![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতার গান গাইবো! মানবতার প্রতিধ্বনি উচ্চারিত করবো!!!
অামরা কথায় কথায় সৃজনশীলতার কথা বলি। নিজেও হতে চাই সৃজনশীল। সৃজনশীল মানুষদের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যা তাদের বাকিদের থেকে আলাদা করে। আসুন জেনে নিই সৃজনশীল মানুষের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্যের কথা।
১. একঘেয়েমি
সৃজনশীল মানুষেরা অধিকাংশ সময় এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। প্রথমে একটি বিষয়ে তাদের খুব আগ্রহ থাকে। কিছুদিন যাওয়ার পরই তাদের আগ্রহ চলে যায়। তারা নতুন ধরনের কাজ খুঁজতে থাকেন। তাই গদবাঁধা বা এক ধরনের কাজ সৃজনশীল মানুষদের পক্ষে বেশিদিন করা অনেকটাই অসম্ভব।
২. স্বপ্ন দেখার রোগ
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়- এই কথাটি সৃজনশীল মানুষদের ক্ষেত্রে খাটে। তারা স্বপ্নের মাঝেই থাকেন। সব স্বপ্ন হয়তো তাদের পূরণ হয় না। তবে তাদের স্বপ্ন কখনো শেষ হয় না।
৩. শিশুসুলভ
সৃজনশীল মানুষদের মধ্যে শিশুসুলভ বিষয়গুলো খুব বেশি দেখা যায়। তারা অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের মতো আচরণ করে। অল্পতেই বিরক্ত হয়, চিৎকার চেচামেচি করে। আবার হয়তো কৌতুক শুনে জোরে হেসে উঠে। আনন্দ-বেদনা-উচ্ছ্বাস সব ক্ষেত্রেই তারা কিছুটা বাড়াবাড়ি করে। মূলত আবেগী হওয়ার কারণেই এমনটা করে তারা।
৪. তারা ব্যর্থ হয়, তবে আবার চেষ্টা করে
একটা কথা আছে, ‘যখন আপনি মাটিতে পড়ে যান, তখন আপনি হেরে যান না। কিন্তু যখন আপনি উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা বাদ দেন, তখনই আপনি হেরে যান।’ সৃজনশীল মানুষদের ক্ষেত্রে এটা বরাবরই ঘটে। তারা হুট করে কোনো কিছুর পেছনে তাদের সব মনোযোগ দিয়ে বসেন। দেখা যায় প্রথমে তা সফল হয় না। কিন্তু তারা হাল ছাড়ার পাত্র নয়। ব্যর্থ হলেও তারা বারবার সফল হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে থাকেন।
৫. মনচালিত
সৃজনশীল মানুষেরা বেশির ভাগ সময়ই তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন। মাথা দিয়ে তারা কম সময়ই সিদ্ধান্ত নেন। সবসময় মনের কথা শুনতেই তারা অভ্যস্ত। মন যা চায়, সেটা নিয়েই মেতে থাকেন তারা।
৬. সময়জ্ঞান থাকে না
কোনো কাজে মজা পেয়ে গেলে তখন তাদের আর সময়জ্ঞান থাকে না। নাওয়া-খাওয়া সব ভুলে সেই কাজের পেছনেই সারা দিন ব্যয় করেন। অনেক সময় ঘুমাতেও ভুলে যান তারা। আর এই ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের কারণেই তারা নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারে।
৭. রাত জেগে কাজ করা
এটা স্বাস্থ্যের জন ভালো না হলেও সৃজনশীল মানুষেরা এভাবেই অভ্যস্ত। সবাই যখন ঘুমায় তখন তাদের কাজ শুরু হয় আবার সবাই যখন কাজ করে তখন তারা ঘুমায়।
৮. নিজের কাজ পছন্দ হয় না
এটাও এক ধরনের বিড়ম্বনা সৃজনশীল মানুষদের জন্য। তারা কখনোই নিজের কাজে সন্তুষ্ট হতে পারেন না। খুব আগ্রহ নিয়ে একটা কাজ শেষ করার কিছুদিন পরই তাদের মনে হবে, কাজটা কিছুই হয়নি। তখন আবারও নতুন কিছু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা।
৯. চারপাশের খেয়াল
মাটির একটা ছোট পিপড়া থেকে আকাশের বিশাল বিমান- কোনো কিছুই সৃজনশীল মানুষদের দৃষ্টি এড়ায় না। তারা সবকিছু খুব মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে। বিশেষ করে চারপাশের মানুষ এবং প্রকৃতি, কারণ সেখান থেকেই তারা কাজের অনুপ্রেরণা পায়।
১০. চাকরি অপছন্দ
সৃজনশীল মানুষদের দ্বারা কখনো দীর্ঘসময় চাকরি করা সম্ভব না। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করে এবং সেজন্যই আত্মকর্মসংস্থানের চেষ্টা থাকে তাদের মধ্যে। সুযোগ পেলেই চাকরি ছেড়ে নিজের মতো কাজ করা শুরু করার সাহস তারা রাখে। যদিও অনেক সময় সেজন্য তাদের অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হয়।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
গোপাল বাগচী বলেছেন: সঠিক বলেছেন। সৃজনশীল মানুষেরা একটু আলাদা হয় বৈকী। সাধারণ মানুষ, সমাজ তাদেরকে বুঝতে চায় না এবং তাদেরকে খুব একটা পছন্দ করে না বা বন্ধু হয় না। কারণ সাধারণ মানুষ চলে চলে গতানুগতিক ধারায় গা ভাসিয়ে। ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওরে বাপরে!! প্রায় সবগুলাই তো খাপে খাপে মিলে গেল!! তাইলে আমি কী আসলেই....