নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘Last In, First Out’

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

ছোটবেলায় স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার পর আমরা প্রায় প্রতি বছরই নানাবাড়ী, দাদাবাড়ী বেড়াতে যেতাম। উভয়বাড়ী উত্তরবঙ্গে হওয়ার কারণে আমরা ট্রেনেই বেশী যাওয়া আসা করতাম। খুবই আনন্দের ছিল এ জার্নিটা। তখন সারাদিনে ঢাকা থেকে মাত্র দুটো ট্রেন উত্তরবঙ্গে যেত, একটা সকাল ৮ টার দিকে ছাড়তো, নাম ১১ আপ দ্রুতযান এক্সপ্রেস। অপরটা রাত ১১টায়, নাম ৭ আপ নর্থ বেঙ্গল মেইল। প্রথম প্রথম ট্রেনগুলো নারায়নগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করতো, আমরা উঠতাম গুলিস্তানের ফুলবাড়িযাস্থ পুরাতন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে। পরে ষাটের দশকের শেষের দিকে কমলাপুর স্টেশন চালু হয়ে গেলে ট্রেনগুলো কমলাপুর থেকেই ছাড়তো। সাংবাৎসরিক যাওয়া আসার কারণে আমাদের অর্থাৎ ভাইবোনদের প্রায় মুখস্তের মত হয়ে গিয়েছিল কোন স্টেশনের পর কোন স্টেশন আসবে। এ নিয়ে আমরা মাঝে মাঝে প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অবতীর্ণ হতাম। যাওয়া আসা করতে করতে আমরা রেলের একটা নিয়ম সম্পর্কে জেনে গিয়েছিলাম--‘Last In, First Out’। আমরা লক্ষ্য করতাম যে আমাদের ট্রেনটা কোন প্লাটফর্মে প্রবেশ করার সময় সেখানে যদি অন্য লাইনে আরেকটা যাত্রীবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতো, তবে সেটাকে দাঁড় করিয়ে রেখেই আমাদের ট্রেনটা স্টেশনে কিছুক্ষণ থেমে আবার চলা শুরু করতো। এটা দেখে আমরা খুব খুশী হ’তাম। আবার এর অন্যথা হলে, অর্থাৎ আমাদের ট্রেনটা প্লাটফর্মে দাঁড়ানো অবস্থায় অন্য কোন ট্রেন প্রবেশ করলে আমাদেরকে রেখে ঐ ট্রেনটাই আগে চলে যেত। আমরা তখন জানালা দিয়ে হাত নেড়ে যাত্রীদের ‘বাই বাই’ দিতাম। এটাই ছিল ‘Last In, First Out’ নিয়ম।

অধুনা আমাদের মাসজিদেও এরকম একটা নিয়ম লক্ষ্য করছি। মুসল্লীদের মাঝে অনেকেই আছেন, যারা মাসজিদে এসে জামাতে অংশ গ্রহণের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের এ নিয়মটা মেনে চলেন। বিশেষ করে জুম্মার দিনে এটা বেশী হয়। সোয়া একটায় খুৎবা শুরু হলেও পৌণে একটার মধ্যেই মাসজিদ প্রায় ভরে যায়। কিন্তু তারা আধা ঘন্টা আগে এসে বসতে থাকতে চান না। আবার ভেতরের এসির ঠান্ডা বাতাসের লোভও ছাড়তে পারেন না। তাই বাইরের প্রাঙ্গণে না বসে ইমাম সাহেবের খুৎবা যখন একেবারে শেষের পর্যায়ে, তখনই তারা স্যান্ডেল জোড়া হাতে করে মাসজিদে প্রবেশ করেন এবং বসে থাকা মুসল্লীদের ঘাড়ের উপর দিয়ে পা ফেলে লম্বা কদমে এদিক ওদিক তাকিয়ে সামনের দিকে ফাঁকা জায়গা খুঁজতে খুঁজতে অগ্রসর হতে থাকেন। তাদের হাতের স্যান্ডেল জোড়া কার মাথা, কার ঘাড় স্পর্শ করে যাচ্ছে, এ ব্যাপারে তারা ভ্রূক্ষেপ করেন না। ফরজ দু’রাকাত নামাযের পর যেই না ইমাম সাহেব সালাম ফিরালেন, অমনি তারা তড়াক করে উঠে আবার সেই স্যান্ডেল জোড়া হাতে করে লম্বা পায়ে মুনাজাতরত মুসল্লীদের ঘাড়ের উপর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বের হয়ে যান, অর্থাৎ ‘Last In, First Out’।

সম্প্রতি মিরপুরে বসবাসকারী জনৈক ভদ্রলোক ফেইসবুকে “জুম্মার নামাজনামা” শিরোনামে তার কিছু অম্লমধুর অভিজ্ঞতার কথা লিখে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার পোস্টটা পড়েই নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে আমার মনে এসব ভাবনার উদয় হলো.....

ঢাকা
১০ অক্টোবর ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

(অন্যত্র প্রকাশিত)

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রথম ইন করলাম , পরে কথা হবে ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, স্বাগতম!

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নীল-দর্পণ বলেছেন:

ভাললাগা রেখে গেলাম :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা! অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

আমার আব্বা বলেছেন: ভাল হয়েছে

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩০

সুমন কর বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে লেখাটা পড়ে ভালো লাগল। তবে ২য় প‌্যারায় ‘Last In, First Out’ ব্যাপারটি মন্দ লাগল।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি ভাল লাগা, আরেকটি মন্দ লাগার বিষয়কে একটি বাক্য দিয়ে সংযুক্ত করেছি। সুতরাং, আপনার ভাল লাগা আর মন্দ লাগা, দুটো অনুভূতিই ঠিক আছে।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো...

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

সোহানী বলেছেন: বলেন কি!! দিন দিন কেমন অসভ্য জাতি হয়ে যাচ্ছি আমরা। তুমি শেষে আসলো পিছনে থাকো, সবাইকে স্যান্ডালের বাড়ি দিয়ে সামনে যাবার দরকার কি???

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লাইন ডিঙানো, পরে এসে আগে যাওয়ার প্রবণতা আমাদের মজ্জাগত স্বভাব। যারা ব্যতিক্রম, তারা সম্মানীয়।
বিশ্বের যেকোন জায়গায় যদি আপনি দেখেন একটি কিউ এর দুই/তিন/বা চারটি ফ্রন্ট, চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারবেন, এরা বাঙালী।

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখায় ভালো লাগা।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিত।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: "Last in first out" এটা আমরা হিসাব বিজ্ঞানে গুদামে রাখা পণ্যের মূল্য খুঁজে বের করতে ব্যবহার করি। বর্তমানে এই Lifo method ব্যবহার করা হয় না। এখন ব্যবহার করা হয় Fifo "First in First out".

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, এ তথ্যটুকুর জন্য।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সব খানেই কে কাকে সরায়ে নিজে জায়গা নিবে এই প্রতিযোগিতা।

মসজিদেও এসব বাদ নেয়

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, ফেরদৌসা রুহী
শুভেচ্ছা জানবেন।

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল অতীত দিনের কথা শুনে । ষাটের দশকে ঢাকা শহরের পুর্ব প্রান্তে পীর জঙ্গীর মাযার ( বর্তমান কমলাপুর রেল স্টেশনের কাছে ) পর্যন্ত ঢাকা শহরের পুর্ব প্রান্তের সীমা ছিল । সেখানেই আমরা থাকতাম । সেখান হতে ঘোড়ারর গাড়িতে করে ফুলবাড়ী রেল স্টেশনে যেতাম । রাত ১১টায় ৭ আপের কথায় দুটো সমস্যার বিষয় মনে পরে যায় একদিকে এটায় হত খুব ভীর, আর দিকে ট্রেনটি দু অংশ হয়ে যেত ময়মনসিং পার হয়ে , এক অংশ যেত জগন্যাথগঞ্জ ঘাটে অপর অংশ যেত বাহাদুরাবাদ ঘাট , সে সময়ে অনেক যাত্রী ভুলের শিকার হয়ে মসিবতে পড়ত । দ্বিতীয় বড় মসিবত ছিল , সৈয়দপুরের বিহারীরা ট্রেনে উঠে বিছানা নিয়ে এমনভাবে সিট দখল করে বসত যে সেখানে আর কেহ বসতেই পারতনা । সকালের ৮ ডাওনে অবস্থা ছিল আরো খরাপ । আপনার মনে আছে কিনা জানিনা সে সময় ৭ আপ ও ৮ ডাউনে বিহারী যাত্রিদের দাপট ছিল বিরাট। এরা আধা বিহারী আধা উর্দুতে কথা বলত বলে মানুষ মনে করত এরা পাকিস্তানী এদের উপরে তখন হতেই স্থানীয় মানুষ বেশ ক্ষ্যাপা ছিল , পাকিস্তানী আমলে ট্রেনের টিটি , ড্রাইভার , মেকানিক , স্টেশন মাষ্টার পয়েন্টসম্যানদের মাঝে বিহারিই ছিল প্রচুর , আয়ুবখান বিহারীদেরকে রেলওয়ে সার্ভিসেই বেশি করে পুর্নবাসন করেছিল । স্বাধিনতার পরে রেলে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় রেল সার্ভিস বেশ বিপর্যস্ত হয়ে পরেছিল । যাহোক সে সমস্যা এখন আর নেই ।

এবার আসি মসজিদের বিষয়টিতে , জুতা হাতে নিয়ে ঠেলাঠেলি করে সামনে যাওয়া সেটা আসলেই এক কদর্য ব্যাপার । এছাড়াও ফরজ নামাজের পর অনেকে হুমড়ি খেয়ে পড়েন মসজিদ থেকে বের হওয়ার জন্য, জুমার পর তো রীতিমতো হুড়াহুড়ি লেগে যায়। ফরজের পর অনেকেই সুন্নত পড়তে দাঁড়িয়ে যান। তাদের সামনে দিয়ে অনেকেই অবাধে চলে যান। এটা ঠিক নয় ।

প্রসঙ্গক্রমে অবশ্য এখানে উল্লেখ করা যায় যে, মসজিদে জামাতে নামাজে অংশ নেয়ার জন্য বিশেষ করে জুমার নামাজে অংশ নেয়ার জন্য জামাতীদের অনেকেরই বিশেষ কোন কারণে ( যথা প্রাকৃতিক ডাক , শারিরিক অসুস্থতা , কিংবা নীজের দাপ্তরিক কাজে সময়মত হাজির হওয়ার বাধ্যবাধকতা ) একটু বিশেষ তারাহুরা থাকতে পারে মসজিদ হতে বের হওয়ার জন্য । তবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই যারা বের হতে চান তারা পিছনে চলে যেতে পারছেন , হুল্লুরটা লেগে যায় বের হওয়ার দরজার কাছে, কিন্ত সামনের দিকের কাতারে অনেক জায়গা খালী হয়ে যায় ইত্যবসরে । এমতাবস্থায় , যারা ফরজের পর সুন্নত আদায় করবেন তারা যদি দয়া করে একটু সময় অপেক্ষা করে প্রয়োজনে সুযোগ থাকলে সামনের কাতারে গিয়ে নামাজ আদায় করেন তাহলে যারা বেরিয়ে যেতে চান তাদেরকে নামাজরতদের সম্মুখদিয়ে যেতে নাও হতে পারে, এর ফলে তারা ভুলের হাত হতে রক্ষা পেতে পারেন । তাই অনেকের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মাত্র কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে সুন্নত নামাজ আদায় করলে ( মিনিট কয়েক অপেক্ষা করা জায়েজ কিনা কিংবা এ বিয়য়ে কোন মাসআলা আছে কিনা আমার সুনির্দিষ্টভাবে জানা নাই) মনে হয় মসজিদে শৃংখলা রক্ষার জন্য একটু সহায়ক হয় । ইমাম সাহেব এ বিষয়ে কিছ বলে দিলে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে । তবে মসজিদে First in last out এ পুণ্য অনেক বেশী , সকলে এই পুণ্য হাছিলের প্রতিযোগীতায় নামলে আরো বেশী ভাল হয় ।

অনেক ধন্যবাদ মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, সে সময়কার বিহারীদের দৌরাত্ম্যের কথা আমার বেশ মনে আছে। রেলওয়ের সিংহভাগ কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ ছিল উর্দুভাষী বিহারী। রেলবিভাগে তারা বেশ দাপটের সাথে চাকুরী করতো। তবে তাদের মধ্যে পরোপকারী মনোভাবসম্পন্ন কয়েকজন ব্যক্তির সংস্পর্শেও আমি এসেছিলাম।
পাবনা, সিরাজগঞ্জগামী যাত্রীরা উঠতেন লম্বা ট্রেনের মাথার দিকে, আর আমরা যারা বগুড়া, বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুরে যেতাম, তারা উঠতাম লেজের দিকে। বোনারপাড়া জংশনে গিয়ে আবার ভাগ হতো। মাথার দিকের বগিগুলো যেত বগুড়া, শান্তাহারের দিকে আর লেজের দিকেরগুলো বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুরের দিকে।
পীর জঙ্গী মাজার থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যে রাস্তাটা চলে গেছে, আমরা ১৯৬২-৬৩ সালে থাকতাম তার পূর্ব দিকে, এখন বোধকরি সেখানে রেলের পার্সেল অফিস। তার একটু উত্তরে ট্রেন ধোয়ার ডকইয়ার্ড। এখন কি কল্পনা করা যাবে, সে সময় আমরা ঐ এলাকায় কুয়োর পানি ব্যবহার করতাম!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: কমলাপুরে আমাদের বাসার নিকটেই ছিল পরবর্তীকালের চিত্র প্রযোজক, পরিচালক আলমগীর কুমকুম দের বাসা। তাদের বাসায় একটা প্রকান্ড বকুল গাছ ছিল। আমরা সকালে উঠে তাদের আঙ্গিণা থেকে বকুল ফুল কুড়াতাম। খ্যাতনামা গীতিকার গাজী মাযহারুল আনোয়ার দের বাসাও তাদের সামনা সামনি ছিল। কৌতুকাভিনেতা রবিউলরাও থাকতেন নিকটেই। একটু দক্ষিণে কমলাপুর বাজারের দিকে থাকতেন শিমুল বিল্লাহ দিনু বিল্লাহরা। পল্লীগিতির প্রখ্যাত শিল্পী আব্দুল আলীমও থাকতেন নিকটেই। আর বেশ কিছু উত্তরে শাহজাহানপুরে ছিল কবি বেনজীর আহমদ এর বাড়ী। কমলাপুরে তখন ছিল বেশ কিছু শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্যমনা ব্যক্তিদের নিবাস। এসব স্মৃতি নিয়ে ১৭ জানুয়ারী ২০১৬ তারিখে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম এখানেঃ গানের ভেলায় বেলা অবেলায়……

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এবার আসি মসজিদের বিষয়টিতে - এসে যা বললেন, তার সাথে আমিও একমত পোষণ করি। আপনার এ বক্তব্য থেকে একটা পরিশীলিত, সহনশীল মনের পরিচয় বেরিয়ে এসেছে। এটুকু সবার মাঝে থাকলে জাতি হিসেবে আমরা আরও অনেক উন্নত হতে পারতাম। ধন্যবাদ আপনার বিচক্ষণ পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্যের জন্য। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
অফ টপিকঃ অন্যত্র দেখলাম, মাঝখানে আপনি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এখন কেমন আছেন? আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন এর কাছে আপনার সম্পূর্ণ সুস্থতা প্রার্থনা করছি।

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩১

রোকসানা লেইস বলেছেন: উত্তর বঙ্গের ঐ পথে কতবার আমিও চলেছি, মনে পরে গেল। তখন খুব মন খারাপ হতো পরে আসা ট্রেন আগে চলে যাচ্ছে বলে । বাবার মুখে First in last out বাক্যটা শুনতাম। এটা
একটা নিয়ম ছিল ট্রেন চলার।
কিন্তু লেখার পরের অংশ নিয়ে কি বলব। অতি ধার্মিক মানুষের ব্যবহার অন্যের মুখের সামনে জুতা নাচিয়ে চলে যাওয়া এই বাক্যটাই মনে আসল।
শুভ থাকুন

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পড়ে নিজের স্মৃতির কথাটুকু শেয়ার করাতে প্রীত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা...

১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

ইসমাঈল আনিস বলেছেন: বেশ হয়েছে৷

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪২

কালীদাস বলেছেন: আমার খানিকটা টাচ-ফোবিয়া আছে; জুতা/মোজার টাচ হাতে বা শরীরে কোথাও লাগলে খুব ভাল মত না ধোয়া পর্যন্ত শান্তি পাই না। মসজিদে গেলে এই সমস্যাটা নর্মালিও ফেস করতে হয়, জুতার তলা যে অন্যের শরীরে লাগছে অনেকেরই খেয়াল থাকে না। আর এই ক্যাংগারু গুষ্ঠীর তো কথাই নেই।

অফটপিক: কিছু মনে করবেন না, একটা জিনিষ বলি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে। কোন পোস্টে কমেন্টের রিপ্লাই স্কিপ করে নতুন পোস্ট কলে; পুরান কমেন্টের রিপ্লাই হয় মিস হয়ে যায় বা আসলেই অনেক দিনের কিউয়ে পড়ে যায়। জিনিষটা আপনার জন্য প্রায়ই হয় এবং আপনার বর্ষপূর্তিতেও উল্লেখ করেছেন। সাজেশনটা ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখলে খুশি হব, কারণ আপনার পোস্টে কমেন্ট করলে রিপ্লাই পেতে পেতে আসলেই মনে থাকেনা কবে কি পারপাস কি কমেন্ট করেছিলাম সে মুহুর্তে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাজেশনটা ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখলে খুশি হব, কারণ আপনার পোস্টে কমেন্ট করলে রিপ্লাই পেতে পেতে আসলেই মনে থাকেনা কবে কি পারপাস কি কমেন্ট করেছিলাম সে মুহুর্তে। - অনেক ধন্যবাদ, এ বিনয়ী এ্যাপ্রোচের জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমি নিজেই আমার এ ত্রুটির কথা আমার দ্বিবর্ষপূর্তি পোস্টে উল্লেখ করেছি। চেষ্টা করছি, পেসটা বাড়াবার। যেমন এটার উত্তর পেয়ে গেলেন ১৫/১৬ ঘন্টার মধ্যেই। :)
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা...

১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যে সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন সে সময়ে আমরা থাকতাম ইসলামপুরে।। আবার কমলাপুরে নূতন স্টেশন তৈরী হবার পরও কাকতালীয় ভাবে তার ছাদে লুকোচুরি (টিলো এক্সপ্রেস) খেলারও সৌভাগ্য আছে।।
তবে এখানে যেহেতু "জুতাচুরির" ভয় নেই।। সেহেতু তার ছোয়া থেকে বেচে গেলেও পদযুগলের ছোয়া পেলেই একটু ফিরে দেখি বিভিন্ন জাতের মানুষগুলিকে!! বলার কিছু নেই শুধু চেয়ে দেখা ছাড়া!!
অঃটঃ লেখাটি একটু হলেও ফুলবাড়িয়া এবং কমলাপুরের সেই দিনগুলিতে নিয়ে গেল।।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অঃটঃ লেখাটি একটু হলেও ফুলবাড়িয়া এবং কমলাপুরের সেই দিনগুলিতে নিয়ে গেল - মানুষ সহজাতভাবে স্মৃতির পাতা ওল্টাতে ভালবাসে।
লেখাটা পড়ে নিজের কিছু কথা বলে গেলেন, ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন...

১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব ভালো রিলেইট করেছেন খায়রুল আহসান ভাই। একেই বলে অভিজ্ঞ লেখক। ভালো লাগলো।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে দুটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছি। একটি অতীত স্মৃতি, মধুরও বটে, আর অপরটি তিক্ত অভিজ্ঞতা, বর্তমানের। দুটো ভাবনাকে যখন ছোট্ট একটি বাক্য দিয়ে সংযুক্ত (রিলেইট) করতে পারলাম, তখন মনে হলো এটাকে ব্লগে দেয়া যায়। অন্যথায়, এটা বড় জোর হয়তো একটা ফেইসবুক স্ট্যাটাস হতে পারতো। এই রিলেইট করার ব্যাপারটি আপনি লক্ষ্য করেছেন দেখে অনুপ্রাণিত হ’লাম।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ।
শুভকামনা রইলো......

১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:





বাস ট্রেন রিকশা মানুষ সবাই বেশ তাড়াহুড়ায় আছে। এক্ষেত্রে বলা যায় Fast in, First Out

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: Fast in, First Out - ভাল বলেছেন! :)
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার ট্রেনের অভিজ্ঞতা প্রায় ছিলোই না ; বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির পর হাতে গুনে দুবার নারায়নগন্জ থেকে ঢাকা এই টুকুই ;
বিয়ের পর উত্তরবঙ্গ লম্বা ট্রেন জার্নি ছিল একেবারেই আলাদা অভিজ্ঞতা বেশ উপভোগ্য !!!

আর লাস্ট ইন ফাস্ট আউট মসজিদের সল্প সময়ের মুসল্লিদের মত সব জায়গাতে পাবেন ;
বুটিকস এ ড্রেস কিনতে গিয়েছি ট্রায়াল রুমে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করে আছি _ হুট করে একজন পিছন থেকে ধাক্কা মেরে (ব্যাগ এর খোঁচাতে সরতে বাধ্য ) ঢুকে গেলেন । ডেকে মনে করিয়ে দেবার পর ও ভেতরে গিয়ে লক করে বসে থাকবেন ।
এরপর আর কি করার থাকে ???

লেখায় ভালোলাগা !!!!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিয়ের পর উত্তরবঙ্গ লম্বা ট্রেন জার্নি ছিল একেবারেই আলাদা অভিজ্ঞতা বেশ উপভোগ্য - এই উপভোগ্য লম্বা ট্রেন জার্নি নিয়েই নাহয় এবারে লিখে ফেলুন একটা ভ্রমণ কাহিনী। :)
লাইন ডিঙানো, পরে এসে আগে যাওয়া, ইত্যাদি ব্যাপারে আমরা অতিশয় পারঙ্গম!। যারা ব্যতিক্রম, তারা সম্মানীয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত। শুভেচ্ছা...

১৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এভাবেই তো সব চলছে আমাদের "লাস্ট ইন ফাস্ট আউট" নিয়মে | সবকিছুতেই শর্টকাট | নামাজে আর ব্যতিক্রম হবে কেন | সব কিছুতেই আমাদের তাড়াহুড়া ঠিক যেন পবিত্র কুরআন যেমন বলেছে "...মানুষ তো খুব দ্রুততা ও তাড়াহুড়াপ্রিয় (সুরা বনি ইসরাইল : ১১)" | এই আয়াতটার কারণেই আশা রাখি আল্লাহ হয়তো আমাদের মতো মসজিদে লাস্ট ইন ফাস্ট আউট মুসুল্লিদের তার ঘরের এই অভব্যতা মাফ করবেন | ভালো লেখাতেও কখনো কখনো সত্যিকারের মন খারাপ হয় | আর আপনিতো মন খারাপ করা কথা খুব ভালো ভাবে লিখলেন ! মনটা সত্যিই খুব খারাপ হলো মসজিদে আমাদের করা অভব্যতার জন্য |তবুও ধন্যবাদ |

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যে অভিভূত হ'লাম।
সবকিছুতেই শর্টকাট - যেকোন জায়গায় বাঙালীদের লাইন (কিউ) এর দিকে তাকালে এটা বোঝা যায়। সবাই উসখুস করতে থাকে কিভাবে অন্ততঃ একজনকে হলেও টপকে যাওয়া যায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি সাধারণত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পোস্টে মন্তব্য করি না। তবে আপনার এই পোস্টে মন্তব্য করা প্রয়োজন বোধ করছি। আমি দু'জন বয়স্ক ব্যক্তিকে জানি, যারা মসজিদে 'লাস্ট ইন, ফার্স্ট আউট'-এ অভ্যস্ত। তাদের একজনকে একবার জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেছিলেন যে তার প্রচণ্ড ডায়াবেটিসের কারণে প্রস্রাব আটকে রাখতে কষ্ট হয়, তাই তিনি এমনটি করে থাকেন। অন্যজনকে কথা প্রসঙ্গে একই বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেছিলেন যে, তার সাইনাসের সমস্যা থাকায় এসির মধ্যে বেশিক্ষণ থাকা বিপজ্জনক। একবার নাকি এ কারণে তার সাইনাসের সমস্যা প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছিল। অনেক দিন চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছিল। তাই তিনি শেষে এসে আগে চলে যান।

এখন আমার অভিজ্ঞতা বলে, যারা মসজিদে 'লাস্ট ইন, ফার্স্ট আউট' প্র্যাকটিসে অভ্যস্ত, তাদের কারো কারো ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত কারণ রয়েছে বলে মনে হয়। তবে সবার ক্ষেত্রে নিশ্চয় নয়।

ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম
এখন আমার অভিজ্ঞতা বলে, যারা মসজিদে 'লাস্ট ইন, ফার্স্ট আউট' প্র্যাকটিসে অভ্যস্ত, তাদের কারো কারো ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত কারণ রয়েছে বলে মনে হয়। তবে সবার ক্ষেত্রে নিশ্চয় নয় - যথার্থই বলেছেন কথাটা। আপনি যে দু'জন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, সেরকম কিছু ব্যক্তি আমার চেনাজানা জনের মধ্যেও রয়েছে। কিন্তু তারা ঠিক আমি যাদের কথা বলেছি, তাদের দলে পড়েন না। প্রয়োজনের তাগিদে তারা 'লাস্ট ইন, ফার্স্ট আউট' প্র্যাকটিসে অভ্যস্ত ঠিকই, তবে তারা সাধারণতঃ লাস্টে এসে পেছনেই বসে পড়েন। কারো ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে এগোন না, কারণ তারা জানেন, তাদেরকে আবার দ্রুত ফেরত আসতে হবে। সমস্যা হচ্ছে অন্যান্যদের নিয়ে, যারা পরে আসেন, আবার সামনেও বসতে চান।
আমি সাধারণত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পোস্টে মন্তব্য করি না - আসলে আমার এ পোস্টটা ধর্মীয়ও নয়, রাজনৈতিকও নয়। এটা মূলতঃ ব্যক্তিগত আচার নিয়ে।
অনেক দিন পরে এলেন আমার কোন লেখায়। খুব ভাল লাগলো আপনাকে পেয়ে।

১৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হা...হা..হা..।

আমি অবশ্য জুম্মার দিন ‘First In, Last Out' - এর দলে । আমার মতো আরো অনেকেই আছেন - তবে সংখ্যায় কম। আবার ‘Last In, First Out’ - দলের সদস্য সংখ্যা অনেক ।

‘Last In, First Out’ -- মসজিদে এটার চর্চা কম হওয়াই ভালো ।

সচেতনতামূলক পোস্ট ।
ভালো লেগেছে ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে ব্যক্তিগত কিছু কথা এখানে শেয়ার করে গেলেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ, শামছুল ইসলাম
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
শুভেচ্ছা রইলো...

২০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্মৃতিচারণ দারুন লাগল :)

প্রেমহীন দায় থেকেই এমন হয়....মসজিদ ইস্যুতে বলছি।

আল্লাহ এবং রাসুল প্রেম থাকলে তারা হত বিনয়ী, ধৈর্যশীল। উত্তম স্থান আর জ্ঞানের জিগীষা থাকলে সেখানেই খূঁজে নিত প্রশান্তি।
উল্টোটা বলেই এমন হয়!

নাইমুল ইসলাম ভায়া ঠিকই কোট করেছৈন কোরআন থেকে-"...মানুষ তো খুব দ্রুততা ও তাড়াহুড়াপ্রিয় (সুরা বনি ইসরাইল : ১১)"

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: “মানুষ অকল্যাণ কামনা করে ঠিক সেভাবে, যেভাবে কল্যাণ কামনা করা উচিত ৷ মানুষ বড়ই দ্রুততাপ্রিয়।” (১৭:১১)
- এটা আরেকটু বর্ধিত অনুবাদ, উল্লেখ করার জন্য মলাসইলমুইনা এবং আপনাকে, উভয়কে ধন্যবাদ।
আরও বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, "মলাসইলমুইনা " - এই জিগস' পাযলটার সমাধান দিয়ে যাবার জন্য। আপনি উল্লেখ না করলে হয়তো মাথায় ঢুকতোই না, মলাসইলমুইনা কে উলটো করে লিখলেই নাইমুল ইসলাম ভায়া কে পাওয়া যায় :)
আল্লাহ এবং রাসুল প্রেম থাকলে তারা হত বিনয়ী, ধৈর্যশীল। উত্তম স্থান আর জ্ঞানের জিগীষা থাকলে সেখানেই খূঁজে নিত প্রশান্তি - খুব সুন্দর বলেছেন। মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

মজার অভিজ্ঞতা! তবে মসজিদের সেই ডার্টি ফেলোদের কিঞ্চিৎ অপদস্থ করা উচিৎ!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব আদব কায়দার ব্যাপার স্যাপারগুলো আদতে পরিবার থেকেই শুরু হয়।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

২২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিকথা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রশংসায় প্রীত হ'লাম। :)

২৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

আটলান্টিক বলেছেন: Last in fast out হলো অনেকটা Survival of the fittest এর মতো যা সব জায়গায় কাজ করে।আপনার লেখাটা পড়ে আনন্দ পেয়েছি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখাটা পড়ে আনন্দ পাওয়ার কথাটা এখানে জানিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো...

২৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন: thinking where can I apply this :-)
just kidding!
As usual very spontaneous writing

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রশংসায় এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল। একটু সচেতনার অভাব। নামাজ পড়তে গিয়ে আরেক জনের কষ্টের কারণ হওয়া উচিৎ নয়। ইসলাম আমাদের এই শিক্ষা দেননি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: নামাজ পড়তে গিয়ে আরেক জনের কষ্টের কারণ হওয়া উচিৎ নয় - ঠিক কথা।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

২৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

নীলপরি বলেছেন: আপনার উপস্থাপন অসাধারণ লাগলো । ++++++

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য।
++++++ পেয়ে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: লাস্ট ইন ফাস্ট আউটের লোকজনকে এক পাল্লায় মাপা ঠিক হবে না। অনেকেরই সমস্যা থাকতে পারে, যেমন-- ডায়াবেটিসের রুগীদের প্রসাবে সমস্যা থাকতে পারে, সাইনাসের রুগীদের ফ্যানের বাতাসে মাথা ধরা বেড়ে যেতে পারে ইত্যাদী কারণে অনেকেই পরে এসে আগে চলে যায়। আবার কেউ কেউ আছেন যারা কোন সমস্যা নাই তারপরেও মসজিদে বেশিক্ষণ থাকতে রাজী নন। যা হোক যারা ইচ্ছা করে এরকম করে তাদের এটা করা উচিৎ নয়। ধন্যবাদ বাস্তবতা নিয়ে পোষ্ট দেয়ার জন্য।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লাস্ট ইন ফাস্ট আউটের লোকজনকে এক পাল্লায় মাপা ঠিক হবে না - কথাটা ঠিকই, কিন্তু যারা কোন বিশেষ কারণে লাস্ট ইন হন, তাদের লাস্ট লাইনেই বসা উচিত, মুসল্লীদের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে এগুনো অনুচিত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশাকরি ভাল আছেন। সুস্থ থাকুন। শুভেচ্ছা...

২৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

আখেনাটেন বলেছেন: মসজিদের এই বিষয়টা আমাকেও বেশ বিরক্ত করে। ধুলোবালিসহ জুতাজোড়া বগলদাবা করে তরতর করে সামনে যাওয়া কোন মতেই ভালো মানুষী না।

আবার কিছু লোক আছে ইচ্ছে করেই মসজিদে সামনের দিকে জায়গা ফাঁকা রেখে পেছন দিকে বসে পড়ে। এতে সামনের ফাঁকা পুরুণ করতেও বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়।

ভালো একটি বিষয় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরেছেন সেজন্য ধন্যবাদ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১০

শায়মা বলেছেন: ওদেরকে পিঁপড়া থেকে শিক্ষা নিতে বলতে হবে। X(



তবে তোমার এই পোস্টটা পরে কিন্তু আমার জুতা ছাড়াই একদিন তোমার ভ্রমনের কথা মনে পড়ে গেলো ভাইয়া! :P

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: যে জাতি পিঁপড়া থেকে শিক্ষা নিতে জানে, সে জাতির উন্নতির শিখরে আরোহণ কেউ ঠেকাতে পারেনা।
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই মনে রেখেছেন। এ বছরের বই মেলার শেষের দিন কি তার আগের দিনে মেলার অভ্যন্তরে এক মাসজিদে নামায পড়তে গিয়ে জুতো জোড়া হারিয়েছিলাম। রাগে কিছুক্ষণ খালি পায়েই মেলায় ঘুরে বেড়িয়েছিলাম। পরে এলিফ্যান্ট রোড থেকে জুতো কিনে বাসায় ফিরেছিলাম। "বইমেলার টুকিটাকি" শিরোনামে একটা পোস্টে এ ঘটনাটার উল্লেখ করেছিলাম। এমনিতেই আমার ঘন ঘন জুতো স্যান্ডেল হারানোর রেকর্ড আছে। তাই জুতো হারানোর ব্যাপারটা অনেকদিন বাসায় গোপন রেখেছিলাম। :)

৩০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২২

ধূূূূলিকণার অনুনাদ বলেছেন: ট্রেন জার্নি র মেমোরি টা ভালো লেগেছে । অনেক কথা মনে পড়ে যায় !!! বাহদুরাবাদ ঘাট, ফুলছড়ি ঘাট....
সুন্দর লিখেছেন ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ট্রেন জার্নি র মেমোরি টা ভালো লেগেছে - অনেক ধন্যবাদ, এ ভাল লাগার কথাটি এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট Birthday note পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি।

৩১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

অভিজিৎ দাস বলেছেন: চমৎকার তুলনা । বেশ ভালো লাগলো ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্টটিতে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি। আশাকরি, সময় করে দেখে নেবেন।

৩২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




ভেবেছিলুম এক্কেবারে Last In করবো । হলোনা । আবার কখন সময় পাই, তার ঠিক ঠিকানা নেই । তাই মাঝামাঝিতেই ইন করলুম । এখানে এখন প্রতিমন্তব্য পেয়ে First Out হবার সম্ভাবনা মোটেও নেই । :(

আপনার গদ্য লেখার হাত অনেক ভালো । আমার তো মনে হয় কবিতার চেয়ে আপনার এদিকটাতেই বেশী নজর দেয়া উচিৎ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভেবেছিলুম এক্কেবারে Last In করবো -- :)
এক্কেবারে Last এ না হলেও শেষের দিকেই In করেছেন ভাই। আর প্রতিমন্তব্যটাও এবারে আগের তুলনায় একটু তাড়াতাড়িই Out হলো বলে মনে হয়। :)
আপনার গদ্য লেখার হাত অনেক ভালো - অনেক ধন্যবাদ এমন প্রেরণার জন্য।
ভাল থাকুন, অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!!

৩৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যে ডকইয়ার্ডের কথা উল্লেখ করেছেন, সেটা ছিল ভুল না হলে যতীনবাবুর বাগিচা।। আম-কাঠালসহ বিভিন্ন ফলারীগাছের বিশাল বাগান।। যার শুরু ছিল বাসাবো রেলগেট থেকে।। এত বড় না হলেও কবি বেনজীরের আমবাগানও বিরাট এলাকা নিয়েই ছিল।। আজ যেখানে আবাসিক ভবনে ভরপুর।।
পুরো কমলাপুর ষ্টেশনটা হয়েছে এই বাগিচা এবং মুগদাা/মাডা/কমলাপুরবাসীদের জমি অধিগ্রহন করে।।
আমার জন্ম ইসলামপুরে হলেও পুরো শৈশব/ যৌবন কেটেছে এই এলাকায়।। জানি যাদের কথা উল্লেখ করেছেন।। উনারা সবাই কমলাপুর, এজিবি,টিএন্ডটি এবং শাহজাহানপুরের বাসিন্দা।।
হয়তো এত স্মৃতি বিজড়িত বলেই আবারও এসে ঘুরে গেলাম।।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হয়তো এত স্মৃতি বিজড়িত বলেই আবারও এসে ঘুরে গেলাম - অনেক ধন্যবাদ, আবারও ঘুরে এসে স্মৃতি রোমন্থন করে যাবার জন্য। আপনার স্মৃতিচারণ ঠিকই হয়েছে।

৩৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: চাকুরীর সুবাদে আমাকেও বছর তিনেক ট্রেন জার্নি করতে হয়েছে।বেশ উপভোগ্যই ছিলো সময়টা।
সবাই তবু নিয়মিত নামাজ আদায় করুক।আল্লাহ যেন আমাদের সেই তাওফিক দান করেন।
আলহামদুলিল্লাহ, আপনার লেখার হাতটা বেশ।
শুভ কামনা রইলো।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবাই তবু নিয়মিত নামাজ আদায় করুক।আল্লাহ যেন আমাদের সেই তাওফিক দান করেন - হ্যাঁ, তাই হোক, আমীন!
লেখাটা পড়ে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। লেখার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হয়েছি।

৩৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ট্রেন জার্নি আমার খুবই প্রিয়।

মজাদার অভিজ্ঞতা :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ট্রেন জার্নি আমারও খুব প্রিয়। এই ব্লগে ট্রেন জার্নি, রেল-স্টেশন, ইত্যাদি নিয়ে আমার বেশ কয়েকটি কথিকা/কবিতা আছে।
আপনি মজা পাওয়াতে বর্ণিত অভিজ্ঞতাটুকুও যেন সার্থকতা পেল। :)
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.