নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আমি গত ৪/৫ বছর যাবত “Serving The Humanity” নামের এক সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত আছি। এটা মুলতঃ কিছু প্রাক্তন এমসিসি ক্যাডেটদের নিয়ে গঠিত, যারা জনদরদী মনোভাবাপন্ন এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ পেশায় প্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। এই প্রতিষ্ঠানটি এমসিসি এর বাইরেও কিছু পরোপকারী, উৎসাহী ব্যক্তিদের নিয়ে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার দূরমুট নামক এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রথমে খুবই ছোট্ট পরিসরে একটা স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে, যার উদ্দেশ্য ছিলো এলাকার মূলতঃ নারী ও শিশুদের কাছে অন্ততঃ গড় মানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। এটা জানা কথা যে গ্রাম ও চর এলেকার হতদরিদ্র নারীদেরকে তাদের জীবন সংকটাপন্ন হবার আগে পর্যন্ত পরিবারের কেউ ডাক্তারের কাছে নেয়না। তাই মূলতঃ তাদেরকে লক্ষ্য করেই আমা্দের এ উদ্যোগ ছিলো। সেখানে টিনছাদসহ একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করা হয়, যার জন্য জমি দান করেছে এমসিসিরই দুই প্রাক্তন ক্যাডেটের (সহোদর) পরিবার। মাত্র দশ টাকার বিনিময়ে যে কেউ সেখানে ঔষধসহ (নির্দ্দিষ্ট তালিকার অন্তর্গত) চিকিৎসা সেবা পেতে পারে। খুবই আনন্দের বিষয় যে সেখান থেকে এখন গড়ে মাসে প্রায় ১৪০০-১৫০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে, যাদের মধ্যে বেশীরভাগই হতদরিদ্র নারী ও শিশু। ঐ প্রজেক্ট থেকে সেখানে শিশুদের জন্য কৃ্মিনাশক (Deworming) কার্যক্রমও গ্রহণ করা হয়।
যাহোক, এই ক্লিনিক সম্বন্ধে জানানোটা আমার এ লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিলনা, অন্য কথা প্রসঙ্গে বলতে হয়, তাই প্রথমে এসব কথা বলে নিলাম। ক্লিনিকটার জন্য যখন একটা পাকা ঘর বানাতে হবে, তখন ইট বালু সিমেন্ট ইত্যদি কেনা হলো। দ্রুতই কাজও শুরু হলো। ইট ভাঙ্গার কাজে মূলতঃ নারী ও শিশুরা যুক্ত হলো। একজন প্রাক্তন ক্যাডেট যিনি এই প্রতিষ্ঠানের চালিকাশক্তি, ইটভাঙ্গারত সেই নারী ও শিশুদের কিছু ছবি তুলে পোস্ট করে দিলো গ্রুপ মেইলে, যেন গ্রুপের ডোনাররা কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হন। ব্যস, এখান থেকেই শুরু হলো এক নতুন মোড়, কাজের এক নতুন শাখা। দেশী প্রবাসী ডোনাররা (এক্স ক্যাডেট, এমসিসি ও তাদের কিছু বন্ধুবান্ধব) প্রশ্ন তুলতে থাকলো, শিশুদের কেন এ কাজে নিয়োগ করা হলো। সেখান থেকেই শুরু হলো নতুন চিন্তা ভাবনা। ক্লিনিকের পাশাপাশি এই শিশুদের কাছে শিক্ষাকে কিভাবে সহজলভ্য করা যায়, সে নিয়ে চিন্তা ভাবনা। সিদ্ধান্ত হলো, এসব শিশুকে আমাদেরই উদ্যোগে স্কুলে ভর্তি করানো হবে। পাশেই একটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো, খুবই জীর্ণ শীর্ণ দশা। মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলা হলো। তিনি রাজী হলেন দুপুরের পর একটি কক্ষ ছেড়ে দিতে, আমাদের ব্যবস্থাপনায় একজন শিক্ষক নিয়োগ করে সেখানে ঐসব শিশুদের জন্য ক্লাস নেয়া হবে। আমি নিজে সেখানে ব্যক্তিগত পরিদর্শনে গিয়ে অবাক হয়ে যাই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর দৈন্যদশা দেখে। বিদ্যালয়ে মাসের প্রায় ২৮ দিনই ছাত্র বা শিক্ষক কেউই আসেনা। শুধু সরকারের ভাতা পাবার জন্য মাসে দুই একদিন এসে সবাই রেজিস্টারে সই করে যায়। বাকী দিনগুলোতে বিদ্যালয়ের মাঠে ও বারান্দায় গরু ছাগল ভাগাভাগি করে বিচরণ করে, আর শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষক কক্ষে কুকুর ও ছাগল ভাগাভাগি করে সুখনিদ্রা যায়।
পরের বছরই আমরা সেখানে অবস্থিত ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালিত একটা কিন্ডারগার্টেনের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের শিশুদেরকে সেখানে ভর্তি করে দেই। সুখের কথা, আজ আমাদের নির্বাচিত প্রায় ৮০ জন শিশু ও বালক বালিকা সেখানে আমাদের অর্থায়নে শিক্ষালাভ করছে। আরও অনেক এক্স ক্যাডেট আরও অনেক শিশুকে স্পনসর করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে, কিন্তু ম্যানেজমেন্ট সম্ভব নয় বলে আমরা আপাততঃ আর এর কলেবর বাড়াচ্ছিনা। ভর্তি হওয়া শিশুদেরকে ফ্রী টিউশন ছাড়াও বিনামূল্যে দুই জোরা করে স্কুল ইউনিফর্ম, স্কুলব্যাগ, স্টেশনারি দেয়া হয় এবং লেখাপড়া ও খেলাধূলায় উৎকর্ষতা প্রদর্শনের জন্য বার্ষিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ ছাড়া প্রত্যেক কুরবানী ঈদের সময় একটি গরু কুরবানী করে ওদের মাঝে মাংস বিলিয়ে দেয়া হয় এবং কখনো কখনো প্রীতিভোজেরও আয়োজন করা হয়। আমরা তাদের অভিভাবকগণকে তাদের শ্রম দ্বারা উপার্জিত আয় থেকে বঞ্চিত হবার জন্য ক্ষতিপূরণ অফার করেছিলাম। কয়েকমাস নেবার পরে তারা তাদের সন্তানদের অভাবনীয় সাফল্য ও পরিবর্তন দেখে কতজ্ঞতাস্বরূপ তা নিতে বিনয়ের সাথে অস্বীকৃতি জানায়। আমাদের সমাজের এই দরিদ্র শ্রেণীর আত্মসম্মানবোধ ও কৃতজ্ঞতাবোধ দেখে আমি অভিভূত হয়ে যাই। এর ক্ষুদ্রাংশও যদি আমাদের মত স্বার্থলোভী, সুবিধাভোগী শ্রেণীর মধ্যে থাকতো!
যাহোক, যে দুটি সাফল্যের কথা বললাম, তা নিছক সিন্ধুর মাঝে দু’ফোঁটা বিন্দুসম, কিন্তু তাহলেও তো এগুলোকে সাফল্যই বলা যায়, তাই না? শুধু স্বেচ্ছাশ্রম আর স্বেচ্ছা অনুদানের ভিত্তিতে অর্জিত এটুকু সাফল্যের কথা বললাম এজন্য যে, 'বাংলাদেশে কোন কিছুই সহজে করা যায়না', এ ধরণের কথা শুনে কেউ যেন কখনো নিরুৎসাহিত না হন। ইচ্ছে থাকলে প্রতিকূলতার মাঝেও অনেক কিছু করা যায়। আর দশে মিলে চেষ্টা করলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়।
ঢাকা, ২৮ মার্চ ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
এসটিএইচ ক্লিনিক এর ছবি। নীচের ছবিতে দেয়া সাইনবোর্ডটি দূর থেকে দেখা যাচ্ছে ঘরের দেয়ালে লাগানো।
এসটিএইচ ক্লিনিক এর সাইনবোর্ড
Ex Cadets' Forum (ECF) নামে একটি প্রাক্তন ক্যাডেটদের ফেইসবুক গ্রুপ আছে। তাদের আবার Toys R Urs (Toys Are Yours) নামে একটা প্রকল্প আছে, যেখানে তারা স্বচ্ছল ও দয়ালু ব্যক্তিদের কাছ থেকে পুরনো ব্যবহারোপযোগী খেলনা সংগ্রহ করে দরিদ্র শিশুদের মাঝে বিতরণ করে। তাদের কিছু উদ্যোক্তাদের সাথে যোগাযোগ করে আমরাও আমাদের প্রাক্তন ইট ভাঙ্গা শ্রমিক, বর্তমানে স্কুল ছাত্র ছাত্রী শিশুদের মাঝে বিতরণ করি। গত ঈদের মাত্র ৫/৬ দিন আগে সেগুলো বিতরণ করা হয়। খেলনাগুলো পেয়ে শিশুরা খুবই খুশী হয়। আর তাদের মাঝে ঈদের এই আনন্দটুকু ছড়িয়ে দিতে পেরে আমরাও যারপরনাই খুশী হই। এই উদ্যোগের কয়েকটি চিত্র এখানে দিলামঃ
(ইতোপূর্বে অন্যত্র প্রকাশিত)
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ, চাঁদগাজী।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাললাগা +
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রীত হ'লাম, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, গেম চেঞ্জার।
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮
জুন বলেছেন: খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। সত্যি প্রশংসনীয় আপনাদের কার্য্যক্রম। সমাজের অবহেলিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানো সহজ আবার সহজ নয়।
মা ও শিশুদের সাস্থ্য সেবা প্রকল্পটিও প্রশংসার দাবীদার খায়রুল আহসান।
+
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: দুটো সাফল্যই স্বীকৃত হলো আপনার মন্তব্যে। তাই ভীষণ অনুপ্রাণিত হ'লাম।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, জুন।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২০
মানবী বলেছেন: মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে সাধারনত সেরা ছাত্ররা পড়ে থাকে, তাঁরা সেরা মানুষ(সত্যি মানুষ) হয়ে গড়ে উঠবেন এমনটাই তো স্বাভাবিক। খুব ভালো লাগলো আপনাদের উদ্যোগ আর মহৎ প্রচেষ্টার কথা জেনে।
টয়জ আর ইওরস্ এ ফেসবুকে যোগাযোগ ছাড়া খেলনা দান করা যায় কিনা বুঝতে পারছিনা। জানলে ভালো হতো।
সুন্দর পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম কথাটাতে ভীষণ অনুপ্রাণিত হ'লাম। যেকোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মানুষের মনে এমন মর্যাদাপূর্ণ ধারণা জন্মাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন, ত্যাগ তিতিক্ষার প্রয়োজন, অধ্যবসায় এর প্রয়োজন। এমসিসি সম্পর্কে আপনার এমন ধারণা সৃষ্টির পেছনেও আছে শুরু থেকে এই কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের নিরলস প্রচেষ্টা, সাপোর্ট স্টাফদের আন্তরিক অবদান আর মেধাবী ছাত্রদের কঠোর অধ্যবসায় আর মানসিক পরিচর্যা ও অনুশীলন। এমন সামষ্টিক সাফল্য আর সুনামের কিছুটা অংশীদার হতে পেরে অবশ্যই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি, কিছুটা গর্বিতও বটে।
উদার প্রশংসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
টয়জ আর ইওরস্ এ খেলনা দান করতে হলে ঢাকার কোথা থেকে সংগ্রহ করতে হবে এবং কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে তা জানালে আমি এর উদ্যোক্তাদেরকে জানাতে পারি।
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
মানবী বলেছেন: আমি জানলে দেশে যাবার সময় খেলনা নিয়ে যেতাম, তাই জিজ্ঞেস করেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবে আসছেন? খেলনা নিয়ে আসলে আসতে পারেন, যোগ্য ক্ষেত্রে বিতরণের ব্যবস্থা করে দেব।
৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০০
সোহানী বলেছেন: ওমাইগড! খায়রুল ভাই, আমি এ পোস্টা কিভাবে মিস করলাম। দু:খিত দু:খিত দু:খিত...........।
আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা অনেক কিছুই করি কিন্তু এরকম স্থায়ী কিছু এখনো করিনি। আর দেশে থাকি না বলে টাকা পাঠানো ছাড়া আমার আর কোন ভূমিকা থাকে না।
কি বলবো জানি না। কিন্তু আমার এতো ভালো লাগছে আপনাদের এ উদ্যোগ দেখে। এটা ২০১৫ এর পোস্ট, আশা করি এখনো চলছে এভাবে।
আপনার মতো কিছু মানুষ এখনো আছে বলেই দেশ এখনো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়নি। স্যালুট আপনাকে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ স্বল্প পঠিত লেখাটা আপনি এতই পছন্দ করলেন দেখে অভিভূত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পুরনো একটি পোস্ট টেনে এনে পড়ার জন্য, প্রশংসা করে এবং প্লাস দিয়ে উৎসাহিত করে যাবার জন্য।
আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা অনেক কিছুই করি কিন্তু এরকম স্থায়ী কিছু এখনো করিনি - সজল নামে জনৈক শিক্ষার্থীর (তিনি শিক্ষক কিংবা প্রাক্তন ছাত্রও হতে পারেন, আমি নিশ্চিত নই) নেতৃত্বে "ডিইউ কেয়ার গিভার্স টীম" নামে একটা সংগঠন প্রতিবছর শীতের সময় কিংবা বন্যার সময় উত্তরবঙ্গের দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী এবং নগদ অর্থ বিতরণ করে। আমি শাররীরিকভাবে যোগ দিতে না পারলেও একবার তাদের মাধ্যমে অর্থসাহায্য দিয়ে অংশগ্রহণ করেছি।
"এটা ২০১৫ এর পোস্ট, আশা করি এখনো চলছে এভাবে" - এই লাইনটার উত্তর দিতে গিয়ে মনটা দুঃখ ভারাক্রান্ত হলো। বাংলাদেশে ভাল কোন কাজ শুরু করা যতটা কঠিন, তা চালিয়ে যাওয়া তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রথম তিন বছর বেশ ভালই চলেছিল। এই কেন্দ্রটি যাদের দান করা জমিতে আমাদের খরচে ঘর বানিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম, সেই দুই ভাই এর মধ্যে ছোট ভাই ডাঃ রুশো দুরমুটে ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে ক্লিনিকটি চালাতেন। আমরা দূর থেকে অর্থায়ন করতাম এবং মাঝে মাঝে পরিদর্শনের মাধ্যমে খুঁটিনাটি বিষয় তদারকি করতাম। ২০১৮ এর সেপ্টেম্বরে এক ম্যাসিভ হার্ট এ্যাটাকে তিনি অকস্মাৎ ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর পর তার লন্ডন প্রবাসী বড়ভাই এবং আমেরিকা প্রবাসী বড় বোন এসে বিষয় সম্পত্তির ভাগ বাটয়ারা নিয়ে আলোচনার সময় আমাদেরকে কেন্দ্রটি তাদের জমি থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেন। অগত্যা আমরা অন্যত্র ঘর ভাড়া করে ক্লিনিকটি সরিয়ে নেই, তবে এসব ডামাডোলের কারণে দরিদ্র রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এখন চেষ্টা চলছে, কেন্দ্রটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার।
তবে দরিদ্র শিশুদের স্কুলিং এর প্রজেক্ট টা ঠিকমতই চলছে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ডাঃ রুশো মারা যাবার পর আমি তাকে নিয়ে এই পোস্টটি লিখেছিলাম, যেটাতে আপনার মন্তব্যও আছেঃ
চলে গেলো রুশো
৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:০৭
সোহানী বলেছেন: সেই পোস্টটার কথা মনে আছে। কিন্তু ওই জমিতো দান করেছিল। তাহলে সেটা ভাগের প্রশ্ন উঠে কেন?
আমি জানি এ ধরনের উদ্যোগ চালিয়ে নেয়া কতটা কঠিন। দেশেতো কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায় না উপরোন্ত কিভাবে ধান্দা করা যায় তার ধান্দায় থাকে। অথচ বিদেশে এরকম কেউ কিছু করতে চাইলে সরকার দু'হাত বাড়িয়ে দেয়। নিশ্চয় শুনেছেন এবারে করোনায় কত ভারতীয় সেরকম ধান্দা করে সরকারের মিলিয়ন ডলার লোপাট করেছে।
"ডিইউ কেয়ার গিভার্স টীম" এর সাথে জড়িত জুন আপু আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ। মনে হয় উনাকে চিনেন। একসময় বেশ জনপ্রিয় টিভি ব্যাক্তিত্ব ছিলেন। বাংলা বিভাগের শিক্ষক। কিন্তু উনাদের সাথে খুব একটা আমি জড়িত নই। আমাদের নিজস্ব গ্রুপ আছে। ওরাই অনেক কিছু করে।
আমার নিজেরেই ব্যাক্তিগতভাবে অনেক কিছু করার ইচ্ছে হয় কিন্তু এখনো সময় হয়নি হয়তোবা। এই মুহুর্তে অনেক বেশী ঝামেলায় জীবন কাটাচ্ছি। একটি জীবন আরেকটি জীবন গড়া অনেক কঠিন একটি কাজ। তবে সত্যিই একদিন দেশে ফিরে আসবো। কিছু একটা করবো।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "কিন্তু ওই জমিতো দান করেছিল। তাহলে সেটা ভাগের প্রশ্ন উঠে কেন?" - জমিটা দীর্ঘ মেয়াদী লীজ দিয়েছিল, একেবারে দান সম্প্রদান করে নয়। আমরা আইনের আশ্রয় নিলে ওরা কিছুই করতে পারতো না। কিন্তু কে যাবে এসব ঝামেলায়? আমরা সবাই যার যার নিজস্ব পেশাগত কাজ করে যেটুকু সময় পেতাম, সেটুকুই উজাড় করে দিতাম। আইন আদালত করে এমন স্বল্প সময় নষ্ট করতে কেউ চায় নি।
তবে সত্যিই একদিন দেশে ফিরে আসবো। কিছু একটা করবো। - খুব ভাল কথা। পূরণ হোক আপনার এ সদিচ্ছা!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা খুবই বড় মাপের সাফল্য, খুবই বড় কাজ