নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রান্ডপা'স হাউজ
ছেলে আমার অনেক দিন হয় দেশের বাইরে থাকে । আমার মন পরে থাকে ওর কাছে । প্রতিদিন ওর সাথে অবশ্য কথা হয় । এই নিয়ে অবশ্য তার বাবার সামান্য ঈর্ষা আছে । "হ্যা খালি তোমার সাথেই তো দেখি কথা বলে, আমাকে তো ফোন করে না"। ছেলেকে আড়াল করার জন্য বলি 'দেয় তো, কিন্ত তোমার ফোন নাকি বিজি থাকে' । আসলে বেশিরভাগ সময় আমাকেই ফোন করে ।
যাই হোক তার এক বাক্য "তোমরা আসো , তোমরা আসো" । জিজ্ঞেস করি "কই থাকতে দিবে ? তোমারতো এক বেডরুমের এপার্টমেন্ট" । উত্তর দেয় ' এইটা একটা কথা হইলো ! তোমরা বেডরুমে থাকবা, আমি লিভিং স্পেসে ম্যাট্রেস বিছায় থাকবো"। আমি বলি 'আমাকে দেখলেই কিন্ত বলতে পারবে না তোমার হাতের রান্না করা এটা কত দিন খাই না, ঐটার স্বাদ ভুলে গেছি , আম্মু এইটা রান্না করো না একদিন। আমি বলি 'আমাকে দেখার জন্য অস্থির হয়েছো, সুতরাং আমি যতদিন থাকি আমাকে সোফায় বসায় রাখবা আর দেখবা "।
এই ভাবে চলে মা ছেলের কথোপকথন । বলি 'এখন তো বলো বেডরুম ছেড়ে দিবে, কিন্ত বউ আসলে তো আমাদের ঠাই হবে গ্রান্ড- পা'স হাউজে ।
"না না তোমরা আমার সাথেই থাকবা"। কষ্টের একটা হাসি আসে ঠোটে।
পাঠক উপরের ছবিটাই হলো প্রথম বিশ্বে সন্তানের সাথে বাবা মায়ের থাকার জন্য বিশাল বাড়ির সাথে কিচেন বাথরুম সহ একটা দুই বেডরুমের আবাস। তারা বলে উভয় পক্ষের প্রাইভেসী রক্ষার্থে নাকি এই ব্যবস্থা। কাছে থেকেও দূরে ।
ছোটবেলা থেকেই ছেলের প্রচন্ড গাড়ীর শখ, "আম্মু তোমরা আসলে একটা বড় গাড়ি কিনবো"। আমি বলি 'সেই গাড়িতে কি আমার বসার জায়গা থাকবে !
ছেলে বলে "কি বলো তুমি ! কেন হবে না" !
বলি 'গাড়িতে তো তোমার বউ বসবে, ছেলেপুলে বসবে , ন্যানী বসবে , বিড়াল বসবে। আমার কি জায়গা হবে ! তখন আমার জন্য তোমাকে আবার গাড়িতে একটা আলাদা ক্যারিয়ার লাগাতে হবে '। ছেলে ঠাস করে ফোন রেখে দিয়ে বাবাকে ফোন করে । বাবা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে আমার চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় পানি পরতে থাকে ।
দুটো ছবিই আমার আকা । দ্বিতীয় ছবিটি বহু বছর আগে এক পত্রিকায় দেখেছিলাম সেটা কল্পনা করে আকা ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৬
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ঢাবিয়ান একা থাকাই ভালো। কিন্ত মাঝে মাঝে মন কেমন জানি করে। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু সাধ আহ্লাদ কমবেশি সব বাবা-মায়ের থাকতেই পারে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের সঙ্গে একত্র থাকার। কিন্তু সবার কপাল্ সুপ্রসন্ন হয়না। বৃদ্ধাশ্রমগুলোর সংখ্যা উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বরং কম লেখাপড়া জানা বা জীবনে সাফল্য না পাওয়া সন্তানদের দেখেছি বাবা মায়ের সঙ্গে একত্রে বসবাস করতে। জানিনা টাকা পয়সা কম থাকার কারণে তারা বাবা মাকে নির্জন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় না। যাইহোক কিছু একটা তো হবেই।
আমি অবশ্য রিটারমেন্টের পর গ্রামে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রীতিমতো জায়গা কিনেও ফেলেছি। বাকিটা সময় বলবে।শেষ জীবনে একটু স্বাধীন থাকার স্বপ্ন কতোটা পূর্ণ হবে জানিনা।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৯
জুন বলেছেন: আমাদেরও খুব শখ ছিল গ্রামে থাকার কিন্ত উপায় নেই। তোমার ভাইয়া নদী ভাংগা এলাকার মানুষ। তার জন্মের আগেই শশুর মশাই ঢাকায় জমি কিনে বাড়ি করেছে। আমার তো দেশই ঢাকা সদর আসন এক।
থাকা নিয়ে সমস্যা নেই কিন্ত সন্তানকে অনেক মিস করি পদাতিক।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩১
নজসু বলেছেন:
লেখাটি পড়তে পড়তে নচিকেতার বৃদ্ধাশ্রম গানটির কথাগুলো কানে বাজছিলো।
আপা, ছেলেমেয়ার প্রায় সবাই মা অন্ত প্রাণ, বাবা ভক্ত প্রাণ হয়ে থাকে। পরিবর্তন হতে শুরু করে (সবাই না, কিছু সত্যিকারের ভালো সন্তান বাদে) বিয়ের পর থেকে। বউরা আসার পর ছেলেদের ঐ আগের মনোভাব কিছুটা হলেও পরিবর্তন হতে শুরু করে। আল্লাহ না করুন মা বাবাদের সৌভাগ্য যেন বৃদ্ধাশ্রমের দূর্ভাগ্যে পরিণত না হয়।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২০
জুন বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রমে থাকার ব্যাপারে আমার কোন সমস্যা নাই নজসু। অকারণ তিক্ততা আর বিদ্বেসের মধ্যে বসবাস করার চেয়ে সমমনা আর সম বয়স্কদের সাথে জীবন যাপন করা অনেক আনন্দদায়ক আমার মনে হয়। আর ছেলেমেয়েদের সাথে একটা জেনারেশন গ্যাপের ব্যাপারও আছে। যাইহোক এখনো বৃদ্ধাশ্রমে যাবার মত পরিস্থিতি হয় নি এই যা রক্ষা আমার আর্ট নিয়ে আপনারা কেউ কিছু বলছেন না যা সত্যি আমাকে আহত করছে :'(
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: ছেলেরে ভালই ইমোশোনাল ব্লাকমেইল করতেছেন। ওর বউ আসলে বেচারার কপালে দুঃখ আছে!!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২২
জুন বলেছেন: কি যে কন আমি ব্ল্যাকমেইল করলাম কই! করছে তো ছেলে। আর আমার আর্ট নিয়ে কেউ কিছু বলছেন না দেখে সত্যি দুক্ক পেলাম তারপর ও আসছেন মন্তব্য করছেন তার জন্য এক্রাশ ধন্যবাদ
৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: শিরোনাম দেখে লগইন করলাম জুন। এই বাক্যের মর্মার্থ এই ব্লগে আমার মত করে আর কজন বুঝতে পারবে।
আমারও একই অবস্থা! আমার ছেলে শুধু আমাকেই ফোন করে, আর তার বাবা দুঃখিত হয় তাকে ফোন করে না বলে। আসলে মায়ের সাথে যেসব খাজুরে আলাপ করা যায়, বাবার সাথে সেগুলো করা যায় না। এই কথাটি কোনো বাবা বুঝতে পারে না!!
আমার পরিচিত অনেকেই আমার জন্য গভীরভাবে চিন্তিত, কারণ ছেলে আমাকে ফেলে বিদেশ চলে গেছে! তাদের ছেলেরা তাদের সাথে দেশে আছে, বৃদ্ধ বয়সে তাদের দেখাশোনা করবে, এই জন্য। আমি তাদের কী বলবো ভেবে পাইনা!! মাঝে মাঝে মনে হয়, প্যারেন্টিং নিয়ে একটা পোস্ট দেই!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩
জুন বলেছেন: আপনি এসেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো করুনাধারা। আসলে আপনি যতটুকু বুঝবেন তা অনেকে বুঝবে না কারন তারা এখনো হয়তো সেই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় নি।
খেজুরে আলাপ যেটা বলেছেন তা তো অবশ্যই আছে তার সাথে মান অভিমান ঝগ্রাঝাটি সবই চলে। অনেকটা বন্ধুর মতই। ছেলে যখন ঢাকায় ইউনিভার্সিটিতে পড়ে তখনই তাকে বলেছিলাম "আব্বু আমি কিন্তু তোমার জন্য ঘটকালি করতে পারবো না, তুমি নিজের বউ নিজে পছন্দ করবা"। ছেলে বল্লো ঠিকাছে। এখন কয় দিন পরপরই আমি জিজ্ঞেস করি " কি পছন্দ হইলো? " উত্তর আসে না। একদিন এমন প্রশ্নের পর ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলের উত্তর কি শুরু করছো! আমি কি প্রেম আর বিয়ে করার জন্য এইখানে ভর্তি হইছি নাকি আমিতো তার মেজাজ দেখে ভয়ে ইচা
বাবার সাথে তো তা না। তার সাথে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, টাকা পয়সা এইসব নিয়ে আলোচনা, আর আমি আজ কি খেলে? শরীর কেমন ইত্যাদি
আপনি লিখেন প্যারেন্টিং নিয়ে আমরা পড়ি
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: সন্তান দেশে থাকলেই যে পিতামাতার সাথে বা কাছাকাছি থাকতে পারে , তা কিন্ত নয়। চাকুরি স্থল , বাচ্চার স্কুল ইত্যাদি নানাবিধ কারনে মানুষকে বাসা চেঞ্জ করতে হয়। সেক্ষেত্রে বৃদ্ধ পিতামাতার পক্ষেতো আর সম্ভব হয় না জায়গা পরিবর্তনের। আবার বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের সাথে একই বাসায় থাকা পিতামাতারাও যে সুখে থাকে তা কিন্ত নয়। বউ শাশুরি দ্বন্দ , এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ এসব লেগেই থাকে যা নষ্ট করে পারিবারিক শান্তি। আজকালের শিক্ষিত পিতা মাতারা তাই সন্তানের সাথে দুরত্ব বজায় রেখে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮
জুন বলেছেন: আপনার কথা শতভাগ সত্যি ঢাবিয়ান। আমাদের কাছে থাকলেই যে জীবন আনন্দময় হয়ে উঠবে তার কোন ঠিক নেই। তারপর ও মনে হয় সপ্তাহান্তে একবার তার মুখটা দেখি। উপরের ছবিটা দেখেছেন? ওটা আমার এক আত্নীয়র বাসা। আমেরিকায় বাবাকে কাছে এনে রেখেছে একই কম্পাউন্ডের মধ্যে। ছোট দুই বেডরুমের এপার্টমেন্ট। ওই বিশাল বড় বাসাটায় কিন্ত থাকে শুধু একমাত্র ছ্বলে আর বউ। তিন কুকুর দুই বিড়াল। বাচ্চা কাচ্চা নেই। এটাই জীবন ঢাবিয়ান। উল্লেখ্য ওরা সাদা আমেরিকান।
৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছবিটি পোস্টের সাথে ১০০% ম্যাচিং।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪০
জুন বলেছেন: হেই গোফরান আপনাকে আমি ১০০ তে ১০০ দিলাম। আমার আকা বিষয় জানাটাই আমার একটা প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৭
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের কাছাকাছি বাসায় থাকতে পারাটাতো সৌভাগ্যের ব্যপার । প্রাইভেসীও যেমন বজায় থাকে , সম্পর্কও ভাল থাকে। কিন্ত কয়জনের আর এমন সৌভাগ্য হয়! তাই এসব নিয়ে বেশি ভাববেন না আপু। একা থাকার অভ্যাস গড়ে তোলাই বেটার। বরং বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।
ঢাবিয়ান সাহেবের সাথে একমত...
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪০
জুন বলেছেন: মি ঠ্যু নয়ন বড়ুয়া
৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
ছেলে কোথায় থাকে?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪২
জুন বলেছেন: ছেলে দু বছর হয় কানাডায় আছে। আমাদেরও গ্রীন কার্ড সহ এফ ফোর ভিসা হয়ে আছে। কিন্তু যাবার ইচ্ছে নেই মোটেও আর গেলেও থাকার ইচ্ছে নেই। এই জন্যই ছেলের জোড়াজুড়ি। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এখানে আপনারা দুজন, ছেলে তো দূরে একা এভাবে বলে বেচারার মন খারাপ করে দিলেন !!
ঘুরে আসেন আপু আর আমাদের গল্প শুনান।
সব বাবা মায়ের সন্তান রা ভালো থাকুক।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭
জুন বলেছেন: মনিরা আমি মনে করি সন্তানের চেয়েও বাবা মার মন বেশি খারাপ থাকে। তার মন যদি আমাদের চেয়ে বেশি খারাপ থাকতো তাহলে সে চলেই আসতো। তবে কিছুদিন আগে তার বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিল তখন সে সব ছেড়েছুরে চলে আসতে চেয়েছিল। পরে আমি বুঝিয়ে শান্ত করি।
আমাদের গ্রীন কার্ড হয়ে আছে কিন্তু এত লম্বা জার্নি করে যেতে ইচ্ছে করে না এখন।
সেটাই সব বাবা মায়ের সন্তারাই ভালো থাকুক।
১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
বাবা-মা হয়ে ওঠা খুব কষ্টের! আরো কষ্টের যখন সন্তানেরা কর্তব্যের খাতিরে আঁচলের ছায়া থেকে সরে যায়!
যদিও প্রেমের গান তবুও এ যেন ঠিক এই গানটির মতো বাবা-মায়ের মনে সন্তানের জন্যে নিভৃতে বেজে চলে -
বিছরে আভি তো হাম, বাছ কর বরষো
জীউঙ্গি ম্যায় ক্যায়সে
ইসি হাল মে বরসো!
মওত না আয়ি তেরী ইয়াদ কিঁউ আয়ি
লম্বি জুদাই!!
চারো দিনোকা পেয়ারিও রফা বড়ি
লম্বি জুদাই!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস,
আপনার প্রথম লাইনটি মন ছুয়ে গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কিন্তু কবিতা বুঝলাম না। মানে স্বাদ আস্বাদন করতে পারলাম না। আমি হিন্দি বুঝলেও উর্দু বুঝি না
আর আপনি তো ছবি আকতে পারেন কিন্তু আমার আকা নিয়ে একটা অক্ষরও লিখলেন্না, তাজ্জব হইলাম
১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ছবি ও আলাপন বেশ লাগলো।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যটাও বেশ লাগলো মাইদুল সরকার অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৯
রানার ব্লগ বলেছেন: অভিমান টা ঠিক কি কারনে হইছে বলেন তো । ছেলে ডাকছে , থাকতে চান ঠিক আছে বেড়িয়ে আসুন কিছুদিন । মন ভালো তো জগত ভালো (এটা ঠকে শেখা)
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩
জুন বলেছেন: অভিমান না রানার ব্লগ, আসলে এত লম্বা জার্নি করে যেতে ইচ্ছে করছে না এইটাই আসল কথা। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ রইলো।
১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৪
নজসু বলেছেন:
আপা সত্যি বলতে কি ছবিদুটো গতকাল থেকে বেশ কয়েকবার দেখেছি। প্রথম ছবিটা প্রথমই।
দ্বিতীয় ছবিটা বেশ ভাবিয়েছে। ঐ একটা ছবিই নচিকেতার সম্পূর্ণ গানটার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
ছেলের আবদারে মা বলেছেন, গাড়িতে তো তোমার বউ বসবে, ছেলেপুলে বসবে , ন্যানী বসবে , বিড়াল বসবে। আমার কি জায়গা হবে?
ছেলের সাথে ছেলেদের বিড়ালেরও জায়গা হয়েছে। আর হ্যাঁ মায়েরও জায়গা হয়েছে। তবে, আলাদা লাগানো ক্যারিয়ারে।
আপা, আপনার লেখটায় কি প্রকাশ পেয়েছে আমি জানিনা। তবে, আমি আমার ভাবনাটুকু শেয়ার করলাম। নচিকেতার গানের লাইনগুলো আমার জানা আছে। এই মুহুর্তে গানটাও টাইপ করতে ইচ্ছে করেছে।
ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার।
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী
সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।
ছেলের আমার আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!
আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না
ওসব নাকি বেশ পুরনো, ফ্ল্যাটে রাখা যায় না
ওর বাবার ছবি, ঘড়ি-ছড়ি, বিদেয় হলো তাড়াতাড়ি
ছেড়ে দিলো, কাকে খেলো, পোষা বুড়ো ময়না।
স্বামী-স্ত্রী আর আ্যালসেশিয়ান – জায়গা বড়ই কম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!
নিজে হাতে ভাত খেতে পারতো নাকো খোকা
বলতাম আমি না থাকলে রে কী করবি বোকা?
ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতো খোকা আমার কথা শুনে
খোকা বোধ হয় আর কাঁদে না, নেই বুঝি আর মনে।
ছোট্টবেলায় স্বপ্ন দেখে উঠতো খোকা কেঁদে
দু’হাত দিয়ে বুকের কাছে রেখে দিতাম বেঁধে
দু’হাত আজো খুঁজে, ভুলে যায় যে একদম-
আমার ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম!
শেষটুকু থাক। বাচ্চাদের অভিশাপ দিতে চাইনা। বাবা মারা হাজার কষ্ট পেলেও তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করেন তার সন্তানেরা সুখে থাকুক। নচিকেতার মতো আমি সন্তানকে অভিশাপ দিতে চাইনা।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
জুন বলেছেন: নজসু আরেকবার এসেছেন সাথে করে নিয়ে এসেছেন আন্তরিকতার ডালি । কিছুই করার নেই । দেশে এত আরাম আয়েশ ছেড়ে বিদেশে কিসের মোহে যায় লোকজন আমি বুঝি না । গতকাল এক জায়গায় শুনলাম বাবা বিশাল সরকারী অফিসার মেয়ে কানাডায় মানুষের বাসায় কাজের জন্য আবেদন করছে । হয়তো বলবেন কোন কাজই ছোট না । কিন্ত সেদশে পড়ালেখা করেও আমাজনের মাল টানা আর কফিশপে কাজ ছাড়া খুব কম লোকের ভাগ্যেই ভদ্রজনোচিত কাজ জুটে । এগুলো আমাদের প্রত্যক্ষ্য জানা জ্ঞ্যান থেকে বলছি । তাও পায় না পি আর ছাড়া ।
এই সব ভাবলেই আরও খারাপ লাগে সাথে বৈরি আবহাওয়া তো আছেই ।
না না অভিশাপ আমি মনেও আনি না , শুধু কষ্ট লাগে । অনেক অনেক ভালো থাকবেন ।
১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: দেশে চলে আসুন।
ছেলে থাকুক কানাডা। মাঝে মাঝে ছেলেকে দেখে আসবেন। আবার ছেলে মাঝে মাঝে এসে আপনাদের দেখে যাবে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
জুন বলেছেন: আমি বর্তমানে দেশেই আছি রাজীব নুর । আমার খালু লন্ডন থেকে পাশ করা একজন চার্টাড একাউন্টেন্ট সে অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের পার্টনার ছিলেন । অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রধান পদেই ছিলেন । এইসব লন্ডন আমেরিকা তার কাছে কিছুই ছিল না । সে যখন বিদেশ সফর করে আসতেন তখন একটা কথা বলতেন যা আমিও বিশ্বাস করি মনে প্রানে । বলতেন শোন নিজের দেশে, নিজের মাটিতে, নিজের ঘরে, নিজের বিছানায় যে সুখ তা দুনিয়ার আর কোথাও নেই । দু বছর হলো উনি দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন কিন্ত তার কথাগুলো আমার মনের কথা । আমি গেলে এই বারই প্রথম যাবো আর না, কারন যারা আমাদের গ্রীন কার্ডের জন্য তারা মন খারাপ করছে সাথে ছেলের সাথে মোলাকাত ।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কেমন আছেন আপু?অনেক দিন পড়ে আপনার লেখা পড়ছি,এখন মনে হয় কম লেখেন।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
জুন বলেছেন: আমি ভালো আছি ভাই , আপনি কেমন আছেন ? অনেক দিন পর আসলেন আমার ব্লগে । আমি তো নিয়মিতই লিখি আর আপনাকেও ব্লগে দেখি
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সন্তান রিঝিক। সে মহান রবের পক্ষ থেকেই এসে থাকে। চিন্তা করবেননা একেবারে।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৪
জুন বলেছেন: চিন্তা করি না তারপর ও চিন্তা হয় বইকি। কারন আমরা যে তাদের মা বাবা। মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হলো তার জন্য দু:খিত সুজন।
১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৫
আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় জুন আপু,
দেখলাম বেশ কয়েকটা মন্তব্যে আপনি ছবির কথা বলার আবদার করেছেন, তাই সেটাই আগে বলি। সত্যি কথা বলছি, শিরোনাম আর ছবি দেখে ভেবেছিলাম কোন ছোট ছেলে ছবিগুলো এঁকেছে।
এবার লেখা প্রসঙ্গে আসি, বিদেশিদের কথা তো জানিনা তবে বাঙালি মায়েরা ছেলে বলতেই অজ্ঞান। অসুস্থ মাও ছেলের দর্শন পেয়েই সুস্থ হয়ে যায়। ছেলে যদি ভালো ব্যবহার নাও করে তবুও মায়ের কাছে ছেলেই সেরা। তবে আমাদের এ যুগটাই খারাপ নাকি আমাদের মায়া মমতায় মরিচা ধরেছে, ঠিক বুঝতে পারি না। একদিন নানুকে নিয়ে চেক আপ করে বাসায় আসার সময় গাড়ি থেকেই নামতেই মামা সামনে এসে দাঁড়ায় আর নানু সবার সামনে বলে উঠে, আমারে দেখতে যাওনা কেন? আমি তো টাকার ভুকা না, আমি দেহনের ভুকা '। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য টাকা, গাড়ি, কর্মচারী সবই মামা দেয় কিন্তু মাকে ঘরে যেয়ে দেখে আসার সময় হয়না অথচ তার দোকান কিন্তু নানুর বাসার নিচেই।
আসলে আপু মাঝে মাঝে মনে হয় একা জীবনটাই ভালো, প্রিয় মানুষদের সংখ্যা যত বাড়বে, জীবন আর সেই মানুষদের কাছে আশা প্রত্যাশা ততই বাড়বে। আর মানুষ সবচেয়ে বেশি আঘাত পায় প্রত্যাশিতদের কাছেই। আহত হৃদয়ের ব্যথা প্রকাশও করা যায় না কারণ এতে প্রিয় মানুষদের অসম্মান হয়।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৮
জুন বলেছেন: হা হা হা ছোট ছেলে আরেহ না এগুলো আমিই একেছি মাইক্রোসফট পেইন্টে। ওই জিনিসে আকা অনেক ধৈর্যের। এদিকে টানতে চান তো ঐদিক রওনা দেয় তারপর ও যে আকছি বিষয়বস্ত নিয়ে এইটাই বা কম কি
আমাদেরও সেই অবস্থা, টাকার নই মাঝে মাঝে দেখা সাক্ষাৎ এই যা।
উত্তর দিতে দেরি হলো তার জন্য অনেক দু:খিত আরোগ্য। আর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
ছবির কথা আর কি বলবো !!!!!!! এক্কেবারে ঝাক্কাস। হাত অনেক খুলেছে। ভ্যান-গ্যঁ এর ছবির মতো হয়েছে। চালিয়ে যেতে থাকুন।
ভ্যান-গ্যঁ এর কথা বলেছি বলে ভাববেন না - টিটকারী করেছি। ভ্যান-গ্যঁ এর ছবিগুলো দেখুন তা হলেই বুঝবেন আপনার ছবির সাথে তাদের সাদৃশ্য।
আর কবিতা নয় - ওটা গান। হাসালেন আপনার মতো পন্ডিত এই গানটির স্বাদ আস্বাদন করতে পারেন নি বলে। যাই হোক এর মূল অর্থ হলো মোটামুটি এই - অনেক বছর তো তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন, এভাবে আর কি করে বেঁচে থাকবো বছরের পর বছর! মরন না এলেও কেন তোমার কথা মনে পড়ে! স্বল্প সময়ের প্রেম হলেও এতো অনেক লম্বা বিচ্ছেদ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১২
জুন বলেছেন: ছবির কথা তো অবশ্যই বলবেন জী এস। এই কি যেই সেই আকা! যাকে বলে আপনার ভাষায় ইদুরের লেজ ধরে টেনে টেনে আকা মানে মাইক্রোসফট পেইন্টে আর ভ্যান গ বইলেন্না আমি মনে করি প্রায় আধুনিক পিকাসোর আঁকা ছবি
ঠিকই বুঝতে পারছি কিন্ত না বোঝার ভান কর্লাম জানি আরেক বার আসেন
আর তার জন্য এক্রাশ ধন্যবাদ আপনাকে
২০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৮
সোহানী বলেছেন: শুনেন আপুমনি, যত বেশী কাছে টানার চিন্তা করবেন ততবেশী দু:খ পাবেন। আমি কোনভাবেই চাই না বুড়া বয়সে বাচ্চাদের লেজে লেজে ঘুরতে। তারপর তার বউ এর সাথে ঝগড়া করতে। তারা থাকবে তাদের মতো, আমি বাঁচবো আমার মতো।
ওল্ডহোম এখন সময়ের দাবী, প্রয়োজন। এটাতে আবেগের কোন স্থান নেই।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২২
জুন বলেছেন: কি যে বলেন সোহানী আমি কাছে টানলাম কই! আমি আমার নিজের সংসারে রাজরানীর মত রাজ্যপাট নিয়ে মহা সুখে আছি। আমি তো যাইতে চাইনা, সে বলে। আমাদের গ্রীন কার্ড সহ ইমিগ্রেন্ট ভিসা হয়ে আছে তাই যাইতে চাইনা নিজের দেশ ফেলে। আর ছেলের বাসায় থাকা নৈব নৈব চ
আর বৃদ্ধাশ্রমের কথা মাথায় রাখছি তবে সেই পর্যন্ত যাইতে দেরি আছে
ভালো থাকুন সব সময়।
২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: আমিও একদিন আমার বাবা - মা কে ছেড়ে প্রবাসে চলে এসেছিলাম। আমার সন্তানরাও আমাকে একদিন ছেড়ে চলে যাবে যে যার জীবিকার তাগিদে। বাস্তবতা মেনে নিয়েছি। আমার ছেলে /মেয়েরা মা-অন্তপ্রাণ। তাদের যত কিছু তারা তাদের মায়ের সাথেই বেশি আলাপ করে।
@আহমেদ জী এস ভাই আমার খুব প্রিয় একটি গানের কথা মনে করিয়ে দিলেন।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৯
জুন বলেছেন: আপনার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। না জানি আপনার বাবা মা কত মনে কষ্ট নিয়ে চলেছে। সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবে ভেবে আমরা বিদেশে যাই সেই সন্তানরাই পরে নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ছেড়ে চলে যায়। ছুটিছাটায় হয়তো দু একদিনের জন্য বাবা মার কাছে আসে। তীর্থের কাকের মত পথ চেয়ে থাকা বাবা মায়ের কাছে।
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হলো আশাকরি কিছু মনে করবেন না। আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
আপনার মাধ্যমে আঁধারের যুবরাজ কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই, গানটি আমারও খুব প্রিয়। গানের কথার আবেদনের সাথে সুর সহ গায়িকার কন্ঠের দরদ গানটিকে আলাদা মাত্রা দিয়ে গেছে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩০
জুন বলেছেন: গানটা বোঝার পর আমারও খুব ভালো লাগছে জী এস
২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭
বিজন রয় বলেছেন: ব্যতিক্রমী পোস্ট! দারুন পোস্ট।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩১
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সামান্য এই লেখাটির এতটা প্রশংসা করেছেন বলে বিজন রয়
২৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মা ও ছেলের আলাপ সালাপ দেখা যায় ভালই জমে উঠেছে । আপনাদের জন্য গ্রান্ডপাস হাওজ হবেনা প্রয়োজন
এমন ছেলে থাকলে অবশ্য সে যদি থাকে হাতের নাগালে । তবে আলাপ সালাপের রকম দেখে মনে কোন আশঙ্কা
না জাগে । অঅআশা করি ছেলে রত্নটি থাকবে আপনারই পাশে ।
ছেলে এখন বিদেশে, দেশে থাকা মা বাবার মনতো পরে থাকবে্ই ওর কাছে ।প্রতিদিন কথা হয় ফোনে,
বাবার মনে সামান্য ঈর্ষাতো থাকবেই কারণ বেশিরভাগ সময় ছেলেটি মাকেই ফোন করে, এমনিতো হওয়ার কথা ।
মেয়ে থাকলে পাঠিয়ে দেন দুর বিদেশে ,দেখবেন মাকে ছেড়ে সে ফোন বেশী করবে বাবাকেই । আমার বেলায়
এমনটিই , মেয়ে থাকে দুরের শহড়ে ফোন বেশী করে আমাকে, মাতার হিংসায় জ্বলে । এটাই মনে ছেলে মেয়ের
সমধ্যে পার্থক্য সকলের তরে ।
তবে বিদেশে পড়ুয়া একাকী থাকা ছেলেই হোক আর মেয়েই হোক তারা হয় উচ্চ শিক্ষিত, আর দেশে
ভালবাসা আর মমতার ডালি নিয়ে একাকী বসে কাঁদে বাবা আর মায়ে ।
আর সময় গুণে কবে হবে দেখা সাক্ষাত তাদের সনে । থাকা খাওয়া আর চলা ফিরা নিয়ে কত ভাবনাই না
তাদের থাকে তা বেশ ভাল করেই তুলে ধরেছেন লেখাটির মাঝে ।
ছেলে মেয়ের সাথে দেশে কিংবা বিদেশে যেখানেই হোক না কেন দেখা, রান্নার বেলায় মা-ই পায় বেশী প্রাধান্য ।
এ বিষয়টা মনে হয় সকল জায়গাতেই সমান ভাবে খাটে ।
আঁকার হাত ভালই আছে দেখি , এমনি ভাবে গাড়ির সাথে জোরা দিয়ে ক্যরাভেন লাগিয়ে লং ড্রাইভিং গিয়ে
আনন্দ উপভোগ করা যাবে ভাল করে । বেড়াতে যান সেখানে শীত কমে আসবে শীঘ্রই কানাডাতে , প্লান কষেন
এখনই , হলিডে সময়টা সেখানে ছেলের সাথে ভালই কাটবে ।
শুভেচ্ছা রইল
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫১
জুন বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই। সত্যি ছেলের জন্য অসম্ভব মন কেমন করে। আমরা শুধু এই লম্বা জার্নির সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুধু মাত্র আল্লাহ যদি চায় তো ওর সাথে দেখা করতে পারি যেন। দোয়া করবেন আমাদের জন্য। ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক, নিউইয়র্ক থেকে টরেন্টো, টরেন্টো থেকে সাস্কাচুয়ান, সাস্কাচুয়ান থেকে টরেন্টো, টরেন্টো থেকে ঢাকা। উফফ মনে হয় প্লেনেই মরে থাকবো। গ্রীন কার্ড নিয়ে যাচ্ছি তবে কানাডা বা আমেরিকা কোথাও সেটেল হওয়ার আপাতত কোন ইচ্ছে নেই। আমার হাজবেন্ড জাতিসংঘে কাজ করে দুনিয়া দারী ঘুরেও দেশের জন্য পাগল। দেশের সব কিছু ভালো এমনকি সারা দুনিয়ার সর্বাপেক্ষা বায়ু দুষনের শহর ঢাকার যানজট সহ সব সব ভালো লাগে। আমারও নিজের দেশের নিজের মাটি নিজের ঘর এর চেয়ে বড় সুখী কোন মনে হয় আর কোথাও নেই।
সুন্দর এবং প্রাসঙ্গিক একটি মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪১
সোনালি কাবিন বলেছেন: নিটোল এক ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠলো।
১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:১৫
জুন বলেছেন: ৩রা ফেব্রুয়ারির মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি আজ যা সত্যিই লজ্জাজনক সোনালী কাবিন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আন্তরিক মন্তব্যের জন্য
২৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
জাতিসংঘের অফিসিয়ালতো আন্তর্জাতিক সিটিজেন , পাখির মত ঘুরে বেড়াতে শুধু সুবিধাই সুবিধা ।
ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক, নিউইয়র্ক থেকে টরেন্টো, টরেন্টো থেকে সাস্কাচুয়ান, সাস্কাচুয়ান থেকে টরেন্টো,
টরেন্টো থেকে ঢাকা।সে যে এক ভয়ংকর লম্বা জার্নি । মাঝে আমাদের এখানে যাওয়া বা আসার পথে স্টপ
অভার করে গেলে লম্বা জার্নির ক্লান্তি কিছুটা কমবে বলে মনে করি । কানাডাতে থাকা আমার আত্মীয় স্বজন
দেশে আসা যাওয়ার সময় ইউকে তে আমার এখানে একটু বিরতি দিয়ে যায় । যদিউ সবসময় সময়
অভাবে তা হয়ে উঠে না ।
যাহোক, লম্বা জার্নিতে ফাক পেলে বসে বসে গল্পের বই পাঠে সময় কাটবে ভাল । রূপকথার পাখিদেরে
নিয়ে যে একটা মেরাথন পোষ্ট দিয়েছি তা কানাডায় আসা যাওয়ার পথে পাঠ করে শেষ করা যাবেনা ।
আপনার এই লম্বা জার্নি আনন্দময় হোক সে কামনা রইল ।
১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:২০
জুন বলেছেন: হায় হায় আলী ভাই ৬ই ফেব্রুয়ারিতে মন্তব্য দিয়েছিলেন! আমি কই ছিলাম
জাতিসংঘের কর্মী তো সে, আমি তো গৃহকর্মী আমার কি আর এত ঘুরঘুর করার সুযোগ আছে! যাই হোক এই ম্যারাথন ভ্রমণ অর্ধেক শেষ করে নিজ আলয়ে ফিরে এসেছি। আশা আছে আগামী কয়েক মাস এর ভেতর বাকিটা শুরু থেকে আবার শেষ করবো। দোয়া করবেন যেন সুস্থ থাকতে পারি আর আপনার বাসায় আপনার আতিথেয়তা গ্রহনের সুযোগ হয়
অনেক অনেক ভালো থাকুন আর সুস্থ থাকুন সপরিবারে।
২৭| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: হুম! "কাছে থেকেও দূরে"!
পোস্টের কথোপকথন এবং এমোশোন এর সাথে আমি পরিচিত।
ছবি দুটো সুন্দর এঁকেছেন। অনেক আবেগময় ভাবনার অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছে ছবি দুটোতে।
সন্তানের সাথে ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সে থাকলে মা বাবা প্রশান্তি লাভ করতে পারে যখনই মনে পড়ে, নীরবে নিভৃতে থেকে সন্তানের জন্য তখনই নিবিড়ভাবে দোয়া করে। এমনকি মানসিকভাবে ডিসট্যান্সে থাকলেও একই প্রক্রিয়া পালনীয়।
সে অনেকদিন আগের কথা। রংপুর শহরে গিয়েছিলাম এক নিকটাত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে। শ্রাবন মাসের ঝুম বৃষ্টিতে পানি জমে পথ ঘাট ডুবু ডুবু অবস্থা। ঐ বৃষ্টিতে সদ্যাগত এক প্রৌঢ়া মহিলা বিয়ে বাড়িতে এসে উপস্থিত হ'লেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তিনি গাড়ি থেকে নেমে গৃহপ্রবেশের জন্য অস্থির হয়ে গেলেন। সাথে ছিল তার ২৫/২৬ বছরের বড় ছেলে। ছেলেটি নেমে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে দু'টি দশ ইঞ্চি ইট জোগাড় করে আনলো। উপস্থিত একজনের কাছ থেকে একটা ছাতা চেয়ে নিয়ে তার মাকে নামতে বললো। ছাতাটি মা'কে দিয়ে সে একটি একটি করে ইট এগিয়ে দিল, আর তার মা সে ইটের উপর পা দিয়ে দিয়ে এগোতে এগোতে গৃহে প্রবেশ করলেন। ছেলেটা ততক্ষণে ভিজে চুপসে গেছে। প্রায় তিন দশক আগের কথা, কিন্তু স্মৃতিটা আজও অম্লান।
"শেষ জীবনে একটু স্বাধীন থাকার স্বপ্ন কতোটা পূর্ণ হবে জানিনা" - পদাতিক চৌধুরি এর এ স্বপ্নটা পূরণ হোক, এ দোয়া করি। আমার বাবাও অবসরগ্রহণের পর পৈতৃক ভিটায় ফিরে গিয়েছিলেন, যদিও ঢাকায় তিনি শেষ জীবনে বাড়ি ক্রয় করার মত জমি ক্রয় করেছিলেন। সাধারণতঃ দেখা যায়, শহুরে চাকুরেরা অবসর গ্রহণের পর গ্রামে ফিরে গিয়ে সেখানে থিতু হলে তাদের অভিজ্ঞতাটা খুব একটা সুখকর হয় না। শহুরে বাবুরা ভিলেজ পলিটিক্স এর সাথে পেরে উঠতে হিমশিম খেয়ে যান।
"আমার আর্ট নিয়ে আপনারা কেউ কিছু বলছেন না যা সত্যি আমাকে আহত করছে :'( " -। ৩ নং প্রতিমন্তব্যে এসে মনে হলো, আহা! আমি যদি আমার এ মন্তব্যটা যথাসময়ে করতে পারতাম, তবে আপনাকে আহতও হতে হতো না, এবং পাঠকদেরকেও এমন কথা শুনতে হতো না।
১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:২৭
জুন বলেছেন: ইট বিছিয়ে বিছিয়ে মাকে পানি পার করার কাহিনী পড়ে চোখে পানি চলে আসলো খায়রুল আহসান। কি অসম্ভব মমতা! এখন কি এটা সম্ভব? সন্তানকে একটু চোখের দেখা এটাই তো বেশির ভাগ বাবা মা চায়, চায় তাদের সাহচর্য। আর তো কিছু না।
আপনার মমতা ভরা মন্তব্যের কি উত্তর দেবো বুঝতে পারছি না। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আর আমার আর্ট ভালো লাগায় ভীষণ খুশী হোলাম। কারণ ছবি আকাটা বিষয় না, বিষয় হলো এর ভেতরের গূঢ় কারণ।
ভাল থাকুন সব সময়। আপনি কি এখনো রিজাইনা? সেপ্টেম্বরে যেতে চেয়েও ক্যান্সেল করলাম। জানিনা কবে যাওয়া হয়। আল্লাহ কি রেখেছে ভাগ্যে।
২৮| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: করুণাধারা বলেছেনঃ "শিরোনাম দেখে লগইন করলাম জুন। এই বাক্যের মর্মার্থ এই ব্লগে আমার মত করে আর কজন বুঝতে পারবে" - হুম!
তিনি আরও বলেছেনঃ "মাঝে মাঝে মনে হয়, প্যারেন্টিং নিয়ে একটা পোস্ট দেই"! - জ্বী জ্বী, অবশ্যই দিন। ইনডীড, প্যারেন্টিং ইজ আ নেভার এন্ডিং টাস্ক, এ্যান্ড আ ভেরী ডিফিকাল্ট টাস্ক টু!
আরোগ্য বলেছেনঃ "....আমারে দেখতে যাওনা কেন? আমি তো টাকার ভুকা না, আমি দেহনের ভুকা" - তার মামাকে দেখে নানুর এ কথাটা একেবারে মর্মমূলে আঘাত করলো!
আগামী ২৭ জুলাই তারিখে সাস্কাটুনে জেমস এর কনসার্ট হবে। আপনার ছেলে কি যাবে সেখানে?
২৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ২৮ নং মন্তব্যের শেষ বাক্যটিতে দেয়া তথ্যে একটা ভুল রয়েছে। সাস্কাটুনে জেমস এর কনসার্ট হবে আগামীকাল শনিবার ১৩ জুলাই ২০২৪ তারিখে। ভুল বশতঃ সেটা ২৭ জুলাই উল্লেখ করেছি।
"আপনি কি এখনো রিজাইনা"? - জ্বী, আমি এখমও রিজাইনাতেই রয়েছি। রিজাইনার আবহাওয়া নিয়ে গতকাল ব্লগে একটা 'চিঠি'ও লিখেছি, পড়ে দেখবেন বলে আশা করি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের কাছাকাছি বাসায় থাকতে পারাটাতো সৌভাগ্যের ব্যপার । প্রাইভেসীও যেমন বজায় থাকে , সম্পর্কও ভাল থাকে। কিন্ত কয়জনের আর এমন সৌভাগ্য হয়! তাই এসব নিয়ে বেশি ভাববেন না আপু। একা থাকার অভ্যাস গড়ে তোলাই বেটার। বরং বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।