নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"খঞ্জর! এত রাইতে তুমি কই থিকা আসলা! নানু বিস্মিত গলায় প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। "আসো আসো জলদি ঘরে আসো"।
"হ আসতে আসতে একটু রাইতই হইয়া গেল বুজান। রওনা দিছিলাম দুফুর বেলা, পথে লঞ্চডা একটু নষ্ট হইছিল তাই দেরী হইছে, তবে আরেকটু পরেই কিন্ত ফজরের আজান পরবো। এখন আর ঘরে আসমুনা, রান্না ঘরের চাবিডা দ্যান আমি ঐখানে টুলের উপর বসি না হয়। ওহ হ্যা ভুইল্ল্যাই গেছিলাম এই নেন কলসডা ধরেন, শেফালী আপনেগো লিগা একটু রস জ্বাল দিয়া পাঠাইছে বুজান, লগে আবার দুইডা নাইরকোলও দিছে"। কয় "সবই তো তাগো গাছের, আমরা বইয়া বইয়া খাইতাছি," বলতে বলতে কাধে ঝোলানো ব্যাগ থেকে দুটো নারকেল বের করে দেয় খঞ্জর।
অন্য ঘর থেকে খালামনিদের আর বড় মামার নীচু গলা শোনা যাচ্ছে। এত সাধের ঘুম ভাংগানোয় চরম বিরক্তি ঝরে পরছে তাদের গলায়। নানু তাড়াতাড়ি এক হাতে হারিকেন আর একটা চাবি নিয়ে বের হয়ে গেল ঘর থেকে। রান্নাঘরটা কয়েক পা দূরে, তালা লাগানো থাকে। যদিও নেবার মতন কিছুই নেই তারপর ও চোরের উপদ্রবে তালা দিয়ে রাখতে হয়। দরমার বেড়া দেয়া রান্নাঘরে কারেন্ট নাই, হারিকেন আর কুপিই ভরসা। তাই সন্ধ্যার আগে আগেই প্রায়ই রান্নার কাজ শেষ করে ফেলে নানু।
"আসো আসো তাড়াতাড়ি ঘরে আসো, শীতে তো তুমি জইমা যাইবা"। বলতে বলতে নানু দরজা খুলে হারিকেন জ্বালাতে বসলে খঞ্জর বলে উঠে, "বুজান আপনে কষ্ট কইরেন না, আমারে দেন আমি ধরাই, আরেকটু পরই তো ফরসা হইবো"। হারিকেন জ্বালিয়ে খঞ্জর বলে "আপনে এইবার ঘরে যান বুজান। আমি এইখানেই এই চৌকির উপর চাদ্দর গায়ে দিয়া থাকতে পারমু"। উত্তর দিকের ভাংগা বেড়ার ফাক গলে হু হু করে বাতাস আসছে। খঞ্জর নানু সরু টুলের মত চৌকিটার উপর কুকড়ে মুকড়ে বসে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি নানু বিছানায় নাই, অবশ্য কোনদিনই থাকে না। অনেক ভোরে নামাজ পড়তে যে উঠে আর ঘুমায় না। উঠানে মুরগীগুলো কক কক আওয়াজ তুলে খাবার খাচ্ছে। আমি দৌড়ে রান্নাঘরে গিয়ে দেখি নানু সালমাকে নিয়ে নাস্তা বানাচ্ছে আর তার পাশে এক মগ চা। আর গতকাল রাতে আসা খঞ্জর নামের সেই লোকটা সরু চৌকিটার উপর বসে আছে পা ঝুলিয়ে, সেও একটা টিনের মগে করে চা নিয়ে বসেছে আর পাশে একটা টিনের বাটিতে রাখা মুড়ি। উনি মুঠি করে মুড়ি নিয়ে চায়ের উপর ছিটিয়ে দিচ্ছে তারপর সুরুত সুরুত করে একটা অদ্ভুত শব্দ তুলে মগ থেকে চা খাচ্ছে।
নানু আমাকে পরিচয় করিয়ে দিল "উনি তোমার একজন নানা ভাই হয়, আমার ভাই"। খঞ্জর নানু আমার দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বল্লো "আসো নানু কাছে আসো, বুজান এই নাতনী বুঝি আপনার মাইঝা মাইয়ার"?নানু সম্মতিসুচক মাথা ঝুকালো।
দিনের আলোয় তার মুখের গর্তগুলো আরও গভীর আর ভয়াবহ লাগছিল। আমি সামান্য একটু কাছে গেলে উনি আমার হাত ধরে বল্লো " শুনো নানু তুমিও কিন্তু আমার একটা বুবু হও, ছোট বুবু "। আমি আস্তে আস্তে সরে আসলাম।
এদিকে ঘরের ভেতর মামা আর খালারা রাগে গজগজ করছে নতুন নানাটার সম্পর্কে। কোথাকার কে ! কোন সম্পর্ক নাই কিচ্ছু না, লতায় পাতায় মামাতো ভাই , আর কোন বাসায় জায়গা হয় না, কয় মাস পর পর এইখানে এসে উঠতে হয়, যত্তসব। মা ও আশকারা দিয়ে মাথায় উঠাইছে। বুজান বুজান ডাক শুনে আর পটে যায়"।
রান্নাঘরের দরজায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছি নানুর সাথে নতুন নানাটার আলাপ, "তা খঞ্জর বাড়ির খবর সব ভালো তো? কেমুন আছে সবাই , তোমার বউ বাচ্চারা? ভালো আছে বুজান খঞ্জর নানু উত্তর দেয়।
"আর ওই যে খালপাড়ের সেই ধলা মিয়া, অনেকদিন হইলো তার খবর পাই না, সে কেমন আছে? মুকুল বুজানের শরীরডা ভালো তো? অনেক বচ্ছর হইলো আর আসে না "।
"আছে আর কি, আল্লাহ সবাইরে রাখছে যেমুন, বুঝেনই তো বয়স হইছে ম্যালা, বুজান একবার বাড়ি চলেন সব দেখবেন "।
নানু সেই কথার উত্তর দেয় না বলে, "আরেকটা কথা জিগামু মনে থাকে না, খঞ্জর তোমার মাইজা ভাই যে বাড়ীতে ফলের গাছগুলি লাগাইছিল সেইগুলি বাইচ্চা আছে কি"?
"হ হ বুজান সব বাইচা আছে, মাইজা ভাই যেইখানে যা লাগাইছিল ঠিক তেমুন"।
"আর ওই আমগাছটা! উনি যেইটা মালদাহ থিকা আনছিল ল্যাংড়া আম"? প্রতিটা প্রশ্নের সাথে নানুর আবেগ যেন ঝরে ঝরে পরে।
" হ বুজান সব আছে, আপ্নে শুধু একবার চলেন, সব দেইখা আসবেন নিজ চক্ষে, তয় উত্তরের ভিটিটা যখন পদ্মায় ভাংলো তখন মাইঝা ভাই এর লাগাইনা সেই চিনির মত মিষ্টি কদবেল গাছটাও গেল "।
নানু উদাস হয়ে যায় খঞ্জর নানুর কাকুতি মিনতি ভরা কথাগুলো শুনে। "বুজান একটা কথা কই, আপনেগো তো ভিটায় ভিটায় বড় বড় পাটাতন করা সব লোহা কাডের ঘর, আপনেগো সব শরীকরা তো গ্রাম থিকা ঘর বাড়ি সহ অনেক কিছুই নিয়া আসছে, মাইজা ভাই তো দুনিয়া ছাইড়া চইলা গ্যাছে, কিন্তু আপনারাতো আছেন, আপনারা তো কিছুই আনলেন না! "
"না খঞ্জর তোমার মাইজা ভাই কখনোই চায় নাই আমরা কিছু আনি" দৃঢ় গলায় বলে উঠে নানু"। সে কইছে "আমার বাবা আর আমরা ভাইরা মিল্লা গ্রামের বাড়িতে যা বানাইছি সেই রকমই থাকবো আজীবন, আর মা আছে ওইখানে"।
বড় একটা শ্বাস নিয়ে নানু আবার বলতে শুরু করে, "শুনো তুমি তো তখন অনেক ছোট ছিলা, অনেক কিছু হয়তো জানো না। তোমার মাইজা ভাই আর তার ভাইয়েরা কিন্তু সবাই কলকাতায় বড় বড় চাকরি করতো আর বিরাট বিরাট বাড়িতে থাকতো। গ্রামে মাঝে সাঝে বেড়াইতে আসতো বউ পোলাপান নিয়া। তবে আমার শাশুড়ীর অনেক আত্মসন্মান আছিলো, ছেলেরা অনেক সাধছে কলকাতায় তাগো লগে থাকার জন্য। কিন্ত সে কোন দিন কোন ছেলের বাসায় থাকে নাই। বড় ছেলেরে কইছে "আমি যতদিন বাইচা আছি আমার স্বামীর ভিটাতেই থাকমু, মরলে এইখানেই মরমু, তগো কারো বাসায় থাকমু না। তোর বউতো তরে ছাড়া আমার কাছে কোনদিন থাকবো না, তাই আমার সেবা করার জন্য একটা বান্দী বিয়া কইরা আন "।
বৃটিশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সেই বড় ছেলে মায়ের জলদগম্ভীর হুকুমে সেইদিনই গ্রামেরই অত্যন্ত গরীব ঘরের একটা মেয়েকে বিয়ে করে এনে মায়ের হাতে তুলে দিল, তারপর স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে কলকাতা ফিরে গেল। মাকে দেখতে বড় ছেলে প্রতি বছরই গ্রামে আসতো তবে সেই বান্দী বউর জীবনে কখনো আসেনি বাসর, জানে নাই স্বামীর সোহাগ কেমন! নিস্ফল যৌবন আর সন্তানহীন মেয়েটি সারাজীবন পালন করে গেছে তার দায়িত্ব অর্থাৎ শাশুড়ীর সেবা যত্ন যেখানে পান থেকে চুন খসার অবকাশ ছিল না। যে উদ্দেশ্যে তার বিয়ে আর শশুর বাড়িতে আগমন সেই দায়িত্ব পালনে কোন ফাক ছিল না।
খঞ্জর নানু মন দিয়ে আমার নানুর কথা শুনছিল। মাঝে মাঝে টুকটাক এটা ওটা বলছিল। নানু তাকে টিনের থালায় রুটি আর আলু ভাজি নাস্তা দিল। আমি এতক্ষণ খেয়াল করি নাই এখন দেখলাম একটা মাটির গামলায় উনি আগুন জ্বেলে ছিল, সেটা মরে ধুয়া বের হচ্ছে। আমার চোখ ধুয়ায় কর কর করে উঠলো।
ঘরে যেতেই আমার মেঝ খালা আমাকে জিজ্ঞেস করলো "এই শোন, এই আপদ বিদায় হবে কবে শুনলি কিছু"?
"আপদকে খালা" আমার প্রশ্ন শুনে খালা বলে উঠে,
"তুই একটা গাধা, ওইযে খঞ্জর না মঞ্জর লোকটা আসছে, গ্রামের বাড়ির চৌকিদার তার আবার আল্লাদ কত! মারে বুজান বুজান ডাইকা অস্থির।
খঞ্জর নানু যে এই বাসায় অনাহুত তা উনি ভালো করেই বোঝেন। তাই উনি যতটা পারেন আড়ালে থাকার চেষ্টা করেন, তারপরও দেখা হলে সেধে সেধে হাসি মুখে সবার সাথে কথা বলতে যায়। কেউ উত্তর দেয় কেউ দেয় না।
এভাবে দুতিন দিন কাটানোর পর উনি তার সেই ঝোলা ব্যাগটা কাধে নিয়ে বলে উঠে,
"বুজান আজ যাই"।
"এত তাড়াতাড়ি যাইবা"! নানু বিস্ময় নিয়ে বলে উঠে। "হ বুজান শেফালীরে একলা থুইয়া আসছি, ও কইছে তাড়াতাড়ি ফিরা যাইতে, বুঝেন না একলা একলা এত বড় বাড়িতে থাকতে ডরায়"।
নানু ব্যাথিত মুখে তাকে বিদায় দেন রান্নাঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে। আষ্টেপৃষ্টে জড়ানো মলিন খদ্দরের চাদর, ক্ষয়ে যাওয়া রবারের স্যান্ডেল পায়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে খঞ্জর নানু আস্তে আস্তে বেড়ার কেচি গেটটা খুলে বের হয়ে যায়। যাবার আগে একবার মুখ ফিরিয়ে দেখে নেয় শেষবারের মত।
খালারা একে একে এসে জানতে চায় আপদ বিদায় হয়েছে নাকি! চিকন পাড়ের সাদা ধুতি শাড়ি পরা নানু কঠিন মুখে বলে উঠে, "তোমাদের কাছে সে আপদ হইতে পারে, কিন্ত আমার কাছে সে আসে আমার গ্রামের সুবাস নিয়া, আনে মাটির গন্ধ, আর তার সাথে নিয়া আসে তোমার বাবার স্মৃতি " ।
ছবি আমার তোলা।
https://www.somewhereinblog.net/blog/June/preview/30352266
প্রথম পর্ব
১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪৯
জুন বলেছেন: মোগল সম্রাট প্রথমেই আমার কুর্নিশ গ্রহণ করুন। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক অনেক ভালো লাগলো। আসলে মোবাইলে খুব তাড়াহুড়ো করে লিখেছি। এডিট করার ও সময় পাই নি। তারপর ও আপনার ভালো লেগেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মায়ের কথাটি অতি খাটি কথা।
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো লিখেছেন আপি। আমিও একটা গল্প লিখবো সিরিজ আকারে ৩৫ পর্বের।
১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫১
জুন বলেছেন: অবশ্যই লিখবেন আছি সাথে।
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশী হয়েছি জ্যাক স্মিথ।
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি মনে মনে ভেবেছিলাম এটা অনেক লম্বা ধারাবাহিক হবে। মাত্র দুই পর্বেই শেষ করে দিলেন!!!
১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩১
জুন বলেছেন: জী রাজীব নুর আমি জানি বেশি পর্ব লিখলে মানুষ পড়তে চায় না। তাই ছোট ছোট পর্বে লিখি। উর্ধ্বে ৩ কি ৪। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
শেকড়ের টান !
সব মানুষের মনের জমিনেই একটি শেকড় গজিয়ে ওঠে তার অজান্তেই। সহব্লগার মোগল সম্রাট এর মা বলেছেন - '"তোদের শহরে বসে আমার গ্রামের একটা কাউয়া দেখলেও মনডা ভালো লাগে" পরানের গহীন থেকে উঠে আসা একটি শেকড়ের ঘ্রান!
স্মৃতির সুবাস মাখা একটি গল্প। খুব ভালো লাগলো। ++++++++
১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬
জুন বলেছেন: আপনি অনেক পোস্টে সৈয়দ মুজতবা আলীর পরিচারক এর বিখ্যাত ডায়লগ "ইনহাস্ত ওয়াতানাম" বাক্যটি ব্যবহার করেছেন। এর অর্থ এই তো আমার জন্মভূমি । এক সময় গাও গেরাম থেকে লোকজন শহরে এসে ছেড়ে আসা গ্রামের জন্য হা হুতাশ করতো আর এখন বিশ্বের উন্নত দেশে গিয়েও কেউ কেউ নিজ মাতৃভূমির জন্য নীরবে চোখের জল ফেলে। তবে পরবর্তী জেনারেশন আর দেশ চিনবে না। সেই পরাভৃত অবস্থা তেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে। ভুলে যাবে পিতৃপুরুষের একটা বসত ভিটা ছিল। ওরাও চিনবে না দেশকে, দেশের লোকেরাও চিনবে না ওদেরকে তা সেই বুড়ো বয়সে এসে দেশ দেশ বলে যতই চোখের জল ফেলুক। অযত্নে অবহেলায় বিদেশের মাটিই হবে তাদের শেষ আশ্রয়। শেকড় যে কি জিনিস যার শেকড় নেই তার বোঝার কথাও নয়।
আর এই জিনিসটাকেই আমি ভয় পাই আর এটাই আমার বিদেশে ঘাটি না গাড়তে চাওয়ার এক বড় কারন আহমেদ জী এস।
অপ্রাসঙ্গিক কথা বার্তার জন্য আন্তরিক দু:খিত। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৬
কিরকুট বলেছেন: আরে বাহ সেরাম হইছে। ভালই লেখেন আপনি। এটা দিয়া ভালো উপন্যাস হতে পারে। নাম দেবেন খঞ্জর নানা।
১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭
জুন বলেছেন: আমিতো সব সময় ভালোই লিখি এখন কথা হলো আপনি তা পড়েন নাই তাই জানতে পারেন নাই কিরকূট
যাইহোক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:১০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি এই পুরো পোস্ট মোবাইল দিয়ে লিখেছেন!!
১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২২
জুন বলেছেন: জী জ্যাক স্মিথ মোবাইল দিয়ে ইদানীং আমি সব লেখি তাই তো সব নাকি কোয়েলের ডিমের মত ছোট ছোট পোস্ট বলে শেরজা বলে থাকে
শেরজা কাল বলেছিল অসুস্থ । এখন কেমন আছে ? আল্লাহ তাকে শীঘ্রই সুস্থ করে তুলুন ।
৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৫:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এবারেও প্রচ্ছদ ছবিটাও সুন্দর হয়েছে । বুজাই যায় মাটির টান কাকে বলে ।
দোহারের সাগর সম আরিয়াল বিলের কথা ও ছবি দোহার বাসিরা ভুলবে কেমনে।
উপরে নীল আকাশ, নীচে ডেও তুলা পানি , টলটলে জলে সাদা মেঘের প্রতিবিম্ব,
তার মাঝ দিয়ে কখনো যদি নৌকায় করে ঘোরার সুযোগ হয় অনন্যসাধারণ দৃশ্য
আর দিন শেষে অপুর্ব সূর্যাস্ত যায় দেখা যায় ।
গ্রাম ছেড়ে দুরে থাকলে বুঝা যায় মাটির টান কাকে বলে । নানী আর খঞ্জরের
সুন্দর কথোপকথন তুলে ধরে মাটির টানের গভিরতা কত । খঞ্জর আনেকের
কাছে আপদ মনে হলেও তিনি যে কি মধুর স্তৃতি মাখা সুভাস ছড়িয়ে দিতেন
তা অন্যরা বুজবে সেদিনই যেদিন তেমনি কোন পরিবেশে গিয়ে হবে পতিত,
যেখানে নীজের ফেলে আসা দিনের স্মৃতি তাদেরকে তাড়িয়ে বেড়াবে ।
মাটির টানের সুন্দর প্রকাশ পাঠে ভাল লাগল ।
প্রথম পর্বের পোষ্টে একটি ছোট্ট মন্তব্য রেখে এসেছি ।
শুভেচ্ছা রইল
১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
জুন বলেছেন: দোহারের সাগর সম আরিয়াল বিলের কথা ও ছবি দোহার বাসিরা ভুলবে কেমনে।
উপরে নীল আকাশ, নীচে ডেও তুলা পানি , টলটলে জলে সাদা মেঘের প্রতিবিম্ব,
তার মাঝ দিয়ে কখনো যদি নৌকায় করে ঘোরার সুযোগ হয় অনন্যসাধারণ দৃশ্য
আর দিন শেষে অপুর্ব সূর্যাস্ত যায় দেখা যায় । অনেক পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন আলী ভাই । আমরা তখন একদমই ছোট স্কুলেও ভর্তি হই নি । সেই সময় একবার আমার আমাদের নিয়ে তার এক সম্পর্কিত বোনের বাসায় নিয়ে গিয়েছিল । ছই আলা নৌকা করে সারাদিন লাগিয়ে গিয়েছিলাম । যেতে যেতে বিকাল। মাঝপথে মাঝিরা জেলে নৌকা থেকে বেলে মাছ আর কি যেন কিনে চচ্চড়ি রান্না করেছিল সাথে ঘন ডাল। তার যে কি স্বাদ ভোলার নয়। আম্মা বহুদিন সেই মাঝির ডাল রান্না বলে বলে আমাদের ঘুম থেকে তুলে ভাত খাইয়ে দিত ।
আমার কাছে অনেকগুলো আড়িয়াল বিলের ছবি ছিল তবে শুকনো মৌসুমের। আদিগন্ত বিস্তৃত সেই মাঠে ধান কেটে স্তুপ করে রেখেছিল চাষীরা।
আপনার মন্তব্য পেয়ে যেমন ভালোলাগে তেমন উতসাহিত হইও বটে । সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশা রইলো । ভালো থাকুন ।
৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করছেন সেটা জানতে।
১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮
জুন বলেছেন: দেখেন রাজীব নুর। আপনার এই জিনিসটা আমার খুব ভালো লাগে। আমিতো সময়ের অভাবে একবারও যেতে পারি না অনেক সময়
ভালো থাকুন পরীদের নিয়ে
৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো গল্পটা। আমি অবশ্য জীন/ ভুতের গল্প মনে করেছিলাম। আপনার কি কোন গল্পের বই বের হয়েছে? ব্লগে অনেক সুপ্ত প্রতিভা আছে।
মেয়েদের কাছে তাদের বাপের বাড়ির লোকের অনেক কদর থাকতো। যত দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ই হোক না কেন। আমার বাবার এক খালা কোলকাতায় থাকতেন শ্বশুর বাড়িতে। ১৯৯৮ সালে আমরা গিয়েছিলাম দেখা করতে আমার বাবাকে সহ। আসলে গিয়েছিলাম অন্য কাজে। উনি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলেন এবং ওনার সাধ্য মত আমাদের আপ্যায়ন করেছিলেন। কিন্ত ওনার ছেলে মেয়েদের মধ্যে তেমন কোন আন্তরিকতা দেখলাম না। ভাবটা এমন যেন আমরা যত তাড়াতাড়ি যাই ততই ভালো। আমরা অবশ্য রাতে থাকি নি।
আমার চাচা আর ফুফুরা বলত যে ওনাদের আপন মামার সাথে দেখা কম হত কিন্তু একজন সৎ মামা ছিলেন যিনি ওনাদের নিয়ে হই হুল্লোড় করে বেড়াতেন ছোটবেলায়। অনেক বড় না হওয়া পর্যন্ত আমার চাচা, ফুফুরা জানতেনই না যে এই মামা আসল মামা না। আমার একজন বড় ফুফু আছেন। সারা জীবন জানতাম উনি আমাদের চাচা ফুফুদের আপন বোন। এতো বছর পরে শুনলাম উনি আমার দাদার আগের ঘরের মেয়ে। আমার দাদার আগের স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন। এটা অনেকেই জানতো না যে সেই ঘরে একটা মেয়ে ছিল। ওনাকে সবাই আপন বোন বলেই জানতেন।
১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
জুন বলেছেন: হু আমিও ভেবেছিলাম আপনি হয়তো জ্বীন ভুতের গল্পই মনে করেছেন সাড়ে চুয়াত্তর
যাক জ্বীন ভুত থেকে একেবারে মাটির মানুষে টেনে আনলাম। না ভাই আমার কোন বই বের হয় নি। ব্লগের অনেকে ছাড়াও আমার এক মামা আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সবাই আমাকে বলেছিল বই প্রকাশ এর কথা। কিন্ত যখনই বলেছে পান্ডুলিপি তৈরি করা, এডিট করা, বানান ঠিক করা, পাবলিশার্স এর হাতে পায়ে ধরা তার উপর নাকি টাকাও দিতে হয়। শুইনা আমি বলছি মাফ চাই দোয়া চাই, এইসব আমার দ্বারা পোষাবে না। অনেক পেপারে, ম্যাগাজিনে আমার লেখা বের হয়েছে। যারা চেয়েছে তাদের কাছে একটাই শর্ত থাকে আমার লেখা এডিট করতে (কাটছাট) পারবে না। আমাকে বলুক কত শব্দের আমি তাই লিখে পাঠাবো। একবার বনিক বার্তায় আমার আরাকু ভ্যালির উপর লেখাটি ছাপিয়ে ছিল। স্রেফ প্রথম আর শেষ প্যারাগুলো কেটে ফেলে। আমি নিজের লেখার মাথামুণ্ডু নিজেই বুঝলাম না পাঠক তো দুরের কথা।
অনুপ্রানন আর শব্দঘর ম্যাগাজিনে আমার অনেক লেখা ছাপা হয়েছে। এখন কিছু পাঠানো আর হয়ে উঠে না।
ধান ভানতে শিবের গীত গাইলাম সাড়ে চুয়াত্তর।
আপনার অভিজ্ঞতার কথা জেনে অনেক ভালো লাগলো। গ্রামের পরিচিত জন বা আত্নীয়রা আসলে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠতো বিশেষ করে মাইজা দাদা বলে যখন বারান্দা থেকেই একটা চিৎকার ভেসে আসতো। পোলাও না গোস্ত না সামান্য কোন খাবার। কোথায় সেই দিন হারিয়ে গেছে আব্বা আম্মার দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার সাথে সাথে। ওনাদের অনেকেও বিদায় নিয়েছেন। আল্লাহ উনাদের বেহেশতবাসী করুন এই দুয়া করি।
ভালো থাকুন সব সময়।
১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৭
মেহবুবা বলেছেন: আগের লেখা পড়া হয়নি। এটা পড়তে শুরু করেছিলাম আপনার বেড়ানোর গল্প ভেবে, পরে ভুল ভাঙলো। ভাল থাকবেন।
১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৫
জুন বলেছেন: ওহ আচ্ছা। অসুবিধা নেই মেহেবুবা না পড়লে
ভালো থাকুন সব সময়
১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:১১
রানার ব্লগ বলেছেন: গ্রামে আসলেই এমন কিছু চরিত্র থাকে তারা বিনা দাওয়াতি মেহমান । আমার নানা বাড়িতেও একজন ছিলেন । আমরা তাকে দোস্ত বলে ডাকতাম ।
১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৬
জুন বলেছেন: কি ব্যাপার এত্ত ছোট্ট একটা মন্তব্য
আমার লেখা নিয়ে টু শব্দটা পর্যন্ত নেই
এইটা কিছু হইলো!
১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রতি মন্তব্য সুন্দর হয়েছে ।
প্রথম পর্বের মন্তব্যটিও
একটু দেখে আসতে পারেন।
সম্ভমত সেটি ১২ নং মন্তব্য ছিল।
১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৯
জুন বলেছেন: আলী ভাই আবার এসেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আগের মন্তব্যের জবাব দিয়েছি।
আপনার অনেক লেখায় আমার মন্তব্য করা হয় নি। এবার একে একে সব দেখবো মন দিয়ে। আসলে আমার নিজের লেখাতেও মন দেয়ার সময় পাই না। হাবিজাবি যা মনে আসে একটানে লিখে যাই। কিন্তু আপনার লেখাতো ওই ভাবে পড়া যাবে না।
শুভকামনা রইলো।
১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৯
সোহানী বলেছেন: আরো শেষ পর্ব মানে আরো পর্ব আছে!!!!!!!!! আমি কই ছিলাম??????????
১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:২১
জুন বলেছেন: আপনি কানাডা ছিলেন সোহানী
আগের পর্বটা পড়ে আসতে পারেন।
একেবারেই ছোট একটা প্যারাগ্রাফ মতন আরকি
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রইলো
১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪২
সোহানী বলেছেন: হুম........ সব দোষ সামারের । শীত আসলেইতো আবার গর্তে ঢুঁকবো। তাই একটু উকিঁঝুকিঁ দিচ্ছি চারপাশে।
১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩২
জুন বলেছেন: সামারে আসলে খরগোশ আর কাঠবিড়ালির মত গর্ত থেকে বের হয়ে ঘুরতে থাকেন আরকি আমার ছেলে যাওয়ার জন্য পিড়াপিড়ি করছে। আমি বলেছি শীতে আমি নেই বাপু। বরফের যত সৌন্দর্যই থাক শীত আমার অসহ্য সোহানী ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন।
১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার মাটির টানে প্রথম পর্বে আমার করা একটি মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আপনি বলেছেন ঢাকা হতে
আপনি দেশের শিমুল তুলার বালিশ নিয়ে এসেছেন । বিষয়টি আমাকে বেশ উৎসাহিত করেছে ।
তাই সে বিষয়ে কিছু কথা সেখানে না বলে এখানে আপনার চলতি পোষ্টে বলা সঙ্গত মনে করছি।
তবে মাটির পোষ্টে করা এই মন্তব্য কথনটি তেমন অপ্রাসঙ্গিক হবে বলে মনে হয়না ।
ব্যকপেইন এর জন্য এখানকার মেট্রেস ও সিনথেটিক ফাইবারের বালিশ নিয়ে বেশ সমস্যায় আছি ।
আরামদায়ক বিছানাতে শুয়েও সকালে ঘুম ভাঙ্গে কোমরে ব্যথা নিয়ে । যত দামী মেট্রেসরই হোক না
কেন কোনটাই তেমন কাজে আসেনা । বালিসেও একই অবস্থা ।
ভাবছি আপনার ফর্মুলা ব্যবহার করে দেশ হতে শিমুল তুলার বালিসই নিয়ে আসব । তবে সমস্যা হলো শিমুল তুলা
ও নারিকেলের ছোবরার মেট্রেস আনা নিয়ে । প্রায় ৫০ /৬০ কেজি ওজনের এই মেট্রেস পরিবহন বেশ ঝক্কি ও ব্যয়
সাধ্য । এমন অবস্থায় মাথায় একটি বিকল্প চিন্তা আসল । ভাবলাম বাংলায় প্রকাশিত সামুতে লেখালেখির অন্যতম
একটি লক্ষ হল দেশীয় পন্যের উন্নয়ন , বিকাশ ও দেশে বিদেশে তাদের বিপনন সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরা ।
তাই ভাবলাম এখানকার ম্যট্রেশ তৈরীকারী কোন নামি দামী বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে আমাদের দেশের শিমুল তুলা
ও নারিকেলের ছোবরা দিয়ে তৈরী লেপ তোষক বালিশের গুণাগুন সচিত্র ভাবে তাদের কাছে তুলে ধরলে অখেরে
হয়তবা এখানকার তৈরী পোষাক শিল্পের মত এটাও দেশের রপ্তানী পন্যে পরিনত হতে পারবে । বিদেশে
বসবাসকারীগনও সহজে পাবেন শিমুল তুলা দিয়ে তৈরী স্বাস্থ সন্মত লেপ ,তোষক, আর বালিশ ।
এখানে প্রসঙ্গ ক্রমে উল্লেখ্য ইউকের Nolton Abaca নামক একটি বানিজ্যিক প্রতিষ্টানের তৈরী একটি মেট্রেস
( 100% organic fibre only mattress made with organic wool and horse tail with an organic
cotton cover) এর বর্তমান বাজার দাম £3190.00 যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায়৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত ।
নীচে এর দুটি ছবি দেয়া হল ।
ছবি Nolton Abaca ম্যট্রেস ১
ছবি Nolton Abaca ম্যট্রেস ২
অপরদিকে আমাদের ঢাকা সহ সারা দেশে লেপ তোষকের কারিগরিগন তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে শিমুল তুলা ও
নারিকেলের ছোবরা দিয়ে প্রায় তাদের মত সমমানের 100% organic fibre only mattress তেরী করেন ।
নীচে ছবি দেয়া হল । যার বাজার দাম আকার বেদে মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা তথা বৃটিশ £১০০ - £১৫০ ।
ছবি ঢাকার বাজরে পাওয়া যায় এমন একটি শিমুল তুলার মেটরেস
ভাবছি Nolton Abaca কে ইমেইলে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানাব এবং রিকোয়েস্ট করব আমার প্রস্তাবের
সুফলদায়ক সম্ভাবনাগুলি বানিজ্যিক দৃস্টিকোন হতে দেখার জন্য । প্রয়োজনে তারা বেশ কিছু দক্ষ কারিগর
ওয়ার্ক পারমিটে নিয়ে আসতে পারে , আর শিমুল তুলার উৎপাদন সম্প্রসারনের জন্য গ্রামীন জনগোষ্টিকে সম্ভবমত
সম্পৃক্ত করতে পারে , যেমনটি এখানকার বানিজ্যিক কোম্পানী বেশ কিছু আফ্রিকান দেশে করে খাকে , উদাহরণ
উগান্ডার Chili Children প্রকল্প । যাহোক সেটি আর এক বিশাল স্টোরি ।
Nolton Abaca এর কাছে আরো একটি বিষয় তুলে ধবব তা হল ঘোড়ার লেজ আজকাল বেশ দুষ্প্রাপ্র ও অনেক
দামী একটি আইটেমে পরিনত হতে যাচ্ছে । ম্যট্রেসে যদি কোন প্রাণী লেজের শক্ত পশম তারা লাগাতেই চায় তবে
বাংলাদেশের গরুর লেজের পশম ব্যবহার করতে পারবে । কোরবানীর সময় দেশে প্রায় কোটিখানেক গরুর লেজ
পাওয়া যায় । কোরবানীর সময় দেশবাসী এমনিতেই পশুর চামড়া বিক্রয় করা নিয়ে বেশ বিপাকে আছে , পানির
দামেও চামড়া বিক্রি করতে না পেরে বছর খানেক আগেও অনেকে কোরবানীর পশুর চামরা মাটিতে পুতে রেখেছে ।
তারা যদি ম্যট্রেসে ঘোড়ার লেজের পরিবর্তে গরুর লেজের পশম ব্যবহার করে তাহলে এটারো একটা গতি হয় দেশে।
কোরবানীর গরুর চামড়ার ভাল দাম না পেলেও তার লেজের জন্য ভাল দাম পেতে পারে ।
গরুর লেজের ছবি
যাহোক কথায় বলে যেখানে দেখিবে ছাই তুচ্ছ না করে
উড়ায়ে দেখ তাই পাইলেও পেতে পার মানিক রতন ।
তাই আবারো কামনা করি আপনার মাটির টানে পোষ্টটি দেশের মানুষের জন্য
কল্যান বয়ে আনুক বিবিধ প্রকারে ,মানুষের মন মানসিকতার গুনগত মান
পরিবর্তনের সাথে বস্তুনিষ্ট উন্নয়নও ঘটুক একসাথে ।
শুভেচ্ছা রইল
২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৩২
জুন বলেছেন: আপনি ফোমের উপর শক্ত টপার ইউজ করতে পারেন। বেশি নরম বা স্প্রিং এর ম্যাট্রেস আমার পছন্দ না। আপনি যেই ম্যাট্রেস এর ছবি দিয়েছেন সেগুলো কি আপনার বাসার? প্রথমটা দেখে তো আমি ভয় পেয়েছি আলী ভাই
শিমুল তুলো আর নারিকেলের ছোবড়ার ম্যাট্রেসের ব্যাবসা করতে যদি চান তবে শিমুল তুলোর কথা জানি না কিন্তু নারকেলের ছোবড়া তো আপনি ওদের পলিনেশিয়ান দ্বীপ বা ক্যারিবিয়ান দ্বীপ থেকেই পেতে পারেন। কাছে হবে আমদানি খরচ কম হবে আসলেও আমাদের দেশীয় জিনিসের তুলনাই হয় না।
অনেক মনোগ্রাহী একটি মন্তব্য করে আমার পোস্টকে সমৃদ্ধ করেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন। ভালো থাকুন সব সময়।
১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৭
মিরোরডডল বলেছেন:
এই পর্ব আরো বেশি ভালো লাগলো, লেখার মূল বক্তব্য সত্যি চমৎকার!
"তোমাদের কাছে সে আপদ হইতে পারে, কিন্ত আমার কাছে সে আসে আমার গ্রামের সুবাস নিয়া, আনে মাটির গন্ধ,তার সাথে নিয়া আসে তোমার বাবার স্মৃতি ।
স্মৃতি এতো কষ্ট দেয় তারপরও আমরা বার বার স্মৃতির কাছে ফিরে যাই, স্মৃতি খুঁজে বেড়াই।
বিশেষ করে আমরা মেয়েদের মাঝে মায়া বিষয়টা বিল্ট ইন থাকে।
আমরা স্মৃতিকাতর হতে ভালোবাসি।
সেই স্মৃতি আকড়ে ধরে জীবন পার করে দেই।
তোমার কাছ থেকে এরকম জীবনমুখী লেখা আরো এক্সপেক্ট করছি।
২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
জুন বলেছেন: মিরর আমার লেখাটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই আনন্দিত হোলাম। আমার কিন্তু সব গল্পই জীবন ঘনিষ্ঠ। আপনি ইচ্ছে করলে উলটে পালটে দেখতে পারেন আমার লেখালেখিতে সব সময় সাথে থাকেন তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
করুণাধারা বলেছেন: "মাটির টান" শিরোনাম ভালো লেগেছে।
মেয়েদের জীবনটাই তো এমন! চিরচেনা পরিবেশ ছেড়ে নতুন মাটিতে শিকড় গাড়তে হয়! কিন্তু পুরানো মাটির টান ভুলে যাওয়া সহজ নয়।
এই আবেগ আর মনের কষ্ট অন্য কেউ বোঝেনা নিজের ছেলে মেয়েরাও না।
চমৎকারভাবে চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। গল্পে+++
২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৫
জুন বলেছেন: শিরোনামটি ভালো লেগেছে জেনে আমারও অনেক ভালো লাগলো করুনাধারা। আসলে আমি কখনো শিরোনাম নিয়ে প্রথমে একটুও ভাবিনা। গল্প বা যাই লিখি তা শেষ করে যা মনে আসে তাই বসিয়ে দেই। আসলে এটা ঠিক না। এটা নিয়ে আসলে আমার সিরিয়াসলি ভাবা উচিত। কারণ শিরোনামের মাঝেই অর্ধেক গল্প লুকিয়ে থাকে।
আমাদের ছেলে মেয়েরা যারা বিদেশে থাকে তাদের মত করে আমরা কিন্তু আমাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে পারবো না, আর পারতে হলেও মন থেকে পারবো না করুনাধারা। মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হলো বলে দু:খিত। আশাকরি কিছু মনে করবেন না।
১৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯
রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: কি ব্যাপার এত্ত ছোট্ট একটা মন্তব্য
আমার লেখা নিয়ে টু শব্দটা পর্যন্ত নেই
এইটা কিছু হইলো!
মাঝে মাঝে ভালো লেখার প্রশংসা করতে হয় না । কারন লেখটা নিজেই প্রশংসিত । তখন অন্যভাবে লেখার সাথে নিজের অনুভুতি প্রকাশ করলে একটু নতুনত্ব আসে।
২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৭
জুন বলেছেন: মাঝে মাঝে ভালো লেখার প্রশংসা করতে হয় না । কারন লেখটা নিজেই প্রশংসিত বাহ রানার ব্লগ দারুণ একটা কথা বললেন তো! অসাধারণ একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো নিরন্তর।
১৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: এই পর্ব তাও আপনার নামের একটু মান ইজ্জত রেখেছে!!
কোয়েলের ডিম থেকে যা হোক মুরগির ডিমে এসেছে
আমার প্রতি আন্তরিকতার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। লেখা নিয়ে সময় করে বিস্তারিত আলাপ করব।
২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫১
জুন বলেছেন: এর পর আসবে উট পাখির ডিম শেরজা। তখন আবার বইলেন না চোখের সমস্যা নিয়ে এত বড় লেখা পড়তে প্রবলেম
আপনার সমস্যা কি এখন ভালোর দিকে? মন্তব্য করার দরকার নাই, মাঝে মাঝে লগইন থাকলেই বুঝবো আপনি এখন কিছুটা ভালো আছেন
২০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: খুব ভালো লাগল, আমি ভেবেছিলাম খঞ্জর জ্বীন ভুত হবে।
চা'য়ে মুড়ি দিয়ে খাওয়ার কথায় মনে পড়ল ছোট বেলায় (এই বুড়ি বেলায়ও কদাচিৎ খাই) দুধ চায়ের কাপে মুড়ি দিয়ে চামচ দিয়ে তুলে সেই মুড়ি খেতাম, এভাবে আধাকাপ চা হবার পর বাকি টুকু চুমুক দিয়ে খেতাম।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১২
জুন বলেছেন: আহা আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে অনেকটা সময় লাগলো দেখছি। আশাকরি ভুলোমনা আপুকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন তার ভুলের জন্য নীল দর্পন
মুড়ি দিয়ে আমিও সুরুত সুরুত করে মাঝে মাঝে চা খাই। আপনার ভাই বলে এসব কি ছোট লোকের মত
আপনার ভালোলেগেছে জেনে আমারও অনেক অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেষতক সাথে থাকার জন্য।
২১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: এই ভাষা কোন অঞ্চলের?
খঞ্জর-এর মত মানুষরা সব খানেই অপাংক্তেয়! অথচ এরা সারা জীবন নীরবে তাদের মুনিবদের সেবা করে যায়- বিনিময়ে পায় তাচ্ছিল্য আর অবহেলা।
নানু'র মননে মগজে জড়িয়ে আছে তাঁর স্বামীর ভালোবাসা ও আবেগ। তাইতো শ্বশুরবাড়ির প্রতিটি খুঁটিনাটি ব্যাপার তাঁকে এতটা তাড়িত করে।
চিকন পাড়ের সাদা ধুতি শাড়ি পরা নানু কঠিন মুখে বলে উঠে, "তোমাদের কাছে সে আপদ হইতে পারে, কিন্ত আমার কাছে সে আসে আমার গ্রামের সুবাস নিয়া, আনে মাটির গন্ধ, আর তার সাথে নিয়া আসে তোমার বাবার স্মৃতি " ।
~ শেষের কথাগুলো ভীষন ভাবে নাড়া দেয়- আমরা এইসব আত্মীয়তার বন্ধন, সোঁদা মাটির গন্ধ প্রায় হারাতে বসেছি!
* আপনার এ ধরনের সম্ভবতঃ আমি প্রথমবার পড়লাম। কেন যেন মনে হচ্ছে গল্পের পেছনে কোন সত্য কাহিনী লুকিয়ে আছে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২০
জুন বলেছেন: প্রথমেই আন্তরিক দু:খ প্রকাশ করছি এমন ধরে বেধে রিমান্ডে আনার জন্য শেরজা। আমি কত্ত ছোট লোক দেখছেন আসলে আপনার মন্তব্য আমি প্রত্যাশা করি
ভাষাটা বিক্রমপুরের আপনার তো চেনা চেনা লাগার কথা, পদ্মার এপার ওপার। তাই না?
আমরা এইসব আত্মীয়তার বন্ধন, সোঁদা মাটির গন্ধ প্রায় হারাতে বসেছি! আসলেও ভোর সকালে আমাদের দরজায় এসে কলিং বেলের ধার না ধেরে সজোরে চিৎকার, " মাইঝা ভাই বাড়িতে আছেন নাকি"? আব্বা আম্মা চলে যাওয়ার সাথে সাথে এরাও অনেকে চলে গেছে আর যারা আছে তারা আর আমাদের কাছে এসে ফ্রী হয় না। তাই আত্মীয় স্বজনের বিয়ের দাওয়াত মিস করি না। কত পুরনো পুরনো মানুষের সাথে যে দেখা হয়।
আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো সাথে আন্তরিক শুভকামনা।
২২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: ধরে বেঁধে কেন - আমি এখানে ফের আসব বলেই আশা করেছিলাম; আপনি শুধু স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সেজন্য ধন্যবাদ।
আমার এখন আর এইসব অনুষ্ঠানে আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করতে তেমন ভাল লাগে না।
সবার প্রায় এক প্যাঁচাল; কিরে তোর এই অবস্থা ক্যান? বুড়া হয়ে গেছিস তো, এত শুকাইলি ক্যামনে? কিংবা ভুড়ি-টুরিতো বেড়ে গেছে, আগে কত স্লিম ছিলি।
আমার এই রোগ ওর ওই রোগ, সে টেসে গেছে!! উনি যায় যায় করছেন। নামাজ টামাজ পড়া হয়? পরকাল নিয়ে ভাবতে হবে, এইভাবে আর কদ্দিন।
কারো অভাব অনটন নিত্য লেগে আছে, কারো পয়সার দেমাগে মাটিতে পা পড়ে না। সে চায় সবাই গিয়ে তাঁকে আগে হাই হ্যালো করবে, সালাম দিবে। সাথে তাদের আর কিছু চামচা আত্মীয় থাকে যারা, এই ওর সাথে দেখা হইছে? বলে জোড় করে টেনে নিয়ে সম্মান জানাতে বাধ্য করে।
আরো অনেক ক্যাচাল প্যাঁচাল- হয়তো আমারও নখ্রা কম নয়
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
জুন বলেছেন: ধরে বেঁধে কেন - আমি এখানে ফের আসব বলেই আশা করেছিলাম; আপনি শুধু স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সেজন্য ধন্যবাদ।
না বার বার বলায় বিরক্ত হলেন কি না তাই ভাবছি শেরজা!
আত্মীয় স্বজনদের মিলন মেলায় আপনার পাকা চুল আর ভুড়ি নিয়ে প্রশ্ন করায় আপনি যারপরনাই বিরক্ত হন। বুঝলাম আপনি আসলেই নখরা ওয়ালে /
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এসেছেন বলে । ভালো থাকুন সব সময়।
২৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: আত্মীয় স্বজনদের মিলন মেলায় আপনার পাকা চুল আর ভুড়ি নিয়ে প্রশ্ন করায় আপনি যারপরনাই বিরক্ত হন। বুঝলাম আপনি আসলেই নখরা ওয়ালে
হাঃ হাঃ হাঃ ভাল বলেছেন। চুল কিছু পেকেছে বটে তবে তেমন নাদুস-নুদুস ভুড়ি নেই
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৯
জুন বলেছেন: আপনার লেটেস্ট একটা ছবি দিয়েন তাহলে আমরা বুঝতে পারবো আপনার আত্মীয় স্বজনরা আপনার বিরুদ্ধে বেহুদা ইলজাম দিচ্ছে কি না
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
দারুন লাগলো।
আসলেই এখনকার শহুরে মানুষদের কাছে গ্রাম থেকে আসা চাকচিক্যহীন মানুষ গুলোকে অনেকেই আপদ মনে করে। আমিও এরকম অনেক ঘটনা দেখেছি। আমার মা বলতেন '"তোদের শহরে বসে আমার গ্রামের একটা কাউয়া দেখলেও মনডা ভালো লাগে"
তখন হয়তো বুজতাম না ঐ কথার গভীরতা কতো। এখন বুঝি গ্রামের স্মৃতির প্রতি কতো আকুলতা থাকে মানুষের মনে।