নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ভূগোল আমার অন্যতম প্রিয় বিষয় ছিল। সহপাঠীদের সাথে কিংবা বাসায় বড় বোনের সাথে আমরা ম্যাপ ম্যাপ খেলতাম। বেশ মনে পড়ছে আমরা আরেকটা খেলা খেলতাম, যার নাম ছিল “Name-Place-Animal-Thing”। অর্থাৎ কেউ একজন পালাক্রমে ইংরেজী একটা বর্ণ উল্লেখ করবে, পরে সবাই সেই বর্ণকে আদ্যোক্ষর করে প্রথমে একজন মানুষের নাম, তারপরে একটা জায়গার নাম, তারপর একটা প্রাণীর নাম এবং সবশেষে যে কোন একটা জিনিসের নাম লিখবে। এটাই ছিল প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় “জায়গার নাম” লেখার সময় ভূগোলের জ্ঞানের প্রয়োজন হতো। কেউ চ্যালেঞ্জ করলে ম্যাপ খুলে উল্লেখিত জায়গার নামটা দেখিয়ে দিতে হতো। এজন্য সবুজ প্রচ্ছদের একটা “অক্সফোর্ড স্কুল এটলাস” আমাদের হাতের কাছেই রাখতাম। ম্যাপ ঘাটাঘাটি করতে করতে সেই আমলেই জেনেছিলাম, ভুটানের রাজধানীর নাম ‘পুনাখা’ যা ততদিনে ‘থিম্পু’তে স্থানান্তরিত হয়ে থাকলেও ম্যাপের সংস্করণে উঠেনি। শুধু ঐ টুকু ছাড়া এবং ভুটান একটি ‘পাহাড়ী কন্যা’ দেশ- এই জ্ঞানটুকু ছাড়া ভুটান সম্পর্কে আর কিছুই জানতাম না। কিছুকাল পরে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভুটান সম্পর্কে কৌতুহল অনেকখানি বেড়ে গেল যেদিন রেডিওতে বিবিসি’র খবরে শুনলাম ভুটান ও ভারত একইদিনে, ০৬ ডিসেম্বর ’৭১ তারিখে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মনে পড়ে, অজানা দেশ ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞতায় সেদিন মনটা ভরে গিয়েছিল। বাঙলার মাটিতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর লজ্জাস্কর চূড়ান্ত পরাজয়ের দশদিন পূর্বেই ০৬ ডিসেম্বর ৭১ তারিখে ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের নিকট নিম্নোক্ত টেলিগ্রামটি প্রেরণ করেছিলেনঃ
“On behalf of my Government and myself, I would like to convey to Your Excellency and the Government of Bangladesh that we have great pleasure in recognizing Bangladesh as a sovereign independent country. We are confident that the great and heroic struggle of the people of Bangladesh to achieve freedom from foreign domination will be crowned with success in the close future. My people and myself pray for the safety of your great leader Sheikh Mujibur Rahman and we hope that God will deliver him safely from the present peril so that he can lead your country and people in the great task of national reconstruction and progress.
Jigme Dorji Wangchuck
King of Bhutan
6 December 1971
(সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)
এর পরে আবার ভুটান আমার শ্রদ্ধা ও সম্মানের আসনে ভাস্বর হলো, যখন ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বরে ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংঘে ওয়াংচুক ঢাকায় এলেন সার্ক শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে। সম্মেলনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানগুলোতে প্রথমে হাঁটু মোড়া মোজা এবং হাফ প্যাণ্ট পরা, লাল-সোনালী রঙের ওপরের আচ্ছাদনে আবৃত “ড্রাগন রাজা”কে দেখে একটু বিস্মিতই হয়েছিলাম। কিন্তু ভুল ভাংলো যখন মান্যবর রাজা ভাষণ দিতে শুরু করলেন। চমৎকার ইংরেজীতে দেয়া এই স্মার্ট রাজার ভাষণের কথা আমার আজও স্পষ্ট মনে আছে, যারপরনাই মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছিলাম সেদিন। তবে অভিভূত হবার পালা তখনো শেষ হয়নি। এলফ্যাবেটিক্যাল অর্ডারে সবার শেষে ভাষণ দিতে উঠলেন সাদা লুঙ্গি, সাদা জামা পরিহিত শ্রীলঙ্কার সাদাসিধে মান্যবর প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জয়াবর্দ্ধন। নিঃসন্দেহে তাঁর সম্মোহনী ভাষণটিই ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সর্বসেরা ভাষণ। সেদিন আমি সবচেয়ে বেশী চমৎকৃত হয়েছিলাম তাঁর ভাষণটি শুনে। সে ভাষণটি আজ অবধি আমার শোনা অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ।
এখানে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে ভুটান দেশটি সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু কথা বলে রাখতে চাই। ‘পাহাড় কন্যা ভুটান’ হিমালয় পর্বতমালার দক্ষিণ পূর্ব কোল জুড়ে অবস্থিত। দেশটি দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে ভারত দ্বারা পরিবেষ্টিত, উত্তরে তিব্বত ও চীন। পশ্চিমে কিয়দংশ জুড়ে সিকিম (ভারত) এর পর নেপাল অবস্থিত। বহু শতাব্দী ধরে ভুটান একটি সার্বভৌম রাজ্য। ইতিহাসে কখনো ওরা সরাসরি ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে আসেনি। তবে এক চুক্তির বলে ব্রিটিশরা ওদের শুধুমাত্র বৈদেশিক সম্পর্কের নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ করতো, রাজার অভ্যন্তরীন শাসনে ওরা কখনো হস্তক্ষেপ করেনি। পরবর্তীতে ভারতের সাথে ভুটানের অনুরূপ একটি চুক্তি হয়, যার বলে ভুটান তার বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের “পরামর্শ” দ্বারা পরিচালিত হতে সম্মত হয়, তবে দুটি দেশ একে অপরের অভ্যন্তরীন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট না হওয়ার অঙ্গীকার করে। আরও পরে, ২০০৭ সালে বর্তমান রাজার শাসনামলে ভুটান ভারতের সাথে মৈত্রী চুক্তিটি নবায়নকালে একে অপরের স্বার্থবিরোধী কাজে নিজ দেশের ভূমি ব্যবহৃত হতে দেবেনা বলে অঙ্গীকার করে এবং দুটি দেশ কেউ কারো অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেনা বলেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। এই চুক্তির ফলে ভুটানের সার্বভৌম স্ট্যাটাস আরও সুসংহত হয়। বহু পূর্ব থেকেই বহির্বিশ্বের সাথে ভুটান লো প্রোফাইল সম্পর্ক বজায় রেখে চলে এসেছে, যদিও ১৯৭১ সালে সম্মিলিত জাতিসংঘের সদস্য হওয়া এ দেশটি ধীরে ধীরে এখন অনেক দেশের সাথেই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিশ্বের মোট ৫২ টি দেশের সাথে ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে মজার ব্যাপার হলো যে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য ৫টি দেশের কোনটির সাথেই ভুটানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়া ভুটানে অন্য কোন দেশের আবাসিক দূতাবাসও নেই।
এবারে ভুটানের রাজধানী থিম্পু সম্বন্ধে কিছু বলি। পশ্চিম ভুটানের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত থিম্পু ভুটানের একমাত্র আধুনিক নগরী ও রাজধানী। ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ১৯৬১ সালে থিম্পুকে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। রাজধানী হওয়া ছাড়াও প্রচুর প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির এবং দূর্গের জন্য এ নগরী সুপরিচিত। তার মধ্যে তাশিছো দূর্গ এবং মেমোরিয়াল চর্টেন উল্লেখযোগ্য। নগরীর উচ্চতা ৭৬১২ ফিট, আয়তন প্রায় দশ বর্গমাইল, ২০১৫ সালের অনুমিত জনসংখ্যা মাত্র ১,০৪,০০০ জন। পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত রাজধানীগুলোর মধ্যে থিম্পু তৃতীয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭৪০০ফিট থেকে ৮৭০০ ফিট পর্যন্ত উচ্চতায় বিস্তৃত এ নগরী সম্ভবতঃ পৃথিবীর একমাত্র রাজধানী, যেখানে কোন বিমান বন্দর নেই। ৫৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পারো বিমান বন্দর হয়ে বহির্বিশ্বে যাতায়াত করতে হয়।
আবারো আমাদের ভ্রমণ প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। বেলা দেড়টা নাগাদ আমাদের পারো বিমান বন্দর ত্যাগের আনুষ্ঠানিকতাদি সম্পন্ন হলো। পৃথিবীর যেকোন দেশ সম্বন্ধে পর্যটকরা প্রথম ধারণা পায় তাদের বিমান বন্দরে নেমে। পারোতে নেমে আমার প্রথম অভিজ্ঞতাটাই ছিল, এটা একটা শান্তির দেশ। ছিমছাম, শুনশান, সুন্দর ও পরিষ্কার বিমান বন্দর, লোকজন আস্তে আস্তে কথা বলে। সবকিছু ধীর স্থির, কারো যেন কোন তাড়াহুড়ো নেই। ইমিগ্রেশনের লোকদের ব্যবহার সৌহার্দ্যমূলক ছিল (তবে এখানেই বলে রাখি, ফেরার দিনে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় এক কটকটে মহিলার আচরণ ভাল লাগেনি- ভালমন্দ তো সব দেশেই আছে, All grass is not greener on the other side!)। আমাদের যে বন্ধুটি প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিল, সে ট্যুর গাইডের খোঁজে প্রথমে একাই বাইরে গেল। কিছুক্ষণ পর সে একটা ছাতা হাতে আবার ভেতরে প্রবেশ করলো এবং আমাদেরকে যার যার ট্রলী নিয়ে এগোতে বললো। বাইরে বেরিয়ে দেখি একটা সুন্দর দশ সীটের মাইক্রোবাস, তার সামনে অনেকটা সৈনিকদের মত এক সারিতে দাঁড়ানো দু’জন ভুটানী, তাদের জাতীয় পোষাকে, অর্থাৎ হাফ প্যান্ট, হাঁটু মোড়া কালো মোজা আর ওপরে মেয়েদের কাফতান জাতীয় একটা কটিবন্ধনযুক্ত পরিচ্ছদে আবৃত। পরে ওদের সাথে আলাপচারিতায় জেনেছি, অফিসে আদালতে, দাপ্তরিক কাজে কিংবা কোন কর্তব্য পালনের সময় ওদেরকে ঐ পোষাকই পরিধান করতে হয়। অন্যান্য সময় ওরা যখন আড্ডা দেয় কিংবা কোথাও ঘোরাফিরা করে, তখন ওরা জীন্স/ডেনিম এবং পোলো/টী শার্ট পরিধান করে। ওদেরকে দেখে প্রথম যে চিন্তাটা আমার মাথায় এলো, আমাদের যদি কোন জাতীয় পোষাক থাকতো, তাহলে আমাদেরকে কেউ দৈনন্দিন দাপ্তরিক কাজে কর্মে কি ঐ পোষাকটি পরিধানে বাধ্য করাতে পারতো?
মুহূর্তের মধ্যে নিপুণ দক্ষতায় আমাদের ব্যাগেজসমূহ গাড়ীতে ওঠালো ওরা দু’জনে মিলে। একজন MIGMA TSHERING, অবিবাহিত, সে ভারতের দার্জিলিং এ গ্রাজুয়েশন করেছে। অপরজন WANGCHEN TOBGYEL, সে একজন নেপালী মেয়েকে বিয়ে করে সুখের সংসার করছে। MIGMA TSHERING আমাদের ট্যুর গাইড, বয়স ২৭/২৮ বছর হবে, অত্যন্ত মায়াবী চেহারা। সে এগিয়ে এসে শুদ্ধ ইংরেজীতে প্রথমে নিজেকে, পরে WANGCHEN TOBGYEL কে ইন্ট্রোডিউস করিয়ে দিল। ওরা উভয়েই বয়সে প্রায় আমাদের সন্তানসম, তথাপি চলার পথে আলাপচারিতায় সুযোগ পেলেই ওরা হাল্কা হিউমার যোগ করে আমাদের সাথে বেশ হাসি ঠাট্টা করে চলছিলো। মিগমা জন্মের পর পরই তার মাকে হারায়, পরে তার বাবা আবার বিয়ে করে। ফলে সে কিছুকাল সৎ মায়ের আশ্রয়ে এবং পরে নেপালী বংশোদ্ভূত তার বড় ভাবীর সংসারে বড় হয়। অত্যন্ত ভাল লেগেছে যে সে আমাদের সাথে আলাপচারিতায় তার বাবা, সৎ মা, বড় ভাই এবং বড় ভাবী, সবার সম্বন্ধে খুব প্রশংসা করেছে এবং কারো সম্বন্ধে একটাও বদনাম করে নাই। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সে এখনও গ্রামে গিয়ে তার বাবাকে কৃষিকাজে সাহায্য করে বলে জানায়। দারুচিনি তাদের প্রধান অর্থকরী ফসল বলে সে জানিয়েছে। ওয়াংচেন গাড়ীচালক, তার বয়স মিগমা’র চেয়ে বছর পাঁচেক বেশী হবে। সে নিত্য পানখোর, ঝাঁঝালো ভুটানী পান, শুপারি ও চুনে তার ফর্সা মুখ সবসময় লাল থাকে। সে এক কন্যা সন্তানের জনক, তীক্ষ্ণ কৌতুকবোধের অধিকারী।
পারো বিমান বন্দর থেকে আরামদায়ক মাইক্রোবাসে চড়ে আমরা রাস্তার আশে পাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী দেখতে দেখতে রাজধানী থিম্পু’র দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, আমাদের গাড়ীটি আস্তে করে রাস্তার একপাশে সরে থেমে দাঁড়ালো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখলাম, রাস্তার অপর পাশ দিয়ে ১০/১৫ টা গাড়ী নিয়ে একটা গাড়ী বহর চলে গেল- কোন সাইরেন নেই, কোন হুইসেল নেই, কোন কর্মতৎপরতা প্রদর্শনের আতিশয্য নেই! গাইড মিংমাকে জিজ্ঞেস করাতে সে জানালো, রাজ পরিবারের কেউ বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছেন। ওনাদের গাড়ী বহর দেখলে সবাই রাস্তার একপাশে থেমে দাঁড়াবে, এটাই ওখানে নিয়ম। শুধুমাত্র সামনের পাইলট গাড়ীতে আলো জ্বলবে, ব্যস, ওটুকুই যথেষ্ট আইন মান্যকারী ভুটানবাসীদেরকে স্বেচ্ছায় তাৎক্ষণিক থামিয়ে দিতে। গাড়ী বহর চলে গেলে আবার যে যার মত কোন সংকেত ছাড়াই আপন গতিতে চলা শুরু করলো। প্রায় ঘন্টা দেড়েক চলার পর আমরা আমাদের জন্য নির্ধারিত রামাদা ভ্যালী রিসোর্টে এসে পৌঁছলাম। প্রবেশের সাথে সাথেই অভ্যর্থনাকারীগণ আমাদের উষ্ণ অভিবাদন জানালো এবং শুভেচ্ছার প্রতীক হিসেবে সাদা উত্তরীয় পরিয়ে দিল আর চা পানে আপ্যায়িত করলো। রিসেপশনের আনুষ্ঠানিকতাদি সম্পন্ন করার পর দেখি বেল বয় আমাদের যার যার লাগেজ নিয়ে দরজার সামনে অপেক্ষমান। প্লেন তিন ঘন্টা বিলম্ব করাতে এমনিতেই অনেক দেরী হয়ে গেছে। বাকীটুকু দিনের আলোতে যেটুকু দেখা যায়, সেটুকুই দেখার জন্য আমরা সামান্য বিরতি নিয়ে পুনরায় বের হ’লাম।
থিম্পু, ভুটান
১৫ মে ২০১৭
সদা সহযোগী মিগমা শেরিং এর সাথে...
With Migma Tshering, our ever helpful tour guide....
Being welcomed at the Ramada Valley Resort on arrival....
Standing at a high altitude, yet looking higher up!
আমরা চারজনা...
We four...
এক প্রাচীন মন্দিরের একপাশে দাঁড়িয়ে...
On the sides of an old monastery...
"বৃক্ষের নিকটে গিয়ে বলি;
দয়াবান বৃক্ষ তুমি একটি কবিতা দিতে পারো?
বৃক্ষ বলে আমার বাকল ফুঁড়ে আমার মজ্জায়
যদি মিশে যেতে পারো, তবে
হয়তো বা পেয়ে যাবে একটি কবিতা!" - কবি শামসুর রাহমান এর "একটি কবিতার জন্য" কবিতা থেকে।
Seeking poetic inspiration from mute vegetation...
ভুটানের রাজপ্রাসাদ
His Majesty the King's Palace
Not sure (now) what the sign board conveys
At a quiet place...
সুখ ও শান্তি,
প্রকৃতি ও জনবসতি,
পাশাপাশি....
Peace and happiness...
১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যটির জন্য জানাচ্ছি বিশেষ শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
ভ্রমণ পোস্টটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো...
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩০
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট,সর্বপ্রথমেই মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ভূটানের অবস্থান।তারপর এটিকে এগিয়ে ভূটান সম্পর্কে জানানো।
আপনার শৈশবের খেলাটি সত্যিই মজারু ছিলো।
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম প্লাসটা দিয়ে অনেক প্রেরণা দিয়ে গেলেন, সেজন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
ভুটান ও ভারত আমাদের দেশকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল, এটা ঐতিহাসিক সত্য। এ কারণে দেশ দু'টি ও তার জনগণ আমাদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছার দাবীদার।
শৈশবের ঐ খেলাটি সত্যিই খুব মজার ছিল। এতে সাধারণ জ্ঞান এবং শব্দভান্ডার (ভোকাবুলারি), দুটোই বৃদ্ধি পেত।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: তৃতীয় মন্তব্য চতুর্থ লাইক।
১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ এজন্য। প্রীত হ'লাম।
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৯
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ছবি গুলো দারুন।
১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: বিস্তারিত বর্ণনা খুব খুব ভালো লাগলো। প্রথমে যে কথাগুলো বলেছেন তাতে অনেক কিছু শেখার আছে।
অসাধারণ পোষ্ট।
১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: উদার প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৫
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভ্রমন কাহিনী খুব ভালো লাগলো। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলো।
১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো। অন্ততঃ সপ্তাহ খানেক অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে হচ্ছে।
৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:০০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বরাবরের মতই সুন্দর একটি পোষ্ট। লেখায় ও ছবিতে মন ভরেছে।
পাহাড় আমাকে সেই ছোট বেলা থেকেই খুব আকর্ষন করে।
ক্লাস থ্রিতে থাকতে একবার তিন মাস বান্দরবানে থাকার সুযোগ হয়েছিল।
ছোটবেলার অনেক স্মৃতিই মনের ভেতরে গেথে আছে।
কেন জানিনা পাহাড় দেখলেই মনটা শুধু পাহাড়ের কাছেই ছুটে যেতে চাই।
সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য আবারও ধন্যবাদ ভাইয়া।
১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখায় ও ছবিতে মন ভরেছে - অনেক ধন্যবাদ এ কথাটার জন্য। প্লাসেও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা...
৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২১
করুণাধারা বলেছেন: লেখা,ছবি- দুইই খুব ভাল লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
তবে একটা কথা বলি, আপনার কবিতা, গল্প,ভ্রমণকাহিনী - সবই ভাল কিন্তু আপনার ইংলিশ কবিতা তুলনাহীন। আপাতত সেগুলো পড়ার আকর্ষণ কাটাতে পারছিনা। অনবদ্য। মনে হয় বাংলার চেয়ে আপনি ইংলিশে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য।
ভাল থাকুন।
১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখা,ছবি- দুইই খুব ভাল লাগল - অনেক খুশী হ'লাম এ কথা জেনে, অনেক ধন্যবাদ।
মনে হয় বাংলার চেয়ে আপনি ইংলিশে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য - বাংলা মাতৃভাষা, স্বাচ্ছন্দ্য তো বাংলায় লিখতেই বেশী বোধ করার কথা, করিও তাই। তবে এখানে প্রকাশিত আমার অনেকগুলো কবিতা আছে, যা প্রথমে ইংরেজীতে লিখেছিলাম, পরে তার ভাব অবলম্বনে বাংলায় লিখেছি, ঠিক অনুবাদ নয়।
আপনার মত অবশ্য আমার আরো কয়েকজন পাঠক বন্ধু এমন কথাটি বলেছেন।
৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৫
জুন বলেছেন: খুব ভালোলাগছে চোখে দেখা ভুটানকে আবারো আপনার চোখে দেখে নিতে খায়রুল আহসান । ছবি আর বর্ননা খুবই আন্তরিক এবং সাবলীল ভাষায় লেখা যা পড়তে খুব ভালোলাগলো ।
ভুটান নিয়ে আমার কিছু লেখা আছে । এখানে আমার একটা কবিতার লিংক দিলাম যা মুলত ছবি ব্লগ। ২য় ছবিটি পারো বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যাবার সময় যা আপনি অবশ্যই দেখেছেন। আর শেষ ছবিটি আমার ছেলে আর স্বামী যখন পারোর বিখ্যাত টাইগার নেস্ট/ তাকসাং মনেস্ট্রিতে গিয়েছে, ফিরেছে দু ঘন্টা পর । আমি পায়ের ব্যাথায় নীচে গাড়ীতে বসে অপেক্ষা করছি তখন ঘোড়াগুলো যাচ্ছিল । অদ্ভুত সুন্দর লেগেছিল সেই দৃশ্যটি।
তোমায় দেখা
৬ নং ভালোলাগা দিয়ে গেলাম ।
১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবি আর বর্ননা খুবই আন্তরিক এবং সাবলীল ভাষায় লেখা যা পড়তে খুব ভালোলাগলো - খুশী হ'লাম- ।
৬ নং ভালোলাগা পেয়ে অনুপ্রাণিত হ'লাম, অনেক ধন্যবাদ।
যাচ্ছি, আপনার "তোমায় দেখা" পড়তে।
১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার "তোমায় দেখা" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম। পুরনো পোস্টে মন্তব্যের নোটিফিকেশন যায় না, তাই এখানেই বলে গেলাম। সময় করে দেখে নিবেন আশা করি।
১০| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
শামছুল ইসলাম বলেছেন: খেলাটা আমিও খেলেছি, একটু ভিন্ন নামে - নাম-দেশ-ফল-ফুল । পুরনো শৈশব স্মৃতিরা জেগে ওঠেছে আপনার লেখা পড়ে ।
শুধু একটা দেশ নয়, তার মানুষদেরও খুব কাছে থেকে দেখার আপনার আন্তরিকতায় ভ্রমণ কাহিনীটা মন ছুঁয়েছে ।
একটা গাড়ির আলো জ্বলা দেখে সবাই থেমে গেল, আবার বিশেষ গাড়িটি চলে যেতেই সবাই যে যার মত চলতে গুরু করলো - বাহ্, কত সুশৃংখল ।
গাইড মেয়েটা তার সৎ মা ও পরিবার সম্বন্ধে কোন বিরূপ মন্তব্য না করে বরং প্রশংসা করেছে পরিবারের - আমরা কী করছি তাই ভাবছি?
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে এমন ঘনিষ্ঠ ভাবে ভুটানের জড়িয়ে থাকার ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে ।
আপনার শান্তির দেশ ভুটান ভ্রমণ উপভোগ করছি ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: গাইড মিগমা শেরিং এর নামটা মেয়েলী শোনালেও এবং তাকে দেখতে মেয়েদের মত মনে হলেও আসলে সে একজন পুরুষ, ভব্য এবং সজ্জন।
নাম-দেশ-ফল-ফুল এর খেলাটাও প্রায় একই রকমের ছিল বলে মনে হয়, শুধু "Animal-Thing” এর জায়গায় 'ফল-ফুল'।
বোঝাই যাচ্ছে, দীর্ঘ হলেও পোস্টটা খুব মন দিয়ে পড়েছেন। এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...
১১| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৮
উম্মে সায়মা বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা আর ছবি মিলিয়ে বেশ ভালো লাগল খায়রুল আহসান ভাই। মিগমাকে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম মেয়ে। দেখতে এবং নাম দুটোই মেয়ের মত
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মিগমার চেহারা এবং ওর নাম, দুটোই মেয়েদের মত। সুতরাং, আপনার প্রথম ভাবনাটা অমূলক ছিলনা।
আমার লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১২| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
জুন বলেছেন: আরেকটি কথা উল্লেখ করতে ভুলে গেছি খায়রুল আহসান , তা হলো আপনাদের মত আমরা ভাইবোন এবং কাজিনরা মিলে “Name-Place-Animal-Thing” এ খেলাটি নিয়মিত খেলতাম । এর ফলে দুটো জিনিস ঘটেছিল, তা হলো বাসার সব এটলাস আর এনসাইক্লোপিডিয়া ছিড়ে কুটি কুটি আর দ্বিতীয়টি হলো পৃথিবীর এমন কোন দেশ, রাজধানী বা বড় বড় শহর ছিল না যা আমাদের ঠোটস্থ ছিল না । এখন বয়সের সাথে মগজেও ধুলোর আস্তরন পরে গেছে । তাই অনেক কিছুই চট করে মনে করতে পারি না আগের মত ।
১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবীর এমন কোন দেশ, রাজধানী বা বড় বড় শহর ছিল না যা আমাদের ঠোটস্থ ছিল না - জ্বী, একদম ঠিক কথা বলেছেন। আমাদের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিল। ছোট বেলার সেই খেলার ছলে আহরিত জ্ঞান দিয়ে পরবর্তী জীবনের বহু পরীক্ষায় অন্ততঃ সাধারণ জ্ঞানের বৈতরণীগুলো অবলীলায় অতিক্রম করতে পেরেছিলাম।
তবে সবচেয়ে বেশী ঝগড়া হতো Name টা নিয়ে। প্রতিযোগিতায় সময়টাই বড় ফ্যাক্টর ছিল। যে আগে দেখাতে পারবে সেই প্রথম। তাড়াহড়োর চোটে মনে যা আসে, তাই লিখে দিতাম Name এর ঘরে। কেউ চ্যালেঞ্জ করলে বলতাম, এই নামে একজনকে আমি চিনি।
এখন বয়সের সাথে মগজেও ধুলোর আস্তরন পরে গেছে । তাই অনেক কিছুই চট করে মনে করতে পারি না আগের মত -- বয়স তো তার টোল নিবেই। ঠেকাবেন কী করে!
পুনর্বার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
১৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২১
রানা আমান বলেছেন: খুবই চমৎকার একটি ভ্রমণ ব্লগ কিন্তু একটু সংক্ষেপিত হয়ে গেল খায়রুল আহসান ভাই । অতৃপ্তি রয়ে গেল । এনিওয়ে ব্যাপার না , পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলো। বিস্তারিত পর্ব চাই কিন্তু ।
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, পরের পর্বে আরেকটু দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করবো। আমি তো ভেবেছিলাম, পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটানোর জন্য এটাই বেশ দীর্ঘ হয়ে গেছে।
মন্তব্যে ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
নির্মল পরিবেশ, নির্মল ছবি+ ভ্রমন ব্লগ!
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: নির্মল প্রশংসায়, উজ্জ্বল মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
১৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দরের হাতছানি!
ধন্যবাদ আবারও।
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
১৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩
রাতু০১ বলেছেন: "বৃক্ষের নিকটে গিয়ে বলি;
দয়াবান বৃক্ষ তুমি একটি কবিতা দিতে পারো?
বৃক্ষ বলে আমার বাকল ফুঁড়ে আমার মজ্জায়
যদি মিশে যেতে পারো, তবে
হয়তো বা পেয়ে যাবে একটি কবিতা!
চমৎকার।
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবি শামসুর রাহমান এর "একটি কবিতার জন্য" কবিতা থেকে কবিতার এ চরণগুলো উদ্ধৃত।
মন্তব্যে প্রীত, প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মনটাকে নষ্ট্যালজিক করে তোলে স্মৃতিময় জায়গাগুলো
১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি তো দেশে বিদেশে, বনে বাঁদারে ঘুরে বেড়ান। এসব ছবি আপনার স্মৃতিকে জাগিয়ে তোলারই কথা।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। এখন ভাল আছেন আশা করি।
শুভকামনা রইলো...
১৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার বর্ননা, চমৎকার ছবি।
১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে ও প্রশংসায় রেখে যাওয়া প্রেরণাটুকুও চমৎকারই বটে। অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৩
শূন্যনীড় বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগলো এবারো।
শুভকামনা আপনার জন্য।
১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আবারো আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। লেখাটায় প্লাস দিয়ে এবং প্রশংসা করে অনেক অনুপ্রাণিত করে গেলেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২০| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কথা ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে বর্ননা দিয়েছেন, সেই সাথে ছবিগুলোও.....
ভালো থাকুন,
সবসময়.......
১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
আপনাও পোস্টগুলো কোথায় উধাও হয়ে গেল?
২১| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: জানলাম ভুটানকে।। দেখাও হলো ছবির কল্যানে।।
শুধু ভুলে গেছিলাম, স্বীকৃতির ব্যাপারটি।।
শুভকামনা রইলো।।
১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্লাসে ও মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা রইলো...
২২| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩১
প্রথমকথা বলেছেন: ভ্রমনের বর্ণনা এবং গাইড দের আন্তরিকতা খুব ভাল লেগেছে, ছবি এবং বর্ণনায় মনে হচ্ছে খুব সুন্দর এবং শান্তির দেশ ভুটান। খুব যেতে ইচ্ছা করছে। ভাললাগা জানবেন।
১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবি এবং বর্ণনায় মনে হচ্ছে খুব সুন্দর এবং শান্তির দেশ ভুটান -- আসলেই তাই! খুবই শান্তির একটা জায়গা ভুটান দেশটি।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
২৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
পুলহ বলেছেন: পোষাকটার নামটা আসলে কি ? নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী রাষ্ট্রের সাথে ভুটানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই জেনে অবাক হলাম !!
স্যার খুবই ভালো লাগছে পড়তে। আশা করি এই সিরিজের সাথে থাকবো আল্লাহ চাইলে।
'Standing at a high altitude, yet looking higher up! '-- দারুণ স্পিরিট ! এপ্রিসিয়েট করার মত।
২১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছেলেদের পোষাকের নাম "ঘো" আর মেয়েদের পোষাকটার নাম "কিরা"। ‘Gho’ is the national dress for men in Bhutan. It is a long robe hoisted up until it is knee-length. The hoisted cloth is held in place with a woven cloth belt called ‘Kera’ wound tightly around the waist. The hoisted up cloth forms a large pouch, in which certain items could be kept such as the traditional bowl and betel nut. National dress for Bhutanese women is ‘Kira’. Kira looks like an apron. It is generally made of fine woven fabric, is adorned with traditional patterns and is mostly worn in bright colors. The intricately woven Kiras enhance the beauty and the graceful manners of the women of Bhutan and compliment their dark looks perfectly. Women wear ‘Kira’ over a blouse called ‘Wonju’. Kira is a floor-length rectangular piece of cloth wrapped around the body and held from the shoulders by broach-like hooks called 'Koma'. (উইকিপিডিয়া)। ছবি দেখতে পাবেন এখানেঃ
http://happyul.com/the-national-dress-of-bhutan/
২১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী রাষ্ট্রের সাথে ভুটানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই জেনে অবাক হলাম !! - ভুটান নিয়ে কিছুটা ঘাঁটাঘাটি করতে গিয়ে এ তথ্য জেনে আমিও অবাক হয়েছিলাম।
ভুটানের জাতীয় ক্রীড়া আর্চারী (ধনুর্বিদ্যা)। প্রায় প্রতিটি শহরে আর্চারী ক্লাব রয়েছে।
পরের মন্তব্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা রইলো...
২৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভ্রমন পোষ্টতো নয় জ্ঞানের আকর!
অসাধারন অনেক অজানা সমৃদ্ধ ইতিহাস পুন: স্মরন করিয়ে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা।
সার্কে আপনার স্মৃতিকথা থেকে দারুন তথ্য জানলাম।
দারুন গাইড, দারুন সেন্সঅব হিউমার, রাজপরিবারের প্রতি ভুটানীদের ভালবাসা
এবং রাজপরিবারের বাড়াবাড়িহীন চলার কাহিনী রুপকথার মতই লাগল
পরের পর্বের অপেক্ষায়
+++++
২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য থেকে বোঝাই যাচ্ছে, পোস্টটা আপনি খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছেন। এ আন্তরিকতার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
চিকনগুনিয়ার আকমণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছেন কি?
শুভকামনা নিরন্তর...
২৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪
হাসান রাজু বলেছেন: অসাধারন বর্ণনা । অক্টোবর ১৬ তে আমার কপালে ও ভুটান ঘুরার সুযোগ হয়েছিল । মনে হচ্ছে আপনার বর্ণনায় আবার ভুটান দেখছি । ভালো থাকবেন ।
২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লাগলো জেনে যে আমার বর্ণনার সাথে আপনি নিজের ভ্রমণের মিল দেখতে পাচ্ছেন।
মন্তব্যে অনেক প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
আপনার শিমুল দর্শন সংক্রান্ত পোস্ট টা পড়ে এলাম। যাদুকাটা নদীর দৃশ্যগুলো খুব সুন্দর, নামটাও সুন্দর।
২৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
সুমন কর বলেছেন: শুরুর ইতিহাস, আপনার ভ্রমণের বিবরণ আর ছবি -- মিলিয়ে আপনার পোস্ট ভালো লাগল।
+।
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: শুরুর ইতিহাস, আপনার ভ্রমণের বিবরণ আর ছবি -- মিলিয়ে আপনার পোস্ট ভালো লাগল। +। - অনেক ধন্যবাদ, এ ভাল লাগার কথাটুকু এখানে জানিয়ে যাবার জন্য। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
অনেক শুভেচ্ছা...
২৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
নীলপরি বলেছেন: অসাধারণ ছবিগুলো । সাথে লেখাটাও ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় করে লেখাটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ছবি ও লেখার প্রশংসায় প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি ভাই
২৩ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: জেনে খুশী হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা রইলো...
২৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ ভ্রমন বিবরনী ,
সাথে প্রানবন্ত আলাপচারিতা ও
ঐতিহাসিক বিবরণ এবং ছবি ।
সরাসরি প্রিয়তে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। উদার প্রশংসায় এবং প্লাসে ভীষণ অনুপ্রাণিত।
সরাসরি প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞ।
ভাল থাকুন সব সময়, অনেক অনেক শুভেচ্ছা...
৩০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: বাকীটুকু দিনের আলোতে যেটুকু দেখা যায়, সেটুকুই দেখার জন্য আমরা সামান্য বিরতি নিয়ে পুনরায় বের হ’লাম।
কি দেখলেন তার বর্ণনা কিন্তু পাইনি। ভেবেছিলাম শান্তির দেশ ভুটান ভ্রমন-৩ শীঘ্রি আসবে। কিন্তু বহু দিন হয়ে গেল। আর কি লিখবেন না? সেটা কিন্তু আগ্রহী পাঠকদের কি এটা মনঃপূত হবে?
ভাল থাকুন। ভুটান ভ্রমণ কাহিনী শেষ করুন। তারপর অপেক্ষায় থাকব কানাডা ভ্রমন কাহিনীর।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: শান্তির দেশ ভুটান ভ্রমন-৩,৪,৫ ইত্যাদিও লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু শেষমেষ আর লেখা হয়ে উঠেনি। বলতে পারেন, ran out of steam!
আসলে এ ভ্রমণ নিয়ে লিখবো বা লিখতে হবে, এমনটা আগে থেকে ভাবিনি। ভাবলে সেরকমভাবেই ছবিগুলো তুলতাম। আমার সম্ভারে যেসব ছবি আছে্, সেসবে দর্শনীয় স্থান পেছনে আর দর্শকের মুখ সামনে। মানুষের মুখবিহীন শুধু দর্শনীয় স্থানের কোন ছবি নেই, আর দর্শনীয় স্থানের ছবি ছাড়া শুধু শুধু এসব ভ্রমণ কাহিনীর প্রতি পাঠকের আগ্রহ খুব কমই থাকে।
তবে আপনার আগ্রহের কথা জেনে উৎসাহিত বোধ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ, প্রেরণা যুগিয়ে যাবার জন্য।
৩১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
মিজান ঢাকা ব্লগ বলেছেন: অনেকদিন পর একটা ঝরঝরে লেখা পড়ে ভাল লাগল। কিন্তু বাকি লেখা গুলি কই? আর কত অপেক্ষাতে থাকতে হবে?
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কি কারণে যেন এই সিরিজটা নিয়ে আর কিছু লেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম, তাই আর লেখা হয়ে উঠেনি। তবে পরপর দু'জন আপনারা আপনাদের মন্তব্যে বাকী পর্বের প্রতি আগ্রহের কথা জানালেন, তাই কিছুটা উৎসাহ ফিরে পেলাম। চেষ্টা করবো, অচিরেই আরেকটা পর্ব এখানে প্রকাশ করতে।
লেখাটা পড়ে, মন্তব্য করে উৎসাহ যুগিয়ে যাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর সব ছবিতে নির্মল বর্ননায় ভ্রমন পোস্ট ভাল লাগল ।