নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডান দিকে ফুটফুটে নং জিনা আর বা দিকে খুজে পাওয়া ক্লান্ত ক্ষুধার্ত শিশুটি
থাইল্যান্ডের বিখ্যাত পর্যটক শহর চিয়াং মাই থেকে অনেক অনেক দূরে এক গহীন গ্রাম এই কোভিডের মাঝেও সারা দেশ জুড়ে এক আলোড়ন তুলেছে গত রবিবার থেকে। চারিদিক বনে ঘেরা এক পাড়া, আর এলাকার নাম বান হুয়াই, সেখানে চার বছরের এক ভাই আর মা বাবাকে নিয়ে থাকে পুতুলের মত ছোট্ট নং জিনা। বয়স তাঁর দুইও হয়নি এতই ছোট সে, তো ৫ই সেপ্টেম্বর রবিবার রাতের বেলা বাড়ির উঠোনে বিড়াল নিয়ে খেলছিল জিনা। মা রান্নায় ব্যাস্ত, বাবা ময়লা ফেলতে গিয়েছে আর ভাইটি বোনকে এক পলক দেখে ঘরে ঢুকেছে। একটু পরে তাঁর সাড়াশব্দ না পেয়ে মা এসে দেখে বিড়াল বসে আছে উঠোনে কিন্ত জিনা নেই। নেই নেই তো নেই, বাবাও এসে পরেছে এর মধ্যে । চারিদিকে খুজে না পেয়ে বাবা মা পুলিশের দ্বারস্থ হলেন। জানালেন তাদের মেয়ের ঘরের সামনে থেকে হারিয়ে যাওয়ার কথা, আর তাদের শিশু মেয়েটি পরিচিত ছাড়া কারো সাথে কথা বলে না।
অপহরনকারী মায়ানমারের নাগরিক সিউ
তৎক্ষনাৎ পুলিশের রেসকিউ ওয়ার্কার, ভলিন্টিয়ার এবং গ্রামবাসী সবাই মিলে খুজতে লাগলো জিনাকে। সারারাত ধরে খুজতে খুজতে ভোর হয়ে আসলো। দুই মাইল জায়গা জুড়ে তন্ন তন্ন করে খোজা হয়েছে কিন্ত জিনার পাত্তা নেই। মেয়েকে হারিয়ে বাবা মা এর চোখের পানি আর থামে না।
৬ তারিখ সোমবার সকাল থেকে আবার নং জিনাকে খোজা শুরু হলো, এবার পুলিশের প্রশিক্ষিত কুকুর, ড্রোন এমনকি জিনার বাবাকে নিয়ে পুলিশের হেলিকপ্টার দিয়ে শুরু হলো জিনাকে খোজা। বার বার নীচু দিয়ে উড়ে যেতে লাগলো হেলিকপ্টার, দিন পেরিয়ে রাত হয়ে আসলো কিন্ত খুজে পাওয়া গেলনা নং জিনাকে। সারা থাইল্যান্ডের মানুষ সেই গুহায় হারিয়ে যাওয়া ক্ষুদে ফুটবলারদের মতই জিনার খোজ পাওয়ার জন্য এক চোখ টিভির খবরে সেই সাথে প্রার্থনা।
৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আবারও ব্যর্থ হলো সব অভিযান। এ দিকে সেই গ্রামের একজনের উপর পুলিশের সন্দেহ হচ্ছিল আর সে ছিল জিনার বাবারই এক বন্ধু নাম সিউ । মায়ানমার থেকে আসা সিউ অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছিল আরও অনেকের মতই। জিনার মা বলেছে জিনা অপরিচিত কারো সাথে কথা বলে না,কাছে ডাকলে যায়না। কিন্ত সিউ তো জিনার পরিচিত, প্রায়ই তাদের বাসায় আসে, সেদিন রাতেও সে এসেছিল জিনাদের বাসায়। পুলিশের জেরায় সে জানায় ঐ ঘটনার সময় সে পাশের গ্রামের এক দোকানে সাইকেল ঠিক করছিল । পুলিশ সাথে সাথে খোজ নিয়ে জানতে পারে সে সেই দোকানে যায় নি মিথ্যে বলেছে। এতে তাঁর উপর সন্দেহ আর পাকাপাকি হয়।
জঙ্গলের গভীরে পরিত্যাক্ত এক কুটির থেকে নং জিনাকে উদ্ধার এর পর কোলে করে নিয়ে আসছে একজন পুলিশ অফিসার
৮ই সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল থেকে পুলিশ সিউকে বিরতিহীনভাবে জেরা করার এক পর্যায়ে দুপুর বেলা সে বলতে বাধ্য হয় যে সেই জিনাকে অপহরন করেছে । কিন্ত তাকে সে হত্যা করে নি শুধু পাহাড় আর গুহার আত্মার আদেশে সে জিনাকে সেই পাহাড়ের গুহার সামনে তাকে আত্মার কাছে উৎসর্গ করে এসেছে।
তাঁর কথা শুনে তাকে নিয়েই পুলিশ ছুটে যায় সেই যায়গায়। জিনার গ্রাম থেকে তিন কিঃমিঃ দূরে পাহাড়ের এক গুহার সামনে কলাবাগানের ভেতর এক পরিত্যাক্ত কুটিরে জিনাকে পাওয়া যায় । ক্লান্ত বিদ্ধস্ত জিনাকে উদ্ধার করে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেয়া হয়। এর মধ্যে ৪৮ ঘন্টা না খাওয়া জিনাকে ভলিন্টিয়াররা দুধ আর পানি দিয়েছিল খেতে। মলিন জামা পরা বাবা মায়ের চোখের-মনি জিনার ছোট্ট সারা শরীরটি জুড়ে ছিল পোকার কামড় আর কাটা ছেড়ার দাগ।
তবে হাসপাতাল সুত্র জানিয়েছে তাকে আর কোন শারীরিক নির্যাতন করা হয় নি। ।তবে অনেকের সন্দেহ যে এখানে সিউর সাথে আরও কয়েকজন জড়িত ছিল। হয়তো মেয়েটিকে পাচারের উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছিল। যাই হোক শেষ পর্যন্ত জিনাকে উদ্ধার করার খবর পেয়ে বাবা মায়ের সাথে সারা থাইবাসীও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে, সাথে আমিও
তবে সবচেয়ে অবাক লাগে যখন অনেক শিক্ষিত থাইদের এইসব আত্মা প্রেতাত্মায় গভীর বিশ্বাস করতে দেখি । তাদেরকে সন্তষ্ট করার জন্য তাদের মুর্তি বানিয়ে খাবার দেয়, পুজা করে। মিয়ানমারেও দেখেছি এইসব দুষ্ট আত্মাদের মুর্তি ।
ছবি নেট
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
জুন বলেছেন: আসলেও এই রোহিঙ্গারা যেমন আমাদের জীবন ওষ্ঠাগত করে ছাড়ছে তেমন কাচিন, কারেনরা থাইল্যান্ডের জীবন জ্বালিয়ে মারছে।
আমিও খুব চিন্তা করছিলাম এই ছোট্ট মেয়েটির কি হলো । বা ওর বাবা মায়েরই বা কেমন লাগছে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে সাথে শুভকামনা রাত্রির
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
হাবিব বলেছেন: কি মর্মান্তিক!!!! ওই ব্যাটার বিচি কেটে দেয়া দরকার
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২
জুন বলেছেন: আসলেও না খুজে পাওয়া গেলে বাবা মায়ের কষ্ট মনে হয় আজীবন তাড়িয়ে বেড়াতো তাদের ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো ।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
বার্মা, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের জনসংখ্যার বড় অংশ ক্রিমিনাল।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২০
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন চাদগাজী, তবে প্রচুর খনিজ সম্পদ থাকার পরও সেই সম্পদের ব্যবহার করতে না পারা , দেশে গনতন্ত্র না থাকা , দুর্নীতিপরায়ন সরকার তাদের মানুষকে দরিদ্র সীমার নীচে রেখেছে । তাই এই দারিদ্রতাই তাদের অপরাধী বানিয়েছে বলে আমার মনে করি ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: খুব খারাপ লাগছে শুনে । মানুষ কিভাবে এতো নিষ্ঠুর হয় । আমাদের বাংলাদেশের শিশুরা অপহৃত হয়ে ভারতে কিডনি , লিভার দিয়ে মৃত্যু বরন করে । তাদের খোজ পাওয়া যায় না । জিনার জন্য ভালবাসা ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৮
জুন বলেছেন: আমাদের দেশের পাচারকৃত শিশু আর কয়টা উদ্ধার হয় ? বেশিরভাগ নিখোজের তালিকায় থেকে যায় ।
জিনার জন্য থাকুক সকলের ভালোবাসা । বেচারা একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: অবশেষে জীবিত পাওয়া গেছে তাকে জেনে ভাল লাগল।
জুনাপু, ধন্যবাদ আপনাকে খবরটা শেয়ার করার জন্য
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১২
জুন বলেছেন: শুভ সকাল সাথে আন্তরিক ধন্যবাদ শেরজা তপন। এমন করে সব সময় এসে লেখায় উৎসাহিত করেন খুব ভালো লাগে। ভালো থাকুন সব সময় ।
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০১
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট টির জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৩
জুন বলেছেন: আপনিও আমার আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন রাজীব নুর। নং জিনার মিষ্টি মুখটি দেখে আপনার ছোট্ট পরীর কথা মনে পরে গেলো। আল্লাহ আপনার সন্তানদের হেফাজত করুন।
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১১
কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ অর্থ আর কুসংস্কারের বসতর্তী হয়ে কতো নিষ্ঠুর হতে পারে এই ঘটনা তার জলজ্যান্ত প্রমান।বাচ্চাটাকে জীবিত পাওয়া গেছে এটাই সুখবর।তবে অনেক কষ্ট পেয়েছে,ভাবলে চোখে জল এসে যায়।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২২
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই ধরেছেন কামাল ১৮, সেদিন পড়লাম দক্ষিন আমেরিকার পেরুর আদিবাসীরা নিজেদের সন্তানদের মদ খাইয়ে খাইয়ে অনেক উচু পাহাড়ের উপর রেখে আসতো জীবন্ত মমি হওয়ার জন্য। তারা ভাবতো এরা তো স্বর্গে যাবেই আর এই উৎসর্গের জন্য মা বাবারও স্বর্গে স্থান হবে। আপনি একটু নেটে সার্চ দিয়ে দেখেন কি নিষ্ঠুরতা এই বাচচাগুলোর উপর বসে আছে ঠায় একটা চুলও এদিক ওদিক হয় নি। এতটা কুসংস্কার ছিল সেই সময়ে কিন্ত এই জিনিস আজও চলে আসছে অনেক দেশেই। ডাইনি বলে পুড়িয়ে মারা, জীনে ধরেছে বলে অসহায় মেয়েদের উপর চরম নির্যাতন।
এসব ভাবলে আমার ভীষণ কষ্ট হয়। ভালো থাকুন সব সময় আর নিরাপদে থাকুন।
৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: শিশূ সংক্রান্ত অপরাধ এর কোন খবর আমি পড়তে পারি না। একেবারেই পারি না।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৬
জুন বলেছেন: এসব নেগেটিভ খবর পড়লে বহু দিন মন খারাপ থাকে। অনেক বছর আগে ঢাকার বাসাবো এলাকায় আপন চাচাতো ভাই বছর পাচ/ ছয়েকের এক বাচ্চাকে অপহরণ করেছিল টাকার জন্য। বাচ্চাটাকে বিরিয়ানি খাওয়ার লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তিন দিনেও টাকা পায় নি আর বাচ্চাটা যদি বলে দেয় এই ভয়ে গলা টিপে মেরে ফেলেছিল। প্রতিদিন এটা নিয়ে পত্রিকায় আসতো। এরপর আমি বাসায় বহুদিন পত্রিকা রাখিনি ঢাবিয়ান। ভালো থাকুন সব সময়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: যাক তবুও মেয়েটা রক্ষা পেলো।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৮
জুন বলেছেন: হ্যা বাবা মায়ের কোলে ফিরে গেল এটাই বিশাল ব্যাপার। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে কবিতা।
১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আহারে!!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৩
জুন বলেছেন: জিনাকে খুজে না পাওয়া পর্যন্ত আমিও আহারে বলেই গিয়েছি জলদস্যু। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩১
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনি নানা দেশ ঘুরেছেন, আপনার মন তো উদার হওয়ার কথা, অথচ কতিপয় ব্লগারের সাম্প্রদায়িক মন্তব্যে সায় দিয়ে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গারা কীভাবে জীবন ওষ্ঠাগত করেছে, তাও বোঝা গেল না।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৩
জুন বলেছেন: এস এম মামুন অর রশীদ আপনি ঠিকই বলেছেন আমি নানা দেশ ঘুরেছি, আমার মন উদার হওয়া উচিত। আমি মনে করি আমি অনেকের চেয়ে যথেষ্ট উদার। আমি গৃহকর্মীদের সাথে এক সাথে বসে চা খাই তাদের সুখদুঃখের গল্প করি। আমার নিজের ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ট্যাক্সি চালক, সংতোয়ে চালকদের সাথে হাসি গল্প করি। দোকানদারদের সাথে রোমের ফুটপাতে বসে গল্প করেছি। আমি কখনো নিজেকে বিরাট কিছু মুহুর্তের জন্যও ভাবি না। দেখেন আপনি রোহিঙ্গা প্রসংগ তুলেছেন। আমি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকেও দেখেছি আবার কক্সবাজার কুতুপালং শিবিরেও দেখেছি। জানিনা তাদের মধ্যে নিশ্চয়ই অনেকেই ভালো তবে মন্দের সংখ্যাও কম নয়। আর আমাদের মত গরীব দেশে ১৬ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। ইয়াংগুনে এক রোহিঙ্গা পান আলার সাথে পরিচয়। আমি বাংলাদেশী শুনে পান খাওয়া লাল দাত গুলো বের করে একটা হাসি দিয়ে চিটাগাং আর রোহিঙ্গা ভাষার মিশ্রনে আমাকে জানালো কক্সবাজারে তার পাচ সন্তান সহ বৌ আছে আর এখানে তিনটা বর্মী মেয়েকে বিয়ে করেছে, তাদের ঘরেও অনেক বাচ্চা কাচ্চা। আমার এত বিশ্রী লাগছিল শুনতে যে আমি উঠে চলে গেলাম।
মান্দালেতে এক বাচ্চা মেয়ে আমার সাথে কথা বলছিল মহিলা আমার পরিচয় জেনে সাথে সাথে মেয়ের হাত ধরে আমার দিকে বজ্র দৃষ্টি হেনে মেয়ের হাত ধরে টেনে নিল। আরাকানিরা সহা সুজার সাথে কি করেছে? জলদস্যুর কথা আসলেই মগ জাতির কথা আসে কেন? থাইল্যান্ডের প্রাচীন রাজধানী আয়ুথিয়া ধ্বংস করেছিল বিনা কারনে এমন কি নিজেরা বৌদ্ধ হয়ে সেখানকার সব বুদ্ধের মুর্তি ধ্বংস করে এসেছিল। এক থাই মেয়েকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমাদের সাথে মিয়ানমার ঘুরে আসার জন্য। সে শুনেই হাত পা নেড়ে সজোরে বলে উঠলো "ওহ নো মামা দে ডেস্ত্রয় আওয়ার গড বুধা, ঊই দোন্ত লাইক দেম"।
ক্যাম্বোডিয়ার সিয়েম রেপ এয়ারপোর্টে আমাদের কাছে ডায়রেক্ট ঘুষ চেয়েছে ইমিগ্রেশন, না দেয়া পর্যন্ত ছাড়ে নি। তবে এসবের জন্য আমি দায়ী করবো দুর্নীতিপরায়ন সরকারকে। নাহলে তারা অনেক অনেক সমৃদ্ধশালী দেশ।
১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৫
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: অ্যাডভেঞ্চার মুভির রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির মত।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৪
জুন বলেছেন: জী এরকমই একটি পরিস্থিতি হয়েছিল গুহার ভেতর হারিয়ে যাওয়া এক ক্ষুদে ফুটবল দলের ১৩ জন সদস্যকে নিয়ে। সেই উদ্ধার অভিযানে বাঘা বাঘা উদ্ধারকারী এসেছিল সেচ্ছায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। অনেক অনেক নাটকীয় ছিল সেই উদ্ধার অভিযান। আর নং জিনাকে উদ্ধার করা বিশেষ করে তাকে জীবিত পাওয়াটা আল্লাহর অসীম রহমত। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে আইনেষ্টাইন।
১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:১৫
আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: মানুষ কিভাবে পারে?
আমি একটা জিনিষ খেয়াল করেছি আপা, কিডন্যাপ এর মতো ব্যাপারগুলোতে বেশিরভাগ সময় পরিচিত ও কাছের মানুষই জড়িত থাকে। আসলে অপরিচিত অজ্ঞাত কেউ তো পিঠে ছোরা বসাতে পারে না। বিশ্বাসী ও কাছের মানুষগুলোই এই সুযোগটা পায়।
উদ্ধার হয়েছে শুনে ভালো লাগলো। মায়ানমারের মানুষগুলো কি বর্বর মানুষিকতার? রাখাইন-রোহিঙ্গাদের বেলায়ও দেখেছি এরা অনেকটা বর্বর আর বিশ্বাসঘাতক আচরনের জন্য বারবার খবরে আসে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
জুন বলেছেন: মানুষই পারে অমানুষ হতে স্যার । পরিচিত মানুষরা পারে কারন শিকারতো শিকারীকে বিশ্বাস করে কাছে আসে । মায়ানমারের সব মানুষই যে অমানুষ তা নয় । হয়তো অর্থনৈতিক কারনই তাদের এইসব অপরাধের দিকে ধাবিত করে । মিয়ানমারের প্রায় ১৯ টি জাতি গোষ্ঠির মাঝে আরাকানি কাচিন আর কারেনরা অত্যন্ত নৃশংস ।
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালোলাগলো । ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন
১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৪৪
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড!! কি ভয়ংকর কথা। মানুষ কিভাবে এতো অমানুষ হয়। কি ফুটফুটে এতো সুন্দর বাচ্চাটি। কিভাবে মানুষ এরকম অমানুষ হয়।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জুন বলেছেন: মানুষরাইতো অমানুষ হয় সোহানী । তবুও রক্ষা মেয়েটিকে জীবিত উদ্ধার করেছে । পাহাড় আর গুহার দেবতার কাছে বলি দিয়ে ফেলেনি । ভালো থাকুন অনেক অনেক আর সাথে থাকুন ।
১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪৬
রানার ব্লগ বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের এই সব ক্রিমিনাল গুলো কবে ধ্বংস হবে? আমি অতিষ্ঠ এদের যন্ত্রনায়। বাংলাদেশও এমন অসংখ্য হতচ্ছাড়া ক্রিমিনাল আছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সব মানুষকে যারা শিশুটি কে খুজে বাহির করে বাবা মায়ের হাতে তুলে দিতে পেরেছে।
ক্রিমিনাল ব্যাটার পাছায় সংকর মাছের লেজের চাবুক দিয়ে পেটানো উচিৎ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জুন বলেছেন: পশ্চিমা বিশ্ব তথা উন্নত দেশগুলোই আজ বিশ্ব জুড়ে সিউর মত এই সব অপরাধীর সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে রানার ব্লগ । আপনি তাকিয়ে দেখুন মধ্যপ্রাচ্যের দিকে , আপনি তাকিয়ে দেখুন আফ্রিকার দিকে তাকিয়ে দেখুন মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর দিকে । সবার কপালে আজ ফেইল স্টেট এর তকমা লাগিয়ে দিয়েছে । নাহলে এত এত খনিজ সম্পদ থেকেও তারা আজ না খেয়ে মরে, ভাগ্যনেষনে ভুমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে মরে। পরাশক্তি চীনের কব্জায় থাকা অগাধ খনিজ সম্পদ আর কৌশল্গত ভুতাত্বিক সুযোগ সুবিধায় ভরপুর মিয়ানমারের জনগন রাতের আধারে জংগল পেরিয়ে থাইল্যান্ডে যায় দুই পয়সার মজুরের কাজ করতে।
যাই হোক বাচ্চা মেয়েটি শেষ পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার হয়েছে এটাই আসল ব্যাপার ।
মন্তব্যের মাধ্যমে সব সময় সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অপহরনকারী মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক সিউ অপহরনকারী মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক হইলে কোন দেশের বৈধ নাগরিক?
শেষ পর্যন্ত বাচ্চা মেয়েটাকে পাওয়া গেছে, এটাই শান্তি। ভাগ্যিস দুষ্ট আত্মার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে নাই। ঘটনা একবার ঘটলে তো আর কিছুই করার থাকে না।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০২
জুন বলেছেন: অপহরনকারী মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক সিউ এর অর্থ হইলো মায়ানমার থেকে লুকিয়ে আসছে, মানে থাইল্যান্ডে অবৈধ। এই সব কথা বুইঝা নিতে হয় সব কিছু অত খোলাখুলি বলা ঠিক না
মেয়েটাকে পাওয়া গেছে এটা সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। সিউ বেটা যখন ঘরের সামনে বিলাই নিয়া খেলতে থাকা মেয়েটাকে অপহরন করলো তখন মা আছিল রান্নাঘরে আর বাবা কিনা কাম পাইলো না গেছে গার্বেজ ফেলতে
১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশেষে বাচ্চাটাকে পাওয়া গেছে-এটাই বড়ো পাওয়া।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৫
জুন বলেছেন: অবশেষে বাচ্চাটাকে পাওয়া গেছে-এটাই বড়ো পাওয়া। এটাই আসল কথা ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমাদের দেশে হলেতো লাশও মিলতনা। সবাই মিলে তৎপর হওয়ার বেচে গেল পুতুল কন্যা। শেয়ারে ধন্যবাদ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৩
জুন বলেছেন: সবাই মিলে তৎপর হওয়ার বেচে গেল পুতুল কন্যা।
মোঃ মাইদুল সরকার সেটাই হলো আসল । আমাদের দেশেও মাঝে মাঝে পুলিশ তৎপর হলে অনেক অপরাধীই ধরা পরে ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাচ্চাটাকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেছে এটাই সুখবর। পুলিশ ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই সব প্রেতাত্মায় বিশ্বাস বৌদ্ধ ধর্মে আছে এটা আমার জানা ছিল না। এই খবর কি আন্তর্জাতিক কোন মিডিয়াতে এসেছিল? পোস্টে +++
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৭
জুন বলেছেন: প্রেতাত্মা মানে জীন ভুত পরী এসবে আমাদের গ্রামাঞ্চলেও মানুষ বিশ্বাস করে । আসলে এসবই হলো কুসংস্কার যা সব দেশে জাতিতে গোষ্টিতেই আছে । ব্যাপার হলো কাছ থেকে জানা । অনেক দেশেরটা যেমন আমরা জানি না কিন্ত আছে হয়তো বা । তবে শিক্ষিত মানুষের মাঝে কম তা তারা যেই ধর্ম আর বর্নেরই হোক । আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এসেছিল কি না দেখি নি তবে তাদের মিডিয়াতে তো অবশ্যই ছিল । মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ।
২০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
৩ দিনের রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে পাওয়া গেল ছোট্ট পুতুল নং জিনাকে
নিউজটা এখানে দেখে আশ্বস্ত হলাম ।
পাহাড়ের দেবতাকে উৎসর্গের কথা শুনে বিস্মিত হলাম ।
এখনো এই সভ্য সমাজে এ ধরনের বিশ্বাস কিছু কিছু
মানব সন্তানের মাঝে জাগ্রত আছে দেখে অবাক হলাম ।
মেয়েটির প্রতি এই আমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ
অনেকের মনেই দাগ কাটবে । এর ফলে
সেখানে এধরনের অদ্ভুত বিশ্বাসের মুলে
ফাটল দেখা দিলে সে হবে অনেক
মন্দের মাজে একটি ভাল দিক ।
ছোট্ট পুতুল নং জিনার মর্মান্তিক
কষ্ট একটি অশুভ বিশ্বাসের মুলে
কুঠারাঘাত হানলে সেটাই হবে
অনেক বড় শান্তনা , নং জিনা
একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে ।
শুভেচ্ছা রইল
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৮
জুন বলেছেন: ছোট্ট পুতুল নং জিনার মর্মান্তিক
কষ্ট একটি অশুভ বিশ্বাসের মুলে
কুঠারাঘাত হানলে সেটাই হবে
অনেক বড় শান্তনা , নং জিনা
একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে ।
আমাদের প্রত্যাশাও এটাই থাকবে ডঃ এম এ আলী ভাই । তবে এইসব কুসংস্কার মানুষের মনের এত গভীরে প্রোথিত হয়েছে যে সেখান থেকে বের করে আনা একটু মুশকিল । নইলে দেখেন না ভারতের বিভিন্ন গ্রামে মানসিক অসুস্থ অনেক মেয়েকে এখনো ডাইনী বলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে ।
প্রাসংগিক একটি সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
২১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ছোট জিনাকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেছে আলহামদুলিল্লাহ
বাংলাদেশে নিখোঁজ হলে সহজে পাওয়া যেত না
ধন্যবাদ আপু সুন্দর সু খবর শুনানোর জন্য
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১২
জুন বলেছেন: পুলিশ তৎপর হলে আমাদের দেশেও খুজে পাওয়া সম্ভব । মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা ছবি
২২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ঘটনাটা এখনই জানলাম। আপনাকেও ধন্যবাদ আপা।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮
জুন বলেছেন: মোজাম ভাই পোস্টটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে এমন ঘটনা অনেক দেশেই ঘটে। ছোটবেলায় শুনতাম ছেলেধরা এখন শুনি অপহরণ। খুবই মর্মান্তিক এইসব ঘটনাগুলো। তবুও নং জিনাকে তার বাবা মা ফেরত পেয়েছে এটাই বিশাল ব্যাপার।
২৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কি মারাত্মক, শ্বাসরুদ্ধকর একটি অপহরণ কাহিনীর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে গেলেন! যাক, তবে শেষে এসে আপনার মত আমিও একটা বিরাট স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম!
এর আগেও সেই চিয়াং মাই এরই নিকটবর্তী চিয়াং রাই প্রদেশে ঘটে যাওয়া আরেকটি শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের একটি চমৎকার ধারা বর্ণনা আপনি লিখেছিলেন, তা আমার বেশ মনে আছে। ২৩ জুন ২০১৮ এর বিকেল বেলায় রূপকথার গল্পকেও হার মানানো থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই প্রদেশের “মূ পা” বা Wild Boars (বন্য শুকর) ফুটবল দলের ১২ জন ক্ষুদে ফুটবলার আর তাদের ২৫ বছর বয়স্ক প্রশিক্ষক Tham Luang Nang Non (সংক্ষেপে ‘থাম লুয়াং&rsquo নামের একটি গিরিগুহার বাইরের সমতল মাঠে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলে গুহার অভ্যন্তরে একজন খেলোয়াড়ের শুভ জন্মদিন পালনের সময় আকস্মিক "ফ্ল্যাশ ফ্লাড" এ আটকা পড়ে কয়েকদিন নিরুদ্দেশ ছিলেন সে সময়ে। সেই উদ্ধার অভিযানটি সে সময়ে সমগ্র বিশ্বের মনযোগ কেড়েছিল এবং সাড়া বিশ্ব সে সময়ে থাইল্যাণ্ডের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল।
বাচ্চাটাকে খুঁজে বের করার জন্য থাই পুলিশকে অভিনন্দন! ওরা বেশ কর্মতৎপর। সেই ফুটবল দলকে উদ্ধার অভিযানেও তারা থাই 'নেভী সীল' এর পাশাপাশি প্রশংসনীয় অবদান রেখেছিল।
নং জিনা এর জন্য ভালবাসা! সে যেন পৃথিবীতে ভালো কিছু করে যেতে পারে!
পোস্টে প্লাস। + +
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৩
জুন বলেছেন: আপনিও মারাত্মক একটি মন্তব্য করেছেন যা আপনার বৈশিষ্ট্য খায়রুল আহসান। থাই পুলিশরা খুব এফিসিয়েন্ট কিন্ত মাঝে মাঝে খুব নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে থাকে। নং জিনাকে উদ্ধার করাও তেমনি একটি ঘটনা। থাই সীলের সদস্যরা আন্দামান সমুদ্রে জলন্ত এবং পরিত্যক্ত একটি ফিশিং ট্রলার থেকে তিনটি বিড়ালও উদ্ধার করেছিল । ভিডিটা দেখতে পারেন ইউ টিউবে। আমরা অবশ্য সরাসরি টিভিতে দেখেছিলাম।
থাম লুয়াং গুহার ঘটনাটি সত্যি একটি অবিশ্বাস্য উদ্ধার অভিযান ছিল। আরেকটি ছিল উরুগুয়ের ফুটবল দল যাদের প্লেনটি আন্দিজ পর্বতে বিদ্ধস্ত হয়েছিল আর সেখান থেকে মৃত বন্ধু আর আত্মীয়দের দেহ থেকে মাংস খেয়ে কত কাহিনী কত কষ্ট করে তারা কয়েকজন সভ্য জগতে ফিরে এসেছিল তা পড়তে গিয়েও গা শিউরে উঠেছিল আমার।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সব সময় আর আমার লেখায় থাকুন
২৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৮
সাসুম বলেছেন: জুন আপু, সেই প্রাচীন আগুনের চারপাশে জড়ো হওয়া জরোস্ট্রার থেকে শুরু এই বলি দানের প্রথা। আজটেক কিংবা সাউথ আমেরিকান ধর্ম গুলোর কালচারাল একটা বড় প্রথা ছিল দেবতার ভোগে মনুষ্য বলিদান।
ইভেন নর্স মিথ কিংবা নরডিক সমুদ্র উপকূল্বর্তী রূপকথাতেও এই বলিদান এর প্রমান পাওয়া যায়।
ইহুদি, খ্রিস্টান আর মুসলিম দের একই নেতা- ইব্রাহিম থেকেও আমরা দেখতে পাই নিজ সন্তান ইসমাইল কে বলি দানের আয়োজন।
হিন্দু ধর্মে কালি মায়ের ভোগে কত শত প্রাণ এক কোপে ঝড়েছে তা আর হিসেব নেই।
ইভেন এখনো দেশের আনাছে কানাছে মাঝে মাঝে আমরা খবর পাই- নিজ সন্তান কে মা বলি দিচ্ছে স্বপ্নে দেখে কিংবা মনুষ্য বলিদানের খবর।
এই যে মানুষ কে কোন এক অলৌকিক সত্ত্বার সন্তুষ্টির জন্য জবাই দেয়া বা বলি দেয়া এটা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। মানব মনের অন্ধকার এই অধ্যায় - এই জিনিষ গুলো।
এটা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে, কেয়ামত এর আগের দিন ও চলতে থাকবে , বাট মানুষ সচেতন হবার সাথে সাথে আস্তে আস্তে পরিমান কমতে থাকবে এই আর কি।
জিনার জন্য ভালোবাসা। বেচে থাকুক আরো অনেক অনেক দিন
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
জুন বলেছেন: সাসুম প্রথমেই স্বাগত জানাই আমার ব্লগে। আপনার জুন আপু ডাক শুনে আর বিভিন্ন জায়গায় আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হয় আপনি ব্লগে আমার পুর্ব পরিচিত।
যাই হোক বলিদান প্রথাটি সকল আদি ধর্মেই ছিল। এমনকি পৌরানিক কাহিনী যেমন গ্রীসের ইলিয়ড-ওডিসি, ভারতের রামায়ণ- মহাভারত ছাড়াও সবখানেই দেখতে পাই। দেবতাদের খুশি করার জন্য উৎসর্গ বা বলিদান। এখনো নেপালে বছরের একটি দিনে হাজার হাজার মহিষ বলি দিচ্ছে।
নং জিনাকে কি উদ্দেশ্য নিয়ে সিউ চুরি করেছিল জানা যায়নি, তবে অনেকের ধারণা শিশুটিকে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল অপহরণকারীর।
অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। আমার লেখার সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশা রইলো। ভালো থাকুন সব সময়।
২৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য" - আমার মন্তব্য সবসময়ই 'আন্তরিক' হয়, জুন। অবশ্য আপনি সেটা অকাতরে স্বীকারও করেছেন সব সময়।
যে লেখাটা আমার অন্তরে প্রবেশ করে না, সেটাতে মন্তব্যও করিনা সচরাচর।
বেশ কিছুদিন আগে (সপ্তাহ দুয়েক বা তার চেয়েও কিছু বেশি আগে মনে হয়) আপনার একটা চমৎকার কবিতা পড়ে মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। এ ব্লগে কবিতা আপনি খুব বেশি লিখেন নি, তবে আমি যে ক'টা পড়েছি, তাতে মনে হয়েছে ভ্রমণ কাহিনীর মত আপনার কবিতা লেখার হাতও বেশ ভালো। আপনার সে পোস্টটা বেশ আগের ছিল বিধায় তখনই জানতাম, আপনি কোন নোটিফিকেশন পাবেন না, ফলে আমার মন্তব্যটাও আপনার নজরে পড়বে না। তবে এ নিয়ে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে আপনার মূল্যবান ব্লগিং সময়ের অপচয় করবেন না। আমি যদি আবার কখনো আপনার কোন পুরনো পোস্ট পড়তে গিয়ে সেটা খুঁজে পাই, তবে আপনার নতুন কোন পোস্টে এসে তা জানিয়ে যাব।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩০
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। পুরনো পোস্ট মানেই পুরনো স্মৃতি, তাতে স্বাক্ষর রেখে আসেন এটাতো আমার জন্য বিশাল পাওয়া। কিন্ত পারিবারিক ব্যস্ততা আর শারীরিক সমস্যার জন্য ব্লগে অতটা সক্রিয় না থাকায় অনেক মন্তব্য আর লেখা চোখে পরে না। অবশ্য অযুহাত দিতে চাই না যে নোটিফিকেশন আসেনা। আসলে নিজের পুরনো লেখাগুলোর উপর যে চোখ বুলাবো তার সময়, ধৈর্য্য কোনটাই নেই। ভালো থাকুন অনেক অনেক সাথে শুভকামনা রইলো সব সময়।
২৬| ০২ রা জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫
ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: ভ্রমণ বাংলাদেশের পাশে বাড়িতে একটা সুন্দর বাচ্চা হারালো । তিন বছর হতে চলল আজও বাচ্চাটাকে পাওয়া গেল না।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩২
জুন বলেছেন: আমাদের দেশে এটা আশা করাও ভুল। হারিয়ে গেলো তো গেলই। আর ফিরে আসে না মায়ের কোলে। আর ইদানীং তো বাবা মায়েরাই নিজেদের অবুঝ সন্তানদের খুন করছে নিজেদের স্বার্থে। কি মর্মান্তিক আর ভয়ংকর সংস্কৃতির শুরু ভ্রমণ বাংলাদেশ। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কত আগের পোষ্ট তবুও রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম।
শিক্ষা অনেক সময় আজন্ম সংস্কার কে পাশ কাটাতে পারে না
০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০৪
জুন বলেছেন: যত দেরিই হোক পড়া তো হয়েছে মনিরা। তবে ঘটনাটি অত্যন্ত লোমহর্ষক। শেষ পর্যন্ত মেয়েটিকে পাওয়া গেছে এটাই বিরাট ব্যাপার।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
আপনার মতো আমরাও এই উদ্ধারের খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললুম।
মায়ানমারের মানুষগুলো আসলেই এক একটা অমানুষ!