মানুষ চুরি করে । কি যে বলেন আপনি হা হা হা মন চুরি দেখি চুরি রাজত্বে বিশাল জায়গা দখল করে বসে আছে । ওমেরা বল্লো, ডাঃ এম এ আলী ভাই বল্লো এখন আপনিও বলেছেন ভাবছি লেখায় এটা সংযোজিত করে দেবো ।
লেখাটি পড়া , মন্তব্য আর ভালোলাগা দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন ।
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
শেষের লাইনটিতে একটু সংযোজন হবে চোরের ভয়ানকতা বোঝাতে ---
এরাই তো আসল চোর- আস্ত একটা মানুষ চুরি করে । আর মানুষেরাও এই রকম চুরি হয়ে যেতে পা বাড়িয়েই থাকে। কি ভয়ানক!!!!!
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮
জুন বলেছেন: আর মানুষেরাও এই রকম চুরি হয়ে যেতে পা বাড়িয়েই থাকে। কি ভয়ানক!!!!!
সংযোজন করবেন ভালো কথা তাই বলে এমন ভয়ংকর সংযোজন
হা হা হা আরেকবার আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু পেরথমে হতাশ ছিলুম সেই মুঘল আমলের চোরদের কথা বলে ব্রগবাসীকে তেমন সচেতন করা যামুনা ভেবে। কিন্তু সেসটায় কিছুটা হলেও মান বাঁচিছে... তবে আপনি হলেন গিইয়া বোলোকের ইবন বতুতা। বিদেশ বিভূঁইয়ে ঘুইরা ঘুইরা বিচিত্র সব অভিনজতা শেয়ার করবেন আশাকইরা ছিলাম। এক্ষণে সে আশায় হতাশ হলুম। পরের বার বিদেশি অভিনব চোরদের আতিথেয়তার পরিচয় করাবেন।আমাগো এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গৌতম ভদ্র তখন দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্রমণ করছিলেন। এমন সময় ওদেশে উনি হঠাৎ বিপদে পড়েছেন বলে দেশে ওনার পরিচিত বন্ধুমহলে সাহায্যের আবেদন আসে। একজন সম্মানীয় বিদেশে বিপদে পড়েছেন দেখা ইতিমধ্যে সেই অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট সাহায্য জমা হয়। এমতাবস্থায় ঐতিহাসিক গৌতম ভদ্র জানতে পারেন একটা ফেক আইডি ওনার নামে অর্থ সংগ্রহ করছে। যাইহোক চৌর্যবৃত্তি আজ অনেক প্রগেস করেছে। ওনারা এখন পেশাটাকে আর্ন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে বিশ্ববাসীকে ত্রস্ত করে তুলেছেন। সাময়িক ভুল বা অসাবধানতায় আমরা সর্বশান্ত হতে পারি। পরিশেষে কামনা করি, আপনার যেন কোনো অবস্থাতেই এই বিষয়ের উপর লেখার অভিজ্ঞতা না হয়...
শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১৩
জুন বলেছেন: এই ধরনের উউচ্চমার্গের চোর বাটপার আজ দুনিয়া জুড়ে। এখন কোন দেশেই মুরগী চোর, হাস চোর খুজে পাবেন না, ছূচো মেরে হাত গন্ধ করতে চায় না আর কি
আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পদাতিক। আর আমাদের জন্য এক বা দুই পর্বের লেখা লিখুন জলদি। ভালো থাকুন আর নিরাপদে থাকুন
১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে চোর শব্দটা উচ্চারণ করা খুবই বিপদজনক। সেইজন্য এই পোষ্টে মন খুলিয়া মন্তব্য করিতে পারিলাম না। পোষ্টদাতার প্রতি অনুরোধ রহিলো, চোর এর প্রতিশব্দ খর্পর, নক্তচর, তস্কর, অপহর্তা ইত্যাদির মধ্য হইতে কোন একটা বাছিয়া লওয়ার।
ভুলে লাইক দিয়াছি। আইনের কোন ধারায় ধরা পরার সম্ভাবনা থাকিলে দয়া করিয়া মুছিয়া দিবেন। আমার এই ভুল স্বীকারের প্রমাণ হিসাবে স্ক্রীণশট রাখিলাম। ধন্যবাদ।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১৯
জুন বলেছেন: আপনে যে মন খুলে মন্তব্য করেন নাই তা আমি আপনার মন্তব্যের টোনেই বুঝতে পেরেছি ভুয়া জানিনা কি অপরাধে লাইক থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছিলাম। তারপরও ভুল করে ক্লিক করেছেন আর দুই কলম লিখলেন তাতেই আমি অনেক অনেক খুশী
আমি জানি এই মন্তব্য পাথর/ ইট।
১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১১
করুণাধারা বলেছেন: আহমেদ জী এস ভুল বুঝেছেন ওমেরার মন্তব্য! পাশের বাড়ির পেয়ারা (মানে ইংরেজিতে গুয়াভা) চুরির ফাঁকে মন চুরির গল্পটা বিষদ ভাবে মনে করতে পারছি না, আর আহমেদ জী এস মনে হয় এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তো ওনার, সাথে আমাদেরও জ্ঞাতার্থে সেই চুরি কাহিনী আরেক বার বলার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
এই কাহিনীতে +++
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:২২
জুন বলেছেন: পোস্টে তিনটা প্লাস দিলেন যদিও একটার বেশি দেয়ার সুযোগ নেই তারপরও খুশি হইলাম করুনাধারা। কিন্ত আমি যে চোর নিয়ে এত কিছু লিখলাম কাটা হাত নিয়ে সেই ব্যাপারে কোন বাতচিত নেই, আলাপ হলো পেয়ারা চুরি নিয়ে তাও ওমেরা আর আহমেদ জী এস এর সাথে
কি আর করা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ করুনাধারা মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন আর নিরাপদে থাকুন এই দুঃসময়ে।
১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
@ করুণাধারা ,
তাহলে পাশের বাড়ীর পেয়ারা চুরির পেছনে আরও কোনও গপ্পো আছে !!!! সেটা তো জানিনে!
সে গপ্পো জানাবেন কে ? আপনি না এই পোস্টদাত্রী ?
আসলে ব্লগে লেখাগুলোই পড়ি। গোবেচারা মানুষ। লেখককে নিয়ে ভাবিনে বা কে , কেন, কি উদ্দেশ্যে একটা পোস্ট লিখলেন তা নিয়ে গবেষণার অভ্যেসও নেই । তাই হয়তো ব্লগের না বলা অনেক গপ্পোই থেকে যায় অগোচরে।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
জুন বলেছেন: আসলে ব্লগে লেখাগুলোই পড়ি। গোবেচারা মানুষ। লেখককে নিয়ে ভাবিনে বা কে , কেন, কি উদ্দেশ্যে একটা পোস্ট লিখলেন তা নিয়ে গবেষণার অভ্যেসও নেই । এটা কোন কথা হলো আহমেদ জী এস এখন থেকে দুবেলা ব্লগ খুলে সবার লেখা মুখস্থ করবেন । শায়মা আমাকে এই বুদ্ধি বাতলে দিয়েছে
১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একবার এক নাটকে দেখেছিলাম এক চোর
বউ চুরি করেছে। বেশ রোমান্টিক চোর !!
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
জুন বলেছেন: এক চোর বউ চুরি করেছে। বাহ !! তা সেকি অন্যের বৌ চুরি করেছে নূর মোহাম্মদ নুরু
এটা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েন তো । ইন্টারেস্টিং প্লট ।
শুভেচ্ছা রইলো সন্ধ্যার ।
১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
সোহানী বলেছেন: লিখটা পড়ে অনেক মজার স্মৃতি মনে পড়লেও আপনার দেখা চোরের অবস্থা দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। মানুষ কেন এতো নিষ্ঠুর?
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০
জুন বলেছেন: চোরটাকে দেখে আমারও অনেক খারাপ লেগেছিল সোহানী , তবে বেশি খারাপ লেগেছিল মুরগী চোরটার জন্য
কেমন যেন আক্রোশ নিয়ে মারে ।
ধন্যবাদ রইলো
২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন জুন,সেটাই ।একদম সঠিক।
দেশে আসলে চোরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দরকার নেই। আশে পাশে সব সাধু দেখতে দেখতে চোরের কথাই ভুলে যাবে।আর এমন সব মানুষকে সাধু হিসাবে দেখতে পাবে যাতে নিজের ই ভিমরি খাওয়ার জোগার হবে।
আর,আসলে স্থানীয় এলাকার মুরগী বা গরূচোরদের সাথে যে অমানবিক আচরন করে তা এতটা বেদনাদায়ক ও করুন যে,দেখলে নিজেকে মানুষ হিসাবে ভাবতে খারাপ লাগে।সামান্য এ অপরাধে বহু মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।আমি নিজেও এরকম দুটি ঘটনা দেখেছি।
যদিও সব চুরিই খারাপ তবে এ গরীব মানুষগুলি চুরির পিছনে অনেক করুন ইতিহাস লুকিয়ে থাকে যা শুনলে বা দেখলে নিজের চোখের পানি ধরে রাখা যায়না। তবে সাধারন মানুষ,প্রশান এবং রাষ্ট্র সবাই এ ছোট চোরদের ধরতে এবং মারতে পারে তবে যারা দেশ তথা সমাজকে ফুটো-ফাপড়া করে দিয়ে সব চুরি করে তাদের ধরাত দূর কি বাত চোর বলতেও আমরা সাহস রাখিনা। আর বিচারের বাণী তথা চোরদের বিচার তাদের টাকা -ক্ষমতার কাছে অসহায় হয়ে পড়ে।
১২ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩১
জুন বলেছেন: এদের অবশ্য চোর বল্লেও তাদের ইজ্জতে লাগতে পারে কামরুজ্জামান, ডাকাত বলা উচিত
মুরগী চোর, হাস চোর, নারিকেল ডাব চোরদের লোকজন ধরে ধরে পেটায় কিন্ত আসল চোরের সামনে গেলে হাটুতে এমন ঠক ঠক করে কাপে যে হাটুতে কড়া পরে যাওয়ার অবস্থা।
প্রাসঙ্গিক এবং আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: চোর, ডাকাত শব্দগুলো বাংলাদেশি ডিকশনারী থেকে উঠায়ে দিতে হবে। অনেক নামী দামী লোকেদের মানহানি করা হয় এই সব শব্দ দিয়া
১২ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩৪
জুন বলেছেন: চোর, ডাকাত শব্দগুলো বাংলাদেশি ডিকশনারী থেকে উঠায়ে দিতে হবে। অনেক নামী দামী লোকেদের মানহানি করা হয় এই সব শব্দ দিয়া হা হা হা আপনি যথার্থই বলেছেন ঢাবিয়ান। এইসব শব্দ এখন ছিচকে চোরদের জন্য বরাদ্দ থাকা উচিত
ধন্যবাদ রইলো অনেক সাথে শুভকামনা।
২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৩
মিরোরডডল বলেছেন:
জুনাপুর অভিজ্ঞতার বর্ণনাগুলো জোস হয়েছে
১২ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩৭
জুন বলেছেন: অনেক অনেক দুঃখিত মিররড্ডল দেরি হয়ে গেল উত্তর দিতে। নেট এত স্লো যে বলার না, লগ হতেই অনেক সময় নিচ্ছে। ঘটনাগুলো একদম আমার জীবন থেকে নেয়ে, একরত্তিও এদিক ওদিক নয়। তবে ওই সব নিরীহ চোর মনে হয় এখন নেই, এখন সব বড় বড় ডাকাতে দেশ ভরা
অনেক ভালো থাকুন সবসময় আর ধন্যবাদ রইলো মন্তব্যের জন্য।
২৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩৬
মা.হাসান বলেছেন: অনেক দিন পর আমার লেখায় আসলেন তাঁর জন্য কি বলে যে ধন্যবাদ জানাবো ভেবেই পাচ্ছি না ।
আপনার আগের পোস্ট ২২ ফেব্রুয়ারিতে - রাতারগুল, দ্যা ব্ল্যাক ওয়াটার ম্যুভির সোয়াম্প ফরেস্ট- ঐদিনই আসছিলাম, ১৬ নম্বর মন্তব্যে।
তার আগের পোস্ট- চন্দ্রমল্লিকা ও এক বুলবুলির উপাখ্যান ( ছবি ব্লগ)- সেইটাতেও ছিলাম।
এর মাঝে কি আরো পোস্ট ছিলো? মডু মুছিয়া দিলো ? নাকি আপনি নিজেই দিলেন?
১২ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪১
জুন বলেছেন: অনেক দিন পর আমার লেখায় আসলেন তাঁর জন্য কি বলে যে ধন্যবাদ জানাবো ভেবেই পাচ্ছি না
আগের পোস্টে আদছিলেন নাকি!! আমি খুবই লজ্জিত এমন একটা ব্লেম দেয়ার জন্য মা হাসান। আমি এখনই যাইতেছি উত্তর দিতে
আসলে দৌড়ের উপর ব্লগিং করলে এই দসাই হয় মনে হয়। অনেক অনেক ভালো থাকুন আর নিরাপদে। আমরা সবাই খুব বিপদে আছি। আমাদের জন্য ও দোয়া করবেন।
২৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:২৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: চোরের ডেফিনিশেনটা বদলে ফেলতে হবে। আমাদের দাদা/নানাদের যুগের চোরদেরকে চোর না বলে ছিচকে চোর বলাই উত্তম। আর এখন যে 'উঠতে বসতে, হাটতে, চলতে' চোরের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় এদেরকেই প্রকৃত চোরের সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। এই শ্রেণীটি দলমত, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে একই ধরণের ক্যারেক্টারিস্টিক বহন করে থাকে।
১২ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৪
জুন বলেছেন: আর এখন যে 'উঠতে বসতে, হাটতে, চলতে' চোরের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় এদেরকেই প্রকৃত চোরের সম্মান প্রদর্শন করতে হবে আপনি ঠিকই বলেছেন বিশুদ্ধানন্দ, নইলে উনারা মাইন্ড করতে পারে
দেরি হয়ে গেল উত্তর দিতে। দুর্বল নেট এর অন্যতম একটি কারণ। ভালো থাকুন সবসময়।
২৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জুন আপা, মহামান্য ফারাও আখেনাটেনের ঘটনা কি? হ্যার বাইত্তে গিয়া দেখি কোন পোষ্ট নাই? আজিব কারবার!!! সব ড্রাফটে নিলো ক্যান??
১২ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৯
জুন বলেছেন: আমি কি জানি উনি পোস্ট ড্রাফটে নিলো ক্যান! আপ্নেরা কেউ কেউ মহামান্য ফারাও, কেউবা বনের রাজা আর আমি হইলাম বুয়া বাসার কাজ করতে করতে জীবন ত্যানা ত্যানা
কাল উনি তার পোস্টে লিকছেন কার ডরে নাকি এই কান্ড। অনেক ইনফো থিকা বঞ্চিত থাকি শুধুমাত্র সঠিক যোগাযোগের অভাবে। ভাবতেছি ট্রাম্পের মত নিজেই একটা টুইটার বা ছ্যোছাল মিডিয়া খুল্মু
২৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
জুনাপু, তুমি কখনও চুরি করেছো ?
১২ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১
জুন বলেছেন: চুরি করেছি যেমন ফুল আর ফল। যার গাছের পেয়ারা চুরি করে ধরা খেয়েছি সেই ব্যাক্তিই অনেক বছর ধরে চোরের সাথে সংসার করছে মিররড্ডল
কত চুরির কাহিনি আছে কিন্ত কি লিখবো বুঝতে পারছি না
ক্যাচালের চোটে মাথা ভো ভো করছে, ব্লগে ঢুকতেও ভয় পাচ্ছি আয়নাপুতুল
শুভেচ্ছা রইলো সন্ধ্যার।
২৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৪
মোঃমোজাম হক বলেছেন: অনেকদিন আগের কথা। আমাদের গলিতে দেখলাম এক কিশোর চোরকে বিছানার চাদর চুরি করার অপরাধে উত্তম মধ্যম দিচ্ছে। আমার কষ্ট লাগলো বললাম ২টা চাদরের জন্য আর মেরনা ভাইয়েরা।
বাসায় আসার পর বাইরে হঠটগোল শুনে আম্মাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হচ্ছে? তিনি বললেন জানালা দিয়ে আমাদের চাদর চুরি করেছিল, সেই চোর ধরে নিয়ে এসেছে
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭
জুন বলেছেন: হা হা হা মোজাম ভাই মজার কথা শুনালেন। অনেক দিন পরে আসলেন? এখন কই আপনি? দেশে নাকি বাইরে? ভালো আছেন তো পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। এখন দেখেছেন কোভিড কি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আমাদের দেশে। ভালো থাকুন আর আমাদের জন্য ও দোয়া করবেন খুব ভয়ে ভয়ে আছি।
২৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
জুনাপু, প্রথমত তোমার অনেস্ট স্বীকারোক্তি যে চুরি করেছো, ভালো লাগলো
আরও ভালো লাগলো জেনে বাদী আর বিবাদী একসাথে সংসার করছো
হোয়াট এ স্টোরি !
ক্যাচাল চলবে, পোষ্টও চলবে, আড্ডাও চলবে, ভয়ের কিছু নেই ।
সত্যের পাশে থাকলে ভয় কি !
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন বেচে থাকতে হলে ক্যাচাল চলতেই হবে মিররড্ডল
আসুন এরপর থেকে আমরাও ক্যাচাল করি। আর কিছু না হলেও পোস্ট হিট হবে এই গ্যারান্টি আমি আপনাকে দিতে পারি
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো সাথে শুভকামনা।
আমার মনে হয় আপনি আমার লাস্ট পোস্টটিতে আসেন নি। মাহা কি আমার এই পোস্টের দাওয়াত দিয়েছে মহামান্য ভুয়ার পোস্টে
২৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
তাইতো, মাহার দাওয়াতের লিংক ক্লিক করতে দেখি জুনাপুর পোষ্ট ।
জাতি জানতে চায়, জুনাপুর পোষ্ট মাহা দাওয়াত দেয় কেনো
যদিও আরেকজনের দাওয়াতের চিঠি খুলতে নেই, তাও খুলেছি
আইন ভঙ্গ করা আমাদের রক্তে আছে
হুম পড়বো ওটা, লিস্টে আছে ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১
জুন বলেছেন: আমার, করুনাধারা আর ভুয়া এমন কয়েকজন পোস্ট দিলে দাওয়াতের মাধ্যমে পরস্পরকে জানানোর এক মহতী কার্যক্রম নিয়েছে আমাদের প্রিয় ব্লগার মা হা
অনেক সময় উনি নিজে মন্তব্য না করে শুধু দাওয়াত দিয়ে যায়। এর ফলে আমরা বুঝতে পারি কে নতুন পোস্ট দিলো
অবশ্য এই কারনে আমরা মাহার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ মিররড্ডল আপনি তো খুব কম লিখেন তাই এই দাওয়াতের অংশীদার হতে পারছেন না মনে হয়। জলদি পোস্ট লেখা শুরু করুন আর দাওয়াতি কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করুন
৩০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
আচ্ছা তাহলে এই কাহিনী । খুবই মহতী উদ্যোগ ।
সময় পেলে মাহার কমেন্ট পড়ি, খুবই উপাদেয় এবং মুখরোচক ।
আমিতো পাঠক, পড়তে আসি । ভালো হয়েছে জেনে ।
মাহার কমেন্ট পড়লে সবার পোষ্ট আপডেট লিংক পাওয়া যাবে
১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫
জুন বলেছেন: সময় পেলে মাহার কমেন্ট পড়ি, খুবই উপাদেয় এবং মুখরোচক । আমিও আপনার মত তাঁর মন্তব্য পড়ি
হ্যা নিয়মিত তাঁর পোস্ট আর মন্তব্য পড়বেন তাহলেই ব্লগের সবার লেখার আপডেট পাবেন মিররডডল
ধন্যবাদ ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ আরেক বার এসেছেন তাই
৩১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: দারুণ একটা সূচনা দিয়ে লেখাটা শুরু করেছেন। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, ছাত্রাবস্থায় আপনাকে বোধহয় কোনদিন বাংলা রচনা মুখস্থ করার প্রাণান্তকর ঘানি টানতে হয়নি!
যত রকমের চোর আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাকাল হয়েছি আমি জুতাচোরের কাছে। আমরা বাপ ব্যাটারা মিলে এত স্যান্ডাল হারিয়েছি মাসজিদে মাসজিদে যে আমার গিন্নী একসময় বিরক্ত হয়ে কিছুতেই আমাদেরকে ভাল বা মাঝারি মানের কোন স্যান্ডাল পরে মাসজিদে যেতে দিতেন না। আমাদের ছাড়া আর কোন ধর্মালয়ে বোধ হয় জুতা চুরির হিড়িক এতটা ব্যাপক নয়! একবার এক শবে বরাতের রাতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি মাসজিদে স্যান্ডেল হারিয়ে কঙ্কর বিছানো পথ হেঁটে এসে যখন রিক্সা খুঁজছিলাম, তখন এক সহৃদয় রিক্সাওয়ালা তার সীটকভারের নীচে রাখা অতিরিক্ত এক জোড়া স্পঞ্জের স্যান্ডাল আমাকে অফার করেছিল। আমি এ সরল মানুষ্টির বিশাল হৃদয়ের পরিচয় পেয়ে অভিভূত হয়েছিলাম।
আমার নানাবাড়ীতে সিঁধকাটা চোরের উপদ্রব খুব বেশি রকমের ছিল। শুনেছি, ওরা খালি গায়ে শুধু নেংটি পড়ে গায়ে তেল মেখে সিঁধ কাটতে আসতো, যেন কেউ টের পেয়ে জাপটে ধরলেও ওরা ছুটে আসতে পারে। আমি সেখানে থাকা অবস্থায়ও একবার এক চোর সিঁধ কাটতে শুরু করেছিল, কিন্তু নানা টের পেয়ে বেরিয়ে আসতে আসতে চোর উধাও হয়েছিল। পরে আময়া বের হয়ে দেখি সিঁধকাটা মোটামুটি শেষ হয়েছিল, শুধু মহাশয়ের গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশটুকু বাকি ছিল!
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৭
জুন বলেছেন: অনেক সুন্দর এবং প্রাসংগিক একটি মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো ।
জুতা চুরির কথায় মনে পরলো আমার ছেলে ক্লাশ টেনে পড়ার সময় এক মসজিদে জুমার নামাজ পরতে গিয়ে অনেক দামী এবং ব্র্যান্ডের এক স্যান্ডেল হারিয়ে বাসায় এসে ঘোষনা দিল সে আর মসজিদে নামাজ পরতে যাবে না । যাই হোক তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে শান্ত করি ।
আপনার সহৃদয় রিকশাওয়ালার আন্তরিকায় মুগ্ধ হোলাম খায়রুল আহসান । সিধ কেটে চুরির গল্প শুনতাম আমাদের বাসার গৃহকর্মীদের মুখে তাদের কাজের অবসরে আর তারা সিদকে সিং বলতো আর আমরাও এটাই শিখেছিলাম
শুভকামনা জানবেন ।
৩২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আখেনাটেন এর সিনেমাটার নাম হতে পারে 'চোর কেন হাসে'! অবশ্য আপনার দেয়া নামটাও সুন্দর, তবে বেশ কিছু বছর ধরে ঢাকার সিনেমায় এই 'কেন' সিরিজের নামকরণ বেশ দাপটের সাথে চালু ছিল তো, এ জন্যই এ নামটা মাথায় আসলো।
কিছুটা দার্শনিক ধাঁচে লেখা ডঃ এম এ আলী এর মন্তব্যটা বেশ ভাল লাগলো! ২৬ নং প্রতিমন্তব্যটা পড়ে ওমেরা এর 'পেয়ারা চুরি'র গল্পের শানে নজুলটা বুঝতে পারলাম।
আমাদের দেশে তো এখন প্রায় সবাই দরবেশ। চোর ডাকাত কোথায় পেলেন?
০১ লা মে, ২০২১ সকাল ৯:০৫
জুন বলেছেন: হা হা হা আপনার মন্তব্য পড়ে হাসলাম অনেকক্ষণ খায়রুল আহসান। অবশ্য এই সময়ে হাসতে পারাটাও ঔষধের মতই
তা ঠিক দেশ দরবেশে ভরা আর চোরগুলো সব দেশের বাইরে। তারজন্য দেখেন না কোন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথেই তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারী হয়। আগে থেকেই টাকা চুরি করে পাচার না করলে তারা বিদেশে গিয়ে কিছু কাজটাজ না করেই এত বিলাসী জীবন যাপন করে কি করে বলুন?
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি। ভালো থাকুন সবসময়।
৩৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
নিয়াজ সুমন বলেছেন:
আপনি সীতাকুণ্ডের কোন জায়গায় থাকতেন? কোন সময় সময়ের কথা?
০১ লা মে, ২০২১ সকাল ৯:০৬
জুন বলেছেন: স্টেশনের কাছে থাকতাম নিয়াজ সুমন। মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো তার জন্য লজ্জিত আমি
৩৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৯
মা.হাসান বলেছেন: দাওয়াত দিয়ে গেলাম
০১ লা মে, ২০২১ সকাল ৯:০৯
জুন বলেছেন: দাওয়াত দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ মা হাসান, কিন্ত কথা হইলো এই যে যার বিয়া তার মনে নাই, পাড়া পড়শীর ঘুম নাই
যাচ্ছি সময় নিয়ে। বেশ কিছুদিন পরে ব্লগে এসেই দেখি কাকুর লেখা, আমার প্রিয় বিষয় পলিটিক্স তাই সেখানে প্রথম ঢু মারতেই হলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাওয়াত দেয়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ওমেরা বলেছেন: আপু অত এত চোরের কথা বল্লেন ,পেয়ারা চোরের কথা তো বল্লেন না । আমি কিন্ত তাকে চিনি আপু !