নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পশ্চিমের পথে এক গুনাহগারের পবিত্র ওমরাহ যাত্রা( চতুর্থ পর্ব)

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৩


আমাদের রুমের মনিটরে কাবা শরীফে ওমরাহ করতে আসা সারিবদ্ধ হাজীদের নামাজের দৃশ্য। আঘাত পাওয়ার পর হোটেলের রুম বন্দী এমন দৃশ্য দেখে আফসোস হতো

মক্কা আসার আগের রাতে মদীনায় যে অনাকাংখিত ঘটনায় আঘাত পেয়েছিলাম তার ব্যাথাটা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে এই লম্বা বাস জার্নিতে।পরদিন উঠে দাড়ানোর মত শক্তি নেই আমার।শরীরের সমস্ত হাড় যেন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ওমরাহ পালন করার জন্য হুইল চেয়ারই ছিল আমার একমাত্র ভরসা। কিন্তু হুইলচেয়ার চালকদের হোটেলের ভেতরে প্রবেশাধিকার না থাকায় হোটেল কর্মচারী আমাকে রুম থেকে হুইল চেয়ারে করে সিকিউরিটি গেটের কাছে অপেক্ষমান চালকের কাছে পৌছে দিল।
মনটা আমার গভীর বিষন্নতায় ভরে উঠলো, নিজেকে মনে হচ্ছে এক চরম গুনাহগার বান্দা, নাহলে দুনিয়া দাপিয়ে বেড়ানো আমি এই পবিত্র আল্লাহর ঘরের সামনে এসে নিজ পায়ে দাড়াতে পারছি না কেন! গভীর অনুতাপে বিদ্ধস্ত আমি পরবর্তীতে অনেক ওমরাহকারীদের দেখলাম যারা হাত পা প্লাষ্টার করে হুইল চেয়ারে বসা, তখন আমি আবার মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় মাথা নত করলাম এটা ভেবে যে আমি অন্তত শারিরীকভাবে তাদের মত অতটা পর্যদুস্ত নই।

এই সেই পবিত্র নুর পর্বত আরবী ভাষায় জেবেলে নুর,যার গুহা হেরায় ধ্যানমগ্ন রাসুলের (সাঃ) কাছে আল্লাহ পাক থেকে ওহী নাজিল হয়েছিল

হুইল চেয়ার চালক ছেলেটি ছিল সদ্য দাড়ি গোফ গজানো এক আরব যুবক তার নামটাই আমার জিজ্ঞেস করা হয় নি, যা আমি সচরাচর করে থাকি। হয়তো আমার মানসিক অবস্থা আর ভাষা ছিল অন্তরায়। ওমরাহ পালন করতে গিয়ে ক্ষনিকের জন্য হলেও যে কয়েকজন ভালো, আর বিনয়ী মানুষের সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম তাদের মাঝে সে ছিল একজন। বাকিদের কথা পরে বলছি। ইশারা আর সহজ ইংরেজীতে তাকে বল্লাম না দৌড়ে সে যেন আস্তে আস্তে ঠেলে নেয় আমাকে। ছেলেটা ঘাড় কাত করে সম্মতি জানিয়ে চলা শুরু করলো। আমাদের হোটেল যেহেতু ক্লক টাওয়ারে যা কাবা ঘরের সীমানার মাঝেই তাই হোটেলের গেটের সামনেই রাস্তাটা পেরিয়ে হারাম শরীফের দোতালায় উঠে গেলাম। রাস্তা জুড়ে অনেক মানুষ বসে আছে ফজরের নামাজ পরে।

ইহরাম নেয়া আমার স্বামী আর সম্পুর্ন কালো বোরখায় আবৃত আমি কাবাঘর তাওয়াফ এর প্রস্ততি নিলাম। আমরা যেহেতু দোতলায় তাই দূর থেকেই হজরে আসওয়াদকে সামনে রেখে ওমরাহর নিয়ত করলাম। পুরো সাতবার কাবাঘর ঘুরে আসতে হবে আমাদের। দোতালা জুড়ে নির্মান কাজ চলছে তার জন্য অনেকটা ঘেরা থাকায় নীচের কাবাঘর চত্বরের অনেক কিছুই নজরে আসছিল না, শুধু কাবাঘরের উপরে অংশটুকু দেখতে পাচ্ছিলাম । তাই হুইল চালক আমাকে নির্দেশ দিচ্ছে যে আমরা এখন এই জায়গায় তুমি এই দোয়া পড়ো, বলে দোয়াটিও আমার কানের কাছে উচ্চারন করছিল।

আমি যদি নিচে থেকে তাওয়াফ করতে পারতাম তবে হয়তো কাছে গিয়ে আল্লাহর ঘরকে নিজ হাতে ছুতে পারতাম।অবশ্য নিরাপত্তা রক্ষীরা একে হারাম হারাম বলে নিরুৎসাহিত করে। আমাকে নিয়ে চালক আস্তে আস্তে সাতবার ঘুরতে শুরু করলো।রুকন ই ইয়েমেনী থেকে হজরে আসওয়াদ যেতে যেতে আমার কানের কাছে এসে বল্লো এই মোনাজাতটি করো“রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া্…। ইয়া আজিজু ইয়া গাফফার”। জানা মোনাজাতটি আমি ছেলেটির সাথে তিনবার পড়লাম। এভাবে সাতবার তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহীমের পেছনে দু রাকাত নফল নামাজ পড়ার পর ছেলেটি পাশে থাকা জমজমের পানি একটি গ্লাসে করে এনে দিল।


কাবা ঘর তাওয়াফর করার জন্য দলে দলে নারী পুরুষ ওমরাহকারীদের প্রবেশ

এরপর সায়ী করার নিয়ম। সায়ী অর্থাৎ দৌড়ানো বা দৌড়ের চেষ্টা করা। কাবা ঘরের পাশেই থাকা দুটো ছোট্ পাহাড় সাফা আর মারওয়া। বিরান মরুভুমিতে ১৪০ ফুট দুরত্বে থাকা পাহাড় দুটি আর আগের রূপে নেই। সৌদি সরকার হাজীদের সুবিধার্থে পুরো এলাকাটি দালান তুলে ঘেরাও করে দিয়েছে, যা পুরোটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, ঝা চকচকে মার্বেলের মেঝে। সেই আরামদায়ক ঘরে আরামের সাথে সায়ী করার সময় খরতাপে খালি পায়ে রুক্ষ কাঁকরের উপর দৌড়ানো বিবি হাজেরার কথা মনে পরতে লাগলো।

আল্লাহর আদেশে আবার কোথাও পড়েছি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তার প্রথম স্ত্রীর নির্দেশে দ্বিতীয় স্ত্রী বিবি হাজেরা ও তার গর্ভজাত সন্তান শিশু ইসমাইল, সুর্য্যের মত যার রোশনাই, কলিজার টুকরা, বুকের ধন মানিককে অনেক দুরের এক দুর্গম পাহাড়ী উপত্যকা সাফা মারওয়ায় ফেলে এসেছিল। সেই নির্জন নির্বান্ধব তপ্ত মরুর বুকে মা ছেলের সম্বল ছিল কিছু খেজুর আর এক মশক পানি। সে আর কদিন ! খাবার ফুরিয়ে আসলে ক্ষুধ পিপাসায় কাতর হাজেরা শিশুপুত্রকে মাটিতে শুইয়ে সেই তপ্ত বালুময় পথে সাফা মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে পাগলের মত দৌড়াতে লাগলেন। সাতবার তিনি যখন দৌড়ে আসেন তখন দেখেন তার শায়িত শিশু পুত্রের কাছেই এক পানির উৎস যা জমজম নামে সারা বিশ্বে সুপরিচিত এবং যা আজও প্রবাহমান। অনেকে মনে করেন এটা এক ঐশীপ্রাপ্ত পানির কুয়ো।

ছেলেদের সেই পথে কিছুটা দৌড়ে আর কিছুটা হেটে সায়ী করতে হয়, মেয়েদের না। সায়ীতে কাবাঘর তাওয়াফের মত পুরো ঘুরে আসতে হয় না, এ মাথা থেকে ও মাথা গেলেই এক চক্কর হিসাব হয়। নীচ তালার দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানেও অনেক মানুষ সায়ী করছে তাদের ফাক দিয়ে রুক্ষ কালো সেই সাফা মারওয়া পাহাড়ের কিছুটা অংশ দেখা যাচ্ছে যা কাচ দিয়ে ঘেরা। সেদিকে তাকিয়ে দোয়া পরছি আর ভাবছি মা হাজেরা খালি পায়ে, মাথার উপর গনগনে সুর্য্য নিয়ে এই কংকরময় পাথুরে পথে কতটা নিরুপায় হয়ে দৌড়েছিলেন! আর আজ আমরা পুরো এসি করা মার্বেল বসানো মসৃন পথে হেটে চলেছি। অবশ্য আমি তো হুইল চেয়ারেই বসে ।

সায়ী শেষে ওমরাহর শেষ কাজ মেয়েদের মাথা থেকে এক আঙ্গুল পরিমান চুল কেটে ফেলা আর ছেলেদের পুরো মাথা কা্মানো লাগে। কাচি নিয়ে না যাবার জন্য আমার চালক সায়ীরতা এক আরবীয় নারীকে আমার সমস্যার কথা জানা্লো। ভদ্রমহিলা হাসিমুখে তার হাত ব্যাগ খুলে কাচি বের করে আমার হিজাব সরিয়ে চুল কেটে দিল। তার আচরনে আমি অবাক হোলাম। এরপর গন্তব্য জমজম টাওয়ারের নীচে সেলুনে আমার স্বামীর জন্য। ছেলেটা বিদায় নিয়ে চলে যেতে যেতে বার বার হাত নাড়ছে হাসিমুখে। ওর ঐ মুখটা আমি চোখ বুঝলেই দেখতে পাই।

মক্কার পথের দৃশ্য

যে পাচ দিন মক্কায় ছিলাম ততদিন আমি হোটেল রুমেই নামাজ আদায় করেছি।যদিও বলা হয় এই ক্লক টাওয়ার হারাম শরীফের অন্তর্গত, রুমে রুমে ট্রান্সমিটার লাগানো, আজান থেকে নামাজ সবই সরাসরি প্রচার হচ্ছে, মনিটরে দেখা যাচ্ছে, তাও আমার মন মানে না। তৃতীয়দিন আমার স্বামীকে বললাম “কাবাঘরের কোলের কাছে এসেছি আর আমি সেখানে যেতে পারছি না এটা কেমন হলো। আমার কথা শুনে সে আমার হাত ধরে বাইরে নিয়ে গিয়ে বল্লো ‘এখানে অনেক হুইল চেয়ার থাকে, কাউকে নিলেই হবে’। কিন্ত দুর্ভাগ্য কাউকে পেলামনা।ঐভাবে তার হাতে ভর দিয়ে হারাম শরীফে হাজির হোলাম। আমাকে দেখেই এক কৃষ্ণকায় যুবক দৌড়ে আসলো, হাতে তার একটি ফোল্ডিং চেয়ার। “বল্লো এদিকে আস্ এদিকে আসো” তারপর একটা গেট যা দুজন পুলিশ পাহারা দিচ্ছিলো সেটা খুলে (মনে হয় উচ্চপদস্থদের জন্য নির্দিষ্ট)এক এস্কিলেটার দিয়ে দোতালায় নিয়ে গিয়ে তার হাতে রাখা ফোল্ডিং চেয়ারটা পেতে দিল আমাকে। আমার দেখা সাক্ষাৎ ফেরেশতার মত লোকটির জন্য অন্তর থেকে দোয়া করেছি আমি।
তখন নামাজের ওয়াক্ত ছিল না তাই নফল ইবাদত করলাম বসে বসে।এরপর উঠে দাঁড়িয়ে ফিরে যাবার কথা ভাবতে ভাবতে উল্টোদিকে তাকাতেই দেখি ভেস্ট পরা এক যুবক খালি হুইল চেয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি লাঠি ভর দিয়ে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম সে কি পারেবে আমাদের ক্লক টাওয়ারের সুইসোটেল মক্কায় পৌছে দিতে। লোকটি মাথা ঝুকিয়ে আমাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ঠেলে নিয়ে গেল গন্তব্যে। পৌছে দেয়ার পর আমার স্বামী জানতে চাইলো কত দিতে হবে ? সে ইশারায় না নেয়ার ভঙ্গীতে হাত নেড়ে বুকে হাত রেখে বল্লো “দুয়া দুয়া” অর্থাৎ তার জন্য যেন আমরা শুধু দুয়া করি টাকা না। অবাক হয়ে গেলাম। আর ঢাকা এয়ারপোর্টে ফ্রি হুইল চেয়ার আলারা কিভাবে আমাদের জিম্মি করে ১৫০০ টাকা নিল সে এক লম্বা ইতিহাস।

পরদিন বিকেলে পাশের সাফা টাওয়ারের ফুডকোর্টে বাংলাদেশি এক রেস্তোরায় গেলাম। আগের দিন এই দোকানেই উটের মাংস দিয়ে বিরিয়ানী খেয়েছিলাম। আজ চারটা পরোটা আর ডাল গোস্তের ট্রে হাতে নিয়ে টেবিল খুজছি। সামনে এক বড় টেবিলে স্থানীয় পোশাক পরা অল্প বয়স্ক এক আরব যুবক খাওয়া শেষে বসে আছে। আমাদের ইশারা করলো সেখানে বসার জন্য। আমরা দুজন পাশাপাশি বসা। আমার স্বামীর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বাংলায় বল্লাম “তুমি কি আরেকটা পরোটা নিবে”? আচমকা ছেলেটা উঠে গিয়ে সামনের খাবারের দোকান থেকে দুটো গরম গরম পরোটা এনে আমাদের সামনে রাখলো।আমরা ভেবেছি তার জন্য হয়তো!আমাদের কথা তার শোনার প্রশ্নই আসে না। সে তখন উঠে প্লেটটা আমাদের প্লেটের আরও কাছে রেখে হাসিমুখে ইশারায় বলছে আমাদের দুজনার জন্য এটা। হাতের ইশারায় না না করলাম, তারপর টাকা সাধলাম, সে শুধু বল্লো “হাজী। হাজী, মেহমান, মেহমান”।
এর মাঝেই মাগরিবের আযান পরলো, আমাদেরও খাওয়া শেষ। তাকিয়ে দেখি আমরা যেই বাংলাদেশী দোকান থেকে মাংস পরোটা কিনেছি সেটা সহ সব দোকান বন্ধ হয়ে গেল। টাকা নেয়ার কেউ নেই, সবাই নামাজের জন্য তৈরী হচ্ছে, আমরা তাড়াতাড়ি হোটেলে ফিরে আসলাম, বিল দেয়া হলো না। পরদিন সকালে খুড়িয়ে খুড়িয়ে সেই দোকানে গিয়ে আগের দিনের বিল দিতে পারিনি বলে অনুতাপ প্রকাশ করে তা দেয়ার জন্য এই লোক সেই লোক করে হতাশ ক্লান্ত আমরা চেয়ারে বসে পরেছি। পর পর দুদিনের কাস্টমারদের সেই রেস্তোরার একটা লোকও যেন চিন্তে পারলো না এমন অবস্থা। অবশেষে ফিরে আসলাম হোটেল রুমে।
পবিত্র ওমরাহ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে ১৫ দিনের এই সফরে আমরা ক্ষনিকের জন্য যে শ্রেষ্ঠ মানুষগুলোর সান্নিধ্যে এসেছিলাম সফরে তাদের কথাই বলতে চেয়েছি আমি আমার লেখায়।
রাত আটটায় মোয়াল্লেম আমাদের রুমে এসে জানালো কাল বাস আসবে সকাল দশটায়, আমরা যেন তৈরী থাকি মক্কার ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন এলাকাগুলো জিয়ারত করার জন্য।
ভেবেছিলাম এই পর্বে শেষ করবো কিন্ত পারলাম না বলে দুঃখিত । আরেকটা পর্ব থাকবে তবে সেটা মুলত অল্প কিছু কথা আর ছবি ব্লগই হবে।
ছবি আমার মোবাইলে তোলা ।
ছবি ও লেখায় ওমরাহর শেষ পর্ব

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

রানার ব্লগ বলেছেন: খাবার দাবার এর কথা শুনে বেশ লোভ হচ্ছে ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

জুন বলেছেন: আপনি মনে হয় ভুলে এটা শায়মার মকটেল পোস্ট ভেবেছেন রানার ব্লগ। এবার আমার পোস্টে আসুন। প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সৌদি আরবে এখন গরম কেমন? আমাকেও একদিন যেতে হবে সৌদিতে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১১

জুন বলেছেন: আমি মার্চ মাসে এসেছি ফেব্রুয়ারিতে গিয়ে। তখন খুব সুন্দর ওয়েদার ছিল, বিশেষ করে মদীনায়। যান গেলে অনেক ভালো লাগবে।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: উটের মাংসের বিরিয়ানী ?

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

জুন বলেছেন: ওহ পড়েছেন তাহলে আমার পোস্টটি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২১

নজসু বলেছেন:



আপা, আমার মনে হচ্ছিলো সৈয়দ মুজতবা আলী পড়ছি। বিশেষ করে মক্কার পথের দৃশ্য অংশটি।
কথা বুননে অসাধারণ দক্ষতা আপনার। আমি তো মিশে যাচ্ছিলাম প্রতিটা শব্দে। আগের পর্বগুলো পড়তে হবে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। ছবিগুলো দেখার জন্য অধীর আগ্রহে রইলাম।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

জুন বলেছেন: নজসু আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি বাকরুদ্ধ। মুজতবা আলীর সাথে আমার তুলনায় আমি ভেবেই পাচ্ছি না কি বলবো না বলবো।
আপনি যেই অংশটুকুর কথা উল্লেখ করেছেন সেই সময়টা আমার মনে গেথে আছে। আমার সব সময় মনে হয় আবার যদি যেতে পারি। আশাকরি খুব শীঘ্রই ছবিগুলো নিয়ে আসবো। তবে তেমন ছবি আমি তুলিনি। কেন জানি ওই ইচ্ছেটাই আমার ছিল না।
অনেক ভালো থাকবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে এই দোয়া করি।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: হুইল চেয়ার!!! ব্যথা খুব বেশি ছিলো নিশ্চয়ই।
যারা হুইল চেয়ার টেনে নিয়ে যায়, তাদ্র হোটেলের ভিতর প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না কেন? কারন টা কি?

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

জুন বলেছেন: জী ব্যাথা প্রচন্ড রকম ছিল। আসলে হুইল চেয়ার চালকদের যেতে দেয় না সিকিউরিটি রিজনে। আমাদের প্রতিবার কার্ড দেখিয়ে ঢুকতে হতো। মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি কেবল ভাবছি আপনার দেখা সেই মানুষগুলোর প্রতি , নিজের কাজে তারা কতটাই না আন্তরিক !

যাক আপনি সেখানে গিয়ে অন্তত ভালো মানুষ তো পেলেন !!

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

জুন বলেছেন: আসলেও আমি অনেক ভালো মানুষ দেখেছি নিনি। আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে ছিলেন প্রথম থেকেই ব্যাপারটা ভাবতে ভালো লাগছে ভীষণ।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: পড়লাম এবং আপনার অনুভূতিগুলো অন্তর দিয়ে অনুভব করলাম।
এখন ভালো আছেন তো?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

জুন বলেছেন: আছি সবার দোয়ায়, চলতে ফিরতে পারছি আর কি। আমার লেখাটি মুলত আমার অভিজ্ঞতার বর্ননা। পড়েছেন, অনুভব করেছেন আবার মন্তব্য করেছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে শেরজা তপন।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনাদের ২ জনের পুরো ব্যয় কত ছিলো?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১

জুন বলেছেন: দুজনা মিলিয়ে প্রায় ছয় লাখের কাছাকাছি। আমার লেখা পড়ে এটাই আপনার জানতে ইচ্ছে করলো!!

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩৬

জিকোব্লগ বলেছেন:



জাবালে নূর পাহাড়ের চূড়াতে হেরা গুহায় বেশি বয়স্ক মানুষদের ওঠা বেশ কস্টকর।
উঠতে প্রায় ঘন্টা খানিক সময় লাগে। এখানে সৌদি সরকার কেবল কারের ব্যবস্থা
করলে ভালো করতো। পাহাড়ের চূড়াতে ওঠার পর বেশ সরু পথ দিয়ে খুবই ছোট
হেরা গুহায় পৌঁছাতে হয় (নিচে আমরা তোলা ছবি )।



স্বাভাবিক ভাবে দেখলে হেরা গুহা অন্যান্য অনেক অনেক পাহাড়-পর্বতে গুহার মতনই
একটি গুহা। (নিচে আমরা তোলা হেরা গুহার একটি ছবি)



কিন্তু হেরা গুহায় ইসলামের মারিফাত, কাবায় ইসলামের শরিয়ত; এই বিশ্বাসে
হেরা গুহাতে যে অনুভূতি হয়েছিল, সেটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।

সেইজন্যেই, ওমরাহ যাত্রার অনুভূতি যে পাঠক অবিশ্বাসী এবং হজ বা ওমরাহ করেন
নি, তাদেরকে কোনো ভাবেই বোঝানো যাবে না। তাই আপনার পোস্টের শিরোনামে
"এক গুনাহগার" লেখার মর্মার্থ ও অনুভূতি, অবিশ্বাসী ও যারা হজ অথবা ওমরাহ
করেন নি, তারা কখনই বুঝতে সক্ষম হবেন না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

জুন বলেছেন: আমি বাসে বসেই দেখছি সেই সুউচ্চ পাহাড়ে শত শত লোক বেয়ে বেয়ে উঠছে। হয়তো তাদের মন তাদের কষ্টকে জয় করতে পারে। প্রথম থেকে মন্তব্য দিয়ে সাথে আছেন আর ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে আমার লেখাকে সমৃদ্ধ করছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন এই শুভকামনা থাকলো ।

১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫১

কিরকুট বলেছেন: সাঊদিরা আতিথিয়তায় বেশ এগিয়ে এটা সর্বজন বিধিত। যে ইচ্ছা নিয়ে উমরাহ করলেন সেই ইচ্ছা পুর্ন হোক। কামনা করি ধর্ম পালনকারি হন অন্ধ না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

জুন বলেছেন: কামনা করি ধর্ম পালনকারি হন অন্ধ না। আমি তাই কিরকুট । যদি অন্ধ হোতাম তাহলে এই পোস্টও দিতাম না আর আপনাদের সাথে মন্তব্যের মাধ্যমে কোন ইন্টার একশনেও যেতাম না । তাই না ???

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: আশা করি পায়ের ব্যথা এতদিনে কমেছে।

চারটি ছবি সুন্দর হয়েছে। ছবির সাথে ভালো লেগেছে লেখা। ছোটবেলায় এক ধরণের বই পড়তাম,The land and people of..., নামে। এই বই গুলোতে সেসব দেশের নানা দ্রষ্টব্য স্থানের সাথে সে দেশের মানুষের আচার ব্যবহারের বর্ণনাও থাকতো। আপনার লেখাতে মক্কায় আপনার দেখা কিছু মানুষদের কথা পড়তে পড়তে সেই বইয়ের কথা মনে পড়লো... আমরা কেন এভাবে মানুষকে সাহায্য করতে পারি না!

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ছবির সাথে কিছু বর্ণনাও দিয়ে দেবেন, অনুরোধ।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১১

জুন বলেছেন: জী আমার পায়ের ব্যাথা এখন অনেকটাই ভালো হয়ে গেছে করুনাধারা । আপনি ভালো আছেন তো ?
আপনি যে বইয়ের উল্লেখ করেছেন তা আমরাও পড়তাম ভাই বোন কাড়াকাড়ি করে। বই পড়ার একটা নেশা ছিল আমাদের পরিবারে যেখানে অজস্র পৃথিবী বিখ্যাত বই এর সমাহার ছিল। সবার বাসায় একটা লাইব্রেরী থাকতো। অজানাকে জানার একটা নেশা ছিল। তখন তো এত গুগুল টুগুল ছিল না যে এক ক্লিকে সব জেনে বসে থাকবো। আব্বার এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকাকে ছিড়ে কুটিকুটি করেছিলাম সেই স্কুল লাইফেই ।
আপনার লেখাতে মক্কায় আপনার দেখা কিছু মানুষদের কথা পড়তে পড়তে সেই বইয়ের কথা মনে পড়লো... আমরা কেন এভাবে মানুষকে সাহায্য করতে পারি না! আসলে এখন নানা রকম ঘটনায় মানুষকে বিশ্বাস করতে কেন জানি ভয় হয়।
পরের পর্বটি মুলত অল্প কিছু ছবি দিয়ে একটি ছবি ব্লগ মক্কা থেকে জেদ্দা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত । সেখানের পরিবেশের কারনেই মন তখন এত দ্রবীভুত ছিল যে ছবি তোলার আগ্রহই পাই নি । তারপর ও যা তুলেছি দু চারটা থাই থাকবে ।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ওমরাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ভ্রমণ করা , ওমরার সাথে ভ্রমন বিবরনীটিও সুন্দরভাবে উঠে এসেছে
আপনার এ লেখায় । জীবনে একবার ওমরাহ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটা যখনই করা হোক, তার জন্য
প্রতিদান ও বরকত রয়েছে। পায়ে ব্যথা নিয়ে অতি কষ্ট করে হুইল চেয়ারে করে সৌদি সেই সহৃদয়য়বান
কিশোরটির সহায়তায় বাইতুল্লাহ শরিফে এসে সাত চক্কর তওয়াফ সম্পন্ন করতে পেরেছেন শুনে ভাল
লাগল ।

সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের বিশেষায়িত ঐতিহাসিক স্থানে বিবি হাজেরা ও তাঁর পুত্র ইমমাইল কঠীন পরীক্ষার
সম্মুখীন হয়েছিলেন, এ পরীক্ষার সময় তাঁরা প্রচন্ড কষ্ট সয়েও সবর বা ধৈর্য অবলম্বন করেছিলেন। সে কারণেই
আল্লা তাআলা তাঁদের স্মরণে সাফা ও মারাওয়া পাহাড়ের সাঈকে (দৌড়াদৌড়িকে) মুসলিম উম্মাহর হজ ও ওমরা
পালনকারীদের জন্য আবশ্যিক করে দিয়েছেন।তাঁদের কষ্টের ও ধর্যের ফলস্বরূপ তাঁরা আল্লার কাছ হতে অশেষ
নিয়ামত , পুরস্কার ও সন্মানে ভুষিত হয়েছেন । সেরকম ভাবে মুসলিম ওম্মার ওমরাহ পালনকারীগন সাফা ও
মারওয়া পাহাড়ের সাঈ পালন করে আল্লার সন্তষ্টি লাভের মাধ্যমে দু জাহানের অশেষ ফজিলত লাভে সৌভাগ্যমান
হবেন । মেয়েরা সাঈ পালনে খানিকটা অব্যাহতি পেলেও নিশ্চয়ই আল্লার অশেষ মেহেরবানীতে তারাও অশেষ নেকি
ও ফজিলতের ভাগিদার হবেন বলেই বিশ্বাস রাখি ।

সৌভাগ্যমান আপনি , কসর (চুল ছোট করা) করার প্রয়োজনে হৃদয়বান সৌদী
মহিলা কাচি দিয়ে ইহরাম পালনের আবশ্যকীয়তায় সহায়তা করেছেন ।
সকলই প্রিয় বান্দাদের প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত।

দোয়া করি আপনার পায়ের ব্যথা যেন আশু নিরাময় হয় ।
এটাও কামনা করি ওমরাহ পালনের অশেষ ফজিলত প্রাপ্তদের
দলে যেন অন্তর্ভুক্ত হন ।

শুভেচ্ছা রইল

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১৮

জুন বলেছেন: আপনি ওমরাহ পালন নিয়ে অল্প কথায় সুন্দর বর্ননা করেছেন । আসলেও সেই অভিজার আরব মহিলার সহায়তা না পেলে তখন হয়তো আমাকে রুমে ফিরে কাজটি করতে হতো। কিন্ত ওমরাহ শেষ হয়ে যাওয়ার পর পরই পুরনো সব কিছু ঝেড়ে ফেলার যে একটি নমুনা তা অসম্পুর্ন থাকতো হয়তো আমার জানা নেই।
আপনাদের সবার দোয়ায় আমার পা ভালো আপাতত
এটাও কামনা করি ওমরাহ পালনের অশেষ ফজিলত প্রাপ্তদের
দলে যেন অন্তর্ভুক্ত হন ।
এটাই আসল কথা বলেছেন । ঐখানে গেলে মনে হয় বার বাত্র যাই। আগামীতে যাবার একটা পরিকল্পনা আছে, দেখি আল্লাহ সহায় হন কি না । দোয়া করবেন পরের বার গেলে যেন নিজ পায়ে ভর করে সব কিছু করতে পারি । আফসোস নিয়ে থাকতে যেন না হয় ।
শুভকামনা রইলো

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১১

জুন বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার এই মন্তব্য পেয়ে রাজীব নুর

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হজ্জ বা ওমরা পালনকারীদেরকে মক্কা এবং মন্দিনার লোক অনেক সহযোগিতা করে। ওদের মেহমান হিসাবে গণ্য করে। মক্কা, মদিনা একবার গেলে বারবার যেতে ইচ্ছে করে।

আপনার ওমরার বর্ণনা খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১১

জুন বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে আমারও অনেক ভালো লাগলো সাড়ে চুয়াত্তর। ভালো থাকুন সব সময়।

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

জিকোব্লগ বলেছেন:





পোস্টে আপনি হজ পালনে বেশির ভাগ ইতিবাচক দিক ও ভালো ব্যবস্থাপনা
গুলোই বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হজ পালন করতে আমার একটি স্থানে বেশ
অব্যবস্থাপনা চোখে পড়েছে। সেটা হচ্ছে হাজরে আসওয়াদে চুমু দেওয়াকে
কেন্দ্র করে। প্রচন্ড শক্তি দিয়ে ধাক্কা ধাক্কি করে হাজরে আসওয়াদে চুমু দিতে
হয় (উপরে আমার তোলা একটা ছবি দিলাম )। শারীরিক ভাবে দুর্বলদের
হাজরে আসওয়াদে চুমু দিতে পারার সম্ভবনা খুবই খুবই কম। অবস্থাটা
এমন যে , যার যত শক্তি বেশি, তার তত হাজরে আসওয়াদে চুমু দিতে পারার
সম্ভবনা বেশি। এই জন্য মধ্যরাতে হাজরে আসওয়াদে চুমু দিতে যেয়েও
ধাক্কা ধাক্কিতে আমার ইহরামের পোশাকের উপরের অংশ খুলে পড়ে গেছে।
দম বন্ধ হওয়ার মত অবস্থা হয়েছে। তারপরে ফ্রেমে মুখ ঢুকিয়ে হাজরে
আসওয়াদে চুমু দিতে পারছি। অথচ লাইন ধরে আসওয়াদে চুমু দেওয়ার
ব্যবস্থাপনা করলেই , এই রকম ধাক্কা ধাক্কি সহজেই এড়ানো যেত।

কিন্তু কেন হাজরে আসওয়াদে চুমু দেওয়াতে এই অব্যবস্থাপনা, তার উত্তর
এখনো খুঁজে পাই নি।



কাবা শরীফে কোনো কিছু মেরামতের ও পরিষ্কার করার সময় , হাজরে
আসওয়াদে চুমু দেওয়া বন্ধ রাখা হয় । সেই সময়ে খুব কাছে থেকে হাজরে
আসওয়াদের ছবি তুলতে পেরেছি (উপরে একটি ছবি দিলাম) । সেখান
থেকে বোঝা যায় হাজরে আসওয়াদ মূলত বেশ কয়েকটি পাথরের টুকরো
একসাথে সিমেন্ট করা। পাথর গুলোর আকার অস্পষ্ট। আমি আগে ভেবেছিলাম
হাজরে আসওয়াদ মনে হয় একটি পাথর। এটিও আমাকে অবাক করেছে ।

সামগ্রিকভাবে, হজে গিয়ে অনেক ভালো লেগেছে ও মনে অনেক শান্তি পেয়েছি।

ওমরাহ তে আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে ভালো লাগলো। আমি নিশ্চিত, আপনার
অভিজ্ঞতা জেনে অনেকেই ওমরাহ্ করতে আগ্রহী হবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৯

জুন বলেছেন: জী হজরে আসওয়াদ ছোয়ার জন্য অনেক মানুষই ভীষণ আগ্রহী এবং তাদের আগ্রহ সীমা ছাড়িয়ে যায় সকল ধৈর্য্য সহ্যের জিকো ব্লগ। আমার এক্সিডেন্টের পর এমন অবস্থা হয়েছিল যে বেশি মানুষ দেখলেই আমি ভয় পেতাম। মনে হতো আবার বুঝি ধাক্কা খেয়ে পরে যাবো। আর এত মানুষ। আমার পরিচিত বহু মানুষ ওমরাহ পালন করছে এবার। বাংলাদেশ থেকে এত বেশি ওমরাহর কারণ শুনলাম হজ্ব পালনের জন্য টাকা বাড়িয়ে দেয়া। তাই অনেকেই নাকি টাকা তুলে ওমরাহ করছে।
আমার হজরে আসওয়াদ দেখার সৌভাগ্য হয় নি। দোয়া করবেন আগামী বার যেন হয়। এত আন্তরিকতার সাথে ছবি আর মন্তব্যের মাধ্যমে সাথে থাকছেন সত্যি আমি কৃতজ্ঞ। আগামীতেও সাথে থাকুন।

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব ভাল লাগলো পড়ে। যাওয়া হয়নি এখনো। সামনে যাওয়ার ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ ।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২১

জুন বলেছেন: পড়ে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ঢাবিয়ান। যাবেন ইনশাআল্লাহ, অনেক ভালো লাগবে। আমি নিজেও ভাবিনি আমার এত ভালো লাগবে। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: জুন আপু, ওমরাহ নিয়ে যে এত চমৎকার পোস্ট হতে পারে তা আপনার এই চারটি পর্ব না পরলে বুঝতেই পারতাম না।
এই পর্বেও বিবি হাজেরা আর শিশু ইসমাইলের সাফা মারওয়ার ঐতিহাসিক ঘটনাটি আপনার বর্ণনায় খুব ভাল লাগলো পড়তে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৩

জুন বলেছেন: শ্রাবনধারা,
আপনার প্রশংসা ভরা মন্তব্য পেয়ে সত্যি আপ্লুত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সাথে থাকার জন্য। আগামিতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায়।

১৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন জুন, আপনার লেখা পড়তে পড়তে অনেকবারই চোখের পানি চলে আসল। লেখা বরাবরের মতই অসাধারন। আর তার জন্য রইলো +++।

আসলে এ এক এমনই জায়গা, যেখানে জীবনের স্বাভাবিক অনেক কিছুই অচল-অকার্যকর বলে মনে হয় এবং সেখানের অনেক কিছুই আমাদের জীবনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।

যদিও আমি এখনো যেতে পারিনি তারপরও আমার মনে হয় সেখানে গিয়ে আপনার যে অনুভূতি হয়েছে-প্রকাশ করেছেন , এ অনুভূতি সকল মুসলমানেরই হয় মক্কা-মদীনায় গিয়ে যখন তারা কল্পনা করে সেসব জায়গার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে এবং এবের পিছনের কারনগুলোকে।

২০২০ সালে বাবা-মা গিয়েছিল ওমরাহ করতে । কোন এক অদৃশ্য কারনে (শারিরীক অসুস্থতা) আপনার মত আমার মাও হুইল চেয়ারে করে পুরো সময়টা কাটিয়ে এসেছিলেন অথচ সেই মা'ও আপনার মত দুনিয়া (এলাকা) ঘুরে বেড়ানো পাবলিক । পরিহাস এই যে,যখন দেশে ফিরে এসেছেন তখন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল এবং হেটে হেটেই বিমান থেকে নেমে এসেছেন।

মহান আল্লাহপাক আপনার,আমার মা-বাবা সহ যত মুসলমান নর-নারী ওমরাহ-হজ করতে যায়-গিয়েছে সকলের এ ত্যাগ-আমলকে কবুল করে নিন এবং আমাকেও তওফিক দান করুন একবার ওমরাহ-হজ করার।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

জুন বলেছেন: ভাই কামরুজ্জামান আপনার আবেঘঘন মন্তব্যে মনটা আপ্লুত হয়ে উঠলো । অনেক প্রশংসা করেছেন তার যোগ্য আমি কি না জানি না ।
এ অনুভূতি সকল মুসলমানেরই হয় মক্কা-মদীনায় গিয়ে যখন তারা কল্পনা করে সেসব জায়গার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে এবং এসবের পিছনের কারনগুলোকে।
কবি নজরুল ইসলাম সেখানে না গিয়েই রচনা করেছিলেন বিখ্যাত ইসলামী গজল হেরা হতে হেলেদুলে নুরানী তনু ও কে আসে যায় বা আমি যদি আরব হোতাম মদীনারই পথ লিখেছিলেন তার আবেগ আর গভীর অনুভুতি থেকে তাই না ? একবার গেলে বার বার যেতে ইচ্ছে করে এই দুই পবিত্র শহরে ।
আপনার আম্মা ভালো হয়ে গেছেন শুনে ভালোলাগলো অনেক । মহান আল্লাহপাক আমাদের সবার ওমরাহ-হজ কবুল করে নিন।
ভালো থাকুন ।

১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রথমত আপনার পা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কথা শুনে খারাপ লাগলো, কিন্তু কি ক্রার আপু, সবই আল্লাহ তাআলা'র ইচ্ছে। আপনার মক্কায় সান্নিধ্যে আসা লোকগুলোর গল্প শুনে অবাক হলাম, আসলেই মন থেকে তাদের জন্য এম্নিতেই দুয়া চলে আসবে। রমজানের এই দিনে দোয়া রইলো আল্লাহ আপনার ওমরাহ এবং সকল ইবাদত কবুল করুন, আমীন।

এখন কেমন আছেন, পা এর অবস্থা ভালো হয়েছে? আশা করি নিশ্চয়ই সুস্থ আছেন। ভালো থাকুন সবসময়, প্রতি দিন, প্রতি ক্ষণ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩১

জুন বলেছেন: আমিও তাই ভাবি বোকা মানুষ। নাহলে হেটে হেটে প্লেনে উঠলাম , মদীনায় চারদিন থাকলাম তারপর শেষ দিন রাতে এই ঘটনা সবই আল্লাহর ইচ্ছে বলে মেনে নিয়েছি
আপনার মক্কায় সান্নিধ্যে আসা লোকগুলোর গল্প শুনে অবাক হলাম, আসলেই মন থেকে তাদের জন্য এম্নিতেই দুয়া চলে আসবে। জী আপনি ঠিকই বলেছেন ।
আজ দুদিন হলো আপনাদের সবার দোয়ায় নিজে নিজে হাটতে পারচ্ছি এটা বিশাল ব্যাপার আমার তবে খুব সহজ ভাবে নয় এই যা । আপনিও সপরিবারে ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা সবসময়ের জন্য ।

২০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: দুই পর্ব এক সাথে পড়লাম। সেখানকার মানুষের আতিথেয়তা এত চমতকার, হাজীরা তাদের জন্যে বিশেষ মেহমান এবং বিশেষ ভাবেই সম্মান করেন। কাবা শরিফের ছবিতোলার ব্যাপারটায় আপনার চিন্তার সাথে আমার চিন্তা মিলে গেছে। একদমই আগ্রহবোধ করিনি ছবি তোলায়, বরং পুরোটা সময় অন্তর দিয়ে উপভোগ করার চেষ্টায় ছিলাম।
দোয়া করি আল্লাহ শিঘ্রই আপনাকে আবার নিন সেখানে এবং পূর্ণ সুস্থ ভাবে নিজ পায়ে হেঁটে সব কাজ যাতে করতে পারেন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

জুন বলেছেন: নীল দর্পন আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আল্লাহ পাক যেন আপনার দোয়া কবুল করেন এই কামনা করি। বাবুদের নিয়ে ভালো থাকুন সব সময়।

২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




প্রতিকূলতা নিয়েও যেভাবে আপনি ওমরাহ পালনে অবিচল থেকে সৃষ্টিকর্তার ইবাদৎ করে গেছেন, তা সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই কবুল করবেন!
এক গুনাহগারের একটি ইবাদতের আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছেন আপনারই স্বকীয় ঢংয়ে। সুন্দর!
তবে খারাপ লেগেছে আপনার পায়ে আঘাতের কথা জেনে। যে পা নিয়ে সারা পৃথিবী ঘুরে বেরিয়েছেন, সেই পা - ই যখন মক্কা-মদীনা মনোয়ারাতে আড়ষ্ঠ হয়ে ছিলো তখন বুঝতে হবে তা মহিমাময় সৃষ্টিকর্তার কিছু ইচ্ছার প্রকাশ যা আমাদের অনুধাবনের বাইরে।

এখন দেশে ফিরেছেন তো বটেই তবে পায়ের অবস্থা কি ? ভালো নিশ্চয়ই !
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

জুন বলেছেন: আপনাদের দোয়াতেই মনে হয় সব কিছু সম্পাদন করতে পেরেছি আহমেদ জী এস ।
আপনার স্বকীয় ঢং এর মন্তব্যে লেখাটি পুর্নতা পেল ।
যে পা নিয়ে সারা পৃথিবী ঘুরে বেরিয়েছেন, সেই পা - ই যখন মক্কা-মদীনা মনোয়ারাতে আড়ষ্ঠ হয়ে ছিলো তখন বুঝতে হবে তা মহিমাময় সৃষ্টিকর্তার কিছু ইচ্ছার প্রকাশ যা আমাদের অনুধাবনের বাইরে। আমিও তাই ভাবি । যাক এখন আল্লাহর অশেষ রহমতে পা ঠিক আসলে ঠিক পা নয় পুরো শরীরেই ব্যাথা পেয়েছিলাম, যা শেষে ভর করেছে পায়ে।
আপনি ও আপনার পরিবারের জন্য রইলো ঈদের শুভেচ্ছা ।

২২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

আমি সাজিদ বলেছেন: মনোমুগ্ধকর বর্ণনা। আশা করি এখন সুস্থ আছেন, পায়ের ব্যাথা সেরেছে। আমার মনে হয় জায়গাটাই এমন যে, ওখানে মানুষ আপনাআপনিই উপকারী হয়ে উঠে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

জুন বলেছেন: এত সুন্দর একটি আসলে একটি নয় সবগুলো পর্বতেই আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে । ব্যাথা আজ দুদিন হলো গেছে। আসলেও একমাসের উপর উপর এই ব্যথা সহ্য করলাম, এখন ভালো আছি আপনাদের সবার দোয়ায়।
তবে এর পরে আরো একটি পর্ব আছে তাতেও একটু চোখ বুলিয়ে আসবেন আশা করি ।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো পরিবারের সবার জন্য ।

২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ঈদ মোবারক!!

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১৩

জুন বলেছেন: চলে যাওয়া ঈদের শুভেচ্ছা রানার ব্লগ। সময় মত বলতে পারি নি তার জন্য দু:খিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.