নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইমেলার টুকিটাকি-৩

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

বই মেলার টুকিটাকি-৩

গতকাল ছিল “অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৭” এর শেষ দিন। বেলা একটার দিকে বন্ধু লুৎফুল কবীর মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলো, আমি তো তোমার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে, কিন্তু তুমি কোথায়? আমি ততক্ষণে কাছাকাছি চলে এসেছি, শাহবাগ মোড়ে। বললাম, আর দশ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাব। কবীর এর আগে একদিন এসে আমার বই “প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয়েই” এর একটি কপি কিনে নিয়ে গিয়েছিল। সে আমার অন লাইন লেখালেখির একজন আগ্রহী পাঠক। যা কিছুই লিখি, তা পাঠ করে দুটো কথা বলতে সে কখনো ভুল করেনা। গতকাল এসেছিলো মূলতঃ আড্ডা দিতে। দেখা হলো, একসাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ আলাপ হলো। তারপর সে বাঙলা একাডেমী প্রাঙ্গণে চলে গেল, লিটল ম্যাগ চত্বরে। এর পর এলো আমার প্রায় সব লেখায় উৎসাহ দিয়ে যাওয়া বন্ধু দম্পতি জাহাঙ্গীর এবং ফেরদৌসী। ওরা গত বছরেও বই মেলায় এসে আমার বই কিনে নিয়ে যায়। ওরা এক ভীষণ রোমান্টিক জুটি। প্রথমে যখন আমার স্টলে এসেছিল আমি তখন একটু দূরে অন্য এক স্টলে ছিলাম। ওদের ফোন পেয়ে বললাম, আমি আসছি। কিন্তু ওরা বললো, না, তুমি বরং একটু পরেই আসো, আমরা একটু ঘোরাঘুরি করে আবার আসবো। ঠিকই তারা কিছুক্ষণ পরে আবার আসলো, হাতে ধরা কিছু সদ্য কেনা পছন্দের বই। ওরা আগ্রহভরে আমারটাও একটা নিল। অটোগ্রাফ দিলাম, ছবিও তুললাম। রাতে বাসায় ফিরে দেখি সে ছবি ইতোমধ্যে ফেইসবুকে আত্মপ্রকাশ করেছে। খুশী হলাম।

এর পরে এলো আমার কিশোর বেলার বন্ধু ড. শরীফ হাছান। আমি বেশ গর্ব ভরে বলতে পারি, পৃথিবীতে যত ভাল মানুষ আছে, তাদেরকে কয়েকটি কাতারে দাঁড় করালে শরীফ থাকবে একেবারে প্রথম কাতারে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করা শরীফ তার সারল্যের জন্য ডাক্তারী পেশার বন্ধুমহলে “শিশু” নামে পরিচিত। এমনকি ছোট বড় অনেকেই ওকে ড. শিশু নামেই চেনে। ওরা ভাবে, শিশু হয়তো তার মা বাবার দেয়া ডাক নাম। আমি নিশ্চিত, শুরুতে বলা আমার স্টেটমেন্ট টা যারা একবার ওর সংস্পর্শে এসেছে, তারা সবাই একবাক্যে তা স্বীকার করবে। ও আমার লেখালেখি সবই পড়ে, কিন্তু অন লাইন কিছু বলে না। সামনা সামনি হলে অনেক কথাই বলে। আমি ওর প্রতিটি কথারই খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকি। পেশায় ডাক্তার (প্লাস্টিক সার্জন) হলেও সে সাহিত্য শিল্পের একজন অনুরাগী পাঠক ও সমঝদার। ও আসার পর ওর সাথে ঘোরাঘুরি শুরু করলাম, সাথে লাগামহীন গল্প। এক সময় আসরের নামাযের ওয়াক্ত হয়ে এলে ওকে নিয়ে মেলার অস্থায়ী মাসজিদে গেলাম নামায পড়তে।

“বই মেলার টুকিটাকি-১” এ এর আগেও আমি বলেছিলাম, বইমেলার সবচেয়ে neglected corner ছিল মুসল্লীদের নামায পড়ার স্থান। সবচেয়ে বেশী অব্যবস্থাপনা সেখানে ছিল। সেখানে ঢোকার আগেই বন্ধুকে বলছিলাম, জানো, চুরির জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হচ্ছে মুসলমানদের প্রার্থনার জায়গা মাসজিদ। আর কোন ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনার জায়গা থেকে জুতো, স্যান্ডেল, ফোন ইত্যাদি চুরি যায় বলে আমি শুনিনি। কিন্তু এখান থেকে প্রতি ওয়াক্ত নামাযে মুসল্লীদের কয়েক জোড়া জুতো চুরি যায়। অথচ একেবারে পাশেই ৫/৬ টা পুলিশ বসে বসে ঝিমোতে থাকে। আমি নামাযে দাঁড়ানোর আগে একবার ভাবলাম, হাতের ব্যাগটা থেকে সদ্য কেনা দুটো বই বের করে রেখে সেখানে আমার জুতো জোড়া ঢুকিয়ে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে নামায পড়বো, তার পাশেই ব্যাগটা রাখি। কিন্তু বই এর ব্যাগে জুতো রাখতে ইচ্ছে হলোনা। একটা কোণায় আমার বই এর ব্যাগ আর জুতো দুটো রেখে পরখ করে দেখলাম, কাপড় ঘেরা স্থানটিতে কাপড়ের নীচ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে কোন চোর ওগুলো নিয়ে যেতে পারবে কিনা। দেখলাম, সেটা সম্ভব নয়, তাই নিশ্চিন্তেই জামাতে দাঁড়িয়ে গেলাম। নামায পড়ে উঠে দেখি, আমার বই এর ব্যাগটা আছে ঠিকই, কিন্তু জুতো জোড়া নেই। বুঝলাম, আমাদের মতই নামাজীর ভেকধারী কেউ নামায পড়তে এসে নামায শেষ হবার আগেই জুতো জোড়া পায়ে দিয়ে চম্পট দিয়েছে। আরো বুঝলাম, চোরেরা বই পড়ে না, কিন্তু জুতো পরে। :)

জুতো খুইয়ে বেশ বিব্রত বোধ করছিলাম। মাসজিদ থেকে খালি পায়েই বের হয়ে হাঁটা শুরু করলাম। আমার এ অবস্থা দেখে ড. শরীফ আমার সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্য তার জুতো জোড়া খুলে হাতে নিলো। এ কাজ করা থেকে কিছুতেই তাকে নিবৃত্ত করতে পারলাম না। আমার তো পা খালি, হাতও খালি। ওর পা খালি কিন্তু হাতে জুতো ঝুলছে! আমার চেয়ে ওর অবস্থাটা আরো বেশী বিব্রতকর। কিন্তু ও কিছুতেই কিছু শুনবেনা। ও বারবার হাসছিলো আর বলছিলো, খায়রুল, তুমি মাসজিদে ঢোকার আগেই যে কথাটা বলেছিলে, চোর ব্যাটা বোধ হয় সেটা শুনেছিলো। তাই সে তোমাকে দিয়েই তোমার কথার সত্যতা প্রমাণ করে ছাড়লো। হাঁটতে হাঁটতে পথে দেখা হলো কর্নেল বোরহান এর সাথে। উনি কয়েকদিন আগে আমার বইটা কিনেছিলেন যখন আমি স্টলে ছিলাম না। ওনার সাথে আগেই কথা হয়েছিলো, উনি আজ মেলায় আসবেন বইটা নিয়ে, অটোগ্রাফ নিবেন এবং সেই সাথে আমার কেনা ওনার একটা বই এ অটোগ্রাফ দিবেন। আমাকে খালি পায়ে দেখে উনি দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং জানালেন যে গত বছর ওনারও ঠিক একই অবস্থা হয়েছিল। ওনার ড্রাইভার গাড়ীতে রাখা এক জোড়া স্পেয়ার স্যান্ডেল এনে দিয়েছিলো বটে, কিন্তু রাগে ও প্রতিবাদে উনি সেটা না পড়ে সারাটা মেলা খালি পায়েই ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। অবশ্য এটাও জানালেন যে রাতে পায়ের তলায় ভীষণ ব্যথা হয়েছিলো ( :) )! আমিও বেশ টের পাচ্ছিলাম যে ইট বিছানো পথে এভাবে বেশীক্ষণ হাঁটা যাবেনা। আমার স্টলের সামনে “ভোরের শিশির” এর স্টলের চপলকে জিজ্ঞেস করলাম নিকটতম জুতোর দোকান কোথায় হবে। তাকে জিজ্ঞেস করার কারণ, মেলা নিয়ে এবং আমার বই এর প্রচ্ছদ আঁকা নিয়ে এই এক মাসে ওর সাথে আমার এক বিশেষ সখ্যতা গড়ে ঊঠেছে। চমৎকার একজন মানুষ, ওর সময় জ্ঞান এবং সততার প্রমাণ পেয়ে আমি রীতিমত মুগ্ধ হয়েছি। ও বললো নীলক্ষেত যেতে। রওনা হলাম খালি পায়েই। ও পেছন থেকে ভাইয়া বলে ডাক দিলো। বললো, আমার কাছে সব সময় নামাযের জন্য এক জোড়া স্যান্ডেল স্পেয়ার থাকে। এই বলে এক জোরা স্যান্ডেল এগিয়ে দিয়ে বললো, আপনি জুতো কিনে নিয়ে এসে ফেরত দিয়ে গেলেই হবে। কোন সমস্যা নেই। আমি স্যান্ডেল জোড়া পড়লাম, শরীফও এবারে তার জুতো জোড়া পায়ে দিল।

একটা রিক্সায় চেপে আমরা চালককে নীলক্ষেত যেতে বললাম। রিক্সাওয়ালা জিজ্ঞেস করলো, নীলক্ষেতের কোথায়? আমরা বললাম, যেকোন একটা জুতোর দোকানে। দেমাগী রিক্সাওয়ালা ফট করে রিক্সার হ্যান্ডেল ঘুড়িয়ে শাহবাগের মোড়ের দিকে যেতে শুরু করলো। আমরাও ওকে আর বেশী না ঘাটিয়ে নিজেদের গল্পে মশগুল হ’লাম। বাটা মোড় থেকে এক জোড়া জুতো কিনলাম। ফিরে আসবো, এমন সময় মাগরিবের নামাযের আযান দিল। আমরা নিকটস্থ একটা মাসজিদে নামায আদায়ের জন্য প্রবেশ করলাম। এখান থেকেও সদ্য কেনা জুতো জোড়া চুরি হয়ে যেতে পারে, এমন একটা মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই নামাযে মনোনিবেশ করলাম। নামায শেষে আর বই মেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। আমরা দু’বন্ধু একটা ছোট্ট ফাস্ট ফুডের দোকানে ঢুকে গরম গরম জিলাপী, সিঙ্গারা, পনির সমোচা আর কফির অর্ডার দিলাম। সেখানে চেয়ার ছিল মোট তিনটে, তার মধ্যে দুটো অকুপায়েড। খালি চেয়ারটাতে বসার জন্য শরীফকে অনুরোধ করলাম। কিন্তু সে আমাকে দাঁড়িয়ে রেখে নিজে ওখানে বসবেনা। অগত্যা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই আমরা গল্প আর খাওয়া, দুটোই চালিয়ে গেলাম। খাওয়া শেষে যে যার পথ ধরলাম। শরীফ বললো সে ধানমন্ডির ল্যাব এইডে যাবে একজন পরিচিত ব্যক্তির অসুস্থ বাবাকে দেখতে, আর আমি একটা রিক্সা নিয়ে বইমেলায় ফিরে এলাম। এসে দেখি তিনজন তরুণী কয়েকটা বই হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তা তাদের আলাপচারিতায় বুঝলাম। ওদের একজনের হাতে আমার বইটাও ছিল। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে দাড়িয়েই দু চারটে কবিতার উপর চোখ বুলিয়ে নিলেন। আমার সাথে চোখাচোখি হওয়াতে তাকে জানালাম, আমিই এ বই এর লেখক। উনি সাথে সাথে সেলসম্যানকে মেমো কাটতে বললেন এবং তার কলমটা এগিয়ে ধরে আমার একটা অটোগ্রাফের জন্য অনুরোধ করলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে পড়া মালিহা তাসনীমকে ধন্যবাদ জানিয়ে অটোগ্রাফ দিয়ে আমি বললাম, উনিই এবারের বইমেলায় আমার বই এর সর্বশেষ ক্রেতা।

ঢাকা
২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭



আদি ও অকৃত্রিম বন্ধু ড. শরীফ হাছান, আমার বই হাতে।

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২১

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: সুন্দর একটা বিস্তারিত পোষ্ট।জুতা হারানোর ব্যাপারটা দুঃখজনক হলেও আমার হাসি পাচ্ছিলো।যাই হোক,পরেরবার জুতা সাবধানে রাখবেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: জুতা হারানোর ব্যাপারটা দুঃখজনক হলেও আমার হাসি পাচ্ছিলো- আমি জানি, ব্যাপারটা অনেকেরই হাসির খোরাক হবে। কেউ কেউ হাসতে হাসতে ফিট লেগে যেতেও পারেন। তারপরেও অকপটে লিখেছি, কারণ ব্যাপারটাতে আমিও মুখ টিপে কম হাসিনি।
বাঙালীদের এই হাসাহাসির ব্যাপারে কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন ধরুন, বৃষ্টির দিনে পিচ্ছিল রাস্তায় কেউ একজন পা পিছলে ধপাস করে পড়ে গেল, আর তা দেখে পাশে দাঁড়ানো কি ছেলে কি বুড়ো সবাই একযোগে হেসে উঠলো। তারপর হয়তো তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসবে, কিন্তু একচোট না হেসে নয়। আর এহেন পতন পটিয়সী যদি একজন মহিলা হন (আল্লাহ না করুক), তা'হলে তো কথাই নেই। সে বেচারীর কয়েক সপ্তাহের ঘুম হারাম হয়ে যাবে।

যাই হোক,পরেরবার জুতা সাবধানে রাখবেন - এ বারেও খুব সাবধানেই রেখেছিলাম :) । কিন্তু নামায বাদ দিয়ে তো আর জুতোর দিকে তাকিয়ে থাকা যায় না, আর জুতো জোড়া চোর নিয়ে যাচ্ছে, এটা স্বচক্ষে দেখলেও তো আর নামায ছেড়ে চোরের পিছু ধাওয়া করা যায় না। এটা জুতো চোর ব্যাটারা বেশ ভাল করেই জানে!!!

আমার কোন কবিতায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন। আমার লেখায় আপনাকে সুস্বাগতম!
প্রশংসায় প্রীত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: জন্যঃ আমার কোন কবিতায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন- -
পড়ুনঃ আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?

আপনি বই মেলাটিকে খুব উপভোগ করেন।
আপনার এই ব্যাপারটিকে আামর খুব ভাল লাগে।

শুভকামনা রইল।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ কবি, আপনার এ ছোট্ট প্রশ্নটা আমাকে স্পর্শ করে গেল! আজকাল কে কেমন আছে তার খোঁজ কে কোথায় রাখে, শুধু আপনাদের মত সজ্জন মানুষ ছাড়া! আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব, খুব ভাল আছি।

অনেকদিন হলো আমি আপনার ব্লগে যাইনি। কিন্তু আমি যাই বা না যাই, আপনি ঠিকই আমার লেখায় এসে মন্তব্য করে যান। আপনার এ উদারতায় আমি বিনম্র হয়ে যাই।

আসলেই আমি বইমেলাটিকে ভীষণ উপভোগ করি। লেখকদের একটা আলাদা ভ্রাতৃত্ববোধ আছে। লেখকদের মনন ও মৌলিকতা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। কিছু কিছু অনুভূতি আছে যা প্রকাশ ও উপলব্ধির জন্য অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের চেয়েও সহব্লগার বা লেখক লেখিকাদেরকে আপন মনে হয়।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: গতকাল যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু হরতাল অবরোধের কারণে যেতে পারিনি, কিছুটা খারাপও লেগেছিলো। আবার ১১ মাস পর বইমেলা হবে। অনেক দিন

আপনার জুতো চুরির ঘটনাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। যায় হোক ভাই, মাফ করে দিয়ে ভুলে যান।
বই থেকে চারটা কবিতা পড়েছি, অনবদ্য। বাকি গুলো সময় লাগিয়ে পড়বো। সময় নিয়ে আমি না পড়লে অন্তর্ণহিত অর্থ বুঝিনা।

আবারও শুভ কামনা জানাই, ভালো থাকবেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: গতকাল তোমার কথা মনে হচ্ছিলো। আসো নাই দেখে বুঝেছিলাম, হয়তো কোন অসুবিধা হয়েছিলো। আমার অকিঞ্চিৎকর লেখার প্রতি তোমার এতটা আগ্রহ দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।

আপনার জুতো চুরির ঘটনাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো- এটা হয়েই থাকে। নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। একবার পর পর চার শুক্রবারে পালা করে আমি আর আমার তিন ছেলে মাসজিদে জুতো হারিয়ে খালি পায়ে বাসায় ফিরেছিলাম। এ নিয়ে ঘরের গৃহিনীর বকা ঝকা আমরা চার জনেই নীরবে মুখ বুঁজে সয়ে গেছি। :)

বই থেকে চারটা কবিতা পড়েছি, অনবদ্য -- অনেক ধন্যবাদ এ প্রশংসাটুকুর জন্য। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

বাকি গুলো সময় লাগিয়ে পড়বো। সময় নিয়ে আমি না পড়লে অন্তর্ণহিত অর্থ বুঝিনা। - ঠিক, ঠিক। সময় নিয়েই কবিতা পড়া উচিত। তোমার এ প্রচেষ্টার কথা জেনে ভাল লাগলো।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

শায়মা বলেছেন: ১. ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২১ ১
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: সুন্দর একটা বিস্তারিত পোষ্ট।জুতা হারানোর ব্যাপারটা দুঃখজনক হলেও আমার হাসি পাচ্ছিলো।যাই হোক,পরেরবার জুতা সাবধানে রাখবেন।


যাক বাবা আমি ভেবেছিলাম আমিই একমাত্র বেয়াক্কল বেহাইয়া কারো জুতো চুরি শুনে হাসি পায়!!!!!! তবে চোর ধরার জন্য এরপরের বার বইমেলায় নতুন ক্রিয়েটিভ অভিযান চালানো যেতে পারে ভাইয়া!!!!!


তবে পুরো পোস্ট পড়ে বুঝলাম তোমার বন্ধুরা আর আশেপাশের মানুষরা সোনা আর হীরে দিয়ে গড়া মনের মানুষ! তোমার মতনই ভালোমানুষ ভাইয়ামনি!!!!!!!!! :)


অনেক অনেক অনেক ভালোবাসা!

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এই পোস্টটা পড়ে কে সবচেয়ে বেশী হাসতে পারে, সে ব্যাপারে একটা ধারণা তো ছিলই! :)
সেকেন্ড, থার্ড কে হবে, তাও জানি... :)

তবে চোর ধরার জন্য এরপরের বার বইমেলায় নতুন ক্রিয়েটিভ অভিযান চালানো যেতে পারে ভাইয়া!!!!! -- কোন ক্রিয়েটিভ অভিযানেই লাভ হবে বলে মনে হয়না। মাসজিদের জুতো চোর আর সামু'র লেখা চোরদের মাঝে কি কোন তফাত আছে?

তবে পুরো পোস্ট পড়ে বুঝলাম তোমার বন্ধুরা আর আশেপাশের মানুষরা সোনা আর হীরে দিয়ে গড়া মনের মানুষ! -- যার কথা এখানে বলেছি, সে আসলেই একজন খুবই, খুবই ভাল মানুষ। রাত তিনটের সময়ও যদি কেউ তার কাছে কোন সাহায্য প্রত্যাশা করে, তবে তাকে কেউ ঘরে আটকে রাখতে পারে না। শিশুদের মত হাসে, শিশুদের মতই পাগলামী করে মাঝে মাঝে। দ্ব্যর্থহীনভাবে সেল্ফলেস!!!

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমি কালকে রাস্তায় একদল লোকের মারামারি দেখে ভয়ে তড়িঘড়ি গাড়িতে উঠতে গিয়ে ধুপ্পুস করে হোচট খেয়ে পড়েছিলাম!!!!!!!!!! হাত থেকে ব্যাগ, খাতা , ফোন সব পপাৎ ধরণীতল!!!!!!!!!


অবশ্য এমন পড়া আমি প্রায়ই পড়ি!!!!!!!! আমার অভ্যাস হয়ে গেছে!!!!!!!!! আর অন্যে হাসবে কি ! নিজেই যা হসি শুরু করি অন্যেরাই লজ্জা পেয়ে যায় আর হাসতেও ভুলে যায়!!!!!!! :P

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: :) :) :) :) :)
আশে পাশে কে কে ছিলো? দিনের সেরা বিনোদনটুকু উপহার দেয়ার জন্য ওদের কেউ কি আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলো?
না জানালে ওদের হয়ে আমিই ধন্যবাদ জানাচ্ছি... :) :)

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: জুতা ক্যালেঙ্কারি

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সে এক কেলেঙ্কারীই বটে!

৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার তো পা খালি, হাতও খালি। ওর পা খালি কিন্তু হাতে জুতো ঝুলছে! আমার চেয়ে ওর অবস্থাটা আরো বেশী বিব্রতকর।
জুতা ছিড়লেও এই অবস্থা হয়।
এই জায়গাটায় মজা পেয়েছি

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মজা পেয়েছেন জেনে খুশী হলাম। সামান্য একটা লেখা দিয়েও যদি কাউকে মজা দেয়া যায়, সেটা খুশীর ব্যাপারই বটে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো...

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

বিজন রয় বলেছেন: লেখকদের একটা আলাদা ভ্রাতৃত্ববোধ আছে।............. আমি সম্ভবত এই বোধের টানেই দিশেহারা থাকি। তাই কোন লেখক পেলে আর তাকে ছাড়তে চাই না। আর তিনি যদি লেখক সত্ত্বার সাথে সাথে ভাল মানুষ হন তো আর কোন কথাই নেই।

ব্লগে আপনি আমার কাছে শুধু লেখক নন, একজন ভাল মানুষও, যার আচরন, বিচরণ হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
আপনি অনেক দায়িত্ববান যে কিনা সবসময় মানবিক বলয়ে থাকতে ভালবাসেন।

একদিন অবশ্যই আপনার সাথে দেখা হবে।
শুভকামনা নিরন্তর।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এমন হৃদয় ছোঁয়া মন্তব্যের জন্য।
একদিন অবশ্যই আপনার সাথে দেখা হবে -- আমিও আশাকরি নিশ্চয়ই হবে।
ভাল থাকুন। শুভকামনা...

৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

নিষ বলেছেন: হাঁটতে হাঁটতে পথে দেখা হলো কর্নেল বোরহান এর সাথে। উনি কয়েকদিন আগে আমার বইটা কিনেছিলেন যখন আমি স্টলে ছিলাম না। ওনার সাথে আগেই কথা হয়েছিলো, উনি আজ মেলায় আসবেন বইটা নিয়ে, অটোগ্রাফ নিবেন এবং সেই সাথে আমার কেনা ওনার একটা বই এ অটোগ্রাফ দিবেন। আমাকে খালি পায়ে দেখে উনি দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং জানালেন যে গত বছর ওনারও ঠিক একই অবস্থা হয়েছিল।

ভাইয়ের কথাগুলো পড়বার সময় খুব মজা পাচ্ছিলাম।

আপনার ইমেইল/ফোন যেকোন একটা কিছু দিলে কৃতার্থ থাকব। বইমেলায় কিনতে পারিনি যেহেতু অর্ডার করে কিনতে চাই। পদ্ধতি বলে দিলেই হবে।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার ই-মেইল ঠিকানা ব্লগে "আমার পরিচয়"- এ আছে। আপনার পূর্ণ ঠিকানাটা সেলফোন নম্বর সহ দিলে আমি কুরিয়ারে করে পাঠিয়ে দিতে পারি।

আর আপনি যদি ঢাকায় থেকে থাকেন, এবং আপনার বাসার বা কর্মস্থলের ঠিকানাটা যদি আমার দৈনন্দিন যাওয়া আসার পথে পড়ে, তবে তা হাতে হাতেও দিয়ে আসতে পারি। তাই আপনার বাসা এবং অফিস, দুটোই কোন এলাকায়, তা মেইলে জানাতে পারেন।

আমার সব অবিক্রীত বই আমি প্রকাশকের কাছ থেকে নিয়ে এসেছি। এখন, আজ থেকে প্রকাশকের কাছে আর কোন বই পাওয়া যাবে না।

আমার বই এর প্রতি আপনার আগ্রহ প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি। শুভেচ্ছা জানবেন।

১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

শায়মা বলেছেন: আরে না ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!

সবাই গন্ডগোল ফেলে আমাকে উদ্ধার করতে ছুটে আসছিলো !!!!!!!!!

আমি তার আগেই নিজেকে উদ্ধার করে গাড়ির ভেতরে ফেলে দিলাম!!!!!!! :P

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবাই গন্ডগোল ফেলে আমাকে উদ্ধার করতে ছুটে আসছিলো -- হাততালি কেউ দেয় নাই?? ব্যতিক্রমী দাঙ্গাবাজ বটে! :)
আমি তার আগেই নিজেকে উদ্ধার করে গাড়ির ভেতরে ফেলে দিলাম!- আর আসার পথে একা একাই হাসতে থাকলাম!!! :)

১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ২৭ তারিখ মেলায় গিয়েছিলাম আপনার সাথে দেখা হবে আশা করেছিলাম, তা আর হয়নি, তবে আপনার
বইটা নিয়ে এসেছি।

০১ লা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ২৭ তারিখেও আমি মেলায় গিয়েছিলাম। মিস হয়ে গেছে বোধ হয় একটুর জন্য।
বইটা নিয়ে এসেছি -- আমাকে না পেয়েও বইটা নিয়ে এসেছেন, সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইলো...

১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বইমেলায় অনেক কিছুই ঘটছে দেখা যায়, আপনার স্মৃতিতে নতুন অধ্যায় যোগ হলো!
মনে হচ্ছে, আপনি বড় মাপের মডেল, মালিহা তাসনীম আগামী মেলায়ও আসার সম্ভাবনা।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার স্মৃতিতে নয় শুধু, মনে হচ্ছে আপনার স্মৃতিতেও। এত এত লোকের নামোল্লেখ করলাম, তাদের মধ্যে এক্কেবারে শেষের ঐ নামটাই আপনার মনে ধরলো??? :)
আমিও আশাকরি মালিহা তাসনীম আগামী মেলায়ও আসবেন, এভাবে আসতে আসতেই একদিন তিনি নিজের বই এর ডালা মেলে ধরবেন। কারণ তিনি একজন পাঠক। পাঠক হয়েই লেখক হতে হয়। নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে যারা কোন অখ্যাত কবি বা লেখকের বই কেনেন, তারা পড়তে ভালবাসেন বলেই তা করে থাকেন। আর যারা পড়তে ভালবাসেন, তাদেরই ক্রমান্বয়ে লেখক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

১৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

সুমন কর বলেছেন: আপনার টুকিটাকি গল্প ভালো লাগল। বর্ণনার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম, আপনার বন্ধু শরীফ একজন ভালো মনের মানুষ।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়েছেন বলে ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
আমার বন্ধু শরীফ আসলেই একজন শরীফ লোক।

১৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: জুতা চুরির অভিজ্ঞতাটা খুবই দুঃখজনক! একবার আমারও ঐ ধরনের অভিজ্ঞতা হইছিল। তখন সম্ভাবত ক্লাস সেভেন অথবা এইট-এ পড়ি! তো একদিন এশার নামাজ পড়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি আমার জুতা নাই! এত খুঁজলাম তাও পাইলাম না! :(

মেজাজটা এত পরিমাণে খারাপ হয়ে গেল! আসলাম মসজিদে ইবাদত করতে, অথচ ফিরে যাইতেছি মন খারাপ করে! ভাবলাম এর একটা শিক্ষা দেওয়া উচিৎ! পূর্বেও বহুবার জুতা চুরি হইছে, অথচ মসজিদ কমিটি জুতা রাখার জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থাই করেনি (জুতা রাখতে মসজিদের ভিতরে যে বক্সগুলো থাকে তেমন কিছু বুঝিয়েছি)!

তো পরদিন এসে সবাই যখন নামাজে দাঁড়াইছে, তখন আমি পিছনের সারি থেকে চুপিচুপি বাইরে এসে কেবল ইমাম আর মুয়াজ্জিনের জুতো ছাড়া বাকি সব জুতা এক সাথে করে উঠিয়ে নিয়ে পাশের নদীতে ফেলে দিয়ে আসলাম! আর আমার জুতোটা সেরে রাখলাম পাশের ঝোঁপের মধ্যে!

তারপর ভাল মানুষের মত ফিরে এসে নামাজে দাঁড়াইলাম! কিন্তু নামাজ শেষ করে সেকি হৈচৈ! সবার মুখে একটাই রব- 'জুতা কই জুতা কই!' এমন কি আমিও (যাতে বাকিরা বুঝতে না পারে)! ;)

আর পরদিনই মসজিদ কমিটি ঐ জুতা রাখা বক্স নিয়ে আসলো বেশ কয়েকটা, যাতে জুতা গুলো নিজেদের আয়ত্ত্বের মধ্যে রাখা যায়! যদিও বিষয়টা এখন ভাবলে খুব খারাপ লাগে! একজনের দোষে সবাই দোষী হইলো সেজন্য!

যাহোক, আপনার টুকরো স্মৃতি ভাল লাগলো! শুভ কামনা জানবেন!

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
মসজিদ কমিটিকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য সাহসী সন্তান এর নেয়া সাহসী পদক্ষেপটার কথে পড়ে বেশ হাসলাম। মাঝে মাঝে এ ধরণের পদক্ষেপের প্রয়োজন হয় বৈকি! :)

১৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২০

আহা রুবন বলেছেন: মেলার বর্ণনা পড়তে বেশ ভাললাগছিল । জুতা চুরির অংশটুকুতে কষ্ট ও মজা দুটোই পেয়েছি। প্রামানিক ভাই সঙ্গে থাকলে ভাল একটা ছড়া পেতাম।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঐদিন আসরের ওয়াক্তে আমারটা ছাড়াও আরো দু'জনের জুতা চুরি হয়েছিলো। প্রতি ওয়াক্তেই এরকমভাবে কয়েকজনের জুতা চুরি যাওয়াটা এক ধরণের নিয়মে পরিণত হয়েছিলো। এ বিড়ম্বনা কেবল ভুক্তভোগীরাই বোঝে। অন্যরা মুখ টিপে হাসে। তারাও একদিন এই দুষ্কর্মের শিকার হয়।
প্রামানিকের লেখা অনেকদিন ধরে দেখি না। আশাকরি তিনি ভাল আছেন।

১৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫২

ওমেরা বলেছেন: ছোট বেলায় আমি একবার জুতা চোরকে গনপিটুনি দিতে দেখেছিলাম । চোরেরা বই পড়ে না জুতা পরে খুবই মজা পেলাম । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যটি পড়ে আমার নিজেরই একটা ভুল চোখে পড়লো। সেটা হচ্ছে-- চোরেরা বই পড়ে না, কিন্তু জুতো পরে। এখানে পরের 'পরে'টাকে ভুল করে 'পড়ে' লিখেছিলাম। আপনার শুদ্ধ বানানটা দেখে নিজের ভুলটাকে সম্পাদনা করে নিলাম। ধন্যবাদ এটার জন্যেও।

১৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জুতা চুরি হওয়া এক বিব্রতকর অভিজ্ঞতা।
একবার দুলাভাই সম্পর্কিয় এক জনের মসজিদ থেকে জুতা চুরি হয়। ক্ষমতাবান বিধায় আফসোসকারীর অভাব নাই। এর মধ্যে আমি বললাম- সম্ভবত আসছে যেইভাবে গেছে সেই ভাবে-----
হাসির বিরাট রোল উঠেছিল।
বইমেলার টুকরো স্মৃতি নিয়ে চমৎকার পোস্ট। উদ্বুদ্ধ হচ্ছি নিজেও কিছু লিখতে।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: জুতা চুরি হওয়া এক বিব্রতকর অভিজ্ঞতা -- নিঃসন্দেহে তাই!
বইমেলার টুকরো স্মৃতি নিয়ে চমৎকার পোস্ট। উদ্বুদ্ধ হচ্ছি নিজেও কিছু লিখতে -- লেখাটার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। আপনার অভিজ্ঞতার কথাও লিখে ফেলুন তাড়াতাড়ি, বইমেলার রেশটা ফুরিয়ে যাবার আগেই।
শুভেচ্ছা রইলো...

১৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১০

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: আপনার লেখায় সম্ভবত প্রথমই এলাম।আসলে কয়েকদিন ব্লগ চালিয়েই আবার ডুব দিয়েছিলাম।তাই সবার পোষ্ট পড়ার সুযোগ হয় নি।আশা রাখি,এবার থেকে পড়া হবে।
অফটপিক:শায়মা আপু ছাড়াও আমার মনে হচ্ছে আমার দলে আরোও অনেকেই আছে। ;)

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দলের লোকসংখ্যাই পাল্লায় ভারী হবে বলে আমারও বিশ্বাস। কারণ, মানুষ সাধারণতঃ অন্যের এ ধরণের যাতনা উপভোগ করে থাকে। আমিও তাই করতাম। সো, নো অফেন্স টেকেন!
পুনর্বার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২২

জুন বলেছেন: বেশ কয়েক বছর হলো বই মেলায় যাওয়া হয়না আমার খায়রুল আহসান। আগে নিয়মিত যেতাম, প্রচুর বই কিনতাম বই পড়ার প্রচণ্ড নেশায়। আপনাদের বই বের হয়েছে ব্লগে পড়ি দেখি খুব ভালোলাগে।
জুতো চুরির কথা শুনে খারাপ লাগলো। আমরা যে কত নীচু মানসিকতার তার প্রমান মসজিদেও চুরি।
আপনার বন্ধুদের কথা শায়মা ঠিকই বলেছে তারা হীরের টুকরো। ভালো মানুষেরই ভালো বন্ধু থাকে। আমি যদিও ভালোমানুষ নই তারপর ও আমার স্কুল থেকে এ এ পর্যন্ত যত বন্ধু আছে তারা সবাই অনেক অনেক ভালো এক একজন মানুষ ।
আপনার বই অনেকে কিনেছে, কেনার জন্য অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জেনে খুব ভালোলাগলো। আমি আপনার ও আপনার বইএর সাফল্য কামনা করি।
@শায়মা তুমি পড়ে যাবার কথা বললে। সেদিন রাতে খাবার পর আমার ছেলে ও তার বন্ধুকে বিদায় দিতে এগিয়ে গিয়েছি। আমার হোটেলের পাশেই একটা ছোট খাল তার উপর ব্রিজ। সেটা একটু বেকে ঢালু মত। আমি অন্ধকারে তাড়াতাড়ি হাটতে গিয়ে হুড়মুর করে পড়লাম। তোমার ভাইয়া দৌড়ে এসে ধরতে ধরতে আমি লোহার রেলিং এ মাথায় বাড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে গড়াতে গড়াতে অনেকদুর। জায়গাটা নির্জন ছিল। ঘরে এসে দেখি হাটু ছিলে রক্তাক্ত। পায়ের নখ উঠে গেছে। কনুই বেয়ে রক্ত পড়ছে। মাথার ডান পাশ ফুলে আলু :’( বুঝেছো আমি কি পরাটাই না পড়েছি। এখনো ঠিকমত হাটতে পারি না। আর তুমি তো টপ করে গাড়িতে উঠে বসতে পেরেছো।
আপনার পোষ্টে নিজের এই কথাগুলো লেখার জন্য দুখিত খায়রুল আহসান :) শায়মার পরার কথায় লিখলাম আরকি।
শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সব সময়।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: জুতো চুরির কথা শুনে খারাপ লাগলো -- একবারও মুখ টিপে হাসেন নাই?
দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম!

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এবং আমার বইএর সাফল্য কামনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনাদের মত ঋদ্ধ ও বোদ্ধা পাঠকদের প্রশ্রয় পেয়েই তো ধীরে ধীরে পাঠক থেকে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলাম।
আপনার পড়ে যাবার বিবরণটুকু পড়ে রীতিমত গা শিউড়ে উঠলো। আল্লাহ বাঁচিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ! হেড ইনজুরি হয়ে গেলে জীবন সংকটাপন্ন হতে পারতো। আপনারটার তুলনায় শায়মারটা তো মনে হয়েছে 'ওয়াজ জাস্ট ফান', যদিও কোন পতনই সুখকর নয়।
আপনার পোষ্টে নিজের এই কথাগুলো লেখার জন্য দুখিত খায়রুল আহসান -- আপনি দুঃখিত হলে হবে কি! আমরা তো (আপনার ব্যথা পাওয়ার অংশটুকু বাদে) একটু মজাই পেলাম! :)
আপনি যেহেতু একটা ব্যক্তিগত ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন, আমিও একটু করি। গত নভেম্বরে আমরা দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বালি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা হ'লাম। রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের প্লেনে উঠে ভোরে সিঙ্গাপুর পৌঁছলাম। প্লেন ছেড়ে আস্তে আস্তে কেবল বোর্ডিং ব্রীজে পা রেখেছি, অমনি দেখি আমার সামনেই আমার বন্ধুপত্নী একটা হোঁচটের মত কিছু একটা খেয়ে হুরমুর করে একেবারে মেঝেতে (ধরণীতলে তখনো পা রাখিনি) পড়েই খুব একটা কাতর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন। আমি সাথে সাথে হাত বাড়ালাম। উনি হাত ধরার পর তাকে টেনে তুললাম। বন্ধু লাগেজ ট্রলী নিয়ে একটু অগ্রগামী থাকায় ব্যাপারটি তার নজরে এলোনা। আমি পেছন থেকে উচ্চঃস্বরে তাকে ডাকায় তিনি থামলেন, কাছে এলেন। ততক্ষণে ভাবী ফিটফাট, যেন কিছুই হয়নি। প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেলেও, আমি ফান করে বললাম, ভাবী আপনি ওকে (তার হাজব্যান্ডকে) দেখাবার জন্য আরেকটা পোজ দেন, আমি ছবি তুলে রাখি। ঐতিহাসিক ছবি হবে- “When I fell on the boarding bridge”!

২০| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: স্যার অনেক বছর হল বই মেলায় যাওয়া হয়না। আপনার পোষ্টটি ভাল লাগল। বই মেলায় অন টিভিতে বাংলা ভীষনের পর্দায় দেখেছি অসম্ভব ভাল লাগত। আপনার বইটি সংগ্রহ করতে চাইলে আপনার মেইলে ইমেইল করে বিকাশ করে দিলে পাওয়া যাবে আশা ব্যাক্ত করছি। ঢাকাতে কাউরান বাজার আই সি বি ইসলামী ব্যাংক হেড অফিসে আমার এক কাজিন জব করে তার ঠিকানায় পাঠাতে পারলেই হবে। তা কি সম্ভব হবে?

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার বই এর প্রতি আপনার এতটা আগ্রহ দেখে ভীষণ আনন্দিত এবং অনুপ্রাণিত বোধ করছি, মাহমুদুর রহমান সুজন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন।
আমার ব্লগপাতায় "আমার পরিচয়" শিরোনামের অধীনে আমার ই মেইল ঠিকানা দেয়া আছে। সেখানে আপনার কাজিনকে টেলিফোন নম্বর দিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন, অবশ্যই সম্ভব হবে ইন শা আল্লাহ!
আমার মনে হয়, ইসলামী ব্যাঙ্ক কাওরান বাজার শাখাটা T.K. Bhaban এ অবস্থিত, আইসিএবি ভবনে নয়। সেটা যদি হয়, তবে আমি বইটি কারো দ্বারা হাতে হাতেই পাঠাতে পারি, কারণ ঐ পথ দিয়ে আমার প্রায়ই যাতায়াত হয়।

২১| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৯

কালীদাস বলেছেন: আপনার এত কষ্টের মধ্যেও হাসি আটকাতে পারলাম না, স্যরি। দুঃখজনক হলেও মসজিদে কখনও ভাল জুতা পড়ে যাওয়া উচিত না আনলেস জুতার বাক্স আপনার কাছাকাছি থাকলে ভেতরে। আর না হলে, আরেক কাজ করা যায়- দুই পাটি সম্পুর্ণ ভিন্ন জায়গায় রাখলে, এক পা নিচতলায় তো অন্য পা তিনতলায় ;) আমার কোনদিন জুতা চুরি হয়নি মসজিদে, কারণ আমি যে স্যান্ডেলটা পড়ে যাই মসজিদে সেটা এত তালি মারা হয়েছে কেউ ভুল করে নিলেও ফেরত দিয়ে যায়। আর ভার্সিটিতে থাকা অবস্হাতে এরকম সমস্যা হয়না বললেই চলে। আর এখন মসজিদে যাওয়া হয় কেবল জুমার জন্য, তাও মিস যায় প্রায়ই। এখানে কখনও হয়েছে বলে শুনিনি :)

যাকগে। আপনার মেলার কাহিনী ভালই পড়লাম এ পর্যন্ত :)

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এত কষ্টের মধ্যেও হাসি আটকাতে পারলাম না, স্যরি -- ঠিক আছে, আমিও হয়তো হাসতাম... :)
আরেক কাজ করা যায়- দুই পাটি সম্পুর্ণ ভিন্ন জায়গায় রাখলে, এক পা নিচতলায় তো অন্য পা তিনতলায় - ওরে বাবা!আপনি যে পদ্ধতিটা বাতলে দিয়েছেন, তা মহৌষধ বটে। তবে ভয় হয়, এত কিছু করতে গেলে শেষমেষ নামাজটাই না মিস হয়ে যায়। :)
যাকগে। আপনার মেলার কাহিনী ভালই পড়লাম এ পর্যন্ত -- যাক, তাহলে উতরে গেলাম এ যাত্রায়!! :)

২২| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার বইমেলার অভিজ্ঞতার কথা পড়তে ভালো লেগেছে। জুতা চুরির ব্যাপারটা দুঃখজনক। যদিও এটা আমাদের দেশের জন্য খুবই সাধারণ একটি ঘটনা।
এবারের বইমেলায় যেতে না পারার আফসোস রয়ে গেছে। খুব মিস করেছি #:-S

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এ লেখাটি পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। এইমাত্র আপনার লেখা একটি সুন্দর গল্প "তবুও ভালোবাসি" পড়ে এলাম। চমৎকার লিখেছেন।
আশাকরি আগামীতেও আমার লেখায় আপনাকে পাবো। শুভেচ্ছা জানবেন।

২৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:২৪

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: চোর ব্যাটা আপনার বইমেলার শেষ দিনটাকে স্মরণীয় করে দিল =p~

ঘটনাটা আপনার জন্যে বিব্রতকর হলেও লিখাটা আমাদের জন্যে সরস ছিল। তাই এটা পড়তে পড়তে ফ্যাচফ্যাচ করে হাসির জন্যে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। ;)

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: হাসতে থাকুন, হাসিখুশী থাকুন। সরস মন্তব্য করে আমাকেও খুশী করে গেলেন। :)
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

২৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫

নাগরিক কবি বলেছেন: জুতা বিড়ম্বনা। চোরেরা বই পড়ে না, কিন্তু জুতো পড়ে। কথা কিন্তু সত্য। বইমেলার প্রতি আপনার যেই ভালবাসা তা যেন আজকের যুব সমাজের মাঝে ছড়িয়ে পরে সেই কামনা করি। আজকাল আমরা আর বই পড়ি না। ব্যাপারটা কষ্টদায়ক। খুবই কষ্টদায়ক।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আজকাল আমরা আর বই পড়ি না। ব্যাপারটা কষ্টদায়ক -- আপনার এ উপলব্ধির সাথে আমি একমত।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো...

২৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বই মেলার টুকিটাকি কিছু কথা জানা গেল । বই মেলার একটি সার্বিক মুল্যায়ন পাওয়া গেলে ভাল লাগতো । অবশ্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এর সার্বিক চিত্র কিছুটা উঠে এসেছে তবে মেলায় যাদের বই উঠেছে তাঁদের নীজের মুখের বিবরণ সে এক অন্যরকম অনুভুতি । আপনার বই এর সাফল্য কামনা করি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আশা আছে, অল্প অল্প করে বইমেলা নিয়ে কিছু কিছু আলাপচারিতা আগামী কয়েকমাস ধরে চালিয়ে যাব। সেগুলো আলাদা পোস্ট হয়তো হবেনা, অন্যের মন্তব্যের ঘরেও কিছু কথা রেখে যাব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। লেখাটা পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন বলে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

২৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি পড়ে আমারও শায়মাপুর কথা গুলিই মনে হল,
তবে পুরো পোস্ট পড়ে বুঝলাম তোমার বন্ধুরা আর আশেপাশের মানুষরা সোনা আর হীরে দিয়ে গড়া মনের মানুষ! তোমার মতনই ভালোমানুষ ভাইয়ামনি!!!!!!!!! :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, শায়মার এই সুন্দর কথাগুলোকে পুনরুক্ত করার জন্য।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। শুভেচ্ছা জানবেন।

২৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: চোরেরা বই পড়ে না, কিন্তু জুতো পরে।
আহ্ যদি পড়তো/পরতো? B-)

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।
শুভকামনা...

২৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

ক্লে ডল বলেছেন: চোরকে মনে মনে থ্যাংকস জানিয়ে দিন।তার অবদানেই ত আপনার এ বিরল অভিজ্ঞতা হল! আপনার জুতাটা অধিক ভালবাসার দরুনই সে নিয়ে গেছে। =p~

আপনার বন্ধুর বর্ণনা পড়ে, অবর্ণনীয় শ্রদ্ধা এল মনে! অপরিচিত সেই মানুষটার জন্য অনেক অনেক দোআ!

ভাল থাকুন আপনিও।

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাসজিদের ভেতরেই যখন বুঝলাম আমাকে খালি পায়ে বের হতে হবে, তখনই চোরকে মনে মনে প্রথমে খুব এক চোট অভিসম্পাত করে নিলাম বিরক্তিসহ। পরক্ষণেই ওর হয়ে আল্লাহ'র কাছে মাফ চেয়ে নিলাম নিজের ভুল বুঝতে পেরে। ওর রুটি রুজির আর অন্য কোন পথ খোলা রাখিনি বলেই তো ওকে আজ এত নিকৃষ্ট কাজটা করতে হচ্ছে। আল্লাহ যেন তার পেশা আশু পরিবর্তন করে দেন!
আপনার অপরিচিত সেই মানুষটার একটা ছবি তার অনুমতি ছাড়াই সংযোজন করে দিলাম। প্রচারবিমুখ এই ভাল মানুষটার তরফ থেকে কোন আপত্তি এলে ছবিটা তুলে নেব।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। প্লাসটা প্রেরণা দিয়ে গেল।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান ভাই

জানিনা আপনি বুঝতে পারেন কিনা! তবে আজ জানিয়ে যাচ্ছি ব্লগে আমিও আপনার একজন মুগ্ধ পাঠক!

যে কোন বিষয়ের উপর আপনার বিশেষ রকমের বর্ণনার স্টাইল আমায় আপনার মুগ্ধ পাঠক হতে বাধ্য করেছে!


আপনার জন্য অনেক শুভকামনা!

ভালোথাকুন!:)

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বিলিয়ার রহমান, এত সুন্দর করে এখানে আমার লেখার প্রশংসা রেখে যাবার জন্যে। আমার প্রায় সব লেখায় পাওয়া আপনার মন্তব্য এবং সেই সাথে 'লাইক' আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করেছে। যেমন এটিও।
আপনিও ভাল থাকুন, এই শুভকামনায়...

৩০| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

এ পোষ্টে জুতা চোর বড় সেলিব্রেটি হয়ে গেছে , এ কারণে সবার মন্তব্যও একই কথা বলছে ! B-)
সত্যিই জুতা চুরির বিষয়টা দুঃখজনক।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ব্যাপারটা ঠিকই ধরতে পেরেছেন, এজন্য ধন্যবাদ। দেখুন, পোস্টে জুতা চুরির কাহিনীটা একটু বড় করে বললেও বাকী কিন্তু আরো অনেক কিছুই বলেছি এবং আরো অনেকের কথাই বলেছি। তবে জুতা চুরির বিষয়টি বিনোদনমূলক প্রতিভাত হওয়ায় এটা নিয়েই প্রায় সব মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।
শুভেচ্ছা...

৩১| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বইমেলার টুকিটাকি ভালো লাগলো। দুঃখ পেলাম জুতা হারানোর ঘটনায়।

শুভেচ্ছা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যের জন্যও।
জুতো হারালেও, বিড়ম্বনা সত্তেও, শেষ দিনটা ভালই কেটেছে স্টলে বন্ধুদের পেয়ে।
ভাল থাকুন, দ্রুত পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করুন, এই কামনায়...

৩২| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার বইটি সময় নিয়ে বসব। :) বাসায় এনে রাখা আছে, আপাতত। :) কয়েকজন ব্লগারদের কিছু বই কেনা হয়েছে, আপনারও। :)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার বইটা আপনার বাসায় ঠাঁই পেয়েছে জেনে আনন্দিত হ'লাম। পড়ার পর কেমন লাগলো তা জানতে পারলে আরো বেশী আনন্দিত হবো। আপনার এ সদিচ্ছার জন্য সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা রইলো...

৩৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: স্যার, আমি অাপনার মোবাইল নাম্বার আমার চাচাতো ভাইকে দিব। আর আমি আপনার বইটির সম্মানী কিভাবে পাঠাবো? যদি আপনার বিক্যাশ নাম্বারটি প্রতি উত্তরে লিখে দিতেন। আমি প্রবাস থেকেও বিক্যাশ করতে পারব। পরে সময় করে যখনি পারেন অফিস টাইমে কারোর মাধ্যেমে ওখানে গিয়ে ফোন দিয়ে, বইটি দিয়ে দিলেই হবে।

Saiful islam (Taslim)
ICB Islamic Bank Ltd. (Head Office)
T.K. Bhaban (15th floor) Kawran Bazar,
13 Kazi Nazrul Islam Avenue
Dhaka
মোবাইল নং ০১৮১৬৪৩০৮৬৭

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার চাচাতো ভাই এর ঠিকানা দেয়ার জন্য। আমি নিজেই আগামীকাল ওনার সাথে কথা বলে বইটি ওনার কাছে পাঠাবার ব্যবস্থা করবো। উনি যদি আপনার হয়ে টাকাটা বাহকের হাতে দিয়ে দেন, তবে ভাল হয়, কারণ আমার কোন বিক্যাশ নম্বর নেই। পরে আপনি টাকাটা তার কাছে পাঠিয়ে দিলেন। বইটির মূল্য ডিসকাউন্টের পর ১২০.০০ টাকা।

৩৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

পুলহ বলেছেন: খালি পায়ে হাটার ব্যাপারটা পড়তে পড়তে মাথায় হিমুর কথা ঘুরপাক খাচ্ছিলো।

আমরা মুসলিমরা আমাদের ধর্মটাকে বোধহয় শুধু কিছু রিচুয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছি। একজন ইসলামিক স্কলারের কথা জানি, যিনি দুঃখ করে বলেছিলেন- অমুসলিম প্রধান দেশের সাথে ব্যবসা করার সময় তাদের বিশ্বস্ততা বা বাকি/ পাওনা আদায় নিয়ে ভাবতে হয় না; কিন্তু একজন মুসলিমের সাথে ব্যবসা করার আগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় বার চিন্তা করতে হয়। আমাদের দেশের কথাই ভাবা যাক! মুসলিম প্রধান একটা দেশ, অথচ সে দেশের মানুষই দুর্নীতি করছে, খাবারে ভেজাল দিচ্ছে, লোক ঠকাচ্ছে সমানে। কোন নিয়ম, শৃংখলার কোন বালাই নেই...

নবিজী (সাঃ) ধর্মের দিকে আহবান করার আগে তাঁর যেরকম সৎ এবং বিশ্বস্ত একটা ইমেজ ডেভেলপ করেছিলেন, তাতেই তো মুগ্ধ হয়েছে কত মানুষ ! অথচ আজ যদি কোন অমুসলিম প্রশ্ন করে- "আমি কেন মুসলমান হবো?", সে প্রশ্নের জবাব আমরা কী দেবো? অথচ হওয়ার কথা ছিলো উলটোটা! অমুসলিম কারো মুগ্ধ হবার কথা ছিলো মুসলমান জাতিকে দেখে। তাদের সততা, বিশ্বস্ততা আর আদর্শকে দেখে....
ব্লগে আপনার ইমেজটাই এমন যে- আপনার সাথে অনেক কিছু খোলাখুলি বলা যায়, তাই একান্তই ব্যক্তিগত কিছু কথা এখানেও শেয়ার করলাম।
২ নং এ বিজনদা'র মন্তব্য আর আপনার প্রতি-মন্তব্য দু'টোই অসম্ভব ভালো লেগেছে।
আপনি সৌভাগ্যবান, কারণ ড. শরীফ এর মত একজন বন্ধু আপনার আছে! উনার জন্য আন্তরিক শুভকামনা।
ভালো থাকুন স্যার !

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সত্যি, মুসলমান হিসেবে আজ আমাদের সামনে অনুসরণীয় কোন রোল মডেল নেই। না কোন ব্যক্তি, না কোন রাষ্ট্র।
খোলাখুলি কথা বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি একজন সুবিবেচক ব্যক্তি। আপনার সাথে কথা বলাটাও একটা আনন্দের ব্যাপার।
ড. শরীফকে নিয়ে আমরা, বিশেষ করে আমি খুবই গর্বিত। প্রত্যাশা রাখি, ওকে নিয়ে একদিন দেশও গর্ব করবে।

৩৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

ক্লে ডল বলেছেন: ছবি সংযোজনের জন্য ধন্যবাদ। ছবিটি আমাদের সকলের জন্য উপহার হয়ে থাকবে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, ক্লে ডল, এমন সুন্দর কথা বলার জন্য।

৩৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪২

পথে-ঘাটে বলেছেন: আরো বুঝলাম, চোরেরা বই পড়ে না, কিন্তু জুতো পরে।:) অসাধারণ লিখেছেন।



প্রবাসে থাকায় বই মেলায় যেতে পারিনি। তবে আপনার লেখা পড়ার সময় মনে হচ্ছিল, আমিও জুতা হারিয়ে খালি পায়ে হাঁটছি প্রিয় কোন বন্ধুর সাথে। শুভেচ্ছা রইল।


০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখার সাথে একাত্মবোধ অনুভব করেছেন জেনে প্রীত হ'লাম। উদার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত।
প্রবাসে ভাল থাকুন। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

৩৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০৩

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: এবারের বইমেলা আপনার নিকট স্মরণীয় হয়ে রইবে বুঝেছি। জুতো চুরির ঘটনা বাদে বাকি সব চমৎকার। আপনার বই প্রকাশ হয়েছে সেটা আগেই জেনেছি আপনার পোস্ট থেকে, এবারে আপনার ভাল বন্ধু সম্পর্কে জানলাম। উনার জুতো খুলে হাটার বিষয়টি খুব ভাল লাগল। ভাগ্যিস চোরেরা বই পড়েনা, নইলে বইগুলোও নিয়ে যেত।

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাগ্যিস চোরেরা বই পড়েনা, নইলে বইগুলোও নিয়ে যেত -- জ্বী, সেটাই বুঝেছি বলে জানিয়েছি। :)
উনার জুতো খুলে হাটার বিষয়টি খুব ভাল লাগল -- মানুষের মনের ভাল মন্দ প্রকাশ পায় তার প্রতিটি আচরণে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

৩৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা বই মেলা ! প্রানের মেলা !!
অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার বর্ণনার জন্য , আপনার সাথে আমার এক ভার্চুয়াল ভ্রমন হয়ে গেলো ,জুতা চুরি ,খালি পায়ে হাটা এবং অবশ্যই জিলাপী কফি সহ :)

অবশ্যই কোন এক বই মেলায় আপনার চমৎকার কিছু শুভকামনা সহ বই কেনার আশা রাখছি ,সত্যি বলতে কি প্রতিবার ই মেলায় প্রকাশিত ব্লগারদের বই গুলোর লিস্ট মনে নিয়ে ঘুরি কিন্তু অল্পই সফলতার মুখ দেখে :(

এর আগেও আমি বলেছিলাম, বইমেলার সবচেয়ে neglected corner ছিল মুসল্লীদের নামায পড়ার স্থান। সবচেয়ে বেশী অব্যবস্থাপনা সেখানে ছিল।
দেশে এই ব্যাপার টা অনেকটা নাইট মেয়ারের মত :-&
আলহামদুলিল্লাহ আমি যেখানে থাকি শপিং বলেন বাইড়ে বেড়াতে যাওয়া সহ সবকিছুর সময় নামাজের এই ব্যাপার টাতে একদম নিশ্চিন্ত ,এত চমৎকার ব্যাবস্থাপনা যে মন থেকে ই ব্যাবস্থাপকদের জন্য দোয়া আসে ।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন ভাইয়া ,শুভ কামনা :)

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার সাথে এক ভার্চুয়াল ভ্রমনে অংশ নেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মনিরা সুলতানা।
neglected corner সম্পর্কে আমার মনে হয়, বাঙলা একাডেমী হয়তো ধরেই নিয়েছে যে যারা লেখালেখি করবে, লেখালেখির পাঠক পৃষ্ঠপোষক হবে, তাদের নামাযের সাথে ততটা গভীর সম্পর্ক না থাকলেও চলবে। যেখানে এত এত টাকা আয় হয় বইমেলা থেকে, সেখানে এই দিকটাতে নজর দিতে তাদের কেন এত কৃপনতা বুঝিনা।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। "প্লাস"টা পেয়ে অনুপ্রাণিত।
আপনিও ভাল থাকবেন! শুভেচ্ছা...

৩৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার চুল কি এখনো কালো, নাকি রং করেন?

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ তথ্যটা জানা কি খুবই প্রয়োজন? :)

৪০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: আরো বুঝলাম, চোরেরা বই পড়ে না, কিন্তু জুতো পরে। :)

আপনার বন্ধুর বন্ধুত্বর কথা ভেবে খুবই ভাল লাগছে। সময় অনেক পার হলেও বন্ধুত্বর জায়গাটি এখনও তেমনই আছে।

বই মেলায় ভাল উপভোগ করেছেন মনে হচ্ছে।

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: বইমেলা বরাবরই ভাল লাগে, নিজের একটা বই বের হলে আরো বেশী ভাল লাগে। এবারে আমার একটা বেরিয়েছে, তাই আনন্দের সাথে মেলায় কাটানো সময়টুকু উপভোগ করেছি। এই সুযোগে এই ব্লগের কয়েকজন সহব্লগার এর সাথে চাক্ষুষ সাক্ষাতও সম্ভব হয়েছে। ব্লগের বাইরেও অনেক কবি লেখকের সাথে মত বিনিময় হয়েছে, হাসি ঠাট্টা হয়েছে, ব্যক্তিগত আলাপ পরিচয় হয়েছে। মেলা থেকে কিছু ভাল বই কিনেছি। সময় নিয়ে সেগুলো পড়তে হবে।
লেখাটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। লেখা থেকে উদ্ধৃতি পড়ে প্রীত হয়েছি এটা জেনে যে সেটা আপনার ভাল লেগেছে।
শুভকামনা রইলো...

৪১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৯

নেক্সাস বলেছেন: বই মেলায় যাওয়া হলনা। এক মেলায় আপনাকে আমি দেখেছি । পরিচয় ছিলনা যদিও।

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক মেলায় আপনাকে আমি দেখেছি । পরিচয় ছিলনা যদিও। - তাই নাকি? কবে, কখন, কোথায়? পরিচয়টুকু দিয়েই এগিয়ে এলে পারতেন। আলাপচারিতা হতো কিছু সময়ের জন্য।
যাহোক, সেটা তোলা থাক তাহলে আগামী মেলার জন্য।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।

৪২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

রোদেলা বলেছেন: আপনার বই বের হয়েছে জানা থাকলেতো আমিই প্রথম কেতা হতাম।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: :) জেনে খুব খুশী হ'লাম :)
লেখাটা পড়ে গেলেন, এজন্য অনেক ধন্যবাদ। আর পনেরতম প্লাসটা পেয়ে প্রাণিত বোধ করছি।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৪৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: সাধারণ ঘটনাই অসাধারন লেখনীতে কেমন হয়ে উঠে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই পোস্টটি। দারুন উপভোগ্য ছিল।

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সহজ ভাষায় পোস্টের এতটা প্রশংসা করে যাবার জন্যে।
আপনার দেয়া ১৬তম প্লাসটি প্রেরণার প্রতীক হয়ে রইলো।
অনেক শুভকামনা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.