নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পশ্চিমের পথে এক গুনাহগারের পবিত্র ওমরাহ যাত্রা(তৃতীয় পর্ব)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫২

মক্কার বিখ্যাত ক্লক টাওয়ার
সকাল থেকেই তোড়জোর চলছে কারন আজ আমরা নবীজীর প্রান প্রিয় সোনার মদীনা ছেড়ে মক্কা রওনা হবো পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে। মোয়াল্লেম সকালে নাস্তার সময়ই জানিয়েছিলেন আমরা যেন সকাল দশটার মধ্যে রেডি হয়ে লাগেজ নিয়ে লাউঞ্জে বসে থাকি।আমাদের জন্য রিজার্ভ বাস আসবে ঠিক দশটায়, আর সেই বাসে সাড়ে চারশ কিলোমিটার দূরে পবিত্র মক্কা নগরীতে পৌছাতে আমাদের সময় লাগবে পাক্কা সাড়ে চার ঘন্টা। দল নেতা বললেন যেতে যেতে যেহেতু দুপুর হয়ে যাবে তাই আমরা যেন সবাই হাল্কা কিছু খেয়ে নেই। সর্ব ব্যাপারে আমার পাংচুয়াল গৃহকর্তা আমাকে ধমকে টমকে লাগেজপত্র নিয়ে সকাল সাড়ে নটার মধ্যে লাউঞ্জে এনে হাজির হলো। এদিকে আমাদের সহযাত্রী কারো কোনই পাত্তা নেই,নেই মোয়াল্লেমের, এমনকি নেই বাসেরও।

মদীনার হোটেলের লাউঞ্জে মসজিদে নববীর দিক নির্দেশনা
এগারোটায় প্রায় সবাই লাউঞ্জে আসলো জানালো লিফট নাকি প্রচন্ড জ্যাম ছিল ওমরাহ যাত্রী আর তাদের লাগেজে। এদিকে আমরা অপেক্ষা করতে করতে সেই বাস আসলো বিকেল তিনটায়।আমরা নিজেদের লাগেজ চেক করার পর বাসের পেটে চালান করে দিল হোটেলের বেল বয়রা । এজেন্ট ফোনে জানালো বাস সময় মতই রওনা হয়েছিল কিন্ত মসজিদে নববীর চারিদিকে প্রচন্ড জ্যাম থাকায় দেরীর জন্য দুঃখিত। মোয়াল্লেম শুকরান শুকরান বলে বাসে উঠে আমরা সবাই উঠেছি কি না গুনে গেথে ড্রাইভারকে ইশারা করতেই বাস চলা শুরু হলো।সেই অল্প একটু জায়গার যানজট পার হতে সময় গেল ৪০ মিনিট।

মক্কার পথে
আমরা চলছি মক্কার দিকে,এই সেই মক্কা যেখানে রয়েছে কোটি কোটি মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় স্থাপনা কাবাঘর যা স্থানীয়রা বেশিরভাগই হেরেম বা হারাম শরীফ বলে উল্লেখ করে। আমরা হারাম বলতে জানি নিষিদ্ধ কিন্ত আরবী ভাষায় হারাম বা হেরেম অর্থ হলো পবিত্র। কিছুদুর চলার পর একটি মসজিদে বাস থামলো।একে বলে মিকাত মসজিদ যেখানে দু রাকাত নফল নামাজ পরে আমরা ওমরাহর নিয়ত করলাম।আমাদের সাথী ভাইরা সহ অন্যান্য সমস্ত পুরুষরাই ছিল ইহরাম পরা।এখানে নামাজ পরার কারন হলো মক্কার সীমানার বাইরে থেকে আপনাকে ইহরাম পরে পবিত্র হজ্ব বা ওমরাহর জন্য নিয়ত করতে হবে। এজন্যই বাংলাদেশের হাজীরা হজ্বের সময় হাজী ক্যাম্প থেকে ইহরাম পরে যায়। উড়ন্ত অবস্থায় একটি স্থান আছে ইহরাম পরার কিন্ত সেটা সুবিধাজনক নয়।
পথে ঘাটে ইহরাম বাধা সব পুরুষ। এদের মাঝে কে শেখ, কে ধনী কে দরিদ্র তা দেখে বোঝার উপায় নেই
দ্রুতগামী বাসের আরামদায়ক সীটে বসে জানালা দিয়ে বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখছি। আমাদের দুপাশ ঘেষে বা কখনো কিছু দূরে রুক্ষ পাহাড়ের সারি দল বেধে আমাদের সাথে যেন পবিত্র মক্কা নগরীতে ছুটে চলেছে । সৌদী আরবের ভু প্রকৃতি সম্পর্কে সব সময় শুনি মরুর শহর। কিন্ত মদীনা থেকে মক্কা সেখান থেকে জেদ্দা যেতে আমি তেমন বিশাল বিস্তৃত মরুভুমি দেখিনি । আমি দেখেছি মিশরের মরুভুমি যা সাহারার অংশ, দেখেছি ভারতের রাজস্থানের মরুভুমি যা লাল বালি ময় আর মাইলের পর মাইল বিস্তৃত। কিন্ত এখানে দেখছি সমতলের চেয়ে শক্ত পাথরের পাহাড় ঘেরা এক রুক্ষ কঠিন নগরী। আমাদের বাস সজোরে ছুটে চলেছে মক্কার পানে। মনে মনে বলছি “লাব্বায়েক, লাব্বায়েক, আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক” হে আল্লাহ আমি হাজির হতে চলেছি তোমার পবিত্র নগরীতে।
বহু বছর আগে মক্কার উদ্দেশ্যে দুর্গম পথে আদিগন্ত কাফেলার সারি (ওয়েসিস ম্যানেজমেন্ট এর সৌজন্যে নেট থেকে নেয়া)
এক সময় মানুষ মাসের পর মাস সমুদ্র পথে জাহাজে করে, অথবা ঘোড়ায় চড়ে বা দুর্গম পথ পায়ে হেটে দেশের পর দেশ পাড়ি দিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে আসতো পবিত্র হজ্ব পালন করতে। কত মানুষ পথেই মারা যেত।তাদের গোর দিয়ে বাকি সংগীরা এগিয়ে যেত তাদের লক্ষ্যে। ছুটে আসতো মৃত্যুর আগে একবার পবিত্র কাবাঘর আর নবীজীর রওজা জিয়ারত করতে।
আর এখন আমরা কয়েক ঘন্টায়
ঢাকা থেকে প্লেনে উড়ে এসে নেমেছি মদীয়ায়। এখন যাচ্ছি আরামদায়ক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাসে। তবে আরও দ্রুত চলার জন্য সৌদি সরকার নির্মান করেছে পৃথিবীর মাঝে পঞ্চম দ্রুতগতির হাইস্পীড বুলেট ট্রেন নাম আল হারামাইন এক্সপ্রেস।মক্কা থেকে মদীনা এই সাড়ে চারশ কিলোমিটার যেতে আলহারামাইন এর লাগে আড়াই ঘন্টা, বাসের লাগে সাড়ে চার ঘন্টা। আল হারামাইন অর্থ দুটি পবিত্র নগরী যা মক্কা আর মদীনাকে বুঝিয়েছে। ভাড়া অনেক বেশি বলে আমাদের অনেক সহযাত্রী রাজী হলো না ট্রেনে যেতে।ব্যাথায় কাতর সাথে প্রচন্ড ক্ষুধার্ত আমি ভাবছি ৪০/৫০ বছর আগেও মানুষ মক্কা মদীনা যাতায়ত করতো উটে চেপে বা হেটে। সময় লাগতো ৫/৬ দিন। এই রাস্তা পাড়ি দিতে হজ্ব যাত্রীদের চার পাচ দিন সময় লাগতো আর তার সাথে তো ছিলই মরুময় রুক্ষ পাথুরে পথের অবর্ননীয় কষ্ট।

রুক্ষ পাহাড়
আস্তে আস্তে রাত ঘনিয়ে আসছে মক্কা এখনো অনেক দূর,রাত যখন আটটা বাজে আমাদের বাস ড্রাইভার তার নির্ধারিত রেস্তোরায় বাস থামালো খাবার জন্য। আমরা খাই না খাই সে তো খাবেই। বাস বন্ধ করে সে চলে গেল কিন্ত মোয়াল্লেম রাজী না আমাদের এখানে খাবার ব্যাপারে। তার কথা হলো খেতে গেলে আমাদের মক্কা যেতে দেরী হবে। আমি ওনার কথা না শুনেই বাস থেকে নেমে এগিয়ে গেলাম সেই জমজমাট রেস্তোরার দিকে যেখানে শত শত মানুষ বসে খাচ্ছে, কেউবা পার্সেল। মোয়াল্লেম যদি প্রথমেই আমাদের বলতো এখানে বিশ মিনিট খাবার বিরতি তাহলে সমস্যার সমাধান। কিন্ত ওনার সিদ্ধান্তহীনতার ফলে ১ ঘন্টা দেরী হলো সেখান থেকে বের হতে। আর তারা স্বামী স্ত্রী শেষ পর্যন্ত যখন খেতে নামলো তখন আমরা বেরিয়ে আসছি খেয়েদেয়ে।
রাত দুটোর সময় ঘুম ঘুম চোখে লাব্বায়েক লাব্বায়েক আওয়াজে উঠে বসলাম । মোয়াল্লেম বল্লো ভাবী ঐ দেখেন ক্লক টাওয়ার যাতে সবুজ সুউচ্চ মিনারে বসানো ঘড়িতে সময় দেখাচ্ছে। তখনো আমরা হেরেম শরীফ থেকে ১৮ কিমি দূরে। চারিদিকে পাহাড় আর টানেল অতিক্রম করে আমাদের বাস ছুটে চলেছে সেই স্তম্ভের দিকে।

মক্কায় আমাদের হোটেলের ৬ তালার জানালা থেকে পাহাড় কেটে বানানো টানেলের ছবি
এক সময় এসে নামলাম এই টাওয়ারের পেছন দিকের পার্কিং এ। আমাদের হোটেল এই টাওয়ারেই নাম সুইসোটেল মক্কা।এখানে মোট ১৫ টা ৫ তারকা হোটেল আছে। আর এই টাওয়ার এত বিশাল বিস্তৃত যে এর মাঝে নাকি তিনটা এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং ঢুকিয়ে রাখা যায়। এসবে আমার কান ছিল না ক্লান্ত পর্যদুস্ত আমি রুম পাওয়ার জন্য বসে আছি লাউঞ্জে। অনেক কায়দা কানুন সেরে আমরা যখন রুমে উঠলাম তখন রাত বাজে সাড়ে তিনটা।আমাদের কথা ছিল রাত আটটার মধ্যে মক্কা পৌছে গেলে সেদিনই আমরা ওমরাহ পালন করবো কিন্ত সকাল থেকে চলার উপর থাকা আমাদের কারও তখন ওমরাহ পালন করার মত শারিরীক অবস্থা ছিল না। পরদিন সকালে আমরা পবিত্র ওমরাহ পালন করতে যাবো এই সিদ্ধান্ত রইলো।
ক্লক টাওয়ার যেহেতু হেরেম শরীফের আংগিনায় অবস্থিত তাই এখানের রুমে বসে নামাজ পরলেও তা হেরেম শরীফে নামাজ পরা হয়ে থাকে বলে গন্য হয়।
এই ঘড়িকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঘড়ি বলা হয়ে থাকে। রেডিয়াম দেয়া ঘড়িটির সময়ের কাটা বহু বহু দূর থেকে দেখা যায়। সেই পান্না সবুজ আলোর দিকে চাইলে মনে হয় যেন সে ডেকে ডেকে বলছে "আসো, আসো, এখানেই রয়েছে পবিত্র কাবা যার উদ্দেশ্যে তোমাদের এই সফর "
আগামীকাল সকালে কাবাঘর তাওয়াফ করবো অর্থাৎ ওমরাহ করবো ভাবতেই একটা অন্যরকম অনুভুতি হচ্ছিল। মক্কার পবিত্র মাটির উপর দন্ডায়মান পৃথিবীর পবিত্রতম ঘর কাবা শরীফ যার পানে ছুটে ছুটে আসে লাখো কোটি মুসলমান আর তার পাশেই আমি ২১ তালার উপর বসে আছি আরামকেদারায়। কেমন যেন ভয় ভয় করছিল কোন বেয়াদবী হবে ভেবে ভেবে ------
চলবে ।
উল্লেখ্য যে মক্কায় এসে বিশেষ করে কাবা শরীফের কোন ছবি তুলতে আমার মন চায় নি।তাই প্রথমটি সহ মোট চারটি ছবি পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে নেট থেকে নেয়া।
পশ্চিমের পথে এক গুনাহগারের পবিত্র ওমরাহ যাত্রা(শেষ পর্ব)

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:১০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু দোয়া করিয়েন আল্লাহ যেন আমাকেও কবুল করেন।

সেখানে গেলে নাকি পিছনের দুঃখ কষ্ট পেরেশানি কিছুই মনে থাকে না। অন্য রকম প্রশান্তি বিরাজ করে। সে জায়গা ছেড়ে নাকি আসতে মন চায় না। আপনারও এমন হয়েছে আপু?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২৭

জুন বলেছেন: অবশ্যই দোয়া করি যেন আপনি শীঘ্রই যেতে পারেন কাজী ফাতেমা। কবুল করার মালিক আল্লাহ।

আপনি যে প্রশান্তির কথা বলেছেন তা একশ ভাগ সত্য। আমি অনেক মানসিক পীড়ায় ছিলাম যা থেকে বেশ খানিকটা মুক্তি মিলেছে। এখন মনে হয় আবার কবে যাবো। আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন না আমার স্বামীকে আমি এতদিন রাজি করাতে পারি নি সেই ব্যাক্তিও বলছে চলো আবার যাই।
প্রথম মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এক অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করছেন নিশ্চয়।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

জুন বলেছেন: জী মাইদুল সরকার, সত্যি অনেক প্রশান্তি অনুভব করি আগের চেয়ে। ভালো থাকুন সবাইকে নিয়ে। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওরে বাবা এতো লেট! সাড়ে দশটার গাড়ি আসলো তিনটের সময়? আচ্ছা আপু বুলেট ট্রেনের ভাড়া কত?‌

আপনার লেখনীর সুবাদে আমরাও এসে পড়লাম মক্কাতে। আমরাও পড়ে ক্লান্ত।আজকে বিশ্রাম নিয়ে আগামীকাল আবার আপনার সঙ্গে ওমরাহে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

জুন বলেছেন: ওরে বাবা এতো লেট! সাড়ে দশটার গাড়ি আসলো তিনটের সময়? সেই অবস্থাই পদাতিক । মক্কা থেকে মদীনা ভাড়া ৩১৫ সৌদি রিয়েল । বাংলাদেশী টাকায় ২২ টাকা করে ১ রিয়েল এখন আপনি যোগ বিয়োগ করেন ভাই ।
রেস্ট নিয়া আইসেন আবার, অপেক্ষায় থাকলাম । লেখা কেমন হয়েছে বলবেন কিন্ত । আমি আমার ধর্মীয় দিকটিকে নিজের ভেতরে রেখে বাকিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি কিন্ত ।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

রানার ব্লগ বলেছেন: মক্কা থেকে মদীনা কি কোন রেল সার্ভিস আছে? থাকলে তার সুজুগ সুবিধা কেমন? এই পথে প্রায় শুনি দুর্ঘটনা ঘটে। এই তো সেদিন অনেক লোক মারা গেলো। এরা সবাই ওমরাহ করতে গিয়েছিলো।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

জুন বলেছেন: মক্কা থেকে মদীনা কি কোন রেল সার্ভিস আছে? থাকলে তার সুজুগ সুবিধা কেমন? :-*
আমি তো লিখেছি আল হারামাইন এক্সপ্রেস বুলেট ট্রেনের কথা যা পৃথিবীর পঞ্চম ফাস্টেস্ট ট্রেন। উপরে আরেকবার একটু চোখ বুলিয়ে আসেন রানার ব্লগ । বুঝি অনেক বড় লেখা আপনাদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে কিন্ত আমি তো কিছুতেই সংক্ষিপ্ত করতে পারছি না । যাই হোক আপনি প্রথম থেকেই এই পোস্টের সাথে আছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে । আগামী অর্থাৎ শেষ পর্বেও সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশা রইলো ।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: আমার বাবা ৫৪ সাল ও ৫৯ সালে হজ পালন করেছেন । ৫৪ সালে বোম্বে থেকে জাহাজে এবং ৫৯ সালে চিটাগং থেকে প্রথম জাহাজ সার্ভিসে গিয়েছিলেন । জেদ্দা থেকে উটের পিঠে আর মক্কা থেকে জিপে করে মদিনার কথা লেখা আছে । আসা যাওয়া আর হজ পালনে ২ মাসের বেশি সময় লাগত । আমিও যাব নিয়ত করেছি ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪

জুন বলেছেন: জী শাহ আজিজ তখন মানুষ এত কষ্ট করে পবিত্র হজ্ব পালন করতে যেত মনের মধ্যে এক সংকল্প নিয়ে, আল্লার রহমত কামনার জন্য নবীজীর শাফায়ত লাভের জন্য । আজতো আমার পরিচিত জনদের মুখে অহরহই শুনি ওমরাহয় যাচ্ছি বা ওমরাহ থেকে আসলাম ।কত সহজ হয়ে গেছে ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

কিরকুট বলেছেন: আশাকরি হজ্ব টাও সেরে ফেলবেন সময় করে। পবিত্র জায়গায় গেলে মন পবিত্র হয়।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৫

জুন বলেছেন: ইচ্ছে আছে , দোয়া করবেন কিরকুট ।
মন্তব্যে স্বাগতম

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন, মহান আল্লাহ পাকের কাছে চাওয়া তিনি যেন আপনার ওমরাহ কবুল করে নেন।

আর লেখা ?

বরাবরের মত চমতকার ও তথ্যবহুল। তার জন্য শুকরিয়া ।

খুব ইচছা ছিল এ রমজানে ওমরাহ করার কিন্তু হয়ে উঠেনি তবে আশা করি মহান আল্লাহ পাক অচিরেই সেই সুযোগ দিবেন। আর আমি গত দু বছর যাবত হজ নিয়ে একটা লেখা লিখতে চেষ্টা করছি যা সময় সুযোগের ও তথ্যের ব্যাপকতার কারনে শেষ হয়ে উঠছেনা। আপনার লেখা দেখে কিছুটা আশা জাগছে যেভাবেই হোক ওমরাহ যাওয়ার আগে শেষ করার।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জুন বলেছেন: মোহামমদ কামরুজজামান
আপনি লিখেছেন বোন, মহান আল্লাহ পাকের কাছে চাওয়া তিনি যেন আপনার ওমরাহ কবুল করে নেন।
আমারও এই প্রত্যাশা থাকলো যেন আপনার এই দোয়া আল্লাহপাক সহজে কবুল করে নেন ।
লেখার প্রশংসায় কে না খুশী হয় বলুন! সুতরাং আমিও খুশী হয়েছি। আসলে আমার সকল সফরের মাঝে শ্রেষ্ঠ সফর হচ্ছে এই ওমরাহ পালন করা যার মাধ্যমে কাবাঘর তাওয়াফ করার সৌভাগ্য হয়েছে। সেই মহান সময়ের সবকিছু যেন আমার মনে থাকে তাই লিখে রাখছি আর বরাবরের মত আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি ।
হজ্ব নিয়ে আপনার লেখাটি জলদি লিখে ফেলুন । চমৎকার একটি লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম । আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে । আগামী অর্থাৎ শেষ পর্বটিতে সাথে থাকবেন

৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: সৌদিতে 'হাফার আল বাতেন' এলাকায় আমি ছয় মাস ছিলাম। একদম বর্ডার এলাকা। চারিদিকে শুধু মরুভূমি। পানির বড় অভাব। দরিদ্র এলাকা।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

জুন বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করুন রাজীব নুর । বিশাল সৌদি আরবের কিছুটা জানা হোক । মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাক । আগামী অর্তাৎ শেষ পর্বে সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশা রইলো

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামে ''যাত্রা'' বানান টা কি ঠিক আছে?

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

জুন বলেছেন: মোবাইলে লিখতে গিয়ে ভুল হয়ে গেছে। ঠিক করে দিয়েছি। আমার চোখেও পরেছিল করি করি করে আর আছে?ঠিক করা হয় নি কাজের চাপে। ধন্যবাদ ত্রুটিটি দেখিয়ে দেয়ার জন্য ।

১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

আহলান বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে যায় ... ! যেতে চায় বার বার ... !

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জুন বলেছেন: যেতে চায় বার বার ...
আমারও একই অনুভুতি আহলান ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
আগামী মানে শেষ পর্বে সাথে থাকবেন

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রিয় বোন, মক্কা-মদিনার ভ্রমণ বৃত্তান্ত এত সুন্দর প্রাঞ্জল ভাষায় নিয়মিত আপডেট দিচ্ছেন, লিখাগুলো পড়ে হৃদয়-মন যার পর নাই উদ্বেলিত হয়ে উঠে, একটা অনুরোধ থাকবে আমার জন্যও দোআ করে আসবেন যাতে আল্লাহ্পাক আমাকেও মক্কা- মদিনা জিয়ারতের সৌভাগ্য দেন করেন।

সবাইকে নিয়ে সুস্থতার সাথে ফিরূন। আল্লাহ আপনাদের হায়্যাতে তাইয়্যেবা দান করুন। আমিন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জুন বলেছেন: গেয়োভুত আপনার জন্য দোয়া অর্থাৎ দুনিয়ার আত্মীয় অনাত্মীয় চেনা অচেনা সবার জন্যই দোয়া করে এসেছি । এখন আল্লাহপাক কবুল করলেই হয় ।
প্রথম থেকে সাথে আছেন দেখে অনেক ভালোলাগছে লেখাটা লিখে। আমার ধারনা ছিল লেখাটা হয়তো অপঠিতই থেকে যাবে । আপনাদের সবার উৎসাহ পেয়ে আমার ভীষন ভালোলাগছে । পরের পর্ব যা ভাবছি শেষ পর্ব হবে সেখানেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা রইলো । অনেক অনেক ধন্যবাদ ও পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা রইলো

১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার বর্ণনা। ভ্রমণ কাহিনী বর্ণনায় আপনার দক্ষতা সুবিদিত।

হেরেম শরীফ অনেকে বলে। এটা ভুল। আসলে হারাম বলা উচিত। কাবার চারপাশে কয়েক বর্গ কিলোমিটার এলাকায় অনেক কিছু করা সর্বাবস্থাতেই হারাম। এই কারণে এই এলাকাকে হারাম বলে এবং এই মসজিদের নাম মসজিদুল হারাম।

ইহরাম বলতে আসলে পোশাক বুঝায় না। ইহরাম হোল হজ্জ বা ওমরা শুরুর জন্য শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতি। এই অবস্থায় কিছু কাজ করা নিষেধ আবার কিছু কাজ করা সুন্নত, ওয়াজিব বা ফরজ। দুই রাকাত নামাজ পড়ে ইহরাম করতে হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে ইহরামের পোশাক বলা যেতে পারে। শুধু ইহরাম বললে পোশাক বুঝায় না।

সৌদি আরবে বালুর মরুভুমি কম। আমি আমার বাবার সাথে একবার দেখেছিলাম রিয়াদ থেকে অনেক দূরে গিয়ে ১৯৯২ সালে সম্ভবত। বালির মরুভুমি দেখতে পাথুরে মরুভূমির চেয়ে সুন্দর। তবে দুইটাই আসলে দুই রকম সুন্দর। সৌদি আরবের বাহহা আর আভা এলাকা অনেকটা দার্জিলিংয়ের মত। মেঘের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই এলাকায় না গেলে বিশ্বাস হবে না সৌদি আরবে এই ধরণের সবুজ পাহাড়, গাছপালা আর মেঘ আছে।

১৯৮৫ সালেও সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে মানুষ জাহাজে করে হজ্জে যেত। আমার খালা গিয়েছিলেন।

কাবা ঘর দূর অতীতে অনেকবার বন্যায় ডুবে গেছে। ১৯৪১ সালেও একবার ডুবে গিয়েছিল। এই ধরনের একটা ছবি দিলাম।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

জুন বলেছেন: প্রথম লাইনেই আপনার আন্তরিক প্রশংসায় আভিভুত সাড়ে চুয়াত্তর। আস্তে আস্তে মনে হচ্ছে লেখাটা অর্থাৎ আমার ওমরাহ পালনের অভিজ্ঞতাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করা স্বার্থক ।
হারাম আর হেরেম এর পার্থক্য বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে ইহরাম এর ব্যাপারটা । আমি শুনেছি আরবরা হারাম বলতে পবিত্রতাকে বুঝায় । আবার মেয়েদের মাথার একটি চুল বের হয়ে থাকলে বা কাবাঘরের হজরে আসওয়াদকে চুম্বন করার চেষ্টাকে হারাম হারাম বলে উল্লেখ করে । আমি একটু কনফিউজড । আগের দিনে মানুষ কত যে কষ্ট করে হজ্ব পালন করতো, নবীজীর রওজা জিয়ারত করতে যেত তা আমি এই লেখায় উল্লেখ করেছি ।
বালির মরুভুমি আমিও দেখেছি যা পৃথিবী বিখ্যাত মরুভুমি সাহারার অংশ । সেই ধুলো বালি আর আর গরমে আমার দম বন্ধ হয়ে এসেছিল । তবে মিশরে আমি অদ্ভুত সুন্দর একটি মরুভুমি দেখেছিলাম বাহারিয়ায় সাদা আর কালো মরুভুমি নামে । এই লেখাটি একটি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে আর ব্লগেও অনেক পাঠক প্রিয় হয়েছে । আপনি পড়তে চাইলে আমি লিংক দিতে পারি ।
প্রথম থেকে সাথে আছেন উৎসাহিত করছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আগামী অর্থাৎ শেষ পর্বেও থাকবেন । পবিত্র রমজানের শুভকামনা রইলো।

১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, এবং পুরো সিরিজটাই। ভ্রমণকাহিনী, কিন্তু পড়তে পড়তে মন প্রশান্তিতে ভরে যাচ্ছে। তবে অবাক লাগলো মদিনার জ্যামের কাহিনী পড়ে।

সেদিন কি লাঞ্চ বাদ পড়েছিল?

ইনশাআল্লাহ প্রতি পর্ব আবার আসবো পরে। আপাতত ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম। সাড়ে চুয়াত্তরের মন্তব্যেও প্লাস।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮

জুন বলেছেন: করুনাধারা,
আপনি কি জানেন আপনার লেখার সাথে সাথে মন্তব্যেও যে অনেক ভালোলাগা জড়িয়ে থাকে !
যদিও আপনার সুলিখিত পোস্ট থেকে আমাদের মত পাঠকরা অনেকদিন থেকেই বঞ্চিত ।

আমার লেখা ভালোলাগছে জেনে আমারও ভালোলাগছে। একে ধর্মীয় তায় সৌদী মরুর রসকষহীন রুক্ষ লেখা যে সাবার এত ভালোলাগবে আমি সত্যি ভাবতে পারি নি ।তার জন্য অজস্র ধন্যবাদ আপনাদের মত পাঠকদের।

লাঞ্চ করতে করতে ডিনারের টাইম এসে পরেছিল ।
আবার আসবেন জেনে অপেক্ষায় থাকলাম। সাথে আগামী শেষ পর্বেও সাথে থাকুন । শুভকামনা রইলো ।

১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: খেজুর আনবেন।
আমার কন্যা খেজুর পছন্দ করে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩

জুন বলেছেন: খেজুর তো রোজার আগেই বিলিয়ে দিয়েছি পরিচিত আপনজনদের মাঝে । আগে বললে তো আপনার পরীর জন্য থাকতোই । আমি অত্যন্ত দুঃখিত

১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: সিরিজের তিনটি লেখাই পড়লাম। খুব ভাল লাগলো ওমরাহ যাত্রার এই ভ্রমণ বৃত্তান্ত। আপনার ভ্রমনের বর্ণনাগুলো তো অপূর্ব বটেই, সাথে সাথে ইতিহাসের বর্ণনাগুলোও অসাধারণ। ২য় পর্বের ওহুদের যুদ্ধের বর্ণনাটি যেমন।

এই পর্বের লেখায় কেমন এক ধরণের হাহাকার ফুটে উঠেছে যেটা আমাকে খুব স্পর্শ করলো।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার মন ছুয়ে গেল শ্রাবনধারা । আপনি যে আমার এই পোস্টটি এত মনযোগ দিয়ে পড়ছেন তা জেনে অত্যন্ত খুশী হয়েছি । ইতিহাসের ছাত্রী হিসেবে সব কিছুতেই কেন জানি ইতিহাস চলে আসে আর তাতে কিছু কিছু পাঠক পছন্দ করে দেখলাম।

আগামী পর্বই শেষ পর্ব হবে , সাথে থাকবেন আশা করছি । শুভকামনা জানবেন ।

১৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:০৪

জিকোব্লগ বলেছেন:


আমার হাই স্পিড ট্রেন-এ করে মক্কা মদিনা জেদ্দা ভ্রমণ করা হয়েছে। ট্রেন গুলো
300 কিমি/ঘন্টা বেগে চলে বলে অনেক দ্রুতই গন্তব্য স্থলে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব
হয়েছে। হারামাইন হাই স্পিড ট্রেন গুলো বেশ ভালো।ফ্রান্সের TGV তে যে
অনুভূতি হয়েছিল , এই ট্রেন গুলোতে ঠিক একই ধরণের ই অনুভূতি হয়েছে।
উপরে আমার তোলা ট্রেন গুলোর একটা ছবি দিলাম। বাসের চেয়ে ট্রেনকেই
আরামদায়ক মনে হওয়ায় দূর যাত্রায় বাসে ওঠা হয় নি। তবে মক্কাতে সিটি বাস
গুলোতে ওঠা হয়েছে। অবাক করেছে যে বাস গুলোতে উঠতে কোনো টিকিট
কাটতে হয় না, মানে মক্কাতে সবার জন্যে বাসগুলো ফ্রি সার্ভিস দেয়।



মসজিদে হারামে অনেক নিমার্ন কাজ চলছে। (উপরে আমার তোলা দুটি ফটো দিলাম)
এইজন্য আমার কাছে মসজিদে হারামের চেয়ে মসজিদে নববীকেই বেশি সুন্দর মনে হয়েছে।

আপনি খুব গুছিয়ে সুন্দর করে মদিনা থেকে মক্কা ভ্রমণের কাহিনী বলছেন । পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

জুন বলেছেন: আপনার ছবিগুলো আমার পোশটকে সমৃদ্ধ করেছে জিকোব্লগ । এই হারামাইন এক্সপ্রেসেই আমার মদীনা থেকে মক্কা যাবার খুব ইচ্ছে ছিল শুধুমাত্র দ্রুত গন্তব্যে পৌছানোর জন্য। কিন্ত সহযাত্রীরা অনেকে রাজী ছিলেন না । আমি ইউরোস্টারে চড়ে রোম থেকে ভেনিস গিয়েছি এসেছি সুতরাং ট্রেনে চড়াটা আমার আকর্ষন না ।
আপনি ঠিকই বলেছেন মক্কার হারাম শরীফের দোতালায় এত নির্মান কাজ চুছে যে ধুলোবালি আর আওয়াজে পরিপুর্ন । আমারও মদীনা ভালোলেগেছে অনেক ।
আপনি খুব গুছিয়ে সুন্দর করে মদিনা থেকে মক্কা ভ্রমণের কাহিনী বলছেন । পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার এই লাইনটি পড়ে আমিও অনেক তৃপ্ত হোলাম। মনে হচ্ছে দ্বিধাদ্বন্দ নিয়ে লেখাটি আমার স্বার্থক ।
আগামী অর্থাৎ শেষ পর্বে সাথে থাকবেন অবশ্যই । পবিত্র রমজানের শুভকামনা রইলো।

১৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যারা হ্বজ করতে পারে তারা অবশ্যই ভাগ্যবান।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২৪

জুন বলেছেন: তাতো অবশ্যই মাইদুল সরকার , তবে শারিরীক ভাবে যারা সুস্থ তাদেরই গেলে ভালো ।
মন্তব্যের জয় অনেক অনেক ধন্যবাদ

১৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক মন প্রশান্ত করা একটা পোষ্ট।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হজ্ব পালন করার তৌফিক দিন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

জুন বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে হজ্ব পালন করার তৌফিক দিন। মনের কথা মনিরা ।
সাথে আছেন সিরিজের প্রথম থেকে তার জন্য মন থেকে ধন্যবাদ জানাই । আগামী অর্থাৎ শেষ পর্বে সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশায়

১৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পবিত্রতার কারণেও হারাম বলা হয় আবার সংরক্ষিত এলাকা হিসাবেও হারাম বলা হয় আবার হারাম কাজ করা যায় না এই কারণেও হারাম বলা হয়। মদিনা এবং মক্কার মসজিদ দুটিকে এই কারণে মাসজিদুল হারামাইন বলা হয়। অর্থাৎ পবিত্র মসজিদ (বহুবচন অর্থে)।

আপনি লিঙ্ক দিলে আমি আপনার লেখাটা পড়তে আগ্রহী। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন। আর দোয়া করবেন আমার জন্য।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

জুন বলেছেন: হারাম শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত বলার জন্য অশেষ ধন্যবাদ মাইদুল সরকার ।
তিন পর্বে লেখা বাহারিয়া মরুভুমি নিয়ে লেখার লিংক দিয়েছি আপনার নামাজ পোস্টে ।
আশাকরি দেখবেন । ঠকবেন না এটা বিশ্বাস আছে।

২০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৬:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




দেশ থেকে দূরে গিয়েও ঢাকার মতো জ্যামে পড়েছেন !!!!!! অবাক লাগলো।
আপনার এই পোস্টের কারনেই সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্য থেকে "হারাম" শব্দটি কোথায়- কেন ব্যবহৃত হয় জানা হলো।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

জুন বলেছেন: দু:খিত আহমেদ জী এস, মন্তব্যের জবাব দিতে যে আমার এত দেরী হবে আমি নিজেও ভাবতে পারি নি। আসলে প্রচন্ড গরম, রোজা আর ঈদ সব কিছু মিলে মিশে এই কারন।
জ্যামটা শুধু মসজিদে নববীকে ঘিরেই তারপর তো প্রশস্ত রাস্তা, নিরিবিলি, লোকজন খুব কম। ভালো লেগেছে আমার। অবশ্য ব্যাথা পেয়ে অনেক লম্বা সময় বাস জার্নি আমাকে অনেক ভুগিয়েছিল।
জী সাড়ে চুয়াত্তর এর কাছ থেকে আমিও অনেক কিছু জেনেছি। তার জন্য আপনাকে আর চুয়াত্তরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেকেই ভাবে হারাম শরীফ শব্দটা বললে গুনাহ হবে, কিন্তু আদতেই শব্দটা হারাম শরীফ। আমিও আপনার মত মাঝে মাঝে ভাবি, আজ থেকে পঞ্চাশ বা একশত বছর আগেও মানুষ কত কষ্ট করে হজ্ব করতে যেত। বাংলাদেশ থেকে বোম্বে হয়ে সৌদি আরব! এরপর পায়ে হেঁটে বা উটের পিঠে করে মরুর বুক দিয়ে কত দীর্ঘ সময় নিয়ে এই হজ্ব তাদের করতে হতো। আজ প্রযুক্তির উন্নতিতে কত আরামে হজ্ব করা সম্ভব হচ্ছে।

সকাল সাড়ে নয়টা থেকে লাউঞ্জে এসে বিকেলে বাস আগমন সত্যি বিরক্তিকর এবং কষ্টদায়ক। যদি কিছু মনে না করেন, বিকেলে গাড়ী ছাড়ার পর আসর থেকে এশার নামাজের বিরতি দেয় নাই? বা এটা কি সবাই বাসেই আদায় করেছে। আমার এখনও হজ্ব বা ওমরাহ কোনটার সুযোগ হয় নাই, তাই জানতে চাওয়া।

আর খাবার হোটেলে রাতের বিরতির অংশে কোন একটা লাইন বোধহয় মিসিং হয়েছে। বুঝতে পারি নাই পুরো ঘটনাটা।

মক্কার ক্লক টাওয়ার আর হোটেল হিলটন ব্যাপক আলোচিত সমালোচিত দুটি স্থাপনা।

সিরিজটা ভালো হচ্ছে। আচ্ছা এই ছবি তোলা নিয়ে কি এখনও বিধি নিষেধ আছে মক্কা বা মদীনা'তে? শুনেছিলাম সেলফি তোলা সহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ নাকি আরোপ হয়েছে।

পোষ্টে ভালো লাগা রইলো। সাথেই আছি সিরিজের।

ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা সতত।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১০

জুন বলেছেন: বোকা মানুষ প্রথমেই দু:খ প্রকাশ করছি মন্তব্যের উত্তর দিতে এতটা দেরি করার জন্য। গরম, রোজা ঈদ সব কিছুর সাথে আমার অসুস্থতাও একটা বড় কারন এই অমার্জনীয় অপরাধ এর।
আমি নেটে দেখেছি আরবী শব্দ হারাম অর্থ পবিত্র। সাড়ে চুয়াত্তর একটা তথ্য দিয়েছে।
আমার শশুর বাড়ি চাদপুর। তাদের পরিচিত একজন নাকি সেই সময় বিভিন্ন মাধ্যমে বহু পরিশ্রম করে কাফেলা নিয়ে হজ্বে যেতেন। অনেকে নাকি পথেই মারা যেতেন। কারণ বাংলাদেশের মানুষ আজন্মকাল মনে করে থাকে যে সব দায়িত্ব সেরে হজ্বে যেতে হবে। আসলে এটা ভুল ধারণা। তাই হাজীদের মধ্যে বাংলাদেশের হাজীরাই বেশি বয়স্ক।
আমি যে তিনটা শহরে থেকেছি তাতে নামাজ হলো সবার আগে। রাস্তার পাশেই অনেক মসজিদ। আর নামাজের বিরতি অবশ্যই। কারণ ড্রাইভার ও নামাজ আদায় করার জন্য বাস থামায়।
মিসিং টা দেখতে হবে বোকা। আর ক্লক টাওয়ার এর ব্যাপারে আমি জেদ্দায় এক ড্রাইভারকে বলেছিলাম যে কাবা ঘরের গায়ের উপর উঠে যাওয়া এই টাওয়ার আমার ভালো লাগে নি। সে উত্তর দিয়েছিল অনেক দূর থেকে এই টাওয়ারের বাতি দেখেই তো তোমরা মনে করবে ঐতো ওইখানেই আমাদের আল্লাহর ঘর আমাদের প্রিয় কাবা শরিফ।
আমি যখন ছিলাম এই ফেব্রুয়ারী মার্চে তখন ও অনেকে ছবি তুলেছে সেল্ফি তুলেছে। আমার মন চায়নি এই অমর্যাদা করার। দুই তিন দিন আগে পেপারে পড়লাম সৌদি সরকার মক্কা মদীনায় ছবি তোলা নিষেধ করেছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সাথে থাকার জন্য। আমি ভাবিনি আমার এই লেখাটি সবাই এত পছন্দ করবে। শুভরাত্রি। ভালো থাকুন সব সময়।

২২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ও মন্তব্য- প্রতিমন্তব্য। আল্লাহ আপনার মনের পেরেশানি দূর করে দিক।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১১

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমি সাজিদ। আপনিও যেন খুব শীঘ্রই কাবা ঘর জিয়ারত করে আসতে পারেন সেই দোয়া রইলো। উত্তর দিতে দেরির জন্য দু:খিত

২৩| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সময়ানুবর্তিতা সাফল্যের পূর্বশর্ত। ভাই সাহেব এ ব্যাপারে খুব তৎপর জেনে বুঝতে অসুবিধা হয় না, ওনার জীবনটা কেন এত সফল। ছোটবেলায় আমার আব্বাকেও দেখতাম, কোথাও যেতে হলে সবাইকে "ধমকে টমকে" হলেও সময়ের অন্ততঃ এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে হাজির হতেন। আমি অবশ্য এ ব্যাপারে অনেকটা রিল্যাক্সড থাকি, তবে উদাসীন নই।

আপনার ওমরাহ সফরের এ পর্বগুলো পড়ে অনেক পাঠকই মনে প্রশান্তি পেয়েছেন, আমিও পেয়েছি। আত্মার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান হারাম শরীফ। এখানে এলে আত্মা ঠাণ্ডা হয়। আমি ১৯৮৮ সালে ওমরাহ এবং ২০০৫-০৬ সালে হজ্জ্ব পালন করেছি। উভয় সময়ে মদীনা শরীফেও অবস্থান করেছিলাম।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

জুন বলেছেন: আপনি সব সময় সবার শেষে এসে আন্তরিক একটি মন্তব্য রেখে যান খায়রুল আহসান যা প্রায়শই আমার নজর এড়িয়ে যায়। এই জিনিসটা আমাকে কি পরিমাণ লজ্জিত করে তা বলে বোঝাতে পারবো না।
আমার জীবন এত দ্রুত লয়ে চলে যে নিজের পুরনো লেখার ভুল ত্রুটিগুলো যেমন শোধরাতে পারি না, তেমনি মন্তব্যগুলোও চোখে পড়ে না। যাই হোক তারপরও অন্য অনেকের মত মনে কোন বিদ্বেষ না পুষে বা কিছু না রেখে আসেন তার জন্য কৃতজ্ঞ আমি। ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করবো না। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.