নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা - ১৭

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

"আমার কথা - ১৬" পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা - ১৬

তৃতীয় এ্যাডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন এ কাইয়ুম মালিক, আর্টিলারীঃ
ক্যাপ্টেন আনোয়ার আমাদের কলেজের এ্যাডজুট্যান্ট থাকা অবস্থাতেই মেজর পদবীতে উন্নীত হয়েছিলেন। পদোন্নতির পর তাঁর বদলির আদেশ আসে। আর্টিলারী কোর এর আরেক ক্যাপ্টেন এ, কাইয়ুম মালিক তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। নতুন এ্যাডজুট্যান্ট দেখতে খুব ইয়ং লুকিং ও সুদর্শন ছিলেন, নম্রতা ভব্যতার দিকেও একটু এগিয়েই ছিলেন বলতে হয়। পাঠান কাইয়ুম মালিকের তুলনায় আমার মনে হয় বাঙালী ক্যাপ্টেন আনোয়ার একটু বেশী রাফ এ্যান্ড টাফ ছিলেন হয়তো এ কারণে যে তিনি আমাদের সিনিয়র ভাইদেরকে কাকুলস্থ পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমীর কঠোর প্রশিক্ষণ পরিবেশের সাথে এখান থেকেই কিছুটা ধাতস্থ করে তুলতে চেয়েছিলেন। যাই হোক, ক্যাপ্টেন কাইয়ুম মালিক তার সুআচরণ আর খেলাধূলার প্রতি অতি উৎসাহের কারণে ক্যাডেটদের মাঝে, বিশেষ করে সিনিয়র ভাইদের মাঝে খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলেন। গেমস পিরিয়ডে তিনি নিয়মিতভাবে ক্যাডেটদের সাথে খেলাধূলায় অংশ নিতেন। কোন আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ প্রতিযোগিতা সামনে থাকলে তিনি গেমস পিরিয়ডের পরেও অতিরিক্ত সময় ধরে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত দলের সাথে খেলে প্রশিক্ষণ দিতেন। তিনি নিজে খুব ভাল হকি খেলতেন, অন্যান্য খেলাতেও পারদর্শী ছিলেন।

তিনি বেশ সংস্কৃতিমনাও ছিলেন, মোটামুটি ভালো গানও গাইতে পারতেন। তখনকার দিনে একটি তুমুল জনপ্রিয় উর্দু গান ছিলো, “যাব কয়ি পেয়ারসে বুলায়েগা, তুমকো এক শাকসি ইয়াদ আয়েগা…”। গানটি ছিলো ‘জিন্দেগী কিতনি হাসিন হ্যায়’ সিনেমার, গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের কন্ঠে গীত। সেই গানটির মাঝখানে একটা লাইন ছিলো, “যাব কয়ি সিতারা টিমটিমায়েগা, তুমকো এক শাকসি ইয়াদ আয়েগা…।” তিনি এই গানটি খুবই দরদ দিয়ে গাইতেন। তার সময়ে আমাদের হকি টীম সম্ভবতঃ রাজশাহীতে (অথবা ফৌজদারহাটে) গিয়েছিলো আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে। খেলা শেষে ফিরে আসার আগের রাতে মেজবান কলেজ এক প্রীতিভোজ আর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছিলো। সেই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় আমাদের এ্যাডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন কাইয়ুম মালিক “যাব কয়ি পেয়ারসে বুলায়েগা” গানটি গেয়ে আসর মাত করেছিলেন। শ্রোতাদের সারিতে তখন নাকি একজন সুদর্শনা রূপসী উপবিষ্ট ছিলেন। গানের মাঝে যখন ক্যাপ্টেন কাইয়ুম মালিক “যাব কয়ি সিতারা টিমটিমায়েগা” অংশটি গাইতেন, তখন নাকি তাঁর আর সেই রুপসীর চোখের তারাগুলো একসাথে মিটমিট করে জ্বলে উঠতো। আমিতো কখনো কোন কলেজ টীমে খেলিনি, তাই প্রশ্ন উঠতে পারে, আমি এতসব জানলাম কী করে? গর্বের সাথে বলতে চাই, তখন কলেজ হকি টীমে আমাদের ক্লাসের ওমর আহমেদ আদেল (ওয়াসিম নামে অধিক পরিচিত) সেই নবম শ্রেণী থেকেই দাপটের সাথে খেলতো। তার বাবা আলমগীর মোহাম্মদ আদেল আন্তর্জাতিক মানের হকি আম্পায়ার ছিলেন। তাছাড়া তিনি নিজেও ভালো হকি খেলতেন। সেই আদেল যখন প্রতিযোগিতা শেষে কলেজে ফিরে এসে আমাদের কাছে তার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করছিলো, তখন আমি মনযোগ দিয়ে তা শুনেছিলাম। এ ছাড়াও আরো অন্য সিনিয়র ভাইদের মুখেও আমি একথা শুনেছিলাম।

একদিন ডিনার শেষে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে হাউসের সামনের রাস্তায় ইতস্ততঃ পায়চারী করছিলাম। রাতের আকাশে তখন চাঁদ ও মেঘের লুকোচুরি খেলা চলছিলো। মাঝে মাঝে বিজলীও চমকাচ্ছিলো। উল্লেখ্য যে তখনকার দিনে ডিনারের পরের সময়টুকু আমাদের জন্য ফ্রী টাইম ছিলো। যে যাকিছু নিজের পছন্দমত করতে পারতো। পায়চারী করতে করতে হঠাৎ দেখি ক্যাপ্টেন কাইয়ুম মালিকও রাস্তায়। তিনি সেই চমৎকার আবহাওয়াটা উপভোগ করতে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। পোষাকে আশাকে তিনি সবসময় বেশ পরিপাটি থাকতেন। সেই রাতের বেলায় পায়চারী করতেও তিনি খুব ওয়েল ড্রেসড হয়ে বের হয়েছিলেন। আমাদেরকে দেখে কাছে ডেকে নিলেন। অনেক ইনফরমালভাবে আমাদের অনেক ব্যক্তিগত তথ্যও জেনে নিলেন। আমাদের মধ্যে কেউ গান জানি কিনা জিজ্ঞেস করলেন। উত্তর নেতিবাচক হওয়াতে মৃদু ভর্ৎসনাও করলেন। এমন রোমান্টিক আবহাওয়া পেলে বোবার কন্ঠেও সঙ্গীত বেজে ওঠে বলে তিনি জানালেন। আমাদের মধ্যে কেউ একজন তাঁর ফ্রেন্ডলী মুডের সুযোগ নিয়ে তাঁকে অনুরোধ করে বসলো একটা গান শোনানোর জন্য। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য যে, তিনি সেই রাতে রাস্তার একটু পাশে সরে গিয়ে ফুটবল মাঠের কোণে দাঁড়িয়ে খালি গলায় শুরু করলেন সেই গান, “যাব কয়ি পেয়ারসে বুলায়েগা, তুমকো এক শাকসি ইয়াদ আয়েগা…”। তিনি যখন আকাশের দিকে তাকিয়ে এই গানটি করছিলেন, তখন আমার মনে হয়েছিলো, আকাশের বুকে তিনি পাকিস্তানে রেখে আসা তাঁর কোন প্রিয়জনের মুখ খুঁজছিলেন।

এই ভদ্রলোকটিরও যে মেজাজ আছে, তা আমরা টের পেলাম কিছুদিন পরেই। আমাদের হাউস (ফ হ) থেকে ক্লাসরুমগুলোতে যাবার পথে মেইন কম্পলেক্সে ঢুকেই হাতের বামে যে সিঁড়িটা ছিলো, সেটার সাদা দেয়ালে কে যেন লাল কালিতে (খুব সম্ভবতঃ ক্রেয়ন পেন্সিলে) লিখে রেখেছিলো মাত্র দুটো শব্দঃ Complete! Complete! মনে হয়, আগের দিন কলেজ অডিটোরিয়ামে বসে টিভি দেখে আসার সময় কেউ একজন ঐ কম্মটি করেছিলো। কে সেই উদাত্ত আহ্বানটুকু লিখে রেখেছিলো, তা আজ অবধি মনে হয় অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেছে। কিন্তু যেই সেটা লিখে থাকুক না কেন, আজ পশ্চাৎদৃষ্টে মনে হয় সে এক মস্ত দার্শনিকই ছিলো বটে। ‘Complete! Complete!’ শব্দ দুটি দিয়ে লেখক কী কমপ্লিট করতে আহ্বান জানিয়েছিলো, তা এক অজানা বিস্ময়ই রয়ে গেছে, তবে তা নিয়ে দিন দিনান্তে গবেষণার অন্ত ছিলনা। ক্যাপ্টেন কাইয়ুম মালিকও পুরো কলেজকে ফল ইন দিয়ে বারংবার জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘Complete! Complete!’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তবে তখন তাঁর এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মত কেউ ছিলোনা। রেগে মেগে তিনি স্ল্যাং ব্যবহার শুরু করলেন, ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু খারাপ কথাও বললেন, কিন্তু সবাই নিরুত্তর। এর পরে তিনি আমাদের গণশাস্তি দিয়েছিলেন, তবে তা মাত্রাতিরিক্ত ছিলনা বলেই আমার মনে হয়েছিলো।

গণশাস্তির সময়ে আমাদেরকে সেবারই প্রথম দৌড়াতে দৌড়াতে কলেজ গেটের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। পুরো কলেজ যখন মেইন রোডের উপর দিয়ে দৌড়াচ্ছিলো, তখন ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী জনৈক বিদেশী তার জীপগাড়ীটি থামিয়ে কী হচ্ছে তা কৌ্তুহলভরে জিজ্ঞেস করেছিলেন। তখন আমাদেরই ব্যাচমেট কাজী ইকবাল হোসেন ওরফে “চাল্লি”, যে তার ক্যাডেট নাম্বার “১৮৮” সংখ্যাটি দ্বারা অধিক পরিচিত ছিলো, দৌড়াতে দৌড়াতেই উত্তর দিয়েছিলো, ``We are being treated like animals''. ঐ পরিস্থিতিতে এরকম একটা স্বতঃস্ফূর্ত উত্তর দিতে পারাটা যুগপৎ স্মার্টনেস ও গাটস এর পরিচায়ক ছিলো। আমরা তার এই দুটো গুনের পরিচয় পেয়ে বিস্ময়ে অভিভূত হয়েছিলাম। তার আরও বিবিধ গুনাবলীর কথা পরের দিকের লেখাগুলোতেও উঠে আসবে বলে আশা করি। হাউসে ফিরে এসে আমাদের মধ্যে অনেকে তাদের প্যারেন্টস কে চিঠি লিখেছিলো তাঁরা যেন কলেজে এসে তাদেরকে বাড়ী ফিরিয়ে নেয়। আমার একজন রুমমেট অতিশয় আবেগ মেখে তার বাবাকে চিঠি লিখে জানালো, " We were made to run a long distance. Whosoever had slowed down, was whipped like a dog" - or words to that effect. বলাই বাহুল্য, কথাগুলো ছিলো অতিমাত্রায় অতিরঞ্জিত।

চলবে…


ঢাকা
০২ আগস্ট ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে :) :)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় বোধকরি এটাই আপনার প্রথম মন্তব্য, তাই অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এই মেইডেন মন্তব্যের জন্য। কবিতা ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম।
আপনার প্রথম ব্লগ "তুরস্কের চলচ্চিত্র Love Likes Coincidences" এইমাত্র পড়লাম এবং সেখানে কিছু কথা রেখে এলাম।

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

প্রামানিক বলেছেন: পড়ে খুব লাগল। সামনের পর্বের আশায় রইলাম।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রায় প্রতিটা পর্ব পড়ে চলেছেন বিধায় প্রীত হ'লাম। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, প্রামানিক।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০

আরজু পনি বলেছেন:
ব্র্যাকেটের ফ হ মানে কী? ফজলুল হক হল নাকি ?

গান আত্মার সমৃদ্ধিতে সহায়তা করে বলেই মনে হয় ।

আর কষ্টকর অনুভুতি নিয়ে প্রিয়জনের কাছে পত্র লিখলে তাতে অতিরঞ্জন থাকাটা খুব স্বাভাবিক...হয়তো ভাবাবেগে কান্নাও চলে আসে লিখতে লিখতে ।

সুন্দর উপস্থাপন ।
শুভকামনা রইল ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রায় ঠিকই ধরেছেন। ফ হ মানে 'ফজলুল হক হাউস'।
গান আত্মার সমৃদ্ধিতে সহায়তা করে বলেই মনে হয় -- কোন সন্দেহ নেই।
হয়তো ভাবাবেগে কান্নাও চলে আসে লিখতে লিখতে । -- তাতো আসতোই মাঝে মাঝে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
পর্ব ১৭ চলছে! আহা... নিয়মিত পড়তে পারছিনে। We were made to run a long distance. হুম। খুবই শক্ত কথা।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: নিয়মিত পড়তে না পারলেও কোন সমস্যা নেই। আপনার যখন কিছুটা সময় হবে তখন পড়ে নিতে পারেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: তৃতীয় এ্যাডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন এ কাইয়ুম মালিক বহু গুণের অধিকারী ছিলেন,সেই পরিচয় আপনার লেখায় সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।

প্রিয়জনের বিয়োগব্যথায় কাতর এক গায়কের আবেগের প্রকাশটা সুন্দর হয়েছেঃ

//“যাব কয়ি পেয়ারসে বুলায়েগা, তুমকো এক শাকসি ইয়াদ আয়েগা…”। তিনি যখন আকাশের দিকে তাকিয়ে এই গানটি করছিলেন, তখন আমার মনে হয়েছিলো, আকাশের বুকে তিনি পাকিস্তানে রেখে আসা তাঁর কোন প্রিয়জনের মুখ খুঁজছিলেন। //

নিষ্ঠুর আচরণের মধ্যেও "১৮৮"-এর রসবোধে মন খুলে হাসলামঃ

//``We are being treated like animals''.//

জীবন বৈচিত্রময়, বাঁকে বাঁকে লুকানো তার কত না কথা?

ভাল থাকুন। সবসময়।


০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার চমৎকার বিশ্লেষণে অত্যন্ত মুগ্ধ হ'লাম, শামছুল ইসলাম। গভীর মনোযোগ প্রসূত মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

মানবী বলেছেন: হকি আমার খুব প্রিয় খেলা, এক সময় সেন্টার ফর্পয়ার্ডে খেলতাম। আমাদের কোচ উৎসাহ দিয়ে অলিম্পিক জয়ের স্বপ্ন দেখাতেন :-)
আপনার পোস্টটি পড়ে সেসময়টার কথা মনে পড়লো!

এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন কাইয়ূম সত্যি খুব অনন্য ব্যক্তব্য ছিলেন মনে হয়, এমনি ভাবে ক্যাডেতদের সাথে চাঁদের আলোয় গান শোনানো(ক্যাম্প ফায়ার জাতীয় ব্যাপারও নয়) খুব রেয়ার।
খুব ভালো চাঁদের আলো, গজল, আর শাস্তি পেয়ে বন্ধুর বাড়াবাড়ি রকমের অভিযোগ, সব পড়ে ভালো লেগেছে... ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।

বাবাকে লেখা বন্ধুর সেই চিঠি বাবার কাছে পৌঁছেছিলো কিনা বুঝতে পারছিনা।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ঝুলিতে আরো যে কত অভিজ্ঞতার সম্ভার আছে তা কে জানে। হকির সেন্টার ফরোয়ার্ড হওয়া তো যে সে কথা নয়।
এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন কাইয়ূম মালিক 'সত্যি খুব অনন্য' মানুষ ছিলেন। তাঁর রুচিবোধ, স্পোর্টসম্যানশীপ ইত্যাদি আমাকে খুবই ইমপ্রেস করতো।
বাবাকে লেখা বন্ধুর সেই চিঠি নিশ্চয়ই বাবার কাছে পৌঁছেছিলো, কারণ পরে শুনেছিলাম, এই ব্যাপারে কিছু কিছু অভিভাবক উচ্চতর পর্যায়ে খোঁজ খবর নিয়েছিলেন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: সাবলীল লেখনীতে ভাল লাগা রইল...
ভাল থাকুন সব সময়

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চমতকার । ভাল লাগা রইল

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, মাহমুদ০০৭।

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল লাগা রইল ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

নীলসাধু বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপনা, ভাল লাগা।
শুভকামনা রইল ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসায় প্রীত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭

মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিঞা বলেছেন: বাহ্!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিঞা।

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

আরজু পনি বলেছেন:
-------------
আজ সকালে ব্লগে কবিতা দিলেন না যে ?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটু ঢাকার বাইরে গিয়েছিলাম সদলবলে। ফিরে এসে এখন দিলাম।
খুশী হ'লাম, ধন্যবাদ।

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আজকের পর্ব ও পড়তে ভাল লেগেছে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রীত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা, ফেরদৌসা রুহী।

১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমার কথা -১৮" কখন আসবে?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইন শা আল্লাহ, আগামী কালকে।
নিষ্ঠার সাথে সবগুলো পড়ে শেষ করার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।

১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি প্রায়শ নেট স্পীড পাইনা ।
লিখাটা মোবাইলে পড়েছি , এখন কমেন্ট করতে এলাম ।

কবিতা পোস্ট করেছেন দেখলাম ! যাই পড়ে আসি -----

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কমেন্ট এর জন্যে ধন্যবাদ। কিন্তু লেখাটা সম্পর্কে তো কিছু বললেন না।
কবিতা এমনিতেই কম লোকে পড়ে। আপনার আগ্রহ দেখে প্রীত হ'লাম। বাকী কথা কবিতাতেই বলবো।

১৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

জুন বলেছেন: ক্যাপ্টেন এ কাইয়ুম মালিক,এডজুনেন্ট এর দ্বিবিধ পরিচয়ে মুগ্ধ হোলাম খায়রুল আহসান ।
গানের মাঝে যখন ক্যাপ্টেন কাইয়ুম মালিক “যাব কয়ি সিতারা টিমটিমায়েগা” অংশটি গাইতেন, তখন নাকি তাঁর আর সেই রুপসীর চোখের তারাগুলো একসাথে মিটমিট করে জ্বলে উঠতো।
ঐ পরিস্থিতিতে এরকম একটা স্বতঃস্ফূর্ত উত্তর দিতে পারাটা যুগপৎ স্মার্টনেস ও গাটস এর পরিচায়ক ছিলো। আমরা তার এই দুটো গুনের পরিচয় পেয়ে বিস্ময়ে অভিভূত হয়েছিলাম।
খুব উপভোগ করছি আপনার ক্যডেট জীবন ।
সাথে আছি চলুক ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাথে আছি চলুক -- সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, জুন।
তবে মনে হচ্ছে আর বোধহয় চলবেনা। গতরাতে "আমার কথা - ১৮" লিখে 'পোস্ট করুন' ক্লিক করার পর স্ক্রীনে ভেসে উঠলোঃ
একটা ভুল পাওয়া গেছে। You are banned from submitting new post.
সাথে সাথে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। ল্যাপটপ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে উঠে আমার একটা সাম্রতিক কবিতা র‌্যান্ডম সিলেক্ট করে আবারো 'পোস্ট করুন' ক্লিক করলাম। ভয়ে ছিলাম যে এটাও হয়তো প্রকাশ হবেনা। কিন্তু না, দেখলাম কবিতাটা ঠিকই প্রকাশ হয়ে গেছে এবং অনতিবিলম্বে একটা মন্তব্যও এসে গেছে। তাই আবার এখানে ফিরে এলাম।
আগামীকাল আবার চেষ্টা করবো "আমার কথা - ১৮" পোস্ট করতে। যদি আবারো ওরকম নিষেধাজ্ঞা দেখতে পাই, তবে চিরতরেই হয়তো 'আমার কথা' বন্ধ হয়ে যাবে এ আসরে। কোথায় অপরাধ করলাম, কিছুই বুঝতে পারলাম না। আর এখন করণীয়ই বা কি, তাও অজানা।
মন্তব্যে প্রীত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

মৌ রি ল তা বলেছেন: ১৭ সংখ্যাটা প্রিয় , তাই সরাসরি এই পোষ্টেই এলাম । আর এখন প্লেলিষ্টে অনবরত বেজে চলছে " যাব কই পেয়ারছে ................"
খুব ভালো লিখেন আপনি !! মনে হচ্ছিল আমি নিজেই হাউজের সামনে হাটছি !! ভালো থাকবেন ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় এটাই আপনার প্রথম মন্তব্য, প্রীত হ'লাম।
আশাকরি, সময় পেলে এর আগের পিছের আরও দুই একটা পর্ব পড়ে জানিয়ে যাবেন, কেমন হলো।
লেখার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, মৌ রি ল তা।

১৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার ক্যাডেট জীবনের কথা ভালোই লাগছে ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'আমার কথা' গুলো শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ, রূপক বিধৌত সাধু।

১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

কালীদাস বলেছেন: কমপ্লিট লেখার মাজেজা কি ছিল? পরে কারণ এবং সোর্স জানা গিয়েছিল নাকি?

০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: দুঃখিত কালীদাস, অনেক অনেক বিলম্বে আমি আপনার এ মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি।
"কমপ্লিট লেখার মাজেজা কি ছিল?" - মাজেজা টা আজ পর্যন্ত অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেছে বোধকরি। তবে আমার সন্দেহ হয়, আমাদের পরের ব্যাচের কেউ হয়তো ওটা লিখে থাকবে। ব্যাচ হিসেবে তুলনামূলকভাবে ওরা খুব দুষ্টই ছিল। :)

২০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৫০

সোহানী বলেছেন: আহারে এভাবে শাস্তি??? মায়াই লাগছে আপনাদের জন্য।

তারপর কি তাদের বাবা-মা কি নিয়ে গিয়েছিল?

০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি আমার শেষ বাক্যে বলেছি, "কথাগুলো ছিল অতিমাত্রায় অতিরঞ্জিত"। টীন এজ বয়সের আবেগ ও অভিযোগ চিঠিতে গড়িয়ে পড়েছিলো, এটা নিশ্চয়ই পত্রপ্রাপক পিতামাতা/অভিভাবকেরা বুঝতে পেরেছিলেন এবং তাদের সন্তানদেরকেও সেভাবে বুঝিয়েছিলেন। তবে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত কিছু কিছু অভিভাবক এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.