নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়াঙ্গনের পথে পথে

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯


মহা বান্দুলা উদ্যান
মিয়ানমার নামটি শুনলেই প্রথমেই আমাদের মনে পরে রোহিংগাদের কথা। প্রায় সাত আট লাখ শরনার্থী হয়ে আমাদের দেশে মানবেতর জীবনযাপন করছে। কবে তারা নিজ বাসভুমে ফিরে যাবে তার কোন ঠিক নেই। আমি আগের লেখাগুলোতেও উল্লেখ করেছি যে ১৮/১৯টি জাতিগোষ্ঠি অধ্যুষিত মায়ানমারের জনগনের মাঝে ঐক্যটা একটু কমই। তারা কখনো সুখী স্বাধীন নাগরিক হিসেবে জীবন যাপন করেছে কি না আমার সন্দেহ। রাজ শাসিত মিয়ানমার বৃটিশদের কলোনী হয়ে অবশেষে ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছিল। কিন্ত অল্প দিনের ভেতরই তাদের জাতির পিতা জেনারেল অং সাংকে হত্যা করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়।

একটি কাচা বাজার যেখানে ধনীরা আসে না
মাঝখানে অল্প কিছুদিন সুচি মুলত সামরিক বাহিনীর পুতুল সরকার প্রধান ছিল।তারপর আবার এক ক্যু এর মাধ্যম চীনের মদদপুষ্ট সামরিক জান্তার হাতে এখন ক্ষমতা। বিশাল আয়তনের এক দেশ, অল্প জনসংখ্যা, অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ,আর বিশাল সমুদ্র তীর নিয়ে কৌশলগত ভু-রাজনৈতিক অবস্থান স্বত্বেও কিছু অসৎ ব্যাক্তি ছাড়া সাধারন মানুষের দারিদ্রর সীমার নীচে অবস্থান করছে। তাদের দেখলে আপনার মায়া লাগবে। ভ্রমনের জন্য আদর্শ একটি দেশ আজ চুড়ান্ত দুর্দশায় পতিত ।
সাধারন দরিদ্র জনগন ফুটপাথ থেকে খাবার কিনে খাচ্ছে
সব
ধর্মীয় স্থাপনাতেই দেখেছি একই রকম দৃশ্য, সাধারন জনগন সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের মুক্তির জন্য প্রার্থনায় নিমজ্জ্বমান

এ দেশের সাধারন মানুষরা সামান্য নীচু স্তরের এবং অমানবিক কাজ যা থাইরা করে না, স্বল্প বেতনে্ সেই কাজ করার জন্য কত যে কষ্ট করে লুকিয়ে চুরিয়ে সীমানা পার হয়ে পাশবর্তী দেশ থাইল্যান্ডে আসে। ধরা পরলে কত যে হেনস্থা তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না। যাই হোক আমরা যখন বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন অসাধারন কিছু মিয়ানমারবাসীর সাথে পরিচয় হয়েছিল, তাদের সাথে এখনো আমাদের ইমেইলে যোগাযোগ আছে। সেখানে থাকার সময় এক সকালে আমরা দুজন আমাদের গাইডকে নিয়ে হেটে হেটে ইয়াংগন শহরের কেন্দ্র পরিভ্রমনে বের হই যে স্থানগুলোর কোন উল্লেখ ব্রোশিউরে ছিল না, অনেকটা আমাদের ইচ্ছেমত। রাস্তায় বের হয়ে খানিকটা এগুতেই চোখে পরলো ট্রাই শ
রেভিনিউ ডিপার্টমেন্টের সামনে দিয়ে যাওয়া এই যানবাহন অনেকটা আমাদের রিকশার মত তবে দুজন যাত্রী সামনে পেছনে দুদিকে মুখ দিয়ে বসে।
টেলিগ্রাফ অফিস
বৃটিশ নকশায় লাল রঙের দালান
এই দালানটি কিসের জানা হয় নি । তবে ছবিতে দেখা যাচ্ছে এখানে একটি বই এর দোকান আছে।
আবার ফুটপাথেও চলছে বই এর বিক্রি বাট্টা
খালি রাস্তার দুপাশে চোখ রেখে হাটছি হঠাৎ গাইড এক জায়গায় থেমে গেল। কি ব্যাপার জিজ্ঞেস করতে জানলাম এটা এক চিত্রশালা নাম লোকনাত আর্ট গ্যালারী। রাস্তার পাশেই এক দালানে এর অবস্থান। রাস্তার সাথে লাগানো গেট থেকেই কাঠের সিড়ি উঠে গেছে, সেটা বেয়ে হাজির হোলাম দোতালায়।

এই সেই চিত্রশালা নাম লোকনাত আর্ট গ্যালারি
বাড়িটি বেশ পুরনো তারপর ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আন্তরিক চেষ্টা পরিলক্ষিত হলো। দেয়ালের গায়ে বাধানো নানা রকম জল রঙ আর তৈলচিত্র। আমি একটা জিনিস এখানে খেয়াল করেছি এদেশের মানুষদের মধ্যে শিল্পপ্রীতি বেশ গভীর। তাদের সেই ভালোবাসা সেটা কাঠেই হোক, বা কঠিন শিলা পাথর থেকে মুল্যবান পাথরেই হোক কিম্বা কাপড়ের উপর আকা শিল্পকর্ম থেকে রঙ তুলিতো সবখানেই চোখে পরে।

লোকনাত আর্ট গ্যালারীতে ফ্রেমে বাধানো চমৎকার ছবি
কাঠের ফ্রেমে বাধানো, মনে হয় তৈলচিত্র
এটা মনে হয় জলরং
বিখ্যাত ইনলে লেকে পা দিয়ে নৌকা বাওয়ার আকা ছবি
লোকনাত আর্ট গ্যালারীর এই ছবিটি আমার খুব প্রিয় , আগেও মনে হয় একবার ব্যবহার করেছি

এরপর আমাদের পরবর্তী গন্তব্য মহা বান্দুলা পার্ক যাতে আছে মিয়ানমারের স্বাধীনতার স্তম্ভ। সাড়ে সাত একর জায়গা জুড়ে এই পার্কটির আগে নাম ছিল ফিচে স্কয়ার যা ছিল একটি পতিত জলাভুমি। তৎকালীন বৃটিশ কলোনী বার্মার বৃটিশ চীফ কমিনশনার ফিচের নামে ১৮৬৭ সনে এখানে এই উদ্যানটি নির্মিত হয়। মহাবান্দুলা পার্কের চারিদিক ঘিরে আছে সড়ক পথ। এছাড়াও রয়েছে কিছু গুরুত্বপুর্ন ভবন।যেমন সিটি হল, হাই কোর্ট আর ইয়াঙ্রগনের অন্যতম সন্মানিত বৌদ্ধ বিহার সুলে প্যাগোডা ।
সুলে প্যাগোডা

সিটি হল । উল্লেখ্য সিটি হল আর মহা বান্দুলা স্তম্ভের স্থপতি একই ব্যাক্তি সিথু উ তিন

জনগনের বিনোদনের জন্য নির্মিত সবুজ এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এই পার্কের মাঝখানে শ্বেত পাথরের চত্বরের উপর বৃটিশ সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিশ্বরী মহারানী ভিক্টোরিয়ার এক শ্বেত পাথরের বিশালাকার মুর্তি ছিল যা ছিল এক আর্মেনীয় বনিক সংস্থার দেয়া উপহার। কিন্ত প্রথম এংলো বার্মিজ যুদ্ধের(১৮২৪-১৮২৬)পর ১৯৩৬ সনে জনগনের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই উদ্যানের নাম পালটে রাখা হয় বান্দুলা স্কয়ার।

পাথরে বাধানো স্তম্ভের গোড়ার দিক
রাজকীয় বার্মিজ আর্মির প্রধান সমর নায়ক, মিয়ানমারবাসীদের গৌরব, এক দেশপ্রেমিক,বীরোচিত অধিনায়ক নাম মহা বান্দুলা।বার্মার বিখ্যাত রাজা বোদপায়ার সৈন্যবাহিনীর প্রধান হয়ে যিনি জয় করেছিলেন স্বাধীন দুটো রাজ্য মনিপুর আর আসাম। পরবর্তীকালে প্রথম এংলো বার্মিজ যুদ্ধের সময় ১৮২৫ সালে তিনি আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত বৃটিশ সেনাবাহিনীর হাতে মৃত্যু বরণ করেন। এমনি সাজানো গোছানো চারিদিক
১৯৪৮ সালে মিয়ানমার বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর বান্দুলা স্কয়ার থেকে রানী ভিক্টোরিয়ার মুর্তি্টি বৃটেনে ফিরিয়ে নেয়া হয়। আর সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় মিয়ানমারের স্বাধীনতার স্বরণে একটি সুউচু স্তম্ভ(অবিলিস্ক)।
আমরা দুজন এই ঐতিহাসিক স্থানটি দেখতে চাইলাম সাথী হলো গাইড।আসুন দেখে সেই বিখ্যাত উদ্যান সাথে স্বাধীনতার স্তম্ভ তবে দুঃখের বিষয় সেখানকার জনগন কাগজে কলমে স্বাধীন থেকেও আজীবন পরাধীনই রয়ে গেল।
এত দুঃখের মাঝেও দুটি মেয়েকে দেখে মন ভরে গেল ।
পান বিক্রেতা
আর একজন মডেল

সব ছবি আমার ক্যামেরা নিক্কন ডিএস এল আর ও ক্যাননে তোলা ।



মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছবি নং ১- প্লেসটা খুবই সুন্দর।
ছবি নং ২- যেখানে ধনীরা আসেনা সেখানে জীবনে বেঁচে থাকার প্রকৃত অর্থবহন করে মনে হয়। ধনীরা যেখানে যায় সেখানেই বৈষম্য বয়ে আনে।
ছবি নং ৩ - যেন আমাদের দেশেরই একটা চিত্র।
ছবি নং ৪- প্রার্থনা মনকে পবিত্র করে। ইহার চেয়ে বড় কোন মেডিটেশন নেই।
ছবি নং ৫ - এই খেটে খাওয়া মানুষ গুলোকে আমি খুব ভালোবাসি। ধনী চোর ডাকাত মিথ্যুক হিংসুক নিন্দুক এর চেয়ে এরা বেশি পবিত্র।
ছবি নং ৬- আদালত ভবনের মত বা সেন্ট্রাল গভর্মেন্টের কোন কার্যালয় মনে হচ্ছে।
ছবি নং ৭- পৃথিবীর অনেক দেশেই এটা কমন চিত্র।
ছবি নং ৮- আর্ট গ্যালারি আমার ভিষণ ভালো লাগে।
ছবি নং ৯, ১০,১১, ১২,১৩,১৪,১৫ দারুণ ছবি তুলেছেন। দেখতে খুব আকর্ষণীয়।
পানওয়ালী- হাসিটা দেখে মনে হচ্ছে কোন দুঃখ নেই। লাইফ ইজ বিউটিফুল।

শেষ ছবিঃ মডেলটা সুন্দর ♥️

চমৎকার ছবি ব্লগ, দারুন প্রেজেন্টেশন, চমৎকার বিবরণ। ছবি ব্লগ এবং ফুড ব্লগ আমার ভিষণ প্রিয়। লাভ ইউ আপু ♥️

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪

জুন বলেছেন: আপনি যে এতটা মনযোগ সহকারে আমার লেখাটি পড়েছেন তার জন্য কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না ।
আসলেও পান ওয়ালির হাসিটা ছিল নির্মল । মডেলটা আরেকটি পার্কে শ্যুট করছিল ।
ভালোলাগেছে জেনে অনেক অনেক ভালোলাগা গোফরান :)

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার লেখনির সুবাদে এক নজড়ে মিয়ানমার ঘুরে এলাম। রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও বেশ পরিপাটি একটি দেশ বলে মনে হলো। আমার ধরাণা; রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সুন্দর রাস্তা ঘাট নষ্ট করতো, আবর্জনায় ভরিয়ে তুলতো, তাই ওদের ঠিক জায়গামত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আমার কাছে, মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর সাথে রোহিঙ্গারা ঠিক যায় না, ওদের যতটা না বার্মীজ তারচেয়ে ঢের বেশি বাংলাদেশী মনে হয়।

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬

জুন বলেছেন: লোকজন কম, রাস্তাঘাট ছিমছাম জ্যাম বলতে নেই , চারিদিক মানুষজন যারা আছে তারাও সনেকা মেখে মাথায় ফুল গুজে সেজে আছে, পচুর বড় বড় নিম আর কড়ই গাছ। সত্যি আমাদের দেশের চেয়ে অনেক সুন্দর । আমার ধরাণা; রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সুন্দর রাস্তা ঘাট নষ্ট করতো, আবর্জনায় ভরিয়ে তুলতো, রোহিঙ্গারা মুলত আরাকান আর রাখাইনেই বসবাস করে। এক রোহিঙ্গার সাথে ইয়াংগুনে আলাপ হয়েছিল, পান খাওয়া তরমুজের বিচীর মত কালো কালো দাত বের করে বিশ্রী হাসি দিয়ে সে আমাকে বলছিল বাংলাদেশে তার বউ ছেলে মেয়ে আছে তারপর ও সে রাখাইনে আরও তিনটি মেয়েকে বিয়ে করেছে । আমি আর কথা বাড়াইনি কেমন গা ঘিন ঘিন করছিল কথা শুনে। রেংগুনে প্রধানত মন জাতির লোকদের বসবাস। আমরা শান প্রদেশে গিয়েও ঘুরেছি , সেখানে দুধর্ষ কাচিন আর কারেনদের সাথেও মিশেছি । ওরা বেশ অতিথিপরায়ন অন্তত আমাদের সাথে ছিল জ্যাক স্মিথ ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৭

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: সাবলিল বর্ননা পড়ে সাথে ছবি দেখতে দেখতে ডিজিটাল ভ্রমন করে ফেললাম। সত্যিই মায়ানমারের ভূ-রাজনীতি খুবই জটিল। সামরিক সরকারের চাপে সাধারন জনগনের ইচ্ছার প্রতিফলন কখনোই হয়নি দেশটিতে। অথচ তাদের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর ভর করে উন্নতির দিকে ধাবিত হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

পান বিক্রেতার ছবিটা অস্বাধারন হয়েছে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২

জুন বলেছেন: আমরা যখন চীন ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে চীনের প্রাচীর দেখাতে নিয়ে যাওয়ার সময় গাইড এক জেড কারখানায় নিয়ে গেল । গাইড জানালো সেই সমস্ত জেড মিয়ানমারের খনি থেকে অল্প দামে কিনে এনে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করে চীন । এমন করে মিয়ানমারের সমস্ত সম্পদের উপরই চীনের হাত । তাদের হুকুম ছাড়া তারা আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুই বিক্রি করতে পারে না ফুয়াদের আব্বা :(
জেডের তৈরি ফুলদানী ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য জিনিস তার মাঝে প্রমান সাইজের ঘোড়া আছে। এই ছবিটি চীনের জেড কারখানা থেকে তোলা।
হু পান বিক্রি করা মেয়েটির হাসিটি বড় অমলিন

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার। মিয়ানমার যাবার ইচ্ছে আমার বহু দিনের, যদি টুরিস্ট ভিসা পাই তাহলে যাব। আমি জানিনা সেখানে যাওয়া নিরাপদ কিনা!

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জুন বলেছেন: ট্যুরিস্ট ভিসা পেতেও তো দুদিন লাগে । আর এখন যদি আপনি আমেরিকান গ্রীন কার্ড ধারী হন তবে তো যাওয়া অনেক সহজ কাছের মানুষ । রোহিঙ্গা নিয়ে ক্যাচালে মনে হয় একটু সমস্যা থাকতে পারে কিন্ত ট্যুর ছাড়াও ব্যাবসার কাজে অনেক দেশের মানুষরা যায় । বাংলাদেশীরাও যায় । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ছবি ব্লগ ভালো হয়েছে।
দেশটিতে বেড়াতে যাবার ইচ্ছে আছে। সময় সুযোগ হয়নি এখনো।

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক ভালোলাগা রইলো জলদস্যু । সুযোগ আর নিরাপত্তা থাকলে ঘুরে আসেন । অনেক সুন্দর দেশ আমাদের মত ভ্রমন পিয়াসীদের জন্য ।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: বাজার তো আমাদের দেশের বাজারের মতই ।

পথের ধারের বইয়ের দোকান আমার সব থেকে বেশি পছন্দ । কম দামে বই পাওয়া যায় !

মডেল আফা তো দেখতে বড়ই সৌন্দর্য্য ! :D

২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২৯

জুন বলেছেন: জী প্রতিবেশী দেশতো তাই অনেক কিছুর মিল আছে অপু। মনের মত বই পেলে ফুটপাত বা দোকান কোন কিছুই আমার কাছে ব্যাপার না। মডেল মেয়েটি অনেক্ষন ধরে ফটোশ্যুট করছিল। আমি সেই ফাকে তার অনুমতি নিয়ে কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি উপভোগ করলাম।

২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩০

জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর।

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭

অপ্‌সরা বলেছেন: মিয়ানমারে তুমি না ভুমিকম্পে পড়েছিলে?

তবুও মিয়ানমার কত সুন্দর তাই না?

২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

জুন বলেছেন: তোমার মনে আছে শায়মা!! তখন আমরা শান প্রদেশের ইনলেতে। কি অবস্থা! মিয়ানমার অনেক অনেক সুন্দর বিশেষ করে প্রাকৃতিক আর ঐতিহাসিক দিকগুলো। দ্বিতীয় বারের মতো রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে আমাদের আরেকবার মিয়ানমার যাওয়ার সব প্ল্যান প্রোগ্রাম ঠিক ছিল। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আর যাওয়া হয় নি এটা আমার একটা বিশাল আফসোস।
যাইহোক একবার তবুও দেখেছি তো। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ তোমাকে। ভালো থেকো সবসময়।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

শেরজা তপন বলেছেন:
আমার খুব যাবার ইচ্ছে মিয়ানমারে! সময় সুযোগ হচ্ছে না :)
বরাবরের মত দারুন বর্ননা সহ ছবি ব্লগ!


~এ দেশের সাধারন মানুষরা সামান্য নীচু স্তরের এবং অমানবিক কাজ যা থাইরা করে না, স্বল্প বেতনে্ সেই কাজ করার জন্য কত যে কষ্ট করে লুকিয়ে চুরিয়ে সীমানা পার হয়ে পাশবর্তী দেশ থাইল্যান্ডে আসে
-এখানে কোন একটা ভুল আছে, বুঝতে সমস্যা হচ্ছে!

২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪০

জুন বলেছেন: শেরজা তপন প্রথমেই শুভকামনা রইলো আপনার আন্তরিকতা ছোয়া মন্তব্যের জন্য। আপনি তো ব্যাবসায়ী তার উপর শিপ ব্রেকিং এ, আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন প্রচুর ব্যাবসায়ী সেখানে ভিড় করেছিল তার মাঝে বাংলাদেশীরাও ছিল। আপনি পর্যটক বা ব্যাবসায়ী দুভাবেই যেতে পারেন :)
আমি বুঝতে পেরেছি আপনার কনফিউশান, আমি এদেশের মানে থাইল্যান্ডকে মিন করেছি। লেখাটা কয়েকদিন আগে থাইল্যান্ডে বসে লিখেছিলাম তাই মুখ স্যরি হাত ফস্কে এদেশ চলে এসেছে B-)
আবারও ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো বরাবরের মতই।

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




যথারীতি সমাজ আর ইতিহাসের মিশ্রনে ভ্রমন পোস্ট যা আপনার এধরনের লেখায় একটা আলাদা বৈশিষ্ট রেখে যায়।

১৮/১৯ টি জাতিগোষ্ঠি নিয়ে গড়া বার্মায় "রোহিঙ্গা"রা কেন যে মিলেমিশে সুখী -স্বাধীন নাগরিক হিসেবে থাকতে পারছেনা তা এখানে আশ্রয় নেয়া "রোহিঙ্গা"দের স্বভাব-চরিত্র দেখেই বুঝতে বাকী থাকেনা। এই সত্য কথনটি আপনি বেশ কায়দা করেই উহ্য রেখেছেন লেখায়। এটা আপনার বোধের কারিশমা।

বুঝিয়ে দিয়েছেন বার্মার মানুষদের স্বাধীনতার কথা। স্বাধীনতা স্তম্ভ আছে বটে , স্বাধীনতা নেই।

সেই যে পোস্ট দিয়ে সুন্দরী ইয়াঙ্গুন পানওয়ালীর পান খেতে গেলেন, আর তো ফেরার নাম দেখছিনে এখন পর্য্যন্ত। :P

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪২

জুন বলেছেন: প্রথমেই আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আহমেদ জী এস। এত দেরী হয়ে গেল আপনার অসম্ভব সুন্দর একটি মন্তব্যের উত্তর দিতে। আপনার মনখোলা প্রশংসা আমার লেখালেখি মানে যা ছাইপাঁশ আমি লিখি তাতে অনেক অনেক উৎসাহ যুগিয়েছে এটা আমি এক বাক্যে স্বীকার করি।
যাই হোক এই আরাকানি আর রাখাইনবাসী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কিন্ত ইয়াংগন বাসী মন জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে অনেকটাই আলাদা। কিন্ত অং সাং সুচি মন জাতি হয়েও উদার হতে পারে নি তার দেশের সকল জাতি গোষ্ঠীর প্রতি। এটাই তার দ্রুত পতনের একটা কারন বলে আমি মনে করি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সব সময়।

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

ককচক বলেছেন: মায়ানমার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

জুন বলেছেন: ২০১৫ সনে আমি মায়ানমার ঘুরে এসে বেশ কিছু পোস্ট দিয়েছি। আপনি ইচ্ছে করলে দেখতে পারেন কচকচ। বিশেষ করে বাগান নিয়ে লেখাটি, বিশ্বের বৃহদাকার বই, মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আর উত্তর দিতে দেরির জন্য দুঃখিত

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিশাল আয়তনের এক দেশ, অল্প জনসংখ্যা, অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ,আর বিশাল সমুদ্র তীর নিয়ে কৌশলগত ভু-রাজনৈতিক অবস্থান স্বত্বেও কিছু অসৎ ব্যাক্তি ছাড়া সাধারন মানুষের দারিদ্রর সীমার নীচে অবস্থান করছে। তাদের দেখলে আপনার মায়া লাগবে। ভ্রমনের জন্য আদর্শ একটি দেশ আজ চুড়ান্ত দুর্দশায় পতিত ।

এই কথা গুলো যে কী নিদারুণ সত্যি মিয়ানমারের জন্যে। আমার হাসবেন্ড ২০০৯/১০/১১ এই তিন বছর ব্যবসার কাজে বেশ কয়েকবার ভ্রমণ করেছে, ওর অভিজ্ঞতা ও এমন ই। সুন্দর ছবি আর বর্ণনা আপু :)

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

জুন বলেছেন: হ্যা মনিরা আসলেও উপরের বোল্ড করা লাইনগুলো চরম সত্য। তোমার হাজবেন্ড ব্যাবসার কাজে যেতো তখন তুমি গেলে না ক্যানো! নাকি তুমি আমার মত উড়নচণ্ডী নও :P
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো :)

১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম ইয়াঙ্গন সম্পর্কে। ইয়াঙ্গনের আগের নাম কি রেঙ্গুন? শরৎচন্দ্র যেখানে বাস করতেন সেখানে কি গিয়েছেন? উঁচু উঁচু দালানও আছে অনেক দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশীরা ওখানে কম যায় কেন?

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৬

জুন বলেছেন: জী সাড়ে চুয়াত্তর রেংগুনই ইয়াংগন,বৃটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভের পর মান্দালয় থেকে রেংগুনে রাজধানী স্থানান্তরিত হয়েছিল, এখন নেপিডোতে। অনেক জামজমক পুর্ন নেপিডো আমরা যাই নি। ভালো লাগেনা, পুরনোর মাঝেই ইতিহাসের অলিগলিতে গজুরতে ভালো লাগে।
শরতচন্দ্র মান্দালয় বাস করতেন। সেখানে আমরা ৩/৪ দিন থেকে আগা মাথা চষে বেরিয়েছি। ২০১৫ এর পোস্ট আছে মান্দালয়ের পথে পথে শিরোনামে। দেখতে পারেন।
বাংলাদেশের প্রচুর ব্যাবসায়ী সেখানে যায় তবে ধনী দেশগুলো থেকে যেমন বছরে লক্ষব্লক্ষ পর্যটক যায় তেমনি ব্যাবসায়ীরাও যায়। মিয়ানমার বিভিন্ন সম্পদ এবং ভু-রাজনৈতিক দিক থেকে অনেক সমৃদ্ধ।
ধন্যবাদ আপনাকে অনেক কথা বলে ফেললাম।

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১:২৭

জটিল ভাই বলেছেন:
অনেক রোমাঞ্চকর অনুভব করলাম।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৭

জুন বলেছেন: জটিলবাদ রইলো আর দুঃখিত দেরি করে উত্তর দেয়ার জন্য।

১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৫৫

কামাল৮০ বলেছেন: যতদিন সৃষ্টিকর্তার কাছে মুক্তি চাইবে ততদিন তাদের মুক্তি মিলবে না।যখন নিজেরাই নিজের মুক্তির জন্য চেষ্টা করবে তখন তারা মুক্তি পাবে।ছবিগুলো সুন্দর

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

জুন বলেছেন: শুধু নিজেদের দেশের সামরিক বাহিনীঈ নয় চাপ আছে চীনের, চাপ আছে ১৮/১৯টি বিভক্ত জাতিগোষ্ঠীর কামাল ৮০। উত্তর দিতে দেরি হলো অনেক দুঃখিত আমি।

১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:০০

কামাল৮০ বলেছেন: সংখ্যাটা মনে হয় আরো বেশি।কবে লিখেছেন জানি না।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০০

জুন বলেছেন: কিসের সংখ্যা ঠিক আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না :(

১৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ছবিগুলো খুবই প্রাণবন্ত লাগলো।
চমৎকার সব ছবি, চোখ জুরিয়ে যায়।

ফুটপাতে কিছু বই দেখা যায়, ওদের বাংলাদেশের মত জনপ্রীয় লেখকগন আছে? কারা কারা? জানেন কিছু?

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৪

জুন বলেছেন: ছবিগুলো ভালো লাগায় খুব খুশী হোলাম হাসান কাল বৈশাখি :)
অনেক কবি লেখক আছেন তবে তাদের নাম বলতে আমার দাত ভেংগে যাবার অবস্থা । ভাষার জন্য আমার মনে হয় না মিয়ানমারের বাইরে তাদের পরিচিতি খুব বেশ। তবে বৃটিশ কলোনী থাকায় তারা প্রায় সকলেই ইংরেজী ভাষায় ফ্লুয়েন্ট কথা বলতে লিখতে পারে ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সাথে থেকে উৎসাহিত করার জন্য ।

১৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৩

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: চমৎকার সচিত্র পোস্ট!
পড়ে দুটো জিনিস সহজেই বুঝলাম, ১। সামরিক জান্তার অধীন মায়ানমারের জনগণ আসলেই স্বাধীন নয়। ২। দেশটি অনেক সুন্দর।
প্রথমটির জন্য দুঃখ লাগে। অং সানের পর কার্যতই মায়ানমার চীনের মদদপুষ্ট সামরিক বাহিনী দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। যা সেখানকার জনগণের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়।
দ্বিতীয়তঃ দেশটি অনেক সুন্দর। দেখার মতো অনেক কিছুই সেখানে রয়েছে। আপনার তোলা ছবিগুলোই তার সাক্ষ্য বহন করে। আর্ট গ্যালারী দেখে সেখানে যাবার লোভ যেন বেড়েই গেল আমার।
মায়ানমার ভ্রমণ নিয়ে আপনার স্মৃতিচারণমূলক আরো কিছু পোস্ট প্রত্যাশা করি।
সুন্দর সাবলীল পোস্টটির জন্য নেক ধন্যবাদ।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জুন বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনার চমৎকার মন্তব্যের জবাব দিতে অনেক দেরি করার জন্য। আসলে অত্যন্ত ব্যাস্ততার জন্য যেনতেন করে একটা জবাব আমি দিতে চাইনি সেতু। আসলেই মিয়ানমার আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে বিশেষ করে আরাকান পর্বত এর ওই পাশে যেমন মান্দালয়, বাগান, ইয়াংগন (রেংগুন), ইনলে। এসব এলাকাগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। আর মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া বিশাল ইরাবতী নদী। এছাড়াও আছে বিশাল বিশাল কড়ই আর নিম সেগুন সহ অনেক গাছ গাছালী যা আমরা কেটেকুটে ধ্বংস করেছি।
আর্ট গ্যালারি ছাড়াও রাস্তার পাশে অনেক দোকান আছে যাতে আছে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি। আমি একটা কিনে এনেছি কাগজের উপর আঠার সাহায্যে ইরাবতী নদীর বালি লাগিয়ে তার উপর আকা ছবি। অসাধারণ।
সুযোগ পেলে একবার ঘুরে আসবেন। আমাদের দ্বিতীয়বার ভ্রমণের সব কিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর রোহিঙ্গা সমস্যায় বাতিল হয়ে যায় :(
প্রানবন্ত মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনন্যসাধারণ একটি পোস্ট। কাচা বাজার, ফুটপাথ থেকে খাবার কিনে খাবার ছবিটা আর পানবিক্রেতার ছবিটা খুবই ভালো লাগলো, আর ভ্রমনের বর্ণনাতো আছেই। বর্মিজদের শিল্পপ্রীতির কথা জানতে পেরে খুবই ভাল লাগলো।

খারাপ লাগলো রোহিঙ্গার সাথে ইয়াংগুনে আপনার আলাপ হওয়ার ঘটনাটি। এটা আমাকে শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্তের সেই সাগর পারের শঠ বাঙ্গালীটির কথা মনে করিয়ে দিল, যে বার্মায় গিয়ে বর্মিজ নারী বিয়ে করে তার সেবা, উপার্জন সবই ভোগ করে, আবার তার সাথেই প্রতারনা করে দেশে পালিয়ে আসে।

পরিশেষে আর একটি কথা, আমার ধারনা রোহিঙ্গার যত খারাপি হোক, তারপরও তাদের কে জাতি ধরে গালি দেওয়াটা বা জেনারাইজ করাটা বোধহয় ঠিক হবে না। সেটা যদি করি তাহলে উদাহরণ হিসেবে মুসলিম বলে আমাকেও সকাল বিকাল অমুসলিম প্রধান দেশে গালি খাওয়াটা সমুচিত হয়ে যায়।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

জুন বলেছেন: ওদের কাচাবাজার আমাদের মতই তবে বিক্রেতা বেশিরভাগই মহিলা, মোটামুটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আর নিজেরাও চেষ্টা করে সেজেগুজে থাকতে, নিদেনপক্ষে একটা ফুলের মালা মাথায় জড়িয়ে রাখতে।
আসলে ওই দেশের মানুষ বেশ সহজ সরল, বিভিন্ন দেশের মানুষ বিশেষ করে বাংগালীরাও তাদের সরলতার সুযোগ নিয়েছে। আমাদের যে গাইড ইয়াংগুনে ছিল সে আমাকে এক বাংলাদেশী ট্যুরিস্ট প্লাস ব্যাবসায়ী তাকে এমন কিছু বলেছে যে সে কাদতে কাদতে যখন আমাকে জানালো আমি শুনে অত্যন্ত লজ্জিত আর মর্মাহত হয়ে তাকে কিছু বলতে পারি নি।
আমেরিকা এখন রোহিঙ্গাদের আমেরিকা নিতে চায় বলে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেছেন, জাপানও নিতে চায়। নিক তাতে আমাদের উপর বোঝাটা একটু কমবে। এতদিন তো তারা টাকা পয়সা দিয়ে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্র আর পাসপোর্ট বানাতে চেষ্টা করেছে, এখন তারা এই কথা শুনে নিশ্চয়ই রোহিঙ্গা হিসেবেই থাকতে চাইবে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে সাথে দেরীতে উত্তরের জন্য অনেক দুঃখিত।

২০| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর সব ছবি ও সঙ্গে কথাগুলো। দেখে মনে হবার জো নেই যে ওরা একটি উগ্রবাদী জাতি।আর যাইহোক স্বদেশী রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালিয়ে ও‌ তাদেরকে ভিটেচ্যুত করার পর মানব সভ্যতা বিবর্জিত একটি জাতি বলেই মনে হয়।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জুন বলেছেন: পদাতিক অনেক অনেক দুঃখিত বড্ড দেরি হয়ে গেল জবাব দিতে। আসলে মিয়ানমারে ১৮/১৯টা উপজাতি। তবে সবাই উগ্রবাদী নয়। যেমন ইয়াংগনের মন জাতি যারা থাইল্যান্ডেও আছে তারা খুব নম্র ভদ্র। উগ্র হলো কারেন আর কাচিন রা, আর সবচেয়ে হলো আরাকানী আর রোহিঙ্গারা।
আজ আনন্দবাজার পত্রিকায় পড়লাম নাকি প্রথম আলোয় মনে পরছে না, মায়ানমার থেকে দলে দলে লোকজন মিজোরামে প্রবেশ করছে মিয়ানমারের সৈনিকদের অত্যাচারে। মিজোরাম আর আর মিয়ানমারের এই এলাকার জাতিরা হলো চিন /শিন। এদের উভয়েরই উভয়ের জন্য মায়া আছে মমতা আছে। মিজোরাম এর প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করছে। তারা বলেছে তারা একই জাতি।
যাইহোক অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো সাথে থাকেন বলে। অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যা মনিরা আসলেও উপরের বোল্ড করা লাইনগুলো চরম সত্য। তোমার হাজবেন্ড ব্যাবসার কাজে যেতো তখন তুমি গেলে না ক্যানো! নাকি তুমি আমার মত উড়নচণ্ডী নও :P
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো :)


আমার গুন্ডামি, আউলাবাজি উড়নচণ্ডী পনা সব ই সাইজে নিয়ে আসতে হইছে আপু। ও যখন মিয়ানমারে বিজনেস ওপেন করে কোম্পানির হয়ে - তখন আমি কিছু সময় সিঙ্গাপুরে কিছু সময় গুরগাও তে থাকি, বাচ্চারা ছোট ছিল। চাইলে ও ব্লগে এসে বৈরাগ্য দেখানো ছাড়া কিছুই করা যায় নাই।

তবে কথা হচ্ছ অস্ত্র জমা দিলে ও ট্রেনিং তো জমা দেই নাই - তাই :P

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৯

জুন বলেছেন: তবে কথা হচ্ছ অস্ত্র জমা দিলে ও ট্রেনিং তো জমা দেই নাই - তাই =p~
তাহলে শিগগিরই ঘুরে আসো পরিস্থিতি ভালো হলে। দেখতে পাবে সেই প্রাচীন একটি দেশকে যা আমাদের মত উন্নয়নের মহা সড়কে মুখ থুবড়ে পরে নাই এখনো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো মনিরা আমায় মনে রাখো বলে।

২২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার লেখা। ছবিগুলোও খুব সুন্দর। ২০০৯ সনে দুইবার মায়ানমার গিয়েছিলাম। একবার রেংগুন আর একবার মংডু- যা নিয়ে এই ব্লগেই লিখেছিলাম। বাহাদুর শা জাফরের মাজার দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৩

জুন বলেছেন: আপনার মিয়ানমার ভ্রমনের কথা শুনে খুব ভালোলাগলো । আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন প্রচুর ব্যাবসায়ী বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিল । তবে বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাবসায়ীরাও তখন সেখানে হাজির নানা রকম ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মানের সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে ।
আমরাও গিয়েছিলাম বাহাদুর শাহ জাফরের সমাধিতে আর তা নিয়ে ব্লগে আমার একটি পোস্টও আছে । আপনি হয়তো দেখেন নি ।
ভালো থাকুন নিয়মিত । শুভেচ্ছা রইলো ।

২৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাড়ির পাশের দেশ মিয়ানমার বেড়াতে যাবো যাবো করেও শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হলো না! এখন তো সেখানে সামরিক শাসন চলছে, পর্যটকদের উপর নানা রকমের নতুন নতুন বিধি নিষেধ আরোপিত হচ্ছে। আর বোধহয় কোনদিন যাওয়াই হবে না!

খুব সুন্দর ভ্রমণ পোস্ট; ছবিগুলো এবং তার বিবরণও খুব সুন্দর! + +

ওদের ট্রাই শ তে আরোহীদের বসার তরিকা টা ভালো লাগেনি। পানওয়ালির হাসিটা নির্মল!

স্বাধীনতা স্তম্ভ আছে বটে , স্বাধীনতা নেই (১০ নং মন্তব্য) - আমাদের এখনকার অবস্হাও তো তথৈবচ!

২৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৫৩

পারীজাদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো, সুযোগ হলে বেড়াতে যাবো।
ছবিগুলো খুব সুন্দর ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.