নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি হ্যাটের আত্মকাহিনীঃ

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০২


গুগল থেকে নেয়া ছবি

আমার নাম হ্যাট। আমার নামটি খুবই ছোট হলেও আমার পরিচিতি বিশাল এবং ব্যাপক, আমার একটি প্রাচীন ঐতিহ্যও রয়েছে। আমি মানুষের শিরস্ত্রাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছি সে আজ থেকে নয়, সেই ব্রোঞ্জ যুগ থেকে। ইতিহাস ঘেঁটে আমার প্রথম পরিচয় হিসেবে জানা যায় যে খৃষ্টপূর্ব ৩৩০০ সালে অস্ট্রিয়া এবং ইটালীর মধ্যবর্তী এক পাহাড়ী অঞ্চলে মাথায় হ্যাট পরিহিত ওজি (Otzi) নামের এক লোককে বরফে হিমায়িত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা হ্যাট প্রচলন থাকার প্রথম প্রমাণ হিসেবে স্বীকৃত। ইতিহাস আরো সাক্ষ্য দেয় যে আমি প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই ছিলাম নরনারীর পরিচ্ছদ ও ভূষণের আভিজাত্যের প্রতীক। প্রাচীন মিসরীয় রাজন্যবর্গ আমাকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে নানা রঙে এবং শৈলীতে তাদের মাথায় স্থান দিতেন। তার পরে রোমানগণ এবং তারও পরে রাশান এবং আমেরিকান অভিজাত রাজন্যবর্গ আমাকে তাদের বেশভূষার অপরিহার্য অংশ হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা শুরু করেন। অভিজাত রমণীগণ মধ্যযুগ হতে আমাকে তাদের মাথায় বসিয়ে গর্ব বোধ করতেন। সেই থেকে আমার পূর্বসূরীরা বিশ্বের নরনারীদের মাথার শোভা হয়ে বিশ্বময় ঘুরে বেড়ায়। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন হ্যাট প্রস্তুতকারক হিসেবে আজও লন্ডনের St James’ Street এর James Lock & Co এর নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয়। উত্তর আমেরিকার Stetson কোম্পানীও বহু বছর ধরে আমেরিকা এবং কানাডার হ্যাটপ্রিয় মানুষদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি নাম।

যাহোক, এতক্ষণ শুধু অভিজাত শ্রেণীর কথাই বলে গেলাম। কিন্তু আমি জন্মসূত্রে অভিজাত হলেও, আমার জন্ম হয়েছে সাধারণ হ্যাটপ্রেমী মানুষদের জন্য, চীনের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে। চীনারা আমাকে ডাকে “নিউ যাই মাউ” (Niu Zai Mao) বলে। চীনারা দেখতে খর্বাকৃ্তির হলেও আমার নামটি ওরা রেখেছে বেশ লম্বাই। জন্মের পর চৈনিক মহিলারা আমাকে অতিশয় যত্ন করে কিছুদিন একটা শো কেসে আটকে রাখে। তারপর সেখান থেকে এক ভুটানী ব্যবসায়ী আমাকে কিনে পারোতে নিয়ে আসে। সেখানেও আমি কিছুদিন প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত ছিলাম, সাথে আমার আরো অনেক ভাই বোনও ছিল। একদিন বাংলাদেশ থেকে কয়েকজন পর্যটক ভুটানে বেড়াতে এসে আমাকে দেখলেন। একজন সাথে সাথেই আমাকে পছন্দ করে নিলেন। তার দেখাদেখি তার আরো তিনজন বন্ধুও আমার তিন ভাইকে কিনে নিলেন। সেই থেকে আমি আমার ক্রয়কারী পর্যটককে স্যার বলে ডাকি। তিনি আমাকে কেনার সাথে সাথেই তার মাথায় বসিয়ে দিলেন। তার বন্ধুরাও একই কাজ করলেন। আমরা চার ভাই তাদের চারজনের মাথায় বসে ভুটানের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘুরাঘুরি করতে লাগলাম। আহা, তখন আমাদের সে কি আনন্দ!

আমি জানি, আমার স্যার আমাকে তার মাথায় পরিধান করতে খুব ভালবাসেন। কারণ উনি যখনই সবান্ধবে কোথাও বেড়াতে বের হন, তখনই তিনি আমাকে ভালোমত পরিচর্যা করে তার মাথায় বসিয়ে নেন। কখনো সখনো মাথা থেকে নামালেও, ছবি তোলার সময় তিনি আমাকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে পুনরায় তার মাথায় স্থাপন করতেন। আমিও সগৌরবে তার মাথায় বসে অন্যদের (যাদেরকে তাদের স্যার রা ভুলক্রমে গাড়ীতে ফেলে যেতেন) ঈর্ষার কারণ হতাম। আমাকে মাথায় রেখে আমার স্যার যেমন সমীহ প্রাপ্ত হন, তেমনি স্যার যখন কারও প্রতি শ্রদ্ধা জানান তখনও তিনি আমাকেই মাথা থেকে একটু নামিয়ে রাখেন। আপাতত দৃষ্টিতে পরস্পর-বিরোধী হলেও, আদতে সেটি ঘনিষ্টভাবে পরস্পর-সম্পর্কযুক্ত। আমি তাতে গর্বিত হই, কারণ সকল অবস্থায় আমিই থাকি শ্রদ্ধার উৎস এবং গন্তব্য। স্যার আমাকে কেনার পর থেকে আমি তার মাথায় বসে কতই না দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ালাম! কোথাও পিকনিক হলেই কিংবা বহিরাঙ্গণে কোন ভ্রমণসূচী থাকলেই আমার ডাক পড়তো। ভুটান থেকে ফিরে আসার পর আমি সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডেও স্যারের সফরসঙ্গী হয়েছিলাম। দেশের কক্সবাজার, ইনানী সৈকত, এমনকি এইতো সেদিন মৈনটেও, যা বাংলাদেশের ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে ইতোমধ্যে পরিচিত হয়েছে, আমাকে তিনি সাথে নিয়েছিলেন। কিন্তু হায়, কে জানতো ওটাই হবে আমার অগস্ত্য যাত্রা, মৈনটের পদ্মার বুকেই রচিত হবে আমার সলিল সমাধি!

সেদিন, গত ১১ই জানুয়ারী ২০১৮ তারিখে আমার স্যার ও সাথে তার দুই বন্ধুর সস্ত্রীক বাংলাদেশের ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে খ্যাত “মৈনটে” যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একজনের সর্দিজ্বর হবার কারণে তিনি ও তার স্ত্রী যেতে পারেন নি। অপর বন্ধুসহ স্যার মৈনটে যাবার পথে সর্ষে ক্ষেতে নেমে গিয়েছিলেন মনের আনন্দে, সেখানেও আমি কখনো তার মাথায় বসা, কখনো হাতে ধরা ছিলাম। তারপর মৈনটে পৌঁছে স্যার এবং ওনার সফরসঙ্গীরা ইঞ্জিন চালিত নৌকোয় চড়ে পদ্মার বুকে ঘুরে বেড়ান এবং একটি চরে সদলবলে নেমে পড়েন। সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে চরের ঠান্ডা বাতাসের কারণে বেশীক্ষণ না থেকে পুনরায় ইঞ্জিন নৌকোয় করে মৈনট ঘাটে ফিরে আসার জন্য রওনা হন। নৌকোয় উঠে স্যার এবং তার বন্ধু নানারকমের ঠাট্টা মস্করায় মেতে ওঠেন। এক সময় স্যার নৌকোর এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হাল্কা বাতাসে চলমান নৌকোয় আমার অবস্থান একটু শিথিল হয়েছিল, স্যার সেটা মোটেই খেয়াল করেন নি। ঐ অবস্থায় স্যার একবার মাথা ঘুড়িয়ে নৌকোর ছই এ বসে থাকা তার বন্ধুর কি একটা কথার জবাব দিচ্ছিলেন, এমন সময় একটা হাল্কা কিন্তু আচমকা বাতাস এসে আমাকে স্যারের মাথা থেকে উড়িয়ে নিয়ে গেল। আমি পড়ে গেলাম একেবারে মাঝনদীতে। আমি একবার চিৎকার করারও সময় পেলাম না। নিমেষেই একটা ঢেউ এসে আমাকে নদীর অতলে নিয়ে গেল! সেখানেই, পদ্মার বুকে রচিত হলো আমার সলিল সমাধি। আমার খুব দুঃখ হচ্ছে, পড়ার সময় আমি একটিবারও স্যারের মুখের দিকে তাকাবার সময় পাই নি, স্যারও সুযোগ পাননি আমার মুখের দিকে তাকাতে। এভাবেই আমার এবং স্যারের মধ্যে চিরবিচ্ছেদ রচিত হয়ে গেল!

(হ্যাটের ছবি ও তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া/গুগল। পোস্টের কয়েকটা লাইনের জন্য ব্লগার মাঈনুদ্দিন মইনুল এর নিকট ১১ নং মন্তব্যসূত্রে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।)



পারো বিমান বন্দরে, প্রত্যুষের আলো তখন কেবল ফোটা শুরু করেছে.... আমরা চার ভাই চার স্যারের মাথায় শোভা পাচ্ছি।
স্যারদের নম্র ভদ্র ট্যুর গাইড মিগমা শেরিং এবং গাড়ীচালক ওয়াং চেন টোবগিয়েলকে শুভবিদায় জানাতে ওনারা একসাথে ছবি তুলেছেন, তাদের উভয়ের ভব্যতা ও শিষ্টাচার স্যারদেরকে মুগ্ধ করেছিল....


গত ১১ জানুয়ারী ২০১৮ তারিখে মৈনটের পদ্মার বুকে স্যারের সাথে এটাই আমার শেষ ছবি। এর পরেই একটা আচমকা বাতাস এসে আমাকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে নদীতে ফেলে দেয় এবং পদ্মার বুকে আমি সলিল সমাধি লাভ করি!


ঢাকা
১৪ জানুয়ারী ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১০

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: হ্যাটের অতীতটাও জানিয়েছেন বলে ধন্যবাদ

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।
আমার কোন পোস্টে আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন। আমার পোস্টে আপনাকে সুস্বাগতম!

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



দুর্ভাগা হ্যাট, স্যার সাঁতার জানেন না, বা হ্যাটের জন্য রিস্ক নেননি, দুর্ভাগা হ্যাট

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরের কথাটাই ঠিক। দুর্ভাগাই বটে! তাছাড়া দেশে এখন নজিরবিহীন শৈত্যপ্রবাহ চলছে।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা !!!
বড় ভালো হ্যাট ছিলো ,বেঁচে থাকতে সে তাহার স্যারের যোগ্য সংগী প্রমান করিয়াছে ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেঁচে থাকতে সে তাহার স্যারের যোগ্য সংগী প্রমান করিয়াছে - কথাটা ঠিক। যতদিন বেঁচে ছিল, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছে।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: বড় মনোরম লেখা।
সহজ সরল ভাষায় সুন্দর লিখেছেন।
লেখাটা পরে আরাম পেলাম। ভালো লাগলো।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এত সুন্দর করে লেখাটার প্রশংসা করার জন্য। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: একটি হ্যাটের আত্মকাহিনী, খুব সুন্দর কিন্তু মন খারাপ লাগলো। হ্যাটটা নদীতে পরে গেল, একবার ঘুরে ফিরে তাকাতেও পারলো না !!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা মন দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা ----

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

মিথী_মারজান বলেছেন: হ্যাটটি হারিয়ে গিয়েও বেঁচে রইল স্যারের স্মৃতি আর লেখনীতে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাটটি হারিয়ে গিয়েও বেঁচে রইল স্যারের স্মৃতি আর লেখনীতে - জ্বী, এবং ঠিক সে কারণেই এ আত্মকাহিনীটি এখানে আত্মপ্রকাশ করলো!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:


গল্পটি পড়ে স্যারের জন্য নয় বরং হ্যাটটির জন্যই বেশি মায়া লাগলো। অথচ মনে হচ্ছে প্রিয় হ্যাটকে হারিয়ে স্যার নিজেও হ্যাটের মতই কিছুটা ভারাক্রান্ত মনে ছিলেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অথচ মনে হচ্ছে প্রিয় হ্যাটকে হারিয়ে স্যার নিজেও হ্যাটের মতই কিছুটা ভারাক্রান্ত মনে ছিলেন - তা তো তিনি ছিলেনই। সেজন্যই তো এ আত্মকাহিনীটি এখানে আত্মপ্রকাশ করলো!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: আগের মন্তব্যে উলটো বলেছি।
গল্পটি হ্যাটের।
কিন্তু খারাপ লেগেছে স্যারের জন্যই।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: দুটো খারাপ লাগা/মায়া লাগাই ঠিক আছে মনে হয়।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বড় ভালো আর অনুগত ছিলে তুমি, মিস্টার হ্যাট ! হ্যাটস অফ টু ইউ !!!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাটস অফ টু ইউ - আপনার ঠিক এই কথাটা সম্পর্কেই নীচে ব্লগার মাঈনুদ্দিন মইনুল কয়েকটা কথা সংযুক্তির সাজেশন দিয়েছেন, যা আমি আনন্দ ও কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করলাম। ব্যতিক্রমী মন্তব্যের জন্য আপনাকেও 'হ্যাটস অফ', মলাসইলমুইনা!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ব্লগে গিয়ে দেখি, হায় হায়! কিছু নেই! লেখাগুলো গেল কোথায়?
আপনি কি ব্লগ ত্যাগ করলেন? আমি শতভাগ নিশ্চিত, এখানকার ব্লগারগণ আপনাকে খুব মিস করবে---

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: বেশ ভালোলাগলো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে এখানে ভাল লাগার কথাটি জানিয়ে যাবার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা!

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

এ লেখায় হ্যাটের প্রতি স্যারের ভালোবাসা ও স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ পেলো।
স্মৃতিকাতরতাকে সাহিত্যের জন্মদাতা বলে আমি মানি।

আপনার লেখায় প্রায়ই আমি আমার মিউজকে পেয়ে যাই। একটি সংযুক্তির প্রস্তাব করছি:
//আমাকে মাথায় রেখে আমার স্যার যেমন সমীহ প্রাপ্ত হন, তেমনি স্যার যখন কারও প্রতি শ্রদ্ধা জানান তখনও তিনি আমাকেই মাথা থেকে নামিয়ে রাখেন। আপাতত দৃষ্টিতে পরস্পর-বিরোধী হলেও, আদতে সেটি ঘনিষ্টভাবে পরস্পর-সম্পর্কযুক্ত। আমি তাতে গর্বিত হই, কারণ সকল অবস্থায় আমিই থাকি শ্রদ্ধার উৎস এবং গন্তব্য।//


ঢাকার আকাশে অলস সূর্যকে দেখা যাচ্ছে। সেখান থেকে একটু ঊষ্ণতামিশ্রিত শুভেচ্ছা জানাচ্ছি লেখককে :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওহ হো! লেখার সময় এ কথাটা আমার মনে হয়েছিল, এবং সে সময় আপনার কথাও মনে হয়েছিল। একটু তাড়াহুড়ো করাতে পয়েন্টটা মিস করে ফেলেছি। আপনার কথাও মনে হয়েছিল কারণ, বহুদিন আগে কারো একটা লেখা বা মন্তব্যের কারণে (হতে পারে আপনার কোনটাতেও) আমি তাকে “টুপি-খোলা অভিবাদন” জানিয়েছিলাম। আপনি সেটা এ্যাপ্রিশিয়েট করেছিলেন। সেটা অথবা আমার আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা "আমার কথা" এর কোন এক পর্বে আমাদের হ্যাট পরিহিত প্রিন্সিপালের কুচকাওয়াজে সালাম নেয়ার সময় হ্যাটটাকে একটু আলগা করে উঁচু করে ধরে সালামের জবাব দেয়ার রেওয়াজের কথা লিখেছিলাম। ঠিক স্পষ্ট মনে না পড়লেও এ সম্পর্কে কিছু একটা লিখেছিলাম এবং আপনিও তাতে মন্তব্য করেছিলেন, এ কথাটা আমার মনে আছে।

অনেক ধন্যবাদ, এই সংযুক্তিটুকু সাজেস্ট করার জন্য। আপনার সাজেশনটুকু আমি আমি আনন্দ ও কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করলাম। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: হ্যাটের আত্নকাহিনী ত বেশ লাগল!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাটের আত্নকাহিনীটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: লেখাটির রস আস্বাদন করিয়া বেশ মজা পাইয়াছি।

শুভ কামনা রহিল।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি পড়িয়া উহার রস আস্বাদন করিয়াছেন জানিয়া আমিও বেশ অনুপ্রাণিত হইয়াছি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

আটলান্টিক বলেছেন: গল্পে প্লাস দিলাম।

হ্যাট নিয়ে লেখা এই গল্পটা বেশ বিচিত্র।পড়ে ভাল লাগলো।কালীদাস এইটা পড়লে আনন্দ পেত।চমৎকার লিখেছেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা পড়েছেন বলে খুশী হ'লাম। মন্তব্যে এবং প্লাসে আরো খুশী। লেখার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত।
কালীদাস এইটা পড়লে আনন্দ পেত - কালীদাস নীরব কেন? এখন কোথায় তিনি?

১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হ্যাটের আত্মকাহিনী খুবই ভাল লাগলো, আহারে ব্যচারা হ্যাট পানিতেই সলিল সমাধি ঘটলো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাটের আত্মকাহিনী খুবই ভাল লাগলো - জেনে প্রীত হ'লাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এত সুন্দর করে লেখাটার প্রশংসা করার জন্য। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।


আমার মন্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য খুব খুশি হলাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, পুনরায় এসে মন্তব্য করার জন্য।

১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা
ভাগ্যবান হ্যাট তুমি - মরেও অমর হলে ;)
কত অগনন সহানুভূতি ভালবাসা পেলে!!

দারুন হ্যাট কথনে ভাললাগা

+++

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাগ্যবান হ্যাট তুমি - মরেও অমর হলে ;)
কত অগনন সহানুভূতি ভালবাসা পেলে!!
- অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার এ চমৎকার উপলব্ধির জন্যে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

১৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

ওমেরা বলেছেন: মরার বাতাস আইবার আর সময় পাইছিলি ন্যা!!

খুবই কষ্ট পেলাম স্যারের জন্যও হ্যাটের জন্যও। হ্যাট সমাচার বেশ বেশ মজা লাগল । ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই কষ্ট পেলাম স্যারের জন্যও হ্যাটের জন্যও। হ্যাট সমাচার বেশ বেশ মজা লাগল - ধন্যবাদ, লেখাটি পড়েছেন বলে এবং পড়ার পর এ মন্তব্যটুকু এখানে রেখে গেলেন বলে। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রথম প্যারা পড়ে মনে হল হ্যাটটা বেশ শিক্ষিত, ইতিহাস জ্ঞান টনটনে। B-)
মজার লিখাটার ভিতর একটা মনখারাপ করা ভাব ছিল।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম প্যারা পড়ে মনে হল হ্যাটটা বেশ শিক্ষিত, ইতিহাস জ্ঞান টনটনে - উইকিপিডিয়া আছে না, সেকথা তো বলেই দিয়েছি!
মজা এবং মনখারাপ, দুটো অনুভূতিই আপনার অভিজ্ঞ চোখে ধরা পড়েছে, মুগ্ধ হ'লাম।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

২০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪০

উম্মে সায়মা বলেছেন: আহা বেচারা হ্যাট :|
ভালো লাগলো হ্যাটের আত্মকাহিনী....

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো লাগলো হ্যাটের আত্মকাহিনী - আমারও ভাল লাগলো, আপনি লেখাতা পরেছেন জেনে। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

২১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০০

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা । খুব ভালো লাগলো ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এই প্রশংসাটুকুর জন্য। লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রিত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার সবচেয়ে পুরনো, প্রথম চারটে পোস্টে মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। পড়েছেন কিনা জানিনা, কারণ কোন নোটিফিকেশন পাইনি।

২২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৫

প্রামানিক বলেছেন: হ্যাটের অতীত বর্তমান নিয়ে হ্যাট কাহিনী খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাটের অতীত বর্তমান নিয়ে হ্যাট কাহিনী খুব ভালো লাগল - অনেক ধন্যবাদ, কাহিনীটি পড়ার জন্য। ভাল লেগেছে জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। হ্যাটের অতীতটি ভাল লাগার কৃতিত্ব অবশ্য উইকিপিডিয়ার।
ভাল থাকুন, শীতে সুস্থ থাকুন। শুভেচ্ছা---

২৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মানুষের মাথায় যার বাস
সাধ্য আছে কার?
তারে লয়ে করবে উপহাস...

সুন্দর +

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, খুব সুন্দর করে বললেন তো কথাটা!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

২৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫২

সোহানী বলেছেন: হ্যাট এর সলিল সমাধিতে সত্যিই ভারাক্রান্ত।

এরকম মজার এবং অন্য ধাচের লেখা অনেক দিন পর পড়লাম। আপনি নিশ্চয় সুকান্তের একটি মোরগ ও দেয়াশলাই এর আত্মকাহিনী পড়েছেন? আহ্ কি চমৎকার সে কবিতাগুলো। অাপনার হ্যাট ও সে রকম হয়েছে সাথে অতীত ও বর্তমান ইতিহাস যুক্ত হয়েছে।

আমি কিন্তু হ্যাট খুব পছন্দ করি এবং আমার সংগ্রহে কম করে ১১ রকমের হ্যাট আছে। যদিও প্রায়ই হারাই আমি বা আমার ছেলে (ওর আবার হারানোর বাতিক আছে, একটু উদাসীন তো তাই)..... তারপরও নতুন কোন ডিজাইন দেখলেই কিনে রাখি। তাই সংগ্রহের ব্যালেন্সটা ভালই। শীত বা সামার সবসময়ই দারুন কাজ করে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাট এর সলিল সমাধিতে সত্যিই ভারাক্রান্ত - অনেক ধন্যবাদ! :(
"একটি মোরগ ও দেয়াশলাই" এর সাথে এ আত্মকাহিনীটিকে তুলনা করার জন্যও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার ১১ রকমের হ্যাট এর ছবি দিয়ে একটা পোস্ট লিখে ফেলুন তাড়াতাড়ি! :)
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা...

২৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হ্যাটের অতীত ইতিহাস জেনে ভালো লাগল।
+ ++++

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাটের অতীত ইতিহাস জেনে আপনার ভালো লাগায় লেখাতা তাও কিছুটা সার্থক হলো।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্য এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

২৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০২

জুন বলেছেন: খায়রুল আহসান এযুগে আপনার হ্যাট নিয়ে এমন করুন কাহিনী কি কারো মনে রেখাপাত করবে ? আপনার অবহেলায় চলে যাবার আগেই সে চলে গেছে ভালোই হয়েছে তাই না, কি বলেন ! এখন দ্রুত একটি নতুন হ্যাট খুজে নিন যদি না এর মাঝেই সংগ্রহ কওরে না রেখে থাকেন। এটাই এখন দস্তর। মনে রাখবেন পুরানো জিনিস নিয়ে আবেগ করা ব্যাকডেটের লক্ষন । আমরা বুড়ো ধুরো সবাই আধুনিক লেবাস পড়ে যুবক যুবতীর কাতারে সামিল হতে আপ্রান চেষ্টা করছি । এখন সেটা শোভনীয় হোক আর না হোক । তবে আমার মত আগের প্রজন্মের মানুষের কিন্ত কষ্টই হলো হ্যাটের আত্মজীবনী পড়ে। পুরানো জিনিষে কত যে মায়া তা কয়জনা বোঝে।
আপনার স্মৃতিচারন পরে উপরের কথাগুলোই কেন জানি প্রযোজ্য মনে হলো ।
+

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এযুগে আপনার হ্যাট নিয়ে এমন করুন কাহিনী কি কারো মনে রেখাপাত করবে? - মন্তব্যগুলো পড়ে তো মনে হচ্ছে কারো কারো মনে হাল্কা রেখাপাত করে থাকতেও পারে! :)
এখন দ্রুত একটি নতুন হ্যাট খুজে নিন যদি না এর মাঝেই সংগ্রহ কওরে না রেখে থাকেন - একটি নয়, পছন্দ হওয়াতে দুটো ইতোমধ্যে কিনে ফেলেছি। :)
পুরানো জিনিস নিয়ে আবেগ করা ব্যাকডেটের লক্ষন - বিলক্ষণ!
পুরানো জিনিষে কত যে মায়া তা কয়জনা বোঝে। - আমার চেয়ে কেউ তা ভাল বোঝে না! :(
লেখাটা মন দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সময় করে সুন্দর মন্তব্য করায় অনুপ্রাণিত। প্লাসেও।

২৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:



হা হা । হ্যাটের আত্মকথন ! তবে শেষে হ্যাটের হারিয়ে যাওয়ায় কষ্ট পেলাম । হ্যাট একটা অতি সখের জিনিস ।

অভিনব পদ্ধতিতে হ্যাটের ইতিহাস জেনে বেশ ভাল লাগলো ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অভিনব পদ্ধতিতে হ্যাটের ইতিহাস জেনে বেশ ভাল লাগলো - আপনার এ কথাটা আমারও খুব ভাল লাগলো।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

২৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

পার্থ তালুকদার বলেছেন: আমাকে টাক মাথার মানুষ খুব বেশি ব্যবহার করে। :)

লিখনি ভাল হয়েছে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রশংসায় অনুপ্রাণিত, তবে 'লিখনি' না লেখা, কোনটা আসলে ভাল হয়েছে, চিন্তায় পড়ে গেলাম।

২৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আহারে হ্যাটটি হারিয়ে গেলো শেষ পর্যন্ত।
খুব মর্মহিত করিলো মুরে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, হারিয়েই গেলো শেষ পর্যন্ত!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হ্যাটের আত্মকাহিনি অনেক ভাল লাগল ভাইয়া।
তবে হ্যাটের জন্য কষ্ট হচ্ছে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, হ্যাটের আত্মকাহিনীটি পড়ার জন্য। ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। প্লাসেও অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা রইলো---

৩১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

জুন বলেছেন: একটি নয়, পছন্দ হওয়াতে দুটো ইতোমধ্যে কিনে ফেলেছি। :)
হা হা হা খায়রুল আহসান এখন মনে হয় সবাই সব কিছু দুটো করেই কিনে রাখে বা জোগাড় করে রাখে।
কোনটা আবার কোথাও হারিয়ে যায় যদি তাহলে আরেকটা তো থাকবে কি বলেন ! ;)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরেরবার কেনার সময় আমি যে হ্যাটটা কিনতে চাচ্ছিলাম, সেটার সাইজ মেলে নাই। অগত্যা কাছাকাছি দুটো কিনে ফেলি।
পুনর্বার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা....

৩২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:






আপনার গল্প লেখাটা স্বার্থক মনে হল! কবি ও লেখক হিসেবে আপনার সুখ্যাতি সর্বজনবিদিত। কিন্তু আজ আমি নতুন দিগন্তের সন্ধান পেলাম! খুবই সাজানো গোছানো ছিমছাম বাগানের মতই একটি লেখা। যদিও হ্যাট নিয়ে তবুও এর গঠন মনে হল একটি বিশাল ছাউন দেওয়া ঘরের মতন!
প্লাস ++++

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই সাজানো গোছানো ছিমছাম বাগানের মতই একটি লেখা - চমৎকার এমন মন্তব্যে অত্যন্ত প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
যদিও হ্যাট নিয়ে তবুও এর গঠন মনে হল একটি বিশাল ছাউন দেওয়া ঘরের মতন! - কবি বলে কথা! এমন মন্তব্য কবিরাই করতে পারেন!
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!

৩৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: হ্যাটের আত্নকাহিনী খুব সুন্দর করে লিখেছেন।তবে শেষে হ্যাটের হারিয়ে যাওয়াটা কষ্টের ছিল।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক আগে একটা প্লাস দিয়ে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলাম, মন্তব্য করতে হয়তো ভুলে গেছেন। ফিসে এসে মন্তব্য করায় খুশী হ'লাম। প্লাসে এবং মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!

৩৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হেট এর আত্মকথনে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে, জানাগেল এর ঐতিহাসিক জীবনের অনেক অজানা ইতিবৃত্ত । নি:সন্দেহে অনেক মুল্যবান ঐতিহাসিক তথ্য এতে সন্নিবেসিত হয়েছে । হ্যাট তার স্যারের সাথে অতি বিশ্বস্ততার সহিত কাটিয়ে দিয়েছে তার জীবনের অনেক আনন্দঘন সময়, স্যারের জন্য বয়ে এনেছে সন্মান ও প্রয়োজনে অন্যকে সন্মান জানাতেও দারুনভাবে করেছে সহায়তা ।হ্যাটটি সুন্দর প্রাঞ্জল ভাষায় নীজের কথাগুলু কি অকপটেই না করেছে বর্ণনা, শেষে জীবন দিয়ে করে গেছে তার প্রভু বন্দনা । মৈনাটের বিস্তৃর্ণ জলরাশীতে নিমগ্ন এই ঐতিহাসিক হ্যটটিকে উদ্ধার করা অতিব জরুরী বলে মনে হয় । কোন এক ডকুমেন্টারীতে দেখেছিলাম চাইনীজরা একটি ডুবুরী রোবট দিয়ে সাগরে হারিয়ে যাওয়া একটি মুল্যবান ঐতিহ্যবাহী হ্যাট উদ্ধার অভিযান চালিয়েছিল !!! আমাদেরও মনে হয় এমন একটি উদ্ধার অভিযান চালালে মন্দ হয়না :)

হ্যাট এর ইতিহাস পাঠ করতে গিয়ে মনে হল এর ইতিহাস রয়েছে আরো পষ্চাতে । ফ্রান্সের ছোট গ্রাম ব্রাসেমপোঁতে অস্টাদশ শতকে পরিচালিত একটি প্রত্নতাত্বিক খনন কাজের সময় Pope's Cave নামক একটি গুহায় প্যলেওলথিক যুগের 'লেডি অব দি হুড' নামের মানবাকৃতির একটি আইভরী মুর্তী পাওয়া যায় । প্রত্নতাত্বিকেরা এটিকে প্রায় ২৫০০০ বছর বয়সী মানব মুখের নিকটতম পরিচিত বাস্তবসম্মত উপস্থাপনাগুলির একটি বলে মনে করে থাকেন । এই মুর্তীটিকে ভেনাস অব ব্রাসেমপোঁ নামেও অভিহিত করা হয়েছে ।
ছবি: ভেনাস অব ব্রাসেমপোঁ ( সম্মুখ ও পার্শ্ব দিক থেকে )

ছবি সুত্র : গুগল
কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক মনে করেন যে প্রায় ২৫০০০ বছর বয়সী ভেনাস অফ ব্রাসেমপোঁ এর শীরে যে টুপিটি (হ্যট ) দেখা যায় তা কোন হেয়ারস্টাইল নয় বরং এটি একটি হ্যাট । প্যরিসের উপকন্ঠে Saint-Germain-en-Laye, এ অবস্থিত ফ্রান্সের ন্যশনাল আর্কিওলজিক্যল মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রক্ষিত এই প্রত্নত্বিক আইভরী মুর্তীটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল । অনেক ধন্যবাদ এই পোষ্টের মাধ্যমে স্মৃতিকে অনেক পিছনে নিয়ে হ্যাট সম্পর্কিত কিছু স্মৃতিকথা রোমন্থনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য । পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাটের ইতিহাস নিয়ে ছবিসহ আপনার এ মন্তব্যটা আমার পোস্টটাকে অনেক সমৃদ্ধ করে গেল। সেই সাথে আপনার দেয়া প্লাসটাও আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে গেল। তাই অনেক, অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। আর পোস্টটা "প্রিয়"তে নেয়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞত!
হ্যাটটা নদীতে পড়ে যাওয়ার পর মনটা একটু খারাপ হয়েছিল বৈকি। তবে কত প্রিয় জিনিসই তো এভাবে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়। এটা তেমন বড় কিছু ব্যাপার ছিল না। আমি চেয়েছিলাম, সামান্য এ ঘটনাটিকে কিছু সাহিত্যরসের সংমিশ্রণে পাঠকদের সাথে শেয়ার করতে। ছোটবেলায় স্কুলজীবনে পাঠ্যপুস্তকে পড়েছিলাম "সুরমা নদীর আত্মকাহিনী" নামক একটি গদ্য। তারই অনুকরণে লিখতে গিয়ে হ্যাটের ইতিহাস জানতে একটু উইকিপিডিয়া ঘাটাঘাটি করেছিলাম। গবেষক মানুষ আপনি, তাই আপনার এ মন্তব্যে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে আরো কিছু ইতিহাস, ভেনাস অব ব্রাসেমপোঁ এর অপূর্ব মুখচ্ছবি। আবারো ধন্যবাদ, এ সংযোজনটুকুর জন্য।
একটি কবিতার জম্ম নামে আপনার পুরনো পোস্টটিতে আমি আরেকটা মন্তব্য রেখে এসেছি।
ডিস্ক প্রল্যাপ্স জনিত আপনার ব্যথা বেদনার উপশম হোক, আপনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় পুনরায় ব্লগিং এ মনোনিবেশ করুন, এই কামনা রেখে গেলাম।

৩৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি উত্তরের জন্য । হ্যাট প্রসঙ্গে আমাদের দেশের মাতলার কথাটি এসে যায় , আর তার সাথে লোকায়ত গম্ভিরা কবি গানের কথামালাও চলে আসে ।

চৈত্র সংক্রান্তিতে লোকায়ত বাংলার গাজন-চড়ক উৎসব দেশের উত্তরবঙ্গে গম্ভীরা নাম নিয়েছে বলে বলা হয়ে থাকে । প্রায় হাজার বছরের এই গম্ভীরা উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি তে পালিত হয় ।গম্ভীরা নৃত্য পরিবেশন কালে পরিবেষকগন বড় হ্যাট সদৃশ্য বাঁশ ও তাল পাতার তৈরী মাতলা শিরে পরিধান করে । এই হ্যাট সদৃশ্য মাতলার বহুল ব্যবহার গ্রাম বাংলায় এখনো দেখা যায় , চৈত্রের বুকফাটা রোদে কৃষক ও নৌকার মাঝিদের নিকট এটি একটি অতি প্রিয় বস্তু ।

এখানে একটি কথা স্বীকার্য যে শতবর্ষ পূর্বে গম্ভীরা পূজার সঙ্গে আজকালের গম্ভীরা গানের কোনো সর্ম্পক নেই। কালের আবর্তনে দেশিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনের পর লোকসমাজের রুচির তাগিদে সামাজিক লোকনাট্যের রূপ নিয়েছে গম্ভীরা । গম্ভীরা গানের অনুষ্ঠানে কতিপয় মুখপাদ বন্দনা, দ্বৈত পালাবন্দি গান, যুক্ত হয়েছে। গানের সঙ্গে তাৎক্ষণিক সংলাপ ও রঙ্গরসিকতায় এটি লোকনাট্যের এক বলিষ্ঠ অংশ হয়ে গেছে । বর্তমানে আমাদের উত্তর বঙ্গে প্রচলিত গম্ভীরায় নানা ও নাতির মধ্যে সংলাপ বিনিময় হয় এবং সাম্প্রতিক সামাজিক ও রাজনৈতিক ইসুগুলো গুরুত্ব পায়।

আশির দশকে দেশের টিভিতে মাতলা পরিহিত নানা নাতীর এমন একটি ধারাবাহিক গম্ভীরা গানের অনুষ্ঠান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল । এ প্রসঙ্গে মনে পরে মাতলা পরিধান করে পরিবেশিত উত্তরাঞ্চলের প্রচলিত প্রাচীন গম্ভীরা গানের কথাগুলির সংরক্ষন প্রয়োজন । কবিতা ও সংগীত প্রেমিক লোকজন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারেন ।

আবারো শুভেচ্ছা রইল

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাথাল পরিহিত নানা-নাতির নৃত্যগীত ও কথোপকথনের অনুষ্ঠান "গম্ভীরা"র কথা আমারও মনে আছে। হাস্য কৌ্তুকের মাধ্যমে সমাজের নানা অসামঞ্জস্যের কথা, সামাজিক নানা অসঙ্গতির কথা, এমনকি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যঙ্গ-সমালোচনাও এসব অনুষ্ঠানে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হতো।
হ্যাট প্রসঙ্গে আলোচনার সূত্র ধরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গের প্রতি আলোকপাত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০২

সুমন কর বলেছেন: হাহাহাহা............একদম রচনার মতো হয়ে গেছে। পড়ে মজাও পেলাম। +।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হাহাহাহা............ ছোটবেলায় স্কুলজীবনে পাঠ্যপুস্তকে পড়েছিলাম "সুরমা নদীর আত্মকাহিনী" নামক একটি গদ্য। তারই অনুকরণে লিখতে চেষ্টা করেছি, সেজন্যেই হয়তোবা লেখাটা আপনার কাছে একদম রচনার মতো হয়ে গেছে বলে মনে হয়েছে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৩৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

রানা আমান বলেছেন: এমন সুস্বাদু সুপাঠ্য একটি পোস্টের জন্য একটি নয় , কয়েকটি হ্যাট হারালেও তা অতি সামান্যই ক্ষতি ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন সুস্বাদু সুপাঠ্য একটি পোস্টের জন্য একটি নয় , কয়েকটি হ্যাট হারালেও তা অতি সামান্যই ক্ষতি - হা হা হা, এমন সুখশ্রাব্য একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকেও একটা হ্যাট কিনে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে! :)
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৩৮| ০১ লা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

অলিভিয়া আভা বলেছেন: একটি হ্যাটের আত্মকাহিনীঃ কার জন্য বেশী মন খারাপ করবো বুঝতে পারছি না। হ্যাটের জন্য নাকি স্যারের জন্য?
দুজনের কেউই তো মনে হচ্ছে কাউকে কম পছন্দ করতেন না। অবশেষে বিচ্ছেদ। আহা বিচ্ছেদের গল্পগুলোই যেন সব স্ময় দাগ কাটে। লেখা বেশ প্রাণবন্ত। ভালো লাগলো খুব।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কারও জন্যই মন খারাপ করতে হবেনা। লেখাটা আপনার ভাল লেগেছে, এটাই বড় কথা। লেখক এতেই ধন্য, আর প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা---

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.