![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ কয়েক বছর আগের কাহিনী। কেন জানি আমার সারাক্ষণই মনে হতো আমার এই অসুখ হয়েছে, সেই অসুখ হয়েছে। সত্যি বলতে সে সময় রোগ বালাই ও তা নিরাময় নিয়ে এত ইউ টিউব / ভিডিওর চল ছিল না। আমার গৃহকর্তা একদিন অতিষ্ঠ হয়ে বল্লো "সারাদিন তোমার ইহা দরদ, হিয়া দরদ তো আর শুনতে ভালো লাগে না। তার চেয়ে ডাক্তার দেখাও সে কি বলে "।
গেলাম ঢাকার বিখ্যাত এক হসপিটালে। রিসিপশনে সুন্দরী একজন বসা যথারীতি আমার স্বামীর মুখে আকর্ন বিস্তৃত হাসি। মহিলাও ততোধিক হাসি দিয়ে বল্লো "স্যার কি সমস্যা"?
সমস্যা আমার না, সমস্যা এর। কোন একটা বিশেষ সমস্যার কথা বলতে না পারায় সুন্দরী সাজেষ্ট করলো একটা এক্সিকিউটিভ চেক আপ করাতে। বিগলিত স্বামী বিনা বাক্যব্যায়ে এডভান্সের জন্য কার্ড বাড়িয়ে দিল।
যাই হোক এরপর শুরু হলো আমাকে নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নীরিক্ষা। আমি তো ছেড়ে দে মা কেদে বাচি অবস্থা। আমার সকল রোগ তো গায়েব কিন্ত তাদের হাত থেকে ছাড়ান নেই। বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষার নামে কমপক্ষে এক কেজি রক্ত মনে হয় শুষে নিল। আল্ট্রাসনোগ্রামের লোকটা পাশে যে বসে ডিক্টেশন নিচ্ছিল তাকে জানালো ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র একটা সিস্ট আছে কিডনীতে। শুনে আমি লাফিয়ে বসে পরলাম, গলা দিয়ে কোনমতে বের হলো "কি বললেন কিডনিতে সিস্ট"! লোকটা চমকে উঠে একটা মৃদু ধমক দিল। শুয়ে পরেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষের কিডনিতে এমন সিস্ট আছে, এটা কোন সমস্যা নয়"। আবার বালিশে মাথা দিলাম।
যাই হোক এবার পালা হৃদয় যন্ত্রের। হাটলাম, দৌড়ালাম, ইকো, ইসিজি সহ যত রকম পরীক্ষা আছে সব হলো। আমি কাকুতি মিনতি করে সেই সব পরীক্ষকদের বার বার জিজ্ঞেস করলাম আমার হৃদয়ে কোন সমস্যা আছে কি না? তারা বল্লো ডাক্তার জানাবে তারপর ও আমার পিড়াপিড়িতে বল্লো না কিছু নেই।
এরপর রিপোর্ট নিয়ে পরদিন আমি একাই একে একে সকল ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট দেখাতে লাগলাম। তারা জানালো না কোন সমস্যা নেই। আর ইদানীং রিপোর্টে লিখেই দেয় ভালো না খারাপ। এরপর গেলাম বিশিষ্ট হৃদয়ের ডাক্তারের চেম্বারে। উনি অনেক্ষন আমার রিপোর্ট গুলো নেড়েচেড়ে দেখে বল্লো "আপনার তো হার্টে সমস্যা আছে, আপনাকে আজই এনজিওগ্রাম করতে হবে"। আমি তো ভয়ে আতংকে জড়োসড়ো হয়ে একেবারে চেয়েরের কোন ঘেঁষে বসে আছি।
উনি বললেন আর বেশি দেরি করা যাবে না আপনাকে এক্ষুনি এই হসপিটালে ভর্তি হতে হবে"। আমি তোতলাতে তোতলাতে বললাম " ডাক্তার সাহেব আজকে তো আমি একা এসেছি, আমি কি করে ভর্তি হবো"! উনি বল্লেন না না আর দেরি করা যাবেনা"।
এই কথা শুনে আমি দ্রুত চেয়ার ছেড়ে উঠে যখন দাঁড়িয়ে পেছনে দরজার দিকে পিছিয়ে যাচ্ছি। উনি আমার চেয়ে দ্রুত উঠে টেবিলের পাশ কাটিয়ে হাত বাড়িয়ে যেন আমাকে ধরতে আসছে, আমি সেই সময় দৌড়ে দরজা খুলে বের হয়ে এক দৌড়ে সিড়ি দিয়ে নামতে শুরু করলাম। এত বড় ডাক্তার তার রুমে একটা এসিস্ট্যান্ট নেই!
যাই হোক আমার রোগবালাই তো দূর হলো। এরপর আমি এই রিপোর্টগুলো আরও দু একজন বিশেষ করে আমার কাজিন কার্ডিওলজিষ্টকে দেখালাম। সবাই জানালো না আমার হৃদয়ে ইনশাআল্লাহ কোন রকম সমস্যা নেই।
আমি বুঝলামনা সব রিপোর্ট ওকে তারপর ও ডাক্তার কি দেখে বুঝলো আমার হার্টে সমস্যা! নাকি সে আমার কানের লতিতে ভাজ দেখেছিল!!
ছবি নেট।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯
জুন বলেছেন:
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেষের লাইন এটা কি ছিল
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০
জুন বলেছেন: এটা আমি গুগলে পড়েছি নুর আলম হিরন
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আফসোস।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৩
জুন বলেছেন: আফসোস আমারও
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা আমি গুগলে পড়েছি আমি পড়েছি আমাদের জনপ্রিয় ব্লগার কলাবাগানের পোস্টে। তাই হাসি আসলো সেটার সাথে রিলেট করছেন কিনা
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২১
জুন বলেছেন: না না কি যে বলেন! আমি ওনারে মত ভয় পাই।
আরেক বার এসেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছু মনে করবেন না। আপনাকে দেখে ডাক্তারের হৃদয়ে কোন সমস্যা হয়েছিল সম্ভবত।
বর্তমানে ডাক্তারদের বড় অংশের মধ্যে নৈতিকতাবোধ নাই।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪
জুন বলেছেন: বর্তমানে ডাক্তারদের বড় অংশের মধ্যে নৈতিকতাবোধ নাই। কি যে বলেন সাড়ে চুয়াত্তর
দু একজন ডাক্তার দিয়ে সবাইকে বিচার করা কি উচিত!! আসলে করুনাধারাই ঠিক বলেছে।
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১
রানার ব্লগ বলেছেন: ডাক্তারের হৃদয়ের চিকিৎসা না করেই পালিয়ে এলেন । এটা কি ঠিক হলো ?
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪
জুন বলেছেন: হু ঐটাই করা উচিত ছিল রানার ব্লগ, বলতাম, চলেন আগে আপনার এঞ্জিওগ্রাম করিয়ে আনি তারপর আমি
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৪
করুণাধারা বলেছেন: ইসিজি আর ইকোর রিপোর্ট দেখেই বুঝে গেল আপনার হৃদয়ের দ্বার রুদ্ধ হয়ে গেছে!! দারুন চিকিৎসক!
আসলে এই ডাক্তারদের উপর দায়িত্ব থাকে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট সংখ্যক অর্থ ক্লিনিকের জন্য উপার্জন করে দিতে হবে। তাই তারা দরকার না থাকলেও এনজিওগ্রাম করাতে চায়। এনজিওগ্রাম করার পরে রিং লাগানো, তারপর আইসিইউ ইত্যাদি... ভাগ্যিস দরজা খুলে বের হতে পেরেছিলেন!!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৬
জুন বলেছেন: হায় করুনাধারা ইকো ইসিজির সাথে কালার ডপলার টেস্টও করিয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে কিছুই পায়নি।
আমি নিয়মিত যেই ডাক্তারের কাছে যাই দরজা দিয়ে ঢোকার সাথে সাথেই এসিস্ট্যান্টকে বলতে থাকে। তারপর আমাকে বলে "এই টেস্টগুলো করে আসুন তারপর কথা বলি। সামনে বসে আছে রিসেপশনে ওদের কাছ থেকে কাগজটা নিয়ে যান"। শুনছেন অবস্থা! এরা যে কি পরিমাণ আমাদের রক্ত চুষে নিচ্ছে তা ভাবতেও তাদের প্রতি ঘৃনা আসে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।
৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩২
বাকপ্রবাস বলেছেন: মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
তারি সঙ্গে কী মৃদঙ্গে সদা বাজে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
তারি সঙ্গে কী মৃদঙ্গে সদা বাজে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
হাসি-কান্না হীরা পান্না দোলে ভালে
কাঁপে ছন্দে ভালো মন্দ তালে তালে
হাসি-কান্না হীরা পান্না দোলে ভালে
কাঁপে ছন্দে ভালো মন্দ তালে তালে
নাচে জন্ম, নাচে মৃত্যু পাছে পাছে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
নাচে জন্ম, নাচে মৃত্যু পাছে পাছে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
কী আনন্দ, কী আনন্দ
কী আনন্দ দিবারাত্রি
নাচে মুক্তি, নাচে বন্ধ
কী আনন্দ, কী আনন্দ
কী আনন্দ দিবারাত্রি
নাচে মুক্তি, নাচে বন্ধ
সে তরঙ্গে ছুটি রঙ্গে পাছে পাছে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
সে তরঙ্গে ছুটি রঙ্গে পাছে পাছে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৮
জুন বলেছেন: বাকপ্রবাস আমার মনে হয় আপনি আমার পোস্টকে শায়মার পোস্ট ভেবে বসে আছেন
৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: কি বাঁচাটাই বেঁচে গেছেন! ভাগ্যিস ওদিন জামাইকে নিয়ে যান নাই, তাহলে হার্টে ফাও দুইটা রিং নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন আর বাকি জীবন মাংস জর্দা রোস্ট ফিরনি পোলাও মিষ্টি দেখে না খেতে পারার কষ্টে ফোৎ ফোৎ করে নিঃশ্বাস ছাড়তেন
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৩
জুন বলেছেন: শেরজা তপন দেখা গেল কানে রিং নাই, বাট হার্টে রিং, তওবা তওবা
আর পোলাও মাংস যেমন তেমন অনুষ্ঠানের জর্দা আমার কি যে ফেভারিট বুঝায় বলতে পারবো না। পোলাও বা কাচ্চি যদি নেই এক চামচ, জর্দা নেই এক চামচ
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন। নতুন বছরের শুভকামনা রইলো। আমাদের জন্যও দোয়া কইরেন
১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি শয়ে শয়ে ডাক্তার সম্পর্কে জানি। তারা কিভাবে কমিশন খায় আমি জানি। এক সময় আমি একটা নতুন ওষুধ কোম্পানিতে চাকরী করতাম হিসাব বিভাগে। প্রতি মাসে ২ কোটি টাকা ডাক্তারদের দিতে হতো ওষুধ লেখার জন্য। পুরো তালিকায় প্রায় হাজার খানেক ডাক্তারের নাম ছিল। বড় কোম্পানিগুলি এই টাকার দশ গুণ খরচ করে থাকে। তাই ডাক্তারদের পক্ষে বলে আমাকে ভুলাতে পারবেন না। প্যাথলজি টেস্টের কমিশন, নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ লেখার উপর কমিশন এগুলিকে তারা কোন অনৈতিক কাজই মনে করে না। হুমায়ূন আহমেদের নাটকে একজন ডাক্তার অভিনয় করতেন। উনিও নিতেন। পৃথিবীর কোন উন্নত দেশে ডাক্তাররা কি এইভাবে টাকা নিতে পারে। এটা কি নৈতিক কাজ নাকি অনৈতিক কাজ। আপনার কি মনে হয়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৪
জুন বলেছেন: আমিও কিছুটা জানি সাড়ে চুয়াত্তর। তারা যে কত নীচুতে নেমে গেছে তা কল্পনাতীত। যেই শপথ নিয়ে তারা চিকিৎসা বিদ্যায় ভর্তি হয় তার ধারে কাছেও তারা থাকে না। শুধু মাত্র দুটো উদাহরণ দেই সামনের ফ্ল্যাটটা কিনে নিল এক ছোকরা ডাক্তার, বয়স তার মুখেই শোনা। ৩ কোটি টাকা দিয়ে ইউজড ফ্ল্যাট কিনে আরো ১ কোটির বেশি খরচ করে সম্পুর্ন নতুন দামী দামী ফার্নিচার আর পুরো বাসার ইনটেরিয়র দেখে আমি ভিরমি খেলাম।
এক ডাক্তারের মেয়ের আকদ তার জন্য এক ঔষধ কোম্পানি রেডিসন ব্লুতে ৩০০ মানুষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো। কিন্ত কেনো?
আমার হাজবেন্ড যখন কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে তখন যার আন্ডারে ছিল সে ভিজিট করতে আসতো রাত একটা দেড়টায়। আমি একদিন জিজ্ঞেস করলাম এত রাতে আসেন রোগীতো ঘুমিয়ে পরে। উনি উত্তর দিল "সে ঘুমাক অসুবিধা নাই"। অর্থাৎ একশবার টেস্ট করতে দিচ্ছে আর নার্সদের কাছ থেকে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসা ব্যবস্থা করছে।
শুধু আমলারাই নয়, অনেক অনেক অবনতি এই সেক্টরেও ।
আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: হা হা এরা সুস্থ্য মানুষকে টাকার জন্য অপারেশন করে ছেড়ে দেয়। বিশেষ করে ক্লিনিকে।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৬
জুন বলেছেন: জী প্রামাণিক ভাই এদের কোন আদর্শ নেই। এরা ডাক্তারদের টাকা পয়সাই না শুনেছি ফ্ল্যাট /জমিও কিনে দেয়।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আর নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: পারতপক্ষে ডাক্তারের কাছে যাবেন না।
পর্যাপ্ত ঘুমাবেন, পুষ্টিকর খাবার খাবেন। হাটবেন/সাতার কাটবেন। ব্যস শেষ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৮
জুন বলেছেন: জী অনেক ভালো উপদেশ দিয়েছেন রাজীব নুর কিন্ত ঢাকা শহরে হাটার কি কোন জায়গা আছে! চারদিক ধুলোয় ধুসরিত। যাইহোক নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সে আমার কানের লতিতে ভাজ দেখেছিল!!
...................................................................
হা হা হা
আমি হাস সি তো হাসতাছি এর কোন কমতি নেই ।
শুনেছি আধুনিক ডাক্তাররা সুন্দরী মহিলা দেখলেই
হৃদ কম্প শুরু হয় আর ভুতুরে সব কান্ড কারখানা শুরু করে ।
..............................................................................
পরিচিতি এক মেয়ের পায়ের পাতায় সমস্যা তো
ডাক্তার চেম্বারে একা ডাকল, প্রথমে ফোর নাম্বার চাইল,
তারপর পায়ের পাতা দেখাতে গিয়ে কাপড় তুলতে তুলতে যখন
হাটুঁর উপরে যাবার অবস্হা তখন মেয়েটা গালি গালাজ করে
বেরিয়ে এলো ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫০
জুন বলেছেন: ভালো মন্দ মিশিয়েই মানুষ। কিন্ত বর্তমানে এই প্রফেশনের মানুষদের অনেক বদনাম। রোগীদের সাথে তাদের ব্যবহারও অনেক নির্দয় বিশেষ করে দরিদ্র বা অল্প শিক্ষিত মানুষদের সাথে।
১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ওরা হলো শিক্ষিত ডাকাত। এরপরেও আমরা অসহায় হয়েই ওদের কাছে যাই, যেতে হয়। আল্লাহ যেনো সবাইকে হেদায়ত দান করেন।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৩
জুন বলেছেন: সেটাই আল্লাহর হেদায়েত ছাড়া আর কোন উপায় নেই সুজন। ইদানীং বেশিরভাগ ডাক্তার মাথায় টুপি দাড়ি বোরখা হিজাব। মরণাপন্ন রোগীদের বসিয়ে রেখে নামাজ যা কিছু সময় পরেও পড়া যায়, তারপর নাস্তা। অদ্ভুত লাগে আমার কাছে।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: "ইহা দরদ, হিয়া দরদ'' এই বিষয়টা বুঝলাম না। এর মানে কি?
রিসিপশনে সুন্দরী একজন বসা যথারীতি আমার স্বামীর মুখে আকর্ন বিস্তৃত হাসি। আপনে যে দুলাভাইয়ের চরিত্র হনন করতে চাইতেছেন, এইটার সাথে কারো কারো চরিত্র হননের কার্যক্রমের মিল খুজে পাচ্ছি। প্রশ্ন হইলো, এই উৎসাহ-উদ্দীপনা আপনে পাইলেন কোইত্থিকা?
বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষার নামে কমপক্ষে এক কেজি রক্ত মনে হয় শুষে নিল। আমাদের সবার রক্তের মাপ হয় লিটারে, আপনেরটা কেজিতে। ঘটনা কি? আপনের রক্ত যে সলিড, এইটাই তো মনে হচ্ছে আপনের সবচেয়ে বড় সমস্যা।
আপনার তো হার্টে সমস্যা আছে, আপনাকে আজই এনজিওগ্রাম করতে হবে। এইটা সিরিয়াস বিষয়। কার্ডিওলজিস্ট যদি বলে এনজিওগ্রাম করতে হবে, তাহলে করে ফেলাই ভালো........যতো দ্রুত সম্ভব। আপনের কাজিন কার্ডিওলজিষ্ট সব ঠিক আছে বললেও করা উচিত। কারন ব্যাখ্যা করতে পারবো না, অনেক কিছু বলতে হবে। তবে আমার সাজেশান হলো, একটা সিটি এনজিওগ্রাম আর একটা করোনারী আর্টারী ক্যালসিয়াম টেস্ট (সিএসি টেস্ট) করে ফেলেন যতো দ্রুত সম্ভব।
সিটি এনজিওগ্রাম, স্ট্যান্ডার্ড এনজিওগ্রামের তুলনায় অনেক সহজ আর ব্যাথামুক্ত।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৯
জুন বলেছেন: ইহা দরদ, হিয়া দরদ'' এই বিষয়টা বুঝলাম না। এর মানে কি? এটা একটা উর্দু বা হিন্দি শব্দ। দরদ অর্থ ব্যাথা, অর্থাৎ ইহা মানে এইখানে ব্যাথা, হিয়া সেইখানে ব্যাথা
আমি নিরীহ মানুষ কারো বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই তা সে অন্য কাউকে দেখে যতই হাসুক
আপনাদের বৃটিশদের রক্ত লিটার হইতে পারে তবে আমাদেরটা কেজিই হবে
না এটা বেশ আগের ঘটনা, আমি এরপর আরও কয়েকবার হার্ট টেস্ট করিয়েছি, ইসিজি, ইকো, কালার ডপলার। আল্লাহর রহমতে এখনো সুস্থ আছি। জানি না ভবিষ্যতে কি হবে।
আপনি আমার ব্লগে এসেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ভুয়া। নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো আপনাদের পরিবারের সবার জন্য।
১৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: ভুয়া মফি ভাইজান, আফায় যে চিল মেজাজে ছিলেন আপনি দেখি পুরা ভয় ধরায় দিলেন- ২০২৩ এর শেষটা তাঁর কাছে তো ভৌতিক মনে হবে। এই মন্তব্যটা দুইদিন পরে মানে থার্টি ফাস্টের বিশেষ ফিস্টের পরে করতেন
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৯
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন শেরজা, আমি তো মফিজের মন্তব্য পাওয়ার পর থেকে শুধু জাউ খাচ্ছি
আর বাসার বাকি লোকজন পোলাও কোর্মা পাডার লোসডো নিয়া বসছে
মন্তব্যটা কাল পরশু করলেই হইতো না!!
১৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি গায়ে পড়ে ভুয়া মফিজ ভাইয়ের কথায় এনজিওগ্রাম করাবেন না। কারণ হল বাংলাদেশের সকল ৪০ ঊর্ধ্ব সুস্থ মানুষের যদি এনজিওগ্রাম করা হয় তাহলে ৫০% লোকের হার্টে দুই একটা ব্লক পাওয়া যাবে। যার মাত্রা ৫০% এর কাছাকাছি বা বেশী হবে। আরেকটা হল ফ্যাটি লিভার। চল্লিশ ঊর্ধ্ব বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষের লিভার ফ্যাটি পাওয়া যাবে। তাই অযথা টেনশন নিবেন না। আর কয়েক বছর যেহেতু পার হয়ে গেছে তাই ভয় পাওয়ার দরকার নাই।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৪
জুন বলেছেন: আরে সাড়ে চুয়াত্তর আমি কি ছাগল নাকি ডাক্তার সাহেব আমার নাড়ি টিপে দেখলো না, টেথিসকোপ দিয়ে দেখলো না! চোখ টেনে দেখলো না, জিহবা বের করে দেখলোনা, দেখলো শুধু রিপোর্ট! তা রিপোর্টে তো কিছু নাই তাহলে উনি কে দেখে বুঝলেন আমাকে এঞ্জিওগ্রাম করতে হবে!! ডাক্তারদের কি রোগীদের জীবনের প্রতি এতই মায়া যে চেয়ার ঠেলে উঠে আসতে হবে রোগী ধরার জন্য
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুপরামর্শ দেয়ার জন্য ভাই। ভালো থাকবেন সাথে নববর্ষের এক্রাশ শুভকামনা রইলো
১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কেন জানি আমার সারাক্ষণই মনে হতো আমার এই অসুখ হয়েছে, সেই অসুখ হয়েছে।
এইটা অতি কমন রোগ।
ডাক্তারের কাছে গেলে রোগ ধরা পরবেন।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৮
জুন বলেছেন: রোগ না থাকলেও বিডির ডাক্তারের কাছে রোগ ধরা পরবেই পরবে। ওই যে আমি লিখছিলাম ব্যাংককে চোখের ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। উনি বলছেন কোন সমস্যা নেই। আমাদের দেশ হলে ছানি পরছে, গ্লুকোমার আলামত, রেটিনোপ্যাথি হওয়ার আশংকা ইত্যাদি ইত্যাদি
ভালো থাকুন দস্যু সাথে নবর্বষের শুভেচ্ছা।
১৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ''ইহা দরদ, হিয়া দরদ''। এর মানে কি? এটা একটা উর্দু বা হিন্দি শব্দ। দরদ অর্থ ব্যাথা, অর্থাৎ ইহা মানে এইখানে ব্যাথা, হিয়া সেইখানে ব্যাথা :`<
এই রকমের ভয়াবহ উর্দু/হিন্দি শিখছেন কোইত্থিকা? ''ইহা দরদ, হিয়া দরদ'' জাতীয় কোন শব্দ এই দুই ভাষাতেই নাই। দরদ না, দর্দ হবে। ইহা/হিয়া না, ইয়াহা (এইখানে), উয়াহা (ওইখানে/সেইখানে) হবে। সর্বসাকুল্যে, ''ইয়াহা দর্দ, উয়াহা দর্দ'' হবে। আপনের হিন্দি/উর্দু শুনলে এই দুই ভাষাভাষী মানুষদের কোষ্ঠ-কাঠিন্য হওনের চান্স আছে!!!!
@শেরজা তপন, সাড়ে চুয়াত্তরঃ মানুষরে ভালো বুদ্ধি দিতে নাই। হার্ট এ্যাটাক কেন হয় সেইটা আপনেদের আগে জানতে হবে। আর্টারী ব্লক কিভাবে হয়, সেইটা জানাও জরুরী। এই জিনিস ঘোষণা দিয়া আসে না। কাজেই জানা জরুরী, আর্টারীর সত্যিকারের অবস্থা কি, বিশেষ করে বাম আর্টারীর; যেইটার পোষাকী নাম Left Anterior Descending artery (LAD)। এনজিওগ্রাম ছাড়া এইটা পরিস্কারভাবে জানার কোন উপায় নাই, সেইজন্যই সিটি এনজিওগ্রামের কথা কইছি, কারন স্ট্যান্ডার্ড এনজিওগ্রাম বেশ কষ্টের। করোনারী আর্টারী ক্যালসিয়াম টেস্ট (সিএসি টেস্ট) আর কালার ডপলার টেস্ট এই ব্যাপারে (এনজিওগ্রাম ছাড়া) সবচেয়ে ভালো ধারনা দিতে পারে।
ভারতীয় উপমহাদেশের চল্লিশোর্ধ প্রত্যেকটা মানুষের বছরে অন্ততঃ একবার এইগুলা করানো উচিত কারন এরা more prone to heart disease. আপনেদেরও করানো উচিত। ডাক্তার কি কইলো না কইলো সেইটার জন্য অপেক্ষা করলে বহুত মুল্য চুকাইতে হইতে পারে। তখন কেরে কেরে কইরাও কোন লাভ হইবো না.........মাইন্ড ইট!! মনে রাইখেন, কাঙ্গালের কথা বাসী হইলেই ফলে!!!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪০
জুন বলেছেন: হিয়া দরদ, ইয়া দরদ!! শোনেন আমি মনে প্রানে বাংগালী, অর্থাৎ বাংলাদেশী, আমি কি তাদের মত যে ঠিক ঠিক কইতে পারমু হু হু। আমার ভুলতো হইতেই পারে, নইলে তো লোকজন চিল্লায় কইবো আফা মনে অয় কাডাল পাতা
আমি মাসখানেক আগে আমেরিকার ইমিগ্রেন্ট ভিসার জন্য মেডিকেল চেকাপ করিয়েছি তাদের নির্ধারিত ডাক্তারের চেম্বারে। উনি টেথিস্কোপ নিয়ে পরীক্ষা করতে আসলে তাকে বললাম "আপনি এখনো এই যন্ত্র ব্যবহার করেন! এইটার তো বিডিতে যাদুঘরে থাকার কথা"! আগা পাস্তলা সব পরীক্ষা করলো,যাক ওনার সব রিপোর্ট ও ওকে। এখন যদি মরি তো ঐটা আল্লাহর ইচ্ছা
আমি কাকুর দেশে বেড়াইতে যাইতেছি, তবে থেকে যাবো না
২০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
' এহা দর্দ তো ওহা দর্দ" নিয়ে দৌঁড়ঝাঁপ করে এতো ঝামেলা করার কি দরকার ছিলো ? শহুরে গ্রাম-গোরাম না করিয়ে সত্যিকারের গ্রামে গিয়ে কানের পোক খসানী ওঁঝা দিয়ে হৃদয়টা খসিয়ে (ফেলে) দিলেই হতো! ঝামেলা গন! হৃদয় নিয়ে আর কেউ টানাটানি করতোনা!
একখান অঙ্গ না থাকলে কি হয় ? একটা ঠ্যাং না থাকলে কি মানুষ বাঁচে না? একখানা হৃদয় ছাড়া আপনিও অনন্তকাল দিব্যি হেসে খেলে ব্লগিং করে যেতে পারতেন!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫
জুন বলেছেন: হু দাতের পোক খসাই, কানের পোক খসাই বেদেনীরা এখন এই শহরে আর আসে না আহমেদ জী এস
নইলে কি আর অত বড় হাসপাতালে যাই
হাত পা ফালায় দেয়ার মত হৃদয় ফালায় দিলে কি বা সমস্যা হতো কন! তখন আমি সুবীর নন্দীর মত কেদে কেদে গাইতাম এক হৃদয়হীনার কাছে হৃদয়ের দাম কি আছে
নতুন বছর আপনার জীবনে অনেক ভালো কিছু নিয়ে আসুক সেই প্রত্যাশা রইলো।
২১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
এই কথা শুনে আমি দ্রুত চেয়ার ছেড়ে উঠে যখন দাঁড়িয়ে পেছনে দরজার দিকে পিছিয়ে যাচ্ছি। উনি আমার চেয়ে দ্রুত উঠে টেবিলের পাশ কাটিয়ে হাত বাড়িয়ে যেন আমাকে ধরতে আসছে, আমি সেই সময় দৌড়ে দরজা খুলে বের হয়ে এক দৌড়ে সিড়ি দিয়ে নামতে শুরু করলাম।
দৃশ্যটা চিন্তা করলাম।
এটা জুনাপুর পক্ষেই সম্ভব
তুমি ভালো আছো জেনে ভালো লাগলো।
তবে রেগুলার চেক করা ভালো।
যেকোন অসুখ প্রাইমারি লেভেলে ধরতে পারলে ট্রিটমেন্ট ইজি হয়।
সবাইতো চায় সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৪
জুন বলেছেন: সিড়ি দিয়ে নামার কারন এটা আমার হাতে ছিল কিন্তু লিফট যে বাটন চাপ দিলেই দরজা খুলবে তার তো কোন নিশ্চয়তা নেই মিরর
তাই আদি অকৃত্রিম সিড়িই ভরসা মিরর
আমি মাসখানেক আগেই এফ ফোর ভিসার জন্য আমেরিকান এম্বেসীর নির্ধারিত ক্লিনিকে অল চেকাপ, অল ওকে। এখন যদি মরি তাইলে আর কিচ্ছু কউয়ার নাই
অনেক অনেক ভালো থেকো সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো
২২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২০
শেরজা তপন বলেছেন: @ভুয়া মফিজ আরে ভাই আমিতো আপনার পরামর্শের কোন দুষ ধরি নাই! কইলাম শুধু একদিন পরে দিলে ভাল হৈত।
বাংলাদেশে আমরা প্রতিদিন বেঁচে আছি পুরা অলৌকিক ভাবে। নাইলে দুইবার চাইরবার এমনিতেই জান কাবার হবার কথা। আজরাইল নিত্যদিন ডাইনে বায়ে চক্কর দেয়। আপনি দেশে বহুদিন থাকেন না দেখে হাল হকিকত তেমন জানেন না। ল্যাব এইডের মত হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারি করার পরে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথে গিয়ে চেক আপ করে দেখে খালি বুক ফাড়ছে ভিতরে বাইপাস করে নাই- হার্ট এমনিতেই দিব্যি সুস্থ্য আছে। বড় বড় হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করায়ে প্রথমে একটা /দুইটা রিং এর কথা বলে পরে বিছানায় শোয়ায় কয় চারটা লাগবে। ভারতের ৮০ হাজার সুইজার ল্যান্ডের ২২০ হাজার আমেরিকার ৩ লাখ জার্মানীর সাড়ে তিন প্রতি পিস। এমনি করে দশ বার লাখ বিল করে পরে চেক করে দেখা যায় রিং একটাই পরাইছে।
কোন ব্লক ছাড়া রিং পড়ানোর এমন হাজার হাজার রিপোর্ট আছে- কয়টা শুনবেন?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
জুন বলেছেন: শেরজা আমাদের অবস্থা কি বিদেশিরা বুঝবে! তারা তো খালি চেক করান, চেক করান করতেছে এদের উদ্দেশ্যেই তাই তো কবি লিখেছেন :-
চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন ব্যথিতবেদন বুঝিতে পারে। কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে -
@ ভুয়া মফিজ
২৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
পোষ্টে ৮ নং মন্তব্যের কাহিনী কি বুঝলাম না
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাই অযথা টেনশন নিবেন না।
অকারণ টেনশন না করুক কিন্তু সুস্থ থাকার জন্য রেগুলার টেস্ট করে আপডেট থাকা খুবই ইম্পরট্যান্ট।
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ডাক্তার কি কইলো না কইলো সেইটার জন্য অপেক্ষা করলে বহুত মুল্য চুকাইতে হইতে পারে।
I agree.
বড় ভাই খুব হেলদি লাইফ লিড করতো, গুড ফুড, ফিটনেস।
এতো মেইনটেইনড, তারপরও মাত্র ৫২ বছরে হার্ট এটাকে চলে গেলো।
জানতোই না হার্টের কোনো ইস্যু আছে, কারণ কখনো রেগুলার টেস্ট করেনি।
জুনাপু একজীবনে কতোকিছুই করেছো বা করতে হয়।
ভয় পাবার কিছুই নেই, সময় করে প্রয়োজনীয় টেস্ট করে ফেলো।
যখন জানবে অল গুড, মনে অন্য রকমের প্রশান্তি পাবে
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৮
জুন বলেছেন: প্রয়োজনীয় টেস্ট মাসখানেক আগে আমেরিকার ইমিগ্রেন্ট ভিসার জন্য আমেরিকান এম্বেসীর নির্ধারিত ক্লিনিকে করিয়েছি মিরর। অল ওকে। এখন আর কি করবো। তার মাস ছয়েক আগে এভারকেয়ারে হৃদয়ের সকল পরীক্ষা করিয়েছি। আর লেখার ব্যাপার তো বেশ আগের। এখন যা হয় হোক। আমি এটা নিয়ে ভাবি না এখন। তবে রিসেন্টলি পড়লাম করোনার ভ্যাক্সিনের সাইড এফেক্ট হার্ট এটাক আর স্ট্রোক
অনেকগুলো মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। নববর্ষের শুভেচ্ছা নিও।
২৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজার ২২ নং কমেন্ট পড়ার পর সত্যি বাকরুদ্ধ
এতো অনিয়মের কোন বিচার নেই!!!!!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯
জুন বলেছেন:
২৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১০
নজসু বলেছেন:
আহারে ডাক্তার বেচারার ইনকামের কিছুটা ঘাটতি হইলো।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪১
জুন বলেছেন: সেটাই তো মনে হয় নজসু
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো
২৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮
শার্দূল ২২ বলেছেন: আমিও ভাবছি জুন আপু আস্তে আস্তে পিছনের দিকে যাচ্ছে। আর ডাক্তার একটু একটু করে এগুচ্ছে। পিছনের যাওয়ার গতি কেমন ছিলো জানিনা তবে যদি স্লো মোশন করা হয় তাহলে এখানে হৃদয়ের ডাক্তার আর রুগীর হৃদয় ঘটিত দৃশ্যের অবতারণা হবে এত কোন সন্দেহ নাই। হাহাহাহা ।
আমার দেশের স্বাস্ব্য ব্যবস্থ্যা যে কোন পর্যায়ের আছে তা আমার নিজের চোখে দেখা, কারণ আমি একজন সাবেক স্বাস্থ্য ব্যবসায়ী। শতশত ঘটনা আমার মাথায় আছে শুনলে তুমি আকাশ থেকে পড়বা আপু। যারা রুগি হয়ে হাসপাতালে গিয়ে যতটুকু মন্দ বিষয় ফেইস করে তার চেয়ে অনেক নির্মমতা আছে এই ব্যবসাকে ঘিরে। তবে একটা বিষয় তোমাকে বলি- যেেসব হাসপাতালের মালিক ডাক্তার নয় সেসব হাসপাতালের মালিক গন ডাক্তারের হাতে জিম্মি আপু। আর যেই ডাক্তার নিজে হাাপাতাল ব্যবসার সাথে জড়িত সেখানে হয় হাজার রকম ধান্ধা।
আমাদের দেশের প্রতিটা মেডিক্যাল স্টুডেন্ট যেই মন মানসিকতা থেকে ডাক্তারি পড়াশোনা শুরু করে এ্যান্ড অব দ্যা টাইম তাদের সেই মানসিকতা আর থাকেনা। নানা বাস্তবতায় তারা তাদের নিঃষ্পাপ ভাবনা থেকে সরে আসে। এই জন্য কিছুটা দায়ী পরিবার। বিয়ে বাজারে ডাক্তার ছেলের চাহিদা কেন? ডাক্তার হলেই কি তার হৃদয় বিশাল হয়ে যায়? সে ভালোবাসতে জানে অন্য সবার থেকে বেশি ? না।ডাক্তার মানে টাকার পাহাড় এমনটা ভেবেই বেশিভাগ মানুষ ডাক্তার মেয়ে ছেলেকে প্রাধান্য দেয় জীবনের জন্য। এখন দাড়ালো কি তাহলে যদি সেই ডাক্তার টাকার পাহাড় করতে না পারে অন্য সবার মত তখন নানা জায়গা থেকে তাকে শুনতে হয় ওমুক পারলে তুমি পারোনা কেন?
যেমন আমি যখন আমার ২৪ বছর বয়সে কোটি কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতাল দাড় করালাম আর বছর বছর লস করছিলাম তখন সবাই আমাকে একি প্রশ্ন করেছিলো, সবাই টাকা করছে আপনি কেন পারেননা । আমি কিভাবে পারবো আপু বলো। যেসব কাজে টাকা আছে সেসব আমি কিভাবে করবো জেনে শুনে ? একটা মানুষ যখন আমার কাছে মরতে মরতে আসে সেই মানুষটার সামনে দাড়িয়ে আমি কিভাবে আমার ব্যবসা চিন্তা করবো। আমি যখন দেখলাম একদিন আমার ওটি তে গিয়ে, একটা ট্রে মধ্যে একটা শিশুর হাত পা কেটে টুকরো টুকরো করে রাখা। ২ ঘন্টা আগেও মায়ের পেটে যেই শিশুটা নিরাপদ ছিলো তাকে বিশাক্ত মেডিসিন দিয়ে মেরে আটারি দিয়ে কেটে কেটে বের করা হয়েছে যা করলে মানুষ মোটা অংকের টাকা দেয় সেই কাজ আমি কিভাবে করবো ? আমি আমার ম্যনেজম্যান্ট কে সেখানেই দাড়িয়ে বলে দিয়েছি আমার হাসপাতালে আজকের পর থেকে কোন এমআর হবেনা, ডিএনসি ও হবেনা যদি হাজবেন্ড সাথে না আসে।
এমন শতশত ইস্যু আমার সামনে এসেছে আমি সরে এসেছি । অবশেষে আমাকে সেই ব্যবসা থেকে সরে আসতে হয়েছে। জীবনের যা জমানো ছিলো জমি সহ সব হারাইসি কিন্তু নিজেকে কসাই বানাতে পারিনি।
যাইহোক সময় করে আর কিছু বিষয় শেয়ার করবো তোমাে পোষ্টে।
শুভ কামনা
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
জুন বলেছেন: শার্দুল ওরফে আমার ব্লগে প্রথম মন্তব্যকারী এত সুন্দর এবং প্রাসঙ্গিক একটি মন্তব্যের জন্য কি উত্তর দেবো ভেবেই পাচ্ছি না। এখন তো ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে মেডিকেল কলেজ। আর সেখান থেকে কোনমতে পাশ করে বের হলেই নামের আগে ডাক্তার। আগে তাদের যে আদর্শ যে নীতিবোধ ছিল তা বোধহয় তারা সবই জলাঞ্জলি দিয়ে বসেছে। এক ডাক্তার নতুন একটা ক্লিনিকের মালিককে হেসে হেসে বলছে "আপনি চিন্তা করবেন না স্যার, লোকটাকে মেশিনে উঠিয়ে দিয়েছি "। কি মেশিন বুঝলাম না কিন্ত লোকটাকে আমি বসে থাকতে দেখেছিলাম। পুরনো মলিন একটা শার্ট আর লুংগি পরা দরিদ্র লোকটি মনে হয় জমিজমা বেচে ঢাকা শহরর এসেছে চিকিৎসা করতে, ভেবেছে বাচবে হয়তো আরও কয়েক বছর। কিন্ত তারা যে কসাইদের হাতে পরেছে এটা বোধ হয় কল্পনাও করেনি।
এসব নিয়ে লিখলে মন খারাপ হয় তাই লিখতে ইচ্ছে করে না।
অনেক অনেক ভালো থেকো ভাই, নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
২৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০২
শায়মা বলেছেন: হা হা জুন আপুনি!!!!!!!!!!!!!!!!
তোমার কানের ছবি তুলে দাও। অবশ্যই সুন্দর একটা দুল পরে ছবি তুলে দেবে। নইলে কিন্তু আমি বুঝে নেবো তুমি আমার প্রিয় বিজ্ঞ ভাইয়ামনির কথা অজ্ঞতা ভেবে ফান করে উড়িয়েঝুড়িয়ে পুড়িয়ে দিয়ে এই পোস্ট লিখেছো!
যদিও জানি বিজ্ঞভাইয়া একজন অতি সজ্জন আর ভদ্রমানুষ তাই এই পোস্ট দেখে নিজেও হাসিবেন!!!
মোটেও আমাদের ঝগড়ুবুড়া ভাইয়ুর মত ঝগড়া করতে দৌড়ে আসিবেক নাহে!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
জুন বলেছেন: তা কোন দুলতা পব্বো আপু হীরাত তা না! পান্নারতা! ছোনার দুল নাকি লুপারতা
আমি তোমার বিজ্ঞ ভাইয়ুকে কিচ্ছু বলি নাই, সেই সাহস আমার লিদয়ে একতুকুও নেই আপুনি
আমার ছব বিদ্যা গুগুল মামার কাছে।
তুমি কি আমার কাকুকে ঝগ্রুবুড়া বলছো নাকি
খবদ্দার উহাকে কোন কথা বলবানা। আই লাইক হিম মানে তার লেখালেখি
অনেক ধন্যবাদ শায়মা। সাথে রইলো নববর্ষের এক্রাশ শুভেচ্ছা।
২৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ আপু শেষ পর্যন্ত ভালো আছেন। আল্লহ নেক হায়াত দান করুন
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
জুন বলেছেন: তোমাকে এবং তোমার পরিবারের সবাইকে আল্লাহ সুস্থ রাখুন এই দুয়া করি ছবি। অনেক অনেক ভালো থেকো সাথে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো
২৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: মিরোর আপু বলেছেন, তুমি ভালো আছো জেনে ভালো লাগলো। তবে রেগুলার চেক করা ভালো।
আমরা সবাই একাউন্ট নম্বর পাঠাচ্ছি। আপনি পাত্তিওয়ালা মানুষ, কিছু টাকা পয়সা 'ডোনেট' করেন। এইখানে তো আর ফ্রি চেক আপ করায় না। ইচ্ছা থাকলেও পয়সার ডরে অনেকেই যায় না!!
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৪
জুন বলেছেন: আমিও আমার অচল একাউন্ট নাম্বার পাঠাইলাম মিররকে
৩০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: মোটামোটি ৪০% কমিশন খায় ভালো ডাক্তাররা। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। হাসপাতাল থেকে এদের রিক্রুট করার সময় একটা টার্গেট দিয়ে দেয়।
শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৬
জুন বলেছেন: নীল আকাশ অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে খুব ভালো লাগলো। আর আপনি যা বললেন ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা, এটা আর এখন ব্যক্তিগত নেই, এটা এখন সার্বজনীন।
আপনাকেও জানাই শুভকামনা।
৩১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০১
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমার বাপের একবার ক্যান্সার হইছিলো আমার জন্মের আগে। বাপরে বলছিলো, অবস্থা বেগতিক। বাপের কাছে টাকা নাই চিকিৎসা করাবে। এলাকায় এসে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের এক ফাইল সাদা বড়ি খেয়ে ঠিক হয়ে গেলো।
বহু পরে, আরেক ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বলেছিলো, ক্যান্সার ম্যান্সার কিছু নাই।
বাপ এই তিন ডাক্তারের মধ্যে আজন্ম কাল কৃতজ্ঞ থাকলো হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে। আমার জন্মের পর, কিছু হলেই সেই হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেত।
আমার বয়স এখন ত্রিশ, বউ নাক ডাকার শব্দে ঘুমাতে পারে না রাতে। নাকের হাড় মনে হয় বেঁকে গেছে। বাপজানের নির্দেশ অবশ্যই যেন আমি সেই হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের সাথে দেখা করি, এক ফাইল সাদা বড়ি খেয়ে নাকের হাড় ঠিক করি।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৮
জুন বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম রিয়াদ। আসলে মানুষ যে কখন কি ভাবে ভালো হয় তা আল্লাহই ভালো জানেন। আপনিও শীঘ্রই ভালো হয়ে যস্ন এই দুয়া রইলো। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৩২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: অল ওকে।
বাহ্! তাহলে নো চিন্তা, বিন্দাস ঘুরে বেড়াও।
এখন যদি মরি তাইলে আর কিচ্ছু কউয়ার নাই /
অনেক বছর সুস্থভাবে বেঁচে থাকো আপু, সবার মাঝে থাকো এটাই উইশ করি।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৯
জুন বলেছেন: সুস্থ ভাবে বাচাটাই হলো আসল। আশাকরি তোমার দুয়া আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মঞ্জুর করবেন মিরর। তুমিও ভালো থেকো অনেক অনেক। নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
৩৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজা তপন বলেছেন: এইখানে তো আর ফ্রি চেক আপ করায় না।
আমাদেরও এখানে একসময় মেডিকেয়ার কাভার করতো কিন্তু এখন আর ফ্রি বলে কিছু নেই।
জেনারেল মেডিসিন ডাক্তার অথবা টেস্ট সেটাও এখন পার্টলি নিজের পকেট থেকে দিতে হয়, ফুল ফ্রি না।
এডভান্স লেভেল টেস্ট যেগুলো বায়োপ্সি, রেডিওলোজি এগুলো এখন আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাভার করেনা, ভেরি এক্সপেন্সিভ!
বায়োপ্সি বিল $৯০০ প্লাস, স্পেশালিস্ট ভিজিট করলেই $৩০০।
স্পেশালিস্ট ডাক্তার কখনোই মেডিকেয়ার কাভার করে না, সামান্য একটা পার্সেন্টেজ রিবেট দিবে।
দূর থেকে অনেক কিছুই মনে হয় বন্ধু, আসলে সব জায়গাতেই প্যারা আছে
তবে এটা স্বীকার করতেই হবে, ট্রিটমেন্ট এবং ফেসিলিটিজ মাইন্ড ব্লোয়িং।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২২
জুন বলেছেন: কিন্তু এই মেডিকেল মেডিকেল করতে করতেই বেশিরভাগ বাংলাদেশীরা জান প্রান দিয়ে সব কিছু শুন্য করে উদায়স্ত পরিশ্রম করে বিদেশে প্রান দেয়। ডাক্তারের সাক্ষাৎ পেতে পেতে ৩/৪ মাস বসে থেকে। এগুলো সব আমার অভিজ্ঞতা
৩৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১১
শেরজা তপন বলেছেন: @মিরোরডডল এমন কাতারে কাতারে ইমিগ্রান্ট গেলে কি আর করার! ডলারে বিল দেখলেই বুকে কামড় দেয়; ভেঁতো বাঙ্গালী তো!
সিডনিতে আমার জিপি বন্ধু আছে লাগলে কইয়েন
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৪
জুন বলেছেন: আম্রিকায় আমার কাকু আছে, কারো বন্ধু বান্ধবের আমার দরকার নাই
মিররেরও মনে হয় লাগবে না
৩৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজা ভুলে গেছে, আমার রেগুলার জিপি হচ্ছে সেইজন যে আমাকে হার্টলেস বলেছে, মাই গুড ফ্রেন্ড।
জিপির সাথে দেখা হলেই আমাকে এতো আনন্দ দেয়, যে তখন অসুখ ভুলে যাই
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫
জুন বলেছেন: মিররের কাছে আমিও জানতে চাই কে সেই হার্টলেস জিপি
৩৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বেশ কয়েক বছর রোগ বালাই ও তা নিরাময় নিয়ে এত ইউ টিউব / ভিডিওর চল না থাকলেও ডাক্তার
কবিরাজ বৈদ্য হাকিমের কমতি ছিলনা দেশে ।
আপনার গৃহকর্তার বলা কথা তোমার ইহা দরদ, হিয়া দরদ শুনে মনে পড়ল হাম দর্দ দাওয়াখানার কথা ।
আমার মনে হয় দরদ শব্দটা হাম দর্দ থেকেই এসেছে । হাম দর্দ ছিল সর্ব রোগের হাকিমী ভেষজ চিকিতসা ।
সকল রোগের চিকিতসার বিধান ও দাওয়া ছিল তাদের কাছে ছিল । তাদের কাছে গেলে রোগ না সারলেও
মানুষ এখনকার াআধুনিক ডাত্তার আর হাসপাতালের মত চিকিতসা নিয়ে এতো ভুগতনা ।
গেলেন ঢাকার বিখ্যাত হসপিটালের। রিসিপশনে সুন্দরী হাসি দিয়ে "স্যার " সম্বোধন করে কত সহজেই
একটা এক্সিকিউটিভ চেক আপ করাতে রাজি করিয়ে ফেলল ্আপনাদরকে । তার পরে তাদের পরিক্ষা নিরীক্ষা
কসরতের যে নমুনা বিধৃত করলেন তাতে আমি যতটুকু না চমকিত তারো বেশী হলাম পুলকিত । দেশে এখন
যদিউ বিভিন্ন পর্যায়ে যথেষ্ট বিরম্বিত হতে হয় তার পরেও খুব সহজেই এক্সিকিউটিভ সহ অনেক জটিল পরিক্ষা
বা টেষ্ট করানো যায় । বলাই যায় সুচিকিতসা কিংবা
কুচিকিতসা সেটা যাই হোক না কেন চিকিতসা সেবা সকলের দোরগড়ায় গড়াগড়ি দিচ্ছে । এ রকম সার্বজনিন
চিকিতসা ব্যবস্থা কিছুদিন আগেও ভাবা অকল্পনীয় ছিল । দেশে ব্যাঙগের ছাতার মত এখানে সেখানে গজিয়ে
উঠছে হাসপাতাল , ক্লিনিক , আর ঔষধের দোকান । দ্ক্ষ ও কোয়ালিফাইড লোকবল , চিকিতসক , নার্স ,
ফার্মাসিস্ট না থাকলেও আর সরকারী পর্যায়ে যথাযথ দেখবাল না থাকলেও সেগুলি চলছে বেসুমার ভাবে ।
মানুষ ও রোগীর ভোগান্তি হলেও এদের সেবকদের স্বাস্থের উন্নতি হচ্ছে পাহাড় সমান ।
এখন শুনেন আমার নীজের কিছু কথা । এখন বর্তমানে যেখানে বসবাস করছি সেটা বিশ্বের সেরা স্বাস্থ দানকারী
দেশ সমুহের মধ্যে একটি । এখানে কঠিন ও জটিল মৃত্যু পথযাত্রী রোগীদের জন্য রয়েছে রাজকীয় চিকতসা তা
বলার অপেক্ষা রাখেনা । একবার যদি ডাক্তার হসপিটালে রেফার করে তাহলে অপনি পরম নিশ্চিন্ত থাকতে
পারেন । কিস্ত সমস্য হলো আপনার এই পোণ্টের মত ইয়া দরদ হিয়া দরদ টাইপের রোগ ব্যরাম
হলে ভোগান্তির সীমা নেই , যদি না ডাক্তার এমারজেনসি হিসাবে হসপিটালে রেফার না করে ।
আমার নীজের কথাই বলি মাস ছয়েক আগে ভিন্ন শহরে ডাক্তার হিসাবে কর্মরত আমার মেয়ের বাড়ীতে
সপরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলাম । ট্রেন থেকে নেমে গাড়ীতে উঠার আগে বুকে সামান্য পেইন ফিল করি ।
ভাবলাম পথেই যখন হাসপাতাল পড়ে তাই এমারজেসিতে গিয়ে একটু চেক আপ করিয়ে নেই । অন্যদেরকে
বললাম আমাকে হাসপাতালের সামনে ( উল্লেখ্য হাসপাতাল আমার ময়ের বাসার খুবই কাছে সে হাসপাতালটির
একজন ডাক্তার হিসাবে স্টাফ কোয়ার্টার পেয়েছে হাসপাতাল কেমপাস এড়িয়াতেই ) নামিয়ে দিয়ে তোমরা
চলে যাও । আমি কাজ সেরে এখনই আসসি।
আমার পুর্ব অভিজ্ঞতা হতে জানি এমন সামান্য বুক ব্যথা নিয়ে এমারজেনসিতে গেলে বেশ কম সময়ের মথ্যেই
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও ইসিজি করে তেমন কিছু না পাইলে ছেড়ে দেয় । অমি ভেবেছিলাম এবারেও এমন কিছুই
হবে । কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে ডাক্তার সংকটের কথা মাথাতেই আসেনি । তাই সেখানে গিয়ে
রিসেপসানে সুন্দরী রিসেপমানিষ্টের কাছে রোগের বিবরন বলার পরে হাতে একটি টোকেন নাম্বার দিয়ে ওয়েটিং
রুমে অপোক্ষা করতে বলল । বেশ আর যায় কোথায় গিয়ে দেখি আমার মত আরো জনা বিশেক রোগী বসে
আছে । আমিউ বসে আছি ডাক আর পরেনা । ঘন্টা পার হয়ে যায় ভাবি এই বুজি ডাক এলো না অরো ঘন্টা
পার হয়ে যায় । জানলাল আমার আগে থেকেই অনেকে বসে আছেন , তাদেরো এখনো ডাক পরেনি । একটি
ব্যচ নাকি ভিতরে গিয়েছে তারা প্রাথমিক ভাবে নার্সের কাছে তাদের রোগের বয়ান দিয়ে অন্য অরেকটি কক্ষে
বসে আছেন ডাক্তারের ডাকের অপেক্ষায় । যাহোক সন্ধা হতে অপেক্ষা করার পরে রাত দশটা পর্যন্ত অপেক্ষা
করার পরে বাসায় মেয়েকে ফোনে জানালাম কি করা । তার পরের ইতিহাস আরো লম্বা. মেয়ে আসলো , ভিতরে
গিয়ে অবস্থা বুঝে শুনে আসলো , বলল করার কিছুই নাই করোনা পরবরতীতে রোগীর তুলনায় ডাক্তারের সংকট
চলছে । এখন নাকি সারা দেশেই এমারজেনসিতে একই অবস্থা। খুব বেশী সিরিয়াস কিছু না হলে সিরিয়াল ভেঙ্গে
ডাক্তার রোগী দেখতে পারবেনা । অপেক্ষা করতেই হবে । বললাম তাহলে ঘরেই ফিরে যাই , মেয়ে বলল রোগী
হিসাবে নাম লিখেয়ে এসেছ, এখন চলে গেলে নীজ দায়ীত্বে যেতে হবে , তবে বিষয়টি আমার মেডিকেল রেকর্ডে
লেখা থাকবে এবং পরের বার চিকিতসার জন্য গেলে এর প্রভাব পড়বে। তাই অগ্যতা অপেক্ষা করতেই হলো ।
অমার মত অনেকেই নিরবে অপেক্ষা করছে কারো মুখে টু শব্দটি নেই । ভদ্রতা আর কাকে বলে । এসময় মনে
হল আমাদের ঢাকায় হলে স্বজনপ্রতি না হয় তোষন নীতি যে কোন প্রকারেই এতক্ষন ডাক্তার দেখিয়ে কর্ম সেরে
বাসায় ফিরতাম । যাহোক দায়ে পরে সারা রাত অপেক্ষা করে সকালে ডাক পড়লো ডাক্তারের কাছ হতে ।
পরিক্ষা করে ইসিজি করে বললো কিছুই হয় নাই । এখন মনে হলো আমাদের দেশই কত না ভাল , নীজের
ইচ্ছেমত যখন তখন চিকিতসা সেবা নেয়া যায় ।
লেখা অনেক লম্বা হয়ে গেছে, হাতের চিকিতসার কথা এখন আর বললাম না । অন্য কোন সময় না হয় বলব ।
নব বর্ষের শুভেচ্ছা র্ইল
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০২
জুন বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার কথা শুনে তো টাস্কি খেলাম আলী ভাই। আমাদের সোনার বাংলায় বিকাল থেকে সকাল, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বসে থাকে ঢামেকে। অন্যান্য জায়গায় গেলে আপনি এপয়েন্টমেন্ট করে সময় মত যেতে পারবেন। অথবা সাধারণ ডায়োগনষ্টিক এ ঘন্টাখানেক অপেক্ষা। এত উন্নত দেশে এই অবস্থা যে ডাক্তার আসিবার পুর্বেই রোগী মারা গেল ট্রান্সলেশন
সুস্থ থাকেন ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা রইলো। আমাদের জন্যও দুয়া করবেন।
আর নতুন কি মন্তব্য করবেন তা নিয়ে শীঘ্রই এসে পরুন
৩৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৮
সোনালি কাবিন বলেছেন: কানের লতিতে ভাজ নিয়ে টেনশনে আছি।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬
জুন বলেছেন: আপনি টেনশন কইরেন না, ছোট বুশেরো আছে আর তার বয়স তো কমপক্ষে ৭০ এর উপর হবে, বিশ্বাস না হয় তো ছবিতে দেখেন
৩৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: মিররের কাছে আমিও জানতে চাই কে সেই হার্টলেস জিপি
জুনাপু, জিপিতো হার্টলেস না।
জিপি আমাকে বলে হার্টের কোন প্রোব নেই ফর শিওর, কারণ আমার কোন হার্ট নেই।
জিপির দেখা আমি হচ্ছি হার্টলেস উইম্যান
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
জুন বলেছেন: হা হা হা হার্টলেস ওমেন,
ভালোই বলেছে জিপি
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কানের লতিতে ভাঁজ ওহাতো অনেক বড় সমস্যা হওয়ার কথা। ডাক্তার জেলাসি থেকে ওমন খামাখা ওষুধ দিলো কি না পথের কাঁটা দূর করতে ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
জুন বলেছেন: ঔষধ দেয় নাই সেলিম আনোয়ার, এঞ্জিওগ্রাম করতে বলেছিল আমাকে
৪০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩০
বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন তালিকা তৈরী করছি।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
জুন বলেছেন: কি কবিতা ??
৪১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৮
আরোগ্য বলেছেন: আপু সেদিনই পোস্ট পড়েছিলাম কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি।
উফ কি ছ্যাকাটাই না দিলের ডাক্তার কসাইকে। বেচারা!
দুলাভাই গেলে কি হিরো ভিলেন ফাইট সিকোয়েন্স আসতো নাকি আপনার খিল্লি করতো ।
ভুয়া ভাই তো ভালোই আপনার ক্লাস নেয়া শুরু করেছে, গুডলাক।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
জুন বলেছেন: সেদিন পড়ে সেদিনই মন্তব্য করেন্নাই ক্যান তাহলে তো অনেকেই আপনার মজাদার মন্তব্যটা পড়তে পারতো
না দুলাভাইর অনেক পার্সোনালিটি তার সামনে মনে হয় না এমন জোরাজুরি করতে পারতো
আমি নিরীহ তাই আরকি
হু ভুয়া অনেক অনেক দিন পর আমার পোস্টে এসেছে , আমি অনেক খুশি হয়েছি
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দেরীতে হলেও আসার জন্য আরোগ্য ।
৪২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু ঠিকই ধরেছেন উনি কানের ডাক্তার তবে হৃদয়েও সময়ে সময়ে ঢুঁ মারেন। সম্ভবত এই কারণে সেদিন উনি আপনার হৃদয়ে সমস্যা বুঝতে পরে তক্ষুণি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে রক্ষে যে আপনি লম্বা ছুট দিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন। এমন কতজন যে ওনাদের মতো ডাক্তারের খপ্পরে আটকে গেছেন কে জানে।
ভূয়া ভাইকে এখন থেইক্কা গুরু মানেন।ওস্তাদ মানুষ ওলিগলি ভালো চেনেন সাজেশন মিস হবে না নিশ্চিত....
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ওটা হৃদয়ঘটিত সমস্যা ছিল মনে হয়