নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অল্প কথার গল্পঃ সবুজের শার্ট

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৬

সবুজের পরিবারটা ঠিক স্বচ্ছলও ছিল না, আবার অভাবীও ছিল না। কঠোর নিয়ম কানুন আর পই পই হিসেব নিকেশের মধ্য দিয়ে মধ্যবিত্ত সংসারে সে বড় হয়েছে। মা বাবা কিংবা বড় ভাইবোন কোন কিছু কেনাকাটা করার জন্য যদি তাকে কোন অর্থ দিতেনও, খরচ শেষে তারা তার পুংখানুপুংখ হিসেব নিতেন। ঈদে পর্বে নতুন জামা কাপড় সে পেত ঠিকই, কিন্তু সব সময় তা নিজের পছন্দ অনুযায়ী হতোনা। এ নিয়ে অবশ্য সবুজের তেমন কোন দুঃখবোধ ছিলনা, কারণ সে দেখতো তাদের সৎ ও দায়িত্ববান বাবা বাসার সবার আব্দার মেটাতে গিয়ে কতটা হিমসিম খেতেন। মাঝে মাঝে মা লোভ দেখাতেন, পরীক্ষায় ভাল ফল অর্জন করতে পারলে এটা দিবেন, ওটা দিবেন, কিন্তু ভাল ফলের রিপোর্ট কার্ড ঘরে এনেও সবুজ বেশীরভাগ সময়েই তার প্রতিশ্রুত পুরস্কার পেত না। এ নিয়ে প্রথম প্রথম মনে মনে কিছুটা উষ্মা বোধ করলেও, কয়েকদিনের মধ্যেই সবুজ তা ভুলে যেত। কারণ একটাই, হিসাব বিজ্ঞান না পাঠ করেও সবুজ বুঝতো, মাস শেষে সংসারের ব্যালেন্স শীট মেলানোটা তার মা বাবার জন্য একটা দুঃসাধ্য কাজ ছিল।

তখন এলো টেরিলিন, কেরিলিন এর যুগ। কেরিলিন শার্ট আর টেট্রনের প্যান্ট পরে অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলেরা স্কুলে আসা শুরু করলো। সুতির পোশাকের মত ওসব পোষাকের ইস্ত্রীর ভাঁজ সহজে ভাঙেনা। কাপড় ধোয়ার পরেও ইস্ত্রী না করালে চলে। দেখতেও খুব স্মার্ট দেখায়। কিন্তু ওসব কাপড়ের মূল্য সুতির কাপড়ের চেয়ে অনেক বেশী। সবুজেরও খুব ইচ্ছে হলো, এক জোড়া কেরিলিন শার্ট আর টেট্রনের প্যান্ট দিয়ে সে নতুন পোষাক পরে স্কুলে যাবে। কিন্তু ইচ্ছেটা সে মনের মধ্যেই পুষে রাখলো, কারণ সে জানে, মা বাবার কাছে এমন ইচ্ছে প্রকাশ করা মানেই তাদেরকে বিব্রত করা। একদিন রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সবুজের বাবা তার অভ্যেসবশতঃ এটা ওটার ইংরেজী ট্রান্সলেশন ধরতে থাকলেন। সবুজও সপ্রতিভ হয়ে সাধ্যমত তার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকলো। বেশ খানিকক্ষণ পর সবুজ বুঝতে পারলো, সে তার বাবাকে খুশী করতে পেরেছে। বাবা খুশী হয়ে বললেন, তুমি যদি এভাবে পরীক্ষার খাতায়ও অনুবাদ করতে পারো, তবে তুমি অনেক উচ্চ নম্বর পাবে। বাবাকে খুশী করতে পেরে সবুজ খুব তৃপ্ত বোধ করলো। একবার সে মনে মনে ভাবলো, এই সুযোগে সে বাবাকে কেরিলিন শার্ট আর টেট্রনের প্যান্ট এর আব্দারটা করে বসবে কিনা। কিন্তু সেটা তাকে আর করতে হলোনা। বাবা নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাকে বললেন, সে যদি বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম হতে পারে, তবে তিনি তাকে তার পছন্দ অনুযায়ী কিছু কিনে দিবেন। একথা শুনে সবুজ একটু দমে গেল। কারণ সে জানে যে খুব চেষ্টা করলে সে বড়জোর তৃতীয় হতে পারবে। কারণ, ক্লাসের ফার্স্ট আর সেকেন্ড বয় মেধায় তার চেয়ে অনেক বেশী ভাল। তাই আশা নিরাশার এক মিশ্র অনুভূতি নিয়ে সবুজ সেদিন ঘুমাতে গেল।

এর মধ্যে একদিন অপ্রত্যাশিতভাবেই সবুজের সামনে এক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেল। তাদের ক্লাসে কিছু নতুন ছাত্র ভর্তি করাতে তাদের সেকশনগুলো পুনর্গঠন করা হলো। এতে তাদের ফার্স্ট বয় দুই সেকশনের অন্য সেকশনে চলে গেল। এখন সে শুধু সেকেন্ড বয়কে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করলো। মনে মনে সে একটা শক্ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে বসলো। যে করেই হোক, সর্বশক্তি নিয়োগ করে প্রথম তাকে হতেই হবে। আর সে তখন অষ্টম শ্রেণীতে। এ পরীক্ষায় ভাল করতে পারলে সে বিজ্ঞান বিভাগ পাবে এবং পরবর্তীতে ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার যাই হতে চায়, তা হবার সুযোগ পাবে। তাই সে আদা জল খেয়ে লাগলো। অচিরেই সে তার নিষ্ঠা, একাগ্রতা আর অধ্যবসায়ের ফল পেয়ে গেল। বার্ষিক পরীক্ষার পর দেখা গেল, সবাইকে অবাক করে দিয়ে সবুজ সেবার তার সেকশনে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। খুশীতে ডগমগ হয়ে সে রিপোর্ট কার্ড নিয়ে ঘরে এলো। বাসায় এসে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকলো, কখন তার বাবা ঘরে ফিরবে। সন্ধ্যা ঘনায়ে এলো, তবু বাবা ফিরেননা। তখন ওদের বাসায় কোন টেলিফোনও ছিলনা। ঘরে ফেরার স্বাভাবিক সময় যখন অতিক্রান্ত হচ্ছে, তখন বাসার সবাই উদ্বিগ্ন হতে শুরু করলো। বাবাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে সবুজ তার সুখবরটা তখনো আর কারো কাছে ভাঙেনি।

সন্ধ্যার পর কেউ একজন তাদের ঘরের কড়া নাড়লো। সবুজ ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দেখে তার বাবার অফিসের পিয়ন দাঁড়িয়ে। সে মাথা নিচু করে হাত কচলাতে কচলাতে জানালো, স্যার অফিস ছুটির সময় হঠাৎ করে মাথা ঘুরে চেয়ার থেকে পড়ে যান এবং সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অফিসের সবাই তাকে ধরাধরি করে শুইয়ে দিয়ে মাথায় পানি ঢালেন এবং বাতাস করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরলেও, তিনি চলৎশক্তিহীন হয়ে পড়েন। অফিসের বড় বসের নির্দেশে তাকে এ্যাম্বুল্যান্স ডেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। একথা শুনে সবুজের মা আর দুই বোন হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। বড় ভাইয়েরা সুস্থির থাকলেও করণীয় সম্পর্কে উপস্থিত সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। এমতাবস্থায় সবুজ বেশী কিছু চিন্তা না করে ঘরের বাইরে বের হলো। রাস্তা থেকে একটা বেবী ট্যাক্সী ডেকে নিয়ে এসে সে সবার উদ্দেশ্যে বললো, আমি এখন মেডিক্যালে যাচ্ছি। তোমরা কেউ যাবা আমার সঙ্গে? এ কথা শুনে তার মা আর এক বোন, এক ভাই এক কাপড়েই তার সাথে গিয়ে বেবীট্যাক্সীতে উঠলো।

কেরিলিন শার্ট আর টেট্রন প্যান্টের আব্দারটা সবুজের আর কারো কাছে কখনো করা হয় নাই। আজও মাঝে মাঝে তার সেই না পাওয়া কেরিলিন শার্ট আর টেট্রন প্যান্টের কথা মনে পড়ে, যদিও এখন তার আর সেগুলোর প্রয়োজন নেই। সেদিনও যেমন তার এ নিয়ে কোন দুঃখবোধ হয়নি, আজও হয়না, শুধু মাঝে মাঝে মনে পড়ে সেকথাটা। তখন তার দৃষ্টি নিম্নমুখী হয়, স্মৃতি অতীতমুখি আর হৃদয় ঊর্ধ্বমুখী।


ঢাকা
১০ অক্টোবর ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল সহজিয়া ভাষায় লেখা গল্পটিতে।

কত শত সবুজ এভাবেই অাশা পুরুনের মায়াজালে অাবদ্ধ হয়ে রয়েছে সমাজের অানাচে কানাচে।

গল্পে ভালোলাগা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম প্লাস ও প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
কবিগুরু'র কথায়ঃ
ছোট প্রাণ ছোট ব্যাথা,
ছোট ছোট দুঃখ কথা,
নিতান্তই সহজ সরল।
সহস্র বিস্মৃত রাশি,
প্রত্যহ যেতেছে ভাসি,
তারই দু-চারটি অশ্রুজল।
নাহি বর্ণনার ছটা,
ঘটনার ঘনঘটা,
নাতি তত্ব, নাহি উপদেশ।
অন্তরে অতৃপ্তি রবে,
সাঙ্গ করি মনে হবে,
শেষ হইয়াও হইল-না শেষ।।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৮

কালীদাস বলেছেন: ভাল।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৯

সুমন কর বলেছেন: এ সবুজে সবুজে ভরে উঠুক আমাদের দেশ। গল্প ভালো লাগল।
+।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। ধন্যবাদ, কথাতা জানিয়ে যাবার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। শুভেচ্ছা জানবেন।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এরকম সবুজ হওয়া বর্তমানে অনেক অনেক কঠিন। সবুজে ভরে উঠুক দেশ।

খুব সুন্দর লাগলো গল্পটা ++++++

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "খুব সুন্দর লাগলো গল্পটা ++++++" - ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫০

প্রামানিক বলেছেন: গল্প ভালো লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় ছড়াকার বন্ধু। ভাল লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা নিরন্তর...

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কেরোলিন,টেট্ট্রন, প্লেলেবয়ের সখ মিটেছিল তখনই।। তবে এসব মিটাতে যেয়ে আব্বাকে দেখেছি অফিসের পরও টিউশনি করতে।। এতকষ্ট করার পরও তাকে কখনো দেখি নি, আমাদের প্রত্যাশায় থাকতে।। সেই ছোট থেকে একটি কথা তার মুখে আমরা অহরহ শুনতাম, খোদা যেন সন্তানদের উপর নির্ভরশীলতা থেকে আমাকে রক্ষা করেন।।।। আর আল্লহও তার সেই আশা পূরন করেছেন।।
স্মৃতিকথার মতই বাজে কানে।।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের সময়ে মধ্যবিত্ত সমাজের মূল্যবোধ (values) একরকম ছিল, এখন তা অন্যরকম।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ক্লাশ এইটের সবুজ!!! কিন্তু চিন্তা চেতনায় এতো ম্যাচিউরড!:)


মনে হচ্ছে লেখক তার হিরো জন্য একটু বেশিই পক্ষপাতিত্ব করেছেন! হা হা হা!:)



+

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হচ্ছে লেখক তার হিরো জন্য একটু বেশিই পক্ষপাতিত্ব করেছেন! হা হা হা! - মন্তব্যটা পড়ে আমিও খানিক হাসলাম,
হা হা হা!!!
কিছু কিছু মানুষ আছে, যারা মায়ের পেট থেকে দায়িত্ববান আর ম্যাচিউরড হয়েই যেন এ ধরাধামে আসে। তারা বয়সের চেয়ে মননে মানসে অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকে। সবুজও বোধকরি সেরকমই একজন ছিল। তা নাহলে তো তাকে নিয়ে গল্প লেখার কিছুই থাকতোনা। তার চেয়ে বয়সে বড় ভাই, বোন এমনকি মাও যখন তার বাবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন থাকার খবর পেয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে শোকবিলাপ করছিল, বয়সে ছোট হয়েও সবুজ তখন এই ম্যাচিউরিটির কারণেই করণীয় সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছিল এবং সে সেটাই করে দেখিয়েছিল। সংবেদনশীল মন থাকাতে সে সহজেই অন্যের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারতো এবং নিজের চাওয়া পাওয়াকে ধৈর্যের সাথে লো প্রায়োরিটিতে রাখতে শিখেছিল।
বুঝা যাচ্ছে, বেশ মন দিয়েই গল্পটা পড়েছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্লাসে অনুপ্রাণিত হ’লাম।

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:



গল্পটা যদি শুধু গল্পই হয় তাহলে বলব গল্পকার ভাল লিখেছেন। আর যদি এটা কারও জীবন থেকে নেয়া হয় তাহলে সেই সবুজের জন্য রইলো ভালবাসা।

৭ নং মন্তব্যে বিলিয়ার রহমান ভালই বলেছেন।

মনে হচ্ছে লেখক তার হিরো জন্য একটু বেশিই পক্ষপাতিত্ব করেছেন! হা হা হা! :)


লেখক পক্ষপাতিত্ব করেছেন বা না করেছেন সেটা কথা নয়; ক্লাস এইটের সবুজ অনেক ম্যাচিউরড ছিল।


গল্প বেশ ভাল লাগলো।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা যদি শুধু গল্পই হয় তাহলে বলব গল্পকার ভাল লিখেছেন। আর যদি এটা কারও জীবন থেকে নেয়া হয় তাহলে সেই সবুজের জন্য রইলো ভালবাসা - খুব ব্যালেন্সড মন্তব্য। ধন্যবাদ।
আমি কিন্তু গল্পের সবুজের অনেক কিছুই কল্পনার মধ্যেও যেন আপনার মধ্যে দেখতে পাই।
গল্প বেশ ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

মিরোরডডল বলেছেন: oh no its so pathetic!!!!
ek jibone eto koshto keno

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া গল্প বলেছি, তাই হয়তো একটু pathetic হলেও হতে পারে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত।

১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সবুজ পরিবারের সামর্থের ভেতরে সুন্দরভাবে গড়ে উঠেছে; যেদিন পরিবারের সামনে বিপদ এসেছে, সে সঠিভাবে নিজ দায়িত্ব পালনে সমর্থ হয়েছে, এটাই ছিল সময়ের সাথে বড় সফলতা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পে যে সময়ের কথা বলেছি, সে সময়ে বোধকরি প্রত্যেক ঘরে ঘরেই কোন একজন সবুজ জন্ম নিত।
গল্প পড়ে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার কাছ থেকে দুর্লভ প্লাস পেয়েও অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা...

১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২

জাহিদ অনিক বলেছেন:




লেখক বলেছেন:
আমি কিন্তু গল্পের সবুজের অনেক কিছুই কল্পনার মধ্যেও যেন আপনার মধ্যে দেখতে পাই।
- কবিরা অনেক কিছুই দেখতে পায় যা স্বাভাবিক চোখ দেখে না।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিরা অনেক কিছুই দেখতে পায় যা স্বাভাবিক চোখ দেখে না - আপনি নিজেই একজন কবি, তাই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হিসাব বিজ্ঞান না পাঠ করেও সবুজ বুঝতো, মাস শেষে সংসারের ব্যালেন্স শীট মেলানোটা তার মা বাবার জন্য একটা দুঃসাধ্য কাজ ছিল।
---- গুরুত্বপূর্ণ কথা জীবনের জন্য।

লেখার ধরণ নিয়ে যদি বলি তাহলে বলব, জাস্ট এটা শুধু বলে যাওয়াই হয়েছে। পাঠকের ভাবনার বা কল্পনার কোনো স্পেস এখানে ছিল না। আকর্ষণ ছিল না আমার গল্প পাঠে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: জাস্ট এটা শুধু বলে যাওয়াই হয়েছে - এক্সাক্টলী সো! আমি শুধু বলেই গিয়েছি, যা মনে এসেছে। এর মাঝে কোন সাহিত্য নেই, পাঠকের জন্য ভাবনার স্পেস নেই।
আকর্ষণ ছিল না আমার গল্প পাঠে - সোজা সাপ্টা কথাটা বলে দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। তবুও আমন্ত্রণ থাকবে আমার আগামী দিনের লেখাগুলোতে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট নষ্ট মানুষ (এপ্রিল/২০১৩) পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। আশাকরি দেখেছেন।

১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০২

শূন্যনীড় বলেছেন: খুব ভালো লাড়লো +++++

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৭

অভিজিৎ দাস বলেছেন: আরো লিখে যান । আরো ভালো সাহিত্যগুণসম্পন্ন লেখা আশা করি । শুভ ব্লগিং ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবুজের হৃদয় ছোঁয়া গল্প হৃদয় ছুঁয়েই গেল।

স্বপ্ন আর আশা গিলে খেতে খেতে একসময় তারা স্বপ্ন দেখতেই ভুলে যায়।
আটপৌড়ে চক্রে জীবন হয়ে পড়ে গতানুগতিক।
আমজনতার কাতারে লাখো সবুজের কান্না মিশে থাকে সবসময়।


++++

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হৃদয় ছোঁয়া মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। আটপৌড়ে জীবনের গল্পটা আপনার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে জেনে প্রাণিত বোধ করছি।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়ছি। আপনি বেশিরভাগ কবিতা লিখে থাকেন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি বেশিরভাগ কবিতা লিখে থাকেন - জ্বী, অনেকেই বলে থাকেন, বাঙালী মাত্রই কবি। আর দশজনের মত আমিও (অ)কবিতা লিখতেই বেশী স্বচ্ছন্দ বোধ করি। মাঝে মাঝে গল্পের মত কিছু এটা সেটাও লিখে থাকি। তবে শেষ মেষ যে আমার কোন লেখাই তেমন জুতের কিছু হয়না, না কবিতা না গল্প, তা এই ব্লগেই দু'জন পাঠকের মন্তব্য থেকে বুঝতে পারবেন।
তবুও আপনারা আমার ব্লগে আসেন, যাই লিখি তাই পড়েন, পড়ে কিছু মন্তব্যও রেখে যান- এগুলোই আমার লেখার প্রেরণা।
গল্পটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: আমি ক্লাশ হাই-স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় ফার্স্ট হবার পর বড় ভাইয়া একটা ক্রিকেট ব্যাট কিনে দিয়েছিলেন! সেসবই এখন স্মৃতি।
ভাল লেগেছে আপনার লেখাটা। +++

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লেগেছে আপনার লেখাটা - আপনি একজন ভাল গল্পকার। আপনার কাছে আমার এ লেখাটা ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশী হ'লাম। আর তা ছাড়া প্লাসেও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

জুন বলেছেন: আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর পুলিশের স্পেশাল ব্রান্চের একজন উচ্চপদস্থ কর্রকর্তা আমার বাবা কথা দিয়েছিলেন একটা ঘড়ি কিনে দিবেন । সেই কথা রাখতে গিয়ে শুধুমাত্র সৎ হওয়ার কারনে সেই ঘড়ি কিনে দিতে কতটা কষ্ট হয়েছিলো তা পরে বুঝেছিলাম । সবুজের ক্যারোলিন শার্টের মতই। ভালোলাগলো জীবনঘেষা টুকরো গল্প খায়রুল আহসান ।
+

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুলিশের স্পেশাল ব্রান্চের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এর মেয়ের (তাও আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী) একটা ঘড়ি পেতে তার পিতার কষ্টের কথা জেনে বুকটা বেদনায় নয়, গর্বে ভরে উঠলো। ওনাদের মত লোকের কাছ থেকেই তো আমরা সংবেদনশীলতার দীক্ষা পেয়েছি।
আমার এ তুচ্ছ গল্পটা পড়ে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাটুকু শেয়ার করে এবং লেখাটাতে প্লাস দিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত করে গেলেন, জুন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পড়ে গেলাম শ্রদ্ধেয়, ভালো লাগলো

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো লাগার কথাটি এখানে জানিয়ে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো...

২০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫১

জুন বলেছেন: কর্মকর্তা *

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: বুঝতে পেরেছি। :)

২১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া!
মন খারাপ করা! :(

স্মৃতিচারণে তোমার মন খারাপ না হলেও অন্যদের করে দিলে!

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনের গল্প। বোধকরি এতে মন খারাপের যেমন কিছু উপাদান আছে, মন ভাল হবার মতও কিছু আছে।
গল্পটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা...

২২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ মন ছোঁয়া লেখা ।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সবার গল্প কম বেশি একই ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: মধ্যবিত্ত পরিবারের সবার গল্প কম বেশি একই - এক সময় তাই ছিল। এখনকার ব্যাপারে নিশ্চিত নই।
গল্প পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্য এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

২৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমাদের চেনা জীবনেরই একটা গল্পই লিখলেন | তবুও মন ছুঁয়ে গেলো ভীষণ | এই গল্পটা আবার লিখলেও মনে হয় একই ভালোলাগা নিয়ে পড়বো | খুবই ভালো লাগলো |

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই গল্পটা আবার লিখলেও মনে হয় একই ভালোলাগা নিয়ে পড়বো - আপনার এ উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য পড়ে খুবই অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা...

২৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কঠীন বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নেয়ার এক নিদারুন চিত্র ফুটে উঠেছে লেখাটিতে ।
এ রকমের চিন্তা চেতনা ও মানসিকতা থাকলে মানুষ তার পরিপার্শিকতাকে জয় করতে পারে সহজেই।
এটা একটা সহজাত গুন যা অনেকের মাঝে জেগে উঠে কৈশোরেই ।
সহানভুতির সাথে অভিনন্দনও রইল গল্পের কিশোর বালকটির প্রতি
এমনতরভাবে কঠীন অবস্থার সাথে নীজকে মানিয়ে নেয়ার জন্য ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সহানভুতির সাথে অভিনন্দনও রইল গল্পের কিশোর বালকটির প্রতি - অনেক ধন্যবাদ। আপনার কাছ থেকে এ সহমর্মিতা পাওয়াতে গল্প লেখাটা সার্থক হলো।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা, ভাল থাকুন...

২৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: সবুজের জন্য একরাশ ভালোবাসা ।
গল্প ভালো লেগেছে ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, গল্পটি পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য। গল্প ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

রানা আমান বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে গল্পটা ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা আপনার খুব ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

মন ছোঁয়া গল্প...

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যটাও মন ছুঁয়ে গেল!
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জীবনের পথচলায় বুকে কত রয়ে যায় অব্যক্ত চিনচিনে ব্যথা।
যার কোন উপশম নেই ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনের পথচলায় বুকে কত রয়ে যায় অব্যক্ত চিনচিনে ব্যথা। যার কোন উপশম নেই - চমৎকার বলেছেন কথাটা।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।

২৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:১৮

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: @বিলিয়ার, উনি যেই সময়ের কথা লিখেছেন ওই সময়ে ছেলেরা ইন্টার পড়ার সময় ঘন মোচ নিয়ে ঘুরত। ওই সময়ে অষ্টম শ্রেণি অনেক বড় ব্যাপার।

গল্প পড়লাম। যে ডিটেলে শুরু করেছিলেন, শেষটা একদম মানানসই হয়নি সেই অনুপাতে। মনে হল যেন শেষ করার জন্য কেউ চাপ দিচ্ছে আপনাকে। ছোট প্রাণের কথাও যদি বলেন তাতেও প্রাণস্পন্দন থাকা আবশ্যক.।.।.।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হল যেন শেষ করার জন্য কেউ চাপ দিচ্ছে আপনাকে - আসলেই ঠিক কথাটাই বলেছেন। একটা চাপের মধ্যে থেকেই লেখাটা শেষ করেছি। ব্যাপারটা আমার কাছেও সেরকমই মনে হয়েছে, গল্পের শেষটা জুতসই হলোনা।
ছোট প্রাণের কথাও যদি বলেন তাতেও প্রাণস্পন্দন থাকা আবশ্যক.।.।.।-- জ্বী অবশ্যই, ভাল কথা বলেছেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা অফুরান...

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দ্বিতীয় পুরাতনতম পোস্ট মহিমান্বিত একুশ পড়েছি। ভাল লেগেছে।

৩০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: বুঝা যাচ্ছে, বেশ মন দিয়েই গল্পটা পড়েছেন

কতটা মনোযোগ দিয়ে পড়েছি জানিনা! তবে গল্পের পেছনের মানুষটার মনটা সম্ভবত ১০০ পারসেন্টই পড়তে পেরেছি।

গল্প কতটা শৈল্পিক বা শৈল্পিক নয় সেটি বড় কথা নয় , বড় কথা হলো পাঠক যেন গল্পটা পড়ে গল্পের পেছনের মানুষটার উদ্ধেশ্য ও অবস্থানটা বুঝতে পারেন । এই দৃষ্টিকোন থেকে আপনি সফল হয়েছেন!

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে গল্পের পেছনের মানুষটার মনটা সম্ভবত ১০০ পারসেন্টই পড়তে পেরেছি - এজন্য জানাচ্ছি অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পরের কথাটাও খুব সুন্দর করে বলেছেন।
শুভেচ্ছা...

৩১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


এ হলো জীবন। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মাঝখান দিয়ে চলতে হয়। কোন সময় সেটি একসাথে মিলে, অনেক সময়ই মিলে না। ছোট্ট একটি গল্প, কিন্তু বার্তাটি অনেক বড়।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মাঝখান দিয়ে চলতে হয়। কোন সময় সেটি একসাথে মিলে, অনেক সময়ই মিলে না। - মাত্র দু’টি বাক্যে গল্পটার সুন্দর সারাংশ রেখে গেলেন। প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির মিল না হলেও হতাশ হবার কিছু নেই। জীবনের ঘটে অনেক প্রাপ্তিই লুকিয়ে থাকে, যা সময়ের পালাবদলে নিজেই এসে ধরা দেয়, যদি ধৈর্য আর আস্থার সাথে সৎভাবে জীবন যাপন করা যায়। সবুজ এ কথাটা বিশ্বাস করতো, সেই ছোটবেলা থেকেই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি কুশলেই আছেন। ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা...

৩২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১১

নজসু বলেছেন:


হৃদয়স্পর্শী গল্প।
আমরা মধ্যবিত্তেরা এভাবেই জীবনের পথে এগিয়ে যাই।
প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সম্মিলন কম ঘটলেও
আনন্দ বেদনার স্মৃতির পট ঠিকই আঁকা থাকে হৃদয়ে।

সত্যিকার ঘটনার স্পর্শ আছে গল্পে, তাই আলাদা একটা অনুভূতি হচ্ছে সবুজের জন্য।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সত্যিকার ঘটনার স্পর্শ আছে গল্পে, তাই আলাদা একটা অনুভূতি হচ্ছে সবুজের জন্য - অনেক ধন্যবাদ, আপনার একটি পোস্টে আমার মন্তব্যের লিঙ্ক ধরে এসে এ গল্পটা পড়ে যাবার জন্যে। আপনি ঠিকই বলেছেন, "আমরা মধ্যবিত্তেরা এভাবেই জীবনের পথে এগিয়ে যাই। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সম্মিলন কম ঘটলেও আনন্দ বেদনার স্মৃতির পট ঠিকই আঁকা থাকে হৃদয়ে।"
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভকামনা----

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.