নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পশ্চিমের পথে এক গুনাহগারের পবিত্র ওমরাহ যাত্রা(২য় পর্ব)

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৫


মসজিদে কুবা, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ ) এর নিজ হাতে গড়া পৃথিবীর প্রথম মসজিদ
দ্বিতীয় দিনের ভোর শুরু হলো ফজরের নামাজ দিয়ে। মসজিদে নববীর বিখ্যাত সবুজ নরম কার্পেটে বসে দুই হাত তুলে আল্লাহর রহমত কামনা করছিল সবাই। প্রতিটি নামাজের পর আবার একটি নামাজ শুরু করতেন ইমাম সাহেব। পরে জেনেছি প্রতিটি নামাজের শেষে জানাজার নামাজ হতো। মদীনায় কেউ মারা গেলে তাকে এই মসজিদে আনা হয় জানাজা পড়ার জন্য। এত মানূষ হয়েছিল সে সময় যে স্থানীয়রা পর্যন্ত বলছিল হজ্ব ছাড়া ওমরাহয় এত মানুষ তারা আগে দেখে নি।সেই অজানা অচেনা ব্যাক্তির জন্য সেই হাজার হাজার মানুষ দু হাত তুলে মোনাজাত করতো তার সকল গুনাহ মাফের জন্য,সেই সাথে তাদের নিজেদের মৃত আত্মীয় স্বজনের জন্যও। আমরাও শরিক থাকতাম সেই নামাজে।
ওহুদের পথে
রুমে ফিরে সবাই নাস্তা খেতে যেতাম হোটেলের রেস্তোরায়। রুম ভাড়ার সাথে সকালের নাস্তা ইনক্লুড ছিল। এখানে একটা কথা উল্লেখ না করে পারছি না সেটা হলো পৃথিবীর অনেক দেশের বিভিন্ন তারকা যুক্ত হোটেলে থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছে, সাথে ব্যুফে সিস্টেমে সকালের নাস্তা তো থাকেই।সেখানে তুমি পেট ভরে যত খেতে পারো কিন্ত সাথে করে রুমে কিছু নিতে পারবে না, খুব বেশি হলে সাজানো ফলের ঝুড়ি থেকে একটা আপেল বা কমলা এমন। কিন্ত এখানে আমি যখন যথারীতি আমার প্রিয় পাউরুটি মাখন দিয়ে নাস্তা করে উঠে আসার সময় জিজ্ঞেস করলাম আমি একটা আপেল নেই ? উত্তর আসলো "তোমার যা খুশী, যত খুশী নিয়ে যাও"। আমি তো অবাক পরে জানলাম আমরা তো তাদের মেহমান। সারা জীবন শুনে এসেছি আরবরা আমাদের বলে মিসকিন কিন্ত আমার অভিজ্ঞতা ব্যাতিক্রম সেটা পরে বলছি।
বর্তমানে সেই প্রান্তরের এক কোনায় পার্কিং আর অদুরে ওহুদ পাহাড়
পরদিন সকাল নটায় আমাদের মোয়াল্লেম মদীনার কিছু বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান দেখাতে নিয়ে গেল। বিশাল এক এসি (অবশ্য সেখানে সব যানবাহনেই এসি) বাস আসলো আমাদের ১৪ জনের জন্য । ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসলাম সবাই। আমাদের এই দলের সবাই সবার পুর্ব পরিচিত তাই অস্বস্তি লাগছিলো না। ছিমছাম নিরিবিলি মদীনা শহর ঘুরে ঘুরে আমরা একটা পাহাড় ঘেরা জায়গায় আসলাম। এই হলো সেই বিখ্যাত ওহুদ যুদ্ধের ময়দান যা মসজিদে নববী থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। ইতিহাস বিখ্যাত সেই ওহুদ পাহাড়ের এক অংশ
মক্কা থেকে নবীজি মদীনায় হিজরতের পর মক্কার কুরাইশরা মদীনায় নবীজীর প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধিতে শংকিত হয়ে উঠে। তারা মুসলিমদের ধ্বংস করার জন্য ২রা হিজরীর ১৭ রমজান বদর নামে এক জায়গায় মদীনার মুসলমানদের আক্রমন করে। ভয়ংকর সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে কুরাইশরা পরাজিত হয়। তারই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ২৩ শে মার্চ ৬২৫ খৃঃ মদীনার ওহুদ প্রান্তরে কুরাইশরা আবার এক হয়। এই যুদ্ধ ইতিহাসে ওহুদের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে আমাদের প্রিয় নবী করিম সা. তাঁর নিজ গোত্রের কাছ থেকেই ভয়াবহ আক্রমণের শিকার হন। যেই আক্রমন মদীনার মুসলমানদেরকে বিপর্যস্ত করে ফেলে।
এই যুদ্ধেের সাথে জড়িয়ে আছে ইসলামের ইতিহাসের অজস্র স্মৃতি, ত্যাগ, শিক্ষা, যুদ্ধকৌশল,মুনাফিকের ধোঁকা সহ আরো অনেক ঘটনা। এক কথায় ওহুদের যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা, তাই ইসলামের ইতিহাসে এই যুদ্ধটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি যুদ্ধ। ইতিহাসে বহুবার পড়া সেই ঘাসহীন লাল মাটির ওহুদ প্রান্তরে যাকে ঘিরে আছে রুক্ষ লাল পাথরের ওহুদ পাহাড়। সেই মাটিতে বসে দুই একজন বৃদ্ধ মহিলা খেজুর, মরিয়ম ফুল আর কবুতরকে দেয়ার জন্য গমের দানা বিক্রি করছিল। আমি বিনা প্রয়োজনেই একটা ডুমুরের মালা কিনলাম। আর কবুতরের জন্য খাবার।

সেই ওহুদের বিরান প্রান্তরে এক ভদ্রমহিলা কবুতরকে খাবার দিচ্ছে
পোড়ামাটির ময়দানে দাঁড়িয়ে মনটা বিষন্ন হয়ে উঠলো। বই এ পড়েছিলাম সংখ্যায় কম হওয়া সত্ত্বেও ওহুদের যুদ্ধে মুসলিমরা প্রথমদিকে সাফল্য লাভ করেছিল এবং মক্কার সৈনিকরা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছিল। বিজয়ের খুব কাছাকাছি থাকা অবস্থায় মুসলিম বাহিনীর কিছু অংশের ভুল পদক্ষেপের কারণে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায়। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মুসলিম তীরন্দাজদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে ফলাফল যাই হোক কেন তারা যেন যুদ্ধের ময়দানের পেছনে থাকা ছোট একটি পাহাড় নাম জাবালে রুমা থেকে যেন সরে না আসে। আরবী ভাষায় জাবাল মানে পাহাড়। জাবালে রুমা
কিন্তু সেই সাহাবীরা হজরতের নির্দেশ অমান্য করে অবস্থান ত্যাগ করার পর মক্কার কুরাইশ বাহিনীর অজেয় সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ যিনি তার জীবনের ১০০ টি যুদ্ধের প্রতিটিতে জয়ী হয়েছিলেন তিনি মদীনার মুসলিমদের উপর নির্দয় ভাবে ঝাপিয়ে পরে তাদের হত্যা করেন। এই নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বীর যোদ্ধা হামজা বিন মুত্তালিব যাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই হামজা ছিলেন যেন ট্রয়ের হেক্টর, লংকার মেঘনাদ। সম্পর্কে আপন চাচা এবং বাল্যবন্ধু হামজার মৃত্যু নবীজীর জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক ছিল। এই যুদ্ধে রসুল(সঃ ) নিজেও আহত হয়েছিলেন। এরপর মুসলিমরা উহুদ পর্বতের দিকে পিছু হটে আসে। মক্কার বাহিনী মক্কায় ফিরে যায়। অবশ্য পরে খালিদ বিন ওয়ালিদ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মুসলমান বাহিনীর সেনাপতি হিসেবে সব যুদ্ধেই জয়ী হয়েছিলেন।
ওহুদের প্রান্তরে এই সেই কবরস্থান যেখানে শুয়ে আছেন বীর হামজা সহ অনেক শহীদ
এই ময়দানের কিছুটা অংশ উচু রেলিং দিয়ে ঘেরা মাঝখানে শিক দিয়ে চৌকো করা নকশা। আমরা জানলাম এখানে আছে হামজা বিন মুত্তালিব ছাড়াও দশ হাজার সাহাবীর কবর। মেয়েদের কবরস্থানে যাওয়ার নিয়ম নেই তাই আমরা উকি ঝুকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলাম। সমান লাল বালুময় মাটি আর কাকর বেছানো সেই কবরস্থানে কোন চিনহ বা সৌধ নেই। শুধু কিছু বড় বড় পাথরের টুকরো দিয়ে ঘেরাও করা ।
মসজিদে কিবলাতাইন বা দুই কিবলার মসজিদ
এরপর আমাদের গন্তব্য ছিল মসজিদে কিবলাতাইন অর্থাৎ দুই কিবলার মসজিদ । এই মসজিদেই প্রিয়নবীর (সা: ) এক দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছিল। এখানে নামাজ পড়ার সময়ই নবীজির কাছে কিবলা পরিবর্তনের নির্দেশের ওহি আসে। কিবলা পরিবর্তন সম্পর্কিত পবিত্র কোরআনের আয়াত অবতীর্ণ হয়।
ইরশাদ হয়, “ নিশ্চয় আমি আপনার মুখ বার বার আকাশের দিকে উঠতে দেখছি। সুতরাং আমি অবশ্যয় আপনাকে এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দেব যা আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি আপনার মুখ মসজিদুল হারামের দিকে ফিরান” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৪৪)।
এরপর রাসূল সা. নামাজরত অবস্থায় বাইতুল মুকাদ্দাসের দিক থেকে কাবার দিকে ফিরে যান। তার সাথে জামাতে নামাজে দাঁড়ানো মুসল্লিরাও ফিরে যায়। একই মসজিদে দাঁড়িয়ে যেহেতু হুজুরে পাক সাঃ দুই কিবলার দিকে মুখ করে নামাজ পড়েছিলেন তাই এই মসজিদের নাম ‘মসজিদে কিবলাতাইন’ বা ‘দুই কিবলার মসজিদ’ রাখা হয়েছে।

দুই কিবলার মসজিদ কিবলাতাইন
এখানে আমরা সবাই বাস থেকে নেমে মহিলা পুরুষরা আলাদা লাইনে সারিবদ্ধভাবে মসজিদে প্রবেশ করি। এরপর ওযু করে দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করি। মনটা এত প্রশান্ত ছিল যে এখানে আসার সৌভাগ্য হয়েছে যেখানে আমাদের নবীজি নামাজ পরেছিলেন, আবার উদ্ববিগ্নও ছিলাম আল্লহ রাব্বুল আল আমীন কি আমার শত শত গুনাহ মাফ করবেন ?
৬টি গম্বুজ আর ৪টি মিনারের কিছু অংশ

মসজিদে কুবা, পৃথিবীর প্রথম মসজিদ
শেষ গন্তব্য ছিল মসজিদে কুবা,পৃথীবীর বুকে প্রথম নির্মিত মসজিদ। মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর মদিনার অদূরে কুবায় থাকা কালে এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। এর আগে মক্কায় তিনি কোনো মসজিদ নির্মাণ করেননি। ৬টি গম্বুজ আর ৪টি মিনার সহ এই মসজিদের অবস্থান চতুর্থ। অর্থাৎ মক্কা, মদীনা আর আল আকসার পরই এই মসজিদ কুবা। অত্যন্ত তাৎপর্যপুর্ন এই মসজিদটি দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ সেই দয়াময়ের কাছে যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন ।

চলবে
ছবি ঃ জাবাল রুমা ছাড়া বাকিগুলো আমার মোবাইলে ।
পশ্চিমের পথে এক গুনাহগারের পবিত্র ওমরাহ যাত্রা(তৃতীয় পর্ব)

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪০

করুণাধারা বলেছেন: সামু খুলেই এই পোস্ট নজরে পড়তেই লগইন করলাম। অনেক দিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে জুন। কেন যে আমার ধারণা হয়েছিল আপনি হয়তো অসুস্থ, তাই ব্লগে অনুপস্থিত! আল্লাহকে শুকরিয়া, আপনি ভালো আছেন। ভালো থাকুন। আবার পরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

জুন বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে দেখে কত যে খুশী হয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না করুনাধারা । আমি অসুস্থ ছিলাম না তবে মদীনা থেকে মক্কা আসার আগে আমি অসুস্থ হই যা এখনো ভোগাচ্ছে আমাকে । আবার আসবেন জেনে ভালোলাগলো । আশাকরি এই লেখার প্রথম পর্বটি পড়বেন সেই প্রত্যাশা রইলো । ভালো থাকুন অনেক অনেক ।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপা।
মক্কা মদিনা যাওয়ার ইচ্ছা আমারো আছে।

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬

জুন বলেছেন: আশাকরি শীঘ্রই যেতে পারবেন হাসান কালবৈশাখি । অনেক ভালোলাগবে দেখবেন ।মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ২০১৭ সালে গিয়েছিলাম আমরা। পাহাড়গুলিতে কোন গাছপালা নেই শুধুই পাথর। আমাদেরকে নিকটস্থ একটা খেজুর বাগানে নিয়ে গিয়েছিল। মরূদ্যানগুলি খুব সুন্দর। একেকটা খেজুর গাছ তাল গাছের মত মোটা আর প্রচুর খেজুর ধরে।

মাদিনায় থাকাকালীন সময়ে পরবর্তীতে জীনের পাহাড়ে গিয়েছিলেন কি?

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জুন বলেছেন: ২০১৭ সালে গিয়েছিলাম আমরা। পাহাড়গুলিতে কোন গাছপালা নেই শুধুই পাথর। এখনো সেই লাল রুক্ষ পাথর । তবে মক্কা থেকে জেদ্দা আসার সময় আমরা অনেক পাহাড়কে সবুজ আবৃত দেখেছি যা সত্যি বিস্ময়কর । দেখেছি বেগুনী ফুলে আবৃত মরু ।
তবে আমি ও আমার স্বামী কোন খেজুর বাফান বা মরুদ্যানে যাইনি আমাদের সফর সংগীরা গিয়েছিলেন। আমাদের না যাওয়ার কারন আমার অসুস্থতা। আমরা অনেক মরুদ্যান ও খেজুর বাগান ইজিপ্টে দেখেছি।
না জ্বীনের পাহাড়ে যাইনি সাড়ে চুয়াত্তর। তবে যাবার ইচ্ছে ছিল খুব কিন্ত আমাদের সহযাত্রীদের ইচ্ছে না থাকা আর সময়ের জন্য হয়ে উঠেনি। তবে আগামীতে যদি যাবার তৌফিক হয় তবে যাবো ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকুন ।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: বাহ! ছবি সহ বিবারন চমৎকার হয়েছে। আমাদের জন্য খেজুর নিয়ে আসবেন। খেজুর যে কতো মজাদার তা আম্মার আনা খেজুর খেয়ে বুঝেছি।

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

জুন বলেছেন: লেখাটির প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ জানবেন রানার ব্লগ । আমি তো মার্চের প্রথম সপ্তাহেই এসেছি, আগে জানলে অবশ্যই আনতাম। আসলেই সেখানকার তাজা খেজুর অনেক মজার ।

আপনারা সবাই এর মাঝে অনেক কিছু লিখেছেন কিন্ত আপনাদের ব্লগ বাড়িতে যাবার আমার সৌভাগ্য হয় নি এখনো । তবে অবশ্যই যাবো। ভালো থাকুন অনেক অনেক । আগামী পর্বেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আজকে এক বান্দার ঐতিহাসিক ওহুদের প্রান্তরের সেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা বর্ননার মধ্যে দিয়ে একজন পাঠক হিসেবে যেন ফিরে গেলাম সেই সপ্তম শতকের ঘটনায়। পড়লাম খালিদ বিন ওয়ালিদের নৃশংসতা যদিও পরে নিজেই আবার ঈমান আনেন ইসলামে।এ এক অশেষ কুদরত।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

জুন বলেছেন: পদাতিক এই সিরিজের প্রথম পোস্ট থেকেই সাথে আছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ওহুদের যুদ্ধ বদরের যুদ্ধ এসব শুধু নামই পড়েছি। কিন্ত সেই ময়দানে দাঁড়িয়ে তখন কার কথা মনে করে কেমন যেন লাগছিল। মনে হচ্ছিল এখানেই জিতে যাওয়া মুসলিমরা নিজেদের সামান্য ভুলে কি ভাবে পর্যদুস্ত হলো কোরাইশদের কাছে। কিভাবে বীর হামজা নৃশংস ভাবে নিহত হলেন, তার মৃতদেহের সাথে মক্কাবাসীর নিষ্ঠুর আচরনের কাহিনি শুনে মনে পরলো ট্রয়ের যুদ্ধের সেই বীর যোদ্ধা হেক্টর এর কথা। কি অপমানজনক ভাবেই না তার মৃতদেহের সাথে অমানবিক আচরন করেছিল গ্রীকরা।
যাই হোক গুনী একজন পাঠক হিসেবে সাথে আছেন জেনে ভরষা পাই লেখার পদাতিক। অনেক অনেক ভালো থাকুন বাসার সব্বাইকে নিয়ে। শুভকামনা রইলো।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

শায়মা বলেছেন: ওহ এই কারণেই তোমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না আপুনি! :)

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

জুন বলেছেন: তুমি কি আর আমাকে সত্যি সত্যি খুজেছিলে :-* যদি খুজতে তবে তুমি একমাত্র যে আমাকে সত্যিই খুজে পেতে :)
আমার লেখাটি পড়েছো নাকি শুধু আমাকেই পেয়েছো জানিনা তবে যাই হোক তার জন্য এত্তগুলা ধন্যবাদ তোমাকে শায়মা।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১২

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়ে বিয়ে দিয়ে তারপর হজ্ব করবো।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪

জুন বলেছেন: ওইখানে দেখলাম অন্যান্য দেশের অনেক মানুষ ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে ওমরাহ করছে। হজ্বও করে থাকে বাচ্চা নিয়ে। যাই হোক যখনই যান আল্লাহ যেন আপনার নিয়ত কবুল করেন। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: একটা ছবিতে বোরকা পরা একজনকে দেখা যাচ্ছে। সেটা কি আপনি?

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫

জুন বলেছেন: না সে আমি নই, আমি হিজাব পরা ছিলাম।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪২

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনার আগের পোস্টটাও পড়ে চলে গেছিলাম, বিভিন্ন কারনে মন্তব্য করা হয়নি।

আপনার লেখা পড়তে পড়তে মনে পড়ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের কথা,যখন আমরা দু'জন গিয়েছিলাম। তবে আফসোস হয় আরেকটু সময় নিয়ে কেন গেলাম না।

আমি সব সময় বলি কেউ যদি মক্কা মদিনায় যান তবে অবশ্যই যেন তায়েফ যান এবং সেটা দুপুরে রওনা দিয়ে রাতে ফিরতে তবে দুই রকম সৌন্দর্য পাওয়া যায়। আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছিল।

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৫

জুন বলেছেন: কেন নীল দর্পন! পড়ে চলে গেলেন কিছু বলে গেলেন না! মনে হয় কোন জরুরি কাজ ছিল আপনার।
আপনার সাথে আমিও একমত, আমারও খুব ভালো লেগেছে মক্কা মদিনা আর জেদ্দা। তায়েফ যাবার সৌভাগ্য হয় নি তবে আমাদের গ্রুপের কয়েকজন গিয়েছিল। তাদের মুখে শুনেছি তায়েফের অসাধারণ সৌন্দর্যর কথা। সামনে আবার যাবার ইচ্ছে আছে তখন চেষ্টা করবো যদি আল্লাহ তৌফিক দেন।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার লেখার শিরোনামটা পছন্দ হচ্ছে না; ব্লগে থাকার সময় আপনি ভ্রমণ করতেন, সেটা নিয়ে লিখতেন, সাধারণ মানুষ বলে মনে হতো; আপনি গুনাহ করলেন কখন? কি কি গুনাহ করেছেন?

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৭

জুন বলেছেন: শিরোনাম পছন্দ হয় নি! কি করবো বলুন আমার কাছে যা ভালো লেগেছে তাই দিয়েছি। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মাশাআল্লাহ এবং আলহামদুলিল্লাহ। ছবি, ইতিহাস আর বর্ণনার মিশেলে চমৎকার পোস্ট। পবিত্র রমজান মাস চলছে, আল্লাহ আমাদের সকলের ছোট বড় জানা অজানা সকল গুণাহ মাফ করুন। আমীন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৯

জুন বলেছেন: পবিত্র রমজান মাস চলছে, আল্লাহ আমাদের সকলের ছোট বড় জানা অজানা সকল গুণাহ মাফ করুন। আমীন। আমিও তাই মনে করি বোকা মানুষ। অনেক দিন পর আপনাকে আমার পোস্টে দেখে খুব ভালো লাগলো। সাথে থাকবেন আগামী পর্বেও। শুভকামনা সবসময়।

১২| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসাধারণ ভালোবাসার নিপুন তুলির স্পর্শে ভ্রমণ বৃত্তান্তের ছবিগুলো একটার পর একটা এঁকে গিয়েছেন! প্রতিটি লাইন পড়ছিলাম আর একটার পর একটা দৃশ্যপট যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো! সত্যিই অসাধারণ!!

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩০

জুন বলেছেন: এত আন্তরিক আর সুন্দর একটি মন্তব্যে আমি আপ্লুত। অনেক অনেক ভালো থাকুন গেয়োভুত। সাথে থাকবেন আগামী পর্বেও সেই প্রত্যাশা রইলো।

১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে পশ্চিমে গেলে মক্কা না গিয়ে ভুল পথে চলে যাবো।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩২

জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তর ১৫ নং মন্তব্যে সাড়ে চুয়াত্তর দিয়েছে। তাই আমি আর কিছু বলি না। ভালো থাকুন সব সময় আর সাথে থাকুন সকল লেখায়।

১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার পোস্ট পেয়ে ভালো লাগল। ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক দিন পর দেখে ভালো লাগলো গোফরান। আশাকরি ভালো ছিলেন। ভালো থাকুন সব সময় সাথে থাকুন সকল লেখায়।

১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কামাল ১৮- পৃথিবী গোল তাই আপনি পশ্চিমে একটু বেশী পরিমানে গেলে ঘুরে ঘুরে মদিনায় পৌঁছে যাবেন। :)

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আশাকরি ব্লগার কামাল ১৮ মজা করে বলেছেন কথাটি।

১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১৫

পন্নি নদীর পুত্র বলেছেন: কিবলাতাইন নয় কিবলায়ে ইতনিন

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

জুন বলেছেন: আমি যা জানি বা পড়েছি শুনেছি তাই লিখেছি। আপনি ভালো জানেন আপনি কি লিখেছেন বা জানেন। আমার ব্লগে স্বাগত রইলো। ধন্যবাদ।

১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২১

পন্নি নদীর পুত্র বলেছেন: জাবালে রুম নয়। জাবাল আল নুর। যেটা হেযাযে অবস্থিত

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

জুন বলেছেন: এই ছোট পাহাড় এর নাম জেবেল বা জাবাল এ রুমা যা মদীনার ওহুদ পাহাড়ের কাছে অবস্থিত । আর আপনি যার কথা বলছেন জেবেলে নর সেটা মক্কায় আর এই জেবেল এ নুর পাহাড়ের হেরা গুহাতেই নবীজী নবুয়ত প্রাপ্ত হয়েছিলেন।
আর আপনার জন্য আরেকটি তথ্য সেটা হলো সৌদি আরব এর পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে যে প্রদেশ তা পুরোটার নামই হেযাজ। হেজাজে মক্কা, মদীনা, জেদ্দা, তায়েফ সহ আরও উল্লেখযোগ্য নগরী আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৮

জিকোব্লগ বলেছেন:



মদিনায় মুসলিমদের জন্য স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন।
আপনার এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে উহুদ পাহাড় , মসজিদে কুবা , মসজিদে
কিবলাতাইন, সাত মসজিদ, ওয়াদি জ্বিন, বিরে উসমান ঘুরে আসার পুরান
স্মৃতি গুলো মনে পড়লো। আঁকাবাঁকা পাথুরে পথ দিয়ে উহুদ পাহাড়ের উপরে উঠে
বেশ ভালো লেগেছিল। নিচে উহুদ পাহাড়ের উপরে থেকে আমার তোলা একটা
ছবি দিলাম।

উহুদ পাহাড়ের উপরে থেকে মদিনা শহর

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৭

জুন বলেছেন: সব সময় অসাধারণ আর আন্তরিক মন্তব্য দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করছেন জিকো ব্লগ তার জন্য কি বলে আপনাকে ধন্যবাদ জানাবো ভাবছি। আমি সত্যি ভাবিনি আপনারা সবাই এতটা আগ্রহ নিয়ে আমার এই লেখাটি পড়বেন।
আমিও যাবার আগে শুধু ধর্মীয় দিকটার কথাই ভেবেছি কিন্ত সেখানকার ইতিহাস ও প্রকৃতিও যে এত ইন্টারেস্টিং হবে তা ভাবি নি।
জ্বীনের পাহাড়ে যাবার আমারও অনেক উৎসাহ ছিল কিন্ত আমার সহযাত্রীরা বেশিরভাগইব্রাজী হয় নি। আর ওহুদ পাহাড়ে আমার চড়া হয় নি। আপনার দেয়া ছবি দেখে খুব ভালো লাগলো।
সামনের আর দু একটা পর্বেও সাথে থাকবেন সেই আশা করি।

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




হজ করা নিয়ে প্রায় সব লেখাতেই প্রথাগত ভাবে কাবা শরীফের ছবি চলে আসে। আপনার এই লেখাটি সেখানে ব্যতিক্রম। যদিও এই দুই পর্বে মদীনা শহরের কথা ও বিভিন্ন ইতিহাস নিয়ে লিখলেও শুরুতে হজের কথায় কাবা শরীফের ছবিই আসার কথা ছিলো অন্য অনেকের মতো। তা হয়নি। পাশাপাশি ওমরাহ করার খুঁটিনাটিও অনেকেই বর্ণনা করেন কিন্তু আপনি এর সাথে সাথে ইসলামের কিছু ইতিহাসও বলে গেছেন আপনার স্বভাবসিদ্ধ মতো।

আল্লাহ আপনার শত শত গুনাহ ( যদি কিছু করে থাকেন বলে আপনার মনে হয়) মাফ করুন!

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

জুন বলেছেন: মক্কা বা হজ্বের উপর লেখায় হেরেম শরিফের ছবি বাদ যাবে তাই কি হয় আহমেদ জী এস!! আমি এখনো মদীনাতেই আছি, আগামী পর্বে মক্কায় আসছি। আমি নিজের তোলা ছবি দিয়েই আমার ব্লগ সাজাতে পছন্দ করি। কিন্ত আমি যখন ওমরাহ করি তখন ছবি তোলার ব্যাপারে আমার মন মানসিকতা কিছুই ছিল না।
আপনার শেষ লাইনটাই আমার মনের কথা। দোয়া করবেন আমার ও আমার পরিবারের সবার জন্য। আমিও করি সবার জন্য। সাথে থাকুন আগামীতেও। শুভকামনা রইলো।

২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১০

কামাল১৮ বলেছেন: @সাচু, তা হলেতো যেকোন দিকে মুখ করে নামাজ পড়লেই হয়।যেটা আরজ আলী মাতুব্বর বলেছিলো বহু বছর আগে।একটা মুর্খ মানুষ হয়ে কি করে এতো জ্ঞান রাখতো।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

জুন বলেছেন: @সাচু ☹️

২১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পশ্চিমের পথে ওমরাহ পালন কালে যাত্রাপথে আপনার দেখা ঐতিহাসিক মসজিদ , গুরুত্বপুর্ণ স্থাপনা ও
ঘটনাবলীর সংখিপ্ত বিবরণ এ বিষয়ে অনেকের কৌতুহল নিবারনে বেশ সহায়ক একটি তথ্যপঞ্জি ।

এ পোষ্টে থাকা লেখার অন্যান্য বিষয়াবলীর মধ্যে কিবলা পরিবর্তনের দিকটি ইসলামের ইতিহাসে যুগান্তকারী
পরিবর্তনের ধারা যুক্ত করেছে বলেই এখন প্রতিভাত।

প্রসঙ্গক্রেমে উল্লেখ করা যায় যে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সাল্লাম কর্তৃক পবিত্র কাবা ঘর নির্মাণের ৪০ বছর
অতিক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর নাতি বনি ইসরাইলের প্রথম নবি হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সাল্লাম ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধ
শহর জেরুজালেমে মসজিদ আল-আকসা তথা বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ নির্মাণ করেন। অতঃপর হজরত সুলায়মান
আলাইহিস সাল্লাম জিন জাতির মাধ্যমে এ পবিত্র মসজিদ পুনঃনির্মাণ করেন।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে এ মসজিদটি কিছু দিনের জন্য মুসলমানদের কেবলা হিসেবে ব্যবহার হয়েছিল।
তারপরের ইতিহাস মুসলমানদের উথ্থান পতনের ইতিহাস ।

ইতিহাসের কাল পরিক্রমায় এই মসজিদটিকে ঘিরে ইয়াহুদি ও খৃষ্টানদের য়ড়যন্ত্রের কথা ইতিহাসে সুবিদিত্
একজন ইতিহাসবিদ হিসাবে এ কথা আপনি আরো বিশদভাবে জানেন । তবু বিষযটির পুনরুল্লেখ করলাম ।
১৫ জুলাই ১০৯৯ সাল। ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য এক বেদনাদায়ক দিন। সে দিন অযোগ্য মুসলিম
শাসকদের ছত্রছায়ায় খ্রিস্টান ক্রসেডার বাহিনী সমগ্র সিরিয়া ও ফিলিস্তিন দখল করে। এর পরই ঘটতে
থাকে হৃদয় বিদারক অসংখ্য ঘটনা। যা ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য বড়ই বেদনাদায়ক।

মহান আল্লাহতায়ালার অভিপ্রায়ে মুসলমানদের এ বেদনার উপসম একদিন হবেই হবে এ বিশ্বাস রাখি ।
তবে কালের প্রবাহে আমাদের জাগতিক হিসাবে যুগ যুগান্তর ধরে তা হয়তবা চলতে থাকতে পারে ।

আমাদের দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নবিজী হয়তবা বুজতে পেরেছিলেন অনাগতকালে মুসলমানদের জন্য কিবলা
হিসাবে ব্যবহৃত এই মসজিদটি নিয়ে কতই না রক্তক্ষয়ি তুলকালাম কান্ড সংগঠিত হবে ।

কেবলা পরিবর্তনের আদেশ আসার আগে থেকেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতীক্ষায় ছিলেন।
তিনি নিজেই অনুভব করছিলেন ইসরাঈল বংশীয়দের নেতৃত্বের যুগ শেষ হয়ে গেছে এবং তার সাথে সাথে
বায়তুল-মুকাদ্দাসের কেন্দ্রীয় মর্যাদা লাভেরও অবসান ঘটেছে। এখন আসল ইবরাহিমী কেবলার দিকে মুখ
ফিরানোর সময় হয়ে গেছে। কা'বা মুসলিমদের কেবলা সাব্যস্ত হোক - এটাই ছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর আন্তরিক বাসনা। তিনি এর জন্য দোআও করছিলেন। এ কারণেই তিনি বার বার আকাশের
দিকে চেয়ে দেখতেন যে, ফেরেশতা নির্দেশ নিয়ে আসছেন কি না।

ঐ মসজিদেই ইমামতি করার সময় ওহি নাযিলের মাধ্যমে মহান আল্লাহ নবিজীর মনোবাসনা পুর্ণ করেন , যা
সুরা বাকারার ১৪৪ নং আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে আপনি এই পোষ্টে তুলে ধরেছেন।বায়তুল মোকাদ্দাস যদি এখনো
কিবলা হিসাবে থেকে যেতো তাহলে তা সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্য কত যে বিবম্বনাপুর্ণ হতো তা বর্তমানের
প্রেক্ষাপটে ভাবতে কারো কোন অসুবিধা হয়না । আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের মহাবিজ্ঞতা কৃতজ্ঞতার সহিত
পুণরায় স্মরণ করি আপনার এই পোষ্টের লেখার কল্যানে ।

আল্লাহ আপনার ওমরাহ পালনের সৎমনোবাসনা সমুহ পুরণ করুন এ কামনাই করি ।

পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০

জুন বলেছেন: ড: এম এ আলী ভাই আপনার এত তথ্য সন্নিবেশিত মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে আমি অভিভূত। আমি যা লিখতে পারি নি আপনি তা আমার লেখায় তুলে ধরেছেন, করেছেন আমার লেখাকে সমৃদ্ধ। কিবলা পরিবর্তন এর ইতিহাস জানবে যারা জানতো না তারা অনেকেই জানতে পারবে।
আমার লেখার এত প্রশংসা আমি সব সময় আপনার কাছ থেকে পাই যাতে আমি সত্যি মুগ্ধ হই। সাথে থাকবেন লেখায় এই প্রত্যাশা রইলো আপনার কাছে। পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানবেন ।

২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৪১

সোহানী বলেছেন: আচ্ছা, এ কারনেই আপনাকে ব্লগে দিখা না অনেকদিন।

খুব খুব ভালো লাগলো আপনার এমন একটি ইচ্ছে পুরন দেখে।

বরাবরের মতই অসাধারন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩

জুন বলেছেন: সোহানী আপনি ভালো আছেন তো । আসলে নিজে অনেক দিন ব্লগে আসতে না পারায় কে কেমন আছে তাই জানা হয়ে উঠে না ।
আপনার প্রশংসা পেয়ে নিজেকে সতুই খুব ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। দোয়া করবেন আমাদের জন্য । আপনিও ভালো থাকুন সপরিবারে । রমজানের শুভেচ্ছা জানবেন , আর পরবর্তী পর্বেও সাথে থাকবেন এই ইচ্ছা রইলো আমার ।

২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। + +

আমি জীবনের প্রথম উমরাহ পালন করি ১৯৮৮ সালের এই এপ্রিল মাসে। তখন মক্কা-মদীনা উভয় স্থানেই কিছুদিন করে ছিলাম। জেদ্দায় একটি সরকারি কনফারেন্সে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। সেই সূত্রেই উমরাহ পালন করার সুযোগ এসেছিল। এর পরে পবিত্র হজ্জ্বব্রত পালন করি ২০০৬ সালের জানুয়ারী মাসে। সেবারেও মদিনা শরীফে গিয়েছিলাম। দু'বারই মক্কা ও মদিনার লোকজনের মধ্যকার পার্থক্য আমার চোখে প্রকটভাবে ধরা পড়ে। মদিনাবাসীর ঐতিহাসিক উপাধি 'আনসার' বা সাহায্যকারী একেবারেই যথার্থ। তারা আগত মুসল্লিদেরকে সাহায্য করার জন্য মুখিয়ে থাকে। তারা সিংহ হৃদয়ের অধিকারী। দানে দক্ষিণায় অত্যন্ত উদার। আচরণে শিষ্ট ও বিনয়ী। মদিনা ছেড়ে আসার সময় মদিনাবাসীদের জন্য মায়ার টান অনুভব করেছিলাম। তাদের জন্য অন্তর থেকে দোয়া!

মাসজিদুল ক্বিবলাতাইন এ বসে নফল নামায পড়েছিলাম, আর মহান আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন এর অসীম দয়ার কথা ভেবে অভিভূত হয়েছিলাম। সুরাহ আল বাকারা থেকে যে আয়াতটি আপনি উদ্ধৃত করেছেন, তার মানে বুঝে চোখে জল এসেছিল এই কথায়ঃ "নিশ্চয়ই আমি আপনার মুখ বারবার আকাশের দিকে উঠতে দেখেছি...."। একজন বান্দা তার রব্বের কাছে কতটা নির্ভরতার সাথে সাহায্য কামনা করেন, আর দয়াময় আল্লাহ তার বান্দা ও প্রিয় হাবীবকে কতটা ভালবেসে তা মঞ্জুর করেন! সুবহান আল্লাহ!

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬

জুন বলেছেন: আপনার প্রাসংগিক এবং একটি তথ্য সমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই । নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন খুব ভালো লাগলো । আগামী পর্বেও সাথে থাকবেন এই অনুরোথ থাকলো । ভুল ত্রুটি গুলো শুধরে দিবেন এটাই প্রত্যাশা ।
অনেক অনেক ভালো আর সুস্থ থাকুন এই দোয়া করি ।

২৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: দু'জন খেলছে দেখে মোবাইল হাতে নিলাম এমন সময় দেখা গেল আমার হাতে মোবাইল দেখে খেলা ছেড়ে আমার কাঁধের উপর এসে বসবে, ফোন নিজেই চালাতে চাইবে, না দিলে চড় মেরে ফেলবে! কিংবা একজন আরেক জনের চুল টেনে, খামচি দিয়ে কুরুক্ষেত্র বানিয়ে ফেলবে। এবার বলুন আপু আমার মন্তব্য না করে চলে যাওয়ার অপরাধ কি ক্ষমার যোগ্য? :P
আবারো আপনার ছবিগুলো দেখলাম, একই রকম ভালোলাগা নিয়ে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

জুন বলেছেন: এবার বলুন আপু আমার মন্তব্য না করে চলে যাওয়ার অপরাধ কি ক্ষমার যোগ্য? অবশ্যই অবশ্যই এরপর আমার আর কিছুই বলা সাজে না B-)
ওদের আমার অনেক অনেক আদর দিবেন । ভালো থাকুন সপরিবারে এই কামনা রইলো ।

২৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী সুন্দর বর্ণনা আপু !
আল্লাহ আমাদের নেক নিয়ত গুলো কবুল করুন আমীন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

জুন বলেছেন: ছোট্ট একটি কথায় মনটা আপ্লুত হয়ে উঠলো মনিরা । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
আমিও বলি আল্লাহ আমাদের নেক নিয়ত গুলো কবুল করুন আমীন।

২৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:



মেয়েদের কবরস্থানে যাওয়ার নিয়ম নেই

কিন্তু কেনো নেই জুনাপু।
আমিতো যাই।


২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

জুন বলেছেন: মেয়েদের তো কত কিছুতেই মানা মিররডডল :(
মন্তব্যের উত্তর দিতে এত দেরী হবে এটা আমি নিজেও ভাবতে পারি নি। অত্যন্ত লজ্জিত আমি। আসলে তীব্র তাপদাহ, রোজা আর ঈদ সব মিলিয়ে বোধহয় এই ফলাফল। সব সময় সাথে থেকে উৎসাহিত করেন তার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো সাথে চলে যাওয়া ঈদের শুভেচ্ছা।

২৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১০

শায়মা বলেছেন: সত্যি খুঁজেছিলাম মানে মিস করেছি ভেবেছিলাম কই গেছো মনে হয় ইচ্ছা করেই আসছোনা।

তবে গোয়েন্দাগিরিতে নামিনি। নামলে কি আর লুকায় থাকতে পারতে???


হা হা :P


গোয়েন্দাগিরিতে নামার সময় ছিলো না তাই পাইনি। :) নিজেই পাগলা বিজি হয়ে পড়েছিলাম আপুনি! :(

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

জুন বলেছেন: তুমিতো হলে লেডি শার্লক হোমস B-) কবর থেকেও টেনে বের করবে হয়তো। অনেক দেরি হলো উত্তর দিতে। আশাকরি তোমার বৃহত হৃদয় আমাকে ক্ষমা করবেই করবে :) চলে যাওয়া ঈদের শুভেচ্ছা জেনো।

২৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

আমি সাজিদ বলেছেন: অন্তর প্রশস্ত হলো ছবিগুলো দেখে। ঈদ মোবারক।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

জুন বলেছেন: চলে যাওয়া ঈদের শুভেচ্ছা সাজিদ। উত্তর দিতে এত দেরী হবে আমি নিজেও ভাবিনি। অনেক ভালো থাকুন।

২৯| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আগামী পর্বেও সাথে থাকবেন এই অনুরোথ থাকলো" (২৩ নং প্রতিমন্তব্য) - এইমাত্র তৃ্তীয় পর্ব পড়ে এবং সেখানে একটা মন্তব্য রেখে আসলাম। এ যাবত পঠিত সবগুলো পর্বই ভালো লেগেছে। বাকিগুলোও পড়বো যথাশীঘ্রসম্ভব।
ব্যাংককে দিন কেমন কাটাচ্ছেন?

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

জুন বলেছেন: আমি অত্যন্ত দু:খিত যে জুন মাসের মন্তব্য আজ চোখে পরলো খায়রুল আহসান। ব্যাংকক থেকে এসে আবার যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। দোয়া করবেন আমাদের জন্য। অনেক অনেক ভালো থাকুন সপরিবারে এই দুয়া করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.