নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
খন্দকার সাহেব একজন সুখী মানুষ, কারণ জীবনে তার চাহিদা খুব বেশী কিছু নয়। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে অল্পতেই তিনি সন্তুষ্ট থাকতে শিখেছেন। সন্তানদেরকেও তাই শেখাতে চেয়েছেন। যুগের প্রভাব বলয় থেকে ক’জনাই বা বের হয়ে আসতে পারে? কিন্তু তিনি সফলতার সাথে তা পেরেছেন। এ জন্যেই তার সুখটা নির্ভেজাল।
নিজে যতটুকু ধর্মকে বোঝেন, খন্দকার সাহেব ততটুকুই ধর্মাচার যথাসম্ভব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন এবং ধর্ম নিয়ে কিছুটা হাল্কা পড়াশোনাও করে থাকেন। ধর্ম বিষয়ে কোন আলোচনায়, তর্ক বিতর্কে পারতপক্ষে তিনি অংশ গ্রহণ করেন না, এড়িয়ে চলেন। দু’ ধরণের লোকজনকে তিনি মোটেই পছন্দ করেন না- ধর্ম ব্যবসায়ী আর বাঙালী জাতির সবচেয়ে গৌরবময় অর্জন, মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ীদেরকে। এই উভয়দলকে দেশ, সমাজ ও জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক বলে তিনি মনে করেন।
খন্দকার সাহেব প্রথম যখন একটি গাড়ী কিনেছিলেন, অনেক ইন্টারভিউ এর পর তিনি একজন চালককে নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু তার গাড়ীচালক নয় মাস চাকুরী করার পর ঈদের বোনাস নিয়ে ছুটিতে বাড়ী গিয়ে আর ফিরে আসলোনা। ঐ চালকটিকে তিনি তার অপর একজন কর্মচারীর সুপারিশে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তিনি সেই কর্মচারীর নিকট অভিযোগ করলেন, কিন্তু সে তাতে শুধু বিব্রতই হলো, কোন প্রতিকার করতে পারলোনা। চালকহীন অবস্থায় তিনি যখন বেশ অসুবিধার মধ্যে ছিলেন, তখন একদিন বাসুদেব ডিব্রা নামে এক ব্যক্তি তার সাথে দেখা করে তার ড্রাইভার হবার ইচ্ছা ব্যক্ত করলো। তার নাম ধাম পরিচয় জেনে নিয়ে তিনি যখন তার পরিবারের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলেন, পরিবারের কেউ কেউ একটু ইতস্ততঃ করলো, কারণ বাসুদেব অন্য ধর্মের লোক, এবং নেত্রকোনার পাহাড়ী অঞ্চল দূর্গাপুরের অধিবাসী একজন উপজাতীয়। কিন্তু এ নিয়ে খন্দকার সাহেবের কোন দ্বিধা বা সংশয় ছিল না, কারণ তিনি মনে করতেন, প্রত্যেক মানুষ তার আচরণের জন্য নিজেই দায়ী। এর সাথে তার ধর্ম, পরিবার, ভাষা বা আঞ্চলিকতা সম্পৃক্ত নয়। তাই তিনি আর বেশী কিছু না ভেবে বাসুদেবকে তার গাড়ীচালক হিসেবে নিয়োগ করলেন। নিয়োগের সময় তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, চাকুরী ছাড়তে চাইলে অন্ততঃ এক মাসের আগাম নোটিশ দিতে হবে, যেন এর মধ্যে তিনি প্রতিস্থাপক খুঁজে নিতে পারেন। তার দেয়া সুযোগ সুবিধা ও বেতনের চাইতে সে যদি অন্য কোথাও আরো বেশী ভাল সুযোগ সুবিধা পায়, তবে তাকে আটকানোর কোন ইচ্ছে তার নেই, এ কথাটা প্রথম দিনেই তিনি খোলাসা করে বলেছিলেন।
সাত মাস চাকুরী করার পর সেই শর্ত মোতাবেক একদিন বাসুদেব ডিব্রা নোটিশ দিয়ে বসলো, সে আর চাকুরী করবেনা, কারণ একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে তার একটি ভাল চাকুরী হয়েছে। নোটিশ দেয়ার কিছুদিন পর সে নিজেই তার একজন প্রতিস্থাপক নিয়ে এসেছিল, খন্দকার সাহেবের যদি পছন্দ হয়, তবে তিনি যেন তার জায়গায় নতুন ব্যক্তিটিকে নিয়োগ দিতে পারেন। নতুন চালকের নাম লিও, সেও বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার একজন উপজাতীয়। দেখতে বাসুদেবের চেয়েও নম্র ভদ্র, পোশাকেও অধিক পরিপাটি। খন্দকার সাহেব তাকে দিয়ে একটি স্বল্প দূরত্বের ডিউটি করালেন। ইঞ্জিনের স্টার্ট দিয়ে গাড়ী গ্যারেজ থেকে রাস্তায় বের করা দেখেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন গাড়ী চালনায় সে বাসুদেবের চেয়ে অধিক পারদর্শী। তাই তিনি এবারে আর কারো সাথে আলাপ না করেই লিওকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। লিও’র পরে এক এক করে তার আরও চারজন চালক বদলী হয়েছে দেড়-দুই বছর পর পর, কিন্তু কেউই কোন বেয়াদবী করে যায়নি, যাবার সময় ছল চাতুরী করে যায়নি। অম্বর সাংমা, বাদল, হলি আর অপূর্ব চিসিম এই চারজন একে একে তার চালক হিসেবে চাকুরী করে গেছে এবং বিদায় নেয়ার আগে একজন অপরজনকে তার হাতে তুলে দিয়ে গেছে তাদের নিয়োগ যোগ্যতা বিবেচনার জন্য। এ বিষয়টা খন্দকার সাহেবকে খুবই মুগ্ধ করেছিল। তিনি তাদের মধ্যে একতা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা এবং একের প্রতি অপরের শুভাকাংখা দেখে বিস্মিত ও বিমুগ্ধ হয়েছিলেন। সবচেয়ে অবাক হয়েছিলেন এটা দেখে যে কেউ কোন অযোগ্য প্রার্থী আনেনি এবং প্রার্থীকে নেয়ার জন্য কোন জোরাজুরিও করেনি। এরা সবাই নিয়ম মেনেই চাকুরী ছেড়েছিল এবং প্রত্যেকে যোগ্য প্রতিস্থাপক দিয়ে গিয়েছিল, তাই খন্দকার সাহেবও তাদের পাওনাপাতি খুশী মনেই মিটিয়ে দিয়ে তাদেরকে বিদায় দিয়েছিলেন। শুধু শেষের জন, অপূর্ব চিসিম তার মায়ের অসুখের কথা বলে ছুটিতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি, তবে টেলিফোন করে তাকে জানিয়েছিল যে সে মায়ের অসুখের কারণেই আর ঢাকায় ফিরবেনা। তার ফোন পেয়ে খন্দকার সাহেব প্রথমে কিছুটা নাখোশ হলেও, সে যে টেলিফোন করে তার অপারগতার কথাটুকু জানিয়েছে, এই সৌজন্যটুকুর কথা ভেবে মনে মনে প্রীতও হয়েছিলেন। এ ছাড়া যে কারো মায়ের অসুখ বিসুখের ব্যাপারে তিনি আজীবন সংবেদনশীল।
গাড়ীচালকগণ অন্য ধর্মাবলম্বী হওয়াতে খন্দকার সাহেবের একটা বিশেষ সুবিধে হয়েছিল যে ঈদ উৎসবগুলোতে তিনি ঈদের দিনেও তাদেরকে দিয়ে ডিউটি করাতে পারতেন, কখনো কখনো ঢাকা থেকে বহু দূরে তার নিজ গ্রামেও নিয়ে যেতেন। তবে ওদের বড়দিন উৎসবের সময় তিনি ওদেরকে লম্বা ছুটি দিতেন এবং উৎসব বোনাসও ঐ সময়েই পরিশোধ করতেন। অপূর্ব চিসিম যখন বাড়ী যায়, তখন জুন মাস শেষের পথে। তাই তখন তাকে উৎসব বোনাস দেয়ার প্রশ্ন উঠেনি, দাবীও উঠেনি। কিন্তু জুন থেকে বছর গড়িয়ে যখন ডিসেম্বর এলো, তখন অপূর্ব চিসিম উৎসব বোনাসের কথা না ভাবলেও খন্দকার সাহেব ভেবেছিলেন। তিনি মনে মনে ভাবলেন, সে বেচারাতো বছরের অন্ততঃ ছ’টি মাস তার সাথে ডিউটি করেছে। সেই হিসেবে তার অন্ততঃ অর্ধেক বোনাস পাবার কথা। এটা সে তাকে ভয় পেয়ে দাবী না করলেও, সবচেয়ে বড় বিচারকের বিচারের ভয় তার মনে থাকলে তো তারই উচিত ছিল তাকে ডেকে এনে পাওনা টাকাটা তাকে দিয়ে দেয়া। যতই দিন যাচ্ছিল, ততই একটা অপরাধবোধ তার ভেতরে শেকড় ছড়াচ্ছিল। ইতোমধ্যে কয়েকবার তার সেলফোন বদল হওয়াতে তার নম্বরটিও তিনি হারিয়ে ফেলেছিলেন। এমতাবস্থায় একদিন তিনি তার সব কর্মচারীকে ডেকে বললেন, কেউ যদি অপূর্ব চিসিমকে কখনো কোথাও দেখে থাকে, তবে সে যেন তাকে তার সাথে কথা বলতে বলে অথবা তার ফোন নম্বরটি সংগ্রহ করে তাকে জানায়।
অপূর্ব চিসিম অন্যদের চেয়ে একটু হাবাগোবা ধরণের ছিল। তার আই কিউ এবং রোড সেন্স একটু কম ছিল তুলনামূলকভাবে। তাই একমাত্র ওকেই খন্দকার সাহেব মাঝে সাঝে বকাঝকা করতেন, অন্যদের কখনো করতে হয়নি। এজন্য অপূর্ব চিসিমও অন্যদের চেয়ে তাকে একটু বেশীই ভয় করতো। কিন্তু বকাঝকা করলেও খন্দকার সাহেব ওকেই অন্যদের চেয়ে একটু বেশী ভালবাসতেন। উনি যখন ওকে ‘অপূর্ব’ নাম ধরে ডাকতেন, তখন আশে পাশের শ্রোতারা নামটা শুনে বেশ মুগ্ধই হতেন। একদিন তো এক মুগ্ধ শ্রোতা তার কানের কাছে এসে বললেন, ‘আপনার ড্রাইভার এর নামটা খুবই সুন্দর’! বকাঝকা শুনেও মুখে একটা নির্মল হাসি অপূর্ব ধরে রাখতে পারতো। কিছুটা নির্বোধ প্রকৃতির এই অপূর্ব চিসিম কখনো তার কাছ থেকে জোর করে কিছু চাইতে পারতো না। প্রয়োজনে ছুটিও না। তাই এই সাদাসিধে ছেলেটার ন্যায্য পাওনা কী করে মেটানো যায়, তা নিয়ে খন্দকার সাহেব দিনে দিনে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলেন।
প্রায় চার বছর পর একদিন খন্দকার সাহেব হাঁটতে বের হয়েছেন, এমন সময় তার বাসার কাছেই দেখতে পেলেন অপূর্ব অন্য একজন উপজাতীয় লোকের সাথে আলাপরত। চোখাচোখি হতেই তিনি তার দিকে মৃদু হেসে হাত বাড়িয়ে দিলেন করমর্দনের জন্য। অপূর্বও কিছুটা দৌড়ে এসে আলতো করে তার হাতটি স্পর্শ করলো। তিনি তাকে তার মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলেন। অপূর্ব জানালো যে তার মা এক বছর আগে দেহত্যাগ করেছেন। কথাটা শুনে খন্দকার সাহেব ভেতরে ভেতরে দুঃখবোধ করলেন, আহা, ছেলেটার তো তাহলে কোনই দোষ ছিলনা! সে তো সত্যই বলেছিল, ওর মা তো সত্যই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তার কোন বকেয়া পাওনা পাতি আছে কিনা। অপূর্ব ত্বরিত উত্তর দিল, ‘না স্যার, বরং আমি তো মাস শেষ হবার এক সপ্তাহ আগেই চলে গিয়েছিলাম, কিন্তু আপনি তো পুরো মাসেরই বেতন দিয়ে দিয়েছিলেন।‘ তিনি হেঁটে হেঁটেই কথা বলছিলেন, অপূর্বও তার পাশাপাশি হেঁটে চলছিল। আজ খন্দকার সাহেবের সাথে পাশাপাশি হাঁটতে এবং তার সাথে কথা বলতে অপূর্বের তেমন সংকোচ হচ্ছিল না, সে একে একে ভাইয়াদের খবর নিল, ম্যাডামেরও খবর নিল। খন্দকার সাহেব স্মরণ করলেন, অপূর্ব তার এক বন্ধুর সাথে কথা বলা অবস্থায় তার সম্বোধনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছিল। তিনি অপূর্বকে বললেন তার বন্ধুর কাছে ফিরে যেতে এবং যদি তার হাতে সময় থাকে, তবে ঘন্টাখানেক পর তিনি বাসায় ফিরলে তার সাথে দেখা করতে।
খন্দকার সাহেব বাসায় ফেরার সময় লক্ষ্য করলেন, অপূর্ব ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে। তিনি তাকে ইশারায় তার সাথে লিফটে উঠতে বললেন। ঘরে ঢুকে প্রথমেই তিনি ড্রয়ার খুলে অপূর্বের বোনাসের পাওনা টাকার সমপরিমান টাকা বের করে এনে তার হাতে দিলেন। অপূর্ব অবাক হয়ে গেল। সে কাচুমাচু করে বললো, ‘স্যার এ টাকা তো আমার পাওনা নয়। আমি আপনাকে কোন বদলী ড্রাইভার না দিয়েই চলে গিয়েছিলাম। আপনারই বরং অনেক অসুবিধে হয়েছিল। আর তা ছাড়া বড়দিন আসার ছয় মাস আগেই তো আমি চলে গিয়েছিলাম। বড়দিনের সময় আমি আমার পরবর্তী চাকুরীস্থল থেকে বোনাস পেয়েছিলাম’। খন্দকার সাহেব আর বেশী কিছু শুনতে না চেয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ঠিক আছে, এটাও রাখো’। টাকাটা হাতে নিয়ে অপূর্ব কিছুক্ষণ স্থানুর মত দাঁড়িয়ে রইলো। তারপর টুপ করে বসে খন্দকার সাহেবের পায়ে ধরে মুসলমানদের মতই কদমবুসি করলো। খন্দকার সাহেব তাকে টেনে তুলে তার সাথে বুক মেলালেন। তখন চোখে টলটল পানি নিয়ে সে বললো, “স্যার, আপনি খুব ভাল মানুষ এটা জানতাম, কিন্তু আপনাকে আমি ভয়ও পেতাম। আমি আপনার কথা অনেক মনে করেছি। আপনার বাসার সামনের রাস্তাটা দিয়ে অনেকদিন হাঁটাহাঁটি করেছি শুধু আপনাকে একটু দেখার জন্য। একদিন ম্যাডামকে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমি নীচ থেকে নমস্কারও দিয়েছিলাম। কিন্তু আপনাকে ভয় পেতাম বলে দারোয়ানকে আপনার সাথে দেখা করার কথা বলতে পারি নাই। আমার জন্য দোয়া করবেন স্যার”! এই বলে সে আস্তে আস্তে সিঁড়ি দিয়ে নেমে চলে গেল।
ও চলে যাবার পর খন্দকার সাহেব খানিকক্ষণ আনমনে ভাবলেন, ‘ব্যাটা তোর আবার ভয় কিসের? যার ভয়ে আমি আজ তোকে তোর এই পাওনাটুকু পরিশোধ করে ভারমুক্ত হ’লাম, তার কাছে তো তোকে কোন জবাব দিতে হতো না, দিতে হতো আমাকে’! তারা উভয়েই ভীত ছিলেন, কিন্তু দু’জনার ভয়ের প্রেক্ষিত ভিন্ন ছিল।
ঢাকা
২০ জানুয়ারী ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
(ইতোপূর্বে অন্যত্র প্রকাশিত)
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, প্রামানিক। উত্তর দিতে কিছুদিন বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: এই কাহিনীর এর চাইতে ভাল কোন শিরোনাম হতে পারে না। আপনি একই সাথে দুজন সৎ মানুষের কথা বলেছেন, সহজ বর্ণনায় মুগ্ধ হলাম। এই প্রথম জানলাম আদিবাসীরা ড্রাইভারের কাজ করে। ভাল লাগল।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই কাহিনীর এর চাইতে ভাল কোন শিরোনাম হতে পারে না - শিরোনামটির প্রতি আপনার সুদৃষ্টি আমাকে অনুপ্রাণিত করে গেল। বাকী কথাগুলোও প্রেরণাদায়ক। আদিবাসীরা তাদের কাজে কর্মে অনেক নিষ্ঠাবান হয় বলেই জানি। সততার গড় মানও তাদের মাঝে আমাদের চেয়ে বেশী বলেই আমার কাছে মনে হয়।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: সবাই যদি খন্দকার সাহেবের মতো এই সহজ কথাটা বুঝত, তাহলে আর চারিদিকে এত সমস্যা থাকত না।
সততার গল্পে ভাললাগা।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: সততার গল্পে ভাললাগা - ছোট্ট এ কথাটা ভীষণ ভাল লাগলো। ভাল লাগার চিহ্নটুকুও (+) অনেক প্রেরণা যুগিয়ে গেল!
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো...
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৬
সামিয়া বলেছেন: হুম সময় নিয়ে পড়ে জানাবো ভাইয়া।।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আশাকরি ইতোমধ্যে আপনি লেখাটি পড়েছেন। মন্তব্যের অপেক্ষায় আছি!
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লাগল।এমন ভাল মানুষের সংখ্যা এখন নিতান্তই কম।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, মোস্তফা সোহেল। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি পাঠে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার গল্পটি আমাদের পড়ার সুযোগ করার জন্য।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটি পাঠরে আমাকে ধন্য করেছেন, সেজন্য অবশ্যই ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট "এক ভুতরে রাতে!!", এবং "এই শতাব্দীর ডাক" পড়ে দুটো মন্তব্য রেখে এসেছি।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১২
আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: আপনার এই লেখাটা পড়ে অন্তত একজন মানুষও যদি তা বাড়ির গৃহকর্মী, দারোয়ান ইত্যাদি কর্মচারিকে তার পাওনা ঠিকমতো বুঝিয়ে দেন সেটাই হবে একটা দারুণ ব্যাপার। নিজের খুব কাছে থেকে যারা শারীরিক শ্রম দেয়, সেবা দেয়, তাদের পেছনে টাকাটা খরচ করলে কতো ভালো হয়! ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। একটা শব্দও কিন্তু শিখে ফেলেছি, সেটা হলো "প্রতিস্থাপক"।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ লেখাটি পড়ে আপনি "প্রতিস্থাপক" সম্পর্কে প্রকারান্তরে যে প্রশংসাটুকু করে গেলেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট- আহা সেইসব দিন... পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম। নোটিফিকেশন খামখেয়ালী, তাই এখানেই সেটা জানিয়ে গেলাম।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো, আপনার কিছু নীতিমালা জানা হলো
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে যথারীতি অনুপ্রাণিত।
ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা----
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
বাকরখানি বলেছেন: মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লাগল।এমন ভাল মানুষের সংখ্যা এখন নিতান্তই কম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে এবং মোস্তফা সোহেলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখাটি স্নিগ্ধতায় পরিপূর্ণ। ভয়কে অনেকে দুর্বলতা ভাবে, কিন্তু ভয়ই নৈতিকতার উৎস। এটি বুঝিয়ে দিলেন।
খন্দকার সাহেবের নির্মোহ, অনাড়ম্বর ধার্মিকতাময় চরিত্রটিও সুন্দর এঁকেছেন।
তৃতীয় অনুচ্ছেদ এবং এর পর থেকে ‘প্রতিস্থাপক’ শব্দটির ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। মাঝে মাঝে সাবস্টিটিউট অথবা রিপ্লেসমেন্ট ঠিকই মনে পড়ে, কিন্তু এর উপযুক্ত বাঙলা খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভয়ই নৈতিকতার উৎস - অত্যন্ত চমৎকার, অত্যন্ত ওজনদার একটি কথা বলে গেলেন, মাঈনউদ্দিন মইনুল। এই একটি কথাই আমার বক্তব্যকে আরো পরিষ্কার করে দিল।
‘প্রতিস্থাপক’ শব্দয়চয়নের প্রশংসায় অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা----
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: লেখার প্লটটি সামাজিক আবহের সাথে একেবারে মিলে গেছে।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখার প্লটটি সামাজিক আবহের সাথে একেবারে মিলে গেছে -- অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো...
১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: সুন্দর গল্প,
শিরোনামটি গল্পের তুলনায় অন্য রকম মনে হচ্ছ্।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামটি গল্পের তুলনায় অন্য রকম মনে হচ্ছ্ - তাই নাকি? আমার তো মনে হয় শিরোনামে যা বলেছি, উপসংহারেও আমি একই কথাই বলেছি। মাঝখানে শুধু দুটোর যোগসূত্র।
১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: সুখের পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা চাহিদা।
আমার মাঝে মাঝে ধর্মের উপরই খুব রাগ হয়। ধর্ম না থাকলে ধর্ম ব্যবসায়ীও থাকতো না।
আপনার এই পোষ্টিকে আমি গল্প বলতে রাজী না।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই পোষ্টিকে আমি গল্প বলতে রাজী না - আচ্ছা ঠিক আছে। গল্প না হয়ে অন্য কিছু হয়তো হবে এটা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১
আটলান্টিক বলেছেন: অসাধারণ গল্প খায়রুল সাহেব।বিশেষ করে শেষের লাইনগুলো পড়ে অতীব মুগ্ধ হয়েছি।প্লাস দেওয়া আমার জন্য ওয়াজিব হয়ে পড়েছে।আপনার প্রতি পোষ্টেই থাকবো ইনশাল্লাহ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: উপরের লেখাটাকে আপনার কাছে এক অসাধারণ গল্প মনে হওয়াতে আমার মনোবল আনন্দবৃক্ষের মগডালে চড়ে বসে আছে, কিছুতেই আর তাকে নামানো যাচ্ছেনা!
সেই সাথে প্লাস পেয়ে এবং পরের কথাগুলো জেনে সেটা আরো পোক্তভাবে তথায় আসীন হলো!!!
অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনাকে, আটলান্টিক।
১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
ওমেরা বলেছেন: শিক্ষনিয় লিখা ভাল লাগল খুব ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা---
১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রাতঃস্বরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব খন্দকার সাহেব। এমন মানুষের সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ে এখানে আপনার ভাবনাটুকু রেখে যাওয়ার জন্য। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা---
১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২০
কাতিআশা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো..মানুষের সততা তার সত্যিকারের ধর্মভীরুতা থেকেই আসার কথা!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের সততা তার সত্যিকারের ধর্মভীরুতা থেকেই আসার কথা! -- খুবই চমৎকার একটা কথা বলে গেলেন, খুবই ভাল লাগলো।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা...
১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
সুমন কর বলেছেন: শিক্ষণীয় পোস্ট। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এমন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন। আজকাল তো সবাই মেরে খেয়ে থাকে.......
+।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রশংসা এবং প্লাস পেয়ে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: অফলাইনে আগেই পড়েছিলাম। চমৎকার লেখনি।
গল্প কিংবা সত্যি যাই হোক না কেন, বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকতে পারার মানুষ যে অাশঙ্কাজনকহারে কমে যাচ্ছে দিনে দিনে তা বলা যায়। চিসিম কিংবা খন্দকার সাহেবদের মতো মানুষদের বড় বেশি দরকার এখন।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকতে পারার মানুষ যে অাশঙ্কাজনকহারে কমে যাচ্ছে দিনে দিনে তা বলা যায় -- কথাটা যতই অনভিপ্রেত হোক, সত্য। তবে আশার কথা এই যে বয়স্কদের চেয়ে তরুণ, যুবাদের মাঝে আমি এখনও পরিষ্কার বিবেকের মানুষ তুলনামূলকভাবে বেশী দেখতে পাই।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২১
কিরমানী লিটন বলেছেন: অনবদ্য ভালো লাগায় এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। শুভকামনা জানবেন- অনেক ভালোবাসায়
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনবদ্য ভালো লাগায় এক নিঃশ্বাসে পড়লাম -- অনেক ধন্যবাদ, কথাটা অনেক প্রেরণা যুগিয়ে যাবে যতবার পড়বো, ততবারই।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
২১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৫৫
সোহানী বলেছেন: সবাই যদি খন্দকার সাহেবের মতো হতো তাহলে দেশের অর্ধেক সমস্যা সমাধান হতো।
আমার ব্যাক্তিগত জীবনে পাহাড়ী লোকদের সাথে বিভিন্ন প্রয়োজনে যোগাযোগ ছিল এবং সত্যিই আমি বা অামার ফ্যামিলির সাথে সব কিছু মিলে তারা খুব আপন হয়ে গিয়েছিল।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওদের ম্যানার্স ভাল, নীতিবোধ ভাল, গড় শিক্ষার মানও মনে হয় আমাদের গড়ের চেয়ে ভাল।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:০১
নায়না নাসরিন বলেছেন: খন্দকার সাহবের মত এমন মানুষের সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে ভাইয়া।
অনেকদিন পর এমন সুন্দর ও শিক্ষনিয় গল্প পড়ে মুগ্ধ হোলাম।
ভালোলাগা জানবেন
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে আমিও মুগ্ধ হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
২৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১১
অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: ভালো লাগলো।
সমাজের অনেক বৃত্তশালী ড্রইভারকে মাস শেষে সম্মানিটা দিতে টালবাহানা করে।এক্ষেত্রে খন্দকার সাহেব একটি দৃষ্টান্ত।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
২৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!
সবারই সেই পরমেক ভয় করা উচিত যার যার বিশ্বাসের জায়গা থেকে। তবেই সমাজের অনেক অসংগতি আপনাতেই শুধরে যাবে।
ভাল লাগা ++++
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ভয় থেকেই ভক্তি জন্ম নেয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
২৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভয়ের প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিলো। এমন মানুষ পাওয়া এখন দুর্লভ। মানুষের ভেতর এখন ভয় দায়িত্বজ্ঞান হারিয়ে যাচ্ছে!
ভালো লাগা রইলো ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভয়ের প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিলো - এটাই বলেছি গল্পে। নিজ নিজ ভাবনায় ভয় থেকে সমীহ এসেছিল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
২৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
জাহিদ অনিক বলেছেন:
গল্প পড়ার সময় পাঠক গল্পের চরিত্রগুলো নিজের জানাশোনা জগতের মধ্য থেকে কাউকে না কাউকে নিয়ে কল্পনায় ভাসতে থাকে।
এই গল্পটা পড়ার সময় আমার আশেপাশের কাউকে নিয়ে খন্দকার সাহেবকে রিপ্লেস করেতে পারলাম না।
আশে পাশে এত ভাল লোক কাউকে দেখি না এত। বরং দেখি কেউ কেউ পারলে ভিড়ের মধ্যে বাসের ভাড়া না দিয়েই নেমে যায়!
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো, আপনার কিছু নীতিমালা জানা হলো -- এরকম কিছু আমিও ভেবেছি।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প পড়ার সময় পাঠক গল্পের চরিত্রগুলো নিজের জানাশোনা জগতের মধ্য থেকে কাউকে না কাউকে নিয়ে কল্পনায় ভাসতে থাকে - ঠিক বলেছেন, আমিও ভাসি। তবে, খন্দকার সাহেবকে আমার কাছে অচেনা মনে হয়নি। দুনিয়াতে এখনও অনেক ভাল মানুষ আছে।
চাঁদগাজী সাহেব একজন বিচক্ষণ মানুষ। আপনিও।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---
২৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:২১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: খায়রুল ভাই,
কেন যেন জানি মনে হলো আপনাকেই মনে হয় খন্দকার সাহেবের মধ্যে দেখলাম ! কেন জিজ্ঞেস কর লে যুৎসই উত্তর দিতে পারবো না সেটা অবশ্য মানছি | আমরা নিজেরদের দায়িত্ব নিজেরা যদি এভাবে পালন করতাম অন্যরা কি করবে সেটা না ভেবে তাহলে আমাদের চাওয়া পওয়ার হিসেবটা আরো সহজ হয়ে যেত দেশের জন্য | খন্দকার সাহেবের দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফের ভাবনার সাথে এক মন, একমত আমিও |
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: খন্দকার সাহেবের দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফের ভাবনার সাথে এক মন, একমত আমিও -- ধন্যবাদ, এ মত প্রকাশের জন্য। গল্পের চরিত্রগুলো সাধারণতঃ লেখকদের চেনা জানা মুখ কিংবা কল্পনার কিছু চরিত্র থেকে নেয়া হয়ে থাকে। খন্দকার সাহেবও তেমনই একজন।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
যেমন মালিক তেমন ড্রাইভার । ড্রাইভার মালিকের মধ্যে এমন ভালবাসা খুব কমই থাকে । এই ঘটনাটি ব্যাতিক্রম । তাই বেশ ভাল লাগলো ।
দুনিয়ায় ড্রাইভার মালিককে ভয় পাওয়াটা ইদানিং খুব স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু মালিক সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করার ব্যাপারটা বেশ নড়বড়ে ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ড্রাইভার মালিকের মধ্যে এমন ভালবাসা খুব কমই থাকে। এই ঘটনাটি ব্যাতিক্রম। তাই বেশ ভাল লাগলো। - একটু ব্যতিক্রমীই বটে ঘটনাটা। ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
কালীদাস বলেছেন: লেখাটা কি আপনার নিজের ব্যক্তিজীবনের? আমার মনে হচ্ছিল আপনার নিজের ছায়াই দেখছিলাম, অন্তত যতটুকু চিনেছি আপনাকে এই হঠাৎ হঠাৎ ব্লগে আসার পরেও।
খানিকটা অপ্রসাঙ্গিক একটা কমেন্ট করি। খন্দকার সাহেব লাকি অনেক একজন ভাল, সৎ ড্রাইভার পাওয়া বেশ কঠিন ঢাকা শহরে। আম্মার কাছে শুনি আর টের পাই, নিজে থাকতেও মনে ছিল।
আশা করি আপনার নতুন বছর ভাল যাচ্ছে
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের চরিত্রগুলো সাধারণতঃ লেখকদের চেনা জানা মুখ কিংবা কল্পনার কিছু চরিত্র থেকে নেয়া হয়ে থাকে। খন্দকার সাহেবও তেমনই একজন। আমাকেও আপনি খন্দকার সাহেবের মত একজন ভাল মানুষ মনে করেছেন, তা জেনে প্রীত হ'লাম।
একজন ভাল, সৎ ড্রাইভার পাওয়া বেশ কঠিন ঢাকা শহরে - কথাটা খুবই সত্য। তবে, মন্দের পাশাপাশি কিছু ভাল মানুষও না থাকলে দেশটা তো এতদিনে বাসযোগ্য থাকতো না।
আশা করি আপনার নতুন বছর ভাল যাচ্ছে - আলহামদুলিল্লাহ, নতুন বছরটা ভালভাবেই শুরু হয়েছে। আশাকরি আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন এর অপার করুণায় বাকীটাও ভালভাবে এবং নিরাপদে কেটে যাবে।
মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা---
৩০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পোস্ট করার পর কিছুদিনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছিলাম। সেখানে গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্ক কার্যকর ছিল না। ফিরলাম আজই।
যারা আমার এ লেখাটা ধৈর্য ধরে পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন, তাদের প্রত্যেককেই জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
আপনাদের মন্তব্যের জবাব দিতে শুরু করবো আগামীকাল থেকে, ইন শা আল্লাহ!
৩১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিছুটা দুঃসময়ের ভেতর দিয়ে দিন পার করছি, তাই অনিবার্য ব্যস্ততার কারণে বাকী সবার মন্তব্যের উত্তর দিতে পারছিনা বলে আন্তরিকভাবে তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আশাকরি, অচিরেই আবার ব্লগে নিয়মিত হতে পারবো।
সবার জন্য শুভকামনা---
৩২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪১
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
কি দুঃসময় চলছে আপনার আমাকে জানানো যাবে যদি কিছু মনে না করেন!!
এবারে মেলায় কোন বই বের হচ্ছে আপনার?
শুভকামনা রইল।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি ভাল আছি, তবে পারিবারিক অসুখ বিসুখ নিয়ে গত কিছুদিন একটু ব্যতিব্যস্ত ছিলাম। ধন্যবাদ আপনার এ সদয় জিজ্ঞাসার জন্য।
নতুন বই বের করার জন্য মাল মসলা প্রস্তুতই ছিল, তবে শেষ মুহূর্তে হঠাৎ করে আসা কিছু অ-পূর্বপরিকল্পিত ব্যস্ততার জন্য এবারের বইমেলায় আমার নতুন কোন বই বের হচ্ছেনা।
ভাল থাকুন, শুভকামনা রইলো।
৩৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৯
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ,খুশি হলাম দিঘদিন পর ব্লগে ফিরে আপনার লেখা পড়ে।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও খুশী হ'লাম, দীর্ঘদিন পরে আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা রইলো...
৩৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০১
নীলপরি বলেছেন: এমন মানুষের সংখ্যা কম হলেও দুনিয়ায় আছে । তাই বোধহয় দুনিয়াটা এখনো সুন্দর ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন মানুষের সংখ্যা কম হলেও দুনিয়ায় আছে । তাই বোধহয় দুনিয়াটা এখনো সুন্দর। - একদম ঠিক কথা বলেছেন। আমার মনে হয়, মন্দের চেয়ে এখনো ভাল মানুষের সংখ্যাই বেশী।
অনেকদিন পরে এলেন। কেমন আছেন?
৩৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৮
জুন বলেছেন: খন্দকার সাহেবের মত মানুষের আজ ভীষন প্রয়োজন । ভালোলাগলো আপনার লেখা ছোট ঘটনাটি খায়রুল আহসান।
+
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশী হ'লাম।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।
৩৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৩
শামচুল হক বলেছেন: গঠনমূলক অনেক সুন্দর একটি লেখা। খুব ভালো লাগল।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভাল লেগেছে জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৩৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০১
মিরোরডডল বলেছেন: nice story. Inspiring.
hope you & your family feeling better now.
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন এর অশেষ রহমতে আমরা সবাই ভাল আছি। ধন্যবাদ।
৩৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮
প্রথমকথা বলেছেন: লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। খন্দকার সাহেবের মত মানুষ প্রতিটি ঘরে থাকলে আজ দেশের এই অবস্থা হতো না। ধর্ম আর মনুষ্যত্ব ভিন্ন। তাই প্রমাণ করলে খন্দকার সাহেব। সুন্দর লেখা।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ লেখাটা আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছে দেখে প্রীত বোধ করছি। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৩৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৪
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: খন্দকার সাহেবের দায়িত্ববোধ দেখে ভালো লাগলো। আদিবাসীদের সাথে প্রায় চার বছর আমি একি রুমে থাকছি, এই চার বছরে অনেকের সাথে মিশেছি, তাদের মধ্যে বন্ডিং এতটা স্ট্রং, যা আমাদের বাঙালিদের মধ্যে নেই, তারা আমাদের চেয়ে অনেক আগানো, তাদের বন্ধুসুলভ আচরণ আমাকে মুগ্ধ করে। শুধুমাত্র ফুড হ্যাভিট টা একটু বিরক্তিকর।
জীবনে এই ভয়টাই বোধহয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে নিজের দায়িত্বটা মানুষ ঠিকভাবে পালন করতো।
সুন্দর গল্পের জন্য ধন্যবাদ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সুবাদে নিজের পুরনো লেখাটা আবার পড়ার সুযোগ হলো।
একটা মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ বোধকরি অন্যের বিশ্বাস অর্জন করতে পারাটা। আমি এ যাবত যতজন উপজাতীয়দের সাথে কাজ করেছি, তাদের প্রত্যেককেই অত্যন্ত বিশ্বস্ত পেয়েছি।
জীবনে এই ভয়টাই বোধহয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ জ্বী, অবশ্যই। এ ভয়টা মনে থাকলে কোন অপসাহস মনে বাসা বাঁধতে পারেনা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।