নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০২০ এ আমার গৃহকর্মী নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম শিরোনাম ছিল
বুয়াদের জ্ঞ্যান গরিমা পোস্টের বিষয়বস্ত ছিল বিভিন্ন বিষয়ে তাদের পান্ডিত্য। পুথিগত শিক্ষা না থাকলেও জীবনের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নানা বিষয়ে নানান অভিজ্ঞতা থেকে তারা অনেক ব্যাপারে অনেক কিছুই জানে।
আমি বেশ কিছুদিন পেটের ব্যাথায় ভুগছিলাম। কোথায় ব্যাথা, কেমন ব্যাথা,কতক্ষণ থাকে, কি খেলে হয় জেনে শুনে সে বলেছিল "ডড়াইয়েন না খালাম্মা এইডা ঘেষ্টিকের ব্যাতা, তেল মরিচ কম খান আর বেশি ব্যাতা করলে দুকান থিকা একটা ঘেষ্টিকের বড়ি আইনা খাইয়েন, ভালা হইয়া যাইবেন, বড়িডা কইলাম চুইষা খাইতে হয়"।
আমার স্বামী যথারীতি বুয়ার ট্রিটমেন্ট এ ভরষা করতে পারলো না। নিয়ে গেল প্রাক্তন এপলো বর্তমান এভার কেয়ারে। এই বিষয়ের সেরা বিশেষজ্ঞের সাথে এপয়েন্টমেন্ট করে। উনি তো আমাকে এই টেস্ট সেই টেস্ট করিয়ে বিশ হাজারের উপর টাকা খসিয়ে একটা প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দিল। সেখানে বিতিকিচ্ছিরি ভাবে একটা রোগের নাম লেখা যা ডায়গনোসিস করা হয়েছে। আমি নার্ভাস ভাবে জানতে চাইলাম "সহজ ভাষায় বলেন ডাক্তার সাহেব আমার কি অসুখ"? উত্তর আসলো "গ্যাস্টিক, ঔষধ লিখে দিয়েছি, নিয়ম করে খাবেন"।
আমি চমকে গেলাম,বুয়াতো তাহলে ঠিকি ধরেছিল আমার অসুখ তবে তার প্রেসক্রিপশনে ওমিপ্রাজল / সার্জিলের নাম ছিল না এই যা আর আমার থেকে টেস্ট বাবদ মোটা টাকাও খসায় নি সে।
যাই হোক অনেক দিন পর অর্থাৎ কোভিডের সময় দেশে গিয়ে থিতু হবার পর কাল দুপুরে নীচ থেকে ইন্টারকমে কেয়ার টেকার জানালো, "ম্যাডাম আপনার পুরনো বুয়া সোহাগের মা এসেছে, পাঠাবো"?
আমি সাগ্রহে বলে উঠি "হ্যা হ্যা পাঠাও'।
চিরাচরিত ম্যাক্সি পরা মাথায় ওরনা সোহাগের মা এসে হাজির। বসার ঘরে এসি ছেড়ে বসলাম, জিজ্ঞেস করলো "খালাম্মা ভালো আছেন তো? আপনাগো কথা ভুলতে পারি না, সব সময় মনে হয় "। আমরা আছি একরকম জানিয়ে জিজ্ঞেস করলাম " তোমার কি খবর সোহাগের মা? নাতি পুতি নিয়ে ভালো আছো তো "?
আমার কথা শুনে হঠাৎ সে ঝরঝর করে কেদে উঠলো, আমি তো হকচকিয়ে গেলাম, বললাম "কি হয়েছে? কি হয়েছে? কাদছো ক্যানো"!
সে পেটে হাত দিয়ে আমার দিকে করুন চোখে চেয়ে বল্লো " খালাম্মা আমার পেটের এইখানে একটা টিউমার হইছে, ডাক্তার আল্টাসনু করছে এখন সন্দেহ করতাছে সময় মত অপারেশন না করলে ক্যান্সার হইতে পারে "। সে হাত দিয়ে যে সাইজ দেখালো তা প্রায় একটা টেনিস বলের মত।
ক্যান্সারে মারা যাওয়া মায়ের মেয়ে আমি আর্ত গলায় প্রশ্ন করলাম " এত বড় টিউমার তো আগে টের পাও নি"! কাদতে কাদতে জানালো "না খালাম্মা"। চোখের পানি মুছিয়ে তার হাতে সামান্য কিছু সাহায্য করলাম যা এই চিকিৎসায় কিছুই না। কিছু খেলো না, বল্লো খেলে বমি আসে।
ভবিষ্যতে যোগাযোগ করার জন্য বললাম। জানিনা আর আসবে কি না, মনটা খারাপ হয়ে গেল। শুধু ভাবছি হায়রে সোহাগের মা তুমি আমার অসুখটা কত সহজে ধরে ফেললে আর নিজের এত বড় অসুখটা ধরতে পারলে না!
ছবি নেট
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪
জুন বলেছেন: জী আপনি ঠিকই বলেছেন।
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
কিরকুট বলেছেন: আপনি খোজ নিন বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ঘরে একজন করে পুরানা রুগী পাবেন। আর পুরানা রুগী হলো ডাক্তারের ওস্তাদ। এরা ডাক্তারের থেকে খুব দ্রুত রোগী সিম্পটম বুঝে যায় সেই সাথে মেডিসিন ও দিয়ে দেয় বিনা টেস্ট করে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬
জুন বলেছেন: তাতো বটেই রানার ব্লগ। পুরনো রোগী আর হাতুড়ে ডাক্তার সব সময়ই পাবেন। ঔষধ এর সাথে সাথে পরামর্শও।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪০
জুন বলেছেন: আমি দু:খিত কিরকুট আপনাকে রানার ব্লগ উল্লেখ করায়। আসলে সেই সময় থেকে ক্যাচালে ক্যাচালে সয়লাব ব্লগ আমার মাথা মনে হয় ঠিক ছিল না। আবারও দু:খ প্রকাশ করছি
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডাক্তার দেখে টেষ্ট না করে ক্যান্সার বলা যায় না।
বর্তমানে ক্যান্সারের ভাল চিকিৎসা আছে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪১
জুন বলেছেন: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ডাক্তার দেখিয়েছে কালবৈশাখী আর অনেক টেস্টও করিয়েছে। ডাক্তাররাই তার ছেলেকে জানিয়েছে। পরে ছেলের মুখ থেকে শুনেছে। আমাদের দেশে ময়মনসিংহ মেডিকেলের বেশ সুনাম আছে কিন্তু । ঢাকায় থাকা আমার পরিচিত বেশ কয়েকজন ময়মনসিংহর লোকজনকে দেখেছি অপারেশন বা চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ যেতে।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র মানুষের অসুখ বিসুখ হওয়া অনেক দিকাদারি।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪২
জুন বলেছেন: আমাদের মত মধ্যবিত্তদেরও এর হাত থেকে রেহাই নেই রাজীব নুর।
৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
ইসিয়াক বলেছেন: আজকাল ডাক্তারের কাছে যাওয়া মানে একগাদা টাকার শ্রাদ্ধ করা। অতীতের একটা ঘটনায় ডাক্তারদের প্রতি বিশ্বাস উঠে গেছে। চিকিৎসার উদ্দেশ্য রুগী চেম্বারে গেলে আগেই এক গাদা টেস্ট করতে দেয়। এর মধ্যে অনেক টেস্ট অপ্রয়োজনীয় হয়ে থাকে। স্রোতের মত টাকা খরচ হয়। সেই থেকে নিজের কোন সমস্যা হলে কয়েকদিন দেখি এ বিষয়ে একটু ঘাটাঘাটি করি।প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার,পর্যাপ্ত পানি খাই। নিয়ম মেনে চলি।এ পর্যন্ত সমস্যায় পড়ি নি। তবে এই প্রাকটিসটা ঠিক নয়। তবুও কিছু করার নেই। তবে সমস্যা বেশি হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন তো হতেই হবে।
সোহাগের মায়ের জন্য শুভকামনা রইলো।উনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি । মানুষ দরিদ্র হলে বর্তমান পৃথিবীতে বেঁচে থাকা সত্যি দুষ্কর।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৩
জুন বলেছেন: আমারও ডাক্তারের কাছে যেতে ইচ্ছে করে না ইসিয়াক। মনে হয় যা আছে অজানাই থাক আর এই অবস্থায় নি:শব্দে যেন চলে যেতে পারি। আর খাবার দাবার সব কিছুতে এত রাসায়নিক মেশানো, দুষিত বাতাস, বেচে আছি এটাই বিশাল ব্যাপার।
অনেক দিন পর আসলেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২০
শাওন আহমাদ বলেছেন: ভেতরটা হু হু করে উঠল! পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
জুন বলেছেন: চারিদিকে এত হানাহানি, অসুখ বিসুখ, আকাশ বাতাস পানি সব কিছুই দুষিত শাওন আহমেদ। এর মধ্যে বেচে আছি এটাই বিস্ময়কর। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: " অনুশীলন একজন মানুষকে নিখুঁত করে তোলে " - তা সে যে কোন ব্যাপারেই হোক না কেন।
এ্যাপোলো < এভারকেয়ার ------------ আপনি দেহি আমাগই লোক।
" সোহাগের মা " - কি বলব ?
শুধু এতটুকুই বলতে পারি দয়াময় বিধাতা যেন উনাকে সুস্থ করে দেন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭
জুন বলেছেন: এপোলো এভারকেয়ারে কি আপনি আছেন কামরুজ্জামান? আমি তো ওদের মনে হয় সবচেয়ে পুরনো পেশেন্ট
মহিলাটি অনেক দুখী, আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা কামনা করি। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮
আমি সাজিদ বলেছেন: সোহাগের মায়ের জন্য দোয়া ও শুভকামনা।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমি সাজিদ।
৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে দেন। আমার পাশের বাসার বুয়াটা মাত্র ক্যান্সার ধরার পরই এক মাসের মাঝে মারা গেল। অথচ কিছুই টের পেলো না
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৯
জুন বলেছেন: এখন চারিদিকে শুনি ক্যান্সার। এ যেন মহামারীর মত ছড়িয়ে পরছে। এত দুষণ আর ক্যামিকেল মেশানো খাবার খেয়ে বেচে থাকাটাই আশ্চর্যের বিষয় কাজী ফাতেমা ছবি। ভালো থাকুন সব সময়।
১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: গরীবের এমনিতেই কষ্টের শেষ নাই। এর মাঝে যদি কঠিন অসুখ হয় তাহলেতো ্কষ্টের সীমা পরিসীমা নাই ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩
জুন বলেছেন: আসলেও তাই ঢাবিয়ান। কত মানুষ যে কি হয়েছে জানেই না, হয়তো জানে তাদের জ্বীনের আসর নাকি, বাতাস লাগা এমন জেনেই মরে যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৯
কিরকুট বলেছেন: লেখক বলেছেন: তাতো বটেই রানার ব্লগ। পুরনো রোগী আর হাতুড়ে ডাক্তার সব সময়ই পাবেন। ঔষধ এর সাথে সাথে পরামর্শও।
দুঃখিত !! আপনি কি আমাকে রানার ব্লগ ভেবে আহ্লাদিত হচ্ছেন?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫
জুন বলেছেন: না আমি কিছুতেই আহ্লাদিত হচ্ছি না। আসলে কালকের ক্যাচালে আমার মাথাটাই আউলায়া গেছিল। ক্যান উপরে স্যরি বলছি দেখেন্নাই
১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৯
শায়মা বলেছেন: আহারে সোহাগের মা! আমাদের সুফিয়াও অনেক অসুস্থ্য হয়ে গেছে আর কাজ করতে পারছে না। তার পায়ে অনেক ব্যাথা। বেশিক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। বেশ কিছুদিন হলো সে গ্রামে ফিরে গেছে। তার সে জায়গা দখল করেছে আসমা। সবাই আমরা একে একে এমনই অসুস্থ্য হয়ে যাবো হয়ত কিংবা হবো না তবুও শরীর আর সাস্থ্য তো চিরকাল একই রকম থাকবে না। দিন বদলের খেলায় তাই সবই বদলে যাবে বা বদলে যায়।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০
জুন বলেছেন: আসলেও এরা কি খায় না খায়৷ উদয়াস্ত পরিশ্রম তাদের অল্প বয়সেই মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। আমার বর্তমান পার্ট টাইম শিউলিকে সেদিন দেখি চোখ মুখ ফ্যাকাসে দুর্বল। খাবার তো দেই সেদিন একটা মাল্টি ভিটামিন কিনে দিলাম। আজ বলছে "আন্টি আপনার দেয়া ঔষধ খেয়ে ক্লান্তিটা চলে গেছে "। তো আমরা এমন কয়জনকে সাহায্য করতে পারবো শায়মা? কত শিউলি অকালে ঝরে যাচ্ছে কে তার খবর রাখে। মন্তব্যে ধন্যবাদ
১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের মতো দেশে গরিবরা বিনা চিকিৎসায় মরে।হাসপাতালের গরিবদের ভালো চিকিৎসা হয় না।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০২
জুন বলেছেন: চিকিৎসা তো যেমন তেমন পুস্টির অভাবটা অস্বাভাবিক। আমরা নিজেরাও অনবরত ভ্যাজাল খেয়ে খেয়ে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৭
বাকপ্রবাস বলেছেন: মানুষের অসহায়ত্ব দেখলে আমার খুব খারাব লাগে। অস্বস্তি ভাব হয়। কিছু করতে পারিনা কিন্তু মনেমনে আল্লাহকে বলি, তুমি কেমনে সহ্য করো এসব, আমরাতো পারিনা
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬
জুন বলেছেন: আমি কিছুদিন আগে আমার পার্টটাইম গৃহ কর্মীর শরীর স্বাস্থ্য দেখে একটা মাল্টিভিটামিন কিনে দিলাম। আমরা আর কি করতে পারি বলেন বাকপ্রবাস। আমার বাসায় সকালে আসে দশটায় চলে যায়। নাস্তাটা করে শুধু। তারপর সারাদিন এ বাসা ও বাসা আর সবচেয়ে ভারী ভারী কাজই তো ওরা করে সবার বাসায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায় জীবন!
কত রংয়ে, কত রুপে
খেলে যাও তুমি মানুষের সাথে
যার ব্যাথা সে বোঝে-
আবেগহীন তোমার বয়ে যায় তাতে!!!!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
জুন বলেছেন: কবিতায় সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভৃগু। কই ছিলেন এত দিন?
১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
ক্যান্সার হইতে পারে
যেহেতু এখনও হয়নি, আশা করি সে ভালো হয়ে উঠবে।
ক্যান্সার যদি না হয়, সেক্ষেত্রে টিউমার সার্জারি করে বা মেডিসিন দিয়েও রিকভার হয়।
পার্সন টু পার্সন ভ্যারি করে, সেটা কি অবস্থায় আছে বা কত বড়।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১০
জুন বলেছেন: আমি না মিররডডল ডাক্তার সাসপেক্ট করছে। অনেক দিন হয় টিউমারটা গ্রো করছে তাই হয়তো। আর বিভিন্ন টেস্ট ও করেছে তবে বায়াপ্সি না করলে তো কিছু ফাইনাল বলা যায় না। আল্লাহ যেন তেমন কিছু না হয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: তাতো বটেই রানার ব্লগ।
কিরকুট কি আমাদের রানা? আর ইউ সিওর?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১০
জুন বলেছেন: আমিও জানি না মিররডডল। তবে সন্দেহ করি
১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৮
মিরোরডডল বলেছেন:
কিরকুটের আজকের যে পোষ্ট, মনে হয়না রানা কখনও এমন পোষ্ট দিবে।
I think you're wrong জুনাপু।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১২
জুন বলেছেন: মে বি আমার ভুল হতে পারে। উপরে তাকে স্যরি বলেছি বাট একটা জিনিস খেয়াল করেছো রানার ব্লগ কিন্ত এখনো কিছু বলে নাই। এটা এবনরমাল
১৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪১
কাছের-মানুষ বলেছেন: সত্যিই কষ্টের ঘটনা। আপনারাতো বোধ হয় থাইল্যান্ড থাকতেন, এখনকি একেবারে দেশে চলে এসেছেন?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪
জুন বলেছেন: অনেক কষ্টকর কাছের মানুষ। ঢাকায় একটা দরকারি কাজে এসেছি। এখানে আমার ভাই বোনরা থাকে। তবে সামনের মাসে চলে যাবো। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ
২০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সোহাগের মায়ের করুন জীবনালেক্ষ নিয়ে রচিত পোষ্টখানি অনেক বারতাই দিয়ে গেল ।
সোহাগের মায়ের জন্য রইল সহমর্মীতা ও তার আশু বোগ মুক্তির জন্য প্রার্থনা ।
আমরা অনেকেই গ্যাসট্রিক জনিত বিষযটিকে প্রথম দিকে তেমন গুরুত্ব দেই না ।
গ্যাসট্রিক জনিত রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো যথা বুকজ্বালা, পেটের উপরের অংশে ব্যথা,
বমি ও ক্ষুধামন্দা পরবর্তী লক্ষণগুলি দেখা দিলে ঔষধের দোকান হতে এন্টাসিড জাতিয়
ওষধ কিনে সেবন করে থাকি । কিন্তু সঠিকভাবে এটাকে ডায়াগনিস না করে এন্টাসিড জাতীয়
ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এর প্রতিকার না হলে ধিরে ধিরে শরিরের ওজন কমে যাওয়া, জন্ডিস,
বমি ডিসফ্যাজিয়া বা খাবার গিলতে কষ্ট হতে পারে । সময়মত সঠিক চিকিতসা না করা হলে
সাধারণত কয়েকবছর ধরে আস্তে আস্তে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে শেষ ধাপে এসে উন্নীত হয়ে
টিউমার বা স্টমাক ক্যানসারে পরিনত হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা থাকে । যেমনটি হয়েছে
সোহাগের মায়ের ।
এখন উন্নত মানের স্বাস্থ্য সেবা দানকারী পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই টিউমার কিংবা
পাকস্থলী ক্যন্সার জনিত রোগ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত ক্যান্সার স্ক্রিনিং পরীক্ষা করানো হয় ।
আমাদের দেশেও নিয়মিতভাবে সরকারী/বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে সরকারী খরচে কিংবা
স্বল্প ব্যয়ে সকলের জন্য গ্যাসট্রিক জনিত ক্যান্সার স্ক্রিনিং পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করা একান্ত
প্রয়োজন ।
জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের প্রতি গন সচেতনতা মুলক পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪
জুন বলেছেন: আলী ভাই আপনার জবাব নিয়ে পরে আসছি
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬
জুন বলেছেন: আসলেও আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা নিয়মিত হেলথ চেকাপে অভ্যস্ত নই। কোন ডাক্তার যদি রোগ নির্নয়ের আগে কিছু টেস্ট দেয় অমনি মনে মনে তার ১৪ গোষ্ঠী উদ্ধার করতে থাকি। বিভিন্ন তথ্যসুত্র থেকে পড়া ভারতের বিখ্যাত ডাক্তার বিধান চন্দ্রের অভাব অনুভব করতে থাকি। উনি কেন তার মত ডাক্তার হলেন না যে রোগীর নাড়ী ধরে কি না ধরেই রোগ বাতলে দিত। আসলে এগুলো আমাদের গাফিলতি। তবে আমি টেস্ট করতে চাই না কারন এক বিন্দু রক্তের প্রয়োজন হলে তারা মনে হয় আমার সারা শরীরের রক্ত শুষে নেয় এক্সরে করতে গিয়ে এভার কেয়ারের মত হাসপাতালে এক্সরে রুমের দরজায় ২ ঘন্টা বসে আছি শুধুমাত্র আমার হুইলচেয়ারটা ঠেলে ভেতরে নেয়ার কেউ নেই বলে।
গ্যাসট্রিক জনিত ক্যান্সারে আমার এক আত্মীয় মারা গেছেন গত বছর। তার সিম্পটম ছিল শুধু পেট ব্যাথা। জানিনা আমার কি অবস্থা সামনের মাসে ব্যাংকক গেলে সেখানে একটা চেক আপ করায় আসবো ভাবছি। দোয়া রাইখেন যেন খারাপ কিছু না হয়।
সোহাগের মা এর জন্য আপনাদের সকলের দোয়া আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কবুল করে নিন।
২১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মর্মান্তিক। আল্লাহ শাফি আল্লাহ মাফি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭
জুন বলেছেন: আল্লাহ শাফি, আল্লাহু মাফি অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।
২২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমি এ্যাপোলোতে ছিলাম শুরু থেকে (২০০৫-২০১৪) পর্যন্ত তারপর থেকেই পরবাসী।
তবে , অর্ধাংগীণি এখনো আছেন।
যদি কোন ব্যাপারে প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে নক করলে খুশি হবো।
কিছু করার সুযোগ থাকলে সে অবশ্যই করবে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮
জুন বলেছেন: খুবই ভালো একটা সংবাদ কামরুজ্জামান। আশা করি ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে অবশ্যই নক করবো ভাবীকে।
২৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬
করুণাধারা বলেছেন: সোহাগের মায়ের জন্য মন খারাপ হলো। ক্যান্সার না হয় যদি তাহলে ভালো হয়।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯
জুন বলেছেন: আপনার দোয়া আল্লাহ কবুল করে নিন করুনাধারা। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
২৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু প্রথমে একটু রম্য বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু শেষে সোহাগের মায়ের খবরটি পড়ে বিষন্ন হলাম।দোয়া করি যেন উনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক বটে। আমি রুবি হসপিটালে্ ছয়মাস বন্ধু ভর্তি থাকায় প্রায়ি যেতাম। পাশ্ববর্তী এলাকায় বাংলাদেশী রোগীরা পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমার বন্ধুও কেমো ও রেডিওথেরাপি নেওয়ার জন্য ওখানে বাড়ি ভাড়া নিতে বাধ্য হয়। চোখের সামনে দেখতাম কীভাবে ওদের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে। এলাকাটা মিনি বাংলাদেশ নামেও পরিচিত।ঐ এলাকার অর্থনীতিতে বাংলাদেশী রোগীদের পরিজনদের বিরাট ভূমিকা আছে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০১
জুন বলেছেন: সামান্য এক নারী গৃহকর্মীর জন্য আপনার বেদনা প্রকাশিত হয়েছে আপনার মন্তব্যে পদাতিক।
আপনাদের ওখানে আমাদের অনেক পরিচিত জন চিকিৎসার জন্য যায় আমি জানি। তার মাঝে আমার অনেক ক্লোজ আত্নীয় পরিজনও আছে। তবে সেই ঢলটা মনে হয় একটু কম মনে হয় আমার কাছে। আগে যেমন আমাদের দেশে স্বাস্থ্য সেবায় একটু পশ্চাৎপদ ছিল, এছাড়া তখন ব্যাংকক সিংগাপুর যাওয়াটা অত সুবিধাজনক ও ছিল না। এখন দেখে ভারত বিশেষ করে কলকাতার ডাক্তাররা আমাদের দেশের রোগীদের প্রতি আগের মত অত আন্তরিক নয়, তাদের এট্যিচ্যুড অনেকটা ব্যাবসায়িক। এতে সামর্থ্যবানরা অন্য দিকে যায় আর অনেকে দেশেই চিকিৎসা নেয়। আপনিই দেখেন কোভিডে আমাদের মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক কম। আর ভারতে চিকিৎসা করেও অনেক রোগী মারা গেছেন। তখন থেকে এই ভারতমুখী প্রবনতাটা আমার মনে হয় খানিকটা কম। আমি জানি না ঠিক বললাম কি না।
এছাড়া আগে নানা কারণে শপিং করতে বা ভ্রমনে গিয়েও নিউ মার্কেট, দক্ষিনাপন এলাকা গুলো চষে বেড়িয়েছি। এখন অনলাইনে ভারতের সব জায়গার জিনিসই পাওয়া যায়। আগে বছরে এক দুইবার যেতাম, সারা ভারত আমি ঘুরে বেড়িয়েছি। আর এখন অনেক বছর হলো যাওয়াই হয় না। আপনি একবার এসে বৌদিকে নিয়ে বেড়িয়ে যান আমাদের দেশে।
ভালো থাকুন সব সময় আর আমাদের সাথেই থাকুন
২৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: এইরকম টিউমার ও ক্যান্সার এখন হর হামেশা হচ্ছে! চারিদিকে হাজার হাজার এরকম রোগী। আমি সেদিন 'এইচ. পাইলোরি' নামে যেই ভাইরাসটার কথা বলেছিলাম সেটার উপশম না করলে দিনের পর দিন গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেলে এমনটা হতে পারে।
বুয়াটার জন্য খারাপ লাগছে। ভাল হয়ে উঠুক সে সমবেদনা ও সহমর্মিতা।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৪
জুন বলেছেন: বুয়ার কোন প্রবলেম ছিল না শেরজা, ছিল আমার
সেটাই তো শেষ লাইনে বললাম তুমি আমার রোগ ধরেছো কিন্ত নিজের রোগটা ধরতে পারো নাই
আপনি সময় কইরা আরেকবার আমার পোস্টটা পইড়েন। ইলিশ বড্ড বিজি আছেন মনে হয়
২৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিশ্বাস করবেন কি না জানি না। হোমিও ওষুধে ক্যানসার নিরাময় হয়। তবে ভালো হোমিও ডাক্তার দেখাতে হবে। আমি অন্তত দুইজনকে চিনি যাদের ব্যাপারে ডাক্তাররা আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। একজন কঠিন ফুসফুসের ক্যানসারের রোগী ছিলেন। হোমিও খেয়ে এখনও প্রায় ১২/১৩ বছর বেচে আছেন। দিব্যি ভালো আছেন। বয়স হবে ৭৩ বছর প্রায়। আরেকজনের মাথায় টিউমার হয়েছিল। ডাক্তার বলেছিল ৭ দিনের মধ্যে তিউমার ফেটে যাবে তাই বাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু হোমিও খাওয়ার পরে ৭/৮ বছর বেচেছিলেন। ওষুধ শুরু করার ৬ মাস পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে টিউমার ছোট হচ্ছে। পরে অন্য রোগে বয়সের কারণে মারা যান। একজন মহিলাকে জানি যার জরায়ুতে সিষ্ট হয়েছে। হোমিও খাওয়ার পরে সেটা ধীরে ধীরে ছোট হচ্ছে।
আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে বা ডাক্তাররা আশা ছেড়ে দিলে হোমিও ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। দুই চিকিৎসাই এক সাথে করা যায়।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৭
জুন বলেছেন: হোমিও ঔষধে অনেক সময় অনেক কিছু ভালো হয় আবার হয় না এটা অবশ্যই বিশ্বাস করি সাড়ে চুয়াত্তর। হয়তো কোন পর্যায়ে আছে তার উপর নির্ভর করে। গরীব মানুষ এখান ওখান থেকে চেয়ে চিনতে নিয়ে আর কটা টাকাই বা হয়। আমি এক ভালো ব্যাবসায়ী ভদ্রলোককে দেখেছিলাম ব্লাড ক্যান্সার মেয়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে ফতুর হয়ে গিয়েছিল। বলবো সোহাগের মাকে আপনার কথা যেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার কথাও মাথায় রাখে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন এটাই চাওয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫
সোনাগাজী বলেছেন:
খুবই কষ্টের ব্যাপার!