নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুত ভুতং

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৬

নরক থেকে আসা সত্যিকারের প্রেতাত্বা

আপনি কি জানেন আজ সুর্য্য ডোবার সাথে সাথেই অধিকাংশ থাইবাসীদের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে, গাঢ় রঙের পর্দা টেনে দেয়া হবে এমন ভাবে যেন একটুও ফাক না থাকে,বাইরে থেকে একফোটা আলোও যেন ঘরে প্রবেশ না করে। কেউ যদি সন্ধ্যার পর পরিচিত গলায় ডেকে ডেকে বাইরে থেকে দরজা ধাক্কিয়ে মরেও যায় তবুও দরজা খুলবে না সকাল না হওয়া পর্যন্ত। খুব অবাক হলেন কি ! আমি যখন ব্যাপারটা প্রথম শুনি আমার কাছেও খুবই আজব লেগেছিল ।
প্রথম যিনি আমাকে এ ব্যাপারে জানিয়েছি্লেন তাঁর কথা শুনে আমি থ! আমি বিস্মিত নেত্রে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন !! সেও ততোধিক বিস্মিত হয়ে আমাকে উলটো জিজ্ঞেস করেছিল "কেন তুমি জানো না আজ যে চন্দ্র বছরের সপ্তম মাসের ১৫ তম দিন"! হ্যা জানি তাতে কি ! সে ভীত সন্ত্রস্ত মুখে আমার কানের কাছে ফিস ফিস করে বল্লো "জানো আজ নরকের রাজা নরকের দ্বার খুলে দেবে যাতে সমস্ত ক্ষুধার্ত প্রেতাত্বারা পৃথিবীতে আসতে পারে, স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানোর সাথে সাথে তাদের জীবিত আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা করতে পারে"। আমার তো শুনে ভয়ে হাত পা কাপতে লাগলো । তোতলাতে তোতলাতে বললাম 'কি বলো এইসব' !! বল্লো "সত্যি বিশ্বাস না হয় দেখো তুমি আজ কেউ রাস্তায় বের হবে না"।
ব্যাংকক একটা শহর যে কি না সারা রাত জেগে থাকে, নারী পুরুষ নির্বিশেষে সারারাত নিশ্চিন্তে চলাচল করছে, যখন ক্ষিধে পায় রাস্তায় বের হলেই খাবার। সেখানে কিনা সব ভেন্ডার থেকে শুরু করে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ করে দিবে সুর্যাস্তের আগেই। এই আধুনিক যুগে এমন কাহিনী যে অবিশ্বাস্য ।
সেই কৌতুহলই আমাকে টেনে নিয়ে গেল এক অচেনা জগতে যা পড়ে আমি বিস্ময়াভুত হোলাম বৈকি, বিভিন্ন তথ্য থেকে জানলাম এই ব্যাতিক্রমী ভুত উৎসবের উৎপত্তি বৌদ্ধ আর তাও ধর্ম থেকে হলেও প্রাচীনকাল থেকেই চীনে এর ব্যাপক প্রসার ঘটে, যা পরবর্তীতে দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার বৌদ্ধাধর্মাবলম্বী অনেক দেশেই এটা বিভিন্ন নামে উদযাপিত হয়ে থাকে। চন্দ্র পঞ্জিকার সপ্তম মাসের ১ম দিনেই নরকের রাজা নরকের দরজা খুলে দিলেও ১৫ তম দিন হলো প্রধান উৎসবের দিন। এই দিনই দলে দলে ক্ষুধার্ত নরকবাসীরা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে।

ভুত উৎসব

বিভিন্ন দেশে এই ভুত উৎসবের বিভিন্ন নাম থাকলেও থাইল্যান্ডে এর নাম সাত থাই / ওয়ান না রক। এই উৎসব চন্দ্র বছরের সপ্তম মাসব্যাপী সারা থাইল্যান্ডের বিভিন্ন মন্দির জুড়ে চলতে থাকে বিশেষ করে নাখন রাচাসিমা সংক্ষেপে কোরাট প্রদেশে এর ব্যপকতা বেশি। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা বিভিন্ন মন্দিরে নিয়মিত প্রার্থনার সাথে সাথে এই সব নরকবাসীর জন্য বিশেষ প্রার্থনা করে থাকে।

মৃত ব্যাক্তিদের আত্মীয়স্বজনরা যারা মনে করে এই প্রেতাত্বাদের সাথে তাদের পুর্বপুরুষরাও রয়েছে। আর তাই তাদের আত্মার শান্তি কামনার জন্য মন্দির প্রাঙ্গনে লাল মোমবাতি জালিয়ে থাকে, করে চমকপ্রদ আলোকসজ্জা,জ্বালায় সুগন্ধি ধুপকাঠি,পানিতে ভাসিয়ে দেয় অসংখ্য ছোট ছোট কাগজের নৌকা যাতে জলতে থাকে প্রদীপ। এছাড়াও বাতিগুলোতে মৃত ব্যাক্তিদের নাম লেখা থাকে এবং সেটা জলতে থাকে পুরো উৎসব পর্যন্ত। এ ছাড়াও ক্ষুধার্ত নরকবাসী আত্মীয়স্বজনের জন্য উৎসর্গ করে থাকে ভাত, মাংস আর ফল, নাহলে হয়তো জ্যান্ত মানুষকেই খেয়ে ফেলবে বলে তারা বিশ্বাস করে না তবে ক্ষতি করতে পারে তারা। তাদেরকে সন্তষ্ট করার জন্যই এই সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এর মাঝে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো সারা মাস ধরে কাগজের নকল টাকা পোড়ানো। এছাড়াও কাগজের তৈরি ছোট ছোট গাড়ি-বাড়ি,কাপড়-চোপড়ও পোড়ানো হয়ে থাকে এই বিশ্বাসে যে এই জিনিসগুলো নরকবাসীদের আগামী বছর পর্যন্ত কাজে লাগবে। মানুষজন মনে করে এই সব প্রেতাত্বারা হলো তাদের পুর্ব পুরুষ যাদের মৃত্যুর পর সঠিকভাবে নিয়ম নীতি মেনে শেষকৃত্য করা হয় নি। এইসব নরকবাসীরা পৃথিবীতে বেচে থাকা আত্মীয়স্বজনের জন্য সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসবে এই হলো ভুত উৎসব পালনের মূল বিশ্বাস।

তবে ভীতু থাইবাসীরা অনেকেই ভুতের সাথে মোলাকাত করতে সাহস পায় না তাই আজ সন্ধ্যার পর তারা খাবার নিয়ে ঘর বন্দী। তাদের বিশ্বাস এই নরকবাসীরা সুযোগ পেলেই তাদের সাথে সাথে ঘরে চলে আসবে। এছাড়াও আজকের দিনে রাতে
১।কালো পোশাক পরা যাবে না,
২।সন্ধ্যা বিশেষ করে মধ্য রাতের পর বাইরে থাকা যাবে না,
৩।কোন জীব এমন কি পোকা মাকড়ও মারা যাবে না,
৪। প্রার্থনার জিনিস পা দেয়া যাবে না,
৫।গভীর পানিতে নামা যাবে না,
৬।পাহাড় বনানী এড়িয়ে চলতে হবে
৭।কোন অপরিচিত লোক দেখলে এড়িয়ে চলতে হবে।
এমন আরও নিয়ম কানুন আছে ।
আজ চীন সহ সারা দক্ষিন পুর্ব এশিয়া ভুতের ভয়ে ভীত। আপনারাও আজ সন্ধ্যার পর থেকে ঘরে থাকুন, থাইল্যান্ড আর আমাদের মাঝখানে শুধু মিয়ানমার । তো এই মিয়ানমার পার হয়ে নরকের ক্ষুধার্ত প্রেতাত্বাদের আমাদের দেশে আসতে বেশি সময় লাগার কথা না। এই আধুনিক যুগেও কি অদ্ভুত বিশ্বাস, তবে আধুনিক তরুন তরুনীরা একে উৎসব হিসেবে শুধু অংশগ্রহন করে কিন্ত বিশ্বাস করে না।

ছবি নেট , কিছু কিছু তথ্য নেট ও আমার থাই প্রতিবেশি

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




থাইল্যান্ডেই শুধু নরকের দরজাই খোলেনি , দরজা খুলে প্রেতাত্মারা করোনার বেশে সারা বিশ্বেই এখন তাদের রাজত্ব কায়েম করেছে। কিছু কিছু দেশের জীবিত মানুষ প্রতাত্মারাও কম যায়না। তারাও তান্ডব করে বেড়াচ্ছে।

ভয় দেখাবেন না , এমনিতেই দুনিয়াদারীর হালচালে ভয়ে ভয়ে আছি দরজা আটকে এর উপরে আপনিও যদি থাইল্যান্ডের প্রতাত্মাদের ভয় দেখান যাবো কই ?
তবে জিজ্ঞেস করি , প্রেতাত্মাদের কি বাংলাদেশের ভিসা আছে ? :| টিকা নেয়ার সার্টিফিকেট আছে ? :P তারা তো আসতেই পারবেনা, উড়ালজাহাজে উঠবে কি করে ? রোহিঙাদের মতো নাফ নদী পাড়ি দিয়ে আসবে ? :D বর্ডারে বিজিবি আছেনা ?
আপনিও কি ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে আছেন ? :(( কিন্তু আপনার ব্লগের দরজা তো দেখি খোলা ............ :( =p~

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫৪

জুন বলেছেন: হু আপনি ঠিকি বলেছেন আহমেদ জী এস =p~ এইখানেও সেই চায়নীজরাই কিন্ত নরকের দরজা খোলার সিস্টেম চালু করছে তারপর আস্তে আস্তে অন্যান্য দেশ । এই উৎসব হংকং , সিংগাপুর , ভিয়েত্নাম লাওস ক্যাম্বোডিয়া এমনকি শ্রী লংকাতেও নাকি হয় । যাক আজকে অন্তত পৃথিবীর কয়েক কোটি মানুষ ঘর বন্দী। আপ্নেও ঘর বন্দী থাকেন না হয় চীনাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে B-)
মজার একটি মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আর ফাস্ট হওয়ার জন্য এক কাপ চা একটু পরে বানিয়ে আন্তেছি :)

২| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



থাইয়েরা কি ধার্মিক?

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১১

জুন বলেছেন: অবশ্যই তারা ধার্মিক, বেশিরভাগই বৌদ্ধধর্মাবম্বী এবং বেশিরভাগই তাদের ধর্মে স্ট্রং বিলিভার ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীতো আমাদের দেশেও আছে। তারা কেন পালন করে না।

বাংলাদেশে জীন উৎসব পালন করা উচিত। এই দেশে জীনের অনেক জনপ্রিয়তা আছে।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২২

জুন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
এটা বেসিক্যালি চায়নার প্রাচীন তাও ধর্ম আর বৌদ্ধ ধর্মের মিশ্রনে সৃষ্ট ঐতিহ্যবাহী চীনা অনুষ্ঠান । তাই যেই সব দেশে চীনা প্রভাব রয়েছে সে সব দেশেই এটা লক্ষ্য করা যায় । আমাদের দেশের বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপর চীনাদের প্রভাব খুব কম এটাই একটা কারন হতে পারে আমাদের দেশে পালিত না হওয়ার জন্য । অথবা তারা ছোট পরিসরে করে কি না আমরা হয়তো জানি না ।
জ্বীনের কথা বইলেন্না শুনলেই ভয় লাগে :-&
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ওঁ শুভকামনা রইলো ।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভুত ভূত ভুতং
করোনা ধরপে এখং
জলদি পালাং পালাং
নরকে যা ফিরং ;)

হা হা হা
ভুত ভাগানির মন্ত্র! পড়ে ফু দিয়ে পুরো থাই ঘুরেন কুন সমস্যা নাইক্যা ;)

আহমেদ জি এস ভায়ার সরেস মন্তব্যে ঝা ঝা! B-)
আমি নিশ্চিন্তে অফিস করছি। :)

দারুন উৎসব নিয়ে দারুন ভুতোৎসব পোষ্টে ভৌতিক শুভেচ্ছা :-B


২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৪৬

জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে মরি ভৃগু । ভাবছি এই মন্ত্র থাইদের শিখিয়ে দিবো B-)
আহমেদ জি এস তো বরাবরই মজার মন্তব্য করেন। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল । এখন ভুত সরে গিয়ে তালিবান এসে গেছে । ;)

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৪৮

জুন বলেছেন: জী ঠিকই বলেছেন পেপার খুল্লেই খালি তালেবান ভাইয়াদের খবর আর খবর। জানিনা আফগানিস্তানের ভবিষ্যত কি? মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে শাহ আজিজ ।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৩

আজব লিংকন বলেছেন: এসব কিছু না জেনে বাংলাদেশে এতকাল গভীর রাত পযন্ত ঘুরে বেড়ান আমি আজ ভীত ভাই।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

জুন বলেছেন: ভয় পাওয়ার কিছু নেই আজব লিংকন, কারণ নরকের এই ক্ষুধার্ত ভুতের কোন নির্ধারিত দিনক্ষণ নেই তারা সারা বছরই আমাদের দেশে ঘুরে বেড়ায় আর সব কিছু খেয়ে শেষ করে। অর্থাৎ আমাদের দেশের জন্য নরকের দরজা ২৪ ঘন্টাই খোলা।
স্বাগতম আমার ব্লগে। ভালো থাকুন সবসময়।

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ মজা পেলাম থাইদের ভুত উৎসবের আয়োজন ও তিথি নক্ষত্র হিসেবে করে সাবধান হবার ঘটনা জেনে। পোস্টটি আমার কাজে লাগবে।এবার ভাবছি যারা ব্লগের রাস্তা ভূলে গেছেন থাই ভুত হয়ে তাদের বাসা পাকড়াও করবো। সবাইকে ব্লগে আনিয়েই তবে শান্তি পাবো। আচ্ছা আপু আমি একটি থাই পেঁপে গাছ লাগিয়েছি।এতে কি পেঁপে হবে? নাকি পেঁপে ভুতের মতো দেখা দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাবে? খুবই কৌতুহল হচ্ছে আপু।হেহে হে...
ভালো থাকবেন সবসময়।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

জুন বলেছেন: এবার ভাবছি যারা ব্লগের রাস্তা ভূলে গেছেন থাই ভুত হয়ে তাদের বাসা পাকড়াও করবো। সবাইকে ব্লগে আনিয়েই তবে শান্তি পাবো। দেখেন পারেন কি না পদাতিক তাইলে আমারও কিছু উপকার হয় কারন দেশী ভুতেরা ভালো বেশি B-)
আচ্ছা আপু আমি একটি থাই পেঁপে গাছ লাগিয়েছি।এতে কি পেঁপে হবে? অবশ্যই হওয়ার কথা । খুব মিষ্টি আর পুষ্ট হয় থাই পেপে স্বাদ তো আছেই । আমরা প্রায় প্রতিদিন কিনে খাই , থাইল্যান্ডে যার যাই হোক ফল খেয়ে খুব মজা ।
আপনিও ভালো থাকবেন । আপনার তমোময়ী পর্ব দেখছি তবে একবারে শেষ হলে পড়বো আমার স্বভাব অনুযায়ী :`>
আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: তার মানে আমার যে সকল আত্মিয় স্বজন নরকে আছে তারা আসবে, একদিক থেকে খারাপ না। কিছু পুরানা আত্মিয় স্বজনের সাথে দেখা হয়ে যাবে তাদের কাছে কিছু জানার আছে তাও জেনে যেতে পারি।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

জুন বলেছেন: কিছু পুরানা আত্মিয় স্বজনের সাথে দেখা হয়ে যাবে তাদের কাছে কিছু জানার আছে তাও জেনে যেতে পারি। তারা কি কিছু বলবে রানার ব্লগ :-* মনে হয় না , বলবে তুইও আশিস আর সব কিছু নিজের চোক্ষেই দেখিস ;)
মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: থাই-হ্যালোইন!!!

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

জুন বলেছেন: জী আপনি ঠিকি বলেছেন জলদস্যু এটা থাই হ্যালোইন। আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে আয়ারল্যান্ড ইউকে আর ফ্রান্সের সেলটিক জাতিরা নভেম্বরের ১লা তারিখে হ্যালোউইন উৎসব পালন করতো । তারাও ভাবতো সেইদিন পৃথিবী আর নরকের মাঝখানটা বিলীন হয়ে যায় আর সেখান থেকে নরকবাসীরা ছুটে আসে পৃথিবীতে । সেটাই আজ বড্ড ধুমধামের সাথে পালিত হয় আমেরিকায় কারন আমেরিকার প্রথম অভিবাসীদের বেশিরভাগই আইরিশ :)
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১১

সাজিদ! বলেছেন: খুবই ভয়ানক মুখোশগুলো।

দারুন পোস্ট। প্লাস।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জুন বলেছেন: জী থাইরা খুবই শিল্প মনা তারা এই সব কাজ খুব নিপুনতার সাথে করে থাকে সাজিদ ।
পোস্ট পড়া , মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ :)

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে নতুন জিনিস জানলাম।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৫

জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর। এই উৎসবটা সেই প্রাচীন সেলটিক জাতির পালন করা হ্যালোউইন উৎসবের মতই একই ধারণা থেকে সৃষ্ট ।

১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সাবধানে থাকবেন। ভূত এসে আপনার ঘাড় মটকে দিতে পারে। বিশেষত ইদানিং মামদো ভূতের প্রকোপ বেড়ে গেছে এশিয়াতে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

জুন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন বিশুদ্ধানন্দ, ভাত মাংস খাওয়াদাওয়া তো কিছুই না আমাদের দেশের ক্ষুধার্ত ভুতেরা বছর জুড়েই জমি জমা খাল বিল নদী সাগর সহ ব্যাংক খেয়ে ফেলা। এদের হাত থেকে সাধারণ আমজনতার রক্ষা কবচ বলতে কিছু নেই ঘর দুয়ার বন্ধ রাখা ছাড়া =p~

১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহা মানুষের কত কিছুতে বিশ্বাস

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০২

জুন বলেছেন: সেটাই কাজী ফাতেমা ছবি। তবে আমেরিকায় একই বিশ্বাস থেকে উদযাপিত হ্যালোউইন যেমন একটি উৎসব কিন্তু এখানে বিশেষ করে বয়স্ক আর চীনা থাইরা এটা প্রবলভাবে বিশ্বাস করে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মানুষ মুখে মুখে যাই বলুক না কেন, রাতের অন্ধকারে বা রাতে একলা থাকা অবস্থায় ভুত ভূত ভুতংয়ে ভয় (বিশ্বাস) করেনা এমন সাহসী মানুষ দুনিয়াতে কমই আছে।

যদিও ভূতের ব্যাপারটা একটা মিথ বা অনেকটা গা ছমছমে ব্যাপার তারপরেও দুনিয়াতে অনেক ব্যাপারই ঘটে যেগুলো আধুনিক
বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার মাঝেও ব্যাখ্যার অতীত।সে গুলিকেই মানুষ ভৌতিক উপাধি দিয়ে দেয় তারপরেও নরকের প্রেতাত্মা থেকে মানুষ হয়ত একদিন দরজা-জানালা বন্ধ রেখে ঘরে থেকে রক্ষা পাবে তবে আমাদের চারপাশের জীবিত শয়তানের প্রতিনিধি প্রেতাত্মাদের হাত থেকে কিভাবে রক্ষার উপায় কি?

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০১

জুন বলেছেন: রাতের অন্ধকারে বা রাতে একলা থাকা অবস্থায় ভুত ভূত ভুতংয়ে ভয় (বিশ্বাস) করেনা এমন সাহসী মানুষ দুনিয়াতে কমই আছে। এমন প্রচন্ড সত্য কথা বলার মত মানুষ এই ত্রিভুবনে কমই আছে কামরুজ্জামান । আর কারো ব্যাপারে না জানলেও এই ব্যাপারে আমি একশ ভাগ ভীতু :-&
আমাদের চারপাশের জীবিত শয়তানের প্রতিনিধি প্রেতাত্মাদের হাত থেকে কিভাবে রক্ষার উপায় কি? এরা কি সামান্য ভাত মাছ আর কাগজের গাড়ি বাড়ি টাকায় তৃপ্ত হবে :-* মনে হয় না এরা সর্বভুক সারাটা পৃথিবী খেয়েও মনে হয় তাদের ক্ষুধা পুর্ন হয় না । এই জন্যই অন্যান্য ধর্মে একটি মাস বা দিন নির্দিষ্ট থাকলেও আমাদের দেশে এই সব ভুতের উৎপাত মনে হয় সারা বছর, মাস, দিন, রাত ২৪ ঘন্টা ;)
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আন্তরিক এক মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকুন নিয়ত ।

১৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

ফয়সাল রকি বলেছেন: ভূত একটা ভৌতিক বস্তু! ভয় পাই খুব B:-)

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

জুন বলেছেন: আমিও খুবই ভয় পাই ফয়সাল রকি :-&
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ

১৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

হাবিব বলেছেন: ছবি দেইখাই ডরাইছি.......... :-&

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৮

জুন বলেছেন: আমিও হাবিব স্যার :(
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ

১৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৪

সাজিদ! বলেছেন: আপি আপনার কাছ থেকে Muay Thai বা থাই বক্সিং নিয়ে জানতে চাই। এটা নাকি খুবই জনপ্রিয় ওখানে। স্টেডিয়ামে লড়াইগুলো হয়।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩

জুন বলেছেন: হ্যা থাইল্যান্ডের তো মনে হয় খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা । সময় পেলে এই বিষয়ে লিখবো সাজিদ ।
:)

১৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪০

নীল-দর্পণ বলেছেন: কী ভয়ংকর দেখতে ভুত! এদের ভয়ে তো দরজা লাগিয়েই রাখতে হয়। :|

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

জুন বলেছেন: হা হা হা ভালো কথাই বলেছেন নীল দর্পন ।
ভালো আছেন, এবং থাকবেন আশাকরি ।

১৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৫

মুক্তা নীল বলেছেন:

জুন আপা ,
এই যুগে এসেও থাইদের ভুতের প্রতি এতো ভ্রান্ত বিশ্বাস এ
আমি ভীষণ অবাক হলাম । যদি আমি নিজেও ভূতের ভয়
পাই এখনো কিন্তু তাই বলে ওদের মতো এতোটা না ।
যাইহোক আপনার সুবাদে নতুন একটি বিষয় জানলাম এবং
পড়ে মজা পেলাম । ভালো থাকুন জুনাপু সব সময় ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

জুন বলেছেন: মুক্তা নীল,
বহুদিন পর ব্লগে এসেই আমার উঠোনে পা দিলেন বলে সত্যি বলতে কি ভীষন খুশী হয়েছি ।
এই যুগে এসেও থাইদের ভুতের প্রতি এতো ভ্রান্ত বিশ্বাস এ
আমি ভীষণ অবাক হলাম ।
আমি দেখেছি সাধারন থাইরা অত্যন্ত কুসংস্কারে বিশ্বাসী । সেখানে জ্যোতিষী আর তাবিজ কবচের বিশাল রমরমা ব্যাবসা #:-S
আমিও ভীষন ভুতের ভয় পাই :-&
আপনার ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো । ধন্যবাদ ও সাথে শুভকামনা জানবেন ।

২০| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



এই দিনে থাই মফস্বল অঞ্চলগুলোতে কি বিশেষ কোনো রান্না ও উপাসনা করা হয়? নাকি এখন উৎসব হিসেবে নিয়েছে সবাই?

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪

জুন বলেছেন: ঐ যে মন্দিরে মন্দিরে পুজা, বাতি জ্বালানো , খাবার দেয়া এইসব লিখেছিতো ঠাকুর মাহমুদ ।
পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ :)

২১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: আগেই পড়া হয়েছিল- লাইক ও দিয়ে গিয়েছি, ঠাইল্যান্ডের অদ্ভুত এই উৎসবের গল্পটা মনে গেথে গিয়েছিল। তাই আর নতুন করে
পড়লাম না। আসলেই অবাক করার মত বিষয়- আমরা কত দেশের কত রীতিনীতির খবর রাখিনা।
আপনি চরম অনুসন্ধিৎসু ও সৌভাগ্যবতী- এসব আজগুবি বিষয়াদি আপনার কাছে এসেই ধরা দেয়- তবে আমার ধারনা আপনি
ভুত- প্রেতে বিশ্বাস করেন না-নাকি?

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

জুন বলেছেন: আপনি পোস্ট পড়েন তাঁর জন্যই আমার লেখায় আপনার মন্তব্যের প্রত্যাশা করি শেরজা তপন ।
আপনি চরম অনুসন্ধিৎসু ও সৌভাগ্যবতী- এসব আজগুবি বিষয়াদি আপনার কাছে এসেই ধরা দেয়- তপন আমার কাছে এসে হাজির হয় না আমি নিজে তাদের কাছে যাই জানার জন্য :) আমি তো ওদের একটা বিখ্যাত ভুতের মন্দির আছে সেইটাও দেখতে গিয়েছিলাম। সেই প্রেতাত্বার নাম মায়নাক তাকে সাধারন থাইরা যমের মত ভয় পায়,এর মাঝে অনেক শিক্ষিত থাইবাসীও আছে। একে নিয়ে আমার একটি পোস্টও আছে ব্লগে। এই জন্যই থাইল্যান্ডে তাবিজ কবচের রমরমা ব্যাবসা B-)
আর আমিতো অসম্ভব ভুতের ভয় পাই :-&
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এসেছেন বলে ।

২২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: *আমার লেখায় লাইন কেন ভেঙ্গে যায় বুঝলাম না!!!! সামুতে কতই না আজগুবি ব্যাপারাদি ঘটে :(
আবার একটা শব্দ কেটে ফের লিখতে গেলে পরের সবগুলো শব্দ ঝামেলা পাকায়। মন্তব্যের প্রথমেই প্রথম অক্ষর আসে না!!!

আমরাইতো ভাল - সব ভুতরেই যমের মত ভয় পাই! বিশেষ কোন ভুতরে না :)
ওই ভুতের গল্পটা দিয়ে পড়বখন

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জুন বলেছেন: এই জিনিসগুলো আমারও ঘটে থাকে মাঝে মাঝে । লাইন ভাংগার জন্য আমাকে অনেকবার এডিট করতে হয় । তারপরো লেখালেখির প্রতি তীব্র ভালোবাসা থেকেই হয়তো এত হ্যাপা সহ্য করেও লিখে যাই হাবিজাবি :)
আপনার রুশ সমাজে নারী পোস্টে লিংক দিয়ে এসেছি । যখন সময় পান তখন পড়বেন শেরজা তপন ।
আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আরেকবার আসার জন্য :)

২৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই আধুনিক যুগেও এই সব কারবার বিশ্বাস করাই কঠিন।

২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

জুন বলেছেন: আমরা আসলে ট্যুরিষ্ট হিসেবে নয় বরঞ্চ তাদের হয়েই তাদের সাথে মিশি এতে অনেক দেশের মানুষ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায় । যেমন ইয়াঙ্গনের হোটেলের বাইরে ট্যাক্সি ড্রাইভারদের সাথে ফ্রি ফ্রি চা খেতে খেতে আমরা দুজন অনেক গল্প করতাম যার ফলে বেশিরভাগ মানুষের অজানা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে নিহত জাপানীদের সিমেট্রির খবর জানা হয়েছিল যা আমরা পরদিন দেখতে যাই মোস্তফা সোহেল । অবশ্য এর জন্য হাতে কিছুটা সময় নিয়ে দেশ ভ্রমনে বের হই আমরা ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

২৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মন্তব্য লিখে সাবমিট করতে গেলে বলে
লগ ইন করি নাই, তাই লগইন করতে
হবে আগে । মনের ভুলে সেভ না করে
লগ ইন হয়ে ফিরে এসে দেখি সত্যিই
ভুত ভুতং হয়ে গেছে, রেখে যাওয়া বেশ
বড় মন্তব্যটি উধাও হয়ে গেছে । এখন
সময় নেই হাতে । ভুতের আছর কমলে
পরে আরো একবার আসতে হবে ফিরে ।
যা কিছু বলার বলা হবে সে কালে ।

শুভেচ্ছা রইল

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৩৬

জুন বলেছেন: আপনি যে কষ্ট করে এসেছেন আর মন্তব্য করতে গিয়ে ঝামেলায় পরেছেন তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি। এমন আমারও হয় মাঝে মাঝে। যাক তার পরেও এসে জানান দিয়ে গেছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। এটুকুতেই আমি অনেক অনেক খুশী :)
শুভকামনা সবসময়ের জন্য।

২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সে সময় তিনাদেরকে খাবার দিতে
পারিনি বলে পিছ ছাড়েননি, তাই
ভুত ভুতং আবারো এখানে টেনে আনল।

খুব সুন্দরভাবে নরকের ক্ষুধার্থ প্রেতাত্মাদের জন্য সেখানকার
সাধারন মানুষদের নৈবত্ত প্রদানও তাদেরকে খানা খাদ্য সাথে
তুষ্টিমুলক বিবিধ কার্যকলাপ যথা চমকপ্রদ আলোকসজ্জা
সুগন্ধী ধূপকাঠি জ্বালানো, পানিতে অসংখ্য ছোট্ট্ কাগজের
নৌকা ভাসানো , ফুলের বুকে প্রদীপ জ্বালিয়ে পানিতে
ভাসিয়ে দিয়ে দিয়ে অর্চনা , প্রভৃতি প্রতিপালনের মাধ্যমে
নীজেদের পুর্বপুরুষদের জন্য নরকের যন্ত্রনা হতে পরিত্রান
পেয়ে স্বর্গসুখ লাভের জন্য যে উদ্গ্র কামনা বাসনা ও নিষ্টা
রয়েছে তারই প্রকাশ পায় এই গোষ্ট ফেসটিভালে । এটা
একদিকে মানুষের মনে নরকের ভিতি জাগিয়ে তুলতে
শেখায়, মানুষের মধ্যে একটি ত্যাগের মানসিকতা ও
ঘরে আবদ্ধ থেকে সংযমের দিক্ষা দেয় । এটা শুধু
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিরাই নয় অন্য ধর্মাবলম্বিরাও পালন করে
বিবিধভাবে । ইসলাম ধর্মাবলম্বিরা তাদের প্রয়াত প্রিয়জনদের
উদ্দেশ্য বিশেষ দিবসে দান খয়রাত কিংবা মিলাদের আয়োজন
করেন( তবে তাদেরকে নরকের প্রেতাত্মা বলে কখনো
মনে করেন না বরং তাদের জন্য আরো মঙ্গলময় বিষয়াদির
কামনা করেন ) । হিন্দু ধর্মাবলম্বিরা করে থাকেন পিন্ডিদান
কিংবা শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান । যাহোক দেশে দেশে এটা আছে বিবিধ
নামে ও প্রকারে । ইউকের লিডস শহড়ে পালিত হয় গোষ্ট
নাইট ।

থাইল্যান্ডের এই বিশেষ ভুত উৎসবের বিভিন্ন খুটিনাটি
দিকগুলি তুলে ধরে আমাদের জানার পরিধিকে বিস্তৃত
করার জন্য ধন্যবাদ। পোষ্টটিতে রয়েছে আনেক গুরুত্বপুর্ণ
তথ্য, সঙ্গতকারণে প্রিয়তে গেল ।
ঐ বিশেষ দিনে কি করা যাবেনা, আর কি কি করা যাবে তার
যে ৭ দফা বিবরণ দিলেন তা প্রতিপালন বড় কঠিন ,
মনে বড় ভয় জাগে , কোন ভুল হলে না জানি কি আছে কপালে !
তাই এবার আর কোন ভুল করবনা, যাওয়ার আগে তিনাদের ভোজনের
জন্য যতসামান্য কিছু পদের খানা খাবার পরিবেসন করেই তবে যাব -


এবার আশা করি সীমান্ত পারি দিয়ে কোন মতে
এসে হাজির হলেও ঘরে দরজা জানালা বন্ধ করে
থাকতে হবেনা । অনেকটা নির্ভয়ে কাটাতে পারব!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১

জুন বলেছেন: এবার আশা করি সীমান্ত পারি দিয়ে কোন মতে
এসে হাজির হলেও ঘরে দরজা জানালা বন্ধ করে
থাকতে হবেনা । অনেকটা নির্ভয়ে কাটাতে পারব!

হা হা হা না না না আপনার কোন ভয় নেই , সাত সমুদ্দুর তের নদী পেরিয়ে থাইল্যান্ড থেকে ভুত কানাডা যেতে পারবে !
তবে আমেরিকার হ্যালোউইন আর এই ভুত উৎসব এর মুল কাহিনী কিন্ত প্রায় একই রকম । আর আমেরিকা থেকে কানাডা যেতে ভুতের এক সেকেন্ড লাগবে এম আলী ভাই B-)
অসংখ্য ধন্যবাদ আবার মনে করে এসেছেন তাঁর জন্য আর কি সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন তাঁর জন্যতো বটেই ।
ভালো থাকুন সব সময় আর এমন অসাধারন মন্তব্যে সবার লেখাকে সমৃদ্ধ করে তুলুন :)

২৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




সমস্ত ক্ষুধার্ত প্রেতাত্বারা পৃথিবীতে আসতে পারে, স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানোর সাথে সাথে তাদের জীবিত আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা করতে পারে

জুনাপু, এই সেলিব্রেশনটা আমেরিকাতেও হয় । সম্ভবত মেক্সিকোতে ।
আমার এক কলিগের কাছে শুনেছি ।
অনেক মানুষ যায় তাদের এই ট্র্যাডিশনাল রিচুয়াল দেখতে ।

তবে আধুনিক তরুন তরুনীরা একে উৎসব হিসেবে শুধু অংশগ্রহন করে কিন্ত বিশ্বাস করে না।

সেটাই, এটা এখন আর ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে না কিন্তু উৎসব মনে করে এঞ্জয় করে ।

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জুন বলেছেন: মিররড্ডল মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
দেখুন আমেরিকায় পালিত হ্যালোউইন উৎসবটিও কিন্ত একই রকম ধারনা থেকেই উদ্ভুত। প্রায় ২ হাজার বছর আগে সেলটিক জাতিরা এই উৎসব পালন করতো, তখন অবশ্য এটি ধর্মীয় উৎসব হিসেবেই দেখা হতো ।
আর মেক্সিকোতে যেটা হতো তাঁর একটু আঁচ পেয়েছিলাম সিল্ভেষ্টার স্ট্যালোন আর এন্টোনিও ভ্যান্ডারাস অভিনীত এসাসিন ম্যুভিতে । যখন জিলিয়ান মুর রাতের বেলায় একটি কবরস্থানে গিয়েছিল সেদিন সেই অনুষ্ঠান ছিল মানে মৃত আত্মীয়স্বজন আসবে পৃথিবীতে।
সেটাই এখন সব দেশেই উৎসব হিসেবেই দেখে শুধু অল্প কিছু মানুষ ছাড়া ।
আবারও ধন্যবাদ :)

২৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: থাইবাসীরা অনেক কুসংস্কারে বিশ্বাস করে বলে জানি। অবশ্য আমাদের কাছে যেটা কুসংস্কার, ওদের কাছে সেটা বিশ্বাস। সারাটা রাত ধরে ঘর অন্ধকার করে বসে থাকাটা এখন তো অনেকেই শাস্তি হিসেবে গণ্য করবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫

জুন বলেছেন: ওদের প্রায় বাসস্থানের সামনে স্পিরিটদের জন্য ছোট আকারের মন্দির আছে যার সামনে প্রতিদিন সকালে ঝেড়ে ঝুড়ে তারপর খাবার, পানীয় বা ফুল দিয়ে থাকে। সেদিন তো আমাদের কন্ডোর সামনের দিকে এমনি ভাবে একটা টসটসে আস্ত আনারস দিয়ে গেছে কে জানি। খুব লোভ লাগছিল মনে হয় নিয়ে নেই। পরে মনে পরলো সেই থাই মেয়েটির কথা যদি তাদের সামনে থেকে কিছু নিয়ে আসো এমনকি একটি পাতা পর্যন্ত, মনে রেখো তুমি যত দূর যাও রাত হলে সে তোমাকে ধাওয়া করে তত দুরই যাবে। ভয়ে শেষে লোভ সম্বরণ করলাম :-&
অনেক দেরি হয়ে গেল মন্তব্যের উত্তর দিতে। আশাকরি ক্ষমা পাবো আপনার বরাবরের মতোই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.