নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রভাবিত হওয়া বা প্রভাবিত করা

২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১০


আমি ব্যক্তিগত জীবনে অনেকজনকেই দেখেছি অল্পতেই কারো কথায় বা ইশারায় প্রভাবিত হয়ে পরে। কেউ হয়তো বল্লো "জানো অমুকে না খুব ভালো বা তমুকে খুবই খারাপ"। আমরাও সাথে সাথে ভেবে নেই "হ্যা, হ্যা তাইতো তাইতো সে তো আসলেও সত্যি খুব খারাপ বা দারুণ একজন ভালোলোক"। এখানে কি আমাদের বিচার বিবেচনা না করেই এমন কিছু বিশ্বাস করা উচিত? নাকি অনুচিত! আমাদের নিজস্ব যৌক্তিক চিন্তা ভাবনা কি লোপ পায় মানুষের একটি কথায়!
এই একটিমাত্র কারনে বাস্তব এবং ভার্চুয়াল দুই জগতের অনেক প্রিয় বন্ধুদের সাথে আমার এক তরফা সম্পর্কের সাময়িক অবনতি হয়েছে, হয়েছে মনমালিন্য যা আমার জন্য অনেক কষ্টকর, অবশ্য পরে তারা তাদের দোষগুলো অনুধাবন করতে পারে এই যা স্বস্তি ।

এ ব্যাপারে দুটো উদাহরণ দিই তাহলেই সবার বুঝতে সুবিধা হবে বলে মনে করি।

বেশ কয়েক বছর আগের কাহিনী, আমার শিক্ষাজীবনের বন্ধুদের নিয়ে ফেসবুকে একটা গ্রুপ ছিল। সেই গ্রুপে আমি বাদে আমার কিছু ক্লোজ বন্ধু সারাক্ষণ বেহুদা আলাপচারিতা যাকে ইংরেজিতে বলে ট্রল তো সেই ট্রলিং তারা চালিয়েই যাচ্ছিল যাকে বলা যায় সীমা অতিক্রম করে। আমি জানি কোথায় থামতে হয়, তাই আমি থেমে গেছি সময় মতই। যাই হোক এক পর্যায়ে আমাদের গ্রুপ এডমিন এই ব্যাপারে একটা নোটিশ জারী করলো যার মূল বক্তব্য ছিল আমরা সবাই শিক্ষিত এবং আমাদের সবার লেখায় একটা আত্মমর্যাদা এবং শালীনতা থাকা চাই,এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কাম্য।
এখানে সে কারও নাম উল্লেখ করেনি । কিন্তু চোরের মন পুলিশ পুলিশ। এখন যে কয়েকজন চোর ছিল তারা ঘোষণা দিল এই গ্রুপ তারা বর্জন করবে, আর আমাকেও তারা চাপ দিতে লাগলো গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। আমি বললাম কেন! সেতো কারো নাম বলে নাই, আর খারাপ কিছুও বলে নাই তাহলে কেন আমরা নিজেরা নিজেদের গায়ে কাদা মাখবো! যাই হোক গ্রুপ থেকে তারা বেরিয়ে তো গেলই এবং প্রথম অবস্থায় আমার উপর প্রচন্ড মনক্ষুন্ন হলেও পরে উপলব্ধি করেছে আমি ঠিক ছিলাম। আমি নিজে যেমন নিজের আচার আচরণকে বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি তেমনি অন্যের আচরণকেও।
দ্বিতীয় কাহিনী বাস্তব জীবনের। আমার ছেলে উন্নত বিশ্বের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। প্রথম প্রথম যাওয়ার পর আমার হাজবেন্ডের এক বন্ধু তার সাথে দেখা করতে আসে। সাথে চাল ডাল থেকে ঘটিবাটি সব নিয়ে আসে যাতে প্রাথমিক অবস্থায় সে চলতে পারে। ইমেইলে তার সিভি নিয়ে ভদ্রলোক বিভিন্ন জায়গায় পাঠায়।
কিন্ত কোভিড পরবর্তী অবস্থায় চাকরির বাজার ছিল সীমিত। সাত দিনের দিন উনি শেষ পর্যন্ত কোথাও কিছু না পেয়ে তার নিজের দোকানেই আমার ছেলেকে ঘন্টায় ১০ ডলার করে ৮ ঘন্টার কাজ দেয়। কিন্ত প্রথম দিন থেকেই সে আমার ছেলের উপর দুর্ব্যবহার করতে থাকে। বাসায় ফিরে যখন সে এগুলো আমাদের বলেছে যা শুনে আমরা স্বামী স্ত্রী ভীষণ আপসেট হয়ে পরি। আমার ছেলে সোনার চামচ মুখে না নিয়ে জন্মালেও অনেক আদরে আহ্লাদেই বড় হয়েছে। আমার স্বামী যে কিনা দিনে কমপক্ষে দুই বার সেই বন্ধুর সাথে গল্প করতো ফোনে সে কথা বলা ট্যোটালি স্টপ করলো।
কিন্ত এই ঘটনা বা ছেলের কথায় আমি সাথে সাথে প্রভাবিত হইনি, বার বার আমার ছেলেকে বুঝাই "কাজ না করলে না করো, ভালোভাবে বলে কয়ে ছেড়ে দিয়ে আসো কিন্তু তাকে খারাপ ভেবো না। হয়তো তার পারিবারিক কোন সমস্যা আছে, বা উনি মানসিক ভাবে অসুস্থ কারন তার একমাত্র অল্প বয়সী সন্তানটি কিছুদিন আগে মারা গেছে তার জন্য হয়তো মন খারাপ"। তিনদিনের দিন উনি আমার ছেলের সাথে এমন ভয়ংকর দুর্ব্যবহার করলো যে আমার ছেলে কাজ ছাড়ার কথা বললে সে জানালো "তোমাকে আমার দরকার ছিল না শুধু তোমার আব্বুর কথা ভেবে তোমাকে আমি রেখেছিলাম"। এতবড় অপমান আমরা তো বাদই আমাদের ছেলেও কখনো হয় নি।
এই ঘটনার মাস ছয়েক পরে মানে দুদিন আগে আমার ছেলে কথায় কথায় বলছে "আম্মু জানো এখানে ইকোনমিক রিসেশন এমন পর্যায়ে যে মানুষ ১০ ডলার খরচ করতে দশবার ভাবে। এখন আমি চিন্তা করি জামিল (ছদ্মনাম) আংকেল মনে হয় আব্বুর জন্য বাধ্য হয়েই আমাকে কাজ দিয়েছিল তার দোকানে। তার লোক ছিল, আমাকে তার দরকার ছিল না। ঘন্টায় ১০ ডলার করে প্রতিদিন ৮ ঘন্টা কাজের জন্য উনি তিন দিনে মোট ২৪০ ডলার আমাকে দিয়েছিল। জানো এই তিনদিনে তার বিক্রি হয়েছিল মাত্র একশ ডলার"।
আমি বললাম তুমি একদিন গিয়ে দেখা করে এসো, তোমার উপকার তো কিছুটা হলেও উনি করেছেন।
ছেলে বল্লো "যাবো সামনের ছুটিতে"।
ছেলের মুখের কথা অর্থাৎ এক পক্ষের কথা শুনেই ভদ্রলোকের প্রতি আমার ছেলের ভেতর ঘৃনার মনোভাব উদ্রেকে আমি উৎসাহিত বা সহায়তা করি নি।

ছবি সুত্র আমার মোবাইলে আমার তোলা।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্ট পুরোটা পড়ার আগেই এই ব্যাপারে কোরআন আর হাদিসের বাণী দিলাম। বাকি মন্তব্য করতে আশা করি আবার আসব। ধর্মীয় পোস্ট না তবুও দিলাম। দয়া করে কিছু মনে করবেন না।

‘হে মুমিনগণ! তোমরা বেশি অনুমান করা থেকে দূরে থাক। নিশ্চয়ই কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গিবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোস্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ বেশি তাওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।’ (সুরা হুজরাত : আয়াত ১২)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা অনুমান থেকে বেঁচে চলো। কারণ অনুমান সবচেয়ে বড় মিথ্যাচার। আর কারো দোষ খুঁজে অনুসন্ধান করো না। গোয়েন্দাগিরি করো না, পরস্পরকে ধোঁকা দিও না, আর পরস্পরকে হিংসা করো না, একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষণ করো না এবং পরস্পরের বিরুদ্ধাচরণ করো না। বরং সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে যাও।’ (বুখারি)

২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

জুন বলেছেন: হে মুমিনগণ! তোমরা বেশি অনুমান করা থেকে দূরে থাক। নিশ্চয়ই কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না
গোয়েন্দাগিরি করো না, পরস্পরকে ধোঁকা দিও না, আর পরস্পরকে হিংসা করো না, একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষণ করো না
সত্যি কথা বলতে কি আমরা ব্যক্তিগত জীবনে অনেক আদর্শের বুলি কপচাই কিন্ত বাস্তবে উপরের কাজগুলো করেই অহংকার বোধ করি। "তাকে দু কথা শুনিয়ে দিলাম, অমুককে অপমান করলাম" এই সব দম্ভোক্তি শুনবেন সাড়ে চুয়াত্তর। গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকে পরবর্তীতে মূল ব্যাপার বোঝা সত্ত্বেও নিজের অবস্থান থেকে সরতে চায় না। এটা ঠিক না। আপনি তো আপনার ছেলেকে অনেক ভালো উপদেশ দিয়েছেন। সবাই এরকম করতো না।

২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৪

জুন বলেছেন: আমার মনে হয় এটা করা উচিত সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের। আরেক বার এসেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তবে ঐ লোকের আপনার ছেলের সাথে অকারণে দুর্ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।

২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

জুন বলেছেন: তাতো হয়ই নাই, আর আমার ছেলে বলে বলছি না সে অত্যন্ত নম্র এবং ভদ্র। ঐ লোকের আচরণ তো রীতিমতো অভদ্রজনোচিত, অমানবিক।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: বর্নিত ঘটনাটা আসলেই মনস্তাত্ত্বিক। তবে বাস্তবতার নিরিখে প্রগতিশীলতার পীড়ন নয় - চাই আত্মমর্যাদা রক্ষা করে পেশাদারিত্বের পরিচয়। আমিতো মনে করি, আপনার ছেলেই ঠিক ছিলো।

অন্যদিকে আমরা যারা দীর্ঘদিন যাবত আপনাকে চিনি জানি তারা প্রত্যেকেই আপনার বিবেকবুদ্ধি বিবেচনা উপর শ্রদ্ধাশীল।

২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬

জুন বলেছেন: নতুন জায়গায় নতুন মানুষ যার সাথে তার জীবনে দেখা হয় নি। তার আচরণে আমার ছেলে তো হতভম্ব। সে এতটাই আত্মমর্যাদাশীল যে বসের সামান্য কথায় একটি আন্তর্জাতিক অফিসের ভালো পদে থাকা চাকরি ছেড়ো দিয়ে এসেছিল।
আপনার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


প্রভাবিত করার চেয়ে হওয়া সহজ বোধহয়।

২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮

জুন বলেছেন: হতে পারে তবে আমি খুব কম হই শুন্য সারমর্ম। কিন্তু যদি নিজে তার প্রমাণ পাই তখন সেস্থান থেকে আমাকে সরানো কঠিন। মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ রইলো।

৬| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: এমন হচ্ছে প্রতিনিয়তই হচ্ছে- সবার ব্যাপারেই ঘটছে।
এমরা যে যেভাবেই ভাবি না কেন ঘুরে ফিরে সেই ফাঁদে পা দিচ্ছি। এমন ভুল বুঝে কত মানুষকে দূরে সরিয়ে দিয়েছি- আবার কতজন আমাদেরকে।

২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২০

জুন বলেছেন: এমন ভুল বুঝে কত মানুষকে দূরে সরিয়ে দিয়েছি- আবার কতজন আমাদেরকে। ঠিকই বলেছেন শেরজা তপন । আমরা খুব দ্রুত মানুষকে বিচার করে ফেলি যা একেবারেই অনুচিত । তাছাড়া অনেক সময় মানুষকে বাধ্য করি আমার মতামতকে মেনে নেয়ার জন্য অর্থাৎ তাঁর ভাবনার স্বাধীনতাকে আমরা সন্মান করি না।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । ইউক্রেনের যুদ্ধের খবর পড়ি আর আপনার কথা মনে করি ।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১

কামাল৮০ বলেছেন: যৌক্তিক চিন্তা করার ক্ষমতা সবার এক না।এক জন নামাজ না পড়লেই মনে করে খারাপ লোক।একজন নামাজ পড়লেই মনে করে ভালো লোক।এখানে যুক্তির কোন বালাই নেই।কিন্তু এভাবেই বেশির ভাগ লোক চিন্তা করে।
নিরপেক্ষ হওয়া কঠিন কাজ।নিরপেক্ষ হতে না পারলে যৌক্তিক চিন্তা করা অসম্ভব।
সুন্দর লিখেছেন। পড়ে ভালো লাগলো।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০

জুন বলেছেন: নিরপেক্ষ হওয়া কঠিন কাজ।নিরপেক্ষ হতে না পারলে যৌক্তিক চিন্তা করা অসম্ভব। আপনিও খুব ভালো বলেছেন কামাল৮০ । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

৮| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার পোস্টের ফেসবুক গ্রুপ বিষয়ক আলোচনা নিয়ে বলছি “সমাজের যে কোনো স্তরে সেটি ইন্টারনেটে হোক আর বাস্তব সামনা সামনি - গ্রুপ মানেই সমস্যা”। বিস্তারিত লিখতে গেলে দেখা যাবে কারো না কারো খারাপ লাগবে। তাই এখানেই সমাপ্ত।

লেখাটি ভালো লেগেছে। +++

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩

জুন বলেছেন: “সমাজের যে কোনো স্তরে সেটি ইন্টারনেটে হোক আর বাস্তব সামনা সামনি - গ্রুপ মানেই সমস্যা”
একদম ঠিক কথা ঠাকুর মাহামুদ । আমাদের সেই ক্লাসমেট গ্রুপের সবার সাথে আমার ভীষন আন্তরিক সম্পর্ক । দুই একজনের কথায় আমি সবাইকে পরিত্যাগ করবো এটা কি ধরনের আবদার আমি বুঝি না ।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৯| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জুন আপু ,
সুন্দর পোস্ট।

কিছু লোক নিজেকে ছাড়া কাউকে সফল দেখতে চায়না। এরা হুদাই আপনাকে হিংসা হিংসা করবে। আপনার সুন্দর জুতা দেখে হিংসায় বলবে ফুটফাট থেকে কিনছে অথচ সে নিজে ফুটফাট। আপনার সুন্দর প্রেমিকা বা বউ হলে তাদের জ্বলবে। আপনি ফেসবুকে একটু বেশী লাইক পেলে এদের জ্বলবে । আপনার ফলোয়ার বেশী হলে জ্বলবে। জ্বলানি পোড়ানি যে তাদের রক্তে মিশে আছে। এরা নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে সহ্য করতে পারেনা। কারণে হিংসা করবে অকারণে হিংসা করবে। হিংসুক ও বিদ্বেষী মানুষ কোন অবস্থায় শান্তি পায় না। সে অশান্তি থেকে তাদের হিংসার পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। এজন্যই পবিত্র কোরানে আয়াত নাজিল হয়েছে- " হে আল্লাহ আমি তোমার আশ্রয় চাই হিংসুকের অনিষ্ট থেকে।" হিংসা আত্মার একটা রোগ। কিছু লোক কারো ভালো কিছু দেখলেই তার শত্রুতে পরিণত হয়। এমন নয় যে আপনি তার কোন ক্ষতি করেছেন। আপনি তার চেয়ে কোথাও একটু এগিয়ে এটাই। হিংসার কারণে মানুষের বিবেচনা-বোধ লোপ পায়।

হিংসা কে ইতিবাচক দেখা উচিৎ । কেউ যখন আপনাকে হিংসা করা শুরু করবে তখন মনে করবেন আপনার এমন কিছু আছে যা তার নেই।হিংসাকারী ভালো কোনও কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। সে শুধু নষ্ট করতে জানে। জ্বালাতে জানে। জ্বালানোর মত কিছু না থাকলে নিজের ভেতরেই জ্বলতে থাকে। তাকে জ্বলতে দেয়া উচিত। তুষের মত সে জ্বলুক। হাদিসে আছে ৩ টি জিনিষ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। লোভ হিংসা অহংকার।

অন্যের ভালো দেখে হিংসা করে নিজে ভালো করার চেষ্টা করেনা। হিংসার মত মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি আর নেই। ক্যান্সার কিংবা এইডস নয় বাঙালীর সবচেয়ে বড় রোগ হলও হিংসা। হিংসার কারণে কুৎসা রটায় এই জানোয়ার গুলো ।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬

জুন বলেছেন: অন্যের ভালো দেখে হিংসা করে নিজে ভালো করার চেষ্টা করেনা। হিংসার মত মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি আর নেই। ক্যান্সার কিংবা এইডস নয় বাঙালীর সবচেয়ে বড় রোগ হলও হিংসা। তবে আমি বাংগালী হলেও এই জীবনে আমি কাউকে হিংসা করিনি গোফরান । কারো ভালো দেখলে, ভালো থাকলে আমি খুশি হই । এই ব্লগে এসে দেখলাম ভালো লিখলেও অনেকে অনেককে হিংসা করে । শুনে আমি তাজ্জব :|
সুন্দর ও আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

১০| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,



কারো কথায় প্রভাবিত হওয়া নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। প্রশ্ন রেখেছেন -" এখানে কি আমাদের বিচার বিবেচনা না করেই এমন কিছু বিশ্বাস করা উচিত? নাকি অনুচিত! আমাদের নিজস্ব যৌক্তিক চিন্তা ভাবনা কি লোপ পায় মানুষের একটি কথায়!"


বিচার -বিবেচনা করার মতো শক্তি আমাদের মগজেই আছে। এই মগজের কারনেই মানুষ বুদ্ধিমান প্রানী এবং শ্রেষ্ঠ। সেই মগজে ব্যবহার না করার কারনেই আমরা অন্যের কথায় প্রভাবিত হই। কারো কথা যখন আমাদের স্বার্থের পক্ষে যায় তখন মগজকে সরিয়ে রেখে তা আমরা সহজেই বিশ্বাস করি আর প্রভাবিত হই এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ভুল করে ফেলি। বিরূদ্ধে গেলে প্রভাবিত হয়ে ক্রোধান্বিত হই এবং প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠি।
এসবই নিজ নিজ মগজের ক্ষমতাকে কাজে না লাগিয়ে অন্যের মগজে ভরসা করার ফল।

আপনার ছেলের ব্যাপারে আপনি সঠিক কাজটিই করেছেন। আপনি নিজের মস্তিষ্কের বিচার-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে জ্ঞানীর পরিচয় দিয়েছেন যা আপনার সহজাত।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯

জুন বলেছেন: বিচার -বিবেচনা করার মতো শক্তি আমাদের মগজেই আছে। এই মগজের কারনেই মানুষ বুদ্ধিমান প্রানী এবং শ্রেষ্ঠ। সেই মগজে ব্যবহার না করার কারনেই আমরা অন্যের কথায় প্রভাবিত হই। কারো কথা যখন আমাদের স্বার্থের পক্ষে যায় তখন মগজকে সরিয়ে রেখে তা আমরা সহজেই বিশ্বাস করি আর প্রভাবিত হই এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ভুল করে ফেলি। বিরূদ্ধে গেলে প্রভাবিত হয়ে ক্রোধান্বিত হই এবং প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠি। আপনার এমন মন্তব্যের পর আমার আর কিছুই বলার বাকি নেই আহমেদ জী এস । এই জিনিস আমাদের রাজনীতির জগত থেকে ব্যক্তি জীবন সর্বত্রই লক্ষনীয় ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য । সব সময় পাশে থাকুন এই প্রত্যাশায়

১১| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫২

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার পোস্টের ফেসবুক গ্রুপ বিষয়ক আলোচনা নিয়ে বলছি “সমাজের যে কোনো স্তরে সেটি ইন্টারনেটে হোক আর বাস্তব সামনা সামনি - গ্রুপ মানেই সমস্যা”। বিস্তারিত লিখতে গেলে দেখা যাবে কারো না কারো খারাপ লাগবে। তাই এখানেই সমাপ্ত।

লেখাটি ভালো লেগেছে। +++

প্রিয় ব্লগার আহমেদ জী এস বলেছেন

বিচার -বিবেচনা করার মতো শক্তি আমাদের মগজেই আছে। এই মগজের কারনেই মানুষ বুদ্ধিমান প্রানী এবং শ্রেষ্ঠ। সেই মগজে ব্যবহার না করার কারনেই আমরা অন্যের কথায় প্রভাবিত হই।



জুন ফেসবুক গ্রুপ এডমিন কি অসহায় ছিলেন?

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪

জুন বলেছেন: জুন ফেসবুক গ্রুপ এডমিন কি অসহায় ছিলেন? না তাসনিম আমাদের এডমিন বন্ধু প্নেক দৃঢ়চেতা, বন্ধু বৎসল এবং সর্বোপরি সে বায়াসড ছিল না । তাঁর স্ট্যাটাসটি এমন ছিল যা একমাত্র সে ব্যপারে সংশ্লিষ্টরাই অনুধাবন করতে পেরেছিল যা অন্যরা মনে করেছে একটি সাধারন ঘোষনা। ফলে কেউ অপমানিত বোধ করে নি ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । সাথে থাকুন সব সময় ।

১২| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০২

শায়মা বলেছেন: আপুনি,

যতই বলো তাই বলে জামিল আংকেল দূর্ব্যবহার করবে কেনো? :(

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

জুন বলেছেন: যতই বলো তাই বলে জামিল আংকেল দূর্ব্যবহার করবে কেনো আমাদেরও একই প্রশ্ন শায়মা । আমার ছেলের যাওয়ামাত্র কোন কাজের দরকার ছিল না । উনি নিজে থেকেই তাকে অনেক কিছু দিয়েছে যেমন চাল ডাল চা পাতা হলুদ মরিচ তেল আরও কি কি যেন যা আমার ছেলে সেগুলো বিলিয়ে দিয়েছে । আর নিজে থেকেই তাকে তাঁর শপে ৮ ঘন্টা কাজের জন্য বলেছে । আমরা কেউই তাকে কাজ দিতে বলি নি । সে সময় ছেলের ক্লাশ শুরু হয় নি তাই হয়তো বলেছিল। আমি অবশ্য কোনভাবেই আমার ছেলের ভেতর তাঁর প্রতি রাগ বা ঘৃনা সৃষ্টি হতে দেই নি যা প্রথম অবস্থায় কিছুটা হয়েছিল ।
যাই হোক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । তা সিডনীতে কি গান- নাচের প্রোগ্রাম ছিল নাকি অভিভাসন ?? মিররড্ডল এর পোস্টে তোমাকে উদ্দেশ্য করে একটা মন্তব্য করে এসেছি সুযোগ পেলে দেখো :)

১৩| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: জামিল সাহেবের দূর্ব্যবহার আমি মেনে নিতে পারলাম না! জামিল সাহেব হয়ত ভাল মানুষ, ভাল মানুষও ভূল করে। সে যতই খারাপ অবস্থায় থাকুক, সর্বোচ্চ বাধ্য হয়ে কাজ না দিয়ে তাকে অন্যভাবে সাহায্য করতে পারত!

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮

জুন বলেছেন: জামিল সাহেব হয়ত ভাল মানুষ, ভাল মানুষও ভূল করে। উনি আমার হাজবেন্ডের ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ড । বহু বছর প্রবাসী । তবে তাঁর বদমেজাজ সর্বজনবিদীত । কিন্ত আমার ছেলের সাথে করবে এটা আমরা ভাবিনি । সত্যি বলতে কি তাঁর কাছে আমাদের অর্থনৈতিক কোন প্রয়োজন ছিল না, ভবিষ্যতেও নেই বলেই মনে করি কাছের মানুষ । উনি যা করেছে তা নিজে থেকেই করেছেন।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে । আর আপনার গ্রীন কার্ড হওয়ার জন্য অভিনন্দন । আমাদের অ্যামেরিকার ইমিগ্রেশন ভিসার কাগজপত্র রেডি কিন্ত যাওয়ার ইচ্ছে নেই একটুও । এখনো কোন ডিসিশন নিতে পারছি না যাবো কি না ?

১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

পরনিন্দা পরচর্চায় করতে বাঙালি জাতির জুড়ি নাই!
‘পরনিন্দা পরচর্চা’


জুন আপু,
পরনিন্দা পরচর্চায় করতে বাঙালি জাতির জুড়ি নাই!
‘পরনিন্দা পরচর্চা’ বাঙালি জীবনের অঙ্গ ও সংগী।
যদিও কেবল বাঙালিরাই নয়, সব জাতির মধ্যেই
এই পরনিন্দার চর্চা রয়েছে।
রসিকরা একে সংক্ষেপে নাম
দিয়েছেন"পিএনপিসি" তবে
গবেষণায় প্রমাণিত, পরনিন্দা ও
পরচর্চা (Gossip) করা খুব একটা
খারাপ নয় যদি তা অন্য কারুর জন্য
ক্ষতির কারণ না হয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি,
গসিপ ততক্ষণই ভাল যতক্ষণ তা অন্য
কারুর জন্য ক্ষতিকারক না হয়।৷
তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের
পেছনে দোষ বর্ণনা, পরচর্চা ও
পরনিন্দা করা জঘন্যতম অপরাধ।
কোন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার
দোষত্রুটি আলোচনা নামই হলো
গিবত বা পরনিন্দা।
এ গিবত হতে পারে কথায়,
ইশারায়। আল্লাহ তাআলা গিবতকারীকে
মৃত ব্যক্তির গোশত ভক্ষণকারী হিসেবে
সাব্যস্ত করেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘হে ঈমানদারগণ!
তোমরা একে অপরের
পেছনে নিন্দা করো না।
তোমাদের কেউ কী স্বীয়
মৃত ভাইয়ের গোশত
ভক্ষণ করতে পছন্দ
করবে? বস্তুত তোমরা
তা একেবারেই ঘৃণাই
করো। (সুরা হুজরাত : আয়াত ১২)

সুতরাং মুমিন বান্দাদের
পরনিন্দা পরচর্চায় করা
থেকে বিরত থাকা জরুরী।

২৫ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২১

জুন বলেছেন: সুতরাং মুমিন বান্দাদের
পরনিন্দা পরচর্চায় করা
থেকে বিরত থাকা জরুরী।

এই বিখ্যাত হাদিস তো মুমিন মুসলমানদের জন্য সর্বোতভাবেই প্রযোজ্য নুরু ভাই কিন্ত আমরা কি তা মেনে চলি!
সুন্দর একটি কবিতার মাধ্যমে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
প্রভাবিত হওয়া বা প্রভাবিত করার মধ্যে তুলনামূলক কোনটি আপনার কাছে অধিক ক্ষতিকর মনে হয়?

আপনার ঘটনা দু'টির মাধ্যমে যে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমাদের এতো উন্নয়নের পরও আমাদের মধ্যে আত্ম উন্নয়নের যে বিশাল ব্যর্থতা রয়ে গেছে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে অন্যের কথায় প্রভাবিত হওয়ার মাধ্যমে। আমরা যখন মনে মনে হলেও দাবী করি, এই হয়েছি, সেই হয়েছি তখন নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত 'আমরা নিজেদের আত্মউন্নয়নের ক্ষেত্রে কতটুকু এগুতে পেরেছি?"

প্রভাবিত হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি কারণ ব্লগার আহমেদ জী এস ভাই খুব সুন্দর করে বলে দিয়েছেন। হ্যা, নিজের বিচার বিবেচনার শক্তি যখন আমরা হারিয়ে ফেলবো, বা বিচার বিবেচনার শক্তিকে আমরা যখন কাজে লাগাতে পারবো না তখনই আমাদের মধ্যে আশ্রয় নেয় 'প্রভাবিত' হওয়ার বদগুণ।
পাশাপাশি নিজের অযোগ্যতা, আত্মশক্তির অভাব, অবচেতনের অভ্যাস এবং নিজের দুর্বলতাও অন্যের মাধ্যমে প্রভাবিত হতে বাধ্য করে। এখানে 'বাধ্য করা' শব্দে যেন মনে করা না হয়, প্রভাবিত হওয়ার কারণে নিজে বাধ্য, বরং নিজের বিচার-বিবেচনাহীনতা, অযোগ্যতা, আত্মশক্তির অভাব, অবচেতনে থাকা এবং নিজের দুর্বলতাই অন্যের কথায় প্রভাবিত হওয়ার কারণ। একজন মানুষ যখন নিজেকে এই সকল কর্মকাণ্ডের বাহিরে নিয়ে আসতে পারবে, তখন সে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। আর অন্যের কথায় প্রভাবিত না হয়ে জীবন অতিবাহিত করা যে কতখানি শান্তির তা কেবল সেই অনুধাবন করতে পারে, যে অন্যের কথায় প্রভাবিত হয় না।

২৫ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

জুন বলেছেন: দেখেন সৈয়দ তাজুল ইসলাম প্রভাবিত আপনি ভালো কাজেও করতে পারেন, খারাপ কাজেও করতে পারেন। ভালো কাজের জন্য যদি করেন তবে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। নিজেকে নিযে যাচাই করা, বায়াসড না হয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বিচার করাই তো একজন আদর্শ মানুষের কাজ। আহমেদ জী এস এর মন্তব্য সব সময় সঠিক হয়ে থাকে।
প্রাসঙ্গিক একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।

১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার ছেলের প্রতি আপনার আচরন বা উপদেশ সঠিক ছিলো !!! তবে আমাদের উভয়পক্ষকেই সহনশীল হতে হবে !!! আমি সমস্যাগ্রস্থ বলে অন্যের উপর তার ভাব প্রকাশ করবো এমনটা ভাবার বা প্রকাশের কিছুই নাই ।

২৫ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩০

জুন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন রানার ব্লগ। আপনার কথা ঠিকই আছে তারপর ও আমি মনে করি হুট করে একজনকে খারাপ না ভাবতে। আমি চিন্তা করি উনি কেন এমন করলেন? আমি হলে কি করতাম? যাই হোক তারপরও আমরা মানুষ, ভুল চুক হতেই পারে তাই না?
মন্তব্যের মাধ্যমে সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

রায়হান চৌঃ বলেছেন: সত্যি বলতে কি নৈতিকতা, আচার- আচাররণ এটা পারিবারিক শিক্ষা, স্কুল কলেজ এটা দিতে পারেনা, তবে হাঁ স্কুল কলেজ গুলো যদি কর্পোরেট বিহেবিয়ার টা দিতে পারতো তবে আমরা খুব ভালো করতে পারতাম। চলেন একটা রিয়েল লাইফ স্টোরি বলি, খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, আমি গিয়েছিলাম আমার অফিসিয়াল আইডি রিনিউ করার জন্য ইন্ডাষ্ট্রি সার্ভিস সেন্টারে, আমি একটু তাড়াতড়ি ই গিয়েছিলাম, দু তিন মিনিট অপেক্ষা করে আশপাশে তকিয়ে দেখলাম ঐ খানকার কেউ আছে না কি ? দেখলাম একজন বাংলাদেশি আছে.... তাকে দেখলাম সে ফোনে ব্যস্ত, একটু ইন্গিতে জানতে চাইলাম কেউ আসেনাই, সে আমাকে চোখ রাঙ্গিয়ে ঘড়ি দেখয়ে একটু জোর গলায় বল্ল কয়টা বাজে ? আমি নিজের ইজ্জত বাচিয়ে সরে এলাম ঐ অফিসিয়াল ক্লিনার টার সামনে থেকে। আল্লাহর কাছে হাতজোর করে মাপ চাইলাম সকাল সকাল এই অপদস্থতার জন্য। আল্লাহর কোন হুকুম এই ঘটনার অল্প কিছুদিন পর ঐ লোক কে ট্রান্সপার করা হলো আমাদের ডিপার্টমেন্টে অফিস রুম গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য, প্রথম দিন এসে পরিচয় দিয়ে তার কাজের কথা বলে এবং সে তার কাজ নিয়মিত করে যাচ্ছে, একদিন হঠাৎ করে বলে স্যার আপনাকে কোথায় যেন দেখেছি....... আমি বিষয় টা এবং তাকে কৌশলে অ্যবোয়েট করে চলার চেষ্টা করি সব সময়।

এ কথা গুলো এ জন্য ই বল্লাম আজ সকালে পত্রিকায় দেখলাম, পাকিস্থান হাই কমিশন কে তলব / নীটিশ করা হয়েছে তাদের ফেইসবুক গ্রুপ থেকে এডিট করা বাংলাদেশ এবং পাকিস্থানের পতাকা সরানোর জন্য। এ বিষয় টি নিয়ে ব্লগে ও কিছু কিছু ব্লগার ফিল্ড খুব গরম করে রেখেছে। কি জানি ভাই আধো কি প্রয়োজন আছে এত উত্তেজনা প্রকাশ করার ? কি করে দ্বিমুখি আচারণ বয়ে চলি, কি জানি ভাই আমার কাছে কেমন যেন বিষয় টা আমার ঐ ক্লিনার এর আচারণ কে ই মনে করিয়ে দেয়।

ভালো থাকবেন আপু, আপনার ছেলে কে যে নৈতিকতা শিখানোর চেষ্টা করছেন তাতেই মা হিসেবে আপনি ধন্য।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৫

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি হয়ে গেল তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি। ভালো থাকুন সব সময়।

১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম ঠিক আপু, কখনোই চট করে ডিসিশন নেয়ায় অনেক লজ্জা জনক পরিস্থিতিতে পরে অনেকেই। এই যেমন আজকাল শুরু হয়েছে ভাইরাল কিছু দেখলেই সেটা বিলিভ করে শেয়ার পরা পক্ষ অবলম্বন করা। ইদানীং অনেক ইস্যুতেই আমরা দেখিয়ে সত্যি না জেনে এক ক্লিকে শেয়ার করে এরপর আবার দুঃখ প্রকাশ ও করে। কিন্তু ক্ষতি যা হবার তো হয়ে ই যায় ততক্ষণে।

আপনার তুলে আনা দুই ঘটনার জন্যেই ধন্যবাদ! আপনার ছেলের জন্যে ও শুভ কামনা।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৬

জুন বলেছেন: মনিরা লজ্জিত উত্তর দিতে এতটা দেরি করার জন্য। এ আমার অনিচ্ছাকৃত অপরাধ :(
তোমার জন্যও রইলো আন্তরিক শুভকামনা।

১৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:৪৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমাদের অ্যামেরিকার ইমিগ্রেশন ভিসার কাগজপত্র রেডি কিন্ত যাওয়ার ইচ্ছে নেই একটুও । এখনো কোন ডিসিশন নিতে পারছি না যাবো কি না ?

আমি জানি না আপনি কতদিনের জন্য, কেন আসবে, অবশ্যই ঘুরতে এলে ঘুরে যান নির্দ্বিধায়। খুব বড় সময়ের জন্য হলে বলব
আমি যতদূর জানি আপনি থাইল্যান্ড থাকেন, অবশ্যই থাইল্যান্ড থাকার জন্য ভাল, যেহেতু থাইল্যান্ড থাকছেন অবশ্যই আমেরিকা তেমন ভাল লাগবে না! আসলে আমি এখানে এসেছি দেশে টিকতে না পেরে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, জীবন জীবিকার তাগিদে। তবে যেহেতু কাগজ পত্র রেডি এসে পরুন, পরে চিন্তা করতে পারবেন।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১১

জুন বলেছেন: আমি জানি না আপনি কতদিনের জন্য, কেন আসবে, অবশ্যই ঘুরতে এলে ঘুরে যান নির্দ্বিধায় আমাদের ভিসাটা f4 category visa যা ভাই বোনরা করে থাকে। দেখি কি হয় শেষ পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত ইচ্ছে করছে না যেতে কাছের মানুষ। আরেক বার এসে উৎসাহিত করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫০

ফয়সাল রকি বলেছেন: আমি অপরের দ্বারা প্রভাবিত হই। খুবই দুর্বল মনস্তাত্ত্বিক জগত আমার।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৫২

জুন বলেছেন: না না না এটা কখনোই হওয়া উচিত না রকি। সব সময় অন্যের কথা শুনবেন কিন্ত সিদ্ধান্ত নিবেন নিজ বুদ্ধিতে। ভালো থাকুন অনেক অনেক। দেরি হয়ে গেল উত্তর দিতে স্যরি।

২১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

ককচক বলেছেন: কতটুকু বলতে হবে, কতটুকু করতে হবে বা কোথায় থামতে হবে সেটা অনুধাবন করতে পারলে অনেক সমস্যাই এড়িয়ে যাওয়া যায়।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২২

জুন বলেছেন: কতটুকু বলতে হবে, কতটুকু করতে হবে বা কোথায় থামতে হবে সেটা অনুধাবন করতে পারলে অনেক সমস্যাই এড়িয়ে যাওয়া যায়। আপনি যথার্থই বলেছেন ককচক । আমি অত্যন্ত দুঃখিত আপনার মন্তব্যটি দেখিনি বলে ভাই । অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য :)

২২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৮

সোহানী বলেছেন: হাঁ, ইনফ্লুয়েন্স, বায়াসড্........... শব্দগুলো এমনিতে আসেনি। যেকোন ঘটনাই সবাই নিজের মতো করে ব্যাখ্যা তৈরী করে কিন্তু আসল ব্যাখ্যাটা কেউই বিশ্লেষন করে না।

খুবই গুড়ুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে বলেছেন। এটা নিয়ে সবারই চিন্তা করা উচিত।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৬

জুন বলেছেন: খুবই গুড়ুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে বলেছেন। এটা নিয়ে সবারই চিন্তা করা উচিত। আপনি বুঝতে পেরেছেন আমি কি বলতে চেয়েছি তার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে । আমার মনে হয় বিবেকবান যারা আছে তাদের কারো কথায় প্রভাবিত না হয়ে নিজের বিচার বুদ্ধি দিয়ে বিচার করা উচিত ।
অশেষ ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য সোহানী ।

২৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:০২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মানুষকে প্রভাবিত করা খুব সহজ, যে যা শুনতে চায় তাকে তা শুনালে খুব সহজেই সে প্রভাবিত হয়ে যায়।
লেখার নিচের অংশটুকু পড়ে বুঝতে পারলাম, সত্যিই অসাধারণ আপনার বুদ্ধিমত্তা, যা সাধারণত আমাদের দেশের নারীদের মধ্যে দেখা যায় না। এখানে অন্য কোন মা হলে, কান্নাকাটি করে পুরো বাড়ি অস্থির করে তুলতো, ছেলেকে বলতো তুই এক্ষুনি দেশে চলে আয়, অথবা কোন না কোন একটি ঝামেলা পাকাইতো। কিন্তু আপনি তা না করে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করেছেন। আপনার ছেলে ভাগ্যবান এমন একজন মা পেয়ে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫২

জুন বলেছেন: আপনার প্রশংসা পেয়ে ভালো লাগলো অনেক জ্যাক স্মিথ। আসলে নিজের বিবেক আর বুদ্ধি খাটাতে হয় সব ক্ষেত্রেই।
আপনি কি প্রথম পাতায় এক্সেস পেয়েছেন? শোনেন লেখার জন্য আপনাকে বিখ্যাত লেখক হতে হবে না। যে কোন বিষয় নিয়ে দু চার লাইন লিখে যান। এই যে বৃটেনের রানী মারা গেছেন তাকে পছন্দ করুন না করুন তাকে নিয়েই না হয় দু একটা কথা লিখুন। এভাবেই আপনি দ্রুত প্রথম পাতায় আসতে পারবেন হয়তো।

২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: প্রতি উত্তরের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
না এখনো পাইনি, তবে সমস্যা নেই আমি শুধু আপনাদের পোস্টে কমেন্ট করতে পারলেই খুশি। হ্যাঁ রেগুলার লিখলে হয়তো খুব দ্রুতই প্রথম পাতায় এক্সেস পাবো। প্রথম পাতায় এক্সেস নিয়ে ব্লগে যা হচ্ছে এটা নিয়ে আর কথা না বলাই ভাল।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখলে হয়তো সারাদিনই লিখা যায়, দুই দিন আগে একটা পোস্ট লিখে কিছু একটা ভেবে পরে ডিলিট করে দিয়েছি। ভাবছি আাপাদত নতুন কোন পোস্ট দিবো না, কিছুদিন পরে হয়তো দুই একটা পোস্ট দিতে পারি, প্রথম পাতায় না আসলেও সমস্যা নেই কারণ লেখালেখিতে জড়িয়ে যাবার ইচ্ছে আমার একদমই নেই। লেখালেখি করতে গেলে ব্রেইনের উপর প্রচুর প্রেশার পরে, বিশেষ করে কবিতা; কবিতা লিখতে গেলে ব্রেইনের উপর স্ট্রীম রোলার চালাতে হয়।

ভালো থাকবেন আপি, কিছুদিন পর আবার ব্লগে ফিরবো।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪০

জুন বলেছেন: হায় জ্যাক স্মিথ ব্লগে অনিয়মিত হওয়ার জন্য আপনার মন্তব্যটি আমার চোখ এড়িয়ে গেছে। অত্যন্ত লজ্জিত আমি।
আমি প্রথম পাতায় যেন দ্রুত আসতে পারেন তার জন্য বলেছিলাম। আশাকরি আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে এতদিনে। আরেকটা কথা কবিতা লিখতে যখন ব্রেনে প্রেশার পরে তখন কষ্ট করে কবিতা নাই লিখলেন :`> আমি ব্লগে কবিতার পাঠক হিসেবে একেবারেই নীচের দিকে আছি কি না :(
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.