নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
গত বুধবার সকালে ল্যাপটপে লেখালেখির কিছু কাজ করছিলাম। হঠাৎ ছোট বোনটা ফোন করে জানালো, আম্মার শরীরটা বেশী ভালো নেই, যেন ফোন করি। কয়েকদিন আগেই ফোনে আম্মার সাথে কথা বলেছিলাম, তখন তিনি ভালো ছিলেন। আমার স্ত্রীও আগের দিনই কথা বলেছিলেন, তখনো ভালোই ছিলেন এবং অনেকক্ষণ ধরেই কথা বলেছিলেন। তাই হঠাৎ কি হলো, এ কথা ভাবতে ভাবতেই আম্মাকে ফোন করলাম। আম্মা জানালেন, তার কিছু ভালো লাগেনা। যেন একবার গিয়ে দেখা করে আসি।
মানুষের মন, কারণে অকারণে মাঝে মাঝে বিষণ্ণ হয়, অবসাদগ্রস্ত হয়। মন খারাপ হলে আমি আম্মার সাথে কথা বলি কিংবা ওনার কাছে চলে যাই, ওনারও মন খারাপ হলে আমাকে ডেকে নেন। গত বুধবার সকালে আম্মার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, ওনার মন খারাপ। তিনি এখন থাকেন রংপুরে, আমার ছোট ভাই এর সাথে। আমাকে ডাকলেন সময় করে একবার তাঁকে দেখে আসতে। মাত্র দু’মাস আগেই তাঁকে দেখার জন্য রংপুরে কয়েকদিন থেকে এসেছিলাম। এত তাড়াতাড়ি তিনি আবার ডাকলেন, তাই অনুমান করলাম, তাঁর মন নিশ্চয়ই আবার খুব খারাপ হয়ে থাকবে। এর আগে প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে আমারও মনটা খারাপ যাচ্ছিল। তাই আর দেরী না করে লেখালেখি ঐ অবস্থাতেই ক্ষান্ত দিয়ে তাড়াতাড়ি করে গোসল করে তৈরী হয়ে নিলাম। অসময়ে একটু আর্লি লাঞ্চ করে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম। রাস্তায় তীব্র যানজটের কারণে পাঁচ-ছয় ঘন্টার রাস্তা যেতে প্রায় দশ ঘন্টা লাগলো। অবশেষে রাত সাড়ে এগারটার সময় যখন আমি বাসায় গিয়ে পৌঁছলাম, ততক্ষণে আম্মা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তবে আমার কন্ঠস্বর শুনে তিনি জেগে উঠলেন এবং ধীরে ধীরে হেঁটে এসে আমার রুমের সামনে দাঁড়ালেন। আমি তাঁকে কদমবুসি করে দুচারটে কথা বললাম। আমাকে তিনি আগে ফ্রেশ আপ হয়ে এসে খাবার খেতে বসতে বললেন। আমি তাড়াতাড়ি গোসল সেরে এসে দেখি, তিনি আবার ঘুমিয়ে পড়েছেন।
আম্মার সাথে যখন থাকি, তখন খুব যে আমাদের মাঝে কথাবার্তা হয়, তা নয়। অল্প স্বল্প আলাপ সালাপ, আর কিছুক্ষণ পর পর একে অপরের সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি, ব্যস এটুকু করলেই আমাদের উভয়ের বিষণ্ণ মন ভালো হয়ে যায়। বাঙালী মায়েরা সাধারণতঃ ছেলেদের সাথে তেমন একটা মন খুলে পেটের কথা বলেননা, যেমন বলেন মেয়েদের কাছে। আমার মায়ের বয়স ৮৫ বছর, আমি বলবো এখনো আল্লাহ’র অশেষ রহমতে তিনি যথেষ্ট ভালো আছেন। কারো সাহায্য ছাড়াই এখনো তিনি ঘরের মধ্যে চলাফেরা করতে পারেন, চশমা ছাড়াই এখনো পেনশনের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে পারেন। তবে এবারে লক্ষ্য করলাম, তাঁর স্মৃতিশক্তি অনেকখানি লোপ পেয়েছে, দৃষ্টিশক্তিও কিছুটা। কথা বলতে বলতে খেই হারিয়ে ফেলেন, তবে ধরিয়ে দিলে আবার শুরু করতে পারেন। আম্মার সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম, তাঁর মন খারাপের মূল কারণ একাকীত্মবোধ। ছেলে, ছেলের বৌ উভয়ে চাকুরিজীবী, দুই নাতি নাতনি স্কুলগামী। অবশ্য সবাই একসাথে গৃহত্যাগ করেনা, মাঝখানে শুধু ঘন্টা দুয়েক আম্মাকে ঘরে বসে একা একা সময় কাটাতে হয়। এটুকুতেই তিনি হাঁপিয়ে উঠেন। আমি যাওয়ার পরের দিনেই তাঁকে আগের দিনের চেয়ে অনেকটা সুস্থ বলে মনে হলো। বৃ্দ্ধ বয়সের এই একাকীত্ম নিয়ে আমিও ভাবিত হ’লাম এবং বিষণ্ণ বোধ করতে লাগলাম। বিকেলে ভাতিজা ভাতিজিকে নিয়ে দশতলা বিল্ডিং আর ছাদে উঠলাম, চারপাশের প্রকৃ্তিকে একটু দেখে নেয়ার জন্য। আকাশ আর গাছপালার দিকে তাকিয়ে মনে হলো, মানুষের মন যখন বিষণ্ণ থাকে, তখন প্রকৃ্তিতে সে তার বিষণ্ণতার প্রতিফলন দেখতে পায়। A melancholic mind finds its own reflection in nature.
ঢাকা
০৭ অগাস্ট ২০১৬
দিগন্ত রেখায় বিদায়ী আলোর ছটা....
A parting smile at the skyline....
গোধূলির রঙ......
Twilight's hues...
গোধূলির মৌনতা....
Meditation at twilight...
সন্ধ্যা ঘনায়ে এলো, বেলা গেল ঐ.....
Preparing to part...
আঁধার ঘনিয়ে এলো, দিবাকর চলে গেলো....
Heralding the dusk....
পেছনে দিগন্ত রাখি,সম্মুখপানে রহি চাহি ....
Horizon at the back, vision afar...
আকাশ আমায় শিক্ষা দিল উদার হতে ভাইরে....
The sky broadens my perceptions of life....
আমি ও নিমগ্ন প্রকৃতি....
Looking at the nature around...
অস্তাচলের আবির...
A parting smile...
বেলাশেষের আলো....
The last light....
সন্ধ্যা এলো বলে...
Evening approaching....
অবিন্যস্ত স্বপ্নের মত...
Like a disarrayed dream....
আলো আঁধারির খেলা....
Light and darkness at play.....
বলাকারা উড়ে গেলে সুদূর পাড়ে...
When cranes fly to the distant horizon...
ধীরে ধীরে নিঃশব্দে নেমে আসে আঁধার ...
And quietly descends the shroud of darkness...
চারিদিকে চেয়ে দেখো আঁধার ঘনিয়ে এলো....
Look around and see how darkness falls....
০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দোয়া ও শুভকামনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, প্রথমকথা। শুভেচ্ছা রইলো।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: A melancholic mind finds its own reflection in nature" যথার্থই ।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের এই শেষ লাইনটা উদ্ধৃত করার জন্য ধন্যবাদ, রূপক বিধৌত সাধু। এটাই মূল কথা।
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভালো লাগলো। প্রবাসে থাকার কারণে আম্মার সাথে আর গল্প করা হয় না, যদিও এক সময় পিতার মৃত্যুর পর বেকার দিনগুলোতে আম্মার সাথে অনেক আড্ডা দেয়া হত...
০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৭
ক্লে ডল বলেছেন: আমার দাদীর কথা মনে পড়ে গেল!! তিনিও আপনার মায়ের মতই আচারণ করতেন। তবে আমি মনে করি এটি নির্দিষ্ট কোন বয়সের বৈশিষ্ট্য নয়। মানুষ মাত্রই একাকিত্ব বা নিঃসঙ্গতা ভয় পায়!!
আপনার মায়ের দীর্ঘায়ু এবং সুস্থতা কামনা করি।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আকাশের ছবিগুলো কেমন হয়েছে?
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওকে
০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: আপনার আম্মা সবসময় ভাল থাকুন এই দোওয়া করছি।
উদার প্রকৃতির নির্মল শোভায় মানব মনের সকল বিষন্নতা কেটে যাক সেই কামনাই করছি।
১০ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দোয়া এবং কামনা, দুটোর জন্যই অশেষ ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম, প্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সুন্দর সব ছবির সাথে দারুণ ক্যাপশন দিয়েছেন।
একটা সময় সবাইকেই অনেকের মধ্যে থেকেও একা সময় কাটাতে হয়। আমিও প্রায়ই ভাবি এই একাকীত্ব সময়টা কিভাবে পার করবো সেই কথা।
১২ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর সব ছবির সাথে দারুণ ক্যাপশন দিয়েছেন - এই ক্যাপশনের কথাটা আপনিই প্রথম বললেন, এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি বিশেষ ধন্যবাদক। ক্যাপশন গুলো বসাতে একটু মাথা ঘামাতে হয়েছে, তাই আপনার মন্তব্যে শ্রম সার্থক জ্ঞান করছি। পরে অবশ্য পুলহ এবং ক্লে ডলও ক্যাপশনের প্রশংসা করেছেন, তাদেরকেও অশেষ ধন্যবাদ।
একাকীত্ব ভয়ঙ্কর এক বেদনার নাম।
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২০
টাইম টিউনার বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ,আপনার এবং আপনার আম্মার সুস্থ দীর্ঘ জীবন কামনা করছি । ছবি গুলাও অনেক সুন্দর হয়েছে স্যার।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এবং আমার আম্মার সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন কামনা করে দুয়া করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ, টাইম টিউনার। ছবিগুলোর প্রশংসা করেছেন, তাই ভীষণ খুশী হ'লাম। শুভকামনা রইলো আপনার জন্যও।
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শেষ বয়সের এই বিষণ্ণতাকে বড্ড ভয় হয় আমার।
আপনি এবং আপনার আম্মা দুজনেই সুস্থ থাকুন, সকল বিষণ্ণতা কেটে মন ঝলমল করে উঠুক গোধূলি লগণের কাঁচা সোনা রোদের ছটায়, এই দোয়া রইল।
ভাল থাকুন সবসময়, অনেক শুভকামনা।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই সুন্দর দোয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ, বোকা মানুষ। শেষ বয়সের বিষন্নতা সত্যই বড় বেদনাদায়ক।
শুভকামনা রইলো।
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
আপনার আপন বলেছেন: A melancholic mind finds its own reflection in nature...............
১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন পোস্টে বোধকরি এটাই আপনার প্রথম মন্তব্য। পোস্টের শেষ বাক্যটি উদ্ধৃত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পোস্টে আপনার দেয়া প্লাস + অনেক প্রেরণা যুগিয়ে গেল।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
পুলহ বলেছেন: বেশিরভাগ ছবিই স্বপ্নীল; উপরন্তু কাব্যিক ক্যাপশনগুলোর কারণে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
আপনি ভাগ্যবান ছেলে। মায়ের মন খারাপ হলে যে ছেলের কথা তাঁর মনে পড়ে, যে ছেলেকে তিনি কাছে ডেকে নেন, সেই ছেলে ভাগ্যবান নয় তো কি!
পৃথিবীর সকল মা ভালো থাকুক।
আমার জন্য দোয়া করবেন- আমিও যেন আপনার মতই সৌভাগ্যবান একজন সন্তান হতে পারি।
শুভকামনা শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যটা আমার গভীর হৃদয়ে স্পর্শ করে গেল। আপনার লেখা থেকে আপনার মনের যে পরিচয় পাই, তাতে আমি নিঃসন্দেহ যে আপনিও আপনার মায়ের একজন স্নেহধন্য ভাগ্যবান সন্তান। আল্লাহ আপনাকে আপনার মায়ের চক্ষু শীতলতার উপকরণ বানিয়ে দিন, এই কামনা করছি এবং সেই সাথে আপনার মায়ের সুস্থতা ও কল্যানের জন্যও প্রার্থনা করছি।
বেশিরভাগ ছবিই স্বপ্নীল; উপরন্তু কাব্যিক ক্যাপশনগুলোর কারণে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে - ক্যাপশনের কথা উল্লেখ করাতে যারপরনাই প্রীত ও উল্লসিত হ'লাম, কারণ ক্যাপশনগুলো মন থেকে এসেছে।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আন্তরিক শুভকামনা রইলো।
১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৬
সুমন কর বলেছেন: আপনার মায়ের জন্য রইলো অনেক অনেক দোয়া।
ছবিগুলো দারুণ এসেছে। +।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মায়ের জন্য আপনার দোয়া আমাকে অভিভূত করে গেল। ছবিগুলোর প্রশংসায় প্রীত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭
ক্লে ডল বলেছেন: ছবি গুলোও অসাধারণ হয়েছে। সাথে ক্যাপশনও চমৎকার!!
আচ্ছা,
A melancholic mind finds its own reflection in nature. এটা কি কোন মনীষীর উক্তি?
১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ক্যাপশনের প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, ক্লে ডল।
A melancholic mind finds its own reflection in nature. এটা কি কোন মনীষীর উক্তি? - জ্বী, কথাটা একজন বিখ্যাত মনীষীর উক্তি। মনীষীর নাম খায়রুল আহসান!
১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০৪
ক্লে ডল বলেছেন: হি হি হি!!! আপনার প্রতিমন্তব্য দেখে খুব আমোদিত হলাম!!
তবে যায় হোক, আসলেই উক্তিটি কিন্তু অসাধারণ!
১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ। এরকম আরও অনেক অসাধারণ উক্তি ভবিষ্যতেও পেতে পারেন। সো, স্টে টিউনড!
১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৫৮
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: বৃদ্ধ বয়সে সবাই একা। কারো তেমন সময় থাকেনা তাদের জন্য।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, রায়হানুল এফ রাজ। মানুষ একা এ জগতে আসে, একা হয়েই আবার পরের জগতে ফিরে যায়। এটাই বাস্তবতা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
১৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
সোহাগ সকাল বলেছেন: ছবি আর ক্যাপশন, সবই অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভ কামনা রইলো।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবি আর ক্যাপশনের প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম। আপনার প্রথম পোস্টটা পড়ে আসলাম। সেটার শিরোনামটাও (চিত্তবিলাপ) সুন্দর হয়েছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। মা চলে যাওয়ার পর আমার রিটায়ার্ড বৃদ্ধ বাবাও খুব একাকী জীবন যাপন করেন। রান্নার লোক,কাজের লোকদের সাথে কতক্ষন কথা বলা যায়। তিনি পশ্চিম বাংলার এক মফস্বল শহরে , আমি কর্ম সূত্রে মুম্বাইএ - মাঝে ২০০০ k.m দূরত্ব। আমার সেখানে বছরে দু -এক বারের বেশি যাওয়া হয় না , তাঁর মুম্বাইয়ের কর্ম ব্যস্ত জীবন এবং ফ্ল্যাটের ছোট পরিসর ভালো লাগে না। তাই যোগাযোগ সপ্তাহে কয়েকবার ফোন।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের বৃদ্ধ বয়েসটা বেশ কষ্টের, এবং তা আরও বেশী যদি সঙ্গীবিহীন কাটাতে হয়। ছেলেমেয়েরা থাকলেও কোন লাভ হয়না, কারণ আজকাল বৃদ্ধ বাবা মায়ের সাথে ছেলে, ছেলের বৌয়েরা মিলে মিশে থাকতে পারেনা। তবে নাতি নাতনিরা সাথে থাকলে দুঃখ অনেকটা ভুলে থাকা যায়। নাতি নাতনির জন্য দাদা দাদী কিংবা নানা নানীর টানটা মারাত্মক গভীর। এ বিষয়ের উপর আমার মায়ার বাঁধন লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন।
আমার এ লেখাটা পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৪
করুণাধারা বলেছেন: জীবনের জার্নাল - খুঁজতে গিয়ে এই পোস্টে এসে আটকে গেলাম। আগেও কোন এক পোস্টে মায়ের প্রতি আপনার ভালবাসার প্রকাশ দেখেছি। এটা আজকাল দেখা যায় কম। আপনার এই উত্তম কাজের উত্তম প্রতিদান আল্লাহ নিশ্চয় আপনাকে দেবেন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালই হয়েছে, আপনি এখানে আটকে গেছেন। সেই সুবাদে আমারও পোস্টটা আবারও পড়া হলো। কিছু পাঠকের মন্তব্যও পুনর্বার পড়ে খুব ভাল লাগলো, যারা এখন আর অনেকদিন ধরে আমার কোন লেখায় মন্তব্য করছেন না।
জীবনের জার্নাল বইটির নাম। সেটা এখানে সিরিজ আকারে প্রকাশিত হয়েছে "আমার কথা" নামে। প্রথমটা প্রকাশিত হয়েছিল ০৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ আপনার শুভকামনার জন্য এবং পুরনো একটি পোস্টে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
১৯| ৩০ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: শেষ বয়সের নিঃসঙ্গতা বড় কষ্টকর। একটু কম বয়সে চলে যাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার মনে হয়।
০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক পুরনো একটা লেখা বের করে এনে পড়েছেন, সেজন্যে প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার প্রথম কথাটার সাথে সম্পূর্ণ একমত। দ্বিতীয় কথাটির প্রসঙ্গে শুধু এটুকু বলতে পারি- সর্বজ্ঞাত, পরম করুণাময় স্রষ্টা তার বান্দাকে ভালোবাসেন, আর বান্দার সার্বিক কল্যাণের জন্য যে সিদ্ধান্তটি প্রয়োজন, তাই দিয়ে থাকেন। বান্দাদের অনেকেই দীর্ঘ জীবন লাভ করে শেষ বয়সে এসে তাদের আমলসমূহ নষ্ট করে ফেলেন, আবার অনেকে শেষ বয়সে এসে সঠিক আমল এবং নিয়্যতের দ্বারা তাদের পূর্বের গুনাহ সমূহ মা'ফের সুযোগ পরিপূর্ণভাবে সদ্ব্যবহার করে থাকেন।
২০| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কত গোধূলীর ছবি পড়ে আছে। দেয়া আর হয় না
কী সুন্দর ছবিগুলো মায়াময় প্রকৃতি আমাদের
০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: গোধূলির ছবি সাধারণতঃ সুন্দর হয়ে থাকে, বিশেষ করে সূর্যাস্তের সময়ের। অভিধান মতে সূর্যোদয়ের প্রাক্কালের সময়টাকেও কিন্তু গোধূলি বলা যায়। সময় করে আপনার ছবিগুলোও খুঁজে বের করে একটা একটা করে দিতে থাকুন, সেই সাথে একটা একটা করে কবিতা।
মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ।
২১| ০৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:২২
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: বয়স এবং অভিজ্ঞতা আপনাকে ঋদ্ধ এবং সমৃদ্ধ করেছে।
"সর্বজ্ঞাত, পরম করুণাময় স্রষ্টা তার বান্দাকে ভালোবাসেন, আর বান্দার সার্বিক কল্যাণের জন্য যে সিদ্ধান্তটি প্রয়োজন, তাই দিয়ে থাকেন। বান্দাদের অনেকেই দীর্ঘ জীবন লাভ করে শেষ বয়সে এসে তাদের আমলসমূহ নষ্ট করে ফেলেন, আবার অনেকে শেষ বয়সে এসে সঠিক আমল এবং নিয়্যতের দ্বারা তাদের পূর্বের গুনাহ সমূহ মা'ফের সুযোগ পরিপূর্ণভাবে সদ্ব্যবহার করে থাকেন"
এই কথায় গভীর জীবনোপলব্ধির পরিচয় পাওয়া যায়।
একটা সময় ছিল যখন এক পাতা লজেন্স অথবা একটা আইসক্রিম জীবনের পরম পাওয়া ছিল । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবন সম্পর্কে ধারণা পাল্টায়। কিসে আমার ভালো, কিসে আমার মন্দ আমার প্রভুর চাইতে কে ভালো জানে? তিনি যা দেন, কৃতজ্ঞতার সাথে তা নেওয়ার মতো শক্তি আমাদের দিন, এই প্রার্থনা করি।
০৬ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আমার মন্তব্য থেকে উদ্ধৃতির জন্য।
"তিনি যা দেন, কৃতজ্ঞতার সাথে তা নেওয়ার মতো শক্তি আমাদের দিন, এই প্রার্থনা করি" - চমৎকার প্রার্থনা।
সুচিন্তিত, সুবিবেচিত মন্তব্য ও উপলব্ধি শেয়ার করায় প্রীত হ'লাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
প্রথমকথা বলেছেন:
আপনার লেখা পড়ে খুব মাকে মিস করছি, আপনার মায়ের দীর্ঘায়ু কামনা করি। আল্লাহ্ সহায়।