নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সুখের স্মৃতি—করুণাময়ের অপার দান কৃতজ্ঞতায় স্মরণ

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

আজ একটা সুখের স্মৃতি আমার সহব্লগার ভাইবোনদের সাথে শেয়ার করছি। যদিও বিষয়টি ব্যক্তিগত, তথাপি ব্লগার পথে-ঘাটের লেখা “আমার ছেলে (গল্প)” পোস্টটা পড়ে এ পোস্টটা লিখতে উদ্যত হ’লাম। কেন, সেটা হয়তো পাঠকেরা লেখাটার শেষে গিয়ে বুঝতে পারবেন।

আজ থেকে প্রায় আঠার বছর আগের কথা, দিনটা ছিল ১৭ জুন ১৯৯৯। সেদিন ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে। সে খেলাটা কি যে খেলা ছিল, সেটা যারা খেলা দেখেছেন, তারা ভাল করেই জানেন। আর সে সময় যাদের জন্মই হয়নি অথবা যারা ছোট ছিলেন, তারা এখনো ইউ টিউবে বা ক্রিকইনফো তে গিয়ে দেখতে পারেন। এমন শ্বাসরুদ্ধকর সমাপ্তি খুব কম খেলায়ই ঘটে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম “টাই” ম্যাচ ছিল সেটা।

যাহোক, আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে আমরা সেদিন ঘরে বসে টিভিতে ম্যাচটা দেখবো। আমি আর আমার তিন ছেলে সবাই আমরা ক্রিকেট পাগল। বড় হবার পর ছেলেরা ক্রিকেট ছেড়ে ফুটবল পাগল হলেও আমি এখনো ক্রিকেট পাগলই রয়ে গেছি। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের সময় আমার বড় ছেলের বয়স ৯ বছর, আর মেজ ছেলের ৭। সে সময়তো এখনকার মত কম্পিউটার, স্মার্টফোন ইত্যাদি ছিলনা, এমন কি টিভিতেও সব খেলা দেখা এত সহজ ছিলনা। তাই খেলার বিভিন্ন পরিসংখ্যান মনে রাখার জন্য এবং সেই সাথে এ ব্যাপারে ছেলেদেরকে উৎসাহিত করার জন্য আর্ট পেপার দিয়ে আমি একটা বিরাট ওয়াল চার্ট বানিয়েছিলাম। এটা বানাতে এবং হালনাগাদ করতে ওদেরকেও উৎসাহিত করতাম। একেকদিনের খেলা হয়ে যেত, আর আমি ঐ খেলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিসংখ্যান সেই ওয়াল চার্টে টুকে রাখতাম। আমার স্ত্রী এতে প্রথমে মৃদু আপত্তি জানালেও আমাদের তিনজনের বিপুল আগ্রহ দেখে তা নীরবে সয়ে যেতেন। তখনই সেসব পরিসংখ্যান আত্মস্থ করার ব্যাপারে আমার বড় ছেলে আদনানের অসাধারণ পারদর্শিতা লক্ষ্য করেছিলাম। আমার মনে হয়, ঐ ৯ বছর বয়সেই সে বিশ্বকাপের টুকিটাকি নিয়ে যেকোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম ছিল। তখন থেকে আরো ৭ বছর পর, ও যখন ১৬+, অর্থাৎ ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সময় ওর ক্রিকেট সম্পর্কীয় আগ্রহ ও জ্ঞান যে আরও পরিপক্ক হবে, তা বলাই বাহুল্য। এত যার আগ্রহ, সে যে সেদিন এই গুরুত্বপূর্ণ খেলা দেখা ছাড়া আর অন্য কিছুতেই মনোনিবেশ করতে পারবেনা, সেটাই স্বাভাবিক ছিল। যাহোক, আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে আজকের এ পোস্টের অবতরণিকা হলেও, এ লেখার মূল প্রতিপাদ্য ক্রিকেট নয়। সে কথায় আসছি, তবে অনুষঙ্গ হিসেবে ক্রিকেট থেকেই যাবে।

১৭ জুন ১৯৯৯ আদনানের জীবনে আরেকটা কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যদিও সেই মুহূর্তে ক্রিকেটকেই বড় বলে মনে হয়েছিল। ঐ তারিখে ১৯৯৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের ঘোষণা আগে থেকেই রেডিও টিভিতে দেয়া হয়েছিল। তবে ফলাফল বিকেল চারটার আগে জানা যাবেনা, আর পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তা সংগ্রহ করতে হবে। আমার অফিসের একজন অধঃস্তন কর্মকর্তার ছেলেও আদনানের সাথেই একই প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল। সকাল থেকে তিনি আমাকে কয়েকবার টেলিফোনে অনুরোধ করেছিলেন, চলুন আমরা দু’জন ওদেরকে একসাথে নিয়ে গিয়ে ওদের কলেজ থেকে ফলাফল নিয়ে আসি। আমি তাকে লজ্জায় বলতে পারছিলাম না, ফলাফল তো যা হবার তা হবেই। আমরা বাপ বেটা দু’জনে মিলে বরং বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল দেখবো। এ ব্যাপারে সেদিন সকালেই আমি ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সে কখন এমসিসিতে যেতে চায়। ছেলে একটু লাজুকভাবে আমাকে ওপরের ঐ কথাগুলোই বলেছিলো। আমিও ভেবে দেখলাম, তাই তো, “ফলাফল তো যা হবার তা হবেই”। আর তা ছাড়া ঐদিন ছাত্ররা শুধু কোন ডিভিশন পেয়েছে, সেটা জানা যাবে। ডিটেইল্ড রেজাল্ট জানতে তো আরো দুয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। পিতাপুত্রের মধ্যে গোপন সমঝোতা হলো, সেদিন আমরা কলেজে যাবনা, খেলা দেখবো। দুই একদিন পরে গিয়ে পুরো রেজাল্ট নিয়ে আসবো। ওকে দায়িত্ব দিলাম ওর মাকে রাজী করাতে।

এসএসসি পরীক্ষার আগে শেষ ছুটি কাটিয়ে আদনান যেদিন আমাদের বাসা থেকে তার কলেজে যাওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যাবস্থাপনায় আয়োজিত বাস ধরতে রওনা হচ্ছিল, সেদিন আমি প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম। বিছানা থেকে ওঠার মত অবস্থা ছিলনা, তবুও আমি কাপড় পরে ওর সাথে রওনা হ’লাম। কথা বলতে পারছিলাম না, কিন্তু সারাটা পথ প্রাণভরে ওর জন্য দোয়া করে যাচ্ছিলাম। যখন গন্তব্যে পৌঁছলাম, তখন মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল। ওকে বাসে তুলে দিয়ে বিদায় নিলাম, অন্যান্যবারের মত বাস ছাড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারলাম না। সেদিন খেলা দেখছিলাম, আর সেই স্মৃতিটার কথা মনে ভাসছিল। মাঝে মাঝে আবার নিজেকে অপরাধীও মনে হচ্ছিল- যদি পরে রেজাল্ট পেতে কোন অসুবিধে হয়, তবে আমার কলেজে না যাওয়াটাই সবচেয়ে বড় দোষ বলে গণ্য হবে! খেলায় যতই মনোনিবেশ করিনা কেন, মনে মনে একটু অস্থির ছিলাম, কখন চারটা বাজবে!

অবশেষে চারটা বাজলো। চারটার খবরের জন্য খেলা প্রচারে বিরতি দেয়া হলো। অপেক্ষায় থাকলাম, খবর শোনার জন্য। খেলা থেকে খবরে সুইচ হতে হতে কয়েক সেকেন্ড বা মিনিট খানেক দেরী হলো। শুনলাম, ঢাকা বোর্ডের অমুক বিভাগের মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানটি অধিকার করেছেন অমুক প্রতিষ্ঠানের অমুক। আদনান ক্লাসের ফার্স্ট বয় ছিল, তাই ও মেধা তালিকায় একটা স্থান পাবে, এটা ছিল আমার একটা সঙ্গত আশা। যাহোক, খবরে কিছু শুনলাম না বলে অস্থির হয়ে ফোন করলাম খবরের কাগজে দেয়া অনেকগুলো নম্বর থেকে একটি নম্বরে। কী জানতে চাই, সেটা শুনে তারা মিলিয়ে দিল আরেকটি নম্বরে। কেউ একজন ফোনটা ধরেই আমাকে বললেন, একটু ধরুন। আমি ধরে রইলাম, আর শুনছিলাম তার কথা। তিনি অন্য একটা ফোনে অন্য একজনের সাথে কথা বলছিলেন। তিনি বললেন, ... “হ্যাঁ, এবারে বলুন মানবিক বিভাগের কথা। প্রথম হয়েছে, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের আদনান আহসান খন্দকার। দ্বিতীয়, ইত্যাদি ইত্যাদি...”। আমি উত্তেজনায় আর টেলিফোনটা হাতে ধরে রাখতে পারছিলাম না। পর্দার ফাঁক দিয়ে দেখলাম, পাঁচ মিনিটের খবর শেষ হবার পর টিভিতে আবার খেলার ধারা বিবরণী প্রচার করা হচ্ছে, আর আদনান তা মনযোগ সহকারে দেখছে। যেহেতু ভদ্রলোক আমাকে লাইনে থাকতে বলেছেন, সেহেতু এখন লাইন কেটে দেয়াটা হবে চরম এক অসৌজন্যমূলক আচরণ। তাই আমি ধৈর্য সহকারে লাইনে থেকে অপেক্ষা করতে লাগলাম। অবশেষে ভদ্রলোক ফ্রী হয়ে আমাকে বললেন, জ্বী বলুন। আমি তাকে বললাম ভাই, আমি যা জানার জন্য ফোন করেছি তা ইতোমধ্যে জেনে গেছি, আপনি যখন নাম টুকছিলেন, তখন আপনাদের কথোপকথন থেকে। তবুও, ঢাকা বোর্ডের মানবিক বিভাগে প্রথম স্থান অধিকারীর নামটা আবার একটু বলবেন কি? তিনি বললেন, আদনান আহসান খন্দকার। আমি বললাম, ধন্যবাদ, আমি এটাই জানতে চেয়েছিলাম। উনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি ওর কেউ হন? আমি বললাম, জ্বী, আমি ওর বাবা।

আদনানকে বুকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানালাম। ওর মা খবর শুনে শাড়ীর আঁচল দিয়ে দু’চোখ মুছে নিয়ে ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে হাসি কান্না মিলিয়ে বিচিত্রভাবে হৃদয়াবেগ প্রকাশ করতে লাগলেন। এসব দেখে ওর ছোট দু’ভাইও আপাততঃ খেলা দেখা বাদ দিয়ে আমাদের আনন্দানুভূতি উপভোগ করতে লাগলো। একটু পরে বাসায় প্রথমে “প্রথম আলো” থেকে পরে The daily Star থেকে ফোন এলো। কোথা থেকে ওরা নম্বর পেয়েছিল তা ওরাই জানে। ফোনে আদনানের সাক্ষাৎকার নিল। কী কী জিজ্ঞেস করেছিলো, এতদিন পর তা আজ মনে নেই শুধু তিনটে প্রশ্ন ও তার উত্তর ছাড়াঃ
১। ওর প্রিয় খেলোয়ার—জ্যাকস ক্যালিস
২। ওর প্রিয় বই—গর্ভধারিণী
৩। ওর প্রিয় ব্যক্তিত্ব—বলুন তো কে হতে পারে? :)
তারপর শুরু হলো টিভিতে খবর শুনে আত্মীয় স্বজনের টেলিফোন বার্তা আসা। আবার একই সাথে খেলার উত্তেজনাও বেড়ে যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে বাসায় এক চরম উত্তেজনাকর আনন্দানুভূতি বিরাজ করছিলো।

এবারে আসি একটু পেছনের কথায়। আদনানের স্কুল জীবন শুরু হয়েছিলো মাস্কাটের একটি ইন্ডিয়ান ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। আমি তখন সরকারী কর্তব্য পালন উপলক্ষে ওমানের মাস্কাতে কর্মরত ছিলাম। পাঁচ বছর পর যখন দেশে ফিরে এলাম, বয়স অনুযায়ী তখন আদনানের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার কথা। ও এতদিন ইংরেজী মাধ্যম স্কুলে পড়ে এসেছে। এখন ওকে বাঙলা মাধ্যম স্কুলে ভর্তি হবার যোগ্যতা অর্জনের জন্য আমরা স্বামী স্ত্রী মিলে সর্বাত্মকভাবে আত্মনিয়োগ করলাম। তার পরেও সত্যিকার অর্থে ওর বাঙলা লেখা ও পড়ার মান দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর ঊর্ধ্বে ছিলনা। আমার পোস্টিং হলো রংপুরে। আদনানকে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করানোর জন্য যে স্কুলে নিয়ে গেলাম, তার প্রধান ছিলেন রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে সদ্য অবসর নেয়া একজন বাঙলার অধ্যাপক, যিনি একজন পিএইচডি ডিগ্রীধারী ছিলেন। তিনি আমাকে ডেকে বললেন, অন্যান্য বিষয়ে ওর মৌলিক জ্ঞান ভাল, কিন্তু বাঙলায় প্রকাশ ক্ষমতা নেই বলে ও তো কোন নম্বর পাবেনা। আমি তাকে আশ্বস্ত করে বললাম, এর আগে ইংরেজী না জানার প্রতিকূলতা কাটিয়ে ও বিদেশী ছাত্রদের মাঝে খুব ভাল রেজাল্ট করেছিলো তা আপনি ওর আগের মার্কশীটগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। এবারেও সে বাঙলা না জানার প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। আপনি একটা বছর দেখেন, যদি না পারে তবে আমি নিজেই ওকে প্রত্যাহার করে নিব। অগত্যা তিনি রাজী হলেন। এরপর শুরু হলো ওকে বাঙলা শেখানোর আমাদের যৌথ প্রয়াস। কিন্তু ওর এতে বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখতে পেতাম না।

ভাগ্য ভাল হলে যা হয়। একদিন লক্ষ্য করলাম ও একটা “তিন গোয়েন্দা”র বই পড়ছে, খুব কষ্টে বানান করে করে। সেটাতে তার খুব আগ্রহ। জিজ্ঞেস করলাম, কে দিয়েছে? সে জানাল ক্লাসের এক বন্ধু। আমরা বাধা দিলাম না, বরং বললাম, এসব বই যদি সে আরো কিনতে চায়, তবে কিনতে পারে। তাকে স্থানীয় স্টেশন লাইব্রেরীর কার্ড করে দিলাম। সে ইচ্ছেমত বই নিয়ে আসতো, পড়তো আর ফেরত দিত। ক্লাসের অন্যান্য বিষয়ের উপর আর আমরা তেমন জোর দিতাম না। অচিরেই লক্ষ্য করলাম, তার বাঙলা কথোপকথনে যথেষ্ট উন্নতি হচ্ছে। এমনকি আমাদের সাথে কথোপকথনের সময়ও সে মাঝে মাঝে বেশ কঠিন বাঙলা শব্দ ব্যবহার করে নিজেই লজ্জা পাচ্ছে। আমি আজ বলতে পারি, এই “তিন গোয়েন্দা” পড়তে পড়তে বাঙলা গল্পের বই পড়ার যে আগ্রহ তার মধ্যে সৃষ্টি হয়, তা দিনে দিনে গভীর হতে থাকে এবং এর দ্বারা উপকৃত হয়ে সে শুধু পঞ্চম শ্রেণীরই নয়, এমনকি সপ্তম শ্রেণীর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার বৈতরণীও নির্বিঘ্নে পার হয়ে যায়। অবশেষে এসএসসিতে বাঙলায় লেটার মার্কস পাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে। পরের দিকে ও হুমায়ুন আহমেদ এবং সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়সহ আরো বেশ কিছু ভারতীয় ঔপন্যাসিকের বই পড়া শুরু করে। এসএসসিতে ও মোট নম্বর পেয়েছিল ৮৯১, যা তখনকার ৫টি বোর্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর ছিল। এইচ এস সি তে আদনান প্রথম হতে পারেনি, তবে ঢাকা বোর্ডের প্রথম দশ জনের মধ্যে ছিল। সেবার এইচ এস সি তে ৫টি বোর্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে যশোর বোর্ড থেকে প্রথম হয়েছিল যে মেয়েটি, সেও এসএসসিতে প্রথম দশ জনের মধ্যে ছিল। রেজাল্টের এই কাকতালীয় মিল নিয়ে এ দুটি মেধাবী ছাত্র ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় থেকে একে অপরের পছন্দে আসে এবং কালক্রমে আল্লাহ’র ইচ্ছায় ২০০৯ সালে শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ হয়। আমার সৌভাগ্য, ঐ ব্যাচের সব চেয়ে সেরা দু’জন ছাত্র ছাত্রী আমারই পরিবারের অংশ, এখনো আমরা কর্তব্যোপলক্ষে কিছু সাময়িক বিরতি ছাড়া একই ছাদের নীচে শান্তিতে বসবাস করে চলেছি।

মানুষের জীবনে ভাল যা কিছু অর্জন, সাধারণতঃ সবই হয় তার মায়ের কারণে। আবার এটাও ঠিক, মায়ের অত্যধিক এবং অন্ধ স্নেহের কারণেই অনেক সময় কেউ কেউ মানুষ হতে পারেনা, তবে সে দৃষ্টান্তের সংখ্যা অনেক কম। বিশেষ করে যাদের হাতের লেখা সুন্দর দেখি, আমি মনে মনে তার অচেনা মাকে একটা স্যালুট দিয়ে রাখি। কারণ মা ই প্রথম হাতে পেন্সিল বা কলম ধরিয়ে দেন, হাতে হাত ধরে হাতের লেখা শেখান এবং নিষ্ঠার সাথে প্রতিদিন এ কাজটি করে যান। তার অক্লান্ত নিষ্ঠার ফলেই একদিন তার সন্তানের কলমে মুক্তো ফুটে ওঠে। আদনানের সাফল্যের পুরো কৃতিত্বটুকু আমি নিঃসঙ্কোচে ওর মাকে দেই, কারণ ঘড়ির সাথে নিজেকে বেঁধে যেভাবে তিনি ছুটোছুটি করে ওদের সবকিছুর দেখভাল করেছেন, এটা মোটেই কোন সহজ কম্ম ছিল না। তাই আমার আজকের এ লেখাটিকে আনন্দের সাথে আমি তার সম্মানেই উৎসর্গ করলাম।

আগেই বলেছি, ব্লগার পথে-ঘাটের লেখা “আমার ছেলে (গল্প)” পোস্টটা পড়ে এ পোস্টটা লিখতে উদ্যত হয়েছি। তিনি তার পোস্টটা শুরু করেছেন এভাবেঃ আমার ছেলের কথা বলব। ছেলে আমার বড় হয়েছে। লুকিয়ে লুকিয়ে পাঠ্যবইয়ের ফাঁকে উপন্যাস রেখে পড়াও শিখে গেছে। -- আমি বলবো, ছেলেকে পড়তে দিন, সে যা পড়তে চায়। দিন শেষে কোন পড়াই বিফলে যায় না।

ঢাকা
০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

উৎসর্গঃ আফরোজা আহসান

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পড়ার কোন বিকল্প নাই। জানতে হলে বোঝতে হবে, আর বোঝতে চাইলে পড়েতেই হবে।

গল্প ভালো লাগলো।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন, পড়ার কোন বিকল্প নাই
প্রথম মন্তব্যকারী পাঠক হিসেবে আপনাকে জানাচ্ছি বিশেষ ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
গল্পটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার স্মৃতিকথা পড়তে খুব ভালো লাগল। আমারও পড়া শুরু হয়েছিল তিন গোয়েন্দা দিয়ে। তখন গোগ্রাসে গিলতাম। এরপর সাথে যোগ হল হুমায়ুন আহমেদ। এমনও হয়েছে পরীক্ষার আগের রাতে বইয়ের ভেতর লুকিয়ে গল্প পড়েছি। রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে কিচেনে গিয়ে লাইট জ্বেলে পড়েছি। আহা কী দিন ছিল! পথে-ঘাটে ভাইয়ার পোস্টটি পড়া হয়নি। পড়ে নেব।
শুভ কামনা খায়রুল আহসান ভাই।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ উম্মে সায়মা আপনাকে, লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
পরের দিকে ও হুমায়ুন আহমেদ এবং সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়সহ আরো বেশ কিছু ভারতীয় ঔপন্যাসিকের বই পড়া শুরু করে। পরীক্ষার আগের রাত্রে অন্য বই পড়ার বাতিক আমারও ছিল।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা...

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ছেলে খুবই ভালো করেছিলেন শুরুতেই; আশাকরি, আপনার ছেলে জাতিকে সাহায্য করার অবস্হানে আছেন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। দোয়া করবেন।
জাতিকে কতটুকু সাহায্য করতে পারছে তা জানিনা, তবে আশে পাশের মানুষকে সাহায্য করাটা ওর চরিত্রের একটা উল্লেখযোগ্য দিক।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫

সুমন কর বলেছেন: লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগল। হৃদয় ছুঁয়ে গেল। +।

আদনানের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা। আর ১৯৯৯ সালের ১৭ জুনের খেলাটি আমি পুরো দেখেছিলাম।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটাও আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল। প্রথম প্লাসটা আপনিই দিলেন। অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



''রেজাল্টের এই কাকতালীয় মিল নিয়ে এ দুটি মেধাবী ছাত্র ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় থেকে একে অপরের পছন্দে আসে এবং কালক্রমে আল্লাহ’র ইচ্ছায় ২০০৯ সালে শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ হয়। আমার সৌভাগ্য, ঐ ব্যাচের দু’জন শ্রেষ্ঠ ছাত্র ছাত্রী আমারই ঘরে থাকে, এখনো আমরা কর্তব্যোপলক্ষে কিছু সাময়িক বিরতি ছাড়া একই ছাদের নীচে শান্তিতে বসবাস করে চলেছি।''

-দুআ করি, আপনার শান্তি আল্লাহ পাক আরও বৃদ্ধি করুন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ নেক দুআ'র জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত ও অভিভূত।
শুভকামনা জানবেন।

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

রাসেল ০০৭ বলেছেন: কারো সুখের স্মৃতি/ ভালো অনুভূতি গুলো শুনলে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে । ভালো থাকবেন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কারো সুখের স্মৃতি/ ভালো অনুভূতি গুলো শুনলে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে -- ধন্যবাদ এমন সুন্দর কথা বলার জন্য। মন্তব্যে অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আপনার সুখের স্মৃতি পড়ে খুবই ভাল লাগল ও খুবই অনুপ্রানীত হলাম ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ওমেরা, লেখাটি পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
শুভেচ্ছা রইলো...

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা ও য়েষ্টার্নগুলো নিয়ে এতো বেশী মজে থাকতাম যে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আদনানের জন্য রইল অনেক অনেক শুভ কামনা।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকে বাঁকা চোখে দেখে থাকলেও, কিশোরদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার পেছনে এসব বই এর অনেক ইতিবাচক অবদান ছিল।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা পেয়ে কৃতজ্ঞ বোধ করছি।
শুভেচ্ছা রইলো...

৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমি দোয়া করি আপনি আরও অনেক দিন সবাইকে নিয়ে সুখে থাকুন সদা। লেখাটা খুব ভালো লাগলো।
লেখাটা একজন উপযুক্ত মানুষকেই করেছেন।
আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম আপনার আন্তরিক মন্তব্যে। দোয়া আর প্লাসের (+) জন্য কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ১৯৯৯ সালের সাউথ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রালিয়ার খেলাটা তখন আমিও দেখেছি এবং আফ্রিকা ফাইনালে যেতে পারেনি তাই খুব কষ্টও পেয়েছিলাম। ওই বিশ্বকাপে হত ফেভারিট ছিল পাকিস্তান আর আমি পাকিস্তান কেই সাপোর্ট করছিলাম যে বিশ্বকাপ তা জিতুক, কিন্তু ফাইনালে সবচেয়ে খারাপ খেলাটাই খেলে। এখনও মনেআছে ওই খেলার কথা।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনরায় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

নাগরিক কবি বলেছেন: অসম্ভব ভাল লাগলো স্যার।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা জেনে আমিও অসম্ভব খুশী হ'লাম, অনুপ্রাণিত হ'লাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

১২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

টুনটুনি০৪ বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম লেখাটাতে অনেকদিন আগে আপনাকে সুস্বাগতম জানিয়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। আশাকরি, একদিন সময় করে দেখে নেবেন।

১৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: আদনানের সাফল্যের পুরো কৃতিত্বটুকু আমি নিঃসঙ্কোচে ওর মাকে দেই, কারণ ঘড়ির সাথে নিজেকে বেঁধে যেভাবে তিনি ছুটোছুটি করে ওদের সবকিছুর দেখভাল করেছেন, এটা মোটেই কোন সহজ কম্ম ছিল না। তাই আমার আজকের এ লেখাটিকে আনন্দের সাথে আমি তার সম্মানেই উৎসর্গ করলাম।

অভিনন্দন জানাই আপনার পরিবারের সকলকে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক, আপনার মন্তব্য পেয়ে উজ্জীবিত হ'লাম।
অনেক দিন পরে এলেন, আশাকরি ভাল আছেন সব দিক দিয়ে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য এবং আপনার পরিবারের সবার জন্য।

১৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম ।

পড়ার কোন বিকল্প হতে পারে নাহ সেটা একাডেমিক বই হোক অথবা গল্প উপন্যাস । কারন জিবনের মতে প্রতি মানুষের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে সুন্দর একটা বই । আপনার প্রতি শদ্ধা রইল ছেলেকে সুশীক্ষায় মানুষ করেছে এর চেয়ে বড় কাজ আর কি হতে পারে।

অভিনন্দন জানাই আপনাকে এবং পরিবারের সবাইকে ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন কবিতায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন। আমার লেখায় আপনাকে সুস্বাগতম!
আপনার উদার প্রশংসায় অভিভূত হ'লাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পড়ে ।

অনেক শুভকামনা রইলো ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, নীলপরি, লেখাটা পড়ে ভাল লাগার কথাটুকু এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।
শুভকামনায় এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা...

১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

মোঃ কাওছার ইসলাম বলেছেন: অসম্ভব ভাল লাগলো স্যার।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, লেখাটা পড়ার জন্যে এবং এপ্রিশিয়েট করার জন্যে। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা রইলো...

১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কৃতি বাবার কৃতি সন্তান :)

অভিনন্দন পিতা-পুত্র-মাতা সকলকে :)

দারুন পোষ্টে আপ্লুত

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, বিদ্রোহী ভৃগু, আপনার উদার এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
বাবার তেমন কোন কৃতিত্বের রেকর্ড নেই। জীবন যখন যা কিছু উপহার দিয়েছে, বাবা সদা হাসিমুখে তা নিজে উপভোগ করে গেছেন এবং এর আনন্দটুকু পরিবারের সবার সাথে ভাগ করে নিয়েছেন, এ টুকুই হয়তো বাবার কৃতিত্ব। দুঃখবোধকে কখনো জীবনের উজ্জ্বলতাকে ম্লান করতে দেন নি, যদিও দুঃখ ছাড়া কারো জীবন হয় না।
আপনার মন্তব্যটা আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে গেল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

১৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

টুশকি বলেছেন: বংশানুক্রমিক সফলতা!

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বংশে এমন সফলতা এর আগে কেউ পায়নি, তাই এটাকে বংশানুক্রমিক সফলতা বলা যায়না বোধ হয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ টুশকি, ভাল থাকুন!
শুভকামনা...

১৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনার লেখা পড়লে যা হয়, হারিয়ে যাই লেখার অভ্যন্তরে, লেখকের অভ্যন্তরে।

আপনার সন্তান বাংলা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে যে কৃতীত্ব দেখিয়েছেন, এটি যেকোন পিতামাতার জন্য গর্বের বিষয়।

সন্তানের প্রতি পিতার আত্মবিশ্বাস এবং ভালোবাসা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
লেখাটি কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের :)

সন্তানদের জন্য এবং পরিবারের সবার জন্য মঙ্গল কামনা করছি।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের :) -- ফেব্রুয়ারী মাসে লেখাটা প্রকাশিত হলেই ভাল হতো, তবে মার্চের একটা অনন্য দিনে এটা আত্মপ্রকাশ করেছে, তাতেও আমি খুশী।
আপনার মন্তব্যগুলোও সব সময় আমাকে নতুন কিছু প্রেরণা দিয়ে যায়। এটাও তাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
অনেক শুভকামনা...

২০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এই লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম!!!!


খুব খুব খুবই মজার আর ভালো লাগার একটা লেখা! :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যটা পড়ে আমিও খুব মুগ্ধ হ'লাম।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা...

২১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ একটা ছোটখাট আত্মজীবনী পড়ে ফেললাম । পড়তে অবশ্য অনেক সময় নিয়েছি ।
কারন আপনার লেখাটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে । বেশ । আমারো একটা খাতা ছিল । ওটার পাতায় পাতায় পত্রিকা থেকে ক্রিকেটারদের ছবি কেটে লাগাতাম আঠা দিয়ে । সেটা ২০০১/২০০২ এর কথা ।
সে খাতা কোথায় জানি না । আসলে তখন খেলার প্রতি আমার একটা ঝোঁক ছিল । এখন একেবারেই নেই।
বাংলাদেশ শ্রীলংকায় গেছে একটা টেস্ট ও খেলে যাচ্ছে, আমি তা জানিই না। আজ দুপুরে চা খেতে গিয়ে চায়ের দোকানের টিভিতে দেখেছি।

আপনার ছেলে এটা পড়েছে তো ? যদি পড়ে থাকে তাহলে আর তার চোখের দিকে তাকাবেন না।




৩। ওর প্রিয় ব্যক্তিত্ব—বলুন তো কে হতে পারে?


উত্তর দিয়ে দিয়েছি মনে হয়।


ভাল থাকুন আপনি, ভাল থাকুন পুরো পরিবার নিয়ে ।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: উত্তর দিয়ে দিয়েছি মনে হয় -- হ্যাঁ, আর আপনার উত্তরটা সঠিক বলেই মনে হচ্ছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা মন দিয়ে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা...

১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: লক্ষ্য করে দেখলাম, লেখাটা আপনি "প্রিয়"তেও নিয়েছেন, "লাইক"ও করেছেন। সেই সাথে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আবারো...

২২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক শুভকামনা রইলো। ইদানীং আমার খুব বুড়ো হতে ইচ্ছে করে B-)) :#)

১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই? মনে বুড়ো না হলেই হলো!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

২৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৮

মানবী বলেছেন: মেধাবী বাবার মেধাবী পুত্র, এমনটাই তো হবার কথা!

নতুন ভাষা শিখতে বই পড়া, গান শোনা এমনকি সিনেমা দেখারও বিকল্প নেই।
আর বই পড়া মানেই জানার নতুন নতুন দরজা খুলে দেয়া।

৯৯ এর বিশ্বকাপের সময়টা আমার জীবনেরও বেশ স্মরনীয় সময়!

ভালো লেগেছে বাবা ও ছেলের বন্ধুত্বকথন, অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাবা মেধাবী ছিলেন দশম শ্রেণী পর্যন্ত। তার পর স্বাধীন দেশের স্বাধীনতার স্বাদ পেয়ে মেধা শেষ, শ্রম শুরু।
৯৯ এর বিশ্বকাপের সময়টা আমার জীবনেরও বেশ স্মরনীয় সময় - এটুকু জেনেই তৃপ্ত থাকাটা বোধহয় সমীচীন, তাই আর বেশী কিছু জিজ্ঞেস করছিনা। তবে ধরে নিচ্ছি, সময়টা ভাল অর্থেই স্মরণীয়।
আমার লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, মানবী।
শুভকামনা...

২৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:০৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার শুরু ঈসপ্স ফেবলস্ দিয়ে।। আব্বার হাত ধরে।। শেষ আজও হয় নি।।
অফ টপিক: ৮০ দশকে ক্যাপ্টেন হাবিব এবং ক্যাপ্টেন শাহানা নামের কাউকে চেনেন?? ( স্বামী-স্ত্রী) দুজনেই ডাক্তার।। প্লিজ জানাবেন।। আমি উনাদের কাছে অনেক ঋনী।।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ক্যাপ্টেন হাবিব এবং ক্যাপ্টেন শাহানা সম্বন্ধে আরেকটু কিছু তথ্য জানতে পারলে ভাল হতো।
তবে আমি এক দম্পতিকে চিনি, তারা ক্যাপ্টেন হাবিব এবং ক্যাপ্টেন শাহীন, শাহানা নয়। যদি তাদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে থাকেন, তবে আমি তাদেরকে চিনি।
আরেকটু তথ্য দিন এবং এদের কথাই বলেছেন কিনা তা নিশ্চিত করুন, বাকীটা আলাপ পরে হবে। :)

২৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: ১৯৯৯ সালের সেই দিনটির কথা আমারও মনে আছে। আমারও সেদিন পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পড়ায় কি আর মন ছিল তখন। মনে মনে শিক্ষাবোর্ডের গুষ্টি উদ্ধার করছিলাম। :)
আপনাকের ক্রিকেট প্রেমের স্মৃতিকথা জেনে খুবই ভাল লাগছে। পিতা পুত্রের এই বন্ধন ও স্ত্রীর প্রতি আপনার যে সম্মানবোধ তা জেনে আমি মুগ্ধ। আরও জানলাম আপনার পুত্র আদনানের প্রিয় ব্যক্তিত্ব তার বাবা :) । সেই সময়ের তিন গোয়েন্দার কথা মনে করিয়ে দিলেন। নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে সেগুলো পড়তাম আমি।
আপনাদের সে খুশির দিনে আজ যেন আমরাও শামিল হলাম।
আপনার পরিবারের সকলের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা। বিশেষ করে সেই মায়ের প্রতি যিনি পরম যত্নে লালল করেছেন আদনানের মত সন্তানকে। ভাল থাকবেন সবাই মিলে :)

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা মন দিয়ে পড়েছেন, আন্তরিক অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন, এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি হার্দিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ। বুঝতে পারছি, আপনি লেখাটা পড়ে অনেক খুশী হয়েছেন।
বিশেষ করে সেই মায়ের প্রতি যিনি পরম যত্নে লালল করেছেন আদনানের মত সন্তানকে। ভাল থাকবেন সবাই মিলে - এমন আন্তরিক মন্তব্যে গভীরভাবে অভিভূত হ'লাম।
শুভকামনা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য।

২৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

জুন বলেছেন: প্রথমেই আপনার ছেলের জন্য রইলো অজস্র শুভকামনা খায়রুল আহসান । যদিও বেশ কিছূ বছর আগের কাহিনী তারপর ও জানাই অভিনন্দন । বেটার লেট দ্যান নেভার ।
আমার ছেলের কথা মনে পড়লো এ প্রসংগে । ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া ছেলে ক্লাশ থ্রি ফোর পর্যন্ত অনবরত বাংলায় ফেল । তার বাবা অন্য সাবজেক্ট পড়ায় সেগুলোতে ভালো রেজাল্ট । বাবার ধারনা বাংলাতো তার মাতৃভাষা সেটা পড়াতে হবে কেনো ! ফোরে বাংলায় ফেল করার পর তার বন্ধুর স্ত্রী এ দেশের সেরা স্কুলের বাংলার টিচার তার কাছে দিয়ে আসলো । সে তার স্কুলের সে ক্লাশের মান অনুযায়ী রচনা লিখতে দিল শীতের সন্ধ্যা । তখন শীতকালই ছিল। আমার ছেলের একটা গুন ছিল তা হবো জানুক না জানুক কেউ কিছু লিখতে দিলে না নেই। লিখে দিল দশ লাইনের মত । যথারীতি খাতা ময় লাল কালির দাগ। জিজ্ঞেস করলাম ছেলেকে কি ব্যপার ? ছেলে মন খারাপ করে জানালো "আম্মু আন্টি অনেক ফাস্ট খাতা দেখেছেতো তাই এতগুলো কাটা দিয়েছে"। আমি তখন ঐ টিচার বাদ দিয়ে আমার পরিচিত এক ছেলেকে বলি শোনো মনে করবে ও একদম প্রথম ক্লাশের ছাত্র সেভাবে পড়াও। ও কিন্ত বর্নমালাও ভালো করে চেনে না। সেও অ আ দিয়ে শুরু করলো। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না এরপর আমার ছেলে কখোনো বাংলায় আশির নীচে পায়নি ।। আমি ঐ টিচারের প্রতি এখোনো কৃতজ্ঞ।
আর পাঠ্য পুস্তকের বাইরে প্রচুর বই আমাদের বাবা মা কিনে দিতো । জন্মদিনে পুতুল না দিয়ে গল্পের বই দিলে কি যে খুশী হোতাম । আর ছেলেকে তো এ ব্যাপারে কিছু বলার কথা মাথাতেই আসে নি ।
ভালোলাগলো আপনার ঝলমলে আনন্দের এক স্মৃতিচারপ । ফাকে আমিও কিছু বলে নিলাম :)
+

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার অভিনন্দন সাদরে গৃহীত হলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এ পোস্টে দ্বিতীয় "লাইক"টা আপনি দিয়েছিলেন কয়েকদিন আগে। ভেবেছিলাম আর বুঝি আসবেন না। পুনরায় এসে মন্তব্য করে গেলেন, অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার ছেলেরও অসামান্য সাফল্যের কথা জেনে খুব ভাল লাগলো। যারা মেধাবী, তাদেরকে শুধু একটু দেখিয়ে দিতে হয়, ধরিয়ে দিতে হয়। বাকীটুকু তারা নিজেরাই করে নিতে পারে, এবং খুব ভাল ভাবে। আপনার ছেলেও তাই করেছে। ওর সাফল্য কামনা করি, জীবনে অনেক বড় হোক, বাবা মায়ের মত ভাল মানুষ হিসেবে সকলের নিকট সমাদৃত হোক!
ফাকে আমিও কিছু বলে নিলাম -- এ রকম ফাঁকের কথা আরও শুনতে চাই। :)

২৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ৮০র দশকের প্রথম দিকে সিলেটে পোষ্টিং ছিল দুজনেরইএক সময় ।। দুজনেই তখন ক্যাপ্টেন।। আপার নামটা বোধহয় শাহিনই হবে।।
সিলেটের পর ঢাকায় পোষ্টিং।।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, ক্যাপ্টেন হাবিব এবং ক্যাপ্টেন শাহীন ১৯৮৪ সালে এবং তার কিছু আগে পিছে সিলেটে ছিলেন এবং তখন আমি একবার তাদের বাসায়ও গিয়েছিলাম বলে মনে পড়ে। তারা উভয়ে এখন অবসরপ্রাপ্ত এবং ঢাকায় বসবাস করেন। ক্যাপ্টেন হাবিব একটি মানসিক প্রতিবন্ধী স্কুলের সাথে জড়িত আছেন। আরো কোন ব্যক্তিগত তথ্য জানতে বা জানাতে চাইলে আমার ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারেন।

২৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




আপনার এই একটি সুখের স্মৃতি পড়ে যা মনে হলো তাতে এই পোস্টের "উৎসর্গ"টা একজন যোগ্য মায়ের হাতে আর একজন যোগ্য সহধর্মীনির কন্ঠে ফুলহার হয়ে রইলো ।

আপনার পুরো পরিবারের প্রতি রইলো শুভেচ্ছা ।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস। আপনার যেটা মনে হয়েছে সেটাই শতভাগ ঠিক। যোগ্য মায়ের স্নেহ যত্ন আর যোগ্য সহধর্মীনির সহায়তা ছাড়া সংসারে সমৃদ্ধির ফুল ফোটেনা।
আপনার এই আন্তরিক শুভেচ্ছায় আপ্লুত হ'লাম। কৃতজ্ঞতা।

২৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।। যোগাযোগ করবো।।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা।

৩০| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

ক্লে ডল বলেছেন: আপনার সুখের স্মৃতি পড়ে খুব ভাল লাগল!!

মানবীর সাথে আমিও একমত। মেধাবী বাবার মেধাবী ছেলে!! :)

শেষে এসে উৎসর্গ দেখে আরো ভাল লাগল।

আপনার পুরো পরিবারের জন্য রইল অজস্র শুভকামনা।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ শুভকামনা আমরা মাথায় তুলে নিলাম। উদার মন্তব্য অনেক প্রেরণা দিয়ে গেল। প্লাসটাও।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্যেও...

৩১| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২১

প্রবাসী দেশী বলেছেন: "আমি বলবো, ছেলেকে পড়তে দিন, সে যা পড়তে চায়। দিন শেষে কোন পড়াই বিফলে যায় না।"
পুরো পরিবারের প্রতি রইলো অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন। আমার লেখায় আপনাকে সুস্বাগতম!
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৩২| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৮

প্রবাসী দেশী বলেছেন: বিষয়টা আমি অন্যভাবে দেখি।লেখা পড়ে হিংসা হচ্ছিলো, ভেবেছিলাম থাকুক না হিংসাটা মনের মধ্যে, কারো সুখের স্মৃতি শুনে বা পড়ে যখন হিংসা হয় তখন বুঝতে হবে অনুভুতিটা খুব গভীরের ,মানুষটা খুব কাছের এবং এই হিংসাটা কিন্তু ভালোলাগার,জীবন কে গড়ার, অনুপ্রেরণার হয়ে যায় ।জীবনের সত্যিকারের সুখের স্মৃতিগুলো যখন রোমন্থিত হয় তখন কিন্তু নিজের আবেগ কে ধরে রাখা খুব কষ্টের হয়, নিস্সাস নিতে কষ্ট হয়,চোখ ঝাপসা হয়ে আসে ,বুকের মাঝে চীন চীন একটা ব্যাথা অনুভূত হয় , এই পর্যন্ত ২৮৫ টি পোস্ট।যতই পড়ছি ততই যেন ভালোবাসয় ও ভালোলাগায় ঋদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে। আপনারা আছেন বলেই হয়তো এখনো মানুষ ব্লগে আসে মানুষের লেখা পড়ে. রবীন্দ্র নাথের ২ তা লাইন নাবলে পারলাম না। মাঝে মাঝে তব দেখা পাই ...চিরদিন কেন পাই না। ভালো থাকুন সবসময়।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ আন্তরিক মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত বোধ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

৩৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী একটি লেখা। ছেলের রেজাল্টের অংশটা পড়ার সময় কেন জানি আমিও উত্তেজনা বোধ করছিলাম, এবং রেজাল্ট জানার পর আমারও গর্বে বুক স্ফিত হয়ে উঠছিল।

ছেলে, ছেলের বউ আর গর্বিত মা-বাবার জন্য অজস্র ভালোবাসা আর শুভ কামনা থাকলো স্যার।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছেলের রেজাল্টের অংশটা পড়ার সময় কেন জানি আমিও উত্তেজনা বোধ করছিলাম, এবং রেজাল্ট জানার পর আমারও গর্বে বুক স্ফিত হয়ে উঠছিল। - অনেক, অনেক ধন্যবাদ, এই সহমর্মিতার জন্য। অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আমার পরিবারের সবার জন্য আপনার এই শুভকামনা মহান আল্লাহতা'লা কবুল করুন এবং এজন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন!
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা...

৩৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারণ সুখের গল্প , গল্পের পিছনের কুশীলব দের জন্য শ্রদ্ধা !
আপনার ছেলে এবং আপনি দুজনেই ভাগ্যবান যোগ্যতম সহ ধর্মিণীর বেলায় !


শুভ কামনা আপনাদের পরিবারের সবার জন্য ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ছেলে এবং আপনি দুজনেই ভাগ্যবান যোগ্যতম সহ ধর্মিণীর বেলায়[/sb- চমৎকার এ পর্যবেক্ষণের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্লাসে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা রইলো।

৩৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১২

মাঝিবাড়ি বলেছেন: এতো সাবলীল জীবনের গল্প পড়ে আমি অবাক পিতা পুত্রের ক্রিকেট ভক্তি, পিতা পুত্রের একান্ত সন্ধি মায়ের বকুনি থেকে রক্ষা পেতে! দুই জিনিয়াসের বন্ধন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে! অসাধারণ লিখা....

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: উদার মন্তব্য, যে কোন লেখককেই উজ্জীবিত করবে। আমাকেও করলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, মাঝিবাড়ি।
শুভেচ্ছা...

৩৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০২

করুণাধারা বলেছেন:
জানি না এই চমৎকার লেখাটি কেন আগে চোখে পড়ে নি! খুব ভাল লাগল ছেলের কথা, বেশি ভাল লাগল ছেলের কৃতিত্বের জন্য মায়ের অবদানকে এত সুন্দর ভাষায় স্বীকৃতি দিয়েছেন, এই ব্যাপারটি।

দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনার পরিবারের শান্তি বাড়িয়ে দেন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও, এত সুন্দর করে আমার লেখাটির প্রশংসা করার জন্য এবং আমাদের জন্য দোয়া করার জন্য। পোস্টটা লাইক করাতে অনুপ্রাণিত হয়েছি, মন্তব্যে আপ্লুত।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা!

৩৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৮

জুন বলেছেন: নোটিফিকেশন না আসায় দেখিনি আমার মন্তব্যের উত্তর । এখন এসে দেখি শুধু নিজের কথাই বলে গেছি। আসলে ফোন থেকে টাইপ করায় অনেক কিছুই বলা হয়নি । তার মধ্যে প্রধান হলো আপনার স্ত্রীর অবদানের জন্য অভিনন্দন জানানো
আপনার ছেলেকে অভিনন্দনের পাশাপাশি আপনার স্ত্রীর অবদানটি আপনি অকুন্ঠ চিত্তে তুলে ধরেছেন এটা আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে খুবই কম দেখা যায় । ভাবী সহ আপনিও আমার অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাবেন ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাবী সহ আপনিও আমার অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাবেন। - - অনেক ধন্যবাদ জুন, দ্বিতীয়বার এসে এখানে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। এমন আন্তরিক অভিনন্দনে সত্যিই অভিভূত হয়ে গেলাম।
আমার ছেলেদের সাফল্যের জন্য শতভাগ কৃতিত্বের দাবীদার ওদের মা। বেচারা সারাজীবন অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে ওদেরকে ভাল শিক্ষা দেয়ার জন্য, সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব ভাল খাওয়ানো পরানোর জন্য, ভাল আচার আচরণে ওদেরকে দীক্ষিত করার জন্য।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য, আমার ভাইটির জন্য এবং ভাতিজার জন্য। ভাল থাকুন আপনারা সবাই...

৩৮| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।

১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার মুগ্ধতা আমাকে প্রেরণা যুগিয়ে গেল।
পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারক!

৩৯| ১৪ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

মিথী_মারজান বলেছেন: কি যে সুন্দর!
কতটা যে ভালোলাগার, কতটা যে ভালোবাসার স্মৃতিচারণ, কি বলবো!
৩। ওর প্রিয় ব্যক্তিত্ব - বলুন তো কে হতে পারো? :)
লাইনটির শেষের ইমোটিকনটিতে স্পষ্ট আপনাকে দেখা যায়।
এখানটায় আমার নিজেরই দমবন্ধ লাগছিল আনন্দে।
আপনার অনুভূতিটা হয়ত: অনুভব করতে পেরেছি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার পরিবারের সবার জন্য।

১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: লিঙ্ক ধরে এসে লেখাটা পড়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে দারুণ অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা---

৪০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন অভিজ্ঞ মানুষ।
কিছু কিছু লেখা বারবার পড়লেও বিরক্ত লাগে না।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.