নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
বই পরিচিতিঃ
বই এর নামঃ বসন্তদিন
বই এর ধরণঃ পত্রালাপে গল্প
লেখকের নামঃ বরুণা ও প্রতিফলন
প্রকাশকের নামঃ তারিকুল ইসলাম
এক্সেপশন পাবলিকেশন্স,
ডন প্লাজা, ১০ম তলা
৯, বঙ্গবন্ধু এভিন্যু, ঢাকা-১০০০
প্রচ্ছদঃ শায়মা হক
উৎসর্গঃ “বসন্তপ্রেমী মানুষগুলোকে”
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
মূল্য: ১৭৫.০০ টাকা
অন্তর্জালের সুবাদে পৃথিবী আজ মানুষের শুধু হাতের মুঠোতেই নয়, বলা যায় আঙুলের ডগায় চলে এসেছে। আঙুল দিয়ে কী বোর্ডের বাটন টিপে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে দু’জন বা ততোধিক মানব মানবী একে অপরকে দেখতে পারে, একে অপরের সাথে কথা বলতে পারে, মনের আবেগ অনুভূতি বিনিময় করতে পারে। ঠিক এমনিভাবেই অন্তর্জালে বিচরণের সময় একদিন বরুণা ও প্রতিফলন নামের দু’জন মানব মানবী একে অপরের গৃহকোণে প্রবেশ করে কথোপকথন শুরু করে। ক্রমান্বয়ে তারা একে অপরের মনের কোণেও পরস্পরের জন্য একটা ভালবাসার আসন তৈরী করে নেয়। শুরু হয় তাদের ভালবাসার পথে হাঁটা- কখনো একসাথে, কখনো পৃথক পৃথক ভাবনায়। প্রাথমিক জানা-পরিচয় থেকে শুরু করে তারা কিছুটা দেখাদেখি, কিছুটা মাখামাখি করে এগিয়ে চলে। তাদের এই আবেগঘন আলাপচারিতার সূত্র ধরে শুরু হয় প্রেমের পত্রালাপ, সে পত্রালাপে উঠে আসে তাদের আকুলি বিকুলি করা মনের যত কথা। কখনো তা শুধুই প্রেমালাপ, কখনো তাদের আটোপৌরে জীবনের দৈনন্দিন কথকতা, আবার কখনো দুটো প্রেম প্রত্যাশী হৃদয়ের অনিবার্য বিয়োগাত্মক পরিণতির কথা ভেবে অন্তহীন আহাজারি ও হা হুতাশ। দুটো বসন্তানুরাগী প্রেমাকুল হৃদয়ের টুকরো টুকরো এসব কথামালার সংকলন নিয়েই রচিত হয়েছে “বসন্তদিন”, যা পাঠকালে গ্রীষ্মের দাবদাহ কিংবা ঘনঘোর বর্ষার মাঝেও পাঠকের মন কল্পনায় এঁকে নিতে পারে এক প্রেমের রঙধনু।
ছদ্মনামে দ্বৈত লেখকের প্রকাশনা এই “বসন্তদিন”। লেখকদ্বয় বলেছেন ‘বসন্তদিন’ “না গল্প, না উপন্যাস। এটা পত্রালাপ। চিঠির ভাষায় কথামালার আলোকচ্ছটা”। যারা সামহোয়্যার ইনব্লগের নিয়মিত পাঠক, তারা হয়তো এসব পত্রালাপের সাথে আগেও কিছুটা পরিচিত হয়ে থাকবেন। দুটো প্রেমিক হৃদয়ের ইচ্ছে আকাঙ্খার, চাওয়া পাওয়ার আনন্দ এবং না পাওয়ার হাহাকার, ইত্যাকার অনুভূতির সন্নিবেশ ঘটেছে এসব পত্রালাপে। সুখের বিষয়, এগুলো কোন টীন এজ ক্রাশ এর মত ব্যাপার স্যাপার ছিলনা, পত্রালাপগুলোতে ছিল দুটো পরিণত প্রেমিক হৃদয়ের প্রেম বিষয়ক অনুভূতি, ভাবনা ও দর্শনের প্রতিফলন। কাকতালীয়ভাবে, এই গল্পের প্রেমিক প্রবরটির ছদ্মনামও ‘প্রতিফলন’।
আন্তর্জালিক কথোপকথনে নিজের নাম ধাম, পরিচয় ইত্যাদি গোপন রাখা কিংবা ছদ্মনাম ব্যবহার করাটা নতুন কোন ব্যাপার নয়। বরুণাও তাই করেছিল, যা সে প্রথমেই অকপটে স্বীকার করেছে এভাবেঃ “মিথ্যে নাম, মিথ্যে পরিচয়, সে আমি অবলীলায় বলতাম”। তবে পাঠকেরা অনেকেই ভীষণ মজা পাবেন এ কথাটা জেনে যে বরুণা একবার প্রতিফলনকে তার টেলিফোন নম্বর হিসেবে গুলশান থানার টেলিফোন নম্বরটি দিয়েছিল। অবশ্য সেটা দিয়ে সে যে কিছুটা দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতায় ভুগেছিল, বই এ তারও আভাস পাওয়া যায়। প্রতিফলন এতে কিছুটা দুষ্টুমি আন্দাজ করতে পারলেও নির্দ্বিধায় সে সেই নাম্বারে ফোন করেছিল, আর সেই কলটা রিসিভ করেছিলেন গুলশান থানার ডিউটি অফিসার স্বয়ং!
বুঝাই যায়, কথা বলার তর্কাতর্কিতে প্রতিফলনের চেয়ে বরুণাই বেশীরভাগ সময়ে জয়ী হতো। তাই প্রায় শুরুতেই প্রতিফলনের প্রশ্নঃ “তুমি কি এখনো কোন কথা মাটিতে পড়তে দাও?” তাদের মধ্যে যতই ঝগড়া ঝাটি হোক না কেন, তাদের মন মানসিকতায়, আচার আচরণে মিল ছিল প্রচুর, যেন একে অপরের পরিপূরক। বরুণার ভাষায়- “তুমি যেন আমার ঠিক একটা ‘পুরুষ’ সংস্করণ”। উভয়ের কথোপকথন ছিল বুদ্ধিদীপ্ত, শাণিত, এবং প্রায় সময়েই, যুক্তিযুক্ত। তবে তাদের পত্রালাপেই বুঝা যায়, বরুণা প্রেমময়ী তো ছিলই, সেই সাথে ছিল ভীষণ জেদীও। আর জেদীদের ক্ষেত্রে যা হয়ে থাকে, কোন বিষয়ে যুক্তিতর্কে পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জানলে তখন আর যুক্তির তোয়াক্কা করেনা, বরুণার মধ্যেও সে প্রবণতা ছিল। তবে দেশের শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত ও সংস্কৃতির জ্ঞানে ওরা উভয়েই আলোকিত ছিল। তাই তাদের যুক্তি তর্ক, আলাপন, রুটিন কথোপকথন, পত্রালাপ, বার্তা বিনিময়, সবকিছুই হতো পরিশীলিত ভাষায়, কখনো গানে গানে, কখনো কখনো কবিতার চরণে চরণে। এ ব্যাপারে তারা অকাতরে এবং অনায়াসে রবীন্দ্রাশ্রয়ী ছিল, কারণ রবীন্দ্র রচনাবলীর অলিগলি তাদের উভয়ের বেশ চেনা ছিল। নজরুলের প্রেমের গানগুলোও তাদের মুখস্থ ছিল। তাই টেক্কা দিয়ে একে অপরের সাথে কথোপকথনে রবীন্দ্র-নজরুলের প্রেমের কথা, গানের কথা উদ্ধৃত করতো। কথায় আছে, মানুষ প্রেমে পড়লে দার্শনিক হয়ে যায়। ওরাও মাঝে মাঝে নিজেদের ভাবাবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে কিছু দার্শনিক উক্তি ব্যক্ত করতো। যেমনঃ
প্রতিফলনঃ এই দেখা না দেখার অনুভূতিটাই বেঁচে থাকা। এই জার্নিটুকুই জীবন। জীবন থেকে পালানোর প্রয়োজন নেই। পালানো যায় না (পৃষ্ঠা-১৭)।
ভালবাসা জিনিসটা এমন যে নিজেকে খালি প্রকাশ করতে চায়, ঘোষিত হতে চায় পৃথিবীর কাছে (পৃষ্ঠা-৪৪)।
ততদিন পর্যন্ত আমরা দুজন আমাদের একান্ত পৃথিবীতে ভালবাসার স্বপ্নকাজল মেখেই থাকবো সবার সাথে (শেষ কথা)।
বরুণাঃ “হার মেনেছি মিটেছে ভয়, তোমার জয় তো আমারই জয়” (পৃষ্ঠা-২৩)।
ভালবাসার মানুষের সবকিছুই ডিফারেন্ট। একদম আলাদা অন্যদের থেকে (পৃষ্ঠা-২৯)।
আমার গন্ডীবদ্ধ পৃথিবী থেকে, বিদ্রোহের কোন সুযোগ নেই (পৃষ্ঠা-৩৩)।
ভালবাসাটা লুকিয়ে রাখতে হয় কখনো সখনো... কিন্তু ভালবাসার দ্যুতি কি সত্যি লুকানো সম্ভব? ফাঁক ফোকর গলে ঠিকই সে বের হবার চেষ্টা চালায় (পৃষ্ঠা-৪৬)।
ভালবাসা আছে বলেই আজও চাঁদ-সূর্য ওঠে, ফুল ফোটে, পাখিরা গান গায় (পৃষ্ঠা-১০৪)।
এই বইটা পড়ার সময় রবীন্দ্রনাথের একটি গানের কিছু কথা আমার মনে বারে বারে উঁকি দিয়ে গেছে। গানটি বহুল শ্রুত নয়, তাই গানের কথাগুলো এখানে উদ্ধৃত করলামঃ
আমরা দুজনা স্বর্গ-খেলনা গড়িব না ধরণীতে
মুগ্ধ ললিত অশ্রুগলিত গীতে॥
পঞ্চশরের বেদনা মাধুরী দিয়ে
বাসর রাত্রি রচিব না মোরা প্রিয়ে--
ভাগ্যের পায়ে দুর্বল প্রাণে ভিক্ষা না যেন যাচি।
কিছু নাই ভয়, জানি নিশ্চয় তুমি আছ আমি আছি।
উড়াব ঊর্ধ্বে প্রেমের নিশান দুর্গম পথমাঝে
দুর্দম বেগে দুঃসহতম কাজে।
রুক্ষ দিনের দুঃখ পাই তো পাব--
চাই না শান্তি, সান্ত্বনা নাহি চাব।
পাড়ি দিতে নদী হাল ভাঙে যদি, ছিন্ন পালের কাছি,
মৃত্যুর মুখে দাঁড়ায়ে জানিব তুমি আছ আমি আছি।
দুজনের চোখে দেখেছি জগৎ, দোঁহারে দেখেছি দোঁহে--
মরু পথতাপ দুজনে নিয়েছি সহে।
ছুটি নি মোহন মরীচিকা-পিছে -পিছে,
ভুলাই নি মন সত্যেরে করি মিছে--
এই গৌরবে চলিব এ ভবে যত দিন দোঁহে বাঁচি।
এ বাণী, প্রেয়সী, হোক মহীয়সী "তুমি আছ আমি আছি"॥
আমরা দুজনা স্বর্গ-খেলনা গড়িব না ধরণীতে
যাহোক, পুনরায় ফিরে আসছি বইএর পেছন-প্রচ্ছদে প্রদত্ত লেখকদ্বয়ের কথায়ঃ ‘বসন্তদিন’ “না গল্প, না উপন্যাস। এটা পত্রালাপ। চিঠির ভাষায় কথামালার আলোকচ্ছটা”। যারা গল্প বা উপন্যাস ভালবাসেন, এ বইটা না গল্প, না উপন্যাস হলেও, তারাও এ বইটি পড়ে আনন্দ পাবেন বলে আমার বিশ্বাস, কারণ এতে গল্প এবং উপন্যাস উভয়েরই উপাদান রয়েছে, প্রকৃত এবং উপযুক্ত কলেবরে তা প্রকাশিত না হলেও।
সবাইকে ঈদুল আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা! সবাই ভাল থাকুন, প্রিয়জনদের নিয়ে। ঈদ মুবারক!!!
ঢাকা
২৬ আগস্ট ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন। আমার লেখায় আপনাকে সুস্বাগতম!
রিভিউ এর প্রশংসায় প্রীত হ'লাম, বিশেষ করে সুকুমার কথাটিতে।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বুক রিভিউ পড়ে খুব ভাল লাগল ভাইয়া।
আমার চিঠি পড়তে অনেক ভাল লাগে। আপনার রিভিউ পড়ে বইটা পড়তে ইচ্ছে করছে।
কি ভাবে বইটা সংগ্রহ করতে পারি সেটা বললে ভাল হত।
ভাইয়া ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউ পড়ে খুব ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম।
বই সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সব তথ্য উপরেই দেয়া আছে। তদনুযায়ী বই সংগ্রহের চেষ্টা করতে পারেন। অন্যথায়, লেখক দু'জনের যে কোন এক জনের সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮
জেন রসি বলেছেন: বইটি পড়া হয়নি। তবে ব্লগে তাদের বেশ কিছু লেখা পড়েছি। বেশ সহজ সরল একটা রোমান্টিক আবহ আছে। আপনার রিভিউ পড়ে ভালো লেগেছে।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউ পড়ে ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা রইলো...
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!!!!!!!
একেই বলে বুক রিভিউ মনে হয় !
আমি তো মুগ্ধই হয়নি শুধু অবাকও হয়েছি!
আমার ধারণা বইটার সাথে নেক্সট টাইম এই রিভিউটা জুড়ে দিতে হবে!
অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ামনি!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউ টি লিখেছিলাম অনেকদিন আগেই। সামান্য সম্পাদনার জন্য এতদিন পরে ছিল। রিভিউ পড়ে মুগ্ধ হয়েছেন জেনে খুশী হ'লাম।
আমার ধারণা বইটার সাথে নেক্সট টাইম এই রিভিউটা জুড়ে দিতে হবে - এতে কিন্তু উল্টো ফলও হতে পারে!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঈদের শুভেচ্ছা!
৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০
জাহিদ অনিক বলেছেন: এই বইটা আপু আমাকে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার করে পাঠিয়েছিল । তারপরেও কোন এক অজানা কারনে বেশকিছু পৃষ্ঠা পড়ার পর আর পড়তে পারি নাই।
ভালবাসা আছে বলেই আজও চাঁদ-সূর্য ওঠে, ফুল ফোটে, পাখিরা গান গায় (পৃষ্ঠা-১০৪)। - বুক রিভিউ বেশ ভাল লাগলো
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাকী অংশটুকু এখন পড়ে দেখতে পারেন।
বুক রিভিউ বেশ ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ।
পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা!
৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬
শায়মা বলেছেন:
পরদেশী মেঘ যাও রে ফিরে
বলিও আমার পরদেশীরে !!!!!!!
সে দেশে যবে বাদল ঝরে ...
কাঁদে নাকি প্রাণ একেলা ঘরে!
বিরহ ব্যাথা নাহি কি সেথা!
বাঁজে না বাঁশী নদীর তীরে!!!!
@জাহিদ অনিকভাইয়া
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আশাকরি, আপনার এ মন্তব্যটা @জাহিদ অনিকভাইয়া এর নজরে আসবে। গানটা খুবই সুন্দর।
৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১
শায়মা বলেছেন: ফোঁটে যবে ফুল, ওঠে যবে চাঁদ!
জাগেনা সেথা কি প্রাণে কোনো সাধ!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: গানের কথাগুলো সুন্দর। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: বুকরিভিউ পড়ে খুব ভাল লাগল +
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউ টি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। খুব ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশী হ;লাম।
৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: রিভিউ টি পড়ে আমি মুগ্ধ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউটি পড়েছেন জেনে খুশী হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ, মুগ্ধতার কথাটি এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা...
১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গণিতে কাঁচা। দুঃখ লাগে। কি ড্যান্জারাস মেয়ে এইবার বুঝেন???যেমন গুনবতী তেমন ঝালমুখী । বইয়ের জন্য শুভকামনা ।
গুলশান থানার ওসির চেয়ে সু্প্রিয় শায়মা বেশি ভয়ানক।
গুলশান থানার ওসি বোধ হয় রাজু ভাই। কিন্তু তিনি তো ডিএসপি ২৫ তম বিসিএস।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র। গণিতে কাঁচা হলেও আর কতটুকুই বা হবেন!
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৫
করুণাধারা বলেছেন: রিভিউ কতটা ভাল হয়েছে সেটা বুঝতে পারলাম শায়মার মন্তব্য (৪নং) পড়ে।
একেই বলে বুক রিভিউ মনে হয় !
আমি তো মুগ্ধই হয়নি শুধু অবাকও হয়েছি!
আমার ধারণা বইটার সাথে নেক্সট টাইম এই রিভিউটা জুড়ে দিতে হবে!
অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ামনি!
মনে হচ্ছে রিভিউ বইয়ে জুড়ে দিলে তা পড়ে অনেকেই বই কিনতে আগ্রহী হবেন।সেক্ষেত্রে আপনার জন্য কি শুধুই থ্যাংকস!!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হচ্ছে রিভিউ বইয়ে জুড়ে দিলে তা পড়ে অনেকেই বই কিনতে আগ্রহী হবেন।সেক্ষেত্রে আপনার জন্য কি শুধুই থ্যাংকস!! - আপনাদের এমন সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোই আমার রিভিউ লেখাকে সার্থক করে তুলেছে। আমরা অনেকেই বই পড়ি, কিন্তু বই পড়ে রিভিউ লিখতে খুব কম পাঠকই আগ্রহী হন। আমি চেষ্টা করি, অন্য কোন ভাষার কোন কবিতা ভাল লাগলে তা কবির অনুমতিক্রমে (যদি তিনি বেঁচে থাকেন) বাংলায় অনুবাদ করতে, আর কোন বই পড়ে ভাল লাগলে তার একটা রিভিউ লিখে রাখতে। এ বইটা পড়ে ভাল লেগেছিল, তাই রিভিউ লিখেছি। আমার ব্লগে আরও বেশ কয়েকটা বই এর রিভিউ লেখা আছে।
পরবর্তী প্রকাশনার সময় আমার এ রিভিউটা বই এ জুড়ে দিলে তাতে বই বিক্রী বাড়ার চেয়ে কমে যেতেও পারে। তখন যেন লেখকদ্বয় আমার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবী না করে বসেন!
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।
১২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪
ধ্রুবক আলো বলেছেন: সত্যি এরকম রিভিউ প্রশংসার উর্ধে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: সত্যি এরকম রিভিউ প্রশংসার উর্ধে -- অত্যন্ত উদার এ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ঈদ মোবারক।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও বিলম্বিত ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। ঈদের পরদিন থেকে একটু দেশের বাইরে ছিলাম, তাই এ বিলম্ব।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬
নায়না নাসরিন বলেছেন:
ইদ মোবারক ভাইয়া
প্রিয় আপুর বই নিয়ে আপনার লিখাটি সোজা প্রিয়তে
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ লেখাটি সোজা প্রিয়তে নিয়ে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে গেলেন, নায়না নাসরিন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল আযহার বিলম্বিত শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন, শুভকামনা রইলো...
১৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০
বিজন রয় বলেছেন: আমি রিভিউ লিখতে পারি না। এটা আমার অযোগ্যতা।
ঈদ মোবারক।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউ লিখতে হলে বই পড়ার সময়েই কিছু নোট রাখতে হয়, এটা করলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। আপনিও নিশ্চয়ই পারবেন, আপনার মন্তব্যগুলোই আপনার যোগ্যতার পরিচায়ক।
আপনাকেও বিলম্বিত ঈদ মুবারক জানাচ্ছি। ভাল থাকুন, সব সময়।
১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাল লাগল নতুন বই পরিচিতি ।
সংগ্রহ করে পাঠের ইচ্ছে প্রবল হ'ল ।
ঈদ শুভেচ্ছা রইল ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: নতুন বই পরিচিতিটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সংগ্রহ করে পাঠের ইচ্ছে প্রবল হ'ল - আপনার এ ইচ্ছের কথা জানতে পেরে নিশ্চয়ই লেখকদ্বয় প্রীত হবেন।
আপনাকেও পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোরারক।
কেমন আছেন?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঈদ মোরারক!
আমি ভাল আছি। আশাকরি, আপনিও ভালই আছেন।
শুভেচ্ছা....
১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কথা আছে না বুনো ওল বাঘা তেঁতুল। আমি যদি ওর বন্ধু হয়ে থাকি ...no thanks no sorry. So dont worry.তিনি আমার সাইকোলজিস্ট । শেষ ঝগড়া য় আমি জিতেছি । আমি নিতান্তই এক সাধারণ মানুষ। তিনি তার জানেন। আমাকে এখানেই দিএন্ড করবে না।তার আবার অনেক জেদ। ওই গল্পের মায়াবতী ও টা কিন্তু তিনি। আমাকে প্রশ্রয় দেয়া ই তার কাজ। আমি প্রতিফলন দা দা নৈ । আমি বিদ্রোহী। আমি প্রেমে বিদ্রোহী । পরের কবিতা ও রকম পটের ও পর হবে । বুক রিভিউ তে ধন্যবাদ। ব ইটিং প্রকাশিত হবার দিন আমি থাকিনি। অভিমান থেকেই থাকিনি। আর রিভিউ লিখিনি। না হলে আমি ই লিখতাম প্রথম রিভিউ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: না হলে আমি ই লিখতাম প্রথম রিভিউ। - অনেকেই তো বইটির উপর রিভিউ লিখেছেন। এখনও তো লেখা যায়। প্রথম না হলেও, আপনিও লিখে ফেলুন না এখনই আরেকটা রিভিউ।
১৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি রিভিউ লিখতে পারি না। কবিতা লিখতে পারি না। আসলে আমি কিছুই পারি না। যখন ভাবি আমি প্রতিভা শূন্য মানুষ তখন আমার খুব কষ্ট হয়।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: যখন ভাবি আমি প্রতিভা শূন্য মানুষ তখন আমার খুব কষ্ট হয় - আপনার লেখা পড়ে তো মনে হয়না যে আপনি একজন প্রতিভাশূণ্য মানুষ। লিখে যান, লিখতে লিখতেই লেখার মান উচ্চ থেকে উচ্চতর হয়ে যাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মোবাইল নাম্বারের বিষয়টা পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ
সময় পেলে বইটা সংগ্রহের আশা রাখি.....
বলতেই হচ্ছে আপনার লেখার হাত দারুণ ! (বাকী পোস্টগুলো সহ এই পোস্টও)
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় পেলে বইটা সংগ্রহের আশা রাখি..... - বইটি পড়ে আপনার ভাল লাগবে, এ কথা নিঃসন্দেহে বলতে পারি।
এরকম অনেক হাসির ঘটনা যেমন আছে, তেমনি আছে অনেক গভীর হৃদয়াবেগ, ইচ্ছা আকাঙ্খা আর ভালবাসার কথা।
অনেক ধন্যবাদ পুরনো পোস্ট পড়ার জন্য, আর আপনার সুবাদে আমারও সুযোগ হলো নিজের পুরনো লেখাটা আরেকবার পড়ার, এবং বলতে সংকোচ নেই, অনেক পাঠকের মত আমার নিজেরও মুগ্ধ হবার।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা---
২১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: লেখাই লেখকের পরিচয়...
পুরানা পোস্টও আমি খুঁজিয়া লইবো এই মোর অভিলাষ....
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাই লেখকের পরিচয় - বাহ! আর মন্তব্যগুলো থেকেই বুঝতে পারছি, আপনি কোন ধরণের লেখা পছন্দ করেন।
পুরানা পোস্টও আমি খুঁজিয়া লইবো এই মোর অভিলাষ...
আমিও উহাই করিয়া থাকি, যদিও---
করিতে গিয়া প্রায়ই ওঠে নাভিশ্বাস!!!
উহা লইয়া বদনাম আছে ঢের---
নতুন পোস্টকে ফেলিয়া রাখিয়া
পুরাতনেই খুঁজি ওদের!!!
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯
ইরিবাসের রাত বলেছেন: এত সুকুমার রিভিউ বহুদিন পাই নি।ধন্যবাদ জানবেন।