নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সে অনেক অনেক দিন আগের কথা, আমি তখন ছোট আমার পিঠেপিঠি ভাইবোনরাও ছোট ছোট। আমি আগেও বলেছি আমার আব্বা উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা হলেও তার মনটি ছিল অনেক নরম আর সবুজ। যেমন ন্যায়বান, তেমনি ধার্মিক, তেমনি স্মার্ট আবার তেমনি সাহিত্য প্রিয়। আব্বা খুব সৌখিন ছিলেন, আমাদের বাসায় যেমন প্রচুর গল্পের বই ছিল সাথে ছিল নানা রকম ফুল-ফলের গাছ। এ ছাড়াও ছিল বিদেশি কুকুর, বিড়াল, টিয়া, ময়না, হাস, আর মুরগীর দল। বড় বড় মুটু মুটু মোরগ-মুরগীগুলো ছিল বিখ্যাত লেগহর্ন জাতের। এই মুরগী পরিবারে আব্বা কোথা থেকে যেন উপরের ছবির মত দুটো বড় বড় মোরগ এনেছিল। তাদের অসাধারণ সৌন্দর্য নিয়ে তারা গর্বিত ভংগিতে আমাদের বাসার পেছনের ঘেরা দেয়া উঠানে ঘুরে বেড়াতো আর খানিক বাদে বাদেই কোকোর কো বলে ডাক দিয়ে উঠতো।
আমাদের প্রিয় মোরগ দুটোকে দেখলেই সদ্য বানান করে পড়া মোরগ আর খেকশেয়ালী উপকথার ছড়াটা মনে পড়তো। ভাইয়া একটু বড় ছিল বলে আমাদের দলে থাকতো কম। আমরা তিন ভাই বোন হাতে চাল নিয়ে বারান্দার রেলিং এ ভর দিয়ে সেই উপকথার ছড়া বলতাম,
"মোরগ ভায়া,মোরগ ভায়া
মাথায় ঝুটি, হলুদ ছায়া,
তেল চুকচুক তোমার গা
রেশমি তোমার দাড়িটা,
জানলা দিয়ে মুখ বাড়াও
মটরশুঁটি নিয়ে নাও "
মোরগ গুলো কাছে না আসলে ছড়াটার বাকি অংশ বলতাম
"ছড়িয়ে দিলাম গমের দানা,
মুরগীরা সব খুটে খেল,
পায়না কেন মোরগগুলো"!
এরপর কোকর কো কোকর কো করতে করতে মোরগদুটো এসে আমাদের ছিটানো চাল খেত। একবার ঈদের সময় আব্বা আম্মা সিদ্ধান্ত নিল বাইরে থেকে কেনা কিছু মুরগীর সাথে একটা মোরগ জবাই করা হবে। আমরা কিছু জানিনা হঠাৎ মোরগের চিল চিৎকারে আমরা ছুটে আসলাম। কি ব্যাপার জবাইর জন্য আলী ভাই আর আমাদের গৃহকর্মীর হাতে মোরগ। আলী ভাইর হাতে ছুরি। আমরা সাথে সাথে এমন কান্না জুড়ে দিলাম যাকে বলে মড়াকান্না। পাড়া প্রতিবেশীদের ছুটে আসার অবস্থা। আমার ছোট ভাইতো মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কাদছে। এমনকি আমার বড় ভাইও খেলা ফেলে হাজির। আমাদের এই অবস্থা দেখে দুই বার ধরে দুই বার ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিলেন আব্বা।
আমার এত কাহিনীর মুল বিষয় হলো সেদিন একটা ভিডিও দেখছিলাম, তাতে নায়ক হলো উপরে ছবির মত এক মোরগ এক সবুজ ঘাসের উঠানে চরে বেড়াচ্ছে সাথে অদেখা দুজন মানুষের কন্ঠ। শুনে মনে হলো একজন প্রাপ্ত বয়স্ক আর একজন নিতান্তই বাচ্চা মেয়ে শিশুর কচি কন্ঠ। মোরগটা দেখেই শিশুটি বলে উঠলো, ওকে আমি খাবো,বাবা ওকে আমি খাবো আমি বিস্মিত এবং ব্যাথিত হয়েছিলাম ঐটুকু ভিডিও দেখে। পুরোটা দেখার ইচ্ছে হয় নি। আমাদের কিশোর সন্তানরা কুকুর জবাই করে মাংস বিক্রি করছে। অকারণে ঢিল মেরে পাখির বাসা ভেংগে বাচ্চাগুলোকে পা দিয়ে চেপে মারছে!
আমরা পশ্চিমাদের বকাবকি করি, তাদের অনুভূতিহীন হার্টলেস বলি, কিন্ত কিছু কিছু ভিডিওতে দেখি ক্রিসমাস বা কোন উপলক্ষে বাবা মায়েরা বাচ্চাদের বিড়াল বা কুকুর ছানা উপহার দিলে তারা খুশিতে কাদতে থাকে।
এসব দেখে আজ কদিন ধরে আমার শুধুই মনে হচ্ছে আমরা আমাদের সন্তানদের কি শিখাচ্ছি! আমরা কি একদল কঠিন হৃদয় আর দয়ামায়াহীন নিষ্ঠুর সন্তানদের রেখে যাচ্ছি এই ধরনীতে!!
ছবি নেট।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৭
জুন বলেছেন: কি বলেন জ্যাকস্মিথ! খুলনায় এই কুকুরের মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রেধে হোটেলে বিক্রি করা নিয়ে কত তোলপাড়! আর এর সাপ্লায়ার চার জন কিশোর বা উঠতি যুবক। আধারের যুবরাজ লিংক দিয়েছে দেখেন।
প্রথম মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের বাসায় একটা বিড়ালের বাচ্চা আছে। আমার ২ ছেলে আর মেয়েটা সেটাকে অনেক আদর যত্ন করে। বিড়ালটার ছোট্ট একটা অপারেশন করতে হয়েছিল কয়েকদিন আগে। আমার ছেলে মেয়েরা কয়েকদিন আগে সারা রাত জেগে ছিল বিড়ালটার জন্য।
তবে আমাদের দেশে আমরা পশুদের প্রতি নির্দয়। বাচ্চারাও সেটা শিখছে অনেক ক্ষেত্রে। কুকুর হোক, বিড়াল হোক আমাদের উচিত এদেরকে দয়া করা।
ছোট বেলায় আমাদের বাসায় ২ টা মুরগী আর একটা মোরগ ছিল। আর ছিল দুইটা কুকুরের বাচ্চা। মুরগী একটার নাম রেখেছিলাম টুম্পা। মোরগটার নাম এখন মনে আসছে না।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
জুন বলেছেন: আমাদের দু বোনেরও দুটো বিড়াল ছিল সাড়ে চুয়াত্তর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
আর বর্তমানে এটা আমার ছেলের বিড়াল
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: জানেন আপা? অধিকাংশ মানুষ অন্যের ক্ষতি করে আনন্দ পায়। আপনাকে দেখে অনুমান করা যায় আপনার বাবা কত চমৎকার মানুষ ছিলেন।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৫
জুন বলেছেন: আপনার সহৃদয় মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @জ্যাক স্মিথ কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৮
জুন বলেছেন: @ জ্যাকস্মিথ তোলপাড় করা ঘটনা। ধন্যবাদ আধারের যুবরাজ লিংক শেয়ার করার জন্য।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: আপা চা দেন, আমি প্রথম মন্তব্য করেছি তবে পুরোটা পড়েই মন্তব্য করেছি।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১০
জুন বলেছেন: হা হা হা প্রামাণিক ভাই অনেক দিন পর এই মন্তব্যটা পেলাম "ফাস্ট হইছি চা দেন"
তবে ফাস্ট হন্নাই
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: আপা শরম পাইলাম, আমার আগেও কয়েক জন মন্তব্য করেছে কাজেই তাদেরকে বাদ দিয়ে শুধু আমাকে চা দেন।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৪
জুন বলেছেন: এই নেন প্রামাণিক ভাই
আরেক বার আসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
রানার ব্লগ বলেছেন: প্রযুক্তির চাপে আমাদের ভেতরের মানবিকতা নির্মমতায় রুপ নিয়েছে। ভাববেন না এর শেষ আছে। আমরা বা আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম দেখতে পাবে না কিন্তু তাদের প্রজন্ম এর শেষ দেখবে। কষ্ট হয় ওদের জন্য সেই শেষ মোটেও সহজ বা আনন্দদায়ক কিছু হবে না৷
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৩
জুন বলেছেন: কষ্ট হয় ওদের জন্য সেই শেষ মোটেও সহজ বা আনন্দদায়ক কিছু হবে না৷ আপনার এই ভবিষ্যৎবানী মনে ভয় ধরিয়ে দিল রানার ব্লগ। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রাসঙ্গিক এই মন্তব্যের জন্য।
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মিরোরডডল বলেছেন:
কুকুর হোক, বিড়াল হোক আমাদের উচিত এদেরকে দয়া করা।
শুধু দয়া করা না জুনাপু, অবশ্যই ভালোবাসবে। পোষা প্রাণী হচ্ছে সন্তানের মতো।
কিন্তু ওই মোরগটা আমি খাবো
কষানো রোস্ট দিয়ে গরম গরম পোলাও অত্যন্ত উপাদেয়।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৮
জুন বলেছেন: আমি প্রতিদিন নিজে খাবার খাওয়ার আগে আমার শিকলি কাটা পাখিদের জন্য বারান্দায় ভাত মেখে দিয়ে খেতে বসি মিররডডল। একটু যদি দেরি হয় অমনি বিভিন্ন সুরে তাদের চিৎকার চেচামেচি শুরু হয়ে যায়। আমি যখন বিদেশে থাকি তখন আমার প্রধান চিন্তা থাকে পাখি আর গাছেরা। কে পাখিদের খাবার দিবে আর কে গাছে পানি দিবে।
অসাধারণ একটি মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ মিরর। অনেক অনেক ভালো থাকুন
৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমরা কি একদল কঠিন হৃদয় আর দয়ামায়াহীন নিষ্ঠুর সন্তানদের রেখে যাচ্ছি এই ধরনীতে!!
বিষয়গুলি অতীব দুঃখজনক। তবে বিপরীত চিত্রও অনেক আছে। ভাল মন্দ নিয়েই আমাদের পৃথিবী। আমাদের লাইক শেয়ার শিকারী মিডিয়াগুলো ভাইরাল হওয়ার জন্য নেগেটিভ কন্টেন্ট গুলি প্রচার করতে একটু বেশিই উৎসাহী। ভালো হতো তারা পজিটিভ বিষয়গুলো যদি খোঁজে খোঁজে প্রচার করতো, তাহলে আমাদের সন্তানেরা অনুসরণ ও অনুকরণ করার মতো অনেক উদাহরণ পেয়ে যেত।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৩
জুন বলেছেন: গেয়োভুত আমি আমাদের দেশের পরবর্তী সকল প্রজন্মের রেফারেন্স দেই নি ভাই। তবে অধিকাংশর কথাই বলেছি। প্রবাসী বড়ভাই দেশে এসেছে কিশোর ছোট ভাইকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে চার বন্ধু মিলে দড়ি দিয়ে বেধে মুখে স্কচটেপ আটকে পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে বাবা মায়ের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তি পণ চাইছে। এমন ঘটনা হরেদরে ঘটছে। এটা কি কয়েক বছর আগেও ছিল? ভিডিও দেখে বিচার করি না, অনেক সত্যি ঘটনা আশেপাশেই ঘটছে সেই আলোকেই লেখা। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৭
স্প্যানকড বলেছেন: আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটা স্বার্থপর প্রজন্ম হবে। আর চারপাশে যে যুদ্ধ চলছে এসব খবর রোজ শুনতে শুনতে ওদের মন মানসিকতার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। মৃত্যু যেন কোন বিষয় নয় ! প্রাণী পোষা ভালো এতে করে অনেক অভিজ্ঞতা আসে। মোরগটির এখনো আপনার মনে অবস্থান করছে। ভালো থাকবেন সব সময়
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২০
জুন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন সব সময় এই শুভকামনা রইলো। আমার স্মৃতি শক্তি অনেক প্রখর তবে মাঝে মাঝে বিট্রে করে। আবার অনেক সময় কুইজ মেলাই খুব সহজে আবার কোন সময় পারি না। যেমন ক্লু দিলেও ব্লগের মাল্টি ধরা
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আফসোস।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২২
জুন বলেছেন: কিসের আফসোস মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন!! আপনার আদব কায়দা পোস্টে একটা মন্তব্য করেছিলাম হয়তো আপনার মনপুত হয়নি। আপনি আমার মন্তব্যটি স্কিপ করে গিয়েছেন। কারণ বুঝতে পারি নি।
১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৮
কামাল১৮ বলেছেন: বেশিরভাগ পরিবার থেকেই দেখে শিখছে।যোগের হাওয়া কিছুটা আছে।৭১ রে এতো হত্যা দেখে মানুষ কিছুটা নিষ্ঠুর হয়ে গেছে।৭১ রের আগের সমাজ দেখেছি তাই পার্থক্য করতে পারছি।মানুষ মানবিক না হলে অবস্থা আরো খারাপ হবে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৭
জুন বলেছেন: যুগের হাওয়া তো আছেই সাথে পারিবারিক শিক্ষা কামাল ১৮। আমার মনে আছে তখন আমার ছেলে ছোট, আমার প্রতিবেশী মহিলা আর আমি আমাদের দুই ৬/৭ বছরের সন্তান নিয়ে চাইনিজ খেতে গিয়েছিলাম। গেট দিয়ে ঢুকতেই এক মুরুব্বীর সাথে দেখা।উনি প্রশ্ন করলেন তোমরা এই রাতে কোথায় গিয়েছিলে? আমার আর প্রতিবেশীর সন্তান এক সাথে উত্তর দিল। আমার ছেলে বল্লো আমরা চাইনিজ খেতে গিয়েছিলাম আর প্রতিবেশীর ছেলে একই সাথে উত্তর দিল এই একটু ঘুরতে বের হয়েছিলাম।
বুঝেন তাহলে।
সব সময় সাথে থাকেন মন্তব্যে তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমান প্রজন্ম নিয়ে আমি প্রচন্ড হতাশ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩১
জুন বলেছেন: হতাশা তো কিছু আছেই। টাকা আয়ের জন্য বাবার প্রতিযোগিতা আর বাচ্চার স্কুলের অন্য বাচ্চাদের মায়েদের সাথে মায়ের প্রতিযোগিতা আর ক্লাসমেটদের সাথে নিজের প্রতিযোগিতায় বাচ্চারা কুলহারা নাবিকের মত ঘুরপাক খাচ্ছে রাজীব নুর। তাদের কচি মন বিষিয়ে তুলছি আমরা বুড়োরাই।
সব সময় মন্তব্য দিয়ে সাথে থাকছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪০
বিজন রয় বলেছেন: আপা, বাংলাদেশের দেশের মতো সমাজ ব্যবস্থায় নরম-কোমল গেুরো আশা করেন কিভাবে?
বর্তমানে মা-বাবারা কি জানে, কতটুকু জানে!
প্রতিমূহুর্তে সন্তানদের কি গেলানো হচ্ছে, কিভাকে গেলানো হচ্ছে দেখুন।
স্কুল কলেজ, নাটক-চলচ্চিত্র, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান?
আপনি কি মনে করেন না যে মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, কিছুক্ষেত্রে ইন্ডিয়া, এসব দেশের কাছাকাছি বাংলাদেশ চলে এসছে?
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৪
জুন বলেছেন: আমার ভাগ্নে স্কুলে সেভেন এইটে পড়ার সময় তার এক ক্লাশমেট (বখাটে ছিল) বলটা জোর করে নিয়ে যায়। তারা বাকি ছেলেরা মিলে সেই বন্ধুর মায়ের কাছে নালিশ করে। উনি তার কোন বিচার করে না দেখে তারা কাচুমাচু হয়ে জানালো আন্টি ও না সিগারেট খায় (সত্যি কথা)। মহিলা এটা শুনে কোমরে হাত দিয়ে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে বল্লো "সে তার বাপের পয়সায় সিগারেট খায়, তোমাদের বাপের টাকায় খায় নাকি"! সেই ছেলে পরে কলেজে থাকাকালীন ওই এলাকার সবচেয়ে বড় ড্রাগ ডিলার হয়েছিল। মাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল বিজন রয়।
এইভাবেই আমরা গার্জিয়ানরা বাচ্চাদের কোমল মনকে গড়ে তুলি আজকাল। সর্বত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত করি।
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হলো কিছু মনে করবেন না আশাকরি। ভালো থাকুন সব সময়।
১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৪
তাহেরা সেহেলী বলেছেন: আমি তো বলেছি ই যে, ক্ষুধার জ্বালা বড় জ্বালা। মানুষ কে হিংস্র করে দেয়।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন তাহেরা সোহেলী। কিন্ত একটা স্বচ্ছল পরিবারের শিশু মনে প্রথমেই একটা সুন্দর প্রানী দেখে খাবার ইচ্ছে একটু এবনর্মাল না??
আমার লেখায় মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে
১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কে শিখাবে আমাদের নৈতিকতা! চোখ মেলে যখন আমাদের সন্তানেরা দেখেন দুনিয়া ভরা আবর্জনা। নর্দমাতে বেড়ে ওঠে কয়টা কোমল কমল হয়? বেশির ভাগইতো কীট হয়ে ওঠে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩
জুন বলেছেন: নর্দমাতে বেড়ে ওঠে কয়টা কোমল কমল হয়? সুজন কমল কিন্ত নর্দমাতেই হয়, পরিস্কার পানিতে না। কিন্ত আমরা গুরুজনরাই তাদের মনকে বিষিয়ে দেই, বস্তির শিশুদের চুরি বাটপারি করা, নেশা করা ইত্যাদি। আর স্বচ্ছল পরিবার লিপ্ত করি প্রতিযোগিতায়,ধনীরা নিজেদের নিয়েই ব্যাস্ত কি করে আরও টাকা বানানো যায়! আরও দামী গাড়ি কেনা যায়, ওই ভাবীর কত শাড়ি গয়না! কিভাবে টেক্কা দেয়া যায় এই নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তা। ছেলেমেয়েরা ভালো হলো নাকি উচ্ছন্নে গেল তা নিয়ে তাদের বিকার নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে সব সময় উৎসাহিত করার জন্য।
১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪১
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার শৈশবের স্মৃতিচারণমূলক ঘটনাটি খুব ভালো লাগলো। আরও ভালো লাগলো আপনার বাবার সম্পর্কে জানতে পেরে। তিনি যে আপনাদের হৃদয়ে কি অমলিন, বিরাট স্থান নিয়ে আছেন, এটা আপনার লেখায় সুন্দর ফুটে উঠেছে।
তবে আপনার বর্ণিত ভিডিও ক্লিপের ঘটনাটি থেকে আপনি যে সরল সিদ্ধান্ত টেনেছেন এবং বর্তমান প্রজন্মকে নিষ্ঠুর বলেছেন তার সাথে কিন্তু আমি একেবারে একমত নই।
বাস্তবতা হলো আমাদের সন্তানদের প্রজন্ম আমাদের এবং আমাদের পূর্বের প্রজন্ম থেকে শুধু মানবিক নয়, অনেক গুন মানবিক। এর প্রমাণ আমি বহুবার পেয়েছি। আপনার ভিডিও ক্লিপের ঘটনার শিশুটির পিছনে নিশ্চিতভাবেই একজন প্রাপ্তবয়স্ক আছেন। "আমি ওকে খাব" এটা নিশ্চিতভাবেই সেই প্রাপ্তবয়স্কেরই কথা, কিন্তু তা শোনা যাচ্ছে শিশুটির মুখ থেকে।
আমার নিজের দুটি সন্তানের (১১ এবং ৬ বছর) কেউই মাংস খায় না এবং বোতলজাত পানি পান করেনা। এদের পশু, পরিবেশ এবং প্রকৃতি প্রেম ঠিক স্কুল থেকে শিখে আসা নয়। এদের রক্তের ভিতরেই একটা প্রকৃতি ও পরিবেশ সচেতনতা আছে যেটা আমাদের প্রজন্মের ছিল না। এই সচেতনতা আমাদের প্রজন্মের পশুপ্রেমের চেয়ে আরও অনেক বড় এবং গভীর। এই প্রজন্মের কম বেশি সকলের ভিতরেই আমি সুইডিশ পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থানবার্গের (Greta Thunberg) একটা ছায়া দেখি। এই ২০ বছর বয়সী কিশোরী/ তরুনীটির ব্যাপারে আমি যতখানি শ্রদ্ধাবান এত শ্রদ্ধা আমার প্রজন্মের কারো প্রতি আমার ছিল বলে মনে পড়েনা।
প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে সাথে এই প্রজন্মের খাদ্যাভাসে একটা বড় পরিবর্তন এসেছে এবং আমাদের দেশেও এই পরিবর্তন অচিরেই আসবে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৪
জুন বলেছেন: শ্রাবণধারা আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি আসলে বিশ্বের পরবর্তী প্রজন্মের কথা বলি নি। আমি বলেছি আমাদের দেশের ক্ষয়িষ্ণু সমাজের কথা যা আমি সুজন আর বিজন রয়ের মন্তব্যে ব্যাখ্যা করেছি। কষ্ট করে একটু চোখ বুলিয়ে নেবেন আমি কি বলতে চাই। একটা অপরূপ মোরগ দেখে প্রথমেই বাচ্চা মেয়েটির মুখে খাবার চিন্তা আসায় আমি ব্যাথিত হই। আর আপনার ভাষ্যে যদি বাবা শিখিয়েও দেয় তারপরও বাচ্চাটির মনে এমন ভাবনা আসলো কি করে! আর লোকটাই বা কেমন বাবা! কি শিক্ষা দিচ্ছে তার পরবর্তী প্রজন্মকে! কথার ভংগী শুনে মনে হলো না তারা ক্ষুধার্ত দরিদ্র পরিবারের।
আর আপনার ছেলেমেয়েরা তো ফাস্ট ওয়ার্ল্ড এ থাকে তাদের চিন্তা ভাবনা তো অন্য রকম হবেই
আবারও ধন্যবাদ রইলো। উত্তর দিতে দেরি হলো বলে দু:খিত।
১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৩
সোহানী বলেছেন: কারন আমরা নিজেরা যেমন অমানুষ হচ্ছি তেমনি সন্তানদেরকেও অমানুষ বানাচ্ছি। এবং সেটা ভয়ংকর প্রকটভাবে।............
কানাডায় স্কুলে বাচ্চাদেরকে পশুপাখীকে আদর ভালোবাসা শেখায়, পরস্পরের সহমর্মিতা শেখায়। জানি না এখন দেশে রান্না ছাড়া আর কিছু শেখায় কিনা। করুণাধারা আপাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৯
জুন বলেছেন: সত্যি কথা বলেছেন সোহানী। আমরা আমাদের বাচ্চাদের এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ঠেলে দিচ্ছি। তাদের মনের সুকুমার কোমল বৃত্তিগুলোকে গলা টিপে মেরে ফেলছি। তাদের সামনে আমরা অন্য বাচ্চা বা তাদের গার্জিয়ানদের সমালোচনা করছি। এটা যে কতখানি কুফল বয়ে আনছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা ভাবতেও ভয় করে।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রইলো। ভালো থাকুন সব সময়।
১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিষয়টা আসলেই অমানবিক। এত সুন্দর মোরগ দেখে খেতে ইচ্ছে করবে কেন বাচ্চাদের? আমিতো বাসায় মুরগী কেনা হলে সেগুলো জবাই করতে দিতে চাইতাম না। সে এক জটিল পরিস্থিতি। আর ঢাকায় মুরগী পালার জায়গাও নেই।
পশুপাখিদের প্রতি মমতা থাকা দরকার। কথা আছে না জীবে দয়া করে যেইজন সেবিছে ঈশ্বরে।
মানবতার জয় হোক অমানবিক পৃথিবী পদদলে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩
জুন বলেছেন: আমাদের পালিত মুরগী আমরা খুব কমই জবাই হতে দেখেছি। এই সব নিষ্ঠুরতা আমাদের চোখের সামনে যেন না পরে তার জন্য আমার বাবা মা যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। থানায় চোরকে আহত অবস্থায় দেখে আমার চোখে পানি এসেছিল সেলিম আনোয়ার। তাহলে বোঝেন অবস্থা সেলিম আনোয়ার।
মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি হলো তার জন্য আন্তরিক দু:খিত। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৩
শার্দূল ২২ বলেছেন: আমি বর্তমান সময়ের প্রতি চরম বিরক্ত আপু, আমি আমার প্রায় মন্তব্যে বলি যে আমি সেকেল টাকে খুব বেশি পছন্দ করি। আমাদের প্রজন্মরা সেকেলে শব্দটা এক রকম গালি হিসেবে ব্যবহার করে । আমি কিছু নতুন পেলে পুরাতনকে মিলিয়ে দেখি, এক বাক্য আমি পুরাতনকেই বেছে নেই। এই নিয়ে আমার বন্ধু মহলে নানা কথা শুনি, কেন পুরাতনকে নেবনা বলো আপু। আমাদের ছেলে বেলায় আমাদের বড় দের জীবন যাপন আমরা দেখেছি, কত স্বচ্ছ সুন্দর জীবন যাপন তারা করতো। সব বাদ দিয়ে যদি ভালোবাসা সম্পর্কের কথাই বলি দেখো কত্ত ব্যবধান। তুমি্তো আমার চেয়ে আরো ভালো বলতে পারবে।
তোমার মত আমার আব্বুও একি পেশার মানুষ। থানা কোয়াটার এরিয়ায় আমরা বড় হয়েছি। বিকেল বেলায় থানার এরিয়ায় আমরা আড্ডা দিতাম। প্রতিটা মানুষ প্রতিটা মানুষকে মাথা নত সন্মান, ছেলে মেয়ে একে অন্যকে মুল্যায়ন সন্মানের চোখেই দেখতাম, আমার মনে পড়েনা আমরা ছেলেরা আড্ডা দিচ্ছি আর একমাত্র টপিক মেয়ে ছিলো। তখন কোন মেয়েকে দেখলে তার চোখ হাসি পর্যন্তই আমরা আটকে থাকতাম।আর সব ভাববার সময় বা ইচ্ছে কোনটাই কাজ করতোনা। যদিও তখনো আমাদের সীমানার বাইরে ছিলো অন্য জগৎ। প্রতিবছর পুলিশ পরিবার গুলো নানা রকম আয়োজন করতো আব্বু সহ আন্কেলদের একটাই কথা- বাবারা তোমার তোমাদের সীমানার বাইরে কারো সাথে বন্ধুত্ব করোনা, ওদের হাতে দামি কিছু দেখলে তোমারদের মন খারাপ হবে , আর তোমাদের বাবারা এত আয় করেনা যে তোমাদের এমন দামি কিছু কিনে দিতে পারবে। এসব আমরা এবং আমাদের আম্মু আন্টিরাও শুনতো। প্রতিটা সম্পর্কের শুরু এবং শেষ ছিলো উপন্যাশের মত সুন্দর স্বচ্ছ।
আমার মনে পড়ে এক আপুর কথা, মায়া আপু, উনি যাকে ভালোবাসতো সে থাকতো ১০ মাইল দুরে, পত্রমিতালী দিয়ে সম্পর্ক । প্রথম ২বছর নাকি কেউ কাউকে দেখেনি। ৫ বছর পর তাদের বিয়ে হয়। আমার স্কুলে এসে আমার অজান্তে বইয়ের মধ্যে ভাইয়াটা চিঠি দিয়ে রাখতো , বাসায় ফেরার সময় আপুটা আমাকে চকলটে এটা সেটা দিয়ে এক ফাঁকে বই থেকে চিঠিটা নিয়ে নিতো। একটা চিঠি কিছু লাইন, এসব দিয়ে তারা বছর বছর পার করতো। ভাবতেই কি ভালো লাগে। কত কঠিন বিশ্বাস ছিলো একে অন্যের প্রতি, আর এখন দেখো কি হচ্ছে। সবাই যন্ত্র হয়ে গেছে। কেউ কাউকে বিশ্বাস করেনা কিন্তু বিশ্বাসের অভিনয় করে। সপ্তাহে একদিন যোগাযোগ না হলে ভাবতে থাকে মনে হয় এখন অন্য কাউকে নিয়ে বিজি। সপ্তাহের এক মাথায় সম্পর্ক অন্য মাথার ব্রেকাপ। আরো মজার ব্যপার হলো এক্স যে একটা সুখের বিষয় সেটা এখন আমরা দেখতেছি, এক্স কে পরিচয় করায় প্রেজেন্ট বয় ফ্রেন্ডের সাথে। আবার অনেক হ্যপিনেস থেকে বলে আজকে এক্সের সাথে ঘুরতে গেছিলাম। আমার এক্স আমাকে এই গিফ্ট করেছে।
অনলাইনের কারণে সব কিছু এত সহজ লভ্য হয়ে গেছে যে প্রাপ্তির কদর কমে গেছে,পেতে কষ্ট হয়না বলে হারানোর কোন ব্যথা নাই। গুগল থেকে ভালোবাসা ডাউনলোড করে হোয়াটসএপসে কবর দিয়ে দেয়।
এভাবে একটু একটু করে চোখের সামনে সব বদলে যাচ্ছে আমাদের সব কিছু। বদলে যাচ্ছে মানুষ ।লোভ আর একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত মা বাবা, সন্তান মানুষ হয় যন্ত্রের কোলে। হয়ে উঠছে এক একটা জীবন্ত রোবট।
কোন টপিক থেকে কোথায় চলে গেলাম। হাহাহাহা
শুভ কামনা আপু
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫০
জুন বলেছেন: শার্দুল আপনার এই আন্তরিক মন্তব্যের কি জবাব দেবো তাই দুদিন ধরে ভেবেই চলেছি। আপনার জীবন যাপনের যে দিনলিপি তা পড়েই বুঝলাম আমার প্রিয় ভাইটির মন কতটা নরম। তা অবশ্য বুঝেছি আমার ব্লগীয় জীবনের প্রথম দিন থেকেই। আমার মনে হয় বাচ্চাদের বাচ্চার মত গড়তে হলে শুধু বিদ্যালয় নয় পরিবারকেও হতে হবে আন্তরিক, স্নেহময়, হিংসা দ্বেস মুক্ত, কলুষতা মুক্ত। একে অন্যের প্রতি মমতার হাত বাড়ানো, অন্যকে কষ্ট না দেয়া। জানিনা বোঝাতে পারলাম কি না। আমি সরলভাবে বলে গেলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত মায়া ভরা এক মন্তব্যের জন্য।
২১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষের এমন স্মৃতিকথন শুনতে ও পড়তে ভালো লাগে আমার। ছোট বেলায় আমার একটি মুরগি ছিল, তাকে আমি কখনোই জবাই করতে দেই নাই। তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১০
জুন বলেছেন: আপনার কথায় আমার একটা ঘটনা মনে পরলো। চিলের মুখ থেকে পরা একটা ছোট্ট মুরগী ছানাকে পেলে পুষে অনেক বড় করেছিলাম। বাইরে বাইরে ঘুরতো আর খাবার সময় বাসায় আসতো। একদিন কে জানি বল্লো মুরগীটা তো অনেক বড় হয়ে গেছে এবার ওকে জবাই করে খাওয়া হোক। আমরা না করায় সে যাত্রা সে রেহাই পেলো কিন্ত পাড়ার বখাটেদের হাত থেকে পায় নি। কয়েকদিন পর দেখি সে আর নিয়ম করে খাবার খেতে আসলোনা তো আসলোই না।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: আমাদের সময়ে আমরা সময় পেয়েছি, স্পেস পেয়েছি। আমরা খেলতাম খোলা মাঠ উঠোনে। বর্তমান সময় ছবে বাঁধা। শিশুরা স্কুলে ঢুকলেই ছকে পরে যায়, যাওয়া আসা, ধরের ভেতর গেইম, ঘুম এখানেই সীমবাদ্ধ। তারা টেকনলজি পাচ্ছে কিন্তু শিখতে পারছেনা বাইরের পাঠ্য। আমরা যেসব দেখেছি শিখেছি বাইরের পরিবেশ থেকে, বর্তমান শিশুরা পাচ্ছেনা। তার ঘরের বাইরে গেলেও ভয়, নিরাপত্তার ভয়, অশিক্ষা শেখার ভয়, কার সাথে মিশে আবার কী শিখে, তায় বড়দের সজাগ হতে হবে, ঘরের ভেতর রাখতে বাধ্য হলেও চাল চলনে উঠা বসায় নৈতিক শিক্ষাটা মাথায় ঢূকিয়ে দিতে হবে, স্কুল পাঠ্যে এসব অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৪
জুন বলেছেন: খোলা মাঠ আর ঘর, বড় জায়গা আর স্পেস এসব তো জাপানিরা কল্পনাও করতে পারে না। কিন্ত তাদের আদর্শ নৈতিকতা আদব কায়দা তো সেই ছোট ঘরে বসেই তাদের বাচ্চারা লাভ করে তাদের উত্তরসুরীদের কাছ থেকে বাকপ্রবাস। আমরা বাবা মা বিশেষ করে মায়েরা তাদের কচি মনকে বিষিয়ে তুলি নানা রকম ভাবে। কাকে ল্যাং মারতে হবে, ফাস্ট বয়ের কাছ থেকে কি ভাবে নোট আনতে হবে ইত্যাদি আরও অনেক কিছু।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
হয়তো.......
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১১
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস হয়তো মানে কি! আমার লেখার সাথে একমত এটা মিন করলেন কি!!
যাইহোক তারপর ও মন্তব্য রেখে গেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮
পবন সরকার বলেছেন: আমরা মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়াতাম, খেলতাম, দৌড়াতাম আমাদের যেরকম এনার্জি ছিল এখনকার ছেলে মেয়েদের নাই।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪
জুন বলেছেন: পবন সরকার প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই মন্তব্যের জন্য। এখন কথা হলো এই যে আমি বাচ্চাদের এনার্জি নিয়ে কিছু বলি নি অর্থাৎ লিখিনি। আমার লেখার বিষয়বস্ত ভিন্ন। আপনি মনে হয় দৌড়ের উপ্রে আছেন তাই ভালো করে খেয়াল করেন্নাই বিষয়বস্তু টা কি
২৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫
শাওন আহমাদ বলেছেন: বাসা কোনোকিছু যত্ন করে পালা হলে, তা গলা দিয়ে নামানো সহজ কাজ নয়। লাস্টের লাইনগুলো নিয়ে সত্যিই ভাবনার বিষয়।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ঘরে পালা জিনিস জবেহ করা বা খাওয়া খুব কষ্টের। আমি এই বুড়ি বয়সেও কোরবানি দেখতে পারি না। ঘরের দরজা জানালা আটকে বসে থাকি জানি সেই দৃশ্য দেখতে না হয় বা সেই আর্তনাদ কানে না আসে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন শাওন আহমেদ।
২৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭
আরোগ্য বলেছেন: জুন আপুর পোস্ট পড়ে কয়েক বছর পূর্বের কোরবানি ঈদের কথা মনে পড়ে গেল। সে বার আমার এক কাজিনের পালা বকরী কোরবানি দিয়েছিল। ওর সে কি কান্না। এখন মাশা আল্লাহ মাত্র তেইশ বছর বয়সে ওর নিজের গরুর ফার্ম আছে। আপনার মত আমাদের ঘরেও বিড়াল আছে। মাঝে মাঝে ভাবি যদি ওদের কোরবানি করার নিয়ম হতো তাহলে কি করতাম!
বর্তমানে মানুষ কেমন জানি ডিজিটাল হতে হতে মায়া মমতাও কমে গেছে, এমনকি শোকও।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২
জুন বলেছেন: সত্যি কোরবানির সময়টা আমার কাছে অনেক কষ্টের। যদিও জানি ধর্মীয় কারনটি তাও মন মানে না। যেটা চোখে দেখি না ধরেন বাজার থেকে জবাই করে কিনে আনছে সেটা অত খারাপ লাগে না। কিন্ত পেলেপুষে বড় করা প্রাণী জবাই করতে দেখলে অনেক মায়া হয় আরোগ্য। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩
জুন বলেছেন: দেখেছেন তো ঠিকঠাক মত!! অনেক ধন্যবাদ আরেকবার এসেছেন তার জন্য
২৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: আমরা এখন এক অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। মনের কোমল বৃত্তিগুলো ক্রমশ ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের উপর এর প্রভাব বেশি পড়ছে। পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে নিষ্ঠুরতা বেড়ে যাচ্ছে, দুঃখজনক হলেও মানতেই হবে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
জুন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হলো আশাকরি ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন
আপনি ঠিকই বলেছেন বড্ড অস্থির সময় করুনাধারা। কোন দিকে তাকানোর সময় নেই, ছেলে মেয়েরা কই যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে তাও জানে না, তারাও জানানোর প্রয়োজন বোধ করে না।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।
২৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সে অনেক দিন অগে তো ভাইবোনরা ছোট ছোটই হবে। অপনি মনে হয় সকলের বড় ছিলেন ।
আপনার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা পিতাজি ন্যায়বান, ধার্মিক সাহিত্য প্রিয় ও খুবই সৌখিন ছিলেন শুনে
খুশী হলাম। বাসায় প্রচুর গল্পের বই , নানা রকম ফুল-ফলের গাছ সাথে বিদেশি কুকুর, বিড়াল, টিয়া,
ময়না, হাস, আর মুরগীর দল নিয়ে আমুদে আল্হাদে বেশ সুখী জীবন কাটিয়েছেন শুনে আরো ভাল লাগল ।
বড় বড় মুটু মুটু মোরগের কোকোর কো বলে ডাক কি মাধুর্যময় ছিল সে কথা ভাবলেও মন পুলকিত হয় ।।
আর সে সাথে খেকশেয়ালী উপকথার "মোরগ ভায়া,মোরগ ভায়া" ছড়াটাও বেশ উপভোগ্য ।
আলী ভাই আর আমাদের গৃহকর্মীর হাতে মোরগ। আলী ভাইর হাতে ছুরি।
বিশ্বাস করুন, ছুরি দিয়ে কোনদিনই মুরগী জবাই করি নাই । তবে দাড়ালো দা দিয়ে অনেক বার মুরগী
জবাই করেছি , আর ছোট ভাই বোন জবাই কান্ড দেখে ভয় পাবে বল তাদের চোখের সামনে ঐ কাজ
করতামনা। তাই আমার জন্য দুই বার দুই বারের কোন প্রয়োজন হয় নাই।
বাচ্চা মেয়ে শিশুর কচি কণ্ঠে উচ্চারিত ওকে আমি খাবো,বাবা ওকে আমি খাবো শুনে
বিস্মিত এবং ব্যাথিত হওয়ারই কথা ।
আমাদের কিশোর সন্তানরা কুকুর জবাই করে মাংস বিক্রি করছে। এহেন কর্ম যে কত
সর্বনাশী সে কথা ভাবতেও মন মিহরিয়া উঠে । এছাড়া ঠিকই বলেছেন অকারণে ঢিল মেরে
পাখির বাসা ভেংগে বাচ্চাগুলোকে ধরে নিয়ে কৌতুক ছলে নিষ্ঠুর আচরণ করার মত ঘটনা
সত্যিই পিড়াদায়ক । এসব দেখেশুনে আপনার মত আমারাউ ভাবি আমরা আমাদের
নবপ্রজন্মকে কি শিখাচ্ছি! আমরাও কি একদল কঠিন হৃদয় আর দয়ামায়াহীন নিষ্ঠুর সন্তানদের
রেখে যাচ্ছি এই ধরনীতে!!
তবে এ কথা ঠিক যে এখন পশু পাখীতে ভরা প্রকৃতি যে ভাবে সংকোচিত হয়ে আসছে
এবং নাগরিক জীবনে বিবিধ ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে গৃহপালিত পশু পাখী
পালন বলতে গেলে একেবারে খুবই সংকোচিত হয়ে আসছে তাতে করে এই প্রজন্মের
ছেলে মেয়েদেরকে কুকুর বিরাল ময়না টিয়া দেখার সুযোগ শুধু চিরিয়া খানাতেই
মিলতে পারে ।
যাহোক আপনার পরিচিতির নীচে থাকা Helen Keller এর বিখ্যাত উক্তির শেষাংশ যথা
- they must be felt with the heart অনুযায়ী আমাদের নবপ্রজন্মকেও শৈশবকাল
হতেই সকল জীবে দয়ার তরে হৃদয়বান হওয়ার জন্য দিক্ষিত করে তুলতে হবে ।
এমন সুন্দর আবেদনময়ী গণমুখী পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩০
জুন বলেছেন: না আলী ভাই আমি ছিলাম চার ভাই বোনের মাঝে দ্বিতীয়। তবে দুই বোনের মাঝে বড়।
আসলে এখন চিন্তা করলে মনে হয় আমার বাবা মা আমাদের কতটা সময় দিতেন। ইনডোর গেমস যেমন তাস, লুডু, ক্যারম খেলতেন আমাদের সাথে। কত গল্প কবিতা আবৃত্তি করে শুনাতেন। নজরুল রবীন্দ্রনাথের বড় বড় কবিতা মুখস্থ ছিল। অসাধারণ পুথি পাঠ করতে পারতেন। আমাদের নবীজিদের দু:খ কষ্টের কথা যখন বলতেন আমার চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পরতো। আব্বা এক হাতে জড়িয়ে ধরতেন।
আগে আমার বাসায় কত ধরনের পাখি আসতো, এখন কমে গেছে। সব কিছুই একদিন নি:শেষ হয়ে যাবে, পোড়ামাটির পৃথিবীতে হয়তো তখন থাকার কেউ থাকবে না।
যাই হোক তারপর ও এতটা নেগেটিভ ভাবতে চাই না। গ্রেটা থুনবার্গের মত অনেকেই একদিন ঝাপিয়ে পরবে সবুজ পৃথিবীকে রক্ষা করতে সেই আশায় রইলাম।
ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা রইলো।
৩০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: অফলাইনে পোষ্টটি দেখেছিলাম, এখন পড়লাম।
আপনার ছোট বেলার কাহিনী এবং বর্তমানে আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। আসলে বড়রাই বাচ্চাদের জন্য এমন অনুভূতিহীন একটি পরিবেশ তৈরি করছে, বাচ্চারা যা দেখে সেভাবেই শিখে। আমি বলব বরং পশ্চিমা-বিশ্ব শিশুকাল থেকেই বাচ্চাদের মানবিক হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করছে, যেমন পশুপাখিদের যত্ন নেয়া, তাছাড়া স্কুলে শেখায় এপ্রিসিয়েশন করা, কি কি কারণে আমাদের থ্যাকসফুল হওয়া উচিৎ ইত্যাদি। আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা, পারিপার্শ্বিক অবস্থা পুরো সমাজ ব্যবস্থাই একটি অসুস্থ প্রতিযোগী মানসিকতা এবং অমানবিক মানুষ তৈরি করতে সাহায্য করছে। একজন সৎ ব্যক্তিও আমাদের সমাজের সিস্টেমে ঢুকে অসৎ হয়ে যায় বেশীর ভাগ সময়!
আমাদের দেশে দরকার অবিভাবকদের সচেতনতা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে প্রণয়ন করা যাতে মানবিক মানুষ তৈরি হয়!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪১
জুন বলেছেন: কাছের মানুষ আমি তো আমার পোস্টেই বলেছি পশ্চিমা বিশ্বের বাচ্চারা এমনকি তাদের পিতা মাতাও আমাদের এই উপমহাদেশের বাচ্চাদের চেয়ে অনেকাংশে মানবিক। আমরা রাস্তা ঘাটে একটা কুকুর বিড়াল দেখলে অজান্তেই পা উঠে যায়। লাথি ছাড়া তাদের ভাগ্যে খুব কমই কিছু জোটে। একবার শৈত্য প্রবাহের সময় অনেক রাতে একটা বিড়াল ছানা রাস্তায় পরে কাদছিল। আমার ঘুম আসেনি সেই অসহায় বিড়ালের কথা ভেবে। আমার মনে আছে আমার ছেলে যখন ছোট তখন কোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যেমন বাস ট্রেন প্লেনে কোথাও যাবার সময় আমি একটু কথা বললে আমার ছেলে ফিসফিস করে বলতো "আম্মু চুপচুপ, মানুষ ছি ছি করবে"। আর এখন ছেলেমেয়েরা সারা পথ তারস্বরে চিৎকার করে অনবরত নানা প্রশ্ন করছে। বাবা মার বিকার নেই উল্টো তারা গর্ব বোধ করে যে তাদের বাচ্চা কত গিয়ানী।
আসলেই আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৩১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা চমৎকার বিষয় নিয়ে লিখেছেন। + +
আপনার এ পোস্টটা পড়ে মনে পড়লো, আমার শৈশবে আব্বা এক ক্বুরবানির ঈদের সপ্তাহখানেক আগে ধূসর রঙের খুব সুন্দর একটা খাসি কিনে এনেছিলেন। সেটার মূল্য ছিল পঞ্চাশ টাকা মাত্র (এই ঢাকা শহরেই), তবুও তখনকার দিনের তুলনায় মূল্যটা একটু বেশিই ছিল। আমি গোটা সপ্তাহ ধরে খাসিটাকে কাঁঠাল পাতা খাওয়াতাম, তাই ওটার উপরে একটা মায়া জন্মেছিল। ঈদের দিনে চোখের সামনে সেটাকে জবাই করতে দেখে আমি ভীষণ মুষড়ে পড়েছিলাম।
আরেকদিন বাটুল দিয়ে (কেউ কেউ বলে গুলাইল/গুলতি, ইংরেজীতে বলে catapult) একটা পাখি মারার পর প্রথমে আনন্দ ও পরে খুব আফসোস হয়েছিল।
প্রামানিক কে চায়ের সাথে আরেকটা পাত্রে কিছু টা-ও দিয়েছেন। সেটা কী?
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখাটি আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে জেনে। আমিও কোরবানির সময় অত্যন্ত কষ্ট অনুভব করি। একজনকে জবেহ করার সময় আরেকটা পাশে দাঁড়িয়ে দেখে আমার খুব খারাপ লাগে খায়রুল আহসান।
আমি গতকাল বহুবার পড়া বিভুতিভুষনের পথের পাচালির দ্বিতীয় খন্ড অপরাজিত পড়ছিলাম। সেখানে গল্পের নায়ক স্মৃতিচারণ করছিল যে ছোট বেলায় গুলতি দিয়ে একটা পাখি মেরেছিল আর তার বোন তা নিয়ে তাকে তিরস্কার করেছিল। তারপর থেকে প্রকৃতি প্রেমিক অপু আর কখনো কোন শিকার করে নাই।
প্রামাণিক ভাইকে চায়ের সাথে টা দিয়েছি নেট থেকে। তাই বুঝতে পারছি না সেগুলো কি কুকিজ না নাটস
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।
৩২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: শার্দূল ২২ এর মন্তব্যটা খুব ভালো লাগল। + +
’লাইকড’।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮
জুন বলেছেন: শার্দুল আমার প্রথম পোস্টের প্রথম মন্তব্যকারী
যদিও তখন সে অন্য নিকে ছিল। আমার বিশেষ স্নেহের পাত্র।
৩৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
আপনাকে চমৎকার বুদ্ধিমতি বলেই এ্যাদ্দিন জেনে এসেছি। সেই বুদ্ধি নিয়ে আমার এক শব্দের মন্তব্য নিয়ে দ্বিধায় পড়লেন কেন ?
আপনার লেখার একদম শেষ লাইনটিতে যা জানতে চেয়েছেন সেটার উত্তর তো আর নিশ্চিত করে দেয়ার মতো নয় তাই "হয়তো" এই একটি শব্দেই তার একুল ওকুল দুকুল না ভাসিয়ে, সবকুল রক্ষা করেছি।
আগে যদি জানতুম, এই এক শব্দের মন্তব্যের কারনে " এক হাত কাঁকুড়ের তের হাত বীচি"র মতো সাফাই লিখতে হবে তবে আগেই সেটা করলুম না কেন; এটা নিয়ে এখন কাঁদা ছাড়া উপায় দেখছিনে।
৩৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটা আগেই পড়েছিলাম। উত্তর কি দেব ভাবতে ভাবতে আর দেয়া হয়নি!
আমার কেন যেন মনে হয় পশু পাখির ব্যাপারে বর্তমান প্রজন্ম থেকে আমরা অনেক বেশী নিষ্ঠুর ছিলাম। তবে নিজেদের পালিত পশু পাখির ব্যাপারে সব প্রজন্মই বেশ মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে পড়ে। এখন মানুষের পশুপ্রেম অনেক বেড়েছে আপু- কিছু হিংস্র মানুষ সব যুগেই ছিল ও থাকবে।
আপনাদের সেই লালঝুটি মোরগ দুটোর শেষ দশা কি হয়েছিল?
৩৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৪
সোনালি কাবিন বলেছেন: শৈশবের দরদমাখা স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমাদের কিশোর সন্তানরা কুকুর জবাই করে মাংস বিক্রি করছে।
কবে, কোথায়?
পোস্ট ভালো হয়েছ।