নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেক কান্দাইয়াগি
এক সময়ে বার্মা ছিল বৃটিশ কলোনী, তার রাজধানী ছিল ইয়াঙ্গন তো সেই বৃটিশ কলোনীতেই ছিল সুপেয় পানির অভাব। পানির সেই অভাব মেটাতেই বৃটিশরা শডেগন প্যাগোডার সামনে ৬১ হেক্টর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলে এক বিশাল জলাধার নাম কান্দাইয়াগি লেক। লেকটির গভীরতা কম বেশি ৪৫ ইঞ্চি । আর বিশেষ চ্যানেলের মাধ্যমে শান প্রদেশের লেক ইনলে থেকে আনা হয়েছে সুপেয় পানি। কান্দাইয়াগি শব্দের অর্থ গ্রেট লেক ইন মিয়ানমার। এই লেকের চারপাশ ঘেষে তৈরী হয়েছে সবুজ শ্যমল গাছ গাছালী আর ফুলে ফলে ভরা এক অনিন্দ্য সুন্দর নয়নাভিরাম পার্ক । পার্কটি ঘিরে আছে ইয়াঙ্গন জ্যু লজিক্যাল গার্ডেন, এক্যুরিয়াম, আনন্দ উপভোগের জন্য এমিউজমেন্ট পার্ক ছাড়াও হোটেল রয়েল লেক সহ অনেক রেস্তোরা । ছুটির দিন হলেই স্থানীয় লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে টলটলে পানির এই লেকের পারে ছুটে আসে চড়ুইভাতি করতে ।
কারাভিক হলের ভেতরে স্বর্নময় এক দেবতা নাকি পৌরাণিক চরিত্র কিন্নরী তার স্বর্ন সিংহাসনে আসীন
তবে এই লেকের সবচেয়ে বড় আকর্ষন হলো কারাভিক হল নামে একটি বজরা যা লেকের পানিতে ভেসে আছে। এই শব্দটি এসেছে পালি থেকে । এটা একটি পৌরানিক পাখি যা মিয়ানমারের বিভিন্ন মন্দিরে দেখা যায় । ১৯৭২ সালে তৈরী হওয়া এই বজরাটির নকশা করেছেন ইউ নি হ্লাইং । দোতালা এই অপরূপ বজরাটি নানান কারুকার্য্য ভরা যা বর্তমানে একটি ব্যুফে রেস্তোরায় পরিনত হয়েছে ।
এই লেকের পারে কারাভিক বজরার সামনে একটি মডেল ফটোশ্যুট করছিল , তার অনুমতি নিয়ে কিছু ছবি তোলার আগ্রহ দেখালে অমায়িক হাসি দিয়ে মাথা ঝুকালো
আমি মিয়ানমারের চারটি প্রদেশ ভ্রমন করেছি । সে সময় প্রতিটি পথের বাকে বাকে দেশটির অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য আর সাধারন মানুষের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি। সেখানে কান্দাইয়াগি লেকের পানির মতই স্বচ্ছ সরল মানুষের মন। ছবির মডেলের হাসির মতই প্রানখোলা হাসিখুশি বেশিরভাগ মানুষ।
কিন্ত এই দেশটির সাধারন মানুষরা বৃটিশদের থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই প্রকৃতপক্ষে আর স্বাধীনতা ভোগ করে নি । অপরিসীম সম্পদের মালিক হয়েও তারা সেই সম্পদের ফল ভোগ করতে পারে নি । আজও তারা বেচে থাকার জন্য, সবচেয়ে নীচু কাজের জন্য না খেয়ে জমানো টাকা দালালের হাতে দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে লুকিয়ে চুরিয়ে ছুটে যায়। পথে মারা যায় সেই সুইপারের কাজের জন্য যাওয়া মানুষগুলো, ধরা পরে হয়রানি হয় পুলিশের হাতে। মুষ্টিমেয় জনসংখ্যার তুলনায় ওদের যেই বিশাল দেশ যেই বনজ -খনিজ আর প্রাকৃতিক সম্পদ তাতে তো ওদের প্রত্যেকের সোনার থালায় ভাত খাওয়ার কথা। কিন্ত থালা তো দুরঅস্ত, দু বেলা দু মুঠো ভাত জোটানোই কঠিন আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা দেশটির সাধারণ জনগণ এর।
আমার জানতে ইচ্ছে করে এই জান্তা বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পেয়েই কি তারা সত্যি স্বাধীন হবে । অং সান সুচীর উপর আমার ব্যক্তিগতভাবে কোন ভরসা নাই । জান্তা সৈনিকরা যখন রোহিংগাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল তখন তিনি তার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারন করে নি। তখন ভেবেছিলাম উনি জান্তার বিরোধিতা করতে চান না তার গদী রক্ষার্থে। পরে একটি ঘটনায় জানা যায় সে কতখানি রেসিস্ট। সামরিক বাহিনীর আক্রমনে দিশেহারা রোহিঙ্গারা স্রোতের মত যখন বাংলাদেশে প্রবেশ ও আশ্রয় নিচ্ছিল তখন এই বিষয়ে তার
মতামত জানার জন্য একটি সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করেছিলেন বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা বিবিসি। আর সেই সাক্ষাৎকার নিতে হাজির হয়েছিলেন বিবিসির বিখ্যাত সাংবাদিক ও সংবাদক পাঠক মিশেল হুসেইন। সে সময় শাসক গোষ্ঠীর অংশীদার অং সান সুচী রোহিঙ্গাদের বিষয়টিকে ইনিয়ে বিনিয়ে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করছিলেন।কিন্ত আলাপের এক পর্যায়ে তিনি যখন মিশেল হুসেইনের ধর্মীয় পরিচয় জানতে পারলেন সাথে সাথে উনি চেয়ার ছেড়ে এক লাফে উঠে দাঁড়িয়ে যান, তার চোখ মুখ ফুটে বের হচ্ছিল প্রচন্ড রাগ আর তীব্র ঘৃনা। সেই রাগত স্বরেই সুচী বলে উঠেন তুমি মুসলমান এটা জানলে আমি কখনোই তোমাকে সাক্ষাৎকার দিতাম না
আজ সেই মুসলমানদের দেশে তাদের প্রিয় সৈনিক থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারী, সাধারন মানুষ এসে আশ্রয় নিয়েছে। কই মুসলমানরাতো তাদের তাড়িয়ে দেয় নি, দেয়নি বহু বছর ধরে ঘাড়ে বোঝা হয়ে ওঠা সেদেশের নাগরিক রোহিঙ্গাদের ! আমাদের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তাদের যুদ্ধ বন্দীর সন্মানে আশ্রয় দিয়েছে , খাবার দিয়েছে, দ্রুত দেশে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে ।
ভারত তো সব সময় তাদের কলাটা মুলাটা খাচ্ছে, কিন্ত এই সংকট শুরু হওয়ার পর কিছু মিয়ানমারের জনগন ত্রিপুরা মনিপুর দিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে চাইলে তাদের বিশিষ্ট মন্ত্রী এই অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য সীমান্তে অবিলম্বে কাটা তারের বেড়া নির্মানের আদেশ দিয়েছেন, যেমনটা দিয়েছে তাদের প্রানের বন্ধু প্রতীম দেশ বাংলাদেশের সীমান্তে । সাথে অবাধে গুলিও চলছে তাদের বন্ধুদের উপর ।
১ নং বাদে বাকি দুটো ছবি আমার ক্যানন ক্যামেরায় তোলা।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬
জুন বলেছেন: পুরো পোস্ট না পড়েই একটা মন্তব্য করলেন কাবিন সেখানকার সাধারণ মানুষের মত এই মডেলও ছিল অত্যন্ত ভদ্র সভ্য আর অমায়িক।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২
সোনালি কাবিন বলেছেন: সাক্ষাতকারের প্যারা সহ শেষের তিন প্যারা পড়েছিলাম। সাক্ষাৎকারের কথাটা বোল্ড দেখে মনে হল ওটা চুম্বক অংশ। ছবির বোল্ড ক্যাপশনেও দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৪
জুন বলেছেন: যাক চুম্বক অংশ পড়ছেন শুইনা খুশি হইলাম। মহিলা কি ডেঞ্জেরেস
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বার্মিজ সৈনিকদের ভাংগাচোরা চেহারা দেখলে মনে হয় এরা ৩ বেলা ঠিকমত খাবার পায় না।
আমাদের আনসাররাও এদের চেয়ে বেশী স্মার্ট। অতচ একসময় উল্টোটা ছিল।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
জুন বলেছেন: হয়তো ইচ্ছার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত সৈনিকের দল। এরাও হয়তো জানে এই সংঘর্ষ এর কোন লক্ষ্য নেই, নেই কোন আদর্শ। সেদেশে মানুষের চাকরি বাকরি নেই, ব্যাবসা বানিজ্য নেই। অনেকেই হয়তো নিরুপায় হয়ে সৈন্য দলের খাতায় নাম লিখিয়েছে। ইদানীং যে যুদ্ধগুলো হচ্ছে তা কতটা আদর্শের জন্য, কতটা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মত কালবৈশাখী। বেশিরভাগই তো নেতার ইচ্ছায়। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০০
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটা লেখা লিখেছেন।
মন দিয়ে লেখাটা দুবার পড়লাম। আমি কখনও মিয়ানমার যাইনি। যাওয়ার ইচ্ছাও নাই। পৃথিবীর দুটা দেশে আমার যেতে ইচ্ছা করে না। এক মিয়ানমার, দুই পাকিস্তান।
মিয়ানমারের সাথে আমরা যুদ্ধ করে এক সপ্তাহ টিকে থাকতে পারবো না।
আবার মানবতার দিক থেকে মিয়ানমার আমাদের সাথে পারবে না। আমাদের দেশে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
নাফ নদীতে আমি আর সুরভি নৌকা করে ঘুরেছি।
সুন্দর নদী। পরিস্কার সবুজ পানি।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
জুন বলেছেন:
মিয়ানমারের সাথে আমরা যুদ্ধ করে এক সপ্তাহ টিকে থাকতে পারবো না।
আবার মানবতার দিক থেকে মিয়ানমার আমাদের সাথে পারবে না। আমাদের দেশে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যথার্থ বলেছেন রাজীব নুর। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮
সোনাগাজী বলেছেন:
কোন সালে আপনি কোন কোন এলাকা ভ্রমণ করেছেন?
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
জুন বলেছেন: বছর দশেক আগে মনে হয়। আমরা মিয়ানমারের প্রাক্তন রাজধানী ইয়াংগন, আরেক রাজধানী মান্দালয়, পুরাকীর্তির শহর বাগান, আর শান প্রদেশের লেক ইনলে। এই সব ভ্রমণ নিয়ে আমার প্রচুর লেখা আছে ব্লগে। কয়েকটি পত্রিকাতেও ছাপা হয়েছে। পইড়েন সময় পাইলে। খারাপ লাগবে না। যাই হোক ভালো থাকুন সব সময়।
৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: ট্যুরের ফ্লেভার নিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম আপা। শেষে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেলো...
আমরা ফ্যামিল ট্যুর দেওয়ার প্ল্যান করছি, নেপাল আর বার্মা...
বার্মায় খরচ কেমন পড়েছিলো, আপনি যখন গিয়েছিলেন?
কয়দিনের মত ছিলেন? একটু কী জানা যাবে আপা?
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮
জুন বলেছেন: আমার লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো নয়ন বড়ুয়া। আমি ২০১২ র দিকে মিয়ানমার ভ্রমন করি। এই ভ্রমণ নিয়ে আমার অনেক ছোট ছোট পোস্ট আছে যার কিছু পত্রিকাতেও পাব্লিশ হয়েছিল। আপনি যদি কষ্ট করে আমার পোস্টগুলো পড়েন তবে মিয়ানমার সম্পর্কে বেশ কিছুটা ধারণা পাবেন। আমরা মনে হয় ১৫/১৬ দিনের মত ছিলাম। ঢাকা থেকেই ট্যুর কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে প্যাকেজ এর মাধ্যমে । প্যাকেজের ভেতর ডে ট্রিপ, এক প্রভিন্স থেকে আরেক প্রভিন্স যাতায়াত আর হোটেল ভাড়া ছিল। খরচ খুব বেশি ছিল না কারণ সেখানে কেনাকাটার বেশি কিছু নেই। যদি না আপনি বিশ্বখ্যাত মগক খনির রুবি না কিনেন। গোল্ড ও সস্তা কারণ সেখানে রুবি নীলা ছাড়াও প্রচুর স্বর্নের খনি আছে। আমরা ইনলে থেকে প্লেনে আসি। এটা আমাদের দিতে হয়েছিল ওদের ট্রান্সপোর্ট কেটে রেখে।
আমি সাজেস্ট করবো ২০১২ সালে সম্ভবত মিয়ানমার এর উপর আমার ধারাবাহিক লেখাগুলো পড়ে যদি যান অনেক অজানা জিনিস জানতে পারবেন যা আপনার ভ্রমনকে আনন্দময় করে তুলবে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা দেশটার । শরৎচন্দ্রের উপন্যাসগুলোতে রেঙ্গুনের কথা খুব থাকত। ব্যবসা বানিজ্যের জন্য খুব প্রশিদ্ধ ছিল এই জায়গা সেসময়। সামরিক জান্তারা শেষ করে দিল দেশটা্কে। ওং সাং সুচীর মুসলিম বিরোধী অবস্থান আমার মনে হয় রাজনৈতিক কারনে। সামরিক জান্তাদের চক্ষুশুল হতে চায়নি এই ইস্যূতে। গনতন্ত্র বজায় থাকলে সব ধর্মের মানুষই মিলেমিশে থাকতে পারত।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬
জুন বলেছেন: সত্যি ভয়াবহ, জান বাচাতে তারা এদেশ ওদেশ ছুটে বেড়াচ্ছে আজ। শরতচন্দ্রের শ্রীকান্ত উপন্যাসের দ্বিতীয় পর্ব থেকে নেয়া একটা গল্প ছিল সমুদ্রে সাইক্লোন। ভারতীয়রা তখন অনেকেই ব্যাবসার জন্য রেংগুন যেত। অনেকে সেখানকার মেয়েদের প্রতারিতও করতো তার কাহিনীও লেখা আছে শ্রীকান্ত উপন্যাসে।
সুচী সম্পর্কে আপনি যা যা বলেছেন সেটা আমি পোস্টেও বলেছি ঢাবিয়ান। একটা যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে সুচীর পার্টি জান্তার সাথে কোয়ালিশনে গিয়েছিল। তার আসন সংখ্যা ছিল সীমিত ফলে মেরুদণ্ড বলেন আর গলার স্বর বলেন দুটোই ছিল নরম কিন্ত তার তীব্র ধর্মীয় বিদ্বেষের তো কারন ছিল না বিবিসির সাংবাদিকের সাথে শুধু নাম শুনে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে আসা ও মন্তব্যের জন্য।
৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কান্দাইয়াগি লেকের নাম এখন হওয়া উচিত কান্দাইলাইছে লেক। সামরিক জান্তা যেভাবে নিজ জনগনকে কান্দাইতেছে, তাতে এইটাই পোক্ত নাম। তাছাড়া তাদের নাম বদলানোর ট্রেন্ড তো আছেই। যেমনিভাবে ১৯৮৯ সালে তাদের এক আদেশবলে বার্মা হয়েছিল মায়ানমার, আর রেঙ্গুন হয়ে গিয়েছিল ইয়াঙ্গুন।
মগদের মন স্বচ্ছ-সরল হওয়ার কোনই কারন নাই। এরা প্রকৃতিগতভাবেই হিংস্র। আপনে যাদের দেখছেন, তাদের প্রত্যেকের হাতে একটা কইরা একে৪৭ ধরায়া দেন, তারপরে খেলা দেখবেন।
সামরিক জান্তা যেমনভাবে ওদের শোষণ করছে, তেমনিভাবেই আমাদের সাধারন মানুষও শোষিত হচ্ছে। ফি বছর আশি হাজার কোটি টাকা চুরি করে পাচার না করা হলে আমরা আজ সত্যিকার অর্থেই ধনী রাষ্ট্র হতাম। দেখলাম আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লি গিয়েছে দালালী করতে!! এই আনস্মার্ট জোকারটারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানানোর কারন বুঝলাম না।
যাউগ্গা, মডেলের দাতে একটা লালচে ভাব আছে। এইটা কি লিপস্টিকের কারনে, নাকি দাত ঠিকমতো ব্রাশ না করার কারনে? মাত্র তিনটা ছবি দেইখা দুঃখু পাইলাম।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২০
জুন বলেছেন: আপনার প্রানবন্ত সাথে চমৎকার একটি মন্তব্য আমার পোস্টকে কতটা সমৃদ্ধ করেছে তা বলতে পারবো না। আপনি আর সহ ব্লগার আহমেদ জী এস লেকটার একই রকম নাম করন করেছেন যা হয়তো মিয়ানমার বাসীর চোখের পানিতে সব সময় ভরপুর আর টলটলে থাকে।
নামকরণ প্রসংগে যা বললেন তা নিয়ে আমাদের গাইডের সাথে আলোচনা হয়েছিল। সে জানালো তাদের দেশের আসল নাম মিয়ানমারই। ইংরেজরা বার্মাকে কলোনি হিসেবে নেয়ার পর এটা উচ্চারণ করতে গিয়ে বার্মা করেছে মিয়ানমার -মিয়ামার -বামার -বার্মা। তেমনি ইয়াংগনও বিটিশদের হাতে পড়ে হয়েছে রেংগুন।
আমরা যখন বেইজিং থেকে বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্য চীনের প্রাচীর দেখতে যাচ্ছিলাম তখন পথে গাইড আমাদের লাঞ্চ সহ একটা জেড কারখানায় নিয়ে যায়। বিশাল বিশাল সেই জেড কেটে তারা তৈরি করছে হাতি ঘোড়া থেকে আরম্ভ করে নানান জিনিস। আমরাও সেখান থেকে জেডের কিছু জিনিস কিনি। (ছবি দিমুনে) গাইডের মুখে শুনলাম অতি সস্তায় তারা এগুলো মিয়ানমার থেকে কিনে আনে। চীনের নির্দেশে খোলা বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ করে রেখেছে জান্তা সরকার। সমস্ত দামী খনিজ ও বনজ সম্পদ নিয়ে জনগন কলাপাতায় ও দু মুঠো ভাত জোটাতে পারে না।
মডেলের দাত ছিল দুধের মত সাদা। সুর্য্যের রিফ্লেকশনে লাল দেখাচ্ছে আর কি
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভুয়া।
৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: এখন কি মানুষ মায়ানমার যায়? মানে এই পরিস্থিতিতে কি যাওয়ার মতন অবস্থা আছে? যারা ঘুরতে যেতে চায় তাদের নিরাপত্তার ঝামেলা থাকার কথা তো।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৫
জুন বলেছেন: এখন তো যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না রিয়াদ। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন অবস্থা ভালো ছিল। বড় বড় ব্যাবসায়ীরা এসেছে ব্যাবসা করতে আর লক্ষ লক্ষ ট্যুরিস্ট আসে প্রতি বছর। বিশাল একটা লেক আছে শান প্রদেশে নাম ইনলে। সেই লেকের ভেতরই কতগুলো জানি ফাইভ স্টার হোটেল আছে। আমরা সারাদিন ঘুরে ফিরে এসেছি কিন্ত বিদেশিরা থাকে। বাগান বলে একটা শহর আছে সেখানেও অসংখ্য ট্যুরিস্ট। আপনি ২০১২ র আমার বাগান নামে পোস্ট আছে দেখতে পারেন। কি অসাধারণ সৌন্দর্য সেই ব্যাতিক্রমী নগরীর।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।
১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫১
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আসলে আমরা নিজেরাই নিজেদের বড় শত্রু।
আমাদের আদর্শহীনতা, মূল্যবোধের অনুপস্হিতি (অভাব বললাম না কারন তা অনেক আগেই পাড় করে ফেলেছি) এ সবই আমাদের পেছনে নিয়ে যাচ্ছে। ধর্মই বলেন আর রাজনীতি, কোন কিছুতেই নীতি নৈতিকার তোয়াক্কা, এখন কেউ করে না।
গত ২০-২৫ বছরে একটা জিনিসের মূল্য আমরা খুব ভালো বুঝেছি, তা টাকা কামানো। বৈধ ভাবেই হোক আর অবৈধভাবে। বৈধ আর অবৈধর পার্থক্যকারী রেখা ক্রমশঃ ক্ষীণ হয়ে আসছে। উপরে সবাই আস্তিক, নাস্তিক, ধর্মবিদ্বেশী, কিংবা গণতন্ত্রমনা, সমাজতান্ত্রিক ইত্যাদি। কিন্তু ভেতরে সবাই টাকার ইবাদতকারী।
উদাহরনস্বরূপ, ধর্মভীরু মানুষ সওয়াবের আশায় রমজানের অপেক্ষা করে আর ব্যাবসায়ীরাও অপেক্ষা করে রমজানের, তবে কীভাবে অনৈতিক ভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে আরও বেশি টাকা কমানো যায়, সেই উপলক্ষে।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮
জুন বলেছেন: জী আপনি ঠিকই বলেছেন। ব্যস্ততার জন্য উত্তর দিতে দেরি হলো বলে আন্তরিক দু:খিত।
১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: অনবদ্য! এককথায় পোস্টের মূল্যায়ন।
আর দু্ই কথা বলতে হলে বলতে হয়, শুরু করলেন পর্যটন দিয়ে, সুন্দর বজরা মডেলের ছবি দেখার পর এল ইতিহাস, এলো দেশের জনগণের অবস্থা। খুব অবাক হলাম জেনে, ইংরেজরা চলে যাবার পরে, এত সম্পদ থাকার পরেও তাদের অবস্থার উন্নতি হয়নি!! সূচি বুঝি মুসলমান জানলে সাক্ষাৎকার দিত না!! আহা! নোবেলজয়ীর কি প্রচন্ড মানবতা! ভারত কাটা তারের বেড়া দিয়ে মায়ানমারের লোকেদের অনুপ্রবেশ ঠেকাচ্ছে! ভারতের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি আর কিবা আশা করা যায়! তবুতো বাংলাদেশীদের যেমন গুলি করে মারে তেমন গুলি করে মারছে না...
পোস্টে প্লাস।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০০
জুন বলেছেন: আর আপনার আন্তরিক মন্তব্যটির উত্তর দিতে আমার দেরী হলো কারণ কাল সারাদিন কর্কট রোগে আক্রান্ত এক আত্মীয়কে দেখতে গিয়ে ফিরেছি অনেক রাতে।
সুচি বা সুকির বাবা অং সান ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, বৃটিশদের কাছ থেকে দেশকে মুক্ত করতে, পরাধীনতার শৃঙ্খল খুলে ফেলার এক অগ্রগামী বিপ্লবী। কিন্ত দু:খের বিষয় স্বাধীনতার ঠিক ছয় মাস আগে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে পরে লিখবো।
ভারত যার বন্ধু তার আর শত্রুর দরকার নাই এই হলো শেষ কথা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সব সময় সাথে আছেন বলে
১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: রেঙ্গুন শহর জাইয়ুম আমি তোর লাই আন্মু কি ?
কিছু গান লেখা মুভি দেখে বুঝা যায়, এক সময়ে এদের রমরমা অবস্থা।
আমরা ও কি সেইপথে হাটছি?
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪
জুন বলেছেন: ওদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, নিয়ম কানুন মেনে চলা দেখে আমি বিস্মিত হই যেমন হয়েছিলাম ভুটান দেখে। ছোট বেলায় শুনতাম দেশ সিকিম ভুটান হয়ে যাবে, তাদের মত দারিদ্র্য প্রপীড়িত একটা দেশে পরিনত হবে। ভুটানের সেই অর্থে মেট্রোরেল, পদ্মা ব্রিজ হয় নি কারণ তাদের নেতারা দেশের শান্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এত স্নিগ্ধ শান্ত একটি দেশ আমি দ্বিতীয়টি দেখিনি মনিরা। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রইলো।
১৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: করুণাধারা বলেছেন: তবুতো বাংলাদেশীদের যেমন গুলি করে মারে তেমন গুলি করে মারছে না... ভারত ওই প্রিভিলেইজটা শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বলে কথা! দুষ্ট-মিষ্ট যে কোনও কিছুই করা যায়!!!
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭
জুন বলেছেন: ছোট ভাই বড় ভাই থেকে একেবারে স্বামী স্ত্রী এমন ভুয়া খবর আর দিয়েন্না মফিজ!
১৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বলে কথা! দুষ্ট-মিষ্ট যে কোনও কিছুই করা যায়!!! হক কথা। সেজন্যই তো বলি, স্বামী তার স্ত্রীর একখান টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়েছে, এটা অতি সামান্য ব্যাপার সেটা আমরা কেন বুঝিনা!!
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
জুন বলেছেন: সেই টাংগাইল শাড়ি আবার তাদের গা থেকে খুইলা আনার চেষ্টা করতেছে। তাদের তো আবার শাড়ি খুলে ফেলার অভ্যাস আছে যেমন মহাভারতের দৌপদির। কিন্ত আমরা কি পারবো করুনাধারা
রসগোল্লা যার জিয়াই তারা দুয়েক বছর আগেই নিয়ে বসে আছে সেটাও আনতে চেষ্টা করছে শুনলাম মানে পড়লাম ।
১৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
শুরুটা পড়ে মনে হয়েছিলো ইতিহাস মিশ্রিত আর একটি ভ্রমন কাহিনী পড়তে যাচ্ছি। কিন্তু এ যে দেখি প্রায় রাজনৈতিক একটি লেখা। জান্তা শাসিত বার্মার বর্তমান নাজেহাল অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসা অসহায় মানুষদের মুখখানা দেখে হয়তো আপনার ভেতরের মানুষটা আপনাকে দিয়ে এরকম একটি লেখা লিখিয়ে নিয়েছে!
বার্মার স্বাধীনতার যে বয়েস তার থেকে ঢের বেশি বয়েসী বার্মার সামরিক বাহিনী। আং সান সূচির বাবার আমল থেকে যে আর্মির জন্ম হয়েছে। যে সুন্দর বার্মা একদিন ছিলো ইতিহাসের পাতায় তা দীর্ঘ সময় ধরে সামরিক শাসকদের যাতাকলে পড়ে এখন আস্তাকুড়ে পরিনত হয়েছে। ঠিক যেমন করে স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের দেশটাও রাজনীতিবিদদের যাতাকলে পড়ে এখন বার্মার মতো ধুঁকে ধুঁকে মরছে। বার্মা লোভী সামরিক শাসকদের কবলে আর আমরা লোভী রাজনীতিবিদদের কবলে। মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
উভয় দেশের সরকারই পাবলিক কে "কান্দাইতেছে "। [ লেখাটি পড়তে গিয়ে সঙ্গত কারনেই এই শব্দটি আমি লেকটির নামের সাথে মিলিয়ে বার্মা সম্পর্কে বলতে চেয়েছিলুম । দেখি ভুয়া মফিজ তা আমার আগেই লিখে ফেলেছেন! ]
লেখার মধ্যে দিয়ে হতভাগা হলেও আমরাও যে মানবতাকে লালন করি তা ফুটিয়ে তুলেছেন।
মানবিক একটি লেখা হয়েছে।
এটা কি ঠিক আছে- লেকটির গভীরতা কম বেশি ৪৫ ইঞ্চি ?
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
জুন বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আপনার সুন্দর এবং প্রাসঙ্গিক একটি মন্তব্যের জন্য আহমেদ জী এস। অং সান সুচির বাবা ছিলেন জেনারেল। স্বাধীনতার জন্য আমরন সংগ্রামী এই নেতা স্বাধীনতার ছয়মাস আগে সে পার্লামেন্ট ভবনে কিছু সংসদ সদস্যের হাতে মারা যান। একেবারে জুলিয়াস সিজারের ঘটনার মতই ইট ট্যু ব্রুটাস। আপনি ঠিকই বলেছেন মিয়ানমারের জনগনের মত আমাদেরও মুক্তি নেই দুর্নীতির নাগপাশ থেকে।
ভুয়া মফিজের কাছে হেরে গেছেন নামকরণে! বড়ই দুক্ষের বিষয়
জলাশয়ের গভীরতা নিয়ে আমারও একটু সংশয় ছিল। কিন্ত আন্তর্জালে এটাই দেখলাম। গড় গভীরতা ৪৫ ইঞ্চি।
আবারও ধন্যবাদ জানাই। সব সময় সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
১৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সোনালি কাবিন বলেছেন: মডেল ভালো পাই
ব্লগে আমি মডেলের ছবি দিলে যত দোষ। দেখছেন আপু কি কান্ড!
পোস্ট দারুণ লাগলো।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
জুন বলেছেন: মডেলটা সত্যি খুব সুন্দর আর নিরহংকার ছিল। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রইলো গোফরান
১৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুব দ্রুত একদৃষ্টি দেখে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম ।
Now I am on the way to a Long journey .
I will come back on my return .
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
জুন বলেছেন: অবশ্যই আমি জানি আলী ভাই আপনার এই লম্বা যাত্রা শেষে আমার পোস্টে একটা আপনার দীর্ঘ পথের চেয়েও দীর্ঘ ও তথ্যপুর্ন একটা মন্তব্য করবেন। সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন।
১৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৩০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার দুটি পোস্ট থেকে মিয়নামার সমন্ধে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। মিয়ানমারের মডেলরা অনেক কিউট হয়, ওই মেয়ের সাথে আমাদের গোফরানের যোগাযোগ করিয়ে দিন, সেইও খুব ভালো ফটোশ্যুট করে।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
জুন বলেছেন: আপনার প্রশংসা পেয়ে খুব ভালো লাগলো জ্যাক স্মিথ। আর গোফরানের সাথে এখন কি পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুযোগ আছে? খুব বেশি হলে ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারি যেখানে সারাক্ষণ ধুম ধুম গুলির আওয়াজে কান পাতা দায়, ফটোশুট কি আর হবে
১৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৭
মেঘবৃষ্টির গল্প বলেছেন: বার্মা মিয়ানমারে যাবার অনেকদিনের শখ ছিলো। বজরাসহ অন্যান্য ছবিগুলি দেখেও এর সৌন্দর্য্য বুঝা যায়। এত সুন্দরের মাঝে এত অশান্তি মন খারাপ করায়।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
জুন বলেছেন: এখন তো আর যাবার সময় নেই কিন্ত পরিস্থিতি নর্মাল হলে অবশ্য যাবেন। সেখানে অনেক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ আছে যা সত্যি ব্যতিক্রমী। যেমন বিশ্বের বৃহদাকার বই, তারপর বাগান নামে একটি নগরী যা আপনি গুগুলে সার্চ দিয়েও দেখতে পাবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
২০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দক্ষিণ পূর্ব এসিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমাই এবং পাকিস্তানকে আমার একাসনে প্রচন্ড উগ্রবাদী বলে মনে হয়। শরৎচন্দ্রের উপন্যাসে যে রেঙ্গুনকে দেখেছি বাস্তবে বর্তমানের মায়ানমায়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক মেলাতেই পারি না।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
জুন বলেছেন: পাকিস্তান আর মিয়ানমারের কথা কইলেন পদাতিক কিন্ত আন্নেগো দুই মাথার কথা কইলেন্না যে। আপনাদের পধান মন্ত্রী আর সরাস্ট মন্ত্রীর মত উগ্রবাদী সাউথ ইস্ট এশিয়ায় আর কয়টা দেশে আছে? জানিনা এই কথা বলার জন্য আমারে ইন্টারপোল দিয়া না ধরায় নিয়া যায়
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো
২১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
১ নং বাদে বাকি দুটো ছবি আমার ক্যানন ক্যামেরায় তোলা।
১ নং ছবিটাই ভালো লেগেছে।
আরও কিছু ছবি দিলে ভালো হতো জুনাপু।
।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
জুন বলেছেন: আরও অনেক ছবি দিলে আমি যে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চেয়েছি তা গুরুত্বহীন হয়ে পরতো মিরর। ২০১২ থেকে ১৩ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার নিয়ে আমার অনেক লেখা, ছবি ব্লগ আছে। সেখানেও ছবি দেখতে পারেন যদি একটু কষ্ট করেন
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।
২২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
নিবারণ বলেছেন: অহন খালি গোলাগুলি। নয়ত বার্মা কিন্তু সুন্দর দ্যাশ। এই সুন্দর দ্যাশের কী যে দুরাবস্থা।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০০
জুন বলেছেন: হু শুনলাম বিদ্রোহের হাত থেকে রাজধানী রক্ষা করার জন্য সেনা বাহিনী নাকি ইয়াংগনের সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। আবার ওদের তো প্রধান ২০/২২ টা জাতি গোষ্ঠী তার আবার শতাধিক উপগোষ্ঠী। এখন নাকি তারা নিজেরা মারামারি করছে আল্লাহ জানে। তবে বাংলাদেশ সীমানায় যে সব জাতি গোষ্ঠী আছে যেমন মগ আরাকান এরা হলো সবচেয়ে নিকৃষ্ট। আর রোহিঙ্গারাও অনেক অনেক খারাপ অবশ্য মিয়ানমার তাদের দেশের বলে মনে করে না। তাদের মতে এরা চিটাগং এর লোক। আসলেও আমি ইয়াংগনে কয়েকটি রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেছি তাদের ভাষায় সুস্পষ্ট চিটাগং এর ভাষা মিশে আছে।
যাইহোক অনেক কথা বলে ফেললাম। ভালো থাকুন আর শীঘ্রই প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ পান সেই প্রত্যাশা রইলো।
২৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:১৭
নিবারণ বলেছেন: গত ৮ তারিখে সামুতে প্রকাশিত লেখার মধ্যে আপনার লেখাটি সর্বাধিক লাইক প্রাপ্ত, সর্বাধিক কমেন্টপ্রাপ্ত এবং আমার পছন্দের তালিকায় ছিল। এ নিয়ে আমার পোস্ট
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০১
জুন বলেছেন: দেখেছি নিবারন আর মন্তব্য করেও এসেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাকে মনে করার জন্য।
২৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫
শ।মসীর বলেছেন: সূচি ভয়ংকর রেসিস্ট মহিলা, এ কারনে কেন জানি তার এই বন্দী জীবনের প্রতি কোন সহানুভূতি জাগেনা , বিশেষ করা রোহিংগা ইস্যুর পর থেকে । ।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৩
জুন বলেছেন: জী আপনি ঠিকই বলেছেন শামসীর। আমার মনে হয় ইন্টারভিউর ঘটনার পর তার আসল চরিত্রটা অনেকের কাছেই প্রকাশ পেয়েছে। অনেক অনেক দিন পর আপনাকে আমার লেখায় পেয়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকুন সব সময়।
২৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রচ্ছদে থাকা লেক কান্দাইয়াগি এর ছবিটি খুবই সুন্দর ।
এক সময়ে বার্মা শুধু বৃটিশ কলোনীই ছিলনা , তারো আগে থেকেই এটার পরিচিতি ছিল মগের মুল্লুক হিসাবে ।
সে পরিচয় এখন তারা বিকশিত করছে বিবিধ উপায়ে।
যাহোক ইয়াঙ্গন এর সুপেয় পানির মেটানোর তরে বৃটিশরা শডেগন প্যাগোডার সামনে ৬১ হেক্টর জায়গা জুড়ে
গড়ে তোলা বিশাল জলাধার কান্দাইয়াগি লেক এর জন্ম বিবরণ ও বর্তমান হালচাল জেনে ভাল লাগল । ছুটির দিনে
পরিবার পরিজন নিয়ে টলটলে পানির সেই লেকের পারে চড়ুইভাতি করতে গিয়ছেন বলেই না আমরা পেলাম
এমন মঝাদার তথ্য পুর্ণ একখানা জব্বর পোষ্ট ।
কারাভিক হলের ভেতরে স্বর্নময় পৌরাণিক চরিত্র কিন্নরীকে বেশ ভাল ভাবেই স্বর্ন সিংহাসনে আসীন দেখে ভাল লাগল ।
এই লেকের সবচেয়ে বড় আকর্ষন কারাভিক হল নামের বজরাটির ছবি আর এর বিবরণ অনেক কথাই গিয়েছে বলে ,
আর বর্তমানে এটি ব্যুফে রেস্তোরায় হিসাবেও তার সেবা দিয়ে যাচ্ছে , মগেরা দেখা যায় ঐতিহাসিক বিষযকেও সুন্দর
করে বানিজ্যিক কাজে লাগাতে পারে ।
কারাভিক বজরার সামনে ফটোশ্যুট করা অমায়িক হাসি মাখা মডেলের ছবি তোলাটাও কম যায় কিসে ।
মিয়ানমারের ৪টি প্রদেশ ভ্রমনকালীন সময়ে মানুষের ব্যবহারে শুধু মুগ্ধই হননি,জেনেছেন কান্দাইয়াগি লেকের পানির
মতই স্বচ্ছ সরল ছিল মানুষের মন যা সেই মডেলের হাসির মতই প্রানখোলা হাসিখুশি ছিল বেশিরভাগ মানুষই।
এই প্রাণখোলা মানুষদের দুর্গতি ও সরলতার ছায়া পরিহার করে বর্তমানে তাদের কলুসিত মনের চিত্রগাথা লেখাটির
পরের অংশে হয়েছে প্রকাশ দারুন ভাবে ।
অপরিসীম সম্পদের মালিক হয়েও তারা সেই সম্পদের ফল ভোগ করতে পারে নি । আজও তারা বেচে থাকার জন্য,
সবচেয়ে নীচু কাজের জন্য দালালের হাত ডায পাশের আর পরে হয়রানি হয় পুলিশের হাতে। যাদের প্রত্যেকের
সোনার থালায় ভাত খাওয়ার কথা। তাদের আজ দু বেলা দু মুঠো ভাত জোটানোই কঠিন আপাদমস্তক দুর্নীতিতে
ভরা দেশটির সাধারণ জনগণ । মগের মুল্লুক আর কাকে বলে ।
অং সান সুচীর উপর ভরসার স্থান, সে হারিয়েছে অনেক আগেই । মানবতার মুখোষ ছেড়ে ছুচালু নখর আর দৈত্যের
মত দাড়ালো দাতের অবয়ব নিয়ে সে মুর্ত হয়েছে মানুষের ভোটে ক্ষমতায় আসিন হওয়ার পরেই । জান্তা সৈনিকরা
যখন রোহিংগাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল তখন সে তার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারন করে নি, সে কথা আমরা
সহ বিশ্ববাসি ভুলে যায়নি। বিবিসির সাংবাদিকের ধর্মীয় পরিচয় জানতে পারার সাথে সাথে তার আচরণ ও বলে
উঠা কথা তুমি মুসলমান এটা জানলে আমি কখনোই তোমাকে সাক্ষাৎকার দিতাম না, সে এক সর্বনাশী কথা
তারই লাগি যার প্রমান তারা পাচ্ছে এখন হাতে নাতে । যেমনটি বলেছেন
আজ সেই মুসলমানদের দেশে তাদের প্রিয় সৈনিক থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারী, সাধারন মানুষ এসে আশ্রয়
নিয়েছে। একেই বলে নিয়তির পরিহাস , তা তারা এড়াবে কেমন করে। সে জন্য সর্ববিজ্ঞ আল্লাহ বলেন জালিমের
বিনাশ অবিসম্ভাবী , আল্লার গযব যখন নেমে আসবে তখন কোন শক্তিধরেরই ক্ষমতা নাই তা রুধিতে । এখন শুধু
দেখে যাওয়ার পালা ।
ক্যানন ক্যামেরায় তোলা সবগুলি ছবিই সুন্দর হয়েছে, শুধু ছবি নয় বর্ণনাও খুব সুন্দর হয়েছে ।
আমার পোষ্টে থাকা আপনার মন্তব্যের প্রতি উত্তরটা এবার দেখে আসতে পারেন । প্যাঁচা ভীতি
কেটেও যেতে পারে ।
শুভেচ্ছা রইল
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২১
জুন বলেছেন: আলী ভাই আপনার এই সুদীর্ঘ মন্তব্যের উত্তর পরে দিচ্ছি। শুধু এটুকু জানাই এই মগের মুল্লুকটা শুধু আরাকান পর্বতের পুর্ব পাশে আমাদের সীমান্ত ঘেষে বসবাস করা মগ আর আরকান জাতির উদ্দেশ্যেই বলা হতো। ওদের ২৫/২৬ টা জাতি গোষ্ঠী তার মধ্যে ১০০ র উপর উপগোষ্ঠী। সুতরাং একটি জাতি দিয়ে আপনি দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি দেশের নাম করন করতে পারবেন না আলী ভাই যদিও রেংগুনে বসবাস করা প্রধান জাতি হলো মন, মগ না। তবে আমি শিউর এই অং সান সুকি নিঘ্যাত মগই হবে
২৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমাদের চট্টগ্রামের মানুষ বার্মায় গেলেই বিয়ে করতো।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৯
জুন বলেছেন: এইটা গোফরানকে বইলেন ডার্কম্যান দেখেন কি বলে আমি নিশ্চিত সে বলবে কোন ক্লাসি পিপল রা এটা করতো না, করলে ক্লাস্লেসরা করতো
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হলো অনিবার্য কারনে, দু:খিত।
২৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনি ইতিহাসবিদ, আপনি আমার থেকে অনেক অনেক বেশী জানেন, সে জন্যে রইল আপনার প্রতি শ্রদ্ধা ।
আপনি ঠিকই বলেছেন এই মগের মুল্লুকটা শুধু আরাকান পর্বতের পুর্ব পাশে আমাদের সীমান্ত ঘেষে বসবাস করা
মগ আর আরকান জাতির উদ্দেশ্যেই বলা হতো।ওদের ২৫/২৬ টা জাতি গোষ্ঠী তার মধ্যে ১০০ র উপর উপগোষ্ঠী।
সুতরাং একটি জাতি দিয়ে আমি দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি দেশের নামকরন করতে পারবনা ।
তবে সবিনয়ে জানাই যে মিয়ানমার নামের এই দেশটি বেশ বিশাল এলাকা নিয়ে বিস্তৃত । এর নাম বিভিন্ন সময়ে
বিভিন্ন রকমভাবে পরিবর্তিত হয়েছে বলেই দেখা যায় ।
প্রায় ১৩,০০০ বছর পূর্বে এই ভূখণ্ডে প্রথম মানব বসতি স্থাপনের পর মায়ানমারের সবচেয়ে প্রাচীন অধিবাসি ছিল
তিব্বতীয়-বার্মান ভাষাভাষি জনগোষ্ঠি। বৌদ্ধ ধর্মালম্বি এই জনগোষ্ঠি পাইয়ু নগর-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল।
তাই প্রথম নামটি পাওয়া যায় পাইয়ু নগর রাষ্ট্র নামে ।
নবম শতকে বামার জনগোষ্ঠি নামে এর একদল মানুষ ইরাবতী উপত্যাকা থেকে এসে এই অঞ্চলে বসবাস শুরু করে
এবং বেগান রাজ্য (১০৪৪-১২৮৭) স্থাপন করে। তাই বেগান নামে আর একটি নাম পাওয়া যায় ।
১২৮৭ সালে প্রথম মঙ্গল আগ্রাসনের পর আভা রাজ্য, হান্তাওয়ারি রাজ্য, এবং মারুক ইউ রাজ্য ছিল এই
অঞ্চলের প্রধান প্রধান রাজ্য ।
বিখ্যাত ঐতিহাসিক মা থানেগি রেকর্ড করেছেন যে সবগুলি মিলিয়ে এই দেশগুষ্ঠির জন্য 'ম্রানমা' নামের প্রথম ব্যবহারটি ঐতিহ্যবাহী বার্মিজ ক্যালেন্ডার ৫৯৭ ME বা ১২৩৫ন CE তারিখের ৩ ফুট উঁচু পাথরের শিলালিপিতে
পাওয়া যায়। পাথরটি কিসওয়ার রাজত্বকালের।
১৬ শতকে টাউঙ্গু রাজবংশ (১৫১০-১৭৫২) পুনরায় বার্মাকে একিভূত করে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা
করে। তবে এই সম্রাজ্য ছিল ক্ষনস্থায়ী। পরবর্তী টাউঙ্গু সম্রাটরা কিছু অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ
করে যা ১৭ এবং ১৮ শতকে বার্মাকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল।
যহোক, বর্তমানের মায়ানমার নামে দেশটি সবচেয়ে নিকট পুর্বে বার্মা নামে পরিচিত ছিল। আর এর
প্রাচীন নাম ছিল ব্রক্ষদেশ ।
আর বার্মা এই নামটি ১৯৪৮ সালের আগে ব্রিটিশরা তাদের উপনিবেশ বলে ডাকত। এই নামটি সম্ভবত পর্তুগিজ
বার্মানিয়া থেকে এসেছে এবং ১৮ শতকে ইংরেজরা এটি গ্রহণ করেছিল। সর্বশেষ বিগত ১৯৮৯ সনে
তারা আবার এর নাম পরিবর্তন করে একে মায়ানমার হিসাবে নাম পরিবর্তন করে ।
তাই দেখা যায় এদের দেশের নাম পরিবর্তন হয়েছে অনেকবার । এটা অবশ্য পৃথিবীর দেশের বেলাতেই হয়েছে ।
যাহোক বলা চলে সমগ্র মিয়ানমার এর বর্তমান সামরিক জান্তারা কিংবা বেসামরিক রাজনৈতিক নেতারা বিশেষ
কেরে অংসান সুচী সকলে মিলে যে ধরনের বেকুবি কান্ডকারখানা করে মিয়ানমারকে বর্তমানের অবস্থানে নিয়ে
এসেছে তাতে করে পুরু মায়ানমারটিই একসময় তাদের আঞ্চলিক পরিচিতি মগের মুল্লুক হতে সামগ্রিক ভাবে
মিয়ানমারকে মগের মুল্লুক হিসাবেই পরিচিতি এনে দিবে । আমাকে কিছু করতে হবেনা । কথায় বলে একঘর
পাপে সত্তর গর জ্বলে , তেমনি করে মগের মুল্লুক নামের একটি আঞ্চলিক নামের ব্যপ্তি পুরা মায়ানমারের
কপালে লেপ্টে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় ।
এ কথা সত্য যে আমি একা বললেই যে দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার এই বেশ বড় দেশটি মগের মুল্লুক হয়ে যাবে
তাতো নয় । তবে একজন হতে দুজন , দুজন হতে তিনজন , তিনজন হতে বহুজন এভাবেই একটি জনপদ বা
দেশের নামের পরিবর্তন বা রূপান্তর ঘটে। তবে তার জন্য অবশ্য বেশ লম্বা সময় প্রয়োজন হবে , আর এখন
সেখানে যে রকম রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতা চলছে তাতে করে মিয়ানমার তার সামগ্রিক পরিচিতি ধরে
রাখতে পারবে কিনা না, কিংবা ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হবে কিনা তা কেবল ভবিষ্যতই বলতে পারে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৮
জুন বলেছেন: হ্যা যেমন আমাদের দেশের নাম ছিল বংগ। কিন্ত ইংরেজদের দেয়া নাম বোম্বে যেমন মুম্বাই হয়েছে, মাদ্রাজ হয়েছে চেন্নাই তেমনি মিয়ানমার তার নিজ নামে ফিরে গেছে বার্মা থেকে আলী ভাই।
আমি ওদের ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখি যাতে রয়েছে বিভিন্ন রাজা ও তাদের রাজত্বকালের কাহিনী। আর বাগান রাজ্য নিয়ে ছবি সহ আমার লেখা পোস্ট দুটো পড়েন নাই? কি যে অনিন্দ্য সৌন্দর্যময় সেই বাগানের উপর দিয়ে যখন প্লেন ফ্লাই করে তখন পাইলট ঘোষণা দিয়ে প্লেনকে অনেক নীচুতে নামিয়ে আনে যাতে যাত্রীরা তার সৌন্দর্য কিছুটা হলেও দেখতে পায়। আপনি আমার পোস্ট না দেখলে নেটে বাগান লিখে সার্চ দিয়ে ছবি দেখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন এই নগরী দেখতে প্রতি বছর এত লাখ লাখ ট্যুরিস্ট ক্যান আসে। অনেকে রিসার্চ করার জন্য মাসের পর মাস থাকে।
মিয়ানমার যে ভেংগে টুকরো টুকরো হবে এটা আমার হাজবেন্ড অনেক আগে অফিসিয়াল কাজে মিয়ানমার ট্যুরে গিয়ে এসে বলেছিল। ওদের জাতিগত কোন্দল যুগ যুগ ধরে চলছে।
অনেক ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে
২৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আমাগো পেধান মনতীর ও সরাষট্ট মনতীরের জন্য আমাগো বুকে গব্বের ছেষ লাই।ওনারা পৌরাণিক যুগকে ফিরিয়ে এনে ভারতের সুদীর্ঘকালের বস্তাপচা সম্প্রীতির আবহ থেইক্কা দ্যাশকে মুক্ত করতে পেরেছেন।ওঁনারা সাক্ষাৎ দেবতা। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় ওনাগোর শুধু হিদয়ে নন নিজেদের ঘরের অন্দরেও ওঁনাদের জন্য মনদির পতিষঠা করে ওনাদের প্রতি নৈবেদ্য ফুলমাল্য জপ করবেন। প্রাচীনত্বের দিক দিয়ে পাকূরা মধ্যযুগের ধর্মকে হাতিয়ার করছে।যেখানে মোদিসোনাজি পৈরাণিক যুগকে ফিরিয়ে এনেছেন। দেখুন আপু রেডিও কার্বন ডেটিং হিসেবে যে পেরাচিন সে বেশি মুল্যোমানের অধিকারী।আর এক্ষেত্রে পঁচিশ কোটি সংখ্যা লঘুর মধ্যে যদি হাজারখানেক কেটে পুড়িয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় তাহলে নিন্দুকদের রে রে করে অপ্রপচার করা সাজে না। হাজার হোক মানুষ মরলে না হয় দুক্কূ করা যায়। এখন বলুন এতো সুন্দর রামন রাজতন্ত্রের কান্ডারি হিসেবে মোদিজী কি বিশ্ব বন্দিত হতে পারেন না? জয়তু মোদিজি।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০২
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে হাসিও লাগলো আবার কষ্টও লাগে সেখানকার সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের কথা ভেবে। গতকাল মনে হয় আনন্দবাজার পত্রিকায় পড়লাম নেহেরু দেশে আই আই টি প্রতিষ্ঠা করেছিল, বিশ্ব মানের হাসপাতাল গড়ে তুলেছিল, তুলেছিল বিখ্যাত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে আজ উনারা দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পৌরাণিক যুগে।
ভালো থাকবেন আর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রইলো।
২৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আরাকান পুরাটা আমাদের সাথে থাকলে ভাল হত, নাফ নদী পুরাটাই আমাদের হত!
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৩
জুন বলেছেন: জী যেমন ভালো হতো মেঘালয়ের পাহাড় গুলো আমাদের দেশের সাথে থাকলে শাহদাত উদরাজী। কিন্তু আমাদের কপাল খারাপ
৩০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই লেখা আমি দুবার পড়েছি। সু'চির উপরে আমার বেজায় ক্ষোভ। ভাই-বোনেরা মিলে এখন সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা করছে। এখন নাকি জেলে ভীষন কষ্টে আছে, দাঁত আর চোখের সমস্যায় ভুগছে চিকিৎসা পাচ্ছে না। ওই বেটির আরো কষ্ট পেয়ে মরা উচিৎ, খাটাশ মহিলা একটা- সেনাবাহিনীর পা-চেটে লাভ হোলো না।
মিয়ানমারে আমার যাবার খুব সখ ছিল। ওদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা অনেক শুনেছি।
ভুম যে বলল ওই মেয়েটার দাঁত লাল, উনি কি ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখেছেন? লোকটার চোখ আছে বলতে হবে
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৩
জুন বলেছেন: সুচি সম্পর্কে আপনি ঠিকই বলেছেন শেরজা। তারা নয় ভাই বোন। এখন বোধহয় সামরিক জান্তার কাছ থেকে পাওয়া ক্ষুদ কুড়ো নিয়ে ভাই বোন মারামারি করবে। কিসের কষ্ট! সেকি জেলে আছে নাকি! নিজের আত্নমর্যাদা, আদর্শ সব বিলিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীর পা চেটে গেছে তার জীবন। জনগণের বিদ্রোহের সময় তাকে জেলে নিয়েছিল কিন্ত এখন তাকে শুনলাম বাসায় হাউস এরেস্ট করে রাখা আছে। একাধিক কাজের মানুষ নিয়ে মাথায় ফুল গুজে মুখে সনেকা মেখে ৭৩ বছর বয়সী তরুনী ভালোই আছে মনে হয়।
পরিস্থিতি যদি ভালো হয় তবে একবার ঘুরে আসবেন। সত্যি সুন্দর একটা দেশ মানুষ নামক জন্তুর হাতে পরে শেষ হয়ে গেল।
মন্তব্যের জন্য কি বলে ধন্যবাদ দেবো বুঝতে পারছি না। বিশেষ করে আপনার লাস্ট পোস্টে আমাকে স্মরণ করায় শেরজা
৩১| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অং-সান-সু-চি নোবেল পদকের অমর্যাদা করেছেন, বিশেষ করে 'শান্তি'র জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জন করা কেউ আজকের দিনে প্রকাশ্যে এমন রেসিস্ট মনোভাব প্রকাশ করতে পারে, তা চিন্তাও করা যায় না।
লেকটির গড় গভীরতা মাত্র ৪৫ ইঞ্চি জেনে রীতিমত অবাক হ'লাম।
যাই যাই করেও শেষ পর্যন্ত আমাদের আর মিয়ানমার যাওয়া হলো না!
পোস্ট ছোট হলেও, ভাষার গাম্ভীর্য আর বক্তব্যের গভীরতা প্রশংসনীয়। আর প্রতিমন্তব্যগুলোর চমৎকার সতঃস্ফূর্ততাও।
৩২| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:১১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চার ফুটেরও কম গভীরতার লেকের কথা পড়ে অবাক হলাম। মায়ানমারের প্রাকৃতিক সম্পদ, সৌন্দর্য্য, ভৌগলিক অবস্থান সবকিছুই তাদের পক্ষে ছিলো, সেনা জান্তার অত্যাচার আর শক্ত কোন রাজনৈতিক নেতৃত্ব না থাকায় সাধারণ জনগণ প্রতিনিয়ত প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। মায়ানমারে শুনেছি জাতি বিদ্বেষ রয়েছে খুব বেশী, তেমনটা কি দেখেছেন আপনার ভ্রমণকালে?
কলেজে পড়াকালীন সময়ে টেকনাফ বেড়াতে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর দেয়া ২৪ ঘন্টার পাস নিয়ে মংডু বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম, যাওয়া হয় নাই। ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে সুযোগ হলে প্রতিবেশী এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর দেশটি বেড়াতে যাওয়ার। বাংলাদেশের সাথে ভারত ছাড়া একমাত্র সীমান্ত ভাগাভাগি করে নেয়া দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে মায়ানমার বেড়াতে যাওয়ার তেমন কাহিনী সহজে চোখে পড়ে না। অথচ অনেক গল্প উপন্যাস বা ইতিহাস ভিত্তিক লেখায় দেখা যায় আগে বৃহত্তর বাংলার সাথে তৎকালীন বার্মার ভালোই যোগাযোগ ছিলো, প্রচুর লোক চাকুরী, ব্যবসা ইত্যাদি কাজে মায়ানমারে যাতায়াত করতো, সেখান হতেও অনেকে এই এলাকায় মুভ করতো। কি কারণে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে এটা কমে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে ব্যাপারটা আমার জানা নেই।
অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে আপনার ব্লগ বাড়ীতে ঢুঁ মারতে এসে লেখাটি পড়া হলো। ইচ্ছে আছে সময় করে ধীরে ধীরে বাকী লেখাগুলোও পড়ার।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪
সোনালি কাবিন বলেছেন: মডেল ভালো পাই