নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফিশ স্পা
বেশ কয়েক বছর আগের কথা, মাঝে মাঝেই আমার বুকের ভেতর একটা হাল্কা ব্যথা হতো। আধা ডাক্তার আমি সারাক্ষন ভয়ে কাবু হয়ে থাকতাম আর ভাবতাম এ নির্ঘাত হৃদযন্ত্রের সমস্যা। আমার ঘরের লোক আমাকে বুঝাতো "শোনো হার্টে সমস্যা হলে তোমার ব্যথা এমন হাল্কা পাৎলা হতো না, তাছাড়াও বাঁ হাত থেকে চোয়াল পর্যন্ত চিন চিন ব্যথা করতো"।
কে শোনে কার কথা, আমার মনে হতে লাগলো আমি আর বেশিদিন বাচবো না, মনের মধ্যে "হরি দিনতো গেল সন্ধ্যা হলো পার করো আমারে" গানের সুর বেজে বেজে উঠে। আমার অবস্থা দেখে একদিন সে বল্লো "আমি জানি ডাক্তার না দেখানো পর্যন্ত তো তোমার শান্তি নাই, এখন ভালো কার্ডিওলজিষ্ট কে আছে তাঁর খবর নাও"। আমি বাংলাদেশের এক বিখ্যাত ডাক্তারের সাথে এপয়েন্টমেন্ট করলাম। সাড়ে সাতটায় এপয়েন্টমেন্ট তো বিকেলেই রওনা দিলাম। আমি সাধারনত বাইরে গেলে এমনকি হাসপাতাল/ডাক্তারের কাছে গেলেও হাল্কা পাতলা সাজি যে জন্য অনেক সময় সিস্টার বা অন্যান্য রোগীরা জিজ্ঞেস করে পেশেন্ট কে ? যদি বলি 'আমি' তখন তাদের চোখে মুখে একটা হাল্কা বিস্ময়ের চিনহ দেখা যায়। তাদের ভাব দেখে মনে হয় রোগী মাত্রই দিনতো গেল সন্ধ্যা হলো টাইপ।
ডাক্তারের চেম্বারের কাছাকাছি যেতেই প্রচন্ড যানজট, সময়টা অফিস ছুটির। আমরা রাস্তার এপাশে আর ডিভাইডারের ওপাশে চেম্বার । সময় হয়ে আসছে কিন্ত গাড়ি একচুল ও আগাচ্ছে না। অধৈর্য্য আমি ড্রাইভারকে বলছি হর্ন দাও কিন্ত লাভ কি ! সিদ্ধান্ত নিলাম হেটে পার হবো। কিন্ত গাড়ি থেকে নামতেই দেখি রাস্তার এক পাশসহ ডিভাইডার কেটে কুটে কাদা পানিতে অবস্থা শোচনীয় । সেই কাদাপানি মাড়িয়ে অনেক কষ্টে চেম্বারে ঢুকতেই আমার সিরিয়াল। আমরা দুজন ভেতরে ঢুকলে ডাক্তার নাম ধাম অল্প করে কি সমস্যা জেনে নিয়ে আমাকে পাশের বেডে শুয়ে পরতে বল্লো। এরপর উনি উঠে এসে আমার পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে বল্লো "দেখি আপনার পা টা ? আমি শাড়ীটা অল্প একটু তুলেই নিজের পা দেখে নিজেই অবাক, একি! এই কি আমার পা !! কাদায়, ধুলায় একাকার নোংরা পায়ের পাতা, নখের ভেতর পর্যন্ত ময়লা ঢুকে আছে, মনে হলো আমি বুঝি সারাদিন মাটি কেটে এসেছি। এর কারন সম্পর্কে আগ বাড়িয়ে কিছু বলাও যায় না।
ডাক্তার আমার সেই নোংরা পা আর আঙ্গুল টানাটানি করলো আর আমাকে কি কি জানি জিজ্ঞেস করলো আমার কানে কিছুই গেল না। বিব্রত আমি আচল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখলাম। এরপর উনি চেয়ারে বসে আমাকে উঠে আসতে বললেন। প্রেসক্রিপশন লিখলেন আর বললেন এই টেস্টগুলো করে যেন সাতদিন পরে আসি ।
সপ্তম দিন আমি সকাল থেকে পা নিয়ে বসলাম। প্লাস্টিকের বোলের মধ্যে গরম পানি নিয়ে পা চুবিয়ে রাখলাম আধাঘন্টা, এরপর ঝামা দিয়ে ঘসে ঘসে সব মরা চামড়া না থাকায় জেতা চামড়াই ঊঠিয়ে ফেলার অবস্থা, তারপর নেল কাটিং, ফাইলিং,ময়েশ্চারাইজার,নেলপলিশ। গোসল নাই, খাওয়া নাই, দাওয়া নাই সারাদিন ধরে এই পা নিয়ে সে এক হুলুস্থুল অবস্থা। আমার ঘরের লোক পর্যন্ত হতবাক "কি ব্যাপার তুমি কি পায়ে ব্যাথা পাইছো নাকি ? গরম পানির স্যাক দিচ্ছো যে"!
আমি কোন উত্তর দেই না, নিজের পা দেখে নিজেই মুগ্ধ। আজ রিপোর্ট নিয়ে যাবো, বাসা থেকে তাড়াতাড়ি রওনা দিতে হবে। রেডি হোলা্ম, রেডি আর কি কোনরকমে শাড়িটা পরে আবার পায়ের দিকে তাকালাম, মুখটা হাসিতে ভরে উঠলো। মুখে পাউডার স্নো তো দুরের কথা চুলটা পর্যন্ত আচড়াইনি। ঘরের লোক বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বল্লো "একি তোমার চেহারা এই রকম কেন ! চুলগুলো এমন আউলাঝাউলা! আচড়াও নাই নাকি"!
বললাম 'চলো, চলো সময় নাই, বলে হাত দিয়ে কোনরকমে চুলটা একটু পরিপাটি করার চেষ্টা করলাম , মনে মনে হাসি চুল আচড়ে কি হবে !
ড্রাইভারকে বলেছি একেবারে ক্লিনিকের গোড়ায় নিয়ে গাড়ি পার্ক করতে যাতে পায়ে ধুলা না লাগে। কাগজ পত্র নিয়ে সময়মত ডাক্তারের চেম্বারে ডাক আসলো । ডাক্তার প্রেসক্রিপশনটা হাতে নিয়ে আমাকে বল্লো "শুয়ে পরুন"। আমি শুয়ে শুয়ে পায়ের দিকে তাকালাম বাহ কি সুন্দর ! ডাক্তার উঠে আসলো, আর এসে দাড়ালো আমার মুখের কাছে "হা করেন দেখি , জিহভা বের করেন, চোখটা দেখি, তারপর স্টেথিসকোপ্টা লাগিয়ে বল্লো "জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেন, ঠিক আছে উঠে আসেন" পায়ের দিকে তাকিয়েও দেখলো না। আমি বিস্ময়ে, ক্ষোভে, দুঃখে কোনরকমে উঠে বসতেই আউলা ঝাউলা চুলগুলো আমার সারাদিনের ক্লান্ত বিদ্ধস্ত চোখ মুখের উপর এসে পরলো আর আমি হতভম্বের মত পা ঝুলিয়ে বসেই রইলাম যতক্ষন না আমার ঘরের লোক বলে উঠলো "কি ব্যাপার নামছো না কেন !
ছবি আমার মোবাইলে, মাছের সাহায্যে পেডিকিওর
০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১
জুন বলেছেন: হু মনিরা সেইটাই ভুল হয়ে গেছে ছবি তুলে রাখা উচিত ছিল । কিন্ত পায়ের সেই শোচনীয় অবস্থা দেখে আমিতো বাকরুদ্ধ
সেই সব ছবি নিয়ে নামা উচিত ছিল তাহলে ভিক্টরি স্ট্যান্ডের একদম টপ থেকে কেউ তোমাকে নামাতেই পারতো না আর আমাকেও হাত ধরে দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সিড়িটায় দাড়া করাতা
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে ফাস্টো হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইলো
২| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২
জটিল ভাই বলেছেন:
ছবিতে কি হাত না পা?
রম্যতো ভালোই লিখেন। তা আপনার ডায়াবেটিকসের খবর কি?
০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জুন বলেছেন: হাত পা চিনেন না মহা জটিল দেখি আপনার ব্রেন্ট
ডায়বেটিকস
অনেক অনেক জটিলাবাদ মন্তব্যের জন্য ।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০০
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ডাক্তার অন্যায় করেছে আপনার পায়ের দিকে না তাকিয়ে। আমারো এমন একটা ঘটনা আছে।তবে ভিন্ন ঘরানার। আমি নতুন ঘড়ি কিমে বন্ধুদের আড্ডায় গিয়েছি। ইচ্ছে করে হাফহাতা টিশার্ট পরে গেছি,যাতে ঘড়ি নজরে পড়ে সবার।কিন্তু আশ্চর্য কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করে না। এমনি সময়ে তারা একে অপরকে সময় জিজ্ঞাসা করে। সেদিন সময়ও জিজ্ঞাসা করছে না। কী একটা অবস্থা!! শেষে রেগে গিয়ে বললাম "তোরা টাইম জিজ্ঞাসা করিস না কেন? বাসায় যাবি না আজকে?" এরপর সবার নজর গেছে আমার নতুন ঘড়ির দিকে।
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৯
জুন বলেছেন: হা হা হা ভালোই বলেছেননমোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল তা এখন টাইম কত ??
আসলেও এমন টা অনেক সময় হয়ে থাকে , তবে এই ঘটনাটি একদম পুরোপুরি সত্য একচুল মিথে নেই
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঐত্তরি !!! কেমনে কেমনে ফাস্ট হয়ে গেছি আপু !!!!!
ব্লগের ইতিহাসে এ এক স্বর্ণের অক্ষরে লিখে রাখার মত ইতিহাস !!! এর ট্রিট নিতেই হবে আপনার কাছে থেকে, চা খেতে প্রয়োজনে থাইল্যান্ড ই সই ।
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৩
জুন বলেছেন:
এই নাও অরিজিনাল কড়ড়া থাই চায়ে
এইরকম ফাস্ট সবসময় দেখতে চাই মনিরা , প্রতিবার লাড্ডুগুড্ডু হউ এইটা ঠিক না
আরেক বার আসলে তাঁর জন্য শুভকামনা নিরন্তর
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৪
মেহবুবা বলেছেন: হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে পানি বেরোল আর তাই ঝাপসা চোখে লিখছি ।
আপনার বুদ্ধি করে বলতে হোত দ্বিতীয় বার "ডাক্তার সাহেব আমার পায়ের তলাটা দেখেন, বুকে ব্যথা হলে এই খানে লাল হয়ে যায় "।
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৯
জুন বলেছেন: যাক এতদিন পর আপনি এসেছেন মেহেবুবা দেখে খুব ভালোলাগছে ।
আসলেই আমার যে কি জিদ লাগছিলো সারাদিন পা নিয়ে ধ্বস্তাধ্বস্তির কি না এই রেজাল্ট
হু আসলে তখন আমার চিন্তাশক্তি মনে হয় লোপ পেয়েছিল নইলে উপরে ৩ নং মন্তব্যের তমালের মত বলতাম আজকে আমার পা দেখেন না ক্যান
আন্তরিক ধন্যবাদ ওঁ শুভকামনা রইলো ,আবার আগের মত লেখালেখি করেন আমাদেরও ভালোলাগবে
৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২০
শেরজা তপন বলেছেন: পারেন আপনি- ঘটনাও ঘটে আপনার সাথে সেইরকম!
ডাক্তারের চেম্বারে ঝুলিয়ে থাকা সেদিনের পায়ের একখানা ছবি দিলে জমত ভাল
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৭
জুন বলেছেন: পারেন আপনি- ঘটনাও ঘটে আপনার সাথে সেইরকম! আপনাদের সাথেও ঘটে কিন্ত আপনারা বলেন না
ছবি তোলার মত সেই সেন্স থাকলে তো কাজই হতো শেরজা
অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো সাথে শুভকামনা ।
৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামটা দারুণ হয়েছে। তা ডাক্তার সাহেব রোগী বিদেয় করলেন কী বলে?
জটিল ভাই বলেছেন: ছবিতে কি হাত না পা? - জটিল প্রশ্ন!
রম্য পোস্টে পঞ্চম প্লাস! + +
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৫
জুন বলেছেন: শিরোনামটা দারুণ হয়েছে।
আপনার ভালোলেগেছে জেনে আমারও ভালোলাগলো খায়রুল আহসান
ডাক্তার একগাদা টেষ্ট দিয়েছিল কিন্ত খারাপ কিছু ছিল না আল্লাহর রহমতে ।
জটিল ভাই সব সময়ই মানুষকে জটিল প্রশ্ন করে
অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
৮| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আগেরবার পা দেখে ডাক্তারের আক্কেল হয়ে গেছে ! তাই এবার ভুলেও ওপথ মাড়াননি
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৩
জুন বলেছেন: আগেরবার পা দেখে ডাক্তারের আক্কেল হয়ে গেছে
ভালোই বলেছেন
৯| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৭
শায়মা বলেছেন: হা হা হা আপুনি সেদিন দাঁত মেজেছিলে তো!!!!!!!
০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৭
জুন বলেছেন: মুখ ধোবোনা, ভাত খাবোনা, ঘুম যাবো না আজকে রাতে
শায়মা সুকুমার রায় এর কবিতার মত অবস্থা আর কি
শুভকামনা রইলো।
১০| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু মজা পাইলাম।গল্প সেরাম হয়েছে।লিটন ভায়ের কমেন্টটি খাশা হয়েছে।
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
১০ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২৬
জুন বলেছেন: লিটন ভায়ের কমেন্টটি খাশা হয়েছে।
আমিও হেসেছি অনেক মন্তব্যটি পড়ে
আপনার লেখালেখির কি হলো !! অনেকদিন হয়ে গেলো যে !
আপনার জন্যও রইলো শুভেচ্ছা পদাতিক। পোস্ট পড়া, মন্তব্য আর লাইকের জন্য অনেএএএক ধন্যবাদ
১১| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৯
শায়মা বলেছেন: ৮. ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৩২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আগেরবার পা দেখে ডাক্তারের আক্কেল হয়ে গেছে ! তাই এবার ভুলেও ওপথ মাড়াননি
হা হা হা গিয়াসভাইয়া !!!
১০ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২৭
জুন বলেছেন: @ শায়মা
১২| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পদদর্শন বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার সাহেব কাজটা ঠিক করেন নি । ওনারা অনেক সময় শুধু টাকা দেখে থাকেন রুগি আর রোগ নির্ণয় করা অতটা গুরুত্ব রাখে না। অর্থ সব বাকি সব মিথ্যা।
১০ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩৪
জুন বলেছেন: ডাক্তার সাহেব কাজটা ঠিক করেন নি ।
যাক পুরো ব্যাপারটি তাহলে আপনিই বুঝতে পেরেছেন সেলিম আনোয়ার
অর্থ সব বাকি সব মিথ্যা। এটাই এখন উনাদের বেশিরভাগের ধর্ম
মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো ।
১৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৪
ইসিয়াক বলেছেন: যাক এই সুযোগে পায়ের যত্নটা কায়দা মত হলো। আপু এরকম পরিস্থিতি এলে বা বরষা কাঁদার দিনে পায়ে পলিথিন ব্যাগ জড়িয়ে নিতে পারেন।
শতভাগ ধূলা ময়লা মুক্ত পা উপস্থাপন করতে পারবেন একেবারে নিজের মনের মত।
মজা করলাম।
রম্য ভালো লাগলো। সরস অভিজ্ঞতা।
শুভ কামনা রইলো প্রিয় ব্লগার।
অঃ টঃ মন্তব্যটি তৃতীয় মন্তব্যের ঘরে স্থান পেতো। নেটওয়ার্ক এ এমন ঝামেলা হলো, কি বলবো। তাও ভালো কপি করে রেখেছিলাম।
শুভ রাত্রি
১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭
জুন বলেছেন: আপু এরকম পরিস্থিতি এলে বা বরষা কাঁদার দিনে পায়ে পলিথিন ব্যাগ জড়িয়ে নিতে পারেন। ভাই ইসিয়াক এমন পরিস্থিতির আশংকা করলে আমি তো গামবুটই পরে নিতাম
ইউটার্নটা ছিল বেশ দূরে আর ঐ যানজটে গাড়ি থেমে ছিল নইলে তো আমাদের শানবাধানো পোর্চেই নামার কথা ।
হ্যা পায়ের যত্ন হলো বটে যাকে বলে ছাল বাকল উঠিয়ে
অনেক অনেক ধন্যবাদ তিন না হতে পারলেও ১৩ ও কিন্ত খ্রাপ না কি কন !
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।
১৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ডাক্তারের বিশেষজ্ঞ চক্ষু ডাক্তারের
স্মরনাপন্ন হওয়া আবশ্যক!!
তার দৃষ্টি বিভ্রম ঘটেছে। যখন
তার পদযুগল দর্শন করার কথা
তখন দেখে মুখ আর মুখ দেখার
বদলে দেখে পা!! ডাক্তার বড়ই
বেরসিক !! রোগীর মন বোঝে না !!
১০ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬
জুন বলেছেন: ডাক্তারের বিশেষজ্ঞ চক্ষু ডাক্তারের
স্মরনাপন্ন হওয়া আবশ্যক!!
এইটা কি বলেন নুরু ভাই !!
ডাক্তার বড়ই
বেরসিক ( !! রোগীর মন বোঝে না
অসাধারন এক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো
১৫| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৫৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলাদেশের আবাল-বৃদ্ধ বনিতাদের স্যান্ডেল পড়ার একটা মারাত্নক ব্যাধি আছে। দেশের রাস্তা-ঘাটে ধুলো-বালি, ময়লা আছে জানার পরেও বেশীরভাগ মানুষের মধ্যেই জুতা-মুজা পড়ার প্রবণতা কম। দৈনন্দিন চলাফেরা ছাড়াও অনেককেই দেখি বেড়াতে গেলেও শার্ট-প্যান্ট পড়েও স্যান্ডেল জাতীয় কিছু একটা পায়ে ঝুলিয়ে থাকেন। দেশে থাকতে আমিও দৈনন্দিন চলাফেরায় স্যান্ডেল এবং স্কুল কলেজ গেলে বা বেড়াতে গেলে জুতো পড়তাম।
আমেরিকায় এসে দেখি ভিন্ন রেওয়াজ। এখানকার বেশীরভাগ লোকই দৈনন্দিন চলাফেরায় স্নিকার এবং মুজা পড়েন। এমনিক অনেকে স্যান্ডেল পড়লেও মুজা ঠিকই পড়েন। বিষয়টা প্রথমদিকে হাস্যকর মনে হলেও এখন আর সেটা মনে হয় না, যুক্তিও আছে। আমিও অভ্যস্ত হয়ে গেছি ধীরে ধীরে। বিষয়টার কিছু সুফলও আছে। এখানকার মেয়েরা আরো একধাপ এগিয়ে। এরা পায়ের পেছনে যথেষ্ট সময় আর টাকা ব্যয় করেন। বেশীরভাগ মেয়েদেরই পা বেশ পরিষ্কার এবং দৃষ্টিনন্দন। আবার আংটিও পড়ে দেখি অনেককেই, অবশ্য খারাপ লাগে নি দেখতে।
আপনার পায়ের যত্নের গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে। পায়ের যত্নে নিয়মিত সময় ব্যয় করুন। শুভ কামনা রইলো।
১০ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫
জুন বলেছেন: বাংলাদেশের আবাল-বৃদ্ধ বনিতাদের স্যান্ডেল পড়ার একটা মারাত্নক ব্যাধি আছে। দেশের রাস্তা-ঘাটে ধুলো-বালি, ময়লা আছে জানার পরেও বেশীরভাগ মানুষের মধ্যেই জুতা-মুজা পড়ার প্রবণতা কম। এটা কি বললেন ইফতেখার ভুইয়া !! ঐ দেশ শীতের দেশ ওরা চাইলেও তো এখন যেই সুন্দর সুন্দর স্যান্ডেল পাওয়া যায় তা পরতে পারবে না । আমাদের দেশ গরমের দেশ এখানে মানুষ স্যান্ডেল পরেই কম্ফোর্ট ফিল করে, জুতা মোজায় মাথা গরম হয়ে যায়, তাছাড়া আমাদের দেশীয় পোশাক শাড়ি বা সালোয়ার কামিজের সাথে স্যান্ডেলই মানানসই। একই কথা ছেলেদের পায়জামা পাঞ্জাবীর খেত্রেও খাটে । আর স্নিকার আমিও পরি, আমার এডিডাস নাইকি সহ অনেক ব্র্যান্ডের বিভিন্ন কালারের স্নিকার আছে কিন্ত তা পরি যখন ক্যাজুয়াল পোশাকে আমি কোথাও ঘুরতে যাই ।
ডাক্তারের চেম্বারে আপনাকে দশবার জুতা খুলতে হবে তো সেখানে কি স্যান্ডেল পরাটাই ঠিক না ? পায়ের যত্নে নিয়মিত সময় ব্যয় করুন হাত আর মুখের মত পায়ের যত্নও নিয়মিত করে থাকি কিন্ত কাদামাটির উপর দিয়ে হাটলে পায়ে কাদা লাগবে এটাইতো স্বাভাবিক
গুরুত্বপুর্ন মন্তব্যের জন্ত অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৬| ১০ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ডাক্তার সন্দর্শন ও পদচর্চার বাহার দেখে
ক্ষুদ্র মাথায় ভাবের যে সঞ্চার হয়েছে তা নিয়ে
কথা বলতে গিয়ে কতেক ভাবনা কেমন করে
জানি মনের কোণে এলোমেলো করে ভাসছে।
ভাবছি রোগী তখন হয়তবা ভাবছে -
ডাক্তার কি দেখছ, কী দেখছ তুমি!
যখন তুমি আমার দিকে তাকাচ্ছ, তখন কি ভাবছ
এমন পরিপাটি সুন্দরী মহিলা,পা দু'টি এমন কেন
চোখের তিঙ্খ দৃষ্টি নিয়ে চিরায়িত অভ্যাসমত
যে রোগী দেখে, আর দেয়না কোথাও নজড় তার
যখন ডাক্তার মৃদুকন্ঠে বলে, "আমি চাই তুমি ভাল থাক"
তোমার হয়েছেটাকি ডাক্তারের নজরে নেই বলে কি মনে কর
কাঁদা জলে ভিজা একজন রোগীর ব্যথা কোথায় তা ডাক্তার
জানেনা বলে কি মনে কর ,যা ভাল মনে হয় তাই সে করে
গলায় টেথিস্কোপ ঝুলায়ে সারা দিনমান করে পার
সে কি ভাবছে, এটিই কি সে আমি, যা সে দেখছে
তারপর ডাক্তার, চোখ তোলে তাকায়,যেন আমায় সে দেখছে
যেমনটি আমায় দেখছে, প্রেসক্রিপশনটাতো সেরামই হবে,
এটাও জানি পরের বার আসলে ভুলবাল শুধরে নিবে
পদ হতে শুরু সেদিনের দৃষ্টি, মস্তকে গিয়ে শেষ হবে
আপাদমস্তক দৃষ্টি, সেটাইতো ডাক্তারের মুল কৃষ্টি
রম্য কথন হয়েছে মন মতন পেয়েছেন সকলে তুষ্টি।
শুভেচ্ছা রইল
১০ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
জুন বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাই আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমি বাক্যহারা , যেভাবেই জবাব দেই এই মন্তব্যের তুল্য হবে না । কবিতার ছন্দে ছন্দে আমার লেখার কাটাছেরা করলেন যেন । সব সময় এমন করেই আমার সাদামাটা লেখাগুলোকে জৌলুষপুর্ন করে তুলুন সেই প্রত্যাশা রইলো আপনার কাছে । ভালো থাকুন সবসময় বাসার সবাইকে নিয়ে । আন্তরিক শুভকামনা
১৭| ১০ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক মজা পেলাম আপনার 'ডাবল ভিজিটের' ডাক্তার সন্দর্শনের পড়ে। দুটোতেই চমক ছিল ! আফসোস - আপনার সারা দিনের পেডিকিউর বিফলে গেলো !
১০ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১
জুন বলেছেন: আপনার সারা দিনের পেডিকিউর বিফলে গেলো
হু আর সেই দুঃখের কথা বৈলেন্না স্বামী বিশুদ্ধানন্দ
মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে
১৮| ১০ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
এডা আবার কি কতা হুনাইলৈন ? আগে দেখছি ( কোনও পোস্টে) বুহে ব্যাতার লইগ্যা আন্নের ঘরের বুয়া কৈছে আন্নের ঘ্যাষ্টিক হৈছে । হের পরে দেকলাম - ডাক্তারে কৈছে আন্নের চোহে ছানি আইতেছে । এহন দেহি আবার হার্ডের ব্যারাম!!!
এতো ব্যারাম নিয়া দ্যাশ-বিদ্যাশ ঘোরছেন কেম্মে? ঠ্যাঙের ব্যারামের কতা তো কৈলেন না।
এর পরে ঠাঙের ব্যারাম নিয়া মনে হয় আন্নের আর একখান পোস্ট আইতেছে । হের পরে এক এক কৈর্রা দাত, কান, হাতের কেচ্ছার অপেক্ষায় ইডা পাইত্তা বইলাম ...............
( কানে কানে একখান কতা কই - ব্লগে অনেক ডাক্তার আছে। রোগ-বালাইয়ের কতা ঝাইর্যা কন, বিনা পয়সায় প্রেসক্রিপশান পাইবেন । ঐরহম ডাক্তারগো যারা আগের দিন পাও দেইক্যা পরের দিন দাত দ্যাহে হেগো টাহা দেওন লাগবেনা। )
শোনেন, এরকমটাই হয় - "ম্যান প্রপোজেস - গড ডিসপোজেস"।
রম্য লাইকড+++++++
১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৬
জুন বলেছেন: হা হা হা আন্নের মন্তব্য পৈরা মুই হাসতে হাসতে শ্যাষ আহমেদ জী এস , তয় একখান কতা ভুল কৈছেন, হেইয়া হইলো যাইয়া আমার বুয়া বুকের বেথা না হে আমার পেডের ব্যাথার কথা শুইন্যা ঘেষ্টিক সাসপেক্ট করছিল
হ বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারছি আম্নে একজন ডাক্তার তো হেইডা খেপুপাড়ার ডাক্তারই হন আর ঢাহা শহরের , হেলে পরে আমার এউকগা ডাক্তার জোগাড় হইলো, বাকি হইলো আমি সাজিদ, তা হে গ্যাছে কোম্মে জানেন কিছু
আপনার মন্তব্য পড়ে উত্তর দিবো কি হাসতে হাসতে মরি
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো জী এস ভাই ভালো থাকবেন সব সময়
হাসি থামাতে কষ্ট হচ্ছে
১৯| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১২
হাবিব বলেছেন: পায়ের সাথে মাছগুলো জড়াজরি দেখে আমার কেমন যেন সুরসুরি লাগছে।
১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৯
জুন বলেছেন: হ্যা সুড়সুড়িই লাগে হাবিব স্যার । আমি একবার এই ফুট স্পা করিয়েছিলাম পরে হেলথ রিজনে আর করি নাই । কিন্ত মজাই লাগে ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
২০| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন, আপনার পোস্ট পড়ে এই মনখারাপের সময়েও কিছুটা হাসানোর জন্য ধন্যবাদ আর পোস্টে +++।
হৃদয় বেটার (মহিলাদের হৃদয় বেটিও হইবার পারে) কি দোষ। দুনিয়ার সবার বিশ্রাম মিললেও জন্মের পর থেকে মরণ সময় পর্যন্ত সে চলতেই থাকে,চলতেই থাকে। আর তাইতো মাঝে মাঝে শর্ট সার্কিটের কারনে থেমে যাবার চায় বা বিশ্রাম নিবার চায় । তবে তার বিশ্রামের ফলে কারো কারো সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে এ হিসাব উনার আছে বলে মনে হয়না।আর তাই তো এই দুনিয়ায় হৃদয় নিয়ে এত তেলেসমাতি কাজ কারবার চলে(হৃদয় ঘটিত ব্যাপারে কারো হয় পৌষ মাস আবার কারো হয় সর্বনাশ)।
বেরসিক হৃদয়ের ডাক্তার আপনার পা না দেখার ফলে আপনি যে দুঃক্ষ পেয়েছেন তার জন্য আপনার সাথে সাথে আমিও ব্যাপোক দুঃক্ষ পাইছি আর তার সাথে সাথে এক রোগীর (খুবই সুন্দরী) স্ত্রীরোগ বিদ্যার এক ডাক্তারের সাথে তার সাক্ষাতের সময় ডাক্তার তার দিকে / তার সৌন্দর্য ভাল করে পরিদর্শন না করে ও পজেটিভ (তার সৌন্দর্যের সম্পর্ক নিয়ে )মন্তব্য না করার একটা গল্প মনে পড়ে গেল ।তবে গল্পটি না বলতে পারার জন্য দুঃখিত (১৮ ++) কিনা।
১১ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩২
জুন বলেছেন: আমার লেখা পড়ে একটু হলেও হেসেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো কামরুজ্জামান। আপনাদের মন্তব্য গুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করে সব সময়, তাই তো দীর্ঘদিন ব্লগে টিকে আছি। আগামীতেও লেখার সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা রইলো। শুভকামনা নিরন্তর।
২১| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: হা হা হা , ডাক্তার তো মনের ডাক্তার নয় !
মেয়েদের মন দেবতার অগম্য !!
বলি কি একটা ফেশ্যান শো হোক
আমরা না হয় বাহবা দিবো !!!
.............................................................................
সরি এত কথা বলার জন্য, ঐ ডাক্তার মহাশয়ের ঠিকানা দিন
আমরা ব্লগাররা হৃদয় ঘটিত জ্ঞান দিবো , যেন এরপর
আর কোন নারীর সাথে এমনটা না ঘটে !
( নোট : আমি যদি ডাক্তার হতাম তাহলে নাহা হা হা হা হা ১৮ ++ কথা বলা গেল না , )
১১ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫
জুন বলেছেন: বাহ ভারী সুন্দর একটি ছবি সহ একটা অসাধারণ মন্তব্য করেছেন শংখচিল। অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো আপনার জন্য
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২২| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। লেখালেখি আপাতত তুলে রেখেছি আপু। এখন মন দিয়ে চাষবাস করছি।
১১ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০
জুন বলেছেন: লেখালেখি শিকেয় তুলে চাষবাস!! ভালোই কিন্ত যাই বলেন পদাতিক। আমারও খুব ইচ্ছে করে এক খন্ড জমি থাকলে কিছু ফল গাছ লাগাতাম আমার পাখিদের জন্য। অনেক মানুষকে দেখি দুই একটা গাছে ফল আসলে নেট দিয়ে ঢেকে রাখে হুহ।
যাই হোক ভালো থাকুন চাষবাস নিয়ে কিন্তু ব্লগকে ভুলে যাবেন না যেন
২৩| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ডাক্তার নির্ঘাত প্রশ্নফাঁশ জেনারেশনের হবে। না হোলে বুকের ব্যথার জন্য কেউ পা দেখে না কি।
প্রাকটিকাল জোকস ভালো লাগলো।
১১ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২
জুন বলেছেন: সে একটা ডোডোপাখি মনে হয়, কিছুই জানে না সেই ঠাকুর মার ঝুলির বোকা কুমিরের মত ধরবি আমার ঠ্যাং আর ধরলি কি না লাঠি
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে সাড়ে চুয়াত্তর।
২৪| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: বুকের ব্যাথার সাথে পায়ের সম্পর্ক কি।
ব্যাথা ভালো হয়েছেতো?
১১ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪
জুন বলেছেন: এইটা বুঝতে হইলে আমাদের সব্বাইকে কার্ডিওলজিষ্ট হইতে হবে তারেক ফাহিম
শুভকামনা রইলো অনেক।
২৫| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৭
ঢুকিচেপা বলেছেন: দারুণ এক রম্য পড়া হলো।
কয়েকটা মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে শেষ।
১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৮
জুন বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ঢুকিচেপা পোস্টটি পড়ার জন্য
২৬| ১১ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪১
অপু তানভীর বলেছেন: এতো কষ্ট করে পায়ের যত্ন নেওয়া তাহলে বৃথাই গেল । বেরসিক ডাক্তার তো সেটা দেখলোই না ।
আমার এই মাছ দিয়ে এই কাজটা করার ইচ্ছে আছে । একবার হলেও জীবনে করবো ভাবছি । কেমন লাগে সেইটা দেখার ইচ্ছে। আছে।
১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩৮
জুন বলেছেন: বেরসিক ডাক্তার ঠিকই বলেছেন অপু তানভীর
ফিশ স্পা টা বেশ মজার, একবারই ১৫ মিনিট আমি করিয়েছি ১৫০ বাথ মানে বাংলাদেশি টাকায় ৪৫০ টাকা। তবে হাইজিনের কারনে আর করি নাই।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো। শুভ সকাল
২৭| ১১ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪
আমি সাজিদ বলেছেন: প্রিয় জুন আপা, আমি ভেবেছিলাম কমেন্ট করবো না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আপনি রম্য হিসেবে লিখেছেন আর কয়েকজন এটাকে সিরিয়াসলি নিয়ে ফেলেছেন। তাদের উদ্দেশ্যে একটু বলতে চাই -
চিকিৎসা বিজ্ঞানে জেনারেল এক্সামিনেশন নামের একটা বেসিক জিনিস আছে, ওখানে চিকিৎসক রোগীর কমপ্লেইনের সাথে মিলিয়ে রোগীর চোখ, হাতের তালু থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত পরীক্ষা করতে পারেন। মেডিকেলের থার্ড ইয়ারে ছাত্রছাত্রীদের এই জেনারেল এক্সামিনেশনই শেখানো হয় ওয়ার্ডে। যা সারাজীবন রোগী দেখার ক্ষেত্রে কাজে লাগে।
অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে - চোখের নিচের অংশ থেকে শুরু করে উপরের অংশ, নখ, হাতের আঙ্গুল, কানের দুইপাশের লিম্ফনোড সব এমনকি শুধু নখ দেখেও কমন কয়েকটা রোগের কথা চিন্তা করা যায়৷
তাই, আমার সহব্লগারদের অনেকেই যারা জানেন না, একজন কার্ডিওলজিস্ট অবশ্যই রোগী পা দেখতে চাইতে পারে ( যদি সে রোগীর হাই প্রেশার ডায়সবেটিস থাকে), কারন অনেক সময় তাদের পায়ে মেডিকেলের ভাষায় ইডিমা ( সহজ ভাষায় হাত পা ফুলে যাওয়া) দেখা যায়, যা অনেক রোগের ক্ষেত্রেই হতে পারে। আর যদি একবার চিকিৎসক রোগীর পা দেখে বুঝেন যে, রোগীর এই ধরনের সমস্যা ( ইডিমা, ফ্লুইড রিটেনশন) নেই, তাহলে পরের বার ফলো আপে তা দেখার কোন প্রয়োজনীয়তা বোধ করবেন না তিনি, সেটা তিনি ঢাকার ডাক্তার হোন বা চট্রগ্রামের বা চেন্নাইয়ের। সবারই একই সিস্টেমেটিক এপ্রোচ। এতোটাই স্পেসেফিক মেডিকেল সায়েন্স।
আমি কোথাও যাই নি। আছি৷ ব্লগে অনেক সময় কাটিয়েছি গত এক বছর। এখন হুটহাট ঢুকে একটা দুইটা কমেন্ট করি।
১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৪৩
জুন বলেছেন: : প্রিয় জুন আপা, আমি ভেবেছিলাম কমেন্ট করবো না
আমার অপরাধ টা কি জানতে পারি আমি সাজিদ? আমি তো আমার জানামতে এই ব্লগে কখনো কাউকে হার্ট করে একটি কথাও বলি নি, বরং আমি হার্ট হয়েছি তারপরও ইগনোর করে গেছি। আপনাকে বা আপনার লেখায় আমি কি কখনো আমার অজান্তে আপনাকে আহত করেছি কি আমি সাজিদ !!
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
২৮| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গতকাল ইটালী ইংল্যন্ড ফাইনাল খেলা ভালো হয়েছে।
১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৯
জুন বলেছেন: কিন্তু তিন তিনটি পেনাল্টি মিস বড়ই দুঃখজনক সেলিম আনোয়ার
আমার খুব আশা ছিল কাপটা রোমে না হোমে থাকুক।
২৯| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গতকাল ইটালী ইংল্যন্ড ফাইনাল খেলা ভালো হয়েছে।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৬
জুন বলেছেন: ইংল্যান্ডের প্রস্ততি খুব ভালো ছিল ইতালিও ভালো খেলেছে । তবে একদম নতুন প্লেয়ারদের পেনাল্টি শ্যুট আউটের দায়িত্ব দেয়া কি গ্যারেট সাউথগেটের ঠিক হয়েছিল কি না বুঝলাম না
৩০| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:২৪
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা.......... মাছে ঠোকর দেয়া পদযুগল কি আপনার?? জাতি জানতে চায়।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
জুন বলেছেন: মাছে ঠোকর দেয়া পদযুগল কি আপনার ?? জাতির তো কাম নাই খালি জানতে চায়
অন্নেক ধন্যবাদ মন্তব্যে
৩১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মান্জা মাইরা ডাক্তারের কাছে গেলে এমনই হইবো। এর পর থিকা বুয়ার শাড়ি পইরা যাইবেন। তাইলে মনে আর কোন দুঃখ থাকবো না। আপনের মাছময় পদযুগল দেইখা পড়ার থিকা মজা বেশী পাইলাম।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২১
জুন বলেছেন: আপনের মাছময় পদযুগল দেইখা পড়ার থিকা মজা বেশী পাইলাম
পা দুইটা আমার কি না এইটা একটা রহস্যই থাকুক,
নইলে কোথা থিকা আমারে তথ্য সুত্র আনতে কইবো সে এক ব্যাপক ঝামেলা
এত সংক্ষিপ্ত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
জুন বলেছেন: ওহ আরেকটা কথা লিখতে মনে ছিল না সেইটা হইলো আজকাল বুয়ারা শাড়ি পরে না ।
তারা হয় ম্যাক্সি নয় সালোয়ার কামিজ
৩২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩
আমি সাজিদ বলেছেন: রম্য হিসেবে নিয়ে পরে কমেন্ট করতে চেয়েছিলাম আপা৷ কিন্তু সিরিয়াস একটা কমেন্ট করে ফেলতে ইচ্ছে হলো। এর আগে পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য কথাটা বলেছি। আমার তো সবসময় ভালো লাগে আপনার লেখা, আহত করার মতোন তেমন কিছু না৷
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৭
জুন বলেছেন: আমার তো সবসময় ভালো লাগে আপনার লেখা, আর কিছু বলার দরকার নেই আমি সাজিদ ।
আমিও আপনার লেখা পড়তে ভালোবাসি
৩৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৬
করুণাধারা বলেছেন: আমারও ইদানিং হার্ট অ্যাটাক ভাব খুব বেড়ে গেছে... মাঝে মাঝেই মনে হয় আজকেই আমার হার্ট বন্ধ হব, করোনার ভয়ে ডাক্তারের কাছে যাই না।
পদচর্চার গল্প আমার জন্য বেশ ভালো ওষুধের কাজ করেছে, Laughter is the best medicine... আজকাল পরচর্চার গল্প পড়তে পড়তে হাঁপ ধরে যায়...
চমৎকার রম্য!! অনেক ধন্যবাদ পরিবেশন করার জন্য।
১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩
জুন বলেছেন: করুনাধারা
অনেক আন্তরিকতা থাকে আপনার মন্তব্যে যা মনটাকে অনেক ভালো করে দেয়।
অনেক ভালো থাকুন আর আপনার ব্যক্তিগত সব সমস্যা কাটিয়ে ফিরে আসুন ব্লগে লেখালেখি নিয়ে
আপনাকেও ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৩৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা হা
দারুন রম্য।
যেমন পোষ্ট তেমনি মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য
দারুন জম্পেস....
++++
১৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২
জুন বলেছেন: বহুদিন পর আপনি এসেছেন দেখে খুব ভালোলাগছে বিদ্রোহী ।
লেখাটি ভালোলাগায় অনেক খুশী হয়েছি ।
শুভেচ্ছা ঈদের
৩৫| ২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
২৪ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫০
জুন বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো প্রানঢালা শুভেচ্ছা
৩৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
জুনা আপা ,
রম্য লেখা পড়ে ভীষণ মজা পেলাম এবং ভবিষ্যতে জন্যেও
সতর্ক হয়ে রইলাম । আপু আমি মনে মনে ভাবছি ওই সময় আপনার মনের অবস্থা কি হয়েছিল !
সবসময় ভালো থাকুন এবং শুভকামনা রইলো ।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩৮
জুন বলেছেন: সব সময় আপনার এমন উৎসাহিত মন্তব্য লেখালেখির ব্যাপারে আমাকে আরও উৎসাহিত করে তোলে মুক্তানীল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সাথে রইলো শুভকামনা
৩৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৫
আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন:
এরপরে গেলে পুরো ফিটফাট হয়ে যাইয়েন। হাতের নখেও নেইলপলিশ লাগিয়ে নিয়েন। এক ভুল তৃত্বীয়বার কইরেন না
রিপোর্ট কেমন ছিলো? আশা করি সুস্থ আছেন নিশ্চয়ই!
২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪২
জুন বলেছেন: না আর যাইনি তবে আরেক বার যাওয়া প্রয়োজন। কিন্ত এই করোনাকালে এক অশুখের চিকিৎসা করতে গিয়ে আরেক অসুখ (করোনা) না নিয়ে আসি এইটাই চিন্তা স্যার
আছি মোটামুটি কিন্ত প্রচন্ড ডিপ্রেশনে ভুগতে ভুগতে শেষ অবধি মরেই না যাই। সমস্ত জীবন যেন স্থবির হয়ে গেল।
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি, অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:৩২
নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক মজা পেলাম কাহিনী পড়ে। এমনি হয় যেদিন যেখানে ফোকাস দেওয়া হবে সেদিন তার ধারেকাছেও লাইট আসবে না । বন্দী দশায় করোনা আতংক, ডেংগু আতংক কতটা আর ভালো থাকা যায়! আশাকরছি সুস্থ আছেন।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০৮
জুন বলেছেন: আপনি ব্লগে নিয়মিত না হলেও যখনি আসেন তখন আমার লেখাগুলো যে মিস করেন না এই জিনিসটা আনন্দ নিয়ে আসে নীল দর্পন হ্যা আপাতত ভালো আছি । আমার দেবর ডাক্তার সে বল্লো এটা নাকি প্যানিক এটাক থেকেও হতে পারে । জানি না বাসা থেকে তো বের হইনা খুব দরকার না হলে তাই কোন পরীক্ষা নীরাক্ষার মধ্যে যাচ্ছি না । দোয়া করবেন যেন সুস্থ থাকি । আপনিও ভালো থাকুন বাসার সবাইকে নিয়ে । শুভেচ্ছা নিরন্তর
৩৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৫১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: হাহাহা ---রং রিজনে রাইট কাজটা করেছেন সেজন্য ধন্যকে বাদ দিচ্ছিনা -পুরোটাই একসাথে জুড়ে দিলাম । একটা কথা সদা সিরিয়াসলি মনে রাখবেন সেটা হলো --আপনার পদযুগল কে যে ব্লগাররা ব্লগীয় জাতীয় ঐতিহ্য (ন্যাশনাল হেরিটেজ) ঘোষণা করেছে অনেক আগেই ভ্রমণ সংক্রান্ত ব্লগ লেখনীতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখার জন্য। কখনোই সেটা ভুলবেন না। এই পদযুগল দিয়ে ঈশান,বায়ু, অগ্নি, নৈঋত, উর্ধ আর অধঃ বারবার ঘুরে ঘুরে সচিত্র মনভোলানো, হৃদয় কাঁপানো, চোখ জুড়ানো, শিক্ষণীয় সব ভ্রমণ ব্লগ লিখুন আজীবন। আর অন্তহীন সেই ভ্রমণ ব্লগ লিখতে হলে অবশ্যই আপনার পদযুগলের উত্তম পরিচর্যা করতেই হবে। পুরোমুখো ডাক্তার দেখলো কি দেখলো না সেটা ভেবে কখনোই যেন পদ পরিচর্যায় কোনোরূপ বিগ্ন না ঘটে। পদযুগলের উত্তম পরিচর্যা অবশ্যই করতে হবে সব সময়। দরকার হলে পিরানহা দিয়েও পদযুগলের পরিচর্যা করতে হবে ।ভালো থাকুন ।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪২
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক্ষন হাসলাম মলাসইলমুনা ভালোই বলেছেন পদ যুগলের যত্নের কথা আর এ নিয়ে আমার প্রমথ নাথ বিশীর একটি বিখ্যাত ছোট গল্প অধ্যাপক রমাপতি বাঘ এর কথা মনে পরলো। আপনিও হয়তো অবশ্যই পড়েছেন তারপর ও যতটুকু মনে আছে লিখছি আপনার জন্য
সুন্দরবনের কোল ঘেষে এক সাধু ধ্যান করছিল আর সেই বনে ছিল বিকট শর্মা নামে এক ভয়ংকর দর্শন বাঘ । বাঘটা একদিন সাধুর ডেড়ার কাছে এসে দেখলো একটা ছাগল বাধা । বাগ ভাবলো আগে কচি ছাগলটা খাই পরে নাহয় বুড়ো সন্ন্যাসীকে খাওয়া যাবে । এই ভেবে এক লাফে ছাগলটার ঘাড় মটকে দিল এই দেখে রাগে সন্ন্যাসী তাকে একটি বেসরকারী কলেজের অধ্যাপক হওয়ার অভিশাপ দিল । বাঘ কাদতে কাদতে এর থেকে মুক্তির কথা জানতে চাইলে সাধু বল্লো তুই একদিন এখানে আসবি তখন তোর মুক্তি হবে। এদিকে মানুষ রুপী বিকট শর্মা অধ্যাপক রমাপতি বাঘ নাম নিয়ে এক বেসরকারী কলেজের অধ্যাপক নিযুক্ত হলেন । সেখানে প্রমথ নাথ বেসরকারি কলেজের টিচার আর ছাত্রদের বর্ননা দিয়েছেন তা পড়ে হাসি আসবে আবার খারাপও লাগবে যে এই উপমহাদেশে শিক্ষা ব্যাবস্থার কি দুর্দশা।
যাই হোক বেসরকারী কলেজের মত টিচারদের অবস্থাও একই রকম। বেতনে সংসার চলে না তাই তাদের ছাত্রদের পড়ানোতে আগ্রহ নাই । রমাপতি বাঘেরওঁ সংসার চলে না তারপরও বাজার করে যতটুকু পয়সা বাচে তাই দিয়ে তেল কিনে কিন্ত সেই তেল পায়ে মাখতেই মাখতেই শেষ মাথার জন্য একটুও অবশিষ্ট থাকে না। তা নীয়ে তাঁর মাথাব্যাথা নাই কারন সে বুঝিয়াছে শিক্ষকদের মাথার কোন আবশ্যক নাই নিতান্ত না থাকিলে লোকে স্কন্দকাটা বলিবে তাই এই ভার বহন । শিক্ষদের আসল অংগ তাঁর পদযুগল আর এই জন্যই তাদের পদ গৌরবের কথা ঘন ঘন শোনা যায়
একদিন পায়ে তেল মাখার উপকারিতা পাওয়া গেল কারন টিফিন টাইমের পর টিচার্স রুমে সবাই যখন খোশ গল্পে মেতে তখন তিনি ডাস্টার আর হাজিরা খাতা নিয়ে ক্লাশে যেতেনগ। টিচাররা তাঁর এই নিয়মানুবর্তিতা পছন্দ করতো না, আর ছাত্ররা যখন বুঝিল অধ্যাপক বাঘ তাদের পড়াইতে চায় তারাও তাকে পছন্দ করতো না । একদিন সে বেসরকারী কলেজে সবচেয়ে বড় অপরাধ করিয়া বসিল অর্থাৎ সে তাদের পরীক্ষা নিতে চাইলো শোনামাত্র ছাত্ররা তাকে এমন দৌড়ানি দিল যে রমাপতি বাঘ দোতালা থেকে লাফ দিয়ে দৌড়াতে লাগলো । এতদিনে তাঁর পায়ে তেল লাগানো কাজে আসলো যে দৌড়িয়ে তাকে কেউ ধরতেই পারলো না । তাঁর পলায়নে শিক্ষক ছাত্র সবাই খুশী । রমাপতি বাঘ এক দৌড়ে সুন্দরবনের সেই সাধুর কুটিরে হাজির । সন্ন্যাসী তাঁর গায়ে পানি ছিটিয়ে দিতেই সে বিশাল সেই বাঘে পরিনত হলো তারপর বল্লো হালুম অর্থাৎ মালুম হইলো তুমি আমার সকল দুখের কারন বলে সন্ন্যাসীর দিকে ঝাপিয়ে পরতে উদ্যত হলো সন্ন্যাসী তাকে বেসরকারী পত্রিকার সম্পাদক হওয়ার অভিশাপ দিতে চেয়েছিল কিন্ত সেই সুযোগ পালোনা তাঁর আগেই বিকট শর্মা তাঁর ঘাড় মটকে রক্ত পান করতে লাগলো । এই হলো প্রফেসরদের পদ্দচর্চার কথা আর সেখানে আমি তো ফুউউউহ -----
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মলাসইলমুনা । আপনার সুরসিক এবং আন্তরিকতাপুর্ন মন্তব্য ছাড়া সত্যি বলতে আমার লেখাগুলো কেমন অসম্পুর্ন থেকেই যায় । অনেক অনেক শুভকামনা রইলো । আর আমার দীর্ঘ মন্তব্যে বিরক্ত হবেন না আশাকরি । ভালো থাকুন সবসময় ।
৪০| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বিমান ভ্রমণে পা নিয়ে মজাদার গল্প মনে পরেছে। আশা করছি খুব দ্রুত পোস্ট দিতে পারবো। লেখা খুব ভালো হয়েছে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩
জুন বলেছেন: আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম ঠাকুর মাহমুদ
লেখাটি ভালোলাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
৪১| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি সাধারনত বাইরে গেলে এমনকি হাসপাতাল/ডাক্তারের কাছে গেলেও হাল্কা পাতলা সাজি যে জন্য অনেক সময় সিস্টার বা অন্যান্য রোগীরা জিজ্ঞেস করে পেশেন্ট কে ?
হা হা হা.... সেরকম
মনে হলো আমি বুঝি সারাদিন মাটি কেটে এসেছি।
ভেরি ফানি
ঝামা দিয়ে ঘসে ঘসে সব মরা চামড়া না থাকায় জেতা চামড়াই ঊঠিয়ে ফেলার অবস্থা,
I can imagine
শেষটা যে এরকম হবে অনুমান করতে পেরেছিলাম যে এবার পা দেখবে না ।
জুনাপু পুরো পোস্ট এক কথায় হিলারিয়াস !
অনে অনেক মজার ।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪২
জুন বলেছেন: জুনাপু পুরো পোস্ট এক কথায় হিলারিয়াস ! অনেক অনেক ধন্যবাদ মিররডডল
শেষটা আগেই অনুমান করে ফেল্লে তো আর কোন রহস্যই থাকে না ,
আর আমি তো ভাবছি বিশাল সাসপেন্স বজায় রেখেছি লেখায়
দেরী করে উত্তর দেয়ার জন্য আন্তরিক দুঃখিত , মজার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ রইলো ।
৪২| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
জী এস আর ভুমের মন্তব্য খুবই মজার ছিলো
সাচুর মন্তব্যের সাথে আমারও মনে হয়েছিলো বুকে ব্যথা ডাক্তার পা নিয়ে টানাটানি কেনো ।
অবশ্য সাজিদের মন্তব্য এটা ক্লিয়ার করেছে ।
রিফ্লেক্সলোজি একটা ফুট ম্যাসাজ আছে যেটা করে জেনেছিলাম যে পা থেকে পয়েন্ট করে অন্যান্য অর্গানকে নিয়ন্ত্রন করে ।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৭
জুন বলেছেন: আপনি যাদের নাম উচ্চারন করেছেন তারা সবাই এক একজন মন্তব্যের ওস্তাদ
থাইল্যান্ডে থাকলে আমি নিয়মিত ফুট ম্যাসেজ করাই অনেক রিলাক্স লাগে প্রচুর হাটাহাটির পর । আর রিফ্লেক্সলোজিটা ওদের অনেকেই জানে মনে হয় কারন ওরা ম্যাসেজ করতে করতে পায়ের নীচের বিভিন্ন যায়গায় চাপ দিয়ে রাখে আর বলে এটা শরীরের জন্য উপকারী ।
দ্বিতীয় একটি মন্তব্যের মাধ্যমে অনেককে সন্মানিত করেছেন তাদের হয়ে আমিই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
৪৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারন রম্য!!!
আপনার রসবোধ সম্পর্কে আমি পরিচিত-তাই এমন রম্য লেখা পড়ে অবাক হইনি!
প্লাস।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পুরনো লেখাটি পড়ার জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এমতা অবস্থায় কিছু ছবি তুলিয়া রাখিবেন, আর আমাদের মত অলস থুক্কু আসল ব্লগারদের সাথে শেয়ার করিবেন আপু।
আমার নিজের ই হাত আর পায়ের এত ছবি আছে যে ভেবেছিলাম এবারের ছবি ব্লগ প্রতিযোগিতায় সেসব নিয়ে নেমে যাই। তাই বলছি ডাঃ না দেখুক আপনার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ছবি তো থাকবে