নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
তুমি আছো বলে দাঁড়িয়ে আছি।
তুমি চলে গেলেই পড়ে যাবো।
অবমুক্ত তুমি চলে যাবে উপরে,
অসাড় আমি প্রোথিত হবো নীচে।
তুমি রবে দৈব নিবাসে,
আমি ভূতলে, অতলে।
উভয়েই, দৈব-পার্থিব অতিন্দ্রীয়
পুনঃ মিলনের মরমি প্রতীক্ষায়।
পাদটীকাঃ আজ (২৭ জানুয়ারী ২০১৭) জুম্মার নামাজের খুৎবা শেষ হলে একামতের পর যখন নামাজের জন্য নিয়ত বাঁধবো, তখন মনে হলো যেন মাথায় একটা হাল্কা চক্কর অনুভব করলাম। ঐ অবস্থাতেই নিয়ত বাঁধলাম। আমি Supreme Sovereign এর সামনে দন্ডায়মান, পূর্ণ সমর্পিত। আমার সামনে ইমাম সাহেবের সুরেলা কন্ঠে ক্বিরাত চলছে। এখন আরবী কিছুটা হলেও বুঝি। ইমামের ক্বিরাতে শুধুই চলছিল প্রার্থনার আয়াত, সুরা আল ইমরান থেকে। আমার শাশুড়ী শবে মিরাজের রাত্রে নামাযে সিজদারত অবস্থায় ইন্তেকাল করেছিলেন। তাঁর কথা মনে হ’লো। আর আমি কল্পনায় আমার রূহের সাথে কথোপকথন শুরু করলাম, চললো গোটা নামায জুড়েই। এ কবিতায় সে কথোপকথনেরই কিছুটা অংশ উঠে এসেছে)।
ঢাকা
২৭ জানুয়ারী ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ধ্রুবক আলো, আমার এ মরমি লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য। প্লাসে এবং প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উভয়েই, দৈব-পার্থিব অতিন্দ্রীয়
পুনঃ মিলনের মরমি প্রতীক্ষায়।
চক্রাবর্তনের খেলা অনি:শেষ নি:ষেশিত হবার পূর্বপর্যন্ত-
তোমার আমার সখ্যতা
+++++
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কবিতাটি বুঝার সুবিধার্থে এর পটভূমি ব্যাখ্যা করে আজ একটি পাদটীকা জুড়ে দিলাম, যা কবিতার চেয়ে বড় হয়ে গেছে। তদুপরি পাদটীকাটুকু দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেছি।
কবিতায় দেয়া প্রথম প্লাসটা (+ +) আপনার, যারপরনাই অনুপ্রাণিত হলাম।
শুভেচ্ছা...
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১
এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: বাহ্ ! খুব সুন্দর কবিতা।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগল।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রীত হলাম।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: দুই ভূবনের দুই বাসিন্দার মীলন হবে কি উপায়ে?
হে কবি, এই প্রতীক্ষার অবসান কি হবে কোন কালে?
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: পরে কবিতায় একটা পাদটীকা জুড়ে দিয়েছি। সেখানে হয়তো কিছুটা পটভূমি ও ব্যাখ্যা পেতে পারেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর কবিতা।
কবিতাটি পাঠে মনে পরে গেল
কবিগুরুর নেই বিখ্যাত কবিতা-
এই করেছ ভালো, নিঠুর হে, নিঠুর হে, এই করেছ ভালো ।
এমনি ক'রে হৃদয়ে মোর তীব্র দহন জ্বালো ।।
আমার এ ধুপ না পোড়ালে গন্ধ কিছুই নাহি ঢালে,
আমার এ দীপ না জ্বালালে দেয় না কিছুই আলো ।।
যখন থাকে অচেতনে এ চিত্ত আমার
আঘাত সে যে পরশ তব, সেই তো পুরস্কার ।
অন্ধকারে মোহে লাজে চোখে তোমায় দেখি না যে,
বজ্রে তোলো আগুন ক'রে আমার যত কালো ।।
ধন্যবাদ শুভেচ্ছা রইল
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিগুরুর গানের সুন্দর কথাগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
প্রশংসায় এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর কবিতা।
কবিতাটি পাঠে মনে পরে গেল
কবিগুরুর সেই বিখ্যাত কবিতা-
এই করেছ ভালো, নিঠুর হে, নিঠুর হে, এই করেছ ভালো ।
এমনি ক'রে হৃদয়ে মোর তীব্র দহন জ্বালো ।।
আমার এ ধুপ না পোড়ালে গন্ধ কিছুই নাহি ঢালে,
আমার এ দীপ না জ্বালালে দেয় না কিছুই আলো ।।
যখন থাকে অচেতনে এ চিত্ত আমার
আঘাত সে যে পরশ তব, সেই তো পুরস্কার ।
অন্ধকারে মোহে লাজে চোখে তোমায় দেখি না যে,
বজ্রে তোলো আগুন ক'রে আমার যত কালো ।।
ধন্যবাদ শুভেচ্ছা রইল
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কবিতার বিষয়বস্তু অবশ্যই বাস্তবিক !তবে এখনই এত সব ভাবতে ভয় করে!
লাইক!
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে এখনই এত সব ভাবতে ভয় করে!:
তাই?
৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
অর্থপূর্ন ভিন্ন স্বাদের কবিতা!
ভাল থাকবেন প্রিয় কবি।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: @রানা আমান,
মন্তব্য করেন নি, কিন্তু 'লাইক' দিয়ে গেছেন। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২২
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমার কাছে কবিতা পড়ে মনে হয়েছে এতে প্রাণ/আত্মা ও শরীরের পুনঃমিলনের অপেক্ষার কথা বলেছে। যারা মৃত্যুর মাধ্যমে আলাদা হয়ে যাবে।
কবি লিখেছেনঃ-
তুমি আছো বলে দাঁড়িয়ে আছি।
তুমি চলে গেলেই পড়ে যাবো।
আমি যা বুঝেছি:- প্রাণ আছে বলেই দেহ বেঁচে আছে প্রাণ চলে গেলেই মরে যাবে/পড়ে যাবে।
কবি লিখেছেনঃ-
অবমুক্ত তুমি চলে যাবে উপরে,
অসাড় আমি প্রোথিত হবো নীচে।
তুমি রবে দৈব নিবাসে,
আমি ভূতলে, অতলে।
আমি যা বুঝেছি:- মরনের পরে অবমুক্ত প্রাণ স্বর্গ বা উর্ধাকাশের কোথাও চলে যাবে আর শরীর যাবে মাটির নিচে
কবি লিখেছেনঃ-
উভয়েই, দৈব-পার্থিব অতিন্দ্রীয়
পুনঃ মিলনের মরমি প্রতীক্ষায়।
আমি যা বুঝেছি:- দুজনেই থাকবে পুনঃমিলনের অপেক্ষায়।
একারনেই আমি বলেছিলাম এখনই এত সব ভাবতে ভয় করে। আচ্ছা আমি কি ঠিক বুঝেছি?
আপনার প্রতি উত্তরে তাই কথাটা বলার পরে একটা প্রশ্ন সূচক চিহ্ন রয়েছে সে কারনেই এই মন্তব্যটা করা!!!!
ভালোথাকবেন !
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি সবকিছুই ঠিকভাবেই বুঝেছেন এবং উদ্ধৃতাংশের ব্যাখ্যাগুলোও ঠিকমতই করেছেন। তবে আপনি যেটাকে প্রাণ বলেছেন, আমি সেটাকে বলতে চাই রূহ।
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: প্রতিউত্তর করায় আপনাকেও ধন্যবাদ!
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন:
১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩
প্রামানিক বলেছেন: উভয়েই, দৈব-পার্থিব অতিন্দ্রীয়
পুনঃ মিলনের মরমি প্রতীক্ষায়।
সবার ভাগ্য এমনই হবে। চমৎকার আধ্যাত্মিক কবিতা। খুব ভালো লাগল।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনবদ্য লেখাখানি, খুব ভালো লাগলো +++